أَوَلَمْ يَرَوْا أَنَّا نَسُوقُ الْمَاء إِلَى الْأَرْضِ الْجُرُزِ فَنُخْرِجُ بِهِ زَرْعًا تَأْكُلُ مِنْهُ أَنْعَامُهُمْ وَأَنفُسُهُمْ أَفَلَا يُبْصِرُونَ
Awa lam yaraw anna nasooqu almaa ila al-ardi aljuruzi fanukhriju bihi zarAAan ta-kulu minhu anAAamuhum waanfusuhum afala yubsiroona
YUSUFALI: And do they not see that We do drive rain to parched soil (bare of herbage), and produce therewith crops, providing food for their cattle and themselves? Have they not the vision?
PICKTHAL: Have they not seen how We lead the water to the barren land and therewith bring forth crops whereof their cattle eat, and they themselves? Will they not then see?
SHAKIR: Do they not see that We drive the water to a land having no herbage, then We bring forth thereby seed-produce of which their cattle and they themselves eat; will they not then see?
KHALIFA: Do they not realize that we drive the water to barren lands, and produce with it crops to feed their livestock, as well as themselves? Do they not see?
২৭। তারা কি লক্ষ্য করে না যে আমি বৃষ্টিকে তাড়িত করি শুষ্ক [ উদ্ভিদ শূন্য ] জমিতে ৩৬৬২, এবং তার ফলে শস্য উৎপন্ন করি, যা তাদের পশুদের এবং তাদের খাদ্য হয়? তাদের কি দূরদৃষ্টি নাই ? ৩৬৬৩
৩৬৬২। এই আয়াতেও পূর্বের আয়াতের মত জাগতিক বিষয় বস্তুকে আধ্যাত্মিক বিষয়বস্তু অনুধাবনের উপমা হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। কত সহজে এবং কত সুন্দরভাবে তা উত্থাপন করা হয়েছে। দীর্ঘদিন বৃষ্টিহীন বায়ু ভূমিকে ঊষর এবং মরুভূমি সদৃশ্য করে তোলে। ফলে মাটিতে জীবনের চিহ্ন নিশ্চিহ্ন হয়ে মৃতের রূপ ধারণ করে। আল্লাহ্র অনুগ্রহ স্বরূপ বৃষ্টিপাতের ফলে মরুসদৃশ্য ভূমি সুজলা সুফলা শষ্য শ্যামল ভূমিতে পরিণত হয়। এ সব উর্বর ভূমি তখন পশু এবং মানুষের জন্য খাদ্য সরবরাহ করে থাকে। ঠিক সেরূপ হচ্ছে মানুষের আধ্যাত্মিক ভূবনের অবস্থা। আধ্যাত্মিক দিক থেকে মৃত ব্যক্তি আল্লাহ্র করুণা লাভে আত্মিক ভাবে পুণঃর্জীবন লাভ করে। আর আল্লাহ্র করুণা লাভের প্রধান উপায় হচ্ছে আল্লাহ্র প্রত্যাদেশ অনুধাবনের মাধ্যমে নিজেকে প্রস্তুত করা। যদি সে তা পারে তবে সে ব্যক্তির উপমা হচ্ছে ঐ মরুভূমি সদৃশ্য শুষ্ক মাটির ন্যায় যা বৃষ্টি সঞ্জীবিত হয়ে সুজলা সুফলা রূপ ধারণ করে। সে ব্যক্তি তখন শুধু নিজের জন্যই সম্পদ নয়, সে তখন তার উপরে যারা নির্ভরশীল তাদের জন্যও এক বিরাট সম্পদরূপে পরিগণিত হবে। কারণ তাঁর চরিত্র মাধুর্য্য তাকে সাধারণ মানুষের উর্দ্ধে স্থাপন করবে।
৩৬৬৩। এই আয়াতটি [ ৩২ : ২৭ ] ইংরেজীতে অনুবাদের সময়ে প্রথমে শুরু করা হয়েছে “Do they not see ? [ A wa lam yarau ] ” বাক্যটি দ্বারা এবং শেষ করা হয়েছে “Have they not the vision ? [Afa La yubsirun ] “। বাংলা অনুবাদে উভয় স্থানে “লক্ষ্য করা ” শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু দেখা ও লক্ষ্য করার মধ্যে বিরাট পার্থক্য বিদ্যমান। দেখা শুধুমাত্র পার্থিব ইন্দ্রিয়গত ব্যবহারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। কিন্তু “লক্ষ্য করা ” চক্ষুর স্বাভাবিক ব্যবহারের বাইরেও মনোজগতে ঘটে থাকে। ‘Vision’ বা লক্ষ্য করা হচ্ছে স্বাভাবিক দৃষ্টির বাইরে অর্ন্তদৃষ্টি বা সচেতনতা। ইন্দ্রিয়গত জাগতিক দেখার মাধ্যমে ইন্দ্রিয় বর্হিভূত আধ্যাত্মিক জগতকে অনুধাবন করার ক্ষমতাকে এখানে উল্লেখ করা হয়েছে, যেরূপ পূর্বের টিকা ৩৬৬১ এ বর্ণনা করা হয়েছে।
আয়াতঃ 032.028
তারা বলে তোমরা সত্যবাদী হলে বল; কবে হবে এই ফয়সালা?
They say: ”When will this AlFath (Decision) be (between us and you, i.e. the Day of Resurrection), if you are telling the truth?”
وَيَقُولُونَ مَتَى هَذَا الْفَتْحُ إِن كُنتُمْ صَادِقِينَ
Wayaqooloona mata hatha alfathu in kuntum sadiqeena
YUSUFALI: They say: “When will this decision be, if ye are telling the truth?”
PICKTHAL: And they say: When cometh this victory (of yours) if ye are truthful?
SHAKIR: And they say: When will this judgment take place, If you are truthful?
KHALIFA: They challenge: “Where is that victory, if you are truthful?”
২৮। তারা বলে, : ” যদি তুমি সত্যি বলে থাক তবে কখন সে সিদ্ধান্ত হবে ? ” ৩৬৬৪
৩৬৬৪। অবিশ্বাসীরা জিজ্ঞাসা করে কখন সত্য মিথ্যার মধ্যে ফয়সালা করা হবে ? উত্তর হচ্ছে , ” যদি তোমরা মনে কর শেষ বিচারের দিন পর্যন্ত তোমরা অনুতাপ করা থেকে বিরত থাকবে এবং তখন তোমরা অনুতাপ করবে; তবে তা হবে মহা মূর্খের কাজ। কারণ শেষ বিচারের দিনের অনুতাপ গ্রহণযোগ্য হবে না। অনুতাপ করার জন্য তা অনেক দেরী হয়ে যাবে। সে সময়ে অনুতাপের জন্য কোনও সময় দেয়া হবে না। তোমাদের এখন সময় দেয়া হয়েছে এবং এ সুযোগ তোমরা গ্রহণ কর।”
আয়াতঃ 032.029
বলুন, ফয়সালার দিনে কাফেরদের ঈমান তাদের কোন কাজে আসবে না এবং তাদেরকে অবকাশ ও দেয়া হবে না।
Say: ”On the Day of AlFath (Decision), no profit will it be to those who disbelieve if they (then) believe! Nor will they be granted a respite.”