আয়াতঃ 038.004
তারা বিস্ময়বোধ করে যে, তাদেরই কাছে তাদের মধ্যে থেকে একজন সতর্ককারী আগমন করেছেন। আর কাফেররা বলে এ-তো এক মিথ্যাচারী যাদুকর।
So they wonder that a Warner has come to them from among themselves! and the Unbelievers say, “This is a sorcerer telling lies!
وَعَجِبُوا أَن جَاءهُم مُّنذِرٌ مِّنْهُمْ وَقَالَ الْكَافِرُونَ هَذَا سَاحِرٌ كَذَّابٌ
WaAAajiboo an jaahum munthirun minhum waqala alkafiroona hatha sahirun kaththabun
YUSUFALI: So they wonder that a Warner has come to them from among themselves! and the Unbelievers say, “This is a sorcerer telling lies!
PICKTHAL: And they marvel that a warner from among themselves hath come unto them, and the disbelievers say: This is a wizard, a charlatan.
SHAKIR: And they wonder that there has come to them a warner from among themselves, and the disbelievers say: This IS an enchanter, a liar.
KHALIFA: They wondered that a warner should come to them, from among them. The disbelievers said, “A magician, a liar.
০৪। এরা আশ্চর্য হচ্ছে এই ভেবে যে, তাদের মধ্য থেকেই তাদের জন্য একজন সর্তককারী এসেছে এবং অবিশ্বাসীরা বলে যে, ” এ তো একজন যাদুকর , মিথ্যা বলছে ৪১৫০।
৪১৫০। রাসুলের [সা ] আগমনে আরব মোশরেকরা আশ্চর্য্য বোধ করে এ জন্য যে, তাদেরই একজনকে আল্লাহ্ কেন বিশেষ ভাবে রাসুল রূপে নির্বাচিত করলেন। হিংসার আগুন তাদের সমস্ত সত্ত্বাকে বিদ্বেষে পরিপূর্ণ করে তোলে। ফলে তারা রাসুলের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এবং কুরুচিপূর্ণ বাক্য প্রয়োগ করতে থাকে। যাকে আল্লাহ্ পৃথিবীর রহমতরূপে প্রেরণ করেছেন তাঁকে তারা “যাদুকর” ও ” মিথ্যাবাদী” রূপে অভিহিত করার প্রয়াস পায়। তাদের এই প্রয়াস তাদের বিবেক বুদ্ধির স্বল্পতারই প্রকাশ করে।
আয়াতঃ 038.005
সে কি বহু উপাস্যের পরিবর্তে এক উপাস্যের উপাসনা সাব্যস্ত করে দিয়েছে। নিশ্চয় এটা এক বিস্ময়কর ব্যাপার।
“Has he made the gods (all) into one Allah. Truly this is a wonderful thing!”
أَجَعَلَ الْآلِهَةَ إِلَهًا وَاحِدًا إِنَّ هَذَا لَشَيْءٌ عُجَابٌ
AjaAAala al-alihata ilahan wahidan inna hatha lashay-on AAujabun
YUSUFALI: “Has he made the gods (all) into one Allah? Truly this is a wonderful thing!”
PICKTHAL: Maketh he the gods One Allah? Lo! that is an astounding thing.
SHAKIR: What! makes he the gods a single Allah? A strange thing is this, to be sure!
KHALIFA: “Did he make the gods into one god? This is really strange.”
০৫। ” সে কি বহু দেব-দেবীদের [ সকলকে ] এক আল্লাহ্ বানিয়েছে ? সত্যিই এটা একটা অত্যাশ্চর্য ব্যাপার!” ৪১৫১
৪১৫১। আল্লাহ্র একত্ব ঘোষণায় রসুলের [সা ] ত্রুটি কোথায় ? তিনি তো কাল্পনিক উপাস্যদের বিদূরিত করে উপসনার ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা আনায়ন করেছেন। ফলে বিভিন্ন উপাস্যের উপাসকরা পরস্পর সংঘর্ষ থেকে রেহাই পায় এবং সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়। যদিও নৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে রাসুলের শিক্ষা এক অপূর্ব শান্তি, শৃঙ্খলা ও সমন্বয়ের সমাবেশ, তবুও অবিশ্বাসীদের চোখে তা বিদ্রূপের সামিল। এই আয়াতে অবিশ্বাসীদের ব্যঙ্গক্তিকেই প্রকাশ করা হয়েছে।
আয়াতঃ 038.006
তাদের কতিপয় বিশিষ্ট ব্যক্তি একথা বলে প্রস্থান করে যে, তোমরা চলে যাও এবং তোমাদের উপাস্যদের পূজায় দৃঢ় থাক। নিশ্চয়ই এ বক্তব্য কোন বিশেষ উদ্দেশ্যে প্রণোদিত।
And the leader among them go away (impatiently), (saying), “Walk ye away, and remain constant to your gods! For this is truly a thing designed (against you)!
وَانطَلَقَ الْمَلَأُ مِنْهُمْ أَنِ امْشُوا وَاصْبِرُوا عَلَى آلِهَتِكُمْ إِنَّ هَذَا لَشَيْءٌ يُرَادُ
Waintalaqa almalao minhum ani imshoo waisbiroo AAala alihatikum inna hatha lashay-on yuradu
YUSUFALI: And the leader among them go away (impatiently), (saying), “Walk ye away, and remain constant to your gods! For this is truly a thing designed (against you)!
PICKTHAL: The chiefs among them go about, exhorting: Go and be staunch to your gods! Lo! this is a thing designed.
SHAKIR: And the chief persons of them break forth, saying: Go and steadily adhere to your gods; this is most surely a thing sought after.
KHALIFA: The leaders announced, “Go and steadfastly persevere in worshiping your gods. This is what is desired.
০৬। তাদের মধ্যে যারা প্রধান তারা অসহিষ্ণু ভাবে চলে গেলো [ এই বলে ] ৪১৫২। “তোমরা চলে যাও, এবং তোমাদের দেবতাদের প্রতি অবিচলিত থাক। নিশ্চয়ই এটা [ তোমাদের বিরুদ্ধে ] এক অভিসন্ধি।
৪১৫২। ইসলামের প্রথম যুগে যখন ইসলামের প্রচারক হযরত মুহম্মদের [ সা ] উপরে পৌত্তলিক কোরেশদের নির্মম নির্যাতন চলছিলো , সে সময়ে তারা রাসুলের [সা ] নির্যাতনের জন্য বিভিন্ন পথ অবলম্বন করতো, এর মধ্যে অন্যতম পন্থা ছিলো , তারা হযরতের [সা ] চাচা আবু তালিবের উপরে চাপ সৃষ্টি করা যেনো তিনি প্রকাশ্যে তাঁর প্রিয় ভ্রাতুষ্পুত্রকে পরিত্যাগ করেন। এ ব্যাপারে তারা আবু তালেবের সাথে মন্ত্রণাসভারও আয়োজন করে। এ ব্যাপারে তাদের উদ্দোগ অকৃতকার্যতায় পর্যবসিত হয। ফলে তারা ইসলামের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত হয়ে পড়ে। তারা প্রচার করে যে, ইসলাম প্রচারের মাধ্যমে হযরত মুহম্মদ [ সা ] তাঁর নিজের হাতে সমস্ত ক্ষমতাকে কেন্দ্রীভূত করার অপপ্রয়াস চালাচ্ছেন। হযরত ওমর [রা] ইসলাম প্রচারের ষষ্ঠ বছরে ইসলাম গ্রহণ করেন যা ছিলো হিজরতের সাত বছর পূর্বে। হযরত ওমরের ইসলাম গ্রহণ কোরেশ প্রধানদের আতঙ্কিত করে তোলে। কারণ তারা ছিলো স্বেচ্ছাচারী ,লোভী , সুতারাং ইসলামের সমতার বিধান তাদের ক্ষমতার ভিত্তিকে আঘাত হানে। সুতারাং ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচারের মাধ্যমে তারা পূণ্যাত্মা রাসুলের [সা ] ভূমিকাকে বিকৃত করে দেখানোর প্রয়াস পায়। রাসুলুল্লাহ্র [সা] ধর্ম প্রচার রোধ করার উদ্দেশ্যে কোরেশদের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিরা ইসলাম থেকে লোকদের ফিরিয়ে রাখতে এই ধরণের অপপ্রচার করতো।