আয়াতঃ 036.072
আমি এগুলোকে তাদের হাতে অসহায় করে দিয়েছি। ফলে এদের কতক তাদের বাহন এবং কতক তারা ভক্ষণ করে।
And that We have subjected them to their (use)? of them some do carry them and some they eat:
وَذَلَّلْنَاهَا لَهُمْ فَمِنْهَا رَكُوبُهُمْ وَمِنْهَا يَأْكُلُونَ
Wathallalnaha lahum faminha rakoobuhum waminha ya/kuloona
YUSUFALI: And that We have subjected them to their (use)? of them some do carry them and some they eat:
PICKTHAL: And have subdued them unto them, so that some of them they have for riding, some for food?
SHAKIR: And We have subjected them to them, so some of them they have to ride upon, and some of them they eat.
KHALIFA: And we subdued them for them; some they ride, and some they eat.
৭২। এবং তাদের [ ব্যবহারের ] জন্য বশীভূত করে দিয়েছি ? এগুলির কতক তাদের বহন করে এবং কতক তারা ভক্ষণ করে।
৭৩। এবং [ এছাড়াও ] তাদের জন্য এগুলিতে আছে [বহু ] উপকারিতা ৪০১৯। আর তাদের জন্য আছে পানীয় [ দুগ্ধ ]। তবুও কি তারা কৃতজ্ঞ হবে না ৪০২০।
৪০১৯। বহু উপকারীতা যেমন : পশুর চামড়া ব্যবহৃত হয়, পশম ব্যবহার শীত বস্ত্রের জন্য, ভেড়ার লোমে উল তৈরী হয, উটের লোমে কম্বল ও গরম কাপড় হয়। লোমশ পশুর চামড়া [ far ] কোট তৈরীর জন্য ইত্যাদি বিবিধ ব্যবহার হয়
৪০২০। এতক্ষণ আল্লাহ্র করুণার যে বিবরণ দেয়া হলো ,তা এই জন্য যে , আল্লাহ্র শিক্ষা মানুষের মঙ্গলের জন্য, এতে আল্লাহ্র কোন লাভ নাই। আল্লাহ্ মানুষকে তাঁর বিভিন্ন নেয়ামতের ধন্য করেছেন, তবুও কি মানুষ আল্লাহ্র আহ্বানে সাড়া দিয়ে তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের পরিবর্তে আল্লাহ্র আহ্বানকে প্রত্যাখান করে তাদের কাল্পনিক উপাস্যের প্রতি ধাবিত হবে ?
আয়াতঃ 036.073
তাদের জন্যে চতুস্পদ জন্তুর মধ্যে অনেক উপকারিতা ও পানীয় রয়েছে। তবুও কেন তারা শুকরিয়া আদায় করে না?
And they have (other) profits from them (besides), and they get (milk) to drink. Will they not then be grateful?
وَلَهُمْ فِيهَا مَنَافِعُ وَمَشَارِبُ أَفَلَا يَشْكُرُونَ
Walahum feeha manafiAAu wamasharibu afala yashkuroona
YUSUFALI: And they have (other) profits from them (besides), and they get (milk) to drink. Will they not then be grateful?
PICKTHAL: Benefits and (divers) drinks have they from them. Will they not then give thanks?
SHAKIR: And therein they have advantages and drinks; will they not then be grateful?
KHALIFA: They derive other benefits from them, as well as drinks. Would they not be appreciative?
৭২। এবং তাদের [ ব্যবহারের ] জন্য বশীভূত করে দিয়েছি ? এগুলির কতক তাদের বহন করে এবং কতক তারা ভক্ষণ করে।
৭৩। এবং [ এছাড়াও ] তাদের জন্য এগুলিতে আছে [বহু ] উপকারিতা ৪০১৯। আর তাদের জন্য আছে পানীয় [ দুগ্ধ ]। তবুও কি তারা কৃতজ্ঞ হবে না ৪০২০।
৪০১৯। বহু উপকারীতা যেমন : পশুর চামড়া ব্যবহৃত হয়, পশম ব্যবহার শীত বস্ত্রের জন্য, ভেড়ার লোমে উল তৈরী হয, উটের লোমে কম্বল ও গরম কাপড় হয়। লোমশ পশুর চামড়া [ far ] কোট তৈরীর জন্য ইত্যাদি বিবিধ ব্যবহার হয়
৪০২০। এতক্ষণ আল্লাহ্র করুণার যে বিবরণ দেয়া হলো ,তা এই জন্য যে , আল্লাহ্র শিক্ষা মানুষের মঙ্গলের জন্য, এতে আল্লাহ্র কোন লাভ নাই। আল্লাহ্ মানুষকে তাঁর বিভিন্ন নেয়ামতের ধন্য করেছেন, তবুও কি মানুষ আল্লাহ্র আহ্বানে সাড়া দিয়ে তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের পরিবর্তে আল্লাহ্র আহ্বানকে প্রত্যাখান করে তাদের কাল্পনিক উপাস্যের প্রতি ধাবিত হবে ?
আয়াতঃ 036.074
তারা আল্লাহর পরিবর্তে অনেক উপাস্য গ্রহণ করেছে যাতে তারা সাহায্যপ্রাপ্ত হতে পারে।
Yet they take (for worship) gods other than Allah, (hoping) that they might be helped!
وَاتَّخَذُوا مِن دُونِ اللَّهِ آلِهَةً لَعَلَّهُمْ يُنصَرُونَ
Waittakhathoo min dooni Allahi alihatan laAAallahum yunsaroona
YUSUFALI: Yet they take (for worship) gods other than Allah, (hoping) that they might be helped!
PICKTHAL: And they have taken (other) gods beside Allah, in order that they may be helped.
SHAKIR: And they have taken gods besides Allah that they may be helped.
KHALIFA: They set up beside GOD other gods, perhaps they can be of help to them!
৭৪। তবুও তারা [ উপাসনার জন্য ] আল্লাহ্ ব্যতীত অন্য দেবতা গ্রহণ করে। [ আশা করে ] তারা হয়তো সাহায্যপ্রাপ্ত হবে।
৭৫। দেবতাদের সাহায্য করার মত কোন ক্ষমতাই নাই। উপরন্তু তাদেরকে উপস্থিত করা হবে [ বিচাকের সম্মুখে ] দল হিসেবে [ নিন্দা জ্ঞাপনের জন্য ] ৪০২১।
৪০২১। এই আয়াতটির ব্যাখ্যা সম্বন্ধে তফসীরকারদের মধ্যে মতভেদ আছে। মওলানা ইউসুফ আলী সাহেবের মতে এর ব্যাখ্যা নিম্নরূপ। মানুষ সুখ ও স্বাচ্ছন্দে এতটাই অভ্যস্ত হয়ে যায় যে, সে প্রকৃতপক্ষে ভুলে যায় যে, এ সব কিছু আল্লাহ্র দান। মানুষের স্বাভাবিক প্রবণতা হচ্ছে আল্লাহকে ভুলে কাল্পনিক শক্তির উপাসনা করা। সকল কল্যাণ ও মঙ্গল যে আল্লাহ্র হাতে এই স্বাভাবিক সত্যকে ভুলে সে কাল্পনিক ক্ষমতার দাসত্ব করে তার অস্তিত্ব বা সুখের জন্য। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় যেমন : মানুষ পীরের মাজার পূঁজা করে, ভন্ডপীরের আশ্রয় প্রার্থনা করে , আবার কেউ বীর বা আদর্শ পুরুষের পূঁজা করে, যেমন কমুনিষ্টরা তাদের আদর্শের অনুসরণের নামে ব্যক্তিপূঁজা করে থাকে, আবার যারা প্রগতিবাদী তারা বিমূর্ত জিনিষের উপাসনা করে, যেমনঃ এদের কেউ বিজ্ঞানকে সকল শক্তির উৎস মনে করে, আবার কেউ প্রকৃতিবাদী। কেউ কেউ আবার কুসংস্কারচ্ছন্ন , এরা অলৌকিক কর্মকান্ডে যেমন যাদু-টোনা , সৌভাগ্যের জন্য রত্নপাথর ধারণ বা দুর্ভাগ্যের জন্য মাদুলি ধারণ ইত্যাদি। এ সব বিশ্লেষণ করলে যে সত্য বেরিয়ে আসে তা হচ্ছে এরা সকলেই নিজস্ব স্বার্থের পরিপূর্ণতা দানের জন্য আল্লাহ্র পরিবর্তে অন্য উপাস্যকে গ্রহণ করে থাকে। এরা মনে করে যে এ সব মিথ্যা উপাস্যরা তাদের ইহকাল এবং পরকাল উভয় দুনিয়াতেই সাহায্য করতে পারবে। অবশ্য তারা যদি সত্যিই পরলোকে বিশ্বাস করে থাকে। কিন্তু দুঃখের বিষয় এ সব মিথ্যা উপাস্যরা তাদের কোনরূপ উপকার করতে অক্ষম। প্রকৃত পক্ষে যা কিছু মিথ্যা সব কিছু শেষ বিচারের দিনে আল্লাহ্র সম্মুখে উপস্থিত করা হবে এবং দণ্ডাদেশ দেয়া হবে। মিথ্যাকে লালন পালন ও বহন করার অপরাধে উপাসনাকারীদের অপরাধী সাব্যাস্ত করা হবে – সুতারাং তারা হবে শাস্তিযোগ্য। সুতারাং মিথ্যা উপাসনা তাদের সাহায্য করার পরিবর্তে তাদের অপরাধ ও শাস্তির বৃদ্ধি করবে।