৫৫। তোমাদের মধ্য সেই সকল লোকের সাথে আল্লাহ্ প্রতিশ্রুতি দিতেছেন, যারা ঈমান আনে এবং সৎ কাজ করে, ৩০৩১ যে, নিশ্চয়ই তিনি তাদের দুনিয়াতে প্রতিনিধিত্ব দান করবেন, যেমন তিনি তাদের পূর্ববর্তীদের দান করেছিলেন, এবং সুপ্রতিষ্ঠিত করবেন তাদের ধর্ম – যে ধর্ম তিনি তাদের জন্য মনোনীত করেছেন। এবং যে ভয় ভীতির মধ্যে [ তারা বাস করতো ] সে অবস্থার পরিবর্তন করে শান্তি ও নিরাপত্তা দান করবেন ৩০৩২। “তারা শুধু আমারই এবাদত করবে এবং আমার সাথে কখনও কিছু শরীক করবে না।” এর পরেও যদি কেহ ঈমানকে প্রত্যাখান করে, তবে তারাই হবে বিদ্রোহী ও দুষ্ট।
৩০৩১। এই আয়াতের মাধ্যমে , যারা এক আল্লাহ্তে বিশ্বাসী ও আল্লাহর বিধানকে মেনে চলে তাদের তিনটি ব্যাপারে আল্লাহ আশ্বাস দিয়েছেন। ১) তাদের পৃথিবীতে কর্তৃত্ব দান করবেন। এই কর্তৃত্ব কোন ব্যক্তিস্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে নয়, বা প্রিয়-তোষণের জন্য নয়। এই কর্তৃত্ব দান করা হবে পৃথিবীতে আল্লাহর বিধানকে [ ন্যায় ও সত্য ] প্রতিষ্ঠিত করার জন্য। অর্থাৎ যে জাতি বিশ্বাসী ও ন্যায়বান তাদের আল্লাহ দুনিয়াতে কর্তৃত্ব দান করবেন, যেমন পূর্ববর্তীদের করেছেন। [ মুসলিম জাতিদের এরই প্রেক্ষিতে নিজেদের আত্মবিশ্লেষণের প্রয়োজন কেন তাদের দুনিয়া জোড়া জিল্লাতি। ] ২) আল্লাহর মনোনীত ধর্ম অবশ্যই প্রতিষ্ঠিত হবে। অন্যায়, অসত্য , নির্যাতন সর্ব পাপকে অবদমিত করা হবে। কারণ বিশ্বাস ও ন্যায়, সত্যের প্রতিষ্ঠা হচ্ছে আল্লাহর মনোনীত ধর্ম। ইসলামী জীবন যাত্রা প্রণালীর এই হচ্ছে মূল কথা। ৩) পূণ্যাত্মারা জীবনের সকল অবস্থাতেই শান্তি ও নিরাপত্তার মধ্যে থাকবে কারণ তাদের জীবনের শান্তি ও নিরাপত্তা দান করবেন স্বয়ং আল্লাহ। ধর্মের কারণে বা জেহাদের কারণে তারা যে কোনও নির্যাতনই ভোগ করুক না কেন তা তাদের মানসিক শান্তি ও নিরাপত্তা নষ্ট করবে না। তাদের অন্তরে কোনও শত্রুভীতি থাকবে না। ইসলামের প্রথম যুগে ইসলামের বিজয় এই সত্যতারই সাক্ষর বহন করে। আল্লাহর আয়াতের বৈশিষ্ট্য তা সর্ব কালের সর্বযুগের জন্য। এই বাণীর আশ্বাস সে যুগের জন্যও যেমন প্রযোজ্য ছিলো আজও তা সমভাবে প্রযোজ্য। আজকের পৃথিবীতে যে জাতির সমাজ ব্যবস্থা ন্যায় ও সত্যের উপরে প্রতিষ্ঠিত থাকে সেখানেই আল্লাহর আশ্বাস কার্যকর হয়। যে সমাজে অন্যায় অত্যাচার বিরাজ করলে সে সমাজ আল্লাহর অভিশাপগ্রস্থ হয়। [ দুনিয়া জোড়া মুসলমানদের বিপর্যয় এরই প্রেক্ষিতে আত্ম বিশ্লেষণ করতে হবে। ]
৩০৩২। এই আয়াতটি নাজেল হয় হিজরী ৪ – ৫ সনে পরিখার যুদ্ধ বা খন্দকের যুদ্ধের সময়ে। সে সময়ে মদিনার মুসলিমরা তাদের সংখ্যার দশগুণ বেশী শত্রু দ্বারা পরিবেষ্টিত হয়ে অবরোধে কালাতিপাত করছিলেন। সে সময়ে মুসলমানদের মানসিক অবস্থা ছিলো উদ্বেগ ও বিপদের আশঙ্কাতে পরিপূর্ণ [ ৩৩ : ৯ – ২০ ]। এই আয়াত তাদের আত্মবিশ্বাস ও মানসিক শান্তি ফিরিয়ে আনে। শেষ পর্যন্ত আল্লাহর আশ্বাস কার্যকর হয় এবং মুসলমানেরা তাদের নিরাপত্তা এবং কর্তৃত্ব প্রভুত পরিমাণে লাভ করে।
উপদেশ : আল্লাহ্র আশ্বাস সর্বকাল ও সর্বযুগের জন্য প্রযোজ্য।
আয়াতঃ 024.056
নামায কায়েম কর, যাকাত প্রদান কর এবং রসূলের আনুগত্য কর যাতে তোমরা অনুগ্রহ প্রাপ্ত হও।
And perform AsSalât (IqâmatasSalât), and give Zakât and obey the Messenger (Muhammad SAW) that you may receive mercy (from Allâh).
وَأَقِيمُوا الصَّلَاةَ وَآتُوا الزَّكَاةَ وَأَطِيعُوا الرَّسُولَ لَعَلَّكُمْ تُرْحَمُونَ
Waaqeemoo alssalata waatoo alzzakata waateeAAoo alrrasoola laAAallakum turhamoona
YUSUFALI: So establish regular Prayer and give regular Charity; and obey the Messenger; that ye may receive mercy.
PICKTHAL: Establish worship and pay the poor-due and obey the messenger, that haply ye may find mercy.
SHAKIR: And keep up prayer and pay the poor-rate and obey the Messenger, so that mercy may be shown to you.
KHALIFA: You shall observe the Contact Prayers (Salat) and give the obligatory charity (Zakat), and obey the messenger, that you may attain mercy.
৫৬। সুতারাং নিয়মিত নামাজ কায়েম কর এবং যাকাত দাও ; এবং রাসুলকে অনুসরণ কর যেনো তোমরা অনুগ্রহ পেতে পার।
৫৭। তুমি কখনও মনে করো না যে, অবিশ্বাসীরা [আল্লাহ্র পরিকল্পনা ] ব্যর্থ করবে। তাদের বাসস্থান হবে আগুন, এবং এটা অবশ্যই এক মন্দ আশ্রয়স্থল।
আয়াতঃ 024.057
তোমরা কাফেরদেরকে পৃথিবীতে পরাক্রমশালী মনে করো না। তাদের ঠিকানা অগ্নি। কতই না নিকৃষ্ট এই প্রত্যাবর্তনস্থল।
Consider not that the disbelievers can escape in the land. Their abode shall be the Fire, and worst indeed is that destination.
لَا تَحْسَبَنَّ الَّذِينَ كَفَرُوا مُعْجِزِينَ فِي الْأَرْضِ وَمَأْوَاهُمُ النَّارُ وَلَبِئْسَ الْمَصِيرُ
La tahsabanna allatheena kafaroo muAAjizeena fee al-ardi wama/wahumu alnnaru walabi/sa almaseeru