৩০২৪। এই আয়াতে মোনাফেকদের বৈশিষ্ট্যের উল্লেখ করা হয়েছে। মোনাফেকরা জাগতিক স্বার্থের বাইরে আর কিছু দেখতে অক্ষম। তাই তাদের আল্লাহর প্রত্যাদেশ থেকে উপকৃত হওয়ার আশা থাকে না।
আয়াতঃ 024.048
তাদের মধ্যে ফয়সালা করার জন্য যখন তাদেরকে আল্লাহ ও রসূলের দিকে আহবান করা হয তখন তাদের একদল মুখ ফিরিয়ে নেয়।
And when they are called to Allâh (i.e. His Words, the Qur’ân) and His Messenger (SAW), to judge between them, lo! a party of them refuse (to come) and turn away.
وَإِذَا دُعُوا إِلَى اللَّهِ وَرَسُولِهِ لِيَحْكُمَ بَيْنَهُمْ إِذَا فَرِيقٌ مِّنْهُم مُّعْرِضُونَ
Wa-itha duAAoo ila Allahi warasoolihi liyahkuma baynahum itha fareequn minhum muAAridoona
YUSUFALI: When they are summoned to Allah and His messenger, in order that He may judge between them, behold some of them decline (to come).
PICKTHAL: And when they appeal unto Allah and His messenger to judge between them, lo! a faction of them are averse;
SHAKIR: And when they are called to Allah and His Messenger that he may judge between them, lo! a party of them turn aside.
KHALIFA: When they are invited to GOD and His messenger to judge among them, some of them get upset.
৪৮। যখন তাদের আল্লাহ্ ও রাসুলের দিকে আহ্বান করা হয় এই জন্য যে, রাসুল তাদের বিবাদের বিচার করে মীমাংসা করে দেবেন , তখন দেখ অকস্মাৎ একদল [ আসতে ] অস্বীকার করে।
৪৯। কিন্তু যদি ন্যায় [ বিচার ] তাদের পক্ষে থাকে ৩০২৫, তবে তারা আনুগত্য সহকারে রাসুলের নিকট ছুটে আসে।
৩০২৫। আলোচ্য আয়াতে বিশেষ ঘটনার প্রেক্ষিতে নাজেল হয়েছে। বিশর নামে জনৈক মুসলিম ও ইহুদীর মধ্যে জমি সংক্রান্ত কলহ বিবাদ ছিল। বিশর প্রকৃত মুসলিম ছিলো না,ছিলো মোনাফেক। ইহুদী তাকে বিবাদের মীমাংসা করার জন্য রসুলুল্লাহ্ [ সা ] নিকট যাওয়ার প্রস্তাব করলো। কিন্তু মোনাফেক বিশর ছিলো অন্যায়ের উপর। সে জানতো যে, রসুলুল্লাহ্ [সা ] ন্যায় বিচার করবেন এবং সে হেরে যাবে। সুতারাং সে অস্বীকার করলো। মুনাফিকদের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তখনই তারা ন্যায় বিচার চাইবে , যখন তা মুনাফিকের স্বার্থ অনুযায়ী তার পক্ষে হবে।
উপদেশঃ এরূপ স্বার্থপরতা ও অন্যায় আচরণ যে শুধুমাত্র মদিনার মুসলমানরে মধ্যেই ছিলো তাই-ই নয়। মোনাফেকদের এই বৈশিষ্ট সর্বকালের সর্বযুগের যা এখনও বিদ্যমান।
আয়াতঃ 024.049
সত্য তাদের স্বপক্ষে হলে তারা বিনীতভাবে রসূলের কাছে ছুটে আসে।
But if the right is with them, they come to him willingly with submission.
وَإِن يَكُن لَّهُمُ الْحَقُّ يَأْتُوا إِلَيْهِ مُذْعِنِينَ
Wa-in yakun lahumu alhaqqu ya/too ilayhi muthAAineena
YUSUFALI: But if the right is on their side, they come to him with all submission.
PICKTHAL: But if right had been with them they would have come unto him willingly.
SHAKIR: And if the truth be on their side, they come to him quickly, obedient.
KHALIFA: However, if the judgment is in their favor, they readily accept it!
৪৮। যখন তাদের আল্লাহ্ ও রাসুলের দিকে আহ্বান করা হয় এই জন্য যে, রাসুল তাদের বিবাদের বিচার করে মীমাংসা করে দেবেন , তখন দেখ অকস্মাৎ একদল [ আসতে ] অস্বীকার করে।
৪৯। কিন্তু যদি ন্যায় [ বিচার ] তাদের পক্ষে থাকে ৩০২৫, তবে তারা আনুগত্য সহকারে রাসুলের নিকট ছুটে আসে।
৩০২৫। আলোচ্য আয়াতে বিশেষ ঘটনার প্রেক্ষিতে নাজেল হয়েছে। বিশর নামে জনৈক মুসলিম ও ইহুদীর মধ্যে জমি সংক্রান্ত কলহ বিবাদ ছিল। বিশর প্রকৃত মুসলিম ছিলো না,ছিলো মোনাফেক। ইহুদী তাকে বিবাদের মীমাংসা করার জন্য রসুলুল্লাহ্ [ সা ] নিকট যাওয়ার প্রস্তাব করলো। কিন্তু মোনাফেক বিশর ছিলো অন্যায়ের উপর। সে জানতো যে, রসুলুল্লাহ্ [সা ] ন্যায় বিচার করবেন এবং সে হেরে যাবে। সুতারাং সে অস্বীকার করলো। মুনাফিকদের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তখনই তারা ন্যায় বিচার চাইবে , যখন তা মুনাফিকের স্বার্থ অনুযায়ী তার পক্ষে হবে।
উপদেশঃ এরূপ স্বার্থপরতা ও অন্যায় আচরণ যে শুধুমাত্র মদিনার মুসলমানরে মধ্যেই ছিলো তাই-ই নয়। মোনাফেকদের এই বৈশিষ্ট সর্বকালের সর্বযুগের যা এখনও বিদ্যমান।
আয়াতঃ 024.050
তাদের অন্তরে কি রোগ আছে, না তারা ধোঁকায় পড়ে আছে; না তারা ভয় করে যে, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল তাদের প্রতি অবিচার করবেন? বরং তারাই তো অবিচারকারী ?
Is there a disease in their hearts? Or do they doubt or fear lest Allâh and His Messenger (SAW) should wrong them in judgement. Nay, it is they themselves who are the Zâlimûn (polytheists, hypocrites and wrong-doers, etc.).
أَفِي قُلُوبِهِم مَّرَضٌ أَمِ ارْتَابُوا أَمْ يَخَافُونَ أَن يَحِيفَ اللَّهُ عَلَيْهِمْ وَرَسُولُهُ بَلْ أُوْلَئِكَ هُمُ الظَّالِمُونَ
Afee quloobihim maradun ami irtaboo am yakhafoona an yaheefa Allahu AAalayhim warasooluhu bal ola-ika humu alththalimoona