أَمْ نَجْعَلُ الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ كَالْمُفْسِدِينَ فِي الْأَرْضِ أَمْ نَجْعَلُ الْمُتَّقِينَ كَالْفُجَّارِ
Am najAAalu allatheena amanoo waAAamiloo alssalihati kaalmufsideena fee al-ardi am najAAalu almuttaqeena kaalfujjari
YUSUFALI: Shall We treat those who believe and work deeds of righteousness, the same as those who do mischief on earth? Shall We treat those who guard against evil, the same as those who turn aside from the right?
PICKTHAL: Shall We treat those who believe and do good works as those who spread corruption in the earth; or shall We treat the pious as the wicked?
SHAKIR: Shall We treat those who believe and do good like the mischief-makers in the earth? Or shall We make those who guard (against evil) like the wicked?
KHALIFA: Shall we treat those who believe and lead a righteous life as we treat those who commit evil on earth? Shall we treat the righteous as we treat the wicked?
২৮। যারা ঈমান আনে এবং সৎকাজ করে আমি কি তাদের সমপর্যায়ভুক্ত করবো তাদের সাথে যারা পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করে বেড়ায়? যারা নিজেকে পাপ থেকে রক্ষা করে তাদের কি সমপর্যায়ভুক্ত করবো তাদের সাথে যারা ন্যায় [ ও সত্যকে ] দূরে সরিয়ে রাখে ? ৪১৮০
৪১৮০। এই সূরার ২৬ নং আয়াতের শেষে ” হিসাব দিবসের ” উল্লেখ আছে। এই “হিসাব দিবস” হচ্ছে শেষ বিচারের দিন, পরকালে যেদিন ইহকালের হিসাব গ্রহণের মাধ্যমে কর্মফল দান করা হবে। অবিশ্বাসীরা বিশ্বাস করে যে, মৃত্যুর সাথে সাথে জীবনের সব শেষ হয়ে যাবে। আত্মার অস্তিত্বে তারা বিশ্বাসী নয়। আত্মার অস্তিত্বে বিশ্বাস মানুষকে আধ্যাত্মিক জগতের শ্রেষ্ঠত্ব ও পতনের ধারণা দান করে। পৃথিবীতে আল্লাহ্র নেয়ামত সকলে সমভাবে ভোগ করে না। যদি ইহকালের কর্মফলের ভিত্তিতে পরকালের বিচার নাই হবে , তবে কি ভাবে পৃথিবীতে পাপী ও পূণ্যাত্মা , ভালো ও মন্দের যে বৈষম্য তা মেনে নেয়া যায় ? ধর্মের গোড়ার কথাই হচ্ছে আত্মার অস্তিত্বে বিশ্বাস করা। আত্মা অমর এবং অবিনশ্বর। প্রতিটি আত্মাকে ইহাকালের কর্মের হিসাব দাখিল করতে হবে পরকালে। সেদিন সকল বৈষম্যের সমতা বিধান করা হবে। আল্লাহ্ ভালো-মন্দ ,পাপী-পূণ্যাত্মা সকলকে একভাবে বিচার করবেন না। যদি আত্মার অস্তিত্ব না থাকতো যদি মৃত্যুর মাধ্যমেই জীবনের শেষ হয়ে যেতো, তাহলে মনুষ্য জন্ম বৃথা হয়ে যেতো।
আয়াতঃ 038.029
এটি একটি বরকতময় কিতাব, যা আমি আপনার প্রতি বরকত হিসেবে অবতীর্ণ করেছি, যাতে মানুষ এর আয়াতসূহ লক্ষ্য করে এবং বুদ্ধিমানগণ যেন তা অনুধাবন করে।
(Here is) a Book which We have sent down unto thee, full of blessings, that they may mediate on its Signs, and that men of understanding may receive admonition.
كِتَابٌ أَنزَلْنَاهُ إِلَيْكَ مُبَارَكٌ لِّيَدَّبَّرُوا آيَاتِهِ وَلِيَتَذَكَّرَ أُوْلُوا الْأَلْبَابِ
Kitabun anzalnahu ilayka mubarakun liyaddabbaroo ayatihi waliyatathakkara oloo al-albabi
YUSUFALI: (Here is) a Book which We have sent down unto thee, full of blessings, that they may mediate on its Signs, and that men of understanding may receive admonition.
PICKTHAL: (This is) a Scripture that We have revealed unto thee, full of blessing, that they may ponder its revelations, and that men of understanding may reflect.
SHAKIR: (It is) a Book We have revealed to you abounding in good that they may ponder over its verses, and that those endowed with understanding may be mindful.
KHALIFA: This is a scripture that we sent down to you, that is sacred – perhaps they reflect on its verses. Those who possess intelligence will take heed.
২৯। এই কিতাব [ কুর-আন্ ] তোমার নিকট প্রেরণ করেছি যা কল্যাণে পরিপূর্ণ; মানুষ যেনো এর আয়াতসমূহ সম্বন্ধে চিন্তা করতে পারে এবং বোধশক্তি সম্পন্ন মানুষেরা যেনো তা থেকে উপদেশ গ্রহণ করতে পারে ৪১৮১।
৪১৮১। আল্লাহ্র প্রত্যাদেশ বা কোরাণের অবতীর্ণ কোনও আকস্মিক ঘটনা নয়। কোরাণের মাধ্যমে আল্লাহ্র আশীর্বাদ ও মঙ্গল মানুষের নিকট পৌঁছায়। আল্লাহ্ আমাদের স্রষ্টা। মানুষের প্রকৃত কল্যাণের উপায় তাঁর থেকে বেশী আর কেউই জানে না। আত্মিক উন্নতির বিভিন্ন ধাপ এই কিতাবে [ কোরাণে ] বর্ণিত আছে। মানুষের মাঝে যে আত্মার বাস তা পরমাত্মার অংশ [ রুহু ]। আত্মার প্রশান্তি পৃথিবীতে বেহেশতের শান্তি আনায়ন করে। আত্মার অশান্তি পৃথিবীকে দোযখে পরিণত করে। আধ্যাত্মিক উন্নতির পথ বা শান্তির পথ প্রদর্শন করে এই কিতাব [কোরাণ ]। কোরাণকে যদি কেউ প্রকৃত অর্থে গ্রহণ করে ,এর আয়াতসমূহ চিন্তার মাধ্যমে অনুধাবনের চেষ্টা করে , তবে সে বিশ্ব প্রকৃতির মাঝে তাঁর অবস্থান ও মানুষের সাথে প্রকৃতির ও আল্লাহ্র সর্ম্পককে অনুধাবনে সক্ষম হবে। চিন্তাশীল ও বোধশক্তিসম্পন্ন মানুষের জন্য কোরাণ হচ্ছে এক মহাগ্রন্থ – যা তাদের মনের সকল সন্দেহের অবসান ঘটায়, এবং সকল প্রশ্নের সমাধান করে। এভাবেই কোরাণের মাধ্যমে প্রকৃত জ্ঞানী ব্যক্তিরা আধ্যাত্মিক জগতের শিক্ষালাভ করে থাকেন। উদভ্রান্ত আত্মা সঠিক পথ খুঁজে পায়, বুঝতে সক্ষম হয় বিশ্বজগতে মানুষের সৃষ্টির রহস্য।