আয়াতঃ 036.019
রসূলগণ বলল, তোমাদের অকল্যাণ তোমাদের সাথেই! এটা কি এজন্যে যে, আমরা তোমাদেরকে সদুপদেশ দিয়েছি? বস্তুতঃ তোমরা সীমা লংঘনকারী সম্প্রদায় বৈ নও।
They said: “Your evil omens are with yourselves: (deem ye this an evil omen). If ye are admonished? Nay, but ye are a people transgressing all bounds!”
قَالُوا طَائِرُكُمْ مَعَكُمْ أَئِن ذُكِّرْتُم بَلْ أَنتُمْ قَوْمٌ مُّسْرِفُونَ
Qaloo ta-irukum maAAakum a-in thukkirtum bal antum qawmun musrifoona
YUSUFALI: They said: “Your evil omens are with yourselves: (deem ye this an evil omen). If ye are admonished? Nay, but ye are a people transgressing all bounds!”
PICKTHAL: They said: Your evil augury be with you! Is it because ye are reminded (of the truth)? Nay, but ye are froward folk!
SHAKIR: They said: Your evil fortune is with you; what! if you are reminded! Nay, you are an extravagant people.
KHALIFA: They said, “Your omen depends on your response, now that you have been reminded. Indeed, you are transgressing people.”
১৯। তারা বলেছিলো, “তোমাদের অমঙ্গল [ পাপ ] তোমাদের সাথেই আছে ৩৯৬৪। যদি তোমাদের সাবধান করা হয় [ তা কি অশুভ মনে কর ] ? বরং বাস্তবিকই তোমরা সকলে সীমালংঘনকারী এক সম্প্রদায় ৩৯৬৫। ”
৩৯৬৪। নবীদ্বয় বলেছিলেন যে, ” তোমাদের অমঙ্গল তোমাদের সাথেই ” অর্থাৎ এ অমঙ্গল তোমাদেরই কুকর্মের ফল। তোমরা কি মনে কর যে, যিনি সত্য পথের সন্ধান দেন এবং সত্যকে প্রচার করেন তিনি তোমাদের জন্য মন্দভাগ্য বা বিপর্যয় নিয়ে আসতে পারেন ? ধিক্ তোমাদের।
৩৯৬৫। আল্লাহ্র নবীদ্বয়ের দায়িত্ব ছিলো নিঃস্বার্থ। তাঁরা আল্লাহ্র দয়া ও করুণা প্রচার করেছেন ,কিন্তু যারা পাপী ও অন্যায়কারী তারা ভালোকে পাপ আখ্যা দেয় , এবং সত্যকে মিথ্যা বলে অভিযুক্ত করে থাকে। এ প্রবণতা পৃথিবীতে সকল যুগেই সকল সীমালঙ্ঘনকারী ও সৎপথ বিচ্যুতদের মধ্যে বিদ্যামান ছিলো , বর্তমানেও আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। সুতারাং সত্যপথের পথিকদের জন্য এ এক বিশ্বজনীন উপদেশ।
আয়াতঃ 036.020
অতঃপর শহরের প্রান্তভাগ থেকে এক ব্যক্তি দৌড়ে এল। সে বলল, হে আমার সম্প্রদায় তোমরা রসূলগণের অনুসরণ কর।
Then there came running, from the farthest part of the City, a man, saying, “O my people! Obey the apostles:
وَجَاء مِنْ أَقْصَى الْمَدِينَةِ رَجُلٌ يَسْعَى قَالَ يَا قَوْمِ اتَّبِعُوا الْمُرْسَلِينَ
Wajaa min aqsa almadeenati rajulun yasAAa qala ya qawmi ittabiAAoo almursaleena
YUSUFALI: Then there came running, from the farthest part of the City, a man, saying, “O my people! Obey the messengers:
PICKTHAL: And there came from the uttermost part of the city a man running. He cried: O my people! Follow those who have been sent!
SHAKIR: And from the remote part of the city there came a man running, he said: O my people! follow the messengers;
KHALIFA: A man came from the other end of the city, saying, “O my people, follow the messengers.
২০। তখন শহরের দূরবর্তী প্রান্ত থেকে একজন লোক দৌড়ে এলো ৩৯৬৬ ; এই বলে , ” হে আমার সম্প্রদায় রাসুলদের মান্য কর, –
৩৯৬৬। নগরের ধনী, প্রভাবশালী ও প্রগতিবাদী লোকেরা যখন আল্লাহ্র দয়া, করুণা ও সদয় তত্বাবধান সম্বন্ধে সন্দিহান হয়ে পড়ে এবং কুসংস্কারচ্ছন্ন ভাবে নবীদের শিক্ষাকে অশুভ শক্তি হিসেবে পরিগণিত করে , সে সময়ে নগরের শেষ প্রান্তে বসবাসরত এক ব্যক্তি প্রকৃত সত্যকে অনুধাবন করতে সক্ষম হয়। সে নিজে সত্যকে বিশ্বাস করে, এবং নগরের অন্যান্য বাসিন্দাদের সত্য গ্রহণের জন্য অণুপ্রাণীত করে। এই বর্ণনাটি রূপক। যুগে যুগে সত্যের বাণী বা কোনও মহৎ কর্ম প্রথমেই স্বীকৃতি লাভ করে নাই। কায়েমী স্বার্থবাদীদের দ্বারা প্রত্যাখাত হয়েছে প্রথমে। কিন্তু সত্যের বীজের বা মহৎ কর্ম প্রচেষ্টার প্রথম অঙ্কুরোদ্গম ঘটে খুবই নগণ্য ভাবে – ধীরে ধীরে তা বিস্তার লাভ করে এবং একদিন বিশ্বজগত সভায় তা স্বীকৃত লাভ করে বিশ্বকে সত্যের আলোতে উদ্ভাসিত করে তোলে। আমাদের নবী হযরত মুহম্মদের [ সা ] বেলাতেও এই সত্যের ব্যতায় ঘটে নাই। আরবের উদ্ধত অহংকারী কোরেশরা যখন পূণ্যাত্মা নবীকে [ সা ] নির্বাসিত করলো, তাঁর পবিত্র জন্মভূমি থেকে , মক্কার দূরপ্রান্তে অবস্থিত মদিনার লোকেরা তাঁকে স্বাগত জানালো , তাঁর প্রচারিত সত্যতে বিশ্বাস স্থাপন করলো এবং তাঁর প্রচার কার্যে সহযোগীতা করলো। প্রথমে ইসলাম ক্ষুদ্র গোষ্ঠির মাঝে সীমাবদ্ধ ছিলো , পরে তা ধীরে ধীরে মদিনার সীমান্ত অতিক্রম করে যায় – যার ইতিহাস সকলেরই জানা।
আয়াতঃ 036.021
অনুসরণ কর তাদের, যারা তোমাদের কাছে কোন বিনিময় কামনা করে না, অথচ তারা সুপথ প্রাপ্ত।
“Obey those who ask no reward of you (for themselves), and who have themselves received Guidance.