আয়াতঃ 047.023
এদের প্রতিই আল্লাহ অভিসম্পাত করেন, অতঃপর তাদেরকে বধির ও দৃষ্টিশক্তিহীন করেন।
Such are they whom Allâh has cursed, so that He has made them deaf and blinded their sight.
أُوْلَئِكَ الَّذِينَ لَعَنَهُمُ اللَّهُ فَأَصَمَّهُمْ وَأَعْمَى أَبْصَارَهُمْ
Ola-ika allatheena laAAanahumu Allahu faasammahum waaAAma absarahum
YUSUFALI: Such are the men whom Allah has cursed for He has made them deaf and blinded their sight.
PICKTHAL: Such are they whom Allah curseth so that He deafeneth them and maketh blind their eyes.
SHAKIR: Those it is whom Allah has cursed so He has made them deaf and blinded their eyes.
KHALIFA: It is those who incurred a curse from GOD, whereby He rendered them deaf and blind.
২৩। এরাই তারা যাদের আল্লাহ্ অভিশপ্ত করেছেন ৪৮৪৮। নিশ্চয়ই তিনি তাদের করেছেন বধির এবং চক্ষুকে করেছেন অন্ধ।
৪৮৪৮। “অভিশপ্ত ” – অর্থাৎ আল্লাহ্র করুণা বঞ্চিত। কারণ তারা ইচ্ছাকৃত ভাবে আল্লাহ্র সত্যকে প্রত্যাখান করেছে। আল্লাহ্র করুণা বঞ্চিত আত্মার অবস্থানকে এই আয়াতের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে। তারা হবে বধির ও দৃষ্টিশক্তিহীন। এই বধিরতা ও দৃষ্টিশক্তিহীনতা শারীরিক নয়। তা হবে আত্মিক। ফলশ্রুতিতে তারা যা শোনে তার প্রকৃত মর্ম অনুধাবনে অক্ষম হয়। তারা যা দেখে তার সঠিক চিত্র উপলব্ধি করতে পারে না। এই ” শোনা ” ও ” দেখা ” হচ্ছে আধ্যাত্মিক ভাবে অনুধাবন ক্ষমতা। তারা দেখেও দেখে না শুনেও শোনে না। আল্লাহ্র প্রত্যাদেশকে অনুধাবন করার কোনও ইচ্ছাই তাদের মাঝে জন্মাবে না। ফলে এসব লোক পার্থিব জ্ঞানে সমৃদ্ধ হলেও প্রজ্ঞা, বিচক্ষণতা ও ন্যায়পরায়ণতা লাভ করবে না। তারা প্রকৃত সত্যের রূপকে অনুধাবনে অক্ষম হবে ফলে তারা সত্য মিথ্যা, ন্যায় অন্যায় ও ভালো -মন্দের মধ্যে পার্থক্য করতে অক্ষম হবে। তারা হবে প্রজ্ঞা ও বিচক্ষণহীন অন্যায়কারী। কারণ ন্যায় ও সত্যের বাণীর প্রতি তারা তাদের হৃদয়ের দুয়ারকে তালাবদ্ধ করে ফেলেছে। এরাই হচ্ছে অভিশপ্ত আত্মা।
আয়াতঃ 047.024
তারা কি কোরআন সম্পর্কে গভীর চিন্তা করে না? না তাদের অন্তর তালাবদ্ধ?
Do they not then think deeply in the Qur’ân, or are their hearts locked up (from understanding it)?
أَفَلَا يَتَدَبَّرُونَ الْقُرْآنَ أَمْ عَلَى قُلُوبٍ أَقْفَالُهَا
Afala yatadabbaroona alqur-ana am AAala quloobin aqfaluha
YUSUFALI: Do they not then earnestly seek to understand the Qur’an, or are their hearts locked up by them?
PICKTHAL: Will they then not meditate on the Qur’an, or are there locks on the hearts?
SHAKIR: Do they not then reflect on the Quran? Nay, on the hearts there are locks.
KHALIFA: Why do they not study the Quran carefully? Do they have locks on their minds?
২৪। তবে কি তারা একান্তভাবে কুর-আনকে বুঝতে চেষ্টা করে না, অথবা উহাদের অন্তর তালাবদ্ধ ?
২৫। যারা পথের নির্দ্দেশ স্পষ্ট প্রকাশিত হওয়ার পর স্বধর্ম ত্যাগ করে, – শয়তান তাদের উৎসাহিত করে এবং তাদের মিথ্যা আশায় উদ্বেলিত করে। ৪৮৪৯
২৬। এর কারণ, আল্লাহ্ যা নাযিল করেছেন, তাতে যারা ঘৃণা প্রকাশ করতো, তাদের উহারা বলে যে, ” [এই ব্যাপারে] কোন কোন বিষয়ে আমরা অবশ্য তোমাদের কথা মানবো।” কিন্তু আল্লাহ্ তাদের গোপন অভিসন্ধি অবগত আছেন। ৪৮৫০
৪৮৪৯। আল্লাহ্র অনুগ্রহ বঞ্চিত আত্মা সম্পূর্ণ শয়তানের করায়ত্ব হয়ে পড়ে। তারা সর্বদা শয়তানের কুমন্ত্রণায় বশীভূত হয় এবং শয়তানের দ্বারা জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রতারিত হয়ে পড়ে। ফলে তাদের মন্দ কাজ তাদের চোখে শোভনরূপে পরিগণিত হয়।
৪৮৫০। সত্যের আলো মোনাফেকের আত্মায় কখনও প্রবেশ লাভ করবে না। সত্যের বা আল্লাহ্র হেদায়েতের আলোর জন্য এসব আত্মা অভেদ্য। প্রকাশ্যে আল্লাহ্র পথে সংগ্রামে বিরুদ্ধাচারণের সাহস এদের থাকে না। এরাই হয় বিশ্বাসঘাতক। তারা গোপনে আল্লাহ্র শত্রুদের সাথে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয় এবং দুপক্ষেই তাদের কার্যক্রম চালায়। মুনাফেকরা নিজেদের মুসলমান দাবী করতো এবং বাহ্যতঃ রাসুলুল্লাহ্র [সা ] প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করতো কিন্তু অন্তরে শত্রুতা ও বিদ্বেষ পোষণ করে শত্রুদের সাথে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হতো। তারা ছিলো বিশ্বাসঘাতক, শত্রুর চর এবং সন্দেহবাতিক, মোনাফেকের এইরূপ বৈশিষ্ট্য অদ্যাবধি পৃথিবীতে বর্তমান আছে। আল্লাহ্র শ্বাসত সর্তকবাণী এই আয়াতের মাধ্যমে উচ্চারণ করা হয়েছে। মোনাফেকরা যদি মনে করে যে, তারা অবিশ্বস্ততা ও দ্বিমুখী নীতির দ্বারা জীবনে সাফল্য লাভ করবে, তবে তারা ভীষণ ভুলের মাঝে বাস করছে। কারণ আল্লাহ্ তাদের গোপন অভিসন্ধি,উদ্দেশ্য, সবই অবগত আছেন। দেখুন অনুরূপ আয়াত [ ৫৯ : ১১ ]।
আয়াতঃ 047.025
নিশ্চয় যারা সোজা পথ ব্যক্ত হওয়ার পর তৎপ্রতি পৃষ্ঠপ্রদর্শন করে, শয়তান তাদের জন্যে তাদের কাজকে সুন্দর করে দেখায় এবং তাদেরকে মিথ্যা আশা দেয়।
Verily, those who have turned back (have apostated) as disbelievers after the guidance has been manifested to them, Shaitân (Satan) has beautified for them (their false hopes), and (Allâh) prolonged their term (age).