আয়াতঃ 023.112
আল্লাহ বলবেনঃ তোমরা পৃথিবীতে কতদিন অবস্থান করলে বছরের গণনায়?
He (Allâh) will say: ”What number of years did you stay on earth?”
قَالَ كَمْ لَبِثْتُمْ فِي الْأَرْضِ عَدَدَ سِنِينَ
Qala kam labithtum fee al-ardi AAadada sineena
YUSUFALI: He will say: “What number of years did ye stay on earth?”
PICKTHAL: He will say: How long tarried ye in the earth, counting by years?
SHAKIR: He will say: How many years did you tarry in the earth?
KHALIFA: He said, “How long have you lasted on earth? How many years?”
১১১। “আজকে আমি তাদের ধৈর্য এবং দৃঢ়তার জন্য পুরষ্কৃত করবো। এরাই তারা যারা স্বর্গ সুখ অর্জন করেছে “।
১১২। আল্লাহ্ বলবেন, ” তোমরা পৃথিবীতে কত বৎসর অবস্থান করেছ ? ” ২৯৪৮
২৯৪৮। কুফা কিরাত অনুযায়ী “Qala” উচ্চারণ করা হয় যার অর্থ হবে ” তিনি বলিবেন”। আবার বসরা কিরাত অনুযায়ী পড়া হয় “Qual” যার অর্থ বল[আদেশ বোধক ]। ব্যাপারটির পার্থক্য ব্যাকরণগত। দেখুন টিকা ২৬৬৬ এবং আয়াত [ ২১ : ৪ ]।
আয়াতঃ 023.113
তারা বলবে, আমরা একদিন অথবা দিনের কিছু অংশ অবস্থান করেছি। অতএব আপনি গণনাকারীদেরকে জিজ্ঞেস করুন।
They will say: ”We stayed a day or part of a day. Ask of those who keep account.”
قَالُوا لَبِثْنَا يَوْمًا أَوْ بَعْضَ يَوْمٍ فَاسْأَلْ الْعَادِّينَ
Qaloo labithna yawman aw baAAda yawmin fais-ali alAAaddeena
YUSUFALI: They will say: “We stayed a day or part of a day: but ask those who keep account.”
PICKTHAL: They will say: We tarried by a day or part of a day. Ask of those who keep count!
SHAKIR: They will say: We tarried a day or part of a day, but ask those who keep account.
KHALIFA: They said, “We lasted a day or part of a day. Ask those who counted.”
১১৩। তারা বলবে, ” আমরা অবস্থান করেছিলাম একদিন বা দিনের কিছু অংশ ২৯৪৯। যারা হিসাব রক্ষক, আপনি তাদের জিজ্ঞাসা করুন।”
২৯৪৯। সময়ের উল্লেখের দ্বারা এখানে দুইটি বিষয়কে তুলে ধরা হয়েছে। ১) পাপীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে ; পরলোকের জীবনের তুলনায় পৃথিবীর স্বল্প স্থায়ীত্বতার দিকে। পাপীরা যখন পরলোকের অনন্ত জীবনকে দেখতে পাবে , তখন তাদের চৈতন্যদয় ঘটবে যে, পৃথিবীতে আধ্যাত্মিক জীবনকে অবহেলা করে শুধুমাত্র জাগতিক বিষয়বস্তু নিয়ে ব্যস্ত থেকে কি অপূরণীয় ভুল ও ক্ষতির সম্মুখীন তারা হয়েছে।। ২) পৃথিবীর বর্তমান দিনরাত্রির সময়ের হিসাব পরকালে থাকবে না। পরকালে সময়ের ধারণা হবে অসীম ও অনন্ত। সময়ের ধারণা হচ্ছে আপেক্ষিক যা গুহাসঙ্গীরা অনুভব করেছিলো আয়াত [ ১৮ : ১৯ ]। সুতারাং সময়ের সেই আপেক্ষিক ধারণাতে পরকালে ইহকালের এক জীবনের সময়কে মনে হবে একদিন বা একদিনের কিছু অংশ। “
আয়াতঃ 023.114
আল্লাহ বলবেনঃ তোমরা তাতে অল্পদিনই অবস্থান করেছ, যদি তোমরা জানতে?
He (Allâh) will say: ”You stayed not but a little, if you had only known!
قَالَ إِن لَّبِثْتُمْ إِلَّا قَلِيلًا لَّوْ أَنَّكُمْ كُنتُمْ تَعْلَمُونَ
Qala in labithtum illa qaleelan law annakum kuntum taAAlamoona
YUSUFALI: He will say: “Ye stayed not but a little,- if ye had only known!
PICKTHAL: He will say: Ye tarried but a little if ye only knew.
SHAKIR: He will say: You did tarry but a little– had you but known (it):
KHALIFA: He said, “In fact, you stayed but a brief interim, if you only knew.
১১৪। তিনি বলবেন, ” তোমরা অল্পকালই অবস্থান করেছিলে, – যদি তোমরা তা জানতে !
১১৫। “তোমরা কি তবে মনে করেছিলে যে, আমি তোমাদের কৌতুকচ্ছলে সৃষ্টি করেছি এবং তোমরা আমার নিকট প্রত্যাবর্তিত হবে না ? ” ২৯৫০
২৯৫০। মানুষ হচেছ ” আশরাফুল মাখলুকাত ” – স্রষ্টার শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি। মানুষকে সৃষ্টি স্রষ্টা উদ্দেশ্য বিহীনভাবে করেন নাই। এই সৃষ্টির পিছনে স্রষ্টার এক নির্দ্দিষ্ট উদ্দেশ্য বিদ্যমান। সুতারাং পার্থিব জীবন অসার বিষয়বস্তুতে নষ্ট করা উচিত নয়। মানুষের জন্য আছে পরকালের জবাবদিহিতা। এই পৃথিবীর সকল কাজকর্মের হিসাব তাকে পরকালে আল্লাহ্র নিকট দিতে হবে। এই পৃথিবীর জীবন স্বপ্ন বা অলীক নয়। এ জীবন সত্য, এ জীবন পরলোকের জন্য নিবেদিত। কবরেই জীবনের শেষ নয়। সুতারাং আমরা সকলে আন্তরিক ভাবে পরলোকের জীবনের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করবো। আল্লাহ্ যে উদ্দেশ্যে আমাদের সৃষ্টি করেছেন সেই উদ্দেশ্যের প্রতি আন্তরিকভাবে অগ্রসর হওয়া ও সত্যকে জীবনে প্রতিষ্ঠিত করা মানুষের কর্তব্য। যে চেষ্টা করে আল্লাহ্র করুণা তাঁকে বেষ্টন করে থাকে।
আয়াতঃ 023.115
তোমরা কি ধারণা কর যে, আমি তোমাদেরকে অনর্থক সৃষ্টি করেছি এবং তোমরা আমার কাছে ফিরে আসবে না?
”Did you think that We had created you in play (without any purpose), and that you would not be brought back to Us?”