আয়াতঃ 036.042
এবং তাদের জন্যে নৌকার অনুরূপ যানবাহন সৃষ্টি করেছি, যাতে তারা আরোহণ করে।
And We have created for them similar (vessels) on which they ride.
وَخَلَقْنَا لَهُم مِّن مِّثْلِهِ مَا يَرْكَبُونَ
Wakhalaqna lahum min mithlihi ma yarkaboona
YUSUFALI: And We have created for them similar (vessels) on which they ride.
PICKTHAL: And have created for them of the like thereof whereon they ride.
SHAKIR: And We have created for them the like of it, what they will ride on.
KHALIFA: Then we created the same for them to ride in.
৪২। এবং আমি তাদের জন্য অনুরূপ [ যানবাহন ] সৃষ্টি করেছি যাতে তারা আরোহণ করতে পারে ৩৯৮৯।
৩৯৮৯। বিশাল বিশাল সামুদ্রিক জাহাজ কত সহজে সমুদ্রে ভেসে বেড়ায়। এই বিরাট সামুদ্রিক জাহাজগুলির এত বিশাল ওজন থাকা সত্বেও পানিতে ভেসে বেড়ায় সে কি আল্লাহ্র বিশেষ অনুগ্রহ নয় ? অবিশ্বাসীরা বলবে যে, ভেসে বেড়ানোর সুত্র তো আর্কিমিডেসের বিজ্ঞানের সুত্র। কিন্তু সে সুত্র কি আল্লাহ্র সৃষ্টি নয় ? প্রকৃতির মাঝেই তো আল্লাহ্ নিদর্শন বিদ্যমান। মানুষ তো বিজ্ঞানের মাধ্যমে সেই মহাজ্ঞানীর জ্ঞানের অনুসন্ধান করে মাত্র। জাহাজ শুধু নিজেই ভাসে না , মানুষ এবং অত্যন্ত বিশাল বাণিজ্য বহর নিয়ে তা একদেশ থেকে অন্য দেশে যাতায়াত করে। এই আয়াতে জাহাজের উল্লেখ নাই তবে “অনুরূপ যানবাহন ” শব্দটি দ্বারা সকল রকম সামুদ্রিক যানবাহন এবং উড়োজাহাজকেও বোঝানো যায়। কারণ উড়োজাহাজ পানির পরিবর্তে বাতাসে সাতার কাটে। রাসুলের যুগে উড়োজাহাজের আবিষ্কার ঘটে নাই , কিন্তু “অনুরূপ যানবাহন” দ্বারা আল্লাহ্ বর্তমান যুগের অনুরূপ যানবাহনের ইঙ্গিত দান করেছেন।
আয়াতঃ 036.043
আমি ইচ্ছা করলে তাদেরকে নিমজ্জত করতে পারি, তখন তাদের জন্যে কোন সাহায্যকারী নেই এবং তারা পরিত্রাণও পাবে না।
If it were Our Will, We could drown them: then would there be no helper (to hear their cry), nor could they be delivered,
وَإِن نَّشَأْ نُغْرِقْهُمْ فَلَا صَرِيخَ لَهُمْ وَلَا هُمْ يُنقَذُونَ
Wa-in nasha/ nughriqhum fala sareekha lahum wala hum yunqathoona
YUSUFALI: If it were Our Will, We could drown them: then would there be no helper (to hear their cry), nor could they be delivered,
PICKTHAL: And if We will, We drown them, and there is no help for them, neither can they be saved;
SHAKIR: And if We please, We can drown them, then there shall be no succorer for them, nor shall they be rescued
KHALIFA: If we willed, we could have drowned them, so that their screaming would not be heard, nor could they be saved.
৪৩। এটাই যদি আমার অভিলাষ হতো, তবে আমি তাদের ডুবিয়ে দিতে পারতাম ৩৯৯০। তখন সেখানে তাদের [ আর্তনাদ শোনার জন্য ] কোন সাহায্যকারী থাকতো না। তারা উদ্ধারও পেতো না ; –
৩৯৯০। মানুষ প্রকৃতিকে জয় করেছে। মানুষ নিজস্ব উদ্ভাবনী কৌশল ও আবিষ্কারের জন্য গর্বিত। কিন্তু সে কি ভেবে দেখে না , এই ক্ষমতা , এই বুদ্ধি তাকে কে দান করেছে ? প্রকৃতিকে জয় করার এই উদ্ভাবনী দক্ষতা আল্লাহ্ যদি মানুষকে দান না করতেন তবে মানুষ কি পারতো আকাশ ও সমুদ্রে বিহার করতে ? তার এই ক্ষমতা তো আল্লাহ্রই বিশেষ দান।
আয়াতঃ 036.044
কিন্তু আমারই পক্ষ থেকে কৃপা এবং তাদেরকে কিছু কাল জীবনোপভোগ করার সুযোগ দেয়ার কারণে তা করি না।
Except by way of Mercy from Us, and by way of (world) convenience (to serve them) for a time.
إِلَّا رَحْمَةً مِّنَّا وَمَتَاعًا إِلَى حِينٍ
Illa rahmatan minna wamataAAan ila heenin
YUSUFALI: Except by way of Mercy from Us, and by way of (world) convenience (to serve them) for a time.
PICKTHAL: Unless by mercy from Us and as comfort for a while.
SHAKIR: But (by) mercy from Us and for enjoyment till a time.
KHALIFA: Instead, we shower them with mercy, and let them enjoy for awhile.
৪৪। আমার অনুগ্রহ না থাকলে এবং এটা ছিলো সুনির্দ্দিষ্ট কাল পর্যন্ত [পার্থিব ] সুযোগ সুবিধা [ উপভোগ করার সুযোগ ] ৩৯৯১।
৩৯৯১। মানুষের আরাম আয়েশের জন্য আল্লাহ্ প্রকৃতিতে বিভিন্ন নেয়ামত দান করেছেন। মানুষ নিজস্ব উদ্ভাবনী কৌশল , বুদ্ধি ও দক্ষতার প্রয়োগের মাধ্যমে প্রকৃতির এই সব সম্পদ ব্যবহারে সক্ষম হয় – জীবনটা আরাম ও আয়েশে কাটানো সম্ভব হয়। মানুষকে যদি আল্লাহ্ এই বুদ্ধিমত্তা দান না করতেন তবে তার জীবনযাপন পদ্ধতি অন্যান্য পশুদের থেকে খুব একটা পার্থক্য থাকতো না। প্রকৃতির শক্তির কাছে মানুষ তখন অসহায় ভাবে নিজেকে সমর্পন করতে বাধ্য হতো। সমুদ্রে বা আকাশে ভ্রমণ মানুষের জীবনকে অনিশ্চিত করে তুলতো। আল্লাহ্র করুণাই মানুষকে নিরাপত্তা দান করেছে , এবং পার্থিব জীবনকে আরাম আয়েশে ভরিয়ে দিয়েছে। কিন্তু এ সব কিছু অনন্তকালের জন্য নয়। এ সব শুধুমাত্র পৃথিবীর জীবনের জন্য ;” পৃথিবীর শিক্ষানবীশ কালের জন্য।”