YUSUFALI: Those who brought forward the lie are a body among yourselves: think it not to be an evil to you; On the contrary it is good for you: to every man among them (will come the punishment) of the sin that he earned, and to him who took on himself the lead among them, will be a penalty grievous.
PICKTHAL: Lo! they who spread the slander are a gang among you. Deem it not a bad thing for you; nay, it is good for you. Unto every man of them (will be paid) that which he hath earned of the sin; and as for him among them who had the greater share therein, his will be an awful doom.
SHAKIR: Surely they who concocted the lie are a party from among you. Do not regard it an evil to you; nay, it is good for you. Every man of them shall have what he has earned of sin; and (as for) him who took upon himself the main part thereof, he shall have a grievous chastisement.
KHALIFA: A gang among you produced a big lie. Do not think that it was bad for you; instead, it was good for you. Meanwhile, each one of them has earned his share of the guilt. As for the one who initiated the whole incident, he has incurred a terrible retribution.
রুকু – ২
১১। যারা এই মিথ্যাকে রচনা করেছে তারা তো তোমাদেরই একটি দল ২৯৬২। একে তোমরা তোমাদের জন্য অনিষ্টকর মনে না করে বরং ইহা তোমাদের জন্য কল্যাণকর মনে কর ২৯৬৩। ওদের প্রত্যেকের জন্য আছে ওদের কৃত পাপ কর্মের ফল এবং ওদের মধ্যে যে এই ব্যাপারে প্রধান ভূমিকা গ্রহণ করেছে , তার জন্য আছে মহাশাস্তি ২৯৬৪।
২৯৬২। ৫ – ৬ ই হিজরীতে রসুল [ সা ] যখন বানু-মুসতালিকের অভিযান থেকে প্রত্যাবর্তন করছিলেন তখনই ঘটনাটি সংঘটিত হয়। ঘটনাটি এরূপ; এই ঘটনার পূর্বেই পর্দ্দার আয়াতগুলি অবতীর্ণ হয়েছিলো। এই যুদ্ধে হযরত আয়েশা রসুলুল্লাহ্ [ সা ] সাথে গমন করেন। হযরত আয়েশার জন্য উটের পিঠে পর্দ্দা বিশিষ্ট আসনের ব্যবস্থা করা হয়। হযরত আয়েশা প্রথমে পর্দ্দা বিশিষ্ট আসনে সওয়ার হয়ে যেতেন, এরপরে লোকেরা আসনটিকে উটের পিঠে বসিয়ে দিত। এটাই ছিলো নিত্যদিনের অভ্যাস। যুদ্ধ সমাপ্তির পরে মদিনায় ফেরার পথে একদিন একটি ঘটনা ঘটলো। যখন যাত্রার প্রস্তুতি হিসেবে তাবু গুটানো হচ্ছিলো, সে সময়ে হযরত আয়েশা তাঁর তাঁবুতে ছিলেন না। তিনি তাঁর হারানো মূল্যবান গলার হার তল্লাসীতে তাঁবু থেকে দূরে অবস্থান করছিলেন। যেহেতু তাঁর আসনটি ঘেরা ছিলো , এবং তিনি তাঁবুতে ছিলেন না , সুতরাং বাহকেরা মনে করেছিলো যে তিনি তাঁর পর্দ্দা ঘেরা আসনে অপেক্ষা করছেন। সেভাবেই যাত্রা শুরু হয়ে যায় এবং সেনাবাহিনী পরবর্তী স্থানে না থামা পর্যন্ত তা লক্ষ্য করা হয় না। ইতিমধ্যে হযরত আয়েশা ফিরে এসে দেখেন যে কাফেলা চলে গেছে। তিনি কিণ্তু অস্থির না হয়ে ধীরে স্থির ভাবে সেখানেই অপেক্ষা করতে থাকেন। কারণ তাঁর অনুপস্থিতি লক্ষ্য করলেই তাঁর উদ্ধারের জন্য লোক প্রেরণ করা হবে এ বিশ্বাস তাঁর ছিলো। সময়টি ছিলো রাত্রি সুতারাং তিনি ঘুমে ঢলে পড়েন। অপর দিকে সাফওয়ান নামে একজন মুহাজিরকে রসুলুল্লাহ্ [ সা ] নিয়োজিত করেছিলেন এ জন্য যে, সে কাফেলার পিছনে আসবে, যদি ভুলক্রমে কাফেলা কোন জিনিষ পিছনে ফেলে আসে তা কুড়িয়ে আনার জন্য। পর দিন সকালে সাফওয়ান হযরত আয়েশাকে দেখতে পান এবং তিনি তাঁকে উটের পিঠে সওয়ারী করে উটের দড়ি হাতে ধরে পদব্রজে যাত্রা করেন। এই ঘটনা মোনফেক ও শত্রুদের মাঝে কুৎসা ও অপবাদ রটনার সুযোগ করে দেয়। অপবাদ রটনাকারীদের দলপতি ছিলো আব্দুল্লাহ্ ইবনে উবাই নামে মদিনার এক মোনাফেক – যার উল্লেখ এই আয়াতের শেষে করা হয়েছে। এই উবাই বহু ধরনের পাপের অভিযোগে অভিযুক্ত ছিলো এবং শেষ পর্যন্ত অনুতাপের মাধ্যমে আত্মসংশোধন না করেই সে পাপী অবস্থাতেই মৃত্যুবরণ করে। অপরপক্ষে যারা তাঁর সাথে যোগদান করেছিলো তারা নির্দ্দিষ্ট শাস্তি গ্রহণ করে ও তওবার মাধ্যমে আত্ম সংশোধন করে। এই হচ্ছে পরবর্তী আয়াতসমূহ প্রত্যার্পনের আনুসঙ্গিক ঘটনা।
২৯৬৩। মিথ্যা কুৎসা গোপনে রটনা অপেক্ষা প্রকাশ্যে ব্যক্ত করা উত্তম। কারণ তখন তা মিথ্যা প্রমাণ করার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয় না। ফলে, পাপীরা অনুতপ্ত হয়ে পাপ মোচনের সুযোগ লাভ করে।
২৯৬৪। অপবাদ রটনাকারীর প্রধান ভূমিকা গ্রহণকারী সম্পর্কে বলা হয়েছে টিকা ২৯৬২ তে।
আয়াতঃ 024.012
তোমরা যখন একথা শুনলে, তখন ঈমানদার পুরুষ ও নারীগণ কেন নিজেদের লোক সম্পর্কে উত্তম ধারণা করনি এবং বলনি যে, এটা তো নির্জলা অপবাদ?
Why then, did not the believers, men and women, when you heard it (the slander) think good of their own people and say: ”This (charge) is an obvious lie?”
لَوْلَا إِذْ سَمِعْتُمُوهُ ظَنَّ الْمُؤْمِنُونَ وَالْمُؤْمِنَاتُ بِأَنفُسِهِمْ خَيْرًا وَقَالُوا هَذَا إِفْكٌ مُّبِينٌ
Lawla ith samiAAtumoohu thanna almu/minoona waalmu/minatu bi-anfusihim khayran waqaloo hatha ifkun mubeenun