- সূরার নাম: সূরা হাজ্জ্ব
- বিভাগসমূহ: ইসলামিক বই, কোরআন শরীফ
সূরা হাজ্জ্ব
আয়াতঃ 022.001
হে লোক সকল! তোমাদের পালনকর্তাকে ভয় কর। নিশ্চয় কেয়ামতের প্রকম্পন একটি ভয়ংকর ব্যাপার।
O mankind! Fear your Lord and be dutiful to Him! Verily, the earthquake of the Hour (of Judgement) is a terrible thing.
يَا أَيُّهَا النَّاسُ اتَّقُوا رَبَّكُمْ إِنَّ زَلْزَلَةَ السَّاعَةِ شَيْءٌ عَظِيمٌ
Ya ayyuha alnnasu ittaqoo rabbakum inna zalzalata alssaAAati shay-on AAatheemun
YUSUFALI: O mankind! fear your Lord! for the convulsion of the Hour (of Judgment) will be a thing terrible!
PICKTHAL: O mankind! Fear your Lord. Lo! the earthquake of the Hour (of Doom) is a tremendous thing.
SHAKIR: O people! guard against (the punishment from) your Lord; surely the violence of the hour is a grievous thing.
KHALIFA: O people, you shall reverence your Lord, for the quaking of the Hour is something horrendous.
০১। হে মানবকূল ! তোমার প্রভুকে ভয় কর। [ কেয়ামতের ] প্রচন্ড আন্দোলন হবে এক ভয়ংকর ব্যাপার ২৭৭০।
২৭৭০। কেয়ামতের প্রকম্পনের ভয়াবহতার উল্লেখের মাধ্যমে আল্লাহ্র আদেশ অমান্যকারীদের সাবধান করা হয়েছে। কেয়ামত তাদের জন্যই ভয়াবহ যারা আল্লাহ্র আদেশের বিরুদ্ধে বলে এবং বিদ্রোহ করে। অপর পক্ষে যারা পূণ্যাত্মা তাদের জন্য কেয়ামত দিবস ভয়াবহ নয়, বরং তারা ফেরেশতাদের দ্বারা স্বাগত সম্ভাষিত হবেন। দেখুন আয়াত [ ২১ : ১০৩ ]।
=========================
সূরা হাজ্জ বা তীর্থযাত্রা – ২২
৭৮ আয়াত, ১০ রুকু, মাদানী
[ দয়াময় , পরম করুণাময় আল্লাহ্র নামে।]
ভূমিকা : এখান থেকে শুরু হচ্ছে চারটি নূতন সিরিজের সূরা। পূর্ববর্তী পাঁচটি সূরা যে ভাবে বিভিন্ন নবী রসুলদের সত্যকে প্রচার ও প্রসারের বিভিন্ন চেষ্টা এবং পাপকে জয় করার বর্ণনা আছে ঠিক একই ভাবে এই নূতন সিরিজের সূরাগুলিতে বর্ণনা আছে ধর্মীয় অগ্রগতির উপরে পরিবেশ ও পদ্ধতির প্রভাব। দেখুন সূরা ১৮ এর ভূমিকা।
এই সূরার বিষয়বস্তুতে বিশেষ ভাবে আলোচনা করা হয়েছে পবিত্র কাবাগৃহ, হজ্জ্ব, কোরবাণী, আক্রান্ত হলে সত্যকে রক্ষা করার জন্য চেষ্টা করা এবং যুদ্ধ করা এবং অন্যান্য নিঃস্বার্থ কর্ম যা মিথ্যাকে দূরীভূত করে।
এই সূরার সময়কাল সম্বন্ধে মতবিরোধ আছে। সম্ভবতঃ এর কিছু অংশ মক্কাতে এবং কিছু অংশ মদীনাতে অবতীর্ণ হয়, সে যাই হোক তার সাথে সূরাটির বক্তব্যের কোনও সম্পর্ক নাই।
সারসংক্ষেপ : আধ্যাত্মিক জীবনের ভবিষ্যত গুরুত্বপূর্ণ। সত্যের জন্য সাহায্য এবং পাপের জন্য শাস্তি – ঈমানের দৃঢ়তার জন্য প্রয়োজনীয়। [ ২২: ১ – ২৫ ]
পবিত্রতা , প্রার্থনা , বিনয়, এবং ঈমানের প্রতীকার্থে প্রকাশ হচ্ছে হজ্জ্ব। পবিত্র কোরবাণী আমাদের কৃতজ্ঞতার এবং আল্লাহ্র প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর ভাষা, এবং গরীবের মাঝে মাংস বিতরণের মাধ্যমে তাদের সাথে অংশীদারিত্বের ইচ্ছার প্রকাশ ঘটে। সত্য যখন আক্রান্ত হয়, তখন তা রক্ষা করার জন্য সর্বোচ্চ প্রতিরোধ গড়ে তোলা এবং যুদ্ধ করা হচ্ছে সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ। [ ২২ : ২৬ – ৪৮ ]
মন্দ বা অসৎ আল্লাহ্র নবীর কাজে বাঁধার সৃষ্টি করতে পারে, কিন্তু তাঁর কাজ সাফল্য লাভ করবেই এবং আল্লাহ্র সত্য ও করুণা পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠিত হবেই। সুতারাং বিনয়ের সাথে আল্লাহ্র সেবা কর এবং আল্লাহ্ তোমাদের রক্ষা করবেন ও সাহায্য করবেন। [ ২২ : ৪৯ – ৭৮ ]
আয়াতঃ 022.002
যেদিন তোমরা তা প্রত্যক্ষ করবে, সেদিন প্রত্যেক স্তন্যধাত্রী তার দুধের শিশুকে বিস্মৃত হবে এবং প্রত্যেক গর্ভবতী তার গর্ভপাত করবে এবং মানুষকে তুমি দেখবে মাতাল; অথচ তারা মাতাল নয় বস্তুতঃ আল্লাহর আযাব সুকঠিন।
The Day you shall see it, every nursing mother will forget her nursling, and every pregnant one will drop her load, and you shall see mankind as in a drunken state, yet they will not be drunken, but severe will be the Torment of Allâh.
يَوْمَ تَرَوْنَهَا تَذْهَلُ كُلُّ مُرْضِعَةٍ عَمَّا أَرْضَعَتْ وَتَضَعُ كُلُّ ذَاتِ حَمْلٍ حَمْلَهَا وَتَرَى النَّاسَ سُكَارَى وَمَا هُم بِسُكَارَى وَلَكِنَّ عَذَابَ اللَّهِ شَدِيدٌ
Yawma tarawnaha tathhalu kullu murdiAAatin AAamma ardaAAat watadaAAu kullu thati hamlin hamlaha watara alnnasa sukara wama hum bisukara walakinna AAathaba Allahi shadeedun
YUSUFALI: The Day ye shall see it, every mother giving suck shall forget her suckling-babe, and every pregnant female shall drop her load (unformed): thou shalt see mankind as in a drunken riot, yet not drunk: but dreadful will be the Wrath of Allah.
PICKTHAL: On the day when ye behold it, every nursing mother will forget her nursling and every pregnant one will be delivered of her burden, and thou (Muhammad) wilt see mankind as drunken, yet they will not be drunken, but the Doom of Allah will be strong (upon them).
SHAKIR: On the day when you shall see it, every woman giving suck shall quit in confusion what she suckled, and every pregnant woman shall lay down her burden, and you shall see men intoxicated, and they shall not be intoxicated but the chastisement of Allah will be severe.
KHALIFA: The day you witness it, even a nursing mother will discard her infant, and a pregnant woman will abort her fetus. You will see the people staggering, as if they are intoxicated, even though they are not intoxicated. This is because GOD’s retribution is so awesome.
০২। সেদিন তোমরা দেখবে প্রত্যেক স্তন্যদাত্রী মাতা তার দুগ্ধপোষ্য শিশুর কথা ভুলে যাবে এবং প্রত্যেক গর্ভবতী মাতা তার গর্ভপাত করে ফেলবে। মানবকূলকে দেখবে নেশাগ্রস্থের ন্যায়, যদিও তারা নেশাগ্রস্থ নয়। বস্তুতঃ আল্লাহ্র ক্রোধ হবে ভয়াবহ ২৭৭১।
২৭৭১। কেয়ামতের দিনের ভয়াবহতা উপস্থাপন করার জন্য তিনটি উপমার ব্যবহার করা হয়েছে এই আয়াতে : ১) এই পৃথিবীতে আমরা দেখি কোনও মা -ই শত বিপদেও তাঁর দুগ্ধপোষ্য শিশুকে পরিত্যাগ করবে না। কিন্তু কেয়ামত দিনের ভয়াবহতায় ” মা ” তার দুগ্ধপোষ্য শিশুকে পরিত্যাগ করতে দ্বিধা বোধ করবে না। ২) সন্তান সম্ভবা মাতা গর্ব ও আশার সাথে সন্তান ধারণ করে, এবং অপেক্ষা করে নবজাতকের আগমনের। কিন্তু কেয়ামতের ভয়াবহতায় গর্ভপাত ঘটে যাবে। ৩) স্বভাবতঃ সাধারণ অবস্থায় মানুষ থাকে দৃঢ় আত্ম মর্যদাপূর্ণ। কিন্তু মাতাল হলে তাঁর এই আত্মমর্যদাপূর্ণ অবস্থার অন্তর্ধান ঘটে। কেয়ামত দিবসে কোনও মাদক ব্যতীতই মানুষ মাতালের ন্যায় ব্যবহার করবে। সে তার আত্মমর্যদা হারাবে।
আয়াতঃ 022.003
কতক মানুষ অজ্ঞানতাবশতঃ আল্লাহ সম্পêেক বিতর্ক করে এবং প্রত্যেক অবাধ্য শয়তানের অনুসরণ করে।
And among mankind is he who disputes concerning Allâh, without knowledge, and follows every rebellious (disobedient to Allâh) Shaitân (devil) (devoid of each and every kind of good).
وَمِنَ النَّاسِ مَن يُجَادِلُ فِي اللَّهِ بِغَيْرِ عِلْمٍ وَيَتَّبِعُ كُلَّ شَيْطَانٍ مَّرِيدٍ
Wamina alnnasi man yujadilu fee Allahi bighayri AAilmin wayattabiAAu kulla shaytanin mareedin
YUSUFALI: And yet among men there are such as dispute about Allah, without knowledge, and follow every evil one obstinate in rebellion!
PICKTHAL: Among mankind is he who disputeth concerning Allah without knowledge, and followeth each froward devil;
SHAKIR: And among men there is he who disputes about Allah without knowledge and follows every rebellious Shaitan;
KHALIFA: Among the people, there are those who argue about GOD without knowledge, and follow every rebellious devil.
০৩। তথাপি মানুষের মধ্যে কিছু মানুষ আছে যারা না জেনেই আল্লাহ্র সম্বন্ধে তর্ক করে এবং [ তারা ] অবাধ্য ও বিদ্রোহী শয়তানের অনুসরণ করে।
০৪। তাদের সম্বন্ধে এই আইন করা হয়েছে যে, যারাই [ মন্দদের সাথে ] বন্ধুত্ব কামনা করবে, তাকেই সে পথভ্রষ্ট করবে। এবং তাকে পরিচালিত করবে প্রজ্বলিত আগুনের শাস্তির দিকে ২৭৭২।
২৭৭২। এত সাবধান বাণী সত্ত্বেও মানুষের মধ্যে এমন নির্বোধ আছে যারা আল্লাহ্র বিরোধিতা করে, সেই আল্লাহ্ , যিনি তাদের সৃষ্টি করেছেন, এবং দয়া , করুণা ও ভালোবাসার সাথে তাদের প্রতিপালন করেন। এ সব লোক আল্লাহ্র আইন অমান্যকারী এবং অপরাধী – কারণ তারা শয়তানের বন্ধুত্বের প্রয়াসী। আর আল্লাহ্ এখানে বলছেন যে, তিনি তাঁর অমোঘ নিয়ম চালু করেছেন যে যারা শয়তানের বন্ধুত্ব কামনা করবে শয়তান তাদের দোযখের পথে পরিচালিত করবেই।
আয়াতঃ 022.004
শয়তান সম্পর্কে লিখে দেয়া হয়েছে যে, যে কেউ তার সাথী হবে, সে তাকে বিভ্রান্ত করবে এবং দোযখের আযাবের দিকে পরিচালিত করবে।
For him (the devil) it is decreed that whosoever follows him, he will mislead him, and will drive him to the torment of the Fire. [Tafsir At-Tabarî]
كُتِبَ عَلَيْهِ أَنَّهُ مَن تَوَلَّاهُ فَأَنَّهُ يُضِلُّهُ وَيَهْدِيهِ إِلَى عَذَابِ السَّعِيرِ
Kutiba AAalayhi annahu man tawallahu faannahu yudilluhu wayahdeehi ila AAathabi alssaAAeeri
YUSUFALI: About the (Evil One) it is decreed that whoever turns to him for friendship, him will he lead astray, and he will guide him to the Penalty of the Fire.
PICKTHAL: For him it is decreed that whoso taketh him for friend, he verily will mislead him and will guide him to the punishment of the Flame.
SHAKIR: Against him it is written down that whoever takes him for a friend, he shall lead him astray and conduct him to the chastisement of the burning fire.
KHALIFA: It is decreed that anyone who allies himself with him, he will mislead him and guide him to the agony of Hell.
০৩। তথাপি মানুষের মধ্যে কিছু মানুষ আছে যারা না জেনেই আল্লাহ্র সম্বন্ধে তর্ক করে এবং [ তারা ] অবাধ্য ও বিদ্রোহী শয়তানের অনুসরণ করে।
০৪। তাদের সম্বন্ধে এই আইন করা হয়েছে যে, যারাই [ মন্দদের সাথে ] বন্ধুত্ব কামনা করবে, তাকেই সে পথভ্রষ্ট করবে। এবং তাকে পরিচালিত করবে প্রজ্বলিত আগুনের শাস্তির দিকে ২৭৭২।
২৭৭২। এত সাবধান বাণী সত্ত্বেও মানুষের মধ্যে এমন নির্বোধ আছে যারা আল্লাহ্র বিরোধিতা করে, সেই আল্লাহ্ , যিনি তাদের সৃষ্টি করেছেন, এবং দয়া , করুণা ও ভালোবাসার সাথে তাদের প্রতিপালন করেন। এ সব লোক আল্লাহ্র আইন অমান্যকারী এবং অপরাধী – কারণ তারা শয়তানের বন্ধুত্বের প্রয়াসী। আর আল্লাহ্ এখানে বলছেন যে, তিনি তাঁর অমোঘ নিয়ম চালু করেছেন যে যারা শয়তানের বন্ধুত্ব কামনা করবে শয়তান তাদের দোযখের পথে পরিচালিত করবেই।
আয়াতঃ 022.005
হে লোকসকল! যদি তোমরা পুনরুত্থানের ব্যাপারে সন্দিগ্ধ হও, তবে (ভেবে দেখ-) আমি তোমাদেরকে মৃত্তিকা থেকে সৃষ্টি করেছি। এরপর বীর্য থেকে, এরপর জমাট রক্ত থেকে, এরপর পূর্ণাকৃতিবিশিষ্ট ও অপূর্ণাকৃতিবিশিষ্ট মাংসপিন্ড থেকে, তোমাদের কাছে ব্যক্ত করার জন্যে। আর আমি এক নির্দিষ্ট কালের জন্যে মাতৃগর্ভে যা ইচ্ছা রেখে দেই, এরপর আমি তোমাদেরকে শিশু অবস্থায় বের করি; তারপর যাতে তোমরা যৌবনে পদার্পণ কর। তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ মৃত্যুমুখে পতিত হয় এবং তোমাদের মধ্যে কাউকে নিষ্কর্মা বয়স পর্যন্ত পৌছানো হয়, যাতে সে জানার পর জ্ঞাত বিষয় সম্পর্কে সজ্ঞান থাকে না। তুমি ভূমিকে পতিত দেখতে পাও, অতঃপর আমি যখন তাতে বৃষ্টি বর্ষণ করি, তখন তা সতেজ ও স্ফীত হয়ে যায় এবং সর্বপ্রকার সুদৃশ্য উদ্ভিদ উৎপন্ন করে।
O mankind! If you are in doubt about the Resurrection, then verily! We have created you (i.e. Adam) from dust, then from a Nutfah (mixed drops of male and female sexual discharge i.e. offspring of Adam), then from a clot (a piece of thick coagulated blood) then from a little lump of flesh, some formed and some unformed (miscarriage), that We may make (it) clear to you (i.e. to show you Our Power and Ability to do what We will). And We cause whom We will to remain in the wombs for an appointed term, then We bring you out as infants, then (give you growth) that you may reach your age of full strength. And among you there is he who dies (young), and among you there is he who is brought back to the miserable old age, so that he knows nothing after having known. And you see the earth barren, but when We send down water (rain) on it, it is stirred (to life), it swells and puts forth every lovely kind (of growth).
يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِن كُنتُمْ فِي رَيْبٍ مِّنَ الْبَعْثِ فَإِنَّا خَلَقْنَاكُم مِّن تُرَابٍ ثُمَّ مِن نُّطْفَةٍ ثُمَّ مِنْ عَلَقَةٍ ثُمَّ مِن مُّضْغَةٍ مُّخَلَّقَةٍ وَغَيْرِ مُخَلَّقَةٍ لِّنُبَيِّنَ لَكُمْ وَنُقِرُّ فِي الْأَرْحَامِ مَا نَشَاء إِلَى أَجَلٍ مُّسَمًّى ثُمَّ نُخْرِجُكُمْ طِفْلًا ثُمَّ لِتَبْلُغُوا أَشُدَّكُمْ وَمِنكُم مَّن يُتَوَفَّى وَمِنكُم مَّن يُرَدُّ إِلَى أَرْذَلِ الْعُمُرِ لِكَيْلَا يَعْلَمَ مِن بَعْدِ عِلْمٍ شَيْئًا وَتَرَى الْأَرْضَ هَامِدَةً فَإِذَا أَنزَلْنَا عَلَيْهَا الْمَاء اهْتَزَّتْ وَرَبَتْ وَأَنبَتَتْ مِن كُلِّ زَوْجٍ بَهِيجٍ
Ya ayyuha alnnasu in kuntum fee raybin mina albaAAthi fa-inna khalaqnakum min turabin thumma min nutfatin thumma min AAalaqatin thumma min mudghatin mukhallaqatin waghayri mukhallaqatin linubayyina lakum wanuqirru fee al-arhami ma nashao ila ajalin musamman thumma nukhrijukum tiflan thumma litablughoo ashuddakum waminkum man yutawaffa waminkum man yuraddu ila arthali alAAumuri likayla yaAAlama min baAAdi AAilmin shay-an watara al-arda hamidatan fa-itha anzalna AAalayha almaa ihtazzat warabat waanbatat min kulli zawjin baheejin
YUSUFALI: O mankind! if ye have a doubt about the Resurrection, (consider) that We created you out of dust, then out of sperm, then out of a leech-like clot, then out of a morsel of flesh, partly formed and partly unformed, in order that We may manifest (our power) to you; and We cause whom We will to rest in the wombs for an appointed term, then do We bring you out as babes, then (foster you) that ye may reach your age of full strength; and some of you are called to die, and some are sent back to the feeblest old age, so that they know nothing after having known (much), and (further), thou seest the earth barren and lifeless, but when We pour down rain on it, it is stirred (to life), it swells, and it puts forth every kind of beautiful growth (in pairs).
PICKTHAL: O mankind! if ye are in doubt concerning the Resurrection, then lo! We have created you from dust, then from a drop of seed, then from a clot, then from a little lump of flesh shapely and shapeless, that We may make (it) clear for you. And We cause what We will to remain in the wombs for an appointed time, and afterward We bring you forth as infants, then (give you growth) that ye attain your full strength. And among you there is he who dieth (young), and among you there is he who is brought back to the most abject time of life, so that, after knowledge, he knoweth naught. And thou (Muhammad) seest the earth barren, but when We send down water thereon, it doth thrill and swell and put forth every lovely kind (of growth).
SHAKIR: O people! if you are in doubt about the raising, then surely We created you from dust, then from a small seed, then from a clot, then from a lump of flesh, complete in make and incomplete, that We may make clear to you; and We cause what We please to stay in the wombs till an appointed time, then We bring you forth as babies, then that you may attain your maturity; and of you is he who is caused to die, and of you is he who is brought back to the worst part of life, so that after having knowledge he does not know anything; and you see the earth sterile land, but when We send down on it the water, it stirs and swells and brings forth of every kind a beautiful herbage.
KHALIFA: O people, if you have any doubt about resurrection, (remember that) we created you from dust, and subsequently from a tiny drop, which turns into a hanging (embryo), then it becomes a fetus that is given life or deemed lifeless. We thus clarify things for you. We settle in the wombs whatever we will for a predetermined period. We then bring you out as infants, then you reach maturity. While some of you die young, others live to the worst age, only to find out that no more knowledge can be attained beyond a certain limit. Also, you look at a land that is dead, then as soon as we shower it with water, it vibrates with life and grows all kinds of beautiful plants.
০৫। হে মানবকূল ! পুণরুত্থান সম্বন্ধে তোমাদের যদি সন্দেহের অবকাশ থাকে তবে গভীর ভাবে চিন্তা করে দেখ, ২৭৭৩ আমি তোমাদের সৃষ্টি করেছি ধূলো কণা থেকে , তারপরে শুক্র থেকে , তারপরে ঝুলন্ত রক্তপিন্ড থেকে , তারপর পূর্ণ আকৃতি বিশিষ্ট অথবা অপূর্ণ আকৃতি বিশিষ্ট গোশ্তপিন্ড থেকে ২৭৭৪ যেনো আমি আমার [ক্ষমতা ] তোমাদের নিকট প্রকাশ করতে পারি। এবং আমি যাকে ইচ্ছা তাকে মাতৃগর্ভে নির্দ্দিষ্ট সময়কাল পর্যন্ত প্রতিষ্ঠিত রাখি ২৭৭৫, তারপর আমি তোমাদের শিশুরূপে বের করে আনি , তারপর [ লালন পালন করি ] যেনো তোমরা পরিণত বয়সে উপণীত হও। তোমাদের মধ্য কেউ কেউ মৃত্যুমুখে পতিত হয়, আবার কাউকে কাউকে নিয়ে যাওয়া হয় অতিদুর্বল বৃদ্ধ বয়েসে, যেনো [ অনেক কিছু ] জানার পরে তারা আর সজ্ঞানে থাকে না ২৭৭৬। এবং [ আরও ] দেখ, যে ভূমি নিষ্ফলা ও নির্জিব থাকে, কিন্তু যখন আমি তাতে বৃষ্টি বর্ষণ করি, তা তখন [ জীবন স্পন্দনে ] জেগে ওঠে, তা ষ্ফীত হয় এবং উৎপন্ন করে [ জোড়ায় জোড়ায় ] সুন্দর সুন্দর উদ্ভিদ সমূহ ২৭৭৭।
২৭৭৩। এই আয়াতে মানুষের সৃষ্টি রহস্যের বর্ণনা আছে যা অনেক তফসীরকার তফসীরের প্রধান বক্তব্য হিসেবে উত্থাপন করেছেন। এই বর্ণনা হচ্ছে বিজ্ঞানের বিষয়বস্তু। আমরা এখানে আল্লাহ্র বক্তব্যের মর্মার্থ উপস্থাপন করার চেষ্টা করবো। সন্দেহ বাতিকেরা যদি পুণরুত্থান সম্পর্কে সন্দেহ প্রকাশ করে, তবে স্রষ্টা এই আয়াতে পৃথিবীর অতি সাধারণ কয়েকটি ঘটনার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন যা আমরা প্রতি নিয়ত আমাদের চারিদিকে দেখতে পাই। মানুষ কি নিজের জন্ম রহস্যের দিকে দৃষ্টিপাত করে না ? প্রাণহীন মাটি থেকে অর্থাৎ বিভিন্ন মৌলিক উপাদান , যা প্রাণহীন , থেকে শুরু , তারপর বীজ বা শুক্র, তারপর নিষিক্ত ডিম্ব, তারপরে ভ্রুণ এভাবেই পূর্ণাঙ্গ মানব শিশু। কিন্তু এখানেই শেষ নয়, এর পরে পৃথিবীর জীবনের পরিক্রমায় শৈশব, কৈশর, যৌবন অতিক্রম করে একদিন বার্দ্ধক্যে উপণীত হয় এবং শেষ পরিণতি ঘটে মৃত্যুর মধ্যে দিয়ে। যিনি পৃথিবীতে এক জীবনের এতগুলি পরিবর্তন ঘটাতে সক্ষম হন , তবে মানুষ কিভাবে অবিশ্বাস করে যে, সেই মহান স্রষ্টা পৃথিবীর এই জীবন শেষে পরলোকে অন্য জীবনের শুরু করতে অক্ষম ? বিবর্তনের ধারাতে পৃথিবী ও মানুষ সৃষ্টি হয়েছে, যিনি তা পারেন তিনি অবশ্যই মৃত্যুর পরে পুণরুত্থানে সক্ষম। এই সত্যকে প্রতিষ্ঠার জন্য আর এক সত্য তুলে ধরা হয়েছে। বলা হয়েছে আমাদের চারিদিকে দৃষ্টিপাত করতে। উষর মরুভূমি, যেখানে তৃণলতার চিহ্নমাত্র নাই যদি সেখানে আল্লাহ্র করুণারূপ বৃষ্টি নিয়মিত হয়, তবে অতি অল্পদিনেই মরুভূমি শস্যশ্যামল ভূমিতে রূপান্তরিত হয়ে পড়ে। মৃত জমি জীবন্তরূপ ধারণ করে। যে স্রষ্টা মৃত জমিকে এক সমারোহপূর্ণ প্রদর্শনীতে পরিণত করতে পারেন , তিনি অবশ্যই মৃত্যুর পরে নূতন অন্য পৃথিবী সৃষ্টিতে সক্ষম।
২৭৭৪। মানুষের সৃষ্টির বর্ণনায় প্রাণহীন পদার্থ [ এমিনো এসিড ] থেকে শুরু করে তার পূর্ণ জীবন চক্রের বর্ণনা করা হয়েছে। এই বর্ণনার নির্ভুলতা, সৌন্দর্য, খুঁটিনাটি যে ভাবে বর্ণনা করা হয়েছে তা বিজ্ঞানের বিষয় বস্তু। যারা প্রাণীবিজ্ঞানের সাথে সম্পর্কিত আশা করা যায় চৌদ্দশত বৎসর পূর্বে নাজেল হওয়া কোর-আনে তারা বর্তমান বিজ্ঞানের যোগসূত্র খুঁজে পাবেন। মানুষের মাতৃগর্ভে জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত যে শারীরিক পরিবর্তনের সাথে সাথে আত্মিক পরিবর্তনের কথাটিও চিন্তা করতে হবে। মহান শিল্পী আল্লাহ্ এ ভাবেই আত্মার বাহন শরীরের পূর্ণতার মাধ্যমে আত্মাকে করেন সমৃদ্ধ, পরিপূর্ণ ও বিকশিত।
২৭৭৫। “আমি যাকে ইচ্ছা করি ” অর্থাৎ ছেলে বা মেয়ে সন্তান, সুন্দর বা কুৎসিত , ফর্সা বা কালো, বুদ্ধিমান বা সাধারণ, ভালো বা মন্দ ইত্যাদি শিশু। মানব শিশু অনন্ত সম্ভাবনাময়। জীবনের বিভিন্ন দিকে তাঁর বিকাশ লাভের সম্ভাবনা আল্লাহ্ তার চরিত্রের মাঝে ডি, এন , এ’র মাধ্যমে নির্দ্দিষ্ট করে দেন। তিনি নির্দ্দিষ্ট করে দেন বংশগতিধারা – এ সকলেই মহান আল্লাহ্র ইচ্ছা।
২৭৭৬। দেখুন [ ১৬ : ৭০ ]। এই আয়াতে জীবনের রহস্যের মাধ্যমে আল্লাহ্র করুণা ও অনুগ্রহকে তুলে ধরা হয়েছে। এই আয়াতে মানুষের জীবন মৃত্যুর রহস্যকে তুলে ধরার উদ্দেশ্য হচ্ছে মানব সমাজের দৃষ্টি আকর্ষণ করা পরকালের জীবনের প্রতি , যে জীবন সৃষ্টি আল্লাহ্র ক্ষমতারই স্বাক্ষর ও প্রতিজ্ঞা। এখানে উপমা ব্যবহার করা হয়েছে মানুষের জীবনচক্রের।
জীবন শক্তিতে পরিপূর্ণ শিশু যৌবনে, শৈর্যে বীর্যে, জ্ঞানে গরিমায়, উদ্দীপ্ত হয়, আবার সেই মানুষই বার্দ্ধক্যে সকল ক্ষমতা ও জ্ঞানশুন্য হয়ে শিশুর মত হয়ে যায়। ” যেনো অনেক কিছু জানার পরে তারা আর স্বজ্ঞানে থাকে না।” মানুষের জীবন চক্র সেতো স্রষ্টারই ক্ষমতার প্রকাশ মাত্র।
২৭৭৭। এই আয়াতটি ভাষা ও উপমা ও বর্ণনার মাধুর্যে এক অপূর্ব ও অমূল্য নীতিগর্ভমূলক উপদেশ। সামান্য কয়েকটি বাক্যের মাধ্যমে যে সত্যকে প্রকাশ করা হয়েছে তার যাদুকর প্রভাব যে কোন আল্লাহ্ প্রেমিকের মনে গভীর ভাবে রেখাপাত করতে সক্ষম।
আয়াতঃ 022.006
এগুলো এ কারণে যে, আল্লাহ সত্য এবং তিনি মৃতকে জীবিত করেন এবং তিনি সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান।
That is because Allâh, He is the Truth, and it is He Who gives life to the dead, and it is He Who is Able to do all things.
ذَلِكَ بِأَنَّ اللَّهَ هُوَ الْحَقُّ وَأَنَّهُ يُحْيِي الْمَوْتَى وَأَنَّهُ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
Thalika bi-anna Allaha huwa alhaqqu waannahu yuhyee almawta waannahu AAala kulli shay-in qadeerun
YUSUFALI: This is so, because Allah is the Reality: it is He Who gives life to the dead, and it is He Who has power over all things.
PICKTHAL: That is because Allah, He is the Truth and because He quickeneth the dead, and because He is Able to do all things;
SHAKIR: This is because Allah is the Truth and because He gives life to the dead and because He has power over all things
KHALIFA: This proves that GOD is the Truth, and that He revives the dead, and that He is Omnipotent.
০৬। ইহা এরূপেই [ হয় ], কারণ আল্লাহ্ [ একমাত্র ] সত্য। তিনিই মৃতকে জীবন দান করেন এবং সব কিছুর উপরে তাঁর ক্ষমতা বিদ্যমান ২৭৭৮।
২৭৭৮। বিশ্ব- প্রকৃতির মাঝে জীবনের সমারোহ, জীবনের রহস্য আমাদের এক অমোঘ সত্যের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করে আর তা হচ্ছে বিশ্ব-প্রকৃতির স্রষ্টা একজনই। একদিন সবই ধ্বংস হয়ে যাবে, শুধু রয়ে যাবে আল্লাহ্র অস্তিত্ব। তিনি আদি ও তিনিই অন্ত এবং তিনি অবিনশ্বর।
আয়াতঃ 022.007
এবং এ কারণে যে, কেয়ামত অবশ্যম্ভাবী, এতে সন্দেহ নেই এবং এ কারণে যে, কবরে যারা আছে, আল্লাহ তাদেরকে পুনরুত্থিত করবেন।
And surely, the Hour is coming, there is no doubt about it, and certainly, Allâh will resurrect those who are in the graves.
وَأَنَّ السَّاعَةَ آتِيَةٌ لَّا رَيْبَ فِيهَا وَأَنَّ اللَّهَ يَبْعَثُ مَن فِي الْقُبُورِ
Waanna alssaAAata atiyatun la rayba feeha waanna Allaha yabAAathu man fee alquboori
YUSUFALI: And verily the Hour will come: there can be no doubt about it, or about (the fact) that Allah will raise up all who are in the graves.
PICKTHAL: And because the Hour will come, there is no doubt thereof; and because Allah will raise those who are in the graves.
SHAKIR: And because the hour is coming, there is no doubt about it; and because Allah shall raise up those who are in the graves.
KHALIFA: And that the Hour is coming, no doubt about it, and that GOD resurrects those who are in the graves.
০৭। এ সম্বন্ধে কোন সন্দেহের অবকাশ নাই যে, কিয়ামত অবশ্যই আসবে, অথবা যারা কবরে আছে তাদের সকলকে আল্লাহ্ উত্থিত করবেন।
০৮। তথাপি মানুষের মধ্যে কেউ কেউ আছে যাদের কোন জ্ঞান নাই , কোন পথ নির্দ্দেশ নাই, কোন দীপ্তিমান কিতাব নাই, কিন্তু [ তা সত্ত্বেও ] তারা আল্লাহ্ সম্বন্ধে বির্তক করে ২৭৭৯;-
২৭৭৯। ‘দীপ্তিমান কিতাব ‘। দেখুন আয়াত [ ৩ : ১৮৪ ] এবং টিকা ৪৯০। মওলানা ইউসুফ আলীর মতে জ্ঞান শব্দটি পার্থিব জ্ঞানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। মানুষ বিদ্যা শিক্ষার মাধ্যমে , বুদ্ধির ব্যবহারের মাধ্যমে যে জাগতিক জ্ঞান লাভ করে তাকেই জ্ঞান শব্দটি দ্বারা বোঝানো হয়েছে। ‘পথ নির্দ্দেশ ‘ শব্দটি দ্বারা স্বর্গীয় হেদায়েতকে বোঝানো হয়েছে যা আল্লাহ্র তরফ থেকে সরাসরি আগত অথবা তার নবী রসুলদের মাধ্যমে প্রেরণ করা হয়, অথবা স্বর্গীয় প্রত্যাদেশ যা ওহীর মাধ্যমে প্রেরণ করা হয়, এবং “Book of Enlightenment” বা “দীপ্তিমান কিতাব অর্থ নৈতিক মূল্যবোধ পরিচালনার ভিত্তিস্বরূপ যে কিতাব। সৎ চরিত্রের ভিত্তি স্বরূপ যে নৈতিক মালা , যার অনুসরণে মানুষ পবিত্র ও সৎ চরিত্রের অধিকারী হয় তা যে গ্রন্থ ধারণ করে। দীপ্তিমান কিতাব হচ্ছে সেই গ্রন্থ যার মধ্যে আছে চরিত্রের মাধুর্য ও গুণের উৎকর্ষ সাধনের মাধ্যমে সুন্দর জীবন যাপন প্রণালীর পথের নিশানা। আর এই স্বর্গীয় পথের নিশানাকে যিনি দেখিয়ে দেন বা নির্দ্দেশ করেন বা চিনিয়ে দেন সেই সব আল্লাহ্র নবী ও রাসুলেরা হচ্ছে “পথ নির্দ্দেশ।” কোর-আনকে দীপ্তিমান কিতাব বলা হয় কারণ এই সেই গ্রন্থ যার মধ্যে আছে চরিত্রের মাধুর্য ও গুণের উৎকর্ষ সাধন করে সুন্দর জীবন যাপন প্রণালীর পথের নিশানা। কোর-আনের মূল নির্দ্দেশ হচ্ছে চারিত্রিক গুণাবলী অর্জন করার উপায় সমূহ , যার মাধ্যমে আল্লাহ্র সান্নিধ্য লাভ করা সম্ভব। পাপে নিমজ্জিত আত্মা আল্লাহ্র সান্নিধ্য লাভে বঞ্চিত হয়। যে আত্মা গুণান্বিত ও আল্লাহ্র সান্নিধ্য লাভে ধন্য সেই তো আলোকিত আত্মা। সেদিক থেকে ” দীপ্তিমান কিতাব ” কথাটি অত্যন্ত প্রযোজ্য।
আয়াতঃ 022.008
কতক মানুষ জ্ঞান; প্রমাণ ও উজ্জ্বল কিতাব ছাড়াই আল্লাহ সম্পর্কে বিতর্ক করে।
And among men is he who disputes about Allâh, without knowledge or guidance, or a Book giving light (from Allâh),
وَمِنَ النَّاسِ مَن يُجَادِلُ فِي اللَّهِ بِغَيْرِ عِلْمٍ وَلَا هُدًى وَلَا كِتَابٍ مُّنِيرٍ
Wamina alnnasi man yujadilu fee Allahi bighayri AAilmin wala hudan wala kitabin muneerin
YUSUFALI: Yet there is among men such a one as disputes about Allah, without Knowledge, without Guidance, and without a Book of Enlightenment,-
PICKTHAL: And among mankind is he who disputeth concerning Allah without knowledge or guidance or a scripture giving light,
SHAKIR: And among men there is he who disputes about Allah without knowledge and without guidance and without an illuminating book,
KHALIFA: Among the people there is the one who argues about GOD without knowledge, and without guidance, and without an enlightening scripture.
০৭। এ সম্বন্ধে কোন সন্দেহের অবকাশ নাই যে, কিয়ামত অবশ্যই আসবে, অথবা যারা কবরে আছে তাদের সকলকে আল্লাহ্ উত্থিত করবেন।
০৮। তথাপি মানুষের মধ্যে কেউ কেউ আছে যাদের কোন জ্ঞান নাই , কোন পথ নির্দ্দেশ নাই, কোন দীপ্তিমান কিতাব নাই, কিন্তু [ তা সত্ত্বেও ] তারা আল্লাহ্ সম্বন্ধে বির্তক করে ২৭৭৯;-
২৭৭৯। ‘দীপ্তিমান কিতাব ‘। দেখুন আয়াত [ ৩ : ১৮৪ ] এবং টিকা ৪৯০। মওলানা ইউসুফ আলীর মতে জ্ঞান শব্দটি পার্থিব জ্ঞানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। মানুষ বিদ্যা শিক্ষার মাধ্যমে , বুদ্ধির ব্যবহারের মাধ্যমে যে জাগতিক জ্ঞান লাভ করে তাকেই জ্ঞান শব্দটি দ্বারা বোঝানো হয়েছে। ‘পথ নির্দ্দেশ ‘ শব্দটি দ্বারা স্বর্গীয় হেদায়েতকে বোঝানো হয়েছে যা আল্লাহ্র তরফ থেকে সরাসরি আগত অথবা তার নবী রসুলদের মাধ্যমে প্রেরণ করা হয়, অথবা স্বর্গীয় প্রত্যাদেশ যা ওহীর মাধ্যমে প্রেরণ করা হয়, এবং “Book of Enlightenment” বা “দীপ্তিমান কিতাব অর্থ নৈতিক মূল্যবোধ পরিচালনার ভিত্তিস্বরূপ যে কিতাব। সৎ চরিত্রের ভিত্তি স্বরূপ যে নৈতিক মালা , যার অনুসরণে মানুষ পবিত্র ও সৎ চরিত্রের অধিকারী হয় তা যে গ্রন্থ ধারণ করে। দীপ্তিমান কিতাব হচ্ছে সেই গ্রন্থ যার মধ্যে আছে চরিত্রের মাধুর্য ও গুণের উৎকর্ষ সাধনের মাধ্যমে সুন্দর জীবন যাপন প্রণালীর পথের নিশানা। আর এই স্বর্গীয় পথের নিশানাকে যিনি দেখিয়ে দেন বা নির্দ্দেশ করেন বা চিনিয়ে দেন সেই সব আল্লাহ্র নবী ও রাসুলেরা হচ্ছে “পথ নির্দ্দেশ।” কোর-আনকে দীপ্তিমান কিতাব বলা হয় কারণ এই সেই গ্রন্থ যার মধ্যে আছে চরিত্রের মাধুর্য ও গুণের উৎকর্ষ সাধন করে সুন্দর জীবন যাপন প্রণালীর পথের নিশানা। কোর-আনের মূল নির্দ্দেশ হচ্ছে চারিত্রিক গুণাবলী অর্জন করার উপায় সমূহ , যার মাধ্যমে আল্লাহ্র সান্নিধ্য লাভ করা সম্ভব। পাপে নিমজ্জিত আত্মা আল্লাহ্র সান্নিধ্য লাভে বঞ্চিত হয়। যে আত্মা গুণান্বিত ও আল্লাহ্র সান্নিধ্য লাভে ধন্য সেই তো আলোকিত আত্মা। সেদিক থেকে ” দীপ্তিমান কিতাব ” কথাটি অত্যন্ত প্রযোজ্য।
আয়াতঃ 022.009
সে পার্শ্ব পরিবর্তন করে বিতর্ক করে, যাতে আল্লাহর পথ থেকে বিভ্রান্ত করে দেয়। তার জন্যে দুনিয়াতে লাঞ্ছনা আছে এবং কেয়ামতের দিন আমি তাকে দহন-যন্ত্রণা আস্বাদন করাব।
Bending his neck in pride (far astray from the Path of Allâh), and leading (others) too (far) astray from the Path of Allâh. For him there is disgrace in this worldly life, and on the Day of Resurrection We shall make him taste the torment of burning (Fire).
ثَانِيَ عِطْفِهِ لِيُضِلَّ عَن سَبِيلِ اللَّهِ لَهُ فِي الدُّنْيَا خِزْيٌ وَنُذِيقُهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ عَذَابَ الْحَرِيقِ
Thaniya AAitfihi liyudilla AAan sabeeli Allahi lahu fee alddunya khizyun wanutheequhu yawma alqiyamati AAathaba alhareeqi
YUSUFALI: (Disdainfully) bending his side, in order to lead (men) astray from the Path of Allah: for him there is disgrace in this life, and on the Day of Judgment We shall make him taste the Penalty of burning (Fire).
PICKTHAL: Turning away in pride to beguile (men) from the way of Allah. For him in this world is ignominy, and on the Day of Resurrection We make him taste the doom of burning.
SHAKIR: Turning away haughtily that he may lead (others) astray from the way of Allah; for him is disgrace in this world, and on the day of resurrection We will make him taste the punishment of burning:
KHALIFA: Arrogantly he strives to divert the people from the path of GOD. He thus incurs humiliation in this life, and we commit him on the Day of Resurrection to the agony of burning.
০৯। [ অবজ্ঞাভরে ] ঘাড় বাঁকিয়ে, যেনো [ লোকদের ] আল্লাহ্র পথ থেকে বিপথে চালিত করতে পারে। ইহজীবনে তাদের জন্য আছে অসম্মান এবং শেষ বিচারের দিনে আমি তাদের জ্বলন্ত [ আগুনের ] স্বাদ আস্বাদ করাব ২৭৮০।
২৭৮০। অনেক তফসীরকারের মতে আয়াতটি আবু জহলের প্রতি প্রযোজ্য। কিন্তু এই আয়াতের বক্তব্য সার্বজনীন। সকল যুগেই আবু জহলের মত লোক সমাজে বিদ্যমান। আয়াত [ ২২ : ৩ ] এর বক্তব্য একই, এক্ষেত্রে আয়াতটির নাজেল হওয়া সম্বন্ধে বলা হয় যে, তা Nadhar ibn Harith এর জন্য প্রযোজ্য ছিলো। তবে এর আবেদন সার্বজনীন যুগ কাল অতিক্রান্ত।
আয়াতঃ 022.010
এটা তোমার দুই হাতের কর্মের কারণে, আল্লাহ বান্দাদের প্রতি জুলুম করেন না।
That is because of what your hands have sent forth, and verily, Allâh is not unjust to (His) slaves.
ذَلِكَ بِمَا قَدَّمَتْ يَدَاكَ وَأَنَّ اللَّهَ لَيْسَ بِظَلَّامٍ لِّلْعَبِيدِ
Thalika bima qaddamat yadaka waanna Allaha laysa bithallamin lilAAabeedi
YUSUFALI: (It will be said): “This is because of the deeds which thy hands sent forth, for verily Allah is not unjust to His servants.
PICKTHAL: (And unto him it will be said): This is for that which thy two hands have sent before, and because Allah is no oppressor of His slaves.
SHAKIR: This is due to what your two hands have sent before, and because Allah is not in the least unjust to the servants.
KHALIFA: This is what your hands have sent ahead for you. GOD is never unjust towards the people.
১০। [ বলা হবে ] : তোমাদের হাত [ যে কর্ম ] পূর্বে প্রেরণ করেছে এটা তারই জন্য। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তার বান্দাদের প্রতি অন্যায় করেন না ২৭৮১।
২৭৮১। প্রত্যেককে প্রত্যেকের কর্মফল ভোগ করতে হয়। ভালো কাজের শেষ পরিণত ভালো এবং মন্দ কাজের শেষ পরিণতি মন্দ। এই আল্লাহ্র আইন। বিশ্ব বিধাতার সর্ব চরাচরে এই আইন বিদ্যমান। আল্লাহ্ ন্যায় বিচারক। তিনি তাঁর সৃষ্টির প্রতি সামান্যতমও অবিচার করেন না।
আয়াতঃ 022.011
মানুষের মধ্যে কেউ কেউ দ্বিধা-দ্বন্দ্বে জড়িত হয়ে আল্লাহর এবাদত করে। যদি সে কল্যাণ প্রাপ্ত হয়, তবে এবাদতের উপর কায়েম থাকে এবং যদি কোন পরীক্ষায় পড়ে, তবে পূর্বাবস্থায় ফিরে যায়। সে ইহকালে ও পরকালে ক্ষতিগ্রস্ত। এটাই প্রকাশ্য ক্ষতি
And among mankind is he who worships Allâh as it were, upon the very edge (i.e. in doubt); if good befalls him, he is content therewith; but if a trial befalls him, he turns back on his face (i.e. reverts back to disbelief after embracing Islâm). He loses both this world and the Hereafter. That is the evident loss.
وَمِنَ النَّاسِ مَن يَعْبُدُ اللَّهَ عَلَى حَرْفٍ فَإِنْ أَصَابَهُ خَيْرٌ اطْمَأَنَّ بِهِ وَإِنْ أَصَابَتْهُ فِتْنَةٌ انقَلَبَ عَلَى وَجْهِهِ خَسِرَ الدُّنْيَا وَالْآخِرَةَ ذَلِكَ هُوَ الْخُسْرَانُ الْمُبِينُ
Wamina alnnasi man yaAAbudu Allaha AAala harfin fa-in asabahu khayrun itmaanna bihi wa-in asabat-hu fitnatun inqalaba AAala wajhihi khasira alddunya waal-akhirata thalika huwa alkhusranu almubeenu
YUSUFALI: There are among men some who serve Allah, as it were, on the verge: if good befalls them, they are, therewith, well content; but if a trial comes to them, they turn on their faces: they lose both this world and the Hereafter: that is loss for all to see!
PICKTHAL: And among mankind is he who worshippeth Allah upon a narrow marge so that if good befalleth him he is content therewith, but if a trial befalleth him, he falleth away utterly. He loseth both the world and the Hereafter. That is the sheer loss.
SHAKIR: And among men is he who serves Allah (standing) on the verge, so that if good befalls him he is satisfied therewith, but if a trial afflict him he turns back headlong; he loses this world as well as the hereafter; that is a manifest loss.
KHALIFA: Among the people there is the one who worships GOD conditionally. If things go his way, he is content. But if some adversity befalls him, he makes an about-face. Thus, he loses both this life and the Hereafter. Such is the real loss.
রুকু – ২
১১। মানুষের মধ্যে কিছু লোক আছে যারা আল্লাহ্র আনুগত্য করে সন্দেহের সাথে ২৭৮২। যদি তাদের কল্যাণ হয়, তাহলে তারা পরিতৃপ্ত , কিন্তু যদি তাদের বিপদ আসে, তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তারা ক্ষতিগ্রস্থ হয় দুনিয়াতে ও আখিরাতে। ইহা তো সুস্পষ্ট ক্ষতি।
২৭৮২। যাদের ঈমানের ভিত্তি মজবুত নয়, তাদের মনঃস্তত্বকে এই আয়াতে তুলে ধরা হয়েছে। যদি সংসারের সব কিছু তাদের স্বার্থের পক্ষে যায় তবে তারা আল্লাহ্র প্রতি বিশ্বাসী। কিন্তু যদি কোনও বিপদ বা বিপর্যয় তাদের উপরে পতিত হয়, তবে তাদের ঈমানের ভিত্তি নড়ে ওঠে। সুখের দিনে তারা ঈমানদার , কিন্তু দুঃখ বিপর্যয়ের দিনে তারা আল্লাহ্র উপরে সম্পূর্ণ নির্ভর করার পরিবর্তে অন্য উপাস্যের সাহায্য প্রার্থনা করে। যেরূপ বাংলাদেশে বহু লোককে দেখা যায় বিপদ বিপর্যয়ে আল্লাহ্কে ডাকার সাথে সাথে তারা রত্নপাথর, পানি পড়া, বা পীরের মাজারে নিয়ত ও শিন্নির স্মরণাপন্ন হয়। এদের সম্বন্ধেই বলা হয়েছে যে, এরাও একধরণের মোনাফেক। তারা অবশ্যই প্রতারক বা দ্বিমুখী নীতিসম্পন্ন লোক নয়। তাদের অপরাধ , তারা মনের দিক থেকে অত্যন্ত দুর্বল চরিত্রের অধিকারী। তারা স্বার্থপর, সে কারণে তারা আল্লাহ্র জন্য কোন কিছুই হারাতে রাজী নয় তাদের সব চাই। এই “সব চাই ” এর দল হয় অত্যন্ত সঙ্কীর্ণ-মনা; এরা তাৎক্ষণিক সাফল্যের ভিত্তিতে জীবনের জয়পরাজয়ের মূল্যমান বিচার করে। ফলে এরা হয় দূরদৃষ্টি বিহীন জীবনের সব কিছুই এরা জাগতিক চাওয়া পাওয়ার ভিত্তিতে বিচার করে। জাগতিক পাওয়া ও পার্থিব লাভই এদের জীবনের মূল মন্ত্র। যখনই তাদের এই চাওয়া পাওয়ার স্বার্থে আঘাত লাগে তখনই তারা আল্লাহ্র একত্বের প্রতি বিশ্বাসের দৃঢ়তা রাখতে পারে না। তারা বুঝতে অক্ষম যে বিপদ বিপর্যয়ের পরীক্ষার মাধ্যমেই আল্লাহ্ তাঁর বান্দাকে পরীক্ষা করে নেন। এরা ইহাকাল এবং পরকাল দুকূলই হারায়। এই পৃথিবীতে তাদের পরাজয়ের সাক্ষী হয় সকলেই।
আয়াতঃ 022.012
সে আল্লাহর পরিবর্তে এমন কিছুকে ডাকে, যে তার অপকার করতে পারে না এবং উপকারও করতে পারে না। এটাই চরম পথভ্রষ্টতা।
He calls besides Allâh unto that which hurts him not, nor profits him. That is a straying far away.
يَدْعُو مِن دُونِ اللَّهِ مَا لَا يَضُرُّهُ وَمَا لَا يَنفَعُهُ ذَلِكَ هُوَ الضَّلَالُ الْبَعِيدُ
YadAAoo min dooni Allahi ma la yadurruhu wama la yanfaAAuhu thalika huwa alddalalu albaAAeedu
YUSUFALI: They call on such deities, besides Allah, as can neither hurt nor profit them: that is straying far indeed (from the Way)!
PICKTHAL: He calleth, beside Allah, unto that which hurteth him not nor benefiteth him. That is the far error.
SHAKIR: He calls besides Allah upon that which does not harm him and that which does not profit him, that is the great straying.
KHALIFA: He idolizes beside GOD what possesses no power to harm him or benefit him; such is the real straying.
১২। আল্লাহ্ ব্যতীত তারা এমন সব উপাস্যকে ডাকে যারা তাদের ক্ষতি বা লাভ কিছুই করতে পারে না। ইহাই চরম পথ ভ্রষ্টতা ২৭৮৩।
২৭৮৩। যাদের ঈমানের ভিত্তি মজবুত নয়, সেই সব মোনাফেকদের মনঃস্বত্ব এই আয়াত গুলিতে বর্ণনা করা হয়েছে। আল্লাহ্র প্রতি অবিচল বিশ্বাসই হচ্ছে ঈমানের ভিত্তি। এ বিশ্বাস মনে রাখা যে, সর্ব কল্যাণের মালিক এক আল্লাহ্। দুঃখ বিপদ বিপর্যয় একমাত্র তাঁরই কল্যাণময় স্পর্শে দূর হওয়া সম্ভব। আল্লাহ্র উপরে নির্ভরশীলতায় প্রয়োজনে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করতেও বিশ্বাসীরা কুণ্ঠিত নয়। বিশ্বাসীদের নিকট ধর্ম হচ্ছে সর্বোচ্চ আকাঙ্খিত বিশ্বাস, মহৎ উদ্দেশ্যে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার, আল্লাহ্র অসীম করুণা ও অনুগ্রহ আত্মার মাঝে অনুধাবন । অপর পক্ষে যাদের ঈমান দোদুল্যমান,তারা ধর্মকে গ্রহণ করে কতগুলি আনুষ্ঠানিকতা রূপে। আল্লাহ্র প্রতি আত্মসমর্পনের মাধ্যমে চরিত্রে যে দুর্লভ গুণরাজির জন্ম নেয়, নিঃস্বার্থ আত্মত্যাগের মানসিকতার জন্ম নেয়, আল্লাহ্র অনুগ্রহ সনাক্ত করার ক্ষমতা লাভ করে, মোনাফেকের চরিত্রে তা থাকে অনুপস্থিত। তাৎক্ষণিক লাভের আশায় সে এমন কিছুকে ডাকে [ রত্ন পাথর ধারণ বা পীরের মাজারে গমন ইত্যাদি ] যারা ” ক্ষতি বা লাভ কিছুই করতে পারে না।” অর্থাৎ যত তারা এসব মিথ্যা উপাস্যের সাহায্য প্রার্থনা করে, তত তারা প্রকৃত ধর্ম থেকে বিচ্যুত হয়। আল্লাহ্র রাস্তা থেকে দূরে সরে যায়।
আয়াতঃ 022.013
সে এমন কিছুকে ডাকে, যার অপকার উপকারের আগে পৌছে। কত মন্দ এই বন্ধু এবং কত মন্দ এই সঙ্গী।
He calls unto him whose harm is nearer than his profit; certainly, and evil Maula (patron) and certainly an evil friend!
يَدْعُو لَمَن ضَرُّهُ أَقْرَبُ مِن نَّفْعِهِ لَبِئْسَ الْمَوْلَى وَلَبِئْسَ الْعَشِيرُ
YadAAoo laman darruhu aqrabu min nafAAihi labi/sa almawla walabi/sa alAAasheeru
YUSUFALI: (Perhaps) they call on one whose hurt is nearer than his profit: evil, indeed, is the patron, and evil the companion (or help)!
PICKTHAL: He calleth unto him whose harm is nearer than his benefit; verily an evil patron and verily an evil friend!
SHAKIR: He calls upon him whose harm is nearer than his profit; evil certainly is the guardian and evil certainly is the associate.
KHALIFA: He idolizes what is more apt to harm him than benefit him. What a miserable lord! What a miserable companion!
১৩। [ সম্ভবতঃ] তারা এমন কিছুকে ডাকে যার ক্ষতি উহার লাভ থেকে অধিক নিকটবর্তী। সাহায্যের জন্য কত মন্দ এই অভিভাবকত্ব, কত মন্দ এই সাথী ২৭৮৪।
২৭৮৪। উপরের আয়াতগুলিতে যাদের কথা বলা হয়েছে, যারা বিপদ বা বিপর্যয়ে আল্লাহ্ ব্যতীত অন্য কিছুর সাহায্য কামনা করে তাদের এই উপাসনা মিথ্যা। তাদের এই মিথ্যা উপাস্যের উপাসনা তাদের জন্য ভালো বা মন্দ কোন ফলই বয়ে আনতে পারবে না এ কথা সর্বদা সঠিক নয়, এই আয়াতে আল্লাহ্ বলেছেন, সম্ভবতঃ ক্ষতিই সর্বপ্রথম হবে, এবং তারা আল্লাহ্র কোনও অনুগ্রহ লাভ করবে না। কারণ মিথ্যা উপাস্যের নিকট সাহায্য প্রার্থনার ফলে এ সব আত্মা বিপথে চালিত হয়। আর বিপথগামী আত্মা আল্লাহ্র সাহায্য লাভের অনুপযুক্ত।
আয়াতঃ 022.014
যারা বিশ্বাস স্থাপন করে ও সৎকর্ম সম্পাদন করে, আল্লাহ তাদেরকে জান্নাতে দাখিল করবেন, যার তলদেশ দিয়ে নির্ঝরণীসমূহ প্রবাহিত হয়। আল্লাহ যা ইচ্ছা তাই করেন।
Truly, Allâh will admit those who believe (in Islâmic Monotheism) and do righteous good deeds (according to the Qur’ân and the Sunnah) to Gardens underneath which rivers flow (in Paradise). Verily, Allâh does what He wills.
إِنَّ اللَّهَ يُدْخِلُ الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ جَنَّاتٍ تَجْرِي مِن تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ إِنَّ اللَّهَ يَفْعَلُ مَا يُرِيدُ
Inna Allaha yudkhilu allatheena amanoo waAAamiloo alssalihati jannatin tajree min tahtiha al-anharu inna Allaha yafAAalu ma yureedu
YUSUFALI: Verily Allah will admit those who believe and work righteous deeds, to Gardens, beneath which rivers flow: for Allah carries out all that He plans.
PICKTHAL: Lo! Allah causeth those who believe and do good works to enter Gardens underneath which rivers flow. Lo! Allah doth what He intendeth.
SHAKIR: Surely Allah will cause those who believe and do good deeds to enter gardens beneath which rivers flow, surely Allah does what He pleases.
KHALIFA: GOD admits those who believe and lead a righteous life into gardens with flowing streams. Everything is in accordance with GOD’s will.
১৪। যারা ঈমান আনে এবং সৎকাজ করে , তাদের আল্লাহ্ [ বেহেশতের ] বাগানে প্রবেশ করাইবেন , যার পাদদেশে নদী প্রবাহিত। আল্লাহ্ যা পরিকল্পনা করেন তা বাস্তবায়িত করেন ২৭৮৫।
২৭৮৫। এই আয়াতটিতে আল্লাহ্ ইসলামের সারমর্মকে উত্থাপন করেছেন। দৃঢ় ঈমান ও সৎ কর্ম এই দুটো হচ্ছে ধর্মের মূল ভিত্তি। ব্যক্তির জীবনে এ যেনো দুটি পায়ের সদৃশ। দীর্ঘ পথ অতিক্রম বা সুউচ্চ পর্বতে আরোহণ যেমন এক পায়ে সম্ভব নয় দুপায়ের প্রয়োজন হয়, ঠিক সেরূপ ধর্মের দীর্ঘ পথকে অতিক্রম করে আল্লাহ্র সান্নিধ্য লাভের জন্য প্রয়োজন ঈমান বা দৃঢ় বিশ্বাস এবং এই বিশ্বাসের প্রতিফলন ঘটাতে হবে আল্লাহ্র সন্তুষ্টি বিধানের জন্য সৎকর্ম দ্বারা। বিশ্বাস ও সৎ কর্ম হচ্ছে আল্লাহ্র সান্নিধ্য লাভের পূর্বশর্ত। বেহেশতে প্রবেশের চাবিকাঠি। এ ভাবেই আল্লাহ্র ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটে, এবং সর্ব শক্তিমান আল্লাহ্ পূর্ণ ক্ষমতার অধিকারী তার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে। এ কথারই প্রতিফলন দেখি আয়াত [ ২: ৬২ ] ‘ [ ৫ : ৬৯ ] এবং [ ২২ : ১৭ ] আয়াতে। এ সব আয়াতে মুসলমান [ বিশ্বাসী ] দের সাথে ইহুদী , খৃষ্টান, এবং সাবীয়ানদের উল্লেখ করা হয়েছে , এবং বলা হয়েছে একত্ববাদে বিশ্বাস এবং সৎকর্ম-ই হচ্ছে ধর্মের মূল ভিত্তি।
আয়াতঃ 022.015
সে ধারণা করে যে, আল্লাহ কখনই ইহকালে ও পরকালে রাসূলকে সাহায্য করবেন না, সে একটি রশি আকাশ পর্যন্ত ঝুলিয়ে নিক; এরপর কেটে দিক; অতঃপর দেখুক তার এই কৌশল তার আক্রোশ দূর করে কিনা।
Whoever thinks that Allâh will not help him (Muhammad SAW) in this world and in the Hereafter, let him stretch out a rope to the ceiling and let him strangle himself. Then let him see whether his plan will remove that whereat he rages!
مَن كَانَ يَظُنُّ أَن لَّن يَنصُرَهُ اللَّهُ فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ فَلْيَمْدُدْ بِسَبَبٍ إِلَى السَّمَاء ثُمَّ لِيَقْطَعْ فَلْيَنظُرْ هَلْ يُذْهِبَنَّ كَيْدُهُ مَا يَغِيظُ
Man kana yathunnu an lan yansurahu Allahu fee alddunya waal-akhirati falyamdud bisababin ila alssama-i thumma liyaqtaAA falyanthur hal yuthhibanna kayduhu ma yagheethu
YUSUFALI: If any think that Allah will not help him (His Messenger) in this world and the Hereafter, let him stretch out a rope to the ceiling and cut (himself) off: then let him see whether his plan will remove that which enrages (him)!
PICKTHAL: Whoso is wont to think (through envy) that Allah will not give him (Muhammad) victory in the world and the Hereafter (and is enraged at the thought of his victory), let him stretch a rope up to the roof (of his dwelling), and let him hang himself. Then let him see whether his strategy dispelleth that whereat he rageth!.
SHAKIR: Whoever thinks that Allah will not assist him in this life and the hereafter, let him stretch a rope to the ceiling, then let him cut (it) off, then let him see if his struggle will take away that at which he is enraged.
KHALIFA: If anyone thinks that GOD cannot support him in this life and in the Hereafter, let him turn completely to (his creator in) heaven, and sever (his dependence on anyone else). He will then see that this plan eliminates anything that bothers him.
১৫। যদি কেউ মনে করে থাকে যে, আল্লাহ্ তাঁকে [ রাসুলকে ] এই পৃথিবীতে এবং পরকালে সাহায্য করবেন না, তবে তাঁর উচিত যে, সে যেনো আকাশের দিকে একটি দড়ি টানায় এবং [ নিজেকে ] বিচ্ছিন্ন করে ২৭৮৬। অতঃপর দেখুক তার এই প্রচেষ্টা, তার আক্রোশের হেতু দূর করে কি না।
২৭৮৬। এই আয়াতটি সম্বন্ধে তফসীরকারদের মতদ্বৈত আছে। অধিকাংশ তফসীরকারের মতে ” আল্লাহ্ তাকে ” বাক্যটির মধ্যে ” তাকে” সর্বনামটি রাসুলের (সা) পরিবর্তে ব্যবহার হয়েছে। এবং “যদি কেহ ” বাক্যটির মধ্যে “কেহ” শব্দটি রাসুলের (সা) শত্রুদের পরিবর্তে ব্যবহৃত হয়েছে। এই লাইনটির অর্থ দাঁড়ায় রাসুলের (সা) শত্রুদের সর্বান্তকরণের ইচ্ছা ছিলো, যে কোন ভাবে আল্লাহ্ নবীর ধ্বংস কামনা। মওলানা ইউসুফ আলী এখানে ইবনে আব্বাসকে অনুসরণ করেছেন যাকে অধিকাংশ তফসীরকারগণ অনুসরণ করে থাকেন। সম্পূর্ণ আয়াতটির অর্থ দাঁড়ায় যে, রাসুলের (সা) শত্রুরা তাঁর সাফল্যে যদি রাগে অন্ধ হয়ে যায় ,তবে তারা ছাদে রজ্জু ঝুলিয়ে তাতে ঝুলে পড়ুক। “Samaa” শব্দটি ঘরের ছাদের পরিবর্তে ব্যবহৃত হয়। যদি “Samaa” শব্দটির অর্থ “আকাশ ” হয় , যা এখানে করা হয়েছে, তাহলে সম্পূর্ণ আয়াতটির অর্থ দাঁড়াবে, : আল্লাহ্র সাহায্য ও রাসুলের (সা) সাফল্যে যদি রাসুলের (সা) শত্রুরা আক্রোশে অন্ধ হয়ে যায়, তবে তারা আকাশ পর্যন্ত দড়ি ঝুলিয়ে দিক এবং এভাবে তারা দেখুক যে তারা [ শত্রুরা ] আল্লাহ্র সাহায্য বন্ধ করতে পারে কি না। অন্য কথায় তারা নির্বোধ , কারণ তারা মনে করে তাদের নিম্নমানের কৌশল দ্বারা তারা আল্লাহ্র রাসুলকে (সা) আল্লাহ্র সাহায্যচ্যুত করতে পারবে। সারকথা এই যে, ইসলামের পথ রুদ্ধকারী শত্রু চায় যে, আল্লাহ্ তায়ালা তাঁর রাসুল (সা) ও ধর্মকে সাহায্য না করুণ। সুতারাং যে ব্যক্তি রাসুল (সা) ও তাঁর ধর্মের উন্নতির পথ রুদ্ধ করতে চায়, তার সাধ্য থাকলে এরূপ কৌশল অবলম্বন করা উচিত যাতে নবুওয়াতের পদ বিলুপ্ত হয়ে যায় এবং ওহীর আগমন বন্ধ হয়ে যায়। এই অসম্ভব বিষয়বস্তুকে সম্ভব ধরে নেয়ার ভঙ্গীতে এভাবে ব্যক্ত করা হয়েছে যে, রসুলুল্লাহ্ (সা) থেকে ওহী বন্ধ করতে সে কোনরূপে আকাশে পৌঁছে ওহী আসার পথ বন্ধ করে দিক।
আয়াতঃ 022.016
এমনিভাবে আমি সুস্পষ্ট আয়াত রূপে কোরআন নাযিল করেছি এবং আল্লাহ-ই যাকে ইচ্ছা হেদায়েত করেন।
Thus have We sent it (this Qur’ân) down (to Muhammad SAW) as clear signs, evidences and proofs, and surely, Allâh guides whom He wills.
وَكَذَلِكَ أَنزَلْنَاهُ آيَاتٍ بَيِّنَاتٍ وَأَنَّ اللَّهَ يَهْدِي مَن يُرِيدُ
Wakathalika anzalnahu ayatin bayyinatin waanna Allaha yahdee man yureedu
YUSUFALI: Thus have We sent down Clear Signs; and verily Allah doth guide whom He will!
PICKTHAL: Thus We reveal it as plain revelations, and verily Allah guideth whom He will.
SHAKIR: And thus have We revealed it, being clear arguments, and because Allah guides whom He intends.
KHALIFA: We have thus revealed clear revelations herein, then GOD guides whoever wills (to be guided).
১৬। এ ভাবেই আমি সুস্পষ্ট নিদর্শনরূপে উহা প্রেরণ করেছি। আর আল্লাহ্ যাকে ইচ্ছা সৎপথে পরিচালিত করেন ২৭৮৭।
২৭৮৭। ‘উহা’ সর্বনাম দ্বারা এস্থলে কোরাণকে বোঝানো হয়েছে। আল্লাহ্র রসুলের (সা) বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র না করে অবিশ্বাসীদের এই আয়াতে আহ্বান করা হয়েছে রসুলের (সা) নিকট প্রেরিত আল্লাহ্র যে “সুস্পষ্ট নিদর্শন ” প্রেরণ করা হয়েছে তা অনুধাবন করার জন্য। পবিত্র কোরাণে আল্লাহ্র হেদায়েত বর্তমান। আর এই হেদায়েত – ই হচ্ছে সঠিক পথে চলার পথ নির্দ্দেশ এবং সঠিক পথের সুফল এবং বিপথের কুফল বর্ণনা করা হয়েছে। এই কর্মফল আল্লাহ্ কর্তৃক নির্দ্দিষ্ট আইন এর কোন ব্যত্যয় নাই। আল্লাহ্র ‘ইচ্ছাই ‘ আল্লাহ্র আইন। যে আল্লাহ্ নির্দ্দেশিত সঠিক পথে চলে; আল্লাহ্ তাকে সৎপথ প্রদর্শন করেন। অর্থাৎ সে আল্লাহ্র অনুগ্রহভাজন হয় এবং তার হৃদয়ের মাঝে সে আল্লাহ্র হেদায়েতকে অনুভব করে। এই হচ্ছে বিশ্বভূবনে আল্লাহ্র আইন বা “ইচ্ছা”। “ইচ্ছা” শব্দটির দ্বারা আল্লাহ্র আইনকেই বোঝানো হয়েছে। হৃদয়ের মাঝে আল্লাহ্র হেদায়েতের অনুভব করার ক্ষমতা হচ্ছে মোমেন বান্দার সর্বোচ্চ পাওয়া। যারা আল্লাহ্র ইচ্ছার বা আইনের সাথে নিজের ইচ্ছাকে সমন্বিত করে তারাই এই পুরষ্কার পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করে এই পৃথিবীতে।
আয়াতঃ 022.017
যারা মুসলমান, যারা ইহুদী, সাবেয়ী, খ্রীষ্টান, অগ্নিপুজক এবং যারা মুশরেক, কেয়ামতের দিন আল্লাহ অবশ্যই তাদের মধ্যে ফায়সালা করে দেবেন। সবকিছুই আল্লাহর দৃষ্টির সামনে।
Verily, those who believe (in Allâh and in His Messenger Muhammad SAW), and those who are Jews, and the Sabians, and the Christians, and the Magians, and those who worship others besides Allâh, truly, Allâh will judge between them on the Day of Resurrection. Verily! Allâh is Witness over all things.
إِنَّ الَّذِينَ آمَنُوا وَالَّذِينَ هَادُوا وَالصَّابِئِينَ وَالنَّصَارَى وَالْمَجُوسَ وَالَّذِينَ أَشْرَكُوا إِنَّ اللَّهَ يَفْصِلُ بَيْنَهُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ إِنَّ اللَّهَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ شَهِيدٌ
Inna allatheena amanoo waallatheena hadoo waalssabi-eena waalnnasara waalmajoosa waallatheena ashrakoo inna Allaha yafsilu baynahum yawma alqiyamati inna Allaha AAala kulli shay-in shaheedun
YUSUFALI: Those who believe (in the Qur’an), those who follow the Jewish (scriptures), and the Sabians, Christians, Magians, and Polytheists,- Allah will judge between them on the Day of Judgment: for Allah is witness of all things.
PICKTHAL: Lo! those who believe (this revelation), and those who are Jews, and the Sabaeans and the Christians and the Magians and the idolaters – Lo! Allah will decide between them on the Day of Resurrection. Lo! Allah is Witness over all things.
SHAKIR: Surely those who believe and those who are Jews and the Sabeans and the Christians and the Magians and those who associate (others with Allah)– surely Allah will decide between them on the day of resurrection; surely Allah is a witness over all things.
KHALIFA: Those who believe, those who are Jewish, the converts, the Christians, the Zoroastrians, and the idol worshipers, GOD is the One who will judge among them on the Day of Resurrection. GOD witnesses all things.
১৭। যারা [ কোর-আনে ] ঈমান এনেছে, যারা ইহুদী [ ধর্মগ্রন্থ ] অনুসরণ করে, এবং সাবিঈন ২৭৮৮, খৃষ্টান, অগ্নিপূজক এবং মুশরিক, শেষ বিচারের দিনে আল্লাহ্ তাদের মধ্যে বিবাদের বিচার করে দেবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ সব কিছুর সাক্ষী।
২৭৮৮। ‘সাবীয়ান ” দের জন্য আরও দেখুন আয়াত [ ২ : ৬২ ] ও টিকা ৭৬ এবং আয়াত [ ৫ : ৬৯ ]। এই দুই স্থানেই মুসলমানদের [ বিশ্বাসী ] সাথে ইহুদী, খৃষ্টান ও সাবীয়ানদের উল্লেখ আছে যারা আল্লাহ্র দয়া ও করুণা লাভে সক্ষম। এই আয়াতে এই চার প্রধান ধর্ম ব্যতীত আরও দুই ধর্মাবলম্বীদের উল্লেখ করা হয়েছে এরা হলো মেজিয়ান বা অগ্নিপূজক এবং বহু ইশ্বরবাদী বা মোশরেক। এদের প্রতি আল্লাহ্র করুণার কথা উল্লেখ করা হয় নাই। শুধুমাত্র উল্লেখ করা হয়েছে যে, আল্লাহ্ বিভিন্ন ধর্মালম্বীদের মধ্যে বিচার ও ফয়সালা করে দেবেন কেয়ামত দিবসে।
আয়াতঃ 022.018
তুমি কি দেখনি যে, আল্লাহকে সেজদা করে যা কিছু আছে নভোমন্ডলে, যা কিছু আছে ভুমন্ডলে, সূর্য, চন্দ্র, তারকারাজি পর্বতরাজি বৃক্ষলতা, জীবজন্তু এবং অনেক মানুষ। আবার অনেকের উপর অবধারিত হয়েছে শাস্তি। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা লাঞ্ছিত করেন, তাকে কেউ সম্মান দিতে পারে না। আল্লাহ যা ইচ্ছা তাই করেন
See you not that to Allâh prostrates whoever is in the heavens and whoever is on the earth, and the sun, and the moon, and the stars, and the mountains, and the trees, and Ad-Dawâb (moving living creatures, beasts, etc.), and many of mankind? But there are many (men) on whom the punishment is justified. And whomsoever Allâh disgraces, none can honour him. Verily! Allâh does what He wills.
أَلَمْ تَرَ أَنَّ اللَّهَ يَسْجُدُ لَهُ مَن فِي السَّمَاوَاتِ وَمَن فِي الْأَرْضِ وَالشَّمْسُ وَالْقَمَرُ وَالنُّجُومُ وَالْجِبَالُ وَالشَّجَرُ وَالدَّوَابُّ وَكَثِيرٌ مِّنَ النَّاسِ وَكَثِيرٌ حَقَّ عَلَيْهِ الْعَذَابُ وَمَن يُهِنِ اللَّهُ فَمَا لَهُ مِن مُّكْرِمٍ إِنَّ اللَّهَ يَفْعَلُ مَا يَشَاء
Alam tara anna Allaha yasjudu lahu man fee alssamawati waman fee al-ardi waalshshamsu waalqamaru waalnnujoomu waaljibalu waalshshajaru waalddawabbu wakatheerun mina alnnasi wakatheerun haqqa AAalayhi alAAathabu waman yuhini Allahu fama lahu min mukrimin inna Allaha yafAAalu ma yasha/o
YUSUFALI: Seest thou not that to Allah bow down in worship all things that are in the heavens and on earth,- the sun, the moon, the stars; the hills, the trees, the animals; and a great number among mankind? But a great number are (also) such as are fit for Punishment: and such as Allah shall disgrace,- None can raise to honour: for Allah carries out all that He wills.
PICKTHAL: Hast thou not seen that unto Allah payeth adoration whosoever is in the heavens and whosoever is in the earth, and the sun, and the moon, and the stars, and the hills, and the trees, and the beasts, and many of mankind, while there are many unto whom the doom is justly due. He whom Allah scorneth, there is none to give him honour. Lo! Allah doeth what He will.
SHAKIR: Do you not see that Allah is He, Whom obeys whoever is in the heavens and whoever is in the earth, and the sun and the moon and the stars, and the mountains and the trees, and the animals and many of the people; and many there are against whom chastisement has become necessary; and whomsoever Allah abases, there is none who can make him honorable; surely Allah does what He pleases.
KHALIFA: Do you not realize that to GOD prostrates everyone in the heavens and the earth, and the sun, and the moon, and the stars, and the mountains, and the trees, and the animals, and many people? Many others among the people are committed to doom. Whomever GOD shames, none will honor him. Everything is in accordance with GOD’s will.
১৮। তারা কি দেখে না যে, আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে সব আল্লাহ্র এবাদতে সেজ্দা করে ২৭৯০, সূর্য , চন্দ্র, তারকারাজি, পাহাড়সমূহ, বৃক্ষরাজি, এবং প্রাণীকূল এবং মানুষের মধ্যে অনেকেই ? আবার বহুজন শাস্তির যোগ্য হয়েছে। এবং আল্লাহ্ যাকে অসম্মান করেন, তাকে কেউই সম্মান দিতে পারে না। আল্লাহ্ যা ইচ্ছা করেন তা বাস্তবায়িত করেন ২৭৯১।
২৭৯০। দেখুন অনুরূপ আয়াত [ ২১ : ৭৯ ] এবং টিকা ২৭৩৩। বিশ্ব-ব্রহ্মান্ডের সকল বস্তু জড় বা জীবন্ত সবই আল্লাহ্র অনুগ্রহের উপরে নির্ভরশীল। আল্লাহ্ প্রত্যেক বস্তুকে তার স্ব স্ব ধর্মে সৃষ্টি করেছেন ; যেমন; পানির ধর্ম পানির, লোহার ধর্ম লোহার, ইত্যাদি এগুলি জড় পদার্থের ধর্ম, আবার জীবন্ত উদ্ভিদ ও জীবজন্তুর মাঝে দেখা যায় , প্রাকৃতিক নিয়মে তারা বড় হয়, বংশবৃদ্ধি করে, আবার প্রাকৃতিক নিয়মে তারা মরে যায়। এই প্রাকৃতিক নিয়ম প্রাণী , উদ্ভিদ জগত ও জড় পদার্থের জন্য আল্লাহ্ সৃষ্টি করে দিয়েছেন। আর এই নিয়ম সৃষ্টিগত ব্যবস্থাপনার অধীন , উদ্ভিদ জগত, প্রাণীজগত, জড় জগত – অর্থাৎ আকাশ মন্ডলী ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে সকলেই আল্লাহ্ কর্তৃক জারীকৃত এই প্রাকৃতিক নিয়ম অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলে। একেই সৃষ্ট জগতের সকল পদার্থের আল্লাহ্র প্রতি আনুগত্য বা সেজ্দারুপে প্রকাশ করা হয়েছে। জড় ও জীবন্ত সকলেই তাদের অস্তিত্বের জন্য আল্লাহ্র উপরে নির্ভরশীল এবং তাদের এই নির্ভরশীলতাই হচ্ছে আনুগত্য বা সেজ্দা রূপে প্রকাশ করা হয়েছে। এদের অস্তিত্বই হচ্ছে এদের আল্লাহ্র উপরে নির্ভরশীলতা বা আনুগত্য। এদের কোনও স্বাধীন ইচ্ছা শক্তি নাই। আল্লাহ্ এদের যে ধর্মগুণ দিয়ে সৃষ্টি করেছেন তারা তা অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলে। আল্লাহ্র ইচ্ছার বিরোধিতা করার ক্ষমতা এদের নাই।
২৭৯১। দেখুন আয়াত [ ২২ : ১৬ ]। সৃষ্টি জগতে মানুষ ব্যতীত আর কারও ” স্বাধীন ইচ্ছা শক্তি ” নাই। আর স্রষ্টার হুকুম হচ্ছে এই ” স্বাধীন ইচ্ছাশক্তিকে” স্রষ্টার “ইচ্ছা” বা আইনের সাথে সমন্বিত করতে হবে। যারা তা করতে পারবে তারাই আল্লাহ্র নিকট পুরষ্কারের যোগ্যতা অর্জন করবে। এই আয়াতে মানুষের মাঝে তাদের কথাই বলা হয়েছে , যারা আল্লাহ্র ইচ্ছার কাছে সেজ্দা অবনত হয় না। যারা আল্লাহ্র ইচ্ছা বা আইন বা বিধানের বিরোধিতা করে,তারা শাস্তি ভোগ করবে, অসম্মানিত হবে। আল্লাহ্ তাঁর পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সক্ষম তিনি তার ইচ্ছাকে বাস্তবায়নে সক্ষম।
আয়াতঃ 022.019
এই দুই বাদী বিবাদী, তারা তাদের পালনকর্তা সম্পর্কে বিতর্ক করে। অতএব যারা কাফের, তাদের জন্যে আগুনের পোশাক তৈরী করা হয়েছে। তাদের মাথার উপর ফুটন্ত পানি ঢেলে দেয়া হবে।
These two opponents (believers and disbelievers) dispute with each other about their Lord; then as for those who disbelieve, garments of fire will be cut out for them, boiling water will be poured down over their heads.
هَذَانِ خَصْمَانِ اخْتَصَمُوا فِي رَبِّهِمْ فَالَّذِينَ كَفَرُوا قُطِّعَتْ لَهُمْ ثِيَابٌ مِّن نَّارٍ يُصَبُّ مِن فَوْقِ رُؤُوسِهِمُ الْحَمِيمُ
Hathani khasmani ikhtasamoo fee rabbihim faallatheena kafaroo quttiAAat lahum thiyabun min narin yusabbu min fawqi ruoosihimu alhameemu
YUSUFALI: These two antagonists dispute with each other about their Lord: But those who deny (their Lord),- for them will be cut out a garment of Fire: over their heads will be poured out boiling water.
PICKTHAL: These twain (the believers and the disbelievers) are two opponents who contend concerning their Lord. But as for those who disbelieve, garments of fire will be cut out for them; boiling fluid will be poured down on their heads,
SHAKIR: These are two adversaries who dispute about their Lord; then (as to) those who disbelieve, for them are cut out garments of fire, boiling water shall be poured over their heads.
KHALIFA: Here are two parties feuding with regard to their Lord. As for those who disbelieve, they will have clothes of fire tailored for them. Hellish liquid will be poured on top of their heads.
১৯। এই দুই বিবাদমান পক্ষ, আল্লাহ্ সম্বন্ধে পরস্পর বির্তক করে থাকে। যারা [ তাদের প্রভুকে ] অস্বীকার করে, তাদের জন্য কাটা হবে আগুনের পোষাক। তাদের মাথার উপর ঢালা হবে ফুটন্ত পানি ২৭৯২।
২৭৯২। একমাত্র মানুষই পারে আল্লাহ্র ‘ইচ্ছা’ বা আইনের বিরুদ্ধাচারণ করতে। এই আয়াতে দুই বিবাদমান পক্ষ অর্থ দুই দলকে বোঝানো হয়েছে যাদের এক দল মোমেন বান্দা যারা স্ব ইচ্ছায় আল্লাহ্র হুকুম বা ইচ্ছাকে মেনে চলে এবং আল্লাহ্র ইচ্ছার কাছে আত্মসমর্পন করে, আল্লাহ্র সাহায্য কামনা করে। এদেরই বিপক্ষে অন্যদল যারা সর্বোতভাবে আল্লাহ্র ইচ্ছার বিরুদ্ধাচারণ করে তাঁর আইনকে ভঙ্গ করে।
আয়াতঃ 022.020
ফলে তাদের পেটে যা আছে, তা এবং চর্ম গলে বের হয়ে যাবে।
With it will melt or vanish away what is within their bellies, as well as (their) skins.
يُصْهَرُ بِهِ مَا فِي بُطُونِهِمْ وَالْجُلُودُ
Yusharu bihi ma fee butoonihim waaljuloodu
YUSUFALI: With it will be scalded what is within their bodies, as well as (their) skins.
PICKTHAL: Whereby that which is in their bellies, and their skins too, will be melted;
SHAKIR: With it shall be melted what is in their bellies and (their) skins as well.
KHALIFA: It will cause their insides to melt, as well as their skins.
২০। তাদের দেহের ভিতরে যা আছে তা এবং [ তাদের ] চামড়াও এর সাহায্যে ঝলসানো হবে ২৭৯৩।
২৭৯৩। ” চামড়াও ঝলসানো হবে ” বাক্যটি দ্বারা বোঝানো হয়েছে শাস্তির তীব্রতা। তাদের শাস্তি এত তীব্র হবে যেনো অস্থি চর্ম ভেদ করে ভিতরে প্রবেশ করবে।
আয়াতঃ 022.021
তাদের জন্যে আছে লোহার হাতুড়ি।
And for them are hooked rods of iron (to punish them).
وَلَهُم مَّقَامِعُ مِنْ حَدِيدٍ
Walahum maqamiAAu min hadeedin
YUSUFALI: In addition there will be maces of iron (to punish) them.
PICKTHAL: And for them are hooked rods of iron.
SHAKIR: And for them are whips of iron.
KHALIFA: They will be confined in iron pots.
২১। এর উপরে তাদের [ শাস্তির জন্য ] থাকবে লৌহ গদা ২৭৯৪।
২৭৯৪। এই আয়াতটি পরবর্তী আয়াতের সাথে একত্রে পাঠ করে অর্থ অনুধাবন করতে হবে। অনুতাপের সময় সীমার অতিক্রমের পরে পাপীদের আর অব্যহতি দান করা হবে না।
আয়াতঃ 022.022
তারা যখনই যন্ত্রনায় অতিষ্ঠ হয়ে জাহান্নাম থেকে বের হতে চাইবে, তখনই তাদেরকে তাতে ফিরিয়ে দেয়া হবে। বলা হবেঃ দহন শাস্তি আস্বাদন কর।
Every time they seek to get away therefrom, from anguish, they will be driven back therein, and (it will be) said to them: ”Taste the torment of burning!”
كُلَّمَا أَرَادُوا أَن يَخْرُجُوا مِنْهَا مِنْ غَمٍّ أُعِيدُوا فِيهَا وَذُوقُوا عَذَابَ الْحَرِيقِ
Kullama aradoo an yakhrujoo minha min ghammin oAAeedoo feeha wathooqoo AAathaba alhareeqi
YUSUFALI: Every time they wish to get away therefrom, from anguish, they will be forced back therein, and (it will be said), “Taste ye the Penalty of Burning!”
PICKTHAL: Whenever, in their anguish, they would go forth from thence they are driven back therein and (it is said unto them): Taste the doom of burning.
SHAKIR: Whenever they will desire to go forth from it, from grief, they shall be turned back into it, and taste the chastisement of burning.
KHALIFA: Whenever they try to exit such misery, they will be forced back in: “Taste the agony of burning.”
২২। যখনই তারা তীব্র যাতনায় তা থেকে বের হতে চাইবে, তাদের জোরপূর্বক সেখানে ফিরিয়ে দেয়া হবে এবং [ বলা হবে ], ” আস্বাদন কর দহন যন্ত্রণা।”
রুকু – ৩
২৩। যারা ঈমান আনে ও সৎকাজ করে আল্লাহ্ তাদের অধিষ্ঠিত করবেন বেহেশতের বাগানে, পাদদেশে যার নদী প্রবাহিত। সেখানে তাদের স্বর্ণ- কঙ্কন ও মুক্তা দ্বারা সাজানো হবে। এবং সেখানে তাদের পোষাক হবে রেশমের। ২৭৯৫
২৪। [ এই পৃথিবীর জীবনে ] তারা সর্বোচ্চ পবিত্র বাক্য [ কুর-আন ] দ্বারা পরিচালিত ছিলো এবং যিনি [ সকল ] প্রশংসার যোগ্য তার পথে পরিচালিত হয়েছিলো।
২৭৯৫। উপরের আয়াতে [ ২২ : ১৪ ] মোমেন বান্দাদের পুরষ্কারের ঘোষণা করা হয়েছে বিপরীতে [ ২২ : ১০ – ১৩ ] কাফের দল ; এই দুদল ইসলামের যুগেই হোক বা তার পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সব যুগের জন্য প্রযোজ্য। এখানে তাদের কথাই বলা হয়েছে যারা কাফেরদের দ্বারা অত্যাচারিত ও নির্যাতিত হন, যাদের কাবা শরীফে [আল্লাহ্র পথে ] প্রবেশ করতে দেয়া হয় নাই এবং জীবনের সকল সুখ, স্বচ্ছন্দ, আরাম – আয়েশ থেকে যাদের বঞ্চিত করা হয়। তাদের জন্য প্রতীকের মাধ্যমে বেহেশতের সুখ শান্তির বর্ণনা করা হয়েছে। যা থেকে বোঝা যায় প্রতিটি পুরষ্কার হচ্ছে নির্দিষ্ট নির্যাতনের বিপরীতে শান্তির প্রলেপ। অলঙ্কৃত করা হবে স্বর্ণ কঙ্কন ও মুক্তা দ্বারা , অর্থাৎ যারা পৃথিবীতে অত্যাচারের দ্বারা তাদের গৃহ এবং সম্পত্তিচ্যুত হয়েছিলেন, তারা বেহেশতে তদপেক্ষা অধিক মূল্যবান বস্তু দ্বারা পুরষ্কৃত হবেন। এখানে মূল্যবান বিষয় সম্পত্তির প্রতীক হিসেবে “স্বর্ণ কঙ্কণ ও মুক্তা ও রেশমের পোষাক ” কে বর্ণনা করা হয়েছে যা সাধারণত নৃপতিরা ব্যবহার করে। ” পবিত্র বাক্য ” [ ২২ : ২৪ ] যার বিপরীত হচ্ছে অকথ্য ভত্র্সনা। অর্থাৎ ভর্তসনা ও নির্যাতনের বিপরীতে ” পবিত্র বাক্যের” বা মধুর ব্যবহারের যে সুখ ,সেই সুখ তারা পাবে। “পরম প্রশংসা ভাজন আল্লাহ্র পথে” এর বিপরীতে হচ্ছে, নিষ্ঠুর নির্যাতন ও অত্যাচার যা তারা ভোগ করেছিলেন। অর্থাৎ পৃথিবীতে ভর্তসনা ও অত্যাচারে বিপরীত অবস্থা তারা বেহেশতে লাভ করবে। সেখানে তাদেরকে আল্লাহ্র পবিত্র বাক্য ও আল্লাহ্র পথে অনুগামী করা হবে।
আয়াতঃ 022.023
নিশ্চয় যারা বিশ্বাস স্থাপন করে এবং সৎকর্ম করে, আল্লাহ তাদেরকে দাখিল করবেন উদ্যান সমূহে, যার তলদেশ দিয়ে নির্ঝরিণীসমূহ প্রবাহিত হবে। তাদেরকে তথায় স্বর্ণ-কংকন ও মুক্তা দ্বারা অলংকৃত করা হবে এবং তথায় তাদের পোশাক হবে রেশমী।
Truly, Allâh will admit those who believe (in the Oneness of Allâh Islâmic Monotheism) and do righteous good deeds, to Gardens underneath which rivers flow (in Paradise), wherein they will be adorned with bracelets of gold and pearls and their garments therein will be of silk.
إِنَّ اللَّهَ يُدْخِلُ الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ جَنَّاتٍ تَجْرِي مِن تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ يُحَلَّوْنَ فِيهَا مِنْ أَسَاوِرَ مِن ذَهَبٍ وَلُؤْلُؤًا وَلِبَاسُهُمْ فِيهَا حَرِيرٌ
Inna Allaha yudkhilu allatheena amanoo waAAamiloo alssalihati jannatin tajree min tahtiha al-anharu yuhallawna feeha min asawira min thahabin walu/lu-an walibasuhum feeha hareerun
YUSUFALI: Allah will admit those who believe and work righteous deeds, to Gardens beneath which rivers flow: they shall be adorned therein with bracelets of gold and pearls; and their garments there will be of silk.
PICKTHAL: Lo! Allah will cause those who believe and do good works to enter Gardens underneath which rivers flow, wherein they will be allowed armlets of gold, and pearls, and their raiment therein will be silk.
SHAKIR: Surely Allah will make those who believe and do good deeds enter gardens beneath which rivers flow; they shall be adorned therein with bracelets of gold and (with) pearls, and their garments therein shall be of silk.
KHALIFA: GOD will admit those who believe and lead a righteous life into gardens with flowing streams. They will be adorned therein with bracelets of gold, and pearls, and their garments therein will be silk.
রুকু – ৩
২৩। যারা ঈমান আনে ও সৎকাজ করে আল্লাহ্ তাদের অধিষ্ঠিত করবেন বেহেশতের বাগানে, পাদদেশে যার নদী প্রবাহিত। সেখানে তাদের স্বর্ণ- কঙ্কন ও মুক্তা দ্বারা সাজানো হবে। এবং সেখানে তাদের পোষাক হবে রেশমের। ২৭৯৫
২৪। [ এই পৃথিবীর জীবনে ] তারা সর্বোচ্চ পবিত্র বাক্য [ কুর-আন ] দ্বারা পরিচালিত ছিলো এবং যিনি [ সকল ] প্রশংসার যোগ্য তার পথে পরিচালিত হয়েছিলো।
২৭৯৫। উপরের আয়াতে [ ২২ : ১৪ ] মোমেন বান্দাদের পুরষ্কারের ঘোষণা করা হয়েছে বিপরীতে [ ২২ : ১০ – ১৩ ] কাফের দল ; এই দুদল ইসলামের যুগেই হোক বা তার পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সব যুগের জন্য প্রযোজ্য। এখানে তাদের কথাই বলা হয়েছে যারা কাফেরদের দ্বারা অত্যাচারিত ও নির্যাতিত হন, যাদের কাবা শরীফে [আল্লাহ্র পথে ] প্রবেশ করতে দেয়া হয় নাই এবং জীবনের সকল সুখ, স্বচ্ছন্দ, আরাম – আয়েশ থেকে যাদের বঞ্চিত করা হয়। তাদের জন্য প্রতীকের মাধ্যমে বেহেশতের সুখ শান্তির বর্ণনা করা হয়েছে। যা থেকে বোঝা যায় প্রতিটি পুরষ্কার হচ্ছে নির্দিষ্ট নির্যাতনের বিপরীতে শান্তির প্রলেপ। অলঙ্কৃত করা হবে স্বর্ণ কঙ্কন ও মুক্তা দ্বারা , অর্থাৎ যারা পৃথিবীতে অত্যাচারের দ্বারা তাদের গৃহ এবং সম্পত্তিচ্যুত হয়েছিলেন, তারা বেহেশতে তদপেক্ষা অধিক মূল্যবান বস্তু দ্বারা পুরষ্কৃত হবেন। এখানে মূল্যবান বিষয় সম্পত্তির প্রতীক হিসেবে “স্বর্ণ কঙ্কণ ও মুক্তা ও রেশমের পোষাক ” কে বর্ণনা করা হয়েছে যা সাধারণত নৃপতিরা ব্যবহার করে। ” পবিত্র বাক্য ” [ ২২ : ২৪ ] যার বিপরীত হচ্ছে অকথ্য ভত্র্সনা। অর্থাৎ ভর্তসনা ও নির্যাতনের বিপরীতে ” পবিত্র বাক্যের” বা মধুর ব্যবহারের যে সুখ ,সেই সুখ তারা পাবে। “পরম প্রশংসা ভাজন আল্লাহ্র পথে” এর বিপরীতে হচ্ছে, নিষ্ঠুর নির্যাতন ও অত্যাচার যা তারা ভোগ করেছিলেন। অর্থাৎ পৃথিবীতে ভর্তসনা ও অত্যাচারে বিপরীত অবস্থা তারা বেহেশতে লাভ করবে। সেখানে তাদেরকে আল্লাহ্র পবিত্র বাক্য ও আল্লাহ্র পথে অনুগামী করা হবে।
আয়াতঃ 022.024
রুকু – ৩
২৩। যারা ঈমান আনে ও সৎকাজ করে আল্লাহ্ তাদের অধিষ্ঠিত করবেন বেহেশতের বাগানে, পাদদেশে যার নদী প্রবাহিত। সেখানে তাদের স্বর্ণ- কঙ্কন ও মুক্তা দ্বারা সাজানো হবে। এবং সেখানে তাদের পোষাক হবে রেশমের। ২৭৯৫
২৪। [ এই পৃথিবীর জীবনে ] তারা সর্বোচ্চ পবিত্র বাক্য [ কুর-আন ] দ্বারা পরিচালিত ছিলো এবং যিনি [ সকল ] প্রশংসার যোগ্য তার পথে পরিচালিত হয়েছিলো।
২৭৯৫। উপরের আয়াতে [ ২২ : ১৪ ] মোমেন বান্দাদের পুরষ্কারের ঘোষণা করা হয়েছে বিপরীতে [ ২২ : ১০ – ১৩ ] কাফের দল ; এই দুদল ইসলামের যুগেই হোক বা তার পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সব যুগের জন্য প্রযোজ্য। এখানে তাদের কথাই বলা হয়েছে যারা কাফেরদের দ্বারা অত্যাচারিত ও নির্যাতিত হন, যাদের কাবা শরীফে [আল্লাহ্র পথে ] প্রবেশ করতে দেয়া হয় নাই এবং জীবনের সকল সুখ, স্বচ্ছন্দ, আরাম – আয়েশ থেকে যাদের বঞ্চিত করা হয়। তাদের জন্য প্রতীকের মাধ্যমে বেহেশতের সুখ শান্তির বর্ণনা করা হয়েছে। যা থেকে বোঝা যায় প্রতিটি পুরষ্কার হচ্ছে নির্দিষ্ট নির্যাতনের বিপরীতে শান্তির প্রলেপ। অলঙ্কৃত করা হবে স্বর্ণ কঙ্কন ও মুক্তা দ্বারা , অর্থাৎ যারা পৃথিবীতে অত্যাচারের দ্বারা তাদের গৃহ এবং সম্পত্তিচ্যুত হয়েছিলেন, তারা বেহেশতে তদপেক্ষা অধিক মূল্যবান বস্তু দ্বারা পুরষ্কৃত হবেন। এখানে মূল্যবান বিষয় সম্পত্তির প্রতীক হিসেবে “স্বর্ণ কঙ্কণ ও মুক্তা ও রেশমের পোষাক ” কে বর্ণনা করা হয়েছে যা সাধারণত নৃপতিরা ব্যবহার করে। ” পবিত্র বাক্য ” [ ২২ : ২৪ ] যার বিপরীত হচ্ছে অকথ্য ভত্র্সনা। অর্থাৎ ভর্তসনা ও নির্যাতনের বিপরীতে ” পবিত্র বাক্যের” বা মধুর ব্যবহারের যে সুখ ,সেই সুখ তারা পাবে। “পরম প্রশংসা ভাজন আল্লাহ্র পথে” এর বিপরীতে হচ্ছে, নিষ্ঠুর নির্যাতন ও অত্যাচার যা তারা ভোগ করেছিলেন। অর্থাৎ পৃথিবীতে ভর্তসনা ও অত্যাচারে বিপরীত অবস্থা তারা বেহেশতে লাভ করবে। সেখানে তাদেরকে আল্লাহ্র পবিত্র বাক্য ও আল্লাহ্র পথে অনুগামী করা হবে।
আয়াতঃ 022.025
যারা কুফর করে ও আল্লাহর পথে বাধা সৃষ্টি করে এবং সেই মসজিদে হারাম থেকে বাধা দেয়, যাকে আমি প্রস্তুত করেছি স্থানীয় ও বহিরাগত সকল মানুষের জন্যে সমভাবে এবং যে মসজিদে হারামে অন্যায়ভাবে কোন ধর্মদ্রোহী কাজ করার ইচছা করে, আমি তাদেরকে যন্ত্রানাদায়ক শাস্তি আস্বাদন করাব।
Verily! Those who disbelieve and hinder (men) from the Path of Allâh, and from Al-Masjid-al-Harâm (at Makkah) which We have made (open) to (all) men, the dweller in it and the visitor from the country are equal there [as regards its sanctity and pilgrimage (Hajj and ’Umrah)]. And whoever inclines to evil actions therein or to do wrong (i.e. practise polytheism and leave Islâmic Monotheism), him We shall cause to taste a painful torment.
إِنَّ الَّذِينَ كَفَرُوا وَيَصُدُّونَ عَن سَبِيلِ اللَّهِ وَالْمَسْجِدِ الْحَرَامِ الَّذِي جَعَلْنَاهُ لِلنَّاسِ سَوَاء الْعَاكِفُ فِيهِ وَالْبَادِ وَمَن يُرِدْ فِيهِ بِإِلْحَادٍ بِظُلْمٍ نُذِقْهُ مِنْ عَذَابٍ أَلِيمٍ
Inna allatheena kafaroo wayasuddoona AAan sabeeli Allahi waalmasjidi alharami allathee jaAAalnahu lilnnasi sawaan alAAakifu feehi waalbadi waman yurid feehi bi-ilhadin bithulmin nuthiqhu min AAathabin aleemin
YUSUFALI: As to those who have rejected (Allah), and would keep back (men) from the Way of Allah, and from the Sacred Mosque, which We have made (open) to (all) men – equal is the dweller there and the visitor from the country – and any whose purpose therein is profanity or wrong-doing – them will We cause to taste of a most Grievous Penalty.
PICKTHAL: Lo! those who disbelieve and bar (men) from the way of Allah and from the Inviolable Place of Worship, which We have appointed for mankind together, the dweller therein and the nomad: whosoever seeketh wrongful partiality therein, him We shall cause to taste a painful doom.
SHAKIR: Surely (as for) those who disbelieve, and hinder (men) from Allah’s way and from the Sacred Mosque which We have made equally for all men, (for) the dweller therein and (for) the visitor, and whoever shall incline therein to wrong unjustly, We will make him taste of a painful chastisement.
KHALIFA: Surely, those who disbelieve and repulse others from the path of GOD, and from the Sacred Masjid that we designated for all the people – be they natives or visitors – and seek to pollute it and corrupt it, we will afflict them with painful retribution.
২৫। যারা [আল্লাহকে ] প্রত্যাখান করেছে এবং [ মানুষকে] আল্লাহ্র পথ থেকে এবং পবিত্র মসজিদ হতে নিবৃত্ত করে, যা আমি স্থানীয় ও বহিরাগত [ সকল ] মানুষের জন্য [মুক্ত এবং ] সমান করেছি এবং যাদের উদ্দেশ্য হবে সেখানে অশ্রদ্ধা দেখানো ও পাপ কাজ করা ২৭৯৬, তাদের আমি ভয়াবহ শাস্তির স্বাদ আস্বাদন করাবো।
২৭৯৬। এই আয়াতে বর্ণনা করা হয়েছে মক্কার মোশরেক আরবদের কথা যারা হিজরতের পূর্বে ও পরে মুসলমানদের অত্যাচার ও নির্যাতন করেছিলো।
আয়াতঃ 022.026
যখন আমি ইব্রাহীমকে বায়তুল্লাহর স্থান ঠিক করে দিয়েছিলাম যে, আমার সাথে কাউকে শরীক করো না এবং আমার গৃহকে পবিত্র রাখ তাওয়াফকারীদের জন্যে, নামাযে দন্ডায়মানদের জন্যে এবং রকু সেজদাকারীদের জন্যে।
And (remember) when We showed Ibrâhim (Abraham) the site of the (Sacred) House (the Ka’bah at Makkah) (saying): ”Associate not anything (in worship) with Me, [Lâ ilâha ill-Allâh (none has the right to be worshipped but Allâh Islâmic Monotheism], and sanctify My House for those who circumambulate it, and those who stand up for prayer, and those who bow (submit themselves with humility and obedience to Allâh), and make prostration (in prayer, etc.);”
وَإِذْ بَوَّأْنَا لِإِبْرَاهِيمَ مَكَانَ الْبَيْتِ أَن لَّا تُشْرِكْ بِي شَيْئًا وَطَهِّرْ بَيْتِيَ لِلطَّائِفِينَ وَالْقَائِمِينَ وَالرُّكَّعِ السُّجُودِ
Wa-ith bawwa/na li-ibraheema makana albayti an la tushrik bee shay-an watahhir baytiya liltta-ifeena waalqa-imeena waalrrukkaAAi alssujoodi
YUSUFALI: Behold! We gave the site, to Abraham, of the (Sacred) House, (saying): “Associate not anything (in worship) with Me; and sanctify My House for those who compass it round, or stand up, or bow, or prostrate themselves (therein in prayer).
PICKTHAL: And (remember) when We prepared for Abraham the place of the (holy) House, saying: Ascribe thou no thing as partner unto Me, and purify My House for those who make the round (thereof) and those who stand and those who bow and make prostration.
SHAKIR: And when We assigned to Ibrahim the place of the House, saying: Do not associate with Me aught, and purify My House for those who make the circuit and stand to pray and bow and prostrate themselves.
KHALIFA: We appointed Abraham to establish the Shrine: “You shall not idolize any other god beside Me, and purify My shrine for those who visit it, those who live near it, and those who bow and prostrate.
রুকু – ৪
২৬। স্মরণ কর ! আমি ইব্রাহীমকে [ পবিত্র ] গৃহের স্থান নির্ধারিত করে দিয়েছিলাম ২৭৯৭, [ বলেছিলাম ] ” আমার সাথে [ এবাদতে ] অন্য কাউকে শরীক করো না। এবং আমার গৃহকে পবিত্র রেখো তাদের জন্য যারা তা তাওয়াফ করে অথবা সালাতে দাঁড়ায় , অথবা রুকু অথবা সেজ্দা করে [ প্রার্থনায় রত থাকা অবস্থায় ]।
২৭৯৭। কাবা ঘর প্রতিষ্ঠার জন্য আল্লাহ্ হযরত ইব্রাহীমকে [ ও তার পুত্র ইসমাঈলকে ] মক্কাতে স্থান নির্ধারণ করে দেন। কাবা ঘর হবে একমাত্র আল্লাহ্র এবাদতের স্থান যা মূর্তি পূজা থেকে পবিত্র রাখার হুকুম করা হয়েছে। এই স্থান হবে বিশ্বমানবতার মিলন কেন্দ্র ” যাহা আমি করেছি স্থানীয় ও বহিরাগত সকলের জন্য সমান।” কাবায় প্রবেশের একটাই মানদণ্ড তা হচ্ছে ” যারা তাওয়াফ করে এবং যারা দাঁড়ায় রুকু করে ও সিজ্দা করে।” অর্থাৎ এই বিশ্ব মানবতার সঙ্গম স্থলে ছোট- বড় , ধনী – গরীর , বংশমর্যদা বা গোষ্ঠি পরিচয় সবই মূল্যহীন। শুধুমাত্র এক আল্লাহ্র প্রতি আনুগত্যই হবে তাদের একমাত্র পরিচয়।
আয়াতঃ 022.027
এবং মানুষের মধ্যে হজ্বের জন্যে ঘোষণা প্রচার কর। তারা তোমার কাছে আসবে পায়ে হেঁটে এবং সর্বপ্রকার কৃশকায় উটের পিঠে সওয়ার হয়ে দূর-দূরান্ত থেকে।
And proclaim to mankind the Hajj (pilgrimage). They will come to you on foot and on every lean camel, they will come from every deep and distant (wide) mountain highway (to perform Hajj).
وَأَذِّن فِي النَّاسِ بِالْحَجِّ يَأْتُوكَ رِجَالًا وَعَلَى كُلِّ ضَامِرٍ يَأْتِينَ مِن كُلِّ فَجٍّ عَمِيقٍ
Waaththin fee alnnasi bialhajji ya/tooka rijalan waAAala kulli damirin ya/teena min kulli fajjin AAameeqin
YUSUFALI: “And proclaim the Pilgrimage among men: they will come to thee on foot and (mounted) on every kind of camel, lean on account of journeys through deep and distant mountain highways;
PICKTHAL: And proclaim unto mankind the pilgrimage. They will come unto thee on foot and on every lean camel; they will come from every deep ravine,
SHAKIR: And proclaim among men the Pilgrimage: they will come to you on foot and on every lean camel, coming from every remote path,
KHALIFA: “And proclaim that the people shall observe Hajj pilgrimage. They will come to you walking or riding on various exhausted (means of transportation). They will come from the farthest locations.”
২৭। ” মানুষের মাঝে ঘোষণা করে দাও। তারা তোমার নিকট আসবে পদব্রজে , এবং সকল প্রকার উটের [পিঠে ] যেগুলি দূর -দূরান্তর উপত্যকা পথ অতিক্রম করার ফলে শীর্ণকায় ২৭৯৯,-
২৭৯৯। হজ্জ্বের ঘোষণার পরে দূরের এবং কাছের সকলেই হজ্জ্বের জন্য সমবেত হবে। যারা কাছের তারা পদব্রজে, যারা দূরের তারা উটের পিঠে [ অর্থাৎ যানবাহনে ] গমন করে হজ্জ্বের জন্য সমবেত হবে। ” দূর- দূরান্তর পথ অতিক্রম করার ফলে শীর্ণকায়।” অর্থাৎ দূরের পথ অতিক্রমের ফলে উটেরা হয়ে পড়বে শীর্ণ। কিন্তু বিনিময়ে উটের আরোহীরা পাবে আত্মিক নেয়মাত যার বর্ণনা আছে পরবর্তী আয়াতে।
আয়াতঃ 022.028
যাতে তারা তাদের কল্যাণের স্থান পর্যন্ত পৌছে এবং নির্দিষ্ট দিনগুলোতে আল্লাহর নাম স্মরণ করে তাঁর দেয়া চতুস্পদ জন্তু যবেহ করার সময়। অতঃপর তোমরা তা থেকে আহার কর এবং দুঃস্থ-অভাবগ্রস্থকে আহার করাও।
That they may witness things that are of benefit to them (i.e. reward of Hajj in the Hereafter, and also some worldly gain from trade, etc.), and mention the Name of Allâh on appointed days (i.e. 10th, 11th, 12th, and 13th day of Dhul-Hijjâh), over the beast of cattle that He has provided for them (for sacrifice) (at the time of their slaughtering by saying: Bismillah, Wallâhu-Akbar, Allâhumma Minka wa Ilaik). Then eat thereof and feed therewith the poor who have a very hard time.
لِيَشْهَدُوا مَنَافِعَ لَهُمْ وَيَذْكُرُوا اسْمَ اللَّهِ فِي أَيَّامٍ مَّعْلُومَاتٍ عَلَى مَا رَزَقَهُم مِّن بَهِيمَةِ الْأَنْعَامِ فَكُلُوا مِنْهَا وَأَطْعِمُوا الْبَائِسَ الْفَقِيرَ
Liyashhadoo manafiAAa lahum wayathkuroo isma Allahi fee ayyamin maAAloomatin AAala ma razaqahum min baheemati al-anAAami fakuloo minha waatAAimoo alba-isa alfaqeera
YUSUFALI: “That they may witness the benefits (provided) for them, and celebrate the name of Allah, through the Days appointed, over the cattle which He has provided for them (for sacrifice): then eat ye thereof and feed the distressed ones in want.
PICKTHAL: That they may witness things that are of benefit to them, and mention the name of Allah on appointed days over the beast of cattle that He hath bestowed upon them. Then eat thereof and feed therewith the poor unfortunate.
SHAKIR: That they may witness advantages for them and mention the name of Allah during stated days over what He has given them of the cattle quadrupeds, then eat of them and feed the distressed one, the needy.
KHALIFA: They may seek commercial benefits, and they shall commemorate GOD’s name during the specified days for providing them with livestock. “Eat therefrom and feed the despondent and the poor.”
২৮। “যেনো তারা তাদের জন্য [ নির্ধারিত ] কল্যাণসমূহ প্রত্যক্ষ করতে পারে২৮০০ , এবং তিনি তাদের [উৎসর্গের জন্য ] যে সব চতুষ্পদ জন্তু দিয়েছেন সেগুলির উপরে তারা যেনো, নির্ধারিত দিনসমূহে আল্লাহ্র নাম উচ্চারণ করতে পারে। অতঃপর তোমরা উহা থেকে আহার কর এবং দুস্থ , অভাবগ্রস্থকে আহার করাও ২৮০১, ২৮০২।
২৮০০। হজ্জ্বের মাধ্যমে আমাদের ইহলৌকিক ও পরলৌকিক উভয় দিক সমৃদ্ধ হয়। কাবা ঘরকে আল্লাহ্ বিশ্ব মানবের মিলনকেন্দ্র রূপে ঘোষণা করেন। পৃথিবীর সমস্ত দেশ থেকে মুসলিমরা এখানে হজ্জ্বের সময়ে সমবেত হয়। হজ্জ্ব পৃথিবীর এক অন্যন্য দৃশ্যের অবতারণা করে। ভাষা, কৃষ্টি, ঐতিহ্য, দেশ , প্রকৃতি, পরিবেশ সব কিছুর বিভিন্নতা সত্বেও সকলেই এখানে একই উদ্দেশ্যের প্রতি নিবেদিত থাকে। ফলে বিভিন্নতা সত্বেও সকলেই এক মুসলিম ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে একসূত্রে গ্রথিত থাকে। বৃহত্তর মানব বন্ধন ও ভ্রাতৃত্বের সূচনা হয়। বর্তমানকালে এত বড় মানব সমাবেশ পৃথিবীতে আর কোথাও হয় না। হজ্জ্বের সমাবেশের ফলে পৃথিবীর এক প্রান্তের লোক অন্য প্রান্তের লোকদের সাথে মোলাকাতের সুযোগ লাভ করে। ফলে ভাবের আদান প্রদান , জ্ঞানের আদান প্রদান, শিল্প সংস্কৃতির আদান প্রদান ঘটে। ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার লাভ ঘটে। এ সবই হলো জাগতিক লাভ। অপরপক্ষে এই সেই স্থান যেখানে আমরা বহু ওলী ও আওলিয়ার সংস্পর্শে আসার সুযোগ লাভ করি, এই সেই স্থান যা প্রাচীন যুগ থেকে বহু নবী রাসুলের পদধূলিতে ধন্য। এখানেই আমরা সুযোগ পাই পৃথিবীর প্রতিদিনের জীবনের ক্লেদমুক্ত হয়ে নিজেকে আধ্যাত্মিক উন্নতির পথে পরিচালিত করতে। এই সেই স্থান যেখানে তীর্থ যাত্রীরা ইহলৌকিক ও পারলৌকিক উভয় দিক সমৃদ্ধশালী করার সুযোগ লাভ করে।
২৮০১। হজ্জ্বের ” নির্দ্দিষ্ঠ দিনগুলি ” হচ্ছে ৮ই, ৯ই এবং ১০ই জ্বিলহজ্জ্ব এবং পরবর্তী ২/৩ দিন “Tashriq” বা হজ্জ্বের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রমের জন্য। দেখুন হজ্জ্বের ধর্মীয় অনুষ্ঠানের জন্য টিকা ২১৭ এবং আয়াত [ ২ : ১৯৭ ]। তবে সাধারণতঃ জ্বিলহজ্জ্ব মাসের প্রথম দশ দিনকেই হজ্জ্বের সময় বলে গণ্য করা হয়।
২৮০২। ১০ই জ্বিলহজ্জ্ব হচ্ছে কোরবাণীর দিন যা হজ্জ্বের এক প্রধান ধর্মীয় অনুষ্ঠান যা আমাদের এক সর্বশ্রেষ্ঠ ও মহত্তম আত্মত্যাগকে স্মরণ করিয়ে দেয়। হজ্জ্বের ময়দানে যে চতুষ্পদ পশুকে কোরবাণী দেয়া হয় তা নিজে আহার করা এবং অভাবগ্রস্থকে আহার করানোর জন্য বলা হয়েছে।
আয়াতঃ 022.029
এরপর তারা যেন দৈহিক ময়লা দূর করে দেয়, তাদের মানত পূর্ণ করে এবং এই সুসংরক্ষিত গৃহের তাওয়াফ করে।
Then let them complete the prescribed duties (Manâsik of Hajj) for them, and perform their vows, and circumambulate the Ancient House (the Ka’bah at Makkah).
ثُمَّ لْيَقْضُوا تَفَثَهُمْ وَلْيُوفُوا نُذُورَهُمْ وَلْيَطَّوَّفُوا بِالْبَيْتِ الْعَتِيقِ
Thumma lyaqdoo tafathahum walyoofoo nuthoorahum walyattawwafoo bialbayti alAAateeqi
YUSUFALI: “Then let them complete the rites prescribed for them, perform their vows, and (again) circumambulate the Ancient House.”
PICKTHAL: Then let them make an end of their unkemptness and pay their vows and go around the ancient House.
SHAKIR: Then let them accomplish their needful acts of shaving and cleansing, and let them fulfil their vows and let them go round the Ancient House.
KHALIFA: They shall complete their obligations, fulfill their vows, and visit the ancient shrine.
২৯। অতঃপর তারা যেনো তাদের নির্দ্দেশিত আনুষ্ঠানিকতা সম্পূর্ণ করে ২৮০৩। তাদের মানত পূর্ণ করে ২৮০৪, এবং [পুনরায় ] প্রাচীন গৃহের তাওয়াফ করে।
২৮০৩। “Tafath” অর্থ অপরিচ্ছন্নতা যা শরীরের অতিরিক্ত জিনিষ যা বর্দ্ধিত হয়। যেমন নখ, চুল ইত্যাদি যা এহ্রাম থাকা অবস্থায় দূর করা নিষিদ্ধ। এ সব কর্তন করা চলে জ্বিল হজ্জ্ব মাসের দশম দিনে যখন হজ্জ্বের পুরো আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়ে যাবে।
২৮০৪। ” প্রাচীন গৃহ ” অর্থাৎ কাবা শরীফ। হজ্জ্বের শেষ আনুষ্ঠানিকতা হচ্ছে তওয়াফ করা। এর মাধ্যমেই পুরো হজ্জ্ব প্রক্রিয়া শেষ হয়। হজ্জ্ব শেষে হজ্জ্বযাত্রীরা পবিত্র দেহ মন নিয়ে ঘরে ফিরে যাবে। তাদের মনে এই প্রতিজ্ঞা নিয়ে ঘরে ফেরা উচিত যেনো হজ্জ্বের মাধ্যমে তারা যে পবিত্রতা অর্জন করলো, তা যেনো তারা পরবর্তী জীবনে রক্ষা করতে পারে। আল্লাহ্র রাস্তায় সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষে করা হয় বিদায়ী তওয়াফ।
আয়াতঃ 022.030
এটা শ্রবণযোগ্য। আর কেউ আল্লাহর সম্মানযোগ্য বিধানাবলীর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করলে পালনকর্তার নিকট তা তার জন্যে উত্তম। উল্লেখিত ব্যতিক্রমগুলো ছাড়া তোমাদের জন্যে চতুস্পদ জন্তু হালাল করা হয়েছে। সুতরাং তোমরা মূর্তিদের অপবিত্রতা থেকে বেঁচে থাক এবং মিথ্যা কথন থেকে দূরে সরে থাক;
That (Manâsik prescribed duties of Hajj is the obligation that mankind owes to Allâh), and whoever honours the sacred things of Allâh, then that is better for him with his Lord. The cattle are lawful to you, except those (that will be) mentioned to you (as exceptions). So shun the abomination (worshipping) of idol, and shun lying speech (false statements)
ذَلِكَ وَمَن يُعَظِّمْ حُرُمَاتِ اللَّهِ فَهُوَ خَيْرٌ لَّهُ عِندَ رَبِّهِ وَأُحِلَّتْ لَكُمُ الْأَنْعَامُ إِلَّا مَا يُتْلَى عَلَيْكُمْ فَاجْتَنِبُوا الرِّجْسَ مِنَ الْأَوْثَانِ وَاجْتَنِبُوا قَوْلَ الزُّورِ
Thalika waman yuAAaththim hurumati Allahi fahuwa khayrun lahu AAinda rabbihi waohillat lakumu al-anAAamu illa ma yutla AAalaykum faijtaniboo alrrijsa mina al-awthani waijtaniboo qawla alzzoori
YUSUFALI: Such (is the Pilgrimage): whoever honours the sacred rites of Allah, for him it is good in the Sight of his Lord. Lawful to you (for food in Pilgrimage) are cattle, except those mentioned to you (as exception): but shun the abomination of idols, and shun the word that is false,-
PICKTHAL: That (is the command). And whoso magnifieth the sacred things of Allah, it will be well for him in the sight of his Lord. The cattle are lawful unto you save that which hath been told you. So shun the filth of idols, and shun lying speech,
SHAKIR: That (shall be so); and whoever respects the sacred ordinances of Allah, it is better for him with his Lord; and the cattle are made lawful for you, except that which is recited to you, therefore avoid the uncleanness of the idols and avoid false words,
KHALIFA: Those who reverence the rites decreed by GOD have deserved a good reward at their Lord. All livestock is made lawful for your food, except for those specifically prohibited for you. You shall avoid the abomination of idol worship, and avoid bearing false witness.
৩০। এই হচ্ছে [ হজ্জ্বের বিধান ] : যে আল্লাহ্ কর্তৃক নির্ধারিত পবিত্র আনুষ্ঠানিকতার সম্মান করে, সে তার প্রভুর চোখে উত্তম। যার উল্লেখ পূর্বে করা হয়েছে সেগুলি ব্যতীত [ হজ্জ্বের সময়ে খাদ্য হিসেবে ] চতুষ্পদ জন্তু হালাল করা হয়েছে ২৮০৫। সুতারাং মূর্তি পূঁজার অপবিত্রতা থেকে দূরে থাক এবং পরিহার কর মিথ্যা কথন ,-
২৮০৫। খাদ্যের হালাল ও হারাম সম্বন্ধে আছে আয়াত [ ২ : ১৭৩ ] এবং [ ৬ : ১১, ১৩৮ -১৪৬ ]। হালাল পশুর মাংস , শরীর এবং আত্মা উভয় ক্ষেত্রেই উপকারী। আত্মার পরিচ্ছন্নতা ও আত্মিক অগ্রগতির সমৃদ্ধির জন্য হালাল রুজী অপরিহার্য। কিন্তু কঠিন সর্তক বাণী উচ্চারণ করা হয়েছে মূর্তিপূঁজার বিরুদ্ধে এবং মিথ্যা কথনের বিরুদ্ধে। মিথ্যা কথন আত্মাকে ক্ষয় করে, আত্মাকে ধ্বংস করে ঠিক যে ভাবে অম্ল ধাতুকে ক্ষয় করে। মুর্তিপূজা আত্মাকে করে অপবিত্র, মিথ্যা কথন আত্মাকে করে ধ্বংস। যা কিছু সত্যের পরিপন্থি তাই বাতিল ও মিথ্যাভুক্ত। রসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন, আল্লাহ্র সাথে কাউকে শরীক করা, পিতামাতার অবাধ্যতা করা, মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়া এবং সাধারণ কথাবার্তায় মিথ্যা বলা সবচেয়ে বড় পাপ। তিনি শেষোক্ত শব্দ বার বার উচ্চারণ করেন। [ বোখারী ]
মন্তব্য : বাংলাদেশীরা জীবনের প্রতি মুহুর্তে মিথ্যাশ্রয়ী – আর সে কারণেই তাদের এত দুর্ভোগ জাতীয় জীবনে।
আয়াতঃ 022.031
আল্লাহর দিকে একনিষ্ট হয়ে, তাঁর সাথে শরীক না করে; এবং যে কেউ আল্লাহর সাথে শরীক করল; সে যেন আকাশ থেকে ছিটকে পড়ল, অতঃপর মৃতভোজী পাখী তাকে ছোঁ মেরে নিয়ে গেল অথবা বাতাস তাকে উড়িয়ে নিয়ে কোন দূরবর্তী স্থানে নিক্ষেপ করল।
Hunafâ’ Lillâh (i.e. to worship none but Allâh), not associating partners (in worship, etc.) unto Him and whoever assigns partners to Allâh, it is as if he had fallen from the sky, and the birds had snatched him, or the wind had thrown him to a far off place.
حُنَفَاء لِلَّهِ غَيْرَ مُشْرِكِينَ بِهِ وَمَن يُشْرِكْ بِاللَّهِ فَكَأَنَّمَا خَرَّ مِنَ السَّمَاء فَتَخْطَفُهُ الطَّيْرُ أَوْ تَهْوِي بِهِ الرِّيحُ فِي مَكَانٍ سَحِيقٍ
Hunafaa lillahi ghayra mushrikeena bihi waman yushrik biAllahi fakaannama kharra mina alssama-i fatakhtafuhu alttayru aw tahwee bihi alrreehu fee makanin saheeqin
YUSUFALI: Being true in faith to Allah, and never assigning partners to Him: if anyone assigns partners to Allah, is as if he had fallen from heaven and been snatched up by birds, or the wind had swooped (like a bird on its prey) and thrown him into a far-distant place.
PICKTHAL: Turning unto Allah (only), not ascribing partners unto Him; for whoso ascribeth partners unto Allah, it is as if he had fallen from the sky and the birds had snatched him or the wind had blown him to a far-off place.
SHAKIR: Being upright for Allah, not associating aught with Him and whoever associates (others) with Allah, it is as though he had fallen from on high, then the birds snatch him away or the wind carries him off to a far-distant place.
KHALIFA: You shall maintain your devotion absolutely to GOD alone. Anyone who sets up any idol beside GOD is like one who fell from the sky, then gets snatched up by vultures, or blown away by the wind into a deep ravine.
৩১। আল্লাহ্র প্রতি বিশ্বাসে একনিষ্ঠ হয়ে , এবং তাঁর সাথে কোন অংশীদার না করে। কেউ যদি আল্লাহ্র সাথে অংশীদার করে তবে সে যেনো আকাশ থেকে পড়ে গেল, এবং পাখীরা তাকে ছোঁ মেরে নিয়ে গেল, কিংবা বাতাস তাকে [ পাখীর মত ছোঁ মেরে ] উড়িয়ে নিয়ে দূরে নিক্ষেপ করলো ২৮০৬।
২৮০৬। এই আয়াতটি রূপক বর্ণনায় সমৃদ্ধ। যে একত্ববাদ থেকে বিচ্যুত হয়ে বহু উপাস্যের উপসনা করে তার উপমা হচ্ছে ঐ ব্যক্তির মত যে স্বর্গ থেকে পড়লো এবং পথিমধ্যে এক পাখী তাকে ছোঁ মেরে নিল বা বায়ু তাকে দূরবর্তী স্থানে নিক্ষেপ করলো। একত্ববাদ বা এক আল্লাহ্র উপাসনা আত্মাকে করে স্থির , অচঞ্চল, দৃঢ় একাগ্র এবং একবিন্দুতে কেন্দ্রীভূত , আত্মা তার নোঙ্গঁর খুজে পায়। অপর পক্ষে যারা বহু উপাস্যের উপাসনা করে, তারা আত্মার ভিতরে একাগ্রতা অনুভবে ব্যর্থ হবে। কারণ বহু উপাস্যের সন্তুষ্টির চিন্তায় তার একাগ্রতা , বহুধাবিভক্ত হবে ঠিক যেনো নোঙ্গঁর বিহীন নৌকা। তার অবস্থানের কোনও মজবুত ভিত্তি থাকবে না , সে ঠিক যেনো আকাশ থেকে পতিত শুন্যে অবস্থানকারী বস্তু , যাকে শূন্য থেকেই কোনও পাখী ছোঁ মেরে তুলে নেয়, পৃথিবীতে পড়ার আগেই। কারণ মিথ্যা উপাস্য আত্মাকে দৃঢ়ভাবে ধরে রাখতে অক্ষম। ঠিক যেমন পতিত বস্তু মাটির স্থায়ী আশ্রয় লাভের পূর্বেই পাখীর চঞ্চুতে আশ্রয় পায় যা আরও অস্থায়ী। অথবা বৈশাখী ঝড় যেরূপ ঝড়া পাতাকে বৃক্ষের কোল থেকে বিচ্যুত করে দূরদূরান্তে ঠিকানা বিহীনভাবে উড়িয়ে নিয়ে যায়, ঠিক সেভাবেই বহু উপাস্যের পূজারীদের আত্মা আল্লাহ্র ক্রোধের শিকার হয় এবং আল্লাহ্র ক্রোধের ঝড়ো হাওয়া তাদের শান্তি থেকে বহু দূরে নিয়ে যায় , শেষ পর্যন্ত নিক্ষেপ করে দোযখের ভয়াবহ অশান্তিতে।
আয়াতঃ 022.032
এটা শ্রবণযোগ্য কেউ আল্লাহর নামযুক্ত বস্তুসমুহের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করলে তা তো তার হৃদয়ের আল্লাহভীতি প্রসূত।
Thus it is [what has been mentioned in the above said Verses (27, 28, 29, 30, 31) is an obligation that mankind owes to Allâh]. And whosoever honours the Symbols of Allâh, then it is truly from the piety of the heart.
ذَلِكَ وَمَن يُعَظِّمْ شَعَائِرَ اللَّهِ فَإِنَّهَا مِن تَقْوَى الْقُلُوبِ
Thalika waman yuAAaththim shaAAa-ira Allahi fa-innaha min taqwa alquloobi
YUSUFALI: Such (is his state): and whoever holds in honour the symbols of Allah, (in the sacrifice of animals), such (honour) should come truly from piety of heart.
PICKTHAL: That (is the command). And whoso magnifieth the offerings consecrated to Allah, it surely is from devotion of the hearts,
SHAKIR: That (shall be so); and whoever respects the signs of Allah, this surely is (the outcome) of the piety of hearts.
KHALIFA: Indeed, those who reverence the rites decreed by GOD demonstrate the righteousness of their hearts.
৩২। এই হলো [ মোশরেকের অবস্থা ] : কেউ আল্লাহ্র নিদর্শনাবলীর সম্মান করলে সে এই [ সম্মান ] মনের পবিত্র ভাব থেকেই করে থাকে ২৮০৭।
২৮০৭। “Sha’air” অর্থ প্রতীক , চিহ্ন , কারও অধিকারে থাকার চিহ্ন যেমনঃ পতাকা ইত্যাদি। আয়াত [ ২ : ১৫৮ ] এই শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে সাফা ও মারওয়ার প্রতীক হিসেবে ; দেখুন টিকা ১৬০। এই আয়াতে শব্দটিকে ব্যবহার করা হয়েছে হজ্জ্বের আনুষ্ঠানিকতা প্রয়োগের ক্ষেত্রে। হজ্জ্বের এসব আনুষ্ঠানিকতা আত্মত্যাগের নিদর্শন স্বরূপ। এগুলি আল্লাহ্র জন্য সর্বোচ্চ মানবিক আত্মত্যাগের প্রতীক। এগুলি ‘তাকওয়া’ বা হৃদয়ের ভক্তি , ভালোবাসা, শ্রদ্ধা ও ধর্মভীরুতার পূর্ব সূচনা করে। ব্যক্তিকে আল্লাহ্র জন্য সর্বোচ্চ আত্মত্যাগে উদ্বুদ্ধ করে। দেখুন [ ২২ : ৩৭ ] আয়াত।
আয়াতঃ 022.033
চতুস্পদ জন্তুসমূহের মধ্যে তোমাদের জন্যে নির্দিষ্টকাল পর্যন্ত উপকার রয়েছে। অতঃপর এগুলোকে পৌছাতে হবে মুক্ত গৃহ পর্যন্ত।
In them (cattle offered for sacrifice) are benefits for you for an appointed term, and afterwards they are brought for sacrifice unto the ancient House (the Haram – sacred territory of Makkah city).
لَكُمْ فِيهَا مَنَافِعُ إِلَى أَجَلٍ مُّسَمًّى ثُمَّ مَحِلُّهَا إِلَى الْبَيْتِ الْعَتِيقِ
Lakum feeha manafiAAu ila ajalin musamman thumma mahilluha ila albayti alAAateeqi
YUSUFALI: In them ye have benefits for a term appointed: in the end their place of sacrifice is near the Ancient House.
PICKTHAL: Therein are benefits for you for an appointed term; and afterward they are brought for sacrifice unto the ancient House.
SHAKIR: You have advantages in them till a fixed time, then their place of sacrifice is the Ancient House.
KHALIFA: The (livestock) provide you with many benefits for a period, before being donated to the ancient shrine.
৩৩। ইহাদের [ পশুদের ] মধ্যে তোমাদের জন্য এক নির্দ্দিষ্ট সময় [ কোরবাণী ] পর্যন্ত বিবিধ সুবিধা রয়েছে। শেষ পর্যন্ত প্রাচীন ঘরের নিকটে হবে তাদের কোরবাণীর স্থান ২৮০৮, ২৮০৯।
২৮০৮। ” এই সমস্ত পশুদের ” অর্থাৎ গৃহপালিত পশু এ স্থলে কোরবাণীর জন্য যাদের আনা হয়েছিলো। এ কথা সত্য যে গৃহপালিত পশু মানুষের বহুবিধ কল্যাণ সাধন করে থাকে। যেমন : প্রাচীনকালে মরুবাসীদের জীবনে উটের প্রাধান্য অনুধাবনযোগ্য। প্রাচীনকালে মরুভূমি পারাপারের একমাত্র বাহনই ছিলো উট। মরুদেশে বাণিজ্যের প্রসারের একমাত্র বাহনই সে যুগে ছিলো উট। উটের মাংস , উটের দুধ, হচ্ছে খাদ্য , উটের চামড়া ও লোম বিভিন্ন প্রয়োজনে ব্যবহৃত হয়। ঠিক সেই ভাবে গরু, ভেড়া, ঘোড়া প্রভৃতি পশুর অবদান উল্লেখযোগ্য। কিন্তু যদি তাদের কোরবাণীর জন্য উৎসর্গ করা হয়, তবে তারা আল্লাহ্র জন্য মানুষের আত্মত্যাগের প্রতীক হয়ে যায়। কারণ কোরবাণীর মাধ্যমে তারা তাদের প্রয়োজনীয় পশুটির কোরবাণী দেয় যার মাংস সে তার গরীব ভাইদের সেবায় ব্যয় করে।
২৮০৯। “Ila” অর্থ নিকটবর্তী। কোরবাণী কাবা ঘরে দেয়া হয় না, কোরবাণী দেয়া হয় যে স্থানে হজ্জ্ব যাত্রীদের অস্থায়ী তাবু স্থাপন করা হয় তার থেকে ৫/৬ মাইল দূরে মীনাতে, দেখুন টিকা [ ২:১৭] এবং আয়াত ২:৯৭। “Thumma” অর্থাৎ অবশেষে বা শেষে। কাবা ঘরের তওয়াফ, সাফা মারওয়াতে দৌড়ানো, আরাফাতে অবস্থান ইত্যাদি হজ্জ্বের সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষ করার পরে।
আয়াতঃ 022.034
আমি প্রত্যেক উম্মতের জন্যে কোরবানী নির্ধারণ করেছি, যাতে তারা আল্লাহর দেয়া চতুস্পদ জন্তু যবেহ কারার সময় আল্লাহর নাম উচ্চারণ করে। অতএব তোমাদের আল্লাহ তো একমাত্র আল্লাহ সুতরাং তাঁরই আজ্ঞাধীন থাক এবং বিনয়ীগণকে সুসংবাদ দাও;
And for every nation We have appointed religious ceremonies, that they may mention the Name of Allâh over the beast of cattle that He has given them for food. And your Ilâh (God) is One Ilâh (God Allâh), so you must submit to Him Alone (in Islâm). And (O Muhammad SAW) give glad tidings to the Mukhbitin [those who obey Allâh with humility and are humble from among the true believers of Islâmic Monotheism],
وَلِكُلِّ أُمَّةٍ جَعَلْنَا مَنسَكًا لِيَذْكُرُوا اسْمَ اللَّهِ عَلَى مَا رَزَقَهُم مِّن بَهِيمَةِ الْأَنْعَامِ فَإِلَهُكُمْ إِلَهٌ وَاحِدٌ فَلَهُ أَسْلِمُوا وَبَشِّرِ الْمُخْبِتِينَ
Walikulli ommatin jaAAalna mansakan liyathkuroo isma Allahi AAala ma razaqahum min baheemati al-anAAami fa-ilahukum ilahun wahidun falahu aslimoo wabashshiri almukhbiteena
YUSUFALI: To every people did We appoint rites (of sacrifice), that they might celebrate the name of Allah over the sustenance He gave them from animals (fit for food). But your god is One God: submit then your wills to Him (in Islam): and give thou the good news to those who humble themselves,-
PICKTHAL: And for every nation have We appointed a ritual, that they may mention the name of Allah over the beast of cattle that He hath given them for food; and your god is One God, therefor surrender unto Him. And give good tidings (O Muhammad) to the humble,
SHAKIR: And to every nation We appointed acts of devotion that they may mention the name of Allah on what He has given them of the cattle quadrupeds; so your god is One God, therefore to Him should you submit, and give good news to the humble,
KHALIFA: For each congregation we have decreed rites whereby they commemorate the name of GOD for providing them with the livestock. Your god is one and the same god; you shall all submit to Him. Give good news to the obedient.
রুকু – ৫
৩৪। আমি প্রত্যেক সম্প্রদায়ের জন্য [ কুরবাণীর ] নিয়ম নির্দ্দিষ্ট করেছি। তাদের জীবনোপকরণ স্বরূপ [খাদ্যপোযোগী ] যে সকল পশু দিয়েছি তারা যেনো তাদের উপর আল্লাহ্র নাম উচ্চারণ করতে পারে ২৮১০। কেননা তোমাদের উপাস্য একমাত্র আল্লাহ্, অতএব তোমরা তার [ ইচ্ছার ] নিকট আত্ম সমর্পন কর। এবং [ হে মুহম্মদ ] সুসংবাদ দাও বিণীতগণকে ২৮১১-
২৮১০। কোরবাণীর মাধ্যমে আল্লাহ্র প্রতি সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের সর্বশেষ নিদর্শন প্রদর্শন করা হয়। এই আয়াতের অর্থ এই যে, এই উম্মতকে কোরবাণীর যে আদেশ দেয়া হয়েছে তা কোন নূতন আদেশ নয়। পূর্ববর্তী উম্মতদেরও কোরবাণীর আদেশ দেয়া হয়েছিলো। এই কোরবাণী হতে হবে শুধু মাত্র এক আল্লাহ্র সন্তুষ্টির জন্য। কোরবাণীর পশুর রক্ত মাংস কিছুই আল্লাহ্র কাম্য নয়। বান্দার একাগ্রতা ও নিজেকে উৎসর্গ করার মানসিকতা হচ্ছে কোরবাণীর প্রতীক যা পশু কোরবাণী ও তার মাংস গরীবদের সাথে অংশগ্রহণের মাধ্যমে উদ্যাপন করা হয়। কোরবাণীর পশুর উপরে আল্লাহ্র নাম উচ্চারণ করা হজ্জ্বের আনুষ্ঠানিকতার এক প্রধান অংশ।
২৮১১। “সুসংবাদ দাও ” তাদের জন্যই সুসংবাদ যারা বিনয়ী। দম্ভ বা অহংকার যাদের উদ্ধত ও অত্যাচারী করে তোলে নাই। যারা জাগতিক অর্থ সম্পদ ক্ষমতা সব কিছুর জন্য সর্বশক্তিমানের কাছে কৃতজ্ঞ এবং আল্লাহ্ সন্তুষ্টি লাভের জন্য গরীব ও নির্যাতিতের সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করে, যারা সুখে – দুঃখে স্বাচ্ছন্দে ও অভাব অনটনে আল্লাহ্র কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে এবং সন্তুষ্ট থাকে তারাই বিণীত।
উপদেশ : বিনয় এমন একটা গুণ যা আল্লাহ্র নিকট অত্যন্ত প্রিয়। মোমেন বান্দার চরিত্রে এই গুণটির প্রকাশ ঘটবে।
আয়াতঃ 022.035
যাদের অন্তর আল্লাহর নাম স্মরণ করা হলে ভীত হয় এবং যারা তাদের বিপদাপদে ধৈর্য্যধারণ করে এবং যারা নামায কায়েম করে ও আমি যা দিয়েছি, তা থেকে ব্যয় করে।
Whose hearts are filled with fear when Allâh is mentioned; who patiently bear whatever may befall them (of calamities); and who perform AsSalât (Iqâmat-as-Salât), and who spend (in Allâh’s Cause) out of what We have provided them.
الَّذِينَ إِذَا ذُكِرَ اللَّهُ وَجِلَتْ قُلُوبُهُمْ وَالصَّابِرِينَ عَلَى مَا أَصَابَهُمْ وَالْمُقِيمِي الصَّلَاةِ وَمِمَّا رَزَقْنَاهُمْ يُنفِقُونَ
Allatheena itha thukira Allahu wajilat quloobuhum waalssabireena AAala ma asabahum waalmuqeemee alssalati wamimma razaqnahum yunfiqoona
YUSUFALI: To those whose hearts when Allah is mentioned, are filled with fear, who show patient perseverance over their afflictions, keep up regular prayer, and spend (in charity) out of what We have bestowed upon them.
PICKTHAL: Whose hearts fear when Allah is mentioned, and the patient of whatever may befall them, and those who establish worship and who spend of that We have bestowed on them.
SHAKIR: (To) those whose hearts tremble when Allah is mentioned, and those who are patient under that which afflicts them, and those who keep up prayer, and spend (benevolently) out of what We have given them.
KHALIFA: They are the ones whose hearts tremble upon mentioning GOD, they steadfastly persevere during adversity, they observe the Contact Prayers (Salat), and from our provisions to them, they give to charity.
৩৫। তাদেরকে যাদের হৃদয়, আল্লাহ্র উল্লেখে ভয়ে ভীত হয়, যারা বিপদ বিপর্যয়কালে ধৈর্যশীল ও অধ্যাবসায়ী হয়, নিয়মিত সালাত কায়েম করে, এবং আমি তাদের যা দান করেছি তা থেকে [ দানে ] ব্যয় করে ২৮১২।
২৮১২। মুত্তাকী বা খোদাভীরুদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যবলী এই আয়াতগুলিতে বর্ণনা করা হয়েছে। ক্রম অনুযায়ী তা নিম্নরূপ : ১) বিনয় হবে তাদের চরিত্রের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। আল্লাহ্র ক্ষমতার কাছে নিজের ক্ষুদ্রতা ও তুচ্ছতা অনুধাবনের মাধ্যমেই জন্ম নেয় আল্লাহ্র প্রতি আনুগত্য, বিনয়, ও আত্মসমর্পনের মানসিকতা। ফলে আল্লাহ্র হেদায়েত বিনয়ী ব্যক্তির মনে রেখাপাত করে; আল্লাহ্র হেদায়েত গ্রহণের যোগ্যতা অর্জন করে। এক কথায় বিনয়ী ব্যক্তিকে আল্লাহ্ হেদায়েত করেন। ২) আল্লাহ্ ভীতি তাদের হৃদয়কে কম্পিত করে। এই আল্লাহ্ ভীতি তীব্র ভালোবাসারই আর এক [ দেখুন টিকা ২৬ ] প্রকাশ। প্রিয়জনকে অসন্তুষ্ট করার ভয় ও ব্যথা এই হচ্ছে তার ‘তাকওয়া’ বা আল্লাহ্ ভীতির মূল উৎস। আল্লাহ্র প্রতি এই ভালোবাসার তীব্রতার ফল্গুধারা তাদের অন্তরের অন্তঃস্থলে স্বতঃ প্রবাহিত। ৩) তারা পার্থিব কোনও বিপদ-আপদে ভীত হয় না, বরং ধৈর্য্য এবং অধ্যাবসায়ের ও সালাতের মাধ্যমে আল্লাহ্র অনুগ্রহের প্রত্যাশা করে। তারা বিপদ -বিপর্যয়কে আল্লাহ্র পরীক্ষা বলে জানে , এবং ধৈর্যের সাথে দৃঢ় পদক্ষেপে বিপদের ঝঞ্ঝা বিক্ষুব্ধ পথ আল্লাহ্র উপরে নির্ভর করে অতিক্রম করার প্রয়াস পায়। ৪) ফলে এসব বিপদ বিপর্যয়ের মাঝে এ সব পূণ্যাত্মাদের যে প্রার্থনা তা শুধুমাত্র কোনও আনুষ্ঠানিকতায় পর্যবসিত থাকে না। তাদের প্রার্থনা বা সালাত উৎসরিত হয় অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে। তাদের অন্তরের আকুতি থাকে এক আল্লাহ্র উদ্দেশ্যে নিবেদিত। আল্লাহ্র করুণার সাথে তাদের সরাসরি যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা পায়, ফলে তাদের আত্মবিশ্বাস এবং বন্ধুর পথ চলার শক্তি উদ্দীপ্ত হয় ঠিক সেই ভাবে যে ভাবে একজন প্রভুভক্ত ভৃত্য তার দয়ালু ও অনুভূতিশীল মনিবের উপস্থিতিতে উদ্দীপ্ত হয়ে ওঠে। ৫) তাঁরা শোকর করেন আল্লাহ্ তাদের যে নেয়ামত দান করেছেন তার জন্য। কৃতজ্ঞতার এই প্রকাশ প্রতিদিনের জীবনে আল্লাহ্র সৃষ্টির সেবায় দানের মাধ্যমে এই কৃতজ্ঞতার প্রকাশ ঘটানো। অভাবগ্রস্থদের মাঝে দান করা আল্লাহ্র প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানোর শ্রেষ্ঠ ভাষা।
আয়াতঃ 022.036
এবং কা’বার জন্যে উৎসর্গীকৃত উটকে আমি তোমাদের জন্যে আল্লাহর অন্যতম নিদর্শন করেছি। এতে তোমাদের জন্যে মঙ্গল রয়েছে। সুতরাং সারিবদ্ধভাবে বাঁধা অবস্থায় তাদের যবেহ করার সময় তোমরা আল্লাহর নাম উচ্চারণ কর। অতঃপর যখন তারা কাত হয়ে পড়ে যায় তখন তা থেকে তোমরা আহার কর এবং আহার করাও যে কিছু যাচ্ঞা করে না তাকে এবং যে যাচ্ঞা করে তাকে। এমনিভাবে আমি এগুলোকে তোমাদের বশীভূত করে দিয়েছি, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর।
And the Budn (cows, oxen, or camels driven to be offered as sacrifices by the pilgrims at the sanctuary of Makkah.) We have made for you as among the Symbols of Allâh, therein you have much good. So mention the Name of Allâh over them when they are drawn up in lines (for sacrifice). Then, when they are down on their sides (after slaughter), eat thereof, and feed the beggar who does not ask (men), and the beggar who asks (men). Thus have We made them subject to you that you may be grateful.
وَالْبُدْنَ جَعَلْنَاهَا لَكُم مِّن شَعَائِرِ اللَّهِ لَكُمْ فِيهَا خَيْرٌ فَاذْكُرُوا اسْمَ اللَّهِ عَلَيْهَا صَوَافَّ فَإِذَا وَجَبَتْ جُنُوبُهَا فَكُلُوا مِنْهَا وَأَطْعِمُوا الْقَانِعَ وَالْمُعْتَرَّ كَذَلِكَ سَخَّرْنَاهَا لَكُمْ لَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ
Waalbudna jaAAalnaha lakum min shaAAa-iri Allahi lakum feeha khayrun faothkuroo isma Allahi AAalayha sawaffa fa-itha wajabat junoobuha fakuloo minha waatAAimoo alqaniAAa waalmuAAtarra kathalika sakhkharnaha lakum laAAallakum tashkuroona
YUSUFALI: The sacrificial camels we have made for you as among the symbols from Allah: in them is (much) good for you: then pronounce the name of Allah over them as they line up (for sacrifice): when they are down on their sides (after slaughter), eat ye thereof, and feed such as (beg not but) live in contentment, and such as beg with due humility: thus have We made animals subject to you, that ye may be grateful.
PICKTHAL: And the camels! We have appointed them among the ceremonies of Allah. Therein ye have much good. So mention the name of Allah over them when they are drawn up in lines. Then when their flanks fall (dead), eat thereof and feed the beggar and the suppliant. Thus have We made them subject unto you, that haply ye may give thanks.
SHAKIR: And (as for) the camels, We have made them of the signs of the religion of Allah for you; for you therein is much good; therefore mention the name of Allah on them as they stand in a row, then when they fall down eat of them and feed the poor man who is contented and the beggar; thus have We made them subservient to you, that you may be grateful.
KHALIFA: The animal offerings are among the rites decreed by GOD for your own good. You shall mention GOD’s name on them while they are standing in line. Once they are offered for sacrifice, you shall eat therefrom and feed the poor and the needy. This is why we subdued them for you, that you may show your appreciation.
৩৬। কোরবাণীর উটগুলিকে আমি তোমাদের জন্য আল্লাহ্র নিদর্শনসমূহের অন্যতম করেছি। তাদের মধ্যে তোমাদের জন্য কল্যাণ রয়েছে। যখন তারা [ কোরবাণীর জন্য ] সারিবদ্ধভাবে দাঁড়ায় তাদের উপরে আল্লাহ্র নাম উচ্চারণ কর ২৮১৩, যখন তারা কাত হয়ে পড়ে যায় [ যবাই এর পরে ] তোমরা তা থেকে আহার কর এবং আহার করাও গরীবদের যারা ভিক্ষা করে না এবং যারা ভিক্ষা করে [ উভয়কে ]। এরূপে পশুদের আমি তোমাদের অধীন করেছি, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞ হও ২৮১৪।
২৮১৩। আয়াত [ ২২ : ৩৩ ] এবং টিকা ২৮০৮, যেখানে সমস্ত পশুদের সম্বন্ধে সাধারণ ভাবে আলোচনা করা হয়েছে। এই আয়াতে বিশেষভাবে উটের কথা বলা হয়েছে যা মরুবাসীদের জন্য বিশেষভাবে উপকারী। উটকে যবেহ্ করার প্রণালী অন্যান্য ছোট পশুদের থেকে ভিন্ন। উটকে দণ্ডায়মান অবস্থায় বুকের অগ্রভাবে ছুড়ি বসিয়ে যবেহ্ করা হয়।
২৮১৪। এই আয়াতে অভাব গ্রস্থদের নৈতিকতার বর্ণনা করা হয়েছে। একদলের কথা বলা হয়েছে যারা অভাবগ্রস্থ কিণ্তু ধৈর্য্যশীল। অর্থাৎ অভাব থাকা সত্বেও তারা ধৈর্য্যশীল অর্থাৎ আত্মতৃপ্ত এরা কারও দ্বারে ভিক্ষার পাত্র প্রসারিত করে না। আর একদল অভাবগ্রস্থ আছে যারা যাঞ্চাকারী – অর্থাৎ যারা বিনয়ের সাথে যাঞা করে। এই দুই শ্রেণীর অভাবগ্রস্থের কথা এই আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে। যারা অভাবগ্রস্থ কিন্তু উদ্ধত এবং বিদ্রোহী ,তাদের কথা আল্লাহ্ উল্লেখ করেন নাই, যদিও সকল দুর্দ্দশাগ্রস্থরাই বাঞ্ছিত বা অবাঞ্ছিত সকলেই দানের যোগ্য। কিণ্তু যারা বিনয়ের সাথে যাঞ্চাকরে এবং যারা আল্লাহ্র প্রতি কৃতজ্ঞতা ও সন্তুষ্টির সাথে যাঞা করে এই ঊভয়দলকে বিশেষভাবে দান পাবার যোগ্যরূপে উল্লেখ করা হয়েছে। দান কখনও অন্যকে দেখানোর উদ্দেশ্যে করা উচিত নয়, দানের প্রকৃত উদ্দেশ্য হবে আল্লাহ্কে খুশী করার মানসিকতা। সে কারণে দান কখনও প্রদর্শন বা নাছোরবান্দা লোকদের বিতাড়ন করার উদ্দেশ্যে করা ঠিক নয়। প্রকৃত অভাবগ্রস্থকে দান করতে হবে যেনো তা গ্রহীতার জীবনের অভাবকে মোচন করে স্থায়ী সাফল্য আনতে সহায়ক হয়।
আয়াতঃ 022.037
এগুলোর গোশত ও রক্ত আল্লাহর কাছে পৌঁছে না, কিন্তু পৌঁছে তাঁর কাছে তোমাদের মনের তাকওয়া। এমনিভাবে তিনি এগুলোকে তোমাদের বশ করে দিয়েছেন, যাতে তোমরা আল্লাহর মহত্ত্ব ঘোষণা কর এ কারণে যে, তিনি তোমাদের পথ প্রদর্শন করেছেন। সুতরাং সৎকর্মশীলদের সুসংবাদ শুনিয়ে দিন।
It is neither their meat nor their blood that reaches Allâh, but it is piety from you that reaches Him. Thus have We made them subject to you that you may magnify Allâh for His Guidance to you. And give glad tidings (O Muhammad SAW) to the Muhsinûn (doers of good).
لَن يَنَالَ اللَّهَ لُحُومُهَا وَلَا دِمَاؤُهَا وَلَكِن يَنَالُهُ التَّقْوَى مِنكُمْ كَذَلِكَ سَخَّرَهَا لَكُمْ لِتُكَبِّرُوا اللَّهَ عَلَى مَا هَدَاكُمْ وَبَشِّرِ الْمُحْسِنِينَ
Lan yanala Allaha luhoomuha wala dimaoha walakin yanaluhu alttaqwa minkum kathalika sakhkharaha lakum litukabbiroo Allaha AAala ma hadakum wabashshiri almuhsineena
YUSUFALI: It is not their meat nor their blood, that reaches Allah: it is your piety that reaches Him: He has thus made them subject to you, that ye may glorify Allah for His Guidance to you and proclaim the good news to all who do right.
PICKTHAL: Their flesh and their food reach not Allah, but the devotion from you reacheth Him. Thus have We made them subject unto you that ye may magnify Allah that He hath guided you. And give good tidings (O Muhammad) to the good.
SHAKIR: There does not reach Allah their flesh nor their blood, but to Him is acceptable the guarding (against evil) on your part; thus has He made them subservient to you, that you may magnify Allah because He has guided you aright; and give good news to those who do good (to others).
KHALIFA: Neither their meat, nor their blood reaches GOD. What reaches Him is your righteousness. He has subdued them for you, that you may show your appreciation by glorifying GOD for guiding you. Give good news to the charitable.
৩৭। আল্লাহ্র নিকট ইহাদের গোশ্ত বা রক্ত কিছুই পৌঁছায় না বরং পৌঁছায় তোমাদের [আল্লাহ্র ] প্রতি অনুরাগ। এভাবেই তিনি ইহাদের তোমাদের অধীন করে দিয়েছেন, যেনো তোমরা আল্লাহ্র মহিমা কীর্তন করতে পার, এজন্য যে তিনি তোমাদের পথ প্রদর্শন করেছেন ২৮১৫। যারা সৎ কাজ করে তুমি তাদের সুসংবাদ দাও।
৩৮। অবশ্যই আল্লাহ্ বিশ্বাসীদের রক্ষা করবেন। তিনি কোন বিশ্বাসঘাতক ও অকৃতজ্ঞকে পছন্দ করেন না।
২৮১৫। আল্লাহ্র জন্য আত্মত্যাগের মর্মবাণী উদ্ধৃত করা হয়েছে টিকা ২৮১০। আল্লাহ্ এই বিশ্ব ভূবনের মালিক। কোরবাণীর পশুর রক্ত, মাংস কিছুই তার কাছে পৌঁছায় না। যা পৌঁছায় তা হচ্ছে বান্দার সৎকাজে আত্মোৎসর্গের নিয়ত। পৌত্তলিক এবং আরব মোশরেকরা সে যুগে দেব-দেবীর পূজা করতো প্রাণী বলি দ্বারা অর্থাৎ রক্ত দ্বারা দেব-দেবীর মনোরঞ্জন করা হতো। এটা ছিলো তাদের নিজস্ব কল্পনা। যিনি পৃথিবীর স্রষ্টা, বিশ্ব বিধাতা তাঁর তো সৃষ্ট পদার্থের রক্তের প্রয়োজন নাই। তিনি তো অভাবমুক্ত। তিনি চান ভক্তের আকুল আকুতি , ভালোবাসা ,ভক্তি ও শ্রদ্ধার ডালি এবং আল্লাহ্র জন্য আত্মোৎসর্গ। ভক্তের এই প্রাণের ভালোবাসার প্রকাশের জন্য আনুষ্ঠানিক যে ব্যবস্থা তাই হচ্ছে পশু কোরবাণী। আত্মোৎসর্গের প্রতীক হচ্ছে কোরবাণী যা আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় হযরত ইব্রাহীমের সর্বোচ্চ আত্মাত্যাগের কাহিনী। একমাত্র মনের এই আত্মত্যাগের মহত্তম দিকটি আনুষ্ঠানিক কর্মের মাধ্যমে প্রকাশের জন্যই পশু হত্যার নির্দ্দেশ দেয়া হয়েছে এবং সেই কারণেই কোরবাণীর পশুর উপরে আল্লাহ্র নামে কোরবাণী দেওয়ার নির্দ্দেশ দান করা হয়েছে। অন্যথায় জীবনের পবিত্রতা ও মহার্ঘতা আমরা বিস্মৃত হতাম। আল্লাহ্র কাছে প্রার্থনার মাধ্যমে পশু জবেহ্ করার হুকুম কারণ আল্লাহ্র করুণার পরিবর্তে আমরা খাদ্য সংগ্রহ করি পশু হত্যার মাধ্যমে। এই আনুষ্ঠানিকতা আমাদের উজ্জীবিত করে আল্লাহ্র করুণার প্রতি – যা মন থেকে পশু হত্যার নিষ্ঠুরতার দিকটি অবমূল্যায়ন করতে সক্ষম হয়। কোরবাণীর পশুর দুই -তৃতীয়াংশ গরীবদের মাঝে ও আত্মীয় স্বজনদের মাঝে বিতরণ করা হয়। এ ভাবেই কোরবাণীর প্রতীককে মানবতার সেবার মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। নিজস্ব কিছু গরীব ও আত্মীয়দের জন্য আত্মত্যাগের মনোভাবই হচ্ছে কোরবাণীর মূল সুর। চরিত্রের মাঝে এই দুলর্ভ গুণরাজির প্রকাশই হচ্ছে কোরবাণীর আত্মত্যাগের নির্যাস। স্রষ্টার নিকট আমাদের কৃতজ্ঞতা জানাতে হয় এ জন্য যে আল্লাহ্ আমাদের দূর্লভ চারিত্রিক গুণাবলী অর্জন করার সুযোগ দান করেছেন, আমাদের পথের নির্দ্দেশনা দান করেছেন। আমাদের জাতীয় জীবনে আজকে বহু লোককে দেখা যায় যারা কোরবাণীর এই মহৎ শিক্ষা থেকে দূরে সরে গেছে। যারা কোরবাণীর মাধ্যমে অর্থ বিত্তের প্রদর্শনীর প্রতিযোগিতা করে। শুধু আনুষ্ঠানিকতা নয় বরং আত্মত্যাগ, কোরবাণীর এই মহৎ শিক্ষাকে জাতীয় জীবনে জাগরিত করা সকলের কর্তব্য।
আয়াতঃ 022.038
আল্লাহ মুমিনদের থেকে শত্রুদেরকে হটিয়ে দেবেন। আল্লাহ কোন বিশ্বাসঘাতক অকৃতজ্ঞকে পছন্দ করেন না।
Truly, Allâh defends those who believe. Verily! Allâh likes not any treacherous ingrate to Allâh [those who disobey Allâh but obey Shaitân (Satan)].
إِنَّ اللَّهَ يُدَافِعُ عَنِ الَّذِينَ آمَنُوا إِنَّ اللَّهَ لَا يُحِبُّ كُلَّ خَوَّانٍ كَفُورٍ
Inna Allaha yudafiAAu AAani allatheena amanoo inna Allaha la yuhibbu kulla khawwanin kafoorin
YUSUFALI: Verily Allah will defend (from ill) those who believe: verily, Allah loveth not any that is a traitor to faith, or show ingratitude.
PICKTHAL: Lo! Allah defendeth those who are true. Lo! Allah loveth not each treacherous ingrate.
SHAKIR: Surely Allah will defend those who believe; surely Allah does not love any one who is unfaithful, ungrateful.
KHALIFA: GOD defends those who believe. GOD does not love any betrayer, unappreciative.
৩৭। আল্লাহ্র নিকট ইহাদের গোশ্ত বা রক্ত কিছুই পৌঁছায় না বরং পৌঁছায় তোমাদের [আল্লাহ্র ] প্রতি অনুরাগ। এভাবেই তিনি ইহাদের তোমাদের অধীন করে দিয়েছেন, যেনো তোমরা আল্লাহ্র মহিমা কীর্তন করতে পার, এজন্য যে তিনি তোমাদের পথ প্রদর্শন করেছেন ২৮১৫। যারা সৎ কাজ করে তুমি তাদের সুসংবাদ দাও।
৩৮। অবশ্যই আল্লাহ্ বিশ্বাসীদের রক্ষা করবেন। তিনি কোন বিশ্বাসঘাতক ও অকৃতজ্ঞকে পছন্দ করেন না।
২৮১৫। আল্লাহ্র জন্য আত্মত্যাগের মর্মবাণী উদ্ধৃত করা হয়েছে টিকা ২৮১০। আল্লাহ্ এই বিশ্ব ভূবনের মালিক। কোরবাণীর পশুর রক্ত, মাংস কিছুই তার কাছে পৌঁছায় না। যা পৌঁছায় তা হচ্ছে বান্দার সৎকাজে আত্মোৎসর্গের নিয়ত। পৌত্তলিক এবং আরব মোশরেকরা সে যুগে দেব-দেবীর পূজা করতো প্রাণী বলি দ্বারা অর্থাৎ রক্ত দ্বারা দেব-দেবীর মনোরঞ্জন করা হতো। এটা ছিলো তাদের নিজস্ব কল্পনা। যিনি পৃথিবীর স্রষ্টা, বিশ্ব বিধাতা তাঁর তো সৃষ্ট পদার্থের রক্তের প্রয়োজন নাই। তিনি তো অভাবমুক্ত। তিনি চান ভক্তের আকুল আকুতি , ভালোবাসা ,ভক্তি ও শ্রদ্ধার ডালি এবং আল্লাহ্র জন্য আত্মোৎসর্গ। ভক্তের এই প্রাণের ভালোবাসার প্রকাশের জন্য আনুষ্ঠানিক যে ব্যবস্থা তাই হচ্ছে পশু কোরবাণী। আত্মোৎসর্গের প্রতীক হচ্ছে কোরবাণী যা আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় হযরত ইব্রাহীমের সর্বোচ্চ আত্মাত্যাগের কাহিনী। একমাত্র মনের এই আত্মত্যাগের মহত্তম দিকটি আনুষ্ঠানিক কর্মের মাধ্যমে প্রকাশের জন্যই পশু হত্যার নির্দ্দেশ দেয়া হয়েছে এবং সেই কারণেই কোরবাণীর পশুর উপরে আল্লাহ্র নামে কোরবাণী দেওয়ার নির্দ্দেশ দান করা হয়েছে। অন্যথায় জীবনের পবিত্রতা ও মহার্ঘতা আমরা বিস্মৃত হতাম। আল্লাহ্র কাছে প্রার্থনার মাধ্যমে পশু জবেহ্ করার হুকুম কারণ আল্লাহ্র করুণার পরিবর্তে আমরা খাদ্য সংগ্রহ করি পশু হত্যার মাধ্যমে। এই আনুষ্ঠানিকতা আমাদের উজ্জীবিত করে আল্লাহ্র করুণার প্রতি – যা মন থেকে পশু হত্যার নিষ্ঠুরতার দিকটি অবমূল্যায়ন করতে সক্ষম হয়। কোরবাণীর পশুর দুই -তৃতীয়াংশ গরীবদের মাঝে ও আত্মীয় স্বজনদের মাঝে বিতরণ করা হয়। এ ভাবেই কোরবাণীর প্রতীককে মানবতার সেবার মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। নিজস্ব কিছু গরীব ও আত্মীয়দের জন্য আত্মত্যাগের মনোভাবই হচ্ছে কোরবাণীর মূল সুর। চরিত্রের মাঝে এই দুলর্ভ গুণরাজির প্রকাশই হচ্ছে কোরবাণীর আত্মত্যাগের নির্যাস। স্রষ্টার নিকট আমাদের কৃতজ্ঞতা জানাতে হয় এ জন্য যে আল্লাহ্ আমাদের দূর্লভ চারিত্রিক গুণাবলী অর্জন করার সুযোগ দান করেছেন, আমাদের পথের নির্দ্দেশনা দান করেছেন। আমাদের জাতীয় জীবনে আজকে বহু লোককে দেখা যায় যারা কোরবাণীর এই মহৎ শিক্ষা থেকে দূরে সরে গেছে। যারা কোরবাণীর মাধ্যমে অর্থ বিত্তের প্রদর্শনীর প্রতিযোগিতা করে। শুধু আনুষ্ঠানিকতা নয় বরং আত্মত্যাগ, কোরবাণীর এই মহৎ শিক্ষাকে জাতীয় জীবনে জাগরিত করা সকলের কর্তব্য।
আয়াতঃ 022.039
যুদ্ধে অনুমতি দেয়া হল তাদেরকে যাদের সাথে কাফেররা যুদ্ধ করে; কারণ তাদের প্রতি অত্যাচার করা হয়েছে। আল্লাহ তাদেরকে সাহায্য করতে অবশ্যই সক্ষম।
Permission to fight is given to those (i.e. believers against disbelievers), who are fighting them, (and) because they (believers) have been wronged, and surely, Allâh is Able to give them (believers) victory
أُذِنَ لِلَّذِينَ يُقَاتَلُونَ بِأَنَّهُمْ ظُلِمُوا وَإِنَّ اللَّهَ عَلَى نَصْرِهِمْ لَقَدِيرٌ
Othina lillatheena yuqataloona bi-annahum thulimoo wa-inna Allaha AAala nasrihim laqadeerun
YUSUFALI: To those against whom war is made, permission is given (to fight), because they are wronged;- and verily, Allah is most powerful for their aid;-
PICKTHAL: Sanction is given unto those who fight because they have been wronged; and Allah is indeed Able to give them victory;
SHAKIR: Permission (to fight) is given to those upon whom war is made because they are oppressed, and most surely Allah is well able to assist them;
KHALIFA: Permission is granted to those who are being persecuted, since injustice has befallen them, and GOD is certainly able to support them.
রুকু – ৬
৩৯। যারা যুদ্ধ দ্বারা আক্রান্ত হয়, তাদের [যুদ্ধের ] অনুমতি দেয়া হলো ২৮১৬। কারণ তাদের প্রতি অন্যায় করা হয়েছে। এবং নিশ্চয়ই তাদের সাহায্য করতে আল্লাহ্ প্রচন্ড শক্তিধর;
২৮১৬। যুদ্ধের অনুমতি দেবার কারণ এখানে উল্লেখ ও পরের আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে। এই প্রথম যেখানে আত্মরক্ষার জন্য অস্ত্র ধরার অনুমতি দেয়া হয়েছে। সুতারাং নিঃসন্দেহে বলা যায় যে, আয়াতটি মদিনায় অবতীর্ণ।
আয়াতঃ 022.040
যাদেরকে তাদের ঘর-বাড়ী থেকে অন্যায়ভাবে বহিস্কার করা হয়েছে শুধু এই অপরাধে যে, তারা বলে আমাদের পালনকর্তা আল্লাহ। আল্লাহ যদি মানবজাতির একদলকে অপর দল দ্বারা প্রতিহত না করতেন, তবে (খ্রীষ্টানদের) নির্ঝন গির্জা, এবাদত খানা, (ইহুদীদের) উপাসনালয় এবং মসজিদসমূহ বিধ্বস্ত হয়ে যেত, যেগুলাতে আল্লাহর নাম অধিক স্মরণ করা হয়। আল্লাহ নিশ্চয়ই তাদেরকে সাহায্য করবেন, যারা আল্লাহর সাহায্য করে। নিশ্চয়ই আল্লাহ পরাক্রমশালী শক্তিধর।
Those who have been expelled from their homes unjustly only because they said: ”Our Lord is Allâh.” – For had it not been that Allâh checks one set of people by means of another, monasteries, churches, synagogues, and mosques, wherein the Name of Allâh is mentioned much would surely have been pulled down. Verily, Allâh will help those who help His (Cause). Truly, Allâh is All-Strong, All-Mighty.
الَّذِينَ أُخْرِجُوا مِن دِيَارِهِمْ بِغَيْرِ حَقٍّ إِلَّا أَن يَقُولُوا رَبُّنَا اللَّهُ وَلَوْلَا دَفْعُ اللَّهِ النَّاسَ بَعْضَهُم بِبَعْضٍ لَّهُدِّمَتْ صَوَامِعُ وَبِيَعٌ وَصَلَوَاتٌ وَمَسَاجِدُ يُذْكَرُ فِيهَا اسْمُ اللَّهِ كَثِيرًا وَلَيَنصُرَنَّ اللَّهُ مَن يَنصُرُهُ إِنَّ اللَّهَ لَقَوِيٌّ عَزِيزٌ
Allatheena okhrijoo min diyarihim bighayri haqqin illa an yaqooloo rabbuna Allahu walawla dafAAu Allahi alnnasa baAAdahum bibaAAdin lahuddimat sawamiAAu wabiyaAAun wasalawatun wamasajidu yuthkaru feeha ismu Allahi katheeran walayansuranna Allahu man yansuruhu inna Allaha laqawiyyun AAazeezun
YUSUFALI: (They are) those who have been expelled from their homes in defiance of right,- (for no cause) except that they say, “our Lord is Allah”. Did not Allah check one set of people by means of another, there would surely have been pulled down monasteries, churches, synagogues, and mosques, in which the name of Allah is commemorated in abundant measure. Allah will certainly aid those who aid his (cause);- for verily Allah is full of Strength, Exalted in Might, (able to enforce His Will).
PICKTHAL: Those who have been driven from their homes unjustly only because they said: Our Lord is Allah – For had it not been for Allah’s repelling some men by means of others, cloisters and churches and oratories and mosques, wherein the name of Allah is oft mentioned, would assuredly have been pulled down. Verily Allah helpeth one who helpeth Him. Lo! Allah is Strong, Almighty –
SHAKIR: Those who have been expelled from their homes without a just cause except that they say: Our Lord is Allah. And had there not been Allah’s repelling some people by others, certainly there would have been pulled down cloisters and churches and synagogues and mosques in which Allah’s name is much remembered; and surely Allah will help him who helps His cause; most surely Allah is Strong, Mighty.
KHALIFA: They were evicted from their homes unjustly, for no reason other than saying, “Our Lord is GOD.” If it were not for GOD’s supporting of some people against others, monasteries, churches, synagogues, and masjids – where the name of GOD is commemorated frequently – would have been destroyed. Absolutely, GOD supports those who support Him. GOD is Powerful, Almighty.
৪০। [ এরাই তারা ] যাদের অন্যায় ভাবে তাদের ঘর বাড়ী থেকে তাড়িয়ে দেয়া হয়েছে – শুধু এই কারণে যে, তারা বলে, ” আমাদের প্রভু আল্লাহ্।” যদি আল্লাহ্ মানুষের একদলকে দিয়ে অন্য দলকে প্রতিহত না করতেন , ২৮১৭, তবে নিশ্চয়ই ধ্বংস হয়ে যেতো মনেষ্টরি [ খৃষ্টান সংসার বিরাগীদের উপাসনা স্থান ] , গীর্জা , সিনাগগ [ইহুদীদের উপাসনালয় ] এবং মসজিদ সমূহ – যেখানে আল্লাহ্র নাম অহরহ স্মরণ করা হয়। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তাকেই সাহায্য করেন যে, তাঁর [আল্লাহ্র কাজের ] সহযোগীতা করে। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ শক্তিমান পরাক্রমশালী ২৮১৮।
২৮১৭। অন্যায়কারী ও অত্যাচারীর বিরুদ্ধে অস্ত্রধারণ অবশ্যই ন্যায়সঙ্গত কাজ। মক্কার কোরেশদের বিরুদ্ধে মুসলমানদের এই অস্ত্র ধারণ শুধু যে নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য প্রয়োজন ছিলো তাই-ই নয়। প্রয়োজন ছিলো সত্য ধর্মের প্রতিষ্ঠা ও অস্তিত্বের জন্য লড়াই। পবিত্র কাবা ঘরে উপসানার জন্য কোরেশদের যেরূপ অধিকার মুসলমানদের ঠিক সমঅধিকার। মুসলমানদের সেই অধিকার থেকে শুধু যে বঞ্চিত করা হয়েছে তাই – ই নয়, তাদের সত্য ধর্মে বিশ্বাসের জন্য মক্কা থেকে বিতাড়িত করে নির্বাসন দেয়া হয়। যদি অত্যাচারীর অত্যাচারের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধারণ করা না হয় , তবে তার দ্বারা পৃথিবীর সকল ধর্মের সকল জাতির লোকেরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়। শেষ পর্যন্ত এই ক্ষতির তালিকায় ইহুদী , খৃষ্টান কেহই বাদ যাবে না।
২৮১৮। ” .. .. .. তাঁকেই সাহয্য করে ” অর্থাৎ আল্লাহ্ বিধানকে প্রতিষ্ঠার সাহায্য করে। আল্লাহ্ সর্বদা ন্যায়ের পক্ষে। তিনি সর্ব ক্ষমতার অধিকারী। “Aziz” অর্থ সর্বোচ্চ ক্ষমতায় বা অধিষ্ঠানে, বা সম্মানে যিনি সর্বোচ্চ। যিনি তুলনাহীন। যিনি মহাশক্তিধর। যার ইচ্ছা দ্যুলোকে ভূলোকে সকলে মানতে বাধ্য। আল্লাহ্ নিশ্চয়ই শক্তিমান ও পরাক্রমশালী।
আয়াতঃ 022.041
তারা এমন লোক যাদেরকে আমি পৃথিবীতে শক্তি-সামর্থø দান করলে তারা নামায কায়েম করবে, যাকাত দেবে এবং সৎকাজে আদেশ ও অসৎকাজে নিষেধ করবে। প্রত্যেক কর্মের পরিণাম আল্লাহর এখতিয়ারভূক্ত।
Those (Muslim rulers) who, if We give them power in the land, (they) order for Iqamat-as-Salât. [i.e. to perform the five compulsory congregational Salât (prayers) (the males in mosques)], to pay the Zakât and they enjoin Al-Ma’rûf (i.e. Islâmic Monotheism and all that Islâm orders one to do), and forbid Al-Munkar (i.e. disbelief, polytheism and all that Islâm has forbidden) [i.e. they make the Qur’ân as the law of their country in all the spheres of life]. And with Allâh rests the end of (all) matters (of creatures).
الَّذِينَ إِن مَّكَّنَّاهُمْ فِي الْأَرْضِ أَقَامُوا الصَّلَاةَ وَآتَوُا الزَّكَاةَ وَأَمَرُوا بِالْمَعْرُوفِ وَنَهَوْا عَنِ الْمُنكَرِ وَلِلَّهِ عَاقِبَةُ الْأُمُورِ
Allatheena in makkannahum fee al-ardi aqamoo alssalata waatawoo alzzakata waamaroo bialmaAAroofi wanahaw AAani almunkari walillahi AAaqibatu al-omoori
YUSUFALI: (They are) those who, if We establish them in the land, establish regular prayer and give regular charity, enjoin the right and forbid wrong: with Allah rests the end (and decision) of (all) affairs.
PICKTHAL: Those who, if We give them power in the land, establish worship and pay the poor-due and enjoin kindness and forbid iniquity. And Allah’s is the sequel of events.
SHAKIR: Those who, should We establish them in the land, will keep up prayer and pay the poor-rate and enjoin good and forbid evil; and Allah’s is the end of affairs.
KHALIFA: They are those who, if we appointed them as rulers on earth, they would establish the Contact Prayers (Salat) and the obligatory charity (Zakat), and would advocate righteousness and forbid evil. GOD is the ultimate ruler.
৪১। এরাই তারা যাদের আমি পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠিত করলে , তারা সালাত কায়েম করবে, যাকাত দেবে, ন্যায় কাজে আদেশ দেবে এবং পাপ থেকে বিরত রাখবে ২৮১৯। [সকল ] কাজের শেষ [ সিদ্ধান্ত ] আল্লাহ্র ক্ষমতার অধীনে।
২৮১৯। যারা আল্লাহ্র বিধান প্রতিষ্ঠায় সাহায্য করে, তাদের বিশেষত্ব এখানে বর্ণনা করা হয়েছে। ” তারা ন্যায় কাজের নির্দ্দেশ দেবে ও অসৎ কাজে নিষেধ করবে ” মুসলিম উম্মার এই হবে অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য। এই বিশেষ কর্তব্য সমাধানের জন্য এই উম্মাকে আল্লাহ্ এদের পৃথিবীতে প্রেরণ করেছেন। দেখুন [৩ : ১০৪, ১১০ ; ৯: ৭১, ১১১ – ১১২; ২২ : ৪১ ] আয়াত। তারা নিজেদের ক্ষমতা সুযোগ সুবিধা বা ভূমি আগ্রাসনের জন্য কখনও যুদ্ধ করবে না। তাদের সংগ্রাম হবে ন্যায়ের জন্য।
আয়াতঃ 022.042
তারা যদি আপনাকে মিথ্যাবাদী বলে, তবে তাদের পূর্বে মিথ্যাবাদী বলেছে কওমে নূহ, আদ, সামুদ,
And if they belie you (O Muhammad SAW), so were belied the Prophets before them, (by) the people of Nûh (Noah), ’Ad and Thamûd,
وَإِن يُكَذِّبُوكَ فَقَدْ كَذَّبَتْ قَبْلَهُمْ قَوْمُ نُوحٍ وَعَادٌ وَثَمُودُ
Wa-in yukaththibooka faqad kaththabat qablahum qawmu noohin waAAadun wathamoodu
YUSUFALI: If they treat thy (mission) as false, so did the peoples before them (with their prophets),- the People of Noah, and ‘Ad and Thamud;
PICKTHAL: If they deny thee (Muhammad), even so the folk of Noah, and (the tribes of) A’ad and Thamud, before thee, denied (Our messengers);
SHAKIR: And if they reject you, then already before you did the people of Nuh and Ad and Samood reject (prophets).
KHALIFA: If they reject you, the people of Noah, `Aad, and Thamoud have also disbelieved before them.
৪২। যদি তারা তোমার [ প্রচারকে ] মিথ্যা জানে, [ তবে নিশ্চয় জেনো ] তাদের পূর্বে নূহের জাতি, এবং আদ ও সামুদ জাতিও [ তাদের নবীদের ] মিথ্যা জেনেছিলো , ২৮২০-
২৮২০। আল্লাহ্র নবীকে অস্বীকার করার মধ্যে কোনও নূতনত্ব নাই। কারণ এরূপ ঘটনা পূর্বেও ঘটেছে, যেমন : নূহ্ নবী [ ৭ : ৬৬ ] ; আদ্ সম্প্রদায়ের নবী হুদ [ ৭:৬৬ ] সামুদ জাতির নবী সালেহ্ [ ৭ : ৭৬ ] ; ইব্রাহীম [ ২১ : ৫৫ ]; লূত [ ৭ : ৮২ ] ;; মাদিয়ান বাসীর নবী শুয়েব [ ৭ : ৮৫ ] এবং অরণ্যের অধিবাসী [ ১৫ : ৭৮ ] দের জীবনে। মুসা নবীর কথা আলাদা ভাবে বলা হয়েছে ; হযরত মুসার সম্প্রদায় আমাদের নবী হযরত মুহম্মদের (সা) সময় এবং বর্তমান কাল পর্যন্ত অবস্থান করছে। তারা প্রায়ই হযরত মুসার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করতো [ ২ : ৪৯ – ৬১ ]।
আয়াতঃ 022.043
ইব্রাহীম ও লূতের সম্প্রদায়ও।
And the people of Ibrâhim (Abraham) and the people of Lout (Lot),
وَقَوْمُ إِبْرَاهِيمَ وَقَوْمُ لُوطٍ
Waqawmu ibraheema waqawmu lootin
YUSUFALI: Those of Abraham and Lut;
PICKTHAL: And the folk of Abraham and the folk of Lot;
SHAKIR: And the people of Ibrahim and the people of Lut,
KHALIFA: Also the people of Abraham, and the people of Lot.
৪৩। ইব্রাহীম ও লূতের সম্প্রদায়ও ; –
৪৪। এবং মাদইয়ান সম্প্রদায় ২৮২১; এবং [ একই ভাবে ] অস্বীকার করা হয়েছিলো মুসাকেও। কিন্তু অবিশ্বাসীদের আমি অবকাশ মঞ্জুর করেছিলাম। এবং [ শুধুমাত্র ] তার পরেই আমি তাদের শাস্তি দিয়েছিলাম। [তাদের প্রতি ] আমার প্রত্যাখান ছিলো কত [ ভয়ঙ্কর ]! ২৮২২।
২৮২১। মাদিয়ানবাসী ও অরণ্যের অধিবাসীরা কি একই ছিল ? দেখুন টিকা ২০০০ এবং আয়াত [ ১৫ : ৭৮ ]।
২৮২২। আল্লাহ্র শাস্তির ভয়াবহতা যার পরিণাম সমৃদ্ধি থেকে বিপর্যয়।
আয়াতঃ 022.044
এবং মাদইয়ানের অধিবাসীরা এবং মিথ্যাবাদী বলা হয়েছিল মূসাকেও। অতঃপর আমি কাফেরদেরকে সুযোগ দিয়েছিলাম এরপর তাদেরকে পাকড়াও করেছিলাম অতএব কি ভীষণ ছিল আমাকে অস্বীকৃতির পরিণাম।
And the dwellers of Madyan (Midian); and belied was Mûsa (Moses), but I granted respite to the disbelievers for a while, then I seized them, and how (terrible) was My Punishment (against their wrong-doing).
وَأَصْحَابُ مَدْيَنَ وَكُذِّبَ مُوسَى فَأَمْلَيْتُ لِلْكَافِرِينَ ثُمَّ أَخَذْتُهُمْ فَكَيْفَ كَانَ نَكِيرِ
Waas-habu madyana wakuththiba moosa faamlaytu lilkafireena thumma akhathtuhum fakayfa kana nakeeri
YUSUFALI: And the Companions of the Madyan People; and Moses was rejected (in the same way). But I granted respite to the Unbelievers, and (only) after that did I punish them: but how (terrible) was my rejection (of them)!
PICKTHAL: (And) the dwellers in Midian. And Moses was denied; but I indulged the disbelievers a long while, then I seized them, and how (terrible) was My abhorrence!
SHAKIR: As well as those of Madyan and Musa (too) was rejected, but I gave respite to the unbelievers, then did I overtake them, so how (severe) was My disapproval.
KHALIFA: And the dwellers of Midyan. Moses was also rejected. I led all those people on, then I called them to account; how (devastating) was My requital!
৪৫। কত জনপদকে আমি ধ্বংস করেছি যাদের অধিবাসীরা পাপে লিপ্ত ছিলো, তারা তাদের ঘরের ছাদসহ ধ্বংস স্তুপে পরিণত হয়েছিলো ২৮২৩। কত কূপ পরিত্যক্ত হয়েছিলো এবং কত সুদৃশ্য এবং মজবুত প্রাসাদও ! ২৮২৪।
২৮২৩। যে কোন ইমারত যখন ধবংস হয় প্রথমে তার ছাদ ধ্বসে পড়ে, পরে সম্পূর্ণ ইমারত ভেঙ্গে চূরে ধ্বংস স্তুপে পরিণত হয়। ঠিক সেরূপ আল্লাহ্র রোষে পতিত জনপদ সম্পূর্ণ ধবংসপ্রাপ্ত হয় এবং তা সম্পূর্ণরূপে ওলট পালট হয়ে যায়।
আয়াতঃ 022.045
আমি কত জনপদ ধ্বংস করেছি এমতাবস্থায় যে, তারা ছিল গোনাহগার। এই সব জনপদ এখন ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে এবং কত কূপ পরিত্যক্ত হয়েছে ও কত সুদৃঢ় প্রাসাদ ধ্বংস হয়েছে।
And many a township have We destroyed while it was given to wrong-doing, so that it lies in ruins (up to this day), and (many) a deserted well and lofty castles!
فَكَأَيِّن مِّن قَرْيَةٍ أَهْلَكْنَاهَا وَهِيَ ظَالِمَةٌ فَهِيَ خَاوِيَةٌ عَلَى عُرُوشِهَا وَبِئْرٍ مُّعَطَّلَةٍ وَقَصْرٍ مَّشِيدٍ
Fakaayyin min qaryatin ahlaknaha wahiya thalimatun fahiya khawiyatun AAala AAurooshiha wabi/rin muAAattalatin waqasrin masheedin
YUSUFALI: How many populations have We destroyed, which were given to wrong-doing? They tumbled down on their roofs. And how many wells are lying idle and neglected, and castles lofty and well-built?
PICKTHAL: How many a township have We destroyed while it was sinful, so that it lieth (to this day) in ruins, and (how many) a deserted well and lofty tower!
SHAKIR: So how many a town did We destroy while it was unjust, so it was fallen down upon its roofs, and (how many a) deserted well and palace raised high.
KHALIFA: Many a community we have annihilated because of their wickedness. They ended up in ruins, stilled wells, and great empty mansions.
৪৬। তারা কি দেশ ভ্রমণ করে নাই ? করলে তাদের হৃদয় [ ও মন ] প্রজ্ঞা সম্পন্ন হতো ২৮২৫; এবং তাদের কান [ সত্যকে ] শোনার ক্ষমতা অর্জন করতো। প্রকৃত পক্ষে, চক্ষু তো অন্ধ নয় , বরং অন্ধ হয়েছে বক্ষস্থিত হৃদয়।
২৮২৫। আরবীতে হৃদয় শব্দটি গভীর এবং ব্যপক অর্থবোধক। আরবী ভাষাতে ‘ হৃদয় ‘ শব্দটি দ্বারা বুদ্ধি বিবেক, অনুধাবন ক্ষমতা, আবেগ- অনুভূতি ও ভালোবাসার ক্ষমতাকে বোঝানো হয়। অর্থাৎ যে সব গুণের দ্বারা মানুষ পশু থেকে আলাদা , যার জন্য মানুষ স্রষ্টার শ্রেষ্ঠ জীব সেই গুণবাচক বিশেষণ গুলিকেই আরবী ভাষাতে হৃদয় শব্দটি দ্বারা প্রকাশ করা হয়। মানব যখন আল্লাহ্র বিধান মেনে সৎ ও পরিশুদ্ধ জীবন যাপন প্রণালীর মাধ্যমে আল্লাহ্র কাছে আত্মসমর্পন করে তখনই বান্দার “হৃদয়” প্রসারিত হয়। তার মাঝে প্রকৃত সত্যকে দেখার ক্ষমতা, বোঝার ক্ষমতা ও অনুধাবন ক্ষমতার জন্মলাভ করে। সে পরিণত হয় বিবেকবান, অন্তর্দৃষ্টি সম্পন্ন , অনুভূতিশীল এক উন্নত আলোকপ্রাপ্ত মানুষে। আর যারা ইচ্ছাকৃত ভাবে আল্লাহ্র বিধানকে অস্বীকার করে তাদের হৃদয়ের তন্ত্রীতে আল্লাহ্র রহমতের প্রতীক উপরিউক্ত বিশেষ গুণাবলী ঝংকৃত হতে পারে না। তাদের “হৃদয়” ঐ সব বিশেষ গুণবাচক বিশেষণ ধারণে অক্ষম হয়। এই হচ্ছে পার্থিব জীবনে তাদের শাস্তি। ফলে তাদের চোখ থাকতেও তারা দৃষ্টিহীন অর্থাৎ তাদের হৃদয় অন্তর্দৃষ্টি বিহীন , কান থাকতেও তারা বধির, কারণ তারা কখনও সত্যের ডাক শুনতে পাবে না,ফলে তারা হবে বিবেক বর্জিত। ” বস্তুতঃ চক্ষু তো অন্ধ নয়, বরং অন্ধ হয়েছে বক্ষস্থিত হৃদয়”। প্রকৃতপক্ষে দেশ ভ্রমণ এবং প্রাচীন সভ্যতার ধ্বংসাবশেষ প্রত্যক্ষ করার ফলে তাদের মনে আল্লাহর করুণা ও শাস্তি সম্বন্ধে ধারণা জন্মাতো। ফলে তারা প্রজ্ঞাসম্পন্ন হতে পারতো।
আয়াতঃ 022.046
তারা কি এই উদ্দেশ্যে দেশ ভ্রমণ করেনি, যাতে তারা সমঝদার হৃদয় ও শ্রবণ শক্তি সম্পন্ন কর্ণের অধিকারী হতে পারে? বস্তুতঃ চক্ষু তো অন্ধ হয় না, কিন্তু বক্ষ স্থিত অন্তরই অন্ধ হয়।
Have they not travelled through the land, and have they hearts wherewith to understand and ears wherewith to hear? Verily, it is not the eyes that grow blind, but it is the hearts which are in the breasts that grow blind.
أَفَلَمْ يَسِيرُوا فِي الْأَرْضِ فَتَكُونَ لَهُمْ قُلُوبٌ يَعْقِلُونَ بِهَا أَوْ آذَانٌ يَسْمَعُونَ بِهَا فَإِنَّهَا لَا تَعْمَى الْأَبْصَارُ وَلَكِن تَعْمَى الْقُلُوبُ الَّتِي فِي الصُّدُورِ
Afalam yaseeroo fee al-ardi fatakoona lahum quloobun yaAAqiloona biha aw athanun yasmaAAoona biha fa-innaha la taAAma al-absaru walakin taAAma alquloobu allatee fee alssudoori
YUSUFALI: Do they not travel through the land, so that their hearts (and minds) may thus learn wisdom and their ears may thus learn to hear? Truly it is not their eyes that are blind, but their hearts which are in their breasts.
PICKTHAL: Have they not travelled in the land, and have they hearts wherewith to feel and ears wherewith to hear? For indeed it is not the eyes that grow blind, but it is the hearts, which are within the bosoms, that grow blind.
SHAKIR: Have they not travelled in the land so that they should have hearts with which to understand, or ears with which to hear? For surely it is not the eyes that are blind, but blind are the hearts which are in the breasts.
KHALIFA: Did they not roam the earth, then use their minds to understand, and use their ears to hear? Indeed, the real blindness is not the blindness of the eyes, but the blindness of the hearts inside the chests.
৪৭। তথাপি তারা তোমাকে শাস্তি ত্বরান্বিত করতে বলে। কিন্তু আল্লাহ্ কখনও তাঁর প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেন না ২৮২৬। প্রকৃতপক্ষে, তোমার প্রভুর দৃষ্টিতে একদিন তোমাদের সহস্র বৎসরের সমান।
২৮২৬। মানুষকে আল্লাহ্ পাপ কাজ করার সাথে সাথে শাস্তি দান করেন না। মানুষ যাতে অনুতাপের মাধ্যমে আত্মসংশোধন করার সুযোগ পায়, সেই সুযোগ আল্লাহ্ পাপীদের দান করে থাকেন। এই হচ্ছে মানুষকে দেয়া আল্লাহ্র রহমতের অঙ্গীকার। পাপীদের দ্বারা শাস্তি ত্বরান্বিত করার অনুরোধেও আল্লাহ্ তাঁর অঙ্গীকার ভঙ্গ করেন না। তিনি বারে বারে পাপীদের সময় দেন, সুযোগ দেন অনুতাপের জন্য; কিন্তু সাবধান করে দেন যে প্রতিটি ব্যক্তিকেই পৃথিবীতে তার কৃতকর্মের জন্য পরলোকে স্রষ্টার কাছে জবাবদিহি করতে হবে। আর এই জবাবদিহিতা হবে ন্যায় নীতির ভিত্তিতে। আল্লাহ্র এই অঙ্গীকার সত্য তা বাস্তবায়িত হবেই। যারা নির্বোধ তারাই আল্লাহ্র শাস্তিকে ত্বরান্বিত করতে চায়। আল্লাহ্ স্থান , কাল ও সময়ের উর্দ্ধে। তিনি অনন্ত , অসীম , আমরা সময়ের হিসাব করি দিন ও রাত্রির দ্বারা। কিন্তু সময়ের এই ধারণা আপেক্ষিক [ বর্তমান বিজ্ঞানের ধারণা ]। সময় হচ্ছে অনন্ত ও অসীম যা স্থান ও কালের দ্বারা সীমাবদ্ধ নয়। এরই উদাহরণ আল্লাহ্ দিয়েছেন আমরা যাকে সহস্র বৎসর কল্পনা করি হয়তো তা আল্লাহ্র নিকট একদিন বা এক মিনিটের সমতুল্য।
আয়াতঃ 022.047
তারা আপনাকে আযাব ত্বরান্বিত করতে বলে। অথচ আল্লাহ কখনও তাঁর ওয়াদা ভঙ্গ করেন না। আপনার পালনকর্তার কাছে একদিন তোমাদের গণনার এক হাজার বছরের সমান।
And they ask you to hasten on the torment! And Allâh fails not His Promise. And verily, a day with your Lord is as a thousand years of what you reckon.
وَيَسْتَعْجِلُونَكَ بِالْعَذَابِ وَلَن يُخْلِفَ اللَّهُ وَعْدَهُ وَإِنَّ يَوْمًا عِندَ رَبِّكَ كَأَلْفِ سَنَةٍ مِّمَّا تَعُدُّونَ
WayastaAAjiloonaka bialAAathabi walan yukhlifa Allahu waAAdahu wa-inna yawman AAinda rabbika kaalfi sanatin mimma taAAuddoona
YUSUFALI: Yet they ask thee to hasten on the Punishment! But Allah will not fail in His Promise. Verily a Day in the sight of thy Lord is like a thousand years of your reckoning.
PICKTHAL: And they will bid thee hasten on the Doom, and Allah faileth not His promise, but lo! a Day with Allah is as a thousand years of what ye reckon.
SHAKIR: And they ask you to hasten on the punishment, and Allah will by no means fail in His promise, and surely a day with your Lord is as a thousand years of what you number.
KHALIFA: They challenge you to bring retribution, and GOD never fails to fulfill His prophecy. A day of your Lord is like a thousand of your years.
৪৮। কত জনপদকে আমি অবকাশ দিয়েছি ২৮২৭, যারা পাপে লিপ্ত ছিলো, শেষ পর্যন্ত আমি তাদের শাস্তি দান করেছিলাম। [ সকলেরই ] শেষ গন্তব্যস্থল আমারই নিকট।
২৮২৭। এই আয়াতটির সূচনা করা হয়েছে আয়াতে [ ২২ : ৪৫ ] । এই আয়াতে তা শেষ করা হয়েছে।
আয়াতঃ 022.048
এবং আমি কত জনপদকে অবকাশ দিয়েছি এমতাবস্থায় যে, তারা গোনাহগার ছিল। এরপর তাদেরকে পাকড়াও করেছি এবং আমার কাছেই প্রত্যাবর্তন করতে হবে।
And many a township did I give respite while it was given to wrong-doing. Then (in the end) I seized it (with punishment). And to Me is the (final) return (of all).
وَكَأَيِّن مِّن قَرْيَةٍ أَمْلَيْتُ لَهَا وَهِيَ ظَالِمَةٌ ثُمَّ أَخَذْتُهَا وَإِلَيَّ الْمَصِيرُ
Wakaayyin min qaryatin amlaytu laha wahiya thalimatun thumma akhathtuha wa-ilayya almaseeru
YUSUFALI: And to how many populations did I give respite, which were given to wrong-doing? in the end I punished them. To me is the destination (of all).
PICKTHAL: And how many a township did I suffer long though it was sinful! Then I grasped it. Unto Me is the return.
SHAKIR: And how many a town to which I gave respite while it was unjust, then I overtook it, and to Me is the return.
KHALIFA: Many a community in the past committed evil, and I led them on for awhile, then I punished them. To Me is the ultimate destiny.
রুকু – ৭
৪৯। বল, ” হে মানুষ! আমাকে তো প্রেরণ করা হয়েছে একজন স্পষ্ট সতর্ককারী রূপে ২৮২৮।
২৮২৮। আল্লাহ্র নবীর একমাত্র দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে তাঁর প্রতি আল্লাহ্র দেয়া কর্তব্য সঠিক ভাবে এবং সুস্পষ্টভাবে পৌঁছে দেয়া। কেউ যদি তাঁর প্রচারিত সর্তকবাণী গ্রহণ না করে , তবে তাকে তা গ্রহণ করতে বাধ্য করা , বা তার বিচার করা বা তার জন্য শাস্তি নির্ধারণ করার দায়িত্ব নবীর জন্য নয়। অবাধ্য ও অবিশ্বাসীদের শেষ পরিণতির ভার একমাত্র আল্লাহ্র উপরে। অবাধ্য ও পাপীদের জন্য যে সর্তকবাণী তা কিন্তু শাস্তিদানের ভীতি দ্বারাই শেষ করা হয় নাই , তা আল্লাহ্র করুণার সংবাদও বহন করে ,তাদের জন্য , যারা পাপ করার পরেও অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহ্র রাস্তায় ফিরে আসে।
আয়াতঃ 022.049
বলুনঃ হে লোক সকল! আমি তো তোমাদের জন্যে স্পষ্ট ভাষায় সতর্ককারী।
Say (O Muhammad SAW): ”O mankind! I am (sent) to you only as a plain warner.”
قُلْ يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّمَا أَنَا لَكُمْ نَذِيرٌ مُّبِينٌ
Qul ya ayyuha alnnasu innama ana lakum natheerun mubeenun
YUSUFALI: Say: “O men! I am (sent) to you only to give a Clear Warning:
PICKTHAL: Say: O mankind! I am only a plain warner unto you.
SHAKIR: Say: O people! I am only a plain warner to you.
KHALIFA: Say, “O people, I have been sent to you as a profound warner.”
রুকু – ৭
৪৯। বল, ” হে মানুষ! আমাকে তো প্রেরণ করা হয়েছে একজন স্পষ্ট সতর্ককারী রূপে ২৮২৮।
২৮২৮। আল্লাহ্র নবীর একমাত্র দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে তাঁর প্রতি আল্লাহ্র দেয়া কর্তব্য সঠিক ভাবে এবং সুস্পষ্টভাবে পৌঁছে দেয়া। কেউ যদি তাঁর প্রচারিত সর্তকবাণী গ্রহণ না করে , তবে তাকে তা গ্রহণ করতে বাধ্য করা , বা তার বিচার করা বা তার জন্য শাস্তি নির্ধারণ করার দায়িত্ব নবীর জন্য নয়। অবাধ্য ও অবিশ্বাসীদের শেষ পরিণতির ভার একমাত্র আল্লাহ্র উপরে। অবাধ্য ও পাপীদের জন্য যে সর্তকবাণী তা কিন্তু শাস্তিদানের ভীতি দ্বারাই শেষ করা হয় নাই , তা আল্লাহ্র করুণার সংবাদও বহন করে ,তাদের জন্য , যারা পাপ করার পরেও অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহ্র রাস্তায় ফিরে আসে।
আয়াতঃ 022.050
সুতরাং যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছে এবং সৎকর্ম করেছে, তাদের জন্যে আছে পাপ মার্জনা এবং সম্মানজনক রুযী।
So those who believe (in the Oneness of Allâh Islâmic Monotheism) and do righteous good deeds, for them is forgiveness and Rizqûn Karîm (generous provision, i.e. Paradise).
فَالَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ لَهُم مَّغْفِرَةٌ وَرِزْقٌ كَرِيمٌ
Faallatheena amanoo waAAamiloo alssalihati lahum maghfiratun warizqun kareemun
YUSUFALI: “Those who believe and work righteousness, for them is forgiveness and a sustenance most generous.
PICKTHAL: Those who believe and do good works, for them is pardon and a rich provision;
SHAKIR: Then (as for) those who believe and do good, they shall have forgiveness and an honorable sustenance.
KHALIFA: Those who believe and lead a righteous life have deserved forgiveness and a generous recompense.
৫০। যারা ঈমান আনে ও সৎকাজ করে, তাদের জন্য আছে ক্ষমা ও সম্মানজনক জীবিকা ২৮২৯।
২৮২৯। এই আয়াতে ‘জীবিকা’ কথাটি সঙ্কীণার্থে ব্যবহৃত হয় নাই। এর প্রয়োগ এখানে ব্যপকার্থে। জাগতিক ও আধ্যাত্মিক উভয় ধরণের জীবনোপকরণকে এখানে বোঝানো হয়েছে। পার্থিব জীবনোপকরণ প্রয়োজন এই নশ্বর দেহ ধারণের জন্য। কিন্তু মানুষই একমাত্র প্রাণী যার দেহের বাইরেও আর এক অস্তিত্ব বর্তমান। একমাত্র মানুষই অমর আত্মার অধিকারী। দেহের সুস্থতা ও পরিবর্দ্ধনের জন্য প্রয়োজন জাগতিক জীবনোপকরণ। আত্মার সুস্থতার ও সমৃদ্ধির জন্য প্রয়োজন ঐশ্বরিক জীবনোপকরণ। “সম্মানজনক জীবিকা ” দ্বারা এই দুধরণের জীবনোপকরণ বোঝানো হয়েছে। যারা ঈমান আনে ও সৎ কর্ম করে , অর্থাৎ যারা মুত্তাকী তাদের জন্য আল্লাহ্র সুসংবাদের অঙ্গীকার – যা হবে তাদের সৎ কর্মের বহুগুণ বেশী।
আয়াতঃ 022.051
এবং যারা আমার আয়াতসমূহকে ব্যর্থ করার জন্যে চেষ্টা করে, তারাই দোযখের অধিবাসী।
But those who strive against Our Ayât (proofs, evidences, verses, lessons, signs, revelations, etc.), to frustrate and obstruct them, they will be dwellers of the Hell-fire.
وَالَّذِينَ سَعَوْا فِي آيَاتِنَا مُعَاجِزِينَ أُوْلَئِكَ أَصْحَابُ الْجَحِيمِ
Waallatheena saAAaw fee ayatina muAAajizeena ola-ika as-habu aljaheemi
YUSUFALI: “But those who strive against Our Signs, to frustrate them,- they will be Companions of the Fire.”
PICKTHAL: While those who strive to thwart Our revelations, such are rightful owners of the Fire.
SHAKIR: And (as for) those who strive to oppose Our communications, they shall be the inmates of the flaming fire.
KHALIFA: As for those who strive to challenge our revelations, they incur Hell.
৫১। যারা আমার নিদর্শন সমূহ ব্যর্থ করার জন্য চেষ্টা করবে ২৮৩০, তারা হবে আগুনের অধিবাসী।
২৮৩০। আল্লাহ্র আয়াত বা হুকুমকে ব্যর্থ করার ক্ষমতা এই পৃথিবীতে কারও নাই। যারা সেই চেষ্টা করে তারা নিজের ক্ষতি নিজেই করে। কারণ এই চেষ্টার মাধ্যমে তাদের আধ্যাত্মিক অবনতি শুরু হয় এবং সময়ের ব্যবধানে তা ত্বরান্বিত হয় মাত্র। ফলে তাদের আত্মিক অবস্থার অবনতি ঘটে এবং শেষ পর্যন্ত তারা দোযখের মাঝে নিক্ষিপ্ত হয়।
আয়াতঃ 022.052
আমি আপনার পূর্বে যে সমস্ত রাসূল ও নবী প্রেরণ করেছি, তারা যখনই কিছু কল্পনা করেছে, তখনই শয়তান তাদের কল্পনায় কিছু মিশ্রণ করে দিয়েছে। অতঃপর আল্লাহ দূর করে দেন শয়তান যা মিশ্রণ করে। এরপর আল্লাহ তাঁর আয়াতসমূহকে সু-প্রতিষ্ঠিত করেন এবং আল্লাহ জ্ঞানময়, প্রজ্ঞাময়।
Never did We send a Messenger or a Prophet before you, but; when he did recite the revelation or narrated or spoke, Shaitân (Satan) threw (some falsehood) in it. But Allâh abolishes that which Shaitân (Satan) throws in. Then Allâh establishes His Revelations. And Allâh is All-Knower, All-Wise:
وَمَا أَرْسَلْنَا مِن قَبْلِكَ مِن رَّسُولٍ وَلَا نَبِيٍّ إِلَّا إِذَا تَمَنَّى أَلْقَى الشَّيْطَانُ فِي أُمْنِيَّتِهِ فَيَنسَخُ اللَّهُ مَا يُلْقِي الشَّيْطَانُ ثُمَّ يُحْكِمُ اللَّهُ آيَاتِهِ وَاللَّهُ عَلِيمٌ حَكِيمٌ
Wama arsalna min qablika min rasoolin wala nabiyyin illa itha tamanna alqa alshshaytanu fee omniyyatihi fayansakhu Allahu ma yulqee alshshaytanu thumma yuhkimu Allahu ayatihi waAllahu AAaleemun hakeemun
YUSUFALI: Never did We send a messenger or a prophet before thee, but, when he framed a desire, Satan threw some (vanity) into his desire: but Allah will cancel anything (vain) that Satan throws in, and Allah will confirm (and establish) His Signs: for Allah is full of Knowledge and Wisdom:
PICKTHAL: Never sent We a messenger or a prophet before thee but when He recited (the message) Satan proposed (opposition) in respect of that which he recited thereof. But Allah abolisheth that which Satan proposeth. Then Allah establisheth His revelations. Allah is Knower, Wise;
SHAKIR: And We did not send before you any messenger or prophet, but when he desired, the Shaitan made a suggestion respecting his desire; but Allah annuls that which the Shaitan casts, then does Allah establish His communications, and Allah is Knowing, Wise,
KHALIFA: We did not send before you any messenger, nor a prophet, without having the devil interfere in his wishes. GOD then nullifies what the devil has done. GOD perfects His revelations. GOD is Omniscient, Most Wise.
৫২। তোমার পূর্বে আমি এমন কোন রাসুল বা নবী প্রেরণ করি নাই , যখন তার আকাঙ্খায় , শয়তান [ কুমন্ত্রণা ] নিক্ষেপ করতো না ২৮৩১। কিন্তু যা কিছু [ কুমন্ত্রণা ] সে নিক্ষেপ করে আল্লাহ্ তা বিদূরিত করেন এবং আল্লাহ্ তাঁর নিদর্শনসমূহ সুপ্রতিষ্ঠিত করেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ জ্ঞান ও প্রজ্ঞায় পরিপূর্ণ ২৮৩২।
২৮৩১। রাসুল ও নবীর মধ্যে পার্থক্য ব্যাখ্যা করা হয়েছে [ ১৯ : ৫১ ] আয়াতের টিকা ২৫০৩ এ। রসুল ও নবী এরা সকলেই রক্ত – মাংসের মানুষ। কিন্তু তারা তাদের জৈবিক প্রক্রিয়ায় সাধারণ মানুষের সমকক্ষ ,কিন্তু তারা তাদের চারিত্রিক গুণগত মানে সাধারণ মানুষের অনেক উর্দ্ধে অবস্থান করেন। তাদের কাজ হচ্ছে কল্যাণকর, তাদের উদ্দেশ্য থাকে মহৎ। যেহেতু তারা মানুষ, ফেরেশতা নন, সুতারাং শয়তান তাদেরও প্রলুব্ধ করে বিপথে পরিচালিত করার প্রয়াস পায়। আল্লাহ্র রাস্তায় কাজে দুস্তর বাঁধা যা মানুষ দ্বারা শয়তানেরই সৃষ্টি। আল্লাহ্র বাণীকে সুপ্রতিষ্ঠিত করার জন্য, এই সব বাধাকে অপসারণের প্রয়োজন হয়। আর এই সব বাধা বিপত্তিকে অপসারণের সহজ পন্থায় শয়তান প্ররোচিত করে। শয়তানের এ সব প্ররোচনা বিবিধ হতে পারে, হতে পারে তা অবাধ্যদের সাথে সমঝোতা বা অর্থ সম্পদের ক্ষমতার দ্বারা মানুষকে প্রভাবিত করার ক্ষমতা ইত্যাদি। শয়তানের প্ররোচনা নবী রসুলদের মনেও রেখাপাত করতে পারে। কিন্তু মহান আল্লাহ্র ক্ষমতা শয়তানের ক্ষমতাকে বিদূরিত করে। আল্লাহ্র করুণা , হেদায়েত তাদের মনের যে কোন মিথ্যা প্রহেলিকা দূর করে আল্লাহ্র আয়াতসমূহকে সুপ্রতিষ্ঠিত করে। আল্লাহ্ সর্বজ্ঞ প্রজ্ঞাময়।
২৮৩২। এই আয়াতের বক্তব্য ও পরর্বতী আয়াতের বক্তব্য একই রূপ। কিন্তু এই আয়াতের শেষের বাক্যটির ও পরবর্তী আয়াতের শেষ বাক্যটি সম্পর্কহীন।
আয়াতঃ 022.053
এ কারণে যে, শয়তান যা মিশ্রণ করে, তিনি তা পরীক্ষাস্বরূপ করে দেন, তাদের জন্যে, যাদের অন্তরে রোগ আছে এবং যারা পাষাণহৃদয়। গোনাহগাররা দূরবর্তী বিরোধিতায় লিপ্ত আছে।
That He (Allâh) may make what is thrown in by Shaitân (Satan) a trial for those in whose hearts is a disease (of hypocrisy and disbelief) and whose hearts are hardened. And certainly, the Zalimûn (polytheists and wrong-doers, etc.) are in an opposition far-off (from the truth against Allâh’s Messenger and the believers).
لِيَجْعَلَ مَا يُلْقِي الشَّيْطَانُ فِتْنَةً لِّلَّذِينَ فِي قُلُوبِهِم مَّرَضٌ وَالْقَاسِيَةِ قُلُوبُهُمْ وَإِنَّ الظَّالِمِينَ لَفِي شِقَاقٍ بَعِيدٍ
LiyajAAala ma yulqee alshshaytanu fitnatan lillatheena fee quloobihim maradun waalqasiyati quloobuhum wa-inna alththalimeena lafee shiqaqin baAAeedin
YUSUFALI: That He may make the suggestions thrown in by Satan, but a trial for those in whose hearts is a disease and who are hardened of heart: verily the wrong-doers are in a schism far (from the Truth):
PICKTHAL: That He may make that which the devil proposeth a temptation for those in whose hearts is a disease, and those whose hearts are hardened – Lo! the evil-doers are in open schism –
SHAKIR: So that He may make what the Shaitan casts a trial for those in whose hearts is disease and those whose hearts are hard; and most surely the unjust are in a great opposition,
KHALIFA: He thus sets up the devil’s scheme as a test for those who harbor doubts in their hearts, and those whose hearts are hardened. The wicked must remain with the opposition.
৫৩। ইহা এ জন্য যে, শয়তান যে ইঙ্গিত নিক্ষেপ করে তিনি তা তাদের জন্য পরীক্ষা স্বরূপ করতে পারেন ২৮৩৩, যাদের অন্তরে [ অবিশ্বাসের ] ব্যাধি রয়েছে , এবং যাদের হৃদয় কঠিন হয়ে গেছে ২৮৩৪। পাপীরা [প্রকৃত সত্য থেকে ] বহুদূরে মতভেদে রয়েছে।
২৮৩৩। মানুষের মনের উপরে, চিন্তা ধারার উপরে শয়তানের প্রভাবকে এই আয়াতে বর্ণনা করা হয়েছে। এই প্রভাব হবে দ্বিবিধ এবং বিপরীতমুখী। পাপাত্মার জন্য শয়তানের প্ররোচনা হচ্ছে আল্লাহ্র তরফ থেকে পরীক্ষা স্বরূপ আর পূণ্যাত্মাদের জন্য তা হচ্ছে ঈমানের দৃঢ়তা বৃদ্ধির সহায়ক স্বরূপ; আল্লাহ্র ইচ্ছার কাছে আত্ম সমর্পনের ইচ্ছাকে আরও সুসংহত করণ।
২৮৩৪। দেখুন আয়াত [ ২ : ১০ ] যেখানে অন্তরের ব্যাধির কথা বলা হয়েছে। অন্তরের ব্যাধি হচ্ছে অভিশপ্ত আত্মার পূর্বাবস্থা। ব্যাধিগ্রস্থ আত্মা সত্যের আলো বঞ্চিত থাকে। গাছ যেরূপ দীর্ঘদিন সূর্যালোক বঞ্চিত অবস্থায় ধীরে ধীরে দুর্বল ও নিস্তেজ হয়ে পড়ে। ব্যাধি গ্রস্থ আত্মাও সেরূপ ধীরে ধীরে পাষাণের ন্যায় কঠিন হৃদয়ে পরিণত হয়।
আয়াতঃ 022.054
এবং এ কারণেও যে, যাদেরকে জ্ঞানদান করা হয়েছে; তারা যেন জানে যে এটা আপনার পালনকর্তার পক্ষ থেকে সত্য; অতঃপর তারা যেন এতে বিশ্বাস স্তাপন করে এবং তাদের অন্তর যেন এর প্রতি বিজয়ী হয়। আল্লাহই বিশ্বাস স্থাপনকারীকে সরল পথ প্রদর্শন করেন।
And that those who have been given knowledge may know that it (this Qur’ân) is the truth from your Lord, and that they may believe therein, and their hearts may submit to it with humility. And verily, Allâh is the Guide of those who believe, to the Straight Path.
وَلِيَعْلَمَ الَّذِينَ أُوتُوا الْعِلْمَ أَنَّهُ الْحَقُّ مِن رَّبِّكَ فَيُؤْمِنُوا بِهِ فَتُخْبِتَ لَهُ قُلُوبُهُمْ وَإِنَّ اللَّهَ لَهَادِ الَّذِينَ آمَنُوا إِلَى صِرَاطٍ مُّسْتَقِيمٍ
WaliyaAAlama allatheena ootoo alAAilma annahu alhaqqu min rabbika fayu/minoo bihi fatukhbita lahu quloobuhum wa-inna Allaha lahadi allatheena amanoo ila siratin mustaqeemin
YUSUFALI: And that those on whom knowledge has been bestowed may learn that the (Qur’an) is the Truth from thy Lord, and that they may believe therein, and their hearts may be made humbly (open) to it: for verily Allah is the Guide of those who believe, to the Straight Way.
PICKTHAL: And that those who have been given knowledge may know that it is the truth from thy Lord, so that they may believe therein and their hearts may submit humbly unto Him. Lo! Allah verily is guiding those who believe unto a right path.
SHAKIR: And that those who have been given the knowledge may know that it is the truth from your Lord, so they may believe in it and their hearts may be lowly before it; and most surely Allah is the Guide of those who believe into a right path.
KHALIFA: Those who are blessed with knowledge will recognize the truth from your Lord, then believe in it, and their hearts will readily accept it. Most assuredly, GOD guides the believers in the right path.
৫৪। এবং ইহা এ জন্য যে ২৮৩৫ যাদের জ্ঞান দেয়া হয়েছে, তারা যেনো শিখতে পারে যে ইহা [ কোর-আনই ] তোমার প্রভুর প্রেরিত সত্য, এবং তারা যেনো উহার প্রতি অনুগত হয়। যারা ঈমান আনে আল্লাহ্ তাদের সরল পথে পরিচালিত করেন।
২৮৩৫। দুধরনের লোকের কথা এই বাক্যাংশগুলির মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে। এই আয়াতের বাক্যাংশ ” যাহাদিগকে জ্ঞান দেওয়া … … … … প্রেরিত সত্য ” এবং ৫৩ নং আয়াতের বাক্যাংশ ” ইহা এ জন্য যে, … .. .. ব্যাধি রহিয়াছে ” এই দুদল লোকের কথা সমান্তরাল ভাবে বলা হয়েছে। এই দুদল লোকের বর্ণনাকে আয়াত নং ৫২ বাক্যাংশ দ্বারা ” অতঃপর আল্লাহ্ … … .. সুপ্রতিষ্ঠিত করেন।” সংযুক্ত করা যায়। দেখুন টিকা ২৮৩৩।
আয়াতঃ 022.055
কাফেররা সর্বদাই সন্দেহ পোষন করবে যে পর্যন্ত না তাদের কাছে আকস্মিকভাবে কেয়ামত এসে পড়ে অথবা এসে পড়ে তাদের কাছে এমন দিবসের শাস্তি যা থেকে রক্ষার উপায় নেই।
And those who disbelieve will not cease to be in doubt about it (this Qur’ân) until the Hour comes suddenly upon them, or there comes to them the torment of the Day after which there will be no night (i.e. the Day of Resurrection).
وَلَا يَزَالُ الَّذِينَ كَفَرُوا فِي مِرْيَةٍ مِّنْهُ حَتَّى تَأْتِيَهُمُ السَّاعَةُ بَغْتَةً أَوْ يَأْتِيَهُمْ عَذَابُ يَوْمٍ عَقِيمٍ
Wala yazalu allatheena kafaroo fee miryatin minhu hatta ta/tiyahumu alssaAAatu baghtatan aw ya/tiyahum AAathabu yawmin AAaqeemin
YUSUFALI: Those who reject Faith will not cease to be in doubt concerning (Revelation) until the Hour (of Judgment) comes suddenly upon them, or there comes to them the Penalty of a Day of Disaster.
PICKTHAL: And those who disbelieve will not cease to be in doubt thereof until the Hour come upon them unawares, or there come unto them the doom of a disastrous day.
SHAKIR: And those who disbelieve shall not cease to be in doubt concerning it until the hour overtakes them suddenly, or there comes on them the chastisement of a destructive day.
KHALIFA: As for those who disbelieve, they will continue to harbor doubts until the Hour comes to them suddenly, or until the retribution of a terrible day comes to them.
৫৫। যারা ঈমানকে প্রত্যাখান করে তারা [ প্রত্যাদেশ ] সম্পর্কে সন্দেহ পোষণ করতে থাকবে, যতক্ষণ না হঠাৎ করে তাদের সম্মুখে শেষ বিচারের দিন উপস্থিত হবে, অথবা তাদের সম্মুখে অমঙ্গল দিনের [ কিয়ামতের ] শাস্তি এসে পড়বে ২৮৩৬।
২৮৩৬। ইচ্ছাকৃত ভাবে আল্লাহকে অস্বীকার করার ফলে কাফেররা তাদের অন্তরে আল্লাহ্র হেদায়েত প্রবেশের সকল পথ রুদ্ধ করে দেয়। আল্লাহ্র করুণা , দয়া, রহমত সব কিছু সে হৃদয়ে উপলব্ধির করতে হয় অপারগ। এসব হৃদয় সন্দেহ ও কুসংস্কারের দোলায় সর্বদা দোদুল্যমান থাকবে, অর্থাৎ আল্লাহ্র প্রত্যাদেশে তাদের সন্দেহ বাতিকতা তাদের সমস্ত সত্তাকে গ্রাস করবে আমৃত্যু। মৃত্যুর পরে মিথ্যার আবরণ তাদের চোখের সামনে থেকে সরে যাবে, তারা প্রকৃত সত্যকে অনুধাবনে সক্ষম হবে,কিন্তু তখন আর অনুতাপের মাধ্যমে আত্মসংশোধনের কোনও সময় থাকবে না। আল্লাহ্র হেদায়েত পাওয়ার পক্ষে তা হবে সুদূর পরাহত।
আয়াতঃ 022.056
রাজত্ব সেদিন আল্লাহরই; তিনিই তাদের বিচার করবেন। অতএব যারা বিশ্বাস স্থাপন করে এবং সৎকর্ম সম্পাদন করে তারা নেয়ামত পূর্ণ কাননে থাকবে।
The sovereignty on that Day will be that of Allâh (the one Who has no partners). He will judge between them. So those who believed (in the Oneness of Allâh Islâmic Monotheism) and did righteous good deeds will be in Gardens of delight (Paradise).
الْمُلْكُ يَوْمَئِذٍ لِّلَّهِ يَحْكُمُ بَيْنَهُمْ فَالَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ فِي جَنَّاتِ النَّعِيمِ
Almulku yawma-ithin lillahi yahkumu baynahum faallatheena amanoo waAAamiloo alssalihati fee jannati alnnaAAeemi
YUSUFALI: On that Day of Dominion will be that of Allah: He will judge between them: so those who believe and work righteous deeds will be in Gardens of Delight.
PICKTHAL: The Sovereignty on that day will be Allah’s, He will judge between them. Then those who believed and did good works will be in Gardens of Delight,
SHAKIR: The kingdom on that day shall be Allah’s; He will judge between them; so those who believe and do good will be in gardens of bliss.
KHALIFA: All sovereignty on that day belongs to GOD, and He will judge among them. As for those who believe and lead a righteous life, they have deserved the gardens of bliss.
৫৬। সেদিন [ কেবলমাত্র ] আল্লাহ্র কাছেই ক্ষমতা থাকবে। তিনিই তাদের মধ্যে বিচার করবেন। সুতারাং যারা ঈমান আনে ও সৎ কাজ করে তারা আনন্দের বাগানে বাস করবে ২৮৩৭।
৫৭। এবং যারা ঈমানকে প্রত্যাখান করে এবং আমার নিদর্শনসমূহ মিথ্যা জেনেছে, তাদের জন্য আছে অপমানজনক শাস্তি।
২৮৩৭। যারা শয়তানের প্রলোভনের কাছে আত্মসমর্পন করে ,তাদের উপরেই শয়তানের প্রভুত্ব বিরাজ করে [ ১৭ : ৬২ – ৬৪]। সেই দিন অর্থাৎ শেষ বিচারের দিনে শয়তানের রাজত্বের হবে অবসান। শয়তানকে যে অবসর দান করা হয়েছিলো তা শেষ হয়ে যাবে, এবং সর্বত্র আল্লাহ্র আধিপত্য বিরাজ করবে।
আয়াতঃ 022.057
এবং যারা কুফরি করে এবং আমার আয়াত সমূহকে মিথ্যা বলে তাদের জন্যে লাঞ্ছনাকর শাস্তি রয়েছে।
And those who disbelieved and belied Our Verses (of this Qur’ân), for them will be a humiliating torment (in Hell).
وَالَّذِينَ كَفَرُوا وَكَذَّبُوا بِآيَاتِنَا فَأُوْلَئِكَ لَهُمْ عَذَابٌ مُّهِينٌ
Waallatheena kafaroo wakaththaboo bi-ayatina faola-ika lahum AAathabun muheenun
YUSUFALI: And for those who reject Faith and deny our Signs, there will be a humiliating Punishment.
PICKTHAL: While those who disbelieved and denied Our revelations, for them will be a shameful doom.
SHAKIR: And (as for) those who disbelieve in and reject Our communications, these it is who shall have a disgraceful chastisement.
KHALIFA: While those who disbelieved and rejected our revelations have incurred a shameful retribution.
৫৬। সেদিন [ কেবলমাত্র ] আল্লাহ্র কাছেই ক্ষমতা থাকবে। তিনিই তাদের মধ্যে বিচার করবেন। সুতারাং যারা ঈমান আনে ও সৎ কাজ করে তারা আনন্দের বাগানে বাস করবে ২৮৩৭।
৫৭। এবং যারা ঈমানকে প্রত্যাখান করে এবং আমার নিদর্শনসমূহ মিথ্যা জেনেছে, তাদের জন্য আছে অপমানজনক শাস্তি।
২৮৩৭। যারা শয়তানের প্রলোভনের কাছে আত্মসমর্পন করে ,তাদের উপরেই শয়তানের প্রভুত্ব বিরাজ করে [ ১৭ : ৬২ – ৬৪]। সেই দিন অর্থাৎ শেষ বিচারের দিনে শয়তানের রাজত্বের হবে অবসান। শয়তানকে যে অবসর দান করা হয়েছিলো তা শেষ হয়ে যাবে, এবং সর্বত্র আল্লাহ্র আধিপত্য বিরাজ করবে।
আয়াতঃ 022.058
যারা আল্লাহর পথে গৃহ ত্যাগ করেছে, এরপর নিহত হয়েছে অথবা মরে গেছে; আল্লাহ তাদেরকে অবশ্যই উৎকৃষ্ট জীবিকা দান করবেন এবং আল্লাহ সর্বোৎকৃষ্ট রিযিক দাতা।
Those who emigrated in the Cause of Allâh and after that were killed or died, surely, Allâh will provide a good provision for them. And verily, it is Allâh Who indeed is the Best of those who make provision.
وَالَّذِينَ هَاجَرُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ ثُمَّ قُتِلُوا أَوْ مَاتُوا لَيَرْزُقَنَّهُمُ اللَّهُ رِزْقًا حَسَنًا وَإِنَّ اللَّهَ لَهُوَ خَيْرُ الرَّازِقِينَ
Waallatheena hajaroo fee sabeeli Allahi thumma qutiloo aw matoo layarzuqannahumu Allahu rizqan hasanan wa-inna Allaha lahuwa khayru alrraziqeena
YUSUFALI: Those who leave their homes in the cause of Allah, and are then slain or die,- On them will Allah bestow verily a goodly Provision: Truly Allah is He Who bestows the best provision.
PICKTHAL: Those who fled their homes for the cause of Allah and then were slain or died, Allah verily will provide for them a good provision. Lo! Allah, He verily is Best of all who make provision.
SHAKIR: And (as for) those who fly in Allah’s way and are then slain or die, Allah will most certainly grant them a goodly sustenance, and most surely Allah is the best Giver of sustenance.
KHALIFA: Those who emigrate for the sake of GOD, then get killed, or die, GOD will surely shower them with good provisions. GOD is certainly the best Provider.
রুকু – ৮
৫৮। যারা আল্লাহ্র রাস্তায় তাদের ঘর-বাড়ী ত্যাগ করেছে এবং তারপরে নিহত হয়েছে অথবা মারা গেছে, তাদেরকে আল্লাহ্ এক উত্তম জীবিকা দান করবেন। প্রকৃতপক্ষে , তিনিই তো শ্রেষ্ঠ পুরষ্কার দাতা ২৮৩৮।
২৮৩৮। “Rizq” জীবিকা বা জীবনোপকরণ। রূপক অর্থে শেষোক্ত অর্থটি অধিক প্রযোজ্য। কারণ মৃত্যুর পরে রিয্ক শব্দটি অবশ্যই আক্ষরিক অর্থে ব্যবহৃত হবে না। তা রূপক বা আলংকারিক অর্থে ব্যবহৃত হবে। অর্থাৎ ভবিষ্যত জীবনকে সুখী ও সমৃদ্ধশালী করার জন্য যা কিছু প্রয়োজন এবং পৃথিবীতে তার উপরে যারা নির্ভরশীল এবং তাঁর প্রিয়জনদের ভবিষ্যত জীবনের নিরাপত্তার জন্য যা কিছু প্রয়োজন সবই এই রিয্ক শব্দটি দ্বারা প্রকাশ করা হয়েছে।
আয়াতঃ 022.059
তাদেরকে অবশ্যই এমন এক স্থানে পৌছাবেন, যাকে তারা পছন্দ করবে এবং আল্লাহ জ্ঞানময়, সহনশীল।
Truly, He will make them enter an entrance with which they shall be well-pleased, and verily, Allâh indeed is All-Knowing, Most Forbearing.
لَيُدْخِلَنَّهُم مُّدْخَلًا يَرْضَوْنَهُ وَإِنَّ اللَّهَ لَعَلِيمٌ حَلِيمٌ
Layudkhilannahum mudkhalan yardawnahu wa-inna Allaha laAAaleemun haleemun
YUSUFALI: Verily He will admit them to a place with which they shall be well pleased: for Allah is All-Knowing, Most Forbearing.
PICKTHAL: Assuredly He will cause them to enter by an entry that they will love. Lo! Allah verily is Knower, Indulgent.
SHAKIR: He will certainly cause them to enter a place of entrance which they shall be well pleased with, and most surely Allah is Knowing, Forbearing.
KHALIFA: Most assuredly, He will admit them an admittance that will please them. GOD is Omniscient, Clement.
৫৯। তিনি তাদের এমন স্থানে স্থাপন করবেন যা তারা পছন্দ করবে। অবশ্যই আল্লাহ্ সব জানেন ও পরম ধৈর্যশীল ২৮৩৯।
২৮৩৯। যারা আল্লাহ্র রাস্তায় নিহত হয় তারা শহীদ। সাধারণ পূণ্যাত্মাদের তুলনায় শহীদদের জন্য আছে আরও অধিক পুরষ্কার। তাদের সর্বোচ্চ ত্যাগ এবং আত্মনিবেদনের জন্য আল্লাহ্ তাদের পার্থিব সকল পাপ ক্ষমা করে দেবেন। আল্লাহ্ সর্বজ্ঞ। তিনি তাদের পৃথিবীর পূর্বের সকল কাজের খবর রাখেন। কিন্তু আল্লাহ্র রাস্তায় জীবন উৎসর্গ করার জন্য তাদের সমস্ত ক্রিয়া কর্ম জবাবদিহিতার উর্দ্ধে রাখা হয়। আল্লাহ্ তো সম্যক প্রজ্ঞাময়।
আয়াতঃ 022.060
এ তো শুনলে, যে ব্যক্তি নিপীড়িত হয়ে নিপীড়ন পরিমাণে প্রতিশোধ গ্রহণ করে এবং পুনরায় সে নিপীড়িত হয়, আল্লাহ অবশ্যই তাকে সাহায্য করবেন। নিশ্চয় আল্লাহ মার্জনাকারী ক্ষমাশীল।
That is so. And whoever has retaliated with the like of that which he was made to suffer, and then has again been wronged, Allâh will surely help him. Verily! Allâh indeed is Oft-Pardoning, Oft-Forgiving.
ذَلِكَ وَمَنْ عَاقَبَ بِمِثْلِ مَا عُوقِبَ بِهِ ثُمَّ بُغِيَ عَلَيْهِ لَيَنصُرَنَّهُ اللَّهُ إِنَّ اللَّهَ لَعَفُوٌّ غَفُورٌ
Thalika waman AAaqaba bimithli ma AAooqiba bihi thumma bughiya AAalayhi layansurannahu Allahu inna Allaha laAAafuwwun ghafoorun
YUSUFALI: That (is so). And if one has retaliated to no greater extent than the injury he received, and is again set upon inordinately, Allah will help him: for Allah is One that blots out (sins) and forgives (again and again).
PICKTHAL: That (is so). And whoso hath retaliated with the like of that which he was made to suffer and then hath (again) been wronged, Allah will succour him. Lo! Allah verily is Mild, Forgiving.
SHAKIR: That (shall be so); and he who retaliates with the like of that with which he has been afflicted and he has been oppressed, Allah will most certainly aid him; most surely Allah is Pardoning, Forgiving.
KHALIFA: It is decreed that if one avenges an injustice that was inflicted upon him, equitably, then he is persecuted because of this, GOD will surely support him. GOD is Pardoner, Forgiving.
৬০। ইহা (এরকমই) যদি কেহ অত্যাচারিত হয়ে তুল্য প্রতিশোধ নিয়ে থাকে ও পুণরায় সে অত্যাচারিত হয়, তাহলে আল্লাহ্ তাকে সাহায্য করবেন। আল্লাহ্- ই [ পাপ ] মোচন করেন , এবং বারে বারে ক্ষমা করেন ২৮৪০।
২৮৪০। সাধারণভাবে মুসলমানদের উপরে আল্লাহ্র হুকুম হচ্ছে মন্দের পরিবর্তে ভালো করা [ ২৩ : ৯৬ ]। কিন্তু এমন অনেক সময় আসে যখন সাধারণ মানুষের পক্ষে তা করা সম্ভব হয় না। সে সব ক্ষেত্রে মন্দের পরিবর্তে মন্দ বা ক্ষতির পরিবর্তে ক্ষতি করার ততটুকু হুকুম আছে যতটুকু তার প্রতি করা হয়েছে। যদি সমান প্রতিশোধ নেওয়ার পরেও ব্যাপারটি সেখানেই শেষ না হয়, এবং অপর পক্ষ যদি পুণরায় আক্রমণ করতে উদ্যত হয়, এবং সকল সীমারেখা অতিক্রম করে, সেক্ষেত্রে আমাদের সকল দোষ ত্রুটি সত্ত্বেও আমরা আল্লাহ্র সাহায্য পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করি। কারণ আল্লাহ্ পাপ মোচনকারী এবং পুণঃ পুণঃ ক্ষমাশীল।
আয়াতঃ 022.061
এটা এ জন্যে যে, আল্লাহ রাত্রিকে দিনের মধ্যে এবং দিনকে রাত্রির মধ্য দাখিল করে দেন এবং আল্লাহ সবকিছু শোনেন, দেখেন।
That is because Allâh merges the night into the day, and He merges the day into the night. And verily, Allâh is All-Hearer, All-Seer.
ذَلِكَ بِأَنَّ اللَّهَ يُولِجُ اللَّيْلَ فِي النَّهَارِ وَيُولِجُ النَّهَارَ فِي اللَّيْلِ وَأَنَّ اللَّهَ سَمِيعٌ بَصِيرٌ Thalika bi-anna Allaha yooliju allayla fee alnnahari wayooliju alnnahara fee allayli waanna Allaha sameeAAun baseerun
YUSUFALI: That is because Allah merges night into day, and He merges day into night, and verily it is Allah Who hears and sees (all things).
PICKTHAL: That is because Allah maketh the night to pass into the day and maketh the day to pass into the night, and because Allah is Hearer, Seer.
SHAKIR: That is because Allah causes the night to enter into the day and causes the day to enter into the night, and because Allah is Hearing, Seeing.
KHALIFA: It is a fact that GOD merges the night into the day, and merges the day into the night, and that GOD is Hearer, Seer.
৬১। ইহা এ জন্য যে, আল্লাহ্ রাত্রিকে প্রবেশ করান দিবসের মাঝে, এবং দিবসকে প্রবেশ করান রাত্রির মাঝে। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ [ সব ] শোনেন [ সব ] দেখেন ২৮৪১।
২৮৪১। অনেকের কাছে আল্লাহ্র গুণাবলীর বর্ণনাকে অদ্ভুদ ও সামঞ্জস্যহীন মনে হতে পারে। কারণ একই সাথে বলা হয়েছেঃ তিনি দয়ালু আবার সেই সাথে ন্যায় বিচারক, তিনি বান্দাকে রক্ষা করেন আবার সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ অর্থাৎ আল্লাহ্র রাস্তায় শহীদ হওয়ার জন্য আহ্বান করেছেন। একদিকে মন্দের পরিবর্তে ভালো করার আদেশ দান করেন, আবার সমপরিমাণ প্রতিশোধেরও অধিকার দান করেছেন। কিন্তু যারা অদূরদর্শী শুধু তারাই আল্লাহ্র সম্বন্ধে এরূপ চিন্তা করতে পারে। কারণ বিশ্ব প্রকৃতির মাঝে , আল্লাহ্র সৃষ্টির মাঝে এরূপ বহু সামঞ্জস্যহীনতা বিদ্যমান। ” আল্লাহ্ রাত্রিকে প্রবেশ করান দিবসের মধ্যে এবং দিবসকে প্রবিষ্ট করান রাত্রির মধ্যে।” অর্থাৎ আমাদের চেনা পৃথিবীর দিন রাত্রির হ্রাস-বৃদ্ধির উদাহরণ এখানে দেয়া হয়েছে। দিনের বা রাত্রির কোনও নির্দ্দিষ্ট সীমা রেখা নাই। বছরের কোনও সময়ে রাত্রি দিবসের মাঝে প্রবেশ করে দিবসকে সংক্ষিপ্ত করে ফেলে , আবার কখনও দিবস রাত্রির মাঝে প্রবেশ করে রাত্রিকে সংক্ষিপ্ত করে ফেলে। দিবা রাত্রির পরিবর্তিত অবস্থান সত্বেও রাত্রি হচ্ছে বিশ্রামের জন্য নির্দ্দিষ্ট। বিশ্ব প্রকৃতি সুপ্তির কোলে ঢলে পড়ে। দিন হচ্ছে কর্মচাঞ্চল্যের জন্য নির্দ্দিষ্ট। সূর্যের প্রদীপ্ত আলোতে ভাস্বর সুন্দর এই পৃথিবী হেসে ওঠে। এই পৃথিবীতে অসংখ্য সৃষ্টির মাঝে আল্লাহ্র শিল্পী সত্তা ও জ্ঞানের চিহ্ন ভাস্বর, যা মানুষের সর্বোচ্চ জ্ঞানও অনুধাবনে অক্ষম। ঠিক সেরকম এই পৃথিবীতে মানুষে মানুষে , সামাজিক অবস্থান ও পরস্পরের সম্পর্কের ক্ষেত্র অত্যন্ত জটিলতায় পরিপূর্ণ যা সব সময়ে আমাদের পক্ষে অনুধাবন সম্ভব নয়। একমাত্র আল্লাহ্র পক্ষেই সম্ভব এসব সুক্ষ ভেদাভেদ সম্পর্কে অবহিত হওয়া এবং তাঁর সৃষ্ট জীবের আবেদনে সাড়া দেওয়া।
আয়াতঃ 022.062
এটা এ কারণেও যে, আল্লাহই সত্য; আর তাঁর পরিবর্তে তারা যাকে ডাকে, তা অসত্য এবং আল্লাহই সবার উচ্চে, মহান।
That is because Allâh He is the Truth (the only True God of all that exists, Who has no partners or rivals with Him), and what they (the polytheists) invoke besides Him, it is Bâtil (falsehood) And verily, Allâh He is the Most High, the Most Great.
ذَلِكَ بِأَنَّ اللَّهَ هُوَ الْحَقُّ وَأَنَّ مَا يَدْعُونَ مِن دُونِهِ هُوَ الْبَاطِلُ وَأَنَّ اللَّهَ هُوَ الْعَلِيُّ الْكَبِيرُ
Thalika bi-anna Allaha huwa alhaqqu waanna ma yadAAoona min doonihi huwa albatilu waanna Allaha huwa alAAaliyyu alkabeeru
YUSUFALI: That is because Allah – He is the Reality; and those besides Him whom they invoke,- they are but vain Falsehood: verily Allah is He, Most High, Most Great.
PICKTHAL: That is because Allah, He is the True, and that whereon they call instead of Him, it is the false, and because Allah, He is the High, the Great.
SHAKIR: That is because Allah is the Truth, and that what they call upon besides Him– that is the falsehood, and because Allah is the High, the Great.
KHALIFA: It is a fact that GOD is the Truth, while the setting up of any idolsbeside Him constitutes a falsehood, and that GOD is the Most High, the Supreme.
৬২। ইহা এই কারেণ যে, আল্লাহ্ – তিনিই সত্য ২৮৪২; এবং তিনি ব্যতীত তারা যা উদ্ভাবন করে সবই মিথ্যা, তিনিই আল্লাহ্ যিনি মহান, শ্রেষ্ঠ ২৮৪৩।
২৮৪২। এই আয়াতে অত্যন্ত জোরালো ভাবে এবং সুস্পষ্টভাবে আল্লাহ্র প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। আল্লাহ্-ই একমাত্র সত্য। তিনি ব্যতীত আর সবই ছায়া সদৃশ্য যার কোনও নিজস্ব অস্তিত্ব নাই।
২৮৪৩। মানুষ কল্পনার দ্বারা আল্লাহ্র প্রতিপক্ষ দাঁড় করায় যার কোন বাস্তব ভিত্তি নাই। মানুষ এই সব ভিত্তিহীন বস্তুর উপাসনার পরিবর্তে এক আল্লাহ্র উপাসনা করবে।
আয়াতঃ 022.063
তুমি কি দেখ না যে, আল্লাহ আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করেন, অতঃপর ভূপৃষ্ট সবুজ-শ্যামল হয়ে উঠে। নিশ্চয় আল্লাহ সুক্ষদর্শী, সর্ববিষয়ে খবরদার।
See you not that Allâh sends down water (rain) from the sky, and then the earth becomes green? Verily, Allâh is the Most Kind and Courteous, Well-Acquainted with all things.
أَلَمْ تَرَ أَنَّ اللَّهَ أَنزَلَ مِنَ السَّمَاء مَاء فَتُصْبِحُ الْأَرْضُ مُخْضَرَّةً إِنَّ اللَّهَ لَطِيفٌ خَبِيرٌ
Alam tara anna Allaha anzala mina alssama-i maan fatusbihu al-ardu mukhdarratan inna Allaha lateefun khabeerun
YUSUFALI: Seest thou not that Allah sends down rain from the sky, and forthwith the earth becomes clothed with green? for Allah is He Who understands the finest mysteries, and is well-acquainted (with them).
PICKTHAL: Seest thou not how Allah sendeth down water from the sky and then the earth becometh green upon the morrow? Lo! Allah is Subtile, Aware.
SHAKIR: Do you not see that Allah sends down water from the cloud so the earth becomes green? Surely Allah is Benignant, Aware.
KHALIFA: Do you not see that GOD sends down from the sky water that turns the land green? GOD is Sublime, Cognizant.
৬৩। তোমরা কি দেখ না যে, আল্লাহ্ আকাশ থেকে বৃষ্টি বর্ষণ করেন, এবং [ ফলে ] অবিলম্বে পৃথিবী সবুজ চাঁদরে ঢেকে যায় ? [ একমাত্র ] আল্লাহ্ -ই [ সৃষ্টির ] সুক্ষ রহস্য বুঝতে পারেন এবং [ তার সাথে ] সুপরিজ্ঞাত ২৮৪৪।
২৮৪৪। “Latif ” আল্লাহ্র আর এক নাম। এর সঠিক অর্থ প্রকাশ করা ভাষার পক্ষে দুঃসাধ্য। এর ধারণা অন্তরে ধারণ করা মানুষের অনুধাবন ক্ষমতার সর্বোচ্চ বিকাশের পক্ষেও কষ্টকর। তবুও এই শব্দটি দ্বারা সর্বশক্তিমান আল্লাহ্র যে সব গুণবাচক বিশেণকে প্রকাশ করা হয়েছে তা নিম্নরূপ : ১) সুক্ষদর্শী অন্তর্দশী, ২) এত সুক্ষ যে মানুষের দৃষ্টিসীমার বাইরে , ৩) এত পবিত্র যে ধারণা শক্তির অতীত, ৪) এত স্বয়ং সম্পূর্ণ যে পৃথিবীর সকল অতি সুক্ষ পার্থক্য এবং রহস্য বুঝতে সক্ষম ৫) এত দয়ালু এবং মহৎ যার দয়া ও মহত্বের প্রকাশ সর্বোচ্চ। মানুষের প্রতি তাঁর দয়া, করুণা ও অনুগ্রহ ধারণার অতীত। আল্লাহ্র নাম স্মরণের সাথে সাথে আল্লাহ্র এই গুণবাচক বিশেষণ গুলিকে হৃদয়ে অনুভবের চেষ্টা করা প্রয়োজন।
আয়াতঃ 022.064
নভোমন্ডল ও ভুপৃষ্ঠে যা কিছু আছে, সব তাঁরই এবং আল্লাহই অভাবমুক্ত প্রশংসার অধিকারী।
To Him belongs all that is in the heavens and all that is on the earth. And verily, Allâh He is Rich (Free of all wants), Worthy of all praise.
لَهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الْأَرْضِ وَإِنَّ اللَّهَ لَهُوَ الْغَنِيُّ الْحَمِيدُ
Lahu ma fee alssamawati wama fee al-ardi wa-inna Allaha lahuwa alghaniyyu alhameedu
YUSUFALI: To Him belongs all that is in the heavens and on earth: for verily Allah,- He is free of all wants, Worthy of all Praise.
PICKTHAL: Unto Him belongeth all that is in the heavens and all that is in the earth. Lo! Allah, He verily is the Absolute, the Owner of Praise.
SHAKIR: His is whatsoever is in the heavens and whatsoever is in the earth; and most surely Allah is the Self-sufficient, the Praised.
KHALIFA: To Him belongs everything in the heavens and everything on earth. Absolutely, GOD is the Most Rich, Most Praiseworthy.
৬৪। আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে সবই আল্লাহ্র অধীনে। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ সকল অভাবমুক্ত সকল প্রশংসার যোগ্য ২৮৪৫।
২৮৪৫। আয়াত [ ২২ : ৬১ – ৬৩ ] গুলিতে আল্লাহ্র প্রতি আরোপিত তাঁর গুণবাচক বিশেষণ গুলির কয়েকটির উল্লেখ আছে। যা ঐ সব আয়াতের সাথে সামঞ্জস্য পূর্ণ। এই আয়াতে পূর্ববর্তী সকল আয়াতের বক্তব্যকে সারসংক্ষেপ করা হয়েছে এবং আল্লাহ্র প্রতি আর দুটো গুণবাচক বিশেষণ বা নাম আরোপ করা হয়েছে। তিনি “অভাবমুক্ত” ও “প্রশংসার যোগ্য “। আল্লাহ্র দয়া ও করুণার ধারণা পৃথিবীতে কোন কিছুর সাথে তুলনা করা যায় না। পৃথিবীর সকল কিছুই একে অন্যের উপরে নির্ভরশীল, এবং সকলেই প্রতিটি কর্মের জন্য প্রতিদান আশা করে , এমনকি নিঃস্বার্থ যে দান , তাও সম্পূর্ণ নিঃস্বার্থ নয় কারণ পরকালে সমুন্নত জীবনের আশায়, আল্লাহ্র ওয়াস্তে সে দান করা হয়। সুতারাং সম্পূর্ণ প্রতিদান বিহীন বা কোন কিছুর আশা না করে কেউ এ পৃথিবীতে কিছু করে না। এখানেই আল্লাহ্র করুণা ও দয়ার সাথে পৃথিবীর মানুষের কৃত সর্বোচ্চ দয়া ও করুণার পার্থক্য। আল্লাহ্ তাঁর সৃষ্ট পদার্থ থেকে কিছুই আশা করেন না। তিনি অভাবমুক্ত। আল্লাহ্ তাঁর সৃষ্ট পদার্থের উপরে নির্ভরশীল নন। সুতারাং তাঁর দয়া ও করুণা পার্থিব দয়া ও করুণার সাথে তুলনীয় নয়। তা কোনও কবির লেখনী সম্পূর্ণ রূপে বর্ণনা করতে অক্ষম। একমাত্র আমাদের আন্তরিক ও ভক্তিপ্লুত হৃদয়ের ভালোবাসা থেকে যে সঙ্গীতের সৃষ্টি হয় তাই পারে আল্লাহ্র করুণা ও দয়ার কণামাত্র বর্ণনা করতে। দেখুন [ ২ : ৬৭ ]
আয়াতঃ 022.065
তুমি কি দেখ না যে, ভূপৃষ্টে যা আছে এবং সমুদ্রে চলমান নৌকা তৎসমুদয়কে আল্লাহ নিজ আদেশে তোমাদের অধীন করে দিয়েছেন এবং তিনি আকাশ স্থির রাখেন, যাতে তাঁর আদেশ ব্যতীত ভূপৃষ্টে পতিত না হয়। নিশ্চয় আল্লাহ মানুষের প্রতি করুণাশীল, দয়াবান।
See you not that Allâh has subjected to you (mankind) all that is on the earth, and the ships that sail through the sea by His Command? He withholds the heaven from falling on the earth except by His Leave. Verily, Allâh is, for mankind, full of Kindness, Most Merciful.
أَلَمْ تَرَ أَنَّ اللَّهَ سَخَّرَ لَكُم مَّا فِي الْأَرْضِ وَالْفُلْكَ تَجْرِي فِي الْبَحْرِ بِأَمْرِهِ وَيُمْسِكُ السَّمَاء أَن تَقَعَ عَلَى الْأَرْضِ إِلَّا بِإِذْنِهِ إِنَّ اللَّهَ بِالنَّاسِ لَرَؤُوفٌ رَّحِيمٌ
Alam tara anna Allaha sakhkhara lakum ma fee al-ardi waalfulka tajree fee albahri bi-amrihi wayumsiku alssamaa an taqaAAa AAala al-ardi illa bi-ithnihi inna Allaha bialnnasi laraoofun raheemun
YUSUFALI: Seest thou not that Allah has made subject to you (men) all that is on the earth, and the ships that sail through the sea by His Command? He withholds the sky (rain) from failing on the earth except by His leave: for Allah is Most Kind and Most Merciful to man.
PICKTHAL: Hast thou not seen how Allah hath made all that is in the earth subservient unto you? And the ship runneth upon the sea by His command, and He holdeth back the heaven from falling on the earth unless by His leave. Lo! Allah is, for mankind, Full of Pity, Merciful.
SHAKIR: Do you not see that Allah has made subservient to you whatsoever is in the earth and the ships running in the sea by His command? And He withholds the heaven from falling on the earth except with His permission; most surely Allah is Compassionate, Merciful to men.
KHALIFA: Do you not see that GOD has committed in your service everything on earth? The ships run in the ocean by His command. He prevents the heavenly bodies from crashing onto the earth, except in accordance with His command. GOD is Most Kind towards the people, Most Merciful.
রুকু – ৯
৬৫। [ হে মানুষ ] তোমরা কি দেখ না যে, আল্লাহ্ তোমাদের কল্যাণে নিয়োজিত করেছেন পৃথিবীর সকল কিছুকে এবং তাঁর আদেশে সমুদ্রে বিচরণশীল নৌযান সমূহকে ২৮৪৬ ? তাঁর অনুমতি ব্যতীত পৃথিবীর উপরে আকাশের [বৃষ্টির] পতনকে তিনিই ধরে রাখেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ মানুষের প্রতি দয়ালু ও পরম করুণাময় ২৮৪৭।
২৮৪৬। স্থলভাগ ও সমুদ্রকে আল্লাহ্ মানুষের আয়ত্বাধীন করে দিয়েছেন, যেনো মানুষ এদের উপরে আধিপত্য বিস্তার করতে পারে ও নিজের জীবন গড়তে পারে।
২৮৪৭। “Samaa” অর্থ ১) সুউচ্চ কোন কিছু, ২) ছাদ, ৩) আকাশ বা আকাশের সামিয়ানা ,৪) মেঘ বা বৃষ্টি। যদিও অধিকাংশ তফসীরকারগণ ” আকাশ ” শব্দটি ব্যবহার করেছেন , তবে মওলানা ইউসুফ আলী সাহেবের মতে শেষ অর্থটি হবে অধিক প্রযোজ্য। যদি বৃষ্টি কে ধরা হয় তবে সম্পূর্ণ আয়াতটি যে ভাবের প্রকাশ করে তা হচ্ছে তিনটি জিনিষ পৃথিবীতে মানুষের জীবন ধারাকে নিয়ন্ত্রিত করে মাটি, সমুদ্র ও বাতাস। বৃষ্টি হচ্ছে আল্লাহ্র করুণাধারার প্রতীক। তিনি মানুষের কল্যাণের জন্য বৃষ্টিকে নিয়ন্ত্রিত করেন।
আয়াতঃ 022.066
তিনিই তোমাদেরকে জীবিত করেছেন, অতঃপর তিনিই তোমাদেরকে মৃত্যুদান করবেন ও পুনরায় জীবিত করবেন। নিশ্চয় মানুষ বড় অকৃতজ্ঞ।
It is He, Who gave you life, and then will cause you to die, and will again give you life (on the Day of Resurrection). Verily! Man is indeed an ingrate.
وَهُوَ الَّذِي أَحْيَاكُمْ ثُمَّ يُمِيتُكُمْ ثُمَّ يُحْيِيكُمْ إِنَّ الْإِنسَانَ لَكَفُورٌ
Wahuwa allathee ahyakum thumma yumeetukum thumma yuhyeekum inna al-insana lakafoorun
YUSUFALI: It is He Who gave you life, will cause you to die, and will again give you life: Truly man is a most ungrateful creature!
PICKTHAL: And He it is Who gave you life, then He will cause you to die, and then will give you life (again). Lo! man is verily an ingrate.
SHAKIR: And He it is Who has brought you to life, then He will cause you to die, then bring you to life (again); most surely man is ungrateful.
KHALIFA: He is the One who granted you life, then He puts you to death, then He brings you back to life. Surely, the human being is unappreciative.
৬৬। তিনিই তোমাদের জীবন দান করেছেন ও মৃত্যু ঘটাবেন এবং পুণরায় তোমাদের জীবন দান করবেন। সত্যই, মানুষ এক অতি অকৃতজ্ঞ প্রাণী।
৬৭। প্রত্যেক সম্প্রদায়ের জন্য আমি ধর্মীয় আচার – অনুষ্ঠান নির্ধারিত করেছি ২৮৪৮, যা অবশ্যই তারা অনুসরণ করবে। সুতারাং তারা যেনো এই ব্যাপারে তোমার সাথে বির্তক না করে। কিন্তু তুমি [ তাদের ] তোমার প্রভুর দিকে আহ্বান কর। অবশ্যই তুমি সঠিক পথে রয়েছ।
২৮৪৮। এই আয়াতের অর্থ এই যে, মুশরেক ও ইসলাম বিদ্বেষীরা ইসলামী শরীয়তের বিধানকারীর বিরুদ্ধে তর্ক-বির্তক শুরু করে। আল্লাহ্ প্রত্যেক উম্মতকে তার সময়ের উপযোগী বিশেষ শরীয়ত বা ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও কিতাব দিয়েছেন। আল্লাহ্র নিকট থেকে পরবর্তী নির্দ্দেশ না আসা পর্যন্ত তা তাদের জন্য বৈধ ছিলো। রসুলের (সা) আগমনে তাদের অনুধাবন করা উচিত ছিলো যে নূতন বিধান সকলের জন্য প্রযোজ্য। কিণ্তু তারা তা করে না কারণ সাধারণ মানুষ ধর্মের মূল বিষয় অপেক্ষা ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানকে অধিক গুরুত্ব প্রদান করে। এ কথা সত্যি যে, ধর্মীয় ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানের জন্য, সংঘবদ্ধ জীবন ধারণের জন্য ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান ও লৌকিকতা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। কারণ এসব আনুষ্ঠানিকতার প্রভাব সমাজ জীবনে ও ব্যক্তিজীবনে অপরিসীম গুরুত্ব বহন করে। যদিও এসব আনুষ্ঠানিকতা ধর্মীয় অনুশাসনের প্রতীক স্বরূপ, তবুও অনেক সময়ে দেখা যায় সাধারণ মানুষ ধর্মের গুঢ় অন্তর্নিহিত শিক্ষাকে অনুধাবনের পরিবর্তে এ সব বাহ্যিক আনুষ্ঠানিকতাকে ধর্ম হিসেবে গ্রহণ করে এবং তর্ক-বির্তক ও বাক্-বিতন্ডা শুরু করে। এ কথা রসুলের সময়ে মোশরেক ও ইসলাম বিদ্বেষীদের জন্য যেমন প্রযোজ্য ছিলো, আজও তা সমভাবে প্রযোজ্য। এ সব বাদানুবাদ ও তর্ক-বিতর্ক অবশ্যই নিন্দার্হ। কিণ্তু তাই বলে এ কথা বলা যাবে না যে, ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতার প্রয়োজন নাই বা এগুলি অর্থহীন। ইসলামের দৃষ্টিতে সংঘবদ্ধ জীবনের জন্য, সামাজিক একতার জন্য এবং ধর্মীয় মূল্যবোধ বিকাশের জন্য এসব ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও লৌকিকতার প্রয়োজন সমাধিক। এখানেই প্রয়োজন হবে মানুষের অন্তর্দৃষ্টি এবং বিবেকের। আনুষ্ঠানিকতা ও লৌকিকতা যেনো ধর্মীয় মূল্যবোধকে অতিক্রম না করে যায়। আর তা করেছিলো দেখেই মোশরেক ও ইসলাম বিদ্বেষীরা রসুলের (সা) প্রচারিত দ্বীনের আনুষ্ঠানিকতার সৌন্দর্যকে উপলদ্ধি করতে পারে নাই। ইসলামে এই ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা সমূহ এমনভাবে আরোপ করা হয়েছে যা মানুষের আধ্যাত্মিক ও সামাজিক বিকাশের সহায়ক। এই আয়াতে রসুলকে (সা) আল্লাহ্ নির্দ্দেশ দিয়েছেন সমগ্র মানব গোষ্ঠিকে দ্বীনের প্রতি আহ্বান করার জন্য। এই আহ্বানের বার্তা এখন পর্যন্ত প্রযোজ্য। যদি আমরা আমাদের বিবেক থেকে জানি যে আমরা আমাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও লৌকিকতাকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে সক্ষম হয়েছি, তবে সকলকে আমরা আমাদের সংঘবদ্ধ জীবনে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছাতে দ্বিধা করবো না। সকলকে জানাতে হবে যে, বাদানুবাদ বা র্তক-বির্তক নয়, আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে বৃহত্তর ও মহত্তর জীবনের সন্ধান লাভ করাই হচ্ছে ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতার মূল উদ্দেশ্য।
আয়াতঃ 022.067
আমি প্রত্যেক উম্মতের জন্যে এবাদতের একটি নিয়ম-কানুন নির্ধারণ করে দিয়েছি, যা তারা পালন করে। অতএব তারা যেন এ ব্যাপারে আপনার সাথে বিতর্ক না করে। আপনি তাদেরকে পালনকর্তার দিকে আহবান করুন। নিশ্চয় আপনি সরল পথেই আছেন।
For every nation We have ordained religious ceremonies [e.g. slaughtering of the beast of cattle during the three days of stay at Mîna (Makkah) during the Hajj (pilgrimage)] which they must follow; so let them (pagans) not dispute with you on the matter (i.e. to eat of the cattle which you slaughter, and not to eat of cattle which Allâh kills by its natural death), but invite them to your Lord. Verily! You (O Muhammad SAW) indeed are on the (true) straight guidance. (i.e. the true religion of Islâmic Monotheism).
لِكُلِّ أُمَّةٍ جَعَلْنَا مَنسَكًا هُمْ نَاسِكُوهُ فَلَا يُنَازِعُنَّكَ فِي الْأَمْرِ وَادْعُ إِلَى رَبِّكَ إِنَّكَ لَعَلَى هُدًى مُّسْتَقِيمٍ
Likulli ommatin jaAAalna mansakan hum nasikoohu fala yunaziAAunnaka fee al-amri waodAAu ila rabbika innaka laAAala hudan mustaqeemin
YUSUFALI: To every People have We appointed rites and ceremonies which they must follow: let them not then dispute with thee on the matter, but do thou invite (them) to thy Lord: for thou art assuredly on the Right Way.
PICKTHAL: Unto each nation have We given sacred rites which they are to perform; so let them not dispute with thee of the matter, but summon thou unto thy Lord. Lo! thou indeed followest right guidance.
SHAKIR: To every nation We appointed acts of devotion which they observe, therefore they should not dispute with you about the matter and call to your Lord; most surely you are on a right way.
KHALIFA: For each congregation, we have decreed a set of rites that they must uphold. Therefore, they should not dispute with you. You shall continue to invite everyone to your Lord. Most assuredly, you are on the right path.
৬৬। তিনিই তোমাদের জীবন দান করেছেন ও মৃত্যু ঘটাবেন এবং পুণরায় তোমাদের জীবন দান করবেন। সত্যই, মানুষ এক অতি অকৃতজ্ঞ প্রাণী।
৬৭। প্রত্যেক সম্প্রদায়ের জন্য আমি ধর্মীয় আচার – অনুষ্ঠান নির্ধারিত করেছি ২৮৪৮, যা অবশ্যই তারা অনুসরণ করবে। সুতারাং তারা যেনো এই ব্যাপারে তোমার সাথে বির্তক না করে। কিন্তু তুমি [ তাদের ] তোমার প্রভুর দিকে আহ্বান কর। অবশ্যই তুমি সঠিক পথে রয়েছ।
২৮৪৮। এই আয়াতের অর্থ এই যে, মুশরেক ও ইসলাম বিদ্বেষীরা ইসলামী শরীয়তের বিধানকারীর বিরুদ্ধে তর্ক-বির্তক শুরু করে। আল্লাহ্ প্রত্যেক উম্মতকে তার সময়ের উপযোগী বিশেষ শরীয়ত বা ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও কিতাব দিয়েছেন। আল্লাহ্র নিকট থেকে পরবর্তী নির্দ্দেশ না আসা পর্যন্ত তা তাদের জন্য বৈধ ছিলো। রসুলের (সা) আগমনে তাদের অনুধাবন করা উচিত ছিলো যে নূতন বিধান সকলের জন্য প্রযোজ্য। কিণ্তু তারা তা করে না কারণ সাধারণ মানুষ ধর্মের মূল বিষয় অপেক্ষা ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানকে অধিক গুরুত্ব প্রদান করে। এ কথা সত্যি যে, ধর্মীয় ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানের জন্য, সংঘবদ্ধ জীবন ধারণের জন্য ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান ও লৌকিকতা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। কারণ এসব আনুষ্ঠানিকতার প্রভাব সমাজ জীবনে ও ব্যক্তিজীবনে অপরিসীম গুরুত্ব বহন করে। যদিও এসব আনুষ্ঠানিকতা ধর্মীয় অনুশাসনের প্রতীক স্বরূপ, তবুও অনেক সময়ে দেখা যায় সাধারণ মানুষ ধর্মের গুঢ় অন্তর্নিহিত শিক্ষাকে অনুধাবনের পরিবর্তে এ সব বাহ্যিক আনুষ্ঠানিকতাকে ধর্ম হিসেবে গ্রহণ করে এবং তর্ক-বির্তক ও বাক্-বিতন্ডা শুরু করে। এ কথা রসুলের সময়ে মোশরেক ও ইসলাম বিদ্বেষীদের জন্য যেমন প্রযোজ্য ছিলো, আজও তা সমভাবে প্রযোজ্য। এ সব বাদানুবাদ ও তর্ক-বিতর্ক অবশ্যই নিন্দার্হ। কিণ্তু তাই বলে এ কথা বলা যাবে না যে, ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতার প্রয়োজন নাই বা এগুলি অর্থহীন। ইসলামের দৃষ্টিতে সংঘবদ্ধ জীবনের জন্য, সামাজিক একতার জন্য এবং ধর্মীয় মূল্যবোধ বিকাশের জন্য এসব ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও লৌকিকতার প্রয়োজন সমাধিক। এখানেই প্রয়োজন হবে মানুষের অন্তর্দৃষ্টি এবং বিবেকের। আনুষ্ঠানিকতা ও লৌকিকতা যেনো ধর্মীয় মূল্যবোধকে অতিক্রম না করে যায়। আর তা করেছিলো দেখেই মোশরেক ও ইসলাম বিদ্বেষীরা রসুলের (সা) প্রচারিত দ্বীনের আনুষ্ঠানিকতার সৌন্দর্যকে উপলদ্ধি করতে পারে নাই। ইসলামে এই ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা সমূহ এমনভাবে আরোপ করা হয়েছে যা মানুষের আধ্যাত্মিক ও সামাজিক বিকাশের সহায়ক। এই আয়াতে রসুলকে (সা) আল্লাহ্ নির্দ্দেশ দিয়েছেন সমগ্র মানব গোষ্ঠিকে দ্বীনের প্রতি আহ্বান করার জন্য। এই আহ্বানের বার্তা এখন পর্যন্ত প্রযোজ্য। যদি আমরা আমাদের বিবেক থেকে জানি যে আমরা আমাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও লৌকিকতাকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে সক্ষম হয়েছি, তবে সকলকে আমরা আমাদের সংঘবদ্ধ জীবনে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছাতে দ্বিধা করবো না। সকলকে জানাতে হবে যে, বাদানুবাদ বা র্তক-বির্তক নয়, আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে বৃহত্তর ও মহত্তর জীবনের সন্ধান লাভ করাই হচ্ছে ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতার মূল উদ্দেশ্য।
আয়াতঃ 022.068
তারা যদি আপনার সাথে বিতর্ক করে, তবে বলে দিন, তোমরা যা কর, সে সর্ম্পকে আল্লাহ অধিক জ্ঞাত।
And if they argue with you (as regards the slaughtering of the sacrifices), say; ”Allâh knows best of what you do.
وَإِن جَادَلُوكَ فَقُلِ اللَّهُ أَعْلَمُ بِمَا تَعْمَلُونَ
Wa-in jadalooka faquli Allahu aAAlamu bima taAAmaloona
YUSUFALI: If they do wrangle with thee, say, “Allah knows best what it is ye are doing.”
PICKTHAL: And if they wrangle with thee, say: Allah is Best Aware of what ye do.
SHAKIR: And if they contend with you, say: Allah best knows what you do.
KHALIFA: If they argue with you, then say, “GOD is fully aware of everything you do.”
৬৮। যদি তারা তোমার সাথে বিতন্ডা করে তবে বল, ” তোমরা যা করছো সে সম্বন্ধে আল্লাহ্-ই সবচেয়ে ভালো জানেন। ” ২৮৪৯।
২৮৪৯। মানুষ সঠিক জ্ঞান লাভ না করা সত্বেও বিবাদ -বিতন্ডা করে থাকে, বিশেষতঃ দ্বীনের ব্যাপারে কথাটি অধিক প্রযোজ্য। দেখা যায় ধর্মীয় জ্ঞান বা ধর্মের ব্যাপারে আন্তরিকতা না থাকা সত্বেও মানুষ বৃথা র্তকবির্তকে লিপ্ত হয়। মানুষের প্রতিটি কর্ম ও কর্মের উদ্দেশ্য বা নিয়ত আল্লাহ্র নিকট সুস্পষ্ট। এই নিয়তের প্রেক্ষিতেই পরলোকে তাদের ধর্মানুরাগকে বিচার করা হবে, শুধুমাত্র তাদের বাদানুবাদের প্রেক্ষিতে নয়।
আয়াতঃ 022.069
তোমরা যে বিষয়ে মতবিরোধ করছ, আল্লাহ কিয়ামতের দিন সেই বিষয়ে তোমাদের মধ্যে ফায়সালা করবেন।
”Allâh will judge between you on the Day of Resurrection about that wherein you used to differ.”
اللَّهُ يَحْكُمُ بَيْنَكُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فِيمَا كُنتُمْ فِيهِ تَخْتَلِفُونَ
Allahu yahkumu baynakum yawma alqiyamati feema kuntum feehi takhtalifoona
YUSUFALI: “Allah will judge between you on the Day of Judgment concerning the matters in which ye differ.”
PICKTHAL: Allah will judge between you on the Day of Resurrection concerning that wherein ye used to differ.
SHAKIR: Allah will judge between you on the day of resurrection respecting that in which you differ.
KHALIFA: GOD will judge among you on the Day of Resurrection regarding all your disputes.
৬৯। যে বিষয়ে তোমরা মতভেদে রয়েছ সে ব্যাপারে , শেষ বিচারের দিনে আল্লাহ্ -ই তোমাদের মধ্যে বিচার করে দেবেন।
৭০। তোমরা কি জান না আকাশ ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে আল্লাহ্ সব জানেন ? নিশ্চয়ই এ সকলই নথিতে [ লেখা আছে ] এবং আল্লাহ্র জন্য তা অতি সহজ ২৮৫১।
২৮৫১। এই আয়াতের মাধ্যমেই আল্লাহ্র এক বিশেষ ক্ষমতা বা গুণের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। আল্লাহ্র জ্ঞান স্বয়ং সম্পূর্ণ , ব্যপক , এবং নির্ভুলভাবে সংরক্ষিত। মানুষের জ্ঞানের পরিধি সীমাবদ্ধ। আর এই সীমাবদ্ধ জ্ঞানকে নির্ভুল ভাবে লিপিবদ্ধ না করলে মানুষ ভুলে যায়। কিন্তু আল্লাহ্র জ্ঞান অসীম। সীমার বাঁধনে তা আবদ্ধ করা যায় না। আকাশ -পৃথিবীর সকল কিছুর জ্ঞান তাঁর স্বতঃস্ফুর্ত জ্ঞান এবং সব কিছু সংরক্ষিত থাকে। মহাকালের গর্ভে কিছুই হারিয়ে যায় না।
আয়াতঃ 022.070
তুমি কি জান না যে, আল্লাহ জানেন যা কিছু আকাশে ও ভুমন্ডলে আছে এসব কিতাবে লিখিত আছে। এটা আল্লাহর কাছে সহজ।
Know you not that Allâh knows all that is in heaven and on earth? Verily, it is (all) in the Book (Al-Lauh Al-Mahfûz). Verily! That is easy for Allâh.
أَلَمْ تَعْلَمْ أَنَّ اللَّهَ يَعْلَمُ مَا فِي السَّمَاء وَالْأَرْضِ إِنَّ ذَلِكَ فِي كِتَابٍ إِنَّ ذَلِكَ عَلَى اللَّهِ يَسِيرٌ
Alam taAAlam anna Allaha yaAAlamu ma fee alssama-i waal-ardi inna thalika fee kitabin inna thalika AAala Allahi yaseerun
YUSUFALI: Knowest thou not that Allah knows all that is in heaven and on earth? Indeed it is all in a Record, and that is easy for Allah.
PICKTHAL: Hast thou not known that Allah knoweth all that is in the heaven and the earth? Lo! it is in a record. Lo! that is easy for Allah.
SHAKIR: Do you not know that Allah knows what is in the heaven and the earth? Surely this is in a book; surely this is easy to Allah.
KHALIFA: Do you not realize that GOD knows everything in the heavens and everything on earth? All this is recorded in a record. This is easy for GOD to do.
৬৯। যে বিষয়ে তোমরা মতভেদে রয়েছ সে ব্যাপারে , শেষ বিচারের দিনে আল্লাহ্ -ই তোমাদের মধ্যে বিচার করে দেবেন।
৭০। তোমরা কি জান না আকাশ ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে আল্লাহ্ সব জানেন ? নিশ্চয়ই এ সকলই নথিতে [ লেখা আছে ] এবং আল্লাহ্র জন্য তা অতি সহজ ২৮৫১।
২৮৫১। এই আয়াতের মাধ্যমেই আল্লাহ্র এক বিশেষ ক্ষমতা বা গুণের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। আল্লাহ্র জ্ঞান স্বয়ং সম্পূর্ণ , ব্যপক , এবং নির্ভুলভাবে সংরক্ষিত। মানুষের জ্ঞানের পরিধি সীমাবদ্ধ। আর এই সীমাবদ্ধ জ্ঞানকে নির্ভুল ভাবে লিপিবদ্ধ না করলে মানুষ ভুলে যায়। কিন্তু আল্লাহ্র জ্ঞান অসীম। সীমার বাঁধনে তা আবদ্ধ করা যায় না। আকাশ -পৃথিবীর সকল কিছুর জ্ঞান তাঁর স্বতঃস্ফুর্ত জ্ঞান এবং সব কিছু সংরক্ষিত থাকে। মহাকালের গর্ভে কিছুই হারিয়ে যায় না।
আয়াতঃ 022.071
তারা আল্লাহর পরিবর্তে এমন কিছুর পূজা করে, যার কোন সনদ নাযিল করা হয়নি এবং সে সম্পর্কে তাদের কোন জ্ঞান নেই। বস্তুতঃ জালেমদের কোন সাহায্যকারী নেই।
And they worship besides Allâh others for which He has sent down no authority, and of which they have no knowledge and for the Zâlimûn (wrong-doers, polytheists and disbelievers in the Oneness of Allâh) there is no helper.
وَيَعْبُدُونَ مِن دُونِ اللَّهِ مَا لَمْ يُنَزِّلْ بِهِ سُلْطَانًا وَمَا لَيْسَ لَهُم بِهِ عِلْمٌ وَمَا لِلظَّالِمِينَ مِن نَّصِيرٍ
WayaAAbudoona min dooni Allahi ma lam yunazzil bihi sultanan wama laysa lahum bihi AAilmun wama lilththalimeena min naseerin
YUSUFALI: Yet they worship, besides Allah, things for which no authority has been sent down to them, and of which they have (really) no knowledge: for those that do wrong there is no helper.
PICKTHAL: And they worship instead of Allah that for which He hath sent down no warrant, and that whereof they have no knowledge. For evil-doers there is no helper.
SHAKIR: And they serve besides Allah that for which He has not sent any authority, and that of which they have no knowledge; and for the unjust there shall be no helper.
KHALIFA: Yet, they idolize beside GOD idols wherein He placed no power, and they know nothing about them. The transgressors have no helper.
৭১। তথাপি তারা আল্লাহ্কে বাদ দিয়ে এমন কিছুর এবাদত করে যার বিধি সংগত ক্ষমতা তাদের প্রেরণ করা হয় নাই ২৮৫২। এবং যার সম্বন্ধে তাদের [ প্রকৃতই ] কোন জ্ঞান নাই। নিশ্চয়ই যারা পাপ করে তাদের কোন সাহায্যকারী নাই।
২৮৫২। যারা নির্বোধ ও সাধারণ জ্ঞান বির্বজিত শুধু তারাই পারে মিথ্যা উপাস্যের উপাসনা করতে। কারণ সামান্য দূরদৃষ্টি থাকলেই তারা বুঝতে পারতো এই উপাসনার কোনও প্রকৃত ভিত্তি নাই। এদেরকেই বলা হয়েছে ‘জালিম’ যারা মিথ্যা উপাস্যের উপাসনার দ্বারা আল্লাহ্কে অসম্মান করে তাদের কে সাহায্য করবে ?
আয়াতঃ 022.072
যখন তাদের কাছে আমার সুস্পষ্ট আয়াতসমূহ আবৃত্তি করা হয়, তখন তুমি কাফেরদের চোখে মুখে অসন্তোষের লক্ষণ প্রত্যক্ষ করতে পারবে। যারা তাদের কাছে আমার আয়াত সমূহ পাঠ করে, তারা তাদের প্রতি মার মুখো হয়ে উঠে। বলুন, আমি কি তোমাদেরকে তদপেক্ষা মন্দ কিছুর সংবাদ দেব? তা আগুন; আল্লাহ কাফেরদেরকে এর ওয়াদা দিয়েছেন। এটা কতই না নিকৃষ্ট প্রত্যাবর্তনস্থল।
And when Our Clear Verses are recited to them, you will notice a denial on the faces of the disbelievers! They are nearly ready to attack with violence those who recite Our Verses to them. Say: ”Shall I tell you of something worse than that? The Fire (of Hell) which Allâh has promised to those who disbelieve, and worst indeed is that destination!”
وَإِذَا تُتْلَى عَلَيْهِمْ آيَاتُنَا بَيِّنَاتٍ تَعْرِفُ فِي وُجُوهِ الَّذِينَ كَفَرُوا الْمُنكَرَ يَكَادُونَ يَسْطُونَ بِالَّذِينَ يَتْلُونَ عَلَيْهِمْ آيَاتِنَا قُلْ أَفَأُنَبِّئُكُم بِشَرٍّ مِّن ذَلِكُمُ النَّارُ وَعَدَهَا اللَّهُ الَّذِينَ كَفَرُوا وَبِئْسَ الْمَصِيرُ
Wa-itha tutla AAalayhim ayatuna bayyinatin taAArifu fee wujoohi allatheena kafaroo almunkara yakadoona yastoona biallatheena yatloona AAalayhim ayatina qul afaonabbi-okum bisharrin min thalikum alnnaru waAAadaha Allahu allatheena kafaroo wabi/sa almaseeru
YUSUFALI: When Our Clear Signs are rehearsed to them, thou wilt notice a denial on the faces of the Unbelievers! they nearly attack with violence those who rehearse Our Signs to them. Say, “Shall I tell you of something (far) worse than these Signs? It is the Fire (of Hell)! Allah has promised it to the Unbelievers! and evil is that destination!”
PICKTHAL: And when Our revelations are recited unto them, thou knowest the denial in the faces of those who disbelieve; they all but attack those who recite Our revelations unto them. Say: Shall I proclaim unto you worse than that? The Fire! Allah hath promised it for those who disbelieve. A hapless journey’s end!
SHAKIR: And when Our clear communications are recited to them you will find denial on the faces of those who disbelieve; they almost spring upon those who recite to them Our communications. Say: Shall I inform you of what is worse than this? The fire; Allah has promised it to those who disbelieve; and how evil the resort!
KHALIFA: When our revelations are recited to them, clearly, you recognize wickedness on the faces of those who disbelieve. They almost attack those who recite our revelations to them. Say, “Shall I inform you of something much worse? Hell is promised by GOD for those who disbelieve; what a miserable destiny.”
৭২। যখন উহাদের নিকট আমার স্পষ্ট আয়াতসমূহ আবৃত্তি করা হয় , তুমি অবিশ্বাসীদের মুখে প্রতিবাদের [ চিহ্ন ] লক্ষ্য করবে ২৮৫৩। ওরা [ অবিশ্বাসীরা ] তাদের আক্রমণ করতে উদ্যত হয় যারা ওদের কাছে আমার আয়াত সমূহ আবৃত্তি করে। বল, ” আমি কি তোমাদের এই সকল নিদর্শন অপেক্ষাও খারাপ কিছুর সংবাদ দিব ? ২৮৫৪ সেটা হচ্ছে জাহান্নামের আগুন। অবিশ্বাসীদের জন্য এটা হচ্ছে আল্লাহ্র প্রতিশ্রুতি। উহা অত্যন্ত মন্দ গন্তব্য স্থান। ”
২৮৫৩। “Munkar” অর্থ ১) কাউকে কিছু দিলে তা নিতে অস্বীকার করা। ২) কোনও বক্তব্যের প্রতি লক্ষ্য করতে বললে দেখতে অস্বীকার করা। ৩) অসম্মত হওয়া , বিরক্ত হওয়া ইত্যাদি।
২৮৫৪। এই বাক্যটি বিদ্রূপাত্মকরূপে ব্যবহৃত হয়েছে “তোমরা মনে কর আল্লাহ্র সুস্পষ্ট আয়াতসমূহের বিষয়বস্তু অরুচিকর। তোমাদের জন্য তদ্পেক্ষা অরুচিকর বস্তু আছে যদি তোমরা এখনও অনুতাপের মাধ্যমে আত্মসংশোধন না কর। আর তা হচ্ছে পরলোকের শাস্তি যা অবশ্যাম্ভবী।
আয়াতঃ 022.073
হে লোক সকল! একটি উপমা বর্ণনা করা হলো, অতএব তোমরা তা মনোযোগ দিয়ে শোন; তোমরা আল্লাহর পরিবর্তে যাদের পূজা কর, তারা কখনও একটি মাছি সৃষ্টি করতে পারবে না, যদিও তারা সকলে একত্রিত হয়। আর মাছি যদি তাদের কাছ থেকে কোন কিছু ছিনিয়ে নেয়, তবে তারা তার কাছ থেকে তা উদ্ধার করতে পারবে না, প্রার্থনাকারী ও যার কাছে প্রার্থনা করা হয়, উভয়েই শক্তিহীন।
O mankind! A similitude has been coined, so listen to it (carefully): Verily! Those on whom you call besides Allâh, cannot create (even) a fly, even though they combine together for the purpose. And if the fly snatched away a thing from them, they would have no power to release it from the fly. So weak are (both) the seeker and the sought.
يَا أَيُّهَا النَّاسُ ضُرِبَ مَثَلٌ فَاسْتَمِعُوا لَهُ إِنَّ الَّذِينَ تَدْعُونَ مِن دُونِ اللَّهِ لَن يَخْلُقُوا ذُبَابًا وَلَوِ اجْتَمَعُوا لَهُ وَإِن يَسْلُبْهُمُ الذُّبَابُ شَيْئًا لَّا يَسْتَنقِذُوهُ مِنْهُ ضَعُفَ الطَّالِبُ وَالْمَطْلُوبُ
Ya ayyuha alnnasu duriba mathalun faistamiAAoo lahu inna allatheena tadAAoona min dooni Allahi lan yakhluqoo thubaban walawi ijtamaAAoo lahu wa-in yaslubuhumu alththubabu shay-an la yastanqithoohu minhu daAAufa alttalibu waalmatloobu
YUSUFALI: O men! Here is a parable set forth! listen to it! Those on whom, besides Allah, ye call, cannot create (even) a fly, if they all met together for the purpose! and if the fly should snatch away anything from them, they would have no power to release it from the fly. Feeble are those who petition and those whom they petition!
PICKTHAL: O mankind! A similitude is coined, so pay ye heed to it: Lo! those on whom ye call beside Allah will never create a fly though they combine together for the purpose. And if the fly took something from them, they could not rescue it from it. So weak are (both) the seeker and the sought!
SHAKIR: O people! a parable is set forth, therefore listen to it: surely those whom you call upon besides Allah cannot create fly, though they should all gather for it, and should the fly snatch away anything from them, they could not take it back from i weak are the invoker and the invoked.
KHALIFA: O people, here is a parable that you must ponder carefully: the idols you set up beside GOD can never create a fly, even if they banded together to do so. Furthermore, if the fly steals anything from them, they cannot recover it; weak is the pursuer and the pursued.
রুকু – ১০
৭৩। হে মানব সম্প্রদায় [ তোমাদের জন্য ] একটি উপমা উপস্থাপন করা হলো , মনোযোগ সহকারে উহা শ্রবণ কর। আল্লাহ্ ব্যতীত তোমরা যাকে আহ্বান কর, তারা তো একটি মাছিও সৃষ্টি করতে পারে না। যদি তারা এই উদ্দেশ্যে সকলে একত্রিত হয়, [ তবুও পারবে না ] এবং যদি মাছি কিছু তাদের নিকট থেকে ছিনিয়ে নেয়, উহাও মাছির নিকট থেকে উদ্ধার করার ক্ষমতা তাদের নাই। আবেদনকারী ও যাদের নিকট আবেদন করা হয় উভয়েই কত দুর্বল ২৮৫৫।
২৮৫৫। এই আয়াতে বলা হয়েছে যে মিথ্যা উপাস্য ও উপাস্যের উপসনাকারী উভয়েই দুর্বল , নির্বোধ এবং হতভাগ্য।
আয়াতঃ 022.074
তারা আল্লাহর যথাযোগ্য মর্যাদা বোঝেনি। নিশ্চয় আল্লাহ শক্তিধর, মহাপরাক্রমশীল।
They have not estimated Allâh His Rightful Estimate; Verily, Allâh is All-Strong, All-Mighty.
مَا قَدَرُوا اللَّهَ حَقَّ قَدْرِهِ إِنَّ اللَّهَ لَقَوِيٌّ عَزِيزٌ
Ma qadaroo Allaha haqqa qadrihi inna Allaha laqawiyyun AAazeezun
YUSUFALI: No just estimate have they made of Allah: for Allah is He Who is strong and able to Carry out His Will.
PICKTHAL: They measure not Allah His rightful measure. Lo! Allah is Strong, Almighty.
SHAKIR: They have not estimated Allah with the estimation that i due to Him; most surely Allah is Strong, Mighty.
KHALIFA: They do not value GOD as He should be valued. GOD is the Most Powerful, the Almighty.
৭৪। আল্লাহ্র [ মর্যাদা ] সম্বন্ধে তাদের প্রকৃত ধারণা নাই। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ ক্ষমতাবান , যিনি তাঁর ইচ্ছা সম্পাদনে সক্ষম ২৮৫৬।
২৮৫৬। যারা আল্লাহ্ ব্যতীত অন্য কিছুর উপাসনা করে , তারা কোনদিনই আল্লাহ্র প্রকৃত স্বরূপকে আত্মার মাঝে উপলব্ধি করতে পারবে না। আল্লাহ্ সর্বশক্তিমান। দ্যুলোকে -ভূলোকে সর্বত্র তিনি ক্ষমতাশালী। তিনি তাঁর পরিকল্পনা সর্বোতভাবে বাস্তবায়িত করতে সক্ষম। তিনি সকল ক্ষমতা ও সম্মানের উর্দ্ধে বিরাজ করেন। দেখুন “Aziz” শব্দটির অর্থের জন্য আয়াত [ ২২ : ৪০ এবং টিকা ২৮১৮ ]
আয়াতঃ 022.075
আল্লাহ ফেরেশতা ও মানুষের মধ্য থেকে রাসূল মনোনীত করেন। আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্ব দ্রষ্টা!
Allâh chooses Messengers from angels and from men. Verily, Allâh is All-Hearer, All-Seer.
اللَّهُ يَصْطَفِي مِنَ الْمَلَائِكَةِ رُسُلًا وَمِنَ النَّاسِ إِنَّ اللَّهَ سَمِيعٌ بَصِيرٌ
Allahu yastafee mina almala-ikati rusulan wamina alnnasi inna Allaha sameeAAun baseerun
YUSUFALI: Allah chooses messengers from angels and from men for Allah is He Who hears and sees (all things).
PICKTHAL: Allah chooseth from the angels messengers, and (also) from mankind. Lo! Allah is Hearer, Seer.
SHAKIR: Allah chooses messengers from among the angels and from among the men; surely Allah is Hearing, Seeing.
KHALIFA: GOD chooses from among the angels messengers, as well as from among the people. GOD is Hearer, Seer.
৭৫। আল্লাহ্ ফেরেশতাদের মধ্য থেকে তাঁর বাণী বাহক ২৮৫৭ মনোনীত করেন, এবং মানুষের মধ্য থেকেও। আল্লাহ্-ই [ সব কিছু ] শোনেন এবং দেখেন ২৮৫৮।
২৮৫৭। আল্লাহ্ ফেরেশতাদের মধ্যে থেকে তাঁর বাণীর বাহক মনোণীত করেন এবং মানুষের মধ্যে থেকেও। কারণ সাধারণ মানুষের পক্ষে ফেরেশতাদের মত পুত ও পবিত্রতার সাথে যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব নয়। সুতারাং ফেরেশতারা আল্লাহ্র বাণীকে বহন করে আনে আল্লাহ্র নির্বাচিত নবী ও রসুলদের নিকট। ফেরেশতা ও নবী, রাসুল উভয়ই আল্লাহ্ কর্তৃক নির্বাচিত, এবং তাদের কার্যপ্রণালী আল্লাহ্র ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটায়। তাঁরা শুধুমাত্র আল্লাহ্র বাণীর প্রচারক হিসেবে কাজ করেন। সুতারাং কোনও অবস্থাতেই তাদের আল্লাহ্র প্রতিনিধি হিসেবে পূঁজা করা চলবে না। তিনি মানুষকে তা স্বগোত্রের মধ্যে থেকে নির্বাচিত করেন যার নিকট ফেরেশতা আল্লাহ্র বাণীকে বহন করে নেয়, যা আধ্যাত্মিক জগতের সর্বশ্রেষ্ঠ সত্য।
২৮৫৮। আল্লাহ্ তাঁর সৃষ্ট বস্তুর প্রতি করুণাময়। দীন-হীনের প্রতিও আল্লাহ্র করুণা সমভাবে প্রবাহিত, তিনি তাদের প্রার্থনাকে অসম্মান করেন না। তিনি সর্বশ্রোতা। সম্যক দ্রষ্টা।
আয়াতঃ 022.076
তিনি জানেন যা তাদের সামনে আছে এবং যা পশ্চাতে আছে এবং সবকিছু আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তিত হবে।
He knows what is before them, and what is behind them. And to Allâh return all matters (for decision).
يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ وَإِلَى اللَّهِ تُرْجَعُ الأمُورُ
YaAAlamu ma bayna aydeehim wama khalfahum wa-ila Allahi turjaAAu al-omooru
YUSUFALI: He knows what is before them and what is behind them: and to Allah go back all questions (for decision).
PICKTHAL: He knoweth all that is before them and all that is behind them, and unto Allah all things are returned. $$A
SHAKIR: He knows what is before them and what is behind them and to Allah are all affairs turned back.
KHALIFA: He knows their past and their future. To GOD belongs the ultimate control of all matters.
৭৬। তাদের সম্মুখে ও পশ্চাতে যা কিছু আছে তিনি তা জানেন। সকল বিষয় [ সিদ্ধান্তের জন্য ] আল্লাহ্র নিকট প্রত্যাবর্তিত হবে ২৮৫৯।
২৮৫৯। সাধারণ মানুষ অতীত ও বর্তমান সময় নিয়ে মাথা ঘামায়। তারা নিজেদের মধ্যে তর্কবির্তক করে আল্লাহ্র প্রেরিত দূতদের আগমনের সময় সম্বন্ধে। এই আয়াতে আল্লাহ্ বলছেন মহাকালের গর্ভে পূর্ববর্তী ও পরর্বতী সময় কোনও ব্যাপারই নয়। আদি ও অন্ত সবই আল্লাহ্র কাছে প্রত্যাবর্তন করবে এবং তিনিই সব কিছুর বিচার করবেন।
আয়াতঃ 022.077
হে মুমিনগণ! তোমরা রুকু কর, সেজদা কর, তোমাদের পালনকর্তার এবাদত কর এবং সৎকাজ সম্পাদন কর, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার।
O you who believe! Bow down, and prostrate yourselves, and worship your Lord and do good that you may be successful.
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا ارْكَعُوا وَاسْجُدُوا وَاعْبُدُوا رَبَّكُمْ وَافْعَلُوا الْخَيْرَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ Ya ayyuha allatheena amanoo irkaAAoo waosjudoo waoAAbudoo rabbakum waifAAaloo alkhayra laAAallakum tuflihoona
YUSUFALI: O ye who believe! bow down, prostrate yourselves, and adore your Lord; and do good; that ye may prosper.
PICKTHAL: O ye who believe! Bow down and prostrate yourselves, and worship your Lord, and do good, that haply ye may prosper.
SHAKIR: O you who believe! bow down and prostrate yourselves and serve your Lord, and do good that you may succeed.
KHALIFA: O you who believe, you shall bow, prostrate, worship your Lord, and work righteousness, that you may succeed.
৭৭। হে বিশ্বাসী সম্প্রদায়! রুকু কর, সিজ্দা কর ও তোমাদের প্রভুকে শ্রদ্ধাভরে ভালোবাস এবং ভালো কাজ কর; যেনো তোমরা সফলকাম হতে পার ২৮৬০।
২৯৬০। “সফলকাম” এই শব্দটির ভাবার্থ হচ্ছে ইহকাল ও পরকাল উভয়কালে সাফল্য লাভ করা বা সমৃদ্ধি অর্জন করা। এই সাফল্য লাভের উপায় এই আয়াতে বর্ণনা করা হয়েছে। আল্লাহ্র এবাদত করা ও সৎকাজ করা এই দ্বিবিধ উপায়ের কথা এখানে বর্ণনা করা হয়েছে। এবাদত অর্থ জীবনের সর্বক্ষেত্রে আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার জন্য আল্লাহ্র হুকুম বা বিধানকে মেনে চলা এবং আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার জন্য সৎ কাজ করা বা তাঁর সৃষ্টির সেবায় আত্মনিয়োগ করা। ইহকাল ও পরকালের সমৃদ্ধির জন্য এই দ্বিবিধ কর্ম পদ্ধতিই একমাত্র আল্লাহ্র মনোনীত।
আয়াতঃ 022.078
তোমরা আল্লাহর জন্যে শ্রম স্বীকার কর যেভাবে শ্রম স্বীকার করা উচিত। তিনি তোমাদেরকে পছন্দ করেছেন এবং ধর্মের ব্যাপারে তোমাদের উপর কোন সংকীর্ণতা রাখেননি। তোমরা তোমাদের পিতা ইব্রাহীমের ধর্মে কায়েম থাক। তিনিই তোমাদের নাম মুসলমান রেখেছেন পূর্বেও এবং এই কোরআনেও, যাতে রসূল তোমাদের জন্যে সাক্ষ্যদাতা এবং তোমরা সাক্ষ্যদাতা হও মানবমন্ডলির জন্যে। সুতরাং তোমরা নামায কায়েম কর, যাকাত দাও এবং আল্লাহকে শক্তভাবে ধারণ কর। তিনিই তোমাদের মালিক। অতএব তিনি কত উত্তম মালিক এবং কত উত্তম সাহায্যকারী।
And strive hard in Allâh’s Cause as you ought to strive (with sincerity and with all your efforts that His Name should be superior). He has chosen you (to convey His Message of Islâmic Monotheism to mankind by inviting them to His religion, Islâm), and has not laid upon you in religion any hardship, it is the religion of your father Ibrahim (Abraham) (Islâmic Monotheism). It is He (Allâh) Who has named you Muslims both before and in this (the Qur’ân), that the Messenger (Muhammad SAW) may be a witness over you and you be witnesses over mankind! So perform AsSalât (Iqamat-as-Salât), give Zakât and hold fast to Allâh [i.e. have confidence in Allâh, and depend upon Him in all your affairs] He is your Maula (Patron, Lord, etc.), what an Excellent Maula (Patron, Lord, etc.) and what an Excellent Helper!
وَجَاهِدُوا فِي اللَّهِ حَقَّ جِهَادِهِ هُوَ اجْتَبَاكُمْ وَمَا جَعَلَ عَلَيْكُمْ فِي الدِّينِ مِنْ حَرَجٍ مِّلَّةَ أَبِيكُمْ إِبْرَاهِيمَ هُوَ سَمَّاكُمُ الْمُسْلِمينَ مِن قَبْلُ وَفِي هَذَا لِيَكُونَ الرَّسُولُ شَهِيدًا عَلَيْكُمْ وَتَكُونُوا شُهَدَاء عَلَى النَّاسِ فَأَقِيمُوا الصَّلَاةَ وَآتُوا الزَّكَاةَ وَاعْتَصِمُوا بِاللَّهِ هُوَ مَوْلَاكُمْ فَنِعْمَ الْمَوْلَى وَنِعْمَ النَّصِيرُ
Wajahidoo fee Allahi haqqa jihadihi huwa ijtabakum wama jaAAala AAalaykum fee alddeeni min harajin millata abeekum ibraheema huwa sammakumu almuslimeena min qablu wafee hatha liyakoona alrrasoolu shaheedan AAalaykum watakoonoo shuhadaa AAala alnnasi faaqeemoo alssalata waatoo alzzakata waiAAtasimoo biAllahi huwa mawlakum faniAAma almawla waniAAma alnnaseeru
YUSUFALI: And strive in His cause as ye ought to strive, (with sincerity and under discipline). He has chosen you, and has imposed no difficulties on you in religion; it is the cult of your father Abraham. It is He Who has named you Muslims, both before and in this (Revelation); that the Messenger may be a witness for you, and ye be witnesses for mankind! So establish regular Prayer, give regular Charity, and hold fast to Allah! He is your Protector – the Best to protect and the Best to help!
PICKTHAL: And strive for Allah with the endeavour which is His right. He hath chosen you and hath not laid upon you in religion any hardship; the faith of your father Abraham (is yours). He hath named you Muslims of old time and in this (Scripture), that the messenger may be a witness against you, and that ye may be witnesses against mankind. So establish worship, pay the poor-due, and hold fast to Allah. He is your Protecting friend. A blessed Patron and a blessed Helper!
SHAKIR: And strive hard in (the way of) Allah, (such) a striving a is due to Him; He has chosen you and has not laid upon you an hardship in religion; the faith of your father Ibrahim; He named you Muslims before and in this, that the Messenger may be a bearer of witness to you, and you may be bearers of witness to the people; therefore keep up prayer and pay the poor-rate and hold fast by Allah; He is your Guardian; how excellent the Guardian and how excellent the Helper!
KHALIFA: You shall strive for the cause of GOD as you should strive for His cause. He has chosen you and has placed no hardship on you in practicing your religion – the religion of your father Abraham. He is the one who named you “Submitters” originally. Thus, the messenger shall serve as a witness among you, and you shall serve as witnesses among the people. Therefore, you shall observe the Contact Prayers (Salat) and give the obligatory charity (Zakat), and hold fast to GOD; He is your Lord, the best Lord and the best Supporter.
৭৮। এবং আল্লাহ্র রাস্তায় সংগ্রাম কর , যে ভাবে সংগ্রাম করা উচিত [আন্তরিক ও শৃঙ্খলাবদ্ধ ভাবে ] ২৮৬১। তিনি তোমাদের মনোনীত করেছেন এবং ধর্মের ব্যাপারে তোমাদের কোন কঠোরতা আরোপ করেন নাই ২৮৬২। ইহা তোমাদের পিতা ইব্রাহীমের ধর্মাদর্শ। পূর্বে এবং এই [ প্রত্যাদেশে ] এই উভয় ক্ষেত্রে তিনিই তোমাদের নাম রেখেছেন “মুসলিম ” [ সদা অনুগত ] ২৮৬৩; যেনো রাসুল তোমাদের জন্য সাক্ষী হতে পারে ও তোমরা মানব সম্প্রদায়ের জন্য সাক্ষী হতে পার ২৮৬৪। অতএব, তোমরা নিয়মিত সালাত কায়েম কর, যাকাত দাও, এবং আল্লাহ্কে শক্ত করে ধরো; তিনি তোমাদের রক্ষাকর্তা এবং তিনিই সর্বশ্রেষ্ঠ রক্ষাকর্তা এবং সর্বোত্তম সাহায্যকারী।
২৮৬১। আল্লাহ্র পথে সংগ্রাম বা জেহাদ সম্পর্কে পড়ুন টিকা ২০৪ ও আয়াত [ ২ : ১৯০ ] এবং টিকা ২০৫ ও আয়াত [ ২ : ১৯১]।
২৮৬২। ইসলাম কোনও নূতন ধর্ম নয়। হযরত ইব্রাহীমের প্রচারিত ধর্মই হচ্ছে ইসলাম এবং আল্লাহ্ ইসলাম অনুসারীদের “মুসলমান” নামে সম্বোধন করেছেন। সুতারাং ইসলাম ও মুসলিম কোনও নূতন শব্দ নয় বা নূতন মিল্লাত বা সম্প্রদায় নয়। কিন্তু পরবর্তীতে কঠোর হৃদয় ইহুদীদের জন্য ধর্মীয় রীতিনীতি কঠোর করা হয়। ফলে ইহুদীরা সাম্প্রদায়িকতায় পর্যবসিত হয়। অপর পক্ষে খৃষ্টান ধর্ম সাধারণ মানুষের ধর্ম নয়। যারা শুধুমাত্র সাধু ও সন্ন্যাসী যারা জাগতিক বিষয়বস্তু ত্যাগ করতে পারবে তারাই প্রকৃত খৃষ্টধর্মে দীক্ষা নিতে পারে। তাদের ধর্মগ্রন্থের উদ্ধৃতি থেকেই এ কথার সত্যতা মেলে,”Sell Whatsoever thou hast” [ Mark X : 21 ]; “Take no thought for the morrow” [ Matt vi 34 ] . এই উদ্ধৃতিগুলিই প্রমাণ করে যে সাধারণ মানুষ যারা স্ত্রীপুত্র পরিজন নিয়ে ঘোর সংসারী তাদের পক্ষে এই ধর্মকে অনুসরণ করা সম্ভব নয়। অপর পক্ষে ইসলামের বিধি বিধান সাধারণ মানুষের জাগতিক ও আধ্যাত্মিক বিকাশের পথকে স্বাভাবিক ও উম্মুক্ত করে দেয়। ইসলামের মূল বিষয়গুলির দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে যে মানুষের যা স্বাভাবিক প্রবণতা তা ইসলামে অস্বীকার করা হয় নাই। তবে মানুষের স্বাভাবিক প্রবণতাকে আল্লাহ্র বিধান বা নির্দ্দেশ অনুযায়ী পরিচালনার হুকুম করা হয়েছে। মানুষের সকল মানসিক দক্ষতা ও প্রবণতাকে আল্লাহ্র বিধানের মাঝে অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে। আল্লাহ্ প্রদত্ত স্বাভাবিক প্রবণতাকে ত্যাগ করে বা অবদমিত করে মানুষের পক্ষে পৃথিবীর দীর্ঘ পথকে অতিক্রম করা সম্ভব হতো না। ফলে মানুষের সভ্যতার অগ্রযাত্রা হতো ব্যহত। ইসলাম হচ্ছে বিশ্ব জনীন ধর্ম। ইসলামের পৃথিবীতে আগমন হযরত আদমের ধরাধামে আগমনের সাথে সাথে ঘটে। এই আয়াতে পিতা ইব্রাহীমের নাম বিশেষ ভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। এই জন্য যে পূর্ববর্তী উম্মত সমূহ যাদের মাঝে প্রথম ইসলাম প্রচার করা হয় [ ইহুদী , খৃষ্টান এবং আরব ] তিনি ছিলেন তাদের আদি পিতা।
২৮৬৩। ” পূর্বে” অর্থাৎ আগের যুগে। দেখুন হযরত ইব্রাহীমের প্রার্থনা আয়াত [ ২: ১২৮]। ” এই প্রত্যাদেশে” অর্থাৎ এই আয়াত এবং কোরাণের বিভিন্ন স্থানে।
২৮৬৪। দেখুন আয়াত [ ২ : ১৪৩ ] ও টিকা ১৩ এবং ১৪৪। রাসুল (সা) যেরূপ মূসলমানদের পথ প্রদর্শক এবং উদাহরণ। ঠিক সেরূপ প্রকৃত মুসলিম সম্প্রদায় সারা বিশ্বের জন্য হবে অনুকরণীয় এবং উদাহরণ। কারণ সত্যকে তাদের চরিত্রে ধারণ করার ফলে তারা হবে আল্লাহ্র বিধানসমূহ বা সত্যের জ্বলন্ত উদাহরণ। যারা হবে সারা বিশ্বের জন্য ন্যায় ও সত্যের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
মন্তব্য : বর্তমান বিশ্বে যারা নিজেদের মুসলিম উম্মত রূপ পরিচয় দান করে তারা শুধু মাত্র নাম সর্বস্ব মুসলমান। ন্যায় ও সত্যের পথকে তারা জীবন থেকে বিসর্জন দিয়েছে। ফলে বিশ্ব সভায় মুসলমানদের আজ এত দুর্ভোগ এত অসম্মান। সম্পদ ও সুযোগ থাকা সত্বেও তারা তার সদ্ব্যবহার করতে অপারগ।