৩৮। যদি তুমি তাদের জিজ্ঞাসা কর আকাশ মন্ডলী এবং পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন কে ? ৪২৯৯। অবশ্যই তারা বলবে ” আল্লাহ্।” বল, ” তাহলে ভেবে দেখো , আল্লাহ্ যদি আমাকে শাস্তি দিতে চান , তোমরা আল্লাহ্র পরিবর্তে যাদের আহ্বান কর তারা কি সেই শাস্তি দূর করতে পারবে?” অথবা যদি তিনি আমাকে কোন অনুগ্রহ করতে চান , তারা কি সেই অনুগ্রহ ফিরিয়ে দিতে পারবে ?” ৪৩০০। বল, ” আমার জন্য আল্লাহ্-ই যথেষ্ট ! নির্ভরকারীগণ আল্লাহ্রই উপরে নির্ভর করে ৪৩০১। ”
৪২৯৯। দেখুন আয়াত [ ২৯ : ৬১ ] এবং আয়াত [ ২৩ : ৮৫] ও টিকা ২৯২৭। এই আয়াতে মিথ্যা উপাস্যের উপাসনাকারীদের রূপরেখা বর্ণনা করা হয়েছে। এ সব লোকেরা নাস্তিক বা সন্দেহবাতিক নয়। এরা বিশ্বাস করে যে এই বিশাল মহাবিশ্বের স্রষ্টা আল্লাহ্ , তবে তাদের সে বিশ্বাস তাদের আত্মার মাঝে দৃঢ়ভাবে সুসংবদ্ধ নয়। যার ফলে তাদের আল্লাহ্র প্রতি বিশ্বাসের প্রতিফলন তাদের কর্মের মাধ্যমে প্রকাশ পায় না। তাদের জীবন প্রবাহিত হয় মিথ্যা ধারণার কালোস্রোতে। এরাই আল্লাহ্র পরিবর্তে মিথ্যা উপাস্যের উপাসনা করে থাকে। কখনও তা হয় পূর্বপুরুষদের মিথ্যা কুসংস্কার , কখনও তা হয় তাদের অনুভূতি হীনতার কারণে, বা দুষিত দূর্নীতিপরায়ণ পরিবেশের কারণে বা স্বার্থপর দৃষ্টিভঙ্গীর কারণে অথবা সীমাবদ্ধ জ্ঞানের কারণে। বিভিন্ন কারণে এরা আল্লাহ্র প্রতি বিশ্বাসে অবিচল হতে পারে না। কখনও এরা মাজারে যেয়ে সাহায্য প্রার্থনা করে, কখনও বা ভন্ড পীর ফকির ও জ্যোতিষের স্মরণাপন্ন হয় তাবিজ মাদুলী বা রত্ন পাথরের জন্য। নিজ স্বার্থ উদ্ধারের জন্য এরা কখনও ক্ষমতাবানদের তোষামোদ করে, বা কখনও দুর্নীতির আশ্রয় গ্রহণ করে থাকে। এদের মাঝে ন্যায় ও অন্যায় বোধের সীমারেখা খুবই অস্পষ্ট। এদেরকেই আল্লাহ্ সম্বোধন করে বলেছেন যে, ” তোমাদের মিথ্যা উপাস্য শেষ পর্যন্ত তোমাদের কোনও উপকারই করতে পারবে না ; তবে কেন তোমরা এক আল্লাহ্র সাহায্য প্রার্থনা কর না? কেন শুধুমাত্র তাঁর উপরে নির্ভর কর না ? একমাত্র আল্লাহ্-ই সকল কল্যাণের প্রভু এবং ন্যায় বিচার এবং শাস্তি দানের ক্ষমতা রাখেন। ”
৪৩০০। দেখুন আয়াত [ ৩৩ : ১৭ ]।
৪৩০১। দেখুন আয়াত [ ১২ : ৬৭ ] এবং [ ১৪ : ১২ ] আয়াত। আল্লাহ্ সর্বশক্তিমান। তিনি একাই সকল দায়িত্ব বহন করতে সক্ষম। যে আল্লাহ্র উপরে নির্ভর করে সে প্রকৃত শক্তির সন্ধান লাভ করে। সুতারাং “নির্ভরকারীগণ আল্লাহ্র উপর নির্ভর করে।”
আয়াতঃ 039.039
বলুন, হে আমার কওম, তোমরা তোমাদের জায়গায় কাজ কর, আমিও কাজ করছি। সত্ত্বরই জানতে পারবে।
Say: “O my People! Do whatever ye can: I will do (my part): but soon will ye know-
قُلْ يَا قَوْمِ اعْمَلُوا عَلَى مَكَانَتِكُمْ إِنِّي عَامِلٌ فَسَوْفَ تَعْلَمُونَ
Qul ya qawmi iAAmaloo AAala makanatikum innee AAamilun fasawfa taAAlamoona
YUSUFALI: Say: “O my People! Do whatever ye can: I will do (my part): but soon will ye know-
PICKTHAL: Say: O my people! Act in your manner. Lo! I (too) am acting. Thus ye will come to know
SHAKIR: Say: O my people! work in your place, surely I am a worker, so you will come to know.
KHALIFA: Say, “O my people, do your best and I will do my best; you will surely find out.
৩৯। বল, ” হে আমার সম্প্রদায় ! তোমরা যা পার কর; আমিও আমার কাজ করে যাচ্ছি ৪৩০২। কিন্তু শীঘ্রই তোমরা জানতে পারবে, –
৪৩০২। দেখুন [ ১১ : ১২১ ] ও টিকা ১৬২৪ -ক।
আয়াতঃ 039.040
কার কাছে অবমাননাকর আযাব এবং চিরস্থায়ী শাস্তি নেমে আসে।
“Who it is to whom comes a Penalty of ignominy, and on whom descends a Penalty that abides.”
مَن يَأْتِيهِ عَذَابٌ يُخْزِيهِ وَيَحِلُّ عَلَيْهِ عَذَابٌ مُّقِيمٌ
Man ya/teehi AAathabun yukhzeehi wayahillu AAalayhi AAathabun muqeemun
YUSUFALI: “Who it is to whom comes a Penalty of ignominy, and on whom descends a Penalty that abides.”
PICKTHAL: Who it is unto whom cometh a doom that will abase him, and on whom there falleth everlasting doom.
SHAKIR: Who it is to whom there shall come a punishment which will disgrace him and to whom will be due a lasting punishment.
KHALIFA: “(You will find out) who has incurred shameful punishment, and has deserved an eternal retribution.”
৪০। “কার উপরে পতিত হবে লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তি ৪৩০৩ এবং [ আখেরাতে ] আপাতিত হবে তার উপরে স্থায়ী শাস্তি। ”
৪৩০৩। দেখুন [ ১১ : ৯৩ ] আয়াত। এই আয়াতে শাস্তির বর্ণনার জন্য দুধরণের বর্ণনা ব্যবহার করা হয়েছে। একটি হচ্ছে লাঞ্ছনাদায়ক বা অপমানজনক শাস্তি , অপরটি হচ্ছে স্থায়ী শাস্তি। সম্ভবতঃ শাস্তি প্রাপ্ত লোকের দুধরণের অবস্থাকে এই আয়াত দ্বারা বোঝানো হয়েছে। তার অবস্থা হবে নিম্নরূপ : ১) তা হবে লাঞ্ছলাদায়ক এবং ২) তা হবে চিরস্থায়ী।