৩৯৬৯। এরপরের আয়াতগুলিতে আবেদন করা হয়েছে শুধুমাত্র আল্লাহ্র উদ্দেশ্যে সকল এবাদত নিবেদিত করার জন্য। আল্লাহ্র পরিবর্তে অন্য কোনও দেবতা বা উপদেবতার এবাদত বা কাল্পনিক উপাস্য যেমন নিজস্ব কৃতিত্ব বা প্রতিভা বা বীরপূঁজা বা আত্ম অহংকার বা গরিমা বা অন্য যে কোনও রূপেই হোক না কেন মানুষ যখন আল্লাহ্ ব্যতীত অন্য কিছুকে সাফল্য বা কৃতিত্বের জন্য শ্রেষ্ঠত্ব দাবী করে , তখনই তা আল্লাহ্র সাথে অংশীদারিত্বের পর্যায়ে পড়ে যায়। সমস্ত ক্ষমতা আল্লাহ্র। বিশ্বভূবন তাঁর পরিকল্পনার অংশ। এই বিশাল বিশ্ব ব্রহ্মান্ড সূদূর অতীত থেকে সূদূর ভবিষ্যতের পানে ধেয়ে চলেছে তারই পরিকল্পনার পরিণতি হিসেবে । এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সুখ ও দুঃখ, জাতির উত্থান ও পতন ঘটে থাকে এবং মানব সভ্যতা অগ্রসরমান হয়। যদি তিনি কাউকে দুঃখ কষ্ট দেন, তা দূর করার সাধ্য কি কোনও দেবতা, উপদেবতা বা অন্য কোনও কিছুর আছে ? আল্লাহ্র পরিকল্পনা বা ক্ষমতাকে বাঁধা দান করে, এমন ক্ষমতা পৃথিবীতে কোনও কিছুর নাই। তবে কেন মানুষ আল্লাহ্ ব্যতীত অন্য কিছুর এবাদত করবে ? প্রকৃতপক্ষে কেউ যদি তা করে , তবে সে অবশ্যই বিপথগামী।
আয়াতঃ 036.024
এরূপ করলে আমি প্রকাশ্য পথভ্রষ্টতায় পতিত হব।
“I would indeed, if I were to do so, be in manifest Error.
إِنِّي إِذًا لَّفِي ضَلاَلٍ مُّبِينٍ
Innee ithan lafee dalalin mubeenin
YUSUFALI: “I would indeed, if I were to do so, be in manifest Error.
PICKTHAL: Then truly I should be in error manifest.
SHAKIR: In that case I shall most surely be in clear error:
KHALIFA: “In that case, I would be totally astray.
২৪। ” যদি আমি এরূপ করি, তবে আমি অবশ্যই স্পষ্ট বিভ্রান্তিতে পড়বো
২৫। ” আমার জন্য, আমি তোমাদের [ সকলের ] প্রভুর উপর ঈমান এনেছি। অতএব, তোমরা আমার কথা শোন।” ৩৯৭০
৩৯৭০। এখানে পুণরায় ব্যক্তিগত বিশ্বাস , এবং এই বিশ্বাসের ভিত্তিতে নিজস্ব উন্নতি ও উপকারের আলোতে সকলের কাছে আবেদন করা হয়েছে। আবেদনটি এরূপ ” আমি আল্লাহ্র নিকট আত্মসমর্পনের মাধ্যমে আত্মার মাঝে যে তৃপ্তি , শান্তি ও সুখের সন্ধান পেয়েছি তা অতুলণীয়। আল্লাহ্ আমার প্রভু। তিনি তোমাদের ও সমস্ত সৃষ্ট পদার্থের প্রভু। আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা তোমাদের ও অভিজ্ঞতা হতে পারে। এর পরেও কি তোমরা আমার উপদেশ গ্রহণ করে আধ্যাত্মিক সুখের মাধ্যমে বুঝতে চেষ্টা করবে না যে, আল্লাহ্ পরম করুণাময়।”
আয়াতঃ 036.025
আমি নিশ্চিতভাবে তোমাদের পালনকর্তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করলাম। অতএব আমার কাছ থেকে শুনে নাও।
“For me, I have faith in the Lord of you (all): listen, then, to me!”
إِنِّي آمَنتُ بِرَبِّكُمْ فَاسْمَعُونِ
Innee amantu birabbikum faismaAAooni
YUSUFALI: “For me, I have faith in the Lord of you (all): listen, then, to me!”
PICKTHAL: Lo! I have believed in your Lord, so hear me!
SHAKIR: Surely I believe in your Lord, therefore hear me.
KHALIFA: “I have believed in your Lord; please listen to me.”
২৪। ” যদি আমি এরূপ করি, তবে আমি অবশ্যই স্পষ্ট বিভ্রান্তিতে পড়বো
২৫। ” আমার জন্য, আমি তোমাদের [ সকলের ] প্রভুর উপর ঈমান এনেছি। অতএব, তোমরা আমার কথা শোন।” ৩৯৭০
৩৯৭০। এখানে পুণরায় ব্যক্তিগত বিশ্বাস , এবং এই বিশ্বাসের ভিত্তিতে নিজস্ব উন্নতি ও উপকারের আলোতে সকলের কাছে আবেদন করা হয়েছে। আবেদনটি এরূপ ” আমি আল্লাহ্র নিকট আত্মসমর্পনের মাধ্যমে আত্মার মাঝে যে তৃপ্তি , শান্তি ও সুখের সন্ধান পেয়েছি তা অতুলণীয়। আল্লাহ্ আমার প্রভু। তিনি তোমাদের ও সমস্ত সৃষ্ট পদার্থের প্রভু। আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা তোমাদের ও অভিজ্ঞতা হতে পারে। এর পরেও কি তোমরা আমার উপদেশ গ্রহণ করে আধ্যাত্মিক সুখের মাধ্যমে বুঝতে চেষ্টা করবে না যে, আল্লাহ্ পরম করুণাময়।”
আয়াতঃ 036.026
তাকে বলা হল, জান্নাতে প্রবেশ কর। সে বলল হায়, আমার সম্প্রদায় যদি কোন ক্রমে জানতে পারত-
It was said: “Enter thou the Garden.” He said: “Ah me! Would that my People knew (what I know)!-
قِيلَ ادْخُلِ الْجَنَّةَ قَالَ يَا لَيْتَ قَوْمِي يَعْلَمُونَ
Qeela odkhuli aljannata qala ya layta qawmee yaAAlamoona
YUSUFALI: It was said: “Enter thou the Garden.” He said: “Ah me! Would that my People knew (what I know)!-
PICKTHAL: It was said (unto him): Enter paradise. He said: Would that my people knew
SHAKIR: It was said: Enter the garden. He said: O would that my people had known
KHALIFA: (At the time of his death) he was told, “Enter Paradise.” He said, “Oh, I wish my people knew.
২৬। বলা হলো, ” বেহেশতে প্রবেশ কর।” ৩৯৭১। সে বলেছিলো , ” হায় ! [ আমি যা জানি ] আমার সম্প্রদায়ের লোকেরা যদি তা জানতে পারতো , –
৩৯৭১। সম্ভবতঃ আল্লাহ্র নবীকে সমর্থন করায় বিধর্মীরা তাঁকে হত্যা করে এবং তিনি শাহাদাৎ বরণ করেন। পূণ্যাত্মা ব্যক্তিটির জন্য বেহেশত নির্ধারিত ছিলো। বেহেশতে প্রবেশ কালেও তাঁর চিন্তাধারা জনগণের কল্যাণ ও মঙ্গলের জন্য প্রবাহিত ছিলো। তাঁর সম্প্রদায়ের অবাধ্যতা, একগুয়েমী এবং অনুধাবন না করার জন্য তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন। এবং মৃত্যুর পরেও তিনি ইচ্ছা প্রকাশ করেন যে তারা যেনো অনুতাপের মাধ্যমে সঠিক পথের সন্ধান লাভ করে এবং আধ্যাত্মিক মুক্তির সন্ধান পায়। কিন্তু তাদের আত্মা কঠিন হয়ে পড়েছিলো , সুতারাং তারা সঠিকপথে আসে নাই , যার পরিণাম বর্ণনা করা হয়েছে আয়াতে [ ২ ৮ – ২৯ ]।