لَهُم مَّا يَشَاءونَ عِندَ رَبِّهِمْ ذَلِكَ جَزَاء الْمُحْسِنِينَ
Lahum ma yashaoona AAinda rabbihim thalika jazao almuhsineena
YUSUFALI: They shall have all that they wish for, in the presence of their Lord: such is the reward of those who do good:
PICKTHAL: They shall have what they will of their Lord’s bounty. That is the reward of the good:
SHAKIR: They shall have with their Lord what they please; that is the reward of the doers of good;
KHALIFA: They will get everything they wish, at their Lord. Such is the reward for the righteous.
৩৪। তাদের প্রভুর উপস্থিতিতে তারা যে ইচ্ছা প্রকাশ করবে তাই-ই লাভ করবে ৪২৯৪। যারা ভালো কাজ করে এরূপই হবে তাদের পুরষ্কার।
৪২৯৪। সঠিক পথ অবলম্বনের ফলে মুত্তাকী ব্যক্তিরা আল্লাহ্র নিকট পুরষ্কারের যোগ্য বলে বিবেচিত। পৃথিবীতে রাজ্য বা প্রজাতন্ত্রের সর্বোচ্চ ব্যক্তি দ্বারা পুরষ্কৃত হলে আমরা ধন্য হয়ে যাই। সেখানে বিশ্ব ব্রহ্মান্ডের যিনি অধিপতি , তিনি মোমেন বান্দাদের বাঞ্ছিত সকল কিছু দ্বারা পুরষ্কৃত করার কথা এই আয়াতে ঘোষণা করেছেন।
আয়াতঃ 039.035
যাতে আল্লাহ তাদের মন্দ কর্মসমূহ মার্জনা করেন এবং তাদের উত্তম কর্মের পুরস্কার তাদেরকে দান করেন।
So that Allah will turn off from them (even) the worst in their deeds and give them their reward according to the best of what they have done.
لِيُكَفِّرَ اللَّهُ عَنْهُمْ أَسْوَأَ الَّذِي عَمِلُوا وَيَجْزِيَهُمْ أَجْرَهُم بِأَحْسَنِ الَّذِي كَانُوا يَعْمَلُونَ
Liyukaffira Allahu AAanhum aswaa allathee AAamiloo wayajziyahum ajrahum bi-ahsani allathee kanoo yaAAmaloona
YUSUFALI: So that Allah will turn off from them (even) the worst in their deeds and give them their reward according to the best of what they have done.
PICKTHAL: That Allah will remit from them the worst of what they did, and will pay them for reward the best they used to do.
SHAKIR: So that Allah will do away with the worst of what they did and give them their reward for the best of what they do.
KHALIFA: GOD remits their sinful works, and rewards them generously for their good works.
৩৫। এই হেতু যে, আল্লাহ্ তাদের মন্দ কর্মগুলিও ক্ষমা করে দেবেন ৪২৯৫। এবং তারা যে সৎ কাজ করেছে সেই অনুযায়ী পুরষ্কার দান করবেন।
৪২৯৫। “Lam” আরবী শব্দটির অনুবাদ করা হয়েছে “এই হেতু” বাংলা শব্দটি দ্বারা, যার দ্বারা বুঝাতে চাওয়া হয়েছে মুত্তাকীদের কাজের ফলাফল। আল্লাহ্র পুরষ্কার সীমাহীন। যদি কেহ নিজেকে সম্পূর্ণরূপে আল্লাহ্র ইচ্ছার কাছে আত্মসমর্পন করে,তবে আল্লাহ্ শুধু যে তার ছোট খাট দোষ ত্রুটি ক্ষমা করে দেবেন তাই নয়, তার পাপ বা মন্দ কর্মকেও ক্ষমা করে দেবেন। এবং তাকে বিচার করবেন তার সৎকর্ম বা পূণ্য কর্মের পরিপ্রেক্ষিতে।
আয়াতঃ 039.036
আল্লাহ কি তাঁর বান্দার পক্ষে যথেষ্ট নন? অথচ তারা আপনাকে আল্লাহর পরিবর্তে অন্যান্য উপাস্যদের ভয় দেখায়। আল্লাহ যাকে গোমরাহ করেন, তার কোন পথপ্রদর্শক নেই।
Is not Allah enough for his Servant? But they try to frighten thee with other (gods) besides Him! for such as Allah leaves to stray, there can be no guide.
أَلَيْسَ اللَّهُ بِكَافٍ عَبْدَهُ وَيُخَوِّفُونَكَ بِالَّذِينَ مِن دُونِهِ وَمَن يُضْلِلِ اللَّهُ فَمَا لَهُ مِنْ هَادٍ
Alaysa Allahu bikafin AAabdahu wayukhawwifoonaka biallatheena min doonihi waman yudlili Allahu fama lahu min hadin
YUSUFALI: Is not Allah enough for his Servant? But they try to frighten thee with other (gods) besides Him! for such as Allah leaves to stray, there can be no guide.
PICKTHAL: Will not Allah defend His slave? Yet they would frighten thee with those beside Him. He whom Allah sendeth astray, for him there is no guide.
SHAKIR: Is not Allah sufficient for His servant? And they seek to frighten you with those besides Him; and whomsoever Allah makes err, there is no guide for him.
KHALIFA: Is GOD not sufficient for His servant? They frighten you with the idols they set up beside Him. Whomever GOD sends astray, nothing can guide him.
৩৬। তাঁর বান্দাদের জন্য আল্লাহ্-ই কি যথেষ্ট নন ? ৪২৯৬ কিন্তু তারা তোমাকে আল্লাহ্ ব্যতীত অন্য [দেবতাদের ] ভয় দেখাতে চেষ্টা করে। আল্লাহ্ যাকে পথভ্রষ্ট করেন তার জন্য কোন পথপ্রদর্শক নাই।
৪২৯৬। যারা মুত্তাকী বা আল্লাহ্র ইচ্ছার নিকট সমর্পিত , তাদের নিকট পার্থিব নিরাপত্তার জন্য আল্লাহ্-ই যথেষ্ট। পৃথিবীতে সুখ শান্তি ,নিরাপত্তা , বিশ্রাম , যার জন্য মানুষ আকাঙ্খা প্রকাশ করে থাকে , সকল কিছুর মালিক একমাত্র আল্লাহ্। আল্লাহ্-ই এ সকলের জন্য যথেষ্ট , শয়তান মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য ভয় দেখায় যে, শয়তানের নির্দ্দেশিত পথ ব্যতীত এসব সুখ ও নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা। শয়তানের নির্দ্দেশিত পথ হচ্ছে মিথ্যা কুসংস্কার ও মিথ্যা উপাস্যের উপাসনা। মূর্তি পূঁজার অর্থেই শুধুমাত্র মিথ্যা উপাস্যের উপাসনা করা হয় না। পৃথিবীতে সাধারণ মানুষ অহরহ আল্লাহ্ ব্যতীত অন্যান্য অনেক শক্তির নিকট মাথা নত করে। আপতঃদৃষ্টিতে তাদের নিকট এসব শক্তিকে আল্লাহ্র থেকে বেশী শক্তিশালী মনে হয়। যেমন মানুষ সম্পদ , ক্ষমতা, শাসক , বিজ্ঞান , আত্মসুখ বা নিজ স্বার্থ ইত্যাদিকে সর্বোচ্চ করে দেখতে অভ্যস্ত। নিজস্ব স্বার্থ ও আত্মসুখের জন্য তারা আল্লাহ্র আদেশের বিপরীতে কাজ করে থাকে। তাদের মানসিক অবস্থা এরূপ : ” আমি সঠিক পথটি অবলম্বন করলে সমাজের চোখে হেয় প্রতিপন্ন হব। অথবা যদি আমি পাপ কাজ করতে অস্বীকার করি, তবে আমি জাগতিক উন্নতি লাভে অসমর্থ হব এবং আমার জীবনে পার্থিব উন্নতি লাভের সকল পথ রুদ্ধ হয়ে যাবে ইত্যাদি “। আজকের বাংলাদেশে অধিকাংশ চাকুরীর ক্ষেত্রে ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে অর্থাৎ জীবিকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে মানুষ এই টানা পোড়েনের সম্মুখীন । তারা আল্লাহকে সর্বোচ্চ ও সর্বশক্তিমান মনে না করে বিভিন্ন শক্তির সাহায্য প্রার্থনা করে , এবং অন্যায় , দূর্নীতি, ও কুসংস্কারের আশ্রয় গ্রহণ করে থাকে। এগুলিই তাদের মিথ্যা উপাস্য। প্রকৃত পক্ষে এ সব মিথ্যা উপাস্য জীবনের ক্ষণস্থায়ী সুখ ও উন্নতির সন্ধান দান করে যার শেষ পরিণতিতে এসবের উপাসনাকারীরা হতাশা ও দুর্দ্দশাতে নিমজ্জিত হয়। কারণ তারা পরম করুণাময় আল্লাহ্র করুণা ও দয়া থেকে বঞ্চিত হয়। আর যে আল্লাহ্র করুণা বঞ্চিত তাকে কে সঠিক পথের সন্ধান দেবে ? কে তাকে বিপদ বিপর্যয়ে সান্তনা ও সাহস দান করবে ? আল্লাহ্-ই তাঁহার বান্দার জন্য যথেষ্ট।”