আয়াতঃ 025.075
তাদেরকে তাদের সবরের প্রতিদানে জান্নাতে কক্ষ দেয়া হবে এবং তাদেরকে তথায় দোয়া ও সালাম সহকারে অভ্যর্থনা করা হবে।
Those will be rewarded with the highest place (in Paradise) because of their patience. Therein they shall be met with greetings and the word of peace and respect.
أُوْلَئِكَ يُجْزَوْنَ الْغُرْفَةَ بِمَا صَبَرُوا وَيُلَقَّوْنَ فِيهَا تَحِيَّةً وَسَلَامًا
Ola-ika yujzawna alghurfata bima sabaroo wayulaqqawna feeha tahiyyatan wasalaman
YUSUFALI: Those are the ones who will be rewarded with the highest place in heaven, because of their patient constancy: therein shall they be met with salutations and peace,
PICKTHAL: They will be awarded the high place forasmuch as they were steadfast, and they will meet therein with welcome and the ward of peace,
SHAKIR: These shall be rewarded with high places because they were patient, and shall be met therein with greetings and salutations.
KHALIFA: These are the ones who attain Paradise in return for their steadfastness; they are received therein with joyous greetings and peace.
৭৪। এবং সেই সকল লোক যারা প্রার্থনা করে, “হে আমাদের প্রভু! আমাদের জন্য এমন স্ত্রী ও সন্তান সন্ততি দান কর, যারা হবে আমাদের জন্য চক্ষু শীতল কারী ৩১৩৪। এবং আমাদের কর মুত্তাকীদের জন্য অনুসরণ যোগ্য।”৩১৩৫।
৭৫। এরাই তারা যাদের পুরষ্কৃত করা হবে বেহেশতের সর্বশ্রেষ্ঠ স্থান দ্বারা কারণ তাদের ধৈর্য্য এবং দৃঢ়তা। সেখানে তাদের অভ্যর্থনা করা হবে অভিবাদন ও শান্তির বাণী দ্বারা ; –
৩১৩৪। মুত্তাকীদের প্রার্থনা হবে আল্লাহ্র বিধান বা আইনের সহায়তা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রার্থনা করা। এই প্রার্থনা হবে স্ত্রী-পুত্রদের মুত্তাকী অর্জনের জন্য, যেনো তাদের মাধ্যমে আল্লাহ্র বিধান প্রতিষ্ঠিত হয়। স্ত্রী-পুত্র পরিজন যেনো শুধুমাত্র সামাজিক সম্মান ও অন্যের উপরে শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের বিষয়বস্তু না হয়। তা হলে তারা জীবনের স্থায়ী সুখের কারণ হবে না। যদি তারা অঙ্গীকার পূরণের মাধ্যমে আধ্যাত্মিক উন্নতিতে সাহায্য করে তবেই তারা হবে মুত্তাকীদের জন্য ‘নয়নপ্রীতির ‘ কারণ। হয়তো তাদের কৃতকর্মের দরুণ আমরা আল্লাহ্র করুণা ও রহমতের সন্ধান লাভে সক্ষম হব। হয়তো তাদের যোগ্যতার গুণে মানুষ ধর্ম ও আমলে তাদের অনুসরণ করবে। আমাদের জ্ঞান ও আমল দ্বারা মানুষ উপকৃত হবে। ফলে আমরা এর সওয়াব পাব। পরিবার ও সন্তান সন্ততিদের জন্য মুত্তাকীদের প্রার্থনার কল্যাণকর দিকটি এই আয়াতে তুলে ধরা হয়েছে।
৩১৩৫। আল্লাহ্র প্রকৃত বান্দাদের গুণাবলীকে এভাবে সংক্ষেপে প্রকাশ করা হয়েছে “রহমানের” বান্দা তারাই যারা : ১) বিনয়ী ভাবে পৃথিবীতে চলাফেরা করে এবং আধ্যাত্মিক অজ্ঞ ব্যক্তিদের ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে বিবেচনা করে [ ২৫ : ৬৩ ]। ২) তারা সর্বদা আল্লাহ্র প্রশংসায় নিয়োজিত থাকে [ ২৫ : ৬৪ ]। ৩) তারা সর্বদা শেষ বিচারের দিনকে স্মরণ করে [ ২৫ : ৬৫ ]। ৪) তারা জীবনের সর্ব ব্যাপারে হবে মিতাচারী [২৫ : ৬৭ ]। ৫) তারা আল্লাহ্র বিরুদ্ধে বা তাঁর সৃষ্ট জীবের বিরুদ্ধে বা নিজের বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতা করে না [ ২৫ : ৬৮ ]। ৬) তাঁরা শুধু যে মিথ্যাকে পরিহার করে চলেন তাই-ই নয়, তাঁরা অসার ক্রিয়া কলাপকে এড়িয়ে চলেন [ ২৫ : ৭২ ]। ৭) তাঁরা তাদের প্রতিপালকের নিদর্শনের প্রতি অত্যন্ত মনোযোগী [ ২৫ : ৭৩ ]। ৮) তাদের জীবনের উদ্দেশ্য হবে তাদের পরিবার ও সন্তান সন্ততিদের পূণাত্মারূপে গড়ে তোলা। সামাজিক মূল্যবোধের বিকাশের মাধ্যমে আধ্যাত্মিক চেতনার সমৃদ্ধি লাভের সুন্দর নিয়মাবলী হচ্ছে উপরের আয়াত সমূহ [২৫:৭৪]। ৯) সেই সাথে তারা হবে ধৈর্য্যশীল ও দৃঢ় প্রতিজ্ঞ [ ২৫ : ৭৫ ]।
আয়াতঃ 025.076
তথায় তারা চিরকাল বসবাস করবে। অবস্থানস্থল ও বাসস্থান হিসেবে তা কত উত্তম।
Abiding therein; excellent it is as an abode, and as a place to dwell.
خَالِدِينَ فِيهَا حَسُنَتْ مُسْتَقَرًّا وَمُقَامًا
Khalideena feeha hasunat mustaqarran wamuqaman
YUSUFALI: Dwelling therein;- how beautiful an abode and place of rest!
PICKTHAL: Abiding there for ever. Happy is it as abode and station!
SHAKIR: Abiding therein; goodly the abode and the resting-place.
KHALIFA: Eternally they abide therein; what a beautiful destiny; what a beautiful abode.
৭৬। সেখানে তারা বাস করবে, বাসস্থান ও বিশ্রাম স্থল হিসেবে তা কত চমৎকার।
৭৭। [ প্রত্যাখানকারীদের ] বল, ” তোমরা আমার প্রভুকে না ডাকলে তার কিছুই আসে যায় না ৩১৩৬। যেহেতু তোমরা [ তাঁকে ] প্রত্যাখান করেছ, ফলে অচিরেই নেমে আসবে অপরিহার্য [ শাস্তি ]।”
৩১৩৬। কোনও অবিমৃষ্যকারী যেনো মনে না করে যে মানুষের এবাদতের দ্বারা আল্লাহ্ উপকৃত হন। আমরা তাঁর উপাসনা করি আমাদের নিজের আত্মিক সমৃদ্ধির জন্য। আল্লাহ্ অভাবমুক্ত। মানুষের নিকট তাঁর কিছুই চাওয়া পাওয়ার নাই। বরং তাঁর করুণা ব্যতীত তাঁর সৃষ্টি অস্তিত্ব রাখতে অক্ষম। যারা একগুঁয়ে ও অবাধ্য ভাবে বিশ্ব স্রষ্টাকে অস্বীকার করে তারা নিজেরাই নিজেদের ক্ষতি করে। মহাক্ষতি তাদের দ্বারপ্রান্তে। শাস্তি তাদের অপরিহার্য।