إِذْ أَرْسَلْنَا إِلَيْهِمُ اثْنَيْنِ فَكَذَّبُوهُمَا فَعَزَّزْنَا بِثَالِثٍ فَقَالُوا إِنَّا إِلَيْكُم مُّرْسَلُونَ
Ith arsalna ilayhimu ithnayni fakaththaboohuma faAAazzazna bithalithin faqaloo inna ilaykum mursaloona
YUSUFALI: When We (first) sent to them two messengers, they rejected them: But We strengthened them with a third: they said, “Truly, we have been sent on a mission to you.”
PICKTHAL: When We sent unto them twain, and they denied them both, so We reinforced them with a third, and they said: Lo! we have been sent unto you.
SHAKIR: When We sent to them two, they rejected both of them, then We strengthened (them) with a third, so they said: Surely we are messengers to you.
KHALIFA: When we sent to them two (messengers), they disbelieved them. We then supported them by a third. They said, “We are (God’s) messengers to you.”
১৪। যখন আমি তাদের নিকট দুজন রাসুল প্রেরণ করেছিলাম, তারা তাদের প্রত্যাখান করেছিলো। কিন্তু আমি তাদের শক্তিশালী করেছিলাম তৃতীয় একজন দ্বারা ৩৯৫৮। তারা [ তিনজনে ] বলেছিলো , “আমরা সত্যিই তোমাদের নিকট রাসুল হিসেবে এসেছি। ”
৩৯৫৮। সত্য প্রচারের জন্য আল্লাহ্ তাঁর একজন বা দুজন নবীকে প্রেরণ করেন। কিন্তু যখন প্রতিপক্ষের বাঁধা অত্যন্ত প্রবল হয়, আল্লাহ্ তাদের তৃতীয় জন দ্বারা সাহায্য করেন। যদিও তাদের কর্তব্য হচ্ছে ঐশ্বরিক। কিন্তু তারা নিজেদের অতিমানব বলে দাবী করতেন না। তারা নিজেদের সাধারণ মানুষ হিসেবেই জনসমক্ষে তুলে ধরেন। যারা মন্দ, যারা পাপী, তারা এই ব্যাপারটিকে নিন্দনীয় মনে করতো যে সাধারণ মানুষের নিকট থেকে তারা শিক্ষা গ্রহণ করবে। কিন্তু তারা উপলব্ধি করতে পারতো না যে, আল্লাহ্র বাণী সাধারণ মানুষের মাধ্যমে প্রেরণের দ্বারা মানুষকে আল্লাহ্ সম্মানিত করেছেন। আল্লাহ্র বাণী মানুষের ভাষাতেই প্রকাশ করা হয়, কিন্তু যেহেতু এই বাণী মানুষের সত্যকে প্রকাশ করে, পাপীদের স্বার্থপরতা ও বিভিন্ন ঘৃণ্য আচরণের নিন্দা জ্ঞাপন করে থাকে। সুতারাং তারা এই প্রচারিত সত্যকে ভালো চক্ষে দেখে না। এ সব ক্ষেত্রে দেখা যায়, সমাজে যারা প্রভাবশালী ও সম্পদশালী তারা প্রকৃত সত্যকে গ্রহণে অপারগতা প্রকাশ করে , কারণ তা তাদের ব্যক্তিস্বার্থের বিরুদ্ধে যায়। বিশেষতঃ সমাজে যারা দরিদ্র ও অবহেলিত তারাই সত্যকে গ্রহণে আগ্রহী হয় এবং প্রয়োজনে তারা সত্যের জন্য জীবন দিতেও দ্বিধা বোধ করে না। যারা উদ্ধত , অহংকারী ও অবাধ্য তারা সত্যকে প্রতিহত দ্বারা নিজের ধ্বংস নিজেই ঢেকে আনে।
আয়াতঃ 036.015
তারা বলল, তোমরা তো আমাদের মতই মানুষ, রহমান আল্লাহ কিছুই নাযিল করেননি। তোমরা কেবল মিথ্যাই বলে যাচ্ছ।
The (people) said: “Ye are only men like ourselves; and ((Allah)) Most Gracious sends no sort of revelation: ye do nothing but lie.”
قَالُوا مَا أَنتُمْ إِلاَّ بَشَرٌ مِّثْلُنَا وَمَا أَنزَلَ الرَّحْمن مِن شَيْءٍ إِنْ أَنتُمْ إِلاَّ تَكْذِبُونَ
Qaloo ma antum illa basharun mithluna wama anzala alrrahmanu min shay-in in antum illa takthiboona
YUSUFALI: The (people) said: “Ye are only men like ourselves; and (Allah) Most Gracious sends no sort of revelation: ye do nothing but lie.”
PICKTHAL: They said: Ye are but mortals like unto us. The Beneficent hath naught revealed. Ye do but lie!
SHAKIR: They said: You are naught but mortals like ourselves, nor has the Beneficent Allah revealed anything; you only lie.
KHALIFA: They said, “You are no more than human beings like us. The Most Gracious did not send down anything. You are liars.”
১৫। [ সম্প্রদায়ের লোকেরা ] বলেছিলো , ” তোমরা তো আমাদের মতই মানুষ মাত্র ৩৯৫৯। এবং পরম করুণাময় [আল্লাহ্ ] কোনরকম প্রত্যাদেশ প্রেরণ করেন নাই ৩৯৬০। তোমরা শুধু মিথ্যা কথাই বলছো।”
৩৯৫৯। মন্দ লোকদের বক্তব্য ছিলো যে, ” তোমরা তো আমাদের মতই রক্ত মাংসের মানুষ , যাদের আমাদের মতই আবেগ অনুভূতি আছে, তবে তোমরা আমাদের থেকে শ্রেষ্ঠ কিসে ? ”
৩৯৬০। তারা শুধু যে তাদের নবীদের শিক্ষাকে প্রত্যাখান করেছিলো তাই-ই নয় , তারা আল্লাহ্র প্রত্যাদেশ প্রেরণের সম্ভাবনাকেও তুচ্ছ জ্ঞান করেছিলো। এখানে লক্ষ্যনীয় যে, তাদের আচরণ ছিলো প্রতারণামূলক, অসঙ্গত এবং অপরাধমূলক। কারণ তারা আল্লাহ্র প্রত্যাদেশকে প্রত্যাখান করেছিলো । আল্লাহ্র নামের পূর্বে “পরম করুণাময়” শব্দটির ব্যবহার বিদ্রূপাত্মক অর্থেই তারা করেছিলো।
আয়াতঃ 036.016
রাসূলগণ বলল, আমাদের পরওয়ারদেগার জানেন, আমরা অবশ্যই তোমাদের প্রতি প্রেরিত হয়েছি।
They said: “Our Lord doth know that we have been sent on a mission to you:
قَالُوا رَبُّنَا يَعْلَمُ إِنَّا إِلَيْكُمْ لَمُرْسَلُونَ
Qaloo rabbuna yaAAlamu inna ilaykum lamursaloona