وَالَّذِينَ يَرْمُونَ الْمُحْصَنَاتِ ثُمَّ لَمْ يَأْتُوا بِأَرْبَعَةِ شُهَدَاء فَاجْلِدُوهُمْ ثَمَانِينَ جَلْدَةً وَلَا تَقْبَلُوا لَهُمْ شَهَادَةً أَبَدًا وَأُوْلَئِكَ هُمُ الْفَاسِقُونَ
Waallatheena yarmoona almuhsanati thumma lam ya/too bi-arbaAAati shuhadaa faijlidoohum thamaneena jaldatan wala taqbaloo lahum shahadatan abadan waola-ika humu alfasiqoona
YUSUFALI: And those who launch a charge against chaste women, and produce not four witnesses (to support their allegations),- flog them with eighty stripes; and reject their evidence ever after: for such men are wicked transgressors;-
PICKTHAL: And those who accuse honourable women but bring not four witnesses, scourge them (with) eighty stripes and never (afterward) accept their testimony – They indeed are evil-doers –
SHAKIR: And those who accuse free women then do not bring four witnesses, flog them, (giving) eighty stripes, and do not admit any evidence from them ever; and these it is that are the transgressors,
KHALIFA: Those who accuse married women of adultery, then fail to produce four witnesses, you shall whip them eighty lashes, and do not accept any testimony from them; they are wicked.
০৪। এবং যারা সতী রমনীর প্রতি অপবাদ আরোপ করে এবং চারজন সাক্ষী উপস্থিত করে না [ তাদের অভিযোগকে সমর্থন করার জন্য ] , তাদের আশিটি বেত্রাঘাত করবে এবং এরপর থেকে কখনও তাদের সাক্ষ্য গ্রহণ করবে না ২৯৫৮। কারণ এরূপ ব্যক্তিরা দুষ্ট এবং সীমালংঘনকারী ; –
২৯৫৮। সতী স্বাধ্বী রমনীর প্রতি কলঙ্ক আরোপকারীদের প্রতি এই আয়াতে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। উপযুক্ত সাক্ষী প্রমাণ ব্যতীরেকে এরূপ কাজ অত্যন্ত নিন্দনীয় এবং গর্হিত। মহিলাদের নৈতিক চরিত্র সম্বন্ধে কোনও বাক্যউচ্চারণের পূর্বে চারজন সাক্ষীর প্রয়োজন হবে। সাধারণ যে কোনও ঘটনায় বা ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষেত্রে এমন কি খুনের ব্যাপারে প্রমাণের জন্য দুজন সাক্ষীর সাক্ষ্যদানকে যথেষ্ট ধরা হয়। ইসলাম পুরুষ শাসিত সমাজে মেয়েদের অসহায়ত্ব বিমোচনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে আরবের সেই অন্ধকারময় যুগে, সমকালীন বিশ্বে, অর্থনৈতিক ও সামাজিক স্বীকৃতি ইসলামই প্রথম মেয়েদের দান করে। অসহায় স্বাধ্বী মহিলাদের মিথ্যা কলঙ্ক থেকে রক্ষা করার এ এক যুগান্তকারী দলিল। মিথ্যা সাক্ষী চারজন সংগ্রহ করা কষ্টসাধ্য ব্যাপার। সে কারণেই চার জন সাক্ষীর উল্লেখ করা হয়েছে। যদি কেউ কোন মহিলার চরিত্রের অপবাদকে চারজন সাক্ষী দ্বারা সমর্থন করতে না পারে, তবে তাকে আশিটি বেত্রাঘাত করা হবে , এবং তাকে নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হবে। এই নাগরিক অধিকারটি হচ্ছে : তার কোনও সাক্ষ্যকে গ্রহণ করা হবে না। অর্থাৎ সে রাষ্ট্রের নিকট তার গ্রহণযোগ্যতা হারাবে যা অত্যন্ত অসম্মানজনক। তবে সে যদি তওবার মাধ্যমে নিজেকে সংশোধন করে তবে তাকে তার নাগরিক অধিকার প্রত্যাবর্তন করা হবে।
মন্তব্য : পুরুষদের কুৎসা থেকে মহিলাদের রক্ষা করার এ এক অপূর্ব ঐশ্বরিক সনদ। সারা পৃথিবীর এবং বাংলাদেশের মুসলিম মহিলারা বাইরের পৃথিবীর কর্মকান্ডে অংশ গ্রহণ করছে ফলে অনেক সতী সাধ্বী মহিলারাও পুরুষদের কুৎসা ও অপবাদের শিকার হন। তাদের জন্য এই আয়াত এক জ্বলন্ত দলিল।
আয়াতঃ 024.005
কিন্তু যারা এরপর তওবা করে এবং সংশোধিত হয়, আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম মেহেরবান।
Except those who repent thereafter and do righteous deeds, (for such) verily, Allâh is Oft-Forgiving, Most Merciful.
إِلَّا الَّذِينَ تَابُوا مِن بَعْدِ ذَلِكَ وَأَصْلَحُوا فَإِنَّ اللَّهَ غَفُورٌ رَّحِيمٌ
Illa allatheena taboo min baAAdi thalika waaslahoo fa-inna Allaha ghafoorun raheemun
YUSUFALI: Unless they repent thereafter and mend (their conduct); for Allah is Oft-Forgiving, Most Merciful.
PICKTHAL: Save those who afterward repent and make amends. (For such) lo! Allah is Forgiving, Merciful.
SHAKIR: Except those who repent after this and act aright, for surely Allah is Forgiving, Merciful.
KHALIFA: If they repent afterwards and reform, then GOD is Forgiver, Merciful.
০৫। যতক্ষণ না তারা এ ব্যাপারে অনুতপ্ত হয় এবং [ তাদের চরিত্রের ] সংশোধন করে ২৯৫৯। আল্লাহ্ তো বারে বারে ক্ষমাশীল , পরম করুণাময়।
২৯৫৯। উপযুক্ত সাক্ষী প্রমাণ ব্যতীত মহিলাদের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা করা ইসলামে শাস্তিযোগ্য অপরাধ এবং এই শাস্তি হচ্ছে আশিটি বেত্রাঘাত ও নাগরিক অধিকার হরণ। এই নাগরিক অধিকার ফেরত পেতে পারে, যদি পরবর্তীতে সে তার কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত হয় এবং তার চরিত্রকে সংশোধনের মাধ্যমে সে প্রমাণ করতে পারে যে , সে যা করেছে তার জন্য সে দুঃখিত এবং অনুতপ্ত। এবং ভবিষ্যতে এরূপ কাজ তার দ্বারা সংঘটিত হবে না। যদিও বর্তমান বিশ্বে ধর্ম নিরপেক্ষতার নামে মুসলিম এই আইনের ধারা প্রযোজ্য হয় না , তবুও মুসলমান হিসেবে এ কথা আমাদের মনে রাখতে হবে ও উপলব্ধি করতে হবে যে, এই ঐশ্বরিক আইনের একমাত্র উদ্দেশ্য হচ্ছে মহিলাদের সম্মান করা। আরবের ও সমসাময়িক বিশ্বের অন্ধকারময় যুগে নারীদের সম্মানকে নিরাপদ করার এ এক অপূর্ব ঐশ্বরিক সনদ।