৪৮৪৫। দেখুন [২ : ১০ ] আয়াত। ঈমানের উৎস হচ্ছে আত্মা বা অন্তর। আবার মোনাফেকীর উৎসও হচ্ছে আত্মা বা অন্তর। যখন আত্মা তার পবিত্রতা হারায় তখনই তা ব্যাধিগ্রস্থ অন্তরে পরিণত হয়। এই ব্যধির উপসর্গ হচ্ছে : মোনাফেকী, অবিশ্বস্ততা, কাপুরুষতা, মহৎ উদ্দেশ্যের প্রতি ত্যাগ স্বীকারে বিমুখতা আল্লাহ্র হুকুমের যথার্থতা অনুধাবনে অক্ষমতা ইত্যাদি।
আয়াতঃ 047.021
তাদের আনুগত্য ও মিষ্ট বাক্য জানা আছে। অতএব, জেহাদের সিন্ধান্ত হলে যদি তারা আল্লাহর প্রতি পদত্ত অংগীকার পূর্ণ করে, তবে তাদের জন্যে তা মঙ্গলজনক হবে।
Obedience (to Allâh) and good words (were better for them). And when the matter (preparation for Jihâd) is resolved on, then if they had been true to Allâh, it would have been better for them.
طَاعَةٌ وَقَوْلٌ مَّعْرُوفٌ فَإِذَا عَزَمَ الْأَمْرُ فَلَوْ صَدَقُوا اللَّهَ لَكَانَ خَيْرًا لَّهُمْ
TaAAatun waqawlun maAAroofun fa-itha AAazama al-amru falaw sadaqoo Allaha lakana khayran lahum
YUSUFALI: Were it to obey and say what is just, and when a matter is resolved on, it were best for them if they were true to Allah.
PICKTHAL: Obedience and a civil word. Then, when the matter is determined, if they are loyal to Allah it will be well for them.
SHAKIR: Obedience and a gentle word (was proper); but when the affair becomes settled, then if they remain true to Allah it would certainly be better for them.
KHALIFA: Obedience and righteous utterances are expected of them. If only they showed confidence in GOD, when mobilization was called for, it would have been better for them.
২১। উহাকে মান্য করা এবং যা ন্যায়সংগত তা বলা। বিষয়টির চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়ে যাওয়ার পরে যদি তারা আল্লাহ্র প্রতি [ অঙ্গীকার পূরণে ] সত্য হতো, তবে অবশ্যই তা তাদের জন্য হতো সর্বোত্তম ৪৮৪৬।
৪৮৪৬। কোনও মঙ্গলজনক সিদ্ধান্তই আল্লাহ্র হুকুম ব্যতীত হয় না। সুতারাং আল্লাহ্র সিদ্ধান্তকে পূর্ণরূপ দানের সংগ্রামে কেউ যখন নিজস্ব চেষ্টা ও ত্যাগ স্বীকারে ব্যর্থ হয়, তারা আল্লাহ্র প্রতি বিশ্বাসে আন্তরিক নয়। বিশ্বাসে যারা আন্তরিক তারা নিজ জীবনকে আত্মোৎসর্গ করতেও দ্বিধা বোধ করে না। মোনাফেকদের এই অবিশ্বস্ততা ও ভীরুতা ও পশ্চাদপদতা তাদের কোনও কল্যাণেই আসে না – না জাগতিক না পারলৌকিক জীবনের প্রেক্ষাপটে। জাগতিক দৃষ্টিকোণ থেকে তারা মোনাফেকরূপে চিহ্নিত হওয়ার ফলে সমাজে তাদের অবস্থান হারায় ও নিন্দনীয় ব্যক্তিরূপে পরিগণিত হয়। পরলোকের অবস্থান আল্লাহ্র ন্যায় বিচার।
আয়াতঃ 047.022
ক্ষমতা লাভ করলে, সম্ভবতঃ তোমরা পৃথিবীতে অনর্থ সৃষ্টি করবে এবং আত্নীয়তা বন্ধন ছিন্ন করবে।
Would you then, if you were given the authority, do mischief in the land, and sever your ties of kinship?
فَهَلْ عَسَيْتُمْ إِن تَوَلَّيْتُمْ أَن تُفْسِدُوا فِي الْأَرْضِ وَتُقَطِّعُوا أَرْحَامَكُمْ
Fahal AAasaytum in tawallaytum an tufsidoo fee al-ardi watuqattiAAoo arhamakum
YUSUFALI: Then, is it to be expected of you, if ye were put in authority, that ye will do mischief in the land, and break your ties of kith and kin?
PICKTHAL: Would ye then, if ye were given the command, work corruption in the land and sever your ties of kinship?
SHAKIR: But if you held command, you were sure to make mischief in the land and cut off the ties of kinship!
KHALIFA: Is it also your intention that as soon as you leave you will commit evil and mistreat your relatives?
২২। তবে কি তোমাদের থেকে এই আশা করবো যে ৪৮৪৭, যদি তোমাদের ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করি, তোমরা পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করবে, এবং আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন করবে ৪৮৪৭।
৪৮৪৭। কোরাইশরা সাধারণভাবে বলতো যে আত্মীয়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা উপযুক্ত কাজ নয়। তবে একথার কোনও যৌক্তিকতা নাই, কারণ পাপের বিরুদ্ধে সংগ্রাম সর্বদাই রক্তক্ষয়ী হতে বাধ্য। তা কখনই শান্তিপূর্ণ হতে পারে না। কারণ পাপ ও পাপী সর্বদা শেষ পর্যন্ত নিজস্ব অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে বদ্ধ পরিকর। সুতারাং জেহাদের ব্যাপারে আত্মীয়তার দোহাই সঠিক নয়। কারণ মোমেন বান্দার সম্মুখে দুটি পথ খোলা থাকে। হয় পাপকে দমন করা অথবা পাপের বশবর্তী হওয়া। এরই প্রেক্ষিতে আল্লাহ্ বলেছেন যে, যদি পাপীরা কর্তৃত্ব ও নিয়ন্ত্রণ লাভ করে,তবে যে আত্মীয়তার দোহাই তারা দিচ্ছে, তারা তা মান্য করবে না। সর্বাগ্রে তারাই আত্মীয়তার বন্ধনকে অসম্মান করবে এবং অস্বীকার করবে। সুতারাং এরূপ অবস্থা আল্লাহ্র রাসুল ও তাঁর অনুসারীদের কাম্য হতে পারে না। অবশ্যই শান্তি রক্ষার জন্য তারা সত্যকে অবদমিত করতে পারেন না। আল্লাহ্র এই হুকুম বিশ্বজনীন কালোত্তীর্ণ।