৩৪। এবং আমি সুলাইমানকে পরীক্ষা করেছিলাম ৪১৮৮, আমি তাঁর সিংহাসনের উপরে মস্তকহীন একটি শবদেহ স্থাপন করেছিলাম ৪১৮৯। কিন্তু সে আমার দিকে ফিরে এলো [ প্রকৃত আনুগত্যের সাথে ] ৪১৮৯।
৪১৮৮। ” পরীক্ষা করেছিলাম ” – হযরত সুলাইমানের পরীক্ষাটি কি ছিলো ? ঐশ্বর্য, খ্যাতি-যশ যা কিছু পার্থিব সম্পদ আল্লাহ্ তাঁকে দান করেছিলেন তা ছিলো তাঁর জন্য এক আধ্যাত্মিক পরীক্ষা। জাগতিক এত সম্পদ, ঐশ্বর্য, ক্ষমতা সুখ যে কোনও মানুষের মাথা ঘুড়িয়ে দেয়ার জন্য যথেষ্ট। কিন্তু সুলাইমান ছিলেন আল্লাহ্র প্রতি বিশ্বস্ত ও সমর্থনে একনিষ্ঠ। যখন তিনি তার এই প্রভুত সম্পদ , ক্ষমতা [ যে ক্ষমতা শুধু মানুষ নয় , জ্বিন ও প্রাকৃতিক শক্তির উপরেও কার্যকর ছিলো ] ভোগ করছেন, তখনও তিনি জাগতিক প্রলোভনে বিভ্রান্ত হন নাই। তিনি তাঁর মন বা আত্মাকে সর্বদা আল্লাহ্র কাজে ও আল্লাহ্র সেবায় একনিষ্ঠ ভাবে নিয়োজিত রাখতেন। দেখুন আয়াত [ ৮ : ২৮ ] যেখানে বলা হয়েছে ,” জেনে রাখ তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি পরীক্ষা স্বরূপ।” আল্লাহ্ সুলাইমানকে পৃথিবীর সকল সম্পদ দানের মাধ্যমে আল্লাহ্র প্রতি একনিষ্ঠতার পরীক্ষা করেন।
৪১৮৯। ” আমি তাঁর সিংহাসনের উপরে মস্তকহীন একটি শবদেহ স্থাপন করেছিলাম।” – এই লাইনটি সম্বন্ধে বহুবিধ তফসীর বিদ্যমান। তবে সর্বাপেক্ষা যে তফসীরটি যুক্তিগ্রাহ্য এবং মনে আবেদন সৃষ্টি করে তা নিম্নরূপ :
সুলাইমান ছিলেন এ পর্যন্ত পৃথিবীতে যত নৃপতি রাজত্ব করেছেন, তাদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা ক্ষমতাশালী। মানুষ, জ্বিন ও প্রকৃতি, পশু ও পাখী , সকলেই তাঁর অধীনে ছিলো। একবার তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন যার ফলে তিনি চলৎশক্তিবিহীন হয়ে পড়েন। এ সময়ে তাঁকে মনে হতো শবদেহ বা লাশের মত। তখন মনে হতো, একটি নিষ্প্রাণ দেহকে সিংহাসনে রেখে দেয়া হয়েছে। এতে তাঁর আত্মার মাঝে উপলব্ধি ঘটলো যে, আল্লাহ্র চোখে তিনি কত ক্ষুদ্র ,কত অসহায় , এই বিপর্যস্ত অবস্থায় তিনি নিজের ক্ষুদ্রতা উপলব্ধির মাধ্যমে স্রষ্টার চরণে নিজেকে নিবেদন করেন।
আয়াতঃ 038.035
সোলায়মান বললঃ হে আমার পালনকর্তা, আমাকে মাফ করুন এবং আমাকে এমন সাম্রাজ্য দান করুন যা আমার পরে আর কেউ পেতে পারবে না। নিশ্চয় আপনি মহাদাতা।
He said, “O my Lord! Forgive me, and grant me a kingdom which, (it may be), suits not another after me: for Thou art the Grantor of Bounties (without measure).
قَالَ رَبِّ اغْفِرْ لِي وَهَبْ لِي مُلْكًا لَّا يَنبَغِي لِأَحَدٍ مِّنْ بَعْدِي إِنَّكَ أَنتَ الْوَهَّابُ
Qala rabbi ighfir lee wahab lee mulkan la yanbaghee li-ahadin min baAAdee innaka anta alwahhabu
YUSUFALI: He said, “O my Lord! Forgive me, and grant me a kingdom which, (it may be), suits not another after me: for Thou art the Grantor of Bounties (without measure).
PICKTHAL: He said: My Lord! Forgive me and bestow on me sovereignty such as shall not belong to any after me. Lo! Thou art the Bestower.
SHAKIR: He said: My Lord! do Thou forgive me and grant me a kingdom which is not fit for (being inherited by) anyone after me;
KHALIFA: He said, “My Lord, forgive me, and grant me a kingship never attained by anyone else. You are the Grantor.”
৩৫। সে বলেছিলো , ” হে আমার প্রভু ! আমাকে ক্ষমা কর ৪১৯০ ; এবং আমাকে এমন রাজত্ব দান কর যা আমার পরে কাহারও জন্য [যেনো ] উপযুক্ত না হয়। তুমিই তো সীমাহীন অনুগ্রহ দান করার মালিক ৪১৯১।
৪১৯০। পার্থিব ক্ষমতা আল্লাহ্র কাছে যাঞা করা পয়গম্বরদের প্রকৃতি বিরুদ্ধ। যদিও তা যাঞা করা হয় আল্লাহ্র জন্য, আল্লাহ্র কাজের জন্য , তবুও তাঁর মাঝে কোথায় যেনো আত্মতৃপ্তির বা আত্ম সুখের সন্ধান পাওয়া যায়। সাধারণ মানুষের জন্য জাগতিক বিষয়বস্তু প্রার্থনার মাঝে বিশেষ কোনও অপরাধ নাই। কিন্তু পয়গম্বরদের জন্য আত্মসন্তুষ্টির চিন্তাও অপরাধযোগ্য যা আমরা লক্ষ্য করি সুলাইমানের পিতা হযরত দাউদের ক্ষেত্রে যার উল্লেখ আছে [ ৩৮ : ২৪ ]আয়াতে ও টিকা ৪১৭৬। হযরত সুলাইমান এ কারণেই আল্লাহ্র নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
৪১৯১। হযরত সুলাইমান আল্লাহ্র কাছে আরও ক্ষমতা যাঞা করেন – যা তিনি কখনও অপব্যবহার করবেন না। যদিও এত প্রভূত ক্ষমতা সাধারণ লোকদের পক্ষে অপব্যবহার ব্যতীত ভোগ করা অসম্ভব ব্যাপার।
আয়াতঃ 038.036
তখন আমি বাতাসকে তার অনুগত করে দিলাম, যা তার হুকুমে অবাধে প্রবাহিত হত যেখানে সে পৌছাতে চাইত।
Then We subjected the wind to his power, to flow gently to his order, Whithersoever he willed,-
فَسَخَّرْنَا لَهُ الرِّيحَ تَجْرِي بِأَمْرِهِ رُخَاء حَيْثُ أَصَابَ
Fasakhkharna lahu alrreeha tajree bi-amrihi rukhaan haythu asaba
YUSUFALI: Then We subjected the wind to his power, to flow gently to his order, Whithersoever he willed,-
PICKTHAL: So We made the wind subservient unto him, setting fair by his command whithersoever he intended.
SHAKIR: Then We made the wind subservient to him; it made his command to run gently wherever he desired,
KHALIFA: We (answered his prayer and) committed the wind at his disposal, pouring rain wherever he wanted.