- সূরার নাম: সূরা মুমিনূন
- বিভাগসমূহ: ইসলামিক বই, কোরআন শরীফ
সূরা মুমিনূন
আয়াতঃ 023.001
মুমিনগণ সফলকাম হয়ে গেছে,
Successful indeed are the believers.
قَدْ أَفْلَحَ الْمُؤْمِنُونَ
Qad aflaha almu/minoona
YUSUFALI: The believers must (eventually) win through,-
PICKTHAL: Successful indeed are the believers
SHAKIR: Successful indeed are the believers,
KHALIFA: Successful indeed are the believers;
================
সূরা মু’মিনূন বা বিশ্বাসী – ২৩
১১৮ আয়াত, ৬ রুকু , মক্কী
[দয়াময় পরম করুণাময় আল্লাহ্র নামে ]
ভূমিকা : এই সূরার মূল বক্তব্য হচ্ছে চারিত্রিক গুণাবলী যা মুমিন বা বিশ্বাসী হওয়ার ‘বীজতলা ‘ বা মূলভিত্তি। বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে সেই রূপ পরিবেশের যখন সত্যকে অস্বীকার করা হয় এবং সত্যের অনুসারীদের অত্যাচার ও অপমানে জর্জরিত করা হয়। সত্য এক, অদ্বিতীয় এবং সন্দেহাতীত এবং শেষ পর্যন্ত সত্য চিরস্থায়ী। যারা পাপের রাস্তায় থাকে তাদের শেষ মুহুর্তের অনুতাপ গ্রহণযোগ্য হবে না।
এই সূরাটি মক্কাতে অবতীর্ণ সূরাগুলির শেষ দিকে অবতীর্ণ।
সার সংক্ষেপ : বিশ্বাসের বা ঈমানের ভিত্তি যখন বিনয়, প্রার্থনা ও দানের সাথে সমন্বিত হয়; অহংকার ও প্রবৃত্তির অনুসরণ থেকে বিরত থাকে এবং জীবন যখন একনিষ্ঠ সততার দ্বারা পরিচালিত হয়, তখনই আত্মিক সাফল্যের শীর্ষে আরোহণ করা সম্ভব হয়। সেজন্য হয়তো তাঁকে মানুষের ঠাট্টা বিদ্রূপ সহ্য করতে হয় – যেমন করতে হয়েছিলো নূহ্ , মুসা এবং ঈসা নবীকে [ ২৩ : ১ – ৫০]।
আল্লাহ্র নবী – রসুলেরা এবং মোমেন বান্দারা একই ভাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ। কিন্তু যারা বিভেদ সৃষ্টিকারী তারা কিছুতেই সত্য বিশ্বাসের বহু নিদর্শন প্রত্যক্ষ করা সত্বেও আল্লাহর মহত্ব ও করুণার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করবে না [ ২৩ : ৫১ – ৯২ ]।
মন্দকে ভালোর দ্বারা এবং আল্লাহ্র প্রতি বিশ্বাসের দ্বারা অবদমিত করতে হবে। পরলোকের জীবন অবশ্যাম্ভবী সত্য। যারা অবিশ্বাসী তারা পরলোকে অনুতাপ করার জন্য সুযোগ প্রার্থনা করবে। কিন্তু তখন তা হবে সূদূর পরাহত। [ ২৩ : ৯৩ – ১১৮ ]
অষ্টাদশ পারা
সূরা মু’মিনূন বা বিশ্বাসী – ২৩
১১৮ আয়াত, ৬ রুকু , মক্কী
[ দয়াময় পরম করুণাময় আল্লাহ্র নামে ]
০১। বিশ্বাসীরা [শেষ পর্যন্ত ] জয়ী হবে, – ২৮৬৫
২৮৬৫। “Aflaha”- জয়লাভ করা , সমৃদ্ধি লাভ করা , সাফল্য লাভ করা, নির্দ্দিষ্ট অভীষ্টে পৌঁছানো , জাগতিক দুঃখ-কষ্ট ও পাপ থেকে মুক্তি লাভ করা। এই আয়াতটি ১০ এবং ১১ নম্বর আয়াতের সাথে সংযুক্ত। এই পৃথিবীতেই সাফল্য বা বিজয় আসতে পারে , কিন্তু মোমেন বান্দাদের জন্য পরলোকের সাফল্য স্থায়ী ও নির্ধারিত সত্য।
আয়াতঃ 023.002
যারা নিজেদের নামাযে বিনয়-নম্র;
Those who offer their Salât (prayers) with all solemnity and full submissiveness.
الَّذِينَ هُمْ فِي صَلَاتِهِمْ خَاشِعُونَ
Allatheena hum fee salatihim khashiAAoona
YUSUFALI: Those who humble themselves in their prayers;
PICKTHAL: Who are humble in their prayers,
SHAKIR: Who are humble in their prayers,
KHALIFA: who are reverent during their Contact Prayers (Salat).
০২। যারা সালাতে নিজেদের বিনয়ী রাখে , ২৭৬৬;
২৭৬৬। মোমেন বান্দাদের সাফল্যের চাবিকাঠি হিসেবে যে সব বৈশিষ্ট্যের বা গুণাবলীর উল্লেখ করা হয়েছে তার শীর্ষে রয়েছে ‘বিনয়ের ” বা নম্রতার স্থান। সালাতে নম্রতার অর্থ : ১) আল্লাহ্র উপস্থিতি নিজের আত্মার মাঝে অনুভব করা এবং সেই মহাশক্তিধরের উপস্থিতিতে নিজের ক্ষুদ্রত্ব ও অসহায়ত্ব উপলব্ধি করা। ২) আল্লাহ্র সাহায্য ব্যতীত নিজস্ব ক্ষমতা বা শক্তি যে মূল্যহীন এই বোধ নিজের ভিতরে অনুভব করা ; ৩) নিজস্ব চাওয়া ও পাওয়াকে আল্লাহ্র নিকট নিবেদন করা এবং তা আল্লাহ্র করুণায় পাওয়ার আকাঙ্খা করা।
আয়াতঃ 023.003
যারা অনর্থক কথা-বার্তায় নির্লিপ্ত,
And those who turn away from Al-Laghw (dirty, false, evil vain talk, falsehood, and all that Allâh has forbidden).
وَالَّذِينَ هُمْ عَنِ اللَّغْوِ مُعْرِضُونَ
Waallatheena hum AAani allaghwi muAAridoona
YUSUFALI: Who avoid vain talk;
PICKTHAL: And who shun vain conversation,
SHAKIR: And who keep aloof from what is vain,
KHALIFA: And they avoid vain talk.
০৩। যারা অসার বাক্য পরিহার করে;
০৪। যারা দান কাজে সক্রিয় ;
০৫। যারা [ অ-অনুমোদিত ] যৌন কাজ থেকে নিজেকে নিবৃত্ত রাখে , ২৮৬৭
২৮৬৭। যৌন জীবন মানর জীবনচক্রের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। কিন্তু এই জীবনকে উচ্ছৃঙ্খলভাবে ব্যয় করা চলবে না। সংযত যৌন জীবন যাপন আল্লাহ্র নির্দ্দেশ। মুসলমান সকল প্রকার যৌন অসংযতা থেকে দূরে থাকবে এবং ব্যভিচার ও উচ্ছৃঙ্খলতা থেকে নিজেকে পবিত্র রাখবে। দেখা গেছে সমাজে বিভিন্ন পাপের উৎপত্তি , জন্মলাভ করে থাকে ব্যভিচার থেকে। এ ব্যাপারে ফ্রয়েডের মনঃস্থাত্বিক বিশ্লেষণ এ কথা স্বীকার করে যে, মানুষের সুপ্ত বহু ইচ্ছা যৌন ইচ্ছার সাথে সম্পৃক্ত। আমরা দৈনন্দিক জীবনে এর প্রতিফলন দেখে থাকি। খ্যাতি , প্রভাব-প্রতিপত্তি বা শ্রদ্ধার সর্বোচ্চ শিখর থেকে পতন ঘটে যৌন অধঃপতন থেকে। ইসলামের নির্দ্দেশ হচ্ছে বিবাহ বহির্ভূত যৌন জীবনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা। যৌন জীবনে বিবাহের মাধ্যমেই একমাত্র প্রবেশিধাকার লাভ করা যাবে এবং সেখানে নারী ও পুরুষের নিজস্ব অধিকারের ভিত্তিতে তা নিয়ন্ত্রিত হবে।
আয়াতঃ 023.004
যারা যাকাত দান করে থাকে
And those who pay the Zakât .
وَالَّذِينَ هُمْ لِلزَّكَاةِ فَاعِلُونَ
Waallatheena hum lilzzakati faAAiloona
YUSUFALI: Who are active in deeds of charity;
PICKTHAL: And who are payers of the poor-due;
SHAKIR: And who are givers of poor-rate,
KHALIFA: And they give their obligatory charity (Zakat).
০৩। যারা অসার বাক্য পরিহার করে;
০৪। যারা দান কাজে সক্রিয় ;
০৫। যারা [ অ-অনুমোদিত ] যৌন কাজ থেকে নিজেকে নিবৃত্ত রাখে , ২৮৬৭
২৮৬৭। যৌন জীবন মানর জীবনচক্রের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। কিন্তু এই জীবনকে উচ্ছৃঙ্খলভাবে ব্যয় করা চলবে না। সংযত যৌন জীবন যাপন আল্লাহ্র নির্দ্দেশ। মুসলমান সকল প্রকার যৌন অসংযতা থেকে দূরে থাকবে এবং ব্যভিচার ও উচ্ছৃঙ্খলতা থেকে নিজেকে পবিত্র রাখবে। দেখা গেছে সমাজে বিভিন্ন পাপের উৎপত্তি , জন্মলাভ করে থাকে ব্যভিচার থেকে। এ ব্যাপারে ফ্রয়েডের মনঃস্থাত্বিক বিশ্লেষণ এ কথা স্বীকার করে যে, মানুষের সুপ্ত বহু ইচ্ছা যৌন ইচ্ছার সাথে সম্পৃক্ত। আমরা দৈনন্দিক জীবনে এর প্রতিফলন দেখে থাকি। খ্যাতি , প্রভাব-প্রতিপত্তি বা শ্রদ্ধার সর্বোচ্চ শিখর থেকে পতন ঘটে যৌন অধঃপতন থেকে। ইসলামের নির্দ্দেশ হচ্ছে বিবাহ বহির্ভূত যৌন জীবনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা। যৌন জীবনে বিবাহের মাধ্যমেই একমাত্র প্রবেশিধাকার লাভ করা যাবে এবং সেখানে নারী ও পুরুষের নিজস্ব অধিকারের ভিত্তিতে তা নিয়ন্ত্রিত হবে।
আয়াতঃ 023.005
এবং যারা নিজেদের যৌনাঙ্গকে সংযত রাখে।
And those who guard their chastity (i.e. private parts, from illegal sexual acts)
وَالَّذِينَ هُمْ لِفُرُوجِهِمْ حَافِظُونَ
Waallatheena hum lifuroojihim hafithoona
YUSUFALI: Who abstain from sex,
PICKTHAL: And who guard their modesty –
SHAKIR: And who guard their private parts,
KHALIFA: And they maintain their chastity.
০৩। যারা অসার বাক্য পরিহার করে;
০৪। যারা দান কাজে সক্রিয় ;
০৫। যারা [ অ-অনুমোদিত ] যৌন কাজ থেকে নিজেকে নিবৃত্ত রাখে , ২৮৬৭
২৮৬৭। যৌন জীবন মানর জীবনচক্রের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। কিন্তু এই জীবনকে উচ্ছৃঙ্খলভাবে ব্যয় করা চলবে না। সংযত যৌন জীবন যাপন আল্লাহ্র নির্দ্দেশ। মুসলমান সকল প্রকার যৌন অসংযতা থেকে দূরে থাকবে এবং ব্যভিচার ও উচ্ছৃঙ্খলতা থেকে নিজেকে পবিত্র রাখবে। দেখা গেছে সমাজে বিভিন্ন পাপের উৎপত্তি , জন্মলাভ করে থাকে ব্যভিচার থেকে। এ ব্যাপারে ফ্রয়েডের মনঃস্থাত্বিক বিশ্লেষণ এ কথা স্বীকার করে যে, মানুষের সুপ্ত বহু ইচ্ছা যৌন ইচ্ছার সাথে সম্পৃক্ত। আমরা দৈনন্দিক জীবনে এর প্রতিফলন দেখে থাকি। খ্যাতি , প্রভাব-প্রতিপত্তি বা শ্রদ্ধার সর্বোচ্চ শিখর থেকে পতন ঘটে যৌন অধঃপতন থেকে। ইসলামের নির্দ্দেশ হচ্ছে বিবাহ বহির্ভূত যৌন জীবনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা। যৌন জীবনে বিবাহের মাধ্যমেই একমাত্র প্রবেশিধাকার লাভ করা যাবে এবং সেখানে নারী ও পুরুষের নিজস্ব অধিকারের ভিত্তিতে তা নিয়ন্ত্রিত হবে।
আয়াতঃ 023.006
তবে তাদের স্ত্রী ও মালিকানাভুক্ত দাসীদের ক্ষেত্রে সংযত না রাখলে তারা তিরস্কৃত হবে না।
Except from their wives or (the captives and slaves) that their right hands possess, for then, they are free from blame;
إِلَّا عَلَى أَزْوَاجِهِمْ أوْ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُهُمْ فَإِنَّهُمْ غَيْرُ مَلُومِينَ
Illa AAala azwajihim aw ma malakat aymanuhum fa-innahum ghayru maloomeena
YUSUFALI: Except with those joined to them in the marriage bond, or (the captives) whom their right hands possess,- for (in their case) they are free from blame,
PICKTHAL: Save from their wives or the (slaves) that their right hands possess, for then they are not blameworthy,
SHAKIR: Except before their mates or those whom their right hands possess, for they surely are not blameable,
KHALIFA: Only with their spouses, or those who are rightfully theirs, do they have sexual relations; they are not to be blamed.
০৬। যাদের সাথে তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ অথবা অধিকারভূক্ত দাসীগণ [ বন্দী ] ব্যতীত ২৮৬৮, এক্ষেত্রে তারা নিন্দনীয় হবে না।
২৮৬৮। এ সম্বন্ধে বিশদভাবে বলা হয়েছে [ ৪ : ২৫ ] আয়াতে।
আয়াতঃ 023.007
অতঃপর কেউ এদেরকে ছাড়া অন্যকে কামনা করলে তারা সীমালংঘনকারী হবে।
But whoever seeks beyond that, then those are the transgressors;
فَمَنِ ابْتَغَى وَرَاء ذَلِكَ فَأُوْلَئِكَ هُمُ الْعَادُونَ
Famani ibtagha waraa thalika faola-ika humu alAAadoona
YUSUFALI: But those whose desires exceed those limits are transgressors;-
PICKTHAL: But whoso craveth beyond that, such are transgressors –
SHAKIR: But whoever seeks to go beyond that, these are they that exceed the limits;
KHALIFA: Those who transgress these limits are the transgressors.
০৭। কিন্তু যারা এই সীমাকে অতিক্রম করতে ইচ্ছা করে, তারা সীমালংঘনকারী ; –
০৮। যারা বিশ্বস্তভাবে তাদের আমানত ও অঙ্গীকার রক্ষা করে ২৮৬৯;
২৮৬৯। আমানত ও প্রতিশ্রুতি দুধরণের হতে পারে : লিখিত বা প্রকাশ্য এবং অলিখিত বা অপ্রকাশ্য। লিখিত আমানাত হচ্ছে : সম্পত্তি বা দায়িত্ব যা লিখিত ভাবে অন্যকে অর্পন করা হয় – যেমন চাকুরীরত কর্মকর্তারা সরকারের অধীনে জনসাধারণের কাজের জন্য নির্দ্দিষ্ট দায়িত্ব পালনের জন্য দায়িত্ব প্রাপ্ত হন। জনগণের এই দায়িত্ব তাদের আমানত ইত্যাদি। অলিখিত বা অপ্রকাশ্য আমানতের উৎস বা উৎপত্তিস্থল হচ্ছে , ক্ষমতা, অথবা সুযোগ সুবিধা, মর্যদা বা সামাজিক বন্ধন ইত্যাদি যেমন :রাজার নিকট তার রাজ্য আল্লাহ্র নিকট থেকে প্রাপ্ত তার প্রজা সাধারণের অপ্রকাশ্য আমানত।
আমানত ও প্রতিশ্রুতি বা অঙ্গীকার দুটি শব্দ পরস্পর পরস্পরের সম্পূরক। চুক্তি বা প্রতিশ্রুতি জন্ম দেয় বা সৃষ্টি করে বাধ্যবাধকতার বা আমানতের, চুক্তি ও আমানত আমাদের সমাজ জীবনে লিখিত বা অলিখিত হতে পারে তাতে কিছু যায় আসে না। আমানতের প্রতিশ্রুতি বা চুক্তি মানব জীবনকে সামাজিক, জাতীয় ও রাষ্ট্রীয় জীবনে বাধ্যবাধকতার বন্ধনে আবদ্ধ করে। এ সম্বন্ধে বিশদ ব্যাখ্যার জন্য দেখুন টিকা ৬৮২ এবং আয়াত [ ৫:১ ]।
আয়াতঃ 023.008
এবং যারা আমানত ও অঙ্গীকার সম্পর্কে হুশিয়ার থাকে।
Those who are faithfully true to their Amanât (all the duties which Allâh has ordained, honesty, moral responsibility and trusts etc.) and to their covenants;
وَالَّذِينَ هُمْ لِأَمَانَاتِهِمْ وَعَهْدِهِمْ رَاعُونَ
Waallatheena hum li-amanatihim waAAahdihim raAAoona
YUSUFALI: Those who faithfully observe their trusts and their covenants;
PICKTHAL: And who are shepherds of their pledge and their covenant,
SHAKIR: And those who are keepers of their trusts and their covenant,
KHALIFA: When it comes to deposits entrusted to them, as well as any agreements they make, they are trustworthy.
০৭। কিন্তু যারা এই সীমাকে অতিক্রম করতে ইচ্ছা করে, তারা সীমালংঘনকারী ; –
০৮। যারা বিশ্বস্তভাবে তাদের আমানত ও অঙ্গীকার রক্ষা করে ২৮৬৯;
২৮৬৯। আমানত ও প্রতিশ্রুতি দুধরণের হতে পারে : লিখিত বা প্রকাশ্য এবং অলিখিত বা অপ্রকাশ্য। লিখিত আমানাত হচ্ছে : সম্পত্তি বা দায়িত্ব যা লিখিত ভাবে অন্যকে অর্পন করা হয় – যেমন চাকুরীরত কর্মকর্তারা সরকারের অধীনে জনসাধারণের কাজের জন্য নির্দ্দিষ্ট দায়িত্ব পালনের জন্য দায়িত্ব প্রাপ্ত হন। জনগণের এই দায়িত্ব তাদের আমানত ইত্যাদি। অলিখিত বা অপ্রকাশ্য আমানতের উৎস বা উৎপত্তিস্থল হচ্ছে , ক্ষমতা, অথবা সুযোগ সুবিধা, মর্যদা বা সামাজিক বন্ধন ইত্যাদি যেমন :রাজার নিকট তার রাজ্য আল্লাহ্র নিকট থেকে প্রাপ্ত তার প্রজা সাধারণের অপ্রকাশ্য আমানত।
আমানত ও প্রতিশ্রুতি বা অঙ্গীকার দুটি শব্দ পরস্পর পরস্পরের সম্পূরক। চুক্তি বা প্রতিশ্রুতি জন্ম দেয় বা সৃষ্টি করে বাধ্যবাধকতার বা আমানতের, চুক্তি ও আমানত আমাদের সমাজ জীবনে লিখিত বা অলিখিত হতে পারে তাতে কিছু যায় আসে না। আমানতের প্রতিশ্রুতি বা চুক্তি মানব জীবনকে সামাজিক, জাতীয় ও রাষ্ট্রীয় জীবনে বাধ্যবাধকতার বন্ধনে আবদ্ধ করে। এ সম্বন্ধে বিশদ ব্যাখ্যার জন্য দেখুন টিকা ৬৮২ এবং আয়াত [ ৫:১ ]।
আয়াতঃ 023.009
এবং যারা তাদের নামাযসমূহের খবর রাখে।
And those who strictly guard their (five compulsory congregational) Salawât (prayers) (at their fixed stated hours).
وَالَّذِينَ هُمْ عَلَى صَلَوَاتِهِمْ يُحَافِظُونَ
Waallatheena hum AAala salawatihim yuhafithoona
YUSUFALI: And who (strictly) guard their prayers;-
PICKTHAL: And who pay heed to their prayers.
SHAKIR: And those who keep a guard on their prayers;
KHALIFA: And they observe their Contact Prayers (Salat) regularly.
০৯।এবং যারা [ কঠিনভাবে ] তাদের সালাতকে রক্ষা করে; ২৮৭০
২৮৭০। আয়াত [ ২৩ : ২ ] এ নির্দ্দেশ দান করা হয়েছে বিনয় ও একাগ্রতার সাথে প্রার্থনা করার জন্য। এই আয়াতে বিশেষভাবে বলা হয়েছে প্রার্থনা বা সালাতকে নিয়মিত ভাবে পালনের অভ্যাস গঠনের জন্য। কারণ নিয়মিত অভ্যাস আত্মিক শৃঙ্খলা ও সমৃদ্ধির জন্য প্রয়োজন। এবং সালাত ব্যক্তির আল্লাহ্র সান্নিধ্য লাভের সহায়ক। এ ভাবেই সাতটি অমূল্য নির্দ্দেশনার মাধ্যমে ঈমানের রূপরেখাকে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। এই সাতটি অমূল্য রত্ন হচ্ছে : ১) বিনয় ২) অহংকার ও আত্মগরিমা ত্যাগ করা ৩) দান ৪) যৌন পবিত্রতা ৫) আমানতের বিশ্বস্ততা ও ৬) প্রতিশ্রুতির বিশ্বস্ততা এবং ৭) একান্তভাবে আল্লাহ্র সান্নিধ্য লাভের আকাঙ্খা।
আয়াতঃ 023.011
তারাই উত্তরাধিকার লাভ করবে।
These are indeed the inheritors.
أُوْلَئِكَ هُمُ الْوَارِثُونَ
Allatheena yarithoona alfirdawsa hum feeha khalidoona
YUSUFALI: Who will inherit Paradise: they will dwell therein (for ever).
PICKTHAL: Who will inherit paradise. There they will abide.
SHAKIR: Who shall inherit the Paradise; they shall abide therein.
KHALIFA: They will inherit Paradise, wherein they abide forever.
১০। তারাই হবে উত্তরাধীকারী , ২৮৭১
১১। তারাই উত্তরাধীকার সুত্রে জান্নাত লাভ করবে। সেখানে তারা [ চিরদিন ] বাস করবে।
২৮৭১। দেখুন আয়াত [ ২১ : ১০৫ ] যেখানে বলা হয়েছে ” আমার সৎ কর্মপরায়ন বান্দাগণ পৃথিবীর অধিকারী হবে।” এই সূরার প্রথম আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে তাদের কথা যারা সাফল্য অর্জন করবে। এরা হলেন মুমিন বান্দা – ইহলৌকিক ও পারলৌকিক সকল সাফল্য তাদের জন্যই। কারণ পৃথিবীতে সত্যের জয় শেষ পর্যন্ত হবেই। অসত্য ও অন্যায়ের স্থায়ীত্ব ক্ষণস্থায়ী। তবে এই বিজয় দর্শন ব্যক্তিগত ভাবে কোনও ব্যক্তির জীবনে নাও ঘটতে পারে। অনেক সময়েই অন্যায় ও অসত্যের ধুম্রজাল কিছুকালের জন্যে সত্যের আলোকে ডেকে ফেলতে পারে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মিথ্যা ও অন্যায়ের কালো মেঘ অপসারিত হবেই হয়তো ব্যক্তিগত ভাবে কেউ এর প্রভাব প্রত্যক্ষ নাও করতে পারেন কিন্তু এ কথা সত্য যে পরবর্তী বংশধরেরা পূর্ববর্তীদের সত্যের জন্য ত্যাগ তিতিক্ষার সুফল অবশ্যই ভোগ করবে। শেষ পর্যন্ত সত্যের জয় হবেই। এই পৃথিবীতে সকলেই তাদের সত্যের জন্য ত্যাগ স্বীকারে ফলাফল স্বচক্ষে দেখে যেতে নাও পারেন এ কথা সত্য , কিন্তু পরলোকে তারা তাদের কর্মফল স্বচক্ষে দেখতে সক্ষম হবেন। আল্লাহ্ বেহেশতের সৃষ্টি করেছেন পূণ্যাত্মা বা মোমেন বান্দাদের জন্য। মৃত্যুর পরে সকল মোমেন বান্দারা তাদের সুকর্মের ফল ভোগ করবেন।
আয়াতঃ 023.012
আমি মানুষকে মাটির সারাংশ থেকে সৃষ্টি করেছি।
And indeed We created man (Adam) out of an extract of clay (water and earth).
وَلَقَدْ خَلَقْنَا الْإِنسَانَ مِن سُلَالَةٍ مِّن طِينٍ
Walaqad khalaqna al-insana min sulalatin min teenin
YUSUFALI: Man We did create from a quintessence (of clay);
PICKTHAL: Verily We created man from a product of wet earth;
SHAKIR: And certainly We created man of an extract of clay,
KHALIFA: We created the human being from a certain kind of mud.
১২। আমি মানুষকে [ কাদার ] সারাংশ থেকে সৃষ্টি করেছি ২৮৭২;
২৮৭২। আলোচ্য আয়াত সমূহে মানব সৃষ্টির সাতটি স্তরের উল্লেখ করা হয়েছে। সর্ব প্রথম স্তর মৃত্তিকার উপাদান, দ্বিতীয় স্তর বীর্য, তৃতীয় স্তর জমাট রক্ত , চতুর্থ স্তর মাংসপিন্ড, পঞ্চম অস্থি-পিঞ্জর, ষষ্ঠ অস্থিকে মাংস দ্বারা আবৃতকরণ সপ্তম সৃষ্টির পূর্ণত্ব অর্থাৎ রূহ সঞ্চারকরণ। এই আয়াতগুলির মাধ্যমে মহান স্রষ্টার নিপুন শিল্পকর্মকে তুলে ধরা হয়েছে এবং মানবকে স্মরণ করিয়ে দেয়া হয়েছে তার শেষ পরিণতি ও ভবিষ্যত , যার উল্লেখ আছে আয়াত [ ১০ – ১১ ] তে। আয়াত [ ২ : ১১৭ ] উল্লেখ আছে আল্লাহ্ শূন্য থেকে পৃথিবীর সৃষ্টি করেন তাঁর আদেশের মাধ্যমে। এখানে এই আয়াতগুলিতে সৃষ্টির প্রাথমিক অবস্থার বর্ণনা করা হয় নাই। বর্ণনা করা হয়েছে সৃষ্টি প্রক্রিয়ার একটি ধাপ আর সে ধাপটি হচ্ছে মানুষ সৃষ্টির বিভিন্ন স্তর। সৃষ্টি প্রক্রিয়ায় পৃথিবীর মূল কণিকা প্রাণহীন অজৈব পদার্থ জীবন লাভে সক্ষম হয়। মাটির অজৈব পদার্থ তরুলতার মাধ্যমে জৈব পদার্থে রূপ লাভ করে এবং খাদ্যের মাধ্যমে তা দেহভ্যন্তরে স্থান পায়। প্রাণীদেহ তা শুক্রে রূপান্তরিত করে। এই শুক্র স্ত্রীকোষের ডিম্ব দ্বারা নিষিক্ত হয়ে মায়ের জরায়ুতে নিরাপদে স্থান লাভ করে। নিষিক্ত ডিম্বটি এখানে সৃষ্টি প্রক্রিয়াতে বিভিন্ন স্তর অতিক্রম করে। প্রথম স্তরে নিষিক্ত ডিম্বটি জমাট রক্ত পিন্ডে পরিণত হয় , যা জীববিজ্ঞানে “জাইগট” নামে পরিচিত পরবর্তী স্তরে “জাইগটের” বিভক্তিকরণ শুরু এবং ভ্রূণের সৃষ্টি হয় , পরবর্তীতে ভ্রূণ একটি নির্দ্দিষ্ট পরিণতির দিকে অগ্রসর হয়। ফলে ভ্রূণ থেকে হাড়, মাংস, এবং বিভিন্ন অঙ্গ প্রতঙ্গের সৃষ্টি হয়। এ পর্যন্ত মানব শিশুর সৃষ্টি ও প্রাণীকূলের সৃষ্টির মধ্যে পার্থক্য নাই। কিন্তু পার্থক্য আছে শেষ স্তরে। শেষ স্তরকে আল্লাহ্ এ ভাবে বর্ণনা করেছেন , ” অবশেষে উহাকে গড়ে তুলি অন্য এক সৃষ্টিরূপে [ ২৩ : ১৪]।” যার ফলে মানব শিশু প্রাণী শিশু থেকে আলাদা হয়ে পড়ে। আর এই ভিন্নতার কারণ, মানব শিশুর মাঝে আল্লাহ্র রূহকে প্রবেশ করানো হয়, দেখুন আয়াত [ ১৫ : ২৯ ]। রূহ বা আত্মার এই অনুপ্রবেশ হতে পারে ধারাবাহিক। দেহের বৃদ্ধির সাথে সাথে আত্মারও পরিবর্ধন ও পরিবর্তন ঘটে। শিশু জন্মলাভ করে, বৃদ্ধি প্রাপ্ত হয় ও যৌবনে পদর্পন করে , আবার বার্দ্ধক্যে ক্ষয় প্রাপ্ত হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। শারীরিক পরিবর্তনের সাথে সাথে মানুষের আত্মিক পরিবর্তনও সাধিত হয়। মানব জীবনে মৃত্যুই শেষ কথা নয়। মৃত্যুর মাধ্যমে সে প্রবেশ করে অন্য ভূবনে, যে ভূবনে সে এই পৃথিবীর সকল স্মৃতি ও কর্মকান্ডের হিসাব বহন করে নিয়ে যায়।
আয়াতঃ 023.013
অতঃপর আমি তাকে শুক্রবিন্দু রূপে এক সংরক্ষিত আধারে স্থাপন করেছি।
Thereafter We made him (the offspring of Adam) as a Nutfah (mixed drops of the male and female sexual discharge) (and lodged it) in a safe lodging (womb of the woman).
ثُمَّ جَعَلْنَاهُ نُطْفَةً فِي قَرَارٍ مَّكِينٍ
Thumma jaAAalnahu nutfatan fee qararin makeenin
YUSUFALI: Then We placed him as (a drop of) sperm in a place of rest, firmly fixed;
PICKTHAL: Then placed him as a drop (of seed) in a safe lodging;
SHAKIR: Then We made him a small seed in a firm resting-place,
KHALIFA: Subsequently, we reproduced him from a tiny drop, that is placed into a well protected repository.
১৩। অতঃপর উহাকে শুক্র বিন্দুরূপে স্থাপন করি নিরাপদ আঁধারে ২৮৭৩।
২৮৭৩। জরায়ুতে ভ্রূণ সৃষ্টি হওয়া পর্যন্ত সমস্ত প্রক্রিয়া সংঘটিত হয় নিঃশব্দে , লোকচক্ষুর অন্তরালে। ভ্রূণকে মাতৃজঠরের নিরাপদ আশ্রয়ে স্রষ্টা স্থাপন করেন যে রকম ভাবে নৃপতি দুর্গের অভ্যন্তরে নিরাপদ আশ্রয় লাভ করে। ভ্রূণকে মাতৃজঠরে জরায়ূর অভ্যন্তরে অত্যন্ত দৃঢ়ভাবে সংশ্লিষ্ট করে দেয়া হয়, যেনো সে মাতৃগর্ভে থাকাকালীন সময়ে নিরাপত্তা লাভ করে, বৃদ্ধি লাভ করে ভূমিষ্ট হওয়া পর্যন্ত।
আয়াতঃ 023.014
এরপর আমি শুক্রবিন্দুকে জমাট রক্তরূপে সৃষ্টি করেছি, অতঃপর জমাট রক্তকে মাংসপিন্ডে পরিণত করেছি, এরপর সেই মাংসপিন্ড থেকে অস্থি সৃষ্টি করেছি, অতঃপর অস্থিকে মাংস দ্বারা আবৃত করেছি, অবশেষে তাকে নতুন রূপে দাঁড় করিয়েছি। নিপুণতম সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ কত কল্যাণময়।
Then We made the Nutfah into a clot (a piece of thick coagulated blood), then We made the clot into a little lump of flesh, then We made out of that little lump of flesh bones, then We clothed the bones with flesh, and then We brought it forth as another creation. So blessed be Allâh, the Best of creators.
ثُمَّ خَلَقْنَا النُّطْفَةَ عَلَقَةً فَخَلَقْنَا الْعَلَقَةَ مُضْغَةً فَخَلَقْنَا الْمُضْغَةَ عِظَامًا فَكَسَوْنَا الْعِظَامَ لَحْمًا ثُمَّ أَنشَأْنَاهُ خَلْقًا آخَرَ فَتَبَارَكَ اللَّهُ أَحْسَنُ الْخَالِقِينَ
Thumma khalaqna alnnutfata AAalaqatan fakhalaqna alAAalaqata mudghatan fakhalaqna almudghata AAithaman fakasawna alAAithama lahman thumma ansha/nahu khalqan akhara fatabaraka Allahu ahsanu alkhaliqeena
YUSUFALI: Then We made the sperm into a clot of congealed blood; then of that clot We made a (foetus) lump; then we made out of that lump bones and clothed the bones with flesh; then we developed out of it another creature. So blessed be Allah, the best to create!
PICKTHAL: Then fashioned We the drop a clot, then fashioned We the clot a little lump, then fashioned We the little lump bones, then clothed the bones with flesh, and then produced it as another creation. So blessed be Allah, the Best of creators!
SHAKIR: Then We made the seed a clot, then We made the clot a lump of flesh, then We made (in) the lump of flesh bones, then We clothed the bones with flesh, then We caused it to grow into another creation, so blessed be Allah, the best of the creators.
KHALIFA: Then we developed the drop into a hanging (embryo), then developed the hanging (embryo) into a bite-size (fetus), then created the bite-size (fetus) into bones, then covered the bones with flesh. We thus produce a new creature. Most blessed is GOD, the best Creator.
১৪। পরে আমি শুক্র বিন্দুকে জমাট রক্তপিন্ডে পরিণত করি। অতঃপর ঐ পিন্ড থেকে [ভ্রূণের ] পিন্ড তৈরী করি। অতঃপর সেই পিন্ড থেকে অস্থি তৈরী করি এবং অস্থিকে মাংস দ্বারা ঢেকে দেই। অবশেষে তা থেকে আমি উহা অন্য সৃষ্টিরূপে গড়ে তুলি। সুতারাং আল্লাহ্ মহান , সর্বোত্তম স্রষ্টা ২৮৭৪।
২৮৭৪। ” অবশেষে তা থেকে আমি উহা অন্য সৃষ্টিরূপে গড়ে তুলি” – এই লাইনটির মাধ্যমে স্রষ্টার সৃষ্টিকর্মের অপূর্ব নিদর্শনকে তুলে ধরা হয়েছে। সাধারণ প্রাণী থেকে মানুষ সৃষ্টির শ্রেষ্ঠত্বকে এখানে বর্ণনা করা হয়েছে। অনুধাবন সম্পন্ন মানুষকেই স্তম্ভিত করবে স্রষ্টার সৃষ্টি নৈপুন্য। প্রাণহীন মৃত্তিকার ধূলি থেকে [ ২২ : ৫ ] প্রাণের সৃষ্টি হয়েছে। মাটির মূল উপাদান অজৈব মৌলিক পদার্থ সমূহ প্রাণের মূল জৈব পদার্থ প্রোটপ্লাজমে রূপান্তরিত হয়। প্রোটপ্লাজমই হচ্ছে প্রতিটি জীব কোষের মূল উপাদান। এখান থেকেই প্রাণের উৎপত্তি। আবার প্রাণী জগতে মানুষের সৃষ্টি এক অত্যাশ্চর্য সৃষ্টি। কারণ প্রাণীকূল ও মানব একই জৈবিক নিয়মের নিয়ন্ত্রনাধীন। উভয়ে জন্ম গ্রহণ করে, খাদ্য গ্রহণ করে, বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়, প্রজনন করে, আবার এক সময়ে মৃত্যু বরণ করে। উভয়ের শরীর বৃত্ত [Physiology ] একই নিয়মের অধীন। কিন্তু আল্লাহ্র বিশেষ দান [ রূহ ] দ্বারা মানবকে করেছেন সম্মানিত। মানুষকে আল্লাহ্ বিশেষ বিশেষ মানসিক দক্ষতা [ Faculties of mind ] দানে ধন্য করেছেন এবং তাকে পৃথিবীর খলিফারূপে প্রেরণ করেছেন। মানুষের মাঝেই আল্লাহ্র জ্ঞান, ক্ষমতা, সৃষ্টিকরার দক্ষতা ইত্যাদি গুণাবলী প্রকাশ পায় এবং এসবের ব্যবহারের সেই একমাত্র প্রাণী যে তাঁর চারিপাশের জগতে স্রষ্টার জ্ঞান ও করুণাকে অনুধাবন করতে সক্ষম হয়।
After that, surely, you will die.ثُمَّ إِنَّكُمْ بَعْدَ ذَلِكَ لَمَيِّتُونَ
Thumma innakum baAAda thalika lamayyitoonaYUSUFALI: After that, at length ye will die
PICKTHAL: Then lo! after that ye surely die.
SHAKIR: Then after that you will most surely die.
KHALIFA: Then, later on, you die.১৫। এর পরে , অবশেষে তোমাদের মৃত্যু হবে ২৮৭৫।
২৮৭৫। এই আয়াতে যে মৃত্যুর কথা বলা হয়েছে তা দৈহিক মৃত্যু। আত্মা অমর ও চিরস্থায়ী। আত্মার সুদীর্ঘ যাত্রাপথে পার্থিব বা দৈহিক মৃত্যু হচ্ছে ক্ষণস্থায়ী বিরতী। যদি এখানেই আমাদের এ জীবনের শেষ হয়ে যেতো তবে এ জীবনের কোন মহত্তর বৃহত্তর উদ্দেশ্য থাকতো না। কিন্তু আমরা আমাদের সাধারণ বুদ্ধি বৃত্তির সাহায্যেই বুঝতে পারি যে, মানুষকে আল্লাহ্ অন্যান্য প্রাণীকূল থেকে ভিন্নভাবে সৃষ্টি করেছেন। সে শুধু তরুলতা -গুল্ম বা অন্যান্য প্রাণীদের ন্যায় জন্ম -মৃত্যুর মাধ্যমে জীবনকে শেষ করার জন্য নয়। আল্লাহ্ বলেছেন মৃত্যুর মাধ্যমে আমরা অন্য ভূবনে প্রবেশাধিকার লাভ করবো। সেখানেই আমাদের ইহজগতের সকল কর্মের হিসাব দাখিল করতে হবে।
আয়াতঃ 023.016
অতঃপর কেয়ামতের দিন তোমরা পুনরুত্থিত হবে।
Then (again), surely, you will be resurrected on the Day of Resurrection.
ثُمَّ إِنَّكُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ تُبْعَثُونَ
Thumma innakum yawma alqiyamati tubAAathoona
YUSUFALI: Again, on the Day of Judgment, will ye be raised up.
PICKTHAL: Then lo! on the Day of Resurrection ye are raised (again).
SHAKIR: Then surely on the day of resurrection you shall be raised.
KHALIFA: Then, on the Day of Resurrection, you will be resurrected.
১৬। পুণরায় শেষ বিচারের দিনে তোমাদের পুণরুত্থিত করা হবে।
১৭। এবং আমি তোমাদের উর্দ্ধে সাতটি স্তর সৃষ্টি করেছি ২৮৭৬। এবং আমি [ আমার ] সৃষ্টি সম্পর্কে কখনও অমনোযোগী নই ২৮৭৭।
২৮৭৬। “Taraiq” অর্থ রাস্তা, পথ , কক্ষপথ, অঞ্চল ইত্যাদি। এই আয়াতে এই আয়াতটির অর্থ সপ্ত আকাশের স্তর। পরবর্তী লাইনে মানব কূলকে এই নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে যে, আল্লাহ্ তাঁর সৃষ্টি সম্বন্ধে সহৃদয়। তাঁর করুণা ও দয়া সর্বদা তাঁর সৃষ্টিকে ঘিরে থাকে।
২৮৭৭। আল্লাহ্র কল্যাণ কামনা তাঁর সৃষ্টিকে সর্বদা ঘিরে থাকে। আল্লাহ্র করুণা ও কল্যাণের কয়েকটি উদাহরণ দেয়া হয়েছে আয়াত [ ২৩ : ১৮-২২ ] পর্যন্ত এবং আত্মিক কল্যাণের দিকটি তুলে ধরা হয়েছে ২ থেকে ৫ রুকু পর্যন্ত।
আয়াতঃ 023.017
আমি তোমাদের উপর সুপ্তপথ সৃষ্টি করেছি এবং আমি সৃষ্টি সম্বন্ধে অনবধান নই।
And indeed We have created above you seven heavens (one over the other), and We are never unaware of the creation.
وَلَقَدْ خَلَقْنَا فَوْقَكُمْ سَبْعَ طَرَائِقَ وَمَا كُنَّا عَنِ الْخَلْقِ غَافِلِينَ
Walaqad khalaqna fawqakum sabAAa tara-iqa wama kunna AAani alkhalqi ghafileena
YUSUFALI: And We have made, above you, seven tracts; and We are never unmindful of (our) Creation.
PICKTHAL: And We have created above you seven paths, and We are never unmindful of creation.
SHAKIR: And certainly We made above you seven heavens; and never are We heedless of creation.
KHALIFA: We created above you seven universes in layers, and we are never unaware of a single creature in them.
১৬। পুণরায় শেষ বিচারের দিনে তোমাদের পুণরুত্থিত করা হবে।
১৭। এবং আমি তোমাদের উর্দ্ধে সাতটি স্তর সৃষ্টি করেছি ২৮৭৬। এবং আমি [ আমার ] সৃষ্টি সম্পর্কে কখনও অমনোযোগী নই ২৮৭৭।
২৮৭৬। “Taraiq” অর্থ রাস্তা, পথ , কক্ষপথ, অঞ্চল ইত্যাদি। এই আয়াতে এই আয়াতটির অর্থ সপ্ত আকাশের স্তর। পরবর্তী লাইনে মানব কূলকে এই নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে যে, আল্লাহ্ তাঁর সৃষ্টি সম্বন্ধে সহৃদয়। তাঁর করুণা ও দয়া সর্বদা তাঁর সৃষ্টিকে ঘিরে থাকে।
২৮৭৭। আল্লাহ্র কল্যাণ কামনা তাঁর সৃষ্টিকে সর্বদা ঘিরে থাকে। আল্লাহ্র করুণা ও কল্যাণের কয়েকটি উদাহরণ দেয়া হয়েছে আয়াত [ ২৩ : ১৮-২২ ] পর্যন্ত এবং আত্মিক কল্যাণের দিকটি তুলে ধরা হয়েছে ২ থেকে ৫ রুকু পর্যন্ত।
আয়াতঃ 023.018
আমি আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করে থাকি পরিমাণ মত অতঃপর আমি জমিনে সংরক্ষণ করি এবং আমি তা অপসারণও করতে সক্ষম।
And We sent down from the sky water (rain) in (due) measure, and We gave it lodging in the earth, and verily, We are Able to take it away.
وَأَنزَلْنَا مِنَ السَّمَاء مَاء بِقَدَرٍ فَأَسْكَنَّاهُ فِي الْأَرْضِ وَإِنَّا عَلَى ذَهَابٍ بِهِ لَقَادِرُونَ
Waanzalna mina alssama-i maan biqadarin faaskannahu fee al-ardi wa-inna AAala thahabin bihi laqadiroona
YUSUFALI: And We send down water from the sky according to (due) measure, and We cause it to soak in the soil; and We certainly are able to drain it off (with ease).
PICKTHAL: And we send down from the sky water in measure, and We give it lodging in the earth, and lo! We are Able to withdraw it.
SHAKIR: And We send down water from the cloud according to a measure, then We cause it to settle in the earth, and most surely We are able to carry it away.
KHALIFA: We send down from the sky water, in exact measure, then we store it in the ground. Certainly, we can let it escape.
১৮। আমি আকাশ থেকে পরিমাণ মত বৃষ্টি প্রেরণ করি এবং আমি তা মৃত্তিকায় সংরক্ষিত করি। এবং [ খুব সহজেই ] আমি তা অপসারণ করতে সক্ষম ২৮৭৮।
২৮৭৮। “আকাশ থেকে পরিমাণ মত বৃষ্টি প্রেরণ করি” – এখানে বৃষ্টির উদাহরণের দ্বারা দয়াময় আল্লাহ্র করুণাধারাকে বোঝাতে চাওয়া হয়েছে। বিশ্ব-প্রকৃতি নির্দ্দিষ্ট নিয়মের সুত্রে বাঁধা। প্রকৃতির বিভিন্ন নিয়মাবলীকে বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে , প্রকৃতির নিয়মের প্রতিটি সুত্র এক সুশৃঙ্খল নিয়মের অধীন। সৃষ্ট জীবের জন্য যা কিছু কল্যাণকর শুধু ততটুকুই প্রকৃতি ধারণ করে থাকে। উদাহরণ দেয়া হয়েছে , বৃষ্টির। বৃষ্টি হচ্ছে ধরিত্রির জন্য প্রাণরক্ষাকারী। কিন্তু এর আধিক্য ধরিত্রির বুকে আবার বিপর্যয়ের সৃষ্টি করে। সাধারণতঃ প্রতিটি ভূখন্ডের উপরে ততটুকুই বৃষ্টিপাত ঘটে, যতটুকু সে দেশের ভূখন্ডের জন্য প্রয়োজনীয়। পরিমিত বৃষ্টি মাটিকে আর্দ্র রাখে, যাতে শষ্যের ফলন উপযুক্ত হয়। আবার বৃষ্টির অতিরিক্ত পানি মাটির স্তর ভেদ করে ভূগর্ভস্ত পানির স্তর সৃষ্টি করে , যা ভূমির গুণাগুণ বৃদ্ধিতে সহায়ক। আবার মাটির পানি ধারণ ক্ষমতা নদী সমূহকে বয়ে যেতে সাহায্য করে। কারণ দেখা যায় নদীর গতিপথ অনেক সময়ে এমন দেশের মধ্যে দিয়ে ধাবিত হয় যেখানে বৃষ্টিপাত অতি নগণ্য। কিন্তু মাটির এই পানি ধারণ ক্ষমতার ফলে সে সব দেশে নদীর সমস্ত পানি ভূগর্ভস্ত স্তরে শোষিত হয় না। ভারতের বহু স্থানে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ অত্যন্ত কম হওয়ায় তারা এ সব নদীর পানি বাঁধের সাহায্যে ব্যবহার যোগ্য করে মরুভূমি সদৃশ্য ভূমিকে শষ্য শ্যামল ভূমিতে পরিণত করেছে। প্রকৃতিতে আকাশ থেকে প্রাপ্য পানির সুষম ও পরিমিত বন্টনের আর একটি উদাহরণ হচ্ছে তুষার পাত। প্রকৃতিতে তুষারপাতের অবদানও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যা মাটি ও বাতাসকে সুসামঞ্জস্যপূর্ণ রাখে। যদি সুউচ্চ পর্বতমালাতে তুষারের আধিক্য না থাকতো তবে সারাটা বছর নদীগুলি তাদের নাব্যতা রক্ষা করতে পারতো না। গভীর ভাবে চিন্তা করলে দেখা যাবে কি অপূর্ব বিধান প্রকৃতির পানির সুষম বন্টনের জন্য। বৃষ্টির পানি পৃথিবীকে ধৌত করে ও তার আর্দ্রতা রক্ষা করে সমুদ্রে ফিরে যায় এবং আবার মেঘ রূপে পৃথিবীতে ফিরে আসে। একেই আজকের বিজ্ঞান বলে পানিচক্র। যদি বৃষ্টির পানি প্রাকৃতিক নিয়মে নিঃস্বারিত না হতো তবে সমস্ত পৃথিবীতে জলাবদ্ধতা , এবং বন্যার ব্যপকতা ঘটতো। যেমন নদী ভরাট হওয়ার ফলে বাংলাদেশে নদীবাহিত বৃষ্টির পানি নিষ্কাশিত হওয়ার সুযোগ পায় না ফলে বন্যার সৃষ্টি হয়। আবার যদি নির্দ্দিষ্ট পরিমাণের কম বৃষ্টিপাত ঘটে তবে মাটি ও আবহাওয়া শুষ্ক হওয়ার ফলে মাটি ও ফসলের ব্যপক ক্ষতি সাধিত হয়। আমাদের জীবনে পরিমিত বৃষ্টি যে কতটুকু প্রয়োজনীয় তা আমরা বন্যা বা খরা কবলে পতিত না হলে বুঝতে পারি না। কিন্তু প্রকৃতির এ ভারসাম্যের জন্য সৃষ্টিকর্তার প্রতি মানুষ কতটুকু কৃতজ্ঞ ? বিশ্ব প্রকৃতিকে স্রষ্টা মানুষের সেবায় নিয়োজিত করেছেন বিভিন্ন প্রাকৃতিক নিয়মের মাধ্যমে। অকৃতজ্ঞ মানুষ কি তা অনুধাবনের চেষ্টা করে ?
আয়াতঃ 023.019
অতঃপর আমি তা দ্বারা তোমাদের জন্যে খেজুর ও আঙ্গুরের বাগান সৃষ্টি করেছি। তোমাদের জন্যে এতে প্রচুর ফল আছে এবং তোমরা তা থেকে আহার করে থাক।
Then We brought forth for you therewith gardens of date-palms and grapes, wherein is much fruit for you, and whereof you eat.
فَأَنشَأْنَا لَكُم بِهِ جَنَّاتٍ مِّن نَّخِيلٍ وَأَعْنَابٍ لَّكُمْ فِيهَا فَوَاكِهُ كَثِيرَةٌ وَمِنْهَا تَأْكُلُونَ
Faansha/na lakum bihi jannatin min nakheelin waaAAnabin lakum feeha fawakihu katheeratun waminha ta/kuloona
YUSUFALI: With it We grow for you gardens of date-palms and vines: in them have ye abundant fruits: and of them ye eat (and have enjoyment),-
PICKTHAL: Then We produce for you therewith gardens of date-palms and grapes, wherein is much fruit for you and whereof ye eat;
SHAKIR: Then We cause to grow thereby gardens of palm trees and grapes for you; you have in them many fruits and from them do you eat;
KHALIFA: With it, we produce for you orchards of date palms, grapes, all kinds of fruits, and various foods.
১৯। এর সাহায্যে তোমাদের জন্য আমি খেজুর ও আঙ্গুর বাগান উৎপন্ন করি। ইহাতে তোমাদের জন্য আছে প্রচুর ফল , এবং তোমরা তা খাও এবং [ উপভোগ কর ] ; ২৮৭৯ –
২৮৭৯। দেখুন আয়াত [ ৭ : ১৯ ] এবং টিকা ৭৭৬ ও আয়াত ৫ : ৫৬।
আয়াতঃ 023.020
এবং ঐ বৃক্ষ সৃষ্টি করেছি, যা সিনাই পর্বতে জন্মায় এবং আহারকারীদের জন্যে তৈল ও ব্যঞ্জন উৎপন্ন করে।
And a tree (olive) that springs forth from Mount Sinai, that grows oil, and (it is a) relish for the eaters.
وَشَجَرَةً تَخْرُجُ مِن طُورِ سَيْنَاء تَنبُتُ بِالدُّهْنِ وَصِبْغٍ لِّلْآكِلِينَ
Washajaratan takhruju min toori saynaa tanbutu bialdduhni wasibghin lilakileena
YUSUFALI: Also a tree springing out of Mount Sinai, which produces oil, and relish for those who use it for food.
PICKTHAL: And a tree that springeth forth from Mount Sinai that groweth oil and relish for the eaters.
SHAKIR: And a tree that grows out of Mount Sinai which produces oil and a condiment for those who eat.
KHALIFA: Also, a tree native to Sinai produces oil, as well as relish for the eaters.
২০। এবং সিনাই পর্বতে উদ্গত করি এক বৃক্ষ, যা তেল উৎপন্ন করে এবং খাদ্য হিসেবে [ যে তেল ] সুস্বাদু ২৮৮০।
২৮৮০। এই বৃক্ষটিকে ‘যায়তুন’ বৃক্ষ বলা হয়েছে। যায়তুন হচ্ছে জলপাই এর আরবী নাম। আরবের মধ্যে সর্বাপেক্ষা উন্নতমানের জলপাই উৎপন্ন হয় মাউন্ট সিনাইতে। ডুমুর , জলপাই, সিনাই পর্বত এবং পবিত্র মক্কা নগরীর কথা একই সাথে উল্লেখ করা হয়েছে আয়াতে [ ৯৫ : ১ -৫ ] বিভিন্ন প্রকার তেলের মাঝে জলপাই এর তেল এক উচ্চ গুণাগুণ সম্পন্ন ভেজষ তেল যা যুগে যুগে ঔষধ তৈরীতে ব্যবহৃত হয়েছে। খাদ্য হিসেবেও জলপাই স্বাদে গন্ধে অতুলনীয়। দেখুন [ ২৪ : ৩৫ ] আয়াত যেখানে জলপাই গাছকে ” পূত পবিত্র যয়তুন বৃক্ষ ” বলা হয়েছে। দেখুন টিকা ৩০০০।
আয়াতঃ 023.021
এবং তোমাদের জন্যে চতুস্পদ জন্তু সমূহের মধ্যে চিন্তা করার বিষয় রয়েছে। আমি তোমাদেরকে তাদের উদরস্থিত বস্তু থেকে পান করাই এবং তোমাদের জন্যে তাদের মধ্যে প্রচুর উপকারিতা আছে। তোমরা তাদের কতককে ভক্ষণ কর।
And Verily! In the cattle there is indeed a lesson for you. We give you to drink (milk) of that which is in their bellies. And there are, in them, numerous (other) benefits for you, and of them you eat.
وَإِنَّ لَكُمْ فِي الْأَنْعَامِ لَعِبْرَةً نُّسقِيكُم مِّمَّا فِي بُطُونِهَا وَلَكُمْ فِيهَا مَنَافِعُ كَثِيرَةٌ وَمِنْهَا تَأْكُلُونَ
Wa-inna lakum fee al-anAAami laAAibratan nusqeekum mimma fee butooniha walakum feeha manafiAAu katheeratun waminha ta/kuloona
YUSUFALI: And in cattle (too) ye have an instructive example: from within their bodies We produce (milk) for you to drink; there are, in them, (besides), numerous (other) benefits for you; and of their (meat) ye eat;
PICKTHAL: And lo! in the cattle there is verily a lesson for you. We give you to drink of that which is in their bellies, and many uses have ye in them, and of them do ye eat;
SHAKIR: And most surely there is a lesson for you in the cattle: We make you to drink of what is in their bellies, and you have in them many advantages and of them you eat,
KHALIFA: And the livestock should provide you with a lesson. We let you drink (milk) from their bellies, you derive other benefits from them, and some of them you use for food.
২৮৮১। ” আন্ – আম ” অর্থ গৃহপালিত পশু। গৃহপালিত পশু থেকে আমরা দুধ পাই, মাংস পাই। তাদের চামড়া দ্বারা আমরা জুতা, ব্যাগ ইত্যাদি প্রয়োজনীয় জিনিষ তৈরী করি। তাদের শিং ও হাড় দ্বারা চিরুনী , তৈজষ পত্র ও গহনা তৈরী করা হয়। উট, ঘোড়া, গাধা, খচ্চর এবং গরুর গাড়ী প্রভৃতি যানবাহন ও মাল টানার জন্য প্রাচীন পৃথিবীতে ব্যবহৃত হতো। সত্যিই এ সবের মধ্যে রয়েছে ” তোমাদিগের জন্য প্রচুর উপকারিতা। “
আয়াতঃ 023.022
তাদের পিঠে ও জলযানে তোমরা আরোহণ করে চলাফেরা করে থাক।
And on them, and on ships you are carried.
وَعَلَيْهَا وَعَلَى الْفُلْكِ تُحْمَلُونَ
WaAAalayha waAAala alfulki tuhmaloona
YUSUFALI: An on them, as well as in slips, ye side.
PICKTHAL: And on them and on the ship ye are carried.
SHAKIR: And on them and on the ships you are borne.
KHALIFA: On them, and on the ships, you ride.
২২। এবং তোমরা উহাতে ও নৌযানে আরোহণও করে থাক।
২৩। [ উপরন্তু,] তোমাদের উপদেশের জন্য বহু নবীকূল প্রেরণ করেছি ] ২৮৮২। নূহ্কে প্রেরণ করেছিলাম তার সম্প্রদায়ের কাছে ২৮৮৩। সে বলেছিলো, ” হে আমার সম্প্রদায় ! আল্লাহ্র এবাদত কর! তিনি ব্যতীত অন্য কোন উপাস্য নাই। তবুও কি তোমরা [ তাঁকে ] ভয় করবে না? ” ২৮৮৪
২৮৮২। এতক্ষণ জাগতিক বিষয়বস্তু যা আমাদের পার্থিব আরাম আয়েশের জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে তার বর্ণনা করা হয়েছে উপরের আয়াত সমূহের দ্বারা। এ সব বস্তুকে দান করা হয়েছে পরিমিত ভাবে আল্লাহ্র বিচক্ষণ ও সুবিবেচনাপূর্ণ তত্বাবধানে। এবারে আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে মানুষের আধ্যাত্মিক উন্নতির জন্য মহান আল্লাহ্ যে সব বন্দোবস্ত করেছেন। তিনি যুগে যুগে মানুষকে সৎপথে পরিচালিত করার জন্য, মানুষের আধ্যাত্মিক উন্নতির জন্য শিক্ষক প্রেরণ করেছেন। তারা যুগে যুগে বিপথগামীদের দ্বারা ব্যঙ্গ -বিদ্রূপের পাত্রে পরিণত হয়েছেন, প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন, মিথ্যাবাদীরূপে অভিযুক্ত হয়েছেন। কিন্তু মহান আল্লাহ্ তাদের রক্ষা করেছেন এবং পৃথিবীতে শেষ পর্যন্ত “সত্য” ই স্থায়ী হয়।
২৮৮৩। ” সম্প্রদায়” শব্দটি এখানে নূহ্ এর সমসাময়িক পৃথিবীবাসীদের বুঝানোর জন্য ব্যবহৃত হয়েছে।
২৮৮৪। দেখুন আয়াত [ ৭ : ৫৯ ]। আল্লাহকে ভয় করার প্রকৃত অর্থ হচ্ছে আল্লাহ্র ভয়ে পবিত্র জীবন যাপন করা ও পাপকে পরিহার করা।
আয়াতঃ 023.023
আমি নূহকে তার সম্প্রদায়ের কাছে প্রেরণ করেছিলাম। সে বলেছিলঃ হে আমার সম্প্রদায়, তোমরা আল্লাহর বন্দেগী কর। তিনি ব্যতীত তোমাদের কোন মাবুদ নেই। তোমরা কি ভয় কর না।
And indeed We sent Nûh (Noah) to his people, and he said: ”O my people! Worship Allâh! You have no other Ilâh (God) but Him (Islâmic Monotheism). Will you not then be afraid (of Him i.e. of His Punishment because of worshipping others besides Him)?”
وَلَقَدْ أَرْسَلْنَا نُوحًا إِلَى قَوْمِهِ فَقَالَ يَا قَوْمِ اعْبُدُوا اللَّهَ مَا لَكُم مِّنْ إِلَهٍ غَيْرُهُ أَفَلَا تَتَّقُونَ
Walaqad arsalna noohan ila qawmihi faqala ya qawmi oAAbudoo Allaha ma lakum min ilahin ghayruhu afala tattaqoona
YUSUFALI: (Further, We sent a long line of prophets for your instruction). We sent Noah to his people: He said, “O my people! worship Allah! Ye have no other god but Him. Will ye not fear (Him)?”
PICKTHAL: And We verily sent Noah unto his folk, and he said: O my people! Serve Allah. Ye have no other Allah save Him. Will ye not ward off (evil)?
SHAKIR: And certainly We sent Nuh to his people, and he said: O my people! serve Allah, you have no god other than Him; will you not then guard (against evil)?
KHALIFA: We sent Noah to his people, saying, “O my people, worship GOD. You have no other god beside Him. Would you not be righteous?”
২৩। [ উপরন্তু,] তোমাদের উপদেশের জন্য বহু নবীকূল প্রেরণ করেছি ] ২৮৮২। নূহ্কে প্রেরণ করেছিলাম তার সম্প্রদায়ের কাছে ২৮৮৩। সে বলেছিলো, ” হে আমার সম্প্রদায় ! আল্লাহ্র এবাদত কর! তিনি ব্যতীত অন্য কোন উপাস্য নাই। তবুও কি তোমরা [ তাঁকে ] ভয় করবে না? ” ২৮৮৪
২৮৮২। এতক্ষণ জাগতিক বিষয়বস্তু যা আমাদের পার্থিব আরাম আয়েশের জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে তার বর্ণনা করা হয়েছে উপরের আয়াত সমূহের দ্বারা। এ সব বস্তুকে দান করা হয়েছে পরিমিত ভাবে আল্লাহ্র বিচক্ষণ ও সুবিবেচনাপূর্ণ তত্বাবধানে। এবারে আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে মানুষের আধ্যাত্মিক উন্নতির জন্য মহান আল্লাহ্ যে সব বন্দোবস্ত করেছেন। তিনি যুগে যুগে মানুষকে সৎপথে পরিচালিত করার জন্য, মানুষের আধ্যাত্মিক উন্নতির জন্য শিক্ষক প্রেরণ করেছেন। তারা যুগে যুগে বিপথগামীদের দ্বারা ব্যঙ্গ -বিদ্রূপের পাত্রে পরিণত হয়েছেন, প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন, মিথ্যাবাদীরূপে অভিযুক্ত হয়েছেন। কিন্তু মহান আল্লাহ্ তাদের রক্ষা করেছেন এবং পৃথিবীতে শেষ পর্যন্ত “সত্য” ই স্থায়ী হয়।
২৮৮৩। ” সম্প্রদায়” শব্দটি এখানে নূহ্ এর সমসাময়িক পৃথিবীবাসীদের বুঝানোর জন্য ব্যবহৃত হয়েছে।
২৮৮৪। দেখুন আয়াত [ ৭ : ৫৯ ]। আল্লাহকে ভয় করার প্রকৃত অর্থ হচ্ছে আল্লাহ্র ভয়ে পবিত্র জীবন যাপন করা ও পাপকে পরিহার করা।
আয়াতঃ 023.024
তখন তার সম্প্রদায়ের কাফের-প্রধানরা বলেছিলঃ এ তো তোমাদের মতই একজন মানুষ বৈ নয়। সে তোমাদের উপর নেতৃত্ব করতে চায়। আল্লাহ ইচ্ছা করলে ফেরেশতাই নাযিল করতেন। আমরা আমাদের পূর্বপুরুষদের মধ্যে এরূপ কথা শুনিনি।
But the chiefs of those who disbelieved among his people said: ”He is no more than a human being like you, he seeks to make himself superior to you. Had Allâh willed, He surely could have sent down angels; never did we hear such a thing among our fathers of old.
فَقَالَ الْمَلَأُ الَّذِينَ كَفَرُوا مِن قَوْمِهِ مَا هَذَا إِلَّا بَشَرٌ مِّثْلُكُمْ يُرِيدُ أَن يَتَفَضَّلَ عَلَيْكُمْ وَلَوْ شَاء اللَّهُ لَأَنزَلَ مَلَائِكَةً مَّا سَمِعْنَا بِهَذَا فِي آبَائِنَا الْأَوَّلِينَ
Faqala almalao allatheena kafaroo min qawmihi ma hatha illa basharun mithlukum yureedu an yatafaddala AAalaykum walaw shaa Allahu laanzala mala-ikatan ma samiAAna bihatha fee aba-ina al-awwaleena
YUSUFALI: The chiefs of the Unbelievers among his people said: “He is no more than a man like yourselves: his wish is to assert his superiority over you: if Allah had wished (to send messengers), He could have sent down angels; never did we hear such a thing (as he says), among our ancestors of old.”
PICKTHAL: But the chieftains of his folk, who disbelieved, said: This is only a mortal like you who would make himself superior to you. Had Allah willed, He surely could have sent down angels. We heard not of this in the case of our fathers of old.
SHAKIR: And the chiefs of those who disbelieved from among his people said: He is nothing but a mortal like yourselves who desires that he may have superiority over you, and if Allah had pleased, He could certainly have sent down angels. We have not heard of this among our fathers of yore:
KHALIFA: The leaders who disbelieved among his people said, “This is no more than a human like you, who wants to gain prominence among you. Had GOD willed, He could have sent down angels. We never heard of anything like this from our ancestors.
২৪। তার সম্প্রদায়ের প্রধানেরা বলেছিলো , ” সে তো তোমাদের মত মানুষের থেকে বেশী কিছু নয়; তার ইচ্ছা তোমাদের উপর তার শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিষ্ঠিত করা। আল্লাহ্ যদি [ একজন দূত প্রেরণ করতেই ] ইচ্ছা করতেন ,তবে তিনি ফেরেশতা প্রেরণ করতে পারতেন। [ সে যা বলছে ] এরূপ কথা আমরা পূর্বে আমাদের পূর্বপুরুষদের মাঝে শুনি নাই। ” ২৮৮৫
২৮৮৫। প্রতিটি মানুষই তার নিজস্ব অভিজ্ঞতার দাস। নূহ্ এর সম্প্রদায়ের লোকদের অভিযোগ এ কথারই সত্যতা প্রমাণ করে। তারা হযরত নূহ্ কে মিথ্যা অভিযোগে অভিযুক্ত করলো। তাদের ধারণা নূহ্ তাঁর শ্রেষ্ঠত্ব প্রকাশ ও সম্প্রদায়ের উপরে আধিপত্য বিস্তারের জন্য এক আল্লাহ্র ধারণাকে প্রচার করছে। তাদের বক্তব্য ছিলো, ” যদি আল্লাহ্, নবী বা প্রচারক প্রেরণের ইচ্ছাই প্রকাশ করে থাকেন তবে তাঁরা আমাদের মত মানুষ না হয়ে ফেরেশতা হতো। আমাদের পূর্বপুরুষেরা একত্ববাদে বিশ্বাস করেন নাই। সুতারাং আমরা কেন তা করবো? “
আয়াতঃ 023.025
সে তো এক উম্মাদ ব্যক্তি বৈ নয়। সুতরাং কিছুকাল তার ব্যাপারে অপেক্ষা কর।
”He is only a man in whom is madness, so wait for him a while.”
إِنْ هُوَ إِلَّا رَجُلٌ بِهِ جِنَّةٌ فَتَرَبَّصُوا بِهِ حَتَّى حِينٍ
In huwa illa rajulun bihi jinnatun fatarabbasoo bihi hatta heenin
YUSUFALI: (And some said): “He is only a man possessed: wait (and have patience) with him for a time.”
PICKTHAL: He is only a man in whom is a madness, so watch him for a while.
SHAKIR: He is only a madman, so bear with him for a time.
KHALIFA: “He is simply a man gone crazy. Just ignore him for awhile.”
২৫। [এবং কেউ কেউ বলেছিলো ] : “তাকে পাগলামিতে পেয়েছে। সুতারাং তোমরা তার সাথে[ধৈর্য্য ধারণ পূর্বক ] কিছুকাল অপেক্ষা কর ২৮৮৬।
২৮৮৬। এই আয়াতের উক্তি যারা করেছিলো , সম্ভবতঃ তারা ছিলো অবিশ্বাসীদের মধ্যে একটি দল। তাদের ধারণা হয়েছিলো যে, তাদের পূর্ববর্তী উপাস্যকে ত্যাগ করে একত্ববাদের প্রতি আহ্বান হচ্ছে নূহ্ এর পাগলামীর লক্ষণ , পাগলের প্রলাপে মনোনিবেশ না করে তাকে একা ছেড়ে দেওয়াই ভালো। তাহলে হয়তো এক সময়ে পাগলামী শেষ হয়ে যেতে পারে অথবা নূহ্ এর শেষ পরিণতি খুব খারাপ হতে পারে।
আয়াতঃ 023.026
নূহ বলেছিলঃ হে আমার পালনকর্তা, আমাকে সাহায্য কর; কেননা, তারা আমাকে মিথ্যাবাদী বলছে।
[Nûh (Noah)] said: ”O my Lord! Help me because they deny me.”
قَالَ رَبِّ انصُرْنِي بِمَا كَذَّبُونِ
Qala rabbi onsurnee bima kaththabooni
YUSUFALI: (Noah) said: “O my Lord! help me: for that they accuse me of falsehood!”
PICKTHAL: He said: My Lord! Help me because they deny me.
SHAKIR: He said: O my Lord! help me against their calling me a liar.
KHALIFA: He said, “My Lord, grant me victory, for they have disbelieved me.”
২৬। [ নূহ্ ] বলেছিলো , ” হে আমার প্রভু! আমাকে সাহায্য কর; কারণ তারা আমাকে মিথ্যার অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে। ”
২৭। সুতারাং তাকে আমি [ এই ওহী ] প্রেরণ করলাম : ” আমার তত্বাবধানে এবং আমার নির্দ্দেশমত বড় জাহাজ তৈরী কর ২৮৮৭। অতঃপর যখন আমার আদেশ আসবে এবং পৃথিবীর প্রস্রবণসমূহ প্রবলবেগে নির্গত হবে ২৮৮৮; তখন তুমি প্রত্যেক প্রজাতির একজোড়া পুরুষ ও মেয়ে এবং তোমার পরিবারকে নৌকাতে উঠিয়ে নিও ২৮৮৯; তারা ব্যতীত যাদের বিরুদ্ধে পূর্বে সিদ্ধান্ত হয়েছে ২৮৯০। এবং পাপীদের অনুগ্রহের জন্য আমাকে সম্বোধন করো না। নিশ্চয়ই তারা [ বন্যাতে ] নিমজ্জিত হবে।
২৮৮৭। এই আয়াতটিতে নূহ্ এর মহাপ্লাবন সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে। অনুরূপ আয়াত এর জন্য দেখুন [১১ : ৩৬ – ৪৮ ] আয়াত এবং এদের টিকা সমূহ।
২৮৮৮। দেখুন [ ১১ : ৪০ ] আয়াতের টিকা ১৫৩৩।
২৮৮৯। দেখুন [ ১১ : ৪০ ] আয়াতের টিকা ১৫৩৪।
২৮৯০। দেখুন [ ১১ : ৪০ ] আয়াতের টিকা ১৫৩৫।
আয়াতঃ 023.027
অতঃপর আমি তার কাছে আদেশ প্রেরণ করলাম যে, তুমি আমার দৃষ্টির সামনে এবং আমার নির্দেশে নৌকা তৈরী কর। এরপর যখন আমার আদেশ আসে এবং চুল্লী প্লাবিত হয়, তখন নৌকায় তুলে নাও, প্রত্যেক জীবের এক এক জোড়া এবং তোমার পরিবারবর্গকে, তাদের মধ্যে যাদের বিপক্ষে পূর্বে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে তাদের ছাড়া। এবং তুমি জালেমদের সম্পর্কে আমাকে কিছু বলো না। নিশ্চয় তারা নিমজ্জত হবে।
So We inspired him (saying): ”Construct the ship under Our Eyes and under Our Revelation (guidance). Then, when Our Command comes, and the oven gushes forth water, take on board of each kind two (male and female), and your family, except those thereof against whom the Word has already gone forth. And address Me not in favour of those who have done wrong. Verily, they are to be drowned.
فَأَوْحَيْنَا إِلَيْهِ أَنِ اصْنَعِ الْفُلْكَ بِأَعْيُنِنَا وَوَحْيِنَا فَإِذَا جَاء أَمْرُنَا وَفَارَ التَّنُّورُ فَاسْلُكْ فِيهَا مِن كُلٍّ زَوْجَيْنِ اثْنَيْنِ وَأَهْلَكَ إِلَّا مَن سَبَقَ عَلَيْهِ الْقَوْلُ مِنْهُمْ وَلَا تُخَاطِبْنِي فِي الَّذِينَ ظَلَمُوا إِنَّهُم مُّغْرَقُونَ
Faawhayna ilayhi ani isnaAAi alfulka bi-aAAyunina wawahyina fa-itha jaa amruna wafara alttannooru faosluk feeha min kullin zawjayni ithnayni waahlaka illa man sabaqa AAalayhi alqawlu minhum wala tukhatibnee fee allatheena thalamoo innahum mughraqoona
YUSUFALI: So We inspired him (with this message): “Construct the Ark within Our sight and under Our guidance: then when comes Our Command, and the fountains of the earth gush forth, take thou on board pairs of every species, male and female, and thy family- except those of them against whom the Word has already gone forth: And address Me not in favour of the wrong-doers; for they shall be drowned (in the Flood).
PICKTHAL: Then We inspired in him, saying: Make the ship under Our eyes and Our inspiration. Then, when Our command cometh and the oven gusheth water, introduce therein of every (kind) two spouses, and thy household save him thereof against whom the Word hath already gone forth. And plead not with Me on behalf of those who have done wrong. Lo! they will be drowned.
SHAKIR: So We revealed to him, saying: Make the ark before Our eyes and (according to) Our revelation; and when Our command is given and the valley overflows, take into it of every kind a pair, two, and your followers, except those among them against whom the word has gone forth, and do not speak to Me in respect of those who are unjust; surely they shall be drowned.
KHALIFA: We then inspired him: “Make the watercraft under our watchful eyes, and in accordance with our inspiration. When our command comes, and the atmosphere boils up, put on it a pair of every kind (of your domesticated animals), and your family, except those condemned to be doomed. Do not speak to Me on behalf of those who transgressed; they will be drowned.
২৬। [ নূহ্ ] বলেছিলো , ” হে আমার প্রভু! আমাকে সাহায্য কর; কারণ তারা আমাকে মিথ্যার অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে। ”
২৭। সুতারাং তাকে আমি [ এই ওহী ] প্রেরণ করলাম : ” আমার তত্বাবধানে এবং আমার নির্দ্দেশমত বড় জাহাজ তৈরী কর ২৮৮৭। অতঃপর যখন আমার আদেশ আসবে এবং পৃথিবীর প্রস্রবণসমূহ প্রবলবেগে নির্গত হবে ২৮৮৮; তখন তুমি প্রত্যেক প্রজাতির একজোড়া পুরুষ ও মেয়ে এবং তোমার পরিবারকে নৌকাতে উঠিয়ে নিও ২৮৮৯; তারা ব্যতীত যাদের বিরুদ্ধে পূর্বে সিদ্ধান্ত হয়েছে ২৮৯০। এবং পাপীদের অনুগ্রহের জন্য আমাকে সম্বোধন করো না। নিশ্চয়ই তারা [ বন্যাতে ] নিমজ্জিত হবে।
২৮৮৭। এই আয়াতটিতে নূহ্ এর মহাপ্লাবন সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে। অনুরূপ আয়াত এর জন্য দেখুন [১১ : ৩৬ – ৪৮ ] আয়াত এবং এদের টিকা সমূহ।
২৮৮৮। দেখুন [ ১১ : ৪০ ] আয়াতের টিকা ১৫৩৩।
২৮৮৯। দেখুন [ ১১ : ৪০ ] আয়াতের টিকা ১৫৩৪।
২৮৯০। দেখুন [ ১১ : ৪০ ] আয়াতের টিকা ১৫৩৫।
আয়াতঃ 023.028
যখন তুমি ও তোমার সঙ্গীরা নৌকায় আরোহণ করবে, তখন বলঃ আল্লাহর শোকর, যিনি আমাদেরকে জালেম সম্প্রদায়ের কবল থেকে উদ্ধার করেছেন।
And when you have embarked on the ship, you and whoever is with you, then say: ”All the praises and thanks be to Allâh, Who has saved us from the people who are Zâlimûn (i.e. oppressors, wrong-doers, polytheists, those who join others in worship with Allâh, etc.).
فَإِذَا اسْتَوَيْتَ أَنتَ وَمَن مَّعَكَ عَلَى الْفُلْكِ فَقُلِ الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي نَجَّانَا مِنَ الْقَوْمِ الظَّالِمِينَ
Fa-itha istawayta anta waman maAAaka AAala alfulki faquli alhamdu lillahi allathee najjana mina alqawmi alththalimeena
YUSUFALI: And when thou hast embarked on the Ark – thou and those with thee,- say: “Praise be to Allah, Who has saved us from the people who do wrong.”
PICKTHAL: And when thou art on board the ship, thou and whoso is with thee, then say: Praise be to Allah Who hath saved us from the wrongdoing folk!
SHAKIR: And when you are firmly seated, you and those with you, in the ark, say: All praise is due to Allah who delivered us from the unjust people:
KHALIFA: “Once you are settled, together with those who are with you, on the watercraft, you shall say, `Praise GOD for saving us from the evil people.’
২৮। তুমি ও তোমার সাথে যারা থাকবে তারা যখন নৌযানে আরোহণ করবে তখন বলো : ” সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্র, যিনি আমাদের উদ্ধার করেছেন পাপী সম্প্রদায় থেকে ২৮৯১। ”
২৮৯১। “Istawa” শব্দটির জন্য দেখুন [ ১০ : ৩ ] আয়াতের টিকা ১৩৮৬।
আয়াতঃ 023.029
আরও বলঃ পালনকর্তা, আমাকে কল্যাণকর ভাবে নামিয়ে দাও, তুমি শ্রেষ্ঠ অবতারণকারী।
And say: ”My Lord! Cause me to land at a blessed landing-place, for You are the Best of those who bring to land.”
وَقُل رَّبِّ أَنزِلْنِي مُنزَلًا مُّبَارَكًا وَأَنتَ خَيْرُ الْمُنزِلِينَ
Waqul rabbi anzilnee munzalan mubarakan waanta khayru almunzileena
YUSUFALI: And say: “O my Lord! enable me to disembark with thy blessing: for Thou art the Best to enable (us) to disembark.”
PICKTHAL: And say: My Lord! Cause me to land at a blessed landing-place, for Thou art Best of all who bring to land.
SHAKIR: And say: O my Lord! cause me to disembark a blessed alighting, and Thou art the best to cause to alight.
KHALIFA: “And say, `My Lord, let me disembark onto a blessed location; You are the best deliverer.’ ”
২৯। এবং বলো , ” হে আমার প্রভু! ২৮৯২ , তোমার কল্যাণ আশীষের সাথে আমাদের অবতরণ করাও। [আমাদের ] অবতরণ করানোতে তুমিই সর্বাপেক্ষা সক্ষম।”
২৮৯২। দ্বিতীয় প্রার্থনার প্রত্যাদেশ নূহকে প্রেরণ করা হয় নৌযান থেকে অবতরণ কালে, যখন বন্যার পানি সরে যায়।
আয়াতঃ 023.030
এতে নিদর্শনাবলী রয়েছে এবং আমি পরীক্ষাকারী।
Verily, in this [what We did as regards drowning of the people of Nûh (Noah)], there are indeed Ayât (proofs, evidences, lessons, signs, etc. for men to understand), for sure We are ever putting (men) to the test.
إِنَّ فِي ذَلِكَ لَآيَاتٍ وَإِن كُنَّا لَمُبْتَلِينَ
Inna fee thalika laayatin wa-in kunna lamubtaleena
YUSUFALI: Verily in this there are Signs (for men to understand); (thus) do We try (men).
PICKTHAL: Lo! herein verily are portents, for lo! We are ever putting (mankind) to the test.
SHAKIR: Most surely there are signs in this, and most surely We are ever trying (men).
KHALIFA: These should provide sufficient proofs for you. We will certainly put you to the test.
৩০। অবশ্যই এতে নিদর্শন রয়েছে [ মানুষের অনুধাবন করার জন্য ]। [ এভাবেই ] আমি [ মানুষদের ] পরীক্ষা করে থাকি ২৮৯৩।
২৮৯৩। নূহ্ এর সম্প্রদায়কে বিভিন্ন ভাবে তাদের পাপ কাজের জন্য সাবধান করা হয় এবং অনুতাপের মাধ্যমে আল্লাহ্র ইচ্ছার কাছে আত্মসমর্পনের সুযোগ দান করা হয়। কিন্তু তারা সত্যকে প্রত্যাখ্যান করে এবং ধবংস প্রাপ্ত হয়। আল্লাহ্র সত্য ধ্বংস হওয়ার নয় তা চিরন্তন সত্য, স্থায়ী। পরবর্তী প্রজন্মের মাঝে তা বিরাজ করবেই। নূহ্ এর মহাপ্লাবনের পরে ‘আদ’ সম্প্রদায়ের আগমন। তবে আল্লাহ্র এই বাণী কোন নির্দ্দিষ্ট সম্প্রদায়ের জন্য নয়। তা যুগ ও কাল অতিক্রান্ত। মানুষ তবুও কি তা অনুধাবন করবে না?
আয়াতঃ 023.031
অতঃপর অন্য এক সম্প্রদায় আমি তার স্থলাভিষিক্ত করেছিলাম।
Then, after them, We created another generation.
ثُمَّ أَنشَأْنَا مِن بَعْدِهِمْ قَرْنًا آخَرِينَ
Thumma ansha/na min baAAdihim qarnan akhareena
YUSUFALI: Then We raised after them another generation.
PICKTHAL: Then, after them, We brought forth another generation;
SHAKIR: Then We raised up after them another generation.
KHALIFA: Subsequently, we established another generation after them.
৩১। তাদের পরে আমি অন্য এক প্রজন্মের সৃষ্টি করেছিলাম।
৩২। এবং তাদের মধ্য থেকে একজনকে আমি তাদের নিকট রসুল রূপে প্রেরণ করেছিলাম ২৮৯৪। [ সে বলেছিলো] ” আল্লাহ্র এবাদত কর। তিনি ব্যতীত অন্য কোন উপাস্য নাই। তবুও কি তোমরা [ তাঁকে ] ভয় করবে না ?”
২৮৯৪। এই আয়াতে রাসুলদের নাম উল্লেখ করা হয় নাই। তবে আয়াত ৩১ থেকে অনুধাবন করা যায় যে, এই রসুলের আগমন নূহ্ এর মহাপ্লাবনের পরবর্তীতে। সম্ভবতঃ হুদ নবী যাকে আদ সম্প্রদায়ের নিকট প্রেরণ করা হয় অথবা সালেহ্ নবী যাকে সামুদ সম্প্রদায়ের নিকট প্রেরণ করা হয়। কারণ নূহ্ নবীর পরে ধারাবাহিকতায় তাদেরই আগমন ঘটেছে। দেখুন আয়াত [ ১১ : ৫০ – ৬০ এবং ৬১ – ৬৮ ]। তবে যেহেতু এখানে কোন নামের উল্লেখ নাই, আমরা মহাপ্লাবনের পরে আগত নবী রসুলদের সম্বন্ধে সার্বজনীন ভাবে এই বক্তব্য গ্রহণ করতে পারি। এ সব নবী রসুলদের শেষ পর্যায়ে হযরত মুসা ও হযরত ঈসার আগমন। এই আয়াতে রসুলদের আগমনের উল্লেখ দ্বারা পূর্ববর্তী ঘটনাকে স্মরণ করানোর উদ্দেশ্য নয়; মূল কারণ হচ্ছে মানুষকে দেখানো যে, পাপের শক্তি ও বাঁধা যত প্রচন্ড ও অপ্রতিরোধ্য -ই হোক না কেন শেষ পর্যন্ত আল্লাহ্র সত্য প্রতিষ্ঠিত হবেই।
আয়াতঃ 023.032
এবং তাদেরই একজনকে তাদের মধ্যে রসূলরূপে প্রেরণ করেছিলাম এই বলে যে, তোমরা আল্লাহর বন্দেগী কর। তিনি ব্যতীত তোমাদের অন্য কোন মাবুদ নেই। তবুও কি তোমরা ভয় করবে না?
And We sent to them a Messenger from among themselves (saying): ”Worship Allâh! You have no other Ilâh (God) but Him. Will you not then be afraid (of Him i.e. of His Punishment because of worshipping others besides Him)?”
فَأَرْسَلْنَا فِيهِمْ رَسُولًا مِنْهُمْ أَنِ اعْبُدُوا اللَّهَ مَا لَكُم مِّنْ إِلَهٍ غَيْرُهُ أَفَلَا تَتَّقُونَ
Faarsalna feehim rasoolan minhum ani oAAbudoo Allaha ma lakum min ilahin ghayruhu afala tattaqoona
YUSUFALI: And We sent to them a messenger from among themselves, (saying), “Worship Allah! ye have no other god but Him. Will ye not fear (Him)?”
PICKTHAL: And we sent among them a messenger of their own, saying: Serve Allah, Ye have no other Allah save Him. Will ye not ward off (evil)?
SHAKIR: So We sent among them a messenger from among them, saying: Serve Allah, you have no god other than Him; will you not then guard (against evil)?
KHALIFA: We sent to them a messenger from among them, saying, “You shall worship GOD. You have no other god beside Him. Would you not be righteous?”
৩১। তাদের পরে আমি অন্য এক প্রজন্মের সৃষ্টি করেছিলাম।
৩২। এবং তাদের মধ্য থেকে একজনকে আমি তাদের নিকট রসুল রূপে প্রেরণ করেছিলাম ২৮৯৪। [ সে বলেছিলো] ” আল্লাহ্র এবাদত কর। তিনি ব্যতীত অন্য কোন উপাস্য নাই। তবুও কি তোমরা [ তাঁকে ] ভয় করবে না ?”
২৮৯৪। এই আয়াতে রাসুলদের নাম উল্লেখ করা হয় নাই। তবে আয়াত ৩১ থেকে অনুধাবন করা যায় যে, এই রসুলের আগমন নূহ্ এর মহাপ্লাবনের পরবর্তীতে। সম্ভবতঃ হুদ নবী যাকে আদ সম্প্রদায়ের নিকট প্রেরণ করা হয় অথবা সালেহ্ নবী যাকে সামুদ সম্প্রদায়ের নিকট প্রেরণ করা হয়। কারণ নূহ্ নবীর পরে ধারাবাহিকতায় তাদেরই আগমন ঘটেছে। দেখুন আয়াত [ ১১ : ৫০ – ৬০ এবং ৬১ – ৬৮ ]। তবে যেহেতু এখানে কোন নামের উল্লেখ নাই, আমরা মহাপ্লাবনের পরে আগত নবী রসুলদের সম্বন্ধে সার্বজনীন ভাবে এই বক্তব্য গ্রহণ করতে পারি। এ সব নবী রসুলদের শেষ পর্যায়ে হযরত মুসা ও হযরত ঈসার আগমন। এই আয়াতে রসুলদের আগমনের উল্লেখ দ্বারা পূর্ববর্তী ঘটনাকে স্মরণ করানোর উদ্দেশ্য নয়; মূল কারণ হচ্ছে মানুষকে দেখানো যে, পাপের শক্তি ও বাঁধা যত প্রচন্ড ও অপ্রতিরোধ্য -ই হোক না কেন শেষ পর্যন্ত আল্লাহ্র সত্য প্রতিষ্ঠিত হবেই।
আয়াতঃ 023.033
তাঁর সম্প্রদায়ের প্রধানরা যারা কাফের ছিল, পরকালের সাক্ষাতকে মিথ্যা বলত এবং যাদেরকে আমি পার্থিব জীবনে সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য দিয়েছিলাম, তারা বললঃ এতো আমাদের মতই একজন মানুষ বৈ নয়। তোমরা যা খাও, সেও তাই খায় এবং তোমরা যা পান কর, সেও তাই পান করে।
And the chiefs of his people, who disbelieved and denied the Meeting in the Hereafter, and to whom We had given the luxuries and comforts of this life, said: ”He is no more than a human being like you, he eats of that which you eat, and drinks of what you drink.
وَقَالَ الْمَلَأُ مِن قَوْمِهِ الَّذِينَ كَفَرُوا وَكَذَّبُوا بِلِقَاء الْآخِرَةِ وَأَتْرَفْنَاهُمْ فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا مَا هَذَا إِلَّا بَشَرٌ مِّثْلُكُمْ يَأْكُلُ مِمَّا تَأْكُلُونَ مِنْهُ وَيَشْرَبُ مِمَّا تَشْرَبُونَ
Waqala almalao min qawmihi allatheena kafaroo wakaththaboo biliqa-i al-akhirati waatrafnahum fee alhayati alddunya ma hatha illa basharun mithlukum ya/kulu mimma ta/kuloona minhu wayashrabu mimma tashraboona
YUSUFALI: And the chiefs of his people, who disbelieved and denied the Meeting in the Hereafter, and on whom We had bestowed the good things of this life, said: “He is no more than a man like yourselves: he eats of that of which ye eat, and drinks of what ye drink.
PICKTHAL: And the chieftains of his folk, who disbelieved and denied the meeting of the Hereafter, and whom We had made soft in the life of the world, said: This is only a mortal like you, who eateth of that whereof ye eat and drinketh of that ye drink.
SHAKIR: And the chiefs of his people who disbelieved and called the meeting of the hereafter a lie, and whom We had given plenty to enjoy in this world’s life, said: This is nothing but a mortal like yourselves, eating of what you eat from and drinking of what you drink.
KHALIFA: The leaders among his people who disbelieved and rejected the idea of the Hereafter – although we provided for them generously in this life – said, “This is no more than a human being like you. He eats from what you eat, and drinks as you drink.
৩৩। তাঁর সম্প্রদায়ের প্রধানগণ , যারা অবিশ্বাস করেছিলো, এবং পরলোকের সাক্ষাত করাকে অস্বীকার করেছিলো এবং যাদের আমি পার্থিব জীবনে [ প্রচুর ] ভোগ-সামগ্রী দিয়েছিলাম, তারা বলেছিলো, ” সে তো তোমাদের মত একজন মানুষের বেশী কিছু নয়; তোমরা যা আহার কর , সে তাই আহার করে এবং তোমরা যা পান কর সেও তাই পান করে।”
৩৪। “যদি তোমরা তোমাদেরই মত একজন মানুষের আনুগত্য কর, সাবধান , এটা নিশ্চিত যে,তোমরা ক্ষতিগ্রস্থ হবে ২৮৯৫।
২৮৯৫। এই আয়াতে আ’দ বা সামুদ সম্প্রদায়ের আরও বর্ণনা দান করা হয়েছে। এই বর্ণনার মাধ্যমে সকল যুগের কাফেরদের মানসিকতাকে তুলে ধরা হয়েছে। তাদের ধারণা পার্থিব জীবন ব্যতীত অন্য কোন জীবন নাই। সুতারাং জীবন মরণ এই দুনিয়াই এবং কোন পুনরুজ্জীবন নাই। এ সব অবিশ্বাসীদের বিদ্বেষ ও হিংসা এই আয়াতে এক লাইনে সুন্দর ভাবে তুলে ধরা হয়েছে; “তোমরা তোমাদিগেরই মত একজন মানুষের আনুগত্য কর ” বাক্যটি দ্বারা। তাদের ধারণা পরকাল বলে কিছু নাই। এ সব কথা বলা হচ্ছে শুধুমাত্র আনুগত্য আদায় করার উদ্দেশ্যে। এ সব কাফেররা পরলোকের উল্লেখেও বিরক্ত বোধ করে। ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করতে তারা অপারগ। বর্তমান তাদের সব কিছু। শুধুমাত্র বর্তমানকে উপভোগের মাধ্যমেই তারা তাদের জীবনের শেষ পরিণতি দেখতে চায়।
মন্তব্য : বর্তমান পৃথিবীতে মুসলমানদের মধ্যেও এক বিরাট জনসমষ্টির উদ্ভব ঘটেছে , যারা নামেই শুধুমাত্র মুসলমান। কর্মে তারা প্রমাণ করে যে পরলোকের জীবন তাদের শুধুমাত্র হাসি খেলার বস্তু।
আয়াতঃ 023.034
যদি তোমরা তোমাদের মতই একজন মানুষের আনুগত্য কর, তবে তোমরা নিশ্চিতরূপেই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
”If you were to obey a human being like yourselves, then verily! You indeed would be losers.
وَلَئِنْ أَطَعْتُم بَشَرًا مِثْلَكُمْ إِنَّكُمْ إِذًا لَّخَاسِرُونَ
Wala-in ataAAtum basharan mithlakum innakum ithan lakhasiroona
YUSUFALI: “If ye obey a man like yourselves, behold, it is certain ye will be lost.
PICKTHAL: If ye were to obey a mortal like yourselves, then, lo! ye surely would be losers.
SHAKIR: And if you obey a mortal like yourselves, then most surely you will be losers:
KHALIFA: “If you obey a human being like you, then you are really losers.
৩৩। তাঁর সম্প্রদায়ের প্রধানগণ , যারা অবিশ্বাস করেছিলো, এবং পরলোকের সাক্ষাত করাকে অস্বীকার করেছিলো এবং যাদের আমি পার্থিব জীবনে [ প্রচুর ] ভোগ-সামগ্রী দিয়েছিলাম, তারা বলেছিলো, ” সে তো তোমাদের মত একজন মানুষের বেশী কিছু নয়; তোমরা যা আহার কর , সে তাই আহার করে এবং তোমরা যা পান কর সেও তাই পান করে।”
৩৪। “যদি তোমরা তোমাদেরই মত একজন মানুষের আনুগত্য কর, সাবধান , এটা নিশ্চিত যে,তোমরা ক্ষতিগ্রস্থ হবে ২৮৯৫।
২৮৯৫। এই আয়াতে আ’দ বা সামুদ সম্প্রদায়ের আরও বর্ণনা দান করা হয়েছে। এই বর্ণনার মাধ্যমে সকল যুগের কাফেরদের মানসিকতাকে তুলে ধরা হয়েছে। তাদের ধারণা পার্থিব জীবন ব্যতীত অন্য কোন জীবন নাই। সুতারাং জীবন মরণ এই দুনিয়াই এবং কোন পুনরুজ্জীবন নাই। এ সব অবিশ্বাসীদের বিদ্বেষ ও হিংসা এই আয়াতে এক লাইনে সুন্দর ভাবে তুলে ধরা হয়েছে; “তোমরা তোমাদিগেরই মত একজন মানুষের আনুগত্য কর ” বাক্যটি দ্বারা। তাদের ধারণা পরকাল বলে কিছু নাই। এ সব কথা বলা হচ্ছে শুধুমাত্র আনুগত্য আদায় করার উদ্দেশ্যে। এ সব কাফেররা পরলোকের উল্লেখেও বিরক্ত বোধ করে। ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করতে তারা অপারগ। বর্তমান তাদের সব কিছু। শুধুমাত্র বর্তমানকে উপভোগের মাধ্যমেই তারা তাদের জীবনের শেষ পরিণতি দেখতে চায়।
মন্তব্য : বর্তমান পৃথিবীতে মুসলমানদের মধ্যেও এক বিরাট জনসমষ্টির উদ্ভব ঘটেছে , যারা নামেই শুধুমাত্র মুসলমান। কর্মে তারা প্রমাণ করে যে পরলোকের জীবন তাদের শুধুমাত্র হাসি খেলার বস্তু।
আয়াতঃ 023.035
সে কি তোমাদেরকে এই ওয়াদা দেয় যে, তোমরা মারা গেলে এবং মৃত্তিকা ও অস্থিতে পরিণত হলে তোমাদেরকে পুনরুজ্জীবিত করা হবে?
”Does he promise you that when you have died and have become dust and bones, you shall come out alive (resurrected)?
أَيَعِدُكُمْ أَنَّكُمْ إِذَا مِتُّمْ وَكُنتُمْ تُرَابًا وَعِظَامًا أَنَّكُم مُّخْرَجُونَ
AyaAAidukum annakum itha mittum wakuntum turaban waAAithaman annakum mukhrajoona
YUSUFALI: “Does he promise that when ye die and become dust and bones, ye shall be brought forth (again)?
PICKTHAL: Doth he promise you that you, when ye are dead and have become dust and bones, will (again) be brought forth?
SHAKIR: What! does he threaten you that when you are dead and become dust and bones that you shall then be brought forth?
KHALIFA: “Does he promise you that, after you die and turn into dust and bones, you will come out again?
৩৫। ” সে কি তোমাদের এই প্রতিশ্রুতি দেয় যে, যখন তোমাদের মৃত্যু হবে এবং তোমরা মাটি ও হাড়ে পরিণত হবে, তোমাদের পুনরায় উত্থিত করা হবে ?
৩৬। ” অসম্ভব , তোমাদের যে বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে তা অসম্ভব।
৩৭। ” এই পৃথিবীর জীবন ছাড়া অন্য কোন জীবন নাই। আমরা [ এখানেই ] মরি ও বাঁচি। সুতারাং আমরা কখনও পুনরায় উত্থিত হব না ২৮৯৬।
২৮৯৬। এই আয়াতে পরলোক সম্বন্ধে অবিশ্বাসীদের বিশ্বাসকে চিত্রিত করা হয়েছে। তাদের বক্তব্য হচ্ছে : “মৃত্যুর পরে কোনও জীবন নাই। পৃথিবীর জীবনই একমাত্র সত্য। জন্মমৃত্যু প্রাকৃতিক নিয়ম। সে হিসেবে মৃত্যুও সত্য। এর পরে আর কোনও জীবন নাই। কারণ তাদের আত্মিক অন্ধত্ব তাদেরকে পুনরুত্থানে বিশ্বাস করা থেকে বিরত রাখে।
আয়াতঃ 023.036
তোমাদেরকে যে ওয়াদা দেয়া হচ্ছে, তা কোথায় হতে পারে?
”Far, very far is that which you are promised.
هَيْهَاتَ هَيْهَاتَ لِمَا تُوعَدُونَ
Hayhata hayhata lima tooAAadoona
YUSUFALI: “Far, very far is that which ye are promised!
PICKTHAL: Begone, begone, with that which ye are promised!
SHAKIR: Far, far is that which you are threatened with.
KHALIFA: “Impossible, impossible indeed is what is promised to you.
৩৫। ” সে কি তোমাদের এই প্রতিশ্রুতি দেয় যে, যখন তোমাদের মৃত্যু হবে এবং তোমরা মাটি ও হাড়ে পরিণত হবে, তোমাদের পুনরায় উত্থিত করা হবে ?
৩৬। ” অসম্ভব , তোমাদের যে বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে তা অসম্ভব।
৩৭। ” এই পৃথিবীর জীবন ছাড়া অন্য কোন জীবন নাই। আমরা [ এখানেই ] মরি ও বাঁচি। সুতারাং আমরা কখনও পুনরায় উত্থিত হব না ২৮৯৬।
২৮৯৬। এই আয়াতে পরলোক সম্বন্ধে অবিশ্বাসীদের বিশ্বাসকে চিত্রিত করা হয়েছে। তাদের বক্তব্য হচ্ছে : “মৃত্যুর পরে কোনও জীবন নাই। পৃথিবীর জীবনই একমাত্র সত্য। জন্মমৃত্যু প্রাকৃতিক নিয়ম। সে হিসেবে মৃত্যুও সত্য। এর পরে আর কোনও জীবন নাই। কারণ তাদের আত্মিক অন্ধত্ব তাদেরকে পুনরুত্থানে বিশ্বাস করা থেকে বিরত রাখে।
আয়াতঃ 023.037
আমাদের পার্থিবজীবনই একমাত্র জীবন। আমরা মরি ও বাঁচি এখানেই এবং আমারা পুনরুত্থিত হবো না।
”There is nothing but our life of this world! We die and we live! And we are not going to be resurrected!
إِنْ هِيَ إِلَّا حَيَاتُنَا الدُّنْيَا نَمُوتُ وَنَحْيَا وَمَا نَحْنُ بِمَبْعُوثِينَ
In hiya illa hayatuna alddunya namootu wanahya wama nahnu bimabAAootheena
YUSUFALI: “There is nothing but our life in this world! We shall die and we live! But we shall never be raised up again!
PICKTHAL: There is naught but our life of the world; we die and we live, and we shall not be raised (again).
SHAKIR: There is naught but our life in this world; we die and we live and we shall not be raised again.
KHALIFA: “We only live this life – we live and die – and we will never be resurrected.
৩৫। ” সে কি তোমাদের এই প্রতিশ্রুতি দেয় যে, যখন তোমাদের মৃত্যু হবে এবং তোমরা মাটি ও হাড়ে পরিণত হবে, তোমাদের পুনরায় উত্থিত করা হবে ?
৩৬। ” অসম্ভব , তোমাদের যে বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে তা অসম্ভব।
৩৭। ” এই পৃথিবীর জীবন ছাড়া অন্য কোন জীবন নাই। আমরা [ এখানেই ] মরি ও বাঁচি। সুতারাং আমরা কখনও পুনরায় উত্থিত হব না ২৮৯৬।
২৮৯৬। এই আয়াতে পরলোক সম্বন্ধে অবিশ্বাসীদের বিশ্বাসকে চিত্রিত করা হয়েছে। তাদের বক্তব্য হচ্ছে : “মৃত্যুর পরে কোনও জীবন নাই। পৃথিবীর জীবনই একমাত্র সত্য। জন্মমৃত্যু প্রাকৃতিক নিয়ম। সে হিসেবে মৃত্যুও সত্য। এর পরে আর কোনও জীবন নাই। কারণ তাদের আত্মিক অন্ধত্ব তাদেরকে পুনরুত্থানে বিশ্বাস করা থেকে বিরত রাখে।
আয়াতঃ 023.038
সে তো এমন ব্যক্তি বৈ নয়, যে আল্লাহ সম্বন্ধে মিথ্যা উদ্ভাবন করেছে এবং আমরা তাকে বিশ্বাস করি না।
”He is only a man who has invented a lie against Allâh, but we are not going to believe in him.”
إِنْ هُوَ إِلَّا رَجُلٌ افْتَرَى عَلَى اللَّهِ كَذِبًا وَمَا نَحْنُ لَهُ بِمُؤْمِنِينَ
In huwa illa rajulun iftara AAala Allahi kathiban wama nahnu lahu bimu/mineena
YUSUFALI: “He is only a man who invents a lie against Allah, but we are not the ones to believe in him!”
PICKTHAL: He is only a man who hath invented a lie about Allah. We are not going to put faith in him.
SHAKIR: He is naught but a man who has forged a lie against Allah, and we are not going to believe in him.
KHALIFA: “He is just a man who fabricated lies and attributed them to GOD. We will never believe him.”
৩৮। ” সে তো কেবলমাত্র একজন মানুষ, যে আল্লাহ্র বিরুদ্ধে মিথ্যার উদ্ভবন করে থাকে। কিন্তু তাকে আমরা বিশ্বাস করতে যাচ্ছি না।” ২৮৯৭
২৮৯৭। তারা আল্লাহ্র প্রেরীত নবীকে ভন্ড এবং মিথ্যুকরূপে পরিগণিত করলো। কারণ তাদের অবিশ্বাসী আত্মায় আল্লাহ্র প্রকৃত রূপকে অনুধাবন করা, পরলোকের অস্তিত্বকে বিশ্বাস করা ও উপলব্ধি করা ছিলো এক অসম্ভব ব্যাপার। তারা নিজেদের বুদ্ধিমান ও বিচক্ষণরূপে পরিগণিত করতো।
উপদেশ : এ ভাবেই কাফেরদের আত্মায় কখনও সত্যের অনুপ্রবেশ ও প্রকৃতরূপ ধরা পড়বে না। নিজেদের বুদ্ধিমত্তায় তারা নিজেরা বিমোহিত থাকবে।
আয়াতঃ 023.039
তিনি বললেনঃ হে আমার পালনকর্তা, আমাকে সাহায্য কর, কারণ তারা আমাকে মিথ্যাবাদী বলছে।
He said: ”O my Lord! Help me because they deny me.”
قَالَ رَبِّ انصُرْنِي بِمَا كَذَّبُونِ
Qala rabbi onsurnee bima kaththabooni
YUSUFALI: (The prophet) said: “O my Lord! help me: for that they accuse me of falsehood.”
PICKTHAL: He said: My Lord! Help me because they deny me.
SHAKIR: He said: O my Lord! help me against their calling me a liar.
KHALIFA: He said, “My Lord, grant me victory, for they have disbelieved me.”
৩৯। [নবী ] বলেছিলো : ” হে আমার প্রভু ! আমাকে সাহায্য কর ; কারণ তারা আমাকে মিথ্যার অভিযোগে অভিযুক্ত করে ২৮৯৮। ”
২৮৯৮। দেখুন নূহ্ এর বক্তব্য [ ২৩ : ২৬ ] আয়াতে। যুগে যুগে আল্লাহ্র প্রেরিত নবী ও রসুলদের সত্য প্রচারের জন্য অত্যাচারিত ও নির্যাতিত হতে হয়েছে।
আয়াতঃ 023.040
আল্লাহ বললেনঃ কিছু দিনের মধ্যে তারা সকাল বেলা অনুতপ্ত হবে।
(Allâh) said: ”In a little while, they are sure to be regretful.”
قَالَ عَمَّا قَلِيلٍ لَيُصْبِحُنَّ نَادِمِينَ
Qala AAamma qaleelin layusbihunna nadimeena
YUSUFALI: (Allah) said: “In but a little while, they are sure to be sorry!”
PICKTHAL: He said: In a little while they surely will become repentant.
SHAKIR: He said: In a little while they will most certainly be repenting.
KHALIFA: He said, “Soon they will be sorry.”
৪০। [আল্লাহ্ ] বলেছিলেন : ” অচিরেই তারা নিশ্চয়ই অনুতপ্ত হবে। ” ২৮৯৯
২৮৯৯। যখন আল্লাহ্র শাস্তি তাদের উপরে নিপতিত হবে, তখন পাপীরা তাদের কৃতকর্ম উপলব্ধি করতে পারবে ও অনুতপ্ত হবে। কিন্তু সে সময়ে অনুতাপ করার জন্য খুব দেরী হয়ে যাবে। তাদের আর অনুতাপ করার জন্য অবকাশ দেয়া হবে না।
আয়াতঃ 023.041
অতঃপর সত্য সত্যই এক ভয়ংকর শব্দ তাদেরকে হতচকিত করল এবং আমি তাদেরকে বাত্যা-তাড়িত আবর্জনা সদৃশ করে দিলাম। অতঃপর ধ্বংস হোক পাপী সম্প্রদায়।
So As-Saîhah (torment – awful cry, etc.) overtook them with justice, and We made them as rubbish of dead plants. So away with the people who are Zâlimûn (polytheists, wrong-doers, disbelievers in the Oneness of Allâh, disobedient to His Messengers, etc.).
فَأَخَذَتْهُمُ الصَّيْحَةُ بِالْحَقِّ فَجَعَلْنَاهُمْ غُثَاء فَبُعْدًا لِّلْقَوْمِ الظَّالِمِينَ
Faakhathat-humu alssayhatu bialhaqqi fajaAAalnahum ghuthaan fabuAAdan lilqawmi alththalimeena
YUSUFALI: Then the Blast overtook them with justice, and We made them as rubbish of dead leaves (floating on the stream of Time)! So away with the people who do wrong!
PICKTHAL: So the (Awful) Cry overtook them rightfully, and We made them like as wreckage (that a torrent hurleth). A far removal for wrongdoing folk!
SHAKIR: So the punishment overtook them in justice, and We made them as rubbish; so away with the unjust people.
KHALIFA: The retribution struck them, equitably, and thus, we turned them into ruins. The wicked people perished.
৪১। অতঃপর ন্যায়সঙ্গত ভাবে এক বিষ্ফোরণ তাদের গ্রাস করলো ২৯০০ এবং [ কালের সমুদ্রে ] আমি তাদের শুকনো পাতার ন্যায় আর্বজনাতে পরিণত করলাম ২৯০১। ফলে তারা হারিয়ে গেলো, তাদের সাথে, যারা পাপ করেছিলো।
২৯০০। দেখুন আয়াত [ ১১ : ৬৬ ] এবং টিকা ১৫৬৩ ও ১৫৬১।
২৯০১। “Guthann”: শুকনা পাতার আবর্জনা ; পানির স্রোতের উপরে ভাসমান আবর্জনা।
আয়াতঃ 023.042
এরপর তাদের পরে আমি বহু সম্প্রদায় সৃষ্টি করেছি।
Then, after them, We created other generations.
ثُمَّ أَنشَأْنَا مِن بَعْدِهِمْ قُرُونًا آخَرِينَ
Thumma ansha/na min baAAdihim quroonan akhareena
YUSUFALI: Then We raised after them other generations.
PICKTHAL: Then after them We brought forth other generations.
SHAKIR: Then We raised after them other generations.
KHALIFA: Subsequently, we established other generations after them.
৪২। অতঃপর তাদের পরে আমি অন্য জাতিদের সৃষ্টি করেছি।
৪৩। কোন জাতিই তার নির্ধারিত কালকে ত্বরান্বিত বা বিলম্বিত করতে পারে না।
৪৪। অতঃপর আমি একের পরে এক আমার রাসুল প্রেরণ করেছি। যখনই কোন জাতির নিকট তাদের রাসুল এসেছে , তারা তাকে মিথ্যার অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে। সুতারাং আমি তাদের একের পরে এককে [ শাস্তির দ্বারা] অনুসরণ করাইলাম। আমি তাদের কাহিনীতে পরিণত করেছি ২৯০২। সুতারাং [ তারা ] অবিশ্বাসীদের সাথে ধ্বংস হোক।
২৯০২। অবিশ্বাসীদের শেষ পরিণতি ধ্বংস। তাদের সভ্যতা , সংস্কৃতি সব ধ্বংসের অতল গহ্বরে নিঃশেষ হয়ে যায়। শুধু থেকে যায় তাদের কাহিনী মানুষের স্মৃতিতে ; পুরানো দিনের কল্প-কাহিনী হিসেবে।
আয়াতঃ 023.043
কোন সম্প্রদায় তার নির্দিষ্ট কালের অগ্রে যেতে পারে না। এবং পশ্চাতেও থকাতে পারে না।
No nation can anticipate their term, nor can they delay it.
مَا تَسْبِقُ مِنْ أُمَّةٍ أَجَلَهَا وَمَا يَسْتَأْخِرُونَ
Ma tasbiqu min ommatin ajalaha wama yasta/khiroona
YUSUFALI: No people can hasten their term, nor can they delay (it).
PICKTHAL: No nation can outstrip its term, nor yet postpone it.
SHAKIR: No people can hasten on their doom nor can they postpone (it).
KHALIFA: No community can advance its predetermined fate, nor delay it.
৪২। অতঃপর তাদের পরে আমি অন্য জাতিদের সৃষ্টি করেছি।
৪৩। কোন জাতিই তার নির্ধারিত কালকে ত্বরান্বিত বা বিলম্বিত করতে পারে না।
৪৪। অতঃপর আমি একের পরে এক আমার রাসুল প্রেরণ করেছি। যখনই কোন জাতির নিকট তাদের রাসুল এসেছে , তারা তাকে মিথ্যার অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে। সুতারাং আমি তাদের একের পরে এককে [ শাস্তির দ্বারা] অনুসরণ করাইলাম। আমি তাদের কাহিনীতে পরিণত করেছি ২৯০২। সুতারাং [ তারা ] অবিশ্বাসীদের সাথে ধ্বংস হোক।
২৯০২। অবিশ্বাসীদের শেষ পরিণতি ধ্বংস। তাদের সভ্যতা , সংস্কৃতি সব ধ্বংসের অতল গহ্বরে নিঃশেষ হয়ে যায়। শুধু থেকে যায় তাদের কাহিনী মানুষের স্মৃতিতে ; পুরানো দিনের কল্প-কাহিনী হিসেবে।
আয়াতঃ 023.044
এরপর আমি একাদিক্রমে আমার রসূল প্রেরণ করেছি। যখনই কোন উম্মতের কাছে তাঁর রসূল আগমন করেছেন, তখনই তারা তাঁকে মিথ্যাবাদী বলেছে। অতঃপর আমি তাদের একের পর এক ধ্বংস করেছি এবং তাদেরকে কাহিনীর বিষয়ে পরিণত করেছি। সুতরাং ধ্বংস হোক অবিশ্বাসীরা।
Then We sent Our Messengers in succession, every time there came to a nation their Messenger, they denied him, so We made them follow one another (to destruction), and We made them as Ahadîth (the true stories for mankind to learn a lesson from them). So away with a people who believe not.
ثُمَّ أَرْسَلْنَا رُسُلَنَا تَتْرَا كُلَّ مَا جَاء أُمَّةً رَّسُولُهَا كَذَّبُوهُ فَأَتْبَعْنَا بَعْضَهُم بَعْضًا وَجَعَلْنَاهُمْ أَحَادِيثَ فَبُعْدًا لِّقَوْمٍ لَّا يُؤْمِنُونَ
Thumma arsalna rusulana tatra kulla ma jaa ommatan rasooluha kaththaboohu faatbaAAna baAAdahum baAAdan wajaAAalnahum ahadeetha fabuAAdan liqawmin la yu/minoona
YUSUFALI: Then sent We our messengers in succession: every time there came to a people their messenger, they accused him of falsehood: so We made them follow each other (in punishment): We made them as a tale (that is told): So away with a people that will not believe!
PICKTHAL: Then We sent our messengers one after another. Whenever its messenger came unto a nation they denied him; so We caused them to follow one another (to disaster) and We made them bywords. A far removal for folk who believe not!
SHAKIR: Then We sent Our messengers one after another; whenever there came to a people their messenger, they called him a liar, so We made some of them follow others and We made them stories; so away with a people who do not believe!
KHALIFA: Then we sent our messengers in succession. Every time a messenger went to his community, they disbelieved him. Consequently, we annihilated them, one after the other, and made them history. The people who disbelieved have perished.
৪২। অতঃপর তাদের পরে আমি অন্য জাতিদের সৃষ্টি করেছি।
৪৩। কোন জাতিই তার নির্ধারিত কালকে ত্বরান্বিত বা বিলম্বিত করতে পারে না।
৪৪। অতঃপর আমি একের পরে এক আমার রাসুল প্রেরণ করেছি। যখনই কোন জাতির নিকট তাদের রাসুল এসেছে , তারা তাকে মিথ্যার অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে। সুতারাং আমি তাদের একের পরে এককে [ শাস্তির দ্বারা] অনুসরণ করাইলাম। আমি তাদের কাহিনীতে পরিণত করেছি ২৯০২। সুতারাং [ তারা ] অবিশ্বাসীদের সাথে ধ্বংস হোক।
২৯০২। অবিশ্বাসীদের শেষ পরিণতি ধ্বংস। তাদের সভ্যতা , সংস্কৃতি সব ধ্বংসের অতল গহ্বরে নিঃশেষ হয়ে যায়। শুধু থেকে যায় তাদের কাহিনী মানুষের স্মৃতিতে ; পুরানো দিনের কল্প-কাহিনী হিসেবে।
আয়াতঃ 023.045
অতঃপর আমি মূসা ও হারুণকে প্রেরণ করেছিলাম আমার নিদর্শনাবলী ও সুস্পষ্ট সনদসহ,
Then We sent Mûsa (Moses) and his brother Hârûn (Aaron), with Our Ayât (proofs, evidences, verses, lessons, signs, revelations, etc.) and manifest authority,
ثُمَّ أَرْسَلْنَا مُوسَى وَأَخَاهُ هَارُونَ بِآيَاتِنَا وَسُلْطَانٍ مُّبِينٍ
Thumma arsalna moosa waakhahu haroona bi-ayatina wasultanin mubeenin
YUSUFALI: Then We sent Moses and his brother Aaron, with Our Signs and authority manifest,
PICKTHAL: Then We sent Moses and his brother Aaron with Our tokens and a clear warrant
SHAKIR: Then We sent Musa and his brother Haroun, with Our communications and a clear authority,
KHALIFA: Then we sent Moses and his brother Aaron with our revelations and a profound proof.
৪৫। অতঃপর আমি মুসা ও তাঁর ভাই হারুনকে আমার নিদর্শন ও সুস্পষ্ট প্রমাণসহ পাঠিয়েছিলাম , ২৯০৩-
২৯০৩। মুসা ও হারুনের প্রতি আল্লাহ্ দ্বিবিধ কর্তব্য সম্পাদনের জন্য প্রেরণ করেন : ১) ফেরাউন ও তার সভাসদ্দের প্রতি। এরা ছিলো উদ্ধত ও অহংকারী। ২) ইসরাঈলীদের প্রতি যাদের জন্য ধর্মীয় বিধান আল্লাহ্ সিনাই পর্বতে হযরত মুসাকে দান করেন। কিন্তু ইহুদীরা বারে বারে আল্লাহ্র বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে। এই উভয় ক্ষেত্রে তাদের বিশ্বাস উৎপন্ন করার জন্য আল্লাহ্ হযরত মুসাকে অলৌকিক নিদর্শন এবং সুস্পষ্ট প্রমাণসহ প্রেরণ করেন। তিনি যে, আল্লাহ্র প্রত্যাদেশকে কার্যকর করার জন্য আগত এই বিশ্বাস অর্জন করার জন্যই তাঁকে নিদর্শন ও সুস্পষ্ট প্রমাণসহ প্রেরণ করা হয়।
আয়াতঃ 023.046
ফেরআউন ও তার অমাত্যদের কাছে। অতঃপর তারা অহংকার করল এবং তারা উদ্ধত সম্প্রদায় ছিল।
To Fir’aun (Pharaoh) and his chiefs, but they behaved insolently and they were people self-exalting (by disobeying their Lord, and exalting themselves over and above the Messenger of Allâh).
إِلَى فِرْعَوْنَ وَمَلَئِهِ فَاسْتَكْبَرُوا وَكَانُوا قَوْمًا عَالِينَ
Ila firAAawna wamala-ihi faistakbaroo wakanoo qawman AAaleena
YUSUFALI: To Pharaoh and his Chiefs: But these behaved insolently: they were an arrogant people.
PICKTHAL: Unto Pharaoh and his chiefs, but they scorned (them) and they were despotic folk.
SHAKIR: To Firon and his chiefs, but they behaved haughtily and they were an insolent people.
KHALIFA: To Pharaoh and his elders, but they turned arrogant. They were oppressive people.
৪৬। ফেরাউন ও তার পরিষদবর্গের নিকট। কিন্তু তারা উদ্ধত আচরণ করলো। তারা ছিলো এক উদ্ধত সম্প্রদায়।
৪৭। তারা বলেছিলো, ” আমরা কি আমাদের মত দুজন মানুষের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করবো ? অথচ তাদের সম্প্রদায়ের লোকেরা আমাদের দাসত্ব করে।” ২৯০৪।
২৯০৪। মিশর সে যুগে পৃথিবীর সভ্যতার পাদপীঠরূপে বিবেচিত ছিলো। শৈর্যে, বীর্যে তারা ছিলো পৃথিবীতে অতুলনীয়। তাদের সভ্যতা, তাদের শক্তি, তাদের প্রাচুর্য, তাদের করে তোলে অহংকারী গর্বিত ও উদ্ধত। তাই তারা সত্যের ডাককে শুনতে পায় নাই, শুনেও সাড়া দিতে পারে নাই। বরং তারা উদ্ধত অহংকারে বলেছিলো, ” অথচ তাদের সম্প্রদায় আমাদিগের দাসত্ব করে। ” তাদের আমরা আল্লাহ্র নবী বলে কি ভাবে মানবো ?
উপদেশ : অহংকার মানুষকে প্রকৃত সত্যকে চিনতে বাঁধা দান করে।
আয়াতঃ 023.047
তারা বললঃ আমরা কি আমাদের মতই এ দুই ব্যক্তিতে বিশ্বাস স্থাপন করব; অথচ তাদের সম্প্রদায় আমাদের দাস?
They said: ”Shall we believe in two men like ourselves, and their people are obedient to us with humility (and we use them to serve us as we like).”
فَقَالُوا أَنُؤْمِنُ لِبَشَرَيْنِ مِثْلِنَا وَقَوْمُهُمَا لَنَا عَابِدُونَ
Faqaloo anu/minu libasharayni mithlina waqawmuhuma lana AAabidoona
YUSUFALI: They said: “Shall we believe in two men like ourselves? And their people are subject to us!”
PICKTHAL: And they said: Shall we put faith in two mortals like ourselves, and whose folk are servile unto us?
SHAKIR: And they said: What! shall we believe in two mortals like ourselves while their people serve us?
KHALIFA: They said, “Shall we believe for two men whose people are our slaves?”
৪৬। ফেরাউন ও তার পরিষদবর্গের নিকট। কিন্তু তারা উদ্ধত আচরণ করলো। তারা ছিলো এক উদ্ধত সম্প্রদায়।
৪৭। তারা বলেছিলো, ” আমরা কি আমাদের মত দুজন মানুষের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করবো ? অথচ তাদের সম্প্রদায়ের লোকেরা আমাদের দাসত্ব করে।” ২৯০৪।
২৯০৪। মিশর সে যুগে পৃথিবীর সভ্যতার পাদপীঠরূপে বিবেচিত ছিলো। শৈর্যে, বীর্যে তারা ছিলো পৃথিবীতে অতুলনীয়। তাদের সভ্যতা, তাদের শক্তি, তাদের প্রাচুর্য, তাদের করে তোলে অহংকারী গর্বিত ও উদ্ধত। তাই তারা সত্যের ডাককে শুনতে পায় নাই, শুনেও সাড়া দিতে পারে নাই। বরং তারা উদ্ধত অহংকারে বলেছিলো, ” অথচ তাদের সম্প্রদায় আমাদিগের দাসত্ব করে। ” তাদের আমরা আল্লাহ্র নবী বলে কি ভাবে মানবো ?
উপদেশ : অহংকার মানুষকে প্রকৃত সত্যকে চিনতে বাঁধা দান করে।
আয়াতঃ 023.048
অতঃপর তারা উভয়কে মিথ্যাবাদী বলল। ফলে তারা ধ্বংস প্রাপ্ত হল।
So they denied them both [Mûsa (Moses) and Hârûn (Aaron)] and became of those who were destroyed.
فَكَذَّبُوهُمَا فَكَانُوا مِنَ الْمُهْلَكِينَ
Fakaththaboohuma fakanoo mina almuhlakeena
YUSUFALI: So they accused them of falsehood, and they became of those who were destroyed.
PICKTHAL: So they denied them, and became of those who were destroyed.
SHAKIR: So they rejected them and became of those who were destroyed.
KHALIFA: They rejected the two, and consequently, they were annihilated.
৪৮। সুতারাং তারা তাদের মিথ্যার অভিযোগে অভিযুক্ত করলো, এবং [ ফলে ] যারা ধবংস হয়েছিলো তাদের অর্ন্তভূক্ত হলো।
৪৯। আমি মুসাকে কিতাব দিয়েছিলাম , যেনো তারা পথ নির্দ্দেশ লাভ করে ২৯০৫।
২৯০৫। হযরত মুসা আল্লাহ্র নিকট থেকে যে দায়িত্ব প্রাপ্ত হয়েছিলেন, সেই কর্তব্য ও দায়িত্বের দ্বিতীয় অংশের বর্ণনা আছে এই আয়াতে। এখানে ” তারা ” অর্থাৎ ইসরাঈলীদের বোঝানো হয়েছে, যারা শেষ পর্যন্ত ঈমানের পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়। দেখুন টিকা ২৯০৩।
আয়াতঃ 023.049
আমি মূসাকে কিতাব দিয়েছিলাম যাতে তারা সৎপথ পায়।
And indeed We gave Mûsa (Moses) the Scripture, that they may be guided.
وَلَقَدْ آتَيْنَا مُوسَى الْكِتَابَ لَعَلَّهُمْ يَهْتَدُونَ
Walaqad atayna moosa alkitaba laAAallahum yahtadoona
YUSUFALI: And We gave Moses the Book, in order that they might receive guidance.
PICKTHAL: And We verily gave Moses the Scripture, that haply they might go aright.
SHAKIR: And certainly We gave Musa the Book that they may follow a right direction.
KHALIFA: We gave Moses the scripture, that they may be guided.
৪৮। সুতারাং তারা তাদের মিথ্যার অভিযোগে অভিযুক্ত করলো, এবং [ ফলে ] যারা ধবংস হয়েছিলো তাদের অর্ন্তভূক্ত হলো।
৪৯। আমি মুসাকে কিতাব দিয়েছিলাম , যেনো তারা পথ নির্দ্দেশ লাভ করে ২৯০৫।
২৯০৫। হযরত মুসা আল্লাহ্র নিকট থেকে যে দায়িত্ব প্রাপ্ত হয়েছিলেন, সেই কর্তব্য ও দায়িত্বের দ্বিতীয় অংশের বর্ণনা আছে এই আয়াতে। এখানে ” তারা ” অর্থাৎ ইসরাঈলীদের বোঝানো হয়েছে, যারা শেষ পর্যন্ত ঈমানের পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়। দেখুন টিকা ২৯০৩।
আয়াতঃ 023.050
এবং আমি মরিয়ম তনয় ও তাঁর মাতাকে এক নিদর্শন দান করেছিলাম। এবং তাদেরকে এক অবস্থানযোগ্য স্বচ্ছ পানি বিশিষ্ট টিলায় আশ্রয় দিয়েছিলাম।
And We made the son of Maryam (Mary) and his mother as a sign, And We gave them refuge on high ground, a place of rest, security and flowing streams.
وَجَعَلْنَا ابْنَ مَرْيَمَ وَأُمَّهُ آيَةً وَآوَيْنَاهُمَا إِلَى رَبْوَةٍ ذَاتِ قَرَارٍ وَمَعِينٍ
WajaAAalna ibna maryama waommahu ayatan waawaynahuma ila rabwatin thati qararin wamaAAeenin
YUSUFALI: And We made the son of Mary and his mother as a Sign: We gave them both shelter on high ground, affording rest and security and furnished with springs.
PICKTHAL: And We made the son of Mary and his mother a portent, and We gave them refuge on a height, a place of flocks and watersprings.
SHAKIR: And We made the son of Marium and his mother a sign, and We gave them a shelter on a lofty ground having meadows and springs.
KHALIFA: We made the son of Mary and his mother a sign, and we gave them refuge on a mesa with food and drink.
৫০। এবং আমি মারইয়াম পুত্র ও তাঁর মাতাকে নিদর্শন স্বরূপ করেছিলাম ২৯০৬। আমি তাদের ঊভয়কে ঝরণা বিশিষ্ট উচ্চ স্থানে আরাম ও নিরাপদে বসবাসের জন্য আশ্রয় দান করেছিলাম ২৯০৭।
২৯০৬। “মরিয়ম তনয়” অর্থাৎ হযরত ঈসার কথা এখানে বলা হয়েছে, কুমারী মরিয়মের গর্ভে ঈসার জন্ম বিশ্বে এক অলৌকিক ঘটনা। কিন্তু আল্লাহ্র এই অলৌকিক কর্ম বোঝার ক্ষমতা সমসাময়িক লোকদের ছিলো না। তারা বিবি মরিয়মকে অসতীরূপে আখ্যায়িত করেছিলো। কিন্তু শিশু ঈসা তাঁর অলৌকিক ক্ষমতা প্রদর্শন দ্বারা তাঁর মাতাকে এই অপমান ও গ্লানি থেকে উদ্ধার করেন [ ১৯ : ২৭ – ৩৩ ] এবং প্রমাণ করেন যে মরিয়মের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ মিথ্যা।
২৯০৭। বিবি মরিয়ম ও শিশু ঈসার কাহিনী বর্ণনা আছে [ ১৯ : ২২-২৬ ] আয়াতে। যেখানে মরিয়ম ও শিশু ঈসা আশ্রয় গ্রহণ করেছিলেন সেই স্থানের বর্ণনা আছে এই আয়াতে। নিজ গোত্র থেকে বিতাড়িত হয়ে, তিনি যেখানে আশ্রয় গ্রহণ করেন তা ছিলো খেজুর গাছ বিশিষ্ট উচ্চভূমি যার নিচ দিয়ে প্রস্রবণ বয়ে যাচ্ছিল। সেখানেই বিবি মরিয়ম সন্তান প্রসব করেন এবং কিছুকাল বিশ্রাম করেন এবং সেখান থেকেই শিশুসহ নিজ গোত্রের নিকট গমন করেন।
আয়াতঃ 023.051
হে রসূলগণ, পবিত্র বস্তু আহার করুন এবং সৎকাজ করুন। আপনারা যা করেন সে বিষয়ে আমি পরিজ্ঞাত।
O (you) Messengers! Eat of the Taiyibât [all kinds of Halâl (legal) foods which Allâh has made legal (meat of slaughtered eatable animals, milk products, fats, vegetables, fruits, etc.], and do righteous deeds. Verily! I am Well-Acquainted with what you do.
يَا أَيُّهَا الرُّسُلُ كُلُوا مِنَ الطَّيِّبَاتِ وَاعْمَلُوا صَالِحًا إِنِّي بِمَا تَعْمَلُونَ عَلِيمٌ
Ya ayyuha alrrusulu kuloo mina alttayyibati waiAAmaloo salihan innee bima taAAmaloona AAaleemun
YUSUFALI: O ye messengers! enjoy (all) things good and pure, and work righteousness: for I am well-acquainted with (all) that ye do.
PICKTHAL: O ye messengers! Eat of the good things, and do right. Lo! I am Aware of what ye do.
SHAKIR: O messengers! eat of the good things and do good; surely I know what you do.
KHALIFA: O you messengers, eat from the good provisions, and work righteousness. I am fully aware of everything you do.
রুকু – ৪
৫১। হে রাসুলগণ ! [ সকল ] ভালো ও পবিত্র বস্তু উপভোগ কর , এবং সৎ কাজ কর। নিশ্চয়ই তোমরা যা কিছু কর [ সে সব ] সম্বন্ধে আমি সবিশেষ অবহিত ২৯০৮।
২৯০৮। “উপভোগ কর” বাক্যটি প্রতীক অর্থে ব্যবহৃত। দেখুন টিকা ৭৭৬ এবং আয়াত [ ৫ : ৬৬ ] যেখানে শব্দটির ব্যাখ্যা করা হয়েছে। এই আয়াতে সুস্পষ্ট নির্দ্দেশ আছে যে, যারা আল্লাহ্র রাসুল, নবী বা ওলী তাদেরও কঠোর সংযমী হওয়ার প্রয়োজন নাই। আল্লাহ্ প্রদত্ত সকল নেয়ামত তারা ভোগ করবে এবং সে জন্য আল্লাহ্র দরবারে তারা কৃতজ্ঞতা জানাবে। এখানেই ইসলামের সৌন্দর্য। খৃষ্টান, ইহুদী ও পৃথিবীর বহু ধর্মে সংসার ত্যাগী সাধু, সন্ন্যাসীদের অবস্থান গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করা হয়। কিন্তু ইসলাম সংসার ত্যাগ করে শুধু মাত্র ধর্মকে অবলম্বন করা অনুমোদন করে না। দ্বীন ও দুনিয়া এই দুয়ে মিলেই ইসলাম ধর্ম। দুনিয়া ব্যতীত দ্বীনকে ইসলাম অনুমোদন করে না। কারণ একটু চিন্তা করলেই বোঝা যাবে যে, ধর্মীয় বিধান হচ্ছে জীবনের মূল নৈতিক নীতিমালা , যা সমাজ ও রাষ্ট্রকে সুষ্ঠ ও সুন্দর রাখতে সাহায্য করে। যে সমাজ আল্লাহ্র প্রেরিত নীতিমালা অনুযায়ী পরিচালিত সে সমাজ উন্নতি লাভে শীর্ষে অবস্থান করবে। উদাহরণ : যেমন সততা – যদি সমাজে সততা বিরাজ করে , তবে ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার লাভ ঘটবে। যদি ন্যায় বিরাজ করে তবে সমাজের প্রতিটি ক্রিয়াকর্ম সুষ্ঠভাবে সম্পাদিত হবে। যদি গরীবের প্রতি নিষ্পেষণ না করা হয়, তবে সমাজের প্রতিটি নাগরিক সমভাবে বাঁচার অধিকার লাভ করবে। এ ভাবে আল্লাহ্র প্রেরিত প্রতিটি নৈতিক নীতিমালা একটি সমাজকে সুখী ও সমৃদ্ধিশালী হতে সাহায্য করে। সুতারাং ইসলাম ও জীবন ব্যবস্থা কোনও পৃথক ব্যবস্থা নয়।
আয়াতঃ 023.052
আপনাদের এই উম্মত সব তো একই ধর্মের অনুসারী এবং আমি আপনাদের পালনকর্তা; অতএব আমাকে ভয় করুন।
And verily! This your religion (of Islâmic Monotheism) is one religion, and I am your Lord, so keep your duty to Me.
وَإِنَّ هَذِهِ أُمَّتُكُمْ أُمَّةً وَاحِدَةً وَأَنَا رَبُّكُمْ فَاتَّقُونِ
Wa-inna hathihi ommatukum ommatan wahidatan waana rabbukum faittaqooni
YUSUFALI: And verily this Brotherhood of yours is a single Brotherhood, and I am your Lord and Cherisher: therefore fear Me (and no other).
PICKTHAL: And lo! this your religion is one religion and I am your Lord, so keep your duty unto Me.
SHAKIR: And surely this your religion is one religion and I am your Lord, therefore be careful (of your duty) to Me.
KHALIFA: Such is your congregation – one congregation – and I am your Lord; you shall reverence Me.
৫২। এবং নিশ্চয়ই তোমাদের এই ভাতৃত্ব একই ভাতৃত্ব ২৯০৯, এবং আমি তোমাদের প্রভু ও প্রতিপালক। সুতারাং আমাকে ভয় কর [ অন্য কাউকে নয়]।
২৯০৯। দেখুন আয়াত [ ২১ : ৯২ – ৯৩ ]। নবী ও রসুলেরা বিভিন্ন স্থানে জন্মগ্রহণ করতে পারেন কিন্তু তারা সকলেই একই ভ্রাতৃত্বের অন্তর্ভূক্ত। কারণ তাঁদের চিন্তা, কর্ম, এবং প্রচারিত বাণীর মর্মার্থ এক। কারণ তারা সকলে এক আল্লাহ্র নিকট থেকে আগত এবং তাঁদের প্রচারিত বিশ্বাস, ধর্ম ও শিক্ষা এক। তাঁরা সকলেই এক বিশ্ব স্রষ্টার এবাদত করে থাকেন – যিনি তাদের প্রতিপালন করেন ও ভালোবাসেন। তাঁরা এক আল্লাহ্র নিকট শুধুমাত্র আমানতের অঙ্গীকারে আবদ্ধ। জন্মসূত্রে তাঁরা বিভিন্ন হলেও আত্মিক বন্ধনে তারা এক। সুতারাং যুগে যুগে নবী রসুলেরা যে ধর্মের প্রচার করেছেন তা একই ধর্ম , আর তা হচ্ছে ইসলাম।
আয়াতঃ 023.053
অতঃপর মানুষ তাদের বিষয়কে বহুধা বিভক্ত করে দিয়েছে। প্রত্যেক সম্প্রদায় নিজ নিজ মতবাদ নিয়ে আনন্দিত হচ্ছে।
But they (men) have broken their religion among them into sects, each group rejoicing in its belief.
فَتَقَطَّعُوا أَمْرَهُم بَيْنَهُمْ زُبُرًا كُلُّ حِزْبٍ بِمَا لَدَيْهِمْ فَرِحُونَ
FataqattaAAoo amrahum baynahum zuburan kullu hizbin bima ladayhim farihoona
YUSUFALI: But people have cut off their affair (of unity), between them, into sects: each party rejoices in that which is with itself.
PICKTHAL: But they (mankind) have broken their religion among them into sects, each group rejoicing in its tenets.
SHAKIR: But they cut off their religion among themselves into sects, each part rejoicing in that which is with them.
KHALIFA: But they tore themselves into disputing factions; each party happy with what they have.
৫৩। কিন্তু মানুষ নিজেদের মধ্যে তাদের দ্বীনকে নানা ভাগে বিভক্ত করেছে। প্রত্যেক দলই তাদের নিকট যা আছে তা নিয়ে আনন্দিত ২৯১০।
২৯১০। পরবর্তী প্রজন্ম ধর্মের নামে বিভিন্ন সম্প্রদায়ে বিভক্ত হয়ে যায়। তাদের এই বিভক্তির ভিত্তি ধর্মের প্রতি অনুরাগ নয় বরং হীন স্বার্থপরতা থেকে উদ্ভুদ। ফলে তা হয়ে পড়ে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্পে বিষাক্ত। কিন্তু ধর্মের নামে এই সব সম্প্রদায় নিজেদের ক্ষুদ্র ও সীমাবদ্ধ মতবাদে সন্তুষ্ট ও আত্মতৃপ্ত। তারা আল্লাহ্র বিশ্বজনীন ধর্মের রূপ অনুধাবনে অক্ষম ও অন্ধ। ফলে জন্ম নেয় ধর্মন্ধতা ও মৌলবাদীর। এরা ইসলামের সার্বজনীন রূপকে গ্রহণের পরিবর্তে ধর্মকে সাম্প্রদায়িক গন্ডির মধ্যে টেনে আনে, তাদের এই সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিভঙ্গি এবং ধর্মন্ধতা তাদের নিজেদের সৃষ্টি। পরবর্তী আয়াতে আল্লাহ্ বলেছেন যে, তাদের উন্মাদনা স্থায়ী হবে না,সত্যের আলোতে তা ধবংস হয়ে যাবে।
আয়াতঃ 023.054
অতএব তাদের কিছু কালের জন্যে তাদের অজ্ঞানতায় নিমজ্জত থাকতে দিন।
So leave them in their error for a time.
فَذَرْهُمْ فِي غَمْرَتِهِمْ حَتَّى حِينٍ
Fatharhum fee ghamratihim hatta heenin
YUSUFALI: But leave them in their confused ignorance for a time.
PICKTHAL: So leave them in their error till a time.
SHAKIR: Therefore leave them in their overwhelming ignorance till
KHALIFA: Therefore, just leave them in their confusion, for awhile.
৫৪। অতএব কিছু কালের জন্য ওদের অজ্ঞতার বিভ্রান্তিতে থাকতে দাও।
৫৫। তারা কি মনে করে যেহেতু তাদের আমি অপরিমিত সম্পদ ও সন্তান সন্ততি দান করেছি , –
৫৬। আমি তাদের জন্য সকল প্রকার মঙ্গল ত্বরান্বিত করবো ? না তারা কিছুই বোঝে না ২৯১১।
২৯১১। আল্লাহ্ বারে বারে আমাদের স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন যে, পার্থিব অর্থ-সম্পদ, প্রভাব-প্রতিপত্তি ও ক্ষমত সবই বান্দার জন্য পরীক্ষা স্বরূপ দেয়া আল্লাহ্র তরফ থেকে। যারা আল্লাহ্র এ সব নেয়ামত লাভ করেছেন তারা যেনো মনে না করেন যে, পার্থিব ভোগ্য বস্তুই সকল সুখ ও শান্তির উৎস।
আয়াতঃ 023.055
তারা কি মনে করে যে, আমি তাদেরকে ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি দিয়ে যাচ্ছি।
Do they think that We enlarge them in wealth and children,
أَيَحْسَبُونَ أَنَّمَا نُمِدُّهُم بِهِ مِن مَّالٍ وَبَنِينَ
Ayahsaboona annama numidduhum bihi min malin wabaneena
YUSUFALI: Do they think that because We have granted them abundance of wealth and sons,
PICKTHAL: Think they that in the wealth and sons wherewith We provide them
SHAKIR: Do they think that by what We aid them with of wealth and children,
KHALIFA: Do they think that, since we provided them with money and children,
৫৪। অতএব কিছু কালের জন্য ওদের অজ্ঞতার বিভ্রান্তিতে থাকতে দাও।
৫৫। তারা কি মনে করে যেহেতু তাদের আমি অপরিমিত সম্পদ ও সন্তান সন্ততি দান করেছি , –
৫৬। আমি তাদের জন্য সকল প্রকার মঙ্গল ত্বরান্বিত করবো ? না তারা কিছুই বোঝে না ২৯১১।
২৯১১। আল্লাহ্ বারে বারে আমাদের স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন যে, পার্থিব অর্থ-সম্পদ, প্রভাব-প্রতিপত্তি ও ক্ষমত সবই বান্দার জন্য পরীক্ষা স্বরূপ দেয়া আল্লাহ্র তরফ থেকে। যারা আল্লাহ্র এ সব নেয়ামত লাভ করেছেন তারা যেনো মনে না করেন যে, পার্থিব ভোগ্য বস্তুই সকল সুখ ও শান্তির উৎস।
আয়াতঃ 023.056
তাতে করে তাদেরকে দ্রুত মঙ্গলের দিকে নিয়ে যাচ্ছি? বরং তারা বোঝে না।
We hasten unto them with good things (in this worldly life so that they will have no share of good things in the Hereafter)? Nay, but they perceive not.
نُسَارِعُ لَهُمْ فِي الْخَيْرَاتِ بَل لَّا يَشْعُرُونَ
NusariAAu lahum fee alkhayrati bal la yashAAuroona
YUSUFALI: We would hasten them on in every good? Nay, they do not understand.
PICKTHAL: We hasten unto them with good things? Nay, but they perceive not.
SHAKIR: We are hastening to them of good things? Nay, they do not perceive.
KHALIFA: we must be showering them with blessings? Indeed, they have no idea.
৫৪। অতএব কিছু কালের জন্য ওদের অজ্ঞতার বিভ্রান্তিতে থাকতে দাও।
৫৫। তারা কি মনে করে যেহেতু তাদের আমি অপরিমিত সম্পদ ও সন্তান সন্ততি দান করেছি , –
৫৬। আমি তাদের জন্য সকল প্রকার মঙ্গল ত্বরান্বিত করবো ? না তারা কিছুই বোঝে না ২৯১১।
২৯১১। আল্লাহ্ বারে বারে আমাদের স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন যে, পার্থিব অর্থ-সম্পদ, প্রভাব-প্রতিপত্তি ও ক্ষমত সবই বান্দার জন্য পরীক্ষা স্বরূপ দেয়া আল্লাহ্র তরফ থেকে। যারা আল্লাহ্র এ সব নেয়ামত লাভ করেছেন তারা যেনো মনে না করেন যে, পার্থিব ভোগ্য বস্তুই সকল সুখ ও শান্তির উৎস।
আয়াতঃ 023.057
নিশ্চয় যারা তাদের পালনকর্তার ভয়ে সন্ত্রস্ত,
Verily! Those who live in awe for fear of their Lord;
إِنَّ الَّذِينَ هُم مِّنْ خَشْيَةِ رَبِّهِم مُّشْفِقُونَ
Inna allatheena hum min khashyati rabbihim mushfiqoona
YUSUFALI: Verily those who live in awe for fear of their Lord;
PICKTHAL: Lo! those who go in awe for fear of their Lord.
SHAKIR: Surely they who from fear of their Lord are cautious,
KHALIFA: Surely, those who are reverently conscious of their Lord,
৫৭। নিশ্চয় যারা তাদের প্রভুর ভয়ে সন্ত্রস্ত;
৫৮। যারা তাদের প্রভুর নিদর্শনাবলীতে ঈমান আনে;
৫৯। যারা তাদের প্রভুর সাথে শরীক করে না;
৬০। যারা তাদের প্রভুর নিকট প্রত্যাবর্তনের ভয়ে, ভীত কম্পিত হৃদয়ে দান করে ২৯১২।
২৯১২। যারা আল্লাহ্র নেয়ামতে ধন্য তাদের কথা বর্ণনা করা হয়েছে পূর্ববর্তী ও পরবর্তী আয়াতগুলিতে। আল্লাহ্র প্রতি ভয় ভক্তি ও ভালোবাসাতে তাঁদের হৃদয় পূর্ণ থাকে। তাদের দানের উদ্দেশ্য একটাই আর তা হচ্ছে সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টি লাভ। তারা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে পরলোকের জন্য জবাবদিহিতায়। তাদের আর এক বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তারা তাদের সৎকর্মের জন্য সর্বদা ভীত চিত্তে স্রষ্টার প্রসন্নতার ও সন্তুষ্টির জন্য উদ্বিগ্ন থাকে। সর্ব কাজে তাদের বিশ্বাসের ভিত্তি হবে স্রষ্টার সন্তুষ্টি লাভ। পরের আয়াতে এদের কথাই বলা, হয়েছে , যারা কল্যাণকর কাজে দ্রুতগামী এবং অগ্রগামী।
আয়াতঃ 023.058
যারা তাদের পালনকর্তার কথায় বিশ্বাস স্থাপন করে,
And those who believe in the Ayât (proofs, evidences, verses, lessons, signs, revelations, etc.) of their Lord,
وَالَّذِينَ هُم بِآيَاتِ رَبِّهِمْ يُؤْمِنُونَ
Waallatheena hum bi-ayati rabbihim yu/minoona
YUSUFALI: Those who believe in the Signs of their Lord;
PICKTHAL: And those who believe in the revelations of their Lord,
SHAKIR: And those who believe in the communications of their Lord,
KHALIFA: And who believe in the revelations of their Lord,
৫৭। নিশ্চয় যারা তাদের প্রভুর ভয়ে সন্ত্রস্ত;
৫৮। যারা তাদের প্রভুর নিদর্শনাবলীতে ঈমান আনে;
৫৯। যারা তাদের প্রভুর সাথে শরীক করে না;
৬০। যারা তাদের প্রভুর নিকট প্রত্যাবর্তনের ভয়ে, ভীত কম্পিত হৃদয়ে দান করে ২৯১২।
২৯১২। যারা আল্লাহ্র নেয়ামতে ধন্য তাদের কথা বর্ণনা করা হয়েছে পূর্ববর্তী ও পরবর্তী আয়াতগুলিতে। আল্লাহ্র প্রতি ভয় ভক্তি ও ভালোবাসাতে তাঁদের হৃদয় পূর্ণ থাকে। তাদের দানের উদ্দেশ্য একটাই আর তা হচ্ছে সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টি লাভ। তারা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে পরলোকের জন্য জবাবদিহিতায়। তাদের আর এক বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তারা তাদের সৎকর্মের জন্য সর্বদা ভীত চিত্তে স্রষ্টার প্রসন্নতার ও সন্তুষ্টির জন্য উদ্বিগ্ন থাকে। সর্ব কাজে তাদের বিশ্বাসের ভিত্তি হবে স্রষ্টার সন্তুষ্টি লাভ। পরের আয়াতে এদের কথাই বলা, হয়েছে , যারা কল্যাণকর কাজে দ্রুতগামী এবং অগ্রগামী।
আয়াতঃ 023.059
যারা তাদের পালনকর্তার সাথে কাউকে শরীক করে না
And those who join not anyone (in worship) as partners with their Lord;
وَالَّذِينَ هُم بِرَبِّهِمْ لَا يُشْرِكُونَ
Waallatheena hum birabbihim la yushrikoona
YUSUFALI: Those who join not (in worship) partners with their Lord;
PICKTHAL: And those who ascribe not partners unto their Lord,
SHAKIR: And those who do not associate (aught) with their Lord,
KHALIFA: And who never set up any idols beside their Lord,
৫৭। নিশ্চয় যারা তাদের প্রভুর ভয়ে সন্ত্রস্ত;
৫৮। যারা তাদের প্রভুর নিদর্শনাবলীতে ঈমান আনে;
৫৯। যারা তাদের প্রভুর সাথে শরীক করে না;
৬০। যারা তাদের প্রভুর নিকট প্রত্যাবর্তনের ভয়ে, ভীত কম্পিত হৃদয়ে দান করে ২৯১২।
২৯১২। যারা আল্লাহ্র নেয়ামতে ধন্য তাদের কথা বর্ণনা করা হয়েছে পূর্ববর্তী ও পরবর্তী আয়াতগুলিতে। আল্লাহ্র প্রতি ভয় ভক্তি ও ভালোবাসাতে তাঁদের হৃদয় পূর্ণ থাকে। তাদের দানের উদ্দেশ্য একটাই আর তা হচ্ছে সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টি লাভ। তারা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে পরলোকের জন্য জবাবদিহিতায়। তাদের আর এক বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তারা তাদের সৎকর্মের জন্য সর্বদা ভীত চিত্তে স্রষ্টার প্রসন্নতার ও সন্তুষ্টির জন্য উদ্বিগ্ন থাকে। সর্ব কাজে তাদের বিশ্বাসের ভিত্তি হবে স্রষ্টার সন্তুষ্টি লাভ। পরের আয়াতে এদের কথাই বলা, হয়েছে , যারা কল্যাণকর কাজে দ্রুতগামী এবং অগ্রগামী।
আয়াতঃ 023.060
এবং যারা যা দান করবার, তা ভীত, কম্পিত হৃদয়ে এ কারণে দান করে যে, তারা তাদের পালনকর্তার কাছে প্রত্যাবর্তন করবে,
And those who give that (their charity) which they give (and also do other good deeds) with their hearts full of fear (whether their alms and charities, etc., have been accepted or not), because they are sure to return to their Lord (for reckoning).
وَالَّذِينَ يُؤْتُونَ مَا آتَوا وَّقُلُوبُهُمْ وَجِلَةٌ أَنَّهُمْ إِلَى رَبِّهِمْ رَاجِعُونَ
Waallatheena yu/toona ma ataw waquloobuhum wajilatun annahum ila rabbihim rajiAAoona
YUSUFALI: And those who dispense their charity with their hearts full of fear, because they will return to their Lord;-
PICKTHAL: And those who give that which they give with hearts afraid because they are about to return unto their Lord,
SHAKIR: And those who give what they give (in alms) while their hearts are full of fear that to their Lord they must return,
KHALIFA: As they give their charities, their hearts are fully reverent. For they recognize that they will be summoned before their Lord,
৫৭। নিশ্চয় যারা তাদের প্রভুর ভয়ে সন্ত্রস্ত;
৫৮। যারা তাদের প্রভুর নিদর্শনাবলীতে ঈমান আনে;
৫৯। যারা তাদের প্রভুর সাথে শরীক করে না;
৬০। যারা তাদের প্রভুর নিকট প্রত্যাবর্তনের ভয়ে, ভীত কম্পিত হৃদয়ে দান করে ২৯১২।
২৯১২। যারা আল্লাহ্র নেয়ামতে ধন্য তাদের কথা বর্ণনা করা হয়েছে পূর্ববর্তী ও পরবর্তী আয়াতগুলিতে। আল্লাহ্র প্রতি ভয় ভক্তি ও ভালোবাসাতে তাঁদের হৃদয় পূর্ণ থাকে। তাদের দানের উদ্দেশ্য একটাই আর তা হচ্ছে সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টি লাভ। তারা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে পরলোকের জন্য জবাবদিহিতায়। তাদের আর এক বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তারা তাদের সৎকর্মের জন্য সর্বদা ভীত চিত্তে স্রষ্টার প্রসন্নতার ও সন্তুষ্টির জন্য উদ্বিগ্ন থাকে। সর্ব কাজে তাদের বিশ্বাসের ভিত্তি হবে স্রষ্টার সন্তুষ্টি লাভ। পরের আয়াতে এদের কথাই বলা, হয়েছে , যারা কল্যাণকর কাজে দ্রুতগামী এবং অগ্রগামী।
আয়াতঃ 023.061
তারাই কল্যাণ দ্রুত অর্জন করে এবং তারা তাতে অগ্রগামী।
It is these who race for the good deeds, and they are foremost in them [e.g. offering the compulsory Salât (prayers) in their (early) stated, fixed times and so on].
أُوْلَئِكَ يُسَارِعُونَ فِي الْخَيْرَاتِ وَهُمْ لَهَا سَابِقُونَ
Ola-ika yusariAAoona fee alkhayrati wahum laha sabiqoona
YUSUFALI: It is these who hasten in every good work, and these who are foremost in them.
PICKTHAL: These race for the good things, and they shall win them in the race.
SHAKIR: These hasten to good things and they are foremost in (attaining) them.
KHALIFA: They are eager to do righteous works; they compete in doing them.
৬১। এরাই তারা যারা ভালো কাজে দ্রুতগামী , এবং এরাই তারা যারা তাতে অগ্রগামী।
৬২। আমি কাউকে তার সাধ্যাতীত ভার অর্পন করি না ২৯১৩। আমার সামনে আছে এক তালিকাপুস্তক যা সত্যকে সুস্পষ্টভাবে প্রকাশ করে ২৯১৪। তাদের প্রতি কোন অন্যায় করা হবে না।
২৯১৩। অনুরূপ আয়াত দেখুন [ ২ : ২৮৬ ] এবং টিকা ৩৩৯।
২৯১৪। আমাদের সকল চিন্তা-ভাবনা কার্যের নিয়ত, কৃতকার্য , সাফল্য-ব্যর্থতা, মন-মানসিকতা, পরিবেশ সবই আল্লাহ্র দরবারে মূহুর্তের মধ্যে নীত হয় এবং রক্ষিত হয়। প্রতিটি আত্মার পৃথিবীর কর্মপ্রণালীর সব হিসাব আল্লাহ্র কাছে বিদ্যমান। কর্মের দ্বারাই জবাবদিহিতার বিচার করা হবে। সেখানে কোনও প্রকার অন্যায় করা হবে না। পাপীরা ততটুকুই শাস্তি ভোগ করবে যতটুকু পাপ তারা করেছে। কিন্তু পূণ্যাত্মারা তাদের পূণ্যকর্মের উপযুক্ত সম্মানী তো পাবেনই , উপরন্তু আল্লাহ্র তরফ থেকে তাদের জন্য আছে পুরষ্কার। পাপীদের জুলুম করা হবে না, কিন্তু পূণ্যাত্মারা তাদের প্রাপ্য বাদেও পুরষ্কার লাভ করবে।
আয়াতঃ 023.062
আমি কাউকে তার সাধ্যাতীত দায়িত্ব অর্পন করি না। আমার এক কিতাব আছে, যা সত্য ব্যক্ত করে এবং তাদের প্রতি জুলুম করা হবে না।
And We tax not any person except according to his capacity, and with Us is a Record which speaks the truth, and they will not be wronged.
وَلَا نُكَلِّفُ نَفْسًا إِلَّا وُسْعَهَا وَلَدَيْنَا كِتَابٌ يَنطِقُ بِالْحَقِّ وَهُمْ لَا يُظْلَمُونَ
Wala nukallifu nafsan illa wusAAaha waladayna kitabun yantiqu bialhaqqi wahum la yuthlamoona
YUSUFALI: On no soul do We place a burden greater than it can bear: before Us is a record which clearly shows the truth: they will never be wronged.
PICKTHAL: And we task not any soul beyond its scope, and with Us is a Record which speaketh the truth, and they will not be wronged.
SHAKIR: And We do not lay on any soul a burden except to the extent of its ability, and with Us is a book which speaks the truth, and they shall not be dealt with unjustly.
KHALIFA: We never burden any soul beyond its means, and we keep a record that utters the truth. No one will suffer injustice.
৬১। এরাই তারা যারা ভালো কাজে দ্রুতগামী , এবং এরাই তারা যারা তাতে অগ্রগামী।
৬২। আমি কাউকে তার সাধ্যাতীত ভার অর্পন করি না ২৯১৩। আমার সামনে আছে এক তালিকাপুস্তক যা সত্যকে সুস্পষ্টভাবে প্রকাশ করে ২৯১৪। তাদের প্রতি কোন অন্যায় করা হবে না।
২৯১৩। অনুরূপ আয়াত দেখুন [ ২ : ২৮৬ ] এবং টিকা ৩৩৯।
২৯১৪। আমাদের সকল চিন্তা-ভাবনা কার্যের নিয়ত, কৃতকার্য , সাফল্য-ব্যর্থতা, মন-মানসিকতা, পরিবেশ সবই আল্লাহ্র দরবারে মূহুর্তের মধ্যে নীত হয় এবং রক্ষিত হয়। প্রতিটি আত্মার পৃথিবীর কর্মপ্রণালীর সব হিসাব আল্লাহ্র কাছে বিদ্যমান। কর্মের দ্বারাই জবাবদিহিতার বিচার করা হবে। সেখানে কোনও প্রকার অন্যায় করা হবে না। পাপীরা ততটুকুই শাস্তি ভোগ করবে যতটুকু পাপ তারা করেছে। কিন্তু পূণ্যাত্মারা তাদের পূণ্যকর্মের উপযুক্ত সম্মানী তো পাবেনই , উপরন্তু আল্লাহ্র তরফ থেকে তাদের জন্য আছে পুরষ্কার। পাপীদের জুলুম করা হবে না, কিন্তু পূণ্যাত্মারা তাদের প্রাপ্য বাদেও পুরষ্কার লাভ করবে।
আয়াতঃ 023.063
না, তাদের অন্তর এ বিষয়ে অজ্ঞানতায় আচ্ছন্ন, এ ছাড়া তাদের আরও কাজ রয়েছে, যা তারা করছে।
Nay, but their hearts are covered (blind) from understanding this (the Qur’ân), and they have other (evil) deeds, besides, which they are doing.
بَلْ قُلُوبُهُمْ فِي غَمْرَةٍ مِّنْ هَذَا وَلَهُمْ أَعْمَالٌ مِن دُونِ ذَلِكَ هُمْ لَهَا عَامِلُونَ
Bal quloobuhum fee ghamratin min hatha walahum aAAmalun min dooni thalika hum laha AAamiloona
YUSUFALI: But their hearts are in confused ignorance of this; and there are, besides that, deeds of theirs, which they will (continue) to do,-
PICKTHAL: Nay, but their hearts are in ignorance of this (Qur’an), and they have other works, besides, which they are doing;
SHAKIR: Nay, their hearts are in overwhelming ignorance with respect to it and they have besides this other deeds which they do.
KHALIFA: Because their minds are oblivious to this, they commit works that do not conform with this; their works are evil.
৬৩। কিন্তু তাদের হৃদয় এই বিষয়ে অজ্ঞতায় বিভ্রান্ত ২৯১৫। এ ছাড়াও তাদের আরও পাপ কাজ আছে যা তারা করতেই থাকবে, ২৯১৬।
৬৪। যতক্ষণ না আমি শাস্তি দ্বারা ধৃত করবো তাদের , যারা এই পৃথিবীতে ভালো জিনিষ লাভ করেছে। দেখো! [তখন] তারা আর্তনাদ করে মিনতি করে থাকে।
২৯১৫ ” তাদের হৃদয় এই বিষয়ে অজ্ঞতায় বিভ্রান্ত” – এই বাক্যটি তাদের সম্বন্ধেই বলা হয়েছে যারা অবিশ্বাসী ও আল্লাহ্র সত্যকে প্রত্যাখান করে এবং পার্থিব ধনসম্পদ ও ক্ষমতা প্রতিপত্তির মোহে,দম্ভে ও অহংকারে স্ফীত হয়। এ সব লোকের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এরা সত্যের ঘোষণার প্রতি সন্দেহ পোষণ করে। পরলোকের সম্বন্ধে এরা সন্দিহান। শেষ দিবসের বিচারকে এরা বিশ্বাস করে না। কারণ “তাদের অন্তর অজ্ঞানতায় বিভ্রান্ত।”
২৯১৬। সত্যকে প্রত্যাখান ব্যতীতও আরও পাপ কাজ এসব লোকেরা করে থাকে। সত্যকে প্রতিহত করা ও সত্যের আলোকে ঘৃণা করা থেকে তারা বিরত থাকবে না, যতক্ষণ না আল্লাহ্ তাদের “শাস্তি দ্বারা ধৃত করেন”। কিন্তু তখন আর অনুতাপ করার সময় থাকবে না।
আয়াতঃ 023.064
এমনকি, যখন আমি তাদের ঐশ্বর্যশালী লোকদেরকে শাস্তি দ্বারা পাকড়াও করব, তখনই তারা চীৎকার জুড়ে দেবে।
Until, when We grasp those of them who lead a luxurious life with punishment, behold! They make humble invocation with a loud voice.
حَتَّى إِذَا أَخَذْنَا مُتْرَفِيهِم بِالْعَذَابِ إِذَا هُمْ يَجْأَرُونَ
Hatta itha akhathna mutrafeehim bialAAathabi itha hum yaj-aroona
YUSUFALI: Until, when We seize in Punishment those of them who received the good things of this world, behold, they will groan in supplication!
PICKTHAL: Till when We grasp their luxurious ones with the punishment, behold! they supplicate.
SHAKIR: Until when We overtake those who lead easy lives among them with punishment, lo! they cry for succor.
KHALIFA: Then, when we requite their leaders with retribution, they complain.
৬৩। কিন্তু তাদের হৃদয় এই বিষয়ে অজ্ঞতায় বিভ্রান্ত ২৯১৫। এ ছাড়াও তাদের আরও পাপ কাজ আছে যা তারা করতেই থাকবে, ২৯১৬।
৬৪। যতক্ষণ না আমি শাস্তি দ্বারা ধৃত করবো তাদের , যারা এই পৃথিবীতে ভালো জিনিষ লাভ করেছে। দেখো! [তখন] তারা আর্তনাদ করে মিনতি করে থাকে।
২৯১৫ ” তাদের হৃদয় এই বিষয়ে অজ্ঞতায় বিভ্রান্ত” – এই বাক্যটি তাদের সম্বন্ধেই বলা হয়েছে যারা অবিশ্বাসী ও আল্লাহ্র সত্যকে প্রত্যাখান করে এবং পার্থিব ধনসম্পদ ও ক্ষমতা প্রতিপত্তির মোহে,দম্ভে ও অহংকারে স্ফীত হয়। এ সব লোকের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এরা সত্যের ঘোষণার প্রতি সন্দেহ পোষণ করে। পরলোকের সম্বন্ধে এরা সন্দিহান। শেষ দিবসের বিচারকে এরা বিশ্বাস করে না। কারণ “তাদের অন্তর অজ্ঞানতায় বিভ্রান্ত।”
২৯১৬। সত্যকে প্রত্যাখান ব্যতীতও আরও পাপ কাজ এসব লোকেরা করে থাকে। সত্যকে প্রতিহত করা ও সত্যের আলোকে ঘৃণা করা থেকে তারা বিরত থাকবে না, যতক্ষণ না আল্লাহ্ তাদের “শাস্তি দ্বারা ধৃত করেন”। কিন্তু তখন আর অনুতাপ করার সময় থাকবে না।
আয়াতঃ 023.065
অদ্য চীৎকার করো না। তোমরা আমার কাছ থেকে নিস্কৃতি পাবে না।
Invoke not loudly this day! Certainly, you shall not be helped by Us.
لَا تَجْأَرُوا الْيَوْمَ إِنَّكُم مِّنَّا لَا تُنصَرُونَ
La taj-aroo alyawma innakum minna la tunsaroona
YUSUFALI: (It will be said): “Groan not in supplication this day: for ye shall certainly not be helped by Us.
PICKTHAL: Supplicate not this day! Assuredly ye will not be helped by Us.
SHAKIR: Cry not for succor this day; surely you shall not be given help from Us.
KHALIFA: Do not complain now; you have given up all help from us.
৬৫। [ তাদের বলা হবে ] : ” আজকে চীৎকার করে মিনতি করো না। তোমরা অবশ্যই আমার নিকট থেকে কোন সাহায্য পাবে না।
৬৬। ” আমার আয়াত তো তোমাদের নিকট আবৃত্তি করা হতো , কিন্তু তোমরা উল্টো দিকে ফিরে যেতে, –
৬৭। ” দম্ভ ভরে : [কুর-আন] সম্বন্ধে বাজে কথা বলতে , যেনো কেউ রাত্রিতে খোশ-গল্প করছে।” ২৯১৭
২৯১৭। “Samir” সেই ব্যক্তি যে অর্থহীন গল্পগুজব যেমন :- প্রেম-ভালোবাসা বা আমোদ-ফুর্তি ইত্যাদির গল্পে রাত্রি অতিবাহিত করে।
আয়াতঃ 023.066
তোমাদেরকে আমার আয়াতসমূহ শোনানো হত, তখন তোমরা উল্টো পায়ে সরে পড়তে।
Indeed My Verses used to be recited to you, but you used to turn back on your heels (denying them, and with hatred to listen to them).
قَدْ كَانَتْ آيَاتِي تُتْلَى عَلَيْكُمْ فَكُنتُمْ عَلَى أَعْقَابِكُمْ تَنكِصُونَ
Qad kanat ayatee tutla AAalaykum fakuntum AAala aAAqabikum tankisoona
YUSUFALI: “My Signs used to be rehearsed to you, but ye used to turn back on your heels-
PICKTHAL: My revelations were recited unto you, but ye used to turn back on your heels,
SHAKIR: My communications were indeed recited to you, but you used to turn back on your heels,
KHALIFA: My proofs have been presented to you, but you turned back on your heels.
৬৫। [ তাদের বলা হবে ] : ” আজকে চীৎকার করে মিনতি করো না। তোমরা অবশ্যই আমার নিকট থেকে কোন সাহায্য পাবে না।
৬৬। ” আমার আয়াত তো তোমাদের নিকট আবৃত্তি করা হতো , কিন্তু তোমরা উল্টো দিকে ফিরে যেতে, –
৬৭। ” দম্ভ ভরে : [কুর-আন] সম্বন্ধে বাজে কথা বলতে , যেনো কেউ রাত্রিতে খোশ-গল্প করছে।” ২৯১৭
২৯১৭। “Samir” সেই ব্যক্তি যে অর্থহীন গল্পগুজব যেমন :- প্রেম-ভালোবাসা বা আমোদ-ফুর্তি ইত্যাদির গল্পে রাত্রি অতিবাহিত করে।
আয়াতঃ 023.067
অহংকার করে এ বিষয়ে অর্থহীন গল্প-গুজব করে যেতে।
In pride (they Quraish pagans and polytheists of Makkah used to feel proud that they are the dwellers of Makkah sanctuary Haram), talking evil about it (the Qur’ân) by night.
مُسْتَكْبِرِينَ بِهِ سَامِرًا تَهْجُرُونَ
Mustakbireena bihi samiran tahjuroona
YUSUFALI: “In arrogance: talking nonsense about the (Qur’an), like one telling fables by night.”
PICKTHAL: In scorn thereof. Nightly did ye rave together.
SHAKIR: In arrogance; talking nonsense about the Quran, and left him like one telling fables by night.
KHALIFA: You were too arrogant to accept them, and you defiantly disregarded them.
৬৫। [ তাদের বলা হবে ] : ” আজকে চীৎকার করে মিনতি করো না। তোমরা অবশ্যই আমার নিকট থেকে কোন সাহায্য পাবে না।
৬৬। ” আমার আয়াত তো তোমাদের নিকট আবৃত্তি করা হতো , কিন্তু তোমরা উল্টো দিকে ফিরে যেতে, –
৬৭। ” দম্ভ ভরে : [কুর-আন] সম্বন্ধে বাজে কথা বলতে , যেনো কেউ রাত্রিতে খোশ-গল্প করছে।” ২৯১৭
২৯১৭। “Samir” সেই ব্যক্তি যে অর্থহীন গল্পগুজব যেমন :- প্রেম-ভালোবাসা বা আমোদ-ফুর্তি ইত্যাদির গল্পে রাত্রি অতিবাহিত করে।
আয়াতঃ 023.068
অতএব তারা কি এই কালাম সম্পর্কে চিন্তা-ভাবনা করে না? না তাদের কাছে এমন কিছু এসেছে, যা তাদের পিতৃপুরুষদের কাছে আসেনি?
Have they not pondered over the Word (of Allâh, i.e. what is sent down to the Prophet SAW), or has there come to them what had not come to their fathers of old?
أَفَلَمْ يَدَّبَّرُوا الْقَوْلَ أَمْ جَاءهُم مَّا لَمْ يَأْتِ آبَاءهُمُ الْأَوَّلِينَ
Afalam yaddabbaroo alqawla am jaahum ma lam ya/ti abaahumu al-awwaleena
YUSUFALI: Do they not ponder over the Word (of Allah), or has anything (new) come to them that did not come to their fathers of old?
PICKTHAL: Have they not pondered the Word, or hath that come unto them which came not unto their fathers of old?
SHAKIR: Is it then that they do not ponder over what is said, or is it that there has come to them that which did not come to their fathers of old?
KHALIFA: Why do they not reflect upon this scripture? Do they not realize that they have received something never attained by their ancestors?
৬৮। তবে কি ওরা [আল্লাহ্র ] বাণী সম্বন্ধে চিন্তা করে না ? অথবা ,তাদের নিকট কি এমন কিছু [ নূতন ] এসেছে যা তাদের পূর্বপুরুষদের নিকট আসে নাই ? ২৯১৮
২৯১৮। এই আয়াতের মাধ্যমে আল্লাহ্ এক চিরন্তন সত্যকে উত্থাপন করেছেন। একটু গভীরভাবে চিন্তা করলেই সকলেই দেখতে পাবে যে আল্লাহ্র বাণীর মূল বক্তব্য সব যুগে একই আর তা নিবেদিত বিশ্ব মানবের কল্যাণের নিমিত্তে। হযরত আদম থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত আল্লাহ্র প্রচারিত বাণীর কোনও পরিবর্তন ঘটে নাই – কারণ আল্লাহ্র মনোনীত ধর্ম সর্ব যুগেই হচ্ছে “ইসলাম” সকল যুগের জন্য ইসলাম আল্লাহ্র মনোনীত ধর্ম। তা কখনও পুরানো হয় না বা কখনও নূতন হয় না।
আয়াতঃ 023.069
না তারা তাদের রসূলকে চেনে না, ফলে তারা তাঁকে অস্বীকার করে?
Or is it that they did not recognize their Messenger (Muhammad SAW) so they deny him?
أَمْ لَمْ يَعْرِفُوا رَسُولَهُمْ فَهُمْ لَهُ مُنكِرُونَ
Am lam yaAArifoo rasoolahum fahum lahu munkiroona
YUSUFALI: Or do they not recognise their Messenger, that they deny him?
PICKTHAL: Or know they not their messenger, and so reject him?
SHAKIR: Or is it that they have not recognized their Messenger, so that they deny him?
KHALIFA: Have they failed to recognize their messenger? Is this why they are disregarding him?
৬৯। অথবা তারা কি তাদের রসুলকে সনাক্ত করতে পারে নাই বলে তাকে অস্বীকার করে ?
৭০। অথবা তারা বলে , ” সে তো পাগল ? ” না সে তো তাদের জন্য সত্যকে এনেছে। কিন্তু তাদের অধিকাংশই সত্যকে ঘৃণা করে।
৭১। যদি সত্য তাদের কামনা- বাসনার অনুগামী হতো, তবে অবশ্যই আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর এবং উহাদের মধ্যবর্তী সকল কিছুই বিশৃঙ্খল ও দুর্নীতিগ্রস্থ হয়ে পড়তো ২৯১৯। বরং আমি তাদের নিকট উপদেশ পাঠিয়েছি। কিন্তু তারা উপদেশ থেকে মুখ ঘুরিয়ে নেয়।
২৯১৯। আল্লাহ্ মহা-জ্ঞানী ও সকল কল্যাণের অধিশ্বর। পৃথিবীতে যারা জ্ঞানী তারা সারা বিশ্ব -জাহানের সৃষ্টির মাঝে এক সমন্বিত শৃঙ্খলার ঐক্যতান দর্শনে বিমোহিত হয়ে যান। সারা বিশ্ব-ব্রহ্মান্ড স্রষ্টার অমোঘ , সুশৃঙ্খল নিয়মের বন্ধনে আবদ্ধ। একেই আমরা বলে থাকি প্রাকৃতিক আইন। এই আইনকে লংঘন করার শক্তি কারও নাই। আল্লাহ্র পরিকল্পনা স্বয়ং সম্পূর্ণ। যদি আল্লাহ্র অমোঘ আইন অপ্রতিরোধ্য না হয়ে প্রতিরোধ্য হতো, এবং এসব হীন-স্বার্থপরদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হওয়ার সুযোগ থাকতো, তবে পৃথিবী এক ভয়াবহ স্থানে পরিণত হতো। তা হতো দূর্নীতি , দুঃশাসন ও বিশৃঙ্খলাতে পরিপূর্ণ।
আয়াতঃ 023.070
না তারা বলে যে, তিনি পাগল ? বরং তিনি তাদের কাছে সত্য নিয়ে আগমন করেছেন এবং তাদের অধিকাংশ সত্যকে অপছন্দ করে।
Or say they: ”There is madness in him?” Nay, but he brought them the truth [i.e. ”(A) Tauhîd: Worshipping Allâh Alone in all aspects (B) The Qur’ân (C) The religion of Islâm,”] but most of them (the disbelievers) are averse to the truth.
أَمْ يَقُولُونَ بِهِ جِنَّةٌ بَلْ جَاءهُم بِالْحَقِّ وَأَكْثَرُهُمْ لِلْحَقِّ كَارِهُونَ
Am yaqooloona bihi jinnatun bal jaahum bialhaqqi waaktharuhum lilhaqqi karihoona
YUSUFALI: Or do they say, “He is possessed”? Nay, he has brought them the Truth, but most of them hate the Truth.
PICKTHAL: Or say they: There is a madness in him? Nay, but he bringeth them the Truth; and most of them are haters of the Truth.
SHAKIR: Or do they say: There is madness in him? Nay! he has brought them the truth, and most of them are averse from the truth.
KHALIFA: Have they decided that he is crazy? Indeed, he has brought the truth to them, but most of them hate the truth.
৬৯। অথবা তারা কি তাদের রসুলকে সনাক্ত করতে পারে নাই বলে তাকে অস্বীকার করে ?
৭০। অথবা তারা বলে , ” সে তো পাগল ? ” না সে তো তাদের জন্য সত্যকে এনেছে। কিন্তু তাদের অধিকাংশই সত্যকে ঘৃণা করে।
৭১। যদি সত্য তাদের কামনা- বাসনার অনুগামী হতো, তবে অবশ্যই আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর এবং উহাদের মধ্যবর্তী সকল কিছুই বিশৃঙ্খল ও দুর্নীতিগ্রস্থ হয়ে পড়তো ২৯১৯। বরং আমি তাদের নিকট উপদেশ পাঠিয়েছি। কিন্তু তারা উপদেশ থেকে মুখ ঘুরিয়ে নেয়।
২৯১৯। আল্লাহ্ মহা-জ্ঞানী ও সকল কল্যাণের অধিশ্বর। পৃথিবীতে যারা জ্ঞানী তারা সারা বিশ্ব -জাহানের সৃষ্টির মাঝে এক সমন্বিত শৃঙ্খলার ঐক্যতান দর্শনে বিমোহিত হয়ে যান। সারা বিশ্ব-ব্রহ্মান্ড স্রষ্টার অমোঘ , সুশৃঙ্খল নিয়মের বন্ধনে আবদ্ধ। একেই আমরা বলে থাকি প্রাকৃতিক আইন। এই আইনকে লংঘন করার শক্তি কারও নাই। আল্লাহ্র পরিকল্পনা স্বয়ং সম্পূর্ণ। যদি আল্লাহ্র অমোঘ আইন অপ্রতিরোধ্য না হয়ে প্রতিরোধ্য হতো, এবং এসব হীন-স্বার্থপরদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হওয়ার সুযোগ থাকতো, তবে পৃথিবী এক ভয়াবহ স্থানে পরিণত হতো। তা হতো দূর্নীতি , দুঃশাসন ও বিশৃঙ্খলাতে পরিপূর্ণ।
আয়াতঃ 023.071
সত্য যদি তাদের কাছে কামনা-বাসনার অনুসারী হত, তবে নভোমন্ডল ও ভূমন্ডল এবং এগুলোর মধ্যবর্তêী সবকিছুই বিশৃঙ্খল হয়ে পড়ত। বরং আমি তাদেরকে দান করেছি উপদেশ, কিন্তু তারা তাদের উপদেশ অনুধাবন করে না।
And if the truth had been in accordance with their desires, verily, the heavens and the earth, and whosoever is therein would have been corrupted! Nay, We have brought them their reminder, but they turn away from their reminder.
وَلَوِ اتَّبَعَ الْحَقُّ أَهْوَاءهُمْ لَفَسَدَتِ السَّمَاوَاتُ وَالْأَرْضُ وَمَن فِيهِنَّ بَلْ أَتَيْنَاهُم بِذِكْرِهِمْ فَهُمْ عَن ذِكْرِهِم مُّعْرِضُونَ
Walawi ittabaAAa alhaqqu ahwaahum lafasadati alssamawatu waal-ardu waman feehinna bal ataynahum bithikrihim fahum AAan thikrihim muAAridoona
YUSUFALI: If the Truth had been in accord with their desires, truly the heavens and the earth, and all beings therein would have been in confusion and corruption! Nay, We have sent them their admonition, but they turn away from their admonition.
PICKTHAL: And if the Truth had followed their desires, verily the heavens and the earth and whosoever is therein had been corrupted. Nay, We have brought them their Reminder, but from their Reminder they now turn away.
SHAKIR: And should the truth follow their low desires, surely the heavens and the earth and all those who are therein would have perished. Nay! We have brought to them their reminder, but from their reminder they turn aside.
KHALIFA: Indeed, if the truth conformed to their wishes, there would be chaos in the heavens and the earth; everything in them would be corrupted. We have given them their proof, but they are disregarding their proof.
৬৯। অথবা তারা কি তাদের রসুলকে সনাক্ত করতে পারে নাই বলে তাকে অস্বীকার করে ?
৭০। অথবা তারা বলে , ” সে তো পাগল ? ” না সে তো তাদের জন্য সত্যকে এনেছে। কিন্তু তাদের অধিকাংশই সত্যকে ঘৃণা করে।
৭১। যদি সত্য তাদের কামনা- বাসনার অনুগামী হতো, তবে অবশ্যই আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর এবং উহাদের মধ্যবর্তী সকল কিছুই বিশৃঙ্খল ও দুর্নীতিগ্রস্থ হয়ে পড়তো ২৯১৯। বরং আমি তাদের নিকট উপদেশ পাঠিয়েছি। কিন্তু তারা উপদেশ থেকে মুখ ঘুরিয়ে নেয়।
২৯১৯। আল্লাহ্ মহা-জ্ঞানী ও সকল কল্যাণের অধিশ্বর। পৃথিবীতে যারা জ্ঞানী তারা সারা বিশ্ব -জাহানের সৃষ্টির মাঝে এক সমন্বিত শৃঙ্খলার ঐক্যতান দর্শনে বিমোহিত হয়ে যান। সারা বিশ্ব-ব্রহ্মান্ড স্রষ্টার অমোঘ , সুশৃঙ্খল নিয়মের বন্ধনে আবদ্ধ। একেই আমরা বলে থাকি প্রাকৃতিক আইন। এই আইনকে লংঘন করার শক্তি কারও নাই। আল্লাহ্র পরিকল্পনা স্বয়ং সম্পূর্ণ। যদি আল্লাহ্র অমোঘ আইন অপ্রতিরোধ্য না হয়ে প্রতিরোধ্য হতো, এবং এসব হীন-স্বার্থপরদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হওয়ার সুযোগ থাকতো, তবে পৃথিবী এক ভয়াবহ স্থানে পরিণত হতো। তা হতো দূর্নীতি , দুঃশাসন ও বিশৃঙ্খলাতে পরিপূর্ণ।
আয়াতঃ 023.072
না আপনি তাদের কাছে কোন প্রতিদান চান? আপনার পালনকর্তার প্রতিদান উত্তম এবং তিনিই রিযিকদাতা।
Or is it that you (O Muhammad SAW) ask them for some wages? But the recompense of your Lord is better, and He is the Best of those who give sustenance.
أَمْ تَسْأَلُهُمْ خَرْجًا فَخَرَاجُ رَبِّكَ خَيْرٌ وَهُوَ خَيْرُ الرَّازِقِينَ
Am tas-aluhum kharjan fakharaju rabbika khayrun wahuwa khayru alrraziqeena
YUSUFALI: Or is it that thou askest them for some recompense? But the recompense of thy Lord is best: He is the Best of those who give sustenance.
PICKTHAL: Or dost thou ask of them (O Muhammad) any tribute? But the bounty of thy Lord is better, for He is Best of all who make provision.
SHAKIR: Or is it that you ask them a recompense? But the recompense of your Lord is best, and He is the best of those who provide sustenance.
KHALIFA: Are you asking them for a wage? Your Lord’s wage is far better. He is the best Provider.
৭২। অথবা তুমি কি তাদের নিকট প্রতিদান চাও ? কিন্তু তোমার প্রভুর প্রতিদানই শ্রেষ্ঠ। তিনিই শ্রেষ্ঠ জীবনোপকরণ দাতা ২৯২০।
২৯২০। আয়াত [ ২৩ : ৬৮ ] হতে যে প্রশ্ন ধারার আরম্ভ হয়েছে তা শেষ হয়েছে এই আয়াতে। অবিশ্বাসীদের অযৌক্তিক প্রশ্নগুলিকে এ ভাবে প্রকাশ করা হয়েছে ; ১) মানুষের ইতিহাস যতদিনের পুরানো , আল্লাহ্র প্রত্যাদেশও ততদিনের পুরানো তবে কেন তারা তা অনুধাবন করে না [ ২৩ : ৬৮ ]। ২) তারা তাদের রসুলকে সত্যবাদী ও পূণ্যাত্মারূপে চেনে।তবে কেন তারা তার প্রচারিত সত্যকে অস্বীকার করে [ ২৩ : ৬৯ ] ৩) সত্যকে প্রচার করা কি উন্মত্ততার লক্ষণ যে তারা তাঁকে উম্মাদ বলে [ ২৩ : ৭০] ? ৪) রসুল [সা] কি সত্য প্রচারের বিনিময়ে কোনও পার্থিব পারিশ্রমিক দাবী করেন [২৩ : ৭২]। তবে কেন তারা সত্য বিমুখ। সত্যকে গ্রহণ করে না?
And certainly, you (O Muhammad SAW) call them to a Straight Path (true religion Islâmic Monotheism).وَإِنَّكَ لَتَدْعُوهُمْ إِلَى صِرَاطٍ مُّسْتَقِيمٍ
Wa-innaka latadAAoohum ila siratin mustaqeemin
YUSUFALI: But verily thou callest them to the Straight Way;
PICKTHAL: And lo! thou summonest them indeed unto a straight path.
SHAKIR: And most surely you invite them to a right way.
KHALIFA: Most assuredly, you are inviting them to a straight path.৭৩। কিন্তু তুমি তো তাদের সরল পথে আহ্বান কর।৭৪। যারা পরলোকের জীবনে বিশ্বাসী নয়, অবশ্যই তারা সে [ সরল ] পথ থেকে বিচ্যুত হবে।
৭৫। আমি যদি তাদের দয়া করি এবং তাদের দুঃখ – দুর্দ্দশা দূর করে দিই , তথাপি তারা একগুয়ে ভাবে অবাধ্য হয়ে উদ্ভ্রান্তের ন্যায় ঘুরে বেড়াবে ২৯২১।
২৯২১। এই আয়াতে যে “দুঃখ -দুর্দ্দশার” উল্লেখ আছে তা ছিলো সমসাময়িক দুর্ভিক্ষবস্থা। মক্কার কোরেশরা এই দুর্ভিক্ষের জন্য রসুলুল্লাহ্র [ সা] সত্য ধর্ম প্রচারকে দায়ী করতো। তাদের ধারণা হয়েছিলো যে তাদের দেবদেবীকে পরিত্যাগ করে এক আল্লাহ্র উপাসনার কথা প্রচার করাতে দেবদেবীর ক্রোধের পরিণতিই হচ্ছে মক্কাতে দুর্ভিক্ষ। এই সূরাটি মক্কী সূরা। এই দুর্ভিক্ষের বর্ণনা করেছেন ইব্নে কাতির [ Kathir ] যা রসুলুল্লাহ্র [ সা ] নবুয়ত প্রাপ্তির অষ্টম বর্ষে সংঘটিত হয়। হিজরতের প্রায় চার বৎসর পূর্বের ঘটনা এটি। হিজরতের পরেও মক্কাতে দুর্ভিক্ষ হয় যা বুখারীতে উল্লেখ আছে – তার পরবর্তী ঘটনা।
আয়াতঃ 023.074
আর যারা পরকালে বিশ্বাস করে না, তারা সোজা পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে গেছে।
And verily, those who believe not in the Hereafter are indeed deviating far astray from the Path (true religion Islâmic Monotheism).
وَإِنَّ الَّذِينَ لَا يُؤْمِنُونَ بِالْآخِرَةِ عَنِ الصِّرَاطِ لَنَاكِبُونَ
Wa-inna allatheena la yu/minoona bial-akhirati AAani alssirati lanakiboona
YUSUFALI: And verily those who believe not in the Hereafter are deviating from that Way.
PICKTHAL: And lo! those who believe not in the Hereafter are indeed astray from the path.
SHAKIR: And most surely those who do not believe in the hereafter are deviating from the way.
KHALIFA: Those who disbelieve in the Hereafter will surely deviate from the right path.
৭৩। কিন্তু তুমি তো তাদের সরল পথে আহ্বান কর।
৭৪। যারা পরলোকের জীবনে বিশ্বাসী নয়, অবশ্যই তারা সে [ সরল ] পথ থেকে বিচ্যুত হবে।
৭৫। আমি যদি তাদের দয়া করি এবং তাদের দুঃখ – দুর্দ্দশা দূর করে দিই , তথাপি তারা একগুয়ে ভাবে অবাধ্য হয়ে উদ্ভ্রান্তের ন্যায় ঘুরে বেড়াবে ২৯২১।
২৯২১। এই আয়াতে যে “দুঃখ -দুর্দ্দশার” উল্লেখ আছে তা ছিলো সমসাময়িক দুর্ভিক্ষবস্থা। মক্কার কোরেশরা এই দুর্ভিক্ষের জন্য রসুলুল্লাহ্র [ সা] সত্য ধর্ম প্রচারকে দায়ী করতো। তাদের ধারণা হয়েছিলো যে তাদের দেবদেবীকে পরিত্যাগ করে এক আল্লাহ্র উপাসনার কথা প্রচার করাতে দেবদেবীর ক্রোধের পরিণতিই হচ্ছে মক্কাতে দুর্ভিক্ষ। এই সূরাটি মক্কী সূরা। এই দুর্ভিক্ষের বর্ণনা করেছেন ইব্নে কাতির [ Kathir ] যা রসুলুল্লাহ্র [ সা ] নবুয়ত প্রাপ্তির অষ্টম বর্ষে সংঘটিত হয়। হিজরতের প্রায় চার বৎসর পূর্বের ঘটনা এটি। হিজরতের পরেও মক্কাতে দুর্ভিক্ষ হয় যা বুখারীতে উল্লেখ আছে – তার পরবর্তী ঘটনা।
আয়াতঃ 023.075
যদি আমি তাদের প্রতি দয়া করি এবং তাদের কষ্ট দূর করে দেই, তবুও তারা তাদের অবাধ্যতায় দিশেহারা হয়ে লেগে থাকবে।
And though We had mercy on them and removed the distress which is on them, still they would obstinately persist in their transgression, wandering blindly.
وَلَوْ رَحِمْنَاهُمْ وَكَشَفْنَا مَا بِهِم مِّن ضُرٍّ لَّلَجُّوا فِي طُغْيَانِهِمْ يَعْمَهُونَ
Walaw rahimnahum wakashafna ma bihim min durrin lalajjoo fee tughyanihim yaAAmahoona
YUSUFALI: If We had mercy on them and removed the distress which is on them, they would obstinately persist in their transgression, wandering in distraction to and fro.
PICKTHAL: Though We had mercy on them and relieved them of the harm afflicting them, they still would wander blindly on in their contumacy.
SHAKIR: And if We show mercy to them and remove the distress they have, they would persist in their inordinacy, blindly wandering on.
KHALIFA: Even when we showered them with mercy, and relieved their problems, they plunged deeper into transgression, and continued to blunder.
৭৩। কিন্তু তুমি তো তাদের সরল পথে আহ্বান কর।
৭৪। যারা পরলোকের জীবনে বিশ্বাসী নয়, অবশ্যই তারা সে [ সরল ] পথ থেকে বিচ্যুত হবে।
৭৫। আমি যদি তাদের দয়া করি এবং তাদের দুঃখ – দুর্দ্দশা দূর করে দিই , তথাপি তারা একগুয়ে ভাবে অবাধ্য হয়ে উদ্ভ্রান্তের ন্যায় ঘুরে বেড়াবে ২৯২১।
২৯২১। এই আয়াতে যে “দুঃখ -দুর্দ্দশার” উল্লেখ আছে তা ছিলো সমসাময়িক দুর্ভিক্ষবস্থা। মক্কার কোরেশরা এই দুর্ভিক্ষের জন্য রসুলুল্লাহ্র [ সা] সত্য ধর্ম প্রচারকে দায়ী করতো। তাদের ধারণা হয়েছিলো যে তাদের দেবদেবীকে পরিত্যাগ করে এক আল্লাহ্র উপাসনার কথা প্রচার করাতে দেবদেবীর ক্রোধের পরিণতিই হচ্ছে মক্কাতে দুর্ভিক্ষ। এই সূরাটি মক্কী সূরা। এই দুর্ভিক্ষের বর্ণনা করেছেন ইব্নে কাতির [ Kathir ] যা রসুলুল্লাহ্র [ সা ] নবুয়ত প্রাপ্তির অষ্টম বর্ষে সংঘটিত হয়। হিজরতের প্রায় চার বৎসর পূর্বের ঘটনা এটি। হিজরতের পরেও মক্কাতে দুর্ভিক্ষ হয় যা বুখারীতে উল্লেখ আছে – তার পরবর্তী ঘটনা।
আয়াতঃ 023.076
আমি তাদেরকে শাস্তি দ্বারা পাকড়াও করেছিলাম, কিন্তু তারা তাদের পালনকর্তার সামনে নত হল না এবং কাকুতি-মিনুতিও করল না।
And indeed We seized them with punishment, but they humbled not themselves to their Lord, nor did they invoke (Allâh) with submission to Him.
وَلَقَدْ أَخَذْنَاهُم بِالْعَذَابِ فَمَا اسْتَكَانُوا لِرَبِّهِمْ وَمَا يَتَضَرَّعُونَ
Walaqad akhathnahum bialAAathabi fama istakanoo lirabbihim wama yatadarraAAoona
YUSUFALI: We inflicted Punishment on them, but they humbled not themselves to their Lord, nor do they submissively entreat (Him)!-
PICKTHAL: Already have We grasped them with punishment, but they humble not themselves unto their Lord, nor do they pray,
SHAKIR: And already We overtook them with chastisement, but they were not submissive to their Lord, nor do they humble themselves.
KHALIFA: Even when we afflicted them with retribution, they never turned to their Lord imploring.
৭৬। আমি তাদের শাস্তি প্রয়োগ করি , কিন্তু [ তবুও ] তারা তাদের প্রভুর নিকট বিনয়ী হয় না ; বা অনুগত হয়ে প্রার্থনা করে না ২৯২২ –
২৯২২। কোনও কোনও তফসীরকারের মতে এই আয়াতটিতে বদরের যুদ্ধকে বোঝানো হয়েছে। তাই যদি হয় তবে এই আয়াতটি মদিনাতে অবতীর্ণ। তবে এটাই বেশী অনুধাবনযোগ্য হয় , যদি এই আয়াতের শাস্তিকে পূর্ববর্তী আয়াতের সাথে সমন্বিত করা হয়। অথবা আল্লাহ্র শাস্তিকে কোনও নির্দিষ্ট ঘটনার সাথে সমন্বিত না করে তাকে সার্বজনীন করাই বেশী সমাচীন। অবাধ্য পাপীরা যখন পুনঃ পুনঃ হেদায়েত সত্বেও সত্যের বাণী থেকে মুখ ফিরিয়ে রাখে , সত্যকে গ্রহণে অস্বীকৃতি জানায় অনুতাপের মাধ্যমে সংশোধন থেকে বিরত থাকে – তখনই আল্লাহ্র শাস্তি তাদের ঘিরে ধরে। এই সার্বজনীন সত্যকে উপরের আয়াতের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে এ ভাবেও এর ব্যাখ্যা দেয়া যেতে পারে।
আয়াতঃ 023.077
অবশেষে যখন আমি তাদের জন্য কঠিন শাস্তির দ্বার খুলে দেব, তখন তাতে তাদের আশা ভঙ্গ হবে।
Until, when We open for them the gate of severe punishment, then lo! They will be plunged into destruction with deep regrets, sorrows and in despair.
حَتَّى إِذَا فَتَحْنَا عَلَيْهِم بَابًا ذَا عَذَابٍ شَدِيدٍ إِذَا هُمْ فِيهِ مُبْلِسُونَ
Hatta itha fatahna AAalayhim baban tha AAathabin shadeedin itha hum feehi mublisoona
YUSUFALI: Until We open on them a gate leading to a severe Punishment: then Lo! they will be plunged in despair therein!
PICKTHAL: Until, when We open for them the gate of extreme punishment, behold! they are aghast thereat.
SHAKIR: Until when We open upon them a door of severe chastisement, lo! they are in despair at it.
KHALIFA: Subsequently, when we requited them with the severe retribution they had incurred, they were shocked.
৭৭। যতক্ষণ না আমি তাদের সম্মুখে ভয়াবহ শাস্তির দ্বার উম্মুক্ত করি। দেখো ! তারা তখন হতাশার মাঝে নিমজ্জিত হয় ২৯২৩।
২৯২৩। দেখুন [ ৬ : ৪৪ ] আয়াত। আল্লাহ্ মানুষকে দুঃখ-বিপদ ও বিপর্যয়ের পরীক্ষার মাধ্যমে বান্দাকে তাঁর রাস্তায় ফিরিয়ে আনার প্রয়াস পান। দুঃখ বিপর্যয় পূণ্যাত্মাদের সাহস, ধৈর্য্য, অধ্যাবসায়, ও মনোবল বৃদ্ধি করে , কারণ সর্ব দুঃখ বিপর্যয়ে তাঁরা আল্লাহ্র উপরে নির্ভরশীল। আর সর্বশক্তিমান আল্লাহ্ অপেক্ষা বড় রক্ষাকারী আর কে আছে ? অপরপক্ষে দুঃখ বিপর্যয় পাপীদের হতাশায় নিক্ষিপ্ত করে। পরলোকে যখন তারা তাদের বিচারের রায় পেয়ে যাবে তখন প্রচন্ড হতাশা তাদের ঘিরে ধরবে কারণ তখন আর অনুতাপের মাধ্যমে সংশোধনের কোনও সময় থাকবে না।
আয়াতঃ 023.078
তিনি তোমাদের কান, চোখ ও অন্তঃকরণ সৃষ্টি করেছেন; তোমরা খুবই অল্প কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে থাক।
It is He, Who has created for you (the sense of) hearing (ears), sight (eyes), and hearts (understanding). Little thanks you give.
وَهُوَ الَّذِي أَنشَأَ لَكُمُ السَّمْعَ وَالْأَبْصَارَ وَالْأَفْئِدَةَ قَلِيلًا مَّا تَشْكُرُونَ
Wahuwa allathee anshaa lakumu alssamAAa waal-absara waal-af-idata qaleelan ma tashkuroona
YUSUFALI: It is He Who has created for you (the faculties of) hearing, sight, feeling and understanding: little thanks it is ye give!
PICKTHAL: He it is Who hath created for you ears and eyes and hearts. Small thanks give ye!
SHAKIR: And He it is Who made for you the ears and the eyes and the hearts; little is it that you give thanks.
KHALIFA: He is the One who granted you the hearing, the eyesight, and the brains. Rarely are you appreciative.
রুকু – ৫
৭৮। তিনিই তোমাদের জন্য শ্রবণের, দৃষ্টির, [অন্তরের] অনুভূতির এবং অনুধাবনের [ ক্ষমতার ] সৃষ্টি করেছেন ২৯২৪। [ এ জন্য ] তোমরা খুব কমই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে থাক।
২৯২৪। অন্যান্য আয়াতে “অন্তঃকরণ ” বা ” হৃদয়” শব্দটি আরবীতে বুদ্ধি ও অনুভবের আঁধারকে বোঝানো হয়েছে, যেখান থেকে হৃদয় বৃত্তি বা অনুভব এবং বুদ্ধিমত্তার জন্ম হয়। চক্ষু , কর্ণ অর্থাৎ ইন্দ্রিয় যার মাধ্যমে মানুষ এই চেনা জানা পৃথিবীর জ্ঞান অর্জন করে এবং হৃদয়ের মাধ্যমে এই জ্ঞানকে পরিশ্রুত করে বিচার বিবেচনার মাধ্যমে আত্মার মাঝে বিবেক , বিচারবুদ্ধি ও মহত্বের জন্ম দান করে। আর এ সব কিছুই পরম করুণাময়েরই দান। অর্থাৎ ইন্দ্রিয়গাহ্য সকল জ্ঞানের উৎস আল্লাহ্। ব্যক্তির মেধা , মননশক্তি , বুদ্ধিমত্তা,সৃজনক্ষমতা সবই আল্লাহ্র পক্ষ থেকে বান্দার জন্য দান বা নেয়ামত। এ সকলের জন্য বান্দার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা উচিত। আর কৃতজ্ঞতা জানাবার ভাষা হচ্ছে আল্লাহ্র দেয়া নেয়ামতকে আল্লাহ্র রাস্তায় খরচ করা। আল্লাহ্র রাস্তা অর্থাৎ তার সৃষ্টির সেবার জন্য খরচ করা। কিন্তু এ সব অবিশ্বাসীরা কৃতজ্ঞতা জানানোর পরিবর্তে আল্লাহ্র সার্বভৌমত্বের প্রশ্ন করে এবং আল্লাহ্র নিন্দাতে লিপ্ত হয়।
আয়াতঃ 023.079
তিনিই তোমাদেরকে পৃথিবীতে ছড়িয়ে রেখেছেন এবং তারই দিকে তোমাদেরকে সমবেত করা হবে।
And it is He Who has created you on the earth, and to Him you shall be gathered back.
وَهُوَ الَّذِي ذَرَأَكُمْ فِي الْأَرْضِ وَإِلَيْهِ تُحْشَرُونَ
Wahuwa allathee tharaakum fee al-ardi wa-ilayhi tuhsharoona
YUSUFALI: And He has multiplied you through the earth, and to Him shall ye be gathered back.
PICKTHAL: And He it is Who hath sown you broadcast in the earth, and unto Him ye will be gathered.
SHAKIR: And He it is Who multiplied you in the earth, and to Him you shall be gathered.
KHALIFA: He is the One who established you on earth, and before Him you will be summoned.
৭৯। তিনি পৃথিবীর বুকে তোমাদের [বংশ ] বৃদ্ধি করেছেন , এবং তোমাদের তারই নিকট একত্রিত করা হবে।
৮০। তিনিই জীবন দান করেন এবং মৃত্যু ঘটান। তাঁরই অধিকারে রাত্রি ও দিবসের পরিবর্তন। তবুও কি তোমরা বুঝবে না ? ২৯২৫
২৯২৫। “দিবা ও রাত্রির পরিবর্তন ” বাক্যটি দ্বারা সৃষ্টির জন্য আল্লাহ্র কল্যাণকর পরিকল্পনাকে বোঝানো হয়েছে। প্রকৃতির প্রতিটি জিনিষ, প্রাকৃতিক নিয়ম কানুন সবই বিশ্ব স্রষ্টা সৃষ্টি করেছেন মানুষের শারিরীক , মানসিক ও আধ্যাত্মিক সমৃদ্ধির জন্য।
আয়াতঃ 023.080
তিনিই প্রাণ দান করেন এবং মৃত্যু ঘটান এবং দিবা-রাত্রির বিবর্তন তাঁরই কাজ, তবু ও কি তোমরা বুঝবে না?
And it is He Who gives life and causes death, and His is the alternation of night and day. Will you not then understand?
وَهُوَ الَّذِي يُحْيِي وَيُمِيتُ وَلَهُ اخْتِلَافُ اللَّيْلِ وَالنَّهَارِ أَفَلَا تَعْقِلُونَ
Wahuwa allathee yuhyee wayumeetu walahu ikhtilafu allayli waalnnahari afala taAAqiloona
YUSUFALI: It is He Who gives life and death, and to Him (is due) the alternation of Night and Day: will ye not then understand?
PICKTHAL: And He it is Who giveth life and causeth death, and His is the difference of night and day. Have ye then no sense?
SHAKIR: And He it is Who gives life and causes death, and (in) His (control) is the alternation of the night and the day; do you not then understand?
KHALIFA: He is the One who controls life and death, and He is the One who alternates the night and day. Do you not understand?
৭৯। তিনি পৃথিবীর বুকে তোমাদের [বংশ ] বৃদ্ধি করেছেন , এবং তোমাদের তারই নিকট একত্রিত করা হবে।
৮০। তিনিই জীবন দান করেন এবং মৃত্যু ঘটান। তাঁরই অধিকারে রাত্রি ও দিবসের পরিবর্তন। তবুও কি তোমরা বুঝবে না ? ২৯২৫
২৯২৫। “দিবা ও রাত্রির পরিবর্তন ” বাক্যটি দ্বারা সৃষ্টির জন্য আল্লাহ্র কল্যাণকর পরিকল্পনাকে বোঝানো হয়েছে। প্রকৃতির প্রতিটি জিনিষ, প্রাকৃতিক নিয়ম কানুন সবই বিশ্ব স্রষ্টা সৃষ্টি করেছেন মানুষের শারিরীক , মানসিক ও আধ্যাত্মিক সমৃদ্ধির জন্য।
আয়াতঃ 023.081
বরং তারা বলে যেমন তাদের পূর্ববর্তীরা বলত।
Nay, but they say the like of what the men of old said.
بَلْ قَالُوا مِثْلَ مَا قَالَ الْأَوَّلُونَ
Bal qaloo mithla ma qala al-awwaloona
YUSUFALI: On the contrary they say things similar to what the ancients said.
PICKTHAL: Nay, but they say the like of that which said the men of old;
SHAKIR: Nay, they say the like of what the ancients said:
KHALIFA: They said what their ancestors said.
৮১। এতদ্সত্বেও তারা বলে , যেমন বলেছিলো পূর্ববর্তীগণ ২৯২৬।
২৯২৬। মানুসের স্বভাব ধর্মকে এখানে তুলে ধরা হয়েছে। নূতন যুগের আগমনে নবীনদের সর্বদা দেখা যায় যে তারা পুরাতনদের সব কিছুই ত্যাগ করতে আগ্রহী। কিন্তু রসুলের [ সা ] আগমনে তারা যখন সম্পূর্ণ প্রত্যাদেশ লাভ করলো – সেক্ষেত্রে তাদের উচিত ছিলো সেই নূতন প্রত্যাদেশ গ্রহণ করা। কিন্তু তারা তা গ্রহণ করার পরিবর্তে পূর্বের অধিবাসী, যারা গত হয়েছেন তাদের, মত , পথ ও অবিশ্বাস আঁকড়ে ধরে। আসলে “দুরাত্মার ছলের অভাব হয় না” এই প্রবাদ বাক্যটি যর্থাথই মনুষ্য চরিত্রকে উন্মোচন করেছে।
আয়াতঃ 023.082
তারা বলেঃ যখন আমরা মরে যাব এবং মৃত্তিকা ও অস্থিতে পরিণত হব, তখনও কি আমরা পুনরুত্থিত হব ?
They said: ”When we are dead and have become dust and bones, shall we be resurrected indeed?
قَالُوا أَئِذَا مِتْنَا وَكُنَّا تُرَابًا وَعِظَامًا أَئِنَّا لَمَبْعُوثُونَ
Qaloo a-itha mitna wakunna turaban waAAithaman a-inna lamabAAoothoona
YUSUFALI: They say: “What! when we die and become dust and bones, could we really be raised up again?
PICKTHAL: They say: When we are dead and have become (mere) dust and bones, shall we then, forsooth, be raised again?
SHAKIR: They say: What! When we are dead and become dust and bones, shall we then be raised?
KHALIFA: They said, “After we die and become dust and bones, we get resurrected?
৮২। তারা বলে , ” কি ! যখন আমাদের মৃত্যু হবে এবং আমরা মাটি এবং অস্থিতে পরিণত হব, সত্যিই কি তখন আমাদের পুনরায় উত্থিত করা হবে ?
৮৩। ” আমাদের এরূপ প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে এবং অতীতে আমাদের পূর্ব পুরুষদেরও। এগুলি তো প্রাচীন কালের কাহিনী ছাড়া অন্য কিছু নয়। ”
৮৪। বল : ” এই পৃথিবী এবং এতে যা আছে তা কার অধিকারে ? যদি তোমরা জান [ তবে বল ]। ”
৮৫। তারা বলবে : ” আল্লাহ্র। ” বল : ” তবুও কি তোমরা সর্তক বাণী গ্রহণ করবে না ২৯২৭। ”
২৯২৭। যারা পরলোকের জীবনে অবিশ্বাসী , তাদের এই আয়াতের মাধ্যমে চারিদিকের পৃথিবীতে দৃষ্টিপাত করতে বল হয়েছে। এই পৃথিবী ও পৃথিবীর সকল কিছু এবং বিশাল বিশ্ব-ভূবন অমোঘ প্রাকৃতিক নিয়মে পরিচালিত। কে তাদের জন্য এই নিয়মের সৃষ্টি করলো ? এ সব জড় ও জীব পদার্থ অবশ্যই তাদের নিজস্ব ধর্মের প্রচলন নিজে নিজে করে নাই। বাইরে থেকে কোন এক শক্তি তাদের নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন। প্রকৃতির এসব অমোঘ শক্তির দিকে এসব অবিশ্বাসীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে এরা এই শক্তির উৎস – আল্লাহ্ বলে স্বীকার করে। দৃষ্টিকে আর একটু প্রসারিত করলে বিশাল নভোমন্ডলের দিকে আমাদের দৃষ্টি আকর্ষিত হয়। অসীম আকাশ আমাদের দৃষ্টিসীমার বাইরে বহুদূর পর্যন্ত বিস্তৃত ; যার শেষ কোথায় বর্তমান বিজ্ঞান তা বলতে পারে না। কাছের আকাশের অপরূপ সৌন্দর্য আমাদের মুগ্ধ করে। কে এই সৌন্দর্যকে সৃষ্টি করেন? মহা বিশ্ব ভূবনের নিয়ন্ত্রণের পিছনে যে শক্তি কাজ করে, এসব অবিশ্বাসীদের তার দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে এবং বিশাল মহা বিশ্ব ভূবনের তুলনায় নিজেদের ক্ষুদ্রতাকে অনুধাবন করতে বলা হয়েছে।
আয়াতঃ 023.083
অতীতে আমাদেরকে এবং আমাদের পিতৃপুরুষদেরকে এই ওয়াদাই দেয়া হয়েছে। এটা তো পূর্ববতীদের কল্প-কথা বৈ কিছুই নয়।
”Verily, this we have been promised, we and our fathers before (us)! This is only the tales of the ancients!”
لَقَدْ وُعِدْنَا نَحْنُ وَآبَاؤُنَا هَذَا مِن قَبْلُ إِنْ هَذَا إِلَّا أَسَاطِيرُ الْأَوَّلِينَ
Laqad wuAAidna nahnu waabaona hatha min qablu in hatha illa asateeru al-awwaleena
YUSUFALI: “Such things have been promised to us and to our fathers before! they are nothing but tales of the ancients!”
PICKTHAL: We were already promised this, we and our forefathers. Lo! this is naught but fables of the men of old.
SHAKIR: Certainly we are promised this, and (so were) our fathers aforetime; this is naught but stories of those of old.
KHALIFA: “Such promises were given to us and to our parents in the past. These are no more than tales from the past.”
৮২। তারা বলে , ” কি ! যখন আমাদের মৃত্যু হবে এবং আমরা মাটি এবং অস্থিতে পরিণত হব, সত্যিই কি তখন আমাদের পুনরায় উত্থিত করা হবে ?
৮৩। ” আমাদের এরূপ প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে এবং অতীতে আমাদের পূর্ব পুরুষদেরও। এগুলি তো প্রাচীন কালের কাহিনী ছাড়া অন্য কিছু নয়। ”
৮৪। বল : ” এই পৃথিবী এবং এতে যা আছে তা কার অধিকারে ? যদি তোমরা জান [ তবে বল ]। ”
৮৫। তারা বলবে : ” আল্লাহ্র। ” বল : ” তবুও কি তোমরা সর্তক বাণী গ্রহণ করবে না ২৯২৭। ”
২৯২৭। যারা পরলোকের জীবনে অবিশ্বাসী , তাদের এই আয়াতের মাধ্যমে চারিদিকের পৃথিবীতে দৃষ্টিপাত করতে বল হয়েছে। এই পৃথিবী ও পৃথিবীর সকল কিছু এবং বিশাল বিশ্ব-ভূবন অমোঘ প্রাকৃতিক নিয়মে পরিচালিত। কে তাদের জন্য এই নিয়মের সৃষ্টি করলো ? এ সব জড় ও জীব পদার্থ অবশ্যই তাদের নিজস্ব ধর্মের প্রচলন নিজে নিজে করে নাই। বাইরে থেকে কোন এক শক্তি তাদের নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন। প্রকৃতির এসব অমোঘ শক্তির দিকে এসব অবিশ্বাসীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে এরা এই শক্তির উৎস – আল্লাহ্ বলে স্বীকার করে। দৃষ্টিকে আর একটু প্রসারিত করলে বিশাল নভোমন্ডলের দিকে আমাদের দৃষ্টি আকর্ষিত হয়। অসীম আকাশ আমাদের দৃষ্টিসীমার বাইরে বহুদূর পর্যন্ত বিস্তৃত ; যার শেষ কোথায় বর্তমান বিজ্ঞান তা বলতে পারে না। কাছের আকাশের অপরূপ সৌন্দর্য আমাদের মুগ্ধ করে। কে এই সৌন্দর্যকে সৃষ্টি করেন? মহা বিশ্ব ভূবনের নিয়ন্ত্রণের পিছনে যে শক্তি কাজ করে, এসব অবিশ্বাসীদের তার দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে এবং বিশাল মহা বিশ্ব ভূবনের তুলনায় নিজেদের ক্ষুদ্রতাকে অনুধাবন করতে বলা হয়েছে।
আয়াতঃ 023.084
বলুন পৃথিবী এবং পৃথিবীতে যারা আছে, তারা কার? যদি তোমরা জান, তবে বল।
Say: ”Whose is the earth and whosoever is therein? If you know!”
قُل لِّمَنِ الْأَرْضُ وَمَن فِيهَا إِن كُنتُمْ تَعْلَمُونَ
Qul limani al-ardu waman feeha in kuntum taAAlamoona
YUSUFALI: Say: “To whom belong the earth and all beings therein? (say) if ye know!”
PICKTHAL: Say: Unto Whom (belongeth) the earth and whosoever is therein, if ye have knowledge?
SHAKIR: Say: Whose is the earth, and whoever is therein, if you know?
KHALIFA: Say, “To whom belongs the earth and everyone on it, if you know?”
৮২। তারা বলে , ” কি ! যখন আমাদের মৃত্যু হবে এবং আমরা মাটি এবং অস্থিতে পরিণত হব, সত্যিই কি তখন আমাদের পুনরায় উত্থিত করা হবে ?
৮৩। ” আমাদের এরূপ প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে এবং অতীতে আমাদের পূর্ব পুরুষদেরও। এগুলি তো প্রাচীন কালের কাহিনী ছাড়া অন্য কিছু নয়। ”
৮৪। বল : ” এই পৃথিবী এবং এতে যা আছে তা কার অধিকারে ? যদি তোমরা জান [ তবে বল ]। ”
৮৫। তারা বলবে : ” আল্লাহ্র। ” বল : ” তবুও কি তোমরা সর্তক বাণী গ্রহণ করবে না ২৯২৭। ”
২৯২৭। যারা পরলোকের জীবনে অবিশ্বাসী , তাদের এই আয়াতের মাধ্যমে চারিদিকের পৃথিবীতে দৃষ্টিপাত করতে বল হয়েছে। এই পৃথিবী ও পৃথিবীর সকল কিছু এবং বিশাল বিশ্ব-ভূবন অমোঘ প্রাকৃতিক নিয়মে পরিচালিত। কে তাদের জন্য এই নিয়মের সৃষ্টি করলো ? এ সব জড় ও জীব পদার্থ অবশ্যই তাদের নিজস্ব ধর্মের প্রচলন নিজে নিজে করে নাই। বাইরে থেকে কোন এক শক্তি তাদের নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন। প্রকৃতির এসব অমোঘ শক্তির দিকে এসব অবিশ্বাসীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে এরা এই শক্তির উৎস – আল্লাহ্ বলে স্বীকার করে। দৃষ্টিকে আর একটু প্রসারিত করলে বিশাল নভোমন্ডলের দিকে আমাদের দৃষ্টি আকর্ষিত হয়। অসীম আকাশ আমাদের দৃষ্টিসীমার বাইরে বহুদূর পর্যন্ত বিস্তৃত ; যার শেষ কোথায় বর্তমান বিজ্ঞান তা বলতে পারে না। কাছের আকাশের অপরূপ সৌন্দর্য আমাদের মুগ্ধ করে। কে এই সৌন্দর্যকে সৃষ্টি করেন? মহা বিশ্ব ভূবনের নিয়ন্ত্রণের পিছনে যে শক্তি কাজ করে, এসব অবিশ্বাসীদের তার দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে এবং বিশাল মহা বিশ্ব ভূবনের তুলনায় নিজেদের ক্ষুদ্রতাকে অনুধাবন করতে বলা হয়েছে।
আয়াতঃ 023.085
এখন তারা বলবেঃ সবই আল্লাহর। বলুন, তবুও কি তোমরা চিন্তা কর না?
They will say: ”It is Allâh’s!” Say: ”Will you not then remember?”
سَيَقُولُونَ لِلَّهِ قُلْ أَفَلَا تَذَكَّرُونَ
Sayaqooloona lillahi qul afala tathakkaroona
YUSUFALI: They will say, “To Allah!” say: “Yet will ye not receive admonition?” PICKTHAL: They will say: Unto Allah. Say: Will ye not then remember?
SHAKIR: They will say: Allah’s. Say: Will you not then mind?
KHALIFA: They will say, “To GOD.” Say, “Why then do you not take heed?”
৮২। তারা বলে , ” কি ! যখন আমাদের মৃত্যু হবে এবং আমরা মাটি এবং অস্থিতে পরিণত হব, সত্যিই কি তখন আমাদের পুনরায় উত্থিত করা হবে ?
৮৩। ” আমাদের এরূপ প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে এবং অতীতে আমাদের পূর্ব পুরুষদেরও। এগুলি তো প্রাচীন কালের কাহিনী ছাড়া অন্য কিছু নয়। ”
৮৪। বল : ” এই পৃথিবী এবং এতে যা আছে তা কার অধিকারে ? যদি তোমরা জান [ তবে বল ]। ”
৮৫। তারা বলবে : ” আল্লাহ্র। ” বল : ” তবুও কি তোমরা সর্তক বাণী গ্রহণ করবে না ২৯২৭। ”
২৯২৭। যারা পরলোকের জীবনে অবিশ্বাসী , তাদের এই আয়াতের মাধ্যমে চারিদিকের পৃথিবীতে দৃষ্টিপাত করতে বল হয়েছে। এই পৃথিবী ও পৃথিবীর সকল কিছু এবং বিশাল বিশ্ব-ভূবন অমোঘ প্রাকৃতিক নিয়মে পরিচালিত। কে তাদের জন্য এই নিয়মের সৃষ্টি করলো ? এ সব জড় ও জীব পদার্থ অবশ্যই তাদের নিজস্ব ধর্মের প্রচলন নিজে নিজে করে নাই। বাইরে থেকে কোন এক শক্তি তাদের নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন। প্রকৃতির এসব অমোঘ শক্তির দিকে এসব অবিশ্বাসীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে এরা এই শক্তির উৎস – আল্লাহ্ বলে স্বীকার করে। দৃষ্টিকে আর একটু প্রসারিত করলে বিশাল নভোমন্ডলের দিকে আমাদের দৃষ্টি আকর্ষিত হয়। অসীম আকাশ আমাদের দৃষ্টিসীমার বাইরে বহুদূর পর্যন্ত বিস্তৃত ; যার শেষ কোথায় বর্তমান বিজ্ঞান তা বলতে পারে না। কাছের আকাশের অপরূপ সৌন্দর্য আমাদের মুগ্ধ করে। কে এই সৌন্দর্যকে সৃষ্টি করেন? মহা বিশ্ব ভূবনের নিয়ন্ত্রণের পিছনে যে শক্তি কাজ করে, এসব অবিশ্বাসীদের তার দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে এবং বিশাল মহা বিশ্ব ভূবনের তুলনায় নিজেদের ক্ষুদ্রতাকে অনুধাবন করতে বলা হয়েছে।
আয়াতঃ 023.086
বলুনঃ সপ্তাকাশ ও মহা-আরশের মালিক কে?
Say: ”Who is (the) Lord of the seven heavens, and (the) Lord of the Great Throne?”
قُلْ مَن رَّبُّ السَّمَاوَاتِ السَّبْعِ وَرَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ
Qul man rabbu alssamawati alssabAAi warabbu alAAarshi alAAatheemi
YUSUFALI: Say: “Who is the Lord of the seven heavens, and the Lord of the Throne (of Glory) Supreme?”
PICKTHAL: Say: Who is Lord of the seven heavens, and Lord of the Tremendous Throne?
SHAKIR: Say: Who is the Lord of the seven heavens and the Lord of the mighty dominion?
KHALIFA: Say, “Who is the Lord of the seven universes; the Lord of the great dominion?”
৮৬। বল : ” কে সপ্ত আকাশ এবং [ গৌরবের ] সর্বোচ্চ সিংহাসনের প্রভু ২৯২৮ ? ”
২৯২৮। দেখুন আয়াত [ ৯ : ১২৯ ]।
আয়াতঃ 023.087
এখন তারা বলবেঃ আল্লাহ। বলুন, তবুও কি তোমরা ভয় করবে না?
They will say: ”Allâh.” Say: ”Will you not then fear Allâh (believe in His Oneness, obey Him, believe in the Resurrection and Recompense for each and every good or bad deed).”
سَيَقُولُونَ لِلَّهِ قُلْ أَفَلَا تَتَّقُونَ
Sayaqooloona lillahi qul afala tattaqoona
YUSUFALI: They will say, “(They belong) to Allah.” Say: “Will ye not then be filled with awe?”
PICKTHAL: They will say: Unto Allah (all that belongeth). Say: Will ye not then keep duty (unto Him)?
SHAKIR: They will say: (This is) Allah’s. Say: Will you not then guard (against evil)?
KHALIFA: They will say, “GOD.” Say, “Why then do you not turn righteous?”
৮৭। তারা বলবে , ” আল্লাহ্।” বল : ” তবুও কি তোমরা ভীত সন্ত্রস্ত হবে না ? ” ২৯২৯
২৯২৯। দেখুন টিকা ২৯২৭। মহা বিশ্ব ভূবনের এই অপরূপ সৌন্দর্য এবং মহিমময় সৃষ্টি যদি আমাদের বিস্মিত করতে পারে তবে এসবের নিয়ন্ত্রণকর্তা যিনি , তার ক্ষমতা ও সুউচ্চ অবস্থান কি আরও অধিক বিস্ময়ের উদ্ভব করে না? মানুষ কি বিশ্ব ভূবনের অধিপতির শ্রেষ্ঠত্ব, ক্ষমতা ও মহিমান্বিত রূপকে অনুধাবন করে নিজের ক্ষুদ্রতা ও অসহায়ত্ব উপলব্ধি করতে পারে না ?
আয়াতঃ 023.088
বলুনঃ তোমাদের জানা থাকলে বল, কার হাতে সব বস্তুর কতৃর্êত্ব, যিনি রক্ষা করেন এবং যার কবল থেকে কেউ রক্ষা করতে পারে না ?
Say ”In Whose Hand is the sovereignty of everything (i.e. treasures of each and everything)? And He protects (all), while against Whom there is no protector, (i.e. if Allâh saves anyone none can punish or harm him, and if Allâh punishes or harms anyone none can save him), if you know.” [Tafsir Al-Qurtubî, Vol. 12, Page 145]
قُلْ مَن بِيَدِهِ مَلَكُوتُ كُلِّ شَيْءٍ وَهُوَ يُجِيرُ وَلَا يُجَارُ عَلَيْهِ إِن كُنتُمْ تَعْلَمُونَ
Qul man biyadihi malakootu kulli shay-in wahuwa yujeeru wala yujaru AAalayhi in kuntum taAAlamoona
YUSUFALI: Say: “Who is it in whose hands is the governance of all things,- who protects (all), but is not protected (of any)? (say) if ye know.”
PICKTHAL: Say: In Whose hand is the dominion over all things and He protecteth, while against Him there is no protection, if ye have knowledge?
SHAKIR: Say: Who is it in Whose hand is the kingdom of all things and Who gives succor, but against Him Succor is not given, if you do but know?
KHALIFA: Say, “In whose hand is all sovereignty over all things, and He is the only one who can provide help, but needs no help, if you know?”
৮৮। বল : ” কে তিনি যার হাতে সকল কিছুর কর্তৃত্ব ; – যিনি সকলকে রক্ষা করেন, কিন্তু তার উপরে [ কোন ] রক্ষাকর্তা নাই ? [ বল ] যদি তোমরা জান ? ”
৮৯। তারা বলবে, ” আল্লাহ্র [ অধিকারে ]।” বল : ” তাহলে কেমন করে তোমরা বিভ্রান্ত হচ্ছ ? ” ২৯৩০
২৯৩০। আল্লাহ্কে – আল্লাহ্র ক্ষমতাকে অনুধাবন করতে হলে তাঁর সৃষ্টিকে অনুধাবন করতে বলা হয়েছে। মহা বিশ্ব -ব্রহ্মান্ড সৃষ্টি হচ্ছে স্রষ্টার সৃষ্টি কৌশলের এক অনন্য নিদর্শন। বিজ্ঞান, শিল্প, সৌন্দর্য সব তাঁর সৃষ্টির মাঝে এসে মিলে মিশে একাকার হয়ে গেছে। তাঁর সৃষ্টি স্বয়ংসম্পূর্ণ – বিজ্ঞানের সুত্রের সর্বোচ্চ প্রয়োগ, সৌন্দর্যের আঁধার , মানুষের নিরাপত্তার প্রতীক , বেঁচে থাকার অবলম্বন। সমস্ত সৃষ্টির মাঝে তার কল্যাণকর হাতের স্পর্শ সর্বত্র বিদ্যমান। বিজ্ঞান বলে, সমস্ত বিশ্ব প্রকৃতি একই প্রাকৃতিক নিয়মের অধীন। এই সত্য আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে আল্লাহ্র একত্বের দিকে। যার অনুভব আছে, জ্ঞান আছে, সেই এই সত্যকে উপলব্ধি করতে সক্ষম। সুতারাং যারা আল্লাহ্র একত্বকে ত্যাগ করে এবং তাঁর মঙ্গলময় ইচ্ছাকে অনুধাবনে অক্ষম হয়ে, কুফরী করে তারা পাগল বই আর কিছু নয়। আল্লাহ্ ব্যতীত অন্য উপাস্যের উপাসনা বিভ্রান্তি ব্যতীত আর কিছু নয়।
আয়াতঃ 023.089
এখন তারা বলবেঃ আল্লাহর। বলুনঃ তাহলে কোথা থেকে তোমাদেরকে জাদু করা হচ্ছে?
They will say: ”(All that belongs) to Allâh.” Say: ”How then are you deceived and turn away from the truth?”
سَيَقُولُونَ لِلَّهِ قُلْ فَأَنَّى تُسْحَرُونَ
Sayaqooloona lillahi qul faanna tusharoona
YUSUFALI: They will say, “(It belongs) to Allah.” Say: “Then how are ye deluded?”
PICKTHAL: They will say: Unto Allah (all that belongeth). Say: How then are ye bewitched?
SHAKIR: They will say: (This is) Allah’s. Say: From whence are you then deceived?
KHALIFA: They will say, “GOD.” Say, “Where did you go wrong?”
৮৮। বল : ” কে তিনি যার হাতে সকল কিছুর কর্তৃত্ব ; – যিনি সকলকে রক্ষা করেন, কিন্তু তার উপরে [ কোন ] রক্ষাকর্তা নাই ? [ বল ] যদি তোমরা জান ? ”
৮৯। তারা বলবে, ” আল্লাহ্র [ অধিকারে ]।” বল : ” তাহলে কেমন করে তোমরা বিভ্রান্ত হচ্ছ ? ” ২৯৩০
২৯৩০। আল্লাহ্কে – আল্লাহ্র ক্ষমতাকে অনুধাবন করতে হলে তাঁর সৃষ্টিকে অনুধাবন করতে বলা হয়েছে। মহা বিশ্ব -ব্রহ্মান্ড সৃষ্টি হচ্ছে স্রষ্টার সৃষ্টি কৌশলের এক অনন্য নিদর্শন। বিজ্ঞান, শিল্প, সৌন্দর্য সব তাঁর সৃষ্টির মাঝে এসে মিলে মিশে একাকার হয়ে গেছে। তাঁর সৃষ্টি স্বয়ংসম্পূর্ণ – বিজ্ঞানের সুত্রের সর্বোচ্চ প্রয়োগ, সৌন্দর্যের আঁধার , মানুষের নিরাপত্তার প্রতীক , বেঁচে থাকার অবলম্বন। সমস্ত সৃষ্টির মাঝে তার কল্যাণকর হাতের স্পর্শ সর্বত্র বিদ্যমান। বিজ্ঞান বলে, সমস্ত বিশ্ব প্রকৃতি একই প্রাকৃতিক নিয়মের অধীন। এই সত্য আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে আল্লাহ্র একত্বের দিকে। যার অনুভব আছে, জ্ঞান আছে, সেই এই সত্যকে উপলব্ধি করতে সক্ষম। সুতারাং যারা আল্লাহ্র একত্বকে ত্যাগ করে এবং তাঁর মঙ্গলময় ইচ্ছাকে অনুধাবনে অক্ষম হয়ে, কুফরী করে তারা পাগল বই আর কিছু নয়। আল্লাহ্ ব্যতীত অন্য উপাস্যের উপাসনা বিভ্রান্তি ব্যতীত আর কিছু নয়।
আয়াতঃ 023.090
কিছুই নয়, আমি তাদের কাছে সত্য পৌঁছিয়েছি, আর তারা তো মিথ্যাবাদী।
Nay, but We have brought them the truth (Islâmic Monotheism), and verily, they (disbelievers) are liars.
بَلْ أَتَيْنَاهُم بِالْحَقِّ وَإِنَّهُمْ لَكَاذِبُونَ
Bal ataynahum bialhaqqi wa-innahum lakathiboona
YUSUFALI: We have sent them the Truth: but they indeed practise falsehood!
PICKTHAL: Nay, but We have brought them the Truth, and lo! they are liars.
SHAKIR: Nay! We have brought to them the truth, and most surely they are liars.
KHALIFA: We have given them the truth, while they are liars.
৯০। আমি তাদের সত্য প্রেরণ করেছি; কিন্তু তারা প্রকৃতই মিথ্যার অভ্যাস করে।
৯১। আল্লাহ্ কোন পুত্র সন্তান গ্রহণ করেন নাই এবং তাঁর সাথে অন্য কোন উপাস্য নাই। [ যদি সেখানে বহু উপাস্য থাকতো ] , শোন, তবে প্রত্যেক উপাস্য তার স্বীয় সৃষ্টি নিয়ে পৃথক হয়ে যেতো এবং একে অপরের উপরে প্রাধান্য বিস্তার করতো ২৯৩১। ওরা আল্লাহ্র প্রতি যা আরোপ করে [ তিনি তা থেকে মুক্ত ]।
২৯৩১। দেখুন আয়াত [ ১৭ : ৪২ ] এবং টিকা ২২৮। বহু ঈশ্বরের কল্পনা এক মূর্খের কল্পনা। কারণ পৃথিবী ও নভোমন্ডল সৃষ্টির প্রতি দৃষ্টিপাত করলেই স্রষ্টার একত্বের স্বাক্ষর মেলে। যদি তা বহু ঈশ্বরের সৃষ্টি হতো, তবে প্রাকৃতিক নিয়মের সুত্রের মাঝে বহুধা বিভক্তি লক্ষ্য করা যেতো। যা শেষ পর্যন্ত সৃষ্ট পদার্থের সমন্বিত শৃঙ্খলা বিনষ্ট করতো।
আয়াতঃ 023.091
আল্লাহ কোন সন্তান গ্রহণ করেননি এবং তাঁর সাথে কোন মাবুদ নেই। থাকলে প্রত্যেক মাবুদ নিজ নিজ সৃষ্টি নিয়ে চলে যেত এবং একজন অন্যজনের উপর প্রবল হয়ে যেত। তারা যা বলে, তা থেকে আল্লাহ পবিত্র।
No son (or offspring or children) did Allâh beget, nor is there any ilâh (god) along with Him; (if there had been many gods), behold, each god would have taken away what he had created, and some would have tried to overcome others! Glorified be Allâh above all that they attribute to Him!
مَا اتَّخَذَ اللَّهُ مِن وَلَدٍ وَمَا كَانَ مَعَهُ مِنْ إِلَهٍ إِذًا لَّذَهَبَ كُلُّ إِلَهٍ بِمَا خَلَقَ وَلَعَلَا بَعْضُهُمْ عَلَى بَعْضٍ سُبْحَانَ اللَّهِ عَمَّا يَصِفُونَ
Ma ittakhatha Allahu min waladin wama kana maAAahu min ilahin ithan lathahaba kullu ilahin bima khalaqa walaAAala baAAduhum AAala baAAdin subhana Allahi AAamma yasifoona
YUSUFALI: No son did Allah beget, nor is there any god along with Him: (if there were many gods), behold, each god would have taken away what he had created, and some would have lorded it over others! Glory to Allah! (He is free) from the (sort of) things they attribute to Him!
PICKTHAL: Allah hath not chosen any son, nor is there any god along with Him; else would each god have assuredly championed that which he created, and some of them would assuredly have overcome others. Glorified be Allah above all that they allege.
SHAKIR: Never did Allah take to Himself a son, and never was there with him any (other) god– in that case would each god have certainly taken away what he created, and some of them would certainly have overpowered others; glory be to Allah above what they describe!
KHALIFA: GOD has never begotten a son. Nor was there ever any other god beside Him. Otherwise, each god would have declared independence with his creations, and they would have competed with each other for dominance. GOD be glorified; far above their claims.
৯০। আমি তাদের সত্য প্রেরণ করেছি; কিন্তু তারা প্রকৃতই মিথ্যার অভ্যাস করে।
৯১। আল্লাহ্ কোন পুত্র সন্তান গ্রহণ করেন নাই এবং তাঁর সাথে অন্য কোন উপাস্য নাই। [ যদি সেখানে বহু উপাস্য থাকতো ] , শোন, তবে প্রত্যেক উপাস্য তার স্বীয় সৃষ্টি নিয়ে পৃথক হয়ে যেতো এবং একে অপরের উপরে প্রাধান্য বিস্তার করতো ২৯৩১। ওরা আল্লাহ্র প্রতি যা আরোপ করে [ তিনি তা থেকে মুক্ত ]।
২৯৩১। দেখুন আয়াত [ ১৭ : ৪২ ] এবং টিকা ২২৮। বহু ঈশ্বরের কল্পনা এক মূর্খের কল্পনা। কারণ পৃথিবী ও নভোমন্ডল সৃষ্টির প্রতি দৃষ্টিপাত করলেই স্রষ্টার একত্বের স্বাক্ষর মেলে। যদি তা বহু ঈশ্বরের সৃষ্টি হতো, তবে প্রাকৃতিক নিয়মের সুত্রের মাঝে বহুধা বিভক্তি লক্ষ্য করা যেতো। যা শেষ পর্যন্ত সৃষ্ট পদার্থের সমন্বিত শৃঙ্খলা বিনষ্ট করতো।
আয়াতঃ 023.092
তিনি দৃশ্য ও অদৃশ্যের জ্ঞানী। তারা শরীক করে, তিনি তা থেকে উর্ধ্বে।
All-Knower of the unseen and the seen! Exalted be He over all that they associate as partners to Him!
عَالِمِ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ فَتَعَالَى عَمَّا يُشْرِكُونَ
AAalimi alghaybi waalshshahadati fataAAala AAamma yushrikoona
YUSUFALI: He knows what is hidden and what is open: too high is He for the partners they attribute to Him!
PICKTHAL: Knower of the Invisible and the Visible! and Exalted be He over all that they ascribe as partners (unto Him)!
SHAKIR: The Knower of the unseen and the seen, so may He be exalted above what they associate (with Him).
KHALIFA: The Knower of all secrets and declarations; be He exalted, far above having a partner.
৯২। তিনি জানেন যা কিছু গুপ্ত এবং যা কিছু প্রকাশ্য। ওরা তাঁর প্রতি যে অংশীদারিত্ব আরোপ করে তিনি তা থেকে বহু উর্দ্ধে ২৯৩২।
২৯৩২। আল্লাহ্র সন্তান বা পরিবার বা অংশীদার ইত্যাদি আল্লাহ্ সম্পর্কে কল্পনা করা, আল্লাহ্র মহিমাকে খর্ব করার সামিল। এসব অসত্য থেকে আল্লাহ্র অবস্থান বহু উর্দ্ধে। তিনি এক ও অদ্বিতীয়। পৃথিবীর কোনও কিছুই তাঁর সাথে তুলনীয় নয়।
আয়াতঃ 023.093
বলুনঃ হে আমার পালনকর্তা! যে বিষয়ে তাদেরকে ওয়াদা দেয়া হয়েছে তা যদি আমাকে দেখান,
Say (O Muhammad SAW): ” My Lord! If You would show me that with which they are threatened (torment),
قُل رَّبِّ إِمَّا تُرِيَنِّي مَا يُوعَدُونَ
Qul rabbi imma turiyannee ma yooAAadoona
YUSUFALI: Say: “O my Lord! if Thou wilt show me (in my lifetime) that which they are warned against,-
PICKTHAL: Say: My Lord! If Thou shouldst show me that which they are promised.
SHAKIR: Say: O my Lord! if Thou shouldst make me see what they are threatened with:
KHALIFA: Say, “My Lord, whether You show me (the retribution) they have incurred
রুকু – ৬
৯৩। বল : ” হে আমার প্রভু ! তুমি যে বিষয়ে তাদের সর্তক করেছ তা যদি তুমি [ আমার জীবদ্দশায় ] আমাকে দেখাতে চাও , – ২৯৩৩
৯৪। ” তাহলে হে আমার প্রভু ! তুমি আমাকে পাপী সম্প্রদায়ের মধ্যে রেখো না। ”
২৯৩৩। এখানে “বল” শব্দটি দ্বারা রসুলকে [ সা ] সম্বোধন করা হয়েছে। আল্লাহ্র প্রতিশ্রুতি তাঁর রসুলের [সা ] নিকট মক্কা বিজয়ের মাধ্যমে পূর্ণ হয়। কিন্তু এই আয়াতটির সমসাময়িক অর্থ ব্যতীতও একটি সার্বজনীন অর্থ বিদ্যমান যা সর্বযুগে সকলের জন্য সমভাবে প্রযোজ্য। পাপ কখনও বিনা শাস্তিতে রেহাই পাবে না। এই হচ্ছে আল্লাহ্র হুকুম। সে শাস্তি যে শুধুমাত্র পরকালের জন্যই নির্ধারিত তা নয়। ইহকালে পাপীদের আল্লাহ্র অনুতাপের মাধ্যমে সংশোধনের সুযোগ দান করে থাকেন। কিন্তু এই সময় দান অফুরন্ত কালের জন্য চলতে পারে না। যখন তাদের পাপের পাত্র পূর্ণ হয় এই পৃথিবীতেই তাদের শাস্তি আরম্ভ হয়ে যায়। এই পৃথিবীতে আমাদের অনুভবে যদি উপলব্ধি ঘটে যে কোন সম্প্রদায়ের উপরে আল্লাহ্র শাস্তি নিপতিত হয়েছে, তবে আমাদের প্রার্থনা করতে বলা হয়েছে আমরা যেনো ঐ জালিম সম্প্রদায়ের অর্ন্তভূক্ত না হই [ ২৩ : ৯৪ ]। অন্য কথায় ঐ জালিম সম্প্রদায় থেকে নিজেদের দূরে থাকতে হবে।
আয়াতঃ 023.094
হে আমার পালনকর্তা! তবে আপনি আমাকে গোনাহগার সম্প্রদায়ের অন্তর্ভূক্ত করবেন না।
”My Lord! Then (save me from Your Punishment), and put me not amongst the people who are the Zâlimûn (polytheists and wrong-doing).”
رَبِّ فَلَا تَجْعَلْنِي فِي الْقَوْمِ الظَّالِمِينَ
Rabbi fala tajAAalnee fee alqawmi alththalimeena
YUSUFALI: “Then, O my Lord! put me not amongst the people who do wrong!”
PICKTHAL: My Lord! then set me not among the wrongdoing folk.
SHAKIR: My Lord! then place me not with the unjust.
KHALIFA: “My Lord, let me not be one of the transgressing people.”
রুকু – ৬
৯৩। বল : ” হে আমার প্রভু ! তুমি যে বিষয়ে তাদের সর্তক করেছ তা যদি তুমি [ আমার জীবদ্দশায় ] আমাকে দেখাতে চাও , – ২৯৩৩
৯৪। ” তাহলে হে আমার প্রভু ! তুমি আমাকে পাপী সম্প্রদায়ের মধ্যে রেখো না। ”
২৯৩৩। এখানে “বল” শব্দটি দ্বারা রসুলকে [ সা ] সম্বোধন করা হয়েছে। আল্লাহ্র প্রতিশ্রুতি তাঁর রসুলের [সা ] নিকট মক্কা বিজয়ের মাধ্যমে পূর্ণ হয়। কিন্তু এই আয়াতটির সমসাময়িক অর্থ ব্যতীতও একটি সার্বজনীন অর্থ বিদ্যমান যা সর্বযুগে সকলের জন্য সমভাবে প্রযোজ্য। পাপ কখনও বিনা শাস্তিতে রেহাই পাবে না। এই হচ্ছে আল্লাহ্র হুকুম। সে শাস্তি যে শুধুমাত্র পরকালের জন্যই নির্ধারিত তা নয়। ইহকালে পাপীদের আল্লাহ্র অনুতাপের মাধ্যমে সংশোধনের সুযোগ দান করে থাকেন। কিন্তু এই সময় দান অফুরন্ত কালের জন্য চলতে পারে না। যখন তাদের পাপের পাত্র পূর্ণ হয় এই পৃথিবীতেই তাদের শাস্তি আরম্ভ হয়ে যায়। এই পৃথিবীতে আমাদের অনুভবে যদি উপলব্ধি ঘটে যে কোন সম্প্রদায়ের উপরে আল্লাহ্র শাস্তি নিপতিত হয়েছে, তবে আমাদের প্রার্থনা করতে বলা হয়েছে আমরা যেনো ঐ জালিম সম্প্রদায়ের অর্ন্তভূক্ত না হই [ ২৩ : ৯৪ ]। অন্য কথায় ঐ জালিম সম্প্রদায় থেকে নিজেদের দূরে থাকতে হবে।
আয়াতঃ 023.095
আমি তাদেরকে যে বিষয়ের ওয়াদা দিয়েছি, তা আপনাকে দেখাতে অবশ্যই সক্ষম।
And indeed We are Able to show you (O Muhammad SAW) that with which We have threatened them.
وَإِنَّا عَلَى أَن نُّرِيَكَ مَا نَعِدُهُمْ لَقَادِرُونَ
Wa-inna AAala an nuriyaka ma naAAiduhum laqadiroona
YUSUFALI: And We are certainly able to show thee (in fulfilment) that against which they are warned.
PICKTHAL: And verily We are Able to show thee that which We have promised them.
SHAKIR: And most surely We are well able to make you see what We threaten them with.
KHALIFA: To show you (the retribution) we have reserved for them is something we can easily do.
৯৫। এবং তাদের যে বিষয়ে সাবধান করা হয়েছে , তার [ পূর্ণতা ] তোমাকে দেখাতে আমরা অবশ্যই সক্ষম।
৯৬। মন্দকে প্রতিহত কর যা সর্বোৎকৃষ্ট তা দ্বারা ২৯৩৪। তারা যা বলে সে সম্বন্ধে আমি সবিশেষ অবহিত।
২৯৩৪। এই আয়াতের মাধ্যমে আল্লাহ্ আমাদের সার্বজনীন উপদেশ দান করেছেন। যদি লোকে তোমার সম্বন্ধে মন্দ বলে, তা সম্মুখেই হোক বা পশ্চাতেই হোক অথবা তোমার ক্ষতি করে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে – সব কিছুই ঘটে আল্লাহ্র উপস্থিতিতে। অন্যায়কারীর শাস্তি দাতা তুমি নও। তোমার জন্য সর্বোৎকৃষ্ট পন্থা হচ্ছে ; তাদের প্রতি প্রতিশোধ না নেওয়া বরং তাই করা উচিত যার দ্বারা পাপীদের চৈতন্যদয় ঘটে। কারণ মন্দের পরিবর্তে মন্দ কোনও সুফল বয়ে আনে না। দেখুন [ ৪১ : ৩৪ ] আয়াত ও টিকা ৪৫০৪।
আয়াতঃ 023.096
মন্দের জওয়াবে তাই বলুন, যা উত্তম। তারা যা বলে, আমি সে বিষয়ে সবিশেষ অবগত।
Repel evil with that which is better. We are Best-Acquainted with the things they utter.
ادْفَعْ بِالَّتِي هِيَ أَحْسَنُ السَّيِّئَةَ نَحْنُ أَعْلَمُ بِمَا يَصِفُونَ
IdfaAA biallatee hiya ahsanu alssayyi-ata nahnu aAAlamu bima yasifoona
YUSUFALI: Repel evil with that which is best: We are well acquainted with the things they say.
PICKTHAL: Repel evil with that which is better. We are Best Aware of that which they allege.
SHAKIR: Repel evil by what is best; We know best what they describe.
KHALIFA: Therefore, counter their evil works with goodness; we are fully aware of their claims.
৯৫। এবং তাদের যে বিষয়ে সাবধান করা হয়েছে , তার [ পূর্ণতা ] তোমাকে দেখাতে আমরা অবশ্যই সক্ষম।
৯৬। মন্দকে প্রতিহত কর যা সর্বোৎকৃষ্ট তা দ্বারা ২৯৩৪। তারা যা বলে সে সম্বন্ধে আমি সবিশেষ অবহিত।
২৯৩৪। এই আয়াতের মাধ্যমে আল্লাহ্ আমাদের সার্বজনীন উপদেশ দান করেছেন। যদি লোকে তোমার সম্বন্ধে মন্দ বলে, তা সম্মুখেই হোক বা পশ্চাতেই হোক অথবা তোমার ক্ষতি করে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে – সব কিছুই ঘটে আল্লাহ্র উপস্থিতিতে। অন্যায়কারীর শাস্তি দাতা তুমি নও। তোমার জন্য সর্বোৎকৃষ্ট পন্থা হচ্ছে ; তাদের প্রতি প্রতিশোধ না নেওয়া বরং তাই করা উচিত যার দ্বারা পাপীদের চৈতন্যদয় ঘটে। কারণ মন্দের পরিবর্তে মন্দ কোনও সুফল বয়ে আনে না। দেখুন [ ৪১ : ৩৪ ] আয়াত ও টিকা ৪৫০৪।
আয়াতঃ 023.097
বলুনঃ হে আমার পালনকর্তা! আমি শয়তানের প্ররোচনা থেকে আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করি,
And say: ”My Lord! I seek refuge with You from the whisperings (suggestions) of the Shayâtin (devils).
وَقُل رَّبِّ أَعُوذُ بِكَ مِنْ هَمَزَاتِ الشَّيَاطِينِ
Waqul rabbi aAAoothu bika min hamazati alshshayateeni
YUSUFALI: And say “O my Lord! I seek refuge with Thee from the suggestions of the Evil Ones.
PICKTHAL: And say: My Lord! I seek refuge in Thee from suggestions of the evil ones,
SHAKIR: And say: O my Lord! I seek refuge in Thee from the evil suggestions of the Shaitans;
KHALIFA: Say, “My Lord, I seek refuge in You from the whispers of the devils.
৯৭। এবং বল , ” হে আমার প্রভু ! আমি শয়তানের প্ররোচনা থেকে তোমার আশ্রয় প্রার্থনা করছি ২৯৩৫।
৯৮। “আমি আশ্রয় প্রার্থনা করি হে আমার প্রভু এ থেকে , তারা যেনো আমার নিকট উপস্থিত হতে না পারে।”
২৯৩৫। যদি এমন হয় যে নিজ চেষ্টা সত্বেও কেউ পাপ থেকে নিজেকে বিরত রাখতে পারছে না , এই আয়াতের মাধ্যমে আল্লাহ্ তাদের বলেছেন যে, সে ক্ষেত্রে শয়তানের প্ররোচনা থেকে আত্মরক্ষার জন্য তারা যেনো আল্লাহ্র সাহায্য ও নিরাপত্তা কামনা করে। পাপের শক্তি মোহময়ী ও অপরিসীম। এই শক্তিকে প্রতিরোধ্য করার জন্য শুধু যে পাপের তৎপরতা বন্ধের চেষ্টা করবে তাই নয়, পাপের নিকটেও যাওয়া বন্ধ করে দেওয়া উচিত। কারণ যে কোনও কারণে পাপের নিকটবর্তী হলে মানুষ অনেক সময়ে পাপের মোহময়ী আকর্ষণীয় ক্ষমতায় গ্রেফতার হয়ে পড়ে। হতে পারে তা পাপের দমনের চেষ্টা বা কৌতুহল যে, পাপের স্বরূপ কি তা আবিষ্কারের চেষ্টা। যেমন : যুব সমাজের অনেকেই কৌতুহলের বশবর্তী হয়ে শেষ পর্যন্ত মাদকে আসক্ত হয়ে যায় এরূপ ভূরি ভূরি প্রমাণ আছে। সুতারাং পাপের ত্রিসীমানাতে যাওয়া উচিত নয়। এই ব্যাপারে সর্বদা আল্লাহ্র সাহায্য প্রার্থনা করতে বলা হয়েছে। এরূপ প্রার্থনা মনোবল বৃদ্ধি করে।
আয়াতঃ 023.098
এবং হে আমার পালনকর্তা! আমার নিকট তাদের উপস্থিতি থেকে আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করি।
”And I seek refuge with You, My Lord! lest they may attend (or come near) me.”
وَأَعُوذُ بِكَ رَبِّ أَن يَحْضُرُونِ
WaaAAoothu bika rabbi an yahdurooni
YUSUFALI: “And I seek refuge with Thee O my Lord! lest they should come near me.”
PICKTHAL: And I seek refuge in Thee, my Lord, lest they be present with me,
SHAKIR: And I seek refuge in Thee! O my Lord! from their presence.
KHALIFA: “And I seek refuge in You, my Lord, lest they come near me.”
৯৭। এবং বল , ” হে আমার প্রভু ! আমি শয়তানের প্ররোচনা থেকে তোমার আশ্রয় প্রার্থনা করছি ২৯৩৫।
৯৮। “আমি আশ্রয় প্রার্থনা করি হে আমার প্রভু এ থেকে , তারা যেনো আমার নিকট উপস্থিত হতে না পারে।”
২৯৩৫। যদি এমন হয় যে নিজ চেষ্টা সত্বেও কেউ পাপ থেকে নিজেকে বিরত রাখতে পারছে না , এই আয়াতের মাধ্যমে আল্লাহ্ তাদের বলেছেন যে, সে ক্ষেত্রে শয়তানের প্ররোচনা থেকে আত্মরক্ষার জন্য তারা যেনো আল্লাহ্র সাহায্য ও নিরাপত্তা কামনা করে। পাপের শক্তি মোহময়ী ও অপরিসীম। এই শক্তিকে প্রতিরোধ্য করার জন্য শুধু যে পাপের তৎপরতা বন্ধের চেষ্টা করবে তাই নয়, পাপের নিকটেও যাওয়া বন্ধ করে দেওয়া উচিত। কারণ যে কোনও কারণে পাপের নিকটবর্তী হলে মানুষ অনেক সময়ে পাপের মোহময়ী আকর্ষণীয় ক্ষমতায় গ্রেফতার হয়ে পড়ে। হতে পারে তা পাপের দমনের চেষ্টা বা কৌতুহল যে, পাপের স্বরূপ কি তা আবিষ্কারের চেষ্টা। যেমন : যুব সমাজের অনেকেই কৌতুহলের বশবর্তী হয়ে শেষ পর্যন্ত মাদকে আসক্ত হয়ে যায় এরূপ ভূরি ভূরি প্রমাণ আছে। সুতারাং পাপের ত্রিসীমানাতে যাওয়া উচিত নয়। এই ব্যাপারে সর্বদা আল্লাহ্র সাহায্য প্রার্থনা করতে বলা হয়েছে। এরূপ প্রার্থনা মনোবল বৃদ্ধি করে।
আয়াতঃ 023.099
যখন তাদের কারও কাছে মৃত্যু আসে, তখন সে বলেঃ হে আমার পালণকর্তা! আমাকে পুনরায় (দুনিয়াতে ) প্রেরণ করুন।
Until, when death comes to one of them (those who join partners with Allâh), he says: ”My Lord! Send me back,
حَتَّى إِذَا جَاء أَحَدَهُمُ الْمَوْتُ قَالَ رَبِّ ارْجِعُونِ
Hatta itha jaa ahadahumu almawtu qala rabbi irjiAAooni
YUSUFALI: (In Falsehood will they be) Until, when death comes to one of them, he says: “O my Lord! send me back (to life),-
PICKTHAL: Until, when death cometh unto one of them, he saith: My Lord! Send me back,
SHAKIR: Until when death overtakes one of them, he says: Send me back, my Lord, send me back;
KHALIFA: When death comes to one of them, he says, “My Lord, send me back.
৯৯। [ তারা মিথ্যার মাঝে থাকবে ] যতক্ষণ না তাদের মধ্যে কারও মৃত্যু এসে উপস্থিত হয়, তখন সে বলে, ” হে আমার প্রভু ! আমাকে পুণরায় [ পৃথিবীতে ] প্রেরণ কর ,।২৯৩৬
২৯৩৬। ইউসুফ আলী সাহেবের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই আয়াতটি, [ ২৩ : ৯০ ] আয়াতের ধারাবাহিকতা হওয়া প্রয়োজন। যদিও আল্লাহ্র বাণীর মহিমা সর্বত্র প্রচারিত ও প্রকাশিত তবুও পাপীরা সত্যকে ত্যাগ করে মিথ্যাকে অবলম্বন করে বাঁচতে চায় – যতক্ষণ না মৃত্যু তাদের দুয়ারে হানা দেয়।
আয়াতঃ 023.100
যাতে আমি সৎকর্ম করতে পারি, যা আমি করিনি। কখনই নয়, এ তো তার একটি কথার কথা মাত্র। তাদের সামনে পর্দা আছে পুনরুত্থান দিবস পর্যন্ত।
”So that I may do good in that which I have left behind!” No! It is but a word that he speaks, and behind them is Barzakh (a barrier) until the Day when they will be resurrected.
لَعَلِّي أَعْمَلُ صَالِحًا فِيمَا تَرَكْتُ كَلَّا إِنَّهَا كَلِمَةٌ هُوَ قَائِلُهَا وَمِن وَرَائِهِم بَرْزَخٌ إِلَى يَوْمِ يُبْعَثُونَ
LaAAallee aAAmalu salihan feema taraktu kalla innaha kalimatun huwa qa-iluha wamin wara-ihim barzakhun ila yawmi yubAAathoona
YUSUFALI: “In order that I may work righteousness in the things I neglected.” – “By no means! It is but a word he says.”- Before them is a Partition till the Day they are raised up.
PICKTHAL: That I may do right in that which I have left behind! But nay! It is but a word that he speaketh; and behind them is a barrier until the day when they are raised.
SHAKIR: Haply I may do good in that which I have left. By no means! it is a (mere) word that he speaks; and before them is a barrier until the day they are raised.
KHALIFA: “I will then work righteousness in everything I left.” Not true. This is a false claim that he makes. A barrier will separate his soul from this world until resurrection.
১০০। ” যাতে আমি সৎকাজ করতে পারি, যা আমি পূর্বে অবহেলা করেছি; ২৯৩৮” – ” না তা হবার নয়, [কারণ ] সে যা বলছে তা কথার কথা মাত্র ” ২৯৩৯ – পুনরুত্থান দিবস পর্যন্ত তাদের সামনে থাকবে মধ্যবর্তী প্রাচীর বা বারযাখ ২৯৪০।
২৯৩৮। পাপীরা মৃত্যুকালে পাপকে পরিত্যাগ করে পূণ্যময় জীবন যাপনের জন্য আর একবার সুযোগ প্রার্থনা করবে। কিন্তু মৃত্যুকালে কোনও প্রার্থনা মঞ্জুর হবে না। অনুতাপ বা তওবা করার সময় তখন হবে বহুদূরে।
মন্তুব্য : তওবা হচ্ছে অনুতাপের মাধ্যমে নিজেকে সংশোধন করা। কিন্তু মৃত্যু পথযাত্রীর সংশোধনের সুযোগ থাকে না। সে কর্মের মাধ্যমে আল্লাহ্র কাছে প্রমাণ করতে পারে না যে, সে নিজেকে সংশোধন করেছে। সুতারাং তওবার মূল অংশ থাকে অনুপস্থিত। সুতারাং তওবা কবুল হওয়ার প্রশ্নই আসে না। দেখুন টিকা ৫৫।
২৯৩৯। মৃত্যুকালে পাপীদের অনুতাপ প্রকাশের কোন অর্থই নাই। তা শুধুমাত্র কথার কথা , অন্তঃসারশূন্য বাক্য মাত্র। কারণ পৃথিবীতে তাদের বহুবার সুযোগ দান করা হয়েছে, বহু সময় দেয়া হয়েছে। কিন্তু তারা শুধু যে তা প্রত্যাখান করেছে তাই -ই নয়, তারা আল্লাহ্র অস্তিত্বেই বিশ্বাসী ছিলো না , পরলোকের জীবনে বিশ্বাসী ছিলো না ফলে পৃথিবীতে তারা কোনও দিনই আল্লাহ্র সাহায্য প্রার্থনা করে নাই।
২৯৪০। “Barzakh” প্রতিবন্ধক দুই ঘরের মধ্যবর্তী পৃথকীকরণ পর্দ্দা , বাঁধা ইত্যাদি। মৃত্যুর সাথে সাথে পৃথিবীর রূপ রস গন্ধ অন্তর্হিত হবে, পৃথিবীর সাথে হবে সম্পর্কশূন্য। আবার সে সময়ে পরকালও দৃষ্টিগোচর হবে না। এই অবস্থায় মানুষ পুনরুত্থান পর্যন্ত অবস্থান করবে। দেখুন [ ২৫ : ৫৩ ও ৫৫ : ২০ ] আয়াত, যেখানে অন্য আর এক ধরণের পৃথকীকরণ পর্দ্দার উল্লেখ আছে। মৃত্যু হচ্ছে অমর আত্মার এই দেহকে ত্যাগ করা। এ এক বিশেষ অবস্থা। আত্মার এ অবস্থায় পিছনে থাকবে মৃত্যুর বাঁধা বা পর্দ্দা এবং সামনে থাকবে “Barzakh” অর্থাৎ প্রতিবন্ধক যা শেষ বিচারের পূর্বে তুলে নেয়া হবে না। এই অবস্থায় আত্মা পুনরুত্থান পর্যন্ত অবস্থান করবে।
আয়াতঃ 023.101
অতঃপর যখন শিংগায় ফুৎকার দেয়া হবে, সেদিন তাদের পারস্পরিক আত্নীয়তার বন্ধন থাকবে না এবং একে অপরকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে না।
Then, when the Trumpet is blown, there will be no kinship among them that Day, nor will they ask of one another.
فَإِذَا نُفِخَ فِي الصُّورِ فَلَا أَنسَابَ بَيْنَهُمْ يَوْمَئِذٍ وَلَا يَتَسَاءلُونَ
Fa-itha nufikha fee alssoori fala ansaba baynahum yawma-ithin wala yatasaaloona
YUSUFALI: Then when the Trumpet is blown, there will be no more relationships between them that Day, nor will one ask after another!
PICKTHAL: And when the trumpet is blown there will be no kinship among them that day, nor will they ask of one another.
SHAKIR: So when the trumpet is blown, there shall be no ties of relationship between them on that day, nor shall they ask of each other.
KHALIFA: When the horn is blown, no relations among them will exist on that day, nor will they care about one another.
১০১। এরপরে যখন সিংগায় ফুঁ দেয়া হবে, সেদিন পরস্পরের মধ্যে কোন [ আত্মীয়তার ] সম্পর্ক থাকবে না। কেহ কারও খোঁজ -খবর নেবে না ২৯৪১।
২৯৪১। এখানে পুনরুত্থান দিবসের বর্ণনা করা হয়েছে। সেদিন প্রত্যেকে নিজ নিজ কর্মফলের হিসাব দাখিলের জন্য আল্লাহ্র সমীপে নীত হবে। পৃথিবীর পুরানো আত্মীয়তার বন্ধন সেদিন হবে অদৃশ্য। বংশ পরিচয়, আত্মীয়তার বন্ধন, প্রভাব-প্রতিপত্তি , অর্থ-সম্পদ কিছুই সেদিন ধর্তব্যের মধ্যে থাকবে না। প্রত্যেক আত্মা শুধুমাত্র নিজস্ব কর্মের জন্য দায়ী থাকবে।
আয়াতঃ 023.102
যাদের পাল্লা ভারী হবে, তারাই হবে সফলকাম,
Then, those whose scales (of good deeds) are heavy, – these, they are the successful.
فَمَن ثَقُلَتْ مَوَازِينُهُ فَأُوْلَئِكَ هُمُ الْمُفْلِحُونَ
Faman thaqulat mawazeenuhu faola-ika humu almuflihoona
YUSUFALI: Then those whose balance (of good deeds) is heavy,- they will attain salvation:
PICKTHAL: Then those whose scales are heavy, they are the successful.
SHAKIR: Then as for him whose good deeds are preponderant, these are the successful.
KHALIFA: As for those whose weights are heavy, they will be the winners.
১০২। তখন যাদের [ সৎ কাজের ] পাল্লা ভারী হবে, তারা [ আধ্যাত্মিক ] মুক্তি লাভ করবে ২৯৪২।
২৯৪২। প্রত্যেকের সৎকাজ ও মন্দ কাজকে তুলনা করা হবে বা ওজন করা হবে। যদি সৎ কাজের পাল্লা ভারী হয় তবে আত্মা মুক্তি পাবে বা সফলকাম হবে অর্থাৎ “Falah” অর্জন করবে। “Falah” অর্থাৎ সমৃদ্ধি, শান্তি, মুক্তি , সফলকাম ইত্যাদি। যদি মন্দ কাজের পাল্লা ভারী হয় আত্মা দোযখের তীব্র যাতনা ও দুঃখ কষ্ট ভোগ করবে।
আয়াতঃ 023.103
এবং যাদের পাল্লা হাল্কা হবে তারাই নিজেদের ক্ষতিসাধন করেছে, তারা দোযখেই চিরকাল বসবাস করবে।
And those whose scales (of good deeds) are light, they are those who lose their ownselves, in Hell will they abide.
وَمَنْ خَفَّتْ مَوَازِينُهُ فَأُوْلَئِكَ الَّذِينَ خَسِرُوا أَنفُسَهُمْ فِي جَهَنَّمَ خَالِدُونَ
Waman khaffat mawazeenuhu faola-ika allatheena khasiroo anfusahum fee jahannama khalidoona
YUSUFALI: But those whose balance is light, will be those who have lost their souls, in Hell will they abide.
PICKTHAL: And those whose scales are light are those who lose their souls, in hell abiding.
SHAKIR: And as for him whose good deeds are light, these are they who shall have lost their souls, abiding in hell
KHALIFA: Those whose weights are light are the ones who lost their souls; they abide in Hell forever.
১০৩। কিন্তু যাদের পাল্লা হবে হাল্কা , এরাই তারা যাদের আত্মা [ মিথ্যার মাঝে ] হারিয়ে গেছে ; ২৯৪৩ তাদের আবাস হবে জাহান্নাম।
২৯৪৩। এই আয়াতে দোযখবাসীদের অবস্থান বর্ণনা করা হয়েছে। যারা পৃথিবীতে মন্দ কাজ করেছে, তারা নিজেরা নিজেদের আত্মার ক্ষতি করেছে। পুনরুত্থানের মাধ্যমে তাদের শেষ বিচারের দিনে সমবেত করা হবে। মন্দ কাজের পরিণতিতে তাদের দোযখ বাস ঘটবে। ক্ষতি বা দোযখ বাস অর্থ এই নয় যে, আত্মার বিনাশ ঘটবে বা আত্মার আর কিছু অনুভবের ক্ষমতা থাকবে না। দোযখের যন্ত্রণা আত্মা প্রতি পলে অনুভব করবে যার বর্ণনা আছে আয়াত [ ১৪ : ১৭ ]। আত্মার বিনাশ ঘটলে বা আত্মার যন্ত্রণা অনুভব ক্ষমতা না থাকলে তখন এ সব যন্ত্রণা আর যন্ত্রনা থাকতো না।
আয়াতঃ 023.104
আগুন তাদের মুখমন্ডল দগ্ধ করবে এবং তারা তাতে বীভৎস আকার ধারন করবে।
The Fire will burn their faces, and therein they will grin, with displaced lips (disfigured).
تَلْفَحُ وُجُوهَهُمُ النَّارُ وَهُمْ فِيهَا كَالِحُونَ
Talfahu wujoohahumu alnnaru wahum feeha kalihoona
YUSUFALI: The Fire will burn their faces, and they will therein grin, with their lips displaced.
PICKTHAL: The fire burneth their faces, and they are glum therein.
SHAKIR: The fire shall scorch their faces, and they therein shall be in severe affliction.
KHALIFA: Fire will overwhelm their faces, and they last miserably therein.
১০৪। আগুন তাদের মুখমন্ডল দগ্ধ করবে। স্থানচ্যুত ঠোঁটের ফলে দাঁত বের করা [ বীভৎস ] চেহারায় তারা তথায় থাকবে ২৯৪৪।
২৯৪৪। ভয়ে ও দুঃশ্চিন্তায় পাপীদের মুখমন্ডল বীভৎস আকার ধারণ করবে। তাদের ঠোঁট কাঁপতে থাকবে এবং স্বস্থানচ্যুত হয়ে তাদের দাঁত বেরিয়ে পড়বে। ফলে তাদের চেহারা বীভৎস আকার ধারণ করবে।
আয়াতঃ 023.105
তোমাদের সামনে কি আমার আয়াত সমূহ পঠিত হত না? তোমরা তো সেগুলোকে মিথ্যা বলতে।
”Were not My Verses (this Qur’ân) recited to you, and then you used to deny them?”
أَلَمْ تَكُنْ آيَاتِي تُتْلَى عَلَيْكُمْ فَكُنتُم بِهَا تُكَذِّبُونَ
Alam takun ayatee tutla AAalaykum fakuntum biha tukaththiboona
YUSUFALI: “Were not My Signs rehearsed to you, and ye did but treat them as falsehood?”
PICKTHAL: (It will be said): Were not My revelations recited unto you, and then ye used to deny them?
SHAKIR: Were not My communications recited to you? But you used to reject them.
KHALIFA: Were not My revelations recited to you, and you kept on rejecting them?
১০৫। ” তোমাদের নিকট কি আমার আয়াতসমূহ আবৃত্তি করা হতো না ? তোমরা তো তা মিথ্যা বলে প্রতিপন্ন করতে ? ”
১০৬। তারা বলবে, ” হে আমাদের প্রভু ! আমাদের দুর্ভাগ্য আমাদের সম্পূর্ণ আচ্ছাদিত করেছে ২৯৪৫। এবং আমরা ছিলাম এক বিভ্রান্ত সম্প্রদায়।
২৯৪৫। পাপীরা সেদিন আকুল ভাবে সৃষ্টিকর্তার নিকট আবেদন করবে। তাদের আবেদনের ভাষা হবে এরূপ ” পাপ আমাদের গ্রাস করে আমাদের উপরে জয়ী হয়েছিলো। আমরা হতভাগ্য , কারণ আমরা পাপের শক্তির কাছে আত্মসমর্পন করেছিলাম।” তারা ভুলে যাবে যে তারা স্ব-ইচ্ছায় পাপের নিকট আত্মসমর্পন করেছিলো। পরবর্তী আয়াতে [ ২৩ : ১০৯- ১১০] সেই কথাই উল্লেখ করা হয়েছে যে, তারা পৃথিবীতে পূণ্যাত্মাদের ঠাট্টা বিদ্রূপ করতো তাদের ঈমান ও সৎ কাজের দরুন এবং নিজেরা মন্দ কাজে আত্মসমর্পন করতো স্ব-ইচ্ছায়।
আয়াতঃ 023.106
তারা বলবেঃ হে আমাদের পালনকর্তা, আমরা দূর্ভাগ্যের হাতে পরাভূত ছিলাম এবং আমরা ছিলাম বিভ্রান্ত জাতি।
They will say: ”Our Lord! Our wretchedness overcame us, and we were (an) erring people.
قَالُوا رَبَّنَا غَلَبَتْ عَلَيْنَا شِقْوَتُنَا وَكُنَّا قَوْمًا ضَالِّينَ
Qaloo rabbana ghalabat AAalayna shiqwatuna wakunna qawman dalleena
YUSUFALI: They will say: “our Lord! Our misfortune overwhelmed us, and we became a people astray!
PICKTHAL: They will say: Our Lord! Our evil fortune conquered us, and we were erring folk.
SHAKIR: They shall say: O our Lord! our adversity overcame us and we were an erring people:
KHALIFA: They will say, “Our Lord, our wickedness overwhelmed us, and we were people gone astray.
১০৫। ” তোমাদের নিকট কি আমার আয়াতসমূহ আবৃত্তি করা হতো না ? তোমরা তো তা মিথ্যা বলে প্রতিপন্ন করতে ? ”
১০৬। তারা বলবে, ” হে আমাদের প্রভু ! আমাদের দুর্ভাগ্য আমাদের সম্পূর্ণ আচ্ছাদিত করেছে ২৯৪৫। এবং আমরা ছিলাম এক বিভ্রান্ত সম্প্রদায়।
২৯৪৫। পাপীরা সেদিন আকুল ভাবে সৃষ্টিকর্তার নিকট আবেদন করবে। তাদের আবেদনের ভাষা হবে এরূপ ” পাপ আমাদের গ্রাস করে আমাদের উপরে জয়ী হয়েছিলো। আমরা হতভাগ্য , কারণ আমরা পাপের শক্তির কাছে আত্মসমর্পন করেছিলাম।” তারা ভুলে যাবে যে তারা স্ব-ইচ্ছায় পাপের নিকট আত্মসমর্পন করেছিলো। পরবর্তী আয়াতে [ ২৩ : ১০৯- ১১০] সেই কথাই উল্লেখ করা হয়েছে যে, তারা পৃথিবীতে পূণ্যাত্মাদের ঠাট্টা বিদ্রূপ করতো তাদের ঈমান ও সৎ কাজের দরুন এবং নিজেরা মন্দ কাজে আত্মসমর্পন করতো স্ব-ইচ্ছায়।
আয়াতঃ 023.107
হে আমাদের পালনকর্তা! এ থেকে আমাদেরকে উদ্ধার কর; আমরা যদি পুনরায় তা করি, তবে আমরা গোনাহগার হব।
”Our Lord! Bring us out of this; if ever we return (to evil), then indeed we shall be Zâlimûn: (polytheists, oppressors, unjust, and wrong-doers, etc.).”
رَبَّنَا أَخْرِجْنَا مِنْهَا فَإِنْ عُدْنَا فَإِنَّا ظَالِمُونَ
Rabbana akhrijna minha fa-in AAudna fa-inna thalimoona
YUSUFALI: “Our Lord! bring us out of this: if ever we return (to Evil), then shall we be wrong-doers indeed!”
PICKTHAL: Our Lord! Oh, bring us forth from hence! If we return (to evil) then indeed we shall be wrong-doers.
SHAKIR: O our Lord! Take us out of it; then if we return (to evil) surely we shall be unjust.
KHALIFA: “Our Lord, take us out of this; if we return (to our old behavior), then we are really wicked.”
১০৭। ” হে আমাদের প্রভু ! এই [ আগুন ] থেকে আমাদের উদ্ধার কর। যদি আমরা কখনও [ মন্দ পথে ] ফিরে যাই , তবে আমরা অবশ্যই পাপী হব।”
১০৮। আল্লাহ্ বলবেন, ” তোরা [অসম্মানের ] মাঝে এখানেই থাক্ এবং আমার সাথে কোন কথা বলিস না ২৯৪৬।
২৯৪৬। পৃথিবীতে আল্লাহ্র নিদর্শনের প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন এবং পূণ্যাত্মাদের প্রতি ঠাট্টা বিদ্রূপের কারণে পরলোকে আল্লাহ্র করুণা প্রার্থনা করার অধিকার পাপীদের থাকবে না।
আয়াতঃ 023.108
আল্লাহ বলবেনঃ তোমরা ধিকৃত অবস্থায় এখানেই পড়ে থাক এবং আমার সাথে কোন কথা বলো না।
He (Allâh) will say: ”Remain you in it with ignominy! And speak you not to Me!”
قَالَ اخْسَؤُوا فِيهَا وَلَا تُكَلِّمُونِ
Qala ikhsaoo feeha wala tukallimooni
YUSUFALI: He will say: “Be ye driven into it (with ignominy)! And speak ye not to Me!
PICKTHAL: He saith: Begone therein, and speak not unto Me.
SHAKIR: He shall say: Go away into it and speak nat to Me;
KHALIFA: He will say, “Abide therein, humiliated, and do not speak to Me.
১০৭। ” হে আমাদের প্রভু ! এই [ আগুন ] থেকে আমাদের উদ্ধার কর। যদি আমরা কখনও [ মন্দ পথে ] ফিরে যাই , তবে আমরা অবশ্যই পাপী হব।”
১০৮। আল্লাহ্ বলবেন, ” তোরা [অসম্মানের ] মাঝে এখানেই থাক্ এবং আমার সাথে কোন কথা বলিস না ২৯৪৬।
২৯৪৬। পৃথিবীতে আল্লাহ্র নিদর্শনের প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন এবং পূণ্যাত্মাদের প্রতি ঠাট্টা বিদ্রূপের কারণে পরলোকে আল্লাহ্র করুণা প্রার্থনা করার অধিকার পাপীদের থাকবে না।
আয়াতঃ 023.109
আমার বান্দাদের একদলে বলতঃ হে আমাদের পালনকর্তা! আমরা বিশ্বাস স্থাপন করেছি। অতএব তুমি আমাদেরকে ক্ষমা কর ও আমাদের প্রতি রহম কর। তুমি তো দয়ালুদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ দয়ালু।
Verily! There was a party of My slaves, who used to say: ”Our Lord! We believe, so forgive us, and have mercy on us, for You are the Best of all who show mercy!”
إِنَّهُ كَانَ فَرِيقٌ مِّنْ عِبَادِي يَقُولُونَ رَبَّنَا آمَنَّا فَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَا وَأَنتَ خَيْرُ الرَّاحِمِينَ
Innahu kana fareequn min AAibadee yaqooloona rabbana amanna faighfir lana wairhamna waanta khayru alrrahimeena
YUSUFALI: “A part of My servants there was, who used to pray ‘our Lord! we believe; then do Thou forgive us, and have mercy upon us: For Thou art the Best of those who show mercy!”
PICKTHAL: Lo! there was a party of My slaves who said: Our Lord! We believe, therefor forgive us and have mercy on us for Thou art Best of all who show mercy;
SHAKIR: Surely there was a party of My servants who said: O OUI . Lord! we believe, so do Thou forgive us and have mercy on us, and Thou art the best of the Merciful ones.
KHALIFA: “A group of My servants used to say, `Our Lord, we have believed, so forgive us and shower us with mercy. Of all the merciful ones, You are the Most Merciful.’
১০৯। ” আমার একদল বান্দা প্রার্থনা করতো , ‘হে আমাদের প্রভু! আমরা ঈমান এনেছি। তুমি আমাদের ক্ষমা কর , এবং আমাদের দয়া কর। তুমিই তো সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু ‘
১১০। ” কিন্তু তোমরা তাদের নিয়ে এত পরিহাস করতে যে , তাদের প্রতি তোমাদের [ ঠাট্টা বিদ্রূপ ] তোমাদেরকে আমার উপদেশ ভুলিয়ে দিয়েছিলো যখন তোমরা তাদের প্রতি পরিহাসে মত্ত ছিলে ২৯৪৭;
২৯৪৭। “তোমরা তো তাদের নিয়ে এত পরিহাস করতে।” অর্থাৎ পাপীরা আল্লাহ্র নিদর্শনকে অস্বীকার করতো ও এ সব নিয়ে ঠাট্টা বিদ্রূপে এতটাই মগ্ন থাকতো পৃথিবীতে ,যে তারা বুঝতে অক্ষম হয় যে, এ সবের মাধ্যমে সে তার নিজের আত্মার পতনকেই ত্বরান্বিত করছে। এ ভাবেই পাপী তার পাপ কার্যের দ্বারাই ধ্বংস হয়ে যায়। পাপীরা যাদের ব্যঙ্গ বিদ্রূপ করে বা অত্যাচার, নির্যাতন করে। পরিণামে ক্ষতিগ্রস্থ হয় বা নির্যাতিত অপেক্ষা নির্যাতনকারী অধিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়। আল্লাহ্র এই বিধান বা নিয়মকে এই আয়াতে দোযখবাসীর বর্ণনার মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে।
উপদেশঃ আল্লাহ্র এই বিধান আমাদের পার্থিব জীবনেও প্রযোজ্য। কোনও সমাজ ও জীবন যখন অত্যাচার ও অন্যায়ে ভরে যায়। তখন সে সমাজের ধ্বংস অনিবার্য হয়ে দাড়ায়। আর এই ধ্বংস যজ্ঞে অত্যাচারী ও অত্যাচারিত উভয়েই ধ্বংস হয়ে যাবে।
আয়াতঃ 023.110
অতঃপর তোমরা তাদেরকে ঠাট্টার পাত্ররূপে গ্রহণ করতে। এমনকি, তা তোমাদেরকে আমার স্মরণ ভুলিয়ে দিয়েছিল এবং তোমরা তাদেরকে দেখে পরিহাস করতে।
But you took them for a laughingstock, so much so that they made you forget My Remembrance while you used to laugh at them!
فَاتَّخَذْتُمُوهُمْ سِخْرِيًّا حَتَّى أَنسَوْكُمْ ذِكْرِي وَكُنتُم مِّنْهُمْ تَضْحَكُونَ
Faittakhathtumoohum sikhriyyan hatta ansawkum thikree wakuntum minhum tadhakoona
YUSUFALI: “But ye treated them with ridicule, so much so that (ridicule of) them made you forget My Message while ye were laughing at them!
PICKTHAL: But ye chose them for a laughing-stock until they caused you to forget remembrance of Me, while ye laughed at them.
SHAKIR: But you took them for a mockery until they made you forget My remembrance and you used to laugh at them.
KHALIFA: “But you mocked and ridiculed them, to the extent that you forgot Me. You used to laugh at them.
১০৯। ” আমার একদল বান্দা প্রার্থনা করতো , ‘হে আমাদের প্রভু! আমরা ঈমান এনেছি। তুমি আমাদের ক্ষমা কর , এবং আমাদের দয়া কর। তুমিই তো সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু ‘
১১০। ” কিন্তু তোমরা তাদের নিয়ে এত পরিহাস করতে যে , তাদের প্রতি তোমাদের [ ঠাট্টা বিদ্রূপ ] তোমাদেরকে আমার উপদেশ ভুলিয়ে দিয়েছিলো যখন তোমরা তাদের প্রতি পরিহাসে মত্ত ছিলে ২৯৪৭;
২৯৪৭। “তোমরা তো তাদের নিয়ে এত পরিহাস করতে।” অর্থাৎ পাপীরা আল্লাহ্র নিদর্শনকে অস্বীকার করতো ও এ সব নিয়ে ঠাট্টা বিদ্রূপে এতটাই মগ্ন থাকতো পৃথিবীতে ,যে তারা বুঝতে অক্ষম হয় যে, এ সবের মাধ্যমে সে তার নিজের আত্মার পতনকেই ত্বরান্বিত করছে। এ ভাবেই পাপী তার পাপ কার্যের দ্বারাই ধ্বংস হয়ে যায়। পাপীরা যাদের ব্যঙ্গ বিদ্রূপ করে বা অত্যাচার, নির্যাতন করে। পরিণামে ক্ষতিগ্রস্থ হয় বা নির্যাতিত অপেক্ষা নির্যাতনকারী অধিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়। আল্লাহ্র এই বিধান বা নিয়মকে এই আয়াতে দোযখবাসীর বর্ণনার মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে।
উপদেশঃ আল্লাহ্র এই বিধান আমাদের পার্থিব জীবনেও প্রযোজ্য। কোনও সমাজ ও জীবন যখন অত্যাচার ও অন্যায়ে ভরে যায়। তখন সে সমাজের ধ্বংস অনিবার্য হয়ে দাড়ায়। আর এই ধ্বংস যজ্ঞে অত্যাচারী ও অত্যাচারিত উভয়েই ধ্বংস হয়ে যাবে।
আয়াতঃ 023.111
আজ আমি তাদেরকে তাদের সবরের কারণে এমন প্রতিদান দিয়েছি যে, তারাই সফলকাম।
Verily! I have rewarded them this Day for their patience, they are indeed the ones that are successful.
إِنِّي جَزَيْتُهُمُ الْيَوْمَ بِمَا صَبَرُوا أَنَّهُمْ هُمُ الْفَائِزُونَ
Innee jazaytuhumu alyawma bima sabaroo annahum humu alfa-izoona
YUSUFALI: “I have rewarded them this Day for their patience and constancy: they are indeed the ones that have achieved Bliss…”
PICKTHAL: Lo! I have rewarded them this day forasmuch as they were steadfast in that they, even they, are the triumphant.
SHAKIR: Surely I have rewarded them this day because they were patient, that they are the achievers.
KHALIFA: “I have rewarded them today, in return for their steadfastness, by making them the winners.”
১১১। “আজকে আমি তাদের ধৈর্য এবং দৃঢ়তার জন্য পুরষ্কৃত করবো। এরাই তারা যারা স্বর্গ সুখ অর্জন করেছে “।
১১২। আল্লাহ্ বলবেন, ” তোমরা পৃথিবীতে কত বৎসর অবস্থান করেছ ? ” ২৯৪৮
২৯৪৮। কুফা কিরাত অনুযায়ী “Qala” উচ্চারণ করা হয় যার অর্থ হবে ” তিনি বলিবেন”। আবার বসরা কিরাত অনুযায়ী পড়া হয় “Qual” যার অর্থ বল[আদেশ বোধক ]। ব্যাপারটির পার্থক্য ব্যাকরণগত। দেখুন টিকা ২৬৬৬ এবং আয়াত [ ২১ : ৪ ]।
আয়াতঃ 023.112
আল্লাহ বলবেনঃ তোমরা পৃথিবীতে কতদিন অবস্থান করলে বছরের গণনায়?
He (Allâh) will say: ”What number of years did you stay on earth?”
قَالَ كَمْ لَبِثْتُمْ فِي الْأَرْضِ عَدَدَ سِنِينَ
Qala kam labithtum fee al-ardi AAadada sineena
YUSUFALI: He will say: “What number of years did ye stay on earth?”
PICKTHAL: He will say: How long tarried ye in the earth, counting by years?
SHAKIR: He will say: How many years did you tarry in the earth?
KHALIFA: He said, “How long have you lasted on earth? How many years?”
১১১। “আজকে আমি তাদের ধৈর্য এবং দৃঢ়তার জন্য পুরষ্কৃত করবো। এরাই তারা যারা স্বর্গ সুখ অর্জন করেছে “।
১১২। আল্লাহ্ বলবেন, ” তোমরা পৃথিবীতে কত বৎসর অবস্থান করেছ ? ” ২৯৪৮
২৯৪৮। কুফা কিরাত অনুযায়ী “Qala” উচ্চারণ করা হয় যার অর্থ হবে ” তিনি বলিবেন”। আবার বসরা কিরাত অনুযায়ী পড়া হয় “Qual” যার অর্থ বল[আদেশ বোধক ]। ব্যাপারটির পার্থক্য ব্যাকরণগত। দেখুন টিকা ২৬৬৬ এবং আয়াত [ ২১ : ৪ ]।
আয়াতঃ 023.113
তারা বলবে, আমরা একদিন অথবা দিনের কিছু অংশ অবস্থান করেছি। অতএব আপনি গণনাকারীদেরকে জিজ্ঞেস করুন।
They will say: ”We stayed a day or part of a day. Ask of those who keep account.”
قَالُوا لَبِثْنَا يَوْمًا أَوْ بَعْضَ يَوْمٍ فَاسْأَلْ الْعَادِّينَ
Qaloo labithna yawman aw baAAda yawmin fais-ali alAAaddeena
YUSUFALI: They will say: “We stayed a day or part of a day: but ask those who keep account.”
PICKTHAL: They will say: We tarried by a day or part of a day. Ask of those who keep count!
SHAKIR: They will say: We tarried a day or part of a day, but ask those who keep account.
KHALIFA: They said, “We lasted a day or part of a day. Ask those who counted.”
১১৩। তারা বলবে, ” আমরা অবস্থান করেছিলাম একদিন বা দিনের কিছু অংশ ২৯৪৯। যারা হিসাব রক্ষক, আপনি তাদের জিজ্ঞাসা করুন।”
২৯৪৯। সময়ের উল্লেখের দ্বারা এখানে দুইটি বিষয়কে তুলে ধরা হয়েছে। ১) পাপীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে ; পরলোকের জীবনের তুলনায় পৃথিবীর স্বল্প স্থায়ীত্বতার দিকে। পাপীরা যখন পরলোকের অনন্ত জীবনকে দেখতে পাবে , তখন তাদের চৈতন্যদয় ঘটবে যে, পৃথিবীতে আধ্যাত্মিক জীবনকে অবহেলা করে শুধুমাত্র জাগতিক বিষয়বস্তু নিয়ে ব্যস্ত থেকে কি অপূরণীয় ভুল ও ক্ষতির সম্মুখীন তারা হয়েছে।। ২) পৃথিবীর বর্তমান দিনরাত্রির সময়ের হিসাব পরকালে থাকবে না। পরকালে সময়ের ধারণা হবে অসীম ও অনন্ত। সময়ের ধারণা হচ্ছে আপেক্ষিক যা গুহাসঙ্গীরা অনুভব করেছিলো আয়াত [ ১৮ : ১৯ ]। সুতারাং সময়ের সেই আপেক্ষিক ধারণাতে পরকালে ইহকালের এক জীবনের সময়কে মনে হবে একদিন বা একদিনের কিছু অংশ। “
আয়াতঃ 023.114
আল্লাহ বলবেনঃ তোমরা তাতে অল্পদিনই অবস্থান করেছ, যদি তোমরা জানতে?
He (Allâh) will say: ”You stayed not but a little, if you had only known!
قَالَ إِن لَّبِثْتُمْ إِلَّا قَلِيلًا لَّوْ أَنَّكُمْ كُنتُمْ تَعْلَمُونَ
Qala in labithtum illa qaleelan law annakum kuntum taAAlamoona
YUSUFALI: He will say: “Ye stayed not but a little,- if ye had only known!
PICKTHAL: He will say: Ye tarried but a little if ye only knew.
SHAKIR: He will say: You did tarry but a little– had you but known (it):
KHALIFA: He said, “In fact, you stayed but a brief interim, if you only knew.
১১৪। তিনি বলবেন, ” তোমরা অল্পকালই অবস্থান করেছিলে, – যদি তোমরা তা জানতে !
১১৫। “তোমরা কি তবে মনে করেছিলে যে, আমি তোমাদের কৌতুকচ্ছলে সৃষ্টি করেছি এবং তোমরা আমার নিকট প্রত্যাবর্তিত হবে না ? ” ২৯৫০
২৯৫০। মানুষ হচেছ ” আশরাফুল মাখলুকাত ” – স্রষ্টার শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি। মানুষকে সৃষ্টি স্রষ্টা উদ্দেশ্য বিহীনভাবে করেন নাই। এই সৃষ্টির পিছনে স্রষ্টার এক নির্দ্দিষ্ট উদ্দেশ্য বিদ্যমান। সুতারাং পার্থিব জীবন অসার বিষয়বস্তুতে নষ্ট করা উচিত নয়। মানুষের জন্য আছে পরকালের জবাবদিহিতা। এই পৃথিবীর সকল কাজকর্মের হিসাব তাকে পরকালে আল্লাহ্র নিকট দিতে হবে। এই পৃথিবীর জীবন স্বপ্ন বা অলীক নয়। এ জীবন সত্য, এ জীবন পরলোকের জন্য নিবেদিত। কবরেই জীবনের শেষ নয়। সুতারাং আমরা সকলে আন্তরিক ভাবে পরলোকের জীবনের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করবো। আল্লাহ্ যে উদ্দেশ্যে আমাদের সৃষ্টি করেছেন সেই উদ্দেশ্যের প্রতি আন্তরিকভাবে অগ্রসর হওয়া ও সত্যকে জীবনে প্রতিষ্ঠিত করা মানুষের কর্তব্য। যে চেষ্টা করে আল্লাহ্র করুণা তাঁকে বেষ্টন করে থাকে।
আয়াতঃ 023.115
তোমরা কি ধারণা কর যে, আমি তোমাদেরকে অনর্থক সৃষ্টি করেছি এবং তোমরা আমার কাছে ফিরে আসবে না?
”Did you think that We had created you in play (without any purpose), and that you would not be brought back to Us?”
أَفَحَسِبْتُمْ أَنَّمَا خَلَقْنَاكُمْ عَبَثًا وَأَنَّكُمْ إِلَيْنَا لَا تُرْجَعُونَ
Afahasibtum annama khalaqnakum AAabathan waannakum ilayna la turjaAAoona
YUSUFALI: “Did ye then think that We had created you in jest, and that ye would not be brought back to Us (for account)?”
PICKTHAL: Deemed ye then that We had created you for naught, and that ye would not be returned unto Us?
SHAKIR: What! did you then think that We had created you in vain and that you shall not be returned to Us?
KHALIFA: “Did you think that we created you in vain; that you were not to be returned to us?”
১১৪। তিনি বলবেন, ” তোমরা অল্পকালই অবস্থান করেছিলে, – যদি তোমরা তা জানতে !
১১৫। “তোমরা কি তবে মনে করেছিলে যে, আমি তোমাদের কৌতুকচ্ছলে সৃষ্টি করেছি এবং তোমরা আমার নিকট প্রত্যাবর্তিত হবে না ? ” ২৯৫০
২৯৫০। মানুষ হচেছ ” আশরাফুল মাখলুকাত ” – স্রষ্টার শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি। মানুষকে সৃষ্টি স্রষ্টা উদ্দেশ্য বিহীনভাবে করেন নাই। এই সৃষ্টির পিছনে স্রষ্টার এক নির্দ্দিষ্ট উদ্দেশ্য বিদ্যমান। সুতারাং পার্থিব জীবন অসার বিষয়বস্তুতে নষ্ট করা উচিত নয়। মানুষের জন্য আছে পরকালের জবাবদিহিতা। এই পৃথিবীর সকল কাজকর্মের হিসাব তাকে পরকালে আল্লাহ্র নিকট দিতে হবে। এই পৃথিবীর জীবন স্বপ্ন বা অলীক নয়। এ জীবন সত্য, এ জীবন পরলোকের জন্য নিবেদিত। কবরেই জীবনের শেষ নয়। সুতারাং আমরা সকলে আন্তরিক ভাবে পরলোকের জীবনের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করবো। আল্লাহ্ যে উদ্দেশ্যে আমাদের সৃষ্টি করেছেন সেই উদ্দেশ্যের প্রতি আন্তরিকভাবে অগ্রসর হওয়া ও সত্যকে জীবনে প্রতিষ্ঠিত করা মানুষের কর্তব্য। যে চেষ্টা করে আল্লাহ্র করুণা তাঁকে বেষ্টন করে থাকে।
আয়াতঃ 023.116
অতএব শীর্ষ মহিমায় আল্লাহ, তিনি সত্যিকার মালিক, তিনি ব্যতীত কোন মাবুদ নেই। তিনি সম্মানিত আরশের মালিক।
So Exalted be Allâh, the True King, Lâ ilâha illa Huwa (none has the right to be worshipped but He), the Lord of the Supreme Throne!
فَتَعَالَى اللَّهُ الْمَلِكُ الْحَقُّ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ رَبُّ الْعَرْشِ الْكَرِيمِ
FataAAala Allahu almaliku alhaqqu la ilaha illa huwa rabbu alAAarshi alkareemi
YUSUFALI: Therefore exalted be Allah, the King, the Reality: there is no god but He, the Lord of the Throne of Honour!
PICKTHAL: Now Allah be Exalted, the True King! There is no Allah save Him, the Lord of the Throne of Grace.
SHAKIR: So exalted be Allah, the True King; no god is there but He, the Lord of the honorable dominion.
KHALIFA: Most exalted is GOD, the true Sovereign. There is no other god beside Him; the Most Honorable Lord, possessor of all authority.
১১৬। সুতারাং আল্লাহ্ মহিমান্বিত , তিনিই মালিক , প্রকৃত সত্য। তিনি ব্যতীত অন্য কোন উপাস্য নাই ; তিনিই সম্মানীয় আরশের প্রভু।
১১৭। যদি কেউ আল্লাহ্ ব্যতীত অন্য কোন উপাস্যের উদ্ভাবন করে, এ ব্যাপারে তার কোন বিধিসংগত ক্ষমতা নাই। তার হিসাব – নিকাশ হবে শুধুমাত্র তার প্রভুর নিকট ২৯৫১। নিশ্চয়ই অবিশ্বাসীরা বিজয় লাভে সমর্থ হবে না।
২৯৫১। আল্লাহ্র অস্তিত্ব হচ্ছে চরম সত্য। তিনি ব্যতীত অন্য কোনও উপাস্য নাই। তিনি এক ও অদ্বিতীয় এবং এই বিশ্ব সংসারের স্রষ্টা ও প্রতিপালক। যদি কেউ নিজস্ব কল্পনার বশবর্তী হয়ে আল্লাহ্র পরিবর্তে অন্য উপাস্যের উপাসনা করে, তবে সে অবশ্যই প্রতারিত হবে। আমাদের শত দোষত্রুটি সত্বেও যদি আমরা তাঁর ক্ষমাপ্রার্থী হই, তবে তিনি আমাদের ক্ষমা করে দেবেন ,সেই আশ্বাস দেয়া হয়েছে পরবর্তী আয়াতে।
আয়াতঃ 023.117
যে কেউ আল্লাহর সাথে অন্য উপাস্যকে ডাকে, তার কাছে যার সনদ নেই, তার হিসাব তার পালণকর্তার কাছে আছে। নিশ্চয় কাফেররা সফলকাম হবে না।
And whoever invokes (or worships), besides Allâh, any other ilâh (god), of whom he has no proof, then his reckoning is only with his Lord. Surely! Al-Kâfirûn (the disbelievers in Allâh and in the Oneness of Allâh, polytheists, pagans, idolaters, etc.) will not be successful.
وَمَن يَدْعُ مَعَ اللَّهِ إِلَهًا آخَرَ لَا بُرْهَانَ لَهُ بِهِ فَإِنَّمَا حِسَابُهُ عِندَ رَبِّهِ إِنَّهُ لَا يُفْلِحُ الْكَافِرُونَ
Waman yadAAu maAAa Allahi ilahan akhara la burhana lahu bihi fa-innama hisabuhu AAinda rabbihi innahu la yuflihu alkafiroona
YUSUFALI: If anyone invokes, besides Allah, Any other god, he has no authority therefor; and his reckoning will be only with his Lord! and verily the Unbelievers will fail to win through!
PICKTHAL: He who crieth unto any other god along with Allah hath no proof thereof. His reckoning is only with his Lord. Lo! disbelievers will not be successful.
SHAKIR: And whoever invokes with Allah another god– he has no proof of this– his reckoning is only with his Lord; surely the unbelievers shall not be successful.
KHALIFA: Anyone who idolizes beside GOD any other god, and without any kind of proof, his reckoning rests with his Lord. The disbelievers never succeed.
১১৬। সুতারাং আল্লাহ্ মহিমান্বিত , তিনিই মালিক , প্রকৃত সত্য। তিনি ব্যতীত অন্য কোন উপাস্য নাই ; তিনিই সম্মানীয় আরশের প্রভু।
১১৭। যদি কেউ আল্লাহ্ ব্যতীত অন্য কোন উপাস্যের উদ্ভাবন করে, এ ব্যাপারে তার কোন বিধিসংগত ক্ষমতা নাই। তার হিসাব – নিকাশ হবে শুধুমাত্র তার প্রভুর নিকট ২৯৫১। নিশ্চয়ই অবিশ্বাসীরা বিজয় লাভে সমর্থ হবে না।
২৯৫১। আল্লাহ্র অস্তিত্ব হচ্ছে চরম সত্য। তিনি ব্যতীত অন্য কোনও উপাস্য নাই। তিনি এক ও অদ্বিতীয় এবং এই বিশ্ব সংসারের স্রষ্টা ও প্রতিপালক। যদি কেউ নিজস্ব কল্পনার বশবর্তী হয়ে আল্লাহ্র পরিবর্তে অন্য উপাস্যের উপাসনা করে, তবে সে অবশ্যই প্রতারিত হবে। আমাদের শত দোষত্রুটি সত্বেও যদি আমরা তাঁর ক্ষমাপ্রার্থী হই, তবে তিনি আমাদের ক্ষমা করে দেবেন ,সেই আশ্বাস দেয়া হয়েছে পরবর্তী আয়াতে।
আয়াতঃ 023.118
বলূনঃ হে আমার পালনকর্তা, ক্ষমা করুন ও রহম করুন। রহমকারীদের মধ্যে আপনি শ্রেষ্ট রহমকারী।
And say (O Muhammad SAW): ”My Lord! Forgive and have mercy, for You are the Best of those who show mercy!”
وَقُل رَّبِّ اغْفِرْ وَارْحَمْ وَأَنتَ خَيْرُ الرَّاحِمِينَ
Waqul rabbi ighfir wairham waanta khayru alrrahimeena
YUSUFALI: So say: “O my Lord! grant Thou forgiveness and mercy for Thou art the Best of those who show mercy!”
PICKTHAL: And (O Muhammad) say: My Lord! Forgive and have mercy, for Thou art Best of all who show mercy.
SHAKIR: And say: O my Lord! forgive and have mercy, and Thou art the best of the Merciful ones.
KHALIFA: Say, “My Lord, shower us with forgiveness and mercy. Of all the merciful ones, You are the Most Merciful.”
১১৮। সুতারাং বল, ” হে আমার প্রভু ! তুমি ক্ষমা কর এবং দয়া কর। তুমিই তো শ্রেষ্ঠ দয়ালু।”
২৯৫৩। এই সূরার প্রথম আয়াতে বিশ্বাসীদের সম্বন্ধে যে আশ্বাস দেয়া হয়েছে ঠিক সেই একই ভাষাতে অবিশ্বাসীদের বিপরীত ভাবে সাবধান করা হয়েছে। যারা পূণ্যাত্মা তাদের সফলতা দান করবেন স্বয়ং স্রষ্টা। অপরপক্ষে যারা কুফরী করে তাদের পতন অবশ্যাম্ভবী।