৬৯। আমি রাসুলকে কাব্য রচনা করতে শিক্ষা দেই নাই ৪০১৫। এটা তার জন্য উপযুক্তও নয়। ইহা তো কেবল এক উপদেশ এবং কুর-আন , যা সব কিছু সুষ্পষ্ট করে থাকে।
৪০১৫। দেখুন আয়াত [ ২৬ : ২২৪ ] এবং টিকা ৩২৩৭ যেখানে কবিদের সম্বন্ধে বলা হয়েছে। বিশেষত : কাব্য হচ্ছে রূপকথার গল্প স্বরূপ , যার কোনও বাস্তব ভিত্তি নাই যা কাল্পনিক , অবাস্তব ও মিথ্যা ঘটনার বর্ণনা ব্যতীত অন্য কিছু নয়। শুধুমাত্র শব্দের ঝংকারে মানুষের মাঝে বিভ্রান্তি ঘটানোর চেষ্টা মাত্র। অপরপক্ষে কোরাণ হচ্ছে, জীবনের বাস্তব পথপ্রদর্শক , সত্য এবং স্বচ্ছ ধারণার প্রকাশ। সুতারাং রাসুলকে কবি বলার অবকাশ নাই , তিনি কোনও কাব্যও রচনা করেন নাই।
আয়াতঃ 036.070
যাতে তিনি সতর্ক করেন জীবিতকে এবং যাতে কাফেরদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রতিষ্ঠিত হয়।
That it may give admonition to any (who are) alive, and that the charge may be proved against those who reject (Truth).
لِيُنذِرَ مَن كَانَ حَيًّا وَيَحِقَّ الْقَوْلُ عَلَى الْكَافِرِينَ
Liyunthira man kana hayyan wayahiqqa alqawlu AAala alkafireena
YUSUFALI: That it may give admonition to any (who are) alive, and that the charge may be proved against those who reject (Truth).
PICKTHAL: To warn whosoever liveth, and that the word may be fulfilled against the disbelievers.
SHAKIR: That it may warn him who would have life, and (that) the word may prove true against the unbelievers.
KHALIFA: To preach to those who are alive, and to expose the disbelievers.
৭০। জীবিতদের যেনো সাবধান করতে পারে ৪০১৬ এবং যারা [ সত্যকে ] প্রত্যাখান করেছে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হতে পারে ৪০১৭।
৪০১৬। “জীবিতগণ” এই শব্দটি আক্ষরিক অর্থে এবং উপমার্থে এখানে ব্যবহার করা হয়েছে। আক্ষরিক অর্থে যার জীবন আছে উপমার্থে শুধু শারীরিক জীবন তাই নয়, জীবনের সাথে যে সব কর্মকান্ড জড়িত থাকে তাকেও বোঝানো হয়েছে। ধর্মের পটভূমিতে এই জীবনকে এ ভাবে উপস্থাপন করা যায় ; ধর্মীয় জীবনের আহ্বানে যারা প্রতিবেদনশীল নয় , আধ্যাত্মিক জীবন যাদের নিকট বাস্তব সত্য নয়, তারা শারীরিক দিক থেকে জীবিত থাকলেও তারা মৃত।
মৃত ব্যক্তি যেরূপ কোনও কিছু শুনতে অক্ষম , এরাও সেরূপ আল্লাহ্র বাণী বুঝতে পারে না , কারণ আত্মিক দিক থেকে তারা মৃত। আল্লাহ্র বাণী তাঁদেরই মর্মদেশে স্থান লাভ করে , অন্তরের অনুভূতিকে স্পর্শ করে যারা আধ্যাত্মিক দিক থেকে জীবন্ত। “জীবিতগণ ” শব্দটি এই আয়াতে আধ্যাত্মিক দিক থেকে জীবিতদের বুঝানো হয়েছে।
৪০১৭। দেখুন আয়াত [ ২৮: ৬৩ ]। যদি বার বার সর্তকতা ও উপদেশের পরেও কেউ সত্যকে প্রত্যাখান করে এবং আল্লাহ্র প্রতি বিশ্বাস স্থাপন না করে , তবে তাদের বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃতভাবে অবাধ্যতা এবং বিদ্রোহের অভিযোগ সত্য বলে প্রমাণিত হয়। এরপরে কাফেররা আর এ কথা বলে রেহাই পাবে না যে তারা প্রকৃত সত্য সম্বন্ধে অজ্ঞ ছিলো বা তাদের কেউ সর্তক করে দেয় নাই।
আয়াতঃ 036.071
তারা কি দেখে না, তাদের জন্যে আমি আমার নিজ হাতের তৈরী বস্তুর দ্বারা চতুস্পদ জন্তু সৃষ্টি করেছি, অতঃপর তারাই এগুলোর মালিক।
See they not that it is We Who have created for them – among the things which Our hands have fashioned – cattle, which are under their dominion?-
أَوَلَمْ يَرَوْا أَنَّا خَلَقْنَا لَهُمْ مِمَّا عَمِلَتْ أَيْدِينَا أَنْعَامًا فَهُمْ لَهَا مَالِكُونَ
Awa lam yaraw anna khalaqna lahum mimma AAamilat aydeena anAAaman fahum laha malikoona
YUSUFALI: See they not that it is We Who have created for them – among the things which Our hands have fashioned – cattle, which are under their dominion?-
PICKTHAL: Have they not seen how We have created for them of Our handiwork the cattle, so that they are their owners,
SHAKIR: Do they not see that We have created cattle for them, out of what Our hands have wrought, so they are their masters?
KHALIFA: Have they not seen that we created for them, with our own hands, livestock that they own?
৭১। তারা কি দেখে না যে, আমার হাতে সৃষ্ট বস্তুসমূহের মধ্য থেকে আমি তাদের জন্য সৃষ্টি করেছি গৃহপালিত জন্তু ,যেগুলিকে তাদের অধীন করেছি ? – ৪০১৮।
৪০১৮। আল্লাহ্র নিদর্শন সমূহের প্রতি এই আয়াতে মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। তারা যদি আল্লাহ্র হাতের স্পর্শ এই বিশাল বিশ্ব ভূবনের মাঝে অনুভব করতে অক্ষম হয়, তবে তাদের দৈনন্দিক জীবনের ক্ষুদ্র গন্ডিতে তা উপলব্ধি করতে বলা হয়েছে। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই আল্লাহ্র অসীম করুণা, প্রবাহিত। আল্লাহ্র করুণায় বন্য প্রাণী মানুষের গৃহে পালিত হয় – যার দ্বারা মানুষ বিভিন্ন ভাবে উপকৃত হয়। মানুষ তাতে আরোহণ করে, ভার বহনের জন্য ব্যবহার করে, তাদের মাংস খায়, দুধ খায় , পশম ব্যবহার করে পশমী বস্ত্রের জন্য। সুতারাং কার অনুগ্রহের ফলে তারা পৃথিবীর জীবন সুখ ও স্বাচ্ছন্দে , আরামে ও আয়েশে ভরে উঠেছে তা উপলব্ধি করতে বলা হয়েছে।