আয়াতঃ 036.006
যাতে আপনি এমন এক জাতিকে সতর্ক করেন, যাদের পূর্ব পুরুষগণকেও সতর্ক করা হয়নি। ফলে তারা গাফেল।
In order that thou mayest admonish a people, whose fathers had received no admonition, and who therefore remain heedless (of the Signs of Allah..
لِتُنذِرَ قَوْمًا مَّا أُنذِرَ آبَاؤُهُمْ فَهُمْ غَافِلُونَ
Litunthira qawman ma onthira abaohum fahum ghafiloona
YUSUFALI: In order that thou mayest admonish a people, whose fathers had received no admonition, and who therefore remain heedless (of the Signs of Allah).
PICKTHAL: That thou mayst warn a folk whose fathers were not warned, so they are heedless.
SHAKIR: That you may warn a people whose fathers were not warned, so they are heedless.
KHALIFA: To warn people whose parents were never warned, and therefore, they are unaware.
০৬। যেনো, তুমি সর্তক করতে পার এমন এক সম্প্রদায়কে যাদের পূর্বপুরুষেরা কোন সর্তকবাণী প্রাপ্ত হয় নাই ৩৯৪৬। সুতারাং [তারা আল্লাহ্র নিদর্শন সম্বন্ধে ] মনোযোগ দেয় না।
৩৯৪৬। রাসুলের পূর্বে কোরেশদের মাঝে কোনও নবীর আগমন ঘটে নাই। সুতারাং তাদের মধ্যে থেকে একজনকে আল্লাহ্র বাণী প্রচারের জন্য প্রেরণ করা হয়। সারা পৃথিবীর জন্য যে ঐশী বাণী হবে আল্লাহ্র রহমত স্বরূপ।
আয়াতঃ 036.007
তাদের অধিকাংশের জন্যে শাস্তির বিষয় অবধারিত হয়েছে। সুতরাং তারা বিশ্বাস স্থাপন করবে না।
The Word is proved true against the greater part of them: for they do not believe.
لَقَدْ حَقَّ الْقَوْلُ عَلَى أَكْثَرِهِمْ فَهُمْ لَا يُؤْمِنُونَ
Laqad haqqa alqawlu AAala aktharihim fahum la yu/minoona
YUSUFALI: The Word is proved true against the greater part of them: for they do not believe.
PICKTHAL: Already hath the judgment, (for their infidelity) proved true of most of them, for they believe not.
SHAKIR: Certainly the word has proved true of most of them, so they do not believe.
KHALIFA: It has been predetermined that most of them do not believe.
০৭। তাদের অধিকাংশের বিরুদ্ধে আল্লাহ্র [ শাস্তির ] বাণী অবধারিত হয়ে গেছে। সুতারাং তারা ঈমান আনবে না ৩৯৪৭।
৩৯৪৭। দেখুন [ ৭ : ৩০ ] ও টিকা ১০১২ আরও দেখুন [ ১৭ : ১৬ ] এবং টিকা ২১৯৩। অবিশ্বাস আত্মার মাঝে ক্ষতের সৃষ্টি করে। যারা ইচ্ছাকৃত ভাবে অবিশ্বাস করে থাকে অর্থাৎ যারা একগুঁয়ে ও অবাধ্যভাবে আল্লাহ্র পথ নির্দ্দেশ সাবধান বাণী উপেক্ষা করে , তাদের উপর থেকে ধীরে ধীরে আল্লাহ্র অনুগ্রহ ও দয়া ফিরিয়ে নেয়া হয়। তারা মানসিক দিক থেকে বিকৃত চিন্তাধারাগ্রস্থ হয়ে পড়ে। তাদের মানসিক বিকৃতির ফলে , তাদের আত্মশুদ্ধির সকল পথ রুদ্ধ হয়ে যায় – শান্তি হয় বিদূরীত।
আয়াতঃ 036.008
আমি তাদের গর্দানে চিবুক পর্যন্ত বেড়ী পরিয়েছি। ফলে তাদের মস্তক উর্দ্ধমুখী হয়ে গেছে।
We have put yokes round their necks right up to their chins, so that their heads are forced up (and they cannot see).
إِنَّا جَعَلْنَا فِي أَعْنَاقِهِمْ أَغْلاَلاً فَهِيَ إِلَى الأَذْقَانِ فَهُم مُّقْمَحُونَ
Inna jaAAalna fee aAAnaqihim aghlalan fahiya ila al-athqani fahum muqmahoona
YUSUFALI: We have put yokes round their necks right up to their chins, so that their heads are forced up (and they cannot see).
PICKTHAL: Lo! We have put on their necks carcans reaching unto the chins, so that they are made stiff-necked.
SHAKIR: Surely We have placed chains on their necks, and these reach up to their chins, so they have their heads raised aloft.
KHALIFA: For we place around their necks shackles, up to their chins. Consequently, they become locked in their disbelief.
০৮। আমি তাদের গলদেশ ঘিরে বেড়ী পরিয়েছি , যা তাদের চিবুক পর্যন্ত পৌঁছিয়েছে। ফলে , তাদের মাথাকে উর্দ্ধমুখী করতে বাধ্য করা হয়েছে [ যেনো তারা দেখতে না পায় ] ৩৯৪৮।
৩৯৪৮। পৃথিবীতে সকল কিছুই আল্লাহ্র আইনের অধীন। প্রকৃতির আইনের ন্যায়, নৈতিক আইন সমূহও আল্লাহ্র আইনের অধীন। মানুষের ইচ্ছাকৃতভাবে আল্লাহ্কে এবং আল্লাহ্র আইনকে অস্বীকার করার পরিণামসমূহ রূপক অলংকারে মাধ্যমে এই আয়াতে তুলে ধরা হয়েছে।
১) আল্লাহ্র প্রেরিত নৈতিক আইন সমূহ অস্বীকার করার অর্থ, আত্মাকে অন্ধকারে নিক্ষিপ্ত করার সামিল। আত্মাকে আল্লাহ্র নূর ও আল্লাহ্র সান্নিধ্য বঞ্চিত করা। মানুষ ধীরে ধীরে পাপের পঙ্কে নিমগ্ন হয় পাপের দাসত্ব গ্রহণের ফলে তার আত্মার স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হয়। উদাহরণ দিয়ে বক্তব্য সহজ করতে চেষ্টা করবো। যেমন : স্বার্থপরতা পাপ। যারা এ পাপে নিমগ্ন তারা নিজ স্বার্থের বাইরে কোনও সৌন্দর্য্য খুঁজে পায় না। পৃথিবীর বৃহত্তর কর্মযজ্ঞে , সভ্যতার বিকাশের সাথে মানুষের যে ত্যাগ ও তিতিক্ষা জড়িত ,আত্ম সুখের পরিবর্তে আত্মত্যাগে যে সৌন্দর্য্য ও মহত্ব তা তারা উপলব্ধি করতে পারে না। তাদের সকল চিন্তা ভাবনা আত্মসুখের মাঝেই আবর্তিত হতে থাকে। প্রতিটি কর্মেরই ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া আছে। ফলাফল বিহীন কোনও কার্য-ই হতে পারে না। প্রতিটি খারাপ কাজেরই প্রতিক্রিয়া বর্তমান – যার প্রভাব পাপীর সমস্ত সত্বাকে আচ্ছন্ন করে রাখে এবং আল্লাহ্র নূর আত্মার মাঝে প্রবেশে বাঁধা দান করে থাকে। একেই রূপক অলংকারের মাধ্যমে বলা হয়েছে , ” গলদেশ ঘিরে চিবুক পর্যন্ত বেড়ি পরিয়েছি। ” এই বেরী হচ্ছে পাপের বেড়ী, এটা যদি এতটা প্রশস্ত হয় যে তা চিবুক পর্যন্ত প্রসারিত থাকে এবং শক্তভাবে বেষ্টন করে থাকে, তবে ব্যক্তির নড়াচড়ার স্বাধীনতা ব্যহত হয়। সেরূপ পাপী লোকের চিন্তার স্বাধীনতা থাকে না। তার চিন্তা তার পাপ কার্যকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হতে থাকে। ফলে আত্মার স্বাধীনতা হারায়।