৬৭। এবং আমি যদি ইচ্ছা করতাম তবে তাদের স্ব স্থানে [ স্থির ] থাকার মত [ প্রাণী বা পদার্থে ] রূপান্তরিত করে দিতে পারতাম ৪০১৩। তাহলে তারা চলতে সক্ষম হতো না অথবা [ভুল করার পরে ] ফিরে আসতে পারতো না।
৪০১৩। আল্লাহ্ মানুষকে সীমিত স্বাধীন ইচ্ছা শক্তি দিয়ে সৃষ্টি করেছেন। তবে তিনি যদি ইচ্ছা করতেন তবে মানুষকে বর্তমান রূপে সৃষ্টি না করে অন্যরূপেও সৃষ্টি করতে পারতেন যারা হতো গাছের মত চলশক্তিহীন বা এমন প্রাণী যাদের কোন আধ্যাত্মিক শক্তি থাকতো না। এই আধ্যাত্মিক শক্তির কারণেই মানুষ হচ্ছে মানুষ – আল্লাহ্র প্রাণীকূলের শ্রেষ্ঠ প্রাণী, আশরাফুল মাখলুকাত বা আল্লাহ্র প্রতিনিধি। মানুষের জন্য এ এক বিশাল সম্মান ও মহান দায়িত্ব স্রষ্টার নিকট থেকে প্রাপ্ত। যদি মানুষ তার পথে চলতে ভুল ভ্রান্তি করে এবং বিপথে চালিত হয় , তবে অপার করুণাময় স্রষ্টা তার জন্য অনুতাপের মাধ্যমে সঠিক পথে ফিরে আসার পথ উম্মুক্ত রেখেছেন ; যেনো আধ্যাত্মিক উন্নতির দুয়ার তার জন্য রুদ্ধ হয়ে না যায়। মানুষকে আধ্যাত্মিক ক্ষমতা দান পরম করুণাময়ের ইচ্ছা। মানুষের জন্য এ হচ্ছে এক বিশেষ সুবিধা ও সম্মান যার দায় দায়িত্ব মানুষকেই নিতে হবে। ভালো কাজের পুরষ্কার ও মন্দ কাজের শাস্তি।
আয়াতঃ 036.068
আমি যাকে দীর্ঘ জীবন দান করি, তাকে সৃষ্টিগত পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে নেই। তবুও কি তারা বুঝে না?
If We grant long life to any, We cause him to be reversed in nature: Will they not then understand?
وَمَنْ نُعَمِّرْهُ نُنَكِّسْهُ فِي الْخَلْقِ أَفَلَا يَعْقِلُونَ
Waman nuAAammirhu nunakkis-hu fee alkhalqi afala yaAAqiloona
YUSUFALI: If We grant long life to any, We cause him to be reversed in nature: Will they not then understand?
PICKTHAL: He whom we bring unto old age, We reverse him in creation (making him go back to weakness after strength). Have ye then no sense?
SHAKIR: And whomsoever We cause to live long, We reduce (him) to an abject state in constitution; do they not then understand?
KHALIFA: Whomever we permit to live for a long time, we revert him to weakness. Do they not understand?
রুকু – ৫
৬৮। যদি আমি কাউকে দীর্ঘজীবন দান করি , আমি তাকে প্রকৃতির নিয়ম অনুযায়ী পিছন দিকে ফিরিয়ে দেই ৪০১৪। তবুও কি তারা বুঝবে না ?
৪০১৪। এই আয়াতটি পূর্বের আয়াতের ধারাবাহিকতা স্বরূপ। কারণ এই আয়াতেও আল্লাহ্র ক্ষমতাকে প্রকাশ করা হয়েছে এবং একে অনুধাবন করার জন্য উদাহরণের উল্লেখ করা হয়েছে যার সাহায্যে মানুষকে চিন্তা করে উপলব্ধি করতে বলা হয়েছে। মানুষের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সম্পূর্ণ ব্যাপারটি গভীরভাবে চিন্তা করলে মানুষকে অবশ্যই অভিভূত ভাবে বলতে হবে ” আল্লাহ্ তুমি-ই মহান ও ধন্য।” মানব সন্তান পৃথিবীতে আসে সকল প্রাণীর মধ্যে সবচেয়ে অসহায় অবস্থায় সে একটি মাংসের মন্ড ব্যতীত অন্য কিছু নয়। আস্তে আস্তে সে বড় হয় এবং বিভিন্ন নৈতিক ও চারিত্রিক গুণাবলীতে আল্লাহ্ তাঁকে ধন্য করেন। তার মাঝে জন্ম নেয় সাহস, শৈর্য্য-বীর্য, অজানাকে জয়ের আকাঙ্খা, জ্ঞান, প্রজ্ঞা ইত্যাদি। ধীরে ধীরে সে নিজেকে প্রকাশ করে – পৃথিবীকে সে তার সেবা দিয়ে ধন্য করে, পৃথিবীর অগ্রযাত্রায় সে অংশগ্রহণ করে। যৌবনে সে মধ্যাহ্ন সূর্যের ন্যায় দীপ্ত , ভাস্বর । এর পরে আসে বাদ্ধর্ক্য। ধীরে ধীরে তার সকল গুণাবলী ও বৈশিষ্ট্য লুপ্ত হয়ে সে আবার শিশুর ন্যায় আচরণ প্রাপ্ত হয়। একই জীবনে সে আবার শৈশব প্রাপ্ত হয়। যে মানুষ উন্নত মস্তকে দৃপ্ত পদভরে ,পৃথিবীতে প্রকম্পিত করতো , সেই মানুষ কুব্জনুব্জ ভাবে কম্পিত পদক্ষেপে পদচারণ করে। একই মানুষের মাঝে বিভিন্ন বয়েসে যে বিভিন্ন পরিবর্তন ঘটে থাকে সেকি স্রষ্টার সৃষ্টি নৈপুন্যের স্বাক্ষর নয় ? যদি একই ব্যক্তির বিভিন্ন পরিবর্তন স্রষ্টা করতে পারেন এই পৃথিবীতেই তবে সেই মানুষকে পুণঃসৃষ্টি আল্লাহ্র পক্ষে কত সহজ। মানুষের দোষত্রুটি সত্বেও আল্লাহ্ মানুষকে করেছেন সম্মানীত যা বর্ণনা করা হয়েছে উপরের আয়াতে।
আয়াতঃ 036.069
আমি রসূলকে কবিতা শিক্ষা দেইনি এবং তা তার জন্যে শোভনীয়ও নয়। এটা তো এক উপদেশ ও প্রকাশ্য কোরআন।
We have not instructed the (Prophet) in Poetry, nor is it meet for him: this is no less than a Message and a Qur’an making things clear:
وَمَا عَلَّمْنَاهُ الشِّعْرَ وَمَا يَنبَغِي لَهُ إِنْ هُوَ إِلَّا ذِكْرٌ وَقُرْآنٌ مُّبِينٌ
Wama AAallamnahu alshshiAAra wama yanbaghee lahu in huwa illa thikrun waqur-anun mubeenun
YUSUFALI: We have not instructed the (Prophet) in Poetry, nor is it meet for him: this is no less than a Message and a Qur’an making things clear:
PICKTHAL: And We have not taught him (Muhammad) poetry, nor is it meet for him. This is naught else than a Reminder and a Lecture making plain,
SHAKIR: And We have not taught him poetry, nor is it meet for him; it is nothing but a reminder and a plain Quran,
KHALIFA: What we taught him (the messenger) was not poetry, nor is he (a poet). This is but a formidable proof, and a profound Quran.