৬৯। অথবা তারা কি তাদের রসুলকে সনাক্ত করতে পারে নাই বলে তাকে অস্বীকার করে ?
৭০। অথবা তারা বলে , ” সে তো পাগল ? ” না সে তো তাদের জন্য সত্যকে এনেছে। কিন্তু তাদের অধিকাংশই সত্যকে ঘৃণা করে।
৭১। যদি সত্য তাদের কামনা- বাসনার অনুগামী হতো, তবে অবশ্যই আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর এবং উহাদের মধ্যবর্তী সকল কিছুই বিশৃঙ্খল ও দুর্নীতিগ্রস্থ হয়ে পড়তো ২৯১৯। বরং আমি তাদের নিকট উপদেশ পাঠিয়েছি। কিন্তু তারা উপদেশ থেকে মুখ ঘুরিয়ে নেয়।
২৯১৯। আল্লাহ্ মহা-জ্ঞানী ও সকল কল্যাণের অধিশ্বর। পৃথিবীতে যারা জ্ঞানী তারা সারা বিশ্ব -জাহানের সৃষ্টির মাঝে এক সমন্বিত শৃঙ্খলার ঐক্যতান দর্শনে বিমোহিত হয়ে যান। সারা বিশ্ব-ব্রহ্মান্ড স্রষ্টার অমোঘ , সুশৃঙ্খল নিয়মের বন্ধনে আবদ্ধ। একেই আমরা বলে থাকি প্রাকৃতিক আইন। এই আইনকে লংঘন করার শক্তি কারও নাই। আল্লাহ্র পরিকল্পনা স্বয়ং সম্পূর্ণ। যদি আল্লাহ্র অমোঘ আইন অপ্রতিরোধ্য না হয়ে প্রতিরোধ্য হতো, এবং এসব হীন-স্বার্থপরদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হওয়ার সুযোগ থাকতো, তবে পৃথিবী এক ভয়াবহ স্থানে পরিণত হতো। তা হতো দূর্নীতি , দুঃশাসন ও বিশৃঙ্খলাতে পরিপূর্ণ।
আয়াতঃ 023.072
না আপনি তাদের কাছে কোন প্রতিদান চান? আপনার পালনকর্তার প্রতিদান উত্তম এবং তিনিই রিযিকদাতা।
Or is it that you (O Muhammad SAW) ask them for some wages? But the recompense of your Lord is better, and He is the Best of those who give sustenance.
أَمْ تَسْأَلُهُمْ خَرْجًا فَخَرَاجُ رَبِّكَ خَيْرٌ وَهُوَ خَيْرُ الرَّازِقِينَ
Am tas-aluhum kharjan fakharaju rabbika khayrun wahuwa khayru alrraziqeena
YUSUFALI: Or is it that thou askest them for some recompense? But the recompense of thy Lord is best: He is the Best of those who give sustenance.
PICKTHAL: Or dost thou ask of them (O Muhammad) any tribute? But the bounty of thy Lord is better, for He is Best of all who make provision.
SHAKIR: Or is it that you ask them a recompense? But the recompense of your Lord is best, and He is the best of those who provide sustenance.
KHALIFA: Are you asking them for a wage? Your Lord’s wage is far better. He is the best Provider.
৭২। অথবা তুমি কি তাদের নিকট প্রতিদান চাও ? কিন্তু তোমার প্রভুর প্রতিদানই শ্রেষ্ঠ। তিনিই শ্রেষ্ঠ জীবনোপকরণ দাতা ২৯২০।
২৯২০। আয়াত [ ২৩ : ৬৮ ] হতে যে প্রশ্ন ধারার আরম্ভ হয়েছে তা শেষ হয়েছে এই আয়াতে। অবিশ্বাসীদের অযৌক্তিক প্রশ্নগুলিকে এ ভাবে প্রকাশ করা হয়েছে ; ১) মানুষের ইতিহাস যতদিনের পুরানো , আল্লাহ্র প্রত্যাদেশও ততদিনের পুরানো তবে কেন তারা তা অনুধাবন করে না [ ২৩ : ৬৮ ]। ২) তারা তাদের রসুলকে সত্যবাদী ও পূণ্যাত্মারূপে চেনে।তবে কেন তারা তার প্রচারিত সত্যকে অস্বীকার করে [ ২৩ : ৬৯ ] ৩) সত্যকে প্রচার করা কি উন্মত্ততার লক্ষণ যে তারা তাঁকে উম্মাদ বলে [ ২৩ : ৭০] ? ৪) রসুল [সা] কি সত্য প্রচারের বিনিময়ে কোনও পার্থিব পারিশ্রমিক দাবী করেন [২৩ : ৭২]। তবে কেন তারা সত্য বিমুখ। সত্যকে গ্রহণ করে না?
And certainly, you (O Muhammad SAW) call them to a Straight Path (true religion Islâmic Monotheism).وَإِنَّكَ لَتَدْعُوهُمْ إِلَى صِرَاطٍ مُّسْتَقِيمٍ
Wa-innaka latadAAoohum ila siratin mustaqeemin
YUSUFALI: But verily thou callest them to the Straight Way;
PICKTHAL: And lo! thou summonest them indeed unto a straight path.
SHAKIR: And most surely you invite them to a right way.
KHALIFA: Most assuredly, you are inviting them to a straight path.৭৩। কিন্তু তুমি তো তাদের সরল পথে আহ্বান কর।৭৪। যারা পরলোকের জীবনে বিশ্বাসী নয়, অবশ্যই তারা সে [ সরল ] পথ থেকে বিচ্যুত হবে।
৭৫। আমি যদি তাদের দয়া করি এবং তাদের দুঃখ – দুর্দ্দশা দূর করে দিই , তথাপি তারা একগুয়ে ভাবে অবাধ্য হয়ে উদ্ভ্রান্তের ন্যায় ঘুরে বেড়াবে ২৯২১।
২৯২১। এই আয়াতে যে “দুঃখ -দুর্দ্দশার” উল্লেখ আছে তা ছিলো সমসাময়িক দুর্ভিক্ষবস্থা। মক্কার কোরেশরা এই দুর্ভিক্ষের জন্য রসুলুল্লাহ্র [ সা] সত্য ধর্ম প্রচারকে দায়ী করতো। তাদের ধারণা হয়েছিলো যে তাদের দেবদেবীকে পরিত্যাগ করে এক আল্লাহ্র উপাসনার কথা প্রচার করাতে দেবদেবীর ক্রোধের পরিণতিই হচ্ছে মক্কাতে দুর্ভিক্ষ। এই সূরাটি মক্কী সূরা। এই দুর্ভিক্ষের বর্ণনা করেছেন ইব্নে কাতির [ Kathir ] যা রসুলুল্লাহ্র [ সা ] নবুয়ত প্রাপ্তির অষ্টম বর্ষে সংঘটিত হয়। হিজরতের প্রায় চার বৎসর পূর্বের ঘটনা এটি। হিজরতের পরেও মক্কাতে দুর্ভিক্ষ হয় যা বুখারীতে উল্লেখ আছে – তার পরবর্তী ঘটনা।
আয়াতঃ 023.074
আর যারা পরকালে বিশ্বাস করে না, তারা সোজা পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে গেছে।
And verily, those who believe not in the Hereafter are indeed deviating far astray from the Path (true religion Islâmic Monotheism).