৫৮। “শান্তি !” – পরম দয়ালু প্রভুর নিকট থেকে সম্ভাষণ ৪০০৪।
৪০০৪। বেহেশতি শান্তির সর্বোচ্চ অবস্থা এই আয়াতে বর্ণনা করা হয়েছে। দেখুন আয়াত [ ১০ : ১০]। আল্লাহ্ স্বয়ং মোমেন বান্দাদের ‘সালাম’ জানাবেন। ‘সালাম’ অর্থ শান্তি -তিনি অবারিত হস্তে পূণ্যাত্মাদের উপরে শান্তির বারি বর্ষণ করবেন। সেই চিরমুক্তি , চিরশান্তির দেশে মানবাত্মা অসীম শান্তির রাজ্যে ডুবে যাবে। আল্লাহ্ শুধু আমাদের প্রভু ও পালনকর্তাই নন , তাঁর সর্বোচ্চ মহিমা হচ্ছে, করুণা, দয়া, শান্তি ও সমন্বিত শৃঙ্খলা। ‘সালাম’ শব্দটি বান্দার জন্য এ সব কিছুই বহন কর আনে।
আয়াতঃ 036.059
হে অপরাধীরা! আজ তোমরা আলাদা হয়ে যাও।
“And O ye in sin! Get ye apart this Day!
وَامْتَازُوا الْيَوْمَ أَيُّهَا الْمُجْرِمُونَ
Waimtazoo alyawma ayyuha almujrimoona
YUSUFALI: “And O ye in sin! Get ye apart this Day!
PICKTHAL: But avaunt ye, O ye guilty, this day!
SHAKIR: And get aside today, O guilty ones!
KHALIFA: As for you, O guilty ones, you will be set aside.
৫৯। ” আর যারা পাপে আসক্ত ! আজকের দিনে তোমরা পৃথক হয়ে যাও ৪০০৫।
৪০০৫। আল্লাহ্র আশীর্বাদ ধন্যদের অবস্থা ধাপে ধাপে বর্ণনার পরে সর্বোচ্চ পরিপূর্ণতা বর্ণনা করা হয়েছে আল্লাহ্র সম্বোধনের মাধ্যমে ; ‘সালাম’ বা পরিপূর্ণ শান্তি হচ্ছে সেই বিশেষ অবস্থা। এই বর্ণনার পটভূমিতে বলা হয়েছে পাপীদের কথা।
প্রথমে বলা হয়েছে ; তাদের পৃথকীকরণ অবস্থা। পৃথিবীতে পাপী ও পূণ্যাত্মা পাশাপাশি থাকে। কিন্তু পৃথিবীর জীবন শেষে পরলোকে শেষ বিচারের দিনে পাপীরা পূণ্যাত্মাদের সাথে সহ অবস্থানে থাকার সুযোগ পাবে না। পৃথিবীতে পূণ্যাত্মাদের কাছাকাছি থেকে তারা আত্মিক উন্নতির সুযোগ গ্রহণ করতে পারতো , কিন্তু তারা সে সুযোগ পৃথিবীতে গ্রহণ করে নাই। এখন পরলোকে প্রথমেই তাদের পূণ্যাত্মাদের নিকট থেকে বিচ্ছিন্ন করা হবে। শেষ বিচারের দিন হবে “পৃথকীকরণের দিন” বা ভালো ও মন্দের বিচ্ছিন্নকরণের দিন। প্রতিটি আত্মা তার প্রকৃত অবস্থাকে উপলব্ধি করতে পারবে। প্রকৃত সত্যকে অনুধাবনের মাধ্যমে সে পৃথিবীতে তার কৃতকর্মের পরিণাম বুঝতে সক্ষম হবে। কারণ তখন তার পৃথিবীর ‘শিক্ষানবীশকাল ‘ শেষ হয়ে যাবে – যে জীবনে আর ফিরে যাওয়া সম্ভব নয়।
আয়াতঃ 036.060
হে বনী-আদম! আমি কি তোমাদেরকে বলে রাখিনি যে, শয়তানের এবাদত করো না, সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু?
“Did I not enjoin on you, O ye Children of Adam, that ye should not worship Satan; for that he was to you an enemy avowed?-
أَلَمْ أَعْهَدْ إِلَيْكُمْ يَا بَنِي آدَمَ أَن لَّا تَعْبُدُوا الشَّيْطَانَ إِنَّهُ لَكُمْ عَدُوٌّ مُّبِينٌ
Alam aAAhad ilaykum ya banee adama an la taAAbudoo alshshaytana innahu lakum AAaduwwun mubeenun
YUSUFALI: “Did I not enjoin on you, O ye Children of Adam, that ye should not worship Satan; for that he was to you an enemy avowed?-
PICKTHAL: Did I not charge you, O ye sons of Adam, that ye worship not the devil – Lo! he is your open foe! –
SHAKIR: Did I not charge you, O children of Adam ! that you should not serve the Shaitan? Surely he is your open enemy,
KHALIFA: Did I not covenant with you, O Children of Adam, that you shall not worship the devil? That he is your most ardent enemy?
৬০। ” হে আদমের সন্তানগণ ! আমি কি তোমাদের এই নির্দ্দেশ দিই নাই যে , তোমরা শয়তানের দাসত্ব করবে না ? কারণ সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু ৪০০৬,-
৪০০৬। দ্বিতীয়তঃ এই আয়াতে পাপীদের মৃদু ভর্ৎসনা করা হয়েছে, যে ভর্ৎসনার সাথে রাগ অপেক্ষা দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে অধিক। তাদের সকলকে সম্বোধন করা হয়েছে , ” বনী আদম” বা আদমের সন্তান রূপে। এখানে দুটো বিষয়ের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে :
১) হযরত আদম বেহেশতে শয়তানের প্রলোভনে আল্লাহ্র আদেশ অমান্য করেন কিন্তু পরে অনুতপ্ত হলে আল্লাহ্ তাঁকে ক্ষমা করে দেন এবং তাঁকে ও তাঁর সন্তানদের সম্মানিত করেন পৃথিবীতে আল্লাহ্র প্রতিনিধিরূপে। পাপীরা তাদের পাপ কাজ দ্বারা আল্লাহ্র দেয়া দায়িত্বের অবমাননা করে , ফলে তারা তাদের পূর্বপুরুষের অসম্মান করে।
২) পরম করুণাময় আল্লাহ্ যুগে যুগে নবী রসুলদের দ্বারা মানুষকে শয়তানের প্রতারণার বিরুদ্ধে সর্তক করে দিয়েছেন। বলা হয়েছে শয়তান মানুষের প্রকাশ্য শত্রু। একথাও বলা হয়েছে যে, আল্লাহ্র করুণা সর্বদা মানুষকে শয়তানের ফাঁদ থেকে রক্ষা করার জন্য ব্যকুল।
আয়াতঃ 036.061
এবং আমার এবাদত কর। এটাই সরল পথ।
“And that ye should worship Me, (for that) this was the Straight Way?
وَأَنْ اعْبُدُونِي هَذَا صِرَاطٌ مُّسْتَقِيمٌ
Waani oAAbudoonee hatha siratun mustaqeemun
YUSUFALI: “And that ye should worship Me, (for that) this was the Straight Way?
PICKTHAL: But that ye worship Me? That was the right path.
SHAKIR: And that you should serve Me; this is the right way.
KHALIFA: And that you shall worship Me alone? This is the right path.