২৯। উহা ছিলো একটি মাত্র শক্তিশালী বিস্ফোরণ ৩৯৭৩ এবং দেখো ! তারা [ ছাই এর ন্যায় ] নির্বাপিত ও নিস্তব্ধ হয়ে গেলো ৩৯৭৪।
৩৯৭৩। আল্লাহ্র বিচার ও শাস্তি কোনও জাঁকজমক বা ঘটা করে ঘটে না। সমস্ত বিশ্ব প্রকৃতি-ই আল্লাহ্র দাস। প্রকৃতির মাঝেই সেই সর্বশক্তিমানের ক্ষমতা লুক্কায়িত আছে। আমরা জানি কয়েক সেকেন্ডের প্রচন্ড ভূমিকম্প বা টর্নেডো বা জলোচ্ছ্বাস এক মূহুর্তে এক জনপদকে ধ্বংস করতে সক্ষম। বিষ্ফোরণ অর্থাৎ বিকট শব্দ এই সম্প্রদায়কে ধ্বংসের জন্য কোনও প্রাকৃতিক বিপর্যয়কে আল্লাহ্ প্রেরণ করেছিলেন যাকে বিস্ফোরণ বলা হয়েছে। দেখুন [ ১১ : ৬৭ ] আয়াত ও টিকা ১৫৬১ [ যেখানে সামুদ জাতির জন্য সম্বন্ধে বলা হয়েছে ] এবং আয়াত [ ২৯ : ৪ ০ ] ও টিকা ৩৪৬৩।
৩৯৭৪। দেখুন আয়াত [ ২১ : ১৫ ]। তাদের জীবন জীবনের কোলাহলে মূখর ছিলো। কিন্তু কয়েক মূহুর্তের মধ্যেই তা স্তব্ধ হয়ে গেলো প্রাণহীন ও বিবর্ণ। ঠিক যেনো মূল্যহীন ছাই।
আয়াতঃ 036.030
বান্দাদের জন্যে আক্ষেপ যে, তাদের কাছে এমন কোন রসূলই আগমন করেনি যাদের প্রতি তারা বিদ্রুপ করে না।
Ah! Alas for (My) Servants! There comes not an apostle to them but they mock him!
يَا حَسْرَةً عَلَى الْعِبَادِ مَا يَأْتِيهِم مِّن رَّسُولٍ إِلاَّ كَانُوا بِهِ يَسْتَهْزِؤُون
Ya hasratan AAala alAAibadi ma ya/teehim min rasoolin illa kanoo bihi yastahzi-oona
YUSUFALI: Ah! Alas for (My) Servants! There comes not a messenger to them but they mock him!
PICKTHAL: Ah, the anguish for the bondmen! Never came there unto them a messenger but they did mock him!
SHAKIR: Alas for the servants! there comes not to them an messenger but they mock at him.
KHALIFA: How sorry is the people’s condition! Every time a messenger went to them, they always ridiculed him.
৩০। হায় ! [ আমার ] বান্দাদের জন্য আফসোস্ ! উহাদের নিকট যখনই কোন রাসুল এসেছে , তখনই তারা তাকে ঠাট্টা – বিদ্রূপ করেছে ৩৯৭৫।
৩৯৭৫। দেখুন [ ৬ : ১০ ] এবং আরও অনেক আয়াতে এই কথা বলা হয়েছে। যারা অজ্ঞ, তারাই আল্লাহ্র বাণীকে গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করে না। তাদের এই চপলতা তাদেরই ধ্বংসের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। পৃথিবীতে তাদের অস্তিত্ব হয়ে পড়ে বিপন্ন। পৃথিবীর ইতিহাস এই সাক্ষ্য দেয়। পৃথিবীতে বহু জাতির উত্থান ঘটেছে যখন তারা আল্লাহ্ প্রদর্শিত ন্যায় ও সত্যের পথে পরিচালিত হয়েছে, কিন্তু যখনই তারা আল্লাহ্ প্রদর্শিত পথ থেকে অপসৃয়মান হয়েছে তখনই বজ্রনাদে তাদের ধ্বংস ঘটেছে। সত্যকে যারা আন্তরিক ও গুরুত্বপূর্ণ ভাবে জীবনে গ্রহণ করে না তখনই তাদের অস্তিত্ব বিনাশের সম্মুখীন হয় – সেটা ব্যক্তিগত হতে পারে বা জাতিগত হতে পারে।
“বান্দাদিগের ” শব্দটি দ্বারা মানব জাতিকে বোঝানো হয়েছে।
আয়াতঃ 036.031
তারা কি প্রত্যক্ষ করে না, তাদের পূর্বে আমি কত সম্প্রদায়কে ধ্বংস করেছি যে, তারা তাদের মধ্যে আর ফিরে আসবে না।
See they not how many generations before them we destroyed? Not to them will they return:
أَلَمْ يَرَوْا كَمْ أَهْلَكْنَا قَبْلَهُم مِّنْ الْقُرُونِ أَنَّهُمْ إِلَيْهِمْ لاَ يَرْجِعُونَ
Alam yaraw kam ahlakna qablahum mina alqurooni annahum ilayhim la yarjiAAoona
YUSUFALI: See they not how many generations before them we destroyed? Not to them will they return:
PICKTHAL: Have they not seen how many generations We destroyed before them, which indeed returned not unto them;
SHAKIR: Do they not consider how many of the generations have We destroyed before them, because they do not turn to them?
KHALIFA: Did they not see how many generations we annihilated before them, and how they never return to them?
৩১। তারা কি দেখে না তাদের পূর্বে আমি কত [মানব] প্রজন্মকে ধ্বংস করেছি ? যারা উহাদের নিকট ফিরে আসবে না ৩৯৭৬।
৩২। কিন্তু তাদের সকলের প্রত্যেককেই আমার সম্মুখে নিয়ে আসা হবে [ বিচারের জন্য ]।
৩৯৭৬। “যারা উহাদের নিকট ফিরে আসবে না।” এখানে “যারা ” এবং “উহাদের ” এই দুটি সর্বনাম ব্যবহার করা হয়েছে। এরা কারা ? বিভিন্ন তফসীরকারগণ এবং অনুবাদক এদের ব্যাখ্যা বিভিন্নভাবে করেছেন। হযরত ইউসুফ আলীর সর্বাপেক্ষা ভালো ব্যাখ্যা হচ্ছে : সাম্প্রতিক মানবগোষ্ঠি যাদের সম্বোধন করা হচ্ছে [তারা কি দেখে না ] তাদের আগমনের পূর্বে পৃথিবীতে যাদের ধ্বংস করা হয়েছে তারা আর উহাদের [ যাদের সম্বোধন করা হয়েছে ] মাঝে ফিরে আসবে না। ‘Qurun’ বা মানবগোষ্ঠি যারা পূর্বে পৃথিবীতে এসেছিলেন এবং পৃথিবীর সুখ ও সম্পদ ভোগ করেছেন। এদের সকলকে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। তারা আর পৃথিবীতে ফিরে আসবে না। কিন্তু শেষ বিচারের দিনে সকলকেই মহান আল্লাহ্র সম্মুখে হাজির করা হবে কৃতকর্মের হিসাব দাখিলের জন্য।
আয়াতঃ 036.032