১৮। আমি আকাশ থেকে পরিমাণ মত বৃষ্টি প্রেরণ করি এবং আমি তা মৃত্তিকায় সংরক্ষিত করি। এবং [ খুব সহজেই ] আমি তা অপসারণ করতে সক্ষম ২৮৭৮।
২৮৭৮। “আকাশ থেকে পরিমাণ মত বৃষ্টি প্রেরণ করি” – এখানে বৃষ্টির উদাহরণের দ্বারা দয়াময় আল্লাহ্র করুণাধারাকে বোঝাতে চাওয়া হয়েছে। বিশ্ব-প্রকৃতি নির্দ্দিষ্ট নিয়মের সুত্রে বাঁধা। প্রকৃতির বিভিন্ন নিয়মাবলীকে বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে , প্রকৃতির নিয়মের প্রতিটি সুত্র এক সুশৃঙ্খল নিয়মের অধীন। সৃষ্ট জীবের জন্য যা কিছু কল্যাণকর শুধু ততটুকুই প্রকৃতি ধারণ করে থাকে। উদাহরণ দেয়া হয়েছে , বৃষ্টির। বৃষ্টি হচ্ছে ধরিত্রির জন্য প্রাণরক্ষাকারী। কিন্তু এর আধিক্য ধরিত্রির বুকে আবার বিপর্যয়ের সৃষ্টি করে। সাধারণতঃ প্রতিটি ভূখন্ডের উপরে ততটুকুই বৃষ্টিপাত ঘটে, যতটুকু সে দেশের ভূখন্ডের জন্য প্রয়োজনীয়। পরিমিত বৃষ্টি মাটিকে আর্দ্র রাখে, যাতে শষ্যের ফলন উপযুক্ত হয়। আবার বৃষ্টির অতিরিক্ত পানি মাটির স্তর ভেদ করে ভূগর্ভস্ত পানির স্তর সৃষ্টি করে , যা ভূমির গুণাগুণ বৃদ্ধিতে সহায়ক। আবার মাটির পানি ধারণ ক্ষমতা নদী সমূহকে বয়ে যেতে সাহায্য করে। কারণ দেখা যায় নদীর গতিপথ অনেক সময়ে এমন দেশের মধ্যে দিয়ে ধাবিত হয় যেখানে বৃষ্টিপাত অতি নগণ্য। কিন্তু মাটির এই পানি ধারণ ক্ষমতার ফলে সে সব দেশে নদীর সমস্ত পানি ভূগর্ভস্ত স্তরে শোষিত হয় না। ভারতের বহু স্থানে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ অত্যন্ত কম হওয়ায় তারা এ সব নদীর পানি বাঁধের সাহায্যে ব্যবহার যোগ্য করে মরুভূমি সদৃশ্য ভূমিকে শষ্য শ্যামল ভূমিতে পরিণত করেছে। প্রকৃতিতে আকাশ থেকে প্রাপ্য পানির সুষম ও পরিমিত বন্টনের আর একটি উদাহরণ হচ্ছে তুষার পাত। প্রকৃতিতে তুষারপাতের অবদানও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যা মাটি ও বাতাসকে সুসামঞ্জস্যপূর্ণ রাখে। যদি সুউচ্চ পর্বতমালাতে তুষারের আধিক্য না থাকতো তবে সারাটা বছর নদীগুলি তাদের নাব্যতা রক্ষা করতে পারতো না। গভীর ভাবে চিন্তা করলে দেখা যাবে কি অপূর্ব বিধান প্রকৃতির পানির সুষম বন্টনের জন্য। বৃষ্টির পানি পৃথিবীকে ধৌত করে ও তার আর্দ্রতা রক্ষা করে সমুদ্রে ফিরে যায় এবং আবার মেঘ রূপে পৃথিবীতে ফিরে আসে। একেই আজকের বিজ্ঞান বলে পানিচক্র। যদি বৃষ্টির পানি প্রাকৃতিক নিয়মে নিঃস্বারিত না হতো তবে সমস্ত পৃথিবীতে জলাবদ্ধতা , এবং বন্যার ব্যপকতা ঘটতো। যেমন নদী ভরাট হওয়ার ফলে বাংলাদেশে নদীবাহিত বৃষ্টির পানি নিষ্কাশিত হওয়ার সুযোগ পায় না ফলে বন্যার সৃষ্টি হয়। আবার যদি নির্দ্দিষ্ট পরিমাণের কম বৃষ্টিপাত ঘটে তবে মাটি ও আবহাওয়া শুষ্ক হওয়ার ফলে মাটি ও ফসলের ব্যপক ক্ষতি সাধিত হয়। আমাদের জীবনে পরিমিত বৃষ্টি যে কতটুকু প্রয়োজনীয় তা আমরা বন্যা বা খরা কবলে পতিত না হলে বুঝতে পারি না। কিন্তু প্রকৃতির এ ভারসাম্যের জন্য সৃষ্টিকর্তার প্রতি মানুষ কতটুকু কৃতজ্ঞ ? বিশ্ব প্রকৃতিকে স্রষ্টা মানুষের সেবায় নিয়োজিত করেছেন বিভিন্ন প্রাকৃতিক নিয়মের মাধ্যমে। অকৃতজ্ঞ মানুষ কি তা অনুধাবনের চেষ্টা করে ?
আয়াতঃ 023.019
অতঃপর আমি তা দ্বারা তোমাদের জন্যে খেজুর ও আঙ্গুরের বাগান সৃষ্টি করেছি। তোমাদের জন্যে এতে প্রচুর ফল আছে এবং তোমরা তা থেকে আহার করে থাক।
Then We brought forth for you therewith gardens of date-palms and grapes, wherein is much fruit for you, and whereof you eat.
فَأَنشَأْنَا لَكُم بِهِ جَنَّاتٍ مِّن نَّخِيلٍ وَأَعْنَابٍ لَّكُمْ فِيهَا فَوَاكِهُ كَثِيرَةٌ وَمِنْهَا تَأْكُلُونَ
Faansha/na lakum bihi jannatin min nakheelin waaAAnabin lakum feeha fawakihu katheeratun waminha ta/kuloona
YUSUFALI: With it We grow for you gardens of date-palms and vines: in them have ye abundant fruits: and of them ye eat (and have enjoyment),-
PICKTHAL: Then We produce for you therewith gardens of date-palms and grapes, wherein is much fruit for you and whereof ye eat;
SHAKIR: Then We cause to grow thereby gardens of palm trees and grapes for you; you have in them many fruits and from them do you eat;
KHALIFA: With it, we produce for you orchards of date palms, grapes, all kinds of fruits, and various foods.
১৯। এর সাহায্যে তোমাদের জন্য আমি খেজুর ও আঙ্গুর বাগান উৎপন্ন করি। ইহাতে তোমাদের জন্য আছে প্রচুর ফল , এবং তোমরা তা খাও এবং [ উপভোগ কর ] ; ২৮৭৯ –
২৮৭৯। দেখুন আয়াত [ ৭ : ১৯ ] এবং টিকা ৭৭৬ ও আয়াত ৫ : ৫৬।
আয়াতঃ 023.020
এবং ঐ বৃক্ষ সৃষ্টি করেছি, যা সিনাই পর্বতে জন্মায় এবং আহারকারীদের জন্যে তৈল ও ব্যঞ্জন উৎপন্ন করে।
And a tree (olive) that springs forth from Mount Sinai, that grows oil, and (it is a) relish for the eaters.
وَشَجَرَةً تَخْرُجُ مِن طُورِ سَيْنَاء تَنبُتُ بِالدُّهْنِ وَصِبْغٍ لِّلْآكِلِينَ
Washajaratan takhruju min toori saynaa tanbutu bialdduhni wasibghin lilakileena