৪৯২১। নম্রতা, ভদ্রতা ও বিনয় এমন একটি গুণ যা সমাজকে করে সুন্দর ও সামাজিক ক্রিয়াকর্মকে করে অনেক সহজ। অভদ্র ও রুক্ষ ব্যবহার যে কোন ভালো কাজকে মূল্যহীন করে দেয়। যেমন : দান করে রুক্ষ ব্যবহার দানের মর্যদা হানি করে, অপরপক্ষে দান না করেও মিষ্ট ব্যবহার গ্রহীতার অন্তরে শান্তি আনায়ন করে। এ ভাবেই দুর্ব্যবহার ও অশিষ্ট ব্যবহার কর্মফলকে নিষ্ফল করে দেয়। এমনকি দুর্ব্যবহারকারী নিজেও জানতে পারে না যে তার কর্মফল নিষ্ফল হয়ে যায়।
আয়াতঃ 049.003
যারা আল্লাহর রসূলের সামনে নিজেদের কন্ঠস্বর নীচু করে, আল্লাহ তাদের অন্তরকে শিষ্টাচারের জন্যে শোধিত করেছেন। তাদের জন্যে রয়েছে ক্ষমা ও মহাপুরস্কার।
Verily! Those who lower their voices in the presence of Allâh’s Messenger (SAW), they are the ones whose hearts Allâh has tested for piety. For them is forgiveness and a great reward.
إِنَّ الَّذِينَ يَغُضُّونَ أَصْوَاتَهُمْ عِندَ رَسُولِ اللَّهِ أُوْلَئِكَ الَّذِينَ امْتَحَنَ اللَّهُ قُلُوبَهُمْ لِلتَّقْوَى لَهُم مَّغْفِرَةٌ وَأَجْرٌ عَظِيمٌ
Inna allatheena yaghuddoona aswatahum AAinda rasooli Allahi ola-ika allatheena imtahana Allahu quloobahum lilttaqwa lahum maghfiratun waajrun AAatheemun
YUSUFALI: Those that lower their voices in the presence of Allah’s Messenger,- their hearts has Allah tested for piety: for them is Forgiveness and a great Reward.
PICKTHAL: Lo! they who subdue their voices in the presence of the messenger of Allah, those are they whose hearts Allah hath proven unto righteousness. Theirs will be forgiveness and immense reward.
SHAKIR: Surely those who lower their voices before Allah’s Messenger are they whose hearts Allah has proved for guarding (against evil); they shall have forgiveness and a great reward.
KHALIFA: Surely, those who lower their voices at the messenger of GOD are the ones whose hearts are prepared by GOD to become righteous. They have deserved forgiveness and a great recompense.
০৩। যারা আল্লাহ্র রসুলের উপস্থিতিতে তাদের কণ্ঠস্বরকে নীচু করে, – আল্লাহ্ তাদের হৃদয়কে তাকওয়ার জন্য পরীক্ষা করে নিয়েছেন ৪৯২২। তাদের জন্য রয়েছে ক্ষমা ও মহাপুরষ্কার।
৪৯২২। শিষ্টাচার ও ভালো ব্যবহার উৎসরিত হয় হৃদয় থেকে। আল্লাহ্র রাসুলের মাধ্যমে আল্লাহ্ আমাদের এই শিক্ষা দিয়েছেন যে, – যে ব্যক্তি আন্তরিকভাবে শ্রদ্ধাভাজন নেতাকে মেনে চলে আল্লাহ্ তার হৃদয়ে ধর্মভাব জাগ্রত করেন। অপরপক্ষে যে তার শ্রদ্ধেয় নেতার প্রতি শিষ্টাচার সম্পন্ন না হয়; তার কর্মফল বৃথা হয়ে যায়। কারণ এরূপ ক্ষেত্রে নেতার কর্তৃত্ব শিথিল হয়ে পড়ে ফলে সমগ্র কর্মপ্রচেষ্টাতে শিথিলতা দেখা যায়।
আয়াতঃ 049.004
যারা প্রাচীরের আড়াল থেকে আপনাকে উচুস্বরে ডাকে, তাদের অধিকাংশই অবুঝ।
Verily! Those who call you from behind the dwellings, most of them have no sense.
إِنَّ الَّذِينَ يُنَادُونَكَ مِن وَرَاء الْحُجُرَاتِ أَكْثَرُهُمْ لَا يَعْقِلُونَ
Inna allatheena yunadoonaka min wara-i alhujurati aktharuhum la yaAAqiloona
YUSUFALI: Those who shout out to thee from without the inner apartments – most of them lack understanding.
PICKTHAL: Lo! those who call thee from behind the private apartments, most of them have no sense.
SHAKIR: (As for) those who call out to you from behind the private chambers, surely most of them do not understand.
KHALIFA: As for those who call on you from outside the walls, most of them do not understand.
০৪। যারা ঘরের বাহির থেকে তোমাকে চিৎকার করে ডাকে, তাদের অধিকাংশের বোধ শক্তির অভাব আছে। ৪৯২৩
৪৯২৩। বান্তামীমের একটি প্রতিনিধিদল রাসুলের (সা ) সাথে সাক্ষাৎ করতে আসে। তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) নিজ প্রকোষ্ঠে অবস্থান করছিলেন। তারা কক্ষের পিছন থেকে তাঁকে চীৎকার করে ডাকতে থাকে। আয়াতটি এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অবতীর্ণ হয়। এই আয়াতগুলির আবেদন সার্বজনীন – যুগ কাল অতিক্রান্ত। নেতাকে ঘরের বাইরে থেকে চীৎকার করে ডাকা অভদ্রতারই পরিচায়ক। এর দ্বারা নেতার কর্ম, সময়, ও তাঁর প্রতি অশ্রদ্ধাই জ্ঞাপন করা হয়। একমাত্র উদ্ধত, হঠকারী ও নির্বোধ ব্যক্তিরাই তা করতে পারে। এরূপ ক্ষেত্রে বিনয়ী ও শিষ্টাচার সম্পন্ন যে কোনও ব্যক্তি নেতার আগমন পর্যন্ত ধৈর্য্য সহকারে অপেক্ষা করবে। আল্লাহ্র নবী ছিলেন ক্ষমা ও দয়ার প্রতীক। এসব অজ্ঞ ও নির্বোধদের দোষত্রুটি তিনি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখেছেন। কিন্তু আমাদের দৈনন্দিক জীবনে এরূপ অজ্ঞতাকে ক্ষমা করা হয় না। যেমন : কোন সাধারণ সৈনিক যদি সামরিক বাহিনীর জেনারেলের সাথে এরূপ ব্যবহার করে অথবা রাজা বা রাষ্ট্রপতি বা উচ্চপদস্থ সরকারী কর্মচারীর সাথে অভদ্র ও শিষ্টাচার বর্হিভূত ব্যবহার করে তবে দেশের আইনের চোখে সে অপরাধী হয়। তাকে দন্ডনীয় আইনে সোপর্দ করা হয়। এই আয়াতগুলির মাধ্যমে সামাজিক শিষ্টাচারের সাধারণ নিয়মগুলি শিক্ষা দান করা হয়েছে।