আয়াতঃ 025.029
আমার কাছে উপদেশ আসার পর সে আমাকে তা থেকে বিভ্রান্ত করেছিল। শয়তান মানুষকে বিপদকালে ধোঁকা দেয়।
”He indeed led me astray from the Reminder (this Qur’ân) after it had come to me. And Shaitân (Satan) is ever a deserter to man in the hour of need.”
لَقَدْ أَضَلَّنِي عَنِ الذِّكْرِ بَعْدَ إِذْ جَاءنِي وَكَانَ الشَّيْطَانُ لِلْإِنسَانِ خَذُولًا
Laqad adallanee AAani alththikri baAAda ith jaanee wakana alshshaytanu lil-insani khathoolan
YUSUFALI: “He did lead me astray from the Message (of Allah) after it had come to me! Ah! the Evil One is but a traitor to man!”
PICKTHAL: He verily led me astray from the Reminder after it had reached me. Satan was ever man’s deserter in the hour of need.
SHAKIR: Certainly he led me astray from the reminder after it had come to me; and the Shaitan fails to aid man.
KHALIFA: “He has led me away from the message after it came to me. Indeed, the devil lets down his human victims.”
২৮। “হায় ! আমার দুর্ভাগ্য যদি আমি ঐ লোককে বন্ধু বলে না গ্রহণ করতাম।
২৯। ” আমার নিকট [আল্লাহ্র ] উপদেশ পৌঁছানোর পরে সে আমাকে পথভ্রষ্ট করেছে। হায় ! শয়তান তো মানুষের জন্য মহাপ্রতারক ৩০৮৫। ”
৩০৮৫। শয়তানের প্রতারণার ফাঁদ মনোমুগ্ধকর। আর এই মনোমুগ্ধকর ফাঁদে মানুষ খুব সহজেই ধরা পড়ে। এ ফাঁদ হচ্ছে প্রতারণা ও বিশ্বাস ঘাতকতায় ভরা। অনেকেই লোভের বশবর্তী হয়ে ক্ষণস্থায়ী লাভকে বিশাল পাওয়া মনে করে। কিন্তু শেষ পরিণতিতে হতভাগ্যের জন্য থাকে হতাশা ও বিপর্যয়। শয়তানের প্রতারণা কখনও স্থায়ী ফল আনতে সক্ষম নয়। শয়তানের প্রতারণার অর্থ আমাদের জীবনে আমরা অনেক সময়েই পরিশ্রম ও অধ্যাবসায়ের পরিবর্তে প্রতারণার মাধ্যম সহজেই কর্ম সম্পাদন করে সাফল্য অর্জন করতে চাই। কিন্তু প্রতারণার মাধ্যমে যে সাফল্য তা কখনও স্থায়ী হতে পারে না। তার শেষ পরিণতি এই পৃথিবীতেই ভয়াবহ, পরকালের শাস্তি তো রইলই। যেমন উদাহরণ : কোন ছাত্র যদি তার পরীক্ষার ফলাফলকে ভালো করার জন্য পরিশ্রম ও অধ্যাবসায়ের পরিবর্তে নকল ও পরীক্ষকদের প্রভাবিত করার মত প্রতারণার সাহায্য গ্রহণ করে, তবে সে হয়তো অস্থায়ীভাবে সাফল্য লাভ করতে পারে , কিন্তু শেষ পরিণতিতে তার ব্যর্থতা অপরিহার্য।
মন্তব্য : নির্দ্দিষ্ট ঘটনার মাধ্যমে যুগকাল অতিক্রান্ত এই উপদেশ সকল মানুষকে দেয়া হয়েছে।
আয়াতঃ 025.030
রসূল বললেনঃ হে আমার পালনকর্তা, আমার সম্প্রদায় এই কোরআনকে প্রলাপ সাব্যস্ত করেছে।
And the Messenger (Muhammad SAW) will say: ”O my Lord! Verily, my people deserted this Qur’ân (neither listened to it, nor acted on its laws and orders).
وَقَالَ الرَّسُولُ يَا رَبِّ إِنَّ قَوْمِي اتَّخَذُوا هَذَا الْقُرْآنَ مَهْجُورًا
Waqala alrrasoolu ya rabbi inna qawmee ittakhathoo hatha alqur-ana mahjooran
YUSUFALI: Then the Messenger will say: “O my Lord! Truly my people took this Qur’an for just foolish nonsense.”
PICKTHAL: And the messenger saith: O my Lord! Lo! mine own folk make this Qur’an of no account.
SHAKIR: And the Messenger cried out: O my Lord! surely my people have treated this Quran as a forsaken thing.
KHALIFA: The messenger said, “My Lord, my people have deserted this Quran.”
৩০। তখন রসুল বলবেন, ” হে আমার প্রভু ! আমার সম্প্রদায় তো এই কোর-আনকে নির্বোধের অর্থহীন ভাষা হিসেবে গণ্য করেছে ৩০৮৬।”
৩০৮৬। ” আমার সম্প্রদায় ” অর্থাৎ অবিশ্বাসী কোরেশ সম্প্রদায়। কোরেশদের মধ্যে যারা অবিশ্বাসী তারা কোরাণকে অশ্রদ্ধার সাথে ব্যবহার করতো, যেনো তা পরিতাজ্য। তবে কোরেশ সম্প্রদায়ের মধ্যে এদের সংখ্যা খুব বেশী না হলেও এরা ছিলেন সমাজে প্রভাবশালী ব্যক্তি যাদের স্বার্থে আঘাত লেগেছিলো ইসলামের বিধানাবলীর দ্বারা। তবে সময়ের ব্যবধানে ইসলামের এই সব শত্রুরা ধরাধাম ত্যাগ করে এবং শেষ পর্যন্ত ইসলাম সমগ্র আরবে সুপ্রতিষ্ঠিত হয়। কোরাণ হচ্ছে মানব সমাজের নিকট সেই গ্রন্থ যার মধ্যে নিহিত আছে মানুষের জীবন বিধানের নির্দেশনার অমূল্য রত্নরাজি – যার ভাষার প্রকাশ গভীর এবং আধ্যাত্মিক জ্ঞানে সমৃদ্ধ।
আয়াতঃ 025.031
এমনিভাবে প্রত্যেক নবীর জন্যে আমি অপরাধীদের মধ্য থেকে শত্রু করেছি। আপনার জন্যে আপনার পালনকর্তা পথপ্রদর্শক ও সাহায্যকারীরূপে যথেষ্ট।
Thus have We made for every Prophet an enemy among the Mujrimûn (disbelievers, polytheists, criminals, etc.). But Sufficient is your Lord as a Guide and Helper.
وَكَذَلِكَ جَعَلْنَا لِكُلِّ نَبِيٍّ عَدُوًّا مِّنَ الْمُجْرِمِينَ وَكَفَى بِرَبِّكَ هَادِيًا وَنَصِيرًا
Wakathalika jaAAalna likulli nabiyyin AAaduwwan mina almujrimeena wakafa birabbika hadiyan wanaseeran