আবার আর একদল আছে যারা জাগতিক বিষয়বস্তুকে জীবনের চরম ও পরম পাওয়া বলে সাব্যস্ত করে। এরা নিজেদের প্রগতিশীল বলে দাবী করে। এদের কেউ সম্পদের , কেউ বিজ্ঞানের , কেউ শিল্পকলার , আবার কেউ নিজস্ব স্বার্থের চিন্তায় দিবারাত্র বিভোর থাকে। তারা দাবী করে যে এগুলির মাধ্যমে তারা আত্মোন্নতি করার ক্ষমতা রাখে এবং জীবনের সর্বশেষ লক্ষ্যে পৌঁছাতে সক্ষম।এবং এরই মাধ্যমে তারা স্রষ্টার নিকটবর্তী হওয়ার আশা রাখে। এই আয়াতে পরিষ্কারভাবে ঘোষণা করা হয়েছে যে, এরা সকলেই ভুল পথে আল্লাহ্র অন্বেষণ করছে। কোনও মাধ্যম নয়, মানুষের চিন্তার জগত, মনোজগত, আধ্যাত্মিক জগত শুধুমাত্র স্রষ্টার চিন্তায় আপ্লুত থাকলেই স্রষ্টার সান্নিধ্য লাভ করা সম্ভব।
৪২৪৫। আল্লাহ্র প্রকৃত উপাসনা ত্যাগ করে, সঠিক পথকে পরিহার করে, মানুষ যখন মিথ্যা উপাস্যের উপাসনায় নিমগ্ন হয়ে পড়ে , তখন তাদের মাঝে সীমাহীন বিভেদের ও দলের সৃষ্টি হয়। এ সব ফয়সালার মালিক একমাত্র আল্লাহ্। কিন্তু কেউ যদি সত্যকে পরিহার করে মিথ্যার আশ্রয় গ্রহণ করে এবং আল্লাহ্র প্রতি করণীয় কর্তব্য ও আল্লাহ্র কাজে অনীহা প্রকাশ করে, আল্লাহ্র প্রতি প্রতিদিনের এই জীবনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে ভুলে যায় , তাহলে তারা ইচ্ছাকৃতভাবে আল্লাহ্ প্রদর্শিত পথকে ত্যাগ করে। এরাই তারা যারা মিথ্যাবাদী ও কাফের, আল্লাহ্ তাদের হেদায়েত করেন না।
আয়াতঃ 039.004
আল্লাহ যদি সন্তান গ্রহণ করার ইচ্ছা করতেন, তবে তাঁর সৃষ্টির মধ্য থেকে যা কিছু ইচ্ছা মনোনীত করতেন, তিনি পবিত্র। তিনি আল্লাহ, এক পরাক্রমশালী।
Had Allah wished to take to Himself a son, He could have chosen whom He pleased out of those whom He doth create: but Glory be to Him! (He is above such things.) He is Allah, the One, the Irresistible.
لَوْ أَرَادَ اللَّهُ أَنْ يَتَّخِذَ وَلَدًا لَّاصْطَفَى مِمَّا يَخْلُقُ مَا يَشَاء سُبْحَانَهُ هُوَ اللَّهُ الْوَاحِدُ الْقَهَّارُ
Law arada Allahu an yattakhitha waladan laistafa mimma yakhluqu ma yashao subhanahu huwa Allahu alwahidu alqahharu
YUSUFALI: Had Allah wished to take to Himself a son, He could have chosen whom He pleased out of those whom He doth create: but Glory be to Him! (He is above such things.) He is Allah, the One, the Irresistible.
PICKTHAL: If Allah had willed to choose a son, He could have chosen what He would of that which He hath created. Be He Glorified! He is Allah, the One, the Absolute.
SHAKIR: If Allah desire to take a son to Himself, He will surely choose those He pleases from what He has created. Glory be to Him: He is Allah, the One, the Subduer (of all).
KHALIFA: If GOD wanted to have a son, He could have chosen whomever He willed from among His creations. Be He glorified; He is GOD, the One, the Supreme.
০৪। যদি আল্লাহ্ পুত্র গ্রহণ করতে চাইতেন , তবে তিনি তাঁর সৃষ্টির মধ্যে যাকে ইচ্ছা বেছে নিতে পারতেন ৪২৪৬। কিন্তু তিনি মহিমান্বিত। [ তিনি এ সবের উর্দ্ধে ]। তিনি আল্লাহ্, এক অদ্বিতীয় , অপ্রতিরোধ্য।
৪২৪৬। আল্লাহ্র সন্তান রয়েছে এ কথা চিন্তা করাও পাপ এবং ঈশ্বর নিন্দা। যদি সত্যিই আল্লাহ্ সন্তান গ্রহণ করতেন তবে স্বাভাবিক ভাবেই তাঁর একজন স্ত্রী বিদ্যমান থাকতো [৬ : ১০১ ] ,এবং তাঁর পুত্র তাঁরই মত গুণসম্পন্ন হতো। কিন্তু সূরা [ ১১২ : ৪ ] আয়াতে বলা হয়েছে, ” তাহার সমতুল্য কেহ নাই।” সন্তান জন্ম দান করা একটি জৈব প্রক্রিয়া যা প্রাণী জগতে বিদ্যমান , যা একটি যৌন প্রক্রিয়া। আল্লাহ্র সম্বন্ধে এরূপ চিন্তা বা ধারণা কিভাবে করা সম্ভব , যেখানে আল্লাহ্র অস্তিত্ব বিশ্ব ব্রহ্মান্ডের সকল কিছুর উর্দ্ধে। তিনি এক এবং অদ্বিতীয়। তাঁর কোনও সাহায্যকারীর প্রয়োজন নাই – তিনি সর্বশক্তিমান। যদি সাহায্যকারীর প্রয়োজন হতো , তবে তার জন্য তাকে প্রাণীজগতের যৌন প্রক্রিয়ার মত নিম্নস্তরে নামার প্রয়োজন ছিলো না। আল্লাহ্ এসবের বহু উর্দ্ধে ,তিনি মহান ও পবিত্র। নিরাকার আল্লাহ্র একত্ব আত্মার মাঝে অনুভব করা , উপলব্ধি করা যে তিনি এক ও অদ্বিতীয়, এই-ই হচ্ছে ঈমানের প্রথম ধাপ। তিনি এক ও অদ্বিতীয় এবং সর্বশক্তিমান। তাঁর কোনও সাহায্যকারীর প্রয়োজন নাই।
আয়াতঃ 039.005
তিনি আসমান ও যমীন সৃষ্টি করেছেন যথাযথভাবে। তিনি রাত্রিকে দিবস দ্বারা আচ্ছাদিত করেন এবং দিবসকে রাত্রি দ্বারা আচ্ছাদিত করেন এবং তিনি সুর্য ও চন্দ্রকে কাজে নিযুক্ত করেছেন প্রত্যেকেই বিচরণ করে নির্দিষ্ট সময়কাল পর্যন্ত। জেনে রাখুন, তিনি পরাক্রমশালী, ক্ষমাশীল।
He created the heavens and the earth in true (proportions): He makes the Night overlap the Day, and the Day overlap the Night: He has subjected the sun and the moon (to His law): Each one follows a course for a time appointed. Is not He the Exalted in Power – He Who forgives again and again?