- সূরার নাম: সূরা মুমিন
- বিভাগসমূহ: ইসলামিক বই, কোরআন শরীফ
সূরা মুমিন
আয়াতঃ 040.001
হা-মীম।
Ha Mim
حم
Ha-meem
YUSUFALI: Ha Mim
PICKTHAL: Ha. Mim.
SHAKIR: Ha Mim.
KHALIFA: H. M.
০১। হা – মীম ।
০২। এই কিতাবের প্রত্যাদেশ অবতীর্ণ হয়েছে মহাপরাক্রমশালী, পরম জ্ঞানী আল্লাহ্র নিকট থেকে ৪৩৫৭।
৪৩৫৭। এই আয়াতটি সূরা [ ৩৯ :১ ] আয়াতের অনুরূপ , ব্যতিক্রম শুধুমাত্র শেষ লাইনটি যেখানে আল্লাহ্র সম্বন্ধে বিশেষ বিশেষণ প্রয়োগ করা হয়েছে। সূরা [ ৩৯: ১ ] আয়াতে বলা হয়েছে আল্লাহ্ ” প্রজ্ঞাময় ” এখানে গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে আল্লাহ্র “প্রজ্ঞার ” ও ” বিচক্ষণতার ” উপরে কারণ বিরোধীরা আল্লাহ্ প্রদত্ত শৃঙ্খলাকে ধ্বংস করতে আগ্রহী। এই সূরাতে গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে আল্লাহ্র জ্ঞানের উপরে। আল্লাহ্র জ্ঞানের তুলনায় অন্যান্যদের জ্ঞান অত্যন্ত সীমিত। কারণ তিনি সর্বজ্ঞ।
আয়াতঃ 040.002
কিতাব অবতীর্ণ হয়েছে আল্লাহর পক্ষ থেকে, যিনি পরাক্রমশালী, সর্বজ্ঞ।
The revelation of this Book is from Allah, Exalted in Power, Full of Knowledge,-
تَنزِيلُ الْكِتَابِ مِنَ اللَّهِ الْعَزِيزِ الْعَلِيمِ
Tanzeelu alkitabi mina Allahi alAAazeezi alAAaleemi
YUSUFALI: The revelation of this Book is from Allah, Exalted in Power, Full of Knowledge,-
PICKTHAL: The revelation of the Scripture is from Allah, the Mighty, the Knower,
SHAKIR: The revelation of the Book is from Allah, the Mighty, the Knowing,
KHALIFA: This revelation of the scripture is from GOD, the Almighty, the Omniscient.
০১। হা – মীম ।
০২। এই কিতাবের প্রত্যাদেশ অবতীর্ণ হয়েছে মহাপরাক্রমশালী, পরম জ্ঞানী আল্লাহ্র নিকট থেকে ৪৩৫৭।
৪৩৫৭। এই আয়াতটি সূরা [ ৩৯ :১ ] আয়াতের অনুরূপ , ব্যতিক্রম শুধুমাত্র শেষ লাইনটি যেখানে আল্লাহ্র সম্বন্ধে বিশেষ বিশেষণ প্রয়োগ করা হয়েছে। সূরা [ ৩৯: ১ ] আয়াতে বলা হয়েছে আল্লাহ্ ” প্রজ্ঞাময় ” এখানে গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে আল্লাহ্র “প্রজ্ঞার ” ও ” বিচক্ষণতার ” উপরে কারণ বিরোধীরা আল্লাহ্ প্রদত্ত শৃঙ্খলাকে ধ্বংস করতে আগ্রহী। এই সূরাতে গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে আল্লাহ্র জ্ঞানের উপরে। আল্লাহ্র জ্ঞানের তুলনায় অন্যান্যদের জ্ঞান অত্যন্ত সীমিত। কারণ তিনি সর্বজ্ঞ।
আয়াতঃ 040.003
পাপ ক্ষমাকারী, তওবা কবুলকারী, কঠোর শাস্তিদাতা ও সামর্থøবান। তিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। তাঁরই দিকে হবে প্রত্যাবর্তন।
Who forgiveth sin, accepteth repentance, is strict in punishment, and hath a long reach (in all things). there is no god but He: to Him is the final goal.
غَافِرِ الذَّنبِ وَقَابِلِ التَّوْبِ شَدِيدِ الْعِقَابِ ذِي الطَّوْلِ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ إِلَيْهِ الْمَصِيرُ
Ghafiri alththanbi waqabili alttawbi shadeedi alAAiqabi thee alttawli la ilaha illa huwa ilayhi almaseeru
YUSUFALI: Who forgiveth sin, accepteth repentance, is strict in punishment, and hath a long reach (in all things). there is no god but He: to Him is the final goal.
PICKTHAL: The Forgiver of sin, the Accepter of repentance, the Stern in punishment, the Bountiful. There is no Allah save Him. Unto Him is the journeying.
SHAKIR: The Forgiver of the faults and the Acceptor of repentance, Severe to punish, Lord of bounty; there is no god but He; to Him is the eventual coming.
KHALIFA: Forgiver of sins, acceptor of repentance, strict in enforcing retribution, and possessor of all power. There is no other god beside Him. To Him is the ultimate destiny.
০৩। যিনি পাপ ক্ষমা করে দেন, অনুতাপ গ্রহণ করেন, ৪৩৫৮ , যিনি শাস্তি দানে কঠোর , শক্তিশালী। তিনি ব্যতীত অন্য কোন উপাস্য নাই। তার নিকটেই সকলের শেষ প্রত্যাবর্তন।
৪৩৫৮। আল্লাহ্র জ্ঞান সর্বোচ্চ, তা সব কিছুকে স্পর্শ করে থাকে। আল্লাহ্র অন্যান্য আরোপিত গুণ বা বিশেষণ যা আমাদের গভীরভাবে আগ্রহী করে তা হচ্ছে আল্লাহ্ আমাদের অনুতাপকে গ্রহণ করবেন, যদি তা আন্তরিক হয় এবং পূর্বের সকল পাপ ক্ষমা করে দেবেন। আন্তরিক অনুতাপ পাপীর জীবনকে সম্পূর্ণ পরিবর্তিত করে দেয়। সেই সাথে তিনি ন্যায় বিচারকও – শাস্তি দানে কঠোর। সুতারাং পাপীদের পলায়নের কোনও উপায় থাকবে না ; একমাত্র অনুতাপের মাধ্যমেই পাপীদের অব্যহতি পাওয়া সম্ভব। এ ব্যতীত আল্লাহ্র অন্যান্য গুণবাচক আরোপিত বিশেষণ সকলের জন্য সমভাবে প্রযোজ্যঃ তাঁর দয়া , জ্ঞান ও ন্যায়বিচার , তাঁর অনুগ্রহ এবং শাস্তি।
আয়াতঃ 040.004
কাফেররাই কেবল আল্লাহর আয়াত সম্পর্কে বিতর্ক করে। কাজেই নগরীসমূহে তাদের বিচরণ যেন আপনাকে বিভ্রান্তিতে না ফেলে।
None can dispute about the Signs of Allah but the Unbelievers. Let not, then, their strutting about through the land deceive thee!
مَا يُجَادِلُ فِي آيَاتِ اللَّهِ إِلَّا الَّذِينَ كَفَرُوا فَلَا يَغْرُرْكَ تَقَلُّبُهُمْ فِي الْبِلَادِ
Ma yujadilu fee ayati Allahi illa allatheena kafaroo fala yaghrurka taqallubuhum fee albiladi
YUSUFALI: None can dispute about the Signs of Allah but the Unbelievers. Let not, then, their strutting about through the land deceive thee!
PICKTHAL: None argue concerning the revelations of Allah save those who disbelieve, so let not their turn of fortune in the land deceive thee (O Muhammad).
SHAKIR: None dispute concerning the communications of Allah but those who disbelieve, therefore let not their going to and fro in the cities deceive you.
KHALIFA: None argues against GOD’s revelations except those who disbelieve. Do not be impressed by their apparent success.
০৪। অবিশ্বাসীরা ব্যতীত আল্লাহ্র নিদর্শনসমূহ সম্বন্ধে কেহ বির্তক করে না ৪৩৫৯। সুতারাং দেশের মাঝে তাদের সগর্বে চলাচল তোমাদের যেনো বিভ্রান্ত না করে ৪৩৬০।
৪৩৫৯। আল্লাহ্র জ্ঞান ও আরোপিত গুণবাচক বিশেষণ সর্বাপেক্ষা পূর্ণাঙ্গ এবং নিখিল বিশ্ব-ভূবন সর্বদা এই সত্যকে ঘোষণা করছে। আমাদের চারিদিকে আল্লাহ্র নিদর্শনে পরিপূর্ণ। যাদের মাঝে বিশ্বাসের ঘাটতি আছে, শুধুমাত্র তারাই আল্লাহ্র নিদর্শনকে উপলব্ধি করতে সক্ষম হয় না এবং তারাই বৃথা তর্কে লিপ্ত হয়।
৪৩৬০। দেখুন আয়াত [ ৩ : ১৯৬ ]। যারা আল্লাহ্র নিদর্শন আত্মার মাঝে অনুভব করতে পারে না , তাদের বাইরের প্রদর্শনী অত্যন্ত আকর্ষণীয় হয়। তাদের তীক্ষ্ণ বুদ্ধি , চটপটে কথাবার্তা , দেশেবিদেশে অবাধ বিচরণ ইত্যাদি যেনো মোমেন বান্দাদের বিভ্রান্ত না করে।
আয়াতঃ 040.005
তাদের পূর্বে নূহের সম্প্রদায় মিথ্যারোপ করেছিল, আর তাদের পরে অন্য অনেক দল ও প্রত্যেক সম্প্রদায় নিজ নিজ পয়গম্বরকে আক্রমণ করার ইচ্ছা করেছিল এবং তারা মিথ্যা বিতর্কে প্রবৃত্ত হয়েছিল, যেন সত্যধর্মকে ব্যর্থ করে দিতে পারে। অতঃপর আমি তাদেরকে পাকড়াও করলাম। কেমন ছিল আমার শাস্তি।
But (there were people) before them, who denied (the Signs),- the People of Noah, and the Confederates (of Evil) after them; and every People plotted against their prophet, to seize him, and disputed by means of vanities, therewith to condemn the Truth; but it was I that seized them! and how (terrible) was My Requital!
كَذَّبَتْ قَبْلَهُمْ قَوْمُ نُوحٍ وَالْأَحْزَابُ مِن بَعْدِهِمْ وَهَمَّتْ كُلُّ أُمَّةٍ بِرَسُولِهِمْ لِيَأْخُذُوهُ وَجَادَلُوا بِالْبَاطِلِ لِيُدْحِضُوا بِهِ الْحَقَّ فَأَخَذْتُهُمْ فَكَيْفَ كَانَ عِقَابِ
Kaththabat qablahum qawmu noohin waal-ahzabu min baAAdihim wahammat kullu ommatin birasoolihim liya/khuthoohu wajadaloo bialbatili liyudhidoo bihi alhaqqa faakhathtuhum fakayfa kana AAiqabi
YUSUFALI: But (there were people) before them, who denied (the Signs),- the People of Noah, and the Confederates (of Evil) after them; and every People plotted against their prophet, to seize him, and disputed by means of vanities, therewith to condemn the Truth; but it was I that seized them! and how (terrible) was My Requital!
PICKTHAL: The folk of Noah and the factions after them denied (their messengers) before these, and every nation purposed to seize their messenger and argued falsely, (thinking) thereby to refute the Truth. Then I seized them, and how (awful) was My punishment.
SHAKIR: The people of Nuh and the parties after them rejected (prophets) before them, and every nation purposed against their messenger to destroy him, and they disputed by means of the falsehood that they might thereby render null the truth, therefore I destroyed them; how was then My retribution!
KHALIFA: Disbelieving before them were the people of Noah, and many other opponents after them. Every community persecuted their messenger to neutralize him. And they argued with falsehood, to defeat the truth. Consequently, I punished them; how terrible was My retribution!
০৫। ইহাদের পূর্বে নূহের দল এবং তার পরে [ অসৎ ] সম্প্রদায়েরা ছিলো , যারা [ নিদর্শন সমূহ ] অস্বীকার করেছিলো ৪৩৬১। এবং প্রত্যেক সম্প্রদায়ের লোকেরা তাদের রাসুলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছিলো, তাঁকে গ্রেফতার করার জন্য এবং অহংকারের সাথে বির্তক করেছিলো সত্যকে অনুপযুক্ত ঘোষণা করার জন্য ৪৩৬২। কিন্তু আমিই তাদের পাকড়াও করেছিলাম। এবং কি [ ভয়াবহ ] হয়েছিলো আমার প্রতিশোধ ৪৩৬৩।
৪৩৬১। দেখুন আয়াত [৩৮ : ১১ – ১৩ ] ও টিকা ৪১৫৮। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় যে যুগে যুগে মন্দ সর্বদা ভালো ও সত্যকে প্রতিহত করেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আল্লাহ্র প্রেরিত সত্যের বিজয় হয়েছে। আল্লাহ্র প্রেরিত সত্যের বিরুদ্ধে বা এ সত্যকে যারা প্রচার করেন সে সব নবী ও রসুলদের বিরুদ্ধে বা আল্লাহ্র সুদূর প্রসারিত পরিকল্পনার বিরুদ্ধে এসব অশুভ ও মন্দ শক্তির সমগ্র প্রতিরোধ এবং প্রতিহত করার চেষ্টা শেষ পর্যন্ত ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়।
৪৩৬২। পৃথিবীতে আল্লাহ্ যখনই জীবনের পরিপূর্ণ বিকাশের জন্য অত্যাবশকীয় সত্যকে প্রেরণ করেছেন বা পুরাতন প্রচারিত সত্যের বাণীকে পূনর্জীবিত করেছেন যুগে যুগে সে বাণী প্রচারে বাধা প্রাপ্ত হয়েছে। অজ্ঞ ও স্বার্থে অন্ধ ব্যক্তিরা সর্বদা সত্যের বিরুদ্ধে অসাড় তর্ক বির্তকে লিপ্ত হয়। তারা এসব মিথ্যা বাক্ -বিতন্ডার দ্বারা সত্যের দীপ্তিকে ম্লান করে দিতে বদ্ধপরিকর। তাদের ধারণা এর দ্বারা তারা আল্লাহ্র পরিকল্পনাকে ব্যর্থ করে দিতে সক্ষম হবে। কিন্তু তারা ভ্রান্ত ধারণার বশবর্তী। অনেক সময়ে দেখা যায় অন্যায় বা অসত্য তাদের কূটকৌশল ও দুষ্ট বুদ্ধির সাহায্যে ক্ষণস্থায়ী বিজয় অর্জনে সক্ষম হয়; সত্যকে দমিত করতে সক্ষম হয়, কিন্তু তা খুবই ক্ষণস্থায়ী , কারণ সময়ের বৃহত্তর পরিসরে সত্য প্রকাশিত হবেই এবং তা প্রতিষ্ঠিত হবে। তখন অন্যায়কারীদের মিথ্যা পরিকল্পনা ধূলিসাৎ হতে বাধ্য। তারা তাদের নিজেদের ফাঁদে নিজেরা ধৃত হয়ে পড়ে। শয়তানের ফাঁদে ধৃত হওয়ার শাস্তি ভয়ানক।
উপদেশ : পৃথিবীতে কোনও সৎ বা ভালো কাজ প্রথমেই অভিনন্দিত হবে না। মানুষরূপী শয়তান তাতে বাধা প্রদান করবেই। তবে আল্লাহ্ আমাদের সুসংবাদ দান করেছেন যে, এতে নিরাশ হওয়ার কিছু নাই। শেষ পর্যন্ত প্রকৃত সৎকর্ম প্রতিষ্ঠিত হবেই ,যা ন্যায় ও সত্য ,মানুষের জন্য যা মঙ্গলজনক তা ধ্বংস করার ক্ষমতা কারও নাই।
৪৩৬৩। দেখুন আয়াত [ ১৩ : ৩২ ]।
আয়াতঃ 040.006
এভাবে কাফেরদের বেলায় আপনার পালনকর্তার এ বাক্য সত্য হল যে, তারা জাহান্নামী।
Thus was the Decree of thy Lord proved true against the Unbelievers; that truly they are Companions of the Fire!
وَكَذَلِكَ حَقَّتْ كَلِمَتُ رَبِّكَ عَلَى الَّذِينَ كَفَرُوا أَنَّهُمْ أَصْحَابُ النَّارِ
Wakathalika haqqat kalimatu rabbika AAala allatheena kafaroo annahum as-habu alnnari
YUSUFALI: Thus was the Decree of thy Lord proved true against the Unbelievers; that truly they are Companions of the Fire!
PICKTHAL: Thus was the word of thy Lord concerning those who disbelieve fulfilled: That they are owners of the Fire.
SHAKIR: And thus did the word of your Lord prove true against those who disbelieved that they are the inmates of the fire.
KHALIFA: Thus, the judgment of your Lord is already stamped upon those who disbelieve, that they are the dwellers of Hell.
০৬। এ ভাবেই অবিশ্বাসীদের বিরুদ্ধে আমার হুকুম সত্য প্রমাণীত হয়েছিলো ৪৩৬৪। সত্যই তারা জাহান্নামের অধিবাসী।
৪৩৬৪। দেখুন [ ৩৯ : ৭১ ]। আল্লাহ্র হুকুম বা আল্লাহ্র বাণী যার সাহায্যে মন্দ বা পাপীদের নিন্দা জ্ঞাপন করা হয়েছে , তা সত্য প্রমাণিত হয়েছে। কারণ তারা শাস্তি প্রাপ্ত হয়েছে পৃথিবীতে এবং পরলোকে তারা হবে দোযখের অধিবাসী।
আয়াতঃ 040.007
যারা আরশ বহন করে এবং যারা তার চারপাশে আছে, তারা তাদের পালনকর্তার সপ্রশংস পবিত্রতা বর্ণনা করে, তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে এবং মুমিনদের জন্যে ক্ষমা প্রার্থনা করে বলে, হে আমাদের পালনকর্তা, আপনার রহমত ও জ্ঞান সবকিছুতে পরিব্যাপ্ত। অতএব, যারা তওবা করে এবং আপনার পথে চলে, তাদেরকে ক্ষমা করুন এবং জাহান্নামের আযাব থেকে রক্ষা করুন।
Those who sustain the Throne (of Allah. and those around it Sing Glory and Praise to their Lord; believe in Him; and implore Forgiveness for those who believe: “Our Lord! Thy Reach is over all things, in Mercy and Knowledge. Forgive, then, those who turn in Repentance, and follow Thy Path; and preserve them from the Penalty of the Blazing Fire!
الَّذِينَ يَحْمِلُونَ الْعَرْشَ وَمَنْ حَوْلَهُ يُسَبِّحُونَ بِحَمْدِ رَبِّهِمْ وَيُؤْمِنُونَ بِهِ وَيَسْتَغْفِرُونَ لِلَّذِينَ آمَنُوا رَبَّنَا وَسِعْتَ كُلَّ شَيْءٍ رَّحْمَةً وَعِلْمًا فَاغْفِرْ لِلَّذِينَ تَابُوا وَاتَّبَعُوا سَبِيلَكَ وَقِهِمْ عَذَابَ الْجَحِيمِ
Allatheena yahmiloona alAAarsha waman hawlahu yusabbihoona bihamdi rabbihim wayu/minoona bihi wayastaghfiroona lillatheena amanoo rabbana wasiAAta kulla shay-in rahmatan waAAilman faighfir lillatheena taboo waittabaAAoo sabeelaka waqihim AAathaba aljaheemi
YUSUFALI: Those who sustain the Throne (of Allah) and those around it Sing Glory and Praise to their Lord; believe in Him; and implore Forgiveness for those who believe: “Our Lord! Thy Reach is over all things, in Mercy and Knowledge. Forgive, then, those who turn in Repentance, and follow Thy Path; and preserve them from the Penalty of the Blazing Fire!
PICKTHAL: Those who bear the Throne, and all who are round about it, hymn the praises of their Lord and believe in Him and ask forgiveness for those who believe (saying): Our Lord! Thou comprehendest all things in mercy and knowledge, therefor forgive those who repent and follow Thy way. Ward off from them the punishment of hell.
SHAKIR: Those who bear the power and those around Him celebrate the praise of their Lord and believe in Him and ask protection for those who believe: Our Lord! Thou embracest all things in mercy and knowledge, therefore grant protection to those who turn (to Thee) and follow Thy way, and save them from the punishment of the hell:
KHALIFA: Those who serve the throne and all those around it glorify and praise their Lord, and believe in Him. And they ask forgiveness for those who believe: “Our Lord, Your mercy and Your knowledge encompass all things. Forgive those who repent and follow Your path, and spare them the retribution of Hell.
০৭। যারা [আল্লাহ্র ] আরশ ধারণ করে ৪৩৬৫ এবং যারা ইহার চারপাশ ঘিরে তাদের প্রভুর মহিমা ও প্রশংসা কীর্তন করে; তাঁর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে; এবং যারা বিশ্বাসী তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে [ বলে] ” হে আমাদের প্রভু! তোমার করুণা ও জ্ঞান সকল জিনিষকে ঘিরে রেখেছে। সুতারাং যারা অনুতাপের মাধ্যমে তোমার পথে ফিরে আসে, তাদের ক্ষমা কর এবং তাদেরকে জ্বলন্ত আগুনের শাস্তি থেকে রক্ষা কর ৪৩৬৬।
৪৩৬৫। দেখুন অনুরূপ আয়াত [৩৯ : ৭৫ ]।
৪৩৬৬।দেখুন আয়াত [ ৬ :৮০ ] ও [৭ : ৮৯ ]।
আয়াতঃ 040.008
হে আমাদের পালনকর্তা, আর তাদেরকে দাখিল করুন চিরকাল বসবাসের জান্নাতে, যার ওয়াদা আপনি তাদেরকে দিয়েছেন এবং তাদের বাপ-দাদা, পতি-পত্নী ও সন্তানদের মধ্যে যারা সৎকর্ম করে তাদেরকে। নিশ্চয় আপনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।
“And grant, our Lord! that they enter the Gardens of Eternity, which Thou hast promised to them, and to the righteous among their fathers, their wives, and their posterity! For Thou art (He), the Exalted in Might, Full of Wisdom.
رَبَّنَا وَأَدْخِلْهُمْ جَنَّاتِ عَدْنٍ الَّتِي وَعَدتَّهُم وَمَن صَلَحَ مِنْ آبَائِهِمْ وَأَزْوَاجِهِمْ وَذُرِّيَّاتِهِمْ إِنَّكَ أَنتَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ
Rabbana waadkhilhum jannati AAadnin allatee waAAadtahum waman salaha min aba-ihim waazwajihim wathurriyyatihim innaka anta alAAazeezu alhakeemu
YUSUFALI: “And grant, our Lord! that they enter the Gardens of Eternity, which Thou hast promised to them, and to the righteous among their fathers, their wives, and their posterity! For Thou art (He), the Exalted in Might, Full of Wisdom.
PICKTHAL: Our Lord! And make them enter the Gardens of Eden which thou hast promised them, with such of their fathers and their wives and their descendants as do right. Lo! Thou, only Thou, art the Mighty, the Wise.
SHAKIR: Our Lord! and make them enter the gardens of perpetuity which Thou hast promised to them and those who do good of their fathers and their wives and their offspring, surely Thou are the Mighty, the Wise.
KHALIFA: “Our Lord, and admit them into the gardens of Eden that You promised for them and for the righteous among their parents, spouses, and children. You are the Almighty, Most Wise.
০৮। ” হে আমাদের প্রভু ! তুমি তাদের অনন্তকালের জন্য বেহেশত্ দান কর, যার প্রতিশ্রুতি তুমি তাদের জন্য দিয়েছিলে , তাদের পূণ্যাত্মা পিতা-মাতা, পতি-পত্নী ও তাদের সন্তানদের মধ্যে যারা উপযুক্ত তাদেরও [ দান কর ] ৪৩৬৭। নিশ্চয়ই তুমি মহাপরাক্রমশালী , প্রজ্ঞাময়। “।
৪৩৬৭। প্রার্থনার মাঝে কোনও স্বার্থপরতা নাই। তা যে শুধুমাত্র নিজের জন্য হতে হবে তা নয়। প্রার্থনা হতে হবে সার্বজনীন। যথা প্রকৃত পূণ্যাত্মা ও আল্লাহ্র প্রতি আন্তরিক – তারা সকলেই একই ভাতৃবন্ধনে আবদ্ধ। তারা সকলেই সকলের জন্য আল্লাহ্র নিকট প্রার্থনা করে থাকে। পাপ একটি সংক্রামক ব্যাধির ন্যায়। খুব সহজেই অন্যকে সংক্রামিত করে। পূণ্যও ঠিক তদ্রূপ। ভালো সকল সময়েই অন্যকে ভালোর দিকে আকর্ষণ করে থাকে। পূণ্যাত্মারা সর্বদা পূণ্যাত্মাদের সহচর্য কামনা করে থাকে। তারা পরস্পর পরস্পরের সুখ ও শান্তি কামনা করে এবং সকলের জন্য আল্লাহ্র অনুগ্রহ কামনা করে থাকে।
উপদেশ : এই আয়াতগুলি প্রতিটি পূণ্যাত্মার প্রার্থনা হতে পারে। যদিও এই প্রার্থনা ছিলো আল্লাহ্র আরশ্ বহনকারী ফেরেশতাদের।
আয়াতঃ 040.009
এবং আপনি তাদেরকে অমঙ্গল থেকে রক্ষা করুন। আপনি যাকে সেদিন অমঙ্গল থেকে রক্ষা করবেন, তার প্রতি অনুগ্রহই করবেন। এটাই মহাসাফল্য।
“And preserve them from (all) ills; and any whom Thou dost preserve from ills that Day,- on them wilt Thou have bestowed Mercy indeed: and that will be truly (for them) the highest Achievement”.
وَقِهِمُ السَّيِّئَاتِ وَمَن تَقِ السَّيِّئَاتِ يَوْمَئِذٍ فَقَدْ رَحِمْتَهُ وَذَلِكَ هُوَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ
Waqihimu alssayyi-ati waman taqi alssayyi-ati yawma-ithin faqad rahimtahu wathalika huwa alfawzu alAAatheemu
YUSUFALI: “And preserve them from (all) ills; and any whom Thou dost preserve from ills that Day,- on them wilt Thou have bestowed Mercy indeed: and that will be truly (for them) the highest Achievement”.
PICKTHAL: And ward off from them ill-deeds; and he from whom Thou wardest off ill-deeds that day, him verily hast Thou taken into mercy. That is the supreme triumph.
SHAKIR: And keep them from evil deeds, and whom Thou keepest from evil deeds this day, indeed Thou hast mercy on him, and that is the mighty achievement.
KHALIFA: “And protect them from falling in sin. Whomever You protect from falling in sin, on that day, has attained mercy from You. This is the greatest triumph.”
০৯। “তুমি তাদের [ সকল ] অমঙ্গল থেকে রক্ষা কর। সেদিন তুমি যাদের অমঙ্গল থেকে রক্ষা করবে ৪৩৬৮ তাদের তুমি সত্যই অনুগ্রহ দান করবে। এবং [ তাদের জন্য ] তা হবে সত্য -সত্যই সর্বোচ্চ সাফল্য। ” ৪৩৬৯।
৪৩৬৮। আল্লাহ্ যাকে শাস্তি থেকে রেহাই দেবেন সেই তো সাফল্য লাভ করে ; কারণ সেটাই হবে তার শেষ বিচার। যদি কেউ ইহকালের পাপ থেকে আল্লাহ্র অনুগ্রহে ক্ষমা লাভ করে থাকে; তবে তাই-ই হচ্ছে সর্বোচ্চ সাফল্য। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত মানুষ ধাপে ধাপে জীবনের পথ অতিক্রম করে। ধাপে ধাপে তার চাওয়া ও পাওয়ার বিবর্তন ঘটে। এর শেষ হয় মৃত্যুর মাধ্যমে। মৃত্যুর সিংহদুয়ার পেরিয়ে পরলোকের জীবনে সে প্রবেশ লাভ করে এবং সে জীবনের সাফল্যই হচ্ছে সর্বোচ্চ সাফল্য। যেখানে জীবনের চাওয়া পাওয়ার সব শেষ হয়ে যায়। সকল কর্মের সিদ্ধি লাভ যেখানে ঘটে থাকে। জীবনের মহৎ পরিনতি হচ্ছে সর্বোচ্চ মুক্তি ও শান্তি মৃত্যু পরবর্তী জীবনে।
৪৩৬৯। মুসলিম দর্শনে আত্মিক মুক্তি বা সাফল্যের ধারণা অত্যন্ত স্বচ্ছ। পৃথিবীতে মানুষের জন্ম শুধুমাত্র মৃত্যুর মাঝে শেষ হয়ে যাওয়ার জন্য নয়। আল্লাহ্ মানুষের জন্য উচ্চতর মহৎ লক্ষ্য নির্ধারিত করে রেখেছেন মৃত্যু পরবর্তী জীবনে। যে সেই মহৎ লক্ষ্যে পৌঁছাতে সক্ষম সেই সাফল্য লাভ করে আল্লাহ্র অনুগ্রহে ধন্য হয়।
আয়াতঃ 040.010
যারা কাফের তাদেরকে উচ্চঃস্বরে বলা হবে, তোমাদের নিজেদের প্রতি তোমাদের আজকের এ ক্ষোভ অপেক্ষা আল্লার ক্ষোভ অধিক ছিল, যখন তোমাদেরকে ঈমান আনতে বলা হয়েছিল, অতঃপর তোমরা কুফরী করছিল।
The Unbelievers will be addressed: “Greater was the aversion of Allah to you than (is) your aversion to yourselves, seeing that ye were called to the Faith and ye used to refuse.”
إِنَّ الَّذِينَ كَفَرُوا يُنَادَوْنَ لَمَقْتُ اللَّهِ أَكْبَرُ مِن مَّقْتِكُمْ أَنفُسَكُمْ إِذْ تُدْعَوْنَ إِلَى الْإِيمَانِ فَتَكْفُرُونَ
Inna allatheena kafaroo yunadawna lamaqtu Allahi akbaru min maqtikum anfusakum ith tudAAawna ila al-eemani fatakfuroona
YUSUFALI: The Unbelievers will be addressed: “Greater was the aversion of Allah to you than (is) your aversion to yourselves, seeing that ye were called to the Faith and ye used to refuse.”
PICKTHAL: Lo! (on that day) those who disbelieve are informed by proclamation: Verily Allah’s abhorrence is more terrible than your abhorrence one of another, when ye were called unto the faith but did refuse.
SHAKIR: Surely those who disbelieve shall be cried out to: Certainly Allah’s hatred (of you) when you were called upon to the faith and you rejected, is much greater than your hatred of yourselves.
KHALIFA: Those who disbelieve will be told, “GOD’s abhorrence towards you is even worse than your own abhorrence towards yourselves. For you were invited to believe, but you chose to disbelieve.”
রুকু – ২
১০। অবিশ্বাসীদের সম্বোধন করা হবে ;” যখন তোমাদের ঈমানের দিকে ডাকা হতো এবং তোমরা তা অস্বীকার করতে,সেদিন আল্লাহ্র অসন্তোষ , এখন তোমাদের [শাস্তির ভয়ে ] নিজের উপরে অসন্তুষ্টি অপেক্ষাও অনেক বেশী ছিলো। ” ৪৩৭০
৪৩৭০। পৃথিবীতে অবিশ্বাসীরা আল্লাহ্র নিদর্শন সমুহকে অস্বীকার করেছিলো। তারা আল্লাহ্র প্রতি ঈমান আনে নাই। মৃত্যুর পরে পরলোকের জীবনে তারা যখন প্রত্যক্ষ করবে যে , আল্লাহ্র অনুগ্রহ ব্যতীত সে জীবনে উদ্ধার পাওয়ার কোনও উপায় নাই, তখন তাদের মন অনুশোচনায় ভরে যাবে। এ সত্য তাদের সামনে প্রতিভাত হবে যে, পৃথিবীতে আল্লাহ্ তাঁর অনুগ্রহের দুয়ার অবারিত করে দিয়েছিলেন কিন্তু তারা তা সত্বেও আল্লাহকে অস্বীকার করেছিলো। পরলোকে এখন তারা কি ভাবে আল্লাহ্র অনুকম্পা ও অনুগ্রহ আশা করতে পারে ?
আয়াতঃ 040.011
তারা বলবে হে আমাদের পালনকর্তা! আপনি আমাদেরকে দু’বার মৃত্যু দিয়েছেন এবং দু’ বার জীবন দিয়েছেন। এখন আমাদের অপরাধ স্বীকার করছি। অতঃপর এখন ও নিস্কৃতির কোন উপায় আছে কি?
They will say: “Our Lord! twice hast Thou made us without life, and twice hast Thou given us Life! Now have we recognised our sins: Is there any way out (of this)?”
قَالُوا رَبَّنَا أَمَتَّنَا اثْنَتَيْنِ وَأَحْيَيْتَنَا اثْنَتَيْنِ فَاعْتَرَفْنَا بِذُنُوبِنَا فَهَلْ إِلَى خُرُوجٍ مِّن سَبِيلٍ
Qaloo rabbana amattana ithnatayni waahyaytana ithnatayni faiAAtarafna bithunoobina fahal ila khuroojin min sabeelin
YUSUFALI: They will say: “Our Lord! twice hast Thou made us without life, and twice hast Thou given us Life! Now have we recognised our sins: Is there any way out (of this)?”
PICKTHAL: They say: Our Lord! Twice hast Thou made us die, and twice hast Thou made us live. Now we confess our sins. Is there any way to go out?
SHAKIR: They shall say: Our Lord! twice didst Thou make us subject to death, and twice hast Thou given us life, so we do confess our faults; is there then a way to get out?
KHALIFA: They will say, “Our Lord, you have put us to death twice, and You gave us two lives; now we have confessed our sins. Is there any way out?”
১১। তারা বলবে, ” হে আমাদের প্রভু ! তুমি আমাদের দুইবার প্রাণহীন অবস্থায় রেখেছ এবং দুইবার আমাদের প্রাণ দিয়েছ ৪৩৭১। এখন আমরা আমাদের পাপকে সনাক্ত করতে পেরেছি। [ এর থেকে ] বের হওয়ার কোন পথ আছে কি ? ”
৪৩৭১। দেখুন আয়াত [ ২ : ২৮ ]। জীবনকে গভীর ভাবে উপলব্ধির চেষ্টা করলে কেহ স্রষ্টাকে অস্বীকার করতে পারে না। এই বিশাল মহাবিশ্বে, মহাকালের নিঃসীম পরিব্যপ্তির মাঝে কোথায় ছিলো আমাদের অস্তিত্ব ? পৃথিবীতে জন্মের আগে পৃথিবীর ধূলি কণাতে মিশে ছিলো এই দেহের অণু, পরমাণু , কিন্তু তাতে ছিলো না কোনও প্রাণ। আল্লাহ্ কাদা থেকে দেহকে সৃষ্টি করে জীবনহীন দেহকে জীবন দান করেন। পৃথিবীর জীবনের সেই হয় শুরু। তারপরে পৃথিবীর পথ অতিক্রম করে শৈশব, কৈশোর ,যৌবন, বার্দ্ধক্যের পরে আবার মৃত্যু এসে এই দেহকে নিথর করে দেয়। মাটির দেহ পুণরায় মাটিতে মিশে যায়। এটা হয় দ্বিতীয় মৃত্যু। আবার পুণরুজ্জীবন ঘটবে পুণরুত্থানের মাধ্যমে শেষ বিচারের দিনে। এই হচ্ছে দুবার মৃত্যু ও দুবার প্রাণ লাভ করা।
আয়াতঃ 040.012
তোমাদের এ বিপদ এ কারণে যে, যখন এক আল্লাহকে ডাকা হত, তখন তোমরা কাফের হয়ে যেতে যখন তার সাথে শরীককে ডাকা হত তখন তোমরা বিশ্বাস স্থাপন করতে। এখন আদেশ তাই, যা আল্লাহ করবেন, যিনি সর্বোচ্চ, মহান।
(The answer will be:) “This is because, when Allah was invoked as the Only (object of worship), ye did reject Faith, but when partners were joined to Him, ye believed! the Command is with Allah, Most High, Most Great!”
ذَلِكُم بِأَنَّهُ إِذَا دُعِيَ اللَّهُ وَحْدَهُ كَفَرْتُمْ وَإِن يُشْرَكْ بِهِ تُؤْمِنُوا فَالْحُكْمُ لِلَّهِ الْعَلِيِّ الْكَبِيرِ
Thalikum bi-annahu itha duAAiya Allahu wahdahu kafartum wa-in yushrak bihi tu/minoo faalhukmu lillahi alAAaliyyi alkabeeri
YUSUFALI: (The answer will be:) “This is because, when Allah was invoked as the Only (object of worship), ye did reject Faith, but when partners were joined to Him, ye believed! the Command is with Allah, Most High, Most Great!”
PICKTHAL: (It is said unto them): This is (your plight) because, when Allah only was invoked, ye disbelieved, but when some partner was ascribed to Him ye were believing. But the command belongeth only to Allah, the Sublime, the Majestic.
SHAKIR: That is because when Allah alone was called upon, you disbelieved, and when associates were given to Him, you believed; so judgment belongs to Allah, the High, the Great.
KHALIFA: This is because when GOD ALONE was advocated, you disbelieved, but when others were mentioned beside Him, you believed. Therefore, GOD’s judgment has been issued; He is the Most High, the Great.
১২। [ উত্তর হবে ] : ” এর কারণ , যখন আল্লাহকে আহ্বান করা হতো [ একমাত্র উপাস্য হিসেবে] ৪৩৭২ , তোমরা ঈমানকে প্রত্যাখান করতে। কিন্তু যখন আল্লাহ্র সাথে শরীক স্থির করা হতো ,তখন তোমরা বিশ্বাস করতে। এখন এই আদেশ আল্লাহ্র তরফ থেকে এসেছে ৪৩৭৩, যিনি সমুচ্চ মহান।”
৪৩৭২। দেখুন আয়াত [ ৩৯ : ৪৫ ] ও টিকা ৪৩১৩। মানুষকে আল্লাহ্ এক বিশেষ বৈশিষ্ট্যমন্ডিত করে সৃষ্টি করেছেন। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত মানুষ সামাজিক জীব; সে সব সময়েই কারও না কারও আজ্ঞানুবর্তী। শৈশবে পিতামাতার , কৈশোরে শিক্ষাগুরুর , যৌবনে কর্মক্ষেত্রে ও আর্দশ পুরুষের অনুসরণের মাধ্যমে। আল্লাহ্ মানুষের অনুভূতি ও জ্ঞান, প্রজ্ঞা সব কিছুকে সৃষ্টি করেছেন আল্লাহ্র আজ্ঞানুবর্তী হওয়ার জন্য। তারই ক্ষুদ্র প্রকাশ ঘটে জীবনের বিভিন্ন স্তরে। মানুষ যদি শুধুমাত্র আল্লাহ্র প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে , তবেই তার জীবনের সার্থকতা। কারণ তখনই স্রষ্টার মানুষ সৃষ্টির প্রকৃত উদ্দেশ্য সার্থক হয়। আল্লাহ্র উদ্দেশ্যের সাথে মানুষের আনুগত্যের সমন্বয় ঘটার ফলে মানুষের আত্মার মাঝে প্রকৃত প্রজ্ঞার উপলব্ধি ঘটে। সে উপলব্ধি করতে সক্ষম হয় স্রষ্টার সাথে তাঁর সম্পর্ক , সৃষ্টির মাঝে মানুষের অবস্থান, বিশ্ব ভূবনে আল্লাহ্র অধিষ্ঠান এবং সৃষ্টির উদ্দেশ্য। এই ক্ষণস্থায়ী জীবনের প্রকৃত উদ্দেশ্যকে তখনই উপলব্ধি করা সম্ভব , যখন মানুষ তার সকল সত্ত্বাকে একাগ্রভাবে শুধুমাত্র স্রষ্টার পানে নিবেদন করে। বহু শরীকের উপাসনা মানুষের আত্মাকে বিভ্রান্ত করে , একমাত্র আল্লাহ্র করুণাই পারে সেই বিভ্রান্ত আত্মাকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে। চুম্বক যেমন সর্বদা উত্তর দক্ষিণে অবস্থান করে, আল্লাহ্র প্রতি নিবেদিত আত্মাও সেরূপ। উত্তর দক্ষিণে না থাকলে চুম্বকের ধর্ম যেরূপ নষ্ট হয়ে যায়। আল্লাহ্র একত্বের প্রতি নিবেদিত না থাকলেও আত্মার ধর্মও নষ্ট হয়ে যায়। সে আত্মা হয় বিভ্রান্ত ,ভীত , অশান্ত ,পাপে আসক্ত এবং তারাই তখন আল্লাহ্র সাথে শরীক স্থির করা হলে বিশ্বাস করে।
৪৩৭৩। আল্লাহ্র প্রতি আনুগত্য প্রকাশের শেষ সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছে পৃথিবীর জীবনের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সময়। এ সময়ের মধ্যে অনুতাপের মাধ্যমে আত্মসংশোধনকে আল্লাহ্ গ্রহণ করেন ; তার সকল পূর্বের পাপকে ক্ষমা করে দেবেন। এই সময়ের পরে আর কোনও সুযোগ তাকে দেয়া হবে না। তবে এখানে বলা হয়েছে আল্লাহ্ সকল কিছুর উপরে কর্তৃত্বশীল, ন্যায় বিচার ও করুণা প্রদর্শনে তিনি সর্বোচ্চ। শেষ বিচারের দিনের সিদ্ধান্ত শুধুমাত্র আল্লাহ্র-ই।
আয়াতঃ 040.013
তিনিই তোমাদেরকে তাঁর নিদর্শনাবলী দেখান এবং তোমাদের জন্যে আকাশ থেকে নাযিল করেন রুযী। চিন্তা-ভাবনা তারাই করে, যারা আল্লাহর দিকে রুজু থাকে।
He it is Who showeth you his Signs, and sendeth down sustenance for you from the sky: but only those receive admonition who turn (to Allah..
هُوَ الَّذِي يُرِيكُمْ آيَاتِهِ وَيُنَزِّلُ لَكُم مِّنَ السَّمَاء رِزْقًا وَمَا يَتَذَكَّرُ إِلَّا مَن يُنِيبُ
Huwa allathee yureekum ayatihi wayunazzilu lakum mina alssama-i rizqan wama yatathakkaru illa man yuneebu
YUSUFALI: He it is Who showeth you his Signs, and sendeth down sustenance for you from the sky: but only those receive admonition who turn (to Allah).
PICKTHAL: He it is Who showeth you His portents, and sendeth down for you provision from the sky. None payeth heed save him who turneth (unto Him) repentant.
SHAKIR: He it is Who shows you His signs and sends down for you sustenance from heaven, and none minds but he who turns (to Him) again and again.
KHALIFA: He is the One who continuously shows you His proofs, and sends down to you from the sky provisions. Only those who totally submit will be able to take heed.
১৩। তিনিই তোমাদের তাহার নিদর্শনাবলী দেখান এবং তোমাদের জন্য আকাশ থেকে জীবনোপকরণ প্রেরণ করেন ৪৩৭৪। যারা [আল্লাহ্র ] অভিমুখী হয় শুধু তারাই উপদেশ গ্রহণ করে।
৪৩৭৪। এ কথা কেউ যেনো মনে না করে যে, আল্লাহ্র করুণা ও দয়া পাপীদের ত্যাগ করে যায়। আল্লাহ্র করুণা ও দয়া সকলের জন্য সমভাবে বহমান। আল্লাহ্র ক্ষমা ও দয়া পাপীদের বারে বারে সুযোগ দান করে থাকে। আল্লাহ্র নির্দ্দেশাবলী সর্বত্র প্রকাশিত – যে ইচ্ছা করে সেই-ই দেখতে পায়। অনুধাবন করতে পারে। সকল মানুষের শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক সমৃদ্ধির জন্য আল্লাহ্র রিযকের বন্দোবস্ত করেন। যারা আল্লাহ্র প্রতি অভিমুখী হয় ; যারা আল্লাহ্র ইচ্ছার নিকট আত্মসমর্পন করে শুধুমাত্র তারাই আল্লাহ্র দেয়া এই সুযোগ গ্রহণ করার ক্ষমতা লাভ করে থাকে। আকাশ থেকে জীবনোপকরণের তাৎপর্য হচ্ছে যে, বিশাল উদ্ভিদ জগত তার অস্তিত্বের জন্য নির্ভরশীল আকাশের সূর্য কিরণ, বৃষ্টি ও বাতাসের কার্বন-ডাই অক্সাইড গ্যাসের উপর। আর এই উদ্ভিদ জগতই হচ্ছে আমাদের জন্য আহার সরবরাহকারী।
আয়াতঃ 040.014
অতএব, তোমরা আল্লাহকে খাঁটি বিশ্বাস সহকারে ডাক, যদিও কাফেররা তা অপছন্দ করে।
Call ye, then, upon Allah with sincere devotion to Him, even though the Unbelievers may detest it.
فَادْعُوا اللَّهَ مُخْلِصِينَ لَهُ الدِّينَ وَلَوْ كَرِهَ الْكَافِرُونَ
FaodAAoo Allaha mukhliseena lahu alddeena walaw kariha alkafiroona
YUSUFALI: Call ye, then, upon Allah with sincere devotion to Him, even though the Unbelievers may detest it.
PICKTHAL: Therefor (O believers) pray unto Allah, making religion pure for Him (only), however much the disbelievers be averse –
SHAKIR: Therefore call upon Allah, being sincere to Him in obedience, though the unbelievers are averse:
KHALIFA: Therefore, you shall devote your worship absolutely to GOD ALONE, even if the disbelievers dislike it.
১৪। অতএব , একনিষ্ঠ আনুগত্যে আল্লাহকে ডাক, যদিও কাফেররা তা অপছন্দ করে থাকে ৪৩৭৫।
আয়াতঃ 040.015
তিনিই সুউচ্চ মর্যাদার অধিকারী, আরশের মালিক, তাঁর বান্দাদের মধ্যে যার প্রতি ইচ্ছা তত্ত্বপূর্ণ বিষয়াদি নাযিল করেন, যাতে সে সাক্ষাতের দিন সম্পর্কে সকলকে সতর্ক করে।
Raised high above ranks (or degrees), (He is) the Lord of the Throne (of Authority): by His Command doth He send the Spirit (of inspiration) to any of His servants he pleases, that it may warn (men) of the Day of Mutual Meeting,-
رَفِيعُ الدَّرَجَاتِ ذُو الْعَرْشِ يُلْقِي الرُّوحَ مِنْ أَمْرِهِ عَلَى مَن يَشَاء مِنْ عِبَادِهِ لِيُنذِرَ يَوْمَ التَّلَاقِ
RafeeAAu alddarajati thoo alAAarshi yulqee alrrooha min amrihi AAala man yashao min AAibadihi liyunthira yawma alttalaqi
YUSUFALI: Raised high above ranks (or degrees), (He is) the Lord of the Throne (of Authority): by His Command doth He send the Spirit (of inspiration) to any of His servants he pleases, that it may warn (men) of the Day of Mutual Meeting,-
PICKTHAL: The Exalter of Ranks, the Lord of the Throne. He causeth the Spirit of His command upon whom He will of His slaves, that He may warn of the Day of Meeting,
SHAKIR: Possessor of the highest rank, Lord of power: He makes the inspiration to light by His command upon whom He pleases of His servants, that he may warn (men) of the day of meeting.
KHALIFA: Possessor of the highest ranks, and Ruler of the whole dominion. He sends inspiration, bearing His commands, to whomever He chooses from among His servants, to warn about the Day of Summoning.
১৫। তিনি মর্যদায় সুউচ্চ , [ কর্তৃত্বের ] সিংহাসনের অধিপতি ৪৩৭৬। তিনি আপন বান্দাদের মধ্যে যার প্রতি ইচ্ছা করেন ওহী প্রেরণ করেন ৪৩৭৭ , যাতে সে মানুষদের কেয়ামতের সম্বন্ধে সর্তক করতে পারে ; – ৪৩৭৮
৪৩৭৬। মানুষের চিন্তা ভাবনা ও অনুভবের বহু উর্দ্ধে আল্লাহ্র সম্মান ও মর্যদা। তিনি ইচ্ছা করলে যে কোনও বান্দাকে পার্থিব সর্বোচ্চ ক্ষমতা দান করতে পারেন। কারণ আল্লাহ্ই হচ্ছেন সকল সম্মানের উৎস।
৪৩৭৭। আল্লাহ্ প্রদত্ত ওহী আল্লাহ্ যাকে খুশী প্রেরণ করেন। যিনি ওহী প্রাপ্ত হন তিনি আল্লাহ্র সর্বোচ্চ সত্যকে ধারণ করে থাকেন। ফলে তিনি আল্লাহ্র রাজত্বে সর্বোচ্চ সম্মানের অধিকারী। এই সম্মান আল্লাহ্র নিখুঁত পরিকল্পনা ও ইচ্ছার অংশ বিশেষ। আল্লাহ্র পরিকল্পনাকে বাধা দান করার ক্ষমতা কারও নাই। আপত্তি করার অধিকার কারও নাই। আল্লাহ্ সকল সম্মান, মর্যদা ও কর্তৃত্বের অধিকারী।
৪৩৭৮। কিয়ামত দিবস অর্থাৎ পরস্পর সাক্ষাতের দিবস। সেদিন সকল মানুষকে একত্র করা হবে আল্লাহ্র সম্মুখে। পৃথিবীতে তারা যতদূরেই ছড়ানো থাকুক না কেন তারা সেদিন পরস্পর পরস্পরের সাক্ষাৎ লাভ করবে।
আয়াতঃ 040.016
যেদিন তারা বের হয়ে পড়বে, আল্লাহর কাছে তাদের কিছুই গোপন থাকবে না। আজ রাজত্ব কার? এক প্রবল পরাক্রান্ত আল্লাহর।
The Day whereon they will (all) come forth: not a single thing concerning them is hidden from Allah. Whose will be the dominion that Day?” That of Allah, the One the Irresistible!
يَوْمَ هُم بَارِزُونَ لَا يَخْفَى عَلَى اللَّهِ مِنْهُمْ شَيْءٌ لِّمَنِ الْمُلْكُ الْيَوْمَ لِلَّهِ الْوَاحِدِ الْقَهَّارِ
Yawma hum barizoona la yakhfa AAala Allahi minhum shay-on limani almulku alyawma lillahi alwahidi alqahhari
YUSUFALI: The Day whereon they will (all) come forth: not a single thing concerning them is hidden from Allah. Whose will be the dominion that Day?” That of Allah, the One the Irresistible!
PICKTHAL: The day when they come forth, nothing of them being hidden from Allah. Whose is the Sovereignty this day? It is Allah’s, the One, the Almighty.
SHAKIR: (Of) the day when they shall come forth, nothing concerning them remains hidden to Allah. To whom belongs the kingdom this day? To Allah, the One, the Subduer (of all).
KHALIFA: That is the day when everyone will be completely exposed; none of them will hide anything from GOD. To whom belongs all sovereignty on that day? To GOD, the One, the Supreme.
১৬। যে দিন তারা [ সকলে কবর থেকে ] বের হয়ে আসবে ; সেদিন আল্লাহ্র নিকট তাদের কিছুই গোপন থাকবে না। সেদিন কার রাজত্ব কায়েম হবে ? ৪৩৭৯। আল্লাহ্রই , যিনি এক এবং অপ্রতিরোধ্য।
৪৩৭৯। কিয়ামত দিবসে আল্লাহ্র আইন সম্পূর্ণ প্রতিষ্ঠিত হবে, শয়তানের বা মন্দ বা পাপের প্রভাব নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। আল্লাহ্র রাজত্ব প্রতিষ্ঠা অর্থাৎ সত্য , ন্যায় ও সৎকর্মের পূর্ণ প্রতিষ্ঠা হবে। সেদিন মন্দ বা পাপ কোনও ভাবেই ভালো বা পূণ্যের সাথে প্রতিযোগীতা করার সুযোগ পাবে না।
আয়াতঃ 040.017
আজ প্রত্যেকেই তার কৃতকর্মের প্রতিদান পাবে। আজ যুলুম নেই। নিশ্চয় আল্লাহ দ্রুত হিসাব গ্রহণকারী।
That Day will every soul be requited for what it earned; no injustice will there be that Day, for Allah is Swift in taking account.
الْيَوْمَ تُجْزَى كُلُّ نَفْسٍ بِمَا كَسَبَتْ لَا ظُلْمَ الْيَوْمَ إِنَّ اللَّهَ سَرِيعُ الْحِسَابِ
Alyawma tujza kullu nafsin bima kasabat la thulma alyawma inna Allaha sareeAAu alhisabi
YUSUFALI: That Day will every soul be requited for what it earned; no injustice will there be that Day, for Allah is Swift in taking account.
PICKTHAL: This day is each soul requited that which it hath earned; no wrong (is done) this day. Lo! Allah is swift at reckoning.
SHAKIR: This day every soul shall be rewarded for what it has earned; no injustice (shall be done) this day; surely Allah is quick in reckoning.
KHALIFA: On that day, every soul will be requited for whatever it had earned. There will be no injustice on that day. GOD is most efficient in reckoning.
১৭। সেদিন প্রতিটি আত্মাকে পুরষ্কৃত করা হবে যা সে অর্জন করেছে। সেদিন বিন্দুমাত্র অন্যায় করা হবে না। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ হিসাব গ্রহণে দ্রুত ৪৩৮০।
৪৩৮০। “হিসাব গ্রহণে দ্রুত।” দ্রুত শব্দটি বিভিন্ন ভাবকে ধারণ করে থাকে। ১) তৎপর অর্থাৎ দ্রুতগতি সম্পন্ন। এই দ্রুততা পৃথিবীর জীবনের জন্য হতে পারে বা মৃত্যু ও পুনরুত্থানের মধ্যবর্তী সময়েও হতে পারে। এই সময়টুকু অসীম অনন্ত সময়ের পটভূমিতে এতই সংক্ষিপ্ত যে, তা মনে হবে যৎসামান্য ক্ষুদ্র। পরবর্তী আয়াতে এই দিনকে বর্ণনা করা হয়েছে ” আসন্ন দিন” হিসেবে। ২) শেষ বিচারের দিনে সকলকে সমবেত করা হবে বিচারের জন্য। সকলের এই প্রচন্ড ভীড়েও প্রত্যেকের বিচার কার্য সম্পন্ন হবে চোখের পলকে। “যেনো চোখের পলক অথবা তার চাইতেও নিকটবর্তী [১৬ : ৭৭ ]।” কারণ সকল কিছু সম্বন্ধে আল্লাহ্ পূর্বাহ্নেই জ্ঞাত ;কিন্তু এত দ্রুত গতি সম্পন্ন বিচার হলেও কারও প্রতি সামান্য পরিমাণও অন্যায় সংঘটিত হবে না।
মন্তব্য : সময়ের ধারণা একটি আপেক্ষিক ব্যাপার মাত্র।
আয়াতঃ 040.018
আপনি তাদেরকে আসন্ন দিন সম্পর্কে সতর্ক করুন, যখন প্রাণ কন্ঠাগত হবে, দম বন্ধ হওয়ার উপক্রম হবে। পাপিষ্ঠদের জন্যে কোন বন্ধু নেই এবং সুপারিশকারীও নেই; যার সুপারিশ গ্রাহ্য হবে।
Warn them of the Day that is (ever) drawing near, when the hearts will (come) right up to the throats to choke (them); No intimate friend nor intercessor will the wrong-doers have, who could be listened to.
وَأَنذِرْهُمْ يَوْمَ الْآزِفَةِ إِذِ الْقُلُوبُ لَدَى الْحَنَاجِرِ كَاظِمِينَ مَا لِلظَّالِمِينَ مِنْ حَمِيمٍ وَلَا شَفِيعٍ يُطَاعُ
Waanthirhum yawma al-azifati ithi alquloobu lada alhanajiri kathimeena ma lilththalimeena min hameemin wala shafeeAAin yutaAAu
YUSUFALI: Warn them of the Day that is (ever) drawing near, when the hearts will (come) right up to the throats to choke (them); No intimate friend nor intercessor will the wrong-doers have, who could be listened to.
PICKTHAL: Warn them (O Muhammad) of the Day of the approaching (doom), when the hearts will be choking the throats, (when) there will be no friend for the wrong-doers, nor any intercessor who will be heard.
SHAKIR: And warn them of the day that draws near, when hearts shall rise up to the throats, grieving inwardly; the unjust shall not have any compassionate friend nor any intercessor who should be obeyed.
KHALIFA: Warn them about the imminent day, when the hearts will be terrified, and many will be remorseful. The transgressors will have no friend nor an intercessor to be obeyed.
১৮। সেদিন সম্বন্ধে সর্তক কর , যেদিন [ ক্রমাগত ] নিকটবর্তী হচ্ছে, যেদিন হৃদয় কণ্ঠাগত হয়ে তাদের শ্বাসরোধ করবে ৪৩৮১। পাপীদের এমন কোন অন্তরঙ্গ বন্ধু বা সুপারিশকারী থাকবে না যার কথা গ্রাহ্য করা হবে ৪৩৮২।
৪৩৮১। “যেদিন হৃদয় কন্ঠাগত হয়ে তাদের শ্বাসরোধ করবে ” – এই বাক্যটি একটি বাগ্ধারার ন্যায়, যার সাহায্যে বুঝানো হয় যে, ভয়ে উৎকণ্ঠায় তাদের সমস্ত সত্ত্বা ও জীবন আতঙ্কিত হয়ে পড়বে। তবে বাক্যটি বিশদ ব্যাখ্যার দাবী রাখে। [ প্রাণ ] বা হৃদয় হচ্ছে আমাদের সকল আবেগ , অনুভূতির উৎস ও ভালোবাসার উৎসস্থল। যেমন শঙ্কা, ভীতি, হতাশা , দুঃখবোধ ,ইত্যাদি অনুভূতিও আমাদের হৃদয়কে বা প্রাণ আপ্লুত করে আমাদের কণ্ঠকে রোধ করে দেয়। এখানে কণ্ঠ হচ্ছে মনের ভাব বা ভাষাকে প্রকাশ করার মাধ্যম। সেদিন পাপীদের কণ্ঠ রোধ হয়ে যাবে, তারা কোনও কিছু প্রকাশে অক্ষম হবে। আবার কণ্ঠ শুধু যে স্বরযন্ত্রকেই ধারণ করে তাই নয়, কণ্ঠ খাদ্য নালীকেও ধারণ করে। খাদ্য , খাদ্যনালীর মাধ্যমে পরিপাকযন্ত্রে যায় ও শরীরকে সুস্থ ও সবল রাখে। কণ্ঠ রোধ হয়ে যাওয়ার অর্থ হচ্ছে শরীরের পুষ্টি সাধনে বাধা দান করে সমস্ত শরীরকে নিশ্চল করে দেয়া যার ফলে শরীরের সুস্থ কর্মকান্ড অচল হয়ে শরীর হয়ে পড়ে রোগ ও যন্ত্রনার আকর। সেইরূপ পৃথিবীর পাপ কাজ সেদিন তাদের আকণ্ঠ ঘিরে ধরবে , ফলে দুঃখ দুর্দ্দশাতে তাদের প্রাণ কণ্ঠাগত হবে।
৪৩৮২। এই আয়াতটির মাধ্যমে ব্যক্তিগত দায় দায়িত্বের কথা পুণরায় ঘোষণা করা হয়েছে। তাদের জন্য সেদিন কোনও সুপারিশকারী থাকবে না।
আয়াতঃ 040.019
চোখের চুরি এবং অন্তরের গোপন বিষয় তিনি জানেন।
((Allah)) knows of (the tricks) that deceive with the eyes, and all that the hearts (of men) conceal.
يَعْلَمُ خَائِنَةَ الْأَعْيُنِ وَمَا تُخْفِي الصُّدُورُ
YaAAlamu kha-inata al-aAAyuni wama tukhfee alssudooru
YUSUFALI: (Allah) knows of (the tricks) that deceive with the eyes, and all that the hearts (of men) conceal.
PICKTHAL: He knoweth the traitor of the eyes, and that which the bosoms hide.
SHAKIR: He knows the stealthy looks and that which the breasts conceal.
KHALIFA: He is fully aware of what the eyes cannot see, and everything that the minds conceal.
১৯। [আল্লাহ্ ] চোখের প্রতারণার [ কৌশল ] অবগত আছেন , ৪৩৮৩ , এবং [ মানুষের ] অন্তর যা ,গোপন করছে তাও জানেন ৪৩৮৪।
৪৩৮৩। পৃথিবীতে বহু ঘটনা ঘটে যা দুষ্টদের কুকর্মের কৌশলমাত্র। ফলে সাধারণ মানুষের চোখকে তারা ফাঁকি দিতে সক্ষম। কিন্তু আল্লাহ্র জ্ঞান সব কিছুকে পরিবৃত করে রাখে। তিনি সর্বজ্ঞ। “চক্ষুর অপব্যবহার ” বিভিন্ন ভাবে ঘটতে পারে :
১) ম্যাজিক বা ভোজবাজির সময়ে মানুষ প্রকৃত বস্তুকে বা ঘটনাকে চর্মচক্ষুর সাহায্যে বুঝতে পারে না। সে ক্ষেত্রে চোখের দৃষ্টির বিভ্রম ঘটে।
২) মানুষ অনেক সময়েই চক্ষুর অপব্যবহার করে থাকে। যা দেখা তার জন্য পাপ সে সেই সব দৃশ্য দেখতে পছন্দ করে থাকে। এ ভাবেই সে চোখের মাধ্যমে পাপের আশ্রয় নেয়।
৪৩৮৪। মানুষের ব্যক্ত ও অব্যক্ত সকল চিন্তা মূহুর্তের মাঝে আল্লাহ্র দরবারে নীত হয় এবং রক্ষিত হতে থাকে। আজকের যুগে এ ধারণা খুবই যুক্তিসংগত ধারণা , কারণ ই-মেইলের মাধ্যমে একমূহুর্তের মধ্যে দুনিয়ার একপ্রান্তের সংবাদ অন্যপ্রান্তে রক্ষিত হচ্ছে। সুতারাং মহাপরাক্রমশালী আল্লাহ্র লওহে মাহ্ফুজে মানুষের মনের সংবাদ মূহুর্তের মাঝে আমলনামায় রক্ষিত হবে এতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নাই। কারণ আধ্যাত্মিক জগৎ রক্তমাংসের দেহধারী মানুষের নিকট অদৃশ্য থাকলেও তা আল্লাহ্র নিকট সুস্পষ্ট।
আয়াতঃ 040.020
আল্লাহ ফয়সালা করেন সঠিকভাবে, আল্লাহর পরিবর্তে তারা যাদেরকে ডাকে, তারা কিছুই ফয়সালা করে না। নিশ্চয় আল্লাহ সবকিছু শুনেন, সবকিছু দেখেন।
And Allah will judge with (justice and) Truth: but those whom (men) invoke besides Him, will not (be in a position) to judge at all. Verily it is Allah (alone) Who hears and sees (all things).
وَاللَّهُ يَقْضِي بِالْحَقِّ وَالَّذِينَ يَدْعُونَ مِن دُونِهِ لَا يَقْضُونَ بِشَيْءٍ إِنَّ اللَّهَ هُوَ السَّمِيعُ الْبَصِيرُ
WaAllahu yaqdee bialhaqqi waallatheena yadAAoona min doonihi la yaqdoona bishay-in inna Allaha huwa alssameeAAu albaseeru
YUSUFALI: And Allah will judge with (justice and) Truth: but those whom (men) invoke besides Him, will not (be in a position) to judge at all. Verily it is Allah (alone) Who hears and sees (all things).
PICKTHAL: Allah judgeth with truth, while those to whom they cry instead of Him judge not at all. Lo! Allah, He is the Hearer, the Seer.
SHAKIR: And Allah judges with the truth; and those whom they call upon besides Him cannot judge aught; surely Allah is the Hearing, the Seeing.
KHALIFA: GOD judges equitably, while the idols they implore beside Him cannot judge anything. GOD is the One who is the Hearer, the Seer.
২০। আল্লাহ্ [ন্যায় এবং ] সত্যের সাথে বিচার মীমাংসা করবেন। আল্লাহ্কে ব্যতীত [ মানুষ ] যাদের আহ্বান করে , তারা বিচার করার [ মত কোন অবস্থানে ] নাই। একমাত্র আল্লাহ্ই [ সব কিছু ] শোনেন এবং দেখেন ৪৩৮৫।
৪৩৮৫। যদি মানুষ আল্লাহ্র একত্বের ধারণা ত্যাগ করে বিপদ-বিপর্যয়ে আল্লাহ্র অনুগ্রহ ও দয়ার পরিবর্তে মিথ্যা উপাস্যের স্মরণাপন্ন হয়, যেমন : তাবিজ, মাদুলী , রত্নপাথর ধারণ ইত্যাদি, তবে অবশ্যই তারা পরম করুণাময়ের অনুগ্রহ বঞ্চিত হবে। কারণ আমাদের মনের যে কোন দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ,মিথ্যাভান, সন্দেহ , সবই আল্লাহ্র দরবারে মূহুর্তের মধ্যে পৌঁছে যায়। অপরপক্ষে মহৎ উদ্দেশ্য ও আশা-আকাঙ্খা , অর্থাৎ প্রকৃত মঙ্গলজনক যে কোন কথা ও কাজ তা যত ক্ষুদ্র্ই হোক না কেন মহান আল্লাহ্ দরবারে তা নীত হয় এবং বান্দার জন্য তা অনুগ্রহের দরজা উম্মুক্ত করে।
আয়াতঃ 040.021
তারা কি দেশ-বিদেশ ভ্রমণ করে না, যাতে দেখত তাদের পূর্বসুরিদের কি পরিণাম হয়েছে? তাদের শক্তি ও কীর্তি পৃথিবীতে এদের অপেক্ষা অধিকতর ছিল। অতঃপর আল্লাহ তাদেরকে তাদের গোনাহের কারণে ধৃত করেছিলেন এবং আল্লাহ থেকে তাদেরকে রক্ষাকারী কেউ হয়নি।
Do they not travel through the earth and see what was the End of those before them? They were even superior to them in strength, and in the traces (they have left) in the land: but Allah did call them to account for their sins, and none had they to defend them against Allah.
أَوَ لَمْ يَسِيرُوا فِي الْأَرْضِ فَيَنظُرُوا كَيْفَ كَانَ عَاقِبَةُ الَّذِينَ كَانُوا مِن قَبْلِهِمْ كَانُوا هُمْ أَشَدَّ مِنْهُمْ قُوَّةً وَآثَارًا فِي الْأَرْضِ فَأَخَذَهُمُ اللَّهُ بِذُنُوبِهِمْ وَمَا كَانَ لَهُم مِّنَ اللَّهِ مِن وَاقٍ
Awa lam yaseeroo fee al-ardi fayanthuroo kayfa kana AAaqibatu allatheena kanoo min qablihim kanoo hum ashadda minhum quwwatan waatharan fee al-ardi faakhathahumu Allahu bithunoobihim wama kana lahum mina Allahi min waqin
YUSUFALI: Do they not travel through the earth and see what was the End of those before them? They were even superior to them in strength, and in the traces (they have left) in the land: but Allah did call them to account for their sins, and none had they to defend them against Allah.
PICKTHAL: Have they not travelled in the land to see the nature of the consequence for those who disbelieved before them? They were mightier than these in power and (in the) traces (which they left behind them) in the earth. Yet Allah seized them for their sins, and they had no protector from Allah.
SHAKIR: Have they not travelled in the earth and seen how was the end of those who were before them? Mightier than these were they in strength– and in fortifications in the land, but Allah destroyed them for their sins; and there was not for them any defender against Allah.
KHALIFA: Did they not roam the earth and note the consequences for those before them? They used to be stronger than they, and more productive on earth. But GOD punished them for their sins, and nothing could protect them from GOD.
রুকু – ৩
২১। তারা কি পৃথিবী ভ্রমণ করে দেখে না যে – তাদের পূর্ববর্তীদের কি পরিণাম হয়েছিলো ৪৩৮৬। তারা পৃথিবীর বুকে ক্ষমতায় এবং [ রেখে যাওয়া ] কীর্তিতে শ্রেষ্ঠতর ছিলো ৪৩৮৭। কিন্তু আল্লাহ্ তাদের পাপের হিসাব গ্রহণের জন্য গ্রেফতার করলেন। এবং আল্লাহ্র বিরুদ্ধে তাদের রক্ষা করার কেহ ছিলো না।
৪৩৮৬। অনুরূপ আয়াতের জন্য দেখুন [৩০ : ৯ ] আয়াত এবং আরও অন্যান্য আয়াত।
৪৩৮৭। দেখুন [৩: ৯ ] আয়াত ও টিকা ৩৫১৫। ইতিহাস আমাদের এই সাক্ষ্য দেয় যে, যুগে যুগে বহু কীর্তিমান , শক্তিশালী ,সুসভ্য জাতি ধ্বংস হয়ে গেছে তাদের পাপ কাজের দরুণ। তাদের দক্ষতার শেষ প্রমাণ এখনও বহু স্থানে বিদ্যমান , তাদের নির্মিত বিশাল সৌধমালা , প্রাসাদপম অট্টালিকার মাধ্যমে। তাদের জ্ঞান, দক্ষতা, শক্তি কিছুই তাদের ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে পারে নাই। তাদের পাপের দরুণ আল্লাহ্ তাদের ধ্বংস করে দেন।
আয়াতঃ 040.022
এর কারণ এই যে, তাদের কাছে তাদের রসূলগণ সুস্পষ্ট নিদর্শনাবলী নিয়ে আগমন করত, অতঃপর তারা কাফের হয়ে যায়, তখন আল্লাহ তাদের ধৃত করেন। নিশ্চয় তিনি শক্তিধর, কঠোর শাস্তিদাতা।
That was because there came to them their apostles with Clear (Signs), but they rejected them: So Allah called them to account: for He is Full of Strength, Strict in Punishment.
ذَلِكَ بِأَنَّهُمْ كَانَت تَّأْتِيهِمْ رُسُلُهُم بِالْبَيِّنَاتِ فَكَفَرُوا فَأَخَذَهُمُ اللَّهُ إِنَّهُ قَوِيٌّ شَدِيدُ الْعِقَابِ
Thalika bi-annahum kanat ta/teehim rusuluhum bialbayyinati fakafaroo faakhathahumu Allahu innahu qawiyyun shadeedu alAAiqabi
YUSUFALI: That was because there came to them their messengers with Clear (Signs), but they rejected them: So Allah called them to account: for He is Full of Strength, Strict in Punishment.
PICKTHAL: That was because their messengers kept bringing them clear proofs (of Allah’s Sovereignty) but they disbelieved; so Allah seized them. Lo! He is Strong, severe in punishment.
SHAKIR: That was because there came to them their messengers with clear arguments, but they rejected (them), therefore Allah destroyed them; surely He is Strong, Severe in retribution.
KHALIFA: That is because their messengers went to them with clear proofs, but they disbelieved. Consequently, GOD punished them. He is Mighty, strict in enforcing retribution.
২২। এর কারণ হচ্ছে, তাদের নিকট তাদের রাসুলগণ সুস্পষ্ট [নিদর্শনসহ ] এসেছিলো ৪৩৮৮। কিন্তু তারা তাদের প্রত্যাখান করেছিলো। সুতারাং হিসাব গ্রহণের জন্য আল্লাহ্ তাদের গ্রেফতার করলেন। নিশ্চয়ই তিনি ক্ষমতায় পূর্ণ , কঠিন শাস্তিদাতা।
৪৩৮৮। পৃথিবীতে বিভিন্ন জাতিকে ধ্বংসের পূর্বে আল্লাহ্ তাদের মাঝে নবী, রসুল এবং সত্যের প্রচারকদের প্রেরণ করেন – তাদের সাবধান করার জন্য। আল্লাহ্ তাঁর রাসুলদের এবং সত্যের প্রচারকদের নির্দ্দিষ্ট নিদর্শনসহ প্রেরণ করেন যেনো জনসাধারণ তাঁদের মেনে নেয়। যে নিদর্শনসমূহের জন্য তাঁরা বৈশিষ্ট্যমন্ডিত তা নিম্নরূপ :
১) আল্লাহ্র সত্য প্রচারকেরা পবিত্র এবং নিঃস্বার্থ জীবন যাপন করেন।
২) তারা আল্লাহ্র প্রত্যাদেশ প্রাপ্ত হন ;
৩) তাঁদের প্রভাব তাদের সময়ে এবং তাঁদের পরবর্তী প্রজন্মের মাঝে স্থায়ী আসন লাভ করে। ইত্যাদি।
আয়াতঃ 040.023
আমি আমার নিদর্শনাবলী ও স্পষ্ট প্রমাণসহ মূসাকে প্রেরণ করেছি।
Of old We sent Moses, with Our Signs and an authority manifest,
وَلَقَدْ أَرْسَلْنَا مُوسَى بِآيَاتِنَا وَسُلْطَانٍ مُّبِينٍ
Walaqad arsalna moosa bi-ayatina wasultanin mubeenin
YUSUFALI: Of old We sent Moses, with Our Signs and an authority manifest,
PICKTHAL: And verily We sent Moses with Our revelations and a clear warrant
SHAKIR: And certainly We sent Musa with Our communications and clear authority,
KHALIFA: We sent Moses with our signs and a profound authority.
২৩। প্রাচীনকালে, আমার নিদর্শন ও স্পষ্ট কর্তৃত্বসহ মুসাকে প্রেরণ করেছিলাম ৪৩৮৯-
৪৩৮৯। এখানে মুসার [ আ ] উল্লেখ থাকলেও এখানে মুসার কাহিনী বর্ণনা করা হয় নাই। ফেরাউনের সভায় একজন পূণ্যাত্মা ব্যক্তি ছিলেন , যিনি ছিলেন ঈমানদার – তাঁর কাহিনীর সুত্রপাত এখানে করা হয়েছে মাত্র। দেখুন নীচে ২৮ নং আয়াত। এই সূরার নামকরণ মুমিন বা বিশ্বাসী বা ঈমানদার রাখা হয়েছে এই ব্যক্তির স্মরণে।
আয়াতঃ 040.024
ফেরাউন, হামান ও কারুণের কাছে, অতঃপর তারা বলল, সে তো জাদুকর, মিথ্যাবাদী।
To Pharaoh, Haman, and Qarun; but they called (him)” a sorcerer telling lies!”…
إِلَى فِرْعَوْنَ وَهَامَانَ وَقَارُونَ فَقَالُوا سَاحِرٌ كَذَّابٌ
Ila firAAawna wahamana waqaroona faqaloo sahirun kaththabun
YUSUFALI: To Pharaoh, Haman, and Qarun; but they called (him)” a sorcerer telling lies!”…
PICKTHAL: Unto Pharaoh and Haman and Korah, but they said: A lying sorcerer!
SHAKIR: To Firon and Haman and Qaroun, but they said: A lying magician.
KHALIFA: To Pharaoh, Haamaan, and Qaaroon. But they said, “A magician; a liar.”
২৪। ফেরাউন, হামান, এবং কারূণের নিকট। কিন্তু তারা [তাঁকে ] ডেকেছিলো, ” মিথ্যাবাদী যাদুকর।” ৪৩৯০
৪৩৯০। এই আয়াতে তিন ব্যক্তির উল্লেখ আছে। তিনজনের উল্লেখের মাধ্যমে তিনধরণের অবিশ্বাসকে চিহ্নিত করা হয়েছে। অর্থাৎ তারা আল্লাহ্র পরিবর্তে তিন ধরণের উপাস্যকে তাদের শক্তির উৎস বলে সাব্যস্ত করেছিলো।
১) ফেরাউনের শক্তি ও ক্ষমতা ফেরাউনকে দাম্ভিক , অহংকারী ও নিষ্ঠুর করে তোলে। তার নির্ভরতা ছিলো তার নিজস্ব পশু শক্তির উপর। নিজস্ব শক্তি ও আত্মঅহংকারই ছিলো তার উপাসনার বিষয়- আল্লাহ্র পরিবর্তে। দেখুন [ ২৮ : ৩৮-৩৯ ]।
২) হামান ছিলো ফেরাউনের মন্ত্রী। দেখুন [ ২৮ : ৬ ] আয়াত ও টিকা ৩৩৩১ এবং ২৮ : ৩৮ ] আয়াত। সে ছিলো ফেরাউনের হীন স্তাবক যে নিজস্ব হীন প্রবৃত্তি চরিতার্থ করার জন্য যে কোনও লোকের ক্ষমতা ও অহংকারের গুণগান করবে। আল্লাহ্র পরিবর্তে সে ছিলো প্রবৃত্তির দাস।
৩) কারূণ ছিলো সম্পদে সর্বশ্রেষ্ঠ। সম্পদ অর্জনই ছিলো তার জীবনের একান্ত সাধনা এবং উপাস্য। ফলে সে সম্পদের মাধ্যমে আল্লাহ্র সেবার কথা ভুলে গিয়েছিলো। স্বার্থপরতা ও গরীবকে শোষণ ছিলো তার অন্যতম বৈশিষ্ট্য। [ ২ ৮: ৭৬ – ৮১ ] আয়াত ও টিকা ৩৪০৪ দেখুন।
আয়াতঃ 040.025
অতঃপর মূসা যখন আমার কাছ থেকে সত্যসহ তাদের কাছে পৌঁছাল; তখন তারা বলল, যারা তার সঙ্গী হয়ে বিশ্বাস স্থাপন করেছে, তাদের পুত্র সন্তানদেরকে হত্যা কর, আর তাদের নারীদেরকে জীবিত রাখ। কাফেরদের চক্রান্ত ব্যর্থই হয়েছে।
Now, when he came to them in Truth, from Us, they said, “Slay the sons of those who believe with him, and keep alive their females,” but the plots of Unbelievers (end) in nothing but errors (and delusions)!…
فَلَمَّا جَاءهُم بِالْحَقِّ مِنْ عِندِنَا قَالُوا اقْتُلُوا أَبْنَاء الَّذِينَ آمَنُوا مَعَهُ وَاسْتَحْيُوا نِسَاءهُمْ وَمَا كَيْدُ الْكَافِرِينَ إِلَّا فِي ضَلَالٍ
Falamma jaahum bialhaqqi min AAindina qaloo oqtuloo abnaa allatheena amanoo maAAahu waistahyoo nisaahum wama kaydu alkafireena illa fee dalalin
YUSUFALI: Now, when he came to them in Truth, from Us, they said, “Slay the sons of those who believe with him, and keep alive their females,” but the plots of Unbelievers (end) in nothing but errors (and delusions)!…
PICKTHAL: And when he brought them the Truth from Our presence, they said: Slay the sons of those who believe with him, and spare their women. But the plot of disbelievers is in naught but error.
SHAKIR: So when he brought to them the truth from Us, they said: Slay the sons of those who believe with him and keep their women alive; and the struggle of the unbelievers will only come to a state of perdition.
KHALIFA: And when he showed them the truth from us, they said, “Kill the sons of those who believed with him, and spare their daughters.” Thus, the scheming of the disbelievers is always wicked.
২৫। অতঃপর মুসা যখন আমার নিকট থেকে সত্য নিয়ে উহাদের নিকট উপস্থিত হলো ৪৩৯১। তারা বলেছিলো ,” যারা মুসার সাথে ঈমান এনেছে তাদের পুত্র সন্তানদের হত্যা কর এবং তাদের নারীদের জীবিত রাখ।” ৪৩৯২। কিন্তু অবিশ্বাসীদের [ শেষ ] পরিণাম ভুল [ এবং বিভ্রান্তি ] ব্যতীত অন্য কিছু নয়।
৪৩৯১। ২৪নং আয়াতে তিন ধরণের অবিশ্বাস কে তুলে ধরা হয়েছে , যারা আল্লাহ্র পরিবর্তে মিথ্যা উপাস্যের উপরে নির্ভরশীল , যার বিবরণ উপরের টিকাতেও দেয়া হয়েছে। এই আয়াতে [ ২৫ নং আয়াত] মুসার জন্মের সময়কার অবস্থা বর্ণনা করা হয়েছে। এই আয়াতে “উহাদিগের ” এবং “তারা ” শব্দদ্বয় ফেরাউন ও তার সভাসদদের জন্য ব্যবহৃত হয়েছে। “মুসার সাথে যারা ঈমান এনেছে ” বাক্যটি কিছু শব্দ উহ্য রেখে গঠিত যার অর্থ দাঁড়ায় ইসরাঈলীদের পুত্র সন্তানদের হত্যা কর ; কারণ ভবিষ্যত আল্লাহ্র রসুল তাদের মধ্যেই জন্মগ্রহণ করবে। সুতারাং তাঁর সাথে সাথে তার সঙ্গে যারা জন্মগ্রহণ করবে তাদের সকলকে হত্যা করা।” আয়াত ২৬ নং হচ্ছে মুসার জীবনের বেশ কিছু বছর পরের ঘটনা তখন মুসা আল্লাহ্র নিকট থেকে দায়িত্ব প্রাপ্ত হয়েছেন- ফেরাউনের সভায় হাজির হয়েছেন। সাধারণ মিশরবাসীদের মধ্যে অনেকেই মুসার প্রচারিত সত্যের প্রতি ঈমান আনার জন্য প্রস্তুত।
৪৩৯২। “তাদের নারীদিগকে জীবিত রাখ ” এখানে তাদের দ্বারা ইসরাঈলীদের বুঝানো হয়েছে , যারা ছিলো আল্লাহ্র ধর্মের অনুসারী।
আয়াতঃ 040.026
ফেরাউন বলল; তোমরা আমাকে ছাড়, মূসাকে হত্যা করতে দাও, ডাকুক সে তার পালনকর্তাকে! আমি আশংকা করি যে, সে তোমাদের ধর্ম পরিবর্তন করে দেবে অথবা সে দেশময় বিপর্যয় সৃষ্টি করবে।
Said Pharaoh: “Leave me to slay Moses; and let him call on his Lord! What I fear is lest he should change your religion, or lest he should cause mischief to appear in the land!”
وَقَالَ فِرْعَوْنُ ذَرُونِي أَقْتُلْ مُوسَى وَلْيَدْعُ رَبَّهُ إِنِّي أَخَافُ أَن يُبَدِّلَ دِينَكُمْ أَوْ أَن يُظْهِرَ فِي الْأَرْضِ الْفَسَادَ
Waqala firAAawnu tharoonee aqtul moosa walyadAAu rabbahu innee akhafu an yubaddila deenakum aw an yuthhira fee al-ardi alfasada
YUSUFALI: Said Pharaoh: “Leave me to slay Moses; and let him call on his Lord! What I fear is lest he should change your religion, or lest he should cause mischief to appear in the land!”
PICKTHAL: And Pharaoh said: Suffer me to kill Moses, and let him cry unto his Lord. Lo! I fear that he will alter your religion or that he will cause confusion in the land.
SHAKIR: And Firon said: Let me alone that I may slay Musa and let him call upon his Lord; surely I fear that he will change your religion or that he will make mischief to appear in the land.
KHALIFA: Pharaoh said, “Let me kill Moses, and let him implore his Lord. I worry lest he corrupts your religion, or spreads evil throughout the land.”
২৬। ফেরাউন বলেছিলো , ” মুসাকে হত্যা করার জন্য আমাকে ছেড়ে দাও; এবং তাঁকে তাঁর প্রভুকে ডাকতে বল ৪৩৯৩। আমি আশংকা করি যে, সে তোমাদের দ্বীনের পরিবর্তন ঘটাবে ৪৩৯৪ , কিংবা দেশে অশান্তি সৃষ্টি করবে।”
৪৩৯৩। এই আয়াতের ঘটনা হচ্ছে যখন হযরত মুসা ফেরাউনের সভায় গমন করে তাকে আল্লাহ্র প্রতি বিশ্বাসের আহ্বান জানান ফলে ফেরাউনের সাথে বিরোধের সম্মুখীন হন। দেখুন আয়াত [ ২০ : ৪৯, ৫৭ , ৬৩ ]।
৪৩৯৪। ফেরাউনের কিছু প্রজা পরবর্তীতে ফেরাউনের এবং মিশরবাসীদের দেবদেবীদের পূঁজা ত্যাগ করে এক আল্লাহ্র এবাদতে মনোনিবেশ করে। ফলে তারা আল্লাহ্র একত্বে বিশ্বাসের দরুণ শাহাদৎ বরণ করে। [ ২০ : ৭০-৭৩ ]।
আয়াতঃ 040.027
মূসা বলল, যারা হিসাব দিবসে বিশ্বাস করে না এমন প্রত্যেক অহংকারী থেকে আমি আমার ও তোমাদের পালনকর্তার আশ্রয় নিয়ে নিয়েছি।
Moses said: “I have indeed called upon my Lord and your Lord (for protection) from every arrogant one who believes not in the Day of Account!”
وَقَالَ مُوسَى إِنِّي عُذْتُ بِرَبِّي وَرَبِّكُم مِّن كُلِّ مُتَكَبِّرٍ لَّا يُؤْمِنُ بِيَوْمِ الْحِسَابِ
Waqala moosa innee AAuthtu birabbee warabbikum min kulli mutakabbirin la yu/minu biyawmi alhisabi
YUSUFALI: Moses said: “I have indeed called upon my Lord and your Lord (for protection) from every arrogant one who believes not in the Day of Account!”
PICKTHAL: Moses said: Lo! I seek refuge in my Lord and your Lord from every scorner who believeth not in a Day of Reckoning.
SHAKIR: And Musa said: Surely I take refuge with my Lord and– your Lord from every proud one who does not believe in the day of reckoning.
KHALIFA: Moses said, “I seek refuge in my Lord and your Lord, from every arrogant one who does not believe in the Day of Reckoning.”
২৭। মুসা বলেছিলো, ” শেষ বিচারের দিনে অবিশ্বাসী প্রত্যেক উদ্ধত ব্যক্তি থেকে [নিরাপত্তার জন্য ] নিশ্চয়ই আমি আমার প্রভু ও তোমার প্রভুর আশ্রয় নিয়েছি। “৪৩৯৫।
৪৩৯৫। হযরত মুসার প্রচারিত সম্পূর্ণ ধর্মের মূল কথা হচ্ছে এই বিশাল বিশ্বভূবনের স্রষ্টা একজনই। তিনি-ই সকলের উপাসনার যোগ্য। আল্লাহ- মুসা , ইসরাঈলী, ফেরাউন , মিশরবাসী সকলেরই তিনিই প্রভু। তিনি এক ও অদ্বিতীয় বিশ্বজাহানের প্রভু।
আয়াতঃ 040.028
ফেরাউন গোত্রের এক মুমিন ব্যক্তি, যে তার ঈমান গোপন রাখত, সে বলল, তোমরা কি একজনকে এজন্যে হত্যা করবে যে, সে বলে, আমার পালনকর্তা আল্লাহ, অথচ সে তোমাদের পালনকর্তার নিকট থেকে স্পষ্ট প্রমাণসহ তোমাদের নিকট আগমন করেছে? যদি সে মিথ্যাবাদী হয়, তবে তার মিথ্যাবাদিতা তার উপরই চাপবে, আর যদি সে সত্যবাদী হয়, তবে সে যে শাস্তির কথা বলছে, তার কিছু না কিছু তোমাদের উপর পড়বেই। নিশ্চয় আল্লাহ সীমালংঘনকারী, মিথ্যাবাদীকে পথ প্রদর্শন করেন না।
A believer, a man from among the people of Pharaoh, who had concealed his faith, said: “Will ye slay a man because he says, ‘My Lord is Allah.?- when he has indeed come to you with Clear (Signs) from your Lord? and if he be a liar, on him is (the sin of) his lie: but, if he is telling the Truth, then will fall on you something of the (calamity) of which he warns you: Truly Allah guides not one who transgresses and lies!
وَقَالَ رَجُلٌ مُّؤْمِنٌ مِّنْ آلِ فِرْعَوْنَ يَكْتُمُ إِيمَانَهُ أَتَقْتُلُونَ رَجُلًا أَن يَقُولَ رَبِّيَ اللَّهُ وَقَدْ جَاءكُم بِالْبَيِّنَاتِ مِن رَّبِّكُمْ وَإِن يَكُ كَاذِبًا فَعَلَيْهِ كَذِبُهُ وَإِن يَكُ صَادِقًا يُصِبْكُم بَعْضُ الَّذِي يَعِدُكُمْ إِنَّ اللَّهَ لَا يَهْدِي مَنْ هُوَ مُسْرِفٌ كَذَّابٌ
Waqala rajulun mu/minun min ali firAAawna yaktumu eemanahu ataqtuloona rajulan an yaqoola rabbiyya Allahu waqad jaakum bialbayyinati min rabbikum wa-in yaku kathiban faAAalayhi kathibuhu wa-in yaku sadiqan yusibkum baAAdu allathee yaAAidukum inna Allaha la yahdee man huwa musrifun kaththabun
YUSUFALI: A believer, a man from among the people of Pharaoh, who had concealed his faith, said: “Will ye slay a man because he says, ‘My Lord is Allah’?- when he has indeed come to you with Clear (Signs) from your Lord? and if he be a liar, on him is (the sin of) his lie: but, if he is telling the Truth, then will fall on you something of the (calamity) of which he warns you: Truly Allah guides not one who transgresses and lies!
PICKTHAL: And a believing man of Pharaoh’s family, who hid his faith, said: Would ye kill a man because he saith: My Lord is Allah, and hath brought you clear proofs from your Lord? If he is lying, then his lie is upon him; and if he is truthful, then some of that wherewith he threateneth you will strike you. Lo! Allah guideth not one who is a prodigal, a liar.
SHAKIR: And a believing man of Firon’s people who hid his faith said: What! will you slay a man because he says: My Lord is Allah, and indeed he has brought to you clear arguments from your Lord? And if he be a liar, on him will be his lie, and if he be truthful, there will befall you some of that which he threatens you (with); surely Allah does not guide him who is extravagant, a liar:
KHALIFA: A believing man among Pharaoh’s people, who was concealing his belief, said, “How can you kill a man just for saying, `My Lord is GOD,’ and he has shown you clear proofs from your Lord? If he is a liar, that is his problem, and if he is truthful, you benefit from his promises. Surely, GOD does not guide any transgressor, liar.
রুকু – ৪
২৮। ফেরাউনের বংশের মধ্যে একজন বিশ্বাসী [ মোমেন ] ব্যক্তি ৪৩৯৬ , যে তার নিজ ঈমান গোপন রেখেছিলো , [ সে ] বলেছিলো , ” তোমরা কি এমন এক ব্যক্তিকে এ জন্য হত্যা করবে যে, সে বলে ‘আল্লাহ্ আমার প্রভু ?’ – অথচ সে তোমাদের প্রভুর নিকট থেকে স্পষ্ট [নিদর্শন সহ ] তোমাদের নিকট এসেছে? এবং যদি সে মিথ্যাবাদী হয়, তাহলে তার মিথ্যার [পাপ ] তারই উপরে বর্তাবে , কিন্তু যদি সে সত্য বলে থাকে, ৪৩৯৭ , তবে সে তোমাদের যে [ বিপদ ] সম্বন্ধে সর্তক করছে , তার কিছুটা [ভয়াবহ বিপদ ] তোমাদের উপরে এসে পড়বে ৪৩৯৭। প্রকৃতপক্ষে যারা [ ঔদ্ধত্যে ] সীমালংঘন করে ও মিথ্যা বলে , আল্লাহ্ তাদের পথ দেখান না ৪৩৯৮।
৪৩৯৬। সূরা [ ২৮ : ২ ০ ] আয়াতে যে ব্যক্তির বর্ণনা আছে তিনি ছিলেন মুসার নবুয়ত প্রাপ্তির বহু পূর্বে। আর এখানে যে ব্যক্তির বর্ণনা আছে, তিনি নবুয়ত প্রাপ্তির পরের ব্যক্তি। দুজনকে একই ব্যক্তিরূপে চিহ্নিত করার কোনও কারণ নাই। কারণ আয়াত সমূহে সুস্পষ্টরূপে বলা হয়েছে যে, মুসা ফেরাউনের নিকট আল্লাহ্র কথা প্রচার করেন এবং কিছুটা হলেও সাফল্য লাভ করেন, যে কারণে ফেরাউন ও তার লোকেরা তার জীবন নাশের ষড়যন্ত্র করে। এই আয়াতের যে ব্যক্তি, তিনি বর্ণনা করেছেন যে মুসা সুস্পষ্ট প্রমাণসহ আগমন করেছেন , যেহেতু সে সময়ে মুসা আল্লাহ্র নিকট থেকে দায়িত্ব লাভ করেছেন।
৪৩৯৭। এই আয়াতের বক্তব্য একজন মিশরবাসীর , যে তাঁর দেশবাসীকে অত্যন্ত ভালোবাসতেন, এবং চাইতেন না যে তারা ধবংস হয়ে যাক। তাই তার বক্তব্য ছিলো নিম্নরূপ : আল্লাহ্র প্রতি বিশ্বাসের জন্য তোমরা এই লোককে হত্যা করবে ? তোমরা কি তার আচরণ ও চরিত্র পর্যবেক্ষণ কর নাই ? তোমরা কি লক্ষ্য কর নাই যে স্পষ্ট প্রমাণ তার পরিচয় পত্রের নির্দ্দেশ দান করে ? যদি তোমরা মনে কর সে মিথ্যাবাদী, সে আল্লাহ্ কর্তৃক প্রেরিত নয়, তবে সে তার কার্যের ফল ভোগ করবে। কিন্তু তা বলে তোমরা কেন এক আল্লাহ্র উপাসনা থেকে বিরত থাকবে ? মনে কর যদি সে প্রকৃতই আল্লাহ্ কর্তৃক প্রেরিত হয়ে থাকেন তবে তোমাদের কি পরিণতি হবে ? তোমরা যদি তাঁর সাবধান বাণী গ্রহণ না কর তবে যখন আল্লাহ্র শাস্তি নিপতিত হবে ,তোমাদের ভাগ্যে কি ঘটবে ? আর সে শাস্তি অবশ্যই নিপতিত হবে যদি মুসা আল্লাহ্র প্রেরিত দূত হয়ে থাকেন।
৪৩৯৮। আল্লাহ্র প্রেরিত “সুস্পষ্ট প্রমাণের ” প্রেক্ষিতে এই উপদেশ প্রেরণ করা হয়েছে। বিশ্বভূবনের সর্বত্র আল্লাহ্র উপস্থিতির সুস্পষ্ট প্রমাণ বিদ্যমান। এই প্রমাণকে যারা অনুধাবনের চেষ্টা করেন তাদেরই আল্লাহ্ সৎপথে পরিচালিত করেন। যারা মিথ্যাবাদী ও সত্যের সীমাকে লঙ্ঘন করে থাকে তাদের আত্মায় আল্লাহ্র নূর বা হেদায়েত প্রবেশ লাভে বাধাপ্রাপ্ত হয়। কারণ সীমালঙ্ঘন ও মিথ্যার দ্বারা তাদের আত্মা আচ্ছাদিত হয়ে পড়ে। ফলে আত্মা স্বচ্ছতা হারায় ও কঠিন রূপ ধারণ করে। এরা কখনও সঠিক পথের সন্ধান লাভ করে না।
আয়াতঃ 040.029
হে আমার কওম, আজ এদেশে তোমাদেরই রাজত্ব, দেশময় তোমরাই বিচরণ করছ; কিন্তু আমাদের আল্লাহর শাস্তি এসে গেলে কে আমাদেরকে সাহায্য করবে? ফেরাউন বলল, আমি যা বুঝি, তোমাদেরকে তাই বোঝাই, আর আমি তোমাদেরকে মঙ্গলের পথই দেখাই।
“O my People! Yours is the dominion this day: Ye have the upper hand in the land: but who will help us from the Punishment of Allah, should it befall us?” Pharaoh said: “I but point out to you that which I see (myself); Nor do I guide you but to the Path of Right!”
يَا قَوْمِ لَكُمُ الْمُلْكُ الْيَوْمَ ظَاهِرِينَ فِي الْأَرْضِ فَمَن يَنصُرُنَا مِن بَأْسِ اللَّهِ إِنْ جَاءنَا قَالَ فِرْعَوْنُ مَا أُرِيكُمْ إِلَّا مَا أَرَى وَمَا أَهْدِيكُمْ إِلَّا سَبِيلَ الرَّشَادِ
Ya qawmi lakumu almulku alyawma thahireena fee al-ardi faman yansuruna min ba/si Allahi in jaana qala firAAawnu ma oreekum illa ma ara wama ahdeekum illa sabeela alrrashadi
YUSUFALI: “O my People! Yours is the dominion this day: Ye have the upper hand in the land: but who will help us from the Punishment of Allah, should it befall us?” Pharaoh said: “I but point out to you that which I see (myself); Nor do I guide you but to the Path of Right!”
PICKTHAL: O my people! Yours is the kingdom to-day, ye being uppermost in the land. But who would save us from the wrath of Allah should it reach us? Pharaoh said: I do but show you what I think, and I do but guide you to wise policy.
SHAKIR: O my people! yours is the kingdom this day, being masters in the land, but who will help us against the punishment of Allah if it come to us? Firon said: I do not show you aught but that which I see (myself), and I do not make you follow any but the right way.
KHALIFA: “O my people, today you have kingship and the upperhand. But who will help us against GOD’s judgment, should it come to us?” Pharaoh said, “You are to follow only what I see fit; I will guide you only in the right path.”
২৯। “হে আমার সম্প্রদায় ! আজ দেশের কর্তৃত্ব তোমাদের। দেশে তোমরা ক্ষমতাশালী রয়েছ ৪৩৯৯। কিন্তু আমাদের উপরে আল্লাহ্র শাস্তি এসে পড়লে কে আমাদের সাহায্য করবে ? ” ফেরাউন বলেছিলো , “আমি [ নিজে ] যা দেখি তা ব্যতীত তোমাদের অন্য কিছু দেখাচ্ছি না ৪৪০০। আমি তো তোমাদের কেবল সৎপথই দেখিয়ে থাকি। ”
৪৩৯৯। উপরোক্ত মোমেন ব্যক্তির বক্তব্য ছিলো নিম্নরূপ : “ক্ষমতা আজ তোমাদের হাতে , ক্ষমতার দম্ভে তোমরা বর্তমানে উদ্ধত ও অহংকারী হয়ো না। ক্ষমতা কি চিরদিন থাকে? পাপের দ্বারা তোমরা যদি তোমাদের নিজেদের উপরে আল্লাহ্র শাস্তিকে ডেকে আন, কে তোমাদের রক্ষা করবে ? ”
৪৪০০। ফেরাউনের অহংকার ও উদ্ধত আচরণের প্রকাশ ঘটেছিলো তার বক্তব্যের মধ্য দিয়ে , ” আমি সব কিছু পর্যবেক্ষণে সক্ষম , এবং আমি সব কিছু বুঝি , এবং আমি সেভাবেই তোমাদের নির্দ্দেশ দান করে থাকি। আমি সঠিক পথের সন্ধান জানি ,এবং তোমাদের সঠিক পথের নির্দ্দেশ দান করে থাকি ; সুতারাং তোমরা আমার অনুসরণ কর।”
যারা মিথ্যাবাদী ও সীমালঙ্ঘনকারী তারা হয় উদ্ধত ও অহংকারী । তারা সব সময়েই ভ্রান্ত পথে চলে। ফেরাউনের চরিত্রের বৈশিষ্ট্যের মাধ্যমে আল্লাহ্ আমাদের এই শিক্ষা দিয়েছেন।
আয়াতঃ 040.030
সে মুমিন ব্যক্তি বললঃ হে আমার কওম, আমি তোমাদের জন্যে পূর্ববর্তী সম্প্রদায়সমূহের মতই বিপদসঙ্কুল দিনের আশংকা করি।
Then said the man who believed: “O my people! Truly I do fear for you something like the Day (of disaster) of the Confederates (in sin)!-
وَقَالَ الَّذِي آمَنَ يَا قَوْمِ إِنِّي أَخَافُ عَلَيْكُم مِّثْلَ يَوْمِ الْأَحْزَابِ
Waqala allathee amana ya qawmi innee akhafu AAalaykum mithla yawmi al-ahzabi
YUSUFALI: Then said the man who believed: “O my people! Truly I do fear for you something like the Day (of disaster) of the Confederates (in sin)!-
PICKTHAL: And he who believed said: O my people! Lo! I fear for you a fate like that of the factions (of old);
SHAKIR: And he who believed said: O my people! surely I fear for you the like of what befell the parties:
KHALIFA: The one who believed said, “O my people, I fear for you the same fate as the previous opponents.
৩০। তখন বিশ্বাসী ব্যক্তিটি বলেছিলো , ” হে আমার সম্প্রদায় ! আমি তোমাদের সম্বন্ধে [ পাপে আসক্ত পূর্ববর্তী ] জাতিদের [ দুর্দ্দশার ] দিনের মত অবস্থার ভয় পাচ্ছি ; – ৪৪০১ , ৪৪০২
৪৪০১। মোমেন ব্যক্তিটি প্রাচীনকালের উদাহরণের মাধ্যমে নিম্নলিখিত আবেদন করেন, ” তোমাদের পূর্বে যারা পৃথিবীতে ছিলেন তাদের কথা কি তোমরা জান না ? নূহ্ , আ’দ ,সামুদ এবং এরূপ অন্যান্য বহু জাতি যারা আল্লাহ্র নবীদের বিরুদ্ধাচারণ করেছিলো – পরিণামে তারা তাদের পাপের দরুণ পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় ?”
৪৪০২। দেখুন [ ৩৮ : ১১-১৩ ] ও টিকা ৪১৫৮ এবং [ ৪০ : ৫ ] ও টিকা ৪৩৬১।
আয়াতঃ 040.031
যেমন, কওমে নূহ, আদ, সামুদ ও তাদের পরবর্তীদের অবস্থা হয়েছিল। আল্লাহ বান্দাদের প্রতি কোন যুলুম করার ইচ্ছা করেন না।
“Something like the fate of the People of Noah, the ‘Ad, and the Thamud, and those who came after them: but Allah never wishes injustice to his Servants.
مِثْلَ دَأْبِ قَوْمِ نُوحٍ وَعَادٍ وَثَمُودَ وَالَّذِينَ مِن بَعْدِهِمْ وَمَا اللَّهُ يُرِيدُ ظُلْمًا لِّلْعِبَادِ
Mithla da/bi qawmi noohin waAAadin wathamooda waallatheena min baAAdihim wama Allahu yureedu thulman lilAAibadi
YUSUFALI: “Something like the fate of the People of Noah, the ‘Ad, and the Thamud, and those who came after them: but Allah never wishes injustice to his Servants.
PICKTHAL: A plight like that of Noah’s folk, and A’ad and Thamud, and those after them, and Allah willeth no injustice for (His) slaves.
SHAKIR: The like of what befell the people of Nuh and Ad and Samood and those after them, and Allah does not desire injustice for (His) servants;
KHALIFA: “The opponents of Noah, and `Aad, Thamoud, and others who came after them. GOD does not wish any injustice for the people.
৩১। ” যেমন ঘটেছিলো , নূহ্, আদ্ , সামুদ জাতির এবং তাদের পরে যারা এসেছিলো তাদের। আল্লাহ্ তাঁর বান্দাদের উপরে কোন অন্যায় করতে চান না ৪৪০৩।
৪৪০৩। এই আয়াতটি মোমেন ব্যক্তির বক্তব্যের ধারাবাহিকতা। ” পূর্বের বহু জাতি তাদের পাপের দরুণ বিপর্যয়ে ধবংস হয়ে গেছে। তোমরা যদি তোমাদের পাপকে ত্যাগ না কর তবে তোমাদের ভাগ্যেও সেই একই বিপর্যয় অপেক্ষা করছে। মনে কর না আল্লাহ্ অন্যায় করেন। তোমরাই অন্যায়কারী এবং তোমাদের ইচ্ছাকৃত কার্যের দ্বারা তোমরা নিজেদের উপরে বিপর্যয় ডেকে আনছো।”
উপদেশ : মানুষকে সৃষ্টি করা হয়েছে পূণ্য বা ভালো কাজের জন্য। যখন সে অন্যায় বা পাপ কাজ করে তখন সে প্রকৃতি বিরুদ্ধ কাজে নিজেকে নিয়োজিত করে। ফলে তার পরিণামও তাকে ভোগ করতে হয়।
আয়াতঃ 040.032
হে আমার কওম, আমি তোমাদের জন্যে প্রচন্ড হাঁক-ডাকের দিনের আশংকা করি।
“And O my people! I fear for you a Day when there will be Mutual calling (and wailing),-
وَيَا قَوْمِ إِنِّي أَخَافُ عَلَيْكُمْ يَوْمَ التَّنَادِ
Waya qawmi innee akhafu AAalaykum yawma alttanadi
YUSUFALI: “And O my people! I fear for you a Day when there will be Mutual calling (and wailing),-
PICKTHAL: And, O my people! Lo! I fear for you a Day of Summoning,
SHAKIR: And, O my people! I fear for you the day of calling out,
KHALIFA: “O my people, I fear for you the Day of Summoning.
৩২। ” এবং হে আমার সম্প্রদায় ! নিশ্চয় আমি তোমাদের জন্য আশংকা করি পরস্পর আহ্বান [ এবং আর্তনাদ ] দিবসের ; – ৪৪০৪
৪৪০৪। ‘তানাদ’ বা প্রচন্ড হাকডাকের দিবসের বা কিয়ামতের দিবসের। এই দিনকে বলা হয় শেষ বিচারের দিন যার তিনটি বৈশিষ্ট্য এই আয়াতে ও পরবর্তী আয়াতে। ১) লোক সকল ভয়ে সন্ত্রস্ত হয়ে পড়বে এবং প্রত্যেকে একে অপরকে ডাকবে এবং চিৎকার করবে। কিন্তু কেউই সাহায্যের জন্যএগিয়ে আসবে না। প্রত্যেকেই প্রত্যেকের ভাগ্যের পরিণতির আশঙ্কায় কণ্টকিত থাকবে। ২) পাপীদের বিচারের পরে দোযখের দিকে বিতাড়িত করা হবে , তারা পশ্চাৎ ফিরে পালাতে চাইবে , কিন্তু পারবে না। ৩) সেখানে তারা কোনও রক্ষাকর্তা খুঁজে পাবে না। কোনও রক্ষাকর্তা বা সাহায্যকারী বা সুপারিশকারী সেদিন এগিয়ে আসবে না। যদিও বর্ণনাটি ছিলো মোমেন ব্যক্তি দ্বারা তার সম্প্রদায়ের জন্য কিন্তু এর বক্তব্য সার্বজনীন।
আয়াতঃ 040.033
যেদিন তোমরা পেছনে ফিরে পলায়ন করবে; কিন্তু আল্লাহ থেকে তোমাদেরকে রক্ষাকারী কেউ থাকবে না। আল্লাহ যাকে পথভ্রষ্ট করেন, তার কোন পথপ্রদর্শক নেই।
“A Day when ye shall turn your backs and flee: No defender shall ye have from Allah. Any whom Allah leaves to stray, there is none to guide…
يَوْمَ تُوَلُّونَ مُدْبِرِينَ مَا لَكُم مِّنَ اللَّهِ مِنْ عَاصِمٍ وَمَن يُضْلِلِ اللَّهُ فَمَا لَهُ مِنْ هَادٍ
Yawma tuwalloona mudbireena ma lakum mina Allahi min AAasimin waman yudlili Allahu fama lahu min hadin
YUSUFALI: “A Day when ye shall turn your backs and flee: No defender shall ye have from Allah: Any whom Allah leaves to stray, there is none to guide…
PICKTHAL: A day when ye will turn to flee, having no preserver from Allah: and he whom Allah sendeth astray, for him there is no guide.
SHAKIR: The day on which you will turn back retreating; there shall be no savior for you from Allah, and whomsoever Allah causes to err, there is no guide for him:
KHALIFA: “That is the day when you may wish to turn around and flee. But nothing will protect you then from GOD. Whomever GOD sends astray, nothing can guide him.”
৩৩। ” সেদিন যখন তোমরা তোমাদের পৃষ্ঠপ্রদর্শন করবে এবং পলায়ন করবে, আল্লাহ্র বিরুদ্ধে তোমরা কোন রক্ষাকারী পাবে না। আল্লাহ্ যাকে পথভ্রষ্ট করেন তার জন্য কোন পথ প্রদর্শক নাই।
৩৪। ” ইহার পূর্বে তোমাদের নিকট ইউসুফ এসেছিলো , স্পষ্ট নিদর্শন সহ ৪৪০৫ , কিন্তু সে তোমাদের নিকট যা নিয়ে এসেছিলো তোমরা [ তার উপদেশ সম্বন্ধে ] সন্দেহ করা থেকে বিরত থাক নাই। অবশেষে সে যখন পরলোকে গমন করলো তখন তোমরা বললে, ” তার পরে আর কোন রাসুল আল্লাহ্ প্রেরণ করবেন না। ” এভাবেই যারা সীমালংঘন করে এবং সন্দেহের মধ্যে থাকে আল্লাহ্ তাদের পথ ভ্রান্ত করেন, ৪৪০৬
৪৪০৫। এতক্ষণ সার্বজনীনভাবে ধর্মীয় ইতিহাসের ঐতিহ্য বা ধারাকে তুলে ধরা হয়েছে। এখন শুরু হয়েছে নির্দ্দিষ্ট ভাবে মিশরবাসীদের সম্বোধন করে, মিশরে হযরত ইউসুফের নবুয়তের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। হযরত ইউসুফের জন্য দেখুন সূরা নং ১২। ইউসুফ মিশরে জন্মগ্রহণ করেন নাই বা তিনি মিশরবাসীও ছিলেন না। আল্লাহ্র পরিকল্পনার অংশ হিসেবে তিনি মিশরে নীত হন। তাঁর নিজের ভাইদের ষড়যন্ত্রের শীকার হন তিনি। কি অদ্ভুদ ভাবে তিনি মিশরে নীত হন এবং মিশরে উজীরের পরিবারে দত্তক পুত্র হিসেবে গৃহিত হন। মানুষের অন্যায় , ঘৃণা, বিস্মৃতি তার জীবনকে অমানিশার অন্ধকারে ঢেকে দেয় , কিন্তু তার মাঝেই ছিলো প্রভাতের সোনালী সূর্যের ইশারা। ইউসুফের দুর্যোগের ও অন্যায়ের দিন শেষ হয়ে যায় , এবং শেষ পর্যন্ত তিনি মিশরের শাসনকর্তা নিযুক্ত হন এবং মিশরকে দুর্ভিক্ষের কবল থেকে রক্ষা করেন। তিনি সত্যের প্রচার করেন কয়েদখানায় বন্দীদের মাঝে, আজিজের স্ত্রীর নিকট , মিশরের সম্ভ্রান্ত স্ত্রীলোকদের মাঝে এবং শেষ পর্যন্ত ফেরাউনের রাজসভায়। মিশরবাসীরা তার কার্যদ্বারা জাগতিক দিক থেকে লাভবান হয় সত্য, কিন্তু তারা ইউসুফের নিকট থেকে কোনও আধ্যাত্মিক শিক্ষাকে গ্রহণ করে নাই। কারণ তারা ছিলো সংশয়বাদী বা সন্দেহবাতিক জাতি। তারা এবং তাদের পরবর্তী বহু প্রজন্ম ইউসুফের প্রচারিত সত্যকে গ্রহণ করে নাই।
উপদেশ : আল্লাহ্র অস্তিত্বে যারা সংশয়বাদী ও সত্যকে গ্রহণের ব্যাপারে যারা সীমালংঘনকারী তারা কখনও সঠিক পথের সন্ধান লাভ করবে না। কারণ আল্লাহ্ তাদের জ্ঞান ও বুদ্ধিকে বিভ্রান্ত করে দেবেন।
৪৪০৬। হযরত ইউসুফের সময়ে ইসরাঈলীরা মিশরে আগমন করে। মিশর বাসীদের ধারণা ছিলো ইউসুফের পরে আল্লাহ্ আর কোনও রাসুল প্রেরণ করবেন না। কিন্তু ইউসুফের পরে আল্লাহ্ মিশরে হযরত মুসাকে প্রেরণ করেন ইসরাঈলীদের উদ্ধারের জন্য। কারণ ইতিমধ্যে মিশরবাসীরা ইউসুফের আধ্যাত্মিক শিক্ষাকে অবহেলা করে ইসরাঈলীদের উপরে নির্যাতন , অত্যাচার ও অবিচার আচরণ করে থাকেন। কারণ তারা ইউসুফের কার্যের পরিণতির সুফল ভোগ করতে আগ্রহী , কিন্তু অনুধাবনে অক্ষম যে, আল্লাহ্র আইন সর্বযুগে সর্বক্ষেত্রে একই ভাবে কাজ করে যায়। যদিও মানুষ তা অগ্রাহ্য ও অবহেলা করে থাকে। হযরত ইউসুফ ও হযরত মুসার মধ্যে সময়ের পার্থক্য ২-৩ শত বৎসর। একটি সুসভ্য জাতির জন্য এই সময় খুব বেশী লম্বা নয় যে তারা ইউসুফের শিক্ষাকে ভুলে যাবে। সংশয়বাদীরা ও সীমালংঘনকারীরা সর্বদাই বিভ্রান্তিতে ভুগবে এই আল্লাহ্র আইন।
আয়াতঃ 040.034
ইতিপূর্বে তোমাদের কাছে ইউসুফ সুস্পষ্ট প্রামাণাদিসহ আগমন করেছিল, অতঃপর তোমরা তার আনীত বিষয়ে সন্দেহই পোষণ করতে। অবশেষে যখন সে মারা গেল, তখন তোমরা বলতে শুরু করলে, আল্লাহ ইউসুফের পরে আর কাউকে রসূলরূপে পাঠাবেন না। এমনিভাবে আল্লাহ সীমালংঘনকারী, সংশয়ী ব্যক্তিকে পথভ্রষ্ট করেন।
“And to you there came Joseph in times gone by, with Clear Signs, but ye ceased not to doubt of the (Mission) for which he had come: At length, when he died, ye said: ‘No apostle will Allah send after him.’ thus doth Allah leave to stray such as transgress and live in doubt,-
وَلَقَدْ جَاءكُمْ يُوسُفُ مِن قَبْلُ بِالْبَيِّنَاتِ فَمَا زِلْتُمْ فِي شَكٍّ مِّمَّا جَاءكُم بِهِ حَتَّى إِذَا هَلَكَ قُلْتُمْ لَن يَبْعَثَ اللَّهُ مِن بَعْدِهِ رَسُولًا كَذَلِكَ يُضِلُّ اللَّهُ مَنْ هُوَ مُسْرِفٌ مُّرْتَابٌ
Walaqad jaakum yoosufu min qablu bialbayyinati fama ziltum fee shakkin mimma jaakum bihi hatta itha halaka qultum lan yabAAatha Allahu min baAAdihi rasoolan kathalika yudillu Allahu man huwa musrifun murtabun
YUSUFALI: “And to you there came Joseph in times gone by, with Clear Signs, but ye ceased not to doubt of the (Mission) for which he had come: At length, when he died, ye said: ‘No messenger will Allah send after him.’ thus doth Allah leave to stray such as transgress and live in doubt,-
PICKTHAL: And verily Joseph brought you of old clear proofs, yet ye ceased not to be in doubt concerning what he brought you till, when he died, ye said: Allah will not send any messenger after him. Thus Allah deceiveth him who is a prodigal, a doubter.
SHAKIR: And certainly Yusuf came to you before with clear arguments, but you ever remained in doubt as to what he brought; until when he died, you said: Allah will never raise a messenger after him. Thus does Allah cause him to err who is extravagant, a doubter
KHALIFA: Joseph had come to you before that with clear revelations, but you continued to doubt his message. Then, when he died you said, “GOD will not send any other messenger after him. (He was the last messenger)!” GOD thus sends astray those who are transgressors, doubtful.
৩৩। ” সেদিন যখন তোমরা তোমাদের পৃষ্ঠপ্রদর্শন করবে এবং পলায়ন করবে, আল্লাহ্র বিরুদ্ধে তোমরা কোন রক্ষাকারী পাবে না। আল্লাহ্ যাকে পথভ্রষ্ট করেন তার জন্য কোন পথ প্রদর্শক নাই।
৩৪। ” ইহার পূর্বে তোমাদের নিকট ইউসুফ এসেছিলো , স্পষ্ট নিদর্শন সহ ৪৪০৫ , কিন্তু সে তোমাদের নিকট যা নিয়ে এসেছিলো তোমরা [ তার উপদেশ সম্বন্ধে ] সন্দেহ করা থেকে বিরত থাক নাই। অবশেষে সে যখন পরলোকে গমন করলো তখন তোমরা বললে, ” তার পরে আর কোন রাসুল আল্লাহ্ প্রেরণ করবেন না। ” এভাবেই যারা সীমালংঘন করে এবং সন্দেহের মধ্যে থাকে আল্লাহ্ তাদের পথ ভ্রান্ত করেন, ৪৪০৬
৪৪০৫। এতক্ষণ সার্বজনীনভাবে ধর্মীয় ইতিহাসের ঐতিহ্য বা ধারাকে তুলে ধরা হয়েছে। এখন শুরু হয়েছে নির্দ্দিষ্ট ভাবে মিশরবাসীদের সম্বোধন করে, মিশরে হযরত ইউসুফের নবুয়তের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। হযরত ইউসুফের জন্য দেখুন সূরা নং ১২। ইউসুফ মিশরে জন্মগ্রহণ করেন নাই বা তিনি মিশরবাসীও ছিলেন না। আল্লাহ্র পরিকল্পনার অংশ হিসেবে তিনি মিশরে নীত হন। তাঁর নিজের ভাইদের ষড়যন্ত্রের শীকার হন তিনি। কি অদ্ভুদ ভাবে তিনি মিশরে নীত হন এবং মিশরে উজীরের পরিবারে দত্তক পুত্র হিসেবে গৃহিত হন। মানুষের অন্যায় , ঘৃণা, বিস্মৃতি তার জীবনকে অমানিশার অন্ধকারে ঢেকে দেয় , কিন্তু তার মাঝেই ছিলো প্রভাতের সোনালী সূর্যের ইশারা। ইউসুফের দুর্যোগের ও অন্যায়ের দিন শেষ হয়ে যায় , এবং শেষ পর্যন্ত তিনি মিশরের শাসনকর্তা নিযুক্ত হন এবং মিশরকে দুর্ভিক্ষের কবল থেকে রক্ষা করেন। তিনি সত্যের প্রচার করেন কয়েদখানায় বন্দীদের মাঝে, আজিজের স্ত্রীর নিকট , মিশরের সম্ভ্রান্ত স্ত্রীলোকদের মাঝে এবং শেষ পর্যন্ত ফেরাউনের রাজসভায়। মিশরবাসীরা তার কার্যদ্বারা জাগতিক দিক থেকে লাভবান হয় সত্য, কিন্তু তারা ইউসুফের নিকট থেকে কোনও আধ্যাত্মিক শিক্ষাকে গ্রহণ করে নাই। কারণ তারা ছিলো সংশয়বাদী বা সন্দেহবাতিক জাতি। তারা এবং তাদের পরবর্তী বহু প্রজন্ম ইউসুফের প্রচারিত সত্যকে গ্রহণ করে নাই।
উপদেশ : আল্লাহ্র অস্তিত্বে যারা সংশয়বাদী ও সত্যকে গ্রহণের ব্যাপারে যারা সীমালংঘনকারী তারা কখনও সঠিক পথের সন্ধান লাভ করবে না। কারণ আল্লাহ্ তাদের জ্ঞান ও বুদ্ধিকে বিভ্রান্ত করে দেবেন।
৪৪০৬। হযরত ইউসুফের সময়ে ইসরাঈলীরা মিশরে আগমন করে। মিশর বাসীদের ধারণা ছিলো ইউসুফের পরে আল্লাহ্ আর কোনও রাসুল প্রেরণ করবেন না। কিন্তু ইউসুফের পরে আল্লাহ্ মিশরে হযরত মুসাকে প্রেরণ করেন ইসরাঈলীদের উদ্ধারের জন্য। কারণ ইতিমধ্যে মিশরবাসীরা ইউসুফের আধ্যাত্মিক শিক্ষাকে অবহেলা করে ইসরাঈলীদের উপরে নির্যাতন , অত্যাচার ও অবিচার আচরণ করে থাকেন। কারণ তারা ইউসুফের কার্যের পরিণতির সুফল ভোগ করতে আগ্রহী , কিন্তু অনুধাবনে অক্ষম যে, আল্লাহ্র আইন সর্বযুগে সর্বক্ষেত্রে একই ভাবে কাজ করে যায়। যদিও মানুষ তা অগ্রাহ্য ও অবহেলা করে থাকে। হযরত ইউসুফ ও হযরত মুসার মধ্যে সময়ের পার্থক্য ২-৩ শত বৎসর। একটি সুসভ্য জাতির জন্য এই সময় খুব বেশী লম্বা নয় যে তারা ইউসুফের শিক্ষাকে ভুলে যাবে। সংশয়বাদীরা ও সীমালংঘনকারীরা সর্বদাই বিভ্রান্তিতে ভুগবে এই আল্লাহ্র আইন।
আয়াতঃ 040.035
যারা নিজেদের কাছে আগত কোন দলীল ছাড়াই আল্লাহর আয়াত সম্পর্কে বিতর্ক করে, তাদের একজন আল্লাহ ও মুমিনদের কাছে খুবই অসন্তোষজনক। এমনিভাবে আল্লাহ প্রত্যেক অহংকারী-স্বৈরাচারী ব্যক্তির অন্তরে মোহর এঁটে দেন।
“(Such) as dispute about the Signs of Allah, without any authority that hath reached them, grievous and odious (is such conduct) in the sight of Allah and of the Believers. Thus doth Allah, seal up every heart – of arrogant and obstinate Transgressors.”
الَّذِينَ يُجَادِلُونَ فِي آيَاتِ اللَّهِ بِغَيْرِ سُلْطَانٍ أَتَاهُمْ كَبُرَ مَقْتًا عِندَ اللَّهِ وَعِندَ الَّذِينَ آمَنُوا كَذَلِكَ يَطْبَعُ اللَّهُ عَلَى كُلِّ قَلْبِ مُتَكَبِّرٍ جَبَّارٍ
Allatheena yujadiloona fee ayati Allahi bighayri sultanin atahum kabura maqtan AAinda Allahi waAAinda allatheena amanoo kathalika yatbaAAu Allahu AAala kulli qalbi mutakabbirin jabbarin
YUSUFALI: “(Such) as dispute about the Signs of Allah, without any authority that hath reached them, grievous and odious (is such conduct) in the sight of Allah and of the Believers. Thus doth Allah, seal up every heart – of arrogant and obstinate Transgressors.”
PICKTHAL: Those who wrangle concerning the revelations of Allah without any warrant that hath come unto them, it is greatly hateful in the sight of Allah and in the sight of those who believe. Thus doth Allah print on every arrogant, disdainful heart.
SHAKIR: Those who dispute concerning the communications of Allah without any authority that He has given them; greatly hated is it by Allah and by-those who believe. Thus does Allah set a seal over the heart of every proud, haughty one.
KHALIFA: They argue against GOD’s revelations, without any basis. This is a trait that is most abhorred by GOD and by those who believe. GOD thus seals the hearts of every arrogant tyrant.
৩৫। ” যারা বিধিসংগত ক্ষমতা ব্যতীতও আল্লাহ্র নিদর্শন সম্বন্ধে বির্তক করে ; [ এরূপ আচরণ ] আল্লাহ্ ও মোমেনদের চোখে দুঃখজনক ও ঘৃণাই। এ ভাবেই আল্লাহ্ উদ্ধত , একগুঁয়ে, সীমালংঘনকারীদের প্রত্যেকের হৃদয়ে সীলমোহর করে দেন।” ৪৪০৭
৪৪০৭। উপরের টিকা দেখুন। অহংকারে যারা সীমালঙ্ঘন করে তাদের আত্মা আল্লাহ্র বাণী ধারণে অনুপযুক্ত হবে। আল্লাহ্ তাদের হৃদয়কে মোহর করে দেন। ফলে আল্লাহ্র বাণীর আবেদন তাদের অনুভবের, উপলব্ধির সীমানাতে পৌঁছায় না। ফলে কোনও ভালো বা সত্যকে তারা অন্তর থেকে গ্রহণ করতে পারবে না। তারা সর্বদা সংশয়ে ভুগবে। দেখুন [৭: ১০০ ] ও [২ : ৭ ] আয়াত ও টিকা নং ৩১।
আয়াতঃ 040.036
ফেরাউন বলল, হে হামান, তুমি আমার জন্যে একটি সুউচ্চ প্রাসাদ নির্মাণ কর, হয়তো আমি পৌঁছে যেতে পারব।
Pharaoh said: “O Haman! Build me a lofty palace, that I may attain the ways and means-
وَقَالَ فِرْعَوْنُ يَا هَامَانُ ابْنِ لِي صَرْحًا لَّعَلِّي أَبْلُغُ الْأَسْبَابَ
Waqala firAAawnu ya hamanu ibni lee sarhan laAAallee ablughu al-asbaba
YUSUFALI: Pharaoh said: “O Haman! Build me a lofty palace, that I may attain the ways and means-
PICKTHAL: And Pharaoh said: O Haman! Build for me a tower that haply I may reach the roads,
SHAKIR: And Firon said: O Haman! build for me a tower that I may attain the means of access,
KHALIFA: Pharaoh said, “O Haamaan, build for me a high tower, that I may reach out and discover.
৩৬। ফেরাউন বলেছিলো, ” ওহে হামান ! আমার জন্য একটি সুউচ্চ প্রাসাদ তৈরী কর ৪৪০৮ , যেনো আমি পথ ও অবলম্বন পেতে পারি –
৪৪০৮। দেখুন [ ২৮ : ৩৮] আয়াত ও টিকা ৩৩৭১। এই আয়াত থেকে ফেরাউনের চরিত্রের প্রধান দুটি বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা যায়।
১) জাগতিক সম্পদ ও ক্ষমতা ফেরাউনকে অহংকারে উদ্ধত ও একগুয়েতে পরিণত করে। আধ্যাত্মিক জগত সম্বন্ধে সে অনুভূতিহীন হয়ে পড়ে, ফলে সে আল্লাহ্র অবস্থানকে জাগতিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করে আল্লাহ্র প্রাসাদে মই দ্বারা আরোহণের ইচ্ছা প্রকাশ করে। ‘Asbab’ অর্থ অবলম্বন।
২) সে উদ্ধতভাবে মুসা এবং মুসার ইলাহ্কে ব্যঙ্গ বিদ্রূপ করে। সে প্রকাশ্যে ঘোষণা করে যে, “আমি উহাকে [ মুসাকে ] মিথ্যাবাদী মনে করি।”
আয়াতঃ 040.037
আকাশের পথে, অতঃপর উঁকি মেরে দেখব মূসার আল্লাহকে। বস্তুতঃ আমি তো তাকে মিথ্যাবাদীই মনে করি। এভাবেই ফেরাউনের কাছে সুশোভিত করা হয়েছিল তার মন্দ কর্মকে এবং সোজা পথ থেকে তাকে বিরত রাখা হয়েছিল। ফেরাউনের চক্রান্ত ব্যর্থ হওয়ারই ছিল।
“The ways and means of (reaching) the heavens, and that I may mount up to the Allah of Moses: But as far as I am concerned, I think (Moses) is a liar!” Thus was made alluring, in Pharaoh’s eyes, the evil of his deeds, and he was hindered from the Path; and the plot of Pharaoh led to nothing but perdition (for him).
أَسْبَابَ السَّمَاوَاتِ فَأَطَّلِعَ إِلَى إِلَهِ مُوسَى وَإِنِّي لَأَظُنُّهُ كَاذِبًا وَكَذَلِكَ زُيِّنَ لِفِرْعَوْنَ سُوءُ عَمَلِهِ وَصُدَّ عَنِ السَّبِيلِ وَمَا كَيْدُ فِرْعَوْنَ إِلَّا فِي تَبَابٍ
Asbaba alssamawati faattaliAAa ila ilahi moosa wa-innee laathunnuhu kathiban wakathalika zuyyina lifirAAawna soo-o AAamalihi wasudda AAani alssabeeli wama kaydu firAAawna illa fee tababin
YUSUFALI: “The ways and means of (reaching) the heavens, and that I may mount up to the god of Moses: But as far as I am concerned, I think (Moses) is a liar!” Thus was made alluring, in Pharaoh’s eyes, the evil of his deeds, and he was hindered from the Path; and the plot of Pharaoh led to nothing but perdition (for him).
PICKTHAL: The roads of the heavens, and may look upon the god of Moses, though verily I think him a liar. Thus was the evil that he did made fairseeming unto Pharaoh, and he was debarred from the (right) way. The plot of Pharaoh ended but in ruin.
SHAKIR: The means of access to the heavens, then reach the god of Musa, and I surely think him to be a liar. And thus the evil of his deed was made fairseeming to Firon, and he was turned away from the way; and the struggle of Firon was not (to end) in aught but destruction.
KHALIFA: “I want to reach the heaven, and take a look at the god of Moses. I believe he is a liar.” Thus were the evil works of Pharaoh adorned in his eyes, and thus was he kept from following (the right) path. Pharaoh’s scheming was truly evil.
৩৭। ” আসমানে [ পৌঁছানোর ] অবলম্বন ; যেনো আমি মুসার আল্লাহ্র নিকট আরোহণ করতে পারি। তবে আমার ধারণায় আমি মনে করি [ মুসা ] একজন মিথ্যাবাদী। ” এভাবেই ফেরাউনের চোখে তার মন্দ কার্যাবলীকে সুশোভিত করা হয়েছে ৪৪০৯। এবং তাকে সৎপথ থেকে বিরত রাখা হয়েছিলো। ফেরাউনের ষড়যন্ত্র তাকে জাহান্নাম ব্যতীত অন্য কোথাও পরিচালিত করে নাই ৪৪১০।
৪৪০৯। ফেরাউনের ভাষ্য-ই প্রমাণ করে যে, নিজের সম্বন্ধে কি পরিমাণ অহংকার থাকলে মানুষ এতটা উদ্ধত ও গর্বিত হতে পারে। যার ফলে তার নিজের কৃত সকল কুর্কীতি ও পাপকে তার কাছে নয়নাভিরাম বোধ হতো। এর কারণ অহংকার, আত্মগরিমা হৃদয়ের সকল অনুভূতির দুয়ার বন্ধ করে দেয়। ফলে এসব হৃদয়ে আল্লাহ্র হেদায়েতের আলো প্রবেশের পথ রুদ্ধ হয়ে পড়ে। এসব ব্যক্তি কখনও সঠিক পথ বা হেদায়েতের পথ খুঁজে পাবে না। নিজের কুর্কীর্তি নিজের কাছে মোহনীয় বোধ হবে।
উপদেশ : অহংকার ও আত্মগরিমা অত্যন্ত খারাপ রীপু যা মানুষকে বিপথে চালিত করে এবং শেষ পর্যন্ত সে ধ্বংস হয়ে যায়।
৪৪১০। ভবিষ্যত আল্লাহ্র রসুল মুসাকে হত্যার জন্য ফেরাউন ইসরাঈলীদের পুত্র সন্তাদের হত্যার নির্দ্দেশ দান করেছিলো। [ ৪০ : ২৫ ]। আবার হযরত মুসার নবুয়ত পাওয়ার পরে মুসা যখন ফেরাউনকে আল্লাহ্র পথে আহ্বান করেন, তখন আর একবার মুসাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করে ফেরাউন [ ৪০ : ২৬ ]। দুবারই ফেরাউন ও তার সহচরদের ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয় এবং তারা সকলে লোহিত সাগরে ডুবে মারা যায়।
আয়াতঃ 040.038
মুমিন লোকটি বললঃ হে আমার কওম, তোমরা আমার অনুসরণ কর। আমি তোমাদেরকে সৎপথ প্রদর্শন করব।
The man who believed said further: “O my people! Follow me: I will lead you to the Path of Right.
وَقَالَ الَّذِي آمَنَ يَا قَوْمِ اتَّبِعُونِ أَهْدِكُمْ سَبِيلَ الرَّشَادِ
Waqala allathee amana ya qawmi ittabiAAooni ahdikum sabeela alrrashadi
YUSUFALI: The man who believed said further: “O my people! Follow me: I will lead you to the Path of Right.
PICKTHAL: And he who believed said: O my people! Follow me. I will show you the way of right conduct.
SHAKIR: And he who believed said: O my people! follow me, I will guide you to the right course;
KHALIFA: The one who believed said, “O my people, follow me, and I will guide you in the right way.
রুকু – ৫
৩৮। বিশ্বাসী ব্যক্তিটি আরও বলেছিলো , ” হে আমার সম্প্রদায় ! আমাকে অনুসরণ কর। আমি তোমাদের সঠিক পথে পরিচালিত করবো ৪৪১১।
৪৪১১। এখানে লক্ষণীয় হচ্ছে ফেরাউনের তর্জন গর্জনে ভরা কর্তৃত্বপূর্ণ হাঁকডাকের বিপরীতে মোমেন ব্যক্তির মিনতিপূর্ণ আহ্বান একই ভাবের প্রকাশ পেয়েছে সূরা [ ৪০ : ২৯ ] আয়াত।
আয়াতঃ 040.039
হে আমার কওম, পার্থিব এ জীবন তো কেবল উপভোগের বস্তু, আর পরকাল হচ্ছে স্থায়ী বসবাসের গৃহ।
“O my people! This life of the present is nothing but (temporary) convenience: It is the Hereafter that is the Home that will last.
يَا قَوْمِ إِنَّمَا هَذِهِ الْحَيَاةُ الدُّنْيَا مَتَاعٌ وَإِنَّ الْآخِرَةَ هِيَ دَارُ الْقَرَارِ
Ya qawmi innama hathihi alhayatu alddunya mataAAun wa-inna al-akhirata hiya daru alqarari
YUSUFALI: “O my people! This life of the present is nothing but (temporary) convenience: It is the Hereafter that is the Home that will last.
PICKTHAL: O my people! Lo! this life of the world is but a passing comfort, and lo! the Hereafter, that is the enduring home.
SHAKIR: O my people! this life of the world is only a (passing) enjoyment, and surely the hereafter is the abode to settle;
KHALIFA: “O my people, this first life is a temporary illusion, while the Hereafter is the eternal abode.”
৩৯। ” হে আমার সম্প্রদায় ! বর্তমান জীবন তো [ ক্ষণস্থায়ী ] সুখ স্বাচ্ছন্দ ব্যতীত অন্য কিছু নয়। পরলোকের জীবন হচ্ছে স্থায়ী আবাস ৪৪১২।
৪৪১২। মোমেন ব্যক্তি আধ্যাত্মিক অন্তর্দৃষ্টিতে অনুভব করতে পেরেছিলেন যে, জাগতিক ধন-সম্পদ, ক্ষমতা, প্রতিপত্তি এসব ক্ষণস্থায়ী বিত্ত-বিভব মাত্র। অনন্ত জীবনের পটভূমিতে তা খুবই অস্থায়ী। পরলোকের জীবনই স্থায়ী জীবন। মানুষের শেষ পরিণতি পরলোকের স্থায়ী জীবন। মানুষের সৃষ্টিই করা হয়েছে ইহলোকের জীবনের মাধ্যমে পরিশ্রুত হয়ে অনন্ত পরলোকের জীবনে প্রবেশ লাভ করার জন্য।
আয়াতঃ 040.040
যে মন্দ কর্ম করে, সে কেবল তার অনুরূপ প্রতিফল পাবে, আর যে, পুরুষ অথবা নারী মুমিন অবস্থায় সৎকর্ম করে তারাই জান্নাতে প্রবেশ করবে। তথায় তাদেরকে বে-হিসাব রিযিক দেয়া হবে।
“He that works evil will not be requited but by the like thereof: and he that works a righteous deed – whether man or woman – and is a Believer- such will enter the Garden (of Bliss): Therein will they have abundance without measure.
مَنْ عَمِلَ سَيِّئَةً فَلَا يُجْزَى إِلَّا مِثْلَهَا وَمَنْ عَمِلَ صَالِحًا مِّن ذَكَرٍ أَوْ أُنثَى وَهُوَ مُؤْمِنٌ فَأُوْلَئِكَ يَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ يُرْزَقُونَ فِيهَا بِغَيْرِ حِسَابٍ
Man AAamila sayyi-atan fala yujza illa mithlaha waman AAamila salihan min thakarin aw ontha wahuwa mu/minun faola-ika yadkhuloona aljannata yurzaqoona feeha bighayri hisabin
YUSUFALI: “He that works evil will not be requited but by the like thereof: and he that works a righteous deed – whether man or woman – and is a Believer- such will enter the Garden (of Bliss): Therein will they have abundance without measure.
PICKTHAL: Whoso doeth an ill-deed, he will be repaid the like thereof, while whoso doeth right, whether male or female, and is a believer, (all) such will enter the Garden, where they will be nourished without stint.
SHAKIR: Whoever does an evil, he shall not be recompensed (with aught) but the like of it, and whoever does good, whether male or female, and he is a believer, these shall enter the garden, in which they shall be given sustenance without measure.
KHALIFA: Whoever commits a sin is requited for just that, and whoever works righteousness – male or female – while believing, these will enter Paradise wherein they receive provisions without any limits.
৪০। ” যে মন্দ কাজ করে, সে কেবল তার কাজের অনুরূপ শাস্তি পাবে। কিন্তু যে মুমিন হয়ে সৎ কাজ করবে – পুরুষ বা নারী যেই হোক না কেন সে-ই [মহা প্রশান্তির ] জান্নাতে প্রবেশ করবে। সেখানে তাদের জন্য থাকবে প্রচুর পরিমাণে জীবনোপকরণ ৪৪১৩।
৪৪১৩। দেখুন [ ২ : ২২ ]। বেহেশতে যে জীবনোপকরণ আল্লাহ্ তার বান্দাদের জন্য দান করবেন তা হবে স্থায়ী ও অপরিমিত। যার যতটুকু পাওয়ার যোগ্যতা তার থেকে বহুগুণ বেশী হবে এই পাওয়া।
আয়াতঃ 040.041
হে আমার কওম, ব্যাপার কি, আমি তোমাদেরকে দাওয়াত দেই মুক্তির দিকে, আর তোমরা আমাকে দাওয়াত দাও জাহান্নামের দিকে।
“And O my people! How (strange) it is for me to call you to Salvation while ye call me to the Fire!
وَيَا قَوْمِ مَا لِي أَدْعُوكُمْ إِلَى النَّجَاةِ وَتَدْعُونَنِي إِلَى النَّارِ
Waya qawmi malee adAAookum ila alnnajati watadAAoonanee ila alnnari
YUSUFALI: “And O my people! How (strange) it is for me to call you to Salvation while ye call me to the Fire!
PICKTHAL: And, O my people! What aileth me that I call you unto deliverance when ye call me unto the Fire?
SHAKIR: And, O my people! how is it that I call you to salvation and you call me to the fire?
KHALIFA: “O my people, while I invite you to be saved, you invite me to the hellfire.
৪১। ” এবং হে আমার সম্প্রদায় ! কি আশ্চর্য ! আমি তোমাদের মুক্তির দিকে আহ্বান করছি, আর তোমরা আমাকে আগুনের দিকে আহ্বান করছো ৪৪১৪।
৪৪১৪। পার্থিব নিয়ম অনুযায়ী কেহ কারও প্রতি মন্দ আচরণ করলে, বিনিময়ে সেও মন্দ আচরণ লাভ করে থাকে। সে ভাবে বিচার করলে এটা সত্যিই আশ্চর্য যে মোমেন বান্দাটি তাঁর সম্প্রদায়কে সৎ পথে , চিরস্থায়ী সুখ ও শান্তির পথে আহ্বান করেছেন, বিনিময়ে তাঁর সম্প্রদায় তাঁকে জাহান্নামের বা ধ্বংসের পথে আহ্বান করে। তবে এতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নাই, কারণ এই-ই হচ্ছে মোমেন বান্দাদের গুণাবলী। তাদের সর্বদা চেষ্টা থাকে পাপীদের উদ্ধার করা।
আয়াতঃ 040.042
তোমরা আমাকে দাওয়াত দাও, যাতে আমি আল্লাহকে অস্বীকার করি এবং তাঁর সাথে শরীক করি এমন বস্তুকে, যার কোন প্রমাণ আমার কাছে নেই। আমি তোমাদেরকে দাওয়াত দেই পরাক্রমশালী, ক্ষমাশীল আল্লাহর দিকে।
“Ye do call upon me to blaspheme against Allah, and to join with Him partners of whom I have no knowledge; and I call you to the Exalted in Power, Who forgives again and again!”
تَدْعُونَنِي لِأَكْفُرَ بِاللَّهِ وَأُشْرِكَ بِهِ مَا لَيْسَ لِي بِهِ عِلْمٌ وَأَنَا أَدْعُوكُمْ إِلَى الْعَزِيزِ الْغَفَّارِ
TadAAoonanee li-akfura biAllahi waoshrika bihi ma laysa lee bihi AAilmun waana adAAookum ila alAAazeezi alghaffari
YUSUFALI: “Ye do call upon me to blaspheme against Allah, and to join with Him partners of whom I have no knowledge; and I call you to the Exalted in Power, Who forgives again and again!”
PICKTHAL: Ye call me to disbelieve in Allah and ascribe unto Him as partners that whereof I have no knowledge, while I call you unto the Mighty, the Forgiver.
SHAKIR: You call on me that I should disbelieve in Allah and associate with Him that of which I have no knowledge, and I call you to the Mighty, the most Forgiving;
KHALIFA: “You invite me to be unappreciative of GOD, and to set up beside Him idols that I do not recognize. I am inviting you to the Almighty, the Forgiver.
৪২। ” তোমরা আমাকে বলছো আল্লাহকে অস্বীকার করতে ৪৪১৫ , এবং আল্লাহ্র সাথে অংশীদার করতে যার সম্বন্ধে আমার কোন জ্ঞান নাই। পক্ষান্তরে আমি আহ্বান করছি মহাপরাক্রমশালীর দিকে ,যিনি বারে বারে ক্ষমা করে থাকেন।
৪৪১৫। প্রাচীন মিশরের লোকেরা ফেরাউনকে তাদের ঈশ্বররূপে পূঁজা করতো। অর্থাৎ ফেরাউনকে তারা আল্লাহ্র সমকক্ষ দাঁড় করাতো। প্রাচীন মিশরের এই অংশীবাদী বা শেরেকীর রূপ অদ্যাবধি বিভিন্ন রূপে সমাজে বিদ্যমান। যেমন : বীরপূঁজা , পশু পূঁজা, ভালো ও মন্দ ক্ষমতার পূঁজা , প্রাকৃতিক ক্ষমতার পূঁজা , অর্থ সম্পদের পূঁজা , মূর্তিপূঁজা ইত্যাদি। এ সকলই এক ধরণের বিকৃত ধর্মবিশ্বাস যার বিরুদ্ধে পুনঃপুন জনসাধারণকে সচেতন করা প্রয়োজন। আল্লাহ্ পাপীদের জন্য তাঁর ক্ষমার হস্ত প্রসারিত করে রেখেছেন ; তিনি তো পরাক্রমশালী ও ক্ষমাশীল।
আয়াতঃ 040.043
এতে সন্দেহ নেই যে, তোমরা আমাকে যার দিকে দাওয়াত দাও, হইকালে ও পরকালে তার কোন দাওয়াত নেই! আমাদের প্রত্যাবর্তন আল্লাহর দিকে এবং সীমা লংঘকারীরাই জাহান্নামী।
“Without doubt ye do call me to one who is not fit to be called to, whether in this world, or in the Hereafter; our return will be to Allah. and the Transgressors will be Companions of the Fire!
لَا جَرَمَ أَنَّمَا تَدْعُونَنِي إِلَيْهِ لَيْسَ لَهُ دَعْوَةٌ فِي الدُّنْيَا وَلَا فِي الْآخِرَةِ وَأَنَّ مَرَدَّنَا إِلَى اللَّهِ وَأَنَّ الْمُسْرِفِينَ هُمْ أَصْحَابُ النَّارِ
La jarama annama tadAAoonanee ilayhi laysa lahu daAAwatun fee alddunya wala fee al-akhirati waanna maraddana ila Allahi waanna almusrifeena hum as-habu alnnari
YUSUFALI: “Without doubt ye do call me to one who is not fit to be called to, whether in this world, or in the Hereafter; our return will be to Allah; and the Transgressors will be Companions of the Fire!
PICKTHAL: Assuredly that whereunto ye call me hath no claim in the world or in the Hereafter, and our return will be unto Allah, and the prodigals will be owners of the Fire.
SHAKIR: No doubt that what you call me to has no title to be called to in this world, nor in the hereafter, and that our turning back is to Allah, and that the extravagant are the inmates of the fire;
KHALIFA: “There is no doubt that what you invite me to do has no basis in this world, nor in the Hereafter, that our ultimate return is to GOD, and that the transgressors have incurred the hellfire.
৪৩। ” নিঃসন্দেহে তোমরা আমাকে আহ্বান করছো এমন একজনের দিকে যে এই দুনিয়াতে বা আখেরাতে কোথাও ডাকার যোগ্য নয় ৪৪১৬। বস্তুত আমাদের প্রত্যাবর্তন তো আল্লাহ্র নিকট ,এবং সীমালংঘনকারীরাই হবে আগুনের অধিবাসী।
৪৪১৬। বিশ্বাস বা ঈমান হচ্ছে অন্তরের ধন। আত্মার মাঝে প্রত্যয় উৎপাদনকারী দৃঢ় বিশ্বাস এবং অন্তর্দৃষ্টি বিশ্বাস বা ঈমানের অঙ্গ। অন্তরের বিশ্বাসকে বহু ভাবে উপস্থাপন করা যায়। এখানে এ ব্যাপারে তিনটি যুক্তির উত্থাপন করা হয়েছেঃ
১) ইহকাল ও পরলোক , আল্লাহ্ই একমাত্র উপাসনার যোগ্য।
২) আমাদের সকলকেই পৃথিবীর জীবন শেষে আল্লাহ্র নিকট ফিরে যেতে হবে। আল্লাহ্-ই একমাত্র শাশ্বত সত্য।
৩) আল্লাহ্ ব্যতীত অন্য কিছুর উপাসনা হচ্ছে মিথ্যার উপাসনা।মিথ্যার উপাসনাকারীরা সীমালংঘনকারী – সুতারাং তারা শাস্তির যোগ্য। একমাত্র আল্লাহ্র করুণাই তাদের রক্ষা করতে পারে। আল্লাহ্ আন্তরিক অনুতাপকারীকে সর্বদাই ক্ষমা করে দেন।
আয়াতঃ 040.044
আমি তোমাদেরকে যা বলছি, তোমরা একদিন তা স্মরণ করবে। আমি আমার ব্যাপার আল্লাহর কাছে সমর্পণ করছি। নিশ্চয় বান্দারা আল্লাহর দৃষ্টিতে রয়েছে।
“Soon will ye remember what I say to you (now), My (own) affair I commit to Allah. for Allah (ever) watches over His Servants.”
فَسَتَذْكُرُونَ مَا أَقُولُ لَكُمْ وَأُفَوِّضُ أَمْرِي إِلَى اللَّهِ إِنَّ اللَّهَ بَصِيرٌ بِالْعِبَادِ
Fasatathkuroona ma aqoolu lakum waofawwidu amree ila Allahi inna Allaha baseerun bialAAibadi
YUSUFALI: “Soon will ye remember what I say to you (now), My (own) affair I commit to Allah: for Allah (ever) watches over His Servants.”
PICKTHAL: And ye will remember what I say unto you. I confide my cause unto Allah. Lo! Allah is Seer of (His) slaves.
SHAKIR: So you shall remember what I say to you, and I entrust my affair to Allah, Surely Allah sees the servants.
KHALIFA: “Some day you will remember what I am telling you now. I leave the judgment of this matter to GOD; GOD is the Seer of all the people.”
৪৪। “শীঘ্রই তোমরা স্মরণ করবে আমি তোমাদের [ এখন ] যা বলছি ৪৪১৭। আমি আমার [ নিজের ] ব্যাপারে আল্লাহতে সমর্পন করেছি। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তাঁর বান্দাদের প্রতি দৃষ্টি রাখেন।”
৪৪১৭। আয়াতের বক্তব্য থেকে অনুমিত হয় যে বক্তাকে হত্যা করার পরিকল্পনা করা হয়েছিলো। পরবর্তী আয়াত থেকে প্রতীয়মান হয় যে তিনি আল্লাহ্র রহমতে রক্ষা পান। মোমেন ব্যক্তিটি শেষ পর্যন্ত তাঁর সম্প্রদায়ের কথা চিন্তা করেছেন। তাঁর বক্তব্য ছিলো, ” তোমরা আমার সম্বন্ধে যাই-ই কর না কেন তাতে কিছু যায় বা আসে না। তোমরা একদিন হয়তো আমার সর্তকবাণী স্মরণ করবে, কিন্তু তখন হয়তো অনেক দেরী হয়ে যাবে। অনুতাপ করার আর সময় থাকবে না। আমি আমার সর্ব ব্যাপার আল্লাহ্র হস্তে অর্পন করেছি। আমি জানি আল্লাহ্ তাঁর বান্দাদের প্রতি সবিশেষ দৃষ্টি রাখেন।
আয়াতঃ 040.045
অতঃপর আল্লাহ তাকে তাদের চক্রান্তের অনিষ্ট থেকে রক্ষা করলেন এবং ফেরাউন গোত্রকে শোচনীয় আযাব গ্রাস করল।
Then Allah saved him from (every) ill that they plotted (against him), but the burnt of the Penalty encompassed on all sides the People of Pharaoh.
فَوَقَاهُ اللَّهُ سَيِّئَاتِ مَا مَكَرُوا وَحَاقَ بِآلِ فِرْعَوْنَ سُوءُ الْعَذَابِ
Fawaqahu Allahu sayyi-ati ma makaroo wahaqa bi-ali firAAawna soo-o alAAathabi
YUSUFALI: Then Allah saved him from (every) ill that they plotted (against him), but the burnt of the Penalty encompassed on all sides the People of Pharaoh.
PICKTHAL: So Allah warded off from him the evils which they plotted, while a dreadful doom encompassed Pharaoh’s folk,
SHAKIR: So Allah protected him from the evil (consequences) of what they planned, and the most evil punishment overtook Firon’s people:
KHALIFA: GOD then protected him from their evil schemes, while the people of Pharaoh have incurred the worst retribution.
৪৫। অতঃপর ,তারা [ তার বিরুদ্ধে ] যে ষড়যন্ত্র করেছিলো তার [ প্রতিটি ] অনিষ্ট থেকে আল্লাহ্ তাকে রক্ষা করলেন। কিন্তু শাস্তির প্রচন্ডতা ফেরাউনের লোকজনদের চারিদিক থেকে ঘিরে ধরলো ৪৪১৮।
৪৪১৮। হযরত মুসার সময়ে ফেরাউন ও তার সম্প্রদায় বহু প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়। দেখুন আয়াত [৭ : ১৩০ – ১৩৬ ]। কিন্তু সেগুলি ছিলো আল্লাহ্র তরফ থেকে প্রেরিত শাস্তি স্বরূপ। কিন্তু পরবর্তী আয়াতে যে শাস্তির কথা বর্ণনা করা হয়েছে তার তুলনায় এ শাস্তি কিছু নয়।
আয়াতঃ 040.046
সকালে ও সন্ধ্যায় তাদেরকে আগুনের সামনে পেশ করা হয় এবং যেদিন কেয়ামত সংঘটিত হবে, সেদিন আদেশ করা হবে, ফেরাউন গোত্রকে কঠিনতর আযাবে দাখিল কর।
In front of the Fire will they be brought, morning and evening: And (the sentence will be) on the Day that Judgment will be established: “Cast ye the People of Pharaoh into the severest Penalty!”
النَّارُ يُعْرَضُونَ عَلَيْهَا غُدُوًّا وَعَشِيًّا وَيَوْمَ تَقُومُ السَّاعَةُ أَدْخِلُوا آلَ فِرْعَوْنَ أَشَدَّ الْعَذَابِ
Alnnaru yuAAradoona AAalayha ghuduwwan waAAashiyyan wayawma taqoomu alssaAAatu adkhiloo ala firAAawna ashadda alAAathabi
YUSUFALI: In front of the Fire will they be brought, morning and evening: And (the sentence will be) on the Day that Judgment will be established: “Cast ye the People of Pharaoh into the severest Penalty!”
PICKTHAL: The Fire; they are exposed to it morning and evening; and on the day when the Hour upriseth (it is said): Cause Pharaoh’s folk to enter the most awful doom.
SHAKIR: The fire; they shall be brought before it (every) morning and evening and on the day when the hour shall come to pass: Make Firon’s people enter the severest chastisement.
KHALIFA: The Hell will be shown to them day and night, and on the Day of Resurrection: “Admit Pharaoh’s people into the worst retribution.”
৪৬। সকাল ও সন্ধ্যায় তাদের জাহান্নামের আগুনের সম্মুখে উপস্থিত করা হয়, ৪৪১৯ এবং যে দিন শেষ বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে, [ দণ্ডাদেশ হবে ] “ফেরাউনের লোকজনদের কঠিনতম শাস্তিতে নিক্ষেপ কর।”
৪৪১৯। “সকাল ও সন্ধ্যায় ” – বাগ্ধারা বিশেষ যার অর্থ সর্বক্ষণ। এই আয়াতে কবর আযাবের ইঙ্গিত আছে।
আয়াতঃ 040.047
যখন তারা জাহান্নামে পরস্পর বিতর্ক করবে, অতঃপর দূর্বলরা অহংকারীদেরকে বলবে, আমরা তোমাদের অনুসারী ছিলাম। তোমরা এখন জাহান্নামের আগুনের কিছু অংশ আমাদের থেকে নিবৃত করবে কি?
Behold, they will dispute with each other in the Fire! The weak ones (who followed) will say to those who had been arrogant, “We but followed you: Can ye then take (on yourselves) from us some share of the Fire?
وَإِذْ يَتَحَاجُّونَ فِي النَّارِ فَيَقُولُ الضُّعَفَاء لِلَّذِينَ اسْتَكْبَرُوا إِنَّا كُنَّا لَكُمْ تَبَعًا فَهَلْ أَنتُم مُّغْنُونَ عَنَّا نَصِيبًا مِّنَ النَّارِ
Wa-ith yatahajjoona fee alnnari fayaqoolu aldduAAafao lillatheena istakbaroo inna kunna lakum tabaAAan fahal antum mughnoona AAanna naseeban mina alnnari
YUSUFALI: Behold, they will dispute with each other in the Fire! The weak ones (who followed) will say to those who had been arrogant, “We but followed you: Can ye then take (on yourselves) from us some share of the Fire?
PICKTHAL: And when they wrangle in the Fire, the weak say unto those who were proud: Lo! we were a following unto you; will ye therefor rid us of a portion of the Fire?
SHAKIR: And when they shall contend one with another in the fire, then the weak shall say to those who were proud: Surely we were your followers; will you then avert from us a portion of the fire?
KHALIFA: As they argue in Hell, the followers will say to their leaders, “We used to be your followers, can you spare us any part of this Hell?”
৪৭। দেখো তারা আগুনের মাঝে পরস্পরের সাথে বির্তক করবে ৪৪২০। দুর্বল [যারা অনুসরণ করতো ] বলবে উদ্ধতদের ” আমরা তো তোমাদেরই অনুসরণ করতাম , এখন কি তোমরা আমাদের থেকে জাহান্নামের আগুনের কিছু অংশ [তোমাদের উপরে ] নেবে ” ?
৪৪২০। আল্লাহ্র একত্বে বিশ্বাসের মাধ্যমে প্রকৃত সত্যের প্রতি অনুরাগ জন্মে। ফলে আত্মার মাঝে, ব্যক্তির চিন্তা ভাবনার জগতে সমন্বিত শৃঙ্খলা বিরাজ করে। কোনও ব্যাপারই তাকে বিভ্রান্তি ঘটাতে সক্ষম হয় না। আত্মসংযম, আত্মশৃঙ্খলা তার জীবনের চলার পথে হবে সাথী। যার পরিণতিতে তার ঘটে আত্মিক মুক্তি। অর্থাৎ সে পৃথিবীর লোভ লালসার উর্দ্ধে উঠতে সক্ষম হয়। এক কথায় আল্লাহ্র একত্বে বিশ্বাস , সত্যের প্রতি অনুরাগ ও সমন্বিত শৃঙ্খলার মাধ্যমে ব্যক্তির আত্মিক মুক্তি ঘটে যার ফলে তার জীবন স্বর্গীয় সুখে ভরে যায়। অপরপক্ষে ভর্ৎসনা বিবাদ-কলহ, এবং বিশৃঙ্খলা হচ্ছে দোযখের শাস্তির প্রতীক স্বরূপ।
আয়াতঃ 040.048
অহংকারীরা বলবে, আমরা সবাই তো জাহান্নামে আছি। আল্লাহ তাঁর বান্দাদের ফয়সালা করে দিয়েছেন।
Those who had been arrogant will say: “We are all in this (Fire)! Truly, Allah has judged between (his) Servants!”
قَالَ الَّذِينَ اسْتَكْبَرُوا إِنَّا كُلٌّ فِيهَا إِنَّ اللَّهَ قَدْ حَكَمَ بَيْنَ الْعِبَادِ
Qala allatheena istakbaroo inna kullun feeha inna Allaha qad hakama bayna alAAibadi
YUSUFALI: Those who had been arrogant will say: “We are all in this (Fire)! Truly, Allah has judged between (his) Servants!”
PICKTHAL: Those who were proud say: Lo! we are all (together) herein. Lo! Allah hath judged between (His) slaves.
SHAKIR: Those who were proud shall say: Surely we are all in it: surely Allah has judged between the servants.
KHALIFA: The leaders will say, “We are all in this together. GOD has judged among the people.”
৪৮। যারা উদ্ধত হয়েছিলো , তারা বলবে, ” আমরা সকলেই এই [আগুনে ] রয়েছি। অবশ্যই আল্লাহ্ বান্দাদের মধ্যে বিচার করে দিয়েছেন। ” ৪৪২১
৪৪২১। যারা পাপ কাজে অন্যকে প্রভাবিত করতে অভ্যস্ত ছিলো তাদের কৌশলপূর্ণ উত্তর এখানে অনুধাবনযোগ্য। তাদের বক্তব্য হবে নিম্নরূপ : ” আমরা কি তোমাদের মত সমপরিমাণ শাস্তি ভোগ করছি না ? আল্লাহ্র কাছে প্রার্থনা কর। তিনি তো বিচারের রায় দিয়ে দিয়েছেন।” দেখুন [ ১৪ : ২১ – ২২ ] আয়াত।
আয়াতঃ 040.049
যারা জাহান্নামে আছে, তারা জাহান্নামের রক্ষীদেরকে বলবে, তোমরা তোমাদের পালনকর্তাকে বল, তিনি যেন আমাদের থেকে একদিনের আযাব লাঘব করে দেন।
Those in the Fire will say to the Keepers of Hell: “Pray to your Lord to lighten us the Penalty for a day (at least)!”
وَقَالَ الَّذِينَ فِي النَّارِ لِخَزَنَةِ جَهَنَّمَ ادْعُوا رَبَّكُمْ يُخَفِّفْ عَنَّا يَوْمًا مِّنَ الْعَذَابِ
Waqala allatheena fee alnnari likhazanati jahannama odAAoo rabbakum yukhaffif AAanna yawman mina alAAathabi
YUSUFALI: Those in the Fire will say to the Keepers of Hell: “Pray to your Lord to lighten us the Penalty for a day (at least)!”
PICKTHAL: And those in the Fire say unto the guards of hell: Entreat your Lord that He relieve us of a day of the torment.
SHAKIR: And those who are in the fire shall say to the keepers of hell: Call upon your Lord that He may lighten to us one day of the punishment.
KHALIFA: Those in the hellfire will say to the guardians of Hell, “Call upon your Lord to reduce the retribution for us, for even one day.”
৪৯। যারা আগুনের মাঝে রয়েছে , তারা জাহান্নামের দ্বাররক্ষীকে বলবে , ৪৪২২, ” তোমাদের প্রভুর নিকট প্রার্থনা কর, তিনি যেনো [নিদেন পক্ষে ] এক দিনের জন্য শাস্তি হালকা করে দেন। ”
৪৪২২। হতভাগ্য বিপথগামী তারাই যারা অন্যের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে সত্যপথকে ত্যাগ করেছিলো। পরলোকে তারা তাদের প্রকৃত অবস্থা উপলব্ধি করতে পারবে। তারা তখন দোযখের প্রহরীকে অনুরোধ করবে তাদের জন্য আল্লাহ্র নিকট প্রার্থনা করতে। কিন্তু প্রহরীদের নিযুক্ত করা হয়েছে পাহারার কাজে ; সুপারিশের জন্য নয়। তারা আশ্চর্য হয়ে জিজ্ঞাসা করবে ; ” তোমাদিগের নিকট কি স্পষ্ট নিদর্শনসহ তোমাদিগের রাসুলগণ আসে নাই ? “
আয়াতঃ 040.050
রক্ষীরা বলবে, তোমাদের কাছে কি সুস্পষ্ট প্রমাণাদিসহ তোমাদের রসূল আসেননি? তারা বলবে হঁ্যা। রক্ষীরা বলবে, তবে তোমরাই দোয়া কর। বস্তুতঃ কাফেরদের দোয়া নিস্ফলই হয়।
They will say: “Did there not come to you your apostles with Clear Signs?” They will say, “Yes”. They will reply, “Then pray (as ye like)! But the prayer of those without Faith is nothing but (futile wandering) in (mazes of) error!”
قَالُوا أَوَلَمْ تَكُ تَأْتِيكُمْ رُسُلُكُم بِالْبَيِّنَاتِ قَالُوا بَلَى قَالُوا فَادْعُوا وَمَا دُعَاء الْكَافِرِينَ إِلَّا فِي ضَلَالٍ
Qaloo awa lam taku ta/teekum rusulukum bialbayyinati qaloo bala qaloo faodAAoo wama duAAao alkafireena illa fee dalalin
YUSUFALI: They will say: “Did there not come to you your messengers with Clear Signs?” They will say, “Yes”. They will reply, “Then pray (as ye like)! But the prayer of those without Faith is nothing but (futile wandering) in (mazes of) error!”
PICKTHAL: They say: Came not your messengers unto you with clear proofs? They say: Yea, verily. They say: Then do ye pray, although the prayer of disbelievers is in vain.
SHAKIR: They shall say: Did not your messengers come to you with clear arguments? They shall say: Yea. They shall say: Then call. And the call of the unbelievers is only in error.
KHALIFA: They will say, “Did you not receive your messengers who delivered to you clear messages?” They will reply, “Yes we did.” They will say, “Then implore (as much as you wish); the imploring of the disbelievers is always in vain.”
৫০। তারা বলবে, ” তোমাদের নিকট কি স্পষ্ট নিদর্শনসহ রাসুলদের আগমন ঘটে নাই ? ” তারা বলবে, ” হ্যাঁ “। তখন প্রহরীরা বলবে, ” তবে প্রার্থনা কর [ তোমাদের ইচ্ছা মত ] ! কিন্তু যাদের ঈমান নাই তাদের প্রার্থনা ব্যর্থই হয় ৪৪২৩। ”
৪৪২৩। উত্তর হবে হ্যাঁ সূচক। প্রকৃত সত্যকে তাদের সম্মুখে প্রকাশ করা হবে , ” এখন কোনও প্রার্থনা করার সময় নয় বা আল্লাহ্র করুণা লাভ করারও উপায় নাই। সর্বাপেক্ষা বড় কথা আল্লাহ্র একত্বে বিশ্বাসহীন প্রার্থনা মূল্যহীন। [ ১৩ : ১৪ ] আয়াত দেখুন।
আয়াতঃ 040.051
আমি সাহায্য করব রসূলগণকে ও মুমিনগণকে পার্থিব জীবনে ও সাক্ষীদের দন্ডায়মান হওয়ার দিবসে।
We will, without doubt, help our apostles and those who believe, (both) in this world’s life and on the Day when the Witnesses will stand forth,-
إِنَّا لَنَنصُرُ رُسُلَنَا وَالَّذِينَ آمَنُوا فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَيَوْمَ يَقُومُ الْأَشْهَادُ
Inna lanansuru rusulana waallatheena amanoo fee alhayati alddunya wayawma yaqoomu al-ashhadu
YUSUFALI: We will, without doubt, help our messengers and those who believe, (both) in this world’s life and on the Day when the Witnesses will stand forth,-
PICKTHAL: Lo! We verily do help Our messengers, and those who believe, in the life of the world and on the day when the witnesses arise,
SHAKIR: Most surely We help Our messengers, and those who believe, in this world’s life and on the day when the witnesses shall stand
KHALIFA: Most assuredly, we will give victory to our messengers and to those who believe, both in this world and on the day the witnesses are summoned.
রুকু – ৬
৫১। নিঃসন্দেহে , আমি আমার রাসুলদের এবং যারা ঈমান আনে [ উভয়কে ] সাহায্য করবো এই পার্থিব জীবনে এবং সেদিন , যেদিন সাক্ষীরা দণ্ডায়মান হবে [হাশরের দিনে ] ৪৪২৪।
৪৪২৪। শেষ বিচারের দিনকে এভাবে বর্ণনা করা হয়েছে , ” যেদিন সাক্ষীগণ দন্ডায়মান হবে।” এই বর্ণনার অন্তর্নিহিত তথ্যকে দুভাবে ব্যাখ্যা করা যায় : ১) সেদিন প্রত্যেকের প্রতি ন্যায় বিচার করা হবে এবং এই ন্যায় বিচারের ভিত্তি হবে বান্দার পার্থিব জীবনের কার্য-কলাপ। আল্লাহ্র নেয়ামত সকল মানুষ সমভাবে লাভ করে না। পৃথিবীর অগ্রযাত্রায় সভ্যতার বিকাশ কল্পে আল্লাহ্র পরিকল্পনা অনুযায়ী আল্লাহ্র নেয়ামত কেউ বেশী ভোগ করে কেউ কম। মেধা, মননশক্তি , মানসিক দক্ষতা , সৃজন ক্ষমতা , সুযোগ সুবিধা , পারিপার্শ্বিক অবস্থা এ সবই আল্লাহ্র দান। আল্লাহ্র দান বা অনুগ্রহের দায়িত্বও বান্দাকে বহন করতে হবে বৈকি। না হলে পরলোকে এসব দানের হিসাব সে দেবে কিরূপে ? তার সর্ব অঙ্গ তার বিরুদ্ধে সেদিন সাক্ষী দান করবে। [ ২৪ : ২৪ ]। প্রকৃতপক্ষে সে নিজেই তার নিজের বিরুদ্ধে সাক্ষী হবে। [৬ : ১৩০ ]। ২) নবী রসুল ও পূণ্যাত্মা ব্যক্তিরা যারা পৃথিবীতে মানুষকে সত্যের পথে আহ্বান করেছেন তারা সাক্ষী দেবেন যে, তারা আন্তরিক ও বিশ্বস্ততার সাথে সত্যকে প্রচার করেছেন কিন্তু সকলে তা গ্রহণ করে নাই।
আয়াতঃ 040.052
সে দিন যালেমদের ওযর-আপত্তি কোন উপকারে আসবে না, তাদের জন্যে থাকবে অভিশাপ এবং তাদের জন্যে থাকবে মন্দ গৃহ।
The Day when no profit will it be to Wrong-doers to present their excuses, but they will (only) have the Curse and the Home of Misery.
يَوْمَ لَا يَنفَعُ الظَّالِمِينَ مَعْذِرَتُهُمْ وَلَهُمُ اللَّعْنَةُ وَلَهُمْ سُوءُ الدَّارِ
Yawma la yanfaAAu alththalimeena maAAthiratuhum walahumu allaAAnatu walahum soo-o alddari
YUSUFALI: The Day when no profit will it be to Wrong-doers to present their excuses, but they will (only) have the Curse and the Home of Misery.
PICKTHAL: The day when their excuse availeth not the evil-doers, and theirs is the curse, and theirs the ill abode.
SHAKIR: The day on which their excuse shall not benefit the unjust, and for them is curse and for them is the evil abode.
KHALIFA: On that day, the apologies of the disbelievers will not benefit them. They have incurred condemnation; they have incurred the worst destiny.
৫২। যেদিন পাপীদের ওজর আপত্তি কোন উপকারে আসবে না। তাদের জন্য রয়েছে [ শুধু ] অভিশাপ এবং কষ্টকর মন্দ বাসস্থান ৪৪২৫।
৪৪২৫। পরলোকে পাপী ও পূণ্যাত্মাদের অবস্থান পূর্বের আয়াতে আল্লাহ্ পরিষ্কার ভাবে বর্ণনা করেছেন। এই ঐশ্বরিক বিধানের পরে আর কোনও ওজর আপত্তি করা বৃথা। কোনও অজুহাত বা ওজর আপত্তি সেদিন কোনও কাজে আসবে না। পৃথিবীর জীবনে লোক দেখানো কাজ বা মিথ্যা ওজর বা মিথ্যা বিশ্বাস দ্বারা সমাজ জীবনে ধোঁকা দেয়া যায়। সেদিন এরূপ প্রতারণামূলক উদ্দেশ্য কোনও কাজে আসবে না।
আয়াতঃ 040.053
নিশ্চয় আমি মূসাকে হেদায়েত দান করেছিলাম এবং বনী ইসরাঈলকে কিতাবের উত্তরাধিকারী করেছিলাম।
We did aforetime give Moses the (Book of) Guidance, and We gave the book in inheritance to the Children of Israel,-
وَلَقَدْ آتَيْنَا مُوسَى الْهُدَى وَأَوْرَثْنَا بَنِي إِسْرَائِيلَ الْكِتَابَ
Walaqad atayna moosa alhuda waawrathna banee isra-eela alkitaba
YUSUFALI: We did aforetime give Moses the (Book of) Guidance, and We gave the book in inheritance to the Children of Israel,-
PICKTHAL: And We verily gave Moses the guidance, and We caused the Children of Israel to inherit the Scripture,
SHAKIR: And certainly We gave Musa the guidance, and We made the children of Israel inherit the Book,
KHALIFA: We have given Moses the guidance, and made the Children of Israel inherit the scripture.
৫৩। পূর্বে আমি মুসাকে দান করেছিলাম [পথ নিদ্দের্শক ] কিতাব ৪৪২৬ এবং বনী ইসরাঈলীদের উত্তরাধিকারী করেছিলাম সেই কিতাবের –
৪৪২৬। হযরত মুসাকে আল্লাহ্ প্রত্যাদেশের মাধ্যমে পথ নির্দ্দেশ প্রেরণ করেন। এই পথ নির্দ্দেশ বা কিতাব পরবর্তীতে ইসরাঈলীরা উত্তরাধিকার সুত্রে প্রাপ্ত হয়। আল্লাহ্ তাদের এই পথ নির্দ্দেশ প্রদান করেন যেনো তারা তা রক্ষণাবেক্ষণ করে ; সে অনুযায়ী জীবন যাপন করে এবং এর মূল কাহিনীকে জীবনে সর্বোচ্চ স্থান দেয়। কিন্তু তারা তা করতে ব্যর্থ হয়। পরের আয়াতে বলা হয়েছে এই কিতাব ,” পথ নির্দ্দেশ ও উপদেশ স্বরূপ।”
মন্তব্য : ” কোরান” শরীফকেও আল্লাহ প্রেরণ করেছেন পথ নির্দ্দেশ ও উপদেশ স্বরূপ বিশ্বমানবের জন্য। সুতারাং কোরাণের বাণীর মূল মর্মবাণীকে হৃদয়ের মাঝে উপলব্ধির প্রয়োজন আছে। সে কারণে কোরাণ পড়ে বুঝতে হবে। না বুঝে শুধুমাত্র আরবী পড়ে কোরাণ পাঠের দায়িত্ব ও কর্তব্য শেষ করলে কোরাণ শরীফের প্রতি প্রকৃত সম্মান প্রদর্শন করা হয় না।
আয়াতঃ 040.054
বুদ্ধিমানদের জন্যে উপদেশ ও হেদায়েত স্বরূপ।
A Guide and a Message to men of Understanding.
هُدًى وَذِكْرَى لِأُولِي الْأَلْبَابِ
Hudan wathikra li-olee al-albabi
YUSUFALI: A Guide and a Message to men of Understanding.
PICKTHAL: A guide and a reminder for men of understanding.
SHAKIR: A guidance and a reminder to the men of understanding.
KHALIFA: (Their history) is a lesson and a reminder for those who possess intelligence.
৫৪। [ যা ছিলো ] পথের নির্দ্দেশ এবং উপদেশ ; বোধশক্তি সম্পন্ন লোকদের জন্য।
৫৫। অতএব , ধৈর্য্য ধারণ কর অধ্যাবসায়ের সাথে ৪৪২৭ ; নিশ্চয়ই আল্লাহ্র প্রতিশ্রুতি সত্য। তোমার দোষত্রুটির জন্য ক্ষমা প্রার্থনা কর ৪৪২৮ এবং তোমার প্রভুর প্রশংসা ও গুণকীর্তন কর সন্ধ্যায় ও সকালে ৪৪২৯।
৪৪২৭। সময়ের ব্যবধানে ইসরাঈলীরা আল্লাহ্র কিতাবের মূল বক্তব্য পরিবর্তিত করে ফেলে, ফলে তারা তাদের মূল কিতাব হারিয়ে ফেলে। তারা আল্লাহ্র আইন লঙ্ঘন করতে থাকে। ফলে তারা আল্লাহ্র বাণীর দ্বারা জীবনকে মহিমান্বিত করতে ব্যর্থ হয়। একারণেই নূতন ভাবে আল্লাহ্র প্রত্যাদেশ প্রেরণের প্রয়োজন হয় এবং পূণ্যাত্মা রাসুলের [ সা ] নিকট আল্লাহ্র কিতাব প্রেরণ করা হয়। যদিও প্রথমে তা বিরোধীদের দ্বারা প্রত্যাখাত হয় এবং এই ধর্মের অনুসারীদের হত্যা ও নির্যাতনের সম্মুখীন হতে হয়, কিন্তু আল্লাহ্ অভয় দান করেছেন যে, এর ফলে নিরাশ বা হতাশ হওয়ার কিছু নাই। বরং এরূপ ক্ষেত্রে প্রচন্ড ধৈর্য্য ও অধ্যবসায়ের প্রয়োজন ,তাহলেই আল্লাহ্র রহমত লাভ করা যাবে ও সাফল্য লাভ ঘটবে।
উপদেশ : এই আয়াতের উপদেশ হচ্ছে : যে কোনও সৎকাজে প্রথমে প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হবে, কিন্তু মোমেন বান্দারা আল্লাহ্র উপরে ভরসা রেখে ধৈর্য অবলম্বন করবে এবং অধ্যবসায়ের সাথে আল্লাহ্র প্রদত্ত কর্তব্য কর্ম করে যাবে। আল্লাহ্র প্রতিশ্রুতি সত্য। জীবনের সর্বক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য।
৪৪২৮। মরণশীল মানুষ প্রত্যেকেই আল্লাহ্র করুণার পাত্র। কারণ পৃথিবীতে কারও পক্ষেই দোষত্রুটিহীন হওয়া সম্ভব নয়। পাপী, ও পূণ্যাত্মা প্রত্যেকেই স্ব-স্ব আধ্যাত্মিক অগ্রগতি অনুযায়ী আল্লাহ্র নিকট বিবেচনাধীন, প্রত্যেকেরই দোষত্রুটি বিদ্যমান। আল্লাহ্ এসব দোষত্রুটি ক্ষমা না করলে বহু পূর্বেই তারা ধ্বংস হয়ে যেতো [ ১৬ : ৬১ ]। সুতারাং মরণশীল প্রতিটি মানুষকে পাপী , পূণ্যাত্মা নির্বিশেষে আল্লাহ্র দরবারে ক্ষমা প্রার্থনা করা উচিত। পৃথিবীতে কেহই দোষত্রুটির উর্দ্ধে নয়। এমন কি আল্লাহ্র নিকটবর্তী বান্দারাও দোষত্রুটি মুক্ত হতে পারেন না। দেখুন উদাহরণ [ ৩৮ : ২৪ – ২৫ ] ও টিকা ৪১৭৫ – ৭৬]। এই আয়াতের মাধ্যমে আল্লাহ্ রসুলকে [ সা ] তার ত্রুটির জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করতে বলেছেন। নিজস্ব দায়িত্ব ব্যতীতও নবী রসুলদের তাদের উম্মতের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা এক মহান দায়িত্ব।
৪৪২৯। দেখুন আয়াত [৩ : ৪১ ]। ঊষালগ্ন এবং গোধূলী লগ্ন আল্লাহ্র ধ্যানের সর্বাপেক্ষা প্রকৃষ্ট সময়। এই দুটি হচ্ছে দিন ও রাত্রির সন্ধিক্ষণ। বিশ্ব প্রকৃতি , দিক্চক্রবাল রং এর পরিবর্তনের ধারাতে উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে যা মানুষের মনকেও প্রভাবিত করে। কিন্তু এখানে ” সকাল-সন্ধ্যা ” বাক্যটি একটি বাগধারা বিশেষ যে বাগ্ধারার অনুরূপ বাগ্ধারা বাংলাতে চালু আছে ” দিন ও রাত্রি ” যার অর্থ হচ্ছে সর্বক্ষণ , সকল সময়।
আয়াতঃ 040.055
অতএব, আপনি সবর করুন নিশ্চয় আল্লাহর ওয়াদা সত্য। আপনি আপনার গোনাহের জন্যে ক্ষমা প্রর্থনা করুন এবং সকাল-সন্ধ্যায় আপনার পালনকর্তার প্রশংসাসহ পবিত্রতা বর্ণনা করুন।
Patiently, then, persevere: for the Promise of Allah is true: and ask forgiveness for thy fault, and celebrate the Praises of thy Lord in the evening and in the morning.
فَاصْبِرْ إِنَّ وَعْدَ اللَّهِ حَقٌّ وَاسْتَغْفِرْ لِذَنبِكَ وَسَبِّحْ بِحَمْدِ رَبِّكَ بِالْعَشِيِّ وَالْإِبْكَارِ
Faisbir inna waAAda Allahi haqqun waistaghfir lithanbika wasabbih bihamdi rabbika bialAAashiyyi waal-ibkari
YUSUFALI: Patiently, then, persevere: for the Promise of Allah is true: and ask forgiveness for thy fault, and celebrate the Praises of thy Lord in the evening and in the morning.
PICKTHAL: Then have patience (O Muhammad). Lo! the promise of Allah is true. And ask forgiveness of thy sin, and hymn the praise of thy Lord at fall of night and in the early hours.
SHAKIR: Therefore be patient; surely the promise of Allah is true; and ask protection for your fault and sing the praise of your Lord in the evening and the morning.
KHALIFA: Therefore, be patient, for GOD’s promise is true, and ask forgiveness for your sin, and glorify and praise your Lord night and day.
৫৪। [ যা ছিলো ] পথের নির্দ্দেশ এবং উপদেশ ; বোধশক্তি সম্পন্ন লোকদের জন্য।
৫৫। অতএব , ধৈর্য্য ধারণ কর অধ্যাবসায়ের সাথে ৪৪২৭ ; নিশ্চয়ই আল্লাহ্র প্রতিশ্রুতি সত্য। তোমার দোষত্রুটির জন্য ক্ষমা প্রার্থনা কর ৪৪২৮ এবং তোমার প্রভুর প্রশংসা ও গুণকীর্তন কর সন্ধ্যায় ও সকালে ৪৪২৯।
৪৪২৭। সময়ের ব্যবধানে ইসরাঈলীরা আল্লাহ্র কিতাবের মূল বক্তব্য পরিবর্তিত করে ফেলে, ফলে তারা তাদের মূল কিতাব হারিয়ে ফেলে। তারা আল্লাহ্র আইন লঙ্ঘন করতে থাকে। ফলে তারা আল্লাহ্র বাণীর দ্বারা জীবনকে মহিমান্বিত করতে ব্যর্থ হয়। একারণেই নূতন ভাবে আল্লাহ্র প্রত্যাদেশ প্রেরণের প্রয়োজন হয় এবং পূণ্যাত্মা রাসুলের [ সা ] নিকট আল্লাহ্র কিতাব প্রেরণ করা হয়। যদিও প্রথমে তা বিরোধীদের দ্বারা প্রত্যাখাত হয় এবং এই ধর্মের অনুসারীদের হত্যা ও নির্যাতনের সম্মুখীন হতে হয়, কিন্তু আল্লাহ্ অভয় দান করেছেন যে, এর ফলে নিরাশ বা হতাশ হওয়ার কিছু নাই। বরং এরূপ ক্ষেত্রে প্রচন্ড ধৈর্য্য ও অধ্যবসায়ের প্রয়োজন ,তাহলেই আল্লাহ্র রহমত লাভ করা যাবে ও সাফল্য লাভ ঘটবে।
উপদেশ : এই আয়াতের উপদেশ হচ্ছে : যে কোনও সৎকাজে প্রথমে প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হবে, কিন্তু মোমেন বান্দারা আল্লাহ্র উপরে ভরসা রেখে ধৈর্য অবলম্বন করবে এবং অধ্যবসায়ের সাথে আল্লাহ্র প্রদত্ত কর্তব্য কর্ম করে যাবে। আল্লাহ্র প্রতিশ্রুতি সত্য। জীবনের সর্বক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য।
৪৪২৮। মরণশীল মানুষ প্রত্যেকেই আল্লাহ্র করুণার পাত্র। কারণ পৃথিবীতে কারও পক্ষেই দোষত্রুটিহীন হওয়া সম্ভব নয়। পাপী, ও পূণ্যাত্মা প্রত্যেকেই স্ব-স্ব আধ্যাত্মিক অগ্রগতি অনুযায়ী আল্লাহ্র নিকট বিবেচনাধীন, প্রত্যেকেরই দোষত্রুটি বিদ্যমান। আল্লাহ্ এসব দোষত্রুটি ক্ষমা না করলে বহু পূর্বেই তারা ধ্বংস হয়ে যেতো [ ১৬ : ৬১ ]। সুতারাং মরণশীল প্রতিটি মানুষকে পাপী , পূণ্যাত্মা নির্বিশেষে আল্লাহ্র দরবারে ক্ষমা প্রার্থনা করা উচিত। পৃথিবীতে কেহই দোষত্রুটির উর্দ্ধে নয়। এমন কি আল্লাহ্র নিকটবর্তী বান্দারাও দোষত্রুটি মুক্ত হতে পারেন না। দেখুন উদাহরণ [ ৩৮ : ২৪ – ২৫ ] ও টিকা ৪১৭৫ – ৭৬]। এই আয়াতের মাধ্যমে আল্লাহ্ রসুলকে [ সা ] তার ত্রুটির জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করতে বলেছেন। নিজস্ব দায়িত্ব ব্যতীতও নবী রসুলদের তাদের উম্মতের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা এক মহান দায়িত্ব।
৪৪২৯। দেখুন আয়াত [৩ : ৪১ ]। ঊষালগ্ন এবং গোধূলী লগ্ন আল্লাহ্র ধ্যানের সর্বাপেক্ষা প্রকৃষ্ট সময়। এই দুটি হচ্ছে দিন ও রাত্রির সন্ধিক্ষণ। বিশ্ব প্রকৃতি , দিক্চক্রবাল রং এর পরিবর্তনের ধারাতে উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে যা মানুষের মনকেও প্রভাবিত করে। কিন্তু এখানে ” সকাল-সন্ধ্যা ” বাক্যটি একটি বাগধারা বিশেষ যে বাগ্ধারার অনুরূপ বাগ্ধারা বাংলাতে চালু আছে ” দিন ও রাত্রি ” যার অর্থ হচ্ছে সর্বক্ষণ , সকল সময়।
আয়াতঃ 040.056
নিশ্চয় যারা আল্লাহর আয়াত সম্পর্কে বিতর্ক করে তাদের কাছে আগত কোন দলীল ব্যতিরেকে, তাদের অন্তরে আছে কেবল আত্নম্ভরিতা, যা অর্জনে তারা সফল হবে না। অতএব, আপনি আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করুন। নিশ্চয় তিনি সবকিছু শুনেন, সবকিছু দেখেন।
Those who dispute about the signs of Allah without any authority bestowed on them,- there is nothing in their breasts but (the quest of) greatness, which they shall never attain to: seek refuge, then, in Allah. It is He Who hears and sees (all things).
إِنَّ الَّذِينَ يُجَادِلُونَ فِي آيَاتِ اللَّهِ بِغَيْرِ سُلْطَانٍ أَتَاهُمْ إِن فِي صُدُورِهِمْ إِلَّا كِبْرٌ مَّا هُم بِبَالِغِيهِ فَاسْتَعِذْ بِاللَّهِ إِنَّهُ هُوَ السَّمِيعُ الْبَصِيرُ
Inna allatheena yujadiloona fee ayati Allahi bighayri sultanin atahum in fee sudoorihim illa kibrun ma hum bibaligheehi faistaAAith biAllahi innahu huwa alssameeAAu albaseeru
YUSUFALI: Those who dispute about the signs of Allah without any authority bestowed on them,- there is nothing in their breasts but (the quest of) greatness, which they shall never attain to: seek refuge, then, in Allah: It is He Who hears and sees (all things).
PICKTHAL: Lo! those who wrangle concerning the revelations of Allah without a warrant having come unto them, there is naught else in their breasts save pride which they will never attain. So take thou refuge in Allah. Lo! He, only He, is the Hearer, the Seer.
SHAKIR: Surely (as for) those who dispute about the communications of Allah without any authority that has come to them, there is naught in their breasts but (a desire) to become great which they shall never attain to; Therefore seek refuge in Allah, surely He is the Hearing, the Seeing.
KHALIFA: Surely, those who argue against GOD’s revelations without proof are exposing the arrogance that is hidden inside their chests, and they are not even aware of it. Therefore, seek refuge in GOD; He is the Hearer, the Seer.
৫৬। যদি কেহ বিধিসংগত ক্ষমতা লাভ ব্যতীত আল্লাহ্র নিদর্শন সম্বন্ধে বির্তক করে – তাহলে তাদের অন্তরে মহৎ হওয়ার [ আকাঙ্খা ] ব্যতীত অন্য কিছু নাই – যা তারা কখনও অর্জনে সক্ষম হবে না ৪৪৩০। অতএব আল্লাহ্র আশ্রয় প্রার্থনা কর, তিনিই [ সব ] শোনেন এবং দেখেন।
৪৪৩০। ” তাদের অন্তরে মহৎ হওয়ার [ আকাঙ্খা ] ব্যতীত অন্য কিছু নাই।” তারা আল্লাহ্র আয়াত সম্পর্কে কোন দলিল প্রমাণ ব্যতিরেকে তর্ক করে। এদের উদ্দেশ্য ধর্মকে অস্বীকার করা। রাসুলের যুগ গত হয়েছে বহু পূর্বে ; তবু আজও এদের অবস্থান সমভাবে বিদ্যমান। এরা ধর্মের নামে বির্তক করে এবং ধর্মের মাঝে বিভেদের সৃষ্টি করে। এর কারণ এই আয়াতে আল্লাহ্ প্রকাশ করেছেন – আর তা হচ্ছে নিজের শ্রেষ্ঠত্ব প্রচারের আকাঙ্খা। তাদের বির্তকের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে আত্ম মহিমা প্রচার। আত্ম -অহংকারের এও এক বিশেষ রূপ। ” উহাদের অন্তরে আছে কেবল অহংকার যা সফল হবার নয়।” আল্লাহ্র বিধান হচ্ছে এ সব আত্মগর্বে গর্বিত ব্যক্তিদের উদ্দেশ্য সফল হওয়ার নয়। কারণ তাদের কাজের কোনও মহৎ উদ্দেশ্য নাই। তাদের একমাত্র উদ্দেশ্যই হচ্ছে আত্মপ্রচারের মাধ্যমে নিজস্ব ক্ষমতা [ রাজনৈতিক বা ধর্মীয় ] অক্ষুন্ন রাখা। সুতারাং এ থেকে যেনো সাধারণ মানুষ শিক্ষাগ্রহণ করতে পারে।
মন্তব্য : এ কারণেই বাংলাদেশে ধর্মের নামে বিভিন্ন ঈদের জামাত সংঘটিত হয়। এ থেকে ধর্মের যারা ধারক বাহক বা রক্ষক বলে নিজেদের দাবী করেন তারা সাবধান হবেন।
আয়াতঃ 040.057
মানুষের সৃষ্টি অপেক্ষা নভোমন্ডল ও ভূ-মন্ডলের সৃষ্টি কঠিনতর। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ বোঝে না।
Assuredly the creation of the heavens and the earth is a greater (matter) than the creation of men: Yet most men understand not.
لَخَلْقُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ أَكْبَرُ مِنْ خَلْقِ النَّاسِ وَلَكِنَّ أَكْثَرَ النَّاسِ لَا يَعْلَمُونَ
Lakhalqu alssamawati waal-ardi akbaru min khalqi alnnasi walakinna akthara alnnasi la yaAAlamoona
YUSUFALI: Assuredly the creation of the heavens and the earth is a greater (matter) than the creation of men: Yet most men understand not.
PICKTHAL: Assuredly the creation of the heavens and the earth is greater than the creation of mankind; but most of mankind know not.
SHAKIR: Certainly the creation of the heavens and the earth is greater than the creation of the men, but most people do not know
KHALIFA: The creation of the heavens and the earth is even more awesome than the creation of the human being, but most people do not know.
৫৭। নিশ্চয়ই আসমান ও পৃথিবী সৃষ্টি ,মানুষ সৃষ্টি অপেক্ষা অধিকতর গুরুতর [ বিষয় ]। তথাপি অধিকাংশ মানুষ তা বুঝতে পারে না ৪৪৩১।
৪৪৩১। মহা বিশ্বের সৃষ্টি কোটি কোটি তারার সমষ্টিতে। অগণিত ছায়াপথের সমষ্টিতে এই মহাবিশ্বের সৃষ্টি। ক্ষুদ্র সৌর জগত তারই একটি অংশ মাত্র। অদপেক্ষা ক্ষুদ্র আমাদের এই গ্রহ, পৃথিবী যার নাম। সেই ক্ষুদ্র পৃথিবীর কোটি কোটি সৃষ্ট পদার্থের ভীড়ে মানুষও একটি ক্ষুদ্র অংশ। সমগ্র চিত্র অনুধাবন করলে স্রষ্টার বিশাল বিপুল সৃষ্টির সমারোহে মানুষের অস্তিত্ব অতি নগণ্য। সেই মানুষ কি ভাবে এত অহংকারপূর্ণ হতে পারে ? বিশ্ব ব্রহ্মান্ডের সমগ্র সৃষ্টির সে এক ক্ষুদ্র কণা মাত্র। এই বিশাল বিশ্ব ভূবনের স্রষ্টা মহান আল্লাহ্। তাঁর সৃষ্টি নৈপুন্যের জ্ঞান যুগ যুগ ধরে মানুষ অন্বেষণ করে আসছে – যে জ্ঞানের অপর নাম ” বিজ্ঞান “। তবুও মানুষ সে জ্ঞানের সীমানার সন্ধান লাভ করে নাই। নিউটনের ভাষ্য অনুযায়ী মানুষ জ্ঞান সমুদ্রের তীরে নুড়ি কুড়াচ্ছে মাত্র। মানুষের সর্বোচ্চ কল্পনাও আল্লাহ্র অসীম জ্ঞানের সীমানাকে উপলব্ধিতে অক্ষম। সুতারাং মানুষ কেন উদ্ধত গর্বভরে পুনরুত্থানকে অস্বীকার করে ? কেন সে আল্লাহ্র প্রত্যাদেশে বিশ্বাস স্থাপন করে না? কেন সে আত্মার অমরত্বে সন্দেহ পোষণ করে ? এর একটাই কারণ তা হচ্ছে আত্মগর্ব ও অহংকার তার প্রকৃত জ্ঞান চক্ষুকে আবরণে ঢেকে রাখে। ফলে সে প্রকৃত সত্যকে উপলব্ধিতে অক্ষম। দেখুন পরবর্তী টিকা।
আয়াতঃ 040.058
অন্ধ ও চক্ষুষ্মান সমান নয়, আর যারা বিশ্বাস স্থাপন করে ও সৎকর্ম করে এবং কুকর্মী। তোমরা অল্পই অনুধাবন করে থাক।
Not equal are the blind and those who (clearly) see: Nor are (equal) those who believe and work deeds of righteousness, and those who do evil. Little do ye learn by admonition!
وَمَا يَسْتَوِي الْأَعْمَى وَالْبَصِيرُ وَالَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ وَلَا الْمُسِيءُ قَلِيلًا مَّا تَتَذَكَّرُونَ
Wama yastawee al-aAAma waalbaseeru waallatheena amanoo waAAamiloo alssalihati wala almusee-o qaleelan ma tatathakkaroona
YUSUFALI: Not equal are the blind and those who (clearly) see: Nor are (equal) those who believe and work deeds of righteousness, and those who do evil. Little do ye learn by admonition!
PICKTHAL: And the blind man and the seer are not equal, neither are those who believe and do good works (equal with) the evil-doer. Little do ye reflect!
SHAKIR: And the blind and the seeing are not alike, nor those who believe and do good and the evil-doer; little is it that you are mindful.
KHALIFA: Not equal are the blind and the seer. Nor are those who believe and work righteousness equal to the sinners. Rarely do you take heed.
৫৮। অন্ধ এবং যারা [ পরিষ্কার ] দেখতে পায় , তারা সমান নয় ৪৪৩২। যারা বিশ্বাস করে ও সৎকাজ করে তারা, যারা মন্দ কাজ করে তাদের সমান নয়। উপদেশ দ্বারা তোমরা খুব সামান্যই শিক্ষা লাভ করে থাক।
৪৪৩২। ইসলাম ধর্মের মূল কথা অন্তরের ঐকান্তিক বিশ্বাস বা ঈমান এক আল্লাহ্র প্রতি। শুধু বিশ্বাসই শেষ কথা নয়। বিশ্বাসকে সৎকর্মের মাধ্যমে চরিত্রে প্রতিফলিত করতে হবে তবেই সে পূণ্যাত্মা বা মোমেন বান্দা রূপে আল্লাহ্র নিকট পরিগণিত হবে। যে লোক বিশ্বাস বা ঈমানকে সৎকর্মের মাধ্যমে তার চরিত্রে প্রতিফলিত করে তাদের জন্য আল্লাহ্ দিব্য জ্ঞানের দৃষ্টি উম্মীলিত করেন। এদেরকেই এই আয়াতে চক্ষুষ্মান ব্যক্তি বলা হয়েছে। কারণ তারা হন অন্তর্দৃষ্টি ও প্রজ্ঞা সম্পন্ন। ফলে তারা জীবনের প্রতিটি ঘটনাকে তার প্রকৃত অবস্থা অনুযায়ী উপলব্ধিতে সক্ষম এবং তারা হন বিচক্ষণ ও দূরদৃষ্টি সম্পন্ন ফলে তারা দৃপ্ত পদক্ষেপে আল্লাহ্র প্রদর্শিত পথে পদচারণা করেন। যারা পাপ কাজে নিমগ্ন থাকে তাদের তুলনা করা হয়েছে অন্ধ ব্যক্তির সাথে। কারণ পাপের কালিমা তাদের অন্তর্দৃষ্টিকে ঢেকে দেয়; ফলে তারা হয় জ্ঞান, প্রজ্ঞা ও দিব্যজ্ঞান রহিত। আল্লাহ্ তাদের দিব্য জ্ঞান শূন্য করেন। এরা হয় আধ্যাত্মিক দিক থেকে অন্ধ [Spiritual blind ]। ফলে এদের চরিত্রে প্রকৃত জ্ঞান , বিচক্ষণতা ও প্রজ্ঞার অভাব পরিলক্ষিত হয়। আল্লাহ্র হেদায়েতের আলো এদের চারিপার্শ্বে উজ্জ্লভাবে দীপ্তিমান হওয়া সত্বেও এরা কিছুই দেখতে পায় না, উপলব্ধি করে না। অন্ধরা যেরূপ তার চারিপার্শ্বের আলোর বন্যাকে দেখতে পায় না। সুতারাং চক্ষুষ্মান হয়েও সে অন্ধ। সে ঈমান বা বিশ্বাসকে প্রতিহত করেছে। সুতারাং তার পক্ষে কোনও সর্তকবাণী থেকে শিক্ষা গ্রহণ করাও অসম্ভব।
আয়াতঃ 040.059
কেয়ামত অবশ্যই আসবে, এতে সন্দেহ নেই; কিন্ত অধিকাংশ লোক বিশ্বাস স্থাপন করে না।
The Hour will certainly come: Therein is no doubt: Yet most men believe not.
إِنَّ السَّاعَةَ لَآتِيَةٌ لَّا رَيْبَ فِيهَا وَلَكِنَّ أَكْثَرَ النَّاسِ لَا يُؤْمِنُونَ
Inna alssaAAata laatiyatun la rayba feeha walakinna akthara alnnasi la yu/minoona
YUSUFALI: The Hour will certainly come: Therein is no doubt: Yet most men believe not.
PICKTHAL: Lo! the Hour is surely coming, there is no doubt thereof; yet most of mankind believe not.
SHAKIR: Most surely the hour is coming, there is no doubt therein, but most people do not believe.
KHALIFA: Most certainly, the Hour (Day of Judgment) is coming, no doubt about it, but most people do not believe.
৫৯। কেয়ামত অবশ্যই আসবে ৪৪৩৩; এ সম্বন্ধে কোন সন্দেহ নাই। তবুও অধিকাংশ লোকে তা বিশ্বাস করে না।
৪৪৩৩। কেয়ামত হচ্ছে এই পৃথিবীতে মানুষের জীবন ধারার সমাপ্তি ঘোষণা। আবার অন্য অর্থে কেয়ামত হচ্ছে পরকালের সিংহদ্বার বিশেষ।
আয়াতঃ 040.060
তোমাদের পালনকর্তা বলেন, তোমরা আমাকে ডাক, আমি সাড়া দেব। যারা আমার এবাদতে অহংকার করে তারা সত্বরই জাহান্নামে দাখিল হবে লাঞ্ছিত হয়ে।
And your Lord says: “Call on Me; I will answer your (Prayer): but those who are too arrogant to serve Me will surely find themselves in Hell – in humiliation!”
وَقَالَ رَبُّكُمُ ادْعُونِي أَسْتَجِبْ لَكُمْ إِنَّ الَّذِينَ يَسْتَكْبِرُونَ عَنْ عِبَادَتِي سَيَدْخُلُونَ جَهَنَّمَ دَاخِرِينَ
Waqala rabbukumu odAAoonee astajib lakum inna allatheena yastakbiroona AAan AAibadatee sayadkhuloona jahannama dakhireena
YUSUFALI: And your Lord says: “Call on Me; I will answer your (Prayer): but those who are too arrogant to serve Me will surely find themselves in Hell – in humiliation!”
PICKTHAL: And your Lord hath said: Pray unto Me and I will hear your prayer. Lo! those who scorn My service, they will enter hell, disgraced.
SHAKIR: And your Lord says: Call upon Me, I will answer you; surely those who are too proud for My service shall soon enter hell abased.
KHALIFA: Your Lord says, “Implore Me, and I will respond to you. Surely, those who are too arrogant to worship Me will enter Gehenna, forcibly.”
৬০। এবং তোমাদের প্রভু বলে, ” আমাকে আহ্বান কর , আমি তোমাদের [ ডাকে ] সাড়া দিব। ৪৪৩৪ কিন্তু যারা অহংকার , ঔদ্ধত্যে আমার এবাদত থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়, নিশ্চয়ই তারা নিজেদের জাহান্নামে লাঞ্ছিত অবস্থায় দেখতে পাবে।” ৪৪৩৪
৪৪৩৪। নশ্বর দেহের ধ্বংস আছে ; কিন্তু আত্মা অমর। আল্লাহ্র নিকট থেকে এর যাত্রা শুরু আবার পরলোকে আল্লাহ্র নিকটই তার প্রত্যাবর্তন। সেখানেই আত্মার পরিপূর্ণতা, যাত্রার শেষ। এই যাত্রাপথে আমাদের আত্মিক পরিপূর্ণতার জন্য আমরা ইহকালের ও পরকালের জন্য আল্লাহ্র নিকট প্রার্থনা করতে পারি। এই আয়াতে আল্লাহ্ আমাদের সুসংবাদ দিয়েছেন যে, তিনি বান্দার প্রার্থনা শোনার জন্য ব্যকুল হয়ে থাকেন। এই ডাকের জন্য কোনও মাধ্যমের প্রয়োজন নাই। বান্দা ও স্রষ্টার মাঝে সরাসরি যোগাযোগ ঘটে। তিনি আমাদের প্রার্থনা শুনবেন ; ক্ষমা করবেন , হেদায়েত করবেন , এবং আমাদের জীবনের চলার পথকে বাধাহীন করবেন। কিন্তু স্রষ্টা ও মানুষের মধ্যে যে বাধার প্রাচীর ব্যবধান রচনা করে তা হচ্ছে মানুষের অহংকার ফলে তার পতন ঘটে ও তার জন্য অপমানকর শাস্তি আরোপিত হয় [ ৩৭ : ১৮ ] ও টিকা ৪০৪৪।
আয়াতঃ 040.061
তিনিই আল্লাহ যিনি রাত্র সৃষ্টি করেছেন তোমাদের বিশ্রামের জন্যে এবং দিবসকে করেছেন দেখার জন্যে। নিশ্চয় আল্লাহ মানুষের প্রতি অনুগ্রহশীল, কিন্তু অধিকাংশ মানুষ কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে না।
It is Allah Who has made the Night for you, that ye may rest therein, and the days as that which helps (you) to see. Verily Allah is full of Grace and Bounty to men: yet most men give no thanks.
اللَّهُ الَّذِي جَعَلَ لَكُمُ اللَّيْلَ لِتَسْكُنُوا فِيهِ وَالنَّهَارَ مُبْصِرًا إِنَّ اللَّهَ لَذُو فَضْلٍ عَلَى النَّاسِ وَلَكِنَّ أَكْثَرَ النَّاسِ لَا يَشْكُرُونَ
Allahu allathee jaAAala lakumu allayla litaskunoo feehi waalnnahara mubsiran inna Allaha lathoo fadlin AAala alnnasi walakinna akthara alnnasi la yashkuroona
YUSUFALI: It is Allah Who has made the Night for you, that ye may rest therein, and the days as that which helps (you) to see. Verily Allah is full of Grace and Bounty to men: yet most men give no thanks.
PICKTHAL: Allah it is Who hath appointed for you night that ye may rest therein, and day for seeing. Lo! Allah is a Lord of bounty for mankind, yet most of mankind give not thanks.
SHAKIR: Allah is He Who made for you the night that you may rest therein and the day to see; most surely Allah is Gracious to men, but most men do not give thanks.
KHALIFA: GOD is the One who designed the night so you can rest in it, and the day lighted. GOD bestows many blessings upon the people, but most people are not thankful.
রুকু – ৭
৬১। আল্লাহ্-ই তোমাদের বিশ্রামের জন্য রাত্রিকে সৃষ্টি করেছেন ৪৪৩৫ এবং [ তোমাদের ] দেখার সুবিধার জন্য দিনকে করেছেন [ আলোকজ্জ্বল ]। অবশ্যই আল্লাহ্ মানুষের প্রতি করুণা ও অনুগ্রহে পূর্ণ। তবুও অধিকাংশ লোকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে না।
৪৪৩৫। আমাদের প্রাত্যহিক জীবনের দিন ও রাত্রির পরিক্রমাকে বহুবার উপমা হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। দিন ও রাত্রির পটভূমিতে মানুষের মনোযোগ আকর্ষণ করা হয়েছে আল্লাহ্র রহমত ও অনুগ্রহের প্রতি। আল্লাহ্র অনুগ্রহসমূহ হৃদয়ে উপলব্ধির মাধ্যমে , আমাদের উচিত আল্লাহ্র এবাদত করা , তাঁর হেদায়েতের জন্য প্রার্থনা করা , একমাত্র তাঁরই উপরে নির্ভর করা , এবং শুধুমাত্র কৃতজ্ঞতার সাথে তাঁরই প্রশংসা করা।
আয়াতঃ 040.062
তিনি আল্লাহ, তোমাদের পালনকর্তা, সব কিছুর স্রষ্টা। তিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। অতএব তোমরা কোথায় বিভ্রান্ত হচ্ছ?
Such is Allah, your Lord, the Creator of all things, there is no god but He: Then how ye are deluded away from the Truth!
ذَلِكُمُ اللَّهُ رَبُّكُمْ خَالِقُ كُلِّ شَيْءٍ لَّا إِلَهَ إِلَّا هُوَ فَأَنَّى تُؤْفَكُونَ
Thalikumu Allahu rabbukum khaliqu kulli shay-in la ilaha illa huwa faanna tu/fakoona
YUSUFALI: Such is Allah, your Lord, the Creator of all things, there is no god but He: Then how ye are deluded away from the Truth!
PICKTHAL: Such is Allah, your Lord, the Creator of all things, There is no Allah save Him. How then are ye perverted?
SHAKIR: That is Allah, your Lord, the Creator of everything; there is no Allah but He; whence are you then turned away?
KHALIFA: Such is GOD your Lord, the Creator of all things. There is no god except He. How could you deviate?
৬২। ইনিই আল্লাহ্, তোমাদের প্রভু, সকল জিনিষের স্রষ্টা। তিনি ব্যতীত অন্য কোন উপাস্য নাই। তাহলে কিভাবে তোমরা সত্য থেকে বিভ্রান্ত হচ্ছ ? ৪৪৩৬
৪৪৩৬। যদি আমরা আল্লাহ্ ব্যতীত অন্য কিছুর প্রতি আমাদের এবাদত নিবেদন করি যেমন আত্ম অহংকার , তবে তা আমাদের চিত্তে বিভ্রান্তি ঘটাবে ও আমাদের পথভ্রান্ত করবে। আল্লাহ্র অনুগ্রহের পরিবর্তে কৃতজ্ঞতা জানানো উচিত। তার পরিবর্তে মিথ্যা উপাস্যের উপাসনা অকৃতজ্ঞতার নিদর্শন ফলে আল্লাহ্র প্রদত্ত বোধশক্তির তারা সঠিক ব্যবহারে অপারগ হয়, তারা হয় বিভ্রা
আয়াতঃ 040.063
এমনিভাবে তাদেরকে বিভ্রান্ত করা হয়, যারা আল্লাহর আয়াতসমূহকে অস্বীকার করে।
Thus are deluded those who are wont to reject the Signs of Allah.
كَذَلِكَ يُؤْفَكُ الَّذِينَ كَانُوا بِآيَاتِ اللَّهِ يَجْحَدُونَ
Kathalika yu/faku allatheena kanoo bi-ayati Allahi yajhadoona
YUSUFALI: Thus are deluded those who are wont to reject the Signs of Allah.
PICKTHAL: Thus are they perverted who deny the revelations of Allah.
SHAKIR: Thus were turned away those who denied the communications of Allah.
KHALIFA: Deviating are those who disregard GOD’s revelations.
৬৩। যারা আল্লাহ্র নিদর্শনকে প্রত্যাখান করে , এভাবেই তাদের বিভ্রান্ত করা হয়ে থাকে ৪৪৩৭।
৪৪৩৭। দেখুন উপরের দুইটি টিকা। মানুষ যখন আল্লাহ্র প্রত্যাদেশকে প্রত্যাখান করে , আল্লাহ্র নিদর্শনাবলীকে অস্বীকার করে তখনই মানুষ আল্লাহ্ ব্যতীত অন্য উপাস্যের উপাসনার দিকে আকৃষ্ট হয়। কারণ ঈমানহীন বা বিশ্বাসহীন আত্মার মাঝে আল্লাহ্র নূর প্রবেশ লাভ না করার ফলে আত্মার মাঝে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়।
আয়াতঃ 040.064
আল্লাহ, পৃথিবীকে করেছেন তোমাদের জন্যে বাসস্থান, আকাশকে করেছেন ছাদ এবং তিনি তোমাদেরকে আকৃতি দান করেছেন, অতঃপর তোমাদের আকৃতি সুন্দর করেছেন এবং তিনি তোমাদেরকে দান করেছেন পরিচ্ছন্ন রিযিক। তিনি আল্লাহ, তোমাদের পালনকর্তা। বিশ্বজগতের পালনকর্তা, আল্লাহ বরকতময়।
It is Allah Who has made for you the earth as a resting place, and the sky as a canopy, and has given you shape- and made your shapes beautiful,- and has provided for you Sustenance, of things pure and good;- such is Allah your Lord. So Glory to Allah, the Lord of the Worlds!
اللَّهُ الَّذِي جَعَلَ لَكُمُ الْأَرْضَ قَرَارًا وَالسَّمَاء بِنَاء وَصَوَّرَكُمْ فَأَحْسَنَ صُوَرَكُمْ وَرَزَقَكُم مِّنَ الطَّيِّبَاتِ ذَلِكُمُ اللَّهُ رَبُّكُمْ فَتَبَارَكَ اللَّهُ رَبُّ الْعَالَمِينَ
Allahu allathee jaAAala lakumu al-arda qararan waalssamaa binaan wasawwarakum faahsana suwarakum warazaqakum mina alttayyibati thalikumu Allahu rabbukum fatabaraka Allahu rabbu alAAalameena
YUSUFALI: It is Allah Who has made for you the earth as a resting place, and the sky as a canopy, and has given you shape- and made your shapes beautiful,- and has provided for you Sustenance, of things pure and good;- such is Allah your Lord. So Glory to Allah, the Lord of the Worlds!
PICKTHAL: Allah it is Who appointed for you the earth for a dwelling-place and the sky for a canopy, and fashioned you and perfected your shapes, and hath provided you with good things. Such is Allah, your Lord. Then blessed be Allah, the Lord of the Worlds!
SHAKIR: Allah is He Who made the earth a resting-place for you and the heaven a canopy, and He formed you, then made goodly your forms, and He provided you with goodly things; that is Allah, your Lord; blessed then is Allah, the Lord of the worlds.
KHALIFA: GOD is the One who rendered the earth habitable for you, and the sky a formidable structure, and He designed you, and designed you well. He is the One who provides you with good provisions. Such is GOD your Lord; Most Exalted is GOD, Lord of the universe.
৬৪। আল্লাহ্-ই ৪৪৩৮ তোমাদের জন্য পৃথিবীকে বিশ্রামস্থল করেছেন ৪৪৩৯ ,এবং আকাশকে করেছেন চাঁদোয়া এবং তোমাদের আকৃতিতে সৌন্দর্য দান করেছেন ৪৪৪০ – এবং তোমাদের পবিত্র ও উৎকৃষ্ট জীবনোপকরণে সমৃদ্ধ করেছেন ৪৪৪১ ; – তিনিই আল্লাহ্ ,তোমাদের প্রভু। সুতারাং পৃথিবীর অধিপতি আল্লাহ্র মহিমা ঘোষণা কর।
৪৪৩৮। পূর্বের আয়াত সমূহে যুক্তির অবতারণা করা হয়েছে , মানুষের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে ; যে অভিজ্ঞতা সে লাভ করে পৃথিবীর প্রতিদিনের জীবনযাত্রা থেকে। এই আয়াত ও পরবর্তী আয়াতে মানুষকে আহ্বান করা হয়েছে উচ্চতর যুক্তির মাধ্যমে। বলা হয়েছে , ” হে মানুষ সামগ্রিকভাবে তাকিয়ে দেখ, নিখিল বিশ্বকে তোমাদের বাসপোযোগী করা হয়েছে। যা সৌরমন্ডলের অন্য কোনও গ্রহকে করা হয় নাই।” যারা বিজ্ঞান পড়েছেন তারা জানেন ; কি অপূর্ব যত্নে পৃথিবীর আবহাওয়া মন্ডল দ্বারা পৃথিবীকে সুরক্ষিত করা হয়েছে। কি অপূর্ব কৌশলে পৃথিবীর সকল সৃষ্ট পর্দাথ সমন্বিত শৃঙ্খলার মাধ্যমে পরস্পরের অস্তিত্ব রক্ষা করে চলেছে। এই নিখিল বিশ্বভূবনের মাঝে সকল সৃষ্ট প্রাণী ও জীবকূলের মাঝে মানুষকে শ্রেষ্ঠত্ব দান করা হয়েছে। মানুষের অবয়বের গঠন, আকৃতি সবই করা হয়েছে সকল প্রাণী অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। মানুষের সর্বাপেক্ষা শ্রেষ্ঠত্ব হচ্ছে তার আধ্যাত্মিক ক্ষমতা। মানুষকে আল্লাহ্ দান করেছেন জীবনোপকরণে রুচীশীলতা, জীবন যাপনে সংস্কৃতি , আধ্যাত্মিক জীবনে শ্রেষ্ঠত্ব এবং সমৃদ্ধির উপায়। এর পরেও মানুষ কেন অনুভব করে না আল্লাহ্র মাহাত্ব্য ও করুণা এবং আল্লাহ্র প্রশংসা দ্বারা আত্মাকে সঞ্জীবিত করে না ?
৪৪৩৯। “বিশ্রামস্থল ” – এই শব্দটি দ্বারা এ কথাই বুঝানো হয়েছে যে, পৃথিবী একটি পান্থশালা বিশেষ। পান্থশালাতে মানুষের অবস্থান যেরূপ অল্পকিছুকালের জন্য, পৃথিবী নামক এই পান্থশালাকেও বাসের উপযোগী করা হয়েছে মানুষের জন্য; মানুষের “শিক্ষানবীশকাল” অতিক্রম করার জন্য ; যেনো পরকালের স্থায়ী ঠিকানাতে সে পৌঁছাতে সক্ষম হয়।
৪৪৪০। দেখুন আয়াত [ ৭ : ১১ ] এবং টিকা ৯৯৬। আকৃতি ও গঠন বলতে শুধুমাত্র দেহসৌষ্ঠবই নয়,মানুষের জন্মগত মানসিক দক্ষতা ও আধ্যাত্মিক ক্ষমতাকেও বুঝানো হয়েছে। আদম ও ইভের দেহসৌষ্ঠব বর্ণনার জন্য কবি মিলটনের ভাষার ব্যবহার করা যায় , “Two of far noble shape, erect and tall” [ Paradise lost iv 288 ] । মানসিক ও নৈতিক ও আধ্যাত্মিক দক্ষতা সম্বন্ধে বলা চলে, তা হচ্ছে সর্বোচ্চ। কারণ আল্লাহ্ মানুষের মাঝে তাঁর রূহুর কিছু অংশ ফুৎকারে প্রবেশ করিয়েছেন [ ১৫ : ২৯ ]।
৪৪৪১। ‘রিযি্ক ‘ শব্দটি ব্যপক অর্থ বহন করে। সাধারণ মানুষ সঙ্কীর্ণার্থে শব্দটির প্রয়োগ করে থাকে দেহের সুষ্ঠু রক্ষণাবেক্ষণের জন্য যে খাদ্যসামগ্রী তাকেই। তবে ব্যপক অর্থে রিযিক হচ্ছে দেহ, মন , আত্মার খোরাক। মানুষের দেহ, মন ও আত্মার বিকাশ ও সমৃদ্ধির জন্য যা কিছু প্রয়োজন সবই রিযিক। দেখুন আয়াত [ ১৬ : ৭৩ ] ও টিকা ২১০৫।
আয়াতঃ 040.065
তিনি চিরঞ্জীব, তিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। অতএব, তাঁকে ডাক তাঁর খাঁটি এবাদতের মাধ্যমে। সমস্ত প্রশংসা বিশ্বজগতের পালনকর্তা আল্লাহর।
He is the Living (One): There is no god but He: Call upon Him, giving Him sincere devotion. Praise be to Allah, Lord of the Worlds!
هُوَ الْحَيُّ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ فَادْعُوهُ مُخْلِصِينَ لَهُ الدِّينَ الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ
Huwa alhayyu la ilaha illa huwa faodAAoohu mukhliseena lahu alddeena alhamdu lillahi rabbi alAAalameena
YUSUFALI: He is the Living (One): There is no god but He: Call upon Him, giving Him sincere devotion. Praise be to Allah, Lord of the Worlds!
PICKTHAL: He is the Living One. There is no Allah save Him. So pray unto Him, making religion pure for Him (only). Praise be to Allah, the Lord of the Worlds!
SHAKIR: He is the Living, there is no god but He, therefore call on Him, being sincere to Him in obedience; (all) praise is due to Allah, the Lord of the worlds.
KHALIFA: He is the Living; there is no god except He. You shall worship Him alone, devoting your religion absolutely to Him alone. Praise be to GOD, Lord of the universe.
৬৫। তিনিই চিরঞ্জীব ৪৪৪২। তিনি ব্যতীত অন্য কোন উপাস্য নাই। একান্ত আনুগত্যের সাথে তাঁকে আহ্বান কর। সকল প্রশংসা পৃথিবীর অধিপতির।
৪৪৪২। আল্লাহ্র বিশেষণ ; এ জন্য দেখুন আয়াত [ ২ : ২৫৫ ] ও টিকা ২৯৬।
আয়াতঃ 040.066
বলুন, যখন আমার কাছে আমার পালনকর্তার পক্ষ থেকে স্পষ্ট প্রমাণাদি এসে গেছে, তখন আল্লাহ ব্যতীত তোমরা যার পূজা কর, তার এবাদত করতে আমাকে নিষেধ করা হয়েছে। আমাকে আদেশ করা হয়েছে বিশ্ব পালনকর্তার অনুগত থাকতে।
Say: “I have been forbidden to invoke those whom ye invoke besides Allah,- seeing that the Clear Sings have come to me from my Lord; and I have been commanded to bow (in Islam) to the Lord of the Worlds.”
قُلْ إِنِّي نُهِيتُ أَنْ أَعْبُدَ الَّذِينَ تَدْعُونَ مِن دُونِ اللَّهِ لَمَّا جَاءنِيَ الْبَيِّنَاتُ مِن رَّبِّي وَأُمِرْتُ أَنْ أُسْلِمَ لِرَبِّ الْعَالَمِينَ
Qul innee nuheetu an aAAbuda allatheena tadAAoona min dooni Allahi lamma jaaniya albayyinatu min rabbee waomirtu an oslima lirabbi alAAalameena
YUSUFALI: Say: “I have been forbidden to invoke those whom ye invoke besides Allah,- seeing that the Clear Signs have come to me from my Lord; and I have been commanded to bow (in Islam) to the Lord of the Worlds.”
PICKTHAL: Say (O Muhammad): I am forbidden to worship those unto whom ye cry beside Allah since there have come unto me clear proofs from my Lord, and I am commanded to surrender to the Lord of the Worlds.
SHAKIR: Say: I am forbidden to serve those whom you call upon besides Allah when clear arguments have come to me from my Lord, and I am commanded that I should submit to the Lord of the worlds.
KHALIFA: Say, “I have been enjoined from worshiping the idols you worship beside GOD, when the clear revelations came to me from my Lord. I was commanded to submit to the Lord of the universe.”
৬৬। বল, ” আল্লাহ্ ব্যতীত তোমরা যাদের আহ্বান কর তাদের আহ্বান করতে আমাকে নিষেধ করা হয়েছে – যখন আমার নিকট আমার প্রভুর পক্ষ থেকে সুস্পষ্ট নিদর্শনসমূহ এসেছে। এবং আমাকে আদেশ করা হয়েছে যে আমি যেনো জগতসমূহের প্রভুর নিকট আত্মসমর্পনকারী হই ৪৪৪৩। ”
৪৪৪৩। আল্লাহ্ ব্যতীত আর সব কিছুর আরাধনা মানসিক বিভ্রান্তিমাত্র। যে আল্লাহ্র প্রত্যাদেশে দৃঢ় বিশ্বাসী সে অবশ্যই এই সত্যকে অন্তরের মাঝে উপলব্ধি করে। যার অন্তরের মাঝে আল্লাহ্র হেদায়েতের আলো প্রবেশ করে, তখন তার পক্ষে অন্যসব মিথ্যা উপাস্যেকে মনে হবে ভ্রান্ত। তাঁর অন্তরের অন্তঃস্থলের অনুভূতিও আল্লাহ্র প্রত্যাদেশ ও মিথ্যা উপাসনার অসাড়তা সম্বন্ধে আত্মাকে সচেতন করে এবং ব্যক্তির নিজস্ব ইচ্ছাকে আল্লাহ্র ইচ্ছার সাথে একত্বতা ঘোষণা করে। ব্যক্তির সমস্ত ইচ্ছা আল্লাহ্র ইচ্ছার নিকট আত্মসমর্পিত হয়। যখন কেউ সর্বশক্তিমান , চিরঞ্জীব আল্লাহ্র ইচ্ছার নিকট আত্মসমর্পন করে তখন তার আত্মার মাঝে বিশেষ শক্তির উদ্ভব ঘটে যা মিথ্যা ও বিলীয়মান উপাসনার হাত থেকে তাঁকে রক্ষা করে।
উপদেশ : আল্লাহ্র ইচ্ছার নিকট আত্মসমর্পনই হচ্ছে ইসলামের প্রকৃত রূপ। প্রতিনিয়ত মানুষের বিভিন্ন রীপুসমূহের বিরুদ্ধে সংগ্রামে জয়ী হওয়ার মাধ্যমে এই অবস্থা লাভের সুযোগ ঘটে।
আয়াতঃ 040.067
তিনি তো তোমাদের সৃষ্টি করেছেন মাটির দ্বারা, অতঃপর শুক্রবিন্দু দ্বারা, অতঃপর জমাট রক্ত দ্বারা, অতঃপর তোমাদেরকে বের করেন শিশুরূপে, অতঃপর তোমরা যৌবনে পদর্পণ কর, অতঃপর বার্ধক্যে উপনীত হও। তোমাদের কারও কারও এর পূর্বেই মৃত্যু ঘটে এবং তোমরা নির্ধারিত কালে পৌঁছ এবং তোমরা যাতে অনুধাবন কর।
It is He Who has created you from dust then from a sperm-drop, then from a leech-like clot; then does he get you out (into the light) as a child: then lets you (grow and) reach your age of full strength; then lets you become old,- though of you there are some who die before;- and lets you reach a Term appointed; in order that ye may learn wisdom.
هُوَ الَّذِي خَلَقَكُم مِّن تُرَابٍ ثُمَّ مِن نُّطْفَةٍ ثُمَّ مِنْ عَلَقَةٍ ثُمَّ يُخْرِجُكُمْ طِفْلًا ثُمَّ لِتَبْلُغُوا أَشُدَّكُمْ ثُمَّ لِتَكُونُوا شُيُوخًا وَمِنكُم مَّن يُتَوَفَّى مِن قَبْلُ وَلِتَبْلُغُوا أَجَلًا مُّسَمًّى وَلَعَلَّكُمْ تَعْقِلُونَ
Huwa allathee khalaqakum min turabin thumma min nutfatin thumma min AAalaqatin thumma yukhrijukum tiflan thumma litablughoo ashuddakum thumma litakoonoo shuyookhan waminkum man yutawaffa min qablu walitablughoo ajalan musamman walaAAallakum taAAqiloona
YUSUFALI: It is He Who has created you from dust then from a sperm-drop, then from a leech-like clot; then does he get you out (into the light) as a child: then lets you (grow and) reach your age of full strength; then lets you become old,- though of you there are some who die before;- and lets you reach a Term appointed; in order that ye may learn wisdom.
PICKTHAL: He it is Who created you from dust, then from a drop (of seed) then from a clot, then bringeth you forth as a child, then (ordaineth) that ye attain full strength and afterward that ye become old men – though some among you die before – and that ye reach an appointed term, that haply ye may understand.
SHAKIR: He it is Who created you from dust, then from a small lifegerm, then from a clot, then He brings you forth as a child, then that you may attain your maturity, then that you may be old– and of you there are some who are caused to die before– and that you may reach an appointed term, and that you may understand.
KHALIFA: He is the One who created you from dust, and subsequently from a tiny drop, then from a hanging embryo, then He brings you out as a child, then He lets you reach maturity, then you become old – some of you die earlier. You attain a predetermined age, that you may understand.
৬৭। তিনিই তোমাদের সৃষ্টি করেছেন মৃত্তিকা থেকে ৪৪৪৪; তারপরে শুক্রবিন্দু থেকে, তারপরে জোঁকের মত জমাট রক্তপিন্ড থেকে। অতঃপর তিনি তোমাদের শিশুরূপে আলোতে বের করেন। তারপরে যেনো তোমরা [ বৃদ্ধি প্রাপ্ত হয়ে ] যৌবনে পৌঁছাতে পার এবং পরে যেনো বৃদ্ধ হও। যদিও তোমাদের মধ্যে কতক পূর্বেই মারা যায়। এবং [অধিকাংশকে ] এক নির্ধারিত কাল পর্যন্ত বেঁচে থাকতে হয় এই হেতু যে , তোমরা যেনো জ্ঞান আহরণ করতে পার।
৪৪৪৪। দেখুন অনুরূপ আয়াত [ ২২ : ৫ ] ও টিকা ২৭৭৩ এবং ২৭৭৪। মানব সন্তানের সারা জীবনের বিভিন্ন ধাপকে এই আয়াতে বর্ণনা করা হয়েছে :
১) প্রথমঃ অতি সাধারণ বস্তু থেকে মানব দেহের সৃষ্টি যা হচ্ছে ধূলা বা কাঁদা।
২) দ্বিতীয়ঃ পিতার নিকট থেকে প্রাপ্ত শুক্রানু ;
৩) তৃতীয় : মাতৃ জরায়ুতে ডিম্বের নিষিক্তকরণ;
৪) চতুর্থঃ মানব শিশুরূপে ধরণীতে আগমন ;
৫) পঞ্চমঃ পূর্ণ যৌবন প্রাপ্তি
৬) ষষ্ঠঃ বার্দ্ধক্য বা ক্ষয়িষ্ণু অবস্থা ;
৭) সপ্তমঃ পরিসমাপ্তি বা মৃত্যু।
এই সাতটি ধাপের মাধ্যমে মানব জীবনের বিভিন্ন ধাপকে বর্ণনা করা হয়েছে। তবে কখনও কখনও শেষের ধাপগুলি কেহ কেহ সমাপ্ত করতে সক্ষম হয় না। তবে সকল ক্ষেত্রেই প্রত্যেক ব্যক্তিকেই আল্লাহ্ নির্ধারিত নির্দ্দিষ্ট সময় অতিক্রান্ত করতে হয় এবং জীবনের পূর্ণতা প্রাপ্ত হতে হয়। এভাবেই মাটির তৈরী মাবন, জীবনের মহত্তর ও বৃহত্তর উদ্দেশ্যকে সফলতার দ্বার প্রান্তে নিয়ে যায়এবং আল্লাহ্র ইচ্ছার পূর্ণতা সাধন করে। মানুষ যেনো সমগ্র বিষয়টিকে চিন্তার মাধ্যমে অনুধাবন করে।
আয়াতঃ 040.068
তিনিই জীবিত করেন এবং মৃত্যু দেন। যখন তিনি কোন কাজের আদেশ করেন, তখন একথাই বলেন, হয়ে যা’-তা হয়ে যায়।
It is He Who gives Life and Death; and when He decides upon an affair, He says to it, “Be”, and it is.
هُوَ الَّذِي يُحْيِي وَيُمِيتُ فَإِذَا قَضَى أَمْرًا فَإِنَّمَا يَقُولُ لَهُ كُن فَيَكُونُ
Huwa allathee yuhyee wayumeetu fa-itha qada amran fa-innama yaqoolu lahu kun fayakoonu
YUSUFALI: It is He Who gives Life and Death; and when He decides upon an affair, He says to it, “Be”, and it is.
PICKTHAL: He it is Who quickeneth and giveth death. When He ordaineth a thing, He saith unto it only: Be! and it is.
SHAKIR: He it is Who gives life and brings death, so when He decrees an affair, He only says to it: Be, and it is.
KHALIFA: He is the only One who controls life and death. To have anything done, He simply says to it, “Be,” and it is.
৬৮। তিনিই জীবন দান করেন ও মৃত্যু ঘটান ৪৪৪৫। ফলে যখন তিনি কোন কাজ করতে ইচ্ছা করেন , তিনি শুধু বলেন, ” হও” এবং তা হয়ে যায়।
৪৪৪৫। জীবন ও মৃত্যুর চাবিকাঠি আল্লাহ্র হাতে। আল্লাহ্ কোনও সময় বা কাল বা পার্থিব জিনিষের উপরে নির্ভরশীল নন। তিনি কোনও কিছু করতে চাইলে শুধুমাত্র বলেন ‘হও’ এবং তা হয়ে যায়। দেখুন আয়াত [ ১৬: ৪০ ] ও টিকা ২০৬৬ এবং আয়াত [ ৩৬ : ৮২ ] ও টিকা ৪০২৮। ঠিক বিপরীত ভাবে কোনও কিছু ধ্বংস করার ইচ্ছা হলে তার ইচ্ছাই যথেষ্ঠ -সর্ব অস্তিত্ব , অস্তিত্ববিহীন হয়ে যায়। জীবন স্তব্ধ হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। জীবন ও মৃত্যুর সীমানা বড় সুক্ষ ; যা বিধান করেন একমাত্র আল্লাহ্।
আয়াতঃ 040.069
আপনি কি তাদেরকে দেখেননি, যারা আল্লাহর আয়াত সম্পর্কে বিতর্ক করে, তারা কোথায় ফিরছে?
Seest thou not those that dispute concerning the Sings of Allah. How are they turned away (from Reality)?-
أَلَمْ تَرَ إِلَى الَّذِينَ يُجَادِلُونَ فِي آيَاتِ اللَّهِ أَنَّى يُصْرَفُونَ
Alam tara ila allatheena yujadiloona fee ayati Allahi anna yusrafoona
YUSUFALI: Seest thou not those that dispute concerning the Signs of Allah? How are they turned away (from Reality)?-
PICKTHAL: Hast thou not seen those who wrangle concerning the revelations of Allah, how they are turned away? –
SHAKIR: Have you not seen those who dispute with respect to the communications of Allah: how are they turned away?
KHALIFA: Have you noted those who argue against GOD’s proofs, and how they have deviated?
রুকু – ৮
৬৯। তুমি কি তাদের দেখ নাই , যারা আল্লাহ্র নিদর্শন সম্পর্কে বির্তক করে ? কি ভাবে তারা [ বাস্তবতা থেকে ] ফিরে যায় ? – ৪৪৪৬
৪৪৪৬। আল্লাহ্র নিদর্শন তারাই সুস্পষ্টরূপে দেখতে পায় যারা তা দেখতে এবং বিশ্বাস করতে আগ্রহী।যারা আগ্রহী নয়, তাদের নিকট আল্লাহ্র নিদর্শনসমূহ হবে কুয়াশাবৃত্ত এবং ধোঁয়াটে। ফলে তারা কোন কিছুই স্পষ্টরূপে অনুভব করতে অক্ষম হবে। এরাই তো বিপথগামী। দেখুন [ ১০ : ৩২ ] আয়াত।
আয়াতঃ 040.070
যারা কিতাবের প্রতি এবং যে বিষয় দিয়ে আমি পয়গম্বরগণকে প্রেরণ করেছি, সে বিষয়ের প্রতি মিথ্যারোপ করে। অতএব, সত্বরই তারা জানতে পারবে।
Those who reject the Book and the (revelations) with which We sent our apostles: but soon shall they know,-
الَّذِينَ كَذَّبُوا بِالْكِتَابِ وَبِمَا أَرْسَلْنَا بِهِ رُسُلَنَا فَسَوْفَ يَعْلَمُونَ
Allatheena kaththaboo bialkitabi wabima arsalna bihi rusulana fasawfa yaAAlamoona
YUSUFALI: Those who reject the Book and the (revelations) with which We sent our messengers: but soon shall they know,-
PICKTHAL: Those who deny the Scripture and that wherewith We send Our messengers. But they will come to know,
SHAKIR: Those who reject the Book and that with which We have sent Our Messenger; but they shall soon come to know,
KHALIFA: They are the ones who have disbelieved in the scripture, and in the messages we have sent with our messengers. Therefore, they will surely find out.
৭০। যারা অস্বীকার করে কিতাব এবং [প্রত্যাদেশ ] যা সহ আমার রাসুলদের প্রেরণ করেছিলাম তা ৪৪৪৭। কিন্তু শীঘ্রই তারা জানতে পারবে। –
৪৪৪৭। কিতাব দ্বারা এখানে কোরাণ শরীফকে বোঝানো হয়েছে। অথবা ” মূল কিতাবের” [ ৩: ৭; ১৩ : ৩৯ ] অংশ বা প্রত্যাদেশ। যুগে যুগে নবী রসুলদের মাধ্যমে আল্লাহ্ পৃথিবীতে প্রত্যাদেশের মাধ্যমে কিতাব প্রেরণ করে থাকেন।
আয়াতঃ 040.071
যখন বেড়িও শৃঙ্খল তাদের গলদেশে পড়বে। তাদেরকে টেনে নিয়ে যাওয়া হবে।
When the yokes (shall be) round their necks, and the chains; they shall be dragged along-
إِذِ الْأَغْلَالُ فِي أَعْنَاقِهِمْ وَالسَّلَاسِلُ يُسْحَبُونَ
Ithi al-aghlalu fee aAAnaqihim waalssalasilu yushaboona
YUSUFALI: When the yokes (shall be) round their necks, and the chains; they shall be dragged along-
PICKTHAL: When carcans are about their necks and chains. They are dragged
SHAKIR: When the fetters and the chains shall be on their necks; they shall be dragged
KHALIFA: The shackles will be around their necks, and the chains will be used to drag them.
৭১। যখন তাদের গলায় পরানো হবে বেড়ী ও শিকল ৪৪৪৮। তাদেরকে টেনে নিয়ে যাওয়া হবে –
৪৪৪৮। পৃথিবীতে প্রতিটি কর্মেরই প্রতিফল বিদ্যমান। এই নিয়ম আধ্যাত্মিক জগতের জন্যও প্রযোজ্য। আল্লাহ্র প্রত্যাদেশ গ্রহণ আধ্যাত্মিক জগতের সমৃদ্ধির জন্য প্রয়োজন। যে আল্লাহ্র প্রত্যাদেশকে প্রত্যাখান করে সে তার নিজের শাস্তি নিজে আহ্বান করে। পাপ কাজ তার প্রভুর আসনে স্থান পায়। তার সমস্ত সত্ত্বা , চেতনা , অনুভব , উপলব্ধি পাপের চিন্তায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। ফলে সে স্বাধীনভাবে চিন্তার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। আত্মার স্বাধীনতা হয় অবলুপ্ত। সে পরিণত হয় পাপের ক্রীতদাসে। পাপের দাসত্ব তাকে বেষ্টন করে থাকে গলদেশে বেড়ীর ন্যায় এবং ধীরে ধীরে তা আরও দৃঢ় হয়। কারণ আত্মার স্বাধীনতাকে সে পাপের দাসে পরিণত করেছে , রীপুর কাছে সে পরাজয় বরণ করেছে। যে মানুষ রীপুর দাস সে কখনও সত্য ও ভালোর জন্য ইচ্ছা থাকলেও ত্যাগ স্বীকার করতে পারবে না। কারণ তার সে স্বাধীনতা নাই। ফলে নানারূপ কুপ্রথা , কুসংস্কার , মিথ্যা উপাসনা তার সর্বসত্ত্বাকে আচ্ছন্ন করে ফেলে। যে “সীমিত স্বাধীন ইচ্ছাশক্তি” সে স্রষ্টার নিকট থেকে লাভ করেছিলো , তা সে সঠিক ব্যবহারে অক্ষম হয়; ভালোকে গ্রহণে সে হবে অক্ষম , মন্দকে গ্রহণে সে বাধ্য হয়। তার রীপু তাকে তা বাধ্য করে। পৃথিবীর সমগ্র জীবনে তার এই প্রক্রিয়া চলতে থাকে এবং তার সর্বোচ্চ পরিণতি ঘটে শেষ বিচারের দিনে কেয়ামতে। পাপের দাসত্বের বেড়ি তাদের গলদেশ বেষ্টনকরে থাকবে।
আয়াতঃ 040.072
ফুটন্ত পানিতে, অতঃপর তাদেরকে আগুনে জ্বালানো হবে।
In the boiling fetid fluid: then in the Fire shall they be burned;
فِي الْحَمِيمِ ثُمَّ فِي النَّارِ يُسْجَرُونَ
Fee alhameemi thumma fee alnnari yusjaroona
YUSUFALI: In the boiling fetid fluid: then in the Fire shall they be burned;
PICKTHAL: Through boiling waters; then they are thrust into the Fire.
SHAKIR: Into boiling water, then in the fire shall they be burned;
KHALIFA: In the Inferno, then in the Fire, they will burn.
৭২। তীব্র দুগর্ন্ধযুক্ত ফুটন্ত তরল পদার্থের মধ্যে ৪৪৪৯। তারপরে তাদের [ জাহান্নামের ] আগুনে পোড়ানো হবে।
৪৪৪৯। পাপীদের পাপ কাজের কর্মফলের পরিণতি তাদের পরলোকে ভোগ করতে হবে। অসহনীয় পরিণতির দিকে তাদের টেনে নিয়ে যাওয়া হবে এবং শেষ পর্যন্ত ধ্বংসের আগুনে তারা নিমজ্জিত হবে।
আয়াতঃ 040.073
অতঃপর তাদেরকে বলা হবে, কোথায় গেল যাদেরকে তোমরা শরীক করতে।
Then shall it be said to them: “Where are the (deities) to which ye gave part- worship-
ثُمَّ قِيلَ لَهُمْ أَيْنَ مَا كُنتُمْ تُشْرِكُونَ
Thumma qeela lahum ayna ma kuntum tushrikoona
YUSUFALI: Then shall it be said to them: “Where are the (deities) to which ye gave part-worship-
PICKTHAL: Then it is said unto them: Where are (all) that ye used to make partners (in the Sovereignty)
SHAKIR: Then shall it be said to them: Where is that which you used to set up
KHALIFA: They will be asked, “Where are the idols you used to worship,
৭৩। তারপর তাদের বলা হবে, ” কোথায় তারা যাদের তোমরা এবাদতে শরীক করতে –
৭৪। “আল্লাহকে অপমান করে ? ” তারা উত্তর করবে ” তারা আমাদের হতাশার মাঝে ত্যাগ করে চলে গেছে, বরং পূর্বে আমরা এমন কিছুকে আহ্বান করি নাই [ যার প্রকৃত অস্তিত্ব আছে ]।” এ ভাবেই আল্লাহ্ অবিশ্বাসীদের বিপথে ত্যাগ করে থাকেন ৪৪৫০।
৪৪৫০। যারা পাপী তারা এক আল্লাহ্র উপাসনার পরিবর্তে বহু উপাস্যের উপাসনা করে – নিজেদের সুবিধা অনুযায়ী। মিথ্যা , অন্যায় , অবিচার , কুসংস্কার , কুপ্রথা ইত্যাদি তাদের জীবনের প্রধান উপাস্য হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু কেয়ামত দিবসে সত্যের প্রকৃতরূপ তাদের সম্মুখে উদ্ভাসিত হবে। পৃথিবীর জীবনে পাপিষ্ঠদের চোখে যা কিছু সুন্দর ও মনোরম মনে হতো, পরলোকে প্রকৃত সত্য উদ্ঘাটিত হবে। তারা সেদিন উপলব্ধি করবে যে, তারা প্রকৃত সত্যকে আহ্বান করে নাই, তারা যা আহ্বান করেছে তা ছিলো অপচ্ছায়া মাত্র; যার কোন বাস্তব সত্য ভিত্তি নাই। আল্লাহ্র হেদায়েত ও করুণাকে অস্বীকার করার এই হবে পরিণতি। তারা সেদিন ভুলের গোলক ধাঁধাতে ঘুরপাক খেতে থাকবে , কিন্তু মুক্তি মিলবে না।
আয়াতঃ 040.074
আল্লাহ ব্যতীত? তারা বলবে, তারা আমাদের কাছ থেকে উধাও হয়ে গেছে; বরং আমরা তো ইতিপূর্বে কোন কিছুর পূজাই করতাম না। এমনি ভাবে আল্লাহ কাফেরদেরকে বিভ্রান্ত করেন।
“In derogation of Allah.” They will reply: “They have left us in the lurch: Nay, we invoked not, of old, anything (that had real existence).” Thus does Allah leave the Unbelievers to stray.
مِن دُونِ اللَّهِ قَالُوا ضَلُّوا عَنَّا بَل لَّمْ نَكُن نَّدْعُو مِن قَبْلُ شَيْئًا كَذَلِكَ يُضِلُّ اللَّهُ الْكَافِرِينَ
Min dooni Allahi qaloo dalloo AAanna bal lam nakun nadAAoo min qablu shay-an kathalika yudillu Allahu alkafireena
YUSUFALI: “In derogation of Allah?” They will reply: “They have left us in the lurch: Nay, we invoked not, of old, anything (that had real existence).” Thus does Allah leave the Unbelievers to stray.
PICKTHAL: Beside Allah? They say: They have failed us; but we used not to pray to anything before. Thus doth Allah send astray the disbelievers (in His guidance).
SHAKIR: Besides Allah? They shall say: They are gone away from us, nay, we used not to call upon anything before. Thus does Allah confound the unbelievers.
KHALIFA: “beside GOD?” They will say, “They have abandoned us. In fact, when we worshiped them, we were worshiping nothing.” Thus does GOD send the disbelievers astray.
৭৩। তারপর তাদের বলা হবে, ” কোথায় তারা যাদের তোমরা এবাদতে শরীক করতে –
৭৪। “আল্লাহকে অপমান করে ? ” তারা উত্তর করবে ” তারা আমাদের হতাশার মাঝে ত্যাগ করে চলে গেছে, বরং পূর্বে আমরা এমন কিছুকে আহ্বান করি নাই [ যার প্রকৃত অস্তিত্ব আছে ]।” এ ভাবেই আল্লাহ্ অবিশ্বাসীদের বিপথে ত্যাগ করে থাকেন ৪৪৫০।
৪৪৫০। যারা পাপী তারা এক আল্লাহ্র উপাসনার পরিবর্তে বহু উপাস্যের উপাসনা করে – নিজেদের সুবিধা অনুযায়ী। মিথ্যা , অন্যায় , অবিচার , কুসংস্কার , কুপ্রথা ইত্যাদি তাদের জীবনের প্রধান উপাস্য হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু কেয়ামত দিবসে সত্যের প্রকৃতরূপ তাদের সম্মুখে উদ্ভাসিত হবে। পৃথিবীর জীবনে পাপিষ্ঠদের চোখে যা কিছু সুন্দর ও মনোরম মনে হতো, পরলোকে প্রকৃত সত্য উদ্ঘাটিত হবে। তারা সেদিন উপলব্ধি করবে যে, তারা প্রকৃত সত্যকে আহ্বান করে নাই, তারা যা আহ্বান করেছে তা ছিলো অপচ্ছায়া মাত্র; যার কোন বাস্তব সত্য ভিত্তি নাই। আল্লাহ্র হেদায়েত ও করুণাকে অস্বীকার করার এই হবে পরিণতি। তারা সেদিন ভুলের গোলক ধাঁধাতে ঘুরপাক খেতে থাকবে , কিন্তু মুক্তি মিলবে না।
আয়াতঃ 040.075
এটা একারণে যে, তোমরা দুনিয়াতে অন্যায়ভাবে আনন্দ-উল্লাস করতে এবং এ কারণে যে, তোমরা ঔদ্ধত্য করতে।
“That was because ye were wont to rejoice on the earth in things other than the Truth, and that ye were wont to be insolent.
ذَلِكُم بِمَا كُنتُمْ تَفْرَحُونَ فِي الْأَرْضِ بِغَيْرِ الْحَقِّ وَبِمَا كُنتُمْ تَمْرَحُونَ
Thalikum bima kuntum tafrahoona fee al-ardi bighayri alhaqqi wabima kuntum tamrahoona
YUSUFALI: “That was because ye were wont to rejoice on the earth in things other than the Truth, and that ye were wont to be insolent.
PICKTHAL: (And it is said unto them): This is because ye exulted in the earth without right, and because ye were petulant.
SHAKIR: That is because you exulted in the land unjustly and because you behaved insolently.
KHALIFA: This is because you used to rejoice in false doctrines on earth, and you used to promote them.
৭৫। এর কারণ হচ্ছে ৪৪৫১ , পৃথিবীতে তোমরা সত্য ব্যতীত অযথা উল্লাস করে বেড়াতে এবং এই হেতু যে তোমরা দম্ভ করে বেড়াতে।
৪৪৫১। আল্লাহ্র করুণা থেকে মানব তখনই বঞ্চিত হয় যখন সে ১) ইচ্ছাকৃত ভাবে অন্যায় ও অবৈধ ভোগের মাধ্যমে উল্লাস প্রকাশ করে এবং ২) দাম্ভিক ও গর্বভরে সত্যকে অস্বীকার করে। এক কথায় যার অর্থ দাঁড়ায় মানুষ যখন ইচ্ছাকৃত ভাবে অন্যায় ও অবৈধ জিনিষের আশ্রয় গ্রহণ করে, তখন সে আত্মার মাঝে আল্লাহ্র হেদায়েতের আলো নির্বাপিত করে। দম্ভ ও অহংকারই হচ্ছে এ ব্যাপারে সর্বপ্রধান হাতিয়ার।
উপদেশ : দম্ভ ও অহংকার প্রকৃত হেদায়েত গ্রহণের পথে বাঁধা স্বরূপ।
আয়াতঃ 040.076
প্রবেশ কর তোমরা জাহান্নামের দরজা দিয়ে সেখানে চিরকাল বসবাসের জন্যে। কত নিকৃষ্ট দাম্ভিকদের আবাসস্থল।
“Enter ye the gates of Hell, to dwell therein: and evil is (this) abode of the arrogant!”
ادْخُلُوا أَبْوَابَ جَهَنَّمَ خَالِدِينَ فِيهَا فَبِئْسَ مَثْوَى الْمُتَكَبِّرِينَ
Odkhuloo abwaba jahannama khalideena feeha fabi/sa mathwa almutakabbireena
YUSUFALI: “Enter ye the gates of Hell, to dwell therein: and evil is (this) abode of the arrogant!”
PICKTHAL: Enter ye the gates of hell, to dwell therein. Evil is the habitation of the scornful.
SHAKIR: Enter the gates of hell to abide therein, evil then is the abode of the proud.
KHALIFA: Enter the gates of Gehenna, wherein you abide forever. What a miserable destiny for the arrogant ones.
৭৬। তোমরা বসবাস করার জন্য জাহান্নামের দ্বার দিয়ে প্রবেশ কর ৪৪৫২। উদ্ধত অহংকারীদের জন্য [তা] হবে নিকৃষ্ট আবাসস্থল।
৪৪৫২। দেখুন অনুরূপ আয়াত [ ৩৯ : ৭২ ]।
আয়াতঃ 040.077
অতএব আপনি সবর করুন। নিশ্চয় আল্লাহর ওয়াদা সত্য। অতঃপর আমি কাফেরদেরকে যে শাস্তির ওয়াদা দেই, তার কিয়দংশ যদি আপনাকে দেখিয়ে দেই অথবা আপনার প্রাণ হরণ করে নেই, সর্বাবস্থায় তারা তো আমারই কাছে ফিরে আসবে।
So persevere in patience; for the Promise of Allah is true: and whether We show thee (in this life) some part of what We promise them,- or We take thy soul (to Our Mercy) (before that),-(in any case) it is to Us that they shall (all) return.
فَاصْبِرْ إِنَّ وَعْدَ اللَّهِ حَقٌّ فَإِمَّا نُرِيَنَّكَ بَعْضَ الَّذِي نَعِدُهُمْ أَوْ نَتَوَفَّيَنَّكَ فَإِلَيْنَا يُرْجَعُونَ
Faisbir inna waAAda Allahi haqqun fa-imma nuriyannaka baAAda allathee naAAiduhum aw natawaffayannaka fa-ilayna yurjaAAoona
YUSUFALI: So persevere in patience; for the Promise of Allah is true: and whether We show thee (in this life) some part of what We promise them,- or We take thy soul (to Our Mercy) (before that),-(in any case) it is to Us that they shall (all) return.
PICKTHAL: Then have patience (O Muhammad). Lo! the promise of Allah is true. And whether we let thee see a part of that which We promise them, or (whether) We cause thee to die, still unto Us they will be brought back.
SHAKIR: So be patient, surely the promise of Allah is true. So should We make you see part of what We threaten them with, or should We cause you to die, to Us shall they be returned.
KHALIFA: You shall be patient, for GOD’s promise is truth. Whether we show you some of (the retribution) we have promised for them, or terminate your life before that, they will be returned to us.
৭৭। অতএব তুমি ধৈর্যের সাথে অধ্যাবসায়ী হও; অবশ্যই আল্লাহ্র অঙ্গীকার সত্য। এবং আমি ওদের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি তার কিছু যদি তোমাকে [এই জীবনেই ] দেখাই অথবা [ তার পূর্বেই ] তোমার মৃত্যু ঘটাই , [ এর যে কোনটাতেই ] তারা সকলেই আমার নিকট প্রত্যাবর্তন করবে ৪৪৫৩।
৪৪৫৩। দেখুন অনুরূপ আয়াত [ ১০ : ৪৬ ] ও টিকা ১৪৩৮। “ওদের” দ্বারা পাপী ও কাফেরদের বোঝানো হয়েছে। আল্লাহ্ পাপী, অন্যায়কারী ও কাফেরদের যে শাস্তির ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি প্রদান করেছেন তা পূর্ণ হবেই। রসুলুল্লাহ্র [সা ] জীবদ্দশায় পাপিষ্ঠদের শাস্তি হোক বা না হোক , তাহাদের সকলকেই আল্লাহ্র দরবারে নীত করা হবে।
আয়াতঃ 040.078
আমি আপনার পূর্বে অনেক রসূল প্রেরণ করেছি, তাদের কারও কারও ঘটনা আপনার কাছে বিবৃত করেছি এবং কারও কারও ঘটনা আপনার কাছে বিবৃত করিনি। আল্লাহর অনুমতি ব্যতীত কোন নিদর্শন নিয়ে আসা কোন রসূলের কাজ নয়। যখন আল্লাহর আদেশ আসবে, তখন ন্যায় সঙ্গত ফয়সালা হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে মিথ্যাপন্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
We did aforetime send apostles before thee: of them there are some whose story We have related to thee, and some whose story We have not related to thee. It was not (possible) for any apostle to bring a sign except by the leave of Allah. but when the Command of Allah issued, the matter was decided in truth and justice, and there perished, there and then those who stood on Falsehoods.
وَلَقَدْ أَرْسَلْنَا رُسُلًا مِّن قَبْلِكَ مِنْهُم مَّن قَصَصْنَا عَلَيْكَ وَمِنْهُم مَّن لَّمْ نَقْصُصْ عَلَيْكَ وَمَا كَانَ لِرَسُولٍ أَنْ يَأْتِيَ بِآيَةٍ إِلَّا بِإِذْنِ اللَّهِ فَإِذَا جَاء أَمْرُ اللَّهِ قُضِيَ بِالْحَقِّ وَخَسِرَ هُنَالِكَ الْمُبْطِلُونَ
Walaqad arsalna rusulan min qablika minhum man qasasna AAalayka waminhum man lam naqsus AAalayka wama kana lirasoolin an ya/tiya bi-ayatin illa bi-ithni Allahi fa-itha jaa amru Allahi qudiya bialhaqqi wakhasira hunalika almubtiloona
YUSUFALI: We did aforetime send messengers before thee: of them there are some whose story We have related to thee, and some whose story We have not related to thee. It was not (possible) for any messenger to bring a sign except by the leave of Allah: but when the Command of Allah issued, the matter was decided in truth and justice, and there perished, there and then those who stood on Falsehoods.
PICKTHAL: Verily We sent messengers before thee, among them those of whom We have told thee, and some of whom We have not told thee; and it was not given to any messenger that he should bring a portent save by Allah’s leave, but when Allah’s commandment cometh (the cause) is judged aright, and the followers of vanity will then be lost.
SHAKIR: And certainly We sent messengers before you: there are some of them that We have mentioned to you and there are others whom We have not mentioned to you, and it was not meet for a messenger that he should bring a sign except with Allah’s permission, but when the command of Allah came, judgment was given with truth, and those who treated (it) as a lie were lost.
KHALIFA: We have sent messengers before you – some of them we mentioned to you, and some we did not mention to you. No messenger can produce any miracle without GOD’s authorization. Once GOD’s judgment is issued, the truth dominates, and the falsifiers are exposed and humiliated.
৭৮। তোমার পূর্বেও আমি অনেক রাসুল প্রেরণ করেছি। আমি তাদের কারও কারও কাহিনী তোমার নিকট বর্ণনা করেছি; এবং কারও কারও কাহিনী তোমার নিকট বর্ণনা করি নাই ৪৪৫৪। আল্লাহ্র অনুমতি ব্যতীত কোন রাসুলের পক্ষে কোন নিদর্শন উপস্থিত করা [ সম্ভব ] নয়। কিন্তু যখনই আল্লাহ্র হুকুম নির্ধারিত হয়েছে , তখন সত্য ও ন্যায়ের সাথে বিষয়টির মীমাংসা হয়ে গেছে ; এবং যারা মিথ্যার আশ্রয় গ্রহণ করেছিলো, তারা তৎক্ষণাত ধ্বংস হয়ে গিয়েছিলো ৪৪৫৫।
৪৪৫৪। দেখুন আয়াত [ ৪ : ১৬৪ ]। আল্লাহ্ যুগে যুগে প্রত্যেক সম্প্রদায়ের নিকট সত্যের বাণী প্রচারের জন্য নবী রসুলদের প্রেরণ করেছেন। কোরাণের মাধ্যমে তাদের কিছু সংখ্যকের নাম আমরা জানি, তবে তারা ব্যতীত বহু সংখ্যক সত্যের প্রচারক আছেন , যাদের নাম আমরা জানি না। কোরাণ শরীফে তাদের উল্লেখ করা হয় নাই। সুতারাং যেখানেই প্রকৃত সত্যের সন্ধান লাভ করবো আমাদের তা সনাক্ত করা উচিত আল্লাহ্র বাণীরূপে।
৪৪৫৫। বিশ্ব প্রকৃতির সর্বত্র আল্লাহ্র নিদর্শন বিদ্যমান। যে তা অন্তরের মাঝে উপলব্ধি করে সেই তা সব সময়ে দেখতে পায়। এর পরেও যদি অবিশ্বাসীরা রাসুলের নিকট অলৌকিক কর্মকান্ড প্রদর্শনের দাবী করে তবে তা প্রদান করার কোনও বাধ্যবাধকতা বা যৌক্তিকতা নাই। আল্লাহ্র আজ্ঞা অনুযায়ী তা প্রদর্শিত হয় – মানুষের খেয়াল খুশী চরিতার্থ করার জন্য তা ব্যবহার করা হবে না – এমন কি তিনি যদি আল্লাহ্র নবীও হোন তবুও তা করা হবে না। পৃথিবী তার নিজস্ব গতিতে চলবে – কারও ইচ্ছায় সেখানে কোনও ব্যতিক্রম ঘটবে না। যদি কখনও তা ঘটে তবে বুঝতে হবে তা হবে শুধুমাত্র আল্লাহ্র ইচ্ছার বহিঃপ্রকাশ। বুঝতে হবে যে সেদিন মিথ্যাশ্রয়ীদের অন্যায়ের পাত্র পূর্ণ হয়েছে। পাপীদের ভাগ্য নির্ধারিত হয়ে গেছে এবং তাদের সাময়িক বিরামের সময় শেষ হয়ে গেছে। আল্লাহ্র করুণা ও রহমতের পরিবর্তে ন্যায় বিচারের সময় আসন্ন। মিথ্যাশ্রয়ীদের ধ্বংস তখন অনিবার্য হয়ে দাড়াবে।
উপদেশ : যারা মিথ্যার আশ্রয় জীবনের প্রতিপদে অনুসরণ করে তারা সত্যের ডাক শুনতে বা উপলব্ধি করতে অক্ষম।
আয়াতঃ 040.079
আল্লাহ তোমাদের জন্যে চতুস্পদ জন্তু সৃষ্টি করেছেন, যাতে কোন কোনটিই বাহন হিসাবে ব্যবহার কর এবং কোন কোনটিকে ভক্ষণ কর।
It is Allah Who made cattle for you, that ye may use some for riding and some for food;
اللَّهُ الَّذِي جَعَلَ لَكُمُ الْأَنْعَامَ لِتَرْكَبُوا مِنْهَا وَمِنْهَا تَأْكُلُونَ
Allahu allathee jaAAala lakumu al-anAAama litarkaboo minha waminha ta/kuloona
YUSUFALI: It is Allah Who made cattle for you, that ye may use some for riding and some for food;
PICKTHAL: Allah it is Who hath appointed for you cattle, that ye may ride on some of them, and eat of some –
SHAKIR: Allah is He Who made the cattle for you that you may ride on some of them, and some of them you eat.
KHALIFA: GOD is the One who created the livestock for you; some you ride, and some you eat.
রুকু – ৯
৭৯। আল্লাহ্-ই তোমাদের জন্য গৃহপালিত পশু সৃষ্টি করেছেন , যেনো উহাদের কতককে আরোহণের জন্য এবং কতককে আহার করার জন্য ব্যবহার করতে পার। ৪৪৫৬
৮০। [ এ ছাড়াও ] এদের মধ্যে তোমাদের জন্য [ বিবিধ ] উপকার রয়েছে। তাদের মাধ্যমে তোমাদের হৃদয়ের ইচ্ছার প্রয়োজন মেটাতে পার [ যদি কিছু থাকে ] , এবং ইহাদের উপর ও নৌযানের উপর তোমাদের বহন করা হয়।
৪৪৫৬। দেখুন আয়াত [ ১৬ : ৫ – ৮ ]। আন্ -আম বা গৃহপালিত পশু। গৃহপালিত পশু যখন বন্য অবস্থায় থাকে তখন তারা সাধারণ মানুষের জন্য ক্ষতিকর জন্তুরূপে পরিগণিত হয়। কিন্তু যখন তা পোষ মানানো হয় , সেই জন্তুই মানুষের প্রভূত কল্যাণ সাধন করে। অবিশ্বাসীরা আল্লাহ্র নিদর্শনের জন্য অলৌকিক ক্রিয়াকর্মের অনুসন্ধান করে। কিন্তু প্রকৃতির এসব দান যেমন, বন্য পশুর মানুষের বশ্যতা স্বীকার করা এও কি আল্লাহ্র বিশেষ করুণার নিদর্শন নয় মানুষের জন্য? গৃহপালিত পশুর উপকারিতা অনুধাবনযোগ্য। তাদের ব্যবহার করা হয় আরোহণের জন্য, আহারের জন্য, খাদ্য হিসেবে , ভূমি কর্ষণের জন্য, দুধের জন্য অথবা পশম থেকে উল তৈরীর জন্য , তাদের হাড় ও শিং থেকে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় বস্তু তৈরীর জন্য, চামড়াকে জুতা , ব্যাগ প্রভৃতি প্রস্তুতের জন্য ব্যবহার করা হয়। এক কথায় মানুষ প্রকৃতির দান পশু সম্পদের উপরে নানা ভাবে নির্ভরশীল। পশুর ব্যবহারের আরও উচ্চতর দিক হচ্ছে : প্রাচীনকালে তা ব্যবহার করা হতো ভারবাহী পশুরূপে যাতায়াত ব্যবস্থার প্রধান উপকরণই ছিলো পশু। এ ভাবেই পশু কে বলা যায় সভ্যতার মূল ভিত্তি – যার মাধ্যমে মানুষের ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার ঘটেছে ফলে মানুষের সভ্যতার উন্নতি ঘটেছে। পশুকে সে হিসেবে স্থলভাগের জাহাজ হিসেবে পরিগণিত করা যেতো , সমুদ্রে যেমন সমুদ্রগামী জাহাজের ভূমিকা দেখুন আয়াত [ ৩০: ৪৬ ] ও টিকা ৩৫৬৫। স্থলপথে ও জলপথে যাতায়াতের ফলেই এক জাতি আর এক জাতির সংস্পর্শে আসে, মানুষে মানুষে পরস্পরে মেলামেশার সুযোগ লাভ করে, ফলে সংস্কৃতির প্রসার ও বিকাশ ঘটে। মানুষের সভ্যতার বিকাশের এই সুযোগ করে স্রষ্টা প্রকারান্তে তার করুণার নিদর্শন উপস্থাপন করেছেন মানুষের সম্মুখে। যে হৃদয় দিয়ে তা অনুভব করে সেই তো বিশ্বস্রষ্টার নিদর্শনকে প্রত্যক্ষ করে।
আয়াতঃ 040.080
তাতে তোমাদের জন্যে অনেক উপকারিতা রয়েছে আর এজন্যে সৃষ্টি করেছেন; যাতে সেগুলোতে আরোহণ করে তোমরা তোমাদের অভীষ্ট প্রয়োজন পূর্ণ করতে পার। এগুলোর উপর এবং নৌকার উপর তোমরা বাহিত হও।
And there are (other) advantages in them for you (besides); that ye may through them attain to any need (there may be) in your hearts; and on them and on ships ye are carried.
وَلَكُمْ فِيهَا مَنَافِعُ وَلِتَبْلُغُوا عَلَيْهَا حَاجَةً فِي صُدُورِكُمْ وَعَلَيْهَا وَعَلَى الْفُلْكِ تُحْمَلُونَ
Walakum feeha manafiAAu walitablughoo AAalayha hajatan fee sudoorikum waAAalayha waAAala alfulki tuhmaloona
YUSUFALI: And there are (other) advantages in them for you (besides); that ye may through them attain to any need (there may be) in your hearts; and on them and on ships ye are carried.
PICKTHAL: (Many) benefits ye have from them – and that ye may satisfy by their means a need that is in your breasts, and may be borne upon them as upon the ship.
SHAKIR: And there are advantages for you in them, and that you may attain thereon a want which is in your breasts, and upon them and upon the ships you are borne.
KHALIFA: They also provide you with additional benefits that satisfy many of your needs. On them, as well as on the ships, you are carried.
রুকু – ৯
৭৯। আল্লাহ্-ই তোমাদের জন্য গৃহপালিত পশু সৃষ্টি করেছেন , যেনো উহাদের কতককে আরোহণের জন্য এবং কতককে আহার করার জন্য ব্যবহার করতে পার। ৪৪৫৬
৮০। [ এ ছাড়াও ] এদের মধ্যে তোমাদের জন্য [ বিবিধ ] উপকার রয়েছে। তাদের মাধ্যমে তোমাদের হৃদয়ের ইচ্ছার প্রয়োজন মেটাতে পার [ যদি কিছু থাকে ] , এবং ইহাদের উপর ও নৌযানের উপর তোমাদের বহন করা হয়।
৪৪৫৬। দেখুন আয়াত [ ১৬ : ৫ – ৮ ]। আন্ -আম বা গৃহপালিত পশু। গৃহপালিত পশু যখন বন্য অবস্থায় থাকে তখন তারা সাধারণ মানুষের জন্য ক্ষতিকর জন্তুরূপে পরিগণিত হয়। কিন্তু যখন তা পোষ মানানো হয় , সেই জন্তুই মানুষের প্রভূত কল্যাণ সাধন করে। অবিশ্বাসীরা আল্লাহ্র নিদর্শনের জন্য অলৌকিক ক্রিয়াকর্মের অনুসন্ধান করে। কিন্তু প্রকৃতির এসব দান যেমন, বন্য পশুর মানুষের বশ্যতা স্বীকার করা এও কি আল্লাহ্র বিশেষ করুণার নিদর্শন নয় মানুষের জন্য? গৃহপালিত পশুর উপকারিতা অনুধাবনযোগ্য। তাদের ব্যবহার করা হয় আরোহণের জন্য, আহারের জন্য, খাদ্য হিসেবে , ভূমি কর্ষণের জন্য, দুধের জন্য অথবা পশম থেকে উল তৈরীর জন্য , তাদের হাড় ও শিং থেকে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় বস্তু তৈরীর জন্য, চামড়াকে জুতা , ব্যাগ প্রভৃতি প্রস্তুতের জন্য ব্যবহার করা হয়। এক কথায় মানুষ প্রকৃতির দান পশু সম্পদের উপরে নানা ভাবে নির্ভরশীল। পশুর ব্যবহারের আরও উচ্চতর দিক হচ্ছে : প্রাচীনকালে তা ব্যবহার করা হতো ভারবাহী পশুরূপে যাতায়াত ব্যবস্থার প্রধান উপকরণই ছিলো পশু। এ ভাবেই পশু কে বলা যায় সভ্যতার মূল ভিত্তি – যার মাধ্যমে মানুষের ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার ঘটেছে ফলে মানুষের সভ্যতার উন্নতি ঘটেছে। পশুকে সে হিসেবে স্থলভাগের জাহাজ হিসেবে পরিগণিত করা যেতো , সমুদ্রে যেমন সমুদ্রগামী জাহাজের ভূমিকা দেখুন আয়াত [ ৩০: ৪৬ ] ও টিকা ৩৫৬৫। স্থলপথে ও জলপথে যাতায়াতের ফলেই এক জাতি আর এক জাতির সংস্পর্শে আসে, মানুষে মানুষে পরস্পরে মেলামেশার সুযোগ লাভ করে, ফলে সংস্কৃতির প্রসার ও বিকাশ ঘটে। মানুষের সভ্যতার বিকাশের এই সুযোগ করে স্রষ্টা প্রকারান্তে তার করুণার নিদর্শন উপস্থাপন করেছেন মানুষের সম্মুখে। যে হৃদয় দিয়ে তা অনুভব করে সেই তো বিশ্বস্রষ্টার নিদর্শনকে প্রত্যক্ষ করে।
আয়াতঃ 040.081
তিনি তোমাদেরকে তাঁর নিদর্শনাবলী দেখান। অতএব, তোমরা আল্লাহর কোন কোন নিদর্শনকে অস্বীকার করবে?
And He shows you (always) His Signs: then which of the Signs of Allah will ye deny?
وَيُرِيكُمْ آيَاتِهِ فَأَيَّ آيَاتِ اللَّهِ تُنكِرُونَ
Wayureekum ayatihi faayya ayati Allahi tunkiroona
YUSUFALI: And He shows you (always) His Signs: then which of the Signs of Allah will ye deny?
PICKTHAL: And He showeth you His tokens. Which, then, of the tokens of Allah do ye deny?
SHAKIR: And He shows you His signs: which then of Allah’s signs will you deny?
KHALIFA: He thus shows you His proofs. Which of GOD’s proofs can you deny?
৮১। এবং তিনি [ সর্বদা ] তোমাদের তাঁর নিদর্শনাবলী দেখিয়ে থাকেন ৪৪৫৭। সুতারাং তোমরা আল্লাহ্র কোন নিদর্শনাবলী অস্বীকার করবে ?
৪৪৫৭। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আল্লাহ্র কল্যাণ হস্তের স্পর্শ ও করুণার নিদর্শন এত বেশী বিদ্যমান যে তা গুণে বা লিখে উপস্থাপন করা সম্ভব নয়। তা শুধুমাত্র উপলব্ধির বিষয়। মরণশীল মানুষ তা কিভাবে অস্বীকার করে ? সূরা আর রাহমানের এই -ই হচ্ছে মূল বক্তব্য [ সূরা নং ৫৫ ]।
আয়াতঃ 040.082
তারা কি পৃথিবীতে ভ্রমণ করেনি? করলে দেখত, তাদের পূর্ববর্তীদের কি পরিণাম হয়েছে। তারা তাদের চেয়ে সংখ্যায় বেশী এবং শক্তি ও কীর্তিতে অধিক প্রবল ছিল, অতঃপর তাদের কর্ম তাদেরকে কোন উপকার দেয়নি।
Do they not travel through the earth and see what was the End of those before them? They were more numerous than these and superior in strength and in the traces (they have left) in the land: Yet all that they accomplished was of no profit to them.
أَفَلَمْ يَسِيرُوا فِي الْأَرْضِ فَيَنظُرُوا كَيْفَ كَانَ عَاقِبَةُ الَّذِينَ مِن قَبْلِهِمْ كَانُوا أَكْثَرَ مِنْهُمْ وَأَشَدَّ قُوَّةً وَآثَارًا فِي الْأَرْضِ فَمَا أَغْنَى عَنْهُم مَّا كَانُوا يَكْسِبُونَ
Afalam yaseeroo fee al-ardi fayanthuroo kayfa kana AAaqibatu allatheena min qablihim kanoo akthara minhum waashadda quwwatan waatharan fee al-ardi fama aghna AAanhum ma kanoo yaksiboona
YUSUFALI: Do they not travel through the earth and see what was the End of those before them? They were more numerous than these and superior in strength and in the traces (they have left) in the land: Yet all that they accomplished was of no profit to them.
PICKTHAL: Have they not travelled in the land to see the nature of the consequence for those before them? They were more numerous than these, and mightier in power and (in the) traces (which they left behind them) in the earth. But all that they used to earn availed them not.
SHAKIR: Have they not then journeyed in the land and seen how was the end of those before them? They were more (in numbers) than these and greater in strength and in fortifications in the land, but what they earned did not avail them.
KHALIFA: Have they not roamed the earth and noted the consequences for those who preceded them? They used to be greater in number, greater in power, and possessed a greater legacy on earth. Yet, all their achievements did not help them in the least.
৮২। তারা কি পৃথিবী ভ্রমণ করে না ও দেখে না যে তাদের পূর্ববর্তীদের কি পরিণাম হয়েছিলো ? [পৃথিবীতে] তারা সংখ্যায় এদের অপেক্ষা অধিক ছিলো ; এবং শক্তিতে ও কীর্তিতে [ যা তারা রেখে গেছে ] তারা ছিলো অধিক শ্রেষ্ঠ। তবুও তারা যা অর্জন করেছে তা তাদের কোন উপকারে আসে নাই ৪৪৫৮।
৪৪৫৮। দেখুন আয়াত [ ৯ : ৬৯ ]। এই আয়াতে আল্লাহ্ ইতিহাস থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে বলেছেন, “পৃথিবী ভ্রমণ ” – অর্থাৎ প্রাচীন সভ্যতার ধ্বংসাবশেষ পর্যলোচনা করে শিক্ষা গ্রহণ করা। পৃথিবীতে বহু জাতি গত হয়েছে যারা জ্ঞানে , বিজ্ঞানে , সভ্যতা সংস্কৃতিতে, র্কীতিতে শক্তি ও ক্ষমতাতে ছিলো প্রবল – কিন্তু তারা আল্লাহকে এবং আল্লাহ্র অপ্রতিরোধ্য আইনকে ভুলে গিয়েছিলো। ফলে তাদের কোন সাফল্যই স্থায়ী হতে পারে নাই। শেষ পর্যন্ত তারা ধ্বংস হয়ে কালের অতলে হারিয়ে যায়।
মানুষ অন্ধ গর্ব ও উদ্ধত অহংকারে সর্ব কৃতিত্বের দাবী করে। কিন্তু মানুষের বর্তমান সাফল্যের ভিত্তি অতীতের কর্মফলের উপরে নির্ভরশীল। পূর্ববর্তীদের কার্যের দরুণই বর্তমানে সাফল্য লাভ সম্ভব হয়েছে। সে একক কৃতিত্বের অধিকারী নয় এই সাধারণ সত্যকে সে ভুলে যায়। দম্ভ ও অহংকার তাদের অতীত থেকে শিক্ষা গ্রহণের প্রধাণ অন্তরায়। দেখুন আয়াত [ ৪০ : ২১ ] ও টিকা ৪৩৮৭। যে যুক্তি উপরের আয়াতে আরম্ভ করা হয়েছিলো ; এই আয়াতে তা শেষ করা হয়েছে।
আয়াতঃ 040.083
তাদের কাছে যখন তাদের রসূলগণ স্পষ্ট প্রমাণাদিসহ আগমন করেছিল, তখন তারা নিজেদের জ্ঞান-গরিমার দম্ভ প্রকাশ করেছিল। তারা যে বিষয় নিয়ে ঠাট্টাবিদ্রুপ করেছিল, তাই তাদেরকে গ্রাস করে নিয়েছিল।
For when their apostles came to them with Clear Signs, they exulted in such knowledge (and skill) as they had; but that very (Wrath) at which they were wont to scoff hemmed them in.
فَلَمَّا جَاءتْهُمْ رُسُلُهُم بِالْبَيِّنَاتِ فَرِحُوا بِمَا عِندَهُم مِّنَ الْعِلْمِ وَحَاقَ بِهِم مَّا كَانُوا بِهِ يَسْتَهْزِؤُون
Falamma jaat-hum rusuluhum bialbayyinati farihoo bima AAindahum mina alAAilmi wahaqa bihim ma kanoo bihi yastahzi-oona
YUSUFALI: For when their messengers came to them with Clear Signs, they exulted in such knowledge (and skill) as they had; but that very (Wrath) at which they were wont to scoff hemmed them in.
PICKTHAL: And when their messengers brought them clear proofs (of Allah’s Sovereignty) they exulted in the knowledge they (themselves) possessed. And that which they were wont to mock befell them.
SHAKIR: Then when their messengers came to them with clear arguments, they exulted in what they had with them of knowledge, and there beset them that which they used to mock.
KHALIFA: When their messengers went to them with clear proofs, they rejoiced in the knowledge they had inherited, and the very things they ridiculed were the cause of their fall.
৮৩। যখনই স্পষ্ট নিদর্শনসহ রাসুলগণ তাদের নিকট আসতো , তখন তারা তাদের নিজেদের জ্ঞান [ ও দক্ষতার ] গৌরবে দম্ভ প্রকাশ করতো ৪৪৫৯। কিন্তু তারা যা [ যে শাস্তি ] নিয়ে ঠাট্টা -বিদ্রূপ করতো উহাই তাদের বেষ্টন করলো ৪৪৬০।
৪৪৫৯। আত্মগর্ব ও আত্মগরিমা , অহংকার , দম্ভ ও উদ্ধতপনার জন্ম দেয়। আর অহংকার সকল পতনের কারণ ও সকল পাপের মূল বা উৎস। ” জ্ঞানের দম্ভ” অর্থাৎ নিজেদের শ্রেষ্ঠত্বের দাবী বা অহংকার করা। এভাবেই কোন ব্যক্তি বিশেষ বা জাতি অহংকারের দরুন ধ্বংস হয়ে যায়।
৪৪৬০। দেখুন আয়াত [ ১৬ : ৩৪ ]। আল্লাহ্র ন্যায় বিচার সকলের জন্য সমভাবে প্রযোজ্য হবেই। যারা আল্লাহ্র সম্বন্ধে ঠাট্টা বিদ্রূপ করে, আল্লাহ্র ন্যায় বিচারের শাস্তি তাদের সর্ব অস্তিত্বকে বেষ্টন করে ফেলবে। তাদের জাঁকজমক , জ্ঞান বিজ্ঞান ,দ্ক্ষতা , শক্তি ক্ষমতা কোন কাজেই আসবে না।
আয়াতঃ 040.084
তারা যখন আমার শাস্তি প্রত্যক্ষ করল, তখন বলল, আমরা এক আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস করলাম এবং যাদেরকে শরীক করতাম, তাদেরকে পরিহার করলাম।
But when they saw Our Punishment, they said: “We believe in Allah,- the one Allah – and we reject the partners we used to join with Him.”
فَلَمَّا رَأَوْا بَأْسَنَا قَالُوا آمَنَّا بِاللَّهِ وَحْدَهُ وَكَفَرْنَا بِمَا كُنَّا بِهِ مُشْرِكِينَ
Falamma raaw ba/sana qaloo amanna biAllahi wahdahu wakafarna bima kunna bihi mushrikeena
YUSUFALI: But when they saw Our Punishment, they said: “We believe in Allah,- the one Allah – and we reject the partners we used to join with Him.”
PICKTHAL: Then, when they saw Our doom, they said: We believe in Allah only and reject (all) that we used to associate (with Him).
SHAKIR: But when they saw Our punishment, they said: We believe in Allah alone and we deny what we used to associate with Him.
KHALIFA: Subsequently, when they saw our retribution they said, “Now we believe in GOD ALONE, and we now disbelieve in the idol worship that we used to practice.”
৮৪। কিন্তু যখন তারা আমাদের শাস্তিকে প্রত্যক্ষ করলো , তারা বলেছিলো , ” আমরা আল্লাহ্র একত্বে বিশ্বাস স্থাপন করলাম – এবং আমরা তাঁর সাথে যাদের শরীক করতাম তাদের প্রত্যাখান করলাম। ”
৮৫। কিন্তু যখন তারা [ সত্যি সত্যিই] আমার শাস্তিকে প্রত্যক্ষ করলো তখন তাদের ঈমানের স্বীকারোক্তি কোন উপকারে আসলো না ৪৪৬১। [ এরূপই হচ্ছে ] আল্লাহ্র নিয়ম তার বান্দাদের জন্য [ প্রাচীন কাল থেকে ]। এ ভাবেই আল্লাহকে প্রত্যাখানকারীরা [ সম্পূর্ণ ] ধ্বংস হয়ে যায়।
৪৪৬১। বিশ্বাস বা ঈমান হচ্ছে না দেখে অন্তরের মাঝে আল্লাহ্র অস্তিত্বকে উপলব্ধি করা। তারাই হচ্ছেন মুত্তাকী বা ঈমানদার যারা অদৃশ্যে বিশ্বাস করেন [ ২ : ৩ ]। মৃত্যুর পরে আমাদের সম্মুখে পরলোকের জীবন প্রকৃত সত্যরূপে উপস্থিত হবে। তখন আর পরলোকের জীবন অদৃশ্য থাকবে না। কিন্তু তখন সে জীবনে ও আল্লাহ্র প্রতি ঈমান আনা কোনও গুরুত্বই বহন করবে না। পৃথিবীতে আল্লাহ্ বারে বারে সুযোগ দান করেছেন ঈমান আনার জন্য কিন্তু অবিশ্বাসীরা সর্বদা তা প্রত্যাখান করেছে। কিন্তু ঈমান ঘোষণা করার সময় যখন শেষ হয়ে যায়, যখন অদৃশ্য জগত আর অদৃশ্য থাকে না , তখন ঈমানের ঘোষণা কোনও উপকারেই আসবে না। আল্লাহ্র কাছে তা গ্রহণযোগ্য নয়। আল্লাহ্র বিধান হচ্ছে পৃথিবীতে আল্লাহকে চাক্ষুস না দেখেও তাঁর অস্তিত্বে বিশ্বাস স্থাপন করা এবং আমাদের চরিত্রকে আল্লাহ্র বিধান অনুযায়ী পরিশুদ্ধ করে আল্লাহ্র সান্নিধ্যের উপযোগী করা। যারা তা না করবে,তারা তাদের বিদ্রোহ ও আনুগত্যহীনতার জন্য শেষ পর্যন্ত ধ্বংস হয়ে যাবে।
আয়াতঃ 040.085
অতঃপর তাদের এ ঈমান তাদের কোন উপকারে আসল না যখন তারা শাস্তি প্রত্যক্ষ করল। আল্লাহর এ নিয়মই পূর্ব থেকে তাঁর বান্দাদের মধ্যে প্রচলিত হয়েছে। সেক্ষেত্রে কাফেররা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
But their professing the Faith when they (actually) saw Our Punishment was not going to profit them. (Such has been) Allah.s Way of dealing with His Servants (from the most ancient times). And even thus did the Rejecters of Allah perish (utterly)!
فَلَمْ يَكُ يَنفَعُهُمْ إِيمَانُهُمْ لَمَّا رَأَوْا بَأْسَنَا سُنَّتَ اللَّهِ الَّتِي قَدْ خَلَتْ فِي عِبَادِهِ وَخَسِرَ هُنَالِكَ الْكَافِرُونَ
Falam yaku yanfaAAuhum eemanuhum lamma raaw ba/sana sunnata Allahi allatee qad khalat fee AAibadihi wakhasira hunalika alkafiroona
YUSUFALI: But their professing the Faith when they (actually) saw Our Punishment was not going to profit them. (Such has been) Allah’s Way of dealing with His Servants (from the most ancient times). And even thus did the Rejecters of Allah perish (utterly)!
PICKTHAL: But their faith could not avail them when they saw Our doom. This is Allah’s law which hath ever taken course for His bondmen. And then the disbelievers will be ruined.
SHAKIR: But their belief was not going to profit them when they had seen Our punishment; (this is) Allah’s law, which has indeed obtained in the matter of His servants, and there the unbelievers are lost.
KHALIFA: Their belief then could not help them in the least, once they saw our retribution. Such is GOD’s system that has been established to deal with His creatures; the disbelievers are always doomed.
৮৪। কিন্তু যখন তারা আমাদের শাস্তিকে প্রত্যক্ষ করলো , তারা বলেছিলো , ” আমরা আল্লাহ্র একত্বে বিশ্বাস স্থাপন করলাম – এবং আমরা তাঁর সাথে যাদের শরীক করতাম তাদের প্রত্যাখান করলাম। ”
৮৫। কিন্তু যখন তারা [ সত্যি সত্যিই] আমার শাস্তিকে প্রত্যক্ষ করলো তখন তাদের ঈমানের স্বীকারোক্তি কোন উপকারে আসলো না ৪৪৬১। [ এরূপই হচ্ছে ] আল্লাহ্র নিয়ম তার বান্দাদের জন্য [ প্রাচীন কাল থেকে ]। এ ভাবেই আল্লাহকে প্রত্যাখানকারীরা [ সম্পূর্ণ ] ধ্বংস হয়ে যায়।
৪৪৬১। বিশ্বাস বা ঈমান হচ্ছে না দেখে অন্তরের মাঝে আল্লাহ্র অস্তিত্বকে উপলব্ধি করা। তারাই হচ্ছেন মুত্তাকী বা ঈমানদার যারা অদৃশ্যে বিশ্বাস করেন [ ২ : ৩ ]। মৃত্যুর পরে আমাদের সম্মুখে পরলোকের জীবন প্রকৃত সত্যরূপে উপস্থিত হবে। তখন আর পরলোকের জীবন অদৃশ্য থাকবে না। কিন্তু তখন সে জীবনে ও আল্লাহ্র প্রতি ঈমান আনা কোনও গুরুত্বই বহন করবে না। পৃথিবীতে আল্লাহ্ বারে বারে সুযোগ দান করেছেন ঈমান আনার জন্য কিন্তু অবিশ্বাসীরা সর্বদা তা প্রত্যাখান করেছে। কিন্তু ঈমান ঘোষণা করার সময় যখন শেষ হয়ে যায়, যখন অদৃশ্য জগত আর অদৃশ্য থাকে না , তখন ঈমানের ঘোষণা কোনও উপকারেই আসবে না। আল্লাহ্র কাছে তা গ্রহণযোগ্য নয়। আল্লাহ্র বিধান হচ্ছে পৃথিবীতে আল্লাহকে চাক্ষুস না দেখেও তাঁর অস্তিত্বে বিশ্বাস স্থাপন করা এবং আমাদের চরিত্রকে আল্লাহ্র বিধান অনুযায়ী পরিশুদ্ধ করে আল্লাহ্র সান্নিধ্যের উপযোগী করা। যারা তা না করবে,তারা তাদের বিদ্রোহ ও আনুগত্যহীনতার জন্য শেষ পর্যন্ত ধ্বংস হয়ে যাবে।