- সূরার নাম: সূরা আস-সাফফাত
- বিভাগসমূহ: ইসলামিক বই, কোরআন শরীফ
সূরা আস-সাফফাত
আয়াতঃ 037.001
শপথ তাদের যারা সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়ানো,
By those who range themselves in ranks,
وَالصَّافَّاتِ صَفًّا
Waalssaffati saffan
YUSUFALI: By those who range themselves in ranks,
PICKTHAL: By those who set the ranks in battle order
SHAKIR: I swear by those who draw themselves out in ranks
KHALIFA: The arrangers in columns.
০১। শপথ তাদের যারা সারিবদ্ধভাবে দন্ডায়মান ৪০৩০, ৪০৩১ ,
৪০৩০। লক্ষ্য করুণ পূর্বের সূরাতে [ ইয়া-সীন ] শপথ করা হয়েছে “জ্ঞানগর্ভ কোরাণের ” গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে প্রত্যাদেশের উপরে , যার সাহায্যে মানুষ আধ্যাত্মিক জগতের সর্বোচ্চ জ্ঞান আহরণ করতে পারে। এই সূরাতে শপথের মাধ্যমে তিনটি মনোভাব বা আচরণকে প্রকাশ কর হয়েছে পরবর্তী তিনটি আয়াতে যা হচ্ছে মন্দের উপরে ভালোকে প্রতিষ্ঠিত করার উপায়। দেখুন পরবর্তী টিকা সমূহ।
৪০৩১। এই আয়াতসমূহের ব্যাখ্যাতে মতদ্বৈত আছে। এখানে দুধরণের মতবাদ আছে :
১) আয়াত [ ১- ৩ ] পর্যন্ত যাদের উল্লেখ আছে তারা সকলেই একই ব্যক্তি। একই ব্যক্তির মাঝে উপরে তিন ধরণের গুণের প্রকাশ ঘটেছে। অথবা এরা হলেন তিন বিভিন্ন শ্রেণীর ব্যক্তি ;
২) উভয়ক্ষেত্রেই প্রশ্ন হলো এরা কারা ? মতবাদের দিক থেকে সবচেয়ে শক্তিশালী মতবাদ হচ্ছে : ১) যে তিনটি গুণের উল্লেখ করা হয়েছে তা একজনের জন্য প্রযোজ্য – জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে একই ব্যক্তির চারিত্রিক গুণাবলীর বিভিন্ন প্রকাশ মাত্র। অপরপক্ষে ২) অন্যদল মনে করেন সারিবদ্ধ ভাবে যারা দন্ডায়মান তারা ফেরেশতা এবং তাদের গুণাবলীই এভাবে প্রকাশ করা হয়েছে। অন্যরা মনে করেন এরা হলেন ক) ভালো লোক, খ) আল্লাহ্র রসুলগণ , ৩) যারা আল্লাহ্র রাস্তায় যুদ্ধ করে। কোরাণে এই তিন প্রকার লোকের সুস্পষ্ট কোন বর্ণনা নাই। তবে মওলানা ইউসুফ আলীর মতে এই তিন প্রকার গুণাবলীর প্রয়োগ সার্বজনীন উভয় দলের জন্য প্রযোজ্য।
আয়াতঃ 037.002
অতঃপর ধমকিয়ে ভীতি প্রদর্শনকারীদের,
And so are strong in repelling (evil),
فَالزَّاجِرَاتِ زَجْرًا
Faalzzajirati zajran
YUSUFALI: And so are strong in repelling (evil),
PICKTHAL: And those who drive away (the wicked) with reproof
SHAKIR: Then those who drive away with reproof,
KHALIFA: The blamers of those to be blamed.
০২। এবং [ মন্দকে ] প্রতিরোধে যারা কঠোর ৪০৩২।
৪০৩২। তিনটি আয়াতের মাধ্যমে [ ১- ৩ ] যে তিনটি কর্মপদ্ধতির বর্ণনা করা হয়েছে তা হচ্ছে ধারাবাহিকতা এবং এই ধারাবাহিকতা প্রকাশের জন্য ফা [Fa ] শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে। মওলানা ইউসুফ আলীর মতে – ফেরেশতা ও পূণ্যাত্মা ব্যক্তিদের উভয়ের কর্মপদ্ধতি এখানে বর্ণনা করা হয়েছে। এই উভয় সম্প্রদায় –
১) আল্লাহ্র এবাদত ও পূণ্য কাজের জন্য শৃঙ্খলা , নিয়মানুবর্তিতা ও নিজ নিজ ক্ষমতা অনুযায়ী নিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন করে থাকেন।
২) তারা সর্বদা পাপ ও মন্দকে প্রতিহত করে থাকেন। এ কাজে তারা অত্যন্ত কঠোরতার পরিচয় দান করেন। প্রতিটি কর্মকে পাপমুক্ত ভাবে আল্লাহ্র বিধানমতে সম্পন্ন করার জন্য তারা শৃঙ্খলা ,নিয়মানুবর্তিতা ও একতাবদ্ধ ভাবে পরিচালিত হন। তারা “কঠোর পরিচালক “।
৩) আল্লাহ্র রাজত্বের উন্নতি বিধানের জন্যই তাদের পরিশ্রম। তাঁরা আল্লাহ্র বাণী ও মহিমা প্রচারে মগ্ন থাকেন।
আয়াতঃ 037.003
অতঃপর মুখস্থ আবৃত্তিকারীদের-
And thus proclaim the Message (of Allah.!
فَالتَّالِيَاتِ ذِكْرًا
Faalttaliyati thikran
YUSUFALI: And thus proclaim the Message (of Allah)!
PICKTHAL: And those who read (the Word) for a reminder,
SHAKIR: Then those who recite, being mindful,
KHALIFA: The reciters of the messages.
০৩। এবং যারা [আল্লাহ্র ] মহিমা ঘোষণা করে।
০৪। অবশ্যই অবশ্যই তোমাদের আল্লাহ্ অদ্বিতীয় ৪০৩৩ –
৪০৩৩। ঐশ্বরিক উপদেশ এক কথায় প্রকাশ করা হয়েছে এই আয়াতের মাধ্যমে। ধর্মের সর্বশেষ কথা, এক আল্লাহ্র প্রতি বিশ্বাস ; ” নিশ্চয়ই তোমাদের আল্লাহ্ অদ্বিতীয়।” এই বিশ্বাসই হচ্ছে ঈমান, আমাদের জীবনের শেষ পরিণতি। বলা হয়েছে প্রভু আল্লাহ্ আমাদের যত্ন করেন , ভালোবাসেন এবং প্রতিপালন করেন। আমরা তাঁর অতি প্রিয়। তিনি এক এবং অদ্বিতীয় সত্ত্বা। সমস্ত মঙ্গল, ভালোবাসা ; ক্ষমতা , সর্বকিছুর মূল চালিকাশক্তি এক আল্লাহ্ – এসব অর্জনের জন্য শুধুমাত্র আল্লাহ্র সাহায্যই কামনা করতে হবে। বিশ্ব প্রকৃতি দেবতা, উপদেবতা বা অন্ধ ভাগ্যের খেলাধূলার স্থান নয়, যে তাদের কাছে সাহায্যের জন্য প্রতিযোগীতা করতে হবে , মহাপরাক্রমশালী আল্লাহ্র আইনে সমস্ত বিশ্বভূমন্ডল সমন্বিত শৃঙ্খলার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত – আকাশ ও পৃথিবী সব কিছু একই আইনের অধীনে সমন্বিত -শৃঙ্খলার সাথে অবস্থান করে। আমাদেরও আহ্বান করা হচ্ছে বিশ্ব প্রকৃতিতে এক আল্লাহ্র আরোপিত আইনের সাথে নিজেকে সমন্বিত করার জন্য – ১) সারিবদ্ধভাবে শৃঙ্খলার সাথে , ২) মন্দকে প্রতিহত করার সমন্বিত পরিকল্পনার মাধ্যমে এবং ৩) আল্লাহ্র রাজত্বের মঙ্গলের জন্য পরস্পরের সহযোগীতায় উদ্ভাবিত কার্যের মাধ্যমে।
নিয়ম ও শৃঙ্খলা আল্লাহ্র আইনের আওতাভূক্ত ; এবং আল্লাহ্র পছন্দীয়। আল্লাহ্র এবাদত , তা যে কোনও প্রকারেরই হোক না কেন তা বিশৃঙ্খলার পরিবর্তে হতে হবে সারিবদ্ধ শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে। উত্তম গুণাবলীর মধ্যে সর্বাগ্রে এ গুণটির উল্লেখ করা হয়েছে। অর্থাৎ আল্লাহ্র এবাদত ও সৎ কাজ করার নির্দ্দেশনা হচ্ছে : বিশৃঙ্খল না হয়ে , সারিবদ্ধ থাকা, মন্দকে প্রতিরোধ করা এবং আল্লাহ্র উপদেশাবলী নিজে পাঠ করা এবং অপরের কাছে পৌঁছানো – আল্লাহ্র সৃষ্টির মঙ্গলের জন্য।
উপদেশ : এই আয়াতগুলির [ ১-৪ ] উপদেশ সার্বজনীন এবং শ্রেষ্ঠ কাজের সাফল্যের জন্য প্রয়োজন সর্বকালে ; এগুলি হচ্ছে : ১) শৃঙ্খলা [ সারিবদ্ধ ভাবে ] ; ২) ন্যায়নীতি [ মন্দকে প্রতিহত ও ভালোকে প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে কঠোর পরিচালকের ভূমিকা ] ; ৩) সৎ কাজ [আল্লাহ্র রাজত্বের মঙ্গলের জন্য কাজ করা ও সর্বদা আল্লাহ্র নির্দ্দেশবলী স্মরণ রাখে যিক্র ও কোরাণ আবৃত্তির দ্বারা ]।
আয়াতঃ 037.004
নিশ্চয় তোমাদের মাবুদ এক।
Verily, verily, your Allah is one!-
إِنَّ إِلَهَكُمْ لَوَاحِدٌ
Inna ilahakum lawahidun
YUSUFALI: Verily, verily, your Allah is one!-
PICKTHAL: Lo! thy Lord is surely One;
SHAKIR: Most surely your Allah is One:
KHALIFA: Your god is only one.
০৩। এবং যারা [আল্লাহ্র ] মহিমা ঘোষণা করে।
০৪। অবশ্যই অবশ্যই তোমাদের আল্লাহ্ অদ্বিতীয় ৪০৩৩ –
৪০৩৩। ঐশ্বরিক উপদেশ এক কথায় প্রকাশ করা হয়েছে এই আয়াতের মাধ্যমে। ধর্মের সর্বশেষ কথা, এক আল্লাহ্র প্রতি বিশ্বাস ; ” নিশ্চয়ই তোমাদের আল্লাহ্ অদ্বিতীয়।” এই বিশ্বাসই হচ্ছে ঈমান, আমাদের জীবনের শেষ পরিণতি। বলা হয়েছে প্রভু আল্লাহ্ আমাদের যত্ন করেন , ভালোবাসেন এবং প্রতিপালন করেন। আমরা তাঁর অতি প্রিয়। তিনি এক এবং অদ্বিতীয় সত্ত্বা। সমস্ত মঙ্গল, ভালোবাসা ; ক্ষমতা , সর্বকিছুর মূল চালিকাশক্তি এক আল্লাহ্ – এসব অর্জনের জন্য শুধুমাত্র আল্লাহ্র সাহায্যই কামনা করতে হবে। বিশ্ব প্রকৃতি দেবতা, উপদেবতা বা অন্ধ ভাগ্যের খেলাধূলার স্থান নয়, যে তাদের কাছে সাহায্যের জন্য প্রতিযোগীতা করতে হবে , মহাপরাক্রমশালী আল্লাহ্র আইনে সমস্ত বিশ্বভূমন্ডল সমন্বিত শৃঙ্খলার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত – আকাশ ও পৃথিবী সব কিছু একই আইনের অধীনে সমন্বিত -শৃঙ্খলার সাথে অবস্থান করে। আমাদেরও আহ্বান করা হচ্ছে বিশ্ব প্রকৃতিতে এক আল্লাহ্র আরোপিত আইনের সাথে নিজেকে সমন্বিত করার জন্য – ১) সারিবদ্ধভাবে শৃঙ্খলার সাথে , ২) মন্দকে প্রতিহত করার সমন্বিত পরিকল্পনার মাধ্যমে এবং ৩) আল্লাহ্র রাজত্বের মঙ্গলের জন্য পরস্পরের সহযোগীতায় উদ্ভাবিত কার্যের মাধ্যমে।
নিয়ম ও শৃঙ্খলা আল্লাহ্র আইনের আওতাভূক্ত ; এবং আল্লাহ্র পছন্দীয়। আল্লাহ্র এবাদত , তা যে কোনও প্রকারেরই হোক না কেন তা বিশৃঙ্খলার পরিবর্তে হতে হবে সারিবদ্ধ শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে। উত্তম গুণাবলীর মধ্যে সর্বাগ্রে এ গুণটির উল্লেখ করা হয়েছে। অর্থাৎ আল্লাহ্র এবাদত ও সৎ কাজ করার নির্দ্দেশনা হচ্ছে : বিশৃঙ্খল না হয়ে , সারিবদ্ধ থাকা, মন্দকে প্রতিরোধ করা এবং আল্লাহ্র উপদেশাবলী নিজে পাঠ করা এবং অপরের কাছে পৌঁছানো – আল্লাহ্র সৃষ্টির মঙ্গলের জন্য।
উপদেশ : এই আয়াতগুলির [ ১-৪ ] উপদেশ সার্বজনীন এবং শ্রেষ্ঠ কাজের সাফল্যের জন্য প্রয়োজন সর্বকালে ; এগুলি হচ্ছে : ১) শৃঙ্খলা [ সারিবদ্ধ ভাবে ] ; ২) ন্যায়নীতি [ মন্দকে প্রতিহত ও ভালোকে প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে কঠোর পরিচালকের ভূমিকা ] ; ৩) সৎ কাজ [আল্লাহ্র রাজত্বের মঙ্গলের জন্য কাজ করা ও সর্বদা আল্লাহ্র নির্দ্দেশবলী স্মরণ রাখে যিক্র ও কোরাণ আবৃত্তির দ্বারা ]।
আয়াতঃ 037.005
তিনি আসমান সমূহ, যমীনও এতদুভয়ের মধ্যবর্তী সবকিছুর পালনকর্তা এবং পালনকর্তা উদয়াচলসমূহের।
Lord of the heavens and of the earth and all between them, and Lord of every point at the rising of the sun!
رَبُّ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَمَا بَيْنَهُمَا وَرَبُّ الْمَشَارِقِ
Rabbu alssamawati waal-ardi wama baynahuma warabbu almashariqi
YUSUFALI: Lord of the heavens and of the earth and all between them, and Lord of every point at the rising of the sun!
PICKTHAL: Lord of the heavens and of the earth and all that is between them, and Lord of the sun’s risings.
SHAKIR: The Lord of the heavens and the earth and what is between them, and Lord of the easts.
KHALIFA: The Lord of the heavens and the earth, and everything between them, and Lord of the easts.
০৫। যিনি আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী এবং ঐ উভয়ের মধ্যে যা কিছু আছে সকল কিছুর প্রভু এবং সূর্য উদয়ের প্রতিটি স্থানের প্রভু ৪০৩৪।
৪০৩৪। আকাশ মন্ডলী ও পৃথিবী এবং উহাদের অর্ন্তর্বতী সকল কিছুর প্রভু এক আল্লাহ্। তিনি ‘Mashariq’ সূর্যোদয়ের উদয়স্থলের প্রভু। তফসীরকারগণের মতে বছরে শুধুমাত্র দুদিন সূর্য বিষুবরেখার উপরে ঠিক পূর্ব প্রান্তে উদিত হয়। বৎসরের অন্যান্য সময়ে সূর্য প্রতিদিন ধীরে ধীরে দক্ষিণে অথবা উত্তরে সরে যায়। সুতারাং বৎসরে দুদিন ব্যতীত সূর্যকে ঠিক একই স্থানে উদিত হয় না। অর্থাৎ সূর্য কোনও নির্দ্দিষ্ট স্থানে সারা বৎসর উদিত হয় না। আমরা দেখি দীপ্ত সূর্য সারা বৎসর তার উদয়স্থানের পরিবর্তন করে থাকে; কিন্তু তা সত্বেও সূর্য সকল আকাশ ও পৃথিবীকে সমভাবে আলোকিত করে থাকে। এ সবই আল্লাহ্র একত্বের নিদর্শন।
আয়াতঃ 037.006
নিশ্চয় আমি নিকটবর্তী আকাশকে তারকারাজির দ্বারা সুশোভিত করেছি।
We have indeed decked the lower heaven with beauty (in) the stars,-
إِنَّا زَيَّنَّا السَّمَاء الدُّنْيَا بِزِينَةٍ الْكَوَاكِبِ
Inna zayyanna alssamaa alddunya bizeenatin alkawakibi
YUSUFALI: We have indeed decked the lower heaven with beauty (in) the stars,-
PICKTHAL: Lo! We have adorned the lowest heaven with an ornament, the planets;
SHAKIR: Surely We have adorned the nearest heaven with an adornment, the stars,
KHALIFA: We have adorned the lowest heaven with adorning planets.
০৬। নিশ্চয় আমি নিম্নতম আকাশকে ৪০৩৫ , নক্ষত্ররাজির সৌন্দর্য দ্বারা সুশোভিত করেছি ৪০৩৬ –
৪০৩৫। অনুরূপ আয়াত দেখুন [ ৬৭ : ৫ ] এবং [ ৭২ : ৮-৯ ]। ” নিম্নতম আকাশ ” – বাক্যটি দ্বারা প্রকাশ করা হয়েছে আকাশের বিভিন্ন স্তরকে। মহাশূন্যে আকাশের সীমানা মানুষের জ্ঞানের সীমার বাইরে। বর্তমানে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা ‘হাবেল’ টেলিস্কোপ স্থাপন করেছেন পৃথিবীর বাইরে,যার সাহায্যে তারা নিরন্তর চেষ্টা করে যাচ্ছেন সপ্ত আকাশের সীমা রেখা নির্ধারণের। অসীম আকাশের পৃথিবীর নিকটবর্তী যে অংশ তারই বর্ণনা দেয়া হয়েছে এই আয়াতে।
এখানে লক্ষ্যনীয় বিষয় হচ্ছে কোরাণ অবতীর্ণ হয়েছে আজ থেকে চৌদ্দশত বৎসর পূর্বে যখন মহাশূন্য সম্বন্ধে মানুষের ধারণা ছিলো খুবই সীমাবদ্ধ। এমন কি সৌর মন্ডল সম্বন্ধেও মানুষের প্রকৃত ধারণা ছিলো না।
৪০৩৬। তারকাশোভিত রাতের অনন্ত আকাশ প্রতিটি মানুষকে মুগ্ধ করে। এই তারকারাজির মধ্যে শ্রেণীবিভাগ বর্তমান। নক্ষত্ররাজি শব্দটি দ্বারা গ্রহ, নক্ষত্র , ধূমকেতু , উল্কাপিন্ড, ইত্যাদি , রাতের আকাশের সকল বস্তুকে নির্দ্দেশ করা হয়েছে। নির্মেঘ রাতের আকাশের এ সব বস্তুর সৌন্দর্য্য প্রবাদতুল্য। এই আয়াতে দুইটি বিষয়ের প্রতি মনোযোগ আকর্ষণ করা হয়েছে :
১) নক্ষত্র রাজির অপূর্ব সৌন্দর্য এবং তাদের সমষ্টিগত ভাবে ছায়াপথে অবস্থান ও পৃথিবী থেকে দ্রষ্টব্য তাদের চলমান গতি প্রভৃতি সব কিছুই নির্দ্দেশ করে স্রষ্টা এক এবং এসব বস্তু তাঁর প্রণীত একই আইনের আওতায় সমন্বিত শৃঙ্খলার সাথে অনন্ত আকাশে অবস্থান করছে।
এখানে শুধু এটুকুই বলা উদ্দেশ্য যে, এই তারকাশোভিত আকাশ সাক্ষ্য দেয় যে , এগুলি আপনা আপনি অস্তিত্ব লাভ করে নাই , বরং একজন স্রষ্টা এগুলি সৃষ্টি করেছেন ; যে সত্ত্বা এ সব বস্তুকে অস্তিত্ব দান করতে সক্ষম তার কোন শরীক বা অংশীদার প্রয়োজন নাই। অর্থাৎ নভোমন্ডলের সকল কিছু স্রষ্টার একত্ব ঘোষণা করে তাঁর সমন্বিত আইন দ্বারা শৃঙ্খলার দ্বারা পরিচালিত হয়ে। এবং এ সকল নক্ষত্ররাজির অলক্ষ্যে যে শক্তি ও মহিমা কাজ করে তা শয়তানের প্রবল আক্রমণ থেকে প্রহরী স্বরূপ পৃথিবীকে রক্ষা করে। [দেখুন পরবর্তী আয়াত নং ৭ ]।
আয়াতঃ 037.007
এবং তাকে সংরক্ষিত করেছি প্রত্যেক অবাধ্য শয়তান থেকে।
(For beauty) and for guard against all obstinate rebellious evil spirits,
وَحِفْظًا مِّن كُلِّ شَيْطَانٍ مَّارِدٍ
Wahifthan min kulli shaytanin maridin
YUSUFALI: (For beauty) and for guard against all obstinate rebellious evil spirits,
PICKTHAL: With security from every froward devil.
SHAKIR: And (there is) a safeguard against every rebellious Shaitan.
KHALIFA: We guarded it from every evil devil.
০৭। এবং প্রত্যেক অবাধ্য , বিদ্রোহী শয়তান থেকে রক্ষা করেছি , ৪০৩৭
৪০৩৭। [ ৭ – ১১ ] আয়াত সমূহ জ্বলন্ত উল্কাপিন্ডের নির্দ্দেশ দান করে। দেখুন আয়াত [ ১৫ : ১৭ – ১৮ ] এবং টিকা ১৯৫১- ৫৩। অনন্ত নভোমন্ডল যে শুধুমাত্র আল্লাহ্র ক্ষমতা ও শিল্পসত্ত্বার সাক্ষর বহন করে তাই নয় ; পৃথিবীকে শয়তানের প্রবল আক্রমণ থেকে রক্ষা করার জন্য সকল দিক থেকে তাকে সুরক্ষিত করেছেন নভোমন্ডল সৃষ্টির মাধ্যমে। শয়তান কোনও স্বর্গীয় বস্তু নয়। সে আইন অমান্যকারী , অবাধ্য, বিদ্রোহী – সুতারাং আল্লাহ্র বলেছেন, ” রক্ষা করেছি প্রত্যেক বিদ্রোহী শয়তান থেকে” এবং ” তাদের বিতারণের জন্য আছে চিরস্থায়ী শাস্তি।” [ আয়াত ৭-৯ ]
আকাশ মন্ডলী , তারকারাজি ও উল্কাপিন্ডের আলোচনার উদ্দেশ্য আল্লাহ্র একত্ববাদ প্রমাণ করা। যে সত্ত্বা এই সুবিশাল নক্ষত্ররাজি প্রতিষ্ঠিত করেছেন তিনিই এবাদত ও উপাসনার যোগ্য। দ্বিতীয়ত : শয়তানের শক্তিকে উপাস্য ধারণা করার কোনও কারণ নাই , কারণ শয়তান বিতাড়িত ও পরাভূত সৃষ্ট জীব।
আয়াতঃ 037.008
ওরা উর্ধ্ব জগতের কোন কিছু শ্রবণ করতে পারে না এবং চার দিক থেকে তাদের প্রতি উল্কা নিক্ষেপ করা হয়।
(So) they should not strain their ears in the direction of the Exalted Assembly but be cast away from every side,
لَا يَسَّمَّعُونَ إِلَى الْمَلَإِ الْأَعْلَى وَيُقْذَفُونَ مِن كُلِّ جَانِبٍ
La yassammaAAoona ila almala-i al-aAAla wayuqthafoona min kulli janibin
YUSUFALI: (So) they should not strain their ears in the direction of the Exalted Assembly but be cast away from every side,
PICKTHAL: They cannot listen to the Highest Chiefs for they are pelted from every side,
SHAKIR: They cannot listen to the exalted assembly and they are thrown at from every side,
KHALIFA: They cannot spy on the High Society; they get bombarded from every side.
০৮। [ সুতারাং ] তারা উর্ধ জগতের [ কথাবার্তার ] কিছু শুনতে পারে না এবং চারিদিক থেকে ওদের প্রতি [উল্কা ] নিক্ষিপ্ত হয় , ৪০৩৮
০৯। [ তাদের ] বিতাড়নের জন্য এবং তাদের জন্য আছে চিরস্থায়ী শাস্তি ,
৪০৩৮।কল্পনা করুণ মহাপরাক্রমশালী নৃপতির দরবার সভার দৃশ্য। যার ঐশ্বর্য ও জাঁকজমক অতুলনীয়। মানুষের সর্বোচ্চ কল্পনাকেও অতিক্রম করে যাবে মহান আল্লাহ্র দরবার সভার দৃশ্য। তিনি শুধু যে মহাশক্তিধর তাই-ই নয় , তিনি সকল জিনিষের স্রষ্টা ও রক্ষাকর্তা। সুতারাং তাঁর দরবার সভা আমাদের সর্বোচ্চ সুন্দর, পবিত্র এবং জাঁকজমকের যে ধারণা তা অতিক্রম করে যাবে। এই দরবার সভাতে ফেরেশতাদের আল্লাহ্র ভবিষ্যত পরিকল্পনা ও ইচ্ছার সামান্য জ্ঞান দান করা হয়, যা শয়তান জানতে পারে না। শয়তান এ দরবার থেকে বহিষ্কৃত আর সে কারণেই তার পাপিষ্ঠ মনে এই দরবার সভার খবর জানার জন্য কৌতুহল হবে এবং যেহেতু তাকে অংশগ্রহণ করতে দেয়া হয় নাই, সে কারণে হিংসা হবে। শয়তান চুরি করে এই দরবারে ঢুকতে চাইবে এবং আড়ি পেতে মহান দরবারের কিছু সংবাদ শুনতে চেষ্টা করবে। এই শয়তানকেই জ্বলন্ত আগুন দ্বারা বিতাড়িত ও অনুসরণ করা হয় – যার কিছুটা ধারণা আমরা করতে পারি রাতের আকাশে জ্বলন্ত উল্কাপিন্ডের ছুটে চলা থেকে।
আয়াতঃ 037.009
ওদেরকে বিতাড়নের উদ্দেশে। ওদের জন্যে রয়েছে বিরামহীন শাস্তি।
Repulsed, for they are under a perpetual penalty,
دُحُورًا وَلَهُمْ عَذَابٌ وَاصِبٌ
Duhooran walahum AAathabun wasibun
YUSUFALI: Repulsed, for they are under a perpetual penalty,
PICKTHAL: Outcast, and theirs is a perpetual torment;
SHAKIR: Being driven off, and for them is a perpetual chastisement,
KHALIFA: They have been condemned; they have incurred an eternal retribution.
০৮। [ সুতারাং ] তারা উর্ধ জগতের [ কথাবার্তার ] কিছু শুনতে পারে না এবং চারিদিক থেকে ওদের প্রতি [উল্কা ] নিক্ষিপ্ত হয় , ৪০৩৮
০৯। [ তাদের ] বিতাড়নের জন্য এবং তাদের জন্য আছে চিরস্থায়ী শাস্তি ,
৪০৩৮।কল্পনা করুণ মহাপরাক্রমশালী নৃপতির দরবার সভার দৃশ্য। যার ঐশ্বর্য ও জাঁকজমক অতুলনীয়। মানুষের সর্বোচ্চ কল্পনাকেও অতিক্রম করে যাবে মহান আল্লাহ্র দরবার সভার দৃশ্য। তিনি শুধু যে মহাশক্তিধর তাই-ই নয় , তিনি সকল জিনিষের স্রষ্টা ও রক্ষাকর্তা। সুতারাং তাঁর দরবার সভা আমাদের সর্বোচ্চ সুন্দর, পবিত্র এবং জাঁকজমকের যে ধারণা তা অতিক্রম করে যাবে। এই দরবার সভাতে ফেরেশতাদের আল্লাহ্র ভবিষ্যত পরিকল্পনা ও ইচ্ছার সামান্য জ্ঞান দান করা হয়, যা শয়তান জানতে পারে না। শয়তান এ দরবার থেকে বহিষ্কৃত আর সে কারণেই তার পাপিষ্ঠ মনে এই দরবার সভার খবর জানার জন্য কৌতুহল হবে এবং যেহেতু তাকে অংশগ্রহণ করতে দেয়া হয় নাই, সে কারণে হিংসা হবে। শয়তান চুরি করে এই দরবারে ঢুকতে চাইবে এবং আড়ি পেতে মহান দরবারের কিছু সংবাদ শুনতে চেষ্টা করবে। এই শয়তানকেই জ্বলন্ত আগুন দ্বারা বিতাড়িত ও অনুসরণ করা হয় – যার কিছুটা ধারণা আমরা করতে পারি রাতের আকাশে জ্বলন্ত উল্কাপিন্ডের ছুটে চলা থেকে।
আয়াতঃ 037.010
তবে কেউ ছোঁ মেরে কিছু শুনে ফেললে জ্বলন্ত উল্কাপিন্ড তার পশ্চাদ্ধাবন করে।
Except such as snatch away something by stealth, and they are pursued by a flaming fire, of piercing brightness.
إِلَّا مَنْ خَطِفَ الْخَطْفَةَ فَأَتْبَعَهُ شِهَابٌ ثَاقِبٌ
Illa man khatifa alkhatfata faatbaAAahu shihabun thaqibun
YUSUFALI: Except such as snatch away something by stealth, and they are pursued by a flaming fire, of piercing brightness.
PICKTHAL: Save him who snatcheth a fragment, and there pursueth him a piercing flame.
SHAKIR: Except him who snatches off but once, then there follows him a brightly shining flame.
KHALIFA: If any of them ventures to charge the outer limits, he gets struck with a fierce projectile.
১০। তবে যদি কেউ চুরি করে ছোঁ মেরে কিছু শুনে নেয় , তাহলে তীব্র উজ্জ্বল জ্বলন্ত অগ্নিশিখা তাদের পশ্চাদ্ধাবন করে থাকে ৪০৩৯।
৪০৩৯। দেখুন উপরের টিকা এবং আয়াত [ ১৫ : ১৮ ] ও টিকা ১৯৫৩ – ৫৪।
আয়াতঃ 037.011
আপনি তাদেরকে জিজ্ঞেস করুন, তাদেরকে সৃষ্টি করা কঠিনতর, না আমি অন্য যা সৃষ্টি করেছি? আমিই তাদেরকে সৃষ্টি করেছি এঁটেল মাটি থেকে।
Just ask their opinion: are they the more difficult to create, or the (other) beings We have created? Them have We created out of a sticky clay!
فَاسْتَفْتِهِمْ أَهُمْ أَشَدُّ خَلْقًا أَم مَّنْ خَلَقْنَا إِنَّا خَلَقْنَاهُم مِّن طِينٍ لَّازِبٍ
Faistaftihim ahum ashaddu khalqan am man khalaqna inna khalaqnahum min teenin lazibin
YUSUFALI: Just ask their opinion: are they the more difficult to create, or the (other) beings We have created? Them have We created out of a sticky clay!
PICKTHAL: Then ask them (O Muhammad): Are they stronger as a creation, or those (others) whom we have created? Lo! We created them of plastic clay.
SHAKIR: Then ask them whether they are stronger in creation or those (others) whom We have created. Surely We created them of firm clay.
KHALIFA: Ask them, “Are they more difficult to create, or the other creations?” We created them from wet mud.
১১। তাদের মতামত শুধু জিজ্ঞাসা কর ৪০৪০। ওদের সৃষ্টি করা বেশী কঠিন না ; অন্য যা কিছু আমি সৃষ্টি করেছি [ তাদের ] ? ওদের আমি সৃষ্টি করেছি আঠালো মাটি থেকে ৪০৪১।
৪০৪০। “ওদের ” শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে কাফেরদের, পাপীদের জন্য এবং যারা আল্লাহ্র করুণা ও অনুগ্রহকে অস্বীকার করে। এবং পরলোকে অবিশ্বাস করে তাদেরকেও বোঝানো হয়েছে ” ওদের ” শব্দটি দ্বারা। এ সব ব্যক্তিরা নিজেদের সর্বদা অধিক গুরুত্বপূর্ণ মনে করে থাকে – এদের অবস্থা “কলুর বলদের ” মত। নির্দ্দিষ্ট সীমার বাইরে দেখতে অক্ষম। নইলে বিশ্বের সকল সৃষ্ট পর্দাথের সৃষ্টি নৈপুন্য তার অনুভবে রেখাপাত করতো। বিশাল বিশ্ব ভূবনের পটভূমিতে নিজের নগন্যতা অনুভবে সক্ষম হতো। সামান্য মাটি থেকে সৃষ্ট হয়ে সে অহংকার ও দাম্ভিকতা প্রকাশ করতে সাহস পেতো না।
৪০৪১। দেখুন [ ৬ : ২ ] ; [ ৭ : ১২ ] ; [ ৩২ : ৭ ] প্রভৃতি।
আয়াতঃ 037.012
বরং আপনি বিস্ময় বোধ করেন আর তারা বিদ্রুপ করে।
Truly dost thou marvel, while they ridicule,
بَلْ عَجِبْتَ وَيَسْخَرُونَ
Bal AAajibta wayaskharoona
YUSUFALI: Truly dost thou marvel, while they ridicule,
PICKTHAL: Nay, but thou dost marvel when they mock
SHAKIR: Nay! you wonder while they mock,
KHALIFA: While you are awed, they mock.
১২। তুমি [ তাদের কথায় ] আশ্চর্য হচ্ছ। অথচ ওরা [ তোমার কথা নিয়ে ] ঠাট্টা বিদ্রূপ করছে ৪০৪২।
৪০৪২। রসুল [ সা ] এ সব অবিমৃষ্যকারী কাফেরদের আচরণে বিস্ময়বোধ করতেন। প্রকৃত পক্ষে এ সব অবিশ্বাসীদের আচরণ প্রকৃত পক্ষেই বিস্ময়কর কারণ তারা ভুলে যায় তাদের সৃষ্টি করা হয়েছে নগন্য মৃত্তিকা থেকে। যদিও তাদের সৃষ্টি নগন্য বস্তু থেকে, কিন্তু আল্লাহ্ তাদের শেষ পরিণতির জন্য নির্ধারিত করেছেন মহত্তর উচ্চতর নিয়তি। এই আয়াতে এবং পরবর্তী আয়াতসমূহে এসব অবিশ্বাসী কাফেরদের মানসিক চিত্রকে তুলে ধরা হয়েছে। এগুলি হচ্ছে :
১) তারা সত্যের শিক্ষাকে গ্রহণের পরিবর্তে ব্যঙ্গ বিদ্রূপ করে থাকে। [ ৩৭ : ১২ ]
২) সর্তকবাণী থেকে তারা শিক্ষালাভের পরিবর্তে , তারা এতে কর্ণপাত করে না। [৩৭ : ১৩ ]
৩) তারা যখন আল্লাহ্র নিদর্শন প্রত্যক্ষ করে তাদের নিকট তা উপহাসের সামগ্রীতে পরিণত হয়। [ ৩৭ : ১৪
৪) যখন তাদের অপ্রতিরোধ্য সত্যের দিকে অঙ্গলি নির্দ্দেশ করা হয় , এবং তারা তাকে অস্বীকার করতে পারে না ফলে তারা তাকে “যাদু” আখ্যা দিয়ে থাকে। [ ৩৭ : ১৫ ] প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে, যে সত্য সম্বন্ধে তারা অবহিত নয়, যা তারা অনুধাবনে অক্ষম তাকেই তারা ‘যাদু ‘ আখ্যা দান করে। যদিও সত্যের শিক্ষা মানুষের আধ্যাত্মিক জগতকে জাগরিত, প্রস্ফুটিত , এবং বিকশিত করে থাকে কিন্তু এ সব লোক তা উপলব্ধিতে অক্ষম।
আয়াতঃ 037.013
যখন তাদেরকে বোঝানো হয়, তখন তারা বোঝে না।
And, when they are admonished, pay no heed,-
وَإِذَا ذُكِّرُوا لَا يَذْكُرُونَ
Wa-itha thukkiroo la yathkuroona
YUSUFALI: And, when they are admonished, pay no heed,-
PICKTHAL: And heed not when they are reminded,
SHAKIR: And when they are reminded, they mind not,
KHALIFA: When reminded, they take no heed.
১৩। এবং যখন তাদের উপদেশ দেয়া হয়, তারা তা গ্রহণ করে না ,-
১৪। এবং যখন তারা কোন নিদর্শন দেখে , তারা তা নিয়ে উপহাস করে।
১৫। এবং বলে, ” এটা তো সুস্পষ্ট যাদু ব্যতীত কিছু নয়।”
১৬। ” কি ! যখন আমরা মরে যাব এবং ধূলি ও অস্থিতে রূপান্তরিত হব, [ তখনও ] কি আমাদের [পুণরায় ] উত্থিত করা হবে ?
১৭। ” এবং আমাদের পূর্বপুরুষদেরও ? ” ৪০৪৩
৪০৪৩। অবিশ্বাসীদের মানসিক অবস্থাকে এই আয়াতগুলির মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে। মানুষকে আল্লাহ্ পৃথিবীর অন্যান্য সৃষ্ট পদার্থ থেকে ভিন্ন প্রকৃতির করে সৃষ্টি করেছেন। দৈহিক উপাদানে যদিও সে অন্যান্য সৃষ্ট পদার্থ থেকে আলাদা নয় , কিন্তু বুদ্ধিমত্তা ও আধ্যাত্মিক জগতে, সে সকল সৃষ্ট পদার্থ থেকে শ্রেষ্ঠ। একমাত্র তাঁর জন্যই মৃত্যুর পরবর্তী জীবন নির্ধারিত। মানুষের ভিতরে দুটো পরস্পর বিরোধী শক্তি কাজ করে। মাটির তৈরী নশ্বর দেহ পার্থিব বিষয়বস্তু , আরাম আয়েশের কাঙ্গাল। অপরপক্ষে মানুষের আত্মা যা পরমাত্মার অংশ, তা আধ্যাত্মিক বিকাশের জন্য ব্যগ্র। যখন জাগতিক বিষয়বস্তু প্রাধান্য বিস্তার করে, আত্মার বিকাশ ব্যহত হয়। সে কারণেই যারা অত্যন্ত বিষয়বুদ্ধি সম্পন্ন তারা পরলোকের অস্তিত্বকে অস্বীকার করে থাকে। তারা অনুভবে অক্ষম যে দৈহিক মৃত্যুর পরেও তাদের অস্তিত্ব বিদ্যমান থাকবে। বহু পূর্বে তাদের যে সব পূর্ব পুরুষ গত হয়েছে তাদের আবার পুণরুজ্জীবিত করা হবে। কি ভাবে তা সম্ভব ?
আয়াতঃ 037.014
তারা যখন কোন নিদর্শন দেখে তখন বিদ্রূপ করে।
And, when they see a Sign, turn it to mockery,
وَإِذَا رَأَوْا آيَةً يَسْتَسْخِرُونَ
Wa-itha raaw ayatan yastaskhiroona
YUSUFALI: And, when they see a Sign, turn it to mockery,
PICKTHAL: And seek to scoff when they behold a portent.
SHAKIR: And when they see a sign they incite one another to scoff,
KHALIFA: When they see proof, they ridicule it.
১৩। এবং যখন তাদের উপদেশ দেয়া হয়, তারা তা গ্রহণ করে না ,-
১৪। এবং যখন তারা কোন নিদর্শন দেখে , তারা তা নিয়ে উপহাস করে।
১৫। এবং বলে, ” এটা তো সুস্পষ্ট যাদু ব্যতীত কিছু নয়।”
১৬। ” কি ! যখন আমরা মরে যাব এবং ধূলি ও অস্থিতে রূপান্তরিত হব, [ তখনও ] কি আমাদের [পুণরায় ] উত্থিত করা হবে ?
১৭। ” এবং আমাদের পূর্বপুরুষদেরও ? ” ৪০৪৩
৪০৪৩। অবিশ্বাসীদের মানসিক অবস্থাকে এই আয়াতগুলির মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে। মানুষকে আল্লাহ্ পৃথিবীর অন্যান্য সৃষ্ট পদার্থ থেকে ভিন্ন প্রকৃতির করে সৃষ্টি করেছেন। দৈহিক উপাদানে যদিও সে অন্যান্য সৃষ্ট পদার্থ থেকে আলাদা নয় , কিন্তু বুদ্ধিমত্তা ও আধ্যাত্মিক জগতে, সে সকল সৃষ্ট পদার্থ থেকে শ্রেষ্ঠ। একমাত্র তাঁর জন্যই মৃত্যুর পরবর্তী জীবন নির্ধারিত। মানুষের ভিতরে দুটো পরস্পর বিরোধী শক্তি কাজ করে। মাটির তৈরী নশ্বর দেহ পার্থিব বিষয়বস্তু , আরাম আয়েশের কাঙ্গাল। অপরপক্ষে মানুষের আত্মা যা পরমাত্মার অংশ, তা আধ্যাত্মিক বিকাশের জন্য ব্যগ্র। যখন জাগতিক বিষয়বস্তু প্রাধান্য বিস্তার করে, আত্মার বিকাশ ব্যহত হয়। সে কারণেই যারা অত্যন্ত বিষয়বুদ্ধি সম্পন্ন তারা পরলোকের অস্তিত্বকে অস্বীকার করে থাকে। তারা অনুভবে অক্ষম যে দৈহিক মৃত্যুর পরেও তাদের অস্তিত্ব বিদ্যমান থাকবে। বহু পূর্বে তাদের যে সব পূর্ব পুরুষ গত হয়েছে তাদের আবার পুণরুজ্জীবিত করা হবে। কি ভাবে তা সম্ভব ?
আয়াতঃ 037.015
এবং বলে, কিছুই নয়, এযে স্পষ্ট যাদু।
And say, “This is nothing but evident sorcery!
وَقَالُوا إِنْ هَذَا إِلَّا سِحْرٌ مُّبِينٌ
Waqaloo in hatha illa sihrun mubeenun
YUSUFALI: And say, “This is nothing but evident sorcery!
PICKTHAL: And they say: Lo! this is mere magic;
SHAKIR: And they say: This is nothing but clear magic:
KHALIFA: They say, “This is obviously magic!
১৩। এবং যখন তাদের উপদেশ দেয়া হয়, তারা তা গ্রহণ করে না ,-
১৪। এবং যখন তারা কোন নিদর্শন দেখে , তারা তা নিয়ে উপহাস করে।
১৫। এবং বলে, ” এটা তো সুস্পষ্ট যাদু ব্যতীত কিছু নয়।”
১৬। ” কি ! যখন আমরা মরে যাব এবং ধূলি ও অস্থিতে রূপান্তরিত হব, [ তখনও ] কি আমাদের [পুণরায় ] উত্থিত করা হবে ?
১৭। ” এবং আমাদের পূর্বপুরুষদেরও ? ” ৪০৪৩
৪০৪৩। অবিশ্বাসীদের মানসিক অবস্থাকে এই আয়াতগুলির মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে। মানুষকে আল্লাহ্ পৃথিবীর অন্যান্য সৃষ্ট পদার্থ থেকে ভিন্ন প্রকৃতির করে সৃষ্টি করেছেন। দৈহিক উপাদানে যদিও সে অন্যান্য সৃষ্ট পদার্থ থেকে আলাদা নয় , কিন্তু বুদ্ধিমত্তা ও আধ্যাত্মিক জগতে, সে সকল সৃষ্ট পদার্থ থেকে শ্রেষ্ঠ। একমাত্র তাঁর জন্যই মৃত্যুর পরবর্তী জীবন নির্ধারিত। মানুষের ভিতরে দুটো পরস্পর বিরোধী শক্তি কাজ করে। মাটির তৈরী নশ্বর দেহ পার্থিব বিষয়বস্তু , আরাম আয়েশের কাঙ্গাল। অপরপক্ষে মানুষের আত্মা যা পরমাত্মার অংশ, তা আধ্যাত্মিক বিকাশের জন্য ব্যগ্র। যখন জাগতিক বিষয়বস্তু প্রাধান্য বিস্তার করে, আত্মার বিকাশ ব্যহত হয়। সে কারণেই যারা অত্যন্ত বিষয়বুদ্ধি সম্পন্ন তারা পরলোকের অস্তিত্বকে অস্বীকার করে থাকে। তারা অনুভবে অক্ষম যে দৈহিক মৃত্যুর পরেও তাদের অস্তিত্ব বিদ্যমান থাকবে। বহু পূর্বে তাদের যে সব পূর্ব পুরুষ গত হয়েছে তাদের আবার পুণরুজ্জীবিত করা হবে। কি ভাবে তা সম্ভব ?
আয়াতঃ 037.016
আমরা যখন মরে যাব, এবং মাটি ও হাড়ে পরিণত হয়ে যাব, তখনও কি আমরা পুনরুত্থিত হব?
“What! when we die, and become dust and bones, shall we (then) be raised up (again)
أَئِذَا مِتْنَا وَكُنَّا تُرَابًا وَعِظَامًا أَئِنَّا لَمَبْعُوثُونَ
A-itha mitna wakunna turaban waAAithaman a-inna lamabAAoothoona
YUSUFALI: “What! when we die, and become dust and bones, shall we (then) be raised up (again)
PICKTHAL: When we are dead and have become dust and bones, shall we then, forsooth, be raised (again)?
SHAKIR: What! when we are dead and have become dust and bones, shall we then certainly be raised,
KHALIFA: “After we die and become dust and bones, do we get resurrected?
১৩। এবং যখন তাদের উপদেশ দেয়া হয়, তারা তা গ্রহণ করে না ,-
১৪। এবং যখন তারা কোন নিদর্শন দেখে , তারা তা নিয়ে উপহাস করে।
১৫। এবং বলে, ” এটা তো সুস্পষ্ট যাদু ব্যতীত কিছু নয়।”
১৬। ” কি ! যখন আমরা মরে যাব এবং ধূলি ও অস্থিতে রূপান্তরিত হব, [ তখনও ] কি আমাদের [পুণরায় ] উত্থিত করা হবে ?
১৭। ” এবং আমাদের পূর্বপুরুষদেরও ? ” ৪০৪৩
৪০৪৩। অবিশ্বাসীদের মানসিক অবস্থাকে এই আয়াতগুলির মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে। মানুষকে আল্লাহ্ পৃথিবীর অন্যান্য সৃষ্ট পদার্থ থেকে ভিন্ন প্রকৃতির করে সৃষ্টি করেছেন। দৈহিক উপাদানে যদিও সে অন্যান্য সৃষ্ট পদার্থ থেকে আলাদা নয় , কিন্তু বুদ্ধিমত্তা ও আধ্যাত্মিক জগতে, সে সকল সৃষ্ট পদার্থ থেকে শ্রেষ্ঠ। একমাত্র তাঁর জন্যই মৃত্যুর পরবর্তী জীবন নির্ধারিত। মানুষের ভিতরে দুটো পরস্পর বিরোধী শক্তি কাজ করে। মাটির তৈরী নশ্বর দেহ পার্থিব বিষয়বস্তু , আরাম আয়েশের কাঙ্গাল। অপরপক্ষে মানুষের আত্মা যা পরমাত্মার অংশ, তা আধ্যাত্মিক বিকাশের জন্য ব্যগ্র। যখন জাগতিক বিষয়বস্তু প্রাধান্য বিস্তার করে, আত্মার বিকাশ ব্যহত হয়। সে কারণেই যারা অত্যন্ত বিষয়বুদ্ধি সম্পন্ন তারা পরলোকের অস্তিত্বকে অস্বীকার করে থাকে। তারা অনুভবে অক্ষম যে দৈহিক মৃত্যুর পরেও তাদের অস্তিত্ব বিদ্যমান থাকবে। বহু পূর্বে তাদের যে সব পূর্ব পুরুষ গত হয়েছে তাদের আবার পুণরুজ্জীবিত করা হবে। কি ভাবে তা সম্ভব ?
আয়াতঃ 037.017
আমাদের পিতৃপুরুষগণও কি?
“And also our fathers of old?”
أَوَآبَاؤُنَا الْأَوَّلُونَ
Awa abaona al-awwaloona
YUSUFALI: “And also our fathers of old?”
PICKTHAL: And our forefathers?
SHAKIR: Or our fathers of yore?
KHALIFA: “Even our ancient ancestors?”
১৩। এবং যখন তাদের উপদেশ দেয়া হয়, তারা তা গ্রহণ করে না ,-
১৪। এবং যখন তারা কোন নিদর্শন দেখে , তারা তা নিয়ে উপহাস করে।
১৫। এবং বলে, ” এটা তো সুস্পষ্ট যাদু ব্যতীত কিছু নয়।”
১৬। ” কি ! যখন আমরা মরে যাব এবং ধূলি ও অস্থিতে রূপান্তরিত হব, [ তখনও ] কি আমাদের [পুণরায় ] উত্থিত করা হবে ?
১৭। ” এবং আমাদের পূর্বপুরুষদেরও ? ” ৪০৪৩
৪০৪৩। অবিশ্বাসীদের মানসিক অবস্থাকে এই আয়াতগুলির মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে। মানুষকে আল্লাহ্ পৃথিবীর অন্যান্য সৃষ্ট পদার্থ থেকে ভিন্ন প্রকৃতির করে সৃষ্টি করেছেন। দৈহিক উপাদানে যদিও সে অন্যান্য সৃষ্ট পদার্থ থেকে আলাদা নয় , কিন্তু বুদ্ধিমত্তা ও আধ্যাত্মিক জগতে, সে সকল সৃষ্ট পদার্থ থেকে শ্রেষ্ঠ। একমাত্র তাঁর জন্যই মৃত্যুর পরবর্তী জীবন নির্ধারিত। মানুষের ভিতরে দুটো পরস্পর বিরোধী শক্তি কাজ করে। মাটির তৈরী নশ্বর দেহ পার্থিব বিষয়বস্তু , আরাম আয়েশের কাঙ্গাল। অপরপক্ষে মানুষের আত্মা যা পরমাত্মার অংশ, তা আধ্যাত্মিক বিকাশের জন্য ব্যগ্র। যখন জাগতিক বিষয়বস্তু প্রাধান্য বিস্তার করে, আত্মার বিকাশ ব্যহত হয়। সে কারণেই যারা অত্যন্ত বিষয়বুদ্ধি সম্পন্ন তারা পরলোকের অস্তিত্বকে অস্বীকার করে থাকে। তারা অনুভবে অক্ষম যে দৈহিক মৃত্যুর পরেও তাদের অস্তিত্ব বিদ্যমান থাকবে। বহু পূর্বে তাদের যে সব পূর্ব পুরুষ গত হয়েছে তাদের আবার পুণরুজ্জীবিত করা হবে। কি ভাবে তা সম্ভব ?
আয়াতঃ 037.018
বলুন, হ্যাঁ এবং তোমরা হবে লাঞ্ছিত।
Say thou: “Yea, and ye shall then be humiliated (on account of your evil).”
قُلْ نَعَمْ وَأَنتُمْ دَاخِرُونَ
Qul naAAam waantum dakhiroona
YUSUFALI: Say thou: “Yea, and ye shall then be humiliated (on account of your evil).”
PICKTHAL: Say (O Muhammad): Ye, in truth; and ye will be brought low.
SHAKIR: Say: Aye! and you shall be abject.
KHALIFA: Say, “Yes, you will be forcibly summoned.”
১৮। তুমি বল, ” হ্যাঁ, [তোমাদের পাপের দরুণ ] সেদিন তোমরা লাঞ্ছিত হবে।” ৪০৪৪
৪০৪৪। অবিশ্বাসীদের নিশ্চিত করা হয়েছে ভবিষ্যত জীবনের অস্তিত্ব সম্বন্ধে। সে জীবন হবে নূতন পৃথিবীতে নূতন মাত্রিকে যা পৃথিবীর জীবনে অনুভব করা সম্ভব নয়। পৃথিবীতে তারা ছিলো উদ্ধত, অহংকারী , একগুঁয়ে। তাদের স্বভাবের এই উদ্ধতপনা সেদিন ধূলিতে মিশে যাবে। সেই নূতন মাত্রিকের পৃথিবীতে প্রতিটি আত্মার অভিজ্ঞতা হবে নূতন , যার সাথে পৃথিবীর শিক্ষানবীশকালের অভিজ্ঞতার কোনও সামঞ্জস্য খুঁজে পাওয়া যাবে না। ব্যক্তি শিক্ষানবীশকালে যে সব গুণাবলী অর্জন করেছে পরলোকের নূতন পৃথিবীতে শুধুমাত্র সেই সব গুণাবলীকেই সনাক্ত করে মূল্যায়ন করা হবে। অপরপক্ষে এই ধূলার পৃথিবীতে যারা অহংকারে , দাম্ভিকাতায় ধরণী প্রকম্পিত করতো ,তাদের লাঞ্ছিত করা হবে – মাটিতে মিশিয়ে দেয়া হবে।
আয়াতঃ 037.019
বস্তুতঃ সে উত্থান হবে একটি বিকট শব্দ মাত্র-যখন তারা প্রত্যক্ষ করতে থাকবে।
Then it will be a single (compelling) cry; and behold, they will begin to see!
فَإِنَّمَا هِيَ زَجْرَةٌ وَاحِدَةٌ فَإِذَا هُمْ يَنظُرُونَ
Fa-innama hiya zajratun wahidatun fa-itha hum yanthuroona
YUSUFALI: Then it will be a single (compelling) cry; and behold, they will begin to see!
PICKTHAL: There is but one Shout, and lo! they behold,
SHAKIR: So it shall only be a single cry, when lo! they shall see.
KHALIFA: All it takes is one nudge, whereupon they (stand up) looking.
১৯। ইহা [ কেয়ামত ] হবে একটি মাত্র প্রচন্ড শব্দ ৪০৪৫ , এবং দেখো , তারা [ সত্যকে ] দেখতে শুরু করবে ৪০৪৬।
৪০৪৫। দেখুন অনুরূপ আয়াত [ ৩৬: ২৯, ৪৯,ও ৫৩ ]।
৪০৪৬। পাপীরা পৃথিবীতে ন্যায় ও সত্যকে অনুধাবন করতে অক্ষম। কারণ পাপ তাদের আত্মার স্বচ্ছতাকে নষ্ট করে দেয়, ফলে তাদের মাঝে আধ্যাত্মিক অন্ধত্ব বিরাজ করে। পরলোকে তাদের আধ্যাত্মিক অন্ধত্ব ঘুচে যাবে -ফলে তারা ন্যায় -অন্যায় ,পাপ-পূণ্য , ভালো-মন্দ ,সত্য-মিথ্যার পার্থক্য হঠাৎ করে অনুভব করতে সক্ষম হবে। ঘটনার আকস্মিকতায় তারা হতবিহ্বল হয়ে পড়বে।
আয়াতঃ 037.020
এবং বলবে, দুর্ভাগ্য আমাদের! এটাই তো প্রতিফল দিবস।
They will say, “Ah! Woe to us! This is the Day of Judgment!”
وَقَالُوا يَا وَيْلَنَا هَذَا يَوْمُ الدِّينِ
Waqaloo ya waylana hatha yawmu alddeeni
YUSUFALI: They will say, “Ah! Woe to us! This is the Day of Judgment!”
PICKTHAL: And say: Ah, woe for us! This is the Day of Judgment.
SHAKIR: And they shall say: O woe to us! this is the day of requital.
KHALIFA: They will say, “Woe to us; this is the Day of Judgment.”
২০। তারা বলবে, ” হায় ! দুর্ভাগ্য আমাদের। এটাই তো শেষ বিচারের দিন।”
২১। [ বলা হবে ] , ” এটা হচ্ছে বাছাই করার দিন ৪০৪৭ , যে সত্যকে তোমরা [ একদিন ] অস্বীকার করেছিলে। ”
৪০৪৭। এই আয়াতটি ইংরেজীতে অনুবাদ করা হয়েছে এভাবে “This is the Day of sorting out ” বাংলা অনুবাদে হয়েছে “বাছাই করার দিন” বা শেষ বিচারের দিন। অবশ্য উভয়েই একই অর্থ বহন করে। কারণ শেষ বিচারের দিনই হবে পাপী পূণ্যাত্মাদের পৃথকীকরনের দিন। দেখুন আয়াত [ ৩৬ : ৫৯] ও টিকা ৪০০৫। শেষ বিচার দিবসে পূণ্যাত্মা ও পাপীদের আলাদা করা হবে। পৃথিবীর জীবনে পাপী ও পূণ্যাত্মা পাশাপাশি বিরাজ করে এবং তাদের বুঝতে পারা ও পৃথক করা কোনও প্রকারেই সম্ভব নয়। কিন্তু পরলোকের অবস্থা হবে ভিন্ন।
আয়াতঃ 037.021
বলা হবে, এটাই ফয়সালার দিন, যাকে তোমরা মিথ্যা বলতে।
(A voice will say,) “This is the Day of Sorting Out, whose truth ye (once) denied!”
هَذَا يَوْمُ الْفَصْلِ الَّذِي كُنتُمْ بِهِ تُكَذِّبُونَ
Hatha yawmu alfasli allathee kuntum bihi tukaththiboona
YUSUFALI: (A voice will say,) “This is the Day of Sorting Out, whose truth ye (once) denied!”
PICKTHAL: This is the Day of Separation, which ye used to deny.
SHAKIR: This is the day of the judgment which you called a lie.
KHALIFA: This is the day of decision that you used to disbelieve in.
২০। তারা বলবে, ” হায় ! দুর্ভাগ্য আমাদের। এটাই তো শেষ বিচারের দিন।”
২১। [ বলা হবে ] , ” এটা হচ্ছে বাছাই করার দিন ৪০৪৭ , যে সত্যকে তোমরা [ একদিন ] অস্বীকার করেছিলে। ”
৪০৪৭। এই আয়াতটি ইংরেজীতে অনুবাদ করা হয়েছে এভাবে “This is the Day of sorting out ” বাংলা অনুবাদে হয়েছে “বাছাই করার দিন” বা শেষ বিচারের দিন। অবশ্য উভয়েই একই অর্থ বহন করে। কারণ শেষ বিচারের দিনই হবে পাপী পূণ্যাত্মাদের পৃথকীকরনের দিন। দেখুন আয়াত [ ৩৬ : ৫৯] ও টিকা ৪০০৫। শেষ বিচার দিবসে পূণ্যাত্মা ও পাপীদের আলাদা করা হবে। পৃথিবীর জীবনে পাপী ও পূণ্যাত্মা পাশাপাশি বিরাজ করে এবং তাদের বুঝতে পারা ও পৃথক করা কোনও প্রকারেই সম্ভব নয়। কিন্তু পরলোকের অবস্থা হবে ভিন্ন।
আয়াতঃ 037.022
একত্রিত কর গোনাহগারদেরকে, তাদের দোসরদেরকে এবং যাদের এবাদত তারা করত।
“Bring ye up”, it shall be said, “The wrong-doers and their wives, and the things they worshipped-
احْشُرُوا الَّذِينَ ظَلَمُوا وَأَزْوَاجَهُمْ وَمَا كَانُوا يَعْبُدُونَ
Ohshuroo allatheena thalamoo waazwajahum wama kanoo yaAAbudoona
YUSUFALI: “Bring ye up”, it shall be said, “The wrong-doers and their wives, and the things they worshipped-
PICKTHAL: (And it is said unto the angels): Assemble those who did wrong, together with their wives and what they used to worship
SHAKIR: Gather together those who were unjust and their associates, and what they used to worship
KHALIFA: Summon the transgressors, and their spouses, and the idols they worshiped
রুকু – ২
২২। বলা হবে, ” নিয়ে এসো পাপীদের এবং তাদের স্ত্রীদের এবং যে জিনিষের তারা পূঁজা করতো ৪০৪৮-
২৩। ” আল্লাহ্র পরিবর্তে , এবং তাদের দোযখের পথে নিয়ে যাও।
৪০৪৮। যদি পাপীদের স্ত্রীরা স্বামীদের সহযোগী হয়, তবে তাদের সকলকে একত্র করা হবে। প্রত্যেকেরই ব্যক্তিগত দায়-দায়িত্ব থাকবে। স্বামী বা স্ত্রী কেহই কারও পাপের বোঝা বহন করবে না। কেহ কারও উপরে দোষ চাপাতে পারবে না।
আয়াতঃ 037.023
আল্লাহ ব্যতীত। অতঃপর তাদেরকে পরিচালিত কর জাহান্নামের পথে,
“Besides Allah, and lead them to the Way to the (Fierce) Fire!
مِن دُونِ اللَّهِ فَاهْدُوهُمْ إِلَى صِرَاطِ الْجَحِيمِ
Min dooni Allahi faihdoohum ila sirati aljaheemi
YUSUFALI: “Besides Allah, and lead them to the Way to the (Fierce) Fire!
PICKTHAL: Instead of Allah, and lead them to the path to hell;
SHAKIR: Besides Allah, then lead them to the way to hell.
KHALIFA: beside GOD, and guide them to the path of Hell.
রুকু – ২
২২। বলা হবে, ” নিয়ে এসো পাপীদের এবং তাদের স্ত্রীদের এবং যে জিনিষের তারা পূঁজা করতো ৪০৪৮-
২৩। ” আল্লাহ্র পরিবর্তে , এবং তাদের দোযখের পথে নিয়ে যাও।
৪০৪৮। যদি পাপীদের স্ত্রীরা স্বামীদের সহযোগী হয়, তবে তাদের সকলকে একত্র করা হবে। প্রত্যেকেরই ব্যক্তিগত দায়-দায়িত্ব থাকবে। স্বামী বা স্ত্রী কেহই কারও পাপের বোঝা বহন করবে না। কেহ কারও উপরে দোষ চাপাতে পারবে না।
আয়াতঃ 037.024
এবং তাদেরকে থামাও, তারা জিজ্ঞাসিত হবে;
“But stop them, for they must be asked:
وَقِفُوهُمْ إِنَّهُم مَّسْئُولُونَ
Waqifoohum innahum masooloona
YUSUFALI: “But stop them, for they must be asked:
PICKTHAL: And stop them, for they must be questioned.
SHAKIR: And stop them, for they shall be questioned:
KHALIFA: Stop them, and ask them:
২৪। ” কিন্তু তাদের থামাও ৪০৪৯ , কারণ তাদের জিজ্ঞাসা করা হবে ;
৪০৪৯। এখানের দৃশ্যটি হচ্ছে বিচার শেষের দৃশ্য। পৃথিবীতে বিচার কার্যের সময়ে অপরাধীকে বা অপরাধীর উকিলকে ‘কারণ দর্শাও ‘ মাধ্যমে জিজ্ঞাসা করা হয় যে কেন তাকে শাস্তি দান করা হবে না। এখানেও শেষ বিচারের দিনে যারা অপরাধী বলে সাব্যস্ত হবে, তাদের জিজ্ঞাসা করা হবে যে তারা কারও কাছ থেকে শাস্তি থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য সাহায্যের অনুরোধ করতে পারে কি না। যারা পাপের পথকে প্রদর্শন করেছিলো তাদের প্রতি ইঙ্গিত করা হবে।
আয়াতঃ 037.025
তোমাদের কি হল যে, তোমরা একে অপরের সাহায্য করছ না?
“‘What is the matter with you that ye help not each other?’”
مَا لَكُمْ لَا تَنَاصَرُونَ
Ma lakum la tanasaroona
YUSUFALI: “‘What is the matter with you that ye help not each other?’”
PICKTHAL: What aileth you that ye help not one another?
SHAKIR: What is the matter with you that you do not help each other?
KHALIFA: “Why do you not help one another?”
২৫। ” তোমাদের কি হলো যে, তোমরা একে অপরের সাহায্য করছো না ? ” ৪০৫০
৪০৫০। কেয়ামতের দিন হবে ব্যক্তিগত দায়-দায়িত্বের দিন। কারও অপরাধের বোঝা অন্য কেহ গ্রহণ করবে না ; সে যত নিকটজন বা প্রিয় হোক না কেন। কেউ কাউকে রক্ষা করার জন্য এগিয়ে আসবে না। কেউ কারও জন্য মধ্যস্ততা করার সাহস পাবে না। কেউ কাউকে সাহায্য করবে না।
আয়াতঃ 037.026
বরং তারা আজকের দিনে আত্নসমর্পণকারী।
Nay, but that day they shall submit (to Judgment);
بَلْ هُمُ الْيَوْمَ مُسْتَسْلِمُونَ
Bal humu alyawma mustaslimoona
YUSUFALI: Nay, but that day they shall submit (to Judgment);
PICKTHAL: Nay, but this day they make full submission.
SHAKIR: Nay! on that day they shall be submissive.
KHALIFA: They will be, on that day, totally submitting.
২৬। বস্তুত সেদিন তারা [ বিচারের নিকট ] আত্মসমর্পন করবে ৪০৫১।
৪০৫১। পৃথিবীর জীবনে মানুষ অর্থ সম্পদ , ধন – ঐশ্বর্য্য , বিদ্যা-বুদ্ধি, প্রভাব-প্রতিপত্তি , ইত্যাদি বিভিন্ন বস্তুর গর্বে , অহংকারী , দাম্ভিক ও একগুঁয়ে হয়ে ওঠে। ফলে সে স্রষ্টার অস্তিত্ব অস্বীকার করে। কেয়ামত দিবসে যখন সে প্রকৃত সত্যের মুখোমুখি হবে তখন তার সে ঔদ্ধত্যপনা , দাম্ভিকতা ও অহংকার অন্তর্হিত হয়ে যাবে। সে সময়ে , যারা পৃথিবীতে মানুষকে ভুল পথে পরিচালিত করেছিলো সেই সব নেতাদের, তাদের অনুসারীরা অভিযুক্ত করবে। এ সব ভুল পথের নেতাদের চিত্র ফেরাউনের উদাহরণের মাধ্যমে আয়াত [ ২০ : ৭৯ ] তুলে ধরা হয়েছে। বস্তুত সেদিন সকলেই আল্লাহ্র শক্তির নিকট আত্মসমর্পন করবে।
আয়াতঃ 037.027
তারা একে অপরের দিকে মুখ করে পরস্পরকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে।
And they will turn to one another, and question one another.
وَأَقْبَلَ بَعْضُهُمْ عَلَى بَعْضٍ يَتَسَاءلُونَ
Waaqbala baAAduhum AAala baAAdin yatasaaloona
YUSUFALI: And they will turn to one another, and question one another.
PICKTHAL: And some of them draw near unto others, mutually questioning.
SHAKIR: And some of them shall advance towards others, questioning each other.
KHALIFA: They will come to each other, questioning and blaming one another.
২৭। এবং তারা পরস্পরের দিকে ফিরে পরস্পরকে প্রশ্ন করবে ; –
২৮। এবং বলবে ,” তোমরা তো [ ক্ষমতা ও কর্তৃত্বের ] ডান হাত থেকে আমাদের নিকট আসতে ৪০৫২।
৪০৫২। এখানে আয়াত [ ৩৭ : ২৭ ] পর্যন্ত দুদল লোকের মধ্যে অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগের চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এরা দুদলই পৃথিবীতে ছিলো অবিশ্বাসী ও পাপী। একদল ছিলো নেতা। অন্যদল ছিলো যারা দুর্বল শ্রেণীর তারা তাদের অনুসরণ করতো। পৃথিবীতে এসব ভ্রান্ত পথের নেতারা তাদের ক্ষমতা ,শক্তি ও প্রভাব প্রতিপত্তি ব্যবহার করতো মানুষকে প্রভাবিত করে ভুল পথে পরিচালিত করার জন্য। আল্লাহ্র দেয়া এসব প্রভাব, প্রতিপত্তি, ক্ষমতাকে তারা সঠিক পথে ব্যবহারের পরিবর্তে মন্দ কাজে , পাপের পথে ব্যবহার করতো। মানুষকে বিপথে পরিচালিত করতো। এটা তারা করতো, কারণ এর দ্বারা তারা জাগতিক ভাবে সুবিধা লাভে সক্ষম হতো। তাদের ব্যক্তিগত স্বার্থ উদ্ধারের জন্য তারা সাধারণ মানুষকে অমঙ্গলের রাস্তায় , অকল্যাণের পথে পরিচালিত করতো।
আয়াতঃ 037.028
বলবে, তোমরা তো আমাদের কাছে ডান দিক থেকে আসতে।
They will say: “It was ye who used to come to us from the right hand (of power and authority)!”
قَالُوا إِنَّكُمْ كُنتُمْ تَأْتُونَنَا عَنِ الْيَمِينِ
Qaloo innakum kuntum ta/toonana AAani alyameeni
YUSUFALI: They will say: “It was ye who used to come to us from the right hand (of power and authority)!”
PICKTHAL: They say: Lo! ye used to come unto us, imposing, (swearing that ye spoke the truth).
SHAKIR: They shall say: Surely you used to come to us from the right side.
KHALIFA: They will say (to their leaders), “You used to come to us from the right side.”
২৭। এবং তারা পরস্পরের দিকে ফিরে পরস্পরকে প্রশ্ন করবে ; –
২৮। এবং বলবে ,” তোমরা তো [ ক্ষমতা ও কর্তৃত্বের ] ডান হাত থেকে আমাদের নিকট আসতে ৪০৫২।
৪০৫২। এখানে আয়াত [ ৩৭ : ২৭ ] পর্যন্ত দুদল লোকের মধ্যে অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগের চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এরা দুদলই পৃথিবীতে ছিলো অবিশ্বাসী ও পাপী। একদল ছিলো নেতা। অন্যদল ছিলো যারা দুর্বল শ্রেণীর তারা তাদের অনুসরণ করতো। পৃথিবীতে এসব ভ্রান্ত পথের নেতারা তাদের ক্ষমতা ,শক্তি ও প্রভাব প্রতিপত্তি ব্যবহার করতো মানুষকে প্রভাবিত করে ভুল পথে পরিচালিত করার জন্য। আল্লাহ্র দেয়া এসব প্রভাব, প্রতিপত্তি, ক্ষমতাকে তারা সঠিক পথে ব্যবহারের পরিবর্তে মন্দ কাজে , পাপের পথে ব্যবহার করতো। মানুষকে বিপথে পরিচালিত করতো। এটা তারা করতো, কারণ এর দ্বারা তারা জাগতিক ভাবে সুবিধা লাভে সক্ষম হতো। তাদের ব্যক্তিগত স্বার্থ উদ্ধারের জন্য তারা সাধারণ মানুষকে অমঙ্গলের রাস্তায় , অকল্যাণের পথে পরিচালিত করতো।
আয়াতঃ 037.029
তারা বলবে, বরং তোমরা তো বিশ্বাসীই ছিলে না।
They will reply: “Nay, ye yourselves had no Faith!
قَالُوا بَل لَّمْ تَكُونُوا مُؤْمِنِينَ
Qaloo bal lam takoonoo mu/mineena
YUSUFALI: They will reply: “Nay, ye yourselves had no Faith!
PICKTHAL: They answer: Nay, but ye (yourselves) were not believers.
SHAKIR: They shall say: Nay, you (yourselves) were not believers;
KHALIFA: They will respond, “It is you who were not believers.
২৯। তারা উত্তর দেবে , ” না বরং তোমাদেরই কোন বিশ্বাস ছিলো না ৪০৫৩।
৪০৫৩। ‘তারা ‘ অর্থাৎ পৃথিবীর জীবনের শক্তিশালী নেতাদের বক্তব্য এই আয়াতগুলির মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে। অন্যের খারাপ উদাহরণ অনুসরণে বা অন্যের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে কেউ পাপের পথে পা বাড়িয়েছে এ যুক্তি ধোপে টেকে না। কারণ শয়তানের প্ররোচনা থেকে রক্ষা পাওয়ার একমাত্র উপায় হচ্ছে আল্লাহ্র প্রতি আন্তরিক বিশ্বাস এবং তাঁর প্রদর্শিত পথের অনুসরণ যা যুগে যুগে নবী রসুলদের মাধ্যমে পৃথিবীতে প্রেরণ করেছেন। বিশ্বাস হচ্ছে অন্তরের ধন। কিন্তু যদি আমাদের অন্তরে ন্যায়ের প্রতি শ্রদ্ধা , সত্যের প্রতি বিশ্বাস , পরলোকের জীবনকে সত্য বলে জানা, আল্লাহ্র আইনের প্রতি সম্মানবোধ না থাকে – তবে আমাদের অন্তরের এই ঈমানের অভাবের জন্য আমরা কেমন করে অপরকে দায়ী করবো? ন্যায়-অন্যায়, ভালো -মন্দ , পাপ-পূণ্য এসব মূল্যবোধ ধর্মীয় প্রত্যাদেশের মাধ্যমে যুগে যুগে আমাদের নিকট প্রেরণ করা হয়েছে। এর পরেও যারা বিশ্বাস করে নাই ও ঈমান আনে নাই ; কাফের নেতারা যর্থাথই তাদের অনুসারীদের সেদিন বলবে, ” তোমরা তো বিশ্বাসীই ছিলে না। তোমাদের কৃতকর্মের শাস্তি তোমাদেরই ভোগ করতে হবে।” কারণ প্রতিটি মানুষই তার ব্যক্তিগত দায় দায়িত্বের নিকট আবদ্ধ। একের পাপ বা পূণ্য অন্যকে স্থানান্তর করা চলবে না। নেতাদের শাস্তি হবে দ্বিবিধ – প্রথমতঃ নিজস্ব কৃতকর্মের জন্য, দ্বিতীয়তঃ অন্যকে প্রভাবিত করে পাপের পথে পরিচালিত করার জন্য। কিন্তু তাই বলে দুর্বল শ্রেণীরা তাদের কৃতকর্মের দায়িত্ব থেকে অব্যহতি লাভ করবে না। কারণ পাপ কার্যের অর্থই হচ্ছে আল্লাহ্র বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত ভাবে বিদ্রোহ করা। কারণ পাপ কাজের দ্বারা আল্লাহ্র প্রদত্ত অমূল্য সম্পদ পরমাত্মার অংশ আত্মাকে অপবিত্র করা হয়। কেউ যখন পাপ করে, তখন সে তা করে ব্যক্তিগত দায়িত্বে। ফলে তা আল্লাহ্র বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত বিদ্রোহ বলেই পরিগণিত হয়। সুতারাং সে কাজের দায়-দায়িত্ব্ ব্যক্তিগত। এ কথা স্মরণ রাখা কর্তব্য যে মন্দ বা পাপ বা শয়তানের আমাদের উপরে কোনও ক্ষমতা নাই , যতক্ষণ না আমরা ইচ্ছাকৃত ভাবে তার কাছে অনুগত হই।
আয়াতঃ 037.030
এবং তোমাদের উপর আমাদের কোন কতৃত্ব ছিল না, বরং তোমরাই ছিলে সীমালংঘনকারী সম্প্রদায়।
“Nor had we any authority over you. Nay, it was ye who were a people in obstinate rebellion!
وَمَا كَانَ لَنَا عَلَيْكُم مِّن سُلْطَانٍ بَلْ كُنتُمْ قَوْمًا طَاغِينَ
Wama kana lana AAalaykum min sultanin bal kuntum qawman tagheena
YUSUFALI: “Nor had we any authority over you. Nay, it was ye who were a people in obstinate rebellion!
PICKTHAL: We had no power over you, but ye were wayward folk.
SHAKIR: And we had no authority over you, but you were an inordinate people;
KHALIFA: “We never had any power over you; it is you who were wicked.
৩০। ” তোমাদের উপর আমাদের কোন কর্তৃত্ব ছিলো না। বরং তোমরাই ছিলে অবাধ্য বিদ্রোহী এক সম্প্রদায়।
৩১। ” সুতারাং এখন আমাদের বিরুদ্ধে আমার প্রভুর কথা সত্য প্রমাণিত হয়েছে যে, আমাদের সকলকেই অবশ্যই [ পাপের শাস্তি ] আস্বাদন করতে হবে ৪০৫৪।
৪০৫৪। পৃথিবীর সব কিছুই আল্লাহ্র আইনের অধীনে। জড় পদার্থ,জীবিত প্রাণীকূল সকলেই আল্লাহ্র আইনের আওতাভূক্ত। শারীরিক পরিবতর্নও বিশ্বস্রষ্টার আইন অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলে। মানুষের নৈতিক চরিত্রও নৈতিক নীতিমালার অধীনে – তবে তা ভঙ্গ করার বা গ্রহণ করার স্বাধীনতা মানুষের আছে। যদি কেউ আল্লাহ্ প্রদত্ত নৈতিক নীতিমালা গ্রহণ না করে তবে তার ফলাফল তাকে ভোগ করতেই হবে। আল্লাহ্র ন্যায়নীতি অনুযায়ী প্রতিটি আত্মাকে তাঁর পাপের শাস্তি ভোগ করতেই হবে -এই আল্লাহ্র ন্যায়-নীতি। প্রত্যেকে প্রত্যেকের কাজের জন্য দায়ী থাকবে। এ ব্যাপারে কোনও ওজর বা আপত্তি গ্রহণযোগ্য নয়। কারও সুপারিশ গ্রহণ করা হবে না। শুধুমাত্র আল্লাহ্র করুণা ও ক্ষমা-ই সেই মহাবিপদ থেকে মানুষকে রক্ষা করতে পারে।
আয়াতঃ 037.031
আমাদের বিপক্ষে আমাদের পালনকর্তার উক্তিই সত্য হয়েছে। আমাদেরকে অবশই স্বাদ আস্বাদন করতে হবে।
“So now has been proved true, against us, the word of our Lord that we shall indeed (have to) taste (the punishment of our sins).
فَحَقَّ عَلَيْنَا قَوْلُ رَبِّنَا إِنَّا لَذَائِقُونَ
Fahaqqa AAalayna qawlu rabbina inna latha-iqoona
YUSUFALI: “So now has been proved true, against us, the word of our Lord that we shall indeed (have to) taste (the punishment of our sins).
PICKTHAL: Now the Word of our Lord hath been fulfilled concerning us. Lo! we are about to taste (the doom).
SHAKIR: So the sentence of our Lord has come to pass against us: (now) we shall surely taste;
KHALIFA: “We justly incurred our Lord’s judgment; now we have to suffer.
৩০। ” তোমাদের উপর আমাদের কোন কর্তৃত্ব ছিলো না। বরং তোমরাই ছিলে অবাধ্য বিদ্রোহী এক সম্প্রদায়।
৩১। ” সুতারাং এখন আমাদের বিরুদ্ধে আমার প্রভুর কথা সত্য প্রমাণিত হয়েছে যে, আমাদের সকলকেই অবশ্যই [ পাপের শাস্তি ] আস্বাদন করতে হবে ৪০৫৪।
৪০৫৪। পৃথিবীর সব কিছুই আল্লাহ্র আইনের অধীনে। জড় পদার্থ,জীবিত প্রাণীকূল সকলেই আল্লাহ্র আইনের আওতাভূক্ত। শারীরিক পরিবতর্নও বিশ্বস্রষ্টার আইন অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলে। মানুষের নৈতিক চরিত্রও নৈতিক নীতিমালার অধীনে – তবে তা ভঙ্গ করার বা গ্রহণ করার স্বাধীনতা মানুষের আছে। যদি কেউ আল্লাহ্ প্রদত্ত নৈতিক নীতিমালা গ্রহণ না করে তবে তার ফলাফল তাকে ভোগ করতেই হবে। আল্লাহ্র ন্যায়নীতি অনুযায়ী প্রতিটি আত্মাকে তাঁর পাপের শাস্তি ভোগ করতেই হবে -এই আল্লাহ্র ন্যায়-নীতি। প্রত্যেকে প্রত্যেকের কাজের জন্য দায়ী থাকবে। এ ব্যাপারে কোনও ওজর বা আপত্তি গ্রহণযোগ্য নয়। কারও সুপারিশ গ্রহণ করা হবে না। শুধুমাত্র আল্লাহ্র করুণা ও ক্ষমা-ই সেই মহাবিপদ থেকে মানুষকে রক্ষা করতে পারে।
আয়াতঃ 037.032
আমরা তোমাদেরকে পথভ্রষ্ট করেছিলাম। কারণ আমরা নিজেরাই পথভ্রষ্ট ছিলাম।
“We led you astray: for truly we were ourselves astray.”
فَأَغْوَيْنَاكُمْ إِنَّا كُنَّا غَاوِينَ
Faaghwaynakum inna kunna ghaweena
YUSUFALI: “We led you astray: for truly we were ourselves astray.”
PICKTHAL: Thus we misled you. Lo! we were (ourselves) astray.
SHAKIR: So we led you astray, for we ourselves were erring.
KHALIFA: “We misled you, only because we were astray.”
৩২। ” আমরা তোমাদের পথভ্রষ্ট করেছিলাম ; প্রকৃতপক্ষে , আমরাও পথভ্রষ্ট হয়ে পড়েছিলাম ৪০৫৫। ”
৪০৫৫। পৃথিবীতে যারা পাপকে জীবনের উন্নতির সোপান হিসেবে গ্রহণ করেছিলো – আল্লাহ্ ও পরকালের জীবনকে বিশ্বাস করে নাই ; এ সব লোক পরকালে শাস্তি দর্শনে তাদের নেতাদের ভৎর্সনা করবে। পথভ্রষ্টদের নেতা তার অনুসারীদের সেদিন বলবে, ” তোমরা আমাদের কাছ থেকে ভালো কিছু কি ভাবে আশা কর ? কারণ আমরা নিজেরাও বিভ্রান্ত ছিলাম। আমরা আল্লাহ্র প্রেরিত সর্তকবাণীকে গ্রহণ না করার ফলে আমরা ছিলাম বিপথগামী। “
আয়াতঃ 037.033
তারা সবাই সেদিন শান্তিতে শরীক হবে।
Truly, that Day, they will (all) share in the Penalty.
فَإِنَّهُمْ يَوْمَئِذٍ فِي الْعَذَابِ مُشْتَرِكُونَ
Fa-innahum yawma-ithin fee alAAathabi mushtarikoona
YUSUFALI: Truly, that Day, they will (all) share in the Penalty.
PICKTHAL: Then lo! this day they (both) are sharers in the doom.
SHAKIR: So they shall on that day be sharers in the chastisement one with another.
KHALIFA: Thus, together they will all partake of the retribution on that day.
৩৩। ওরা সকলেই সে দিন শাস্তির শরীক হবে।
৩৪। পাপীদের সাথে আমি এভাবেই ব্যবহার করবো।
৩৫। কারণ,তাদের যখন বলা হয়েছিলো , আল্লাহ্ ব্যতীত অন্য কোন উপাস্য নাই , তখন তারা অহংকারে স্ফীত হয়ে পড়েছিলো ৪০৫৬।
৪০৫৬। স্বার্থপরতা ও অহংকার এই দুটো অত্যন্ত খারাপ দোষ যা মানুষকে পথভ্রান্ত করে ও শেষ পরিণতিতে ধ্বংসের পথে নিয়ে যায়। স্বার্থপরতা ও অহংকার সকল পাপের ও খোদাদ্রোহীতার মূল বা উৎপত্তিস্থল। শয়তান [ ২ : ৩৪ ] ও ফেরাউন [ ২৮ : ৩৯ ] প্রভৃতির উদাহরণের মাধ্যমে এই সত্যকে তুলে ধরা হয়েছে। আমাদের এই পৃথিবীর জীবনেও সাধারণ মানুষ পাপের অতলে নিজজ্জিত হয় শুধুমাত্র ব্যক্তি স্বার্থের কারণে। আর অহংকার থেকে উৎপন্ন হয় উদ্ধত-গর্বিত আচরণ , যা মানুষকে চারিত্রিক দোষত্রুটি অনুধাবনে বাঁধার সৃষ্টি করে ; ফলে সে নিজেকে সংশোধনের চেষ্টা থেকে বিরত থাকে।
মানুষের এই অহংকারের প্রকাশ বিভিন্নভাবে ঘটে থাকে। যেমন : বংশগৌরব বা পূর্বপুরুষদের ঐতিহ্য সম্বন্ধে গর্ব ; বা নিজেকে জনগণের নেতা মনে করা, জাতিগত অহংকার অথবা নিজেকে শ্রেষ্ঠ ভাবার প্রবণতা ইত্যাদি। নিজেকে শ্রেষ্ঠ ভাবার প্রবণতার অনেক প্রকারভেদ আছে – কিন্তু বাংলাদেশীদের জাতীয় জীবনে সাধারণ ভাবে যে অহংবোধ কাজ করে থাকে তা হচ্ছে নিজেকে বুদ্ধিমান ভাবার প্রবণতা। বুদ্ধিমান ভাবার মধ্যে দোষের কিছু নাই, কিন্তু তখনই তা পাপে পরিণত হয় ,যখন সে কৌশলের মাধ্যমে অন্যের প্রতি অবিচার করে এবং সে সম্বন্ধে গর্ব ও আত্মতৃপ্তি প্রকাশ করে থাকে। অহংকারের এই বিকৃত প্রকাশ মানুষকে উদ্ধত ও গর্বিত করে ফেলে এবং চরিত্র থেকে ‘বিনয়’ অপসারিত হয়। যার ফলে আল্লাহ্র ও ব্যক্তির আত্মার মাঝে দুস্তর ব্যবধান রচিত হয়। যদি মানুষ আল্লাহ্র একত্ব আত্মার মাঝে অনুভব করতো , এবং উপলব্ধি করতো যে সকল সফলতা আল্লাহ্র দান, সেখানে নিজস্ব কৃতিত্বের কোনও স্থান নাই, এই অনুভব তাকে অহংকার ও স্বার্থপরতা থেকে বিরত রাখতো। ক্ষণস্থায়ী এই পার্থিব জীবনে আল্লাহ্-ই একমাত্র সত্য, এই অনুধাবন পাপ থেকে মানুষকে রক্ষা করতে সক্ষম। কিন্তু যখন মানুষ আল্লাহ্র একত্ব থেকে বিচ্যুত হয়ে ,বিভিন্ন উপাস্য যেমন – রত্ন পাথর , পীর , মাজার , রাশি চক্র ইত্যাদির সাহায্য গ্রহণ করে, তখন তার আধ্যাত্মিক জীবন পাপের অন্ধকারে ঢেকে যায়। কারণ এ সব মিথ্যা উপাস্য পাপের প্রতিনিধি স্বরূপ, যা ব্যক্তির নিজস্ব চিন্তার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। তাদের পক্ষে তখন এসব উপাস্য ত্যাগ করা অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। আল্লাহ্র একত্বে বিশ্বাস স্থাপন করা এদের পক্ষে সম্ভব হয় না এবং তা নিয়ে তারা গর্ব প্রকাশ করে থাকে, এরূপ ক্ষেত্রে একমাত্র আল্লাহ্র করুণা ও দয়া তাদের রক্ষা করতে পারে , আর কেউ না।
আয়াতঃ 037.034
অপরাধীদের সাথে আমি এমনি ব্যবহার করে থাকি।
Verily that is how We shall deal with Sinners.
إِنَّا كَذَلِكَ نَفْعَلُ بِالْمُجْرِمِينَ
Inna kathalika nafAAalu bialmujrimeena
YUSUFALI: Verily that is how We shall deal with Sinners.
PICKTHAL: Lo! thus deal We with the guilty.
SHAKIR: Surely thus do We deal with the guilty.
KHALIFA: This is how we requite the guilty.
৩৩। ওরা সকলেই সে দিন শাস্তির শরীক হবে।
৩৪। পাপীদের সাথে আমি এভাবেই ব্যবহার করবো।
৩৫। কারণ,তাদের যখন বলা হয়েছিলো , আল্লাহ্ ব্যতীত অন্য কোন উপাস্য নাই , তখন তারা অহংকারে স্ফীত হয়ে পড়েছিলো ৪০৫৬।
৪০৫৬। স্বার্থপরতা ও অহংকার এই দুটো অত্যন্ত খারাপ দোষ যা মানুষকে পথভ্রান্ত করে ও শেষ পরিণতিতে ধ্বংসের পথে নিয়ে যায়। স্বার্থপরতা ও অহংকার সকল পাপের ও খোদাদ্রোহীতার মূল বা উৎপত্তিস্থল। শয়তান [ ২ : ৩৪ ] ও ফেরাউন [ ২৮ : ৩৯ ] প্রভৃতির উদাহরণের মাধ্যমে এই সত্যকে তুলে ধরা হয়েছে। আমাদের এই পৃথিবীর জীবনেও সাধারণ মানুষ পাপের অতলে নিজজ্জিত হয় শুধুমাত্র ব্যক্তি স্বার্থের কারণে। আর অহংকার থেকে উৎপন্ন হয় উদ্ধত-গর্বিত আচরণ , যা মানুষকে চারিত্রিক দোষত্রুটি অনুধাবনে বাঁধার সৃষ্টি করে ; ফলে সে নিজেকে সংশোধনের চেষ্টা থেকে বিরত থাকে।
মানুষের এই অহংকারের প্রকাশ বিভিন্নভাবে ঘটে থাকে। যেমন : বংশগৌরব বা পূর্বপুরুষদের ঐতিহ্য সম্বন্ধে গর্ব ; বা নিজেকে জনগণের নেতা মনে করা, জাতিগত অহংকার অথবা নিজেকে শ্রেষ্ঠ ভাবার প্রবণতা ইত্যাদি। নিজেকে শ্রেষ্ঠ ভাবার প্রবণতার অনেক প্রকারভেদ আছে – কিন্তু বাংলাদেশীদের জাতীয় জীবনে সাধারণ ভাবে যে অহংবোধ কাজ করে থাকে তা হচ্ছে নিজেকে বুদ্ধিমান ভাবার প্রবণতা। বুদ্ধিমান ভাবার মধ্যে দোষের কিছু নাই, কিন্তু তখনই তা পাপে পরিণত হয় ,যখন সে কৌশলের মাধ্যমে অন্যের প্রতি অবিচার করে এবং সে সম্বন্ধে গর্ব ও আত্মতৃপ্তি প্রকাশ করে থাকে। অহংকারের এই বিকৃত প্রকাশ মানুষকে উদ্ধত ও গর্বিত করে ফেলে এবং চরিত্র থেকে ‘বিনয়’ অপসারিত হয়। যার ফলে আল্লাহ্র ও ব্যক্তির আত্মার মাঝে দুস্তর ব্যবধান রচিত হয়। যদি মানুষ আল্লাহ্র একত্ব আত্মার মাঝে অনুভব করতো , এবং উপলব্ধি করতো যে সকল সফলতা আল্লাহ্র দান, সেখানে নিজস্ব কৃতিত্বের কোনও স্থান নাই, এই অনুভব তাকে অহংকার ও স্বার্থপরতা থেকে বিরত রাখতো। ক্ষণস্থায়ী এই পার্থিব জীবনে আল্লাহ্-ই একমাত্র সত্য, এই অনুধাবন পাপ থেকে মানুষকে রক্ষা করতে সক্ষম। কিন্তু যখন মানুষ আল্লাহ্র একত্ব থেকে বিচ্যুত হয়ে ,বিভিন্ন উপাস্য যেমন – রত্ন পাথর , পীর , মাজার , রাশি চক্র ইত্যাদির সাহায্য গ্রহণ করে, তখন তার আধ্যাত্মিক জীবন পাপের অন্ধকারে ঢেকে যায়। কারণ এ সব মিথ্যা উপাস্য পাপের প্রতিনিধি স্বরূপ, যা ব্যক্তির নিজস্ব চিন্তার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। তাদের পক্ষে তখন এসব উপাস্য ত্যাগ করা অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। আল্লাহ্র একত্বে বিশ্বাস স্থাপন করা এদের পক্ষে সম্ভব হয় না এবং তা নিয়ে তারা গর্ব প্রকাশ করে থাকে, এরূপ ক্ষেত্রে একমাত্র আল্লাহ্র করুণা ও দয়া তাদের রক্ষা করতে পারে , আর কেউ না।
আয়াতঃ 037.035
তাদের যখন বলা হত, আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য েনই, তখন তারা ঔদ্ধত্য প্রদর্শন করত।
For they, when they were told that there is no god except Allah, would puff themselves up with Pride,
إِنَّهُمْ كَانُوا إِذَا قِيلَ لَهُمْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ يَسْتَكْبِرُونَ
Innahum kanoo itha qeela lahum la ilaha illa Allahu yastakbiroona
YUSUFALI: For they, when they were told that there is no god except Allah, would puff themselves up with Pride,
PICKTHAL: For when it was said unto them, There is no Allah save Allah, they were scornful
SHAKIR: Surely they used to behave proudly when it was said to them: There is no god but Allah;
KHALIFA: When they were told, “Laa Elaaha Ella Allah [There is no other god beside GOD],” they turned arrogant.
৩৩। ওরা সকলেই সে দিন শাস্তির শরীক হবে।
৩৪। পাপীদের সাথে আমি এভাবেই ব্যবহার করবো।
৩৫। কারণ,তাদের যখন বলা হয়েছিলো , আল্লাহ্ ব্যতীত অন্য কোন উপাস্য নাই , তখন তারা অহংকারে স্ফীত হয়ে পড়েছিলো ৪০৫৬।
৪০৫৬। স্বার্থপরতা ও অহংকার এই দুটো অত্যন্ত খারাপ দোষ যা মানুষকে পথভ্রান্ত করে ও শেষ পরিণতিতে ধ্বংসের পথে নিয়ে যায়। স্বার্থপরতা ও অহংকার সকল পাপের ও খোদাদ্রোহীতার মূল বা উৎপত্তিস্থল। শয়তান [ ২ : ৩৪ ] ও ফেরাউন [ ২৮ : ৩৯ ] প্রভৃতির উদাহরণের মাধ্যমে এই সত্যকে তুলে ধরা হয়েছে। আমাদের এই পৃথিবীর জীবনেও সাধারণ মানুষ পাপের অতলে নিজজ্জিত হয় শুধুমাত্র ব্যক্তি স্বার্থের কারণে। আর অহংকার থেকে উৎপন্ন হয় উদ্ধত-গর্বিত আচরণ , যা মানুষকে চারিত্রিক দোষত্রুটি অনুধাবনে বাঁধার সৃষ্টি করে ; ফলে সে নিজেকে সংশোধনের চেষ্টা থেকে বিরত থাকে।
মানুষের এই অহংকারের প্রকাশ বিভিন্নভাবে ঘটে থাকে। যেমন : বংশগৌরব বা পূর্বপুরুষদের ঐতিহ্য সম্বন্ধে গর্ব ; বা নিজেকে জনগণের নেতা মনে করা, জাতিগত অহংকার অথবা নিজেকে শ্রেষ্ঠ ভাবার প্রবণতা ইত্যাদি। নিজেকে শ্রেষ্ঠ ভাবার প্রবণতার অনেক প্রকারভেদ আছে – কিন্তু বাংলাদেশীদের জাতীয় জীবনে সাধারণ ভাবে যে অহংবোধ কাজ করে থাকে তা হচ্ছে নিজেকে বুদ্ধিমান ভাবার প্রবণতা। বুদ্ধিমান ভাবার মধ্যে দোষের কিছু নাই, কিন্তু তখনই তা পাপে পরিণত হয় ,যখন সে কৌশলের মাধ্যমে অন্যের প্রতি অবিচার করে এবং সে সম্বন্ধে গর্ব ও আত্মতৃপ্তি প্রকাশ করে থাকে। অহংকারের এই বিকৃত প্রকাশ মানুষকে উদ্ধত ও গর্বিত করে ফেলে এবং চরিত্র থেকে ‘বিনয়’ অপসারিত হয়। যার ফলে আল্লাহ্র ও ব্যক্তির আত্মার মাঝে দুস্তর ব্যবধান রচিত হয়। যদি মানুষ আল্লাহ্র একত্ব আত্মার মাঝে অনুভব করতো , এবং উপলব্ধি করতো যে সকল সফলতা আল্লাহ্র দান, সেখানে নিজস্ব কৃতিত্বের কোনও স্থান নাই, এই অনুভব তাকে অহংকার ও স্বার্থপরতা থেকে বিরত রাখতো। ক্ষণস্থায়ী এই পার্থিব জীবনে আল্লাহ্-ই একমাত্র সত্য, এই অনুধাবন পাপ থেকে মানুষকে রক্ষা করতে সক্ষম। কিন্তু যখন মানুষ আল্লাহ্র একত্ব থেকে বিচ্যুত হয়ে ,বিভিন্ন উপাস্য যেমন – রত্ন পাথর , পীর , মাজার , রাশি চক্র ইত্যাদির সাহায্য গ্রহণ করে, তখন তার আধ্যাত্মিক জীবন পাপের অন্ধকারে ঢেকে যায়। কারণ এ সব মিথ্যা উপাস্য পাপের প্রতিনিধি স্বরূপ, যা ব্যক্তির নিজস্ব চিন্তার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। তাদের পক্ষে তখন এসব উপাস্য ত্যাগ করা অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। আল্লাহ্র একত্বে বিশ্বাস স্থাপন করা এদের পক্ষে সম্ভব হয় না এবং তা নিয়ে তারা গর্ব প্রকাশ করে থাকে, এরূপ ক্ষেত্রে একমাত্র আল্লাহ্র করুণা ও দয়া তাদের রক্ষা করতে পারে , আর কেউ না।
আয়াতঃ 037.036
এবং বলত, আমরা কি এক উম্মাদ কবির কথায় আমাদের উপাস্যদেরকে পরিত্যাগ করব।
And say: “What! shall we give up our gods for the sake of a Poet possessed?”
وَيَقُولُونَ أَئِنَّا لَتَارِكُوا آلِهَتِنَا لِشَاعِرٍ مَّجْنُونٍ
Wayaqooloona a-inna latarikoo alihatina lishaAAirin majnoonin
YUSUFALI: And say: “What! shall we give up our gods for the sake of a Poet possessed?”
PICKTHAL: And said: Shall we forsake our gods for a mad poet?
SHAKIR: And to say: What! shall we indeed give up our gods for the sake of a mad poet?
KHALIFA: They said, “Shall we leave our gods for the sake of a crazy poet?”
৩৬। এবং বলে, ” কি ! আমরা কি একজন উন্মাদ কবির কথায় আমাদের উপাস্যদের ত্যাগ করবো ? ” ৪০৫৭
৪০৫৭। রাসুলের [ সা ] জীবনের মাধ্যমে এ সব উদ্ধত অহংকারী লোকেদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যকে তুলে ধরা হয়েছে। ইসলাম প্রচারের প্রথম যুগে, বহু উপাস্যের উপাসনাকারী এ সব পাপিষ্ঠরা রসুলকে [ সা] উম্মাদ কবিরূপে আখ্যায়িত করতো। সত্যের আবেদন তাদের নিকট ছিলো অরুচিকর , কারণ তা ছিলো তাদের ব্যক্তি স্বার্থের বিরোধী। আজও এত যুগ পরে , স্বার্থপর ও অহংকারী ব্যক্তিদের এই মানসিকতার কোনও পরিবর্তন ঘটে নাই।
আয়াতঃ 037.037
না, তিনি সত্যসহ আগমন করেছেন এবং রসূলগণের সত্যতা স্বীকার করেছেন।
Nay! he has come with the (very) Truth, and he confirms (the Message of) the apostles (before him).
بَلْ جَاء بِالْحَقِّ وَصَدَّقَ الْمُرْسَلِينَ
Bal jaa bialhaqqi wasaddaqa almursaleena
YUSUFALI: Nay! he has come with the (very) Truth, and he confirms (the Message of) the messengers (before him).
PICKTHAL: Nay, but he brought the Truth, and he confirmed those sent (before him).
SHAKIR: Nay: he has come with the truth and verified the messengers.
KHALIFA: In fact, he has brought the truth, and has confirmed the messengers.
৩৭। না ! বরং সে [ মুহাম্মদ ] প্রকৃত সত্য নিয়ে এসেছে এবং সে [ পূর্ববর্তী ] রাসুলদের [ উপদেশ বাণী ] সত্যায়িত করেছে ৪০৫৮।
৪০৫৮। ইসলামের বাণী কোন পাগলের প্রলাপ নয় ; বরং তা সত্যের উপরে প্রতিষ্ঠিত , যা জীবনের খুব কাছাকাছি। আল্লাহ্ মানুষ সৃষ্টিতে যে বৈশিষ্ট্য দান করেছেন , ইসলামের শিক্ষা সেই সত্যকেই প্রকাশ করে থাকে। ইসলামের শিক্ষা হচ্ছে জীবনের সর্বোচ্চ সত্য। পবিত্রতার প্রতীক , যা বিভিন্ন যুগে আল্লাহ্র প্রেরিত রসুলদের প্রচারিত সত্যকে সত্যায়ন করে থাকে।
আয়াতঃ 037.038
তোমরা অবশ্যই বেদনাদায়ক শাস্তি আস্বাদন করবে।
Ye shall indeed taste of the Grievous Penalty;-
إِنَّكُمْ لَذَائِقُو الْعَذَابِ الْأَلِيمِ
Innakum latha-iqoo alAAathabi al-aleemi
YUSUFALI: Ye shall indeed taste of the Grievous Penalty;-
PICKTHAL: Lo! (now) verily ye taste the painful doom –
SHAKIR: Most surely you will taste the painful punishment.
KHALIFA: Most assuredly, you will taste the most painful retribution.
৩৮। নিশ্চয় তোমরা কঠিন শাস্তি আস্বাদন করবে।
৩৯। এবং তোমরা [ যে মন্দ কাজ ] করতে তাহারই প্রতিফল পাবে; – ৪০৫৯
৪০৫৯। যে যার কৃতকর্মের ফল ভোগ করবে, এই হচ্ছে ন্যায় বিচার । যে পাপ করে সে তার ফল ভোগ করবে, যে সৎকাজ করবে সেও উপযুক্ত প্রতিদান লাভ করবে। পাপীদের শাস্তির উল্লেখ করা হয়েছে – যা তাদেরই কর্মফল। এটা কারও প্রতিরোধ বা বিদ্বেষবশতঃ করা নয়। কারণ প্রকৃতির ধর্ম-ই হচ্ছে “Every action there is an equal and opposite reaction”। বিশ্ব প্রকৃতিকে স্রষ্টা এই প্রাকৃতিক আইনের অধীন করে দিয়েছেন। পাপী ও পূণ্যাত্মা সকলেই এই আইনের অধীন।
আয়াতঃ 037.039
তোমরা যা করতে, তারই প্রতিফল পাবে।
But it will be no more than the retribution of (the Evil) that ye have wrought;-
وَمَا تُجْزَوْنَ إِلَّا مَا كُنتُمْ تَعْمَلُونَ
Wama tujzawna illa ma kuntum taAAmaloona
YUSUFALI: But it will be no more than the retribution of (the Evil) that ye have wrought;-
PICKTHAL: Ye are requited naught save what ye did –
SHAKIR: And you shall not be rewarded except (for) what you did.
KHALIFA: You are requited only for what you have done.
৩৮। নিশ্চয় তোমরা কঠিন শাস্তি আস্বাদন করবে।
৩৯। এবং তোমরা [ যে মন্দ কাজ ] করতে তাহারই প্রতিফল পাবে; – ৪০৫৯
৪০৫৯। যে যার কৃতকর্মের ফল ভোগ করবে, এই হচ্ছে ন্যায় বিচার । যে পাপ করে সে তার ফল ভোগ করবে, যে সৎকাজ করবে সেও উপযুক্ত প্রতিদান লাভ করবে। পাপীদের শাস্তির উল্লেখ করা হয়েছে – যা তাদেরই কর্মফল। এটা কারও প্রতিরোধ বা বিদ্বেষবশতঃ করা নয়। কারণ প্রকৃতির ধর্ম-ই হচ্ছে “Every action there is an equal and opposite reaction”। বিশ্ব প্রকৃতিকে স্রষ্টা এই প্রাকৃতিক আইনের অধীন করে দিয়েছেন। পাপী ও পূণ্যাত্মা সকলেই এই আইনের অধীন।
আয়াতঃ 037.040
তবে তারা নয়, যারা আল্লাহর বাছাই করা বান্দা।
But the sincere (and devoted) Servants of Allah,-
إِلَّا عِبَادَ اللَّهِ الْمُخْلَصِينَ
Illa AAibada Allahi almukhlaseena
YUSUFALI: But the sincere (and devoted) Servants of Allah,-
PICKTHAL: Save single-minded slaves of Allah;
SHAKIR: Save the servants of Allah, the purified ones.
KHALIFA: Only GOD’s servants who are absolutely devoted to Him alone (will be saved).
৪০। তবে,আল্লাহ্র একনিষ্ঠ [ এবং অনুগত ] বান্দাদের কথা স্বতন্ত্র।
৪১। তাদের জন্য নির্ধারিত আছে জীবনোপকরণ হিসেবে ৪০৬০, ৪০৬১
৪০৬০। “Ma’lum” – নির্ধারিত। এই নির্ধারিত শব্দটি দ্বারা বুঝানো হয়েছে যে, পূণ্যাত্মা ও আল্লাহ্র আর্শীবাদ পুষ্টদের জন্য যে পুরষ্কার নির্ধারিত তা কোন দৈবাৎ ঘটনা নয়। পূণ্যাত্মাদের কাজের পুরষ্কারের ঘোষণা হচ্ছে আল্লাহ্র দৃঢ় অংগীকার।
৪০৬১। ‘রিযিক’ বা “জীবনোপকরণ”- এখানে রিযিক শব্দটি দ্বারা বেহেশতের ফলমূলকে বোঝানো হয়েছে।
আয়াতঃ 037.041
তাদের জন্যে রয়েছে নির্ধারিত রুযি।
For them is a Sustenance determined,
أُوْلَئِكَ لَهُمْ رِزْقٌ مَّعْلُومٌ
Ola-ika lahum rizqun maAAloomun
YUSUFALI: For them is a Sustenance determined,
PICKTHAL: For them there is a known provision,
SHAKIR: For them is a known sustenance,
KHALIFA: They have deserved provisions that are reserved specifically for them.
৪০। তবে,আল্লাহ্র একনিষ্ঠ [ এবং অনুগত ] বান্দাদের কথা স্বতন্ত্র।
৪১। তাদের জন্য নির্ধারিত আছে জীবনোপকরণ হিসেবে ৪০৬০, ৪০৬১
৪০৬০। “Ma’lum” – নির্ধারিত। এই নির্ধারিত শব্দটি দ্বারা বুঝানো হয়েছে যে, পূণ্যাত্মা ও আল্লাহ্র আর্শীবাদ পুষ্টদের জন্য যে পুরষ্কার নির্ধারিত তা কোন দৈবাৎ ঘটনা নয়। পূণ্যাত্মাদের কাজের পুরষ্কারের ঘোষণা হচ্ছে আল্লাহ্র দৃঢ় অংগীকার।
৪০৬১। ‘রিযিক’ বা “জীবনোপকরণ”- এখানে রিযিক শব্দটি দ্বারা বেহেশতের ফলমূলকে বোঝানো হয়েছে।
আয়াতঃ 037.042
ফল-মূল এবং তারা সম্মানিত।
Fruits (Delights); and they (shall enjoy) honour and dignity,
فَوَاكِهُ وَهُم مُّكْرَمُونَ
Fawakihu wahum mukramoona
YUSUFALI: Fruits (Delights); and they (shall enjoy) honour and dignity,
PICKTHAL: Fruits. And they will be honoured
SHAKIR: Fruits, and they shall be highly honored,
KHALIFA: All kinds of fruits. They will be honored.
৪২। [ আনন্দদায়ক ] ফল ৪০৬২ ; এবং তারা [ উপভোগ করবে ] সম্মান ও মর্যাদা ;
৪০৬২। “ফলমূল” ; দেখুন আয়াত [ ৩৬ : ৫৭ ] এবং টিকা ৪০০৩। এই আয়াত থেকে পরবর্তী আয়াতসমূহের বর্ণনা করা হয়েছে পূণ্যাত্মাদের পুরষ্কারের বর্ণনা। ধাপে ধাপে তা বর্ণনা করা হয়েছে। প্রথমতঃ খাদ্য যথা ফলমূল, তারপর মনোরম ছবির মত বাগান [ যথাঃ নৈসর্গিক দৃশ্য, শোভা, পাখীর গান, ফুলের গন্ধ, ঝরণা ইত্যাদি ] ; সুখ ও সম্মানের বাসগৃহ ; সমমনোভাবাসম্পন্ন সঙ্গী সহযোগে সিংহাসনে সমাসীন , উপাদেয় পানীয় ; সামাজিক আনন্দ ; অপর লিঙ্গের সঙ্গের আনন্দ এখানে অপর লিঙ্গের সঙ্গীদের সৌন্দর্য মনোহারিত্ব হবে তুলনাহীন।
আয়াতঃ 037.043
নেয়ামতের উদ্যানসমূহ।
In Gardens of Felicity,
فِي جَنَّاتِ النَّعِيمِ
Fee jannati alnnaAAeemi
YUSUFALI: In Gardens of Felicity,
PICKTHAL: In the Gardens of delight,
SHAKIR: In gardens of pleasure,
KHALIFA: In the gardens of bliss.
৪৩। সুখময় [বেহেশতের ] বাগানে ;
৪৪। [ মর্যাদার ] সিংহাসনে মুখোমুখি সমাসীন হয়ে।
৪৫। প্রবাহমান স্বচ্ছ ঝরণা থেকে [ পানীয় ] পেয়ালা তাদের নিকট ঘুরে ঘুরে পরিবেশন করা হবে।
৪৬। উহা স্ফটিক শুভ্র , পানকারীদের জন্য তা হবে সুস্বাদু।
৪৭। তার মধ্যে [ ক্ষতিকর ] মাথা ব্যথার কারণ নাই, এবং উহাতে তারা মাতালও হবে না ৪০৬৩।
৪০৬৩। বেহেশতে যে সামাজিক সমাবেশ হবে তারই বর্ণনা এখানে করা হয়েছে। সেখানে যে পানীয় পরিবেশন করা হবে তা হবে পবিত্র, কোনও ক্ষতিকর প্রভাব এতে থাকবে না। পৃথিবীতে এরূপ সামাজিক সমাবেশ পাপের জন্ম দেয়। কিন্তু বেহেশতে তা হবে পূত এবং পবিত্র।
আয়াতঃ 037.044
মুখোমুখি হয়ে আসনে আসীন।
Facing each other on Thrones (of Dignity):
عَلَى سُرُرٍ مُّتَقَابِلِينَ
AAala sururin mutaqabileena
YUSUFALI: Facing each other on Thrones (of Dignity):
PICKTHAL: On couches facing one another;
SHAKIR: On thrones, facing each other.
KHALIFA: On furnishings close to one another.
৪৩। সুখময় [বেহেশতের ] বাগানে ;
৪৪। [ মর্যাদার ] সিংহাসনে মুখোমুখি সমাসীন হয়ে।
৪৫। প্রবাহমান স্বচ্ছ ঝরণা থেকে [ পানীয় ] পেয়ালা তাদের নিকট ঘুরে ঘুরে পরিবেশন করা হবে।
৪৬। উহা স্ফটিক শুভ্র , পানকারীদের জন্য তা হবে সুস্বাদু।
৪৭। তার মধ্যে [ ক্ষতিকর ] মাথা ব্যথার কারণ নাই, এবং উহাতে তারা মাতালও হবে না ৪০৬৩।
৪০৬৩। বেহেশতে যে সামাজিক সমাবেশ হবে তারই বর্ণনা এখানে করা হয়েছে। সেখানে যে পানীয় পরিবেশন করা হবে তা হবে পবিত্র, কোনও ক্ষতিকর প্রভাব এতে থাকবে না। পৃথিবীতে এরূপ সামাজিক সমাবেশ পাপের জন্ম দেয়। কিন্তু বেহেশতে তা হবে পূত এবং পবিত্র।
আয়াতঃ 037.045
তাদেরকে ঘুরে ফিরে পরিবেশন করা হবে স্বচ্ছ পানপাত্র।
Round will be passed to them a Cup from a clear-flowing fountain,
يُطَافُ عَلَيْهِم بِكَأْسٍ مِن مَّعِينٍ
Yutafu AAalayhim bika/sin min maAAeenin
YUSUFALI: Round will be passed to them a Cup from a clear-flowing fountain,
PICKTHAL: A cup from a gushing spring is brought round for them,
SHAKIR: A bowl shall be made to go round them from water running out of springs,
KHALIFA: Cups of pure drinks will be offered to them.
৪৩। সুখময় [বেহেশতের ] বাগানে ;
৪৪। [ মর্যাদার ] সিংহাসনে মুখোমুখি সমাসীন হয়ে।
৪৫। প্রবাহমান স্বচ্ছ ঝরণা থেকে [ পানীয় ] পেয়ালা তাদের নিকট ঘুরে ঘুরে পরিবেশন করা হবে।
৪৬। উহা স্ফটিক শুভ্র , পানকারীদের জন্য তা হবে সুস্বাদু।
৪৭। তার মধ্যে [ ক্ষতিকর ] মাথা ব্যথার কারণ নাই, এবং উহাতে তারা মাতালও হবে না ৪০৬৩।
৪০৬৩। বেহেশতে যে সামাজিক সমাবেশ হবে তারই বর্ণনা এখানে করা হয়েছে। সেখানে যে পানীয় পরিবেশন করা হবে তা হবে পবিত্র, কোনও ক্ষতিকর প্রভাব এতে থাকবে না। পৃথিবীতে এরূপ সামাজিক সমাবেশ পাপের জন্ম দেয়। কিন্তু বেহেশতে তা হবে পূত এবং পবিত্র।
আয়াতঃ 037.046
সুশুভ্র, যা পানকারীদের জন্যে সুস্বাদু।
Crystal-white, of a taste delicious to those who drink (thereof),
بَيْضَاء لَذَّةٍ لِّلشَّارِبِينَ
Baydaa laththatin lilshsharibeena
YUSUFALI: Crystal-white, of a taste delicious to those who drink (thereof),
PICKTHAL: White, delicious to the drinkers,
SHAKIR: White, delicious to those who drink.
KHALIFA: Clear and delicious for the drinkers.
৪৩। সুখময় [বেহেশতের ] বাগানে ;
৪৪। [ মর্যাদার ] সিংহাসনে মুখোমুখি সমাসীন হয়ে।
৪৫। প্রবাহমান স্বচ্ছ ঝরণা থেকে [ পানীয় ] পেয়ালা তাদের নিকট ঘুরে ঘুরে পরিবেশন করা হবে।
৪৬। উহা স্ফটিক শুভ্র , পানকারীদের জন্য তা হবে সুস্বাদু।
৪৭। তার মধ্যে [ ক্ষতিকর ] মাথা ব্যথার কারণ নাই, এবং উহাতে তারা মাতালও হবে না ৪০৬৩।
৪০৬৩। বেহেশতে যে সামাজিক সমাবেশ হবে তারই বর্ণনা এখানে করা হয়েছে। সেখানে যে পানীয় পরিবেশন করা হবে তা হবে পবিত্র, কোনও ক্ষতিকর প্রভাব এতে থাকবে না। পৃথিবীতে এরূপ সামাজিক সমাবেশ পাপের জন্ম দেয়। কিন্তু বেহেশতে তা হবে পূত এবং পবিত্র।
আয়াতঃ 037.047
তাতে মাথা ব্যথার উপাদান নেই এবং তারা তা পান করে মাতালও হবে না।
Free from headiness; nor will they suffer intoxication therefrom.
لَا فِيهَا غَوْلٌ وَلَا هُمْ عَنْهَا يُنزَفُونَ
La feeha ghawlun wala hum AAanha yunzafoona
YUSUFALI: Free from headiness; nor will they suffer intoxication therefrom.
PICKTHAL: Wherein there is no headache nor are they made mad thereby.
SHAKIR: There shall be no trouble in it, nor shall they be exhausted therewith.
KHALIFA: Never polluted, and never exhausted.
৪৩। সুখময় [বেহেশতের ] বাগানে ;
৪৪। [ মর্যাদার ] সিংহাসনে মুখোমুখি সমাসীন হয়ে।
৪৫। প্রবাহমান স্বচ্ছ ঝরণা থেকে [ পানীয় ] পেয়ালা তাদের নিকট ঘুরে ঘুরে পরিবেশন করা হবে।
৪৬। উহা স্ফটিক শুভ্র , পানকারীদের জন্য তা হবে সুস্বাদু।
৪৭। তার মধ্যে [ ক্ষতিকর ] মাথা ব্যথার কারণ নাই, এবং উহাতে তারা মাতালও হবে না ৪০৬৩।
৪০৬৩। বেহেশতে যে সামাজিক সমাবেশ হবে তারই বর্ণনা এখানে করা হয়েছে। সেখানে যে পানীয় পরিবেশন করা হবে তা হবে পবিত্র, কোনও ক্ষতিকর প্রভাব এতে থাকবে না। পৃথিবীতে এরূপ সামাজিক সমাবেশ পাপের জন্ম দেয়। কিন্তু বেহেশতে তা হবে পূত এবং পবিত্র।
আয়াতঃ 037.048
তাদের কাছে থাকবে নত, আয়তলোচনা তরুণীগণ।
And besides them will be chaste women, restraining their glances, with big eyes (of wonder and beauty).
وَعِنْدَهُمْ قَاصِرَاتُ الطَّرْفِ عِينٌ
WaAAindahum qasiratu alttarfi AAeenun
YUSUFALI: And besides them will be chaste women, restraining their glances, with big eyes (of wonder and beauty).
PICKTHAL: And with them are those of modest gaze, with lovely eyes,
SHAKIR: And with them shall be those who restrain the eyes, having beautiful eyes;
KHALIFA: With them will be wonderful companions.
৪৮। তাদের সাথে পূত পবিত্র নারীরা থাকবে যারা আনত নয়না, আয়তলোচনা [ যারা হবে বিস্ময়কর এবং অপূর্ব সুন্দর ] ৪০৬৪।
৪০৬৪। এই আয়াতে বিশুদ্ধ নারীত্বের সর্বোচ্চ সৌন্দর্যকে প্রকাশ করা হয়েছে প্রতীকের মাধ্যমে। তারা হবে পূত পবিত্র , পৃথিবীতে কোন পাপ বা অপূর্ণতা তাদের স্পর্শ করবে না। তারা হবে নম্র দৃষ্টি হবে আনত। চক্ষুর সৌন্দর্য বর্ণনা প্রসঙ্গে বলা হয়েছে যে, তাদের সুন্দর চক্ষুদ্বয় শিশুর বিস্ময়ের ন্যায় মাধুর্যে পরিপূর্ণ।
আয়াতঃ 037.049
যেন তারা সুরক্ষিত ডিম।
As if they were (delicate) eggs closely guarded.
كَأَنَّهُنَّ بَيْضٌ مَّكْنُونٌ
Kaannahunna baydun maknoonun
YUSUFALI: As if they were (delicate) eggs closely guarded.
PICKTHAL: (Pure) as they were hidden eggs (of the ostrich).
SHAKIR: As if they were eggs carefully protected.
KHALIFA: Protected like fragile eggs.
৪৯। [ মনে হবে ] তারা যেনো সুরক্ষিত ডিম ৪০৬৫।
৪০৬৫। এখানে হুরীদের সৌন্দর্যের বর্ণনা করা প্রসঙ্গে বলা হয়েছে যে, তাদের গাত্রবর্ণ হবে কমনীয় যাকে ডিমের স্বচ্ছ ভঙ্গুর খোসার সাথে তুলনা করা যায়। আয়াত [ ৫৫ : ৫৮ ] তুলনা করা হয়েছে রুবী ও কোরালের সাথে অর্থাৎ গাত্রবর্ণ হবে গোলাপের মত সৌন্দর্যমন্ডিত গোলাপী।
আয়াতঃ 037.050
অতঃপর তারা একে অপরের দিকে মুখ করে জিজ্ঞাসাবাদ করবে।
Then they will turn to one another and question one another.
فَأَقْبَلَ بَعْضُهُمْ عَلَى بَعْضٍ يَتَسَاءلُونَ
Faaqbala baAAduhum AAala baAAdin yatasaaloona
YUSUFALI: Then they will turn to one another and question one another.
PICKTHAL: And some of them draw near unto others, mutually questioning.
SHAKIR: Then shall some of them advance to others, questioning each other.
KHALIFA: They will come to each other, and confer with one another.
৫০। তারা একে অপরের সামনাসামনি হয়ে একে অপরকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে ৪০৬৬।
৪০৬৬। একই বাক্য ব্যবহার করা হয়েছে আয়াত[ ৩৭ : ২৭ ] এ। এখানে বক্তব্য হচ্ছে পূণ্যাত্মাদের , সেখানে ছিলো ঠিক তার বিপরীত যারা জাহান্নামী তাদের। প্রত্যেক ক্ষেত্রেই তারা পৃথিবীর স্মৃতিচারণ করেছে। তারা পৃথিবীর অভিজ্ঞতাকেই পরলোকে বহন করে নিয়েছে।
আয়াতঃ 037.051
তাদের একজন বলবে, আমার এক সঙ্গী ছিল।
One of them will start the talk and say: “I had an intimate companion (on the earth),
قَالَ قَائِلٌ مِّنْهُمْ إِنِّي كَانَ لِي قَرِينٌ
Qala qa-ilun minhum innee kana lee qareenun
YUSUFALI: One of them will start the talk and say: “I had an intimate companion (on the earth),
PICKTHAL: A speaker of them saith: Lo! I had a comrade
SHAKIR: A speaker from among them shall say: Surely I had a comrade of mine,
KHALIFA: One of them will say, “I used to have a friend.
৫১। তাদের একজন বলতে শুরু করবে , ” [ পৃথিবীতে ] আমার একজন অন্তরঙ্গ বন্ধু ছিলো ৪০৬৭।
৪০৬৭। এই আয়াতে পূণ্যাত্মা ব্যক্তিটি যে সঙ্গীর কথা উল্লেখ করেছে, সে সন্দেহ প্রবণ ব্যক্তি ছিলো, ধর্ম ছিলো তার নিকট হাসির বস্তু। পরকাল অলীক কল্পনা মাত্র। মৃত্যুর পরে সম্পূর্ণ ব্যাপারটি হয়ে যাবে সম্পূর্ণ উল্টো। যারা পৃথিবীতে আল্লাহ্র প্রতি একান্ত ভালোবাসার দরুণ আল্লাহ্ প্রদশির্ত সৎ জীবন যাপন করেছে – তারা পরলোকের জীবনে অনন্ত সুখ ও শান্তির আস্বাদন করবে। অপর পক্ষে যারা ছিলো সন্দেহ বাতিক তারা তাদের আত্মাকে এই পৃথিবীতেই অপবিত্র করার ফলে ইহকাল ও পরলোক উভয় কালেই দোযখের যন্ত্রণা ভোগ করবে।
আয়াতঃ 037.052
সে বলত, তুমি কি বিশ্বাস কর যে,
“Who used to say, ‘what! art thou amongst those who bear witness to the Truth (of the Message)?
يَقُولُ أَئِنَّكَ لَمِنْ الْمُصَدِّقِينَ
Yaqoolu a-innaka lamina almusaddiqeena
YUSUFALI: “Who used to say, ‘what! art thou amongst those who bear witness to the Truth (of the Message)?
PICKTHAL: Who used to say: Art thou in truth of those who put faith (in his words)?
SHAKIR: Who said: What! are you indeed of those who accept (the truth)?
KHALIFA: “He used to mock: `Do you believe all this?
৫২। যে প্রায়ই বলতো ,” কি ! তুমি কি তাদেরই একজন যারা [ কিয়ামতের ] সত্যতায় বিশ্বাস করে ?
৫৩। “যখন আমরা মৃত্যু বরণ করবো এবং ধূলা ও অস্থিতে পরিণত হব, তখন কি [ সত্যিই ] আমাদের পুরষ্কার এবং শাস্তি দেয়া হবে ?
৫৪। [তখন একটি স্বর ] বলেছিলো , ” তুমি কি নীচের দিকে তাকাতে চাও ? ”
৫৫। সে নীচের দিকে তাকালো এবং তাকে [ জাহান্নামের ] আগুনের মধ্যস্থলে দেখতে পেলো ৪০৬৮।
৪০৬৮। বেহেশতবাসীকে তাঁর সঙ্গীর অবস্থা উঁকি মেরে দেখার অনুমতি দেয়া হবে। সঙ্গীর অবস্থান দোযখে দেখে তার উপলব্ধি ঘটবে কি সাংঘাতিক পরিণতির হাত থেকে সে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে। এ সবই আল্লাহ্র অসীম করুণার স্বাক্ষর।
আয়াতঃ 037.053
আমরা যখন মরে যাব এবং মাটি ও হাড়ে পরিণত হব, তখনও কি আমরা প্রতিফল প্রাপ্ত হব?
“‘When we die and become dust and bones, shall we indeed receive rewards and punishments?’”
أَئِذَا مِتْنَا وَكُنَّا تُرَابًا وَعِظَامًا أَئِنَّا لَمَدِينُونَ
A-itha mitna wakunna turaban waAAithaman a-inna lamadeenoona
YUSUFALI: “‘When we die and become dust and bones, shall we indeed receive rewards and punishments?’”
PICKTHAL: Can we, when we are dead and have become mere dust and bones – can we (then) verily be brought to book?
SHAKIR: What! when we are dead and have become dust and bones, shall we then be certainly brought to judgment?
KHALIFA: ” `After we die and turn into dust and bones, do we get called to account?’ ”
৫২। যে প্রায়ই বলতো ,” কি ! তুমি কি তাদেরই একজন যারা [ কিয়ামতের ] সত্যতায় বিশ্বাস করে ?
৫৩। “যখন আমরা মৃত্যু বরণ করবো এবং ধূলা ও অস্থিতে পরিণত হব, তখন কি [ সত্যিই ] আমাদের পুরষ্কার এবং শাস্তি দেয়া হবে ?
৫৪। [তখন একটি স্বর ] বলেছিলো , ” তুমি কি নীচের দিকে তাকাতে চাও ? ”
৫৫। সে নীচের দিকে তাকালো এবং তাকে [ জাহান্নামের ] আগুনের মধ্যস্থলে দেখতে পেলো ৪০৬৮।
৪০৬৮। বেহেশতবাসীকে তাঁর সঙ্গীর অবস্থা উঁকি মেরে দেখার অনুমতি দেয়া হবে। সঙ্গীর অবস্থান দোযখে দেখে তার উপলব্ধি ঘটবে কি সাংঘাতিক পরিণতির হাত থেকে সে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে। এ সবই আল্লাহ্র অসীম করুণার স্বাক্ষর।
আয়াতঃ 037.054
আল্লাহ বলবেন, তোমরা কি তাকে উকি দিয়ে দেখতে চাও?
(A voice) said: “Would ye like to look down?”
قَالَ هَلْ أَنتُم مُّطَّلِعُونَ
Qala hal antum muttaliAAoona
YUSUFALI: (A voice) said: “Would ye like to look down?”
PICKTHAL: He saith: Will ye look?
SHAKIR: He shall say: Will you look on?
KHALIFA: He will say, “Just take a look!”
৫২। যে প্রায়ই বলতো ,” কি ! তুমি কি তাদেরই একজন যারা [ কিয়ামতের ] সত্যতায় বিশ্বাস করে ?
৫৩। “যখন আমরা মৃত্যু বরণ করবো এবং ধূলা ও অস্থিতে পরিণত হব, তখন কি [ সত্যিই ] আমাদের পুরষ্কার এবং শাস্তি দেয়া হবে ?
৫৪। [তখন একটি স্বর ] বলেছিলো , ” তুমি কি নীচের দিকে তাকাতে চাও ? ”
৫৫। সে নীচের দিকে তাকালো এবং তাকে [ জাহান্নামের ] আগুনের মধ্যস্থলে দেখতে পেলো ৪০৬৮।
৪০৬৮। বেহেশতবাসীকে তাঁর সঙ্গীর অবস্থা উঁকি মেরে দেখার অনুমতি দেয়া হবে। সঙ্গীর অবস্থান দোযখে দেখে তার উপলব্ধি ঘটবে কি সাংঘাতিক পরিণতির হাত থেকে সে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে। এ সবই আল্লাহ্র অসীম করুণার স্বাক্ষর।
আয়াতঃ 037.055
অপর সে উকি দিয়ে দেখবে এবং তাকে জাহান্নামের মাঝখানে দেখতে পাবে।
He looked down and saw him in the midst of the Fire.
فَاطَّلَعَ فَرَآهُ فِي سَوَاء الْجَحِيمِ
FaittalaAAa faraahu fee sawa-i aljaheemi
YUSUFALI: He looked down and saw him in the midst of the Fire.
PICKTHAL: Then looketh he and seeth him in the depth of hell.
SHAKIR: Then he looked down and saw him in the midst of hell.
KHALIFA: When he looks, he will see his friend in the heart of Hell.
৫২। যে প্রায়ই বলতো ,” কি ! তুমি কি তাদেরই একজন যারা [ কিয়ামতের ] সত্যতায় বিশ্বাস করে ?
৫৩। “যখন আমরা মৃত্যু বরণ করবো এবং ধূলা ও অস্থিতে পরিণত হব, তখন কি [ সত্যিই ] আমাদের পুরষ্কার এবং শাস্তি দেয়া হবে ?
৫৪। [তখন একটি স্বর ] বলেছিলো , ” তুমি কি নীচের দিকে তাকাতে চাও ? ”
৫৫। সে নীচের দিকে তাকালো এবং তাকে [ জাহান্নামের ] আগুনের মধ্যস্থলে দেখতে পেলো ৪০৬৮।
৪০৬৮। বেহেশতবাসীকে তাঁর সঙ্গীর অবস্থা উঁকি মেরে দেখার অনুমতি দেয়া হবে। সঙ্গীর অবস্থান দোযখে দেখে তার উপলব্ধি ঘটবে কি সাংঘাতিক পরিণতির হাত থেকে সে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে। এ সবই আল্লাহ্র অসীম করুণার স্বাক্ষর।
আয়াতঃ 037.056
সে বলবে, আল্লাহর কসম, তুমি তো আমাকে প্রায় ধ্বংসই করে দিয়েছিলে।
He said: “By Allah. thou wast little short of bringing me to perdition!
قَالَ تَاللَّهِ إِنْ كِدتَّ لَتُرْدِينِ
Qala taAllahi in kidta laturdeeni
YUSUFALI: He said: “By Allah! thou wast little short of bringing me to perdition!
PICKTHAL: He saith: By Allah, thou verily didst all but cause my ruin,
SHAKIR: He shall say: By Allah! you had almost caused me to perish;
KHALIFA: He (will go to him and) say, “By GOD, you almost ruined me.
৫৬। সে বলেছিলো , ” আল্লাহ্র শপথ ! তুমি আমাকে প্রায় ধবংসই করে ফেলেছিলে ,
৫৭। ” আল্লাহ্র অনুগ্রহ না থাকলে ৪০৬৯ , আমি [ জাহান্নামে ] উপস্থিত করা লোকদের দলে পড়ে যেতাম।
৪০৬৯। বেহেশতবাসী কৃতজ্ঞতার সাথে আল্লাহ্ দয়া ও করুণাকে স্মরণ করবে। সে উপলব্ধি করবে যে, আল্লাহ্র রহমত ব্যতীত সে তার দোষত্রুটির উর্দ্ধে উঠতে সক্ষম হতো না। সে নিজেও একজন জাহান্নামীতে পরিণত হতো। সে অনুধাবনে সক্ষম হবে যে, পরলোকের জীবনে প্রত্যেকে প্রত্যেকের কর্মের জন্য দায়বদ্ধ। অন্যের দ্বারা প্ররোচিত হওয়া কোনও শাস্তি থেকে অব্যহতি পাওয়ার শর্ত সে জগতে অচল। তাঁর আল্লাহ্র প্রতি বিশ্বাস তাঁকে সৎপথে পরিচালিত করে যার ফলে সে এই ভয়াবহ বিপদ থেকে রক্ষা পায়।
আয়াতঃ 037.057
আমার পালনকর্তার অনুগ্রহ না হলে আমিও যে গ্রেফতারকৃতদের সাথেই উপস্থিত হতাম।
“Had it not been for the Grace of my Lord, I should certainly have been among those brought (there)!
وَلَوْلَا نِعْمَةُ رَبِّي لَكُنتُ مِنَ الْمُحْضَرِينَ
Walawla niAAmatu rabbee lakuntu mina almuhdareena
YUSUFALI: “Had it not been for the Grace of my Lord, I should certainly have been among those brought (there)!
PICKTHAL: And had it not been for the favour of my Lord, I too had been of those haled forth (to doom).
SHAKIR: And had it not been for the favor of my Lord, I would certainly have been among those brought up.
KHALIFA: “If it were not for my Lord’s blessing, I would have been with you now.
৫৬। সে বলেছিলো , ” আল্লাহ্র শপথ ! তুমি আমাকে প্রায় ধবংসই করে ফেলেছিলে ,
৫৭। ” আল্লাহ্র অনুগ্রহ না থাকলে ৪০৬৯ , আমি [ জাহান্নামে ] উপস্থিত করা লোকদের দলে পড়ে যেতাম।
৪০৬৯। বেহেশতবাসী কৃতজ্ঞতার সাথে আল্লাহ্ দয়া ও করুণাকে স্মরণ করবে। সে উপলব্ধি করবে যে, আল্লাহ্র রহমত ব্যতীত সে তার দোষত্রুটির উর্দ্ধে উঠতে সক্ষম হতো না। সে নিজেও একজন জাহান্নামীতে পরিণত হতো। সে অনুধাবনে সক্ষম হবে যে, পরলোকের জীবনে প্রত্যেকে প্রত্যেকের কর্মের জন্য দায়বদ্ধ। অন্যের দ্বারা প্ররোচিত হওয়া কোনও শাস্তি থেকে অব্যহতি পাওয়ার শর্ত সে জগতে অচল। তাঁর আল্লাহ্র প্রতি বিশ্বাস তাঁকে সৎপথে পরিচালিত করে যার ফলে সে এই ভয়াবহ বিপদ থেকে রক্ষা পায়।
আয়াতঃ 037.058
এখন আমাদের আর মৃত্যু হবে না।
“Is it (the case) that we shall not die,
أَفَمَا نَحْنُ بِمَيِّتِينَ
Afama nahnu bimayyiteena
YUSUFALI: “Is it (the case) that we shall not die,
PICKTHAL: Are we then not to die
SHAKIR: Is it then that we are not going to die,
KHALIFA: “(Do you still believe) that we die,
৫৮।” এটা কি ঠিক আমরা আর মরবো না –
৫৯। “প্রথম মৃত্যুর পরে, এবং আমাদের শাস্তিও দেয়া হবে না ? ” ৪০৭০
৪০৭০। যে ভয়াবহ বিপদ থেকে সে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে এই অনুভব তাঁকে এতটাই আপ্লুত করবে যে সে বিশ্বাস-ই করতে চাইবে না – আনন্দে আত্মহারা পড়বে ; সত্যিই কি সে বিপদমুক্ত ? পুণরায় মৃত্যুর দ্বার কি সত্যিই তার জন্য বন্ধ হয়ে গেছে ? সত্যিই কি সে পাপের প্রলোভন থেকে মুক্ত, শাস্তির ভয় তিরোহিত ?
আয়াতঃ 037.059
আমাদের প্রথম মৃত্যু ছাড়া এবং আমরা শাস্তি প্রাপ্তও হব না।
“Except our first death, and that we shall not be punished?”
إِلَّا مَوْتَتَنَا الْأُولَى وَمَا نَحْنُ بِمُعَذَّبِينَ
Illa mawtatana al-oola wama nahnu bimuAAaththabeena
YUSUFALI: “Except our first death, and that we shall not be punished?”
PICKTHAL: Saving our former death, and are we not to be punished?
SHAKIR: Except our previous death? And we shall not be chastised?
KHALIFA: “only the first death, and we never receive any requital?”
৫৮।” এটা কি ঠিক আমরা আর মরবো না –
৫৯। “প্রথম মৃত্যুর পরে, এবং আমাদের শাস্তিও দেয়া হবে না ? ” ৪০৭০
৪০৭০। যে ভয়াবহ বিপদ থেকে সে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে এই অনুভব তাঁকে এতটাই আপ্লুত করবে যে সে বিশ্বাস-ই করতে চাইবে না – আনন্দে আত্মহারা পড়বে ; সত্যিই কি সে বিপদমুক্ত ? পুণরায় মৃত্যুর দ্বার কি সত্যিই তার জন্য বন্ধ হয়ে গেছে ? সত্যিই কি সে পাপের প্রলোভন থেকে মুক্ত, শাস্তির ভয় তিরোহিত ?
আয়াতঃ 037.060
নিশ্চয় এই মহা সাফল্য।
Verily this is the supreme achievement!
إِنَّ هَذَا لَهُوَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ
Inna hatha lahuwa alfawzu alAAatheemu
YUSUFALI: Verily this is the supreme achievement!
PICKTHAL: Lo! this is the supreme triumph.
SHAKIR: Most surely this is the mighty achievement.
KHALIFA: Such is the greatest triumph.
৬০। অবশ্যই এটা হচ্ছে মহাসাফল্য ৪০৭১।
৪০৭১। এখানে উত্তর দান হয়েছে ; হ্যাঁ। “Beyond the flight of time . Beyond the realm of Death . There surely is some blessed clime .” বাংলা অনুবাদ দাঁড়ায় ” যে জীবন হবে অসীম, মৃত্যুর উর্দ্ধে। নিশ্চয়ই আর্শীবাদ ধন্যরাই সেখানে পৌঁছাতে পারে – যেখানে জীবন শুধুমাত্র একটি ফুৎকার নয়। Longfellow এই লাইনটির মাধ্যমে মৃত্যুপরবর্তী জীবনের যে চিত্র একেছেন তা আমাদের পৃথিবীবাসীদের জন্য আশা ও আকাঙ্খা। পরলোকের বিশ্বাসের মাধ্যমেই এই জীবনে প্রবেশ লাভ ঘটে।
কোন কোন তফ্সীরকার এর মতে আয়াত ৬০-৬২ হচ্ছে ধারাবাহিক বর্ণনা , যা একজন বেহেশতবাসীর উক্তি। সে ক্ষেত্রেও অর্থের কোনও তারতম্য হবে না।
আয়াতঃ 037.061
এমন সাফল্যের জন্যে পরিশ্রমীদের পরিশ্রম করা উচিত।
For the like of this let all strive, who wish to strive.
لِمِثْلِ هَذَا فَلْيَعْمَلْ الْعَامِلُونَ
Limithli hatha falyaAAmali alAAamiloona
YUSUFALI: For the like of this let all strive, who wish to strive.
PICKTHAL: For the like of this, then, let the workers work.
SHAKIR: For the like of this then let the workers work.
KHALIFA: This is what every worker should work for.
৬১। এরূপ [ সাফল্যের ] জন্য যারা সংগ্রাম করতে ইচ্ছা করে , তারা কঠোর চেষ্টা করুক।
৬২। আপ্যায়নের জন্য এটাই কি উত্তম , না যাক্কুম বৃক্ষ ৪০৭২।
৪০৭২। দেখুন [ ১৭ : ৬০ ] ও টিকা ২২৫০। বেহেশতের মনোরম বাগান ও সুস্বাদু ফলের পটভূমিতে দোযখের তিক্ত স্বাদ যুক্ত যাক্কুম বৃক্ষের বর্ণনা করা হয়েছে।
আয়াতঃ 037.062
এই কি উত্তম আপ্যায়ন, না যাক্কুম বৃক্ষ?
Is that the better entertainment or the Tree of Zaqqum?
أَذَلِكَ خَيْرٌ نُّزُلًا أَمْ شَجَرَةُ الزَّقُّومِ
Athalika khayrun nuzulan am shajaratu alzzaqqoomi
YUSUFALI: Is that the better entertainment or the Tree of Zaqqum?
PICKTHAL: Is this better as a welcome, or the tree of Zaqqum?
SHAKIR: Is this better as an entertainment or the tree of Zaqqum?
KHALIFA: Is this a better destiny, or the tree of bitterness?
৬১। এরূপ [ সাফল্যের ] জন্য যারা সংগ্রাম করতে ইচ্ছা করে , তারা কঠোর চেষ্টা করুক।
৬২। আপ্যায়নের জন্য এটাই কি উত্তম , না যাক্কুম বৃক্ষ ৪০৭২।
৪০৭২। দেখুন [ ১৭ : ৬০ ] ও টিকা ২২৫০। বেহেশতের মনোরম বাগান ও সুস্বাদু ফলের পটভূমিতে দোযখের তিক্ত স্বাদ যুক্ত যাক্কুম বৃক্ষের বর্ণনা করা হয়েছে।
আয়াতঃ 037.063
আমি যালেমদের জন্যে একে বিপদ করেছি।
For We have truly made it (as) a trial for the wrong-doers.
إِنَّا جَعَلْنَاهَا فِتْنَةً لِّلظَّالِمِينَ
Inna jaAAalnaha fitnatan lilththalimeena
YUSUFALI: For We have truly made it (as) a trial for the wrong-doers.
PICKTHAL: Lo! We have appointed it a torment for wrong-doers.
SHAKIR: Surely We have made it to be a trial to the unjust.
KHALIFA: We have rendered it a punishment for the transgressors.
৬৩। সত্যই আমি তা তৈরী করেছি পাপীদের পরীক্ষা করার জন্য ৪০৭৩
৪০৭৩। দোযখের তিক্ত বৃক্ষ পাপীদের জন্য সত্যিই এক মহাপরীক্ষা। এই বৃক্ষের বর্ণনা এরূপ : ১) বৃক্ষটি দোযখের সর্বনিম্ন স্তরে উৎপন্ন হয়, ২) যে কোন বৃক্ষের বৃন্ত এবং ফল হয় নরম, কিন্তু এই বৃক্ষের ফল ও বৃন্ত সবই হবে শয়তানের মাথার মত। ৩) পাপীরা এই গাছের ফল গোগ্রাসে ভক্ষণ করবে; ৪) তদুপরি তাদের ফুটন্ত পানির মিশ্রণ পান করতে হবে যা তাদের অন্ত্র গলিয়ে দেবে [ দেখুন পরবর্তী টিকা ] ; ৫) পাপীরা এই প্রক্রিয়া শেষ করা মাত্র বারে বারে তা একই ভাবে পুণরাবৃত্তি করবে। এর কোনও শেষ থাকবে না। কি ভয়ানক বীভৎস দৃশ্য। এই পৃথিবীতে পাপীদের বাস্তব রূপকে দোযখের বর্ণনার প্রতীকের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে। ১) সর্বাপেক্ষা দূর্নীতিপরায়ণ ব্যক্তির আত্মার যে অপবিত্রতা সে স্থানই হচ্ছে দোযখের সর্বনিম্ন স্থানের ন্যায় ; যেখান থেকে এই বৃক্ষটি জন্ম লাভ করে। অর্থাৎ দুষিত বিকৃত আধ্যাত্মিক অবস্থাই সর্বাপেক্ষা নিকৃষ্ট ফল উৎপন্ন করে সমাজে। ২) এ সব আত্মায় সুকুমার বৃত্তি, দয়া, মায়া, ভালোবাসা অন্তর্হিত হয় ; ৩) পাপীর পাপের ক্ষুধা সীমাহীন , ক্রমাগত বাড়তে থাকে; ৪) পাপীদের পাপকার্য স্বল্পকালীন সময়ের জন্য নিবৃত্ত থাকতে পারে ; কিন্তু আবার তার পুণরাবৃত্তি ঘটবে ; ৫) পাপের ধারাবাহিকতা অসীম ,একটি পাপ আর একটি পাপকে আকর্ষণ করে – ধাপে ধাপে তা ক্রমাগত অগ্রসর হতে থাকে।
আয়াতঃ 037.064
এটি একটি বৃক্ষ, যা উদগত হয় জাহান্নামের মূলে।
For it is a tree that springs out of the bottom of Hell-Fire:
إِنَّهَا شَجَرَةٌ تَخْرُجُ فِي أَصْلِ الْجَحِيمِ
Innaha shajaratun takhruju fee asli aljaheemi
YUSUFALI: For it is a tree that springs out of the bottom of Hell-Fire:
PICKTHAL: Lo! it is a tree that springeth in the heart of hell.
SHAKIR: Surely it is a tree that-grows in the bottom of the hell;
KHALIFA: It is a tree that grows in the heart of Hell.
৬৪। এটা এমন এক বৃক্ষ যা জাহান্নামের আগুনের তলদেশ থেকে উৎপন্ন হয়।
৬৫। যার নূতন উদ্গত ফলের বৃন্ত [ মোচা ] যেনো শয়তানের মাথা।
৬৬। সেটাই তারা খাবে এবং তার দ্বারা তাদের উদর পূর্ণ করবে ৪০৭৪।
৪০৭৪। বেহেশতের বর্ণনায় বাগান ফল ও পানীয় হচ্ছে সুখ -স্বাচ্ছন্দ সৌভাগ্যের প্রতীক যার বিপরীতে দোযখের ভয়াবহত বর্ণনা করা হয়েছে। তা বিশদ ভাবে বর্ণনা করা হয়েছে [ ৪৭ : ১৫ ] আয়াতে -যেখানে বলা হয়েছে ফুটন্ত পানি পাপীদের অন্ত্রকে গলিয়ে দেবে।
আয়াতঃ 037.065
এর গুচ্ছ শয়তানের মস্তকের মত।
The shoots of its fruit-stalks are like the heads of devils:
طَلْعُهَا كَأَنَّهُ رُؤُوسُ الشَّيَاطِينِ
TalAAuha kaannahu ruoosu alshshayateeni
YUSUFALI: The shoots of its fruit-stalks are like the heads of devils:
PICKTHAL: Its crop is as it were the heads of devils
SHAKIR: Its produce is as it were the heads of the serpents.
KHALIFA: Its flowers look like the devils’ heads.
৬৪। এটা এমন এক বৃক্ষ যা জাহান্নামের আগুনের তলদেশ থেকে উৎপন্ন হয়।
৬৫। যার নূতন উদ্গত ফলের বৃন্ত [ মোচা ] যেনো শয়তানের মাথা।
৬৬। সেটাই তারা খাবে এবং তার দ্বারা তাদের উদর পূর্ণ করবে ৪০৭৪।
৪০৭৪। বেহেশতের বর্ণনায় বাগান ফল ও পানীয় হচ্ছে সুখ -স্বাচ্ছন্দ সৌভাগ্যের প্রতীক যার বিপরীতে দোযখের ভয়াবহত বর্ণনা করা হয়েছে। তা বিশদ ভাবে বর্ণনা করা হয়েছে [ ৪৭ : ১৫ ] আয়াতে -যেখানে বলা হয়েছে ফুটন্ত পানি পাপীদের অন্ত্রকে গলিয়ে দেবে।
আয়াতঃ 037.066
কাফেররা একে ভক্ষণ করবে এবং এর দ্বারা উদর পূর্ণ করবে।
Truly they will eat thereof and fill their bellies therewith.
فَإِنَّهُمْ لَآكِلُونَ مِنْهَا فَمَالِؤُونَ مِنْهَا الْبُطُونَ
Fa-innahum laakiloona minha famali-oona minha albutoona
YUSUFALI: Truly they will eat thereof and fill their bellies therewith.
PICKTHAL: And lo! they verily must eat thereof, and fill (their) bellies therewith.
SHAKIR: Then most surely they shall eat of it and fill (their) bellies with it.
KHALIFA: They will eat from it until their bellies are filled up.
৬৪। এটা এমন এক বৃক্ষ যা জাহান্নামের আগুনের তলদেশ থেকে উৎপন্ন হয়।
৬৫। যার নূতন উদ্গত ফলের বৃন্ত [ মোচা ] যেনো শয়তানের মাথা।
৬৬। সেটাই তারা খাবে এবং তার দ্বারা তাদের উদর পূর্ণ করবে ৪০৭৪।
৪০৭৪। বেহেশতের বর্ণনায় বাগান ফল ও পানীয় হচ্ছে সুখ -স্বাচ্ছন্দ সৌভাগ্যের প্রতীক যার বিপরীতে দোযখের ভয়াবহত বর্ণনা করা হয়েছে। তা বিশদ ভাবে বর্ণনা করা হয়েছে [ ৪৭ : ১৫ ] আয়াতে -যেখানে বলা হয়েছে ফুটন্ত পানি পাপীদের অন্ত্রকে গলিয়ে দেবে।
আয়াতঃ 037.067
তদুপরি তাদেরকে দেয়া হবে। ফুটন্ত পানির মিশ্রণ,
Then on top of that they will be given a mixture made of boiling water.
ثُمَّ إِنَّ لَهُمْ عَلَيْهَا لَشَوْبًا مِّنْ حَمِيمٍ
Thumma inna lahum AAalayha lashawban min hameemin
YUSUFALI: Then on top of that they will be given a mixture made of boiling water.
PICKTHAL: And afterward, lo! thereupon they have a drink of boiling water
SHAKIR: Then most surely they shall have after it to drink of a mixture prepared in boiling water.
KHALIFA: Then they will top it with a hellish drink.
৬৭। উপরন্তু তাদেরকে ফুটন্ত পানির মিশ্রণ দেয়া হবে।
৬৮। অতঃপর তাদের প্রত্যাবর্তন ঘটবে [ জ্বলন্ত ] অগ্নিকুন্ডে ৪০৭৫।
৪০৭৫। যখন তারা জাহান্নামের সর্বনিম্ন স্তর থেকে ‘জাক্কুম ‘ ভক্ষণ করবে তাদের নিয়ে আসা হবে ফুটন্ত পানীয় পান করার জন্য; শাস্তিকে আরও তীব্র করার জন্য। এর পরে তাদের জন্য আবার শাস্তিকে পুণঃরাবৃত্ত করা হবে। ‘জাক্কুম ‘ ভক্ষণ ও ফুটন্ত পানীয় পান এ চক্রাকারে চলতেই থাকবে। পাপীরা ইচ্ছা করলেই ভক্ষণ ও পান থেকে বিরত থাকতে পারবে না। শাস্তির যন্ত্রণা তাদের চক্রাকারে অবিরল চলতেই থাকবে। মনে রাখতে হবে পরলোকে কোন ধবংস নাই। পাপীদের গলিত অন্ত্র ও ছিড়ে যাওয়া যন্ত্রণাক্লিষ্ট শরীর শাস্তির পুণরাবৃত্তির পূর্বে আবার পূর্বরূপ ধারণ করবে যেনো যন্ত্রণার তীব্রতা পুরোপুরি সে ভোগ করতে পারে। অনন্তকাল ব্যপী এ যন্ত্রণা চলবে।
আয়াতঃ 037.068
অতঃপর তাদের প্রত্যাবর্তন হবে জাহান্নামের দিকে।
Then shall their return be to the (Blazing) Fire.
ثُمَّ إِنَّ مَرْجِعَهُمْ لَإِلَى الْجَحِيمِ
Thumma inna marjiAAahum la-ila aljaheemi
YUSUFALI: Then shall their return be to the (Blazing) Fire.
PICKTHAL: And afterward, lo! their return is surely unto hell.
SHAKIR: Then most surely their return shall be to hell.
KHALIFA: Then they will return to Hell.
৬৭। উপরন্তু তাদেরকে ফুটন্ত পানির মিশ্রণ দেয়া হবে।
৬৮। অতঃপর তাদের প্রত্যাবর্তন ঘটবে [ জ্বলন্ত ] অগ্নিকুন্ডে ৪০৭৫।
৪০৭৫। যখন তারা জাহান্নামের সর্বনিম্ন স্তর থেকে ‘জাক্কুম ‘ ভক্ষণ করবে তাদের নিয়ে আসা হবে ফুটন্ত পানীয় পান করার জন্য; শাস্তিকে আরও তীব্র করার জন্য। এর পরে তাদের জন্য আবার শাস্তিকে পুণঃরাবৃত্ত করা হবে। ‘জাক্কুম ‘ ভক্ষণ ও ফুটন্ত পানীয় পান এ চক্রাকারে চলতেই থাকবে। পাপীরা ইচ্ছা করলেই ভক্ষণ ও পান থেকে বিরত থাকতে পারবে না। শাস্তির যন্ত্রণা তাদের চক্রাকারে অবিরল চলতেই থাকবে। মনে রাখতে হবে পরলোকে কোন ধবংস নাই। পাপীদের গলিত অন্ত্র ও ছিড়ে যাওয়া যন্ত্রণাক্লিষ্ট শরীর শাস্তির পুণরাবৃত্তির পূর্বে আবার পূর্বরূপ ধারণ করবে যেনো যন্ত্রণার তীব্রতা পুরোপুরি সে ভোগ করতে পারে। অনন্তকাল ব্যপী এ যন্ত্রণা চলবে।
আয়াতঃ 037.069
তারা তাদের পূর্বপুরুষদেরকে পেয়েছিল বিপথগামী।
Truly they found their fathers on the wrong Path;
إِنَّهُمْ أَلْفَوْا آبَاءهُمْ ضَالِّينَ
Innahum alfaw abaahum dalleena
YUSUFALI: Truly they found their fathers on the wrong Path;
PICKTHAL: They indeed found their fathers astray,
SHAKIR: Surely they found their fathers going astray,
KHALIFA: They found their parents astray.
৬৯। নিশ্চয়ই তারা তাদের পিতৃপুরুষদের ভ্রান্ত পথে পেয়েছিলো ,
৭০। সুতারাং তারাও তাদের পদচিহ্ন অনুসরণে ধাবিত হয়েছিলো ৪০৭৬।
৪০৭৬। পাপীদের এখানে ভর্ৎসনা করা হয়েছে। “তোমরা তোমাদের পিতৃপুরুষদের পাপের পথে বিচরণ করতে দেখেছো এবং চিন্তা ভাবনা না করে তাদেরই পদাঙ্ক অনুসরণ করেছ।”
আয়াতঃ 037.070
অতঃপর তারা তদের পদাংক অনুসরণে তৎপর ছিল।
So they (too) were rushed down on their footsteps!
فَهُمْ عَلَى آثَارِهِمْ يُهْرَعُونَ
Fahum AAala atharihim yuhraAAoona
YUSUFALI: So they (too) were rushed down on their footsteps!
PICKTHAL: But they make haste (to follow) in their footsteps.
SHAKIR: So in their footsteps they are being hastened on.
KHALIFA: And they blindly followed in their footsteps.
৬৯। নিশ্চয়ই তারা তাদের পিতৃপুরুষদের ভ্রান্ত পথে পেয়েছিলো ,
৭০। সুতারাং তারাও তাদের পদচিহ্ন অনুসরণে ধাবিত হয়েছিলো ৪০৭৬।
৪০৭৬। পাপীদের এখানে ভর্ৎসনা করা হয়েছে। “তোমরা তোমাদের পিতৃপুরুষদের পাপের পথে বিচরণ করতে দেখেছো এবং চিন্তা ভাবনা না করে তাদেরই পদাঙ্ক অনুসরণ করেছ।”
আয়াতঃ 037.071
তাদের পূর্বেও অগ্রবর্তীদের অধিকাংশ বিপথগামী হয়েছিল।
And truly before them, many of the ancients went astray;-
وَلَقَدْ ضَلَّ قَبْلَهُمْ أَكْثَرُ الْأَوَّلِينَ
Walaqad dalla qablahum aktharu al-awwaleena
YUSUFALI: And truly before them, many of the ancients went astray;-
PICKTHAL: And verily most of the men of old went astray before them,
SHAKIR: And certainly most of the ancients went astray before them,
KHALIFA: Most of the previous generations have strayed in the same manner.
৭১। এবং প্রকৃতপক্ষে ওদের পূর্বেও প্রাচীনদের অধিকাংশ বিপথগামী হয়েছিলো ; –
৭২। কিন্তু পূর্বেও আমি তাদের মধ্যে [ রাসুল ] প্রেরণ করেছিলাম , তাদের সর্তক করার জন্য ; – ৪০৭৭
৪০৭৭। মানুষের স্বাভাবিক প্রবণতা হচ্ছে ভুল করা। মহান আল্লাহ্ মানুষের ভুল-ভ্রান্তি , দোষ-ত্রুটি ক্ষমা করে দেন, যদি পাপী ব্যক্তি অনুতাপের মাধ্যমে আত্মসংশোধন করে থাকে। এই আয়াতে মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে যে, যুগে যুগে আল্লাহ্ মানুষের কল্যাণের জন্য নবী রসুলদের প্রেরণ করেছে মানুষকে সর্তক করে দেবার জন্য। তারা মানুষকে আল্লাহ্র বাণী পৌঁছে দিয়েছেন, সর্তক করেছেন , শিক্ষা দিয়েছেন ন্যায়-অন্যায় , সত্য-মিথ্যা , ভালো -মন্দের মধ্যে পার্থক্য। কিন্তু মানুষ ইচ্ছাকৃত ভাবে তা প্রত্যাখান করেছে।
আয়াতঃ 037.072
আমি তাদের মধ্যে ভীতি প্রদর্শনকারী প্রেরণ করেছিলাম।
But We sent aforetime, among them, (apostles) to admonish them;-
وَلَقَدْ أَرْسَلْنَا فِيهِم مُّنذِرِينَ
Walaqad arsalna feehim munthireena
YUSUFALI: But We sent aforetime, among them, (messengers) to admonish them;-
PICKTHAL: And verily We sent among them warners.
SHAKIR: And certainly We sent among them warners.
KHALIFA: We have sent to them warners.
৭১। এবং প্রকৃতপক্ষে ওদের পূর্বেও প্রাচীনদের অধিকাংশ বিপথগামী হয়েছিলো ; –
৭২। কিন্তু পূর্বেও আমি তাদের মধ্যে [ রাসুল ] প্রেরণ করেছিলাম , তাদের সর্তক করার জন্য ; – ৪০৭৭
৪০৭৭। মানুষের স্বাভাবিক প্রবণতা হচ্ছে ভুল করা। মহান আল্লাহ্ মানুষের ভুল-ভ্রান্তি , দোষ-ত্রুটি ক্ষমা করে দেন, যদি পাপী ব্যক্তি অনুতাপের মাধ্যমে আত্মসংশোধন করে থাকে। এই আয়াতে মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে যে, যুগে যুগে আল্লাহ্ মানুষের কল্যাণের জন্য নবী রসুলদের প্রেরণ করেছে মানুষকে সর্তক করে দেবার জন্য। তারা মানুষকে আল্লাহ্র বাণী পৌঁছে দিয়েছেন, সর্তক করেছেন , শিক্ষা দিয়েছেন ন্যায়-অন্যায় , সত্য-মিথ্যা , ভালো -মন্দের মধ্যে পার্থক্য। কিন্তু মানুষ ইচ্ছাকৃত ভাবে তা প্রত্যাখান করেছে।
আয়াতঃ 037.073
অতএব লক্ষ্য করুন, যাদেরকে ভীতিপ্রদর্শণ করা হয়েছিল, তাদের পরিণতি কি হয়েছে।
Then see what was the end of those who were admonished (but heeded not),-
فَانظُرْ كَيْفَ كَانَ عَاقِبَةُ الْمُنذَرِينَ
Faonthur kayfa kana AAaqibatu almunthareena
YUSUFALI: Then see what was the end of those who were admonished (but heeded not),-
PICKTHAL: Then see the nature of the consequence for those warned,
SHAKIR: Then see how was the end of those warned,
KHALIFA: Note the consequences for those who have been warned.
৭৩। এখন দেখো, যাদের সর্তক করা সত্বেও [ মনোযোগ দেয় না] তাদের কি পরিণতি হয় ৪০৭৮ –
৪০৭৮। পৃথিবীতে সৎ ও ন্যায়বান জীবন যাপন করা ও এক আল্লাহতে সর্ব নির্ভরতা স্থাপন করার মধ্যেই সকল সুখ ও শান্তি নিহিত। আল্লাহ্র প্রত্যাদেশ গ্রহণ এবং আল্লাহ্র প্রদর্শিত পথে জীবন ধারণই হবে শেষ বিচারের দিনের জবাবদিহিতা। তবে পরলোকের বিচারের পূর্বেই এই পৃথিবীতেই তার নমুনা অবলোকন করা যায়। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় যে, অন্যায়কারী ও পাপী , তা সে ব্যক্তিই হোক বা জাতিই হোক, তাদের শেষ পরিণতি কখনও সুখের হয় না , এমনকি এই পৃথিবীতেই। জীবনের হিসাব হয় জীবনের শেষ যোগফলে জীবনের পরিণতিতে। অন্যায়কারী ও পাপীরা শেষ পরিণতিতে কখনও সাফল্য লাভ করে না। ইতিহাস থেকে এই শিক্ষাই নিতে বলা হয়েছে। “তাদের কি পরিণতি হয়। “
আয়াতঃ 037.074
তবে আল্লাহর বাছাই করা বান্দাদের কথা ভিন্ন।
Except the sincere (and devoted) Servants of Allah.
إِلَّا عِبَادَ اللَّهِ الْمُخْلَصِينَ
Illa AAibada Allahi almukhlaseena
YUSUFALI: Except the sincere (and devoted) Servants of Allah.
PICKTHAL: Save single-minded slaves of Allah.
SHAKIR: Except the servants of Allah, the purified ones.
KHALIFA: Only GOD’s servants who are absolutely devoted to Him alone (are saved).
৭৪। তবে, আল্লাহ্র একনিষ্ঠ , [ অনুগত ] বান্দাদের কথা স্বতন্ত্র ৪০৭৯।
৪০৭৯। পৃথিবী যখন ঘোর পাপের মাঝে নিমজ্জিত হয়, তখনও একদল লোক থাকে যারা প্রকৃত আল্লাহ্র বান্দা। তারা বিশ্বাসে আন্তরিক ও বিশ্বস্ত, যারা আল্লাহ্র রাস্তায় , আল্লাহ্র সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করে। “তাদের কথা স্বতন্ত্র।” তাদের জন্য উন্নততর জীবন অপেক্ষামান।
লক্ষ্য করুণ আয়াত [ ৩৭ : ৪০ ] এ এই লাইনটির পুণরাবৃত্তি করা হয়েছে ; যেখানে পূণ্যাত্মা ও পাপীর শেষ পরিণতির মধ্যে তুলনা করতে যেয়ে উপরের আয়াতটি বলা হয়েছে। এখানে এই আয়াতটির মাধ্যমে বক্তব্যের ইতি টানা হয়েছে যেখানে ইতিহাস থেকে ও পূর্বের নবী রসুলদের জীবনী থেকে উদাহরণ উত্থাপিত করা হয়েছে।
আয়াতঃ 037.075
আর নূহ আমাকে ডেকেছিল। আর কি চমৎকারভাবে আমি তার ডাকে সাড়া দিয়েছিলাম।
(In the days of old), Noah cried to Us, and We are the best to hear prayer.
وَلَقَدْ نَادَانَا نُوحٌ فَلَنِعْمَ الْمُجِيبُونَ
Walaqad nadana noohun falaniAAma almujeeboona
YUSUFALI: (In the days of old), Noah cried to Us, and We are the best to hear prayer.
PICKTHAL: And Noah verily prayed unto Us, and gracious was the Hearer of his prayer
SHAKIR: And Nuh did certainly call upon Us, and most excellent answerer of prayer are We.
KHALIFA: Thus, Noah called upon us, and we were the best responders.
রুকু – ৩
৭৫। [ প্রাচীন কালে ] নূহ্ আমাকে আহ্বান করেছিলো ৪০৮০। এবং প্রার্থনা শোনার জন্য আমিই সর্বোত্তম।
৪০৮০। দেখুন আয়াত [ ৭৬ – ৭৭ ]। নূহ্ নবীর কাহিনী কোরাণের বহু স্থানে বিবৃত করা হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে কাহিনীকে উপস্থাপন করা হয়েছে বিভিন্ন প্রেক্ষাপট শিক্ষাদানের জন্য। এখানের প্রেক্ষাপট হচ্ছে , ন্যায় ও সৎ পথের যারা সন্ধানী , আল্লাহ্ তাদের সকল পাপ থেকে রক্ষা করতে প্রয়াস পান। আল্লাহ্ তাদের রক্ষাকর্তা – পাপ কখনও ন্যায় ও সত্যকে পরাভূত করতে পারবে না। আল্লাহ্র পরিকল্পনা কখনও ব্যর্থ হবার নয়। নূহ্ নবীর কাহিনীর উল্লেখের মাধ্যমে এই সত্যকেই প্রকাশ করা হয়েছে।
আয়াতঃ 037.076
আমি তাকে ও তার পরিবারবর্গকে এক মহাসংকট থেকে রক্ষা করেছিলাম।
And We delivered him and his people from the Great Calamity,
وَنَجَّيْنَاهُ وَأَهْلَهُ مِنَ الْكَرْبِ الْعَظِيمِ
Wanajjaynahu waahlahu mina alkarbi alAAatheemi
YUSUFALI: And We delivered him and his people from the Great Calamity,
PICKTHAL: And We saved him and his household from the great distress,
SHAKIR: And We delivered him and his followers from the mighty distress.
KHALIFA: We saved him and his family from the great disaster.
৭৬। এবং আমি তাকে এবং তার লোকজনদের মহা বিপর্যয় থেকে উদ্ধার করেছিলাম ৪০৮১।
৪০৮১। এই আয়াত নূহ্ নবীর মহাপ্লাবন সম্বন্ধে ইঙ্গিত করা হয়েছে মহা বিপর্যয় দ্বারা। মূল কাহিনী আছে আয়াত [ ১১ : ২৫ – ২৮ ]।
আয়াতঃ 037.077
এবং তার বংশধরদেরকেই আমি অবশিষ্ট রেখেছিলাম।
And made his progeny to endure (on this earth);
وَجَعَلْنَا ذُرِّيَّتَهُ هُمْ الْبَاقِينَ
WajaAAalna thurriyyatahu humu albaqeena
YUSUFALI: And made his progeny to endure (on this earth);
PICKTHAL: And made his seed the survivors,
SHAKIR: And We made his offspring the survivors.
KHALIFA: We made his companions the survivors.
৭৭। এবং তার বংশধরদের [ পৃথিবীতে ] স্থায়ী করেছিলাম ৪০৮২।
৪০৮২। একমাত্র নূহ্ নবীর বংশধরেরাই এই মহাপ্লাবন থেকে রক্ষা পায়, বাকী সকলেই ধ্বংস হয়ে যায়।
আয়াতঃ 037.078
আমি তার জন্যে পরবর্তীদের মধ্যে এ বিষয় রেখে দিয়েছি যে,
And We left (this blessing) for him among generations to come in later times:
وَتَرَكْنَا عَلَيْهِ فِي الْآخِرِينَ
Watarakna AAalayhi fee al-akhireena
YUSUFALI: And We left (this blessing) for him among generations to come in later times:
PICKTHAL: And left for him among the later folk (the salutation):
SHAKIR: And We perpetuated to him (praise) among the later generations.
KHALIFA: And we preserved his history for subsequent generations.
৭৮। আমি তার জন্য পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে এই [ শুভেচ্ছা ] রেখে দেই [ যে ] , -৪০৮৩
৪০৮৩। যতদিন পৃথিবীতে মানুষ থাকবে – ততদিন তারা নূহ্ নবীর নাম স্মরণ করবে। ধর্মীয় ইতিহাসের প্রথমে তাঁর নাম , শেষ পর্যন্তও তিনি স্মরণে থাকবেন – এই-ই আল্লাহ্র বিধান।
লক্ষ্যণীয় বিষয় হচ্ছে আয়াত [ ৭৮ – ৮১ ] আয়াত সমূহ [ সামান্য পরিবর্তনসহ ] সঙ্গীতের ধূয়ার মত বারে বারে বিভিন্ন সূরাতে পুণরাবৃত্তি করা হয়েছে হযরত ইব্রাহীমের জন্য, মুসার জন্য, ইলিয়াসের জন্য। কিন্তু লূত ও হযরত ইউনুসের জন্য তা করা হয় নাই। লূত ছিলেন ইব্রাহীমের ভ্রাতুষ্পুত্র এবং তাঁর উল্লেখ হযরত ইব্রাহীমের কাহিনীর সাথেই করা হয়েছে। ইউনুস নবীর নবুয়তের ধারা লোকেরা পায় যখন তারা ধ্বংসের পথে গিয়েছিলো , কিন্তু শেষ পর্যন্ত লোকেরা তাঁর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে [ ৩৭ : ৪৮ ]। লূত যখন তারা এবং ইউনুস নবী উভয়েই আঞ্চলিক স্থানে কাজ করেন যা খুবই সীমিত।
আয়াতঃ 037.079
বিশ্ববাসীর মধ্যে নূহের প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক।
“Peace and salutation to Noah among the nations!”
سَلَامٌ عَلَى نُوحٍ فِي الْعَالَمِينَ
Salamun AAala noohin fee alAAalameena
YUSUFALI: “Peace and salutation to Noah among the nations!”
PICKTHAL: Peace be unto Noah among the peoples!
SHAKIR: Peace and salutation to Nuh among the nations.
KHALIFA: Peace be upon Noah among the peoples.
৭৯। ” সকল জাতির মাঝে নূহের জন্য শান্তি ও সম্ভাষণ ” ৪০৮৪।
৪০৮৪। প্লাবনের কাহিনী কোনও না কোনওভাবে বিভিন্ন জাতির মধ্যে দেখা যায়। এই কাহিনী যে শুধুমাত্র মুসার ধর্মগ্রন্থে বিদ্যমান তা নয়, মুসার ধর্মের অনুসারী ব্যতীত অন্যান্য ধর্মের অনুসারীরাও প্লাবনের কাহিনী প্রচার করে থাকে – কোন না কোন ভাবে। যেমন গ্রীক জাতি ঐতিহ্যগত ভাবে যে প্লাবনের কাহিনী বর্ণনা করে থাকে তার নায়ক হচ্ছে Deukalion এবং তার স্ত্রী হচ্ছেন Pyrrha। ভারতীয় পৌরাণিক কাহিনীতে [ সপ্তপথ ব্রাহ্মণ এবং মহাভারত ] মহাজ্ঞানী মনু ও মাছের উল্লেখ আছে। চীনা পৌরাণিক কাহিনীতে মহাপ্লাবনের কাহিনী আছে Shu-king এ। আমেরিকান ইন্ডিয়ানদের অনেক গোত্রের মাঝেই প্লাবনের কাহিনী খুবই সাধারণ ঘটনা।
এভাবেই সমগ্র বিশ্ব কোনও না কোনও ভাবে মহাপ্লাবনের ঘটনা স্মরণ করে থাকে।
আয়াতঃ 037.080
আমি এভাবেই সৎকর্ম পরায়নদেরকে পুরস্কৃত করে থাকি।
Thus indeed do we reward those who do right.
إِنَّا كَذَلِكَ نَجْزِي الْمُحْسِنِينَ
Inna kathalika najzee almuhsineena
YUSUFALI: Thus indeed do we reward those who do right.
PICKTHAL: Lo! thus do We reward the good.
SHAKIR: Thus do We surely reward the doers of good.
KHALIFA: We thus reward the righteous.
৮০। এ ভাবেই আমি পূণ্যবানদের পুরষ্কৃত করে থাকি।
৮১। নিশ্চয়ই সে ছিলো মোমেন বান্দাদের অন্তর্গত।
৮২। অন্য সকলকে আমি বন্যাতে নিমজ্জিত করেছিলাম।
৮৩। যারা তাঁকে অনুসরণ করেছিলো , ইব্রাহীম ছিলো তাদের অন্তর্গত ৪০৮৫।
৪০৮৫। ” ইব্রাহীম ছিলো তাদের অন্তর্গত।” এখানে “তাঁকে” সর্বনাম দ্বারা হযরত নূহকে বোঝানো হয়েছে ; কারণ আয়াত ৮১ তে বলা হয়েছে ” সে ছিলো মুমিন বান্দাদিগের অন্যতম।” এই “সে ” সর্বনামটি হযরত নূহ্ এর পরিবর্তে ব্যবহৃত ।
হযরত ইব্রাহীমের কাহিনী বর্ণনা করা হয়েছে সূরা [ ২১ : ৫১-৭৩ ] আয়াতে। কিন্তু হযরত ইব্রাহীমের এবং তাঁর পুত্রের আল্লাহ্র ইচ্ছার কাছে সর্বান্তকরণে আত্মসমর্পনের অধ্যায়কে বর্ণনা করা হয়েছে এই আয়াতের মাধ্যমে। আয়াত নং [ ১০২ -১০৭ ] এ, বর্ণনা করা হয়েছে পিতার কর্ম সম্পাদনের আন্তরিকতা ও পুত্রের সর্বোচ্চ আত্মসমর্পনের চমৎকার কাহিনী যা ছিলো তাদের জন্য এক মহা পরীক্ষা। এই সূরার মূল বিষয়বস্তু-ই হচ্ছে ” আল্লাহ্র ইচ্ছার কাছে আত্মসমর্পন।
আয়াতঃ 037.081
সে ছিল আমার ঈমানদার বান্দাদের অন্যতম।
For he was one of our believing Servants.
إِنَّهُ مِنْ عِبَادِنَا الْمُؤْمِنِينَ
Innahu min AAibadina almu/mineena
YUSUFALI: For he was one of our believing Servants.
PICKTHAL: Lo! he is one of Our believing slaves.
SHAKIR: Surely he was of Our believing servants.
KHALIFA: He is one of our believing servants.
৮০। এ ভাবেই আমি পূণ্যবানদের পুরষ্কৃত করে থাকি।
৮১। নিশ্চয়ই সে ছিলো মোমেন বান্দাদের অন্তর্গত।
৮২। অন্য সকলকে আমি বন্যাতে নিমজ্জিত করেছিলাম।
৮৩। যারা তাঁকে অনুসরণ করেছিলো , ইব্রাহীম ছিলো তাদের অন্তর্গত ৪০৮৫।
৪০৮৫। ” ইব্রাহীম ছিলো তাদের অন্তর্গত।” এখানে “তাঁকে” সর্বনাম দ্বারা হযরত নূহকে বোঝানো হয়েছে ; কারণ আয়াত ৮১ তে বলা হয়েছে ” সে ছিলো মুমিন বান্দাদিগের অন্যতম।” এই “সে ” সর্বনামটি হযরত নূহ্ এর পরিবর্তে ব্যবহৃত ।
হযরত ইব্রাহীমের কাহিনী বর্ণনা করা হয়েছে সূরা [ ২১ : ৫১-৭৩ ] আয়াতে। কিন্তু হযরত ইব্রাহীমের এবং তাঁর পুত্রের আল্লাহ্র ইচ্ছার কাছে সর্বান্তকরণে আত্মসমর্পনের অধ্যায়কে বর্ণনা করা হয়েছে এই আয়াতের মাধ্যমে। আয়াত নং [ ১০২ -১০৭ ] এ, বর্ণনা করা হয়েছে পিতার কর্ম সম্পাদনের আন্তরিকতা ও পুত্রের সর্বোচ্চ আত্মসমর্পনের চমৎকার কাহিনী যা ছিলো তাদের জন্য এক মহা পরীক্ষা। এই সূরার মূল বিষয়বস্তু-ই হচ্ছে ” আল্লাহ্র ইচ্ছার কাছে আত্মসমর্পন।
আয়াতঃ 037.082
অতঃপর আমি অপরাপর সবাইকে নিমজ্জত করেছিলাম।
Then the rest we overwhelmed in the Flood.
ثُمَّ أَغْرَقْنَا الْآخَرِينَ
Thumma aghraqna al-akhareena
YUSUFALI: Then the rest we overwhelmed in the Flood.
PICKTHAL: Then We did drown the others.
SHAKIR: Then We drowned the others
KHALIFA: We drowned all the others.
৮০। এ ভাবেই আমি পূণ্যবানদের পুরষ্কৃত করে থাকি।
৮১। নিশ্চয়ই সে ছিলো মোমেন বান্দাদের অন্তর্গত।
৮২। অন্য সকলকে আমি বন্যাতে নিমজ্জিত করেছিলাম।
৮৩। যারা তাঁকে অনুসরণ করেছিলো , ইব্রাহীম ছিলো তাদের অন্তর্গত ৪০৮৫।
৪০৮৫। ” ইব্রাহীম ছিলো তাদের অন্তর্গত।” এখানে “তাঁকে” সর্বনাম দ্বারা হযরত নূহকে বোঝানো হয়েছে ; কারণ আয়াত ৮১ তে বলা হয়েছে ” সে ছিলো মুমিন বান্দাদিগের অন্যতম।” এই “সে ” সর্বনামটি হযরত নূহ্ এর পরিবর্তে ব্যবহৃত ।
হযরত ইব্রাহীমের কাহিনী বর্ণনা করা হয়েছে সূরা [ ২১ : ৫১-৭৩ ] আয়াতে। কিন্তু হযরত ইব্রাহীমের এবং তাঁর পুত্রের আল্লাহ্র ইচ্ছার কাছে সর্বান্তকরণে আত্মসমর্পনের অধ্যায়কে বর্ণনা করা হয়েছে এই আয়াতের মাধ্যমে। আয়াত নং [ ১০২ -১০৭ ] এ, বর্ণনা করা হয়েছে পিতার কর্ম সম্পাদনের আন্তরিকতা ও পুত্রের সর্বোচ্চ আত্মসমর্পনের চমৎকার কাহিনী যা ছিলো তাদের জন্য এক মহা পরীক্ষা। এই সূরার মূল বিষয়বস্তু-ই হচ্ছে ” আল্লাহ্র ইচ্ছার কাছে আত্মসমর্পন।
আয়াতঃ 037.083
আর নূহ পন্থীদেরই একজন ছিল ইব্রাহীম।
Verily among those who followed his Way was Abraham.
وَإِنَّ مِن شِيعَتِهِ لَإِبْرَاهِيمَ
Wa-inna min sheeAAatihi la-ibraheema
YUSUFALI: Verily among those who followed his Way was Abraham.
PICKTHAL: And lo! of his persuasion verily was Abraham
SHAKIR: And most surely Ibrahim followed his way.
KHALIFA: Among his followers was Abraham.
৮০। এ ভাবেই আমি পূণ্যবানদের পুরষ্কৃত করে থাকি।
৮১। নিশ্চয়ই সে ছিলো মোমেন বান্দাদের অন্তর্গত।
৮২। অন্য সকলকে আমি বন্যাতে নিমজ্জিত করেছিলাম।
৮৩। যারা তাঁকে অনুসরণ করেছিলো , ইব্রাহীম ছিলো তাদের অন্তর্গত ৪০৮৫।
৪০৮৫। ” ইব্রাহীম ছিলো তাদের অন্তর্গত।” এখানে “তাঁকে” সর্বনাম দ্বারা হযরত নূহকে বোঝানো হয়েছে ; কারণ আয়াত ৮১ তে বলা হয়েছে ” সে ছিলো মুমিন বান্দাদিগের অন্যতম।” এই “সে ” সর্বনামটি হযরত নূহ্ এর পরিবর্তে ব্যবহৃত ।
হযরত ইব্রাহীমের কাহিনী বর্ণনা করা হয়েছে সূরা [ ২১ : ৫১-৭৩ ] আয়াতে। কিন্তু হযরত ইব্রাহীমের এবং তাঁর পুত্রের আল্লাহ্র ইচ্ছার কাছে সর্বান্তকরণে আত্মসমর্পনের অধ্যায়কে বর্ণনা করা হয়েছে এই আয়াতের মাধ্যমে। আয়াত নং [ ১০২ -১০৭ ] এ, বর্ণনা করা হয়েছে পিতার কর্ম সম্পাদনের আন্তরিকতা ও পুত্রের সর্বোচ্চ আত্মসমর্পনের চমৎকার কাহিনী যা ছিলো তাদের জন্য এক মহা পরীক্ষা। এই সূরার মূল বিষয়বস্তু-ই হচ্ছে ” আল্লাহ্র ইচ্ছার কাছে আত্মসমর্পন।
আয়াতঃ 037.084
যখন সে তার পালনকর্তার নিকট সুষ্ঠু চিত্তে উপস্থিত হয়েছিল,
Behold! he approached his Lord with a sound heart.
إِذْ جَاء رَبَّهُ بِقَلْبٍ سَلِيمٍ
Ith jaa rabbahu biqalbin saleemin
YUSUFALI: Behold! he approached his Lord with a sound heart.
PICKTHAL: When he came unto his Lord with a whole heart;
SHAKIR: When he came to his Lord with a free heart,
KHALIFA: He came to his Lord wholeheartedly.
৮৪। দেখো ! সে তো তার প্রভুর নিকটে আগমন করেছিলো বিশুদ্ধ চিত্তে ৪০৮৬।
৪০৮৬। ‘Qalb Salim’- বিশুদ্ধ চিত্ত বা হৃদয়। অর্থাৎ পূত পবিত্র আত্মা , যে আত্মা পৃথিবীর কলুষতা থেকে মুক্ত। আরবীতে চিত্ত বা হৃদয় শব্দটি দ্বারা শুধুমাত্র আবেগ অনুভূতি এবং ভালোবাসার আধাঁর বা স্থানকেই চিহ্নিত করে না [ যা বাংলা ভাষাতে করা হয় ] ; হৃদয় শব্দটি দ্বারা এ সব ব্যতীত , বুদ্ধিমত্তা এবং তার প্রতিক্রিয়া, এক কথায় ব্যক্তির সমগ্র চরিত্র বা চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যকে বোঝায়। দেখুন সূরা [ ২৬ : ৮৯ ] তে বলা হয়েছে ” সেই সফলকাম যে বিশুদ্ধ চিত্ত নিয়ে উপস্থিত হবে।”
আয়াতঃ 037.085
যখন সে তার পিতা ও সম্প্রদায়কে বলেছিলঃ তোমরা কিসের উপাসনা করছ?
Behold! he said to his father and to his people, “What is that which ye worship?
إِذْ قَالَ لِأَبِيهِ وَقَوْمِهِ مَاذَا تَعْبُدُونَ
Ith qala li-abeehi waqawmihi matha taAAbudoona
YUSUFALI: Behold! he said to his father and to his people, “What is that which ye worship?
PICKTHAL: When he said unto his father and his folk: What is it that ye worship?
SHAKIR: When he said to his father and his people: What is it that you worship?
KHALIFA: He said to his father and his people, “What are you worshiping?
৮৫। দেখো ! সে তাঁর পিতা এবং তার সম্প্রদায়কে জিজ্ঞাসা করেছিলো , ” তোমরা কিসের পূঁজা করছো?”
৮৬। ” তোমরা কি আল্লাহকে ত্যাগ করে মিথ্যা উপাস্য কামনা করছো ? ৪০৮৭
৪০৮৭। মিথ্যা উপাস্যের অনেক ধরণ আছে , যেমন মূর্তি, গ্রহ নক্ষত্র , উপদেবতা, আত্মপূঁজা, অথবা আল্লাহ্র সম্বন্ধে বিকৃত ধারণা বা অতীন্দ্রিয় কোন কিছুকে কল্পনার সাহায্যে বিশ্বাস করা। এ সব ক্ষেত্রেই উপাস্য সম্বন্ধে যে ধারণা করা হয় তা অলীক বা কল্পনাপ্রসূত যা জ্ঞান ও বিবেকের সমর্থন করে না। হযরত ইব্রাহীম তাঁর সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন।
আয়াতঃ 037.086
তোমরা কি আল্লাহ ব্যতীত মিথ্যা উপাস্য কামনা করছ?
“Is it a falsehood- gods other than Allah. that ye desire?
أَئِفْكًا آلِهَةً دُونَ اللَّهِ تُرِيدُونَ
A-ifkan alihatan doona Allahi tureedoona
YUSUFALI: “Is it a falsehood- gods other than Allah- that ye desire?
PICKTHAL: Is it a falsehood – gods beside Allah – that ye desire?
SHAKIR: A lie– gods besides Allah– do you desire?
KHALIFA: “Is it these fabricated gods, instead of GOD, that you want?
৮৫। দেখো ! সে তাঁর পিতা এবং তার সম্প্রদায়কে জিজ্ঞাসা করেছিলো , ” তোমরা কিসের পূঁজা করছো?”
৮৬। ” তোমরা কি আল্লাহকে ত্যাগ করে মিথ্যা উপাস্য কামনা করছো ? ৪০৮৭
৪০৮৭। মিথ্যা উপাস্যের অনেক ধরণ আছে , যেমন মূর্তি, গ্রহ নক্ষত্র , উপদেবতা, আত্মপূঁজা, অথবা আল্লাহ্র সম্বন্ধে বিকৃত ধারণা বা অতীন্দ্রিয় কোন কিছুকে কল্পনার সাহায্যে বিশ্বাস করা। এ সব ক্ষেত্রেই উপাস্য সম্বন্ধে যে ধারণা করা হয় তা অলীক বা কল্পনাপ্রসূত যা জ্ঞান ও বিবেকের সমর্থন করে না। হযরত ইব্রাহীম তাঁর সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন।
আয়াতঃ 037.087
বিশ্বজগতের পালনকর্তা সম্পর্কে তোমাদের ধারণা কি?
“Then what is your idea about the Lord of the worlds?”
فَمَا ظَنُّكُم بِرَبِّ الْعَالَمِينَ
Fama thannukum birabbi alAAalameena
YUSUFALI: “Then what is your idea about the Lord of the worlds?”
PICKTHAL: What then is your opinion of the Lord of the Worlds?
SHAKIR: What is then your idea about the Lord of the worlds?
KHALIFA: “What do you think of the Lord of the universe?”
৮৭। ” তাহলে জগৎ সমূহের প্রভু সম্বন্ধে তোমাদের ধারণা কি ? “৪০৮৮
৪০৮৮। এই আয়াতটি হযরত ইব্রাহীমের বক্তব্য : ” তোমরা কি প্রকৃত স্রষ্টাকে হৃদয়ে অনুভবে অক্ষম ? প্রকৃত স্রষ্টা এক এবং অদ্বিতীয়। তিনি বিভিন্ন আকৃতি বা রূপের উর্দ্ধে। তোমরা তাঁর সম্বন্ধে যে সব কুসংস্কার প্রয়োগ কর তিনি তার বহু উর্দ্ধে অবস্থান করেন।
আয়াতঃ 037.088
অতঃপর সে একবার তারকাদের প্রতি লক্ষ্য করল।
Then did he cast a glance at the Stars.
فَنَظَرَ نَظْرَةً فِي النُّجُومِ
Fanathara nathratan fee alnnujoomi
YUSUFALI: Then did he cast a glance at the Stars.
PICKTHAL: And he glanced a glance at the stars
SHAKIR: Then he looked at the stars, looking up once,
KHALIFA: He looked carefully at the stars.
৮৮। অতঃপর সে তারকারাজির দিকে একবার তাকালো ,
৮৯। এবং বললো , ” আমি [ অন্তরে ] অসুস্থ। ” ৪০৮৯
৪০৮৯। ধর্ম বিষয়ে হযরত ইব্র্রাহীমের সম্প্রদায়ের কর্মকান্ড তাঁকে বিচলিত করে তুললো – তাঁর সম্প্রদায়ের বিভ্রান্তিতে তার অন্তর ব্যথিত হয়ে পড়লো। বিশেষত : তাঁর পিতা ছিলেন সম্প্রদায়ের প্রধান এবং সম্প্রদায়ের লোকেরা মিথ্যা উপাস্যের উপাসনার ক্ষেত্রে তাকে অন্ধভাবে অনুসরণ করতো। হযরত ইব্রাহীমের পক্ষে ধর্ম বিষয়ের এ সব হাস্যস্কর অনুষ্ঠান অনুসরণ করা ছিলো অসম্ভব ব্যাপার ; যা তাঁর হৃদয় ও আত্মাকে ব্যথিত করতো। হৃদয়ে বিতৃষ্ণা সৃষ্টি করতো। সূরা [ ২১: ৫৬ – ৬৪ ] আয়াতে বর্ণনা করা হয়েছে যে কিভাবে হযরত ইব্রাহীম এসবের প্রতিবাদ জ্ঞাপন করেন।
আয়াতঃ 037.089
এবং বললঃ আমি পীড়িত।
And he said, “I am indeed sick (at heart)!”
فَقَالَ إِنِّي سَقِيمٌ
Faqala innee saqeemun
YUSUFALI: And he said, “I am indeed sick (at heart)!”
PICKTHAL: Then said: Lo! I feel sick!
SHAKIR: Then he said: Surely I am sick (of your worshipping these).
KHALIFA: Then he gave up and said, “I am tired of this!”
৮৮। অতঃপর সে তারকারাজির দিকে একবার তাকালো ,
৮৯। এবং বললো , ” আমি [ অন্তরে ] অসুস্থ। ” ৪০৮৯
৪০৮৯। ধর্ম বিষয়ে হযরত ইব্র্রাহীমের সম্প্রদায়ের কর্মকান্ড তাঁকে বিচলিত করে তুললো – তাঁর সম্প্রদায়ের বিভ্রান্তিতে তার অন্তর ব্যথিত হয়ে পড়লো। বিশেষত : তাঁর পিতা ছিলেন সম্প্রদায়ের প্রধান এবং সম্প্রদায়ের লোকেরা মিথ্যা উপাস্যের উপাসনার ক্ষেত্রে তাকে অন্ধভাবে অনুসরণ করতো। হযরত ইব্রাহীমের পক্ষে ধর্ম বিষয়ের এ সব হাস্যস্কর অনুষ্ঠান অনুসরণ করা ছিলো অসম্ভব ব্যাপার ; যা তাঁর হৃদয় ও আত্মাকে ব্যথিত করতো। হৃদয়ে বিতৃষ্ণা সৃষ্টি করতো। সূরা [ ২১: ৫৬ – ৬৪ ] আয়াতে বর্ণনা করা হয়েছে যে কিভাবে হযরত ইব্রাহীম এসবের প্রতিবাদ জ্ঞাপন করেন।
আয়াতঃ 037.090
অতঃপর তারা তার প্রতি পিঠ ফিরিয়ে চলে গেল।
So they turned away from him, and departed.
فَتَوَلَّوْا عَنْهُ مُدْبِرِينَ
Fatawallaw AAanhu mudbireena
YUSUFALI: So they turned away from him, and departed.
PICKTHAL: And they turned their backs and went away from him.
SHAKIR: So they went away from him, turning back.
KHALIFA: They turned away from him.
৯০। সুতারাং তারা তাকে পিছনে ফেলে চলে গেল।
৯১। তারপরে সে তাদের উপাস্যদের দিকে ফিরলো এবং বললো , ” [ তোমাদের সম্মুখের নৈবেদ্য ] তোমরা আহার করবে না ?
৯২। ” তোমাদের ব্যাপার কি যে তোমরা [ বুদ্ধিমানের মত ] কথা বল না ? ”
৯৩। তারপরে সে উহাদের ডানহাত দিয়ে সবলে আঘাত করলো ৪০৯০, ৪০৯১।
৪০৯০। উপরের টিকাতে বিষয়বস্তুর বিবরণ সম্বন্ধে যে আয়াতসমূহের উল্লেখ করা হয়েছে তা দেখুন।
৪০৯১। “সবলে” – অর্থাৎ তিনি তাঁর সর্বশক্তি প্রয়োগ করে মূর্তিগুলিকে আঘাত হানেন।
আয়াতঃ 037.091
অতঃপর সে তাদের দেবালয়ে, গিয়ে ঢুকল এবং বললঃ তোমরা খাচ্ছ না কেন?
Then did he turn to their gods and said, “will ye not eat (of the offerings before you)?…
فَرَاغَ إِلَى آلِهَتِهِمْ فَقَالَ أَلَا تَأْكُلُونَ
Faragha ila alihatihim faqala ala ta/kuloona
YUSUFALI: Then did he turn to their gods and said, “will ye not eat (of the offerings before you)?…
PICKTHAL: Then turned he to their gods and said: Will ye not eat?
SHAKIR: Then he turned aside to their gods secretly and said: What! do you not eat?
KHALIFA: He then turned on their idols, saying, “Would you like to eat?
৯০। সুতারাং তারা তাকে পিছনে ফেলে চলে গেল।
৯১। তারপরে সে তাদের উপাস্যদের দিকে ফিরলো এবং বললো , ” [ তোমাদের সম্মুখের নৈবেদ্য ] তোমরা আহার করবে না ?
৯২। ” তোমাদের ব্যাপার কি যে তোমরা [ বুদ্ধিমানের মত ] কথা বল না ? ”
৯৩। তারপরে সে উহাদের ডানহাত দিয়ে সবলে আঘাত করলো ৪০৯০, ৪০৯১।
৪০৯০। উপরের টিকাতে বিষয়বস্তুর বিবরণ সম্বন্ধে যে আয়াতসমূহের উল্লেখ করা হয়েছে তা দেখুন।
৪০৯১। “সবলে” – অর্থাৎ তিনি তাঁর সর্বশক্তি প্রয়োগ করে মূর্তিগুলিকে আঘাত হানেন।
আয়াতঃ 037.092
তোমাদের কি হল যে, কথা বলছ না?
“What is the matter with you that ye speak not (intelligently)?”
مَا لَكُمْ لَا تَنطِقُونَ
Ma lakum la tantiqoona
YUSUFALI: “What is the matter with you that ye speak not (intelligently)?”
PICKTHAL: What aileth you that ye speak not?
SHAKIR: What is the matter with you that you do not speak?
KHALIFA: “Why do you not speak?”
৯০। সুতারাং তারা তাকে পিছনে ফেলে চলে গেল।
৯১। তারপরে সে তাদের উপাস্যদের দিকে ফিরলো এবং বললো , ” [ তোমাদের সম্মুখের নৈবেদ্য ] তোমরা আহার করবে না ?
৯২। ” তোমাদের ব্যাপার কি যে তোমরা [ বুদ্ধিমানের মত ] কথা বল না ? ”
৯৩। তারপরে সে উহাদের ডানহাত দিয়ে সবলে আঘাত করলো ৪০৯০, ৪০৯১।
৪০৯০। উপরের টিকাতে বিষয়বস্তুর বিবরণ সম্বন্ধে যে আয়াতসমূহের উল্লেখ করা হয়েছে তা দেখুন।
৪০৯১। “সবলে” – অর্থাৎ তিনি তাঁর সর্বশক্তি প্রয়োগ করে মূর্তিগুলিকে আঘাত হানেন।
আয়াতঃ 037.093
অতঃপর সে প্রবল আঘাতে তাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ল।
Then did he turn upon them, striking (them) with the right hand.
فَرَاغَ عَلَيْهِمْ ضَرْبًا بِالْيَمِينِ
Faragha AAalayhim darban bialyameeni
YUSUFALI: Then did he turn upon them, striking (them) with the right hand.
PICKTHAL: Then he attacked them, striking with his right hand.
SHAKIR: Then he turned against them secretly, smiting them with the right hand.
KHALIFA: He then destroyed them.
৯০। সুতারাং তারা তাকে পিছনে ফেলে চলে গেল।
৯১। তারপরে সে তাদের উপাস্যদের দিকে ফিরলো এবং বললো , ” [ তোমাদের সম্মুখের নৈবেদ্য ] তোমরা আহার করবে না ?
৯২। ” তোমাদের ব্যাপার কি যে তোমরা [ বুদ্ধিমানের মত ] কথা বল না ? ”
৯৩। তারপরে সে উহাদের ডানহাত দিয়ে সবলে আঘাত করলো ৪০৯০, ৪০৯১।
৪০৯০। উপরের টিকাতে বিষয়বস্তুর বিবরণ সম্বন্ধে যে আয়াতসমূহের উল্লেখ করা হয়েছে তা দেখুন।
৪০৯১। “সবলে” – অর্থাৎ তিনি তাঁর সর্বশক্তি প্রয়োগ করে মূর্তিগুলিকে আঘাত হানেন।
আয়াতঃ 037.094
তখন লোকজন তার দিকে ছুটে এলো ভীত-সন্ত্রস্ত পদে।
Then came (the worshippers) with hurried steps, and faced (him).
فَأَقْبَلُوا إِلَيْهِ يَزِفُّونَ
Faaqbaloo ilayhi yaziffoona
YUSUFALI: Then came (the worshippers) with hurried steps, and faced (him).
PICKTHAL: And (his people) came toward him, hastening.
SHAKIR: So they (people) advanced towards him, hastening.
KHALIFA: They went to him in a great rage.
৯৪। তখন [ পূঁজারীগণ ] দ্রুত পায়ে ফিরে এলো এবং তার মুখোমুখি হলো।
৯৫। সে বলেছিলো , ” তোমরা যাকে [ আপন হাতে ] খোদাই করে নির্মাণ করেছ , তোমরা কি তারই পূঁজা কর ৪০৯২ ?
৪০৯২। তিনি এই কাজ করেন তার সম্প্রদায়ের সাথে উপাস্য বিষয়ে উদাহরণের মাধ্যমে মীমাংসার নিমিত্তে।যেনো যুক্তি তর্কের ভিত্তিতে মিথ্যা উপাস্যের অসারতা তারা অনুধাবন করতে পারে। তাঁর বক্তব্য ছিলো , “তোমরা কি তোমাদের নিজের সৃষ্ট পদার্থের পূঁজা কর ? কিন্তু নিশ্চয়ই জেনো সমস্ত উপাসনা একমাত্র বিশ্বস্রষ্টা আল্লাহ্র প্রাপ্য – কারণ তিনি তোমাদের এবং তোমাদের তৈরী উপাস্য সকলেরই সৃষ্টিকর্তা। “
আয়াতঃ 037.095
সে বললঃ তোমরা স্বহস্ত নির্মিত পাথরের পূজা কর কেন?
He said: “Worship ye that which ye have (yourselves) carved?
قَالَ أَتَعْبُدُونَ مَا تَنْحِتُونَ
Qala ataAAbudoona ma tanhitoona
YUSUFALI: He said: “Worship ye that which ye have (yourselves) carved?
PICKTHAL: He said: Worship ye that which ye yourselves do carve
SHAKIR: Said he: What! do you worship what you hew out?
KHALIFA: He said, “How can you worship what you carve?
৯৪। তখন [ পূঁজারীগণ ] দ্রুত পায়ে ফিরে এলো এবং তার মুখোমুখি হলো।
৯৫। সে বলেছিলো , ” তোমরা যাকে [ আপন হাতে ] খোদাই করে নির্মাণ করেছ , তোমরা কি তারই পূঁজা কর ৪০৯২ ?
৪০৯২। তিনি এই কাজ করেন তার সম্প্রদায়ের সাথে উপাস্য বিষয়ে উদাহরণের মাধ্যমে মীমাংসার নিমিত্তে।যেনো যুক্তি তর্কের ভিত্তিতে মিথ্যা উপাস্যের অসারতা তারা অনুধাবন করতে পারে। তাঁর বক্তব্য ছিলো , “তোমরা কি তোমাদের নিজের সৃষ্ট পদার্থের পূঁজা কর ? কিন্তু নিশ্চয়ই জেনো সমস্ত উপাসনা একমাত্র বিশ্বস্রষ্টা আল্লাহ্র প্রাপ্য – কারণ তিনি তোমাদের এবং তোমাদের তৈরী উপাস্য সকলেরই সৃষ্টিকর্তা। “
আয়াতঃ 037.096
অথচ আল্লাহ তোমাদেরকে এবং তোমরা যা নির্মাণ করছ সবাইকে সৃষ্টি করেছেন।
“But Allah has created you and your handwork!”
وَاللَّهُ خَلَقَكُمْ وَمَا تَعْمَلُونَ
WaAllahu khalaqakum wama taAAmaloona
YUSUFALI: “But Allah has created you and your handwork!”
PICKTHAL: When Allah hath created you and what ye make?
SHAKIR: And Allah has created you and what you make.
KHALIFA: “When GOD has created you, and everything you make!”
৯৬। ” অথচ আল্লাহ্ই তোমাদের সৃষ্টি করেছেন এবং তোমরা যা তৈরী কর তাহাকেও সৃজন করেছেন।”
৯৭। তারা বলেছিলো , ” তার জন্য অগ্নিকুন্ড তৈরী কর, এবং তাকে জ্বলন্ত আগুনে নিক্ষেপ কর ৪০৯৩। ”
৪০৯৩। হযরত ইব্রাহীমের যুক্তি ছিলো অখন্ডনীয় – সুতারাং তার সম্প্রদায়ের লোকেরা তা যুক্তি তর্ক দ্বারা খন্ডন করতে সক্ষম হলো না। এরূপ ক্ষেত্রে মন্দ ব্যক্তিরা সত্যকে গ্রহণের পরিবর্তে বিপথের আশ্রয় গ্রহণ করে। হয় তারা সন্ত্রাসের আশ্রয় গ্রহণ করে, আর যদি সে ক্ষমতা না থাকে তবে গোপন ষড়যন্ত্রের আশ্রয় গ্রহণ করে। হযরত ইব্রাহীমের ক্ষেত্রে তাঁর সম্প্রদায়ের লোকেরা সন্ত্রাস ও ষড়যন্ত্র দুধরণের কৌশলেরই আশ্রয় গ্রহণ করে। সন্ত্রাস ও শক্তি প্রদর্শিত হয় তাঁকে আগুনে নিক্ষেপ দ্বারা , কিন্তু আগুন যখন তাঁর কোন ক্ষতি করতে অক্ষম হলো [ ২১ : ৬৯ ] তখন তারা ষড়যন্ত্রের আশ্রয় গ্রহণ করলো যার উল্লেখ করা হয়েছে পরবর্তী আয়াতে [ ৩৭ : ৯৮ ]। কিন্তু তাদের এই ষড়যন্ত্র সফল না হয়ে বুমেরাং-এর ন্যায় তাদেরই পুণরায় আঘাত হানে। আল্লাহ্ তাদের -“লাঞ্ছিত করেন।”
হযরত ইব্রাহীমের এই উদাহরণ আজও বিদ্যামন। বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিবাদমান দলের নীতি হচ্ছে সন্ত্রাস ও চক্রান্ত। অসৎ ও মন্দ লোকের এই অনন্য বৈশিষ্ট্যকেই এই আয়াতের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে।
আয়াতঃ 037.097
তারা বললঃ এর জন্যে একটি ভিত নির্মাণ কর এবং অতঃপর তাকে আগুনের স্তুপে নিক্ষেপ কর।
They said, “Build him a furnace, and throw him into the blazing fire!”
قَالُوا ابْنُوا لَهُ بُنْيَانًا فَأَلْقُوهُ فِي الْجَحِيمِ
Qaloo ibnoo lahu bunyanan faalqoohu fee aljaheemi
YUSUFALI: They said, “Build him a furnace, and throw him into the blazing fire!”
PICKTHAL: They said: Build for him a building and fling him in the red-hotfire.
SHAKIR: They said: Build for him a furnace, then cast him into the burning fire.
KHALIFA: They said, “Let us build a great fire, and throw him into it.”
৯৬। ” অথচ আল্লাহ্ই তোমাদের সৃষ্টি করেছেন এবং তোমরা যা তৈরী কর তাহাকেও সৃজন করেছেন।”
৯৭। তারা বলেছিলো , ” তার জন্য অগ্নিকুন্ড তৈরী কর, এবং তাকে জ্বলন্ত আগুনে নিক্ষেপ কর ৪০৯৩। ”
৪০৯৩। হযরত ইব্রাহীমের যুক্তি ছিলো অখন্ডনীয় – সুতারাং তার সম্প্রদায়ের লোকেরা তা যুক্তি তর্ক দ্বারা খন্ডন করতে সক্ষম হলো না। এরূপ ক্ষেত্রে মন্দ ব্যক্তিরা সত্যকে গ্রহণের পরিবর্তে বিপথের আশ্রয় গ্রহণ করে। হয় তারা সন্ত্রাসের আশ্রয় গ্রহণ করে, আর যদি সে ক্ষমতা না থাকে তবে গোপন ষড়যন্ত্রের আশ্রয় গ্রহণ করে। হযরত ইব্রাহীমের ক্ষেত্রে তাঁর সম্প্রদায়ের লোকেরা সন্ত্রাস ও ষড়যন্ত্র দুধরণের কৌশলেরই আশ্রয় গ্রহণ করে। সন্ত্রাস ও শক্তি প্রদর্শিত হয় তাঁকে আগুনে নিক্ষেপ দ্বারা , কিন্তু আগুন যখন তাঁর কোন ক্ষতি করতে অক্ষম হলো [ ২১ : ৬৯ ] তখন তারা ষড়যন্ত্রের আশ্রয় গ্রহণ করলো যার উল্লেখ করা হয়েছে পরবর্তী আয়াতে [ ৩৭ : ৯৮ ]। কিন্তু তাদের এই ষড়যন্ত্র সফল না হয়ে বুমেরাং-এর ন্যায় তাদেরই পুণরায় আঘাত হানে। আল্লাহ্ তাদের -“লাঞ্ছিত করেন।”
হযরত ইব্রাহীমের এই উদাহরণ আজও বিদ্যামন। বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিবাদমান দলের নীতি হচ্ছে সন্ত্রাস ও চক্রান্ত। অসৎ ও মন্দ লোকের এই অনন্য বৈশিষ্ট্যকেই এই আয়াতের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে।
আয়াতঃ 037.098
তারপর তারা তার বিরুদ্ধে মহা ষড়যন্ত্র আঁটতে চাইল, কিন্তু আমি তাদেরকেই পরাভূত করে দিলাম।
(This failing), they then sought a stratagem against him, but We made them the ones most humiliated!
فَأَرَادُوا بِهِ كَيْدًا فَجَعَلْنَاهُمُ الْأَسْفَلِينَ
Faaradoo bihi kaydan fajaAAalnahumu al-asfaleena
YUSUFALI: (This failing), they then sought a stratagem against him, but We made them the ones most humiliated!
PICKTHAL: And they designed a snare for him, but We made them the undermost.
SHAKIR: And they desired a war against him, but We brought them low.
KHALIFA: They schemed against him, but we made them the losers.
৯৮। [ এটাতে অকৃতকার্য হয়ে ] উহারা তার বিরুদ্ধে চক্রান্তের সংকল্প করেছিলো ; কিন্তু আমি তাদের লাঞ্ছিত করেছিলাম ৪০৯৪।
৪০৯৪।দেখুন আয়াত [ ২১ : ৭১ ]। পূণ্যাত্মা ইব্রাহীমের বিরুদ্ধে তাদের চক্রান্ত নস্যাৎ হয়ে যায়। ইব্রাহীম দেশ ত্যাগ করেন এবং সিরিয়া ও প্যালেস্টাইনে বসতি স্থাপন করে সাফল্য ও সমৃদ্ধি লাভ করেন। তাঁর সাফল্যে তাঁর বিরুদ্ধে যারা চক্রান্ত করেছিলো , তারা বিশ্বের চোখে হেয় প্রতিপন্ন হয়।
উপদেশ : আল্লাহ্র পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ব্যক্তিদের আল্লাহ্ কি ভাবে সাফল্য দান করবেন তা আমাদের মত সাধারণ মানুষের পক্ষে অনুধাবন করা অসম্ভব ব্যাপার।
আয়াতঃ 037.099
সে বললঃ আমি আমার পালনকর্তার দিকে চললাম, তিনি আমাকে পথপ্রদর্শন করবেন।
He said: “I will go to my Lord! He will surely guide me!
وَقَالَ إِنِّي ذَاهِبٌ إِلَى رَبِّي سَيَهْدِينِ
Waqala innee thahibun ila rabbee sayahdeeni
YUSUFALI: He said: “I will go to my Lord! He will surely guide me!
PICKTHAL: And he said: Lo! I am going unto my Lord Who will guide me.
SHAKIR: And he said: Surely I fly to my lord; He will guide me.
KHALIFA: He said, “I am going to my Lord; He will guide me.”
৯৯। সে বলেছিলো , ” আমি আমার প্রভুর দিকে চললাম। তিনি অবশ্যই আমাকে সঠিক পথে পরিচালিত করবেন ৪০৯৫।
৪০৯৫। সে অর্থাৎ হযরত ইব্রাহীম। হযরত ইব্রাহীমের হিজরতের উল্লেখ এখানে করা হয়েছে। ইব্রাহীম তাঁর শৈশবের লালিত জন্মভূমি , প্রিয়জন সব কিছু ত্যাগ করে অচেনা অজানা পৃথিবীর পথে পা বাড়ান সত্যকে রক্ষা করার প্রয়াসে। পূর্ব পুরুষদের মিথ্যাচারে জীবনকে পরিচালিত করা অপেক্ষা সত্যের প্রতি আনুগত্য তাঁর নিকটে অধিক প্রিয় বলে বিবেচিত হয়। এ ব্যাপারে তাঁর একমাত্র ভরসা ছিলো সর্বশক্তিমান আল্লাহ্। পরবর্তীতে আল্লাহ্র অনুগ্রহে তিনি সত্যের অনুসারীদের ভিত্তি স্থাপন করতে সক্ষম হন যা পরবর্তীতে বিশাল মহীরূহে পরিণত হয়।
উপদেশ : ইব্রাহীমের কাহিনীর মাধ্যমে এই শিক্ষাই দেয়া হয়েছে যে, আল্লাহ্র রাস্তায় প্রকৃত সংগ্রাম কখনও বৃথা যেতে পারে না। এ সত্য নবী রসুলদের জন্য যেমন প্রযোজ্য ঠিক সমভাবে সাধারণ মানুষের জন্যও প্রযোজ্য।
আয়াতঃ 037.100
হে আমার পরওয়ারদেগার! আমাকে এক সৎপুত্র দান কর।
“O my Lord! Grant me a righteous (son)!”
رَبِّ هَبْ لِي مِنَ الصَّالِحِينَ
Rabbi hab lee mina alssaliheena
YUSUFALI: “O my Lord! Grant me a righteous (son)!”
PICKTHAL: My Lord! Vouchsafe me of the righteous.
SHAKIR: My Lord! grant me of the doers of good deeds.
KHALIFA: “My Lord, grant me righteous children.”
১০০। ” হে আমার প্রভু ! আমাকে এক পূণ্যাত্মা [ পুত্র ] দান কর।”
১০১। সুতারাং আমরা তাকে এক কষ্ট সহ্যকারী ও ধৈর্য্যশীল পুত্রের সুসংবাদ দিলাম ৪০৯৬, ৪০৯৭।
৪০৯৬। পুত্র সন্তান লাভের সুসংবাদ দান করা হয় সিরিয়া ও প্যালেস্টাইনের উর্বর ভূমিতে যখন হযরত ইব্রাহীম সেখানে অবস্থান করছিলেন। মুসলমানদের বিশ্বাস অনুযায়ী এই পুত্র হচ্ছেন হযরত ইসমাঈলের আগমনের সংবাদ। ইসমাঈল নামটি sami’a এই শব্দটি থেকে উত্থিত। sami’a অর্থাৎ শোনা, কারণ আল্লাহ্ হযরত ইব্রাহীমের প্রার্থনা কবুল করেন [ ৩৭ – ১০০ ]। ইসমাঈল যখন জন্মগ্রহণ করেন তখন হযরত ইব্রাহীমের বয়স ছিলো ৮৬ বৎসর [ Gen XVI 16 ] ।
৪০৯৭। হযরত ইব্রাহীমের অনাগত পুত্রের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য এখানে বর্ণনা করা হয়েছে ; স্থির বুদ্ধি সম্পন্ন বা হালিম শব্দটি দ্বারা। হালিম শব্দটি হযরত ইব্রাহীমের উপাধিরূপে বর্ণনা করা হয় [ দেখুন আয়াত ৯ : ১১৪ ও ১১ :৭৫ ]। এই শব্দটি প্রকৃত ধৈর্য্যশীল বা সবরকারীদের জন্য প্রযোজ্য। সবর্ শব্দটির প্রকৃত তাৎপর্য সম্বন্ধে দেখুন টিকা ৬১। হযরত ইব্রাহীম ও তাঁর পুত্র আল্লাহ্র হুকুম অনুযায়ী কর্ম সম্পাদনের জন্য সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ করতেও কুণ্ঠিত হন নাই। দেখুন পরবর্তী আয়াত।
আয়াতঃ 037.101
সুতরাং আমি তাকে এক সহনশীল পুত্রের সুসংবাদ দান করলাম।
So We gave him the good news of a boy ready to suffer and forbear.
فَبَشَّرْنَاهُ بِغُلَامٍ حَلِيمٍ
Fabashsharnahu bighulamin haleemin
YUSUFALI: So We gave him the good news of a boy ready to suffer and forbear.
PICKTHAL: So We gave him tidings of a gentle son.
SHAKIR: So We gave him the good news of a boy, possessing forbearance.
KHALIFA: We gave him good news of a good child.
১০০। ” হে আমার প্রভু ! আমাকে এক পূণ্যাত্মা [ পুত্র ] দান কর।”
১০১। সুতারাং আমরা তাকে এক কষ্ট সহ্যকারী ও ধৈর্য্যশীল পুত্রের সুসংবাদ দিলাম ৪০৯৬, ৪০৯৭।
৪০৯৬। পুত্র সন্তান লাভের সুসংবাদ দান করা হয় সিরিয়া ও প্যালেস্টাইনের উর্বর ভূমিতে যখন হযরত ইব্রাহীম সেখানে অবস্থান করছিলেন। মুসলমানদের বিশ্বাস অনুযায়ী এই পুত্র হচ্ছেন হযরত ইসমাঈলের আগমনের সংবাদ। ইসমাঈল নামটি sami’a এই শব্দটি থেকে উত্থিত। sami’a অর্থাৎ শোনা, কারণ আল্লাহ্ হযরত ইব্রাহীমের প্রার্থনা কবুল করেন [ ৩৭ – ১০০ ]। ইসমাঈল যখন জন্মগ্রহণ করেন তখন হযরত ইব্রাহীমের বয়স ছিলো ৮৬ বৎসর [ Gen XVI 16 ] ।
৪০৯৭। হযরত ইব্রাহীমের অনাগত পুত্রের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য এখানে বর্ণনা করা হয়েছে ; স্থির বুদ্ধি সম্পন্ন বা হালিম শব্দটি দ্বারা। হালিম শব্দটি হযরত ইব্রাহীমের উপাধিরূপে বর্ণনা করা হয় [ দেখুন আয়াত ৯ : ১১৪ ও ১১ :৭৫ ]। এই শব্দটি প্রকৃত ধৈর্য্যশীল বা সবরকারীদের জন্য প্রযোজ্য। সবর্ শব্দটির প্রকৃত তাৎপর্য সম্বন্ধে দেখুন টিকা ৬১। হযরত ইব্রাহীম ও তাঁর পুত্র আল্লাহ্র হুকুম অনুযায়ী কর্ম সম্পাদনের জন্য সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ করতেও কুণ্ঠিত হন নাই। দেখুন পরবর্তী আয়াত।
আয়াতঃ 037.102
অতঃপর সে যখন পিতার সাথে চলাফেরা করার বয়সে উপনীত হল, তখন ইব্রাহীম তাকে বললঃ বৎস! আমি স্বপ্নে দেখিযে, তোমাকে যবেহ করছি; এখন তোমার অভিমত কি দেখ। সে বললঃ পিতাঃ! আপনাকে যা আদেশ করা হয়েছে, তাই করুন। আল্লাহ চাহে তো আপনি আমাকে সবরকারী পাবেন।
Then, when (the son) reached (the age of) (serious) work with him, he said: “O my son! I see in vision that I offer thee in sacrifice: Now see what is thy view!” (The son) said: “O my father! Do as thou art commanded: thou will find me, if Allah so wills one practising Patience and Constancy!”
فَلَمَّا بَلَغَ مَعَهُ السَّعْيَ قَالَ يَا بُنَيَّ إِنِّي أَرَى فِي الْمَنَامِ أَنِّي أَذْبَحُكَ فَانظُرْ مَاذَا تَرَى قَالَ يَا أَبَتِ افْعَلْ مَا تُؤْمَرُ سَتَجِدُنِي إِن شَاء اللَّهُ مِنَ الصَّابِرِينَ
Falamma balagha maAAahu alssaAAya qala ya bunayya innee ara fee almanami annee athbahuka faonthur matha tara qala ya abati ifAAal ma tu/maru satajidunee in shaa Allahu mina alssabireena
YUSUFALI: Then, when (the son) reached (the age of) (serious) work with him, he said: “O my son! I see in vision that I offer thee in sacrifice: Now see what is thy view!” (The son) said: “O my father! Do as thou art commanded: thou will find me, if Allah so wills one practising Patience and Constancy!”
PICKTHAL: And when (his son) was old enough to walk with him, (Abraham) said: O my dear son, I have seen in a dream that I must sacrifice thee. So look, what thinkest thou? He said: O my father! Do that which thou art commanded. Allah willing, thou shalt find me of the steadfast.
SHAKIR: And when he attained to working with him, he said: O my son! surely I have seen in a dream that I should sacrifice you; consider then what you see. He said: O my father! do what you are commanded; if Allah please, you will find me of the patient ones.
KHALIFA: When he grew enough to work with him, he said, “My son, I see in a dream that I am sacrificing you. What do you think?” He said, “O my father, do what you are commanded to do. You will find me, GOD willing, patient.”
১০২। অতঃপর [ পুত্রটি ] যখন পিতার সাথে [ গুরুত্বপূর্ণ ] কাজ করার মত বয়েসে উপনীত হল, তখন সে বলেছিলো , ” হে আমার পুত্র ! আমি স্বপ্নে ৪০৯৮ দেখেছি যে , আমি তোমাকে উৎসর্গ [ কুরবানী ] করছি ৪০৯৯। এখন তোমার অভিমত কি বল ? ” [ পুত্রটি ] বলেছিলো , ” হে আমার পিতা ! আপনাকে যে ভাবে হুকুম করা হয়েছে আপনি তাই-ই করুন। আল্লাহ্র ইচ্ছায় আপনি আমাকে ধৈর্যশীল ও দৃঢ়ভাবে পাবেন।”
৪০৯৮। প্রশ্ন হলো কোথায় হযরত ইব্রাহীম এই অলৌকিক স্বপ্ন দৃশ্য অবলোকন করেন ? মুসলমানদের বিশ্বাস অনুযায়ী তা হচ্ছে মক্কার নিকটবর্তী স্থান। কেহ কেহ তা মক্কার ৬ [ ছয় ] মাইল উত্তরে মীনার উপত্যকারূপে চিহ্নিত করে থাকেন। এখানে প্রতি বছর হজ্জের আনুষ্ঠানিকতা স্বরূপ জুলহজ্জ্ মাসের দশ [১০] তারিখে হযরত ইব্রাহীমের ও ইসমাঈলের আত্মত্যাগের অনুসরণে কোরবানী দান করা হয় যা ঈদ-উল-আযহা নামে পরিচিত [ দেখুন টিকা ২১৭ ও আয়াত ২ : ১৯৭ ]।
আর এক দল বলেন যে, হযরত ইব্রাহীম কর্তৃক ইসমাঈলকে প্রকৃত কোরবানীর স্থান ছিলো “মারওয়া পাহাড়ের নিকট সাফা পর্বতের নিকটবর্তী। সাফা ও মারওয়া পর্বতের জন্য দেখুন [ ২ : ১৫৮]।
৪০৯৯। এই ঘটনা হযরত ইব্রাহীমের জীবনে কখন সংঘটিত হয় ? দেখুন টিকা ২৭২৫ এবং আয়াত [ ২১ : ৬৯ ]। এ কথা নিশ্চিত যে, ইব্রাহীমের জন্মভূমি ত্যাগ করে ক্যানন দেশে আগমনের পরে ঘটনাটি সংঘটিত হয়। কারণ যে সময়ে ঘটনার সুত্রপাত হয়, তখন হযরত ইসমাঈল বিচক্ষণ ও আল্লাহ্র ইচ্ছার নিকট সমর্পিত ব্যক্তি হিসেবে নিজস্ব মতামত ব্যক্ত করার মত বড় হয়েছেন। তবুও প্রশ্ন থেকে যায় ঘটনাটি কি কাবা শরীফ নির্মাণের পূর্বে অথবা পরে সংঘটিত হয় ? এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর লাভের মত প্রকৃত তথ্য হাতে নাই। তবে অনুমান করা হয় ঘটনার পূর্বে কাবা শরীফ নির্মান করা হয় এবং এখানে কোরবানীর মাধ্যমে হযরত ইব্রাহীমের ও ইসমাঈলের আত্মত্যাগ ও আত্মসমপর্নকে যুগ কাল অতিক্রান্ত স্মৃতিরক্ষামূলক স্মারক হিসেবে স্থাপন করা হয়।
আয়াতঃ 037.103
যখন পিতা-পুত্র উভয়েই আনুগত্য প্রকাশ করল এবং ইব্রাহীম তাকে যবেহ করার জন্যে শায়িত করল।
So when they had both submitted their wills (to Allah., and he had laid him prostrate on his forehead (for sacrifice),
فَلَمَّا أَسْلَمَا وَتَلَّهُ لِلْجَبِينِ
Falamma aslama watallahu liljabeeni
YUSUFALI: So when they had both submitted their wills (to Allah), and he had laid him prostrate on his forehead (for sacrifice),
PICKTHAL: Then, when they had both surrendered (to Allah), and he had flung him down upon his face,
SHAKIR: So when they both submitted and he threw him down upon his forehead,
KHALIFA: They both submitted, and he put his forehead down (to sacrifice him).
১০৩। সুতারাং যখন তারা উভয়েই [আল্লাহ্র নিকট ] আত্মসমর্পন করলো ৪১০০ এবং ইব্রাহীম তাঁকে মাথা মাটিতে রেখে শায়িত করলো [ কুরবানীর জন্য ] ৪১০১ ,-
৪১০০। “উভয়েই [ আল্লাহ্র নিকট ] আত্মসমর্পন করলো ” – এই বাক্যটির অর্থ হযরত ইব্রাহীম ও হযরত ইসমাঈল উভয়ে আনুগত্য প্রকাশ করিলেন। হযরত ইব্রাহীম ও ইসমাঈলের জন্য এই আনুগত্য ছিলো পরীক্ষা স্বরূপ। পিতার জন্য পরীক্ষাটি ছিলো স্বপ্নাদেশ পালন করা। স্নেহময় পিতা পিতৃস্নেহের উর্দ্ধে আল্লাহ্র আদেশকে স্থান দান করেন এবং পুত্রের নিকট স্বপ্নের আদেশ বর্ণনা করেন। পুত্র ইসমাঈল কোনওরূপ ইতঃস্ততঃ না করে নিজ জীবনকে কোরাবানী করার জন্য সম্মতি দান করেন। যদি আল্লাহ্ তাঁর নিকট এই আত্মত্যাগ দাবী করেন তবে তিনি তা করার জন্য প্রস্তুত। স্নেহময় পিতার নিকট পুত্রের জীবন কোরবানী দাবী এ সবই হচ্ছে আল্লাহ্র পরীক্ষা। কোরবানীর সম্পূর্ণ বিষয়বস্তুই হচ্ছে প্রতীকধর্মী। আল্লাহ্র নিকট রক্ত ও মাংসের কোনও মূল্য নাই [ ২২ : ৩৭ ]। কিন্তু আল্লাহ্ আমাদের নিকট আনুগত্য ও আত্মসমর্পনকে দাবী করেন যা বাহ্যিকভাবে প্রিয়তম বস্তুকে আল্লাহ্র উদ্দেশ্যে নিবেদনের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে। পশু কোরবানী হচ্ছে প্রতীক যার মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে যে প্রয়োজনে আল্লাহ্র প্রতি কর্তব্য কর্মে যদি প্রয়োজন হয়, সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করতেও আমরা কুণ্ঠা বোধ করবো না।
৪১০১। মুসলিম ও ইহুদী , খৃষ্টানদের মধ্যে কোরবানীর তথ্য ও বিবরণে পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। ইহুদী খৃষ্টানেরা কোরবানীর মাহত্ম্য ও আত্মত্যাগকে ইসাহাকের জন্য আরোপ করতে প্রয়াসী [ Gen 22 : 1-18]। কিন্তু তাদের ধর্মগ্রন্থ বর্ণনা করে যে, ইব্রাহীমের বয়স যখন ১০০ বৎসর তখন ইসাহাকের জন্ম হয় [Gen 21: 5 ] । এবং ইব্রাহীমের বয়স যখন ৮৬ বৎসর তখন ইসমাঈলের জন্ম হয় [ 16 : 16 ] । তাদের বর্ণনা অনুযায়ী ইসমাঈল , ইসাহাক অপেক্ষা চৌদ্দ [ ১৪ ] বৎসরের বড়। সুতারাং হযরত ইসমাঈলের জীবনের প্রথম চৌদ্দ বৎসর তিনি ছিলেন ইব্রাহীমের একমাত্র সন্তান। এ কথা স্বীকার করার পরেও ওল্ড টেস্টামেন্ট কোরবানীর আত্মত্যাগকে নিম্নলিখিত ভাবে বর্ণনা করে থাকে। [ Gen 22 : 2 ] “And He said , Take now thy son, there only son Issac, whom thou lovest , and get thee into the land of Moriah : and offer him there for a burnt offering …” ধর্ম বিকৃত করে নিজস্ব গোষ্ঠিভূত করার এ এক অপচেষ্টা। একদিকে তারা স্বীকার করছে যে ইব্রাহীম যে সন্তানকে কোরবানী দেন তিনি ছিলেন তার একমাত্র সন্তান। অপরদিকে তারা কোরবানীর পাত্র হিসেবে হযরত ইব্রাহীমের ছোট সন্তান হযরত ইসাহাককে সনাক্ত করে কারণ ইহুদী -খৃষ্টানেরা ইসাহাকের বংশধর। ‘Land of Moriah’ মরিয়ার অবস্থান সম্পর্কে কোনও স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায় না। মরিয়ার অবস্থান সম্পর্কে বলা হয় তা হচ্ছে হযরত ইব্রাহীম যেখানে অবস্থান করতেন সেস্থান থেকে তিন দিনের পথ [ Gen 22: 8 ] । ইহুদীদের দাবী অনুযায়ী জেরুজালেম শহর যা পরবর্তীতে মরিয়া পাহাড়ের উপরে নির্মিত হয় যেখানে ইসাহাককে কোরবানী করা হয়। সুমলমানদের বিশ্বাস হযরত ইসমাঈলকে কোরবানী দেয়া হয় ‘মারওয়া ‘ পাহাড়ের নিকট। এবং সেটাই যুক্তিযুক্ত। কারণ বিবি হাজেরা সহ ইসমাঈলকে সেখানেই নির্বাসন দেয়া হয়। ইহুদীদের বর্ণিত মরিয়া পাহাড়ে যাওয়ার কোনও যুক্তিসঙ্গত কারণ নাই।
আয়াতঃ 037.104
তখন আমি তাকে ডেকে বললামঃ হে ইব্রাহীম,
We called out to him “O Abraham!
وَنَادَيْنَاهُ أَنْ يَا إِبْرَاهِيمُ
Wanadaynahu an ya ibraheemu
YUSUFALI: We called out to him “O Abraham!
PICKTHAL: We called unto him: O Abraham!
SHAKIR: And We called out to him saying: O Ibrahim!
KHALIFA: We called him: “O Abraham.
১০৪। তখন আমি তাঁকে ডেকে বললাম , ” হে ইব্রাহীম ! ৪১০২
৪১০২। দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গীতে বাইবেলের বর্ণনা ও কোরাণের বর্ণনার মধ্যে দুস্তর ব্যবধান। বাইবেলের বর্ণনা অনুযায়ী কোরবানীর জন্য ইসাহাকের কোনও অনুমতি গ্রহণ করা হয় নাই। কারণ ইসাহাক পিতাকে প্রশ্ন করে “Where is the lamb for sacrifice ?”তার পিতা উত্তর দেন, “God would provide it” তাহলে সম্পূর্ণ ব্যাপারটি দাড়ালো পৌত্তলিকদের বলিদানের মত। পাত্র বা পাত্রীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাদের দেবতার উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করার মত। কিন্তু কোরাণের বর্ণনার মূল দর্শন সম্পূর্ণ ভিন্ন । এখানে বলা হয়েছে পিতা ইব্রাহীম ও পুত্র ইসমাঈল উভয়েই স্ব ইচ্ছায় আল্লাহ্র ইচ্ছার নিকট আত্মসমর্পন করেন। আরবদের পূর্বপুরুষ হচ্ছে হযরত ইসমাঈল। যিনি শেষ নবী হযরত মুহম্মদের [ সা ] পূর্বপুরুষ। শেষ নবী যার বংশে জন্ম গ্রহণ করবেন , তার উপযুক্ত মানসিকতাই ছিলো ইসমাঈলের চরিত্রে।
আয়াতঃ 037.105
তুমি তো স্বপ্নকে সত্যে পরিণত করে দেখালে! আমি এভাবেই সৎকর্মীদেরকে প্রতিদান দিয়ে থাকি।
“Thou hast already fulfilled the vision!” – thus indeed do We reward those who do right.
قَدْ صَدَّقْتَ الرُّؤْيَا إِنَّا كَذَلِكَ نَجْزِي الْمُحْسِنِينَ
Qad saddaqta alrru/ya inna kathalika najzee almuhsineena
YUSUFALI: “Thou hast already fulfilled the vision!” – thus indeed do We reward those who do right.
PICKTHAL: Thou hast already fulfilled the vision. Lo! thus do We reward the good.
SHAKIR: You have indeed shown the truth of the vision; surely thus do We reward the doers of good:
KHALIFA: “You have believed the dream.” We thus reward the righteous.
১০৫। ” তুমি তোমার স্বপ্নাদেশ সত্যই পূর্ণ করলে।” – যারা সৎকাজ করে , এভাবেই আমি তাদের পুরষ্কৃত করে থাকি।
১০৬। নিশ্চয়ই এটা ছিলো এক সুস্পষ্ট পরীক্ষা।
১০৭। আমি তাকে গুরুত্বপূর্ণ কোরবাণী মুক্তিপণের বিনিময়ে মুক্ত করলাম ৪১০৩।
৪১০৩। ‘Azim’- মহান, মহৎ, অতি গুরুত্বপূর্ণ ইত্যাদি। কোরবানীর পূর্বে এই বিশেষণটি প্রয়োগ করা হয়েছে। এর আক্ষরিক ও আলংকারিক উভয় অর্থই এখানে প্রযোজ্য। আক্ষরিক অর্থে তা হবে সুন্দর একটি ভেড়া বা ছাগল দ্বারা ইসমাঈলকে মুক্ত করা হয়। আলংকারিক বা গভীর অর্থ আরও গুরুত্বপূর্ণ ও দার্শনিক ভাবধারায় সমৃদ্ধ। আল্লাহ্ তার দুই পূণ্যাত্মা বান্দাকে আল্লাহ্র উদ্দেশ্যে নিবেদনের জন্য তাদের একই সুরের ঐকতানে আবদ্ধ করে দেন। কোরবানীর আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে তারা দুজনে একশ্রেণীভুক্ত হন – যারা শুধুমাত্র আল্লাহ্র সেবায় নিজেদের আত্মত্যাগ করেন। তাদের জীবনে আল্লাহ্র অবস্থান সর্বোচ্চ।
আয়াতঃ 037.106
নিশ্চয় এটা এক সুস্পষ্ট পরীক্ষা।
For this was obviously a trial-
إِنَّ هَذَا لَهُوَ الْبَلَاء الْمُبِينُ
Inna hatha lahuwa albalao almubeenu
YUSUFALI: For this was obviously a trial-
PICKTHAL: Lo! that verily was a clear test.
SHAKIR: Most surely this is a manifest trial.
KHALIFA: That was an exacting test indeed.
১০৫। ” তুমি তোমার স্বপ্নাদেশ সত্যই পূর্ণ করলে।” – যারা সৎকাজ করে , এভাবেই আমি তাদের পুরষ্কৃত করে থাকি।
১০৬। নিশ্চয়ই এটা ছিলো এক সুস্পষ্ট পরীক্ষা।
১০৭। আমি তাকে গুরুত্বপূর্ণ কোরবাণী মুক্তিপণের বিনিময়ে মুক্ত করলাম ৪১০৩।
৪১০৩। ‘Azim’- মহান, মহৎ, অতি গুরুত্বপূর্ণ ইত্যাদি। কোরবানীর পূর্বে এই বিশেষণটি প্রয়োগ করা হয়েছে। এর আক্ষরিক ও আলংকারিক উভয় অর্থই এখানে প্রযোজ্য। আক্ষরিক অর্থে তা হবে সুন্দর একটি ভেড়া বা ছাগল দ্বারা ইসমাঈলকে মুক্ত করা হয়। আলংকারিক বা গভীর অর্থ আরও গুরুত্বপূর্ণ ও দার্শনিক ভাবধারায় সমৃদ্ধ। আল্লাহ্ তার দুই পূণ্যাত্মা বান্দাকে আল্লাহ্র উদ্দেশ্যে নিবেদনের জন্য তাদের একই সুরের ঐকতানে আবদ্ধ করে দেন। কোরবানীর আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে তারা দুজনে একশ্রেণীভুক্ত হন – যারা শুধুমাত্র আল্লাহ্র সেবায় নিজেদের আত্মত্যাগ করেন। তাদের জীবনে আল্লাহ্র অবস্থান সর্বোচ্চ।
আয়াতঃ 037.107
আমি তার পরিবর্তে দিলাম যবেহ করার জন্যে এক মহান জন্তু।
And We ransomed him with a momentous sacrifice:
وَفَدَيْنَاهُ بِذِبْحٍ عَظِيمٍ
Wafadaynahu bithibhin AAatheemin
YUSUFALI: And We ransomed him with a momentous sacrifice:
PICKTHAL: Then We ransomed him with a tremendous victim.
SHAKIR: And We ransomed him with a Feat sacrifice.
KHALIFA: We ransomed (Ismail) by substituting an animal sacrifice.
১০৫। ” তুমি তোমার স্বপ্নাদেশ সত্যই পূর্ণ করলে।” – যারা সৎকাজ করে , এভাবেই আমি তাদের পুরষ্কৃত করে থাকি।
১০৬। নিশ্চয়ই এটা ছিলো এক সুস্পষ্ট পরীক্ষা।
১০৭। আমি তাকে গুরুত্বপূর্ণ কোরবাণী মুক্তিপণের বিনিময়ে মুক্ত করলাম ৪১০৩।
৪১০৩। ‘Azim’- মহান, মহৎ, অতি গুরুত্বপূর্ণ ইত্যাদি। কোরবানীর পূর্বে এই বিশেষণটি প্রয়োগ করা হয়েছে। এর আক্ষরিক ও আলংকারিক উভয় অর্থই এখানে প্রযোজ্য। আক্ষরিক অর্থে তা হবে সুন্দর একটি ভেড়া বা ছাগল দ্বারা ইসমাঈলকে মুক্ত করা হয়। আলংকারিক বা গভীর অর্থ আরও গুরুত্বপূর্ণ ও দার্শনিক ভাবধারায় সমৃদ্ধ। আল্লাহ্ তার দুই পূণ্যাত্মা বান্দাকে আল্লাহ্র উদ্দেশ্যে নিবেদনের জন্য তাদের একই সুরের ঐকতানে আবদ্ধ করে দেন। কোরবানীর আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে তারা দুজনে একশ্রেণীভুক্ত হন – যারা শুধুমাত্র আল্লাহ্র সেবায় নিজেদের আত্মত্যাগ করেন। তাদের জীবনে আল্লাহ্র অবস্থান সর্বোচ্চ।
আয়াতঃ 037.108
আমি তার জন্যে এ বিষয়টি পরবর্তীদের মধ্যে রেখে দিয়েছি যে,
And We left (this blessing) for him among generations (to come) in later times:
وَتَرَكْنَا عَلَيْهِ فِي الْآخِرِينَ
Watarakna AAalayhi fee al-akhireena
YUSUFALI: And We left (this blessing) for him among generations (to come) in later times:
PICKTHAL: And We left for him among the later folk (the salutation):
SHAKIR: And We perpetuated (praise) to him among the later generations.
KHALIFA: And we preserved his history for subsequent generations.
১০৮। এবং আমি পরবর্তী প্রজন্মের মধ্য তাঁর জন্য [ এই কল্যাণ ] রেখেছি ; ৪১০৪
৪১০৪। দেখুন পূর্বের আয়াত [ ৩৭ : ৭৮-৮১ ] ও টিকা ৩০৮৩। ঈদ-উল- আযহাতে কুরবানী করার রীতি প্রবর্তন করে।
আয়াতঃ 037.109
ইব্রাহীমের প্রতি সালাম বর্ষিত হোক।
“Peace and salutation to Abraham!”
سَلَامٌ عَلَى إِبْرَاهِيمَ
Salamun AAala ibraheema
YUSUFALI: “Peace and salutation to Abraham!”
PICKTHAL: Peace be unto Abraham!
SHAKIR: Peace be on Ibrahim.
KHALIFA: Peace be upon Abraham.
১০৯। ” ইব্রাহীমের উপরে শান্তির সম্ভাষণ বর্ষিত হোক।”
১১০। যারা সৎকাজ করে তাদের আমি এভাবেই পুরষ্কৃত করে থাকি;
১১১। কারণ সে ছিলো আমার মোমেন বান্দাদের একজন।
১১২। এবং আমি তাঁকে ইস্হাকের শুভ সংবাদ দিলাম যে হবে নবী ও পূণ্যাত্মাদের একজন ৪১০৫।
৪১০৫। ইসাহাক ছিলেন হযরত ইব্রাহীমের দ্বিতীয় সন্তান সারার গর্ভে তাঁর জন্ম। সে সময়ে ইব্রাহীমের বয়স ছিলো ১০০ বৎসর। দেখুন টিকা ৪১০১। ইসাহাকও ছিলেন আল্লাহ্র আর্শীবাদ ধন্য – তারই বংশধরেরা হচ্ছে ইহুদীরা দেখুন পরবর্তী টিকা।
আয়াতঃ 037.110
এমনিভাবে আমি সৎকর্মীদেরকে প্রতিদান দিয়ে থাকি।
Thus indeed do We reward those who do right.
كَذَلِكَ نَجْزِي الْمُحْسِنِينَ
Kathalika najzee almuhsineena
YUSUFALI: Thus indeed do We reward those who do right.
PICKTHAL: Thus do We reward the good.
SHAKIR: Thus do We reward the doers of good.
KHALIFA: We thus reward the righteous.
১০৯। ” ইব্রাহীমের উপরে শান্তির সম্ভাষণ বর্ষিত হোক।”
১১০। যারা সৎকাজ করে তাদের আমি এভাবেই পুরষ্কৃত করে থাকি;
১১১। কারণ সে ছিলো আমার মোমেন বান্দাদের একজন।
১১২। এবং আমি তাঁকে ইস্হাকের শুভ সংবাদ দিলাম যে হবে নবী ও পূণ্যাত্মাদের একজন ৪১০৫।
৪১০৫। ইসাহাক ছিলেন হযরত ইব্রাহীমের দ্বিতীয় সন্তান সারার গর্ভে তাঁর জন্ম। সে সময়ে ইব্রাহীমের বয়স ছিলো ১০০ বৎসর। দেখুন টিকা ৪১০১। ইসাহাকও ছিলেন আল্লাহ্র আর্শীবাদ ধন্য – তারই বংশধরেরা হচ্ছে ইহুদীরা দেখুন পরবর্তী টিকা।
আয়াতঃ 037.111
সে ছিল আমার বিশ্বাসী বান্দাদের একজন।
For he was one of our believing Servants.
إِنَّهُ مِنْ عِبَادِنَا الْمُؤْمِنِينَ
Innahu min AAibadina almu/mineena
YUSUFALI: For he was one of our believing Servants.
PICKTHAL: Lo! he is one of Our believing slaves.
SHAKIR: Surely he was one of Our believing servants.
KHALIFA: He is one of our believing servants.
১০৯। ” ইব্রাহীমের উপরে শান্তির সম্ভাষণ বর্ষিত হোক।”
১১০। যারা সৎকাজ করে তাদের আমি এভাবেই পুরষ্কৃত করে থাকি;
১১১। কারণ সে ছিলো আমার মোমেন বান্দাদের একজন।
১১২। এবং আমি তাঁকে ইস্হাকের শুভ সংবাদ দিলাম যে হবে নবী ও পূণ্যাত্মাদের একজন ৪১০৫।
৪১০৫। ইসাহাক ছিলেন হযরত ইব্রাহীমের দ্বিতীয় সন্তান সারার গর্ভে তাঁর জন্ম। সে সময়ে ইব্রাহীমের বয়স ছিলো ১০০ বৎসর। দেখুন টিকা ৪১০১। ইসাহাকও ছিলেন আল্লাহ্র আর্শীবাদ ধন্য – তারই বংশধরেরা হচ্ছে ইহুদীরা দেখুন পরবর্তী টিকা।
আয়াতঃ 037.112
আমি তাকে সুসংবাদ দিয়েছি ইসহাকের, সে সৎকর্মীদের মধ্য থেকে একজন নবী।
And We gave him the good news of Isaac – a prophet,- one of the Righteous.
وَبَشَّرْنَاهُ بِإِسْحَقَ نَبِيًّا مِّنَ الصَّالِحِينَ
Wabashsharnahu bi-ishaqa nabiyyan mina alssaliheena
YUSUFALI: And We gave him the good news of Isaac – a prophet,- one of the Righteous.
PICKTHAL: And we gave him tidings of the birth of Isaac, a prophet of the righteous.
SHAKIR: And We gave him the good news of Ishaq, a prophet among the good ones.
KHALIFA: Then we gave him the good news about the birth of Isaac, to be one of the righteous prophets.
১০৯। ” ইব্রাহীমের উপরে শান্তির সম্ভাষণ বর্ষিত হোক।”
১১০। যারা সৎকাজ করে তাদের আমি এভাবেই পুরষ্কৃত করে থাকি;
১১১। কারণ সে ছিলো আমার মোমেন বান্দাদের একজন।
১১২। এবং আমি তাঁকে ইস্হাকের শুভ সংবাদ দিলাম যে হবে নবী ও পূণ্যাত্মাদের একজন ৪১০৫।
৪১০৫। ইসাহাক ছিলেন হযরত ইব্রাহীমের দ্বিতীয় সন্তান সারার গর্ভে তাঁর জন্ম। সে সময়ে ইব্রাহীমের বয়স ছিলো ১০০ বৎসর। দেখুন টিকা ৪১০১। ইসাহাকও ছিলেন আল্লাহ্র আর্শীবাদ ধন্য – তারই বংশধরেরা হচ্ছে ইহুদীরা দেখুন পরবর্তী টিকা।
আয়াতঃ 037.113
তাকে এবং ইসহাককে আমি বরকত দান করেছি। তাদের বংশধরদের মধ্যে কতক সৎকর্মী এবং কতক নিজেদের উপর স্পষ্ট জুলুমকারী।
We blessed him and Isaac: but of their progeny are (some) that do right, and (some) that obviously do wrong, to their own souls.
وَبَارَكْنَا عَلَيْهِ وَعَلَى إِسْحَقَ وَمِن ذُرِّيَّتِهِمَا مُحْسِنٌ وَظَالِمٌ لِّنَفْسِهِ مُبِينٌ
Wabarakna AAalayhi waAAala ishaqa wamin thurriyyatihima muhsinun wathalimun linafsihi mubeenun
YUSUFALI: We blessed him and Isaac: but of their progeny are (some) that do right, and (some) that obviously do wrong, to their own souls.
PICKTHAL: And We blessed him and Isaac. And of their seed are some who do good, and some who plainly wrong themselves.
SHAKIR: And We showered Our blessings on him and on Ishaq; and of their offspring are the doers of good, and (also) those who are clearly unjust to their own souls.
KHALIFA: We blessed him and Isaac. Among their descendants, some are righteous, and some are wicked transgressors.
১১৩। আমি তাঁকে এবং ইস্হাককে কল্যাণ দান করেছিলাম। তাদের পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে [ কতক ] ছিলো সৎকর্মশীল এবং [ কতক ] নিজেদের আত্মার প্রতি স্পষ্ট অত্যাচার করেছিলো ৪১০৬।
৪১০৬। যতদিন ইসরাঈলী বা ইহুদীরা আল্লাহ্র পতাকা ধারণ করে ছিলো অর্থাৎ আল্লাহ্র প্রদত্ত বিধানে জীবন যাপন করতো ততদিন তারা আল্লাহ্র আর্শীবাদ লাভ করেছে, ইসরাঈলীদের ইতিহাস এ কথার সাক্ষ্য দেয়। যখন তারা আল্লাহ্র রাস্তা থেকে বিচ্যুত হয়, তখন তারা আল্লাহ্র অনুগ্রহ বঞ্চিত হয় ফলে তাদের পতন ঘটে। তাদের পতন আল্লাহ্র পরিকল্পনা ব্যহত করতে পারে নাই। বিভিন্ন ভাবে আল্লাহ্র পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হবেই। তারা শুধু তাদের আত্মাকেই ধ্বংস করে পরিণামে নিজেদের ধ্বংস ডেকে আনে।
উপদেশ : পৃথিবীর সকল জাতির জন্য এ এক অমূল্য উপদেশ।
আয়াতঃ 037.114
আমি অনুগ্রহ করেছিলাম মূসা ও হারুনের প্রতি।
Again (of old) We bestowed Our favour on Moses and Aaron,
وَلَقَدْ مَنَنَّا عَلَى مُوسَى وَهَارُونَ
Walaqad mananna AAala moosa waharoona
YUSUFALI: Again (of old) We bestowed Our favour on Moses and Aaron,
PICKTHAL: And We verily gave grace unto Moses and Aaron,
SHAKIR: And certainly We conferred a favor on Musa and Haroun.
KHALIFA: We also blessed Moses and Aaron.
রুকু – ৪
১১৪। [ প্রাচীন কালে ] আমি আমার অনুগ্রহ দান করেছিলাম মুসা ও হারুণের প্রতি ৪১০৭।
৪১০৭। বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে কোরাণ শরীফে হযরত মুসার কাহিনী বর্ণনা করা হয়েছে। বর্তমান সূরার প্রেক্ষাপট বিশদ বর্ণনা করা হয়েছে [ ২৮ : ৪ ] আয়াতে , যেখানে বর্ণনার বিষয়বস্তু হচ্ছে মিশরে ইসরাঈলীদের উপরে অত্যাচারের কাহিনী। এবং [ ২০ : ৭৭-৭৯ ] আয়াতে বর্ণনা করা হয়েছে ইসরাঈলীদের শত্রুদের উপরে বিজয়ের কাহিনী যখন তাদের শত্রুরা লোহিত সাগরে নিমজ্জিত হয়ে যায়।
আয়াতঃ 037.115
তাদেরকে ও তাদের সম্প্রদায়কে উদ্ধার করেছি মহা সংকট থেকে।
And We delivered them and their people from (their) Great Calamity;
وَنَجَّيْنَاهُمَا وَقَوْمَهُمَا مِنَ الْكَرْبِ الْعَظِيمِ
Wanajjaynahuma waqawmahuma mina alkarbi alAAatheemi
YUSUFALI: And We delivered them and their people from (their) Great Calamity;
PICKTHAL: And saved them and their people from the great distress,
SHAKIR: And We delivered them both and their people from the mighty distress.
KHALIFA: We delivered them and their people from the great disaster.
১১৫। এবং আমি তাঁদের, এবং তাঁদের সম্প্রদায়কে মহাবিপর্যয় থেকে উদ্ধার করেছিলাম ; ৪১০৮
৪১০৮। মিশরে ইসরাঈলীদের উপরে যে নিমর্ম অত্যাচার চলছিলো তা বর্ণনাতীত। দাসত্বের শৃঙ্খলে তারা ছিলো আবদ্ধ ; তাদের ছেলে সন্তানদের হত্যা করা হতো , এবং মিশরবাসীদের ভোগের জন্য তাদের মেয়ে সন্তানকে জীবিত রাখা হতো।
আয়াতঃ 037.116
আমি তাদেরকে সাহায্য করেছিলাম, ফলে তারাই ছিল বিজয়ী।
And We helped them, so they overcame (their troubles);
وَنَصَرْنَاهُمْ فَكَانُوا هُمُ الْغَالِبِينَ
Wanasarnahum fakanoo humu alghalibeena
YUSUFALI: And We helped them, so they overcame (their troubles);
PICKTHAL: And helped them so that they became the victors.
SHAKIR: And We helped them, so they were the vanquishers.
KHALIFA: We supported them, until they became the winners.
১১৬। এবং আমি তাদের সাহায্য করেছিলাম ,সুতারাং তারা [ বিপর্যয়কে ] জয় করেছিলো ; ৪১০৯।
৪১০৯। ইসরাঈলীদের মুক্তির তিনটি ধাপকে সংক্ষেপে ১১৪, ১১৫, এবং ১১৬ আয়াতগুলির মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে। কিন্তু আয়াত [ ১১৭ – ১১৮ ] তে বর্ণনা করা হয়েছে তাদের প্রতি আল্লাহ্র অনুগ্রহ পরিপূর্ণ করার বিবরণ। তাদের আল্লাহ্ প্রত্যাদেশ বা কিতাব দান করেন ; যার সাহায্যে তারা সঠিক পথে পরিচালিত হতে পারে। ততদিনই তারা সঠিক সরল পথে থাকবে যতদিন তারা আল্লাহ্ প্রদত্ত কর্মবিধি মেনে চলবে। যে তিনটি ধাপের উল্লেখ এখানে করা হয়েছে সেগুলি হলো : ১) হযরত মুসা ও হারুনকে ঐশ্বরিক দায়িত্ব প্রদান, ২) ইসরাঈলীদের মিশরের দাসত্ব থেকে মুক্তি দান; ৩) এবং তাঁদের লোহিত সাগর অতিক্রম করতে সাহায্য করা ও ফেরাউনের সেনাবাহিনীর সাথে ফেরাউনের ধ্বংসের মাধ্যমে।
আয়াতঃ 037.117
আমি উভয়কে দিয়েছিলাম সুস্পষ্ট কিতাব।
And We gave them the Book which helps to make things clear;
وَآتَيْنَاهُمَا الْكِتَابَ الْمُسْتَبِينَ
Waataynahuma alkitaba almustabeena
YUSUFALI: And We gave them the Book which helps to make things clear;
PICKTHAL: And We gave them the clear Scripture
SHAKIR: And We gave them both the Book that made (things) clear.
KHALIFA: We gave both of them the profound scripture.
১১৭। এবং আমি তাদের কিতাব দিয়েছিলাম যা বিষয় বস্তুকে সহজ করতে সাহায্য করেছিলো ৪১১০।
৪১১০। এই আয়াতটি ইংরেজীতে অনুবাদ করা হয়েছে এভাবে [ ৩৭ : ১১৭ ] “And We gave them the Book which helps to make things clear” মওলানা ইউসুফ আলী সাহেব অনুবাদ করেছেন। “Mustabin”শব্দটি “Mubin”শব্দ থেকে আলাদা ভাবে অনুবাদ করেছেন। “Mustabin”শব্দটি অনুবাদ করা হয়েছে, “Which helps to make things clear” অপর পক্ষে “Mubin”শব্দটি অনুবাদ করেছেন “which makes things clear” যে বিবরণটি তওরাত ও কোরাণের প্রতি প্রযোজ্য হয়েছে।
আয়াতঃ 037.118
এবং তাদেরকে সরল পথ প্রদর্শন করেছিলাম।
And We guided them to the Straight Way.
وَهَدَيْنَاهُمَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيمَ
Wahadaynahuma alssirata almustaqeema
YUSUFALI: And We guided them to the Straight Way.
PICKTHAL: And showed them the right path.
SHAKIR: And We guided them both on the right way.
KHALIFA: We guided them in the right path.
১১৮। এবং আমি তাদের সরল পথে পরিচালিত করেছিলাম।
১১৯। এবং আমি পরবর্তী প্রজন্মের মধ্য তাঁদের জন্য [ এই কল্যাণ ] রেখেছি ; ৪১১১
৪১১১। দেখুন পূর্বের আয়াত [ ৩৭ : ৭৮-৮১] এবং টিকা ৪০৮৩।
আয়াতঃ 037.119
আমি তাদের জন্যে পরবর্তীদের মধ্যে এ বিষয় রেখে দিয়েছি যে,
And We left (this blessing) for them among generations (to come) in later times:
وَتَرَكْنَا عَلَيْهِمَا فِي الْآخِرِينَ
Watarakna AAalayhima fee al-akhireena
YUSUFALI: And We left (this blessing) for them among generations (to come) in later times:
PICKTHAL: And We left for them among the later folk (the salutation):
SHAKIR: And We perpetuated (praise) to them among the later generations.
KHALIFA: We preserved their history for subsequent generations.
১১৮। এবং আমি তাদের সরল পথে পরিচালিত করেছিলাম।
১১৯। এবং আমি পরবর্তী প্রজন্মের মধ্য তাঁদের জন্য [ এই কল্যাণ ] রেখেছি ; ৪১১১
৪১১১। দেখুন পূর্বের আয়াত [ ৩৭ : ৭৮-৮১] এবং টিকা ৪০৮৩।
আয়াতঃ 037.120
মূসা ও হারুনের প্রতি সালাম বর্ষিত হোক।
“Peace and salutation to Moses and Aaron!”
سَلَامٌ عَلَى مُوسَى وَهَارُونَ
Salamun AAala moosa waharoona
YUSUFALI: “Peace and salutation to Moses and Aaron!”
PICKTHAL: Peace be unto Moses and Aaron!
SHAKIR: Peace be on Musa and Haroun.
KHALIFA: Peace be upon Moses and Aaron.
১২০। ” মুসা এবং হারূণের উপরে শান্তির সম্ভাষণ বর্ষিত হোক।”
১২১। যারা সৎকাজ করে থাকে তাদের আমি এ ভাবেই পুরষ্কৃত করে থাকি।
১২২। নিশ্চয় তারা আমার মোমেন বান্দাদের অন্তর্গত ছিলো।
১২৩। আমার প্রেরিত [ রাসুলদের ] মধ্যে ইলিয়াসও ছিলো একজন ৪১১২।
৪১১২। দেখুন আয়াত [ ৬ : ৮৬ ] এবং টিকা ৯০৫। ইলিয়াস ও ইলাইজাহ্ একই ব্যক্তি। ওল্ড টেস্টামেন্টে [1Kings xvii –xix , এবং 2 King i-ii ] বর্ণনা করা হয়েছে ইলাইজাহ্ [Elijah] এর কাহিনী। Ahab [BC 896-874 ] ও Ahaziah [BC 874-872] নামক রাজন্যদ্বয় ইসরাঈলীদের [ উত্তর] রাজত্বের রাজা ছিলেন। ইলিয়াস বা ইলাইজাহ্ এদের রাজত্বকালের বাস করতেন। তিনি জন দ্য বাপটিষ্ঠের মতো মরুভূমির অধিবাসীদের নবী ছিলেন। আহাব এবং আজারিয়া উভয়েই স্বধর্মচ্যুত হওয়া আশংকা ছিলো , কারণ সেখানের অধিবাসীরা ধর্মচ্যুত হয়ে বা’আলের পুঁজা করতো এবং এই পূঁজার দেবতা ছিলো সূর্য দেবতা। তাদের আরও উপাসনার পাত্র ছিলো প্রকৃতির শক্তির এবং প্রজনন শক্তির উপাসনা যেমন হিন্দুরা শিবলিঙ্গের পূঁজা করে থাকে। যার ফলে নানা ধরণের অপব্যবহার ও অন্যায় সংঘটিত হতো। রাজা আহাব সিত্নের রাজকুমারী জেজেবেলকে বিবাহ করেন। সে ছিলো এক দুষ্ট প্রকৃতির রমণী, যে তার স্বামীকে কুপথে পরিচালনা করে এবং আল্লাহ্র পরিবর্তে বা’আলের উপাসনাতে অনুপ্রাণীত করে। ইলাইজা বা ইলিয়াস আহাব এবং আহাজিয়ার পাপ উপাস্যদের অস্বীকার করেন। ফলে তাকে প্রাণভয়ে পলায়ন করতে হয়। ওল্ড টেস্টামেন্ট এর ভাষ্য মতে তাঁকে আগুনের রথে স্বর্গে তুলে নেয়া হয়।
আয়াতঃ 037.121
এভাবে আমি সৎকর্মীদেরকে প্রতিদান দিয়ে থাকি।
Thus indeed do We reward those who do right.
إِنَّا كَذَلِكَ نَجْزِي الْمُحْسِنِينَ
Inna kathalika najzee almuhsineena
YUSUFALI: Thus indeed do We reward those who do right.
PICKTHAL: Lo! thus do We reward the good.
SHAKIR: Even thus do We reward the doers of good.
KHALIFA: We thus reward the righteous.
১২০। ” মুসা এবং হারূণের উপরে শান্তির সম্ভাষণ বর্ষিত হোক।”
১২১। যারা সৎকাজ করে থাকে তাদের আমি এ ভাবেই পুরষ্কৃত করে থাকি।
১২২। নিশ্চয় তারা আমার মোমেন বান্দাদের অন্তর্গত ছিলো।
১২৩। আমার প্রেরিত [ রাসুলদের ] মধ্যে ইলিয়াসও ছিলো একজন ৪১১২।
৪১১২। দেখুন আয়াত [ ৬ : ৮৬ ] এবং টিকা ৯০৫। ইলিয়াস ও ইলাইজাহ্ একই ব্যক্তি। ওল্ড টেস্টামেন্টে [1Kings xvii –xix , এবং 2 King i-ii ] বর্ণনা করা হয়েছে ইলাইজাহ্ [Elijah] এর কাহিনী। Ahab [BC 896-874 ] ও Ahaziah [BC 874-872] নামক রাজন্যদ্বয় ইসরাঈলীদের [ উত্তর] রাজত্বের রাজা ছিলেন। ইলিয়াস বা ইলাইজাহ্ এদের রাজত্বকালের বাস করতেন। তিনি জন দ্য বাপটিষ্ঠের মতো মরুভূমির অধিবাসীদের নবী ছিলেন। আহাব এবং আজারিয়া উভয়েই স্বধর্মচ্যুত হওয়া আশংকা ছিলো , কারণ সেখানের অধিবাসীরা ধর্মচ্যুত হয়ে বা’আলের পুঁজা করতো এবং এই পূঁজার দেবতা ছিলো সূর্য দেবতা। তাদের আরও উপাসনার পাত্র ছিলো প্রকৃতির শক্তির এবং প্রজনন শক্তির উপাসনা যেমন হিন্দুরা শিবলিঙ্গের পূঁজা করে থাকে। যার ফলে নানা ধরণের অপব্যবহার ও অন্যায় সংঘটিত হতো। রাজা আহাব সিত্নের রাজকুমারী জেজেবেলকে বিবাহ করেন। সে ছিলো এক দুষ্ট প্রকৃতির রমণী, যে তার স্বামীকে কুপথে পরিচালনা করে এবং আল্লাহ্র পরিবর্তে বা’আলের উপাসনাতে অনুপ্রাণীত করে। ইলাইজা বা ইলিয়াস আহাব এবং আহাজিয়ার পাপ উপাস্যদের অস্বীকার করেন। ফলে তাকে প্রাণভয়ে পলায়ন করতে হয়। ওল্ড টেস্টামেন্ট এর ভাষ্য মতে তাঁকে আগুনের রথে স্বর্গে তুলে নেয়া হয়।
আয়াতঃ 037.122
তারা উভয়েই ছিল আমার বিশ্বাসী বান্দাদের অন্যতম।
For they were two of our believing Servants.
إِنَّهُمَا مِنْ عِبَادِنَا الْمُؤْمِنِينَ
Innahuma min AAibadina almu/mineena
YUSUFALI: For they were two of our believing Servants. PICKTHAL: Lo! they are two of Our believing slaves.
SHAKIR: Surely they were both of Our believing servants.
KHALIFA: Both of them were among our righteous servants.
১২০। ” মুসা এবং হারূণের উপরে শান্তির সম্ভাষণ বর্ষিত হোক।”
১২১। যারা সৎকাজ করে থাকে তাদের আমি এ ভাবেই পুরষ্কৃত করে থাকি।
১২২। নিশ্চয় তারা আমার মোমেন বান্দাদের অন্তর্গত ছিলো।
১২৩। আমার প্রেরিত [ রাসুলদের ] মধ্যে ইলিয়াসও ছিলো একজন ৪১১২।
৪১১২। দেখুন আয়াত [ ৬ : ৮৬ ] এবং টিকা ৯০৫। ইলিয়াস ও ইলাইজাহ্ একই ব্যক্তি। ওল্ড টেস্টামেন্টে [1Kings xvii –xix , এবং 2 King i-ii ] বর্ণনা করা হয়েছে ইলাইজাহ্ [Elijah] এর কাহিনী। Ahab [BC 896-874 ] ও Ahaziah [BC 874-872] নামক রাজন্যদ্বয় ইসরাঈলীদের [ উত্তর] রাজত্বের রাজা ছিলেন। ইলিয়াস বা ইলাইজাহ্ এদের রাজত্বকালের বাস করতেন। তিনি জন দ্য বাপটিষ্ঠের মতো মরুভূমির অধিবাসীদের নবী ছিলেন। আহাব এবং আজারিয়া উভয়েই স্বধর্মচ্যুত হওয়া আশংকা ছিলো , কারণ সেখানের অধিবাসীরা ধর্মচ্যুত হয়ে বা’আলের পুঁজা করতো এবং এই পূঁজার দেবতা ছিলো সূর্য দেবতা। তাদের আরও উপাসনার পাত্র ছিলো প্রকৃতির শক্তির এবং প্রজনন শক্তির উপাসনা যেমন হিন্দুরা শিবলিঙ্গের পূঁজা করে থাকে। যার ফলে নানা ধরণের অপব্যবহার ও অন্যায় সংঘটিত হতো। রাজা আহাব সিত্নের রাজকুমারী জেজেবেলকে বিবাহ করেন। সে ছিলো এক দুষ্ট প্রকৃতির রমণী, যে তার স্বামীকে কুপথে পরিচালনা করে এবং আল্লাহ্র পরিবর্তে বা’আলের উপাসনাতে অনুপ্রাণীত করে। ইলাইজা বা ইলিয়াস আহাব এবং আহাজিয়ার পাপ উপাস্যদের অস্বীকার করেন। ফলে তাকে প্রাণভয়ে পলায়ন করতে হয়। ওল্ড টেস্টামেন্ট এর ভাষ্য মতে তাঁকে আগুনের রথে স্বর্গে তুলে নেয়া হয়।
আয়াতঃ 037.123
নিশ্চয়ই ইলিয়াস ছিল রসূল।
So also was Elias among those sent (by Us).
وَإِنَّ إِلْيَاسَ لَمِنْ الْمُرْسَلِينَ
Wa-inna ilyasa lamina almursaleena
YUSUFALI: So also was Elias among those sent (by Us).
PICKTHAL: And lo! Elias was of those sent (to warn),
SHAKIR: And Ilyas was most surely of the messengers.
KHALIFA: Elias was one of the messengers.
১২০। ” মুসা এবং হারূণের উপরে শান্তির সম্ভাষণ বর্ষিত হোক।”
১২১। যারা সৎকাজ করে থাকে তাদের আমি এ ভাবেই পুরষ্কৃত করে থাকি।
১২২। নিশ্চয় তারা আমার মোমেন বান্দাদের অন্তর্গত ছিলো।
১২৩। আমার প্রেরিত [ রাসুলদের ] মধ্যে ইলিয়াসও ছিলো একজন ৪১১২।
৪১১২। দেখুন আয়াত [ ৬ : ৮৬ ] এবং টিকা ৯০৫। ইলিয়াস ও ইলাইজাহ্ একই ব্যক্তি। ওল্ড টেস্টামেন্টে [1Kings xvii –xix , এবং 2 King i-ii ] বর্ণনা করা হয়েছে ইলাইজাহ্ [Elijah] এর কাহিনী। Ahab [BC 896-874 ] ও Ahaziah [BC 874-872] নামক রাজন্যদ্বয় ইসরাঈলীদের [ উত্তর] রাজত্বের রাজা ছিলেন। ইলিয়াস বা ইলাইজাহ্ এদের রাজত্বকালের বাস করতেন। তিনি জন দ্য বাপটিষ্ঠের মতো মরুভূমির অধিবাসীদের নবী ছিলেন। আহাব এবং আজারিয়া উভয়েই স্বধর্মচ্যুত হওয়া আশংকা ছিলো , কারণ সেখানের অধিবাসীরা ধর্মচ্যুত হয়ে বা’আলের পুঁজা করতো এবং এই পূঁজার দেবতা ছিলো সূর্য দেবতা। তাদের আরও উপাসনার পাত্র ছিলো প্রকৃতির শক্তির এবং প্রজনন শক্তির উপাসনা যেমন হিন্দুরা শিবলিঙ্গের পূঁজা করে থাকে। যার ফলে নানা ধরণের অপব্যবহার ও অন্যায় সংঘটিত হতো। রাজা আহাব সিত্নের রাজকুমারী জেজেবেলকে বিবাহ করেন। সে ছিলো এক দুষ্ট প্রকৃতির রমণী, যে তার স্বামীকে কুপথে পরিচালনা করে এবং আল্লাহ্র পরিবর্তে বা’আলের উপাসনাতে অনুপ্রাণীত করে। ইলাইজা বা ইলিয়াস আহাব এবং আহাজিয়ার পাপ উপাস্যদের অস্বীকার করেন। ফলে তাকে প্রাণভয়ে পলায়ন করতে হয়। ওল্ড টেস্টামেন্ট এর ভাষ্য মতে তাঁকে আগুনের রথে স্বর্গে তুলে নেয়া হয়।
আয়াতঃ 037.124
যখন সে তার সম্প্রদায়কে বললঃ তোমরা কি ভয় কর না ?
Behold, he said to his people, “Will ye not fear ((Allah))?
إِذْ قَالَ لِقَوْمِهِ أَلَا تَتَّقُونَ
Ith qala liqawmihi ala tattaqoona
YUSUFALI: Behold, he said to his people, “Will ye not fear (Allah)?
PICKTHAL: When he said unto his folk: Will ye not ward off (evil)?
SHAKIR: When he said to his people: Do you not guard (against evil)?
KHALIFA: He said to his people, “Would you not work righteousness?
১২৪। [ স্মরণ কর ] সে তার সম্প্রদায়কে বলেছিলো , ” তোমরা কি [ আল্লাহ্কে ] ভয় করবে না ?
১২৫। ” তোমরা কি বা’আলকে ডাকবে এবং পরিত্যাগ করবে শ্রেষ্ঠ স্রষ্টাকে, – ৪১১৩
৪১১৩। বা’আলের সম্বন্ধে দেখুন পূর্বের টিকা।
আয়াতঃ 037.125
তোমরা কি বা’আল দেবতার এবাদত করবে এবং সর্বোত্তম স্রষ্টাকে পরিত্যাগ করবে।
“Will ye call upon Baal and forsake the Best of Creators,-
أَتَدْعُونَ بَعْلًا وَتَذَرُونَ أَحْسَنَ الْخَالِقِينَ
AtadAAoona baAAlan watatharoona ahsana alkhaliqeena
YUSUFALI: “Will ye call upon Baal and forsake the Best of Creators,-
PICKTHAL: Will ye cry unto Baal and forsake the Best of creators,
SHAKIR: What! do you call upon Ba’l and forsake the best of the creators,
KHALIFA: “Do you worship a statue, instead of the Supreme Creator?
১২৪। [ স্মরণ কর ] সে তার সম্প্রদায়কে বলেছিলো , ” তোমরা কি [ আল্লাহ্কে ] ভয় করবে না ?
১২৫। ” তোমরা কি বা’আলকে ডাকবে এবং পরিত্যাগ করবে শ্রেষ্ঠ স্রষ্টাকে, – ৪১১৩
৪১১৩। বা’আলের সম্বন্ধে দেখুন পূর্বের টিকা।
আয়াতঃ 037.126
যিনি আল্লাহ তোমাদের পালনকর্তা এবং তোমাদের পূর্বপুরুষদের পালনকর্তা?
“(Allah), your Lord and Cherisher and the Lord and Cherisher of your fathers of old?”
وَاللَّهَ رَبَّكُمْ وَرَبَّ آبَائِكُمُ الْأَوَّلِينَ
Allaha rabbakum warabba aba-ikumu al-awwaleena
YUSUFALI: “Allah, your Lord and Cherisher and the Lord and Cherisher of your fathers of old?”
PICKTHAL: Allah, your Lord and Lord of your forefathers?
SHAKIR: Allah, your Lord and the Lord of your fathers of yore?
KHALIFA: “GOD; your Lord, and the Lord of your forefathers!”
১২৬। ” আল্লাহ্, যিনি তোমাদের প্রভু এবং প্রতিপালক এবং তোমাদের পূর্বপুরুষদের প্রভু এবং প্রতিপালক?”
১২৭। কিন্তু তারা তাকে প্রত্যাখান করলো ৪১১৪ , কাজেই তাদের অবশ্যই [ শাস্তির জন্য ] উপস্থিত করা হবে। –
৪১১৪। অবিশ্বাসীরা ইলিয়াসকে মিথ্যাবাদী বলেছিলো এবং তার প্রতি অত্যাচার ও নির্যাতন আরম্ভ করে। শেষ পর্যন্ত তিনি রহস্যজনকভাবে অদৃশ্য হয়ে যান। দেখুন টিকা ৪১১২।
আয়াতঃ 037.127
অতঃপর তারা তাকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করল। অতএব তারা অবশ্যই গ্রেফতার হয়ে আসবে।
But they rejected him, and they will certainly be called up (for punishment),-
فَكَذَّبُوهُ فَإِنَّهُمْ لَمُحْضَرُونَ
Fakaththaboohu fa-innahum lamuhdaroona
YUSUFALI: But they rejected him, and they will certainly be called up (for punishment),-
PICKTHAL: But they denied him, so they surely will be haled forth (to the doom)
SHAKIR: But they called him a liar, therefore they shall most surely be brought up.
KHALIFA: They disbelieved him. Consequently, they had to be called to account.
১২৬। ” আল্লাহ্, যিনি তোমাদের প্রভু এবং প্রতিপালক এবং তোমাদের পূর্বপুরুষদের প্রভু এবং প্রতিপালক?”
১২৭। কিন্তু তারা তাকে প্রত্যাখান করলো ৪১১৪ , কাজেই তাদের অবশ্যই [ শাস্তির জন্য ] উপস্থিত করা হবে। –
৪১১৪। অবিশ্বাসীরা ইলিয়াসকে মিথ্যাবাদী বলেছিলো এবং তার প্রতি অত্যাচার ও নির্যাতন আরম্ভ করে। শেষ পর্যন্ত তিনি রহস্যজনকভাবে অদৃশ্য হয়ে যান। দেখুন টিকা ৪১১২।
আয়াতঃ 037.128
কিন্তু আল্লাহ তা’আলার খাঁটি বান্দাগণ নয়।
Except the sincere and devoted Servants of Allah (among them).
إِلَّا عِبَادَ اللَّهِ الْمُخْلَصِينَ
Illa AAibada Allahi almukhlaseena
YUSUFALI: Except the sincere and devoted Servants of Allah (among them).
PICKTHAL: Save single-minded slaves of Allah.
SHAKIR: But not the servants of Allah, the purified ones.
KHALIFA: Only GOD’s servants who are absolutely devoted to Him alone (are saved).
১২৮। তবে আল্লাহ্র একনিষ্ঠ এবং অনুগত বান্দাদের কথা স্বতন্ত্র।
১২৯। এবং আমি পরবর্তী প্রজন্মের মধ্য তাঁর জন্য [ এই কল্যাণ ] রেখেছি ৪১১৫
৪১১৫। দেখুন পূর্বোক্ত আয়াত [ ৩৭ : ৭৮ – ৮১ ] ও টিকা ৪০৮৩।
আয়াতঃ 037.129
আমি তার জন্যে পরবর্তীদের মধ্যে এ বিষয়ে রেখে দিয়েছি যে,
And We left (this blessing) for him among generations (to come) in later times:
وَتَرَكْنَا عَلَيْهِ فِي الْآخِرِينَ
Watarakna AAalayhi fee al-akhireena
YUSUFALI: And We left (this blessing) for him among generations (to come) in later times:
PICKTHAL: And we left for him among the later folk (the salutation):
SHAKIR: And We perpetuated to him (praise) among the later generations.
KHALIFA: We preserved his history for subsequent generations.
১২৮। তবে আল্লাহ্র একনিষ্ঠ এবং অনুগত বান্দাদের কথা স্বতন্ত্র।
১২৯। এবং আমি পরবর্তী প্রজন্মের মধ্য তাঁর জন্য [ এই কল্যাণ ] রেখেছি ৪১১৫
৪১১৫। দেখুন পূর্বোক্ত আয়াত [ ৩৭ : ৭৮ – ৮১ ] ও টিকা ৪০৮৩।
আয়াতঃ 037.130
ইলিয়াসের প্রতি সালাম বর্ষিত হোক!
“Peace and salutation to such as Elias!”
سَلَامٌ عَلَى إِلْ يَاسِينَ
Salamun AAala il yaseena
YUSUFALI: “Peace and salutation to such as Elias!”
PICKTHAL: Peace be unto Elias!
SHAKIR: Peace be on Ilyas.
KHALIFA: Peace be upon Elias, and all those like Elias.
১৩০। ” ইলিয়াসের উপরে শান্তির সম্ভাষণ বর্ষিত হোক।” ৪১১৫-ক
৪১১৫-ক। হযরত ইলিয়াসের আর একটি নাম ইল্য়াসীন।অন্যমতে ইলিয়াসের বহুবচন ইল্য়াসীন অর্থাৎ ইলিয়াস ও তাঁর অনুসারীগণ।
আয়াতঃ 037.131
এভাবেই আমি সৎকর্মীদেরকে প্রতিদান দিয়ে থাকি।
Thus indeed do We reward those who do right.
إِنَّا كَذَلِكَ نَجْزِي الْمُحْسِنِينَ
Inna kathalika najzee almuhsineena
YUSUFALI: Thus indeed do We reward those who do right.
PICKTHAL: Lo! thus do We reward the good.
SHAKIR: Even thus do We reward the doers of good.
KHALIFA: We thus reward the righteous.
১৩১। যারা সৎকাজ করে,তাদের আমি এ ভাবেই পুরষ্কৃত করে থাকি।
১৩২। সে ছিলো আমার মুমিন বান্দাদের অন্যতম।
১৩৩। সেরূপ আমার প্রেরিত [ রাসুলদের ] মধ্যে লূত ছিলো অন্যতম ৪১১৬।
৪১১৬। হযরত লূত সম্বন্ধে পূর্ণ বিবরণ দেয়া হয়েছে আয়াতে [ ৭ : ৮০- ৮৪ ]। মরু সাগর পার্শ্বে সমতল ভূমির শহর সদম ও গোমরাহ্ নগরীতে তাঁকে রাসুলরূপে প্রেরণ করা হয়। সেখানের অধিবাসীদের জঘন্য পাপের বিরুদ্ধে তিনি সর্তক করেন। ফলে অধিবাসীরা তাঁকে অপমান করে এবং নগর থেকে বহিষ্কার করার ভয় দেখায়। কিন্তু আল্লাহ্র অনুগ্রহ তাঁকে এবং তাঁর পরিবারকে রক্ষা করে [ একজন ব্যতীত ]। এর পরে নগরদ্বয়কে ধ্বংস করে দেয়া হয়।
আয়াতঃ 037.132
সে ছিল আমার বিশ্বাসী বান্দাদের অন্তর্ভূক্ত।
For he was one of our believing Servants.
إِنَّهُ مِنْ عِبَادِنَا الْمُؤْمِنِينَ
Innahu min AAibadina almu/mineena
YUSUFALI: For he was one of our believing Servants.
PICKTHAL: Lo! he is one of our believing slaves.
SHAKIR: Surely he was one of Our believing servants.
KHALIFA: He was one of our believing servants.
১৩১। যারা সৎকাজ করে,তাদের আমি এ ভাবেই পুরষ্কৃত করে থাকি।
১৩২। সে ছিলো আমার মুমিন বান্দাদের অন্যতম।
১৩৩। সেরূপ আমার প্রেরিত [ রাসুলদের ] মধ্যে লূত ছিলো অন্যতম ৪১১৬।
৪১১৬। হযরত লূত সম্বন্ধে পূর্ণ বিবরণ দেয়া হয়েছে আয়াতে [ ৭ : ৮০- ৮৪ ]। মরু সাগর পার্শ্বে সমতল ভূমির শহর সদম ও গোমরাহ্ নগরীতে তাঁকে রাসুলরূপে প্রেরণ করা হয়। সেখানের অধিবাসীদের জঘন্য পাপের বিরুদ্ধে তিনি সর্তক করেন। ফলে অধিবাসীরা তাঁকে অপমান করে এবং নগর থেকে বহিষ্কার করার ভয় দেখায়। কিন্তু আল্লাহ্র অনুগ্রহ তাঁকে এবং তাঁর পরিবারকে রক্ষা করে [ একজন ব্যতীত ]। এর পরে নগরদ্বয়কে ধ্বংস করে দেয়া হয়।
আয়াতঃ 037.133
নিশ্চয় লূত ছিলেন রসূলগণের একজন।
So also was Lut among those sent (by Us).
وَإِنَّ لُوطًا لَّمِنَ الْمُرْسَلِينَ
Wa-inna lootan lamina almursaleena
YUSUFALI: So also was Lut among those sent (by Us).
PICKTHAL: And lo! Lot verily was of those sent (to warn).
SHAKIR: And Lut was most surely of the messengers.
KHALIFA: Lot was one of the messengers.
১৩১। যারা সৎকাজ করে,তাদের আমি এ ভাবেই পুরষ্কৃত করে থাকি।
১৩২। সে ছিলো আমার মুমিন বান্দাদের অন্যতম।
১৩৩। সেরূপ আমার প্রেরিত [ রাসুলদের ] মধ্যে লূত ছিলো অন্যতম ৪১১৬।
৪১১৬। হযরত লূত সম্বন্ধে পূর্ণ বিবরণ দেয়া হয়েছে আয়াতে [ ৭ : ৮০- ৮৪ ]। মরু সাগর পার্শ্বে সমতল ভূমির শহর সদম ও গোমরাহ্ নগরীতে তাঁকে রাসুলরূপে প্রেরণ করা হয়। সেখানের অধিবাসীদের জঘন্য পাপের বিরুদ্ধে তিনি সর্তক করেন। ফলে অধিবাসীরা তাঁকে অপমান করে এবং নগর থেকে বহিষ্কার করার ভয় দেখায়। কিন্তু আল্লাহ্র অনুগ্রহ তাঁকে এবং তাঁর পরিবারকে রক্ষা করে [ একজন ব্যতীত ]। এর পরে নগরদ্বয়কে ধ্বংস করে দেয়া হয়।
আয়াতঃ 037.134
যখন আমি তাকেও তার পরিবারের সবাইকে উদ্ধার করেছিলাম;
Behold, We delivered him and his adherents, all
إِذْ نَجَّيْنَاهُ وَأَهْلَهُ أَجْمَعِينَ
Ith najjaynahu waahlahu ajmaAAeena
YUSUFALI: Behold, We delivered him and his adherents, all
PICKTHAL: When We saved him and his household, every one,
SHAKIR: When We delivered him and his followers, all–
KHALIFA: We saved him and all his family.
১৩৪। স্মরণ কর , আমি তাঁকে এবং তাঁর অনুগত সকলকে উদ্ধার করলাম ,
১৩৫। একজন বৃদ্ধা ব্যতীত , সে ছিলো পশ্চাতে অবস্থানকারীদের অর্ন্তভূক্ত ৪১১৭।
৪১১৭। দেখুন আয়াত [ ৭ : ৮৩ ] এবং টিকা ১০৫১। হযরত লূতের পত্নীর তার স্বামীর হেদায়েতে কোনও আস্থা ছিলো না। ফলে সেও অন্যদের সাথে ধ্বংস হয়ে যায়।
আয়াতঃ 037.135
কিন্তু এক বৃদ্ধাকে ছাড়া; সে অন্যান্যদের সঙ্গে থেকে গিয়েছিল।
Except an old woman who was among those who lagged behind:
إِلَّا عَجُوزًا فِي الْغَابِرِينَ
Illa AAajoozan fee alghabireena
YUSUFALI: Except an old woman who was among those who lagged behind:
PICKTHAL: Save an old woman among those who stayed behind;
SHAKIR: Except an old woman (who was) amongst those who tarried.
KHALIFA: Only the old woman was doomed.
১৩৪। স্মরণ কর , আমি তাঁকে এবং তাঁর অনুগত সকলকে উদ্ধার করলাম ,
১৩৫। একজন বৃদ্ধা ব্যতীত , সে ছিলো পশ্চাতে অবস্থানকারীদের অর্ন্তভূক্ত ৪১১৭।
৪১১৭। দেখুন আয়াত [ ৭ : ৮৩ ] এবং টিকা ১০৫১। হযরত লূতের পত্নীর তার স্বামীর হেদায়েতে কোনও আস্থা ছিলো না। ফলে সেও অন্যদের সাথে ধ্বংস হয়ে যায়।
আয়াতঃ 037.136
অতঃপর অবশিষ্টদেরকে আমি সমূলে উৎপাটিত করেছিলাম।
Then We destroyed the rest.
ثُمَّ دَمَّرْنَا الْآخَرِينَ
Thumma dammarna al-akhareena
YUSUFALI: Then We destroyed the rest.
PICKTHAL: Then We destroyed the others.
SHAKIR: Then We destroyed the others.
KHALIFA: We annihilated all the others.
১৩৬। অতঃপর আমি অবশিষ্টদের বিনাশ করলাম।
১৩৭। তোমরা তো তাদের [ সেই স্থানের ] পাশ দিয়ে যাতায়াত কর কখনও সকালে ,৪১১৮
১৩৮। এবং কখনও রাত্রে ; তোমরা কি তবুও অনুধাবন করবে না ?
৪১১৮। দেখুন আয়াত [ ১৫ : ৭৬ ] ও টিকা ১৯৯৮। লূত নবীর সম্প্রদায় যে স্থানে বাস করতো তা সিরিয়ার প্রধান বাণিজ্য পথের ধারে অবস্থিত যেখান দিয়ে রাত্রি ও দিনে অহরহ বাণিজ্য বহর যাতায়াত করে থাকে। চোখের সম্মুখে এরূপ উদাহরণ থাকা সত্বেও কি পরবর্তী প্রজন্মের লোকেরা পাপের পরিণতি সম্পর্কে শিক্ষা গ্রহণ করবে না।
আয়াতঃ 037.137
তোমরা তোমাদের ধ্বংস স্তুপের উপর দিয়ে গমন কর ভোর বেলায়
Verily, ye pass by their (sites), by day-
وَإِنَّكُمْ لَتَمُرُّونَ عَلَيْهِم مُّصْبِحِينَ
Wa-innakum latamurroona AAalayhim musbiheena
YUSUFALI: Verily, ye pass by their (sites), by day-
PICKTHAL: And lo! ye verily pass by (the ruin of) them in the morning
SHAKIR: And most surely you pass by them in the morning,
KHALIFA: You still pass by their ruins by day.
১৩৬। অতঃপর আমি অবশিষ্টদের বিনাশ করলাম।
১৩৭। তোমরা তো তাদের [ সেই স্থানের ] পাশ দিয়ে যাতায়াত কর কখনও সকালে ,৪১১৮
১৩৮। এবং কখনও রাত্রে ; তোমরা কি তবুও অনুধাবন করবে না ?
৪১১৮। দেখুন আয়াত [ ১৫ : ৭৬ ] ও টিকা ১৯৯৮। লূত নবীর সম্প্রদায় যে স্থানে বাস করতো তা সিরিয়ার প্রধান বাণিজ্য পথের ধারে অবস্থিত যেখান দিয়ে রাত্রি ও দিনে অহরহ বাণিজ্য বহর যাতায়াত করে থাকে। চোখের সম্মুখে এরূপ উদাহরণ থাকা সত্বেও কি পরবর্তী প্রজন্মের লোকেরা পাপের পরিণতি সম্পর্কে শিক্ষা গ্রহণ করবে না।
আয়াতঃ 037.138
এবং সন্ধ্যায়, তার পরেও কি তোমরা বোঝ না?
And by night: will ye not understand?
وَبِاللَّيْلِ أَفَلَا تَعْقِلُونَ
Wabiallayli afala taAAqiloona
YUSUFALI: And by night: will ye not understand?
PICKTHAL: And at night-time; have ye then no sense?
SHAKIR: And at night; do you not then understand?
KHALIFA: And by night. Would you understand?
১৩৬। অতঃপর আমি অবশিষ্টদের বিনাশ করলাম।
১৩৭। তোমরা তো তাদের [ সেই স্থানের ] পাশ দিয়ে যাতায়াত কর কখনও সকালে ,৪১১৮
১৩৮। এবং কখনও রাত্রে ; তোমরা কি তবুও অনুধাবন করবে না ?
৪১১৮। দেখুন আয়াত [ ১৫ : ৭৬ ] ও টিকা ১৯৯৮। লূত নবীর সম্প্রদায় যে স্থানে বাস করতো তা সিরিয়ার প্রধান বাণিজ্য পথের ধারে অবস্থিত যেখান দিয়ে রাত্রি ও দিনে অহরহ বাণিজ্য বহর যাতায়াত করে থাকে। চোখের সম্মুখে এরূপ উদাহরণ থাকা সত্বেও কি পরবর্তী প্রজন্মের লোকেরা পাপের পরিণতি সম্পর্কে শিক্ষা গ্রহণ করবে না।
আয়াতঃ 037.139
আর ইউনুসও ছিলেন পয়গম্বরগণের একজন।
So also was Jonah among those sent (by Us).
وَإِنَّ يُونُسَ لَمِنَ الْمُرْسَلِينَ
Wa-inna yoonusa lamina almursaleena
YUSUFALI: So also was Jonah among those sent (by Us).
PICKTHAL: And lo! Jonah verily was of those sent (to warn)
SHAKIR: And Yunus was most surely of the messengers.
KHALIFA: Jonah was one of the messengers.
রুকু – ৫
১৩৯। সেরূপ আমার প্রেরিতদের মধ্যে ইউনুস ছিলো অন্যতম ৪১১৯।
৪১১৯। ইউনুস নবীর বিশদ বিবরণের জন্য দেখুন [ ২১ : ৮৭-৮৮ ] আয়াত ও টিকা ২৭৪৪ এবং [ ৬৮ : ৪৮- ৫০ ] আয়াত। ইউনুস নবীকে প্রেরণ করা হয় নিনেভা নগরীতে, যার অধিবাসীরা ছিলো দুষ্টের শিরোমণি। তারা ইউনুস নবীর ধর্মোপদেশ গ্রহণে অস্বীকার করে ফলে তিনি ক্রুদ্ধভাবে তাদের উপরে আল্লাহ্র শাস্তিকে আহ্বান করেন। ফলে ইউনুস নবী ক্রুদ্ধ ভাবে সে স্থান ত্যাগ করেন। তিনি ভুলে গিয়েছিলেন যে আল্লাহ্ সর্বশ্রেষ্ঠ ক্ষমাকারী ও দয়ালু। আল্লাহ্র করুণা ও ক্ষমা পাপী ও পূণ্যাত্মা সবার জন্য সমভাবে প্রবাহমান। দেখুন পরবর্তী টিকা ও আয়াত [১০ :৯৮ ] ও টিকা ১৪৭৮।
আয়াতঃ 037.140
যখন পালিয়ে তিনি বোঝাই নৌকায় গিয়ে পৌঁছেছিলেন।
When he ran away (like a slave from captivity) to the ship (fully) laden,
إِذْ أَبَقَ إِلَى الْفُلْكِ الْمَشْحُونِ
Ith abaqa ila alfulki almashhooni
YUSUFALI: When he ran away (like a slave from captivity) to the ship (fully) laden,
PICKTHAL: When he fled unto the laden ship,
SHAKIR: When he ran away to a ship completely laden,
KHALIFA: He escaped to the loaded ship.
১৪০। যখন সে [ বন্দী ক্রীতদাসের মত ] পলায়ন করে বোঝাই নৌযানে পৌঁছুলো ৪১২০,
৪১২০। ইউনুস নবীর উম্মতগণ তাঁর ধর্মোপদেশ গ্রহণে অস্বীকৃতি জানানোর ফলে তিনি মর্মাহত হন এবং আল্লাহ্র আযাব আসতে কিছুটা বিলম্ব হওয়াতে ক্ষুব্ধ হন এবং কাউকে কিছু না বলে দেশ ত্যাগ করেন। ক্রীতদাসেরা যে ভাবে মনিবের নিকট থেকে পলায়ন করেন, তিনি সেভাবেই পলায়ন করেছিলেন। তাঁর উচিত ছিলো অকৃতকার্যতা সত্বেও আল্লাহ্ প্রদত্ত দায়িত্ব ও কর্তব্যের প্রতি একনিষ্ঠভাবে নিবেদিত থাকা। কিন্তু তিনি তা না করে তাড়াহুড়ো করে নৌযানে আরোহণ করেন। তাঁর এই মনোভাবকে এ ভাবে ব্যাখ্যা করা যায় যেনো তিনি আল্লাহ্র পরিকল্পনার বিরোধিতা করতে চেয়েছিলেন এবং শাস্তিকে এড়িয়ে যাবেন।
উপদেশ : আল্লাহ্ পৃথিবীতে প্রতিটি মানুষকে কিছু না কিছু কর্তব্য কর্ম দিয়ে প্রেরণ করেছেন। এই কর্তব্য সুষ্ঠ ভাবে পালন করাই তার ধর্ম। মেধা, মননশক্তি , প্রতিভা, সৃজন ক্ষমতা সবই এই কর্তব্যকে সঠিকভাবে অনুশীলনের জন্য দান করা হয়। সাফল্য বা ব্যর্থতা আসতে পারে কিন্তু কোনও অবস্থাতেই কর্তব্য কর্ম থেকে চ্যুত হওয়া চলবে না। ইউনুস নবীর জীবনীর মাধ্যমে আল্লাহ্ আমাদের এই শিক্ষাই দিয়েছেন যে আল্লাহ্র পরিকল্পনা ব্যর্থ করার ক্ষমতা কারও নাই।
আয়াতঃ 037.141
অতঃপর লটারী (সুরতি) করালে তিনি দোষী সাব্যস্ত হলেন।
He (agreed to) cast lots, and he was condemned:
فَسَاهَمَ فَكَانَ مِنْ الْمُدْحَضِينَ
Fasahama fakana mina almudhadeena
YUSUFALI: He (agreed to) cast lots, and he was condemned:
PICKTHAL: And then drew lots and was of those rejected;
SHAKIR: So he shared (with them), but was of those who are cast off.
KHALIFA: He rebelled and thus, he joined the losers.
১৪১। তখন সে লটারীতে যোগ দান করতে সম্মত হলো, এবং সে দোষী সাব্যস্ত হলো ৪১২১
৪১২১। যাত্রী এবং বাণিজ্য সম্ভারে পরিপূর্ণ নৌযানটি যাত্রাপথে প্রতিকূল আবহাওয়ার সম্মুখীন হয়। জাহাজের নাবিকেরা তাদের কুসংস্কারাচ্ছন্ন বিশ্বাসের দরুন বিশ্বাস করতো কোনও পালতক ব্যক্তির কারণে তারা দুযোর্গের সম্মুখীন হয়েছে। নাবিকেরা তাকে খুঁজে বের করার জন্য লটারীর সাহায্য নেয়।লটারীতে ইউনুস নবীর নাম উঠলে তারা তাকে পানিতে নিক্ষেপ করে।
আয়াতঃ 037.142
অতঃপর একটি মাছ তাঁকে গিলে ফেলল, তখন তিনি অপরাধী গণ্য হয়েছিলেন।
Then the big Fish did swallow him, and he had done acts worthy of blame.
فَالْتَقَمَهُ الْحُوتُ وَهُوَ مُلِيمٌ
Failtaqamahu alhootu wahuwa muleemun
YUSUFALI: Then the big Fish did swallow him, and he had done acts worthy of blame.
PICKTHAL: And the fish swallowed him while he was blameworthy;
SHAKIR: So the fish swallowed him while he did that for which he blamed himself
KHALIFA: Consequently, the fish swallowed him, and he was the one to blame.
১৪২। অতঃপর একটি বিশাল মৎস্য তাকে গিলে ফেললো , ৪১২২ এবং সে নিজেকে ধিক্কার দিতে লাগলো ৪১২৩।
৪১২২। মেসোপটেমিয়ার নদীতে বিশাল বিশাল মাছ থাকে। এখানে ‘Hut’ যে শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে তার শাব্দিক অর্থ সম্ভবতঃ মাছ অথবা কুমীর। যদি তা নদীর মোহনার উম্মুক্ত সমুদ্র হয়ে থাকে তবে তা হবে তিমি মাছ। প্রকৃত স্থান কোরাণ শরীফে উল্লেখ নাই। ওল্ড টেস্টামেন্টের ভাষ্য অনুযায়ী ইউনুস নবী সদুদ্রগামী জাহাজে আরোহণ করেন Joppa [ now Jaffa ] বন্দর থেকে , যার অবস্থান হচ্ছে ভূমধ্যসাগরের কূলে [Jonah i : 3 ]। বন্দরটি নিনেভা শহর থেকে কমপক্ষে ৬০০ মাইল দূরে অবস্থিত। কোন কোনও তফসীরকারের মতে জলপথটি ছিলো তাইগ্রীস নদী কারণ তাইগ্রীস নদীতে বিশাল বিশাল মাছের অস্তিত্ব বিরাজ করে।
৪১২৩। দেখুন টিকা ৪১২০। আল্লাহ্র পরিকল্পনা ব্যর্থ করার ক্ষমতা কারও নাই।
আয়াতঃ 037.143
যদি তিনি আল্লাহর তসবীহ পাঠ না করতেন,
Had it not been that he (repented and) glorified Allah,
فَلَوْلَا أَنَّهُ كَانَ مِنْ الْمُسَبِّحِينَ
Falawla annahu kana mina almusabbiheena
YUSUFALI: Had it not been that he (repented and) glorified Allah,
PICKTHAL: And had he not been one of those who glorify (Allah)
SHAKIR: But had it not been that he was of those who glorify (Us),
KHALIFA: If it were not that he resorted to meditation (on God),
১৪৩। সে যদি [ অনুতপ্ত হয়ে ] আল্লাহ্র মহিমা ঘোষণা না করতো ৪১২৪,
৪১২৪। ইউনুস নবী মাছের পেটের মধ্যে নিচ্ছিদ্র অন্ধকারে , প্রতিকূল অবস্থানে অনুধাবনে সক্ষম হলো যে, আল্লাহ্র পরিকল্পনা ব্যর্থ করার ক্ষমতা কারও নাই। আল্লাহ্ সর্বশক্তিমান।তিনি ক্রন্দন করতে লাগলেন, ” আল্লাহ্র ব্যতীত উপাস্য নাই , তুমি মহান ,আমি গুনাহ্গার।” [২১ : ৮৭।
আয়াতঃ 037.144
তবে তাঁকে কেয়ামত দিবস পর্যন্ত মাছের পেটেই থাকতে হত।
He would certainly have remained inside the Fish till the Day of Resurrection.
لَلَبِثَ فِي بَطْنِهِ إِلَى يَوْمِ يُبْعَثُونَ
Lalabitha fee batnihi ila yawmi yubAAathoona
YUSUFALI: He would certainly have remained inside the Fish till the Day of Resurrection.
PICKTHAL: He would have tarried in its belly till the day when they are raised;
SHAKIR: He would certainly have tarried in its belly to the day when they are raised.
KHALIFA: he would have stayed in its belly until the Day of Resurrection.
১৪৪। তবে সে পুণরুত্থান দিবস পর্যন্ত মাছের পেটেই থাকতো ৪১২৫।
৪১২৫। এই লাইনটির অর্থ ইউনুস নবীর কবর হতো মাছের পেট। সাধারণ মানুষের কবর হয়ে থাকে মাটির অভ্যন্তরে কিন্তু ইউনুস নবীকে যেহেতু মাছ গিলে ফেলেছিলো , সুতারাং পুনরুত্থান না ঘটা পর্যন্ত তার অবস্থান সেখানেই ঘটতো।
আয়াতঃ 037.145
অতঃপর আমি তাঁকে এক বিস্তীর্ণ-বিজন প্রান্তরে নিক্ষেপ করলাম, তখন তিনি ছিলেন রুগ্ন।
But We cast him forth on the naked shore in a state of sickness,
فَنَبَذْنَاهُ بِالْعَرَاء وَهُوَ سَقِيمٌ
Fanabathnahu bialAAara-i wahuwa saqeemun
YUSUFALI: But We cast him forth on the naked shore in a state of sickness,
PICKTHAL: Then We cast him on a desert shore while he was sick;
SHAKIR: Then We cast him on to the vacant surface of the earth while he was sick.
KHALIFA: We had him thrown up into the desert, exhausted.
১৪৫। কিন্তু আমি তাঁকে নগ্ন [ বৃক্ষ লতা শূন্য ] তীরে [ মাছের পেট থেকে ] পীড়িত অবস্থায় নিক্ষেপ করলাম ৪১২৬।
৪১২৬। মাছের পেটে আলো বাতাসহীন অন্ধকারে পাচকরসের সংস্পর্শে সম্ভবতঃ তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তিনি আকুলভাবে মুক্ত বাতাসে নিঃশ্বাস নিতে চান – একটু বাতাস একটু নির্জনতা তার অত্যন্ত প্রয়োজন হয়ে পড়ে। অনুতাপের মাধ্যমে তিনি আল্লাহ্র ক্ষমা লাভ করেন এবং মাছ তাকে উগরে দেবার পরে আল্লাহ্ তাকে নির্জন মুক্ত প্রান্তরে আনায়ন করেন। সেখানে তিনি মৃতবৎ পড়ে থাকেন এবং আল্লাহ্র করুণায় তার উপরে কুমড়া গাছের বিস্তৃতি ঘটে। লাউ ও কুমড়ো জাতীয় গাছ খুব সহজেই কোনও কিছুর উপরে ছড়িয়ে যেতে পারে। সম্ভবতঃ সেখানে ছিলো ছায়াঘেরা স্বাদু ফলের গাছ যা তাকে ছায়া ও খাদ্য উভয়ই সরবারহ করে থাকে।
আয়াতঃ 037.146
আমি তাঁর উপর এক লতাবিশিষ্ট বৃক্ষ উদগত করলাম।
And We caused to grow, over him, a spreading plant of the gourd kind.
وَأَنبَتْنَا عَلَيْهِ شَجَرَةً مِّن يَقْطِينٍ
Waanbatna AAalayhi shajaratan min yaqteenin
YUSUFALI: And We caused to grow, over him, a spreading plant of the gourd kind.
PICKTHAL: And We caused a tree of gourd to grow above him;
SHAKIR: And We caused to grow up for him a gourdplant.
KHALIFA: We had a tree of edible fruit grown for him.
১৪৬। এবং পরে আমি তার উপরে এক কুমড়ো জাতীয় গাছকে বিস্তৃত করে দেই।
১৪৭। তাকে আমি একলক্ষ বা ততোধিক লোকের [ প্রচারের ] কাজে প্রেরণ করি ৪১২৭।
৪১২৭। আল্লাহ্ তাকে পুণরায় নিনেভা নগরীতে প্রেরণ করেন। নিনেভা নগরী ছিলো এক বিশাল নগরী। ওল্ড টেস্টামেন্ট অনুযায়ী “Nineva was an exceeding great city of three days ‘ journey” [ Jonah iii 3 ] ; “Wherein are more than six score thousand person” [ Jonah iv 11 ] । নিনেভা নগরীর পরিধি বলা হয়ে থাকে ৪৫ মাইল এবং লোক সংখ্যা ছিলো এক লক্ষ বিশ হাজারের উপরে।
আয়াতঃ 037.147
এবং তাঁকে, লক্ষ বা ততোধিক লোকের প্রতি প্রেরণ করলাম।
And We sent him (on a mission) to a hundred thousand (men) or more.
وَأَرْسَلْنَاهُ إِلَى مِئَةِ أَلْفٍ أَوْ يَزِيدُونَ
Waarsalnahu ila mi-ati alfin aw yazeedoona
YUSUFALI: And We sent him (on a mission) to a hundred thousand (men) or more.
PICKTHAL: And We sent him to a hundred thousand (folk) or more
SHAKIR: And We sent him to a hundred thousand, rather they exceeded.
KHALIFA: Then we sent him to a hundred thousand, or more.
১৪৬। এবং পরে আমি তার উপরে এক কুমড়ো জাতীয় গাছকে বিস্তৃত করে দেই।
১৪৭। তাকে আমি একলক্ষ বা ততোধিক লোকের [ প্রচারের ] কাজে প্রেরণ করি ৪১২৭।
৪১২৭। আল্লাহ্ তাকে পুণরায় নিনেভা নগরীতে প্রেরণ করেন। নিনেভা নগরী ছিলো এক বিশাল নগরী। ওল্ড টেস্টামেন্ট অনুযায়ী “Nineva was an exceeding great city of three days ‘ journey” [ Jonah iii 3 ] ; “Wherein are more than six score thousand person” [ Jonah iv 11 ] । নিনেভা নগরীর পরিধি বলা হয়ে থাকে ৪৫ মাইল এবং লোক সংখ্যা ছিলো এক লক্ষ বিশ হাজারের উপরে।
আয়াতঃ 037.148
তারা বিশ্বাস স্থাপন করল অতঃপর আমি তাদেরকে নির্ধারিত সময় পর্যন্ত জীবনোপভোগ করতে দিলাম।
And they believed; so We permitted them to enjoy (their life) for a while.
فَآمَنُوا فَمَتَّعْنَاهُمْ إِلَى حِينٍ
Faamanoo famattaAAnahum ila heenin
YUSUFALI: And they believed; so We permitted them to enjoy (their life) for a while.
PICKTHAL: And they believed, therefor We gave them comfort for a while.
SHAKIR: And they believed, so We gave them provision till a time.
KHALIFA: They did believe, and we let them enjoy this life.
১৪৮। এবং তারা ঈমান এনেছিলো ; সুতারাং আমি তাদের কিছু কালের জন্য [ জীবনকে ] উপভোগ করতে দিয়েছিলাম ৪১২৮।
৪১২৮। নিনেভাবাসী অনুতপ্ত হয়েছিলো এবং আল্লাহ্র প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেছিলো , ফলে আল্লাহ্ তাদের নূতনভাবে বাঁচার অধিকার দান করেন। ইউনুস নবীর সময়কাল ও নিনেভা নগরীর উত্থানপতনের সময় খুব সম্ভব আসেরিয়ান সম্রাটদের সময়কাল। দেখুন টিকা [ ১৪৭৮ – ৭৯ ] এবং আয়াত [১০ : ৯৮ ]। ইউনুস নবীর কাহিনীর মাধ্যমে আমাদের নিম্নলিখিত বিষয় গুলি শিক্ষাদান করা হয়েছে : ১) আল্লাহ্র বিচার করার ক্ষমতা কারও নাই। তিনি যাকে খুশী অনুগ্রহ করেন যাকে খুশী শাস্তি দান করেন। তিনি সর্বশক্তিমান। সুতারাং আল্লাহ্র রহমত ও শাস্তির বিচার করা কোনও মানুষের উচিত নয়। ২) প্রকৃত অনুতাপকারীকে আল্লাহ্ সর্বদা ক্ষমা করে দেন , যেমন তিনি পাপে পুর্ণ নিনেভা নগরবাসীকে করেছিলেন। এবং ৩) আল্লাহ্ পরিকল্পনা ব্যর্থ করার ক্ষমতা কারও নাই , শেষ পর্যন্ত জয়যুক্ত হবেই।
আয়াতঃ 037.149
এবার তাদেরকে জিজ্ঞেস করুন, তোমার পালনকর্তার জন্যে কি কন্যা সন্তান রয়েছে এবং তাদের জন্যে কি পুত্র-সন্তান।
Now ask them their opinion: Is it that thy Lord has (only) daughters, and they have sons?-
فَاسْتَفْتِهِمْ أَلِرَبِّكَ الْبَنَاتُ وَلَهُمُ الْبَنُونَ
Faistaftihim alirabbika albanatu walahumu albanoona
YUSUFALI: Now ask them their opinion: Is it that thy Lord has (only) daughters, and they have sons?-
PICKTHAL: Now ask them (O Muhammad): Hath thy Lord daughters whereas they have sons?
SHAKIR: Then ask them whether your Lord has daughters and they have sons.
KHALIFA: Ask them if your Lord have daughters, while they have sons!
১৪৯। এখন ওদেরকে তাদের মতামত জিজ্ঞাসা কর, ৪১২৯ এটা কি ঠিক যে তোমার প্রভুর জন্য রয়েছে [ শুধু ] কন্যাসন্তান , এবং তাদের জন্য রয়েছে পুত্র সন্তান ? “-
৪১২৯। এই আয়াত থেকে নূতন যুক্তি তর্কের অবতারণা করা হয়। পৌত্তলিক আরবের বিশ্বাস করতো যে, ফেরেশতাদের নারীরূপে সৃষ্টি করা হয়েছে। কিন্তু নিজেদের জন্য তারা পুত্র সন্তানকে অধিক পছন্দ করতো ,কারণ পুত্র ছিলো ক্ষমতা , ও সম্মানের প্রতীক। দেখুন [ ১৬ : ৫৭-৫৯ ] এবং টিকা ২০৮২। তা সত্ত্বেও তারা আল্লাহ্র জন্য কন্যা বরাদ্দ করতো।
আয়াতঃ 037.150
না কি আমি তাদের উপস্থিতিতে ফেরেশতাগণকে নারীরূপে সৃষ্টি করেছি?
Or that We created the angels female, and they are witnesses (thereto)?
أَمْ خَلَقْنَا الْمَلَائِكَةَ إِنَاثًا وَهُمْ شَاهِدُونَ
Am khalaqna almala-ikata inathan wahum shahidoona
YUSUFALI: Or that We created the angels female, and they are witnesses (thereto)?
PICKTHAL: Or created We the angels females while they were present?
SHAKIR: Or did We create the angels females while they were witnesses?
KHALIFA: Did we create the angels to be females? Did they witness that?
১৫০। অথবা আমি কি ফেরেশতাদের নারীরূপে সৃষ্টি করেছিলাম এবং তারা [ সেখানে ] প্রত্যক্ষ করেছিলো?
১৫১। এটা কি ঠিক নয় যে, তারা নিজেদের মনগড়া কথা বলে যে,
১৫২। ” আল্লাহ্ সন্তান জন্ম দিয়েছেন।” ওরা মিথ্যাবাদী ৪১৩০।
৪১৩০। আল্লাহ্ এক ও অদ্বিতীয়। সমস্ত বিশ্ব প্রকৃতি স্রষ্টার একত্ব ঘোষণা করে। মানুষের আত্মার মাঝে আল্লাহ্র একত্বের ধারণাই হচ্ছে প্রকৃত ঈমান। আল্লাহ্ সম্বন্ধে পুত্র বা কন্যার ধারণা আত্মার মাঝে বিভ্রান্তি ঘটায় -ঈমানকে বিপর্যস্ত করে তোলে। ফলে মানুষ সৃষ্টির তথা বিশ্ব সৃষ্টির মূল উদ্দেশ্য হয় ব্যহত। সে কারণেই আল্লাহ্র সাথে অংশদারিত্ব কঠোর ভাবে নিন্দা জ্ঞাপন করা হয়েছে।
আয়াতঃ 037.151
জেনো, তারা মনগড়া উক্তি করে যে,
Is it not that they say, from their own invention,
أَلَا إِنَّهُم مِّنْ إِفْكِهِمْ لَيَقُولُونَ
Ala innahum min ifkihim layaqooloona
YUSUFALI: Is it not that they say, from their own invention,
PICKTHAL: Lo! it is of their falsehood that they say:
SHAKIR: Now surely it is of their own lie that they say:
KHALIFA: Indeed, they grossly blaspheme when they say –
১৫০। অথবা আমি কি ফেরেশতাদের নারীরূপে সৃষ্টি করেছিলাম এবং তারা [ সেখানে ] প্রত্যক্ষ করেছিলো?
১৫১। এটা কি ঠিক নয় যে, তারা নিজেদের মনগড়া কথা বলে যে,
১৫২। ” আল্লাহ্ সন্তান জন্ম দিয়েছেন।” ওরা মিথ্যাবাদী ৪১৩০।
৪১৩০। আল্লাহ্ এক ও অদ্বিতীয়। সমস্ত বিশ্ব প্রকৃতি স্রষ্টার একত্ব ঘোষণা করে। মানুষের আত্মার মাঝে আল্লাহ্র একত্বের ধারণাই হচ্ছে প্রকৃত ঈমান। আল্লাহ্ সম্বন্ধে পুত্র বা কন্যার ধারণা আত্মার মাঝে বিভ্রান্তি ঘটায় -ঈমানকে বিপর্যস্ত করে তোলে। ফলে মানুষ সৃষ্টির তথা বিশ্ব সৃষ্টির মূল উদ্দেশ্য হয় ব্যহত। সে কারণেই আল্লাহ্র সাথে অংশদারিত্ব কঠোর ভাবে নিন্দা জ্ঞাপন করা হয়েছে।
আয়াতঃ 037.152
আল্লাহ সন্তান জন্ম দিয়েছেন। নিশ্চয় তারা মিথ্যাবাদী।
“(Allah) has begotten children”? but they are liars!
وَلَدَ اللَّهُ وَإِنَّهُمْ لَكَاذِبُونَ
Walada Allahu wa-innahum lakathiboona
YUSUFALI: “Allah has begotten children”? but they are liars!
PICKTHAL: Allah hath begotten. Allah! verily they tell a lie.
SHAKIR: Allah has begotten; and most surely they are liars.
KHALIFA: “GOD has begotten a son.” Indeed, they are liars.
১৫০। অথবা আমি কি ফেরেশতাদের নারীরূপে সৃষ্টি করেছিলাম এবং তারা [ সেখানে ] প্রত্যক্ষ করেছিলো?
১৫১। এটা কি ঠিক নয় যে, তারা নিজেদের মনগড়া কথা বলে যে,
১৫২। ” আল্লাহ্ সন্তান জন্ম দিয়েছেন।” ওরা মিথ্যাবাদী ৪১৩০।
৪১৩০। আল্লাহ্ এক ও অদ্বিতীয়। সমস্ত বিশ্ব প্রকৃতি স্রষ্টার একত্ব ঘোষণা করে। মানুষের আত্মার মাঝে আল্লাহ্র একত্বের ধারণাই হচ্ছে প্রকৃত ঈমান। আল্লাহ্ সম্বন্ধে পুত্র বা কন্যার ধারণা আত্মার মাঝে বিভ্রান্তি ঘটায় -ঈমানকে বিপর্যস্ত করে তোলে। ফলে মানুষ সৃষ্টির তথা বিশ্ব সৃষ্টির মূল উদ্দেশ্য হয় ব্যহত। সে কারণেই আল্লাহ্র সাথে অংশদারিত্ব কঠোর ভাবে নিন্দা জ্ঞাপন করা হয়েছে।
আয়াতঃ 037.153
তিনি কি পুত্র-সন্তানের স্থলে কন্যা-সন্তান পছন্দ করেছেন?
Did He (then) choose daughters rather than sons?
أَصْطَفَى الْبَنَاتِ عَلَى الْبَنِينَ
Astafa albanati AAala albaneena
YUSUFALI: Did He (then) choose daughters rather than sons?
PICKTHAL: (And again of their falsehood): He hath preferred daughters to sons.
SHAKIR: Has He chosen daughters in preference to sons?
KHALIFA: Did He choose the girls over the boys?
১৫৩। তাহলে কি আল্লাহ্ পুত্রের পরিবর্তে কন্যা সন্তান পছন্দ করেন ? ৪১৩১
৪১৩১। এই আয়াতটিতে আল্লাহ্ ব্যঙ্গ বিদ্রূপাত্মক ভাবে মোশরেক আরবদের সম্বোধন করেছেন।
আয়াতঃ 037.154
তোমাদের কি হল? তোমাদের এ কেমন সিন্ধান্ত?
What is the matter with you? How judge ye?
مَا لَكُمْ كَيْفَ تَحْكُمُونَ
Ma lakum kayfa tahkumoona
YUSUFALI: What is the matter with you? How judge ye?
PICKTHAL: What aileth you? How judge ye?
SHAKIR: What is the matter with you, how is it that you judge?
KHALIFA: What is wrong with your logic?
১৫৪। [ হে লোকগণ ] তোমাদের কি হয়েছে ? তোমরা কি ভাবে বিচার কর ?
১৫৫। তোমরা কি তা হলে উপদেশ গ্রহণ করবে না ?
১৫৬। নাকি তোমাদের সুস্পষ্ট কর্তৃত্ব রয়েছে ?
১৫৭। তাহলে তোমাদের [ কর্তৃত্বের ] দলিল নিয়ে এসো , যদি তোমরা সত্যবাদী হও।
১৫৮। এবং তারা আল্লাহ্ ও জ্বিনদের মধ্যে রক্তের সম্পর্ক আবিষ্কার করে ৪১৩২। কিন্তু জ্বিনেরা [ভালোভাবেই] জানে যে , তাদেরকেও অবশ্যই [ বিচারের জন্য ] উপস্থিত করা হবে।
৪১৩২। ফেরেশতারা পূত ও পবিত্র যারা সর্বদা আল্লাহ্র সেবায় নিয়োজিত।কিন্তু পৌত্তলিক আরবেরা এ সব ফেরেশতাদের সাথে আল্লাহ্র কন্যা সম্পর্ক স্থাপন করে। শুধু তাই-ই নয়, তারা অন্যান্য আদিভৌতিক জিনিষ যেমন জ্বিনদের সাথেও আল্লাহ্র আত্মীয়তার সম্পর্ক কল্পনা করে। এরূপ অলীক কল্পনাকে দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করা হয়েছে।
জ্বিনের জন্য দেখুন আয়াত [ ৬ : ১০০ ] ও টিকা ৯২৯।
আয়াতঃ 037.155
তোমরা কি অনুধাবন কর না?
Will ye not then receive admonition?
أَفَلَا تَذَكَّرُونَ
Afala tathakkaroona
YUSUFALI: Will ye not then receive admonition?
PICKTHAL: Will ye not then reflect?
SHAKIR: Will you not then mind?
KHALIFA: Why do you not take heed?
১৫৪। [ হে লোকগণ ] তোমাদের কি হয়েছে ? তোমরা কি ভাবে বিচার কর ?
১৫৫। তোমরা কি তা হলে উপদেশ গ্রহণ করবে না ?
১৫৬। নাকি তোমাদের সুস্পষ্ট কর্তৃত্ব রয়েছে ?
১৫৭। তাহলে তোমাদের [ কর্তৃত্বের ] দলিল নিয়ে এসো , যদি তোমরা সত্যবাদী হও।
১৫৮। এবং তারা আল্লাহ্ ও জ্বিনদের মধ্যে রক্তের সম্পর্ক আবিষ্কার করে ৪১৩২। কিন্তু জ্বিনেরা [ভালোভাবেই] জানে যে , তাদেরকেও অবশ্যই [ বিচারের জন্য ] উপস্থিত করা হবে।
৪১৩২। ফেরেশতারা পূত ও পবিত্র যারা সর্বদা আল্লাহ্র সেবায় নিয়োজিত।কিন্তু পৌত্তলিক আরবেরা এ সব ফেরেশতাদের সাথে আল্লাহ্র কন্যা সম্পর্ক স্থাপন করে। শুধু তাই-ই নয়, তারা অন্যান্য আদিভৌতিক জিনিষ যেমন জ্বিনদের সাথেও আল্লাহ্র আত্মীয়তার সম্পর্ক কল্পনা করে। এরূপ অলীক কল্পনাকে দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করা হয়েছে।
জ্বিনের জন্য দেখুন আয়াত [ ৬ : ১০০ ] ও টিকা ৯২৯।
আয়াতঃ 037.156
না কি তোমাদের কাছে সুস্পষ্ট কোন দলীল রয়েছে?
Or have ye an authority manifest?
أَمْ لَكُمْ سُلْطَانٌ مُّبِينٌ
Am lakum sultanun mubeenun
YUSUFALI: Or have ye an authority manifest?
PICKTHAL: Or have ye a clear warrant?
SHAKIR: Or have you a clear authority?
KHALIFA: Do you have any proof?
১৫৪। [ হে লোকগণ ] তোমাদের কি হয়েছে ? তোমরা কি ভাবে বিচার কর ?
১৫৫। তোমরা কি তা হলে উপদেশ গ্রহণ করবে না ?
১৫৬। নাকি তোমাদের সুস্পষ্ট কর্তৃত্ব রয়েছে ?
১৫৭। তাহলে তোমাদের [ কর্তৃত্বের ] দলিল নিয়ে এসো , যদি তোমরা সত্যবাদী হও।
১৫৮। এবং তারা আল্লাহ্ ও জ্বিনদের মধ্যে রক্তের সম্পর্ক আবিষ্কার করে ৪১৩২। কিন্তু জ্বিনেরা [ভালোভাবেই] জানে যে , তাদেরকেও অবশ্যই [ বিচারের জন্য ] উপস্থিত করা হবে।
৪১৩২। ফেরেশতারা পূত ও পবিত্র যারা সর্বদা আল্লাহ্র সেবায় নিয়োজিত।কিন্তু পৌত্তলিক আরবেরা এ সব ফেরেশতাদের সাথে আল্লাহ্র কন্যা সম্পর্ক স্থাপন করে। শুধু তাই-ই নয়, তারা অন্যান্য আদিভৌতিক জিনিষ যেমন জ্বিনদের সাথেও আল্লাহ্র আত্মীয়তার সম্পর্ক কল্পনা করে। এরূপ অলীক কল্পনাকে দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করা হয়েছে।
জ্বিনের জন্য দেখুন আয়াত [ ৬ : ১০০ ] ও টিকা ৯২৯।
আয়াতঃ 037.157
তোমরা সত্যবাদী হলে তোমাদের কিতাব আন।
Then bring ye your Book (of authority) if ye be truthful!
فَأْتُوا بِكِتَابِكُمْ إِن كُنتُمْ صَادِقِينَ
Fa/too bikitabikum in kuntum sadiqeena
YUSUFALI: Then bring ye your Book (of authority) if ye be truthful!
PICKTHAL: Then produce your writ, if ye are truthful.
SHAKIR: Then bring your book, if you are truthful.
KHALIFA: Show us your book, if you are truthful.
১৫৪। [ হে লোকগণ ] তোমাদের কি হয়েছে ? তোমরা কি ভাবে বিচার কর ?
১৫৫। তোমরা কি তা হলে উপদেশ গ্রহণ করবে না ?
১৫৬। নাকি তোমাদের সুস্পষ্ট কর্তৃত্ব রয়েছে ?
১৫৭। তাহলে তোমাদের [ কর্তৃত্বের ] দলিল নিয়ে এসো , যদি তোমরা সত্যবাদী হও।
১৫৮। এবং তারা আল্লাহ্ ও জ্বিনদের মধ্যে রক্তের সম্পর্ক আবিষ্কার করে ৪১৩২। কিন্তু জ্বিনেরা [ভালোভাবেই] জানে যে , তাদেরকেও অবশ্যই [ বিচারের জন্য ] উপস্থিত করা হবে।
৪১৩২। ফেরেশতারা পূত ও পবিত্র যারা সর্বদা আল্লাহ্র সেবায় নিয়োজিত।কিন্তু পৌত্তলিক আরবেরা এ সব ফেরেশতাদের সাথে আল্লাহ্র কন্যা সম্পর্ক স্থাপন করে। শুধু তাই-ই নয়, তারা অন্যান্য আদিভৌতিক জিনিষ যেমন জ্বিনদের সাথেও আল্লাহ্র আত্মীয়তার সম্পর্ক কল্পনা করে। এরূপ অলীক কল্পনাকে দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করা হয়েছে।
জ্বিনের জন্য দেখুন আয়াত [ ৬ : ১০০ ] ও টিকা ৯২৯।
আয়াতঃ 037.158
তারা আল্লাহ ও জ্বিনদের মধ্যে সম্পর্ক সাব্যস্ত করেছে, অথচ জ্বিনেরা জানে যে, তারা গ্রেফতার হয়ে আসবে।
And they have invented a blood-relationship between Him and the Jinns: but the Jinns know (quite well) that they have indeed to appear (before his Judgment- Seat)!
وَجَعَلُوا بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْجِنَّةِ نَسَبًا وَلَقَدْ عَلِمَتِ الْجِنَّةُ إِنَّهُمْ لَمُحْضَرُونَ
WajaAAaloo baynahu wabayna aljinnati nasaban walaqad AAalimati aljinnatu innahum lamuhdaroona
YUSUFALI: And they have invented a blood-relationship between Him and the Jinns: but the Jinns know (quite well) that they have indeed to appear (before his Judgment-Seat)!
PICKTHAL: And they imagine kinship between him and the jinn, whereas the jinn know well that they will be brought before (Him).
SHAKIR: And they assert a relationship between Him and the jinn; and certainly the jinn do know that they shall surely be brought up;
KHALIFA: They even invented a special relationship between Him and the jinns. The jinns themselves know that they are subservient.
১৫৪। [ হে লোকগণ ] তোমাদের কি হয়েছে ? তোমরা কি ভাবে বিচার কর ?
১৫৫। তোমরা কি তা হলে উপদেশ গ্রহণ করবে না ?
১৫৬। নাকি তোমাদের সুস্পষ্ট কর্তৃত্ব রয়েছে ?
১৫৭। তাহলে তোমাদের [ কর্তৃত্বের ] দলিল নিয়ে এসো , যদি তোমরা সত্যবাদী হও।
১৫৮। এবং তারা আল্লাহ্ ও জ্বিনদের মধ্যে রক্তের সম্পর্ক আবিষ্কার করে ৪১৩২। কিন্তু জ্বিনেরা [ভালোভাবেই] জানে যে , তাদেরকেও অবশ্যই [ বিচারের জন্য ] উপস্থিত করা হবে।
৪১৩২। ফেরেশতারা পূত ও পবিত্র যারা সর্বদা আল্লাহ্র সেবায় নিয়োজিত।কিন্তু পৌত্তলিক আরবেরা এ সব ফেরেশতাদের সাথে আল্লাহ্র কন্যা সম্পর্ক স্থাপন করে। শুধু তাই-ই নয়, তারা অন্যান্য আদিভৌতিক জিনিষ যেমন জ্বিনদের সাথেও আল্লাহ্র আত্মীয়তার সম্পর্ক কল্পনা করে। এরূপ অলীক কল্পনাকে দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করা হয়েছে।
জ্বিনের জন্য দেখুন আয়াত [ ৬ : ১০০ ] ও টিকা ৯২৯।
আয়াতঃ 037.159
তারা যা বলে তা থেকে আল্লাহ পবিত্র।
Glory to Allah. (He is free) from the things they ascribe (to Him)!
سُبْحَانَ اللَّهِ عَمَّا يَصِفُونَ
Subhana Allahi AAamma yasifoona
YUSUFALI: Glory to Allah! (He is free) from the things they ascribe (to Him)!
PICKTHAL: Glorified be Allah from that which they attribute (unto Him),
SHAKIR: Glory be to Allah (for freedom) from what they describe;
KHALIFA: GOD be glorified; far above their claims.
১৫৯। সব মহিমা আল্লাহ্র ! তারা [আল্লাহ্র প্রতি ] যা আরোপ করে [ তিনি তা থেকে মুক্ত ]।
১৬০। আল্লাহ্র একনিষ্ঠ ও অনুগত বান্দারা এরূপ করে না ৪১৩৩।
৪১৩৩। অর্থাৎ যারা আল্লাহ্র একনিষ্ঠ মোমেন বান্দা তারা আল্লাহ্ সম্বন্ধে এরূপ অসম্মানজনক মন্তব্য ও ধারণা থেকে বিরত থাকে।
আয়াতঃ 037.160
তবে যারা আল্লাহর নিষ্ঠাবান বান্দা, তারা গ্রেফতার হয়ে আসবে না।
Not (so do) the Servants of Allah, sincere and devoted.
إِلَّا عِبَادَ اللَّهِ الْمُخْلَصِينَ
Illa AAibada Allahi almukhlaseena
YUSUFALI: Not (so do) the Servants of Allah, sincere and devoted.
PICKTHAL: Save single-minded slaves of Allah.
SHAKIR: But not so the servants of Allah, the purified ones.
KHALIFA: Only GOD’s servants who are devoted to Him alone (are saved).
১৫৯। সব মহিমা আল্লাহ্র ! তারা [আল্লাহ্র প্রতি ] যা আরোপ করে [ তিনি তা থেকে মুক্ত ]।
১৬০। আল্লাহ্র একনিষ্ঠ ও অনুগত বান্দারা এরূপ করে না ৪১৩৩।
৪১৩৩। অর্থাৎ যারা আল্লাহ্র একনিষ্ঠ মোমেন বান্দা তারা আল্লাহ্ সম্বন্ধে এরূপ অসম্মানজনক মন্তব্য ও ধারণা থেকে বিরত থাকে।
আয়াতঃ 037.161
অতএব তোমরা এবং তোমরা যাদের উপাসনা কর,
For, verily, neither ye nor those ye worship-
فَإِنَّكُمْ وَمَا تَعْبُدُونَ
Fa-innakum wama taAAbudoona
YUSUFALI: For, verily, neither ye nor those ye worship-
PICKTHAL: Lo! verily, ye and that which ye worship,
SHAKIR: So surely you and what you worship,
KHALIFA: Indeed, you and what you worship.
১৬১। নিশ্চয়ই তোমরা এবং তোমরা যাদের পূঁজা কর তারা –
১৬২। তোমরা কাউকেও আল্লাহ্ সম্বন্ধে বিভ্রান্ত করতে পারবে না ৪১৩৪।
১৬৩। কেবল তারা ব্যতীত যারা প্রজ্জ্বলিত আগুনে প্রবেশকারী।
৪১৩৪। ”কাউকেও” অর্থাৎ মোমেন বান্দাদের আল্লাহ্ সম্বন্ধে বিভ্রান্ত করতে পারবে না। যাদের চরিত্রে বিশ্বাস বা ঈমান থাকে। যারা সত্যের পূজারী ও সত্যের প্রতি বিশ্বস্ত এদের উপরে শয়তান বা মন্দের কোনও প্রভাব নাই। শয়তান তাদেরই প্রভাবিত করতে পারে যারা ইচ্ছাকৃত ভাবে সত্যকে অস্বীকার করে এবং আত্মধ্বংসের পথ বেছে নেয়। তাদের ইচ্ছাই তাদের বিপথে চালিত করে। তারা যদি বিশ্বাস ,ধৈর্য্য এবং অধ্যবসায় সহকারে শয়তান বা পাপকে প্রতিহত করতো তবে মন্দ বা শয়তানের কোনও ক্ষমতাই থাকতো না তাদের প্রভাবিত করার। স্বয়ং আল্লাহ্ তাদের রক্ষা করতেন।
আয়াতঃ 037.162
তাদের কাউকেই তোমরা আল্লাহ সম্পর্কে বিভ্রান্ত করতে পারবে না।
Can lead (any) into temptation concerning Allah,
مَا أَنتُمْ عَلَيْهِ بِفَاتِنِينَ
Ma antum AAalayhi bifatineena
YUSUFALI: Can lead (any) into temptation concerning Allah,
PICKTHAL: Ye cannot excite (anyone) against Him.
SHAKIR: Not against Him can you cause (any) to fall into trial,
KHALIFA: Cannot impose anything on Him.
১৬১। নিশ্চয়ই তোমরা এবং তোমরা যাদের পূঁজা কর তারা –
১৬২। তোমরা কাউকেও আল্লাহ্ সম্বন্ধে বিভ্রান্ত করতে পারবে না ৪১৩৪।
১৬৩। কেবল তারা ব্যতীত যারা প্রজ্জ্বলিত আগুনে প্রবেশকারী।
৪১৩৪। ”কাউকেও” অর্থাৎ মোমেন বান্দাদের আল্লাহ্ সম্বন্ধে বিভ্রান্ত করতে পারবে না। যাদের চরিত্রে বিশ্বাস বা ঈমান থাকে। যারা সত্যের পূজারী ও সত্যের প্রতি বিশ্বস্ত এদের উপরে শয়তান বা মন্দের কোনও প্রভাব নাই। শয়তান তাদেরই প্রভাবিত করতে পারে যারা ইচ্ছাকৃত ভাবে সত্যকে অস্বীকার করে এবং আত্মধ্বংসের পথ বেছে নেয়। তাদের ইচ্ছাই তাদের বিপথে চালিত করে। তারা যদি বিশ্বাস ,ধৈর্য্য এবং অধ্যবসায় সহকারে শয়তান বা পাপকে প্রতিহত করতো তবে মন্দ বা শয়তানের কোনও ক্ষমতাই থাকতো না তাদের প্রভাবিত করার। স্বয়ং আল্লাহ্ তাদের রক্ষা করতেন।
আয়াতঃ 037.163
শুধুমাত্র তাদের ছাড়া যারা জাহান্নামে পৌছাবে।
Except such as are (themselves) going to the blazing Fire!
إِلَّا مَنْ هُوَ صَالِ الْجَحِيمِ
Illa man huwa sali aljaheemi
YUSUFALI: Except such as are (themselves) going to the blazing Fire!
PICKTHAL: Save him who is to burn in hell.
SHAKIR: Save him who will go to hell.
KHALIFA: Only you will burn in Hell.
১৬১। নিশ্চয়ই তোমরা এবং তোমরা যাদের পূঁজা কর তারা –
১৬২। তোমরা কাউকেও আল্লাহ্ সম্বন্ধে বিভ্রান্ত করতে পারবে না ৪১৩৪।
১৬৩। কেবল তারা ব্যতীত যারা প্রজ্জ্বলিত আগুনে প্রবেশকারী।
৪১৩৪। ”কাউকেও” অর্থাৎ মোমেন বান্দাদের আল্লাহ্ সম্বন্ধে বিভ্রান্ত করতে পারবে না। যাদের চরিত্রে বিশ্বাস বা ঈমান থাকে। যারা সত্যের পূজারী ও সত্যের প্রতি বিশ্বস্ত এদের উপরে শয়তান বা মন্দের কোনও প্রভাব নাই। শয়তান তাদেরই প্রভাবিত করতে পারে যারা ইচ্ছাকৃত ভাবে সত্যকে অস্বীকার করে এবং আত্মধ্বংসের পথ বেছে নেয়। তাদের ইচ্ছাই তাদের বিপথে চালিত করে। তারা যদি বিশ্বাস ,ধৈর্য্য এবং অধ্যবসায় সহকারে শয়তান বা পাপকে প্রতিহত করতো তবে মন্দ বা শয়তানের কোনও ক্ষমতাই থাকতো না তাদের প্রভাবিত করার। স্বয়ং আল্লাহ্ তাদের রক্ষা করতেন।
আয়াতঃ 037.164
আমাদের প্রত্যেকের জন্য রয়েছে নির্দিষ্ট স্থান।
(Those ranged in ranks say): “Not one of us but has a place appointed;
وَمَا مِنَّا إِلَّا لَهُ مَقَامٌ مَّعْلُومٌ
Wama minna illa lahu maqamun maAAloomun
YUSUFALI: (Those ranged in ranks say): “Not one of us but has a place appointed;
PICKTHAL: There is not one of us but hath his known position.
SHAKIR: And there is none of us but has an assigned place,
KHALIFA: Each one of us has a specific job.
১৬৪। [ সারিবদ্ধ ভাবে দণ্ডায়মান ফেরেশতারা বলে ] ৪১৩৫ : ” আমাদের প্রত্যেকের জন্যই [ কাজের ] নির্ধারিত স্থান রয়েছে ;
১৬৫। “এবং আমরা তো [ কাজের জন্য ] , সারিবদ্ধভাবে দন্ডায়মান।
১৬৬। ” এবং আমরা অবশ্যই আল্লাহ্র পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণাকারী।”
৪১৩৫। আয়াত ১৬৪- ১৬৬ পর্যন্ত ফেরেশতাদের উক্তি। সূরার যুক্তি শেষ করার পূর্বে শুরু করার সময়ের যুক্তির উপস্থাপন ঘটেছে। এরাই তারা যাদের আল্লাহ্র কাজের জন্য সারিবদ্ধ করা হয়েছিলো দেখুন আয়াত [ ৩৭ : ১ ও টিকা ৪০৩১ ]। তারা ফেরেশতাই হোক বা পূণ্যাত্মা মোমেন বান্দাই হোক তারা তাদের নির্ধারিত স্থানে অবস্থান করতে পরিতৃপ্ত। তাদের জন্য আল্লাহ্ যে কাজ বা দায়িত্ব নির্ধারিত করেছেন তারা তা করতে কৃতসংকল্প। তারা কখনও আল্লাহ্র পরিকল্পনা সম্বন্ধে প্রশ্ন করেন না। তারা তাদের আত্মার মাঝে উপলব্ধি করেন যে, আল্লাহ্র দেয় দায়িত্ব তাদের জন্য কল্যাণকর এবং বিপদ বাধার শেষে শেষ পর্যন্ত আল্লাহ্র পরিকল্পনা কার্যকর হবেই। তাৎক্ষনিক দৃশ্যমান বিপর্যয় বা বাধা তাদের উদ্বিগ্ন করে না। কোনও অবস্থায়ই তারা তাদের সারি বা অবস্থান ত্যাগ করেন না।
আয়াতঃ 037.165
এবং আমরাই সারিবদ্ধভাবে দন্ডায়মান থাকি।
“And we are verily ranged in ranks (for service);
وَإِنَّا لَنَحْنُ الصَّافُّونَ
Wa-inna lanahnu alssaffoona
YUSUFALI: “And we are verily ranged in ranks (for service);
PICKTHAL: Lo! we, even we are they who set the ranks,
SHAKIR: And most surely we are they who draw themselves out in ranks,
KHALIFA: We are the arrangers.
১৬৪। [ সারিবদ্ধ ভাবে দণ্ডায়মান ফেরেশতারা বলে ] ৪১৩৫ : ” আমাদের প্রত্যেকের জন্যই [ কাজের ] নির্ধারিত স্থান রয়েছে ;
১৬৫। “এবং আমরা তো [ কাজের জন্য ] , সারিবদ্ধভাবে দন্ডায়মান।
১৬৬। ” এবং আমরা অবশ্যই আল্লাহ্র পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণাকারী।”
৪১৩৫। আয়াত ১৬৪- ১৬৬ পর্যন্ত ফেরেশতাদের উক্তি। সূরার যুক্তি শেষ করার পূর্বে শুরু করার সময়ের যুক্তির উপস্থাপন ঘটেছে। এরাই তারা যাদের আল্লাহ্র কাজের জন্য সারিবদ্ধ করা হয়েছিলো দেখুন আয়াত [ ৩৭ : ১ ও টিকা ৪০৩১ ]। তারা ফেরেশতাই হোক বা পূণ্যাত্মা মোমেন বান্দাই হোক তারা তাদের নির্ধারিত স্থানে অবস্থান করতে পরিতৃপ্ত। তাদের জন্য আল্লাহ্ যে কাজ বা দায়িত্ব নির্ধারিত করেছেন তারা তা করতে কৃতসংকল্প। তারা কখনও আল্লাহ্র পরিকল্পনা সম্বন্ধে প্রশ্ন করেন না। তারা তাদের আত্মার মাঝে উপলব্ধি করেন যে, আল্লাহ্র দেয় দায়িত্ব তাদের জন্য কল্যাণকর এবং বিপদ বাধার শেষে শেষ পর্যন্ত আল্লাহ্র পরিকল্পনা কার্যকর হবেই। তাৎক্ষনিক দৃশ্যমান বিপর্যয় বা বাধা তাদের উদ্বিগ্ন করে না। কোনও অবস্থায়ই তারা তাদের সারি বা অবস্থান ত্যাগ করেন না।
আয়াতঃ 037.166
এবং আমরাই আল্লাহর পবিত্রতা ঘোষণা করি।
“And we are verily those who declare ((Allah)’s) glory!”
وَإِنَّا لَنَحْنُ الْمُسَبِّحُونَ
Wa-inna lanahnu almusabbihoona
YUSUFALI: “And we are verily those who declare (Allah’s) glory!”
PICKTHAL: Lo! we, even we are they who hymn His praise
SHAKIR: And we are most surely they who declare the glory (of Allah).
KHALIFA: We have duly glorified (our Lord).
১৬৪। [ সারিবদ্ধ ভাবে দণ্ডায়মান ফেরেশতারা বলে ] ৪১৩৫ : ” আমাদের প্রত্যেকের জন্যই [ কাজের ] নির্ধারিত স্থান রয়েছে ;
১৬৫। “এবং আমরা তো [ কাজের জন্য ] , সারিবদ্ধভাবে দন্ডায়মান।
১৬৬। ” এবং আমরা অবশ্যই আল্লাহ্র পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণাকারী।”
৪১৩৫। আয়াত ১৬৪- ১৬৬ পর্যন্ত ফেরেশতাদের উক্তি। সূরার যুক্তি শেষ করার পূর্বে শুরু করার সময়ের যুক্তির উপস্থাপন ঘটেছে। এরাই তারা যাদের আল্লাহ্র কাজের জন্য সারিবদ্ধ করা হয়েছিলো দেখুন আয়াত [ ৩৭ : ১ ও টিকা ৪০৩১ ]। তারা ফেরেশতাই হোক বা পূণ্যাত্মা মোমেন বান্দাই হোক তারা তাদের নির্ধারিত স্থানে অবস্থান করতে পরিতৃপ্ত। তাদের জন্য আল্লাহ্ যে কাজ বা দায়িত্ব নির্ধারিত করেছেন তারা তা করতে কৃতসংকল্প। তারা কখনও আল্লাহ্র পরিকল্পনা সম্বন্ধে প্রশ্ন করেন না। তারা তাদের আত্মার মাঝে উপলব্ধি করেন যে, আল্লাহ্র দেয় দায়িত্ব তাদের জন্য কল্যাণকর এবং বিপদ বাধার শেষে শেষ পর্যন্ত আল্লাহ্র পরিকল্পনা কার্যকর হবেই। তাৎক্ষনিক দৃশ্যমান বিপর্যয় বা বাধা তাদের উদ্বিগ্ন করে না। কোনও অবস্থায়ই তারা তাদের সারি বা অবস্থান ত্যাগ করেন না।
আয়াতঃ 037.167
তারা তো বলতঃ
And there were those who said,
وَإِنْ كَانُوا لَيَقُولُونَ
Wa-in kanoo layaqooloona
YUSUFALI: And there were those who said,
PICKTHAL: And indeed they used to say:
SHAKIR: And surely they used to say:
KHALIFA: They used to say,
১৬৭। ওরাই তো তারা যারা বলতো , ৪১৩৬
১৬৮। ” যদি আমরা প্রাচীন লোকদের কিতাবের মত কোন কিতাব লাভ করতাম ,
১৬৯। ” আমরা অবশ্যই আল্লাহ্র একনিষ্ঠ [ এবং অনুগত ] বান্দা হতাম।” ৪২৩৭
৪১৩৬। এখানে ‘উহারা বলতে প্রাথমিকভাবে মোশরেক আরবদের বোঝানো হয়েছে তবে সামগ্রিকভাবে সকল কাফেরদের বোঝানো হয়েছে যারা আল্লাহ্র অস্তিত্ব সম্বন্ধে সন্ধিহান এবং আল্লাহ্র প্রত্যাদেশে বিশ্বাস স্থাপন করে না।
৪১৩৭। এ সব অবিশ্বাসীদের বৈশিষ্ট্য এই আয়াতগুলির মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে। এরা সব সময়ে পূর্বপুরুষদের প্রথার দোহাই দিয়ে থাকে। তারা বলে, ” আমাদের পূর্বপুরুষদের যদি লিখিত কোনও প্রত্যাদেশ বা কিতাব থাকতো এবং আমাদের যদি সে ভাবেই উপাসনা শিক্ষা দান করা হতো তবে আমরা অবশ্যই তা পালন করতাম।” কিন্তু এখন তাদের মাতৃভাষাতে কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে যা দৃঢ় প্রত্যয়ন উৎপন্ন করে, তবুও তারা তাতে বিশ্বাস স্থাপন করবে না। তারা কুর-আন সম্বন্ধে সন্দেহ পোষণ করে এবং তা প্রত্যাখান করে।
আয়াতঃ 037.168
যদি আমাদের কাছে পূর্ববর্তীদের কোন উপদেশ থাকত,
“If only we had had before us a Message from those of old,
لَوْ أَنَّ عِندَنَا ذِكْرًا مِّنْ الْأَوَّلِينَ
Law anna AAindana thikran mina al-awwaleena
YUSUFALI: “If only we had had before us a Message from those of old,
PICKTHAL: If we had but a reminder from the men of old
SHAKIR: Had we a reminder from those of yore,
KHALIFA: “Had we received the correct instructions from our parents,
১৬৭। ওরাই তো তারা যারা বলতো , ৪১৩৬
১৬৮। ” যদি আমরা প্রাচীন লোকদের কিতাবের মত কোন কিতাব লাভ করতাম ,
১৬৯। ” আমরা অবশ্যই আল্লাহ্র একনিষ্ঠ [ এবং অনুগত ] বান্দা হতাম।” ৪২৩৭
৪১৩৬। এখানে ‘উহারা বলতে প্রাথমিকভাবে মোশরেক আরবদের বোঝানো হয়েছে তবে সামগ্রিকভাবে সকল কাফেরদের বোঝানো হয়েছে যারা আল্লাহ্র অস্তিত্ব সম্বন্ধে সন্ধিহান এবং আল্লাহ্র প্রত্যাদেশে বিশ্বাস স্থাপন করে না।
৪১৩৭। এ সব অবিশ্বাসীদের বৈশিষ্ট্য এই আয়াতগুলির মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে। এরা সব সময়ে পূর্বপুরুষদের প্রথার দোহাই দিয়ে থাকে। তারা বলে, ” আমাদের পূর্বপুরুষদের যদি লিখিত কোনও প্রত্যাদেশ বা কিতাব থাকতো এবং আমাদের যদি সে ভাবেই উপাসনা শিক্ষা দান করা হতো তবে আমরা অবশ্যই তা পালন করতাম।” কিন্তু এখন তাদের মাতৃভাষাতে কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে যা দৃঢ় প্রত্যয়ন উৎপন্ন করে, তবুও তারা তাতে বিশ্বাস স্থাপন করবে না। তারা কুর-আন সম্বন্ধে সন্দেহ পোষণ করে এবং তা প্রত্যাখান করে।
আয়াতঃ 037.169
তবে আমরা অবশ্যই আল্লাহর মনোনীত বান্দা হতাম।
“We should certainly have been Servants of Allah, sincere (and devoted)!”
لَكُنَّا عِبَادَ اللَّهِ الْمُخْلَصِينَ
Lakunna AAibada Allahi almukhlaseena
YUSUFALI: “We should certainly have been Servants of Allah, sincere (and devoted)!”
PICKTHAL: We would be single-minded slaves of Allah.
SHAKIR: We would certainly have been the servants of Allah– the purified ones.
KHALIFA: “we would have been worshipers; devoted to GOD alone.”
১৬৭। ওরাই তো তারা যারা বলতো , ৪১৩৬
১৬৮। ” যদি আমরা প্রাচীন লোকদের কিতাবের মত কোন কিতাব লাভ করতাম ,
১৬৯। ” আমরা অবশ্যই আল্লাহ্র একনিষ্ঠ [ এবং অনুগত ] বান্দা হতাম।” ৪২৩৭
৪১৩৬। এখানে ‘উহারা বলতে প্রাথমিকভাবে মোশরেক আরবদের বোঝানো হয়েছে তবে সামগ্রিকভাবে সকল কাফেরদের বোঝানো হয়েছে যারা আল্লাহ্র অস্তিত্ব সম্বন্ধে সন্ধিহান এবং আল্লাহ্র প্রত্যাদেশে বিশ্বাস স্থাপন করে না।
৪১৩৭। এ সব অবিশ্বাসীদের বৈশিষ্ট্য এই আয়াতগুলির মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে। এরা সব সময়ে পূর্বপুরুষদের প্রথার দোহাই দিয়ে থাকে। তারা বলে, ” আমাদের পূর্বপুরুষদের যদি লিখিত কোনও প্রত্যাদেশ বা কিতাব থাকতো এবং আমাদের যদি সে ভাবেই উপাসনা শিক্ষা দান করা হতো তবে আমরা অবশ্যই তা পালন করতাম।” কিন্তু এখন তাদের মাতৃভাষাতে কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে যা দৃঢ় প্রত্যয়ন উৎপন্ন করে, তবুও তারা তাতে বিশ্বাস স্থাপন করবে না। তারা কুর-আন সম্বন্ধে সন্দেহ পোষণ করে এবং তা প্রত্যাখান করে।
আয়াতঃ 037.170
বস্তুতঃ তারা এই কোরআনকে অস্বীকার করেছে। এখন শীঘ্রই তারা জেনে নিতে পারবে,
But (now that the Qur’an has come), they reject it: But soon will they know!
فَكَفَرُوا بِهِ فَسَوْفَ يَعْلَمُونَ
Fakafaroo bihi fasawfa yaAAlamoona
YUSUFALI: But (now that the Qur’an has come), they reject it: But soon will they know!
PICKTHAL: Yet (now that it is come) they disbelieve therein; but they will come to know.
SHAKIR: But (now) they disbelieve in it, so they will come to know.
KHALIFA: But they disbelieved, and they will surely find out.
১৭০। [এখন তো কোর-আন এসেছে ] অথচ তারা তা প্রত্যাখান করে , কিন্তু শীঘ্রই তারা জানতে পারবে ৪১৩৮,
৪১৩৮। আল্লাহ্র প্রেরিত সত্য সকল বাধা বিপত্তি অতিক্রম করে একদিন সন্দেহতীত ভাবে প্রতীয়মান হবে এবং সমস্ত পৃথিবীতে তা ভাস্বর হবে।
আয়াতঃ 037.171
আমার রাসূল ও বান্দাগণের ব্যাপারে আমার এই বাক্য সত্য হয়েছে যে,
Already has Our Word been passed before (this) to our Servants sent (by Us),
وَلَقَدْ سَبَقَتْ كَلِمَتُنَا لِعِبَادِنَا الْمُرْسَلِينَ
Walaqad sabaqat kalimatuna liAAibadina almursaleena
YUSUFALI: Already has Our Word been passed before (this) to our Servants sent (by Us),
PICKTHAL: And verily Our word went forth of old unto Our bondmen sent (to warn)
SHAKIR: And certainly Our word has already gone forth in respect of Our servants, the messengers:
KHALIFA: Our decision is already decreed for our servants the messengers.
১৭১। আমার প্রেরিত বান্দাদের সম্পর্কে আমার এই বাক্য পূর্বেই স্থির হয়েছে যে,
১৭২। অবশ্যই তারা সাহায্য প্রাপ্ত হবে।
১৭৩। এবং আমার বাহিনীই বিজয়ী হবে ৪১৩৯।
৪১৩৯। এই বিজয় আল্লাহ্র সত্যের বিজয়, আল্লাহ্র বাহিনীর বিজয়। এই বিজয়ে আল্লাহ্র সৈনিকেরা ,যারা অবিচলিতভাবে স্ব স্ব কর্তব্য করে গেছেন , তারা সকলেই এই বিজয়ের অংশীদার। সকলেই আল্লাহ্র বাহিনী।
আয়াতঃ 037.172
অবশ্যই তারা সাহায্য প্রাপ্ত হয়।
That they would certainly be assisted,
إِنَّهُمْ لَهُمُ الْمَنصُورُونَ
Innahum lahumu almansooroona
YUSUFALI: That they would certainly be assisted,
PICKTHAL: That they verily would be helped,
SHAKIR: Most surely they shall be the assisted ones
KHALIFA: They are surely the victors.
১৭১। আমার প্রেরিত বান্দাদের সম্পর্কে আমার এই বাক্য পূর্বেই স্থির হয়েছে যে,
১৭২। অবশ্যই তারা সাহায্য প্রাপ্ত হবে।
১৭৩। এবং আমার বাহিনীই বিজয়ী হবে ৪১৩৯।
৪১৩৯। এই বিজয় আল্লাহ্র সত্যের বিজয়, আল্লাহ্র বাহিনীর বিজয়। এই বিজয়ে আল্লাহ্র সৈনিকেরা ,যারা অবিচলিতভাবে স্ব স্ব কর্তব্য করে গেছেন , তারা সকলেই এই বিজয়ের অংশীদার। সকলেই আল্লাহ্র বাহিনী।
আয়াতঃ 037.173
আর আমার বাহিনীই হয় বিজয়ী।
And that Our forces,- they surely must conquer.
وَإِنَّ جُندَنَا لَهُمُ الْغَالِبُونَ
Wa-inna jundana lahumu alghaliboona
YUSUFALI: And that Our forces,- they surely must conquer.
PICKTHAL: And that Our host, they verily would be the victors.
SHAKIR: And most surely Our host alone shall be the victorious ones.
KHALIFA: Our soldiers are the winners.
১৭১। আমার প্রেরিত বান্দাদের সম্পর্কে আমার এই বাক্য পূর্বেই স্থির হয়েছে যে,
১৭২। অবশ্যই তারা সাহায্য প্রাপ্ত হবে।
১৭৩। এবং আমার বাহিনীই বিজয়ী হবে ৪১৩৯।
৪১৩৯। এই বিজয় আল্লাহ্র সত্যের বিজয়, আল্লাহ্র বাহিনীর বিজয়। এই বিজয়ে আল্লাহ্র সৈনিকেরা ,যারা অবিচলিতভাবে স্ব স্ব কর্তব্য করে গেছেন , তারা সকলেই এই বিজয়ের অংশীদার। সকলেই আল্লাহ্র বাহিনী।
আয়াতঃ 037.174
অতএব আপনি কিছুকালের জন্যে তাদেরকে উপেক্ষা করুন।
So turn thou away from them for a little while,
فَتَوَلَّ عَنْهُمْ حَتَّى حِينٍ
Fatawalla AAanhum hatta heenin
YUSUFALI: So turn thou away from them for a little while,
PICKTHAL: So withdraw from them (O Muhammad) awhile,
SHAKIR: Therefore turn away from them till a time,
KHALIFA: So disregard them for awhile.
১৭৪। সুতারাং তুমি তাদের [ শত্রুতা ও নির্যাতন ] থেকে কিছুকালের জন্য সরে থাক ৪১৪০।
৪১৪০। প্রাথমিক ভাবে এই আয়াতে রাসুলকে [ সা ] সম্বোধন করা হয়েছে, তবে তা সার্বজনীন যুগ কাল অতিক্রান্ত। রসুলকে [সা ] তাঁর প্রাথমিক অকৃতকার্যের জন্য হতোদ্দম হতে নিষেধ করা হয়েছে। শীঘ্রই আল্লাহ্ তাঁকে বিজয় দান করবেন। এই র্বাতা পৃথিবীর সর্বযুগের মানব সম্প্রদায়ের জন্য প্রযোজ্য। কারণ সত্য এবং সৎকাজ সংগ্রামের মাধ্যমেই প্রতিষ্ঠিত হয়। সংগ্রামে ক্ষণস্থায়ী ব্যর্থতা আসতে পারে সন্দেহ নাই, কিন্তু মোমেন বান্দারা , সৎকাজের কর্মীরা তা উপেক্ষা করতে পারে ; কারণ আল্লাহ্র করুনা ও অনুগ্রহ তাদের অন্তরকে শক্তিশালী করে। তারা জানে যে বিজয় তাদের অবধারিত।
আয়াতঃ 037.175
এবং তাদেরকে দেখতে থাকুন। শীঘ্রই তারাও এর পরিণাম দেখে নেবে।
And watch them (how they fare), and they soon shall see (how thou farest)!
وَأَبْصِرْهُمْ فَسَوْفَ يُبْصِرُونَ
Waabsirhum fasawfa yubsiroona
YUSUFALI: And watch them (how they fare), and they soon shall see (how thou farest)!
PICKTHAL: And watch, for they will (soon) see.
SHAKIR: And (then) see them, so they too shall see.
KHALIFA: Watch them; they too will watch.
১৭৫। এবং তাদের পর্যবেক্ষণ কর [ তাদের কি হয় ] ৪১৪১, এবং তারাও শীঘ্র দেখবে [ তোমার কি ঘটে ]
৪১৪১। ” অপেক্ষা কর এবং পর্যবেক্ষণ কর ;সত্যের জয় অবশ্যম্ভবী।” এই হচ্ছে আল্লাহ্র আশ্বাস শ্বাসতকালব্যপী।
আয়াতঃ 037.176
আমার আযাব কি তারা দ্রুত কামনা করে?
Do they wish (indeed) to hurry on our Punishment?
أَفَبِعَذَابِنَا يَسْتَعْجِلُونَ
AfabiAAathabina yastaAAjiloona
YUSUFALI: Do they wish (indeed) to hurry on our Punishment?
PICKTHAL: Would they hasten on Our doom?
SHAKIR: What! would they then hasten on Our chastisement?
KHALIFA: Do they challenge our retribution?
১৭৬। তারা কি [ সত্যই ] আমার শাস্তি ত্বরান্বিত করতে চাচ্ছে ? ৪১৪২
৪১৪২। উপরের আয়াতসমূহের দুষ্টের আক্রমনের বিরুদ্ধে ধৈর্য ধারণ করতে উপদেশ দান করা হয়েছে। আশ্বস্ত করা হয়েছে যে, শেষ পর্যন্ত শয়তান ও দুষ্ট পরাভূত হবেই। পাপিষ্ঠরা উপহাস ও ব্যঙ্গ করে এ কথা বলে যে , “শাস্তি যদি দেয়াই হবে , তবে তৎক্ষণাত দেয়া হচ্ছে না কেন ? ” তাদের এই প্রশ্নের উত্তরে বলা হয়েছে যে,যখন তা আসবে তখন তার গতি হবে প্রচন্ড অপ্রতিহত। যখন দুষ্ট ও পাপীরা নিজেদের গৃহে সর্বাপেক্ষা নিরাপদ বোধ করবে, রাতের আঁধারে তাদের সেই নিরাপদ গৃহকোণ আল্লাহ্র শাস্তির দ্বারা মূহুর্তে ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যাবে ও শত্রুদের পরাজিত করে ফেলবে যে সময়ে তারা সর্বাপেক্ষা নিরাপদ বোধ করবে সেটাই হবে তাদের শাস্তির প্রকৃত সময়। প্রভাতের সূর্যদয়ে তারা নিজেদের দুঃখ দুর্দ্দশার মাঝে আবিষ্কার করবে।
আয়াতঃ 037.177
অতঃপর যখন তাদের আঙ্গিনায় আযাব নাযিল হবে, তখন যাদেরকে সতর্ক করা হয়েছিল, তাদের সকাল বেলাটি হবে খুবই মন্দ।
But when it descends into the open space before them, evil will be the morning for those who were warned (and heeded not)!
فَإِذَا نَزَلَ بِسَاحَتِهِمْ فَسَاء صَبَاحُ الْمُنذَرِينَ
Fa-itha nazala bisahatihim fasaa sabahu almunthareena
YUSUFALI: But when it descends into the open space before them, evil will be the morning for those who were warned (and heeded not)!
PICKTHAL: But when it cometh home to them, then it will be a hapless morn for those who have been warned.
SHAKIR: But when it shall descend in their court, evil shall then be the morning of the warned ones.
KHALIFA: When it hits them one day, it will be a miserable day; they have been sufficiently warned.
১৭৭। কিন্তু যখন তাদের সম্মুখে উম্মুক্ত প্রান্তরে ইহা [ শাস্তি ] নেমে আসবে , তখন যারা সর্তক করা সত্বেও [ শোনে নাই ] তাদের প্রভাত হবে কত মন্দ ৪১৪৩।
৪১৪৩। এই আয়াতটিতে উপমার মাধ্যমে পাপীদের শাস্তির বিবরণ দান করা হয়েছে। উপমাটি এরূপ শত্রুদের বাসস্থান যেনো পাহাড়ের পাদদেশে সমতল ভূমিতে। রাতের আধারে পাহাড় থেকে আল্লাহ্র সেনাদের অতর্কিতে আক্রমণে শত্রুদের বাসস্থান ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যায়। উচ্চ স্থান থেকে নিম্নভূমিতে যখন বন্যার পানি ধেয়ে আসে তার গতি যেরূপ প্রচন্ড ও অপ্রতিহত হয়ে থাকে , পাপীদের উপরে আল্লাহ্র শাস্তি- ও ঠিক সেরূপ প্রচন্ড গতিতে নেমে আসবে। এর পরেও যারা জীবিত থাকবে তাদের দুঃখ দুর্দ্দশার অন্ত থাকবে না। উপরন্তু সঠিক সময়ে সাবধানবাণী না শোনার জন্য তাদের অনুতাপের ও কষ্টের সীমা থাকবে না। প্রভাত হবে তাদের জন্য কতই না মন্দ।
আয়াতঃ 037.178
আপনি কিছুকালের জন্যে তাদেরকে উপেক্ষা করুন।
So turn thou away from them for a little while,
وَتَوَلَّ عَنْهُمْ حَتَّى حِينٍ
Watawalla AAanhum hatta heenin
YUSUFALI: So turn thou away from them for a little while,
PICKTHAL: Withdraw from them awhile
SHAKIR: And turn away from them till a time
KHALIFA: Disregard them for awhile.
১৭৮। সুতারাং কিছু কালের জন্য তুমি তাদের থেকে সরে থাক ৪১৪৪,
১৭৯। এবং তাদের পর্যবেক্ষণ কর [ তাদের কি হয় ] এবং তারাও শীঘ্র দেখবে [ তোমার কি ঘটে ]।
৪১৪৪। এই আয়াতটি ও পরবর্তী আয়াতটি সামান্য পরিবর্তন ব্যতীত ১৭৪-১৭৫ আয়াতের পুণঃরাবৃত্তি। [১৭৪- ৭৫] আয়াতে নূতন বিষয়ের উপস্থাপনা করা হয়েছে। যখন তা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তখন পুণরাবৃত্তির মাধ্যমে মূল বিষয়বস্তুর প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে এবং সূরাটির সমাপ্তি টানা হয়েছে।
আয়াতঃ 037.179
এবং দেখতে থাকুন, শীঘ্রই তারাও এর পরিণাম দেখে নেবে।
And watch (how they fare) and they soon shall see (how thou farest)!
وَأَبْصِرْ فَسَوْفَ يُبْصِرُونَ
Waabsir fasawfa yubsiroona
YUSUFALI: And watch (how they fare) and they soon shall see (how thou farest)!
PICKTHAL: And watch, for they will (soon) see.
SHAKIR: And (then) see, for they too shall see.
KHALIFA: Watch them; they too will watch.
১৭৮। সুতারাং কিছু কালের জন্য তুমি তাদের থেকে সরে থাক ৪১৪৪,
১৭৯। এবং তাদের পর্যবেক্ষণ কর [ তাদের কি হয় ] এবং তারাও শীঘ্র দেখবে [ তোমার কি ঘটে ]।
৪১৪৪। এই আয়াতটি ও পরবর্তী আয়াতটি সামান্য পরিবর্তন ব্যতীত ১৭৪-১৭৫ আয়াতের পুণঃরাবৃত্তি। [১৭৪- ৭৫] আয়াতে নূতন বিষয়ের উপস্থাপনা করা হয়েছে। যখন তা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তখন পুণরাবৃত্তির মাধ্যমে মূল বিষয়বস্তুর প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে এবং সূরাটির সমাপ্তি টানা হয়েছে।
আয়াতঃ 037.180
পবিত্র আপনার পরওয়ারদেগারের সত্তা, তিনি সম্মানিত ও পবিত্র যা তারা বর্ণনা করে তা থেকে।
Glory to thy Lord, the Lord of Honour and Power! (He is free) from what they ascribe (to Him)!
سُبْحَانَ رَبِّكَ رَبِّ الْعِزَّةِ عَمَّا يَصِفُونَ
Subhana rabbika rabbi alAAizzati AAamma yasifoona
YUSUFALI: Glory to thy Lord, the Lord of Honour and Power! (He is free) from what they ascribe (to Him)!
PICKTHAL: Glorified be thy Lord, the Lord of Majesty, from that which they attribute (unto Him)
SHAKIR: Glory be to your Lord, the Lord of Honor, above what they describe.
KHALIFA: Glory be to your Lord, the great Lord; far above their claims.
১৮০। তোমার প্রভুর মহিমা ঘোষণা কর ,যিনি সম্মান ও ক্ষমতার অধীশ্বর ৪১৪৫। তারা [ তার প্রতি ] যা আরোপ করে তিনি তা থেকে মুক্ত।
৪১৪৫। এই আয়াতটি ও পরবর্তী দুটি আয়াত পুনঃরায় স্মরণ করিয়ে দেয় : ১) মহত্ব, ক্ষমতা ও সম্মান সবই আল্লাহ্র জন্য প্রযোজ্য; ২) কেহই তার সককক্ষ হওয়ার যোগ্য নয় ; ৩) তিনি নবী রসুলদের এবং প্রত্যাদেশ প্রেরণ করে থাকেন এবং আল্লাহ্র সাহায্য সকল প্রতিবন্ধকতা দূর করে বিজয় এনে দেবে; ৪) আল্লাহ্ তার সৃষ্টির সকলকে ভালোবাসেন ও প্রতিপালন করেন।
আয়াতঃ 037.181
পয়গম্বরগণের প্রতি সালাম বর্ষিত হোক।
And Peace on the apostles!
وَسَلَامٌ عَلَى الْمُرْسَلِينَ
Wasalamun AAala almursaleena
YUSUFALI: And Peace on the messengers!
PICKTHAL: And peace be unto those sent (to warn).
SHAKIR: And peace be on the messengers.
KHALIFA: Peace be upon the messengers.
১৮১। এবং শান্তি বর্ষিত হোক রাসুলের প্রতি।
আয়াতঃ 037.182
সমস্ত প্রশংসা বিশ্বপালক আল্লাহর নিমিত্ত।
And Praise to Allah, the Lord and Cherisher of the Worlds.
وَالْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ
Waalhamdu lillahi rabbi alAAalameena
YUSUFALI: And Praise to Allah, the Lord and Cherisher of the Worlds.
PICKTHAL: And praise be to Allah, Lord of the Worlds!
SHAKIR: And all praise is due to Allah, the Lord of the worlds.
KHALIFA: Praise be to GOD, Lord of the universe.
১৮২। সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্র , যিনি জগতসমূহের প্রভু এবং প্রতিপালক।