৩৯৮৫। ‘Urjun’ – খেজুর পাতার দণ্ডবিশেষ বা বৃন্ত। খেজুর পাতা যখন পুরাতন হয়ে শুকিয়ে হলুদ বিবর্ণ হয়ে যায় , তখন তার দণ্ডটি বাঁকা হয়ে কাস্তের আকার ধারণ করে। চাঁদের কাস্তের ন্যায় আকৃতিকে খেজুর পাতার শুষ্ক আকৃতির সাথে তুলনা করা হয়েছে। চন্দ্রকলার বিভিন্ন সময়ে চাঁদ বিভিন্ন আকৃতি ধারণ করে – কখনও চাঁদ বড় হতে হতে সম্পূর্ণ গোল হয়ে যায় আবার কখনও কমতে কমতে সরু কাস্তের আকার ধারণ করে অমবস্যার রাতে সম্পূর্ণ অদৃশ্য হয়ে যায়। পরদিন আবার নূতন চাঁদ হিসেবে সরু চাঁদ আকাশে দেখা দেয়।
আয়াতঃ 036.040
সূর্য নাগাল পেতে পারে না চন্দ্রের এবং রাত্রি অগ্রে চলে না দিনের প্রত্যেকেই আপন আপন কক্ষপথে সন্তরণ করে।
It is not permitted to the Sun to catch up the Moon, nor can the Night outstrip the Day: Each (just) swims along in (its own) orbit (according to Law).
لَا الشَّمْسُ يَنبَغِي لَهَا أَن تُدْرِكَ الْقَمَرَ وَلَا اللَّيْلُ سَابِقُ النَّهَارِ وَكُلٌّ فِي فَلَكٍ يَسْبَحُونَ
La alshshamsu yanbaghee laha an tudrika alqamara wala allaylu sabiqu alnnahari wakullun fee falakin yasbahoona
YUSUFALI: It is not permitted to the Sun to catch up the Moon, nor can the Night outstrip the Day: Each (just) swims along in (its own) orbit (according to Law).
PICKTHAL: It is not for the sun to overtake the moon, nor doth the night outstrip the day. They float each in an orbit.
SHAKIR: Neither is it allowable to the sun that it should overtake the moon, nor can the night outstrip the day; and all float on in a sphere.
KHALIFA: The sun is never to catch up with the moon – the night and the day never deviate – each of them is floating in its own orbit.
৪০। সূর্যকে অনুমতি দেয়া হয় নাই চন্দ্রকে নাগাল পাওয়ার ৩৯৮৬, এবং রাত্রির পক্ষে সম্ভব নয় দিবসকে অতিক্রম করা। এরা প্রত্যেকেই [ নিজ নিজ ] কক্ষপথে সাঁতার কাটছে [ নিয়ম অনুযায়ী ] ৩৯৮৭।
৩৯৮৬। রাশিচক্রে চন্দ্র ও সূর্যের গতিপথ পরস্পর পরস্পরকে ছেদ করলেও তাদের মধ্যে সংঘর্ষ সম্ভব নয়। যদিও তাদের গতিপথ আলাদা ,কিন্তু আল্লাহ্ তাদের গতিপথ এমন ভাবে সুনির্দ্দিষ্ট করে দিয়েছেন যে কেউ কারও নাগাল পাবে না। যখন চন্দ্র , পৃথিবী ও সূর্যের মাঝে একই সরলরেখাতে অবস্থান করে তখন সূর্যগ্রহণ ঘটে থাকে , আবার যখন পৃথিবী , চন্দ্র ও সূর্যের মাঝে একই সরলরেখাতে থাকে তখন চন্দ্র গ্রহণ ঘটে থাকে। সূর্য , চন্দ্র ,ও পৃথিবীর গতিপথ আল্লাহ্র আইন দ্বারা নির্দ্দিষ্ট। বিজ্ঞান যার নাম দিয়েছে জ্যোতির্বিদ্যা। ঠিক সেই একই ভাবে দিন ও রাত্রি পরস্পর পরস্পরকে অনুসরণ করে , কিন্তু কেউ কাউকে অতিক্রম করতে পারে না বা পরস্পরের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে না। এই বর্ণনাটি ভালো, মন্দ , সত্য-মিথ্যা , ন্যায়-অন্যায়কে বোঝানোর জন্য উপমা স্বরূপ , এরা কেউই একে অপরকে স্পর্শ করতে পারে না। দেখুন টিকা নং ৩৯৮২।
৩৯৮৭। দেখুন [ ২১ : ৩৩ ] আয়াত ও টিকা ২৬৯৫। কত সুন্দর ও কাব্যিক ভাবে গ্রহনক্ষত্রের গতিপথের বর্ণনা একটি লাইনে করা হয়েছে তা লক্ষ্যনীয়। অনন্ত মহাশূন্যে গ্রহ নক্ষত্র ভেসে থাকে কোনও কিছু অবলম্বন ব্যতীত এবং সে ভাবেই তারা তাদের গতিপথকে অতিক্রম করে চলেছে। এই বর্ণনাটিকে গ্রহ নক্ষত্রের “সন্তরণ” শব্দটি দ্বারা উপস্থাপন করা হয়েছে, যার থেকে অধিক প্রযোজ্য ও কাব্যিক শব্দ আর কিছু হতে পারতো না।
আয়াতঃ 036.041
তাদের জন্যে একটি নিদর্শন এই যে, আমি তাদের সন্তান-সন্ততিকে বোঝাই নৌকায় আরোহণ করিয়েছি।
And a Sign for them is that We bore their race (through the Flood) in the loaded Ark;
وَآيَةٌ لَّهُمْ أَنَّا حَمَلْنَا ذُرِّيَّتَهُمْ فِي الْفُلْكِ الْمَشْحُونِ
Waayatun lahum anna hamalna thurriyyatahum fee alfulki almashhooni
YUSUFALI: And a Sign for them is that We bore their race (through the Flood) in the loaded Ark;
PICKTHAL: And a token unto them is that We bear their offspring in the laden ship,
SHAKIR: And a sign to them is that We bear their offspring in the laden ship.
KHALIFA: Another sign for them is that we carried their ancestors on the loaded ark.
৪১। তাদের জন্য আর এক নিদর্শন হচেছ , আমি তাদের বংশধরদের [ বন্যার মাঝে ] বোঝাই নৌযানে আরোহণ করিয়েছিলাম ৩৯৮৮।
৩৯৮৮। অনন্ত মহাশূন্যে নক্ষত্ররাজি ও গ্রহরা নির্দ্দিষ্ট কক্ষপথে ভেসে ভেসে অবিরত সন্তরণ করে চলেছে – যে পথের সীমানা আল্লাহ্র আইন দ্বারা নির্ধারিত। মানুষ কি একবারও চিন্তা করে দেখে যে দূর আকাশের ছায়াপথে লক্ষ লক্ষ নক্ষত্ররাজি , সৌরমন্ডল প্রভৃতি পরস্পরের সাথে সংঘর্ষ না ঘটিয়ে ,কোন প্রাচীন অতীত যুগ থেকে মহাকাশে ভেসে বেড়াচ্ছে ? তাদের গতি পথ সমন্বিত শৃঙ্খলার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। মানুষের উপলব্ধির জন্য আল্লাহ্ আরও নিদর্শন স্থাপন করেছেন যা জীবনের খুব কাছাকাছি। এই উদাহরণগুলি মানুষের প্রাচীন ইতিহাস এবং বর্তমান জীবনধারা সকল ক্ষেত্রেই সমভাবে প্রযোজ্য। দিগন্ত বিস্তৃত অসীম সমুদ্রে মানুষ যখন ভেসে বেড়ায় গ্রহ নক্ষত্রের ন্যায়। কিন্তু হারিয়ে না যেয়ে ঠিক তার নিজস্ব ঠিকানায় ফিরে আসে সে কি স্রষ্টার অপার করুণা ও মহিমা নয় কি ? প্রাচীন যুগের উদাহরণ হচ্ছে নূহ্ নবীর নৌকা ও তার সময়ের বন্যা এবং এর পরেও সকল সৃষ্ট জীবের অস্তিত্ব বিদ্যমান থাকা আল্লাহ্র ন্যায় বিচার ও করুণার নিদর্শন নয় কি সকল মানুষের জন্য ? দেখুন আয়াত [ ২৯ : ১৫ ]। বর্তমানেও মানুষ যখন নৌযানে আরোহণ করে তখন কি সেই একইভাবে আল্লাহ্র করুণা ও দয়া হৃদয়ের মাঝে অনুভব করে না? দেখুন পরবর্তী টিকা।