YUSUFALI: Seest thou not that Allah has made subject to you (men) all that is on the earth, and the ships that sail through the sea by His Command? He withholds the sky (rain) from failing on the earth except by His leave: for Allah is Most Kind and Most Merciful to man.
PICKTHAL: Hast thou not seen how Allah hath made all that is in the earth subservient unto you? And the ship runneth upon the sea by His command, and He holdeth back the heaven from falling on the earth unless by His leave. Lo! Allah is, for mankind, Full of Pity, Merciful.
SHAKIR: Do you not see that Allah has made subservient to you whatsoever is in the earth and the ships running in the sea by His command? And He withholds the heaven from falling on the earth except with His permission; most surely Allah is Compassionate, Merciful to men.
KHALIFA: Do you not see that GOD has committed in your service everything on earth? The ships run in the ocean by His command. He prevents the heavenly bodies from crashing onto the earth, except in accordance with His command. GOD is Most Kind towards the people, Most Merciful.
রুকু – ৯
৬৫। [ হে মানুষ ] তোমরা কি দেখ না যে, আল্লাহ্ তোমাদের কল্যাণে নিয়োজিত করেছেন পৃথিবীর সকল কিছুকে এবং তাঁর আদেশে সমুদ্রে বিচরণশীল নৌযান সমূহকে ২৮৪৬ ? তাঁর অনুমতি ব্যতীত পৃথিবীর উপরে আকাশের [বৃষ্টির] পতনকে তিনিই ধরে রাখেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ মানুষের প্রতি দয়ালু ও পরম করুণাময় ২৮৪৭।
২৮৪৬। স্থলভাগ ও সমুদ্রকে আল্লাহ্ মানুষের আয়ত্বাধীন করে দিয়েছেন, যেনো মানুষ এদের উপরে আধিপত্য বিস্তার করতে পারে ও নিজের জীবন গড়তে পারে।
২৮৪৭। “Samaa” অর্থ ১) সুউচ্চ কোন কিছু, ২) ছাদ, ৩) আকাশ বা আকাশের সামিয়ানা ,৪) মেঘ বা বৃষ্টি। যদিও অধিকাংশ তফসীরকারগণ ” আকাশ ” শব্দটি ব্যবহার করেছেন , তবে মওলানা ইউসুফ আলী সাহেবের মতে শেষ অর্থটি হবে অধিক প্রযোজ্য। যদি বৃষ্টি কে ধরা হয় তবে সম্পূর্ণ আয়াতটি যে ভাবের প্রকাশ করে তা হচ্ছে তিনটি জিনিষ পৃথিবীতে মানুষের জীবন ধারাকে নিয়ন্ত্রিত করে মাটি, সমুদ্র ও বাতাস। বৃষ্টি হচ্ছে আল্লাহ্র করুণাধারার প্রতীক। তিনি মানুষের কল্যাণের জন্য বৃষ্টিকে নিয়ন্ত্রিত করেন।
আয়াতঃ 022.066
তিনিই তোমাদেরকে জীবিত করেছেন, অতঃপর তিনিই তোমাদেরকে মৃত্যুদান করবেন ও পুনরায় জীবিত করবেন। নিশ্চয় মানুষ বড় অকৃতজ্ঞ।
It is He, Who gave you life, and then will cause you to die, and will again give you life (on the Day of Resurrection). Verily! Man is indeed an ingrate.
وَهُوَ الَّذِي أَحْيَاكُمْ ثُمَّ يُمِيتُكُمْ ثُمَّ يُحْيِيكُمْ إِنَّ الْإِنسَانَ لَكَفُورٌ
Wahuwa allathee ahyakum thumma yumeetukum thumma yuhyeekum inna al-insana lakafoorun
YUSUFALI: It is He Who gave you life, will cause you to die, and will again give you life: Truly man is a most ungrateful creature!
PICKTHAL: And He it is Who gave you life, then He will cause you to die, and then will give you life (again). Lo! man is verily an ingrate.
SHAKIR: And He it is Who has brought you to life, then He will cause you to die, then bring you to life (again); most surely man is ungrateful.
KHALIFA: He is the One who granted you life, then He puts you to death, then He brings you back to life. Surely, the human being is unappreciative.
৬৬। তিনিই তোমাদের জীবন দান করেছেন ও মৃত্যু ঘটাবেন এবং পুণরায় তোমাদের জীবন দান করবেন। সত্যই, মানুষ এক অতি অকৃতজ্ঞ প্রাণী।
৬৭। প্রত্যেক সম্প্রদায়ের জন্য আমি ধর্মীয় আচার – অনুষ্ঠান নির্ধারিত করেছি ২৮৪৮, যা অবশ্যই তারা অনুসরণ করবে। সুতারাং তারা যেনো এই ব্যাপারে তোমার সাথে বির্তক না করে। কিন্তু তুমি [ তাদের ] তোমার প্রভুর দিকে আহ্বান কর। অবশ্যই তুমি সঠিক পথে রয়েছ।
২৮৪৮। এই আয়াতের অর্থ এই যে, মুশরেক ও ইসলাম বিদ্বেষীরা ইসলামী শরীয়তের বিধানকারীর বিরুদ্ধে তর্ক-বির্তক শুরু করে। আল্লাহ্ প্রত্যেক উম্মতকে তার সময়ের উপযোগী বিশেষ শরীয়ত বা ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও কিতাব দিয়েছেন। আল্লাহ্র নিকট থেকে পরবর্তী নির্দ্দেশ না আসা পর্যন্ত তা তাদের জন্য বৈধ ছিলো। রসুলের (সা) আগমনে তাদের অনুধাবন করা উচিত ছিলো যে নূতন বিধান সকলের জন্য প্রযোজ্য। কিণ্তু তারা তা করে না কারণ সাধারণ মানুষ ধর্মের মূল বিষয় অপেক্ষা ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানকে অধিক গুরুত্ব প্রদান করে। এ কথা সত্যি যে, ধর্মীয় ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানের জন্য, সংঘবদ্ধ জীবন ধারণের জন্য ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান ও লৌকিকতা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। কারণ এসব আনুষ্ঠানিকতার প্রভাব সমাজ জীবনে ও ব্যক্তিজীবনে অপরিসীম গুরুত্ব বহন করে। যদিও এসব আনুষ্ঠানিকতা ধর্মীয় অনুশাসনের প্রতীক স্বরূপ, তবুও অনেক সময়ে দেখা যায় সাধারণ মানুষ ধর্মের গুঢ় অন্তর্নিহিত শিক্ষাকে অনুধাবনের পরিবর্তে এ সব বাহ্যিক আনুষ্ঠানিকতাকে ধর্ম হিসেবে গ্রহণ করে এবং তর্ক-বির্তক ও বাক্-বিতন্ডা শুরু করে। এ কথা রসুলের সময়ে মোশরেক ও ইসলাম বিদ্বেষীদের জন্য যেমন প্রযোজ্য ছিলো, আজও তা সমভাবে প্রযোজ্য। এ সব বাদানুবাদ ও তর্ক-বিতর্ক অবশ্যই নিন্দার্হ। কিণ্তু তাই বলে এ কথা বলা যাবে না যে, ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতার প্রয়োজন নাই বা এগুলি অর্থহীন। ইসলামের দৃষ্টিতে সংঘবদ্ধ জীবনের জন্য, সামাজিক একতার জন্য এবং ধর্মীয় মূল্যবোধ বিকাশের জন্য এসব ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও লৌকিকতার প্রয়োজন সমাধিক। এখানেই প্রয়োজন হবে মানুষের অন্তর্দৃষ্টি এবং বিবেকের। আনুষ্ঠানিকতা ও লৌকিকতা যেনো ধর্মীয় মূল্যবোধকে অতিক্রম না করে যায়। আর তা করেছিলো দেখেই মোশরেক ও ইসলাম বিদ্বেষীরা রসুলের (সা) প্রচারিত দ্বীনের আনুষ্ঠানিকতার সৌন্দর্যকে উপলদ্ধি করতে পারে নাই। ইসলামে এই ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা সমূহ এমনভাবে আরোপ করা হয়েছে যা মানুষের আধ্যাত্মিক ও সামাজিক বিকাশের সহায়ক। এই আয়াতে রসুলকে (সা) আল্লাহ্ নির্দ্দেশ দিয়েছেন সমগ্র মানব গোষ্ঠিকে দ্বীনের প্রতি আহ্বান করার জন্য। এই আহ্বানের বার্তা এখন পর্যন্ত প্রযোজ্য। যদি আমরা আমাদের বিবেক থেকে জানি যে আমরা আমাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও লৌকিকতাকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে সক্ষম হয়েছি, তবে সকলকে আমরা আমাদের সংঘবদ্ধ জীবনে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছাতে দ্বিধা করবো না। সকলকে জানাতে হবে যে, বাদানুবাদ বা র্তক-বির্তক নয়, আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে বৃহত্তর ও মহত্তর জীবনের সন্ধান লাভ করাই হচ্ছে ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতার মূল উদ্দেশ্য।