- সূরার নাম: সূরা মারইয়াম
- বিভাগসমূহ: ইসলামিক বই, কোরআন শরীফ
সূরা মারইয়াম
আয়াত: 019.001
কাফ-হা-ইয়া-আইন-সাদ
[These letters are one of the miracles of the Qur’ân, and none but Allâh (Alone) knows their meanings].
كهيعص
Kâf HâYâ’AînSâd.
Kaf-ha-ya-AAayn-sad
YUSUFALI: Kaf. Ha. Ya. ‘Ain. Sad.
PICKTHAL: Kaf. Ha. Ya. A’in. Sad.
SHAKIR: Kaf Ha Ya Ain Suad.
KHALIFA: K. H. Y. `A. S. (Kaaf Haa Yaa `Ayn Saad)
০১। কাফ্ – হা – ইয়া – আয়ান – সাদ্ ২৪৫৫।
২৪৫৫। এটাই একমাত্র সূরা যা পাঁচটি সংক্ষিপ্ত বর্ণমালা দিয়ে শুরু।
আয়াতঃ 019.002
এটা আপনার পালনকর্তার অনুগ্রহের বিবরণ তাঁর বান্দা যাকারিয়ার প্রতি।
(This is) a mention of the mercy of your Lord to His slave Zakariya (Zachariah).
ذِكْرُ رَحْمَةِ رَبِّكَ عَبْدَهُ زَكَرِيَّا (2
Thikru rahmati rabbika AAabdahu zakariyya
YUSUFALI: (This is) a recital of the Mercy of thy Lord to His servant Zakariya.
PICKTHAL: A mention of the mercy of thy Lord unto His servant Zachariah.
SHAKIR: A mention of the mercy of your Lord to His servant Zakariya.
KHALIFA: A narration about your Lord’s mercy towards His servant Zachariah.
০২। ইহা তোমার প্রভুর অনুগ্রহের বিবরণ তাঁর বান্দা যাকারিয়ার প্রতি ২৪৫৬।
২৪৫৬। যাকারিয়ার প্রতি আল্লাহ্র অনুগ্রহ বিভিন্ন ভাবে প্রদর্শন করা হয়েছে : ১) তাঁর প্রার্থনা মঞ্জুরের মাধ্যমে , ২) ইয়াহিয়ার মত সন্তান দানের মাধ্যমে, ৩) পিতা ও পুত্রের মধ্যে স্নেহের বন্ধনের মাধ্যমে, উপরন্তু,আল্লাহ্র নবী হিসেবে পৃথিবীতে ইয়াহিয়ার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে [ দেখুন ( ৩: ৩৮ – ৪১ ) ও টিকা ]। সূরা ৩ নং এ ধর্ম যাজক হিসেবে তাঁর কর্তব্যের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে, এই সূরাতে পিতা ও পুত্রের মধুর সম্পর্কের উপরে গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে।
আয়াতঃ 019.003
যখন সে তাঁর পালনকর্তাকে আহবান করেছিল নিভৃতে।
When he called out his Lord (Allâh) a call in secret,
إِذْ نَادَى رَبَّهُ نِدَاء خَفِيًّا
Ith nada rabbahu nidaan khafiyyan
YUSUFALI: Behold! he cried to his Lord in secret,
PICKTHAL: When he cried unto his Lord a cry in secret,
SHAKIR: When he called upon his Lord in a low voice,
KHALIFA: He called his Lord, a secret call.
০৩। স্মরণ কর! যখন সে নিভৃতে তাঁর প্রভুকে আহ্বান করেছিলো ২৪৫৭।
২৪৫৭। ” নিভৃতে ” – অর্থাৎ লোকচক্ষুর অন্তরালে , গোপনে। কারণ জাকারিয়া আশঙ্কা করেন যে, তাঁর নিজ পরিবার ও আত্নীয় স্বজনেরা ভুল পথে পরিচালিত হতে যাচ্ছে। আল্লাহ্র বাণীকে সমুন্নত রাখাই ছিলো তাঁর একান্ত ইচ্ছা। এখানে অবশ্য পরিষ্কারভাবে বলা হয় নাই যে তাঁর আত্মীয়রাই ছিলো তাঁর সহকর্মী।
আয়াতঃ 019.004
সে বললঃ হে আমার পালনকর্তা আমার অস্থি বয়স-ভারাবনত হয়েছে; বার্ধক্যে মস্তক সুশুভ্র হয়েছে; হে আমার পালনকর্তা! আপনাকে ডেকে আমি কখনও বিফলমনোরথ হইনি।
Saying: ”My Lord! Indeed my bones have grown feeble, and grey hair has spread on my head, And I have never been unblest in my invocation to You, O my Lord!
قَالَ رَبِّ إِنِّي وَهَنَ الْعَظْمُ مِنِّي وَاشْتَعَلَ الرَّأْسُ شَيْبًا وَلَمْ أَكُن بِدُعَائِكَ رَبِّ شَقِيًّا
Qala rabbi innee wahana alAAathmu minnee waishtaAAala alrra/su shayban walam akun biduAAa-ika rabbi shaqiyyan
YUSUFALI: Praying: “O my Lord! infirm indeed are my bones, and the hair of my head doth glisten with grey: but never am I unblest, O my Lord, in my prayer to Thee!
PICKTHAL: Saying: My Lord! Lo! the bones of me wax feeble and my head is shining with grey hair, and I have never been unblest in prayer to Thee, my Lord.
SHAKIR: He said: My Lord! surely my bones are weakened and my head flares with hoariness, and, my Lord! I have never been unsuccessful in my prayer to Thee:
KHALIFA: He said, “My Lord, the bones have turned brittle in my body, and my hair is aflame with gray. As I implore You, my Lord, I never despair.
০৪। প্রার্থনা করেছিলো, “হে আমার প্রভু ! আমার অস্থি দুর্বল হয়ে পড়েছে, আমার মাথার চুল ধূসর চক্চকে হয়েছে। হে আমার প্রভু! আমার প্রার্থনায় আমি কখনও ব্যর্থকাম হই নাই। ২৪৫৮
২৪৫৮। এই আয়াতগুলি প্রমাণ করে জাকারিয়ার আল্লাহ্র প্রতি ঐকান্তিক বিশ্বাস। জাকারিয়া ছিলেন আল্লাহ্র নিকট অত্যন্ত উচ্চমানের নবী। মসজিদই ছিলো তাঁর কাজের স্থান। তাঁর আত্মীয়রা ছিলেন তাঁর সহকর্মী। কিন্তু তিনি আশঙ্কা করেন যে তাদের চরিত্রে প্রকৃত ধর্মীয় বিশ্বাসের উদ্দীপনা বা তেজ অনুপস্থিত। তিনি উদ্বিগ্ন হয়ে পড়লেন – কারণ কে আল্লাহ্র পতাকাকে সমুন্নত রাখবে তাঁর পরে ?
আয়াতঃ 019.005
আমি ভয় করি আমার পর আমার স্বগোত্রকে এবং আমার স্ত্রী বন্ধ্যা; কাজেই আপনি নিজের পক্ষ থেকে আমাকে এক জন কর্তব্য পালনকারী দান করুন।
”And Verily! I fear my relatives after me, since my wife is barren. So give me from Yourself an heir,
وَإِنِّي خِفْتُ الْمَوَالِيَ مِن وَرَائِي وَكَانَتِ امْرَأَتِي عَاقِرًا فَهَبْ لِي مِن لَّدُنكَ وَلِيًّا
Wa-innee khiftu almawaliya min wara-ee wakanati imraatee AAaqiran fahab lee min ladunka waliyyan
YUSUFALI: “Now I fear (what) my relatives (and colleagues) (will do) after me: but my wife is barren: so give me an heir as from Thyself,-
PICKTHAL: Lo! I fear my kinsfolk after me, since my wife is barren. Oh, give me from Thy presence a successor
SHAKIR: And surely I fear my cousins after me, and my wife is barren, therefore grant me from Thyself an heir,
KHALIFA: “I worry about my dependants after me, and my wife has been sterile. Grant me, from You, an heir.
০৫। ” [কিন্তু ] এখন আমি আশংকা করি, আমার পরে আমার আত্মীয় [ এবং সহকর্মীরা কি করবে ] ? কিন্তু আমার স্ত্রী বন্ধ্যা। সুতারাং তুমি তোমার নিকট থেকে আমাকে উত্তরাধিকারী দান কর ; ২৪৫৯
২৪৫৯। জাকারিয়া শুধুমাত্র পুত্র সন্তানের জন্য প্রার্থনা করেন নাই। যদি তিনি শুধুমাত্র বংশ রক্ষার জন্য পুত্র সন্তানের কামনা করতেন, তবে তিনি বহুপূর্বে তাঁর যৌবন কালেই তা করতেন। তিনি ছিলেন প্রকৃত ধার্মিক , সুতারাং তাঁর প্রার্থনায় ব্যক্তি স্বার্থ স্থান পেতে পারে না। তিনি যখন দেখলেন যে, আল্লাহ্র কাজের জন্য প্রকৃত যোগ্য লোকের ভবিষ্যতে প্রয়োজন হবে তখনই তিনি সকলের মঙ্গলের জন্য পূণ্যবান এক পুত্র সন্তানের কামনা করেন।
আয়াতঃ 019.006
সে আমার স্থলাভিষিক্ত হবে ইয়াকুব বংশের এবং হে আমার পালনকর্তা, তাকে করুন সন্তোষজনক।
”Who shall inherit me, and inherit (also) the posterity of Ya’qûb (Jacob) (inheritance of the religious knowledge and Prophethood, not the wealth, etc.). And make him, my Lord, one with whom You are Well-pleased!”.
يَرِثُنِي وَيَرِثُ مِنْ آلِ يَعْقُوبَ وَاجْعَلْهُ رَبِّ رَضِيًّا
Yarithunee wayarithu min ali yaAAqooba waijAAalhu rabbi radiyyan
YUSUFALI: “(One that) will (truly) represent me, and represent the posterity of Jacob; and make him, O my Lord! one with whom Thou art well-pleased!”
PICKTHAL: Who shall inherit of me and inherit (also) of the house of Jacob. And make him, my Lord, acceptable (unto Thee).
SHAKIR: Who should inherit me and inherit from the children of Yaqoub, and make him, my Lord, one in whom Thou art well pleased.
KHALIFA: “Let him be my heir and the heir of Jacob’s clan, and make him, my Lord, acceptable.”
০৬। [ এমন একজন ] যে আমার প্রতিনিধিত্ব করবে এবং প্রতিনিধিত্ব করবে ইয়াকুবের বংশের। এবং হে আমার প্রভু ! তুমি তাঁকে তোমার সন্তোষজনক বানিও ২৪৬০। ”
২৪৬০। উত্তরাধিকার কথাটির সাথে সম্পত্তির অংশীদারিত্ব জড়িত। আল্লাহ্র মোমেন বান্দা হিসেবে জাকারিয়ার পার্থিব সম্পদ না থাকাই স্বাভাবিক। কিন্তু তার ছিলো অমূল্য চারিত্রিক গুণরাজি। তিনি সেই অমূল্য চারিত্রিক সম্পদ সমূহ তাঁর পরবর্তী বংশধরদের মধ্যে প্রবাহিত করতে চেয়েছিলেন। নবী রসুলদের বংশ হিসেবে হযরত ইয়াকুবের বংশধরেরা এই সব অমূল্য নৈতিক ও চারিত্রিক গুণে সমৃদ্ধ ছিলেন। সুতারাং এই আয়াতে ‘প্রতিনিধিত্ব’ শব্দটি বৃহত্তর কর্তব্যের প্রতি দায়িত্বের আহ্বান। জাকারিয়া বৃদ্ধ বয়েসে অনুভব করতে পেরেছিলেন যে, তাঁর চারিপার্শ্বের লোকেরা আল্লাহ্র রাস্তা থেকে বিপথে পরিচালিত হচ্ছে। তাঁর উত্তরাধিকারী কি তাঁর মত তাদের সঠিক পথে পরিচালিত করতে পারবে ?
আয়াতঃ 019.007
হে যাকারিয়া, আমি তোমাকে এক পুত্রের সুসংবাদ দিচ্ছি, তার নাম হবে ইয়াহইয়া। ইতিপূর্বে এই নামে আমি কারও নাম করণ করিনি।
(Allâh said) ”O Zakariya (Zachariah)! Verily, We give you the glad tidings of a son, His name will be Yahya (John). We have given that name to none before (him).”
يَا زَكَرِيَّا إِنَّا نُبَشِّرُكَ بِغُلَامٍ اسْمُهُ يَحْيَى لَمْ نَجْعَل لَّهُ مِن قَبْلُ سَمِيًّا
Ya zakariyya inna nubashshiruka bighulamin ismuhu yahya lam najAAal lahu min qablu samiyyan
YUSUFALI: (His prayer was answered): “O Zakariya! We give thee good news of a son: His name shall be Yahya: on none by that name have We conferred distinction before.”
PICKTHAL: (It was said unto him): O Zachariah! Lo! We bring thee tidings of a son whose name is John; we have given the same name to none before (him).
SHAKIR: O Zakariya! surely We give you good news of a boy whose name shall be Yahya: We have not made before anyone his equal.
KHALIFA: “O Zachariah, we give you good news; a boy whose name shall be John (Yahya). We never created anyone like him before.”
০৭। [ তাঁর প্রার্থনা মঞ্জুর হয়েছিলো ] ” হে যাকারিয়া! আমি তোমাকে এক পুত্রের সুসংবাদ দিতেছি। তার নাম হবে ইয়াহিয়া। এই নামে পূর্বে আমি কারও নামকরণ করি নাই ২৪৬১।
২৪৬১। ইয়াহিয়া হচ্ছেন “John the Baptist” , যাকে যীশু খৃষ্টের আগমনের অগ্রদূত হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তাঁর পিতার প্রার্থনার সাথে তাঁর কাজের সমন্বয় ঘটেছিলো। সে সময়ে ইহুদীরা আল্লাহ্র বাণীকে বিকৃত করে ফেলেছিলো। যীশুর আগমনের অগ্রদূত ইয়াহিয়া ও যীশু খৃষ্ট আল্লাহ্র বাণীকে পুণঃ প্রতিষ্ঠা করেন।
আরবীতে ইয়াহিয়া অর্থ ‘ জীবন’। হিব্রু ভাষাতে ইয়াহিয়াকে বলা হয় Johanan যার অর্থ “জোহাবার অনুগ্রহশীল। ইহুদীরা আল্লাহ্র পরিবর্তে ‘ জোহাবা ‘ শব্দটি ব্যবহার করে।
আয়াতঃ 019.008
সে বললঃ হে আমার পালনকর্তা কেমন করে আমার পুত্র হবে অথচ আমার স্ত্রী যে বন্ধ্যা, আর আমিও যে বার্ধক্যের শেষ প্রান্তে উপনীত।
He said: ”My Lord! How can I have a son, when my wife is barren, and I have reached the extreme old age.”
قَالَ رَبِّ أَنَّى يَكُونُ لِي غُلَامٌ وَكَانَتِ امْرَأَتِي عَاقِرًا وَقَدْ بَلَغْتُ مِنَ الْكِبَرِ عِتِيًّا
Qala rabbi anna yakoonu lee ghulamun wakanati imraatee AAaqiran waqad balaghtu mina alkibari AAitiyyan
YUSUFALI: He said: “O my Lord! How shall I have a son, when my wife is barren and I have grown quite decrepit from old age?”
PICKTHAL: He said: My Lord! How can I have a son when my wife is barren and I have reached infirm old age?
SHAKIR: He said: O my Lord! when shall I have a son, and my wife is barren, and I myself have reached indeed the extreme degree of old age?
KHALIFA: He said, “My Lord, will I have a son despite my wife’s sterility, and despite my old age?”
০৮। সে বলেছিলো, “হে আমার প্রভু ! কি ভাবে আমার পুত্র হবে, যখন আমার স্ত্রী বন্ধ্যা ও আমি বার্দ্ধক্যের শেষ সীমাতে উপণীত হয়েছি?
০৯। তিনি বললেন, ” এরূপে [ তা হবে ] ” ২৪৬২। তোমার প্রভু বলেছিলেন, ” এটা আমার জন্য সহজ। আমি তো তোমাকে পূর্বে সৃষ্টি করেছি যখন তুমি কিছুই ছিলে না।” ২৪৬৩
২৪৬২। “তিনি বললেন” – এই বাক্যটির “তিনি” বলতে কাক বোঝানো হয়েছে ? এখানে অধিকাংশ তফসীরকারের মত অনুসরণ করা হয়েছে। এখানে ” তিনি ” হচ্ছেন দেবদূত যিনি আল্লাহ্র বার্তা জাকারিয়ার কাছে বহন করে আনেন। দেখুন নীচের আয়াত [ ১৯: ২১ ]। কোন কোন তফসীরকারের মতে এই ” তিনি ” শব্দটি জাকারিয়ার পরিবর্তে ব্যবহার করা হয়েছে। মানুষ অত্যাধিক আশ্চর্য হয়ে গেলে ” সত্যিই তাই হবে ” এরূপ বাক্য ব্যবহার করে থাকে। অর্থাৎ জাকারিয়া আশ্চর্যান্বিত ভাবে উপরোক্ত বাক্য উচ্চারণ করেন যার অর্থ হবে ” সত্যিই কি এরূপ ঘটবে যে বৃদ্ধ বয়েসে আমার সন্তান লাভ ঘটবে। ” পরের লাইনে বলা হয়েছে যে “তোমার প্রতিপালক বলিলেন ইত্যাদি। সে ক্ষেত্রে হবে দেবদূতের বার্তা।
আয়াতঃ 019.009
তিনি বললেনঃ এমনিতেই হবে। তোমার পালনকর্তা বলে দিয়েছেনঃ এটা আমার পক্ষে সহজ। আমি তো পুর্বে তোমাকে সৃষ্টি করেছি এবং তুমি কিছুই ছিলে না।
He said: ”So (it will be). Your Lord says; It is easy for Me. Certainly I have created you before, when you had been nothing!”
قَالَ كَذَلِكَ قَالَ رَبُّكَ هُوَ عَلَيَّ هَيِّنٌ وَقَدْ خَلَقْتُكَ مِن قَبْلُ وَلَمْ تَكُ شَيْئً
Qala kathalika qala rabbuka huwa AAalayya hayyinun waqad khalaqtuka min qablu walam taku shay-an
YUSUFALI: He said: “So (it will be) thy Lord saith, ‘that is easy for Me: I did indeed create thee before, when thou hadst been nothing!’”
PICKTHAL: He said: So (it will be). Thy Lord saith: It is easy for Me, even as I created thee before, when thou wast naught.
SHAKIR: He said: So shall it be, your Lord says: It is easy to Me, and indeed I created you before, when you were nothing.
KHALIFA: He said, “Thus said your Lord: `It is easy for Me to do. I created you before that, and you were nothing.’ ”
০৯। তিনি বললেন, ” এরূপে [ তা হবে ] ” ২৪৬২। তোমার প্রভু বলেছিলেন, ” এটা আমার জন্য সহজ। আমি তো তোমাকে পূর্বে সৃষ্টি করেছি যখন তুমি কিছুই ছিলে না।” ২৪৬৩
২৪৬৩। এই পৃথিবীতে জন্মের পূর্বে মানুষের কোনও অস্তিত্বই ছিলো না। তাঁর সত্তা বা আত্মার অস্তিত্ব ছিলো শুধুমাত্র আল্লাহ্র নিকট। যদিও মানুষের জন্ম ঘটে প্রকৃতির নিয়ম অনুযায়ী। সৃষ্টির নিয়ম অনুযায়ী জীবের দেহের গঠন প্রকৃতি গঠিত হয়। তবুও সকল সৃষ্টির পিছনে কাজ করে আল্লাহ্র শক্তি। এই সাধারণ অর্থ ব্যতীতও এই আয়াটিতে পরোক্ষভাবে অন্য আর এক বিশেষ ভাবের অবতারণা করেছে। জন বা ইয়াহিয়া ছিলেন যীশুর আগমনের বার্তাবাহী অগ্রদূত। তিনি যীশুর আগমনের পথ প্রশস্ত করেন। ” যখন তুমি কিছুই ছিলে না ” বাক্যটি দ্বারা পরোক্ষভাবে যীশুর অত্যাচার্য জন্ম ইতিহাসের দিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে। দেখুন আয়াত [ ১৯ : ২১ ]। আল্লাহ্র পক্ষে সবই সম্ভব তিনি সর্বশক্তিমান।
আয়াতঃ 019.010
সে বললঃ হে আমার পালনকর্তা, আমাকে একটি নির্দশন দিন। তিনি বললেন তোমার নিদর্শন এই যে, তুমি সুস্থ অবস্থায় তিন দিন মানুষের সাথে কথাবার্তা বলবে না।
[Zakariya (Zachariah)] said: ”My Lord! Appoint for me a sign.” He said: ”Your sign is that you shall not speak unto mankind for three nights, though having no bodily defect.”
قَالَ رَبِّ اجْعَل لِّي آيَةً قَالَ آيَتُكَ أَلَّا تُكَلِّمَ النَّاسَ ثَلَاثَ لَيَالٍ سَوِيًّا
Qala rabbi ijAAal lee ayatan qala ayatuka alla tukallima alnnasa thalatha layalin sawiyyan
YUSUFALI: (Zakariya) said: “O my Lord! give me a Sign.” “Thy Sign,” was the answer, “Shall be that thou shalt speak to no man for three nights, although thou art not dumb.”
PICKTHAL: He said: My Lord! Appoint for me some token. He said: Thy token is that thou, with no bodily defect, shalt not speak unto mankind three nights.
SHAKIR: He said: My Lord! give me a sign. He said: Your sign is that you will not be able to speak to the people three nights while in sound health.
KHALIFA: He said, “My Lord, give me a sign.” He said, “Your sign is that you will not speak to the people for three consecutive nights.”
১০। যাকারিয়া বলেছিলো, ” হে আমার প্রভু ! আমাকে একটি নিদর্শন দাও।” ২৪৬৪। উত্তর হলো, ” তোমার নিদর্শন এই যে, তুমি বোবা না হওয়া সত্বেও কারও সাথে তিন রাত্রি বাক্যলাপ করবে না ” ২৪৬৫।
২৪৬৪। এখানে ” নিদর্শন ” অর্থ আল্লাহ্র অঙ্গীকার সত্য হবেই। এই বিশ্বাস জাকারিয়ার অন্তরে উৎপন্ন করার জন্য নিদর্শন।
২৪৬৫। [৩: ৪১] আয়াতটি এই [ ১৯ : ১০ ] আয়াতের সাথে তুলনা করুন। পার্থক্যটি কৌতুহল উদ্দীপক। এই আয়াতে বলা হয়েছে তিন রাত্রির কথা পূর্বেও আয়াতে অনুরূপ ক্ষেত্রে বলা হয়েছে তিন দিনের কথা। অবশ্য এর জন্য আয়াতের অর্থের কোন পরিবর্তন ঘটে না। কারণ ‘দিন’ বলতে আমরা শুধুমাত্র দিবাভাগকে বুঝি না। ‘দিন’ বলতে দিন ও রাত্রির সমন্বয়ে ২৪ ঘণ্টাকে বুঝায়। কিন্তু এই দুই আয়াতে দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্য লক্ষণীয় যেখানে দিনের উল্লেখ করা হয়েছে, সেখানের উল্লেখ্য সময় হচ্ছে উম্মত বা জনসাধারণের সাথে যে সময় তিনি কাটাতেন। ‘রাত’ বলতে সেই সময়কে বোঝানো হয়েছে, যখন তিনি প্রার্থনা ও এবাদতে নিজের মধ্যে আত্মনিমগ্ন থাকতেন। লক্ষ্য করুণ পরবর্তী আয়াতে আছে ” সকাল ও সন্ধ্যায়” বাক্যটি।আবার আয়াতে [ ৩:৪১] আছে ” সন্ধ্যা ও সকালে ” বাক্যটি। এই বাক্য গুলিতে একই বিষয়কে বিপরীতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
আয়াতঃ 019.011
অতঃপর সে কক্ষ থেকে বের হয়ে তার সম্প্রদায়ের কাছে এল এবং ইঙ্গিতে তাদেরকে সকাল সন্ধ্যায় আল্লাহকে স্মরণ করতে বললঃ
Then he came out to his people from Al-Mihrâb (a praying place or a private room, etc.), he told them by signs to glorify Allâh’s Praises in the morning and in the afternoon.
فَخَرَجَ عَلَى قَوْمِهِ مِنَ الْمِحْرَابِ فَأَوْحَى إِلَيْهِمْ أَن سَبِّحُوا بُكْرَةً وَعَشِيًّا
Fakharaja AAala qawmihi mina almihrabi faawha ilayhim an sabbihoo bukratan waAAashiyyan
YUSUFALI: So Zakariya came out to his people from him chamber: He told them by signs to celebrate Allah’s praises in the morning and in the evening.
PICKTHAL: Then he came forth unto his people from the sanctuary, and signified to them: Glorify your Lord at break of day and fall of night.
SHAKIR: So he went forth to his people from his place of worship, then he made known to them that they should glorify (Allah) morning and evening.
KHALIFA: He came out to his family, from the sanctuary, and signaled to them: “Meditate (on God) day and night.”
১১। অতঃপর যাকারিয়া তার কক্ষ থেকে বের হয়ে তার সম্প্রদায়ের নিকট এলো এবং ইঙ্গিতে তাদের সকাল – সন্ধ্যায় আল্লাহ্র পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করতে বললো।
১২। [ তাঁর পুত্রের নিকট এই আদেশ এলো ] ২৪৬৬ ” হে ইয়াহিয়া ! এই কিতাব দৃঢ়তার সাথে গহণ কর। ” আমি তাকে শৈশবেই দান করেছিলাম জ্ঞান ও প্রজ্ঞা ২৪৬৭;-
২৪৬৬। সময়ের পরিক্রমায় একদিন পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। সূরাটির এই অধ্যায়ে প্রধানতঃ ইয়াহিয়ার কথা আলোচনা করা হয়েছে। এখন আল্লাহ্ তাকেঁ হুকুম দিলেন। আদেশ হলো, ” এই কিতাব দৃঢ়তার সাথে গ্রহণ কর।” কিতাব অর্থ এখানে ইহুদীদের নিকট আল্লাহ্র প্রেরিত প্রত্যাদেশ তাওরাত। ইহুদীরা তাওরাতের বাণীকে বিকৃত করে ফেলেছিল। ইয়াহিয়ার [John the Bartist] উপরে দায়িত্ব হলো যীশুর জন্য ক্ষেত্র তৈরী করা , যিনি আল্লাহ্র প্রত্যাদেশের বিকৃতিকে সংশোধন ও সংস্কার সাধন করবেন ও নূতনভাবে ব্যাখ্যা দান করবেন।
আয়াতঃ 019.012
হে ইয়াহইয়া দৃঢ়তার সাথে এই গ্রন্থ ধারণ কর। আমি তাকে শৈশবেই বিচারবুদ্ধি দান করেছিলাম।
(It was said to his son): ”O Yahya (John)! Hold fast the Scripture [the Taurât (Torah)].” And We gave him wisdom while yet a child.
يَا يَحْيَى خُذِ الْكِتَابَ بِقُوَّةٍ وَآتَيْنَاهُ الْحُكْمَ صَبِيًّا
Ya yahya khuthi alkitaba biquwwatin waataynahu alhukma sabiyyan
YUSUFALI: (To his son came the command): “O Yahya! take hold of the Book with might”: and We gave him Wisdom even as a youth,
PICKTHAL: (And it was said unto his son): O John! Hold fast the Scripture. And we gave him wisdom when a child,
SHAKIR: O Yahya! take hold of the Book with strength, and We granted him wisdom while yet a child
KHALIFA: “O John, you shall uphold the scripture, strongly.” We endowed him with wisdom, even in his youth.
১২। [ তাঁর পুত্রের নিকট এই আদেশ এলো ] ২৪৬৬ ” হে ইয়াহিয়া ! এই কিতাব দৃঢ়তার সাথে গহণ কর। ” আমি তাকে শৈশবেই দান করেছিলাম জ্ঞান ও প্রজ্ঞা ২৪৬৭;-
২৪৬৭। “Hukm” শব্দটিকে অনুবাদ করা হয়েছে জ্ঞান কথাটির দ্বারা। তবে শব্দটির প্রকৃত অর্থ শুধুমাত্র জ্ঞান দ্বারা প্রকাশ করা সম্ভব নয়। এ হচ্ছে সেই জ্ঞান বা বিচার বুদ্ধি যা চেতনার মাঝে সত্য ও ন্যায়কে চেনার ক্ষমতা দান করে। ভালো ও মন্দকে সনাক্ত করার অন্তর্দৃষ্টি দান করে, ফলে পাপকে সনাক্ত করে তা পরিত্যাগ করার আদেশ দান করতে পারে।
আয়াতঃ 019.013
এবং নিজের পক্ষ থেকে আগ্রহ ও পবিত্রতা দিয়েছি। সে ছিল পরহেযগার।
And (made him) sympathetic to men as a mercy (or a grant) from Us, and pure from sins [i.e. Yahya (John)] and he was righteous,
وَحَنَانًا مِّن لَّدُنَّا وَزَكَاةً وَكَانَ تَقِيًّا
Wahananan min ladunna wazakatan wakana taqiyyan
YUSUFALI: And piety (for all creatures) as from Us, and purity: He was devout,
PICKTHAL: And compassion from Our presence, and purity; and he was devout,
SHAKIR: And tenderness from Us and purity, and he was one who guarded (against evil),
KHALIFA: And (we endowed him with) kindness from us and purity, for he was righteous.
১৩। এবং পরদুঃখকাতরতা ও পবিত্রতা। সে ছিলো আন্তরিক ধর্মনিষ্ঠ ২৪৬৮।
২৪৬৮। এই আয়াতে ইয়াহিয়ার অন্যান্য বৈশিষ্ট্য যা আল্লাহ্ তাঁকে দান করেছিলেন তা তুলে ধরা হয়েছে। ইয়াহিয়া বেশীদিন বাঁচেন নাই। রোমান সম্রাটের প্রাদেশিক শাসন কর্তা হেরোডের [Herod] দ্বারা তিনি বন্দী হন এবং শেষ পর্যন্ত তাঁর শিরচ্ছেদ করা হয় কিন্তু তাঁর অল্প বয়স সত্বেও আল্লাহ্ তাঁকে দান করেন নিম্নলিখিত চারিত্রিক মাধুর্য : ১) আল্লাহ্ প্রদত্ত আধ্যাত্মিক জ্ঞান লাভ করেন, যার দরুণ তিনি নির্ভয়ে পাপকে অস্বীকার করেন। ২) কোমল হৃদয়, যা পরের দুঃখে কাতর হয়, আল্লাহ্র সৃষ্ট জীবের জন্য যে হৃদয় অনুভূতিশীল। তিনি গরীব , দুঃখীদের মধ্যেই তাঁর কাজকে সীমাবদ্ধ রাখতেন। তিনি বিলাস ব্যসনকে ঘৃণা করতেন। ৩) তিনি ছিলেন পবিত্র হৃদয়ের অধিকারী। তিনি মনুষ্য সমাজ পরিত্যাগ করে জনবসতিহীন প্রান্তরে থাকতেন। এগুলি ছিলো তাঁর বৈশিষ্ট্য। তিনি তাঁর সমস্ত কাজই যৌবনেই শেষ করেন। আল্লাহ্র এই বিশেষ অনুগ্রহ তার চরিত্রে, তাঁর কাজের মাধ্যমে পরিষ্ফুট হয়। তিনি ছিলেন আল্লাহ্র প্রতি একান্ত অনুগত, আল্লাহ্র সৃষ্ট জীবের প্রতি দুঃখে কাতর ও দয়াশীল। তিনি জীবনের কোনও অবস্থাতেই হিংসার বা উগ্রতার আশ্রয় গ্রহণ করেন নাই, তিনি ছিলেন করুণার প্রতীক। বিশেষ ভাবে তিনি তাঁর পিতামাতার প্রতি ছিলেন অত্যন্ত নম্র ও করুণাময়।
আয়াতঃ 019.014
পিতা-মাতার অনুগত এবং সে উদ্ধত, নাফরমান ছিল না।
And dutiful towards his parents, and he was neither an arrogant nor disobedient (to Allâh or to his parents).
وَبَرًّا بِوَالِدَيْهِ وَلَمْ يَكُن جَبَّارًا عَصِيًّا
Wabarran biwalidayhi walam yakun jabbaran AAasiyyan
YUSUFALI: And kind to his parents, and he was not overbearing or rebellious.
PICKTHAL: And dutiful toward his parents. And he was not arrogant, rebellious.
SHAKIR: And dutiful to his parents, and he was not insolent, disobedient.
KHALIFA: He honored his parents, and was never a disobedient tyrant.
১৪। এবং পিতামাতার প্রতি দয়ালু। সে উদ্ধত বা বিদ্রোহী ছিলো না।
১৫। যেদিন সে জন্ম লাভ করে, যেদিন সে মৃত্যু বরণ করে, যেদিন সে পুণরুত্থিত হবে, তাঁর প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক ২৪৬৯।
২৪৬৯। এই আয়াতের কথাগুলি আল্লাহ্ ইয়াহিয়াকে বলেছেন। আল্লাহ্র অনুগ্রহ, আর্শীবাদ ও শান্তি তাঁর উপরে বর্ষিত হয় যখন তিনি জন্ম গ্রহণ করেন। আল্লাহ্র এই বিশেষ অনুগ্রহ তাঁর জীবনের শেষ পর্যন্ত প্রবাহিত হয়। এমনকি অত্যাচারীরা তাঁকে যখন অন্যায়ভাবে হত্যা করে তখনও তার মানসিক শান্তি অটুট ছিলো।।আল্লাহ্ এখানে বলছেন তাঁর এই মানসিক অবস্থা পুনরুত্থানের দিনেও অটুট থাকবে।
আয়াতঃ 019.015
তার প্রতি শান্তি-যেদিন সে জন্মগ্রহণ করে এবং যেদিন মৃত্যুবরণ করবে এবং যেদিন জীবিতাবস্থায় পুনরুত্থিত হবে।
And Salâmun (peace) be on him the day he was born, the day he dies, and the day he will be raised up to life (again)!
وَسَلَامٌ عَلَيْهِ يَوْمَ وُلِدَ وَيَوْمَ يَمُوتُ وَيَوْمَ يُبْعَثُ حَيًّا
Wasalamun AAalayhi yawma wulida wayawma yamootu wayawma yubAAathu hayyan
YUSUFALI: So Peace on him the day he was born, the day that he dies, and the day that he will be raised up to life (again)!
PICKTHAL: Peace on him the day he was born, and the day he dieth and the day he shall be raised alive!
SHAKIR: And peace on him on the day he was born, and on the day he dies, and on the day he is raised to life
KHALIFA: Peace be upon him the day he was born, the day he dies, and the day he is resurrected back to life.
১৪। এবং পিতামাতার প্রতি দয়ালু। সে উদ্ধত বা বিদ্রোহী ছিলো না।
১৫। যেদিন সে জন্ম লাভ করে, যেদিন সে মৃত্যু বরণ করে, যেদিন সে পুণরুত্থিত হবে, তাঁর প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক ২৪৬৯।
২৪৬৯। এই আয়াতের কথাগুলি আল্লাহ্ ইয়াহিয়াকে বলেছেন। আল্লাহ্র অনুগ্রহ, আর্শীবাদ ও শান্তি তাঁর উপরে বর্ষিত হয় যখন তিনি জন্ম গ্রহণ করেন। আল্লাহ্র এই বিশেষ অনুগ্রহ তাঁর জীবনের শেষ পর্যন্ত প্রবাহিত হয়। এমনকি অত্যাচারীরা তাঁকে যখন অন্যায়ভাবে হত্যা করে তখনও তার মানসিক শান্তি অটুট ছিলো।।আল্লাহ্ এখানে বলছেন তাঁর এই মানসিক অবস্থা পুনরুত্থানের দিনেও অটুট থাকবে।
আয়াতঃ 019.016
এই কিতাবে মারইয়ামের কথা বর্ণনা করুন, যখন সে তার পরিবারের লোকজন থেকে পৃথক হয়ে পূর্বদিকে এক স্থানে আশ্রয় নিল।
And mention in the Book (the Qur’ân, O Muhammad SAW , the story of) Maryam (Mary), when she withdrew in seclusion from her family to a place facing east.
وَاذْكُرْ فِي الْكِتَابِ مَرْيَمَ إِذِ انتَبَذَتْ مِنْ أَهْلِهَا مَكَانًا شَرْقِيًّا
Waothkur fee alkitabi maryama ithi intabathat min ahliha makanan sharqiyyan
YUSUFALI: Relate in the Book (the story of) Mary, when she withdrew from her family to a place in the East.
PICKTHAL: And make mention of Mary in the Scripture, when she had withdrawn from her people to a chamber looking East,
SHAKIR: And mention Marium in the Book when she drew aside from her family to an eastern place;
KHALIFA: Mention in the scripture Mary. She isolated herself from her family, into an eastern location.
রুকু – ২
১৬। বর্ণনা কর এই কিতাবের মরিয়মের [ কাহিনীর ] কথা ২৪৭০। যখন সে তার পরিবারবর্গ থেকে পৃথক হয়ে [নিরালায় ] পূর্ব দিকে এক স্থানে আশ্রয় নিল ২৪৭১।
২৪৭০। দেখুন মরিয়মের কাহিনীর জন্য সূরা [ ৩ : ৪২- ৫১ ] আয়াত। এখানে ঘটনাটিকে ভিন্ন দৃষ্টিকোন থেকে উত্থাপন করা হয়েছে। এখানে মেরীর ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার, পরিবার ও পরিবেশের আলোকে ঘটনাকে উত্থাপন করা হয়েছে।
২৪৭১। ” নিরালায় পূর্বদিকে এক স্থানে ” – এই বাক্যটির অর্থ সম্ভবতঃ মেরী তাঁর পরিবারবর্গ থেকে আলাদা হয়ে মসজিদের পূর্বদিকের নির্জন প্রকোষ্ঠে আশ্রয় গ্রহণ করেন। সেখানে নির্জনে তিনি আল্লাহ্র এবাদতে মশগুল হয়ে যান। একান্ত প্রার্থনা ও এবাদতের মাধ্যমে তিনি পবিত্রতার এমন এক পর্যায়ে উন্নীত হন যে, তাঁর সামনে ফেরেশতার উপস্থিতি ধরা পড়ে। ফেরেশতা তাঁর সামনে মানুষের আকৃতিতে ধরা দেয়। মেরীর ধারণা হলো , তিনি একজন মানুষ। সুতারাং মেরী আল্লাহ্র নামে শপথ করে তাঁকে অনিষ্ট থেকে নিবৃত্ত করেন।
আয়াতঃ 019.017
অতঃপর তাদের থেকে নিজেকে আড়াল করার জন্যে সে পর্দা করলো। অতঃপর আমি তার কাছে আমার রূহ প্রেরণ করলাম, সে তার নিকট পুর্ণ মানবাকৃতিতে আত্নপ্রকাশ করল।
She placed a screen (to screen herself) from them; then We sent to her Our Ruh [angel Jibrael (Gabriel)], and he appeared before her in the form of a man in all respects.
فَاتَّخَذَتْ مِن دُونِهِمْ حِجَابًا فَأَرْسَلْنَا إِلَيْهَا رُوحَنَا فَتَمَثَّلَ لَهَا بَشَرًا سَوِيًّا
Faittakhathat min doonihim hijaban faarsalna ilayha roohana fatamaththala laha basharan sawiyyan
YUSUFALI: She placed a screen (to screen herself) from them; then We sent her our angel, and he appeared before her as a man in all respects.
PICKTHAL: And had chosen seclusion from them. Then We sent unto her Our Spirit and it assumed for her the likeness of a perfect man.
SHAKIR: So she took a veil (to screen herself) from them; then We sent to her Our spirit, and there appeared to her a well-made man.
KHALIFA: While a barrier separated her from them, we sent to her our Spirit. He went to her in the form of a human being.
১৭। সে তাদের নিকট থেকে [ আড়াল করার উদ্দেশ্যে ] পর্দ্দা স্থাপন করলো। অতঃপর আমি আমার ফেরেশতাকে প্রেরণ করলাম, এবং সে তার সম্মুখে পূর্ণ মানবাকৃতিতে আত্মপ্রকাশ করলো।
১৮। মারইয়াম বলেছিলো, ” আমি তোমা থেকে দয়াময় [আল্লাহ্র ] আশ্রয় প্রার্থনা করছি: যদি তুমি আল্লাহ্কে ভয় কর [ তবে আমার নিকটবর্তী হয়ো না ]।”
১৯। সে বলেছিলো, ” আমি তো তোমার প্রভুর প্রেরিত দূত, তোমার কাছে [ ঘোষণা করতে ] এসেছি এক পবিত্র পুত্র সন্তান উপহারের [ বার্তা ] ২৪৭২।
২৪৭২। আল্লাহ্ মেরীকে যীশু খৃষ্টের ‘মা’ হওয়ার সৌভাগ্যে গৌরবান্বিত করার জন্য সৃষ্টি করেছেন। এখন সময় হয়েছে মেরীর সে খবর জানার।
আয়াতঃ 019.018
মারইয়াম বললঃ আমি তোমা থেকে দয়াময়ের আশ্রয় প্রার্থনা করি যদি তুমি আল্লাহভীরু হও।
She said: ”Verily! I seek refuge with the Most Beneficent (Allâh) from you, if you do fear Allâh.”
قَالَتْ إِنِّي أَعُوذُ بِالرَّحْمَن مِنكَ إِن كُنتَ تَقِيًّا
Qalat innee aAAoothu bialrrahmani minka in kunta taqiyyan
YUSUFALI: She said: “I seek refuge from thee to (Allah) Most Gracious: (come not near) if thou dost fear Allah.”
PICKTHAL: She said: Lo! I seek refuge in the Beneficent One from thee, if thou art Allah-fearing.
SHAKIR: She said: Surely I fly for refuge from you to the Beneficent Allah, if you are one guarding (against evil).
KHALIFA: She said, “I seek refuge in the Most Gracious, that you may be righteous.”
১৭। সে তাদের নিকট থেকে [ আড়াল করার উদ্দেশ্যে ] পর্দ্দা স্থাপন করলো। অতঃপর আমি আমার ফেরেশতাকে প্রেরণ করলাম, এবং সে তার সম্মুখে পূর্ণ মানবাকৃতিতে আত্মপ্রকাশ করলো।
১৮। মারইয়াম বলেছিলো, ” আমি তোমা থেকে দয়াময় [আল্লাহ্র ] আশ্রয় প্রার্থনা করছি: যদি তুমি আল্লাহ্কে ভয় কর [ তবে আমার নিকটবর্তী হয়ো না ]।”
১৯। সে বলেছিলো, ” আমি তো তোমার প্রভুর প্রেরিত দূত, তোমার কাছে [ ঘোষণা করতে ] এসেছি এক পবিত্র পুত্র সন্তান উপহারের [ বার্তা ] ২৪৭২।
২৪৭২। আল্লাহ্ মেরীকে যীশু খৃষ্টের ‘মা’ হওয়ার সৌভাগ্যে গৌরবান্বিত করার জন্য সৃষ্টি করেছেন। এখন সময় হয়েছে মেরীর সে খবর জানার।
আয়াতঃ 019.019
সে বললঃ আমি তো শুধু তোমার পালনকর্তা প্রেরিত, যাতে তোমাকে এক পবিত্র পুত্র দান করে যাব।
(The angel) said: ”I am only a Messenger from your Lord, (to announce) to you the gift of a righteous son.”
قَالَ إِنَّمَا أَنَا رَسُولُ رَبِّكِ لِأَهَبَ لَكِ غُلَامًا زَكِيًّا
Qala innama ana rasoolu rabbiki li-ahaba laki ghulaman zakiyyan
YUSUFALI: He said: “Nay, I am only a messenger from thy Lord, (to announce) to thee the gift of a holy son.
PICKTHAL: He said: I am only a messenger of thy Lord, that I may bestow on thee a faultless son.
SHAKIR: He said: I am only a messenger of your Lord: That I will give you a pure boy.
KHALIFA: He said, “I am the messenger of your Lord, to grant you a pure son.”
১৭। সে তাদের নিকট থেকে [ আড়াল করার উদ্দেশ্যে ] পর্দ্দা স্থাপন করলো। অতঃপর আমি আমার ফেরেশতাকে প্রেরণ করলাম, এবং সে তার সম্মুখে পূর্ণ মানবাকৃতিতে আত্মপ্রকাশ করলো।
১৮। মারইয়াম বলেছিলো, ” আমি তোমা থেকে দয়াময় [আল্লাহ্র ] আশ্রয় প্রার্থনা করছি: যদি তুমি আল্লাহ্কে ভয় কর [ তবে আমার নিকটবর্তী হয়ো না ]।”
১৯। সে বলেছিলো, ” আমি তো তোমার প্রভুর প্রেরিত দূত, তোমার কাছে [ ঘোষণা করতে ] এসেছি এক পবিত্র পুত্র সন্তান উপহারের [ বার্তা ] ২৪৭২।
২৪৭২। আল্লাহ্ মেরীকে যীশু খৃষ্টের ‘মা’ হওয়ার সৌভাগ্যে গৌরবান্বিত করার জন্য সৃষ্টি করেছেন। এখন সময় হয়েছে মেরীর সে খবর জানার।
আয়াতঃ 019.020
মরিইয়াম বললঃ কিরূপে আমার পুত্র হবে, যখন কোন মানব আমাকে স্পর্শ করেনি এবং আমি ব্যভিচারিণীও কখনও ছিলাম না ?
She said: ”How can I have a son, when no man has touched me, nor am I unchaste?”
قَالَتْ أَنَّى يَكُونُ لِي غُلَامٌ وَلَمْ يَمْسَسْنِي بَشَرٌ وَلَمْ أَكُ بَغِيًّا
Qalat anna yakoonu lee ghulamun walam yamsasnee basharun walam aku baghiyyan
YUSUFALI: She said: “How shall I have a son, seeing that no man has touched me, and I am not unchaste?”
PICKTHAL: She said: How can I have a son when no mortal hath touched me, neither have I been unchaste?
SHAKIR: She said: When shall I have a boy and no mortal has yet touched me, nor have I been unchaste?
KHALIFA: She said, “How can I have a son, when no man has touched me; I have never been unchaste.”
২০। মারইয়াম বলেছিলো, “যেখানে আমাকে কোন পুরুষ স্পর্শ করে নাই , সেখানে কিভাবে আমার পুত্র সন্তান হবে? আমি তো ব্যভিচারিণী নই।”
২১। সে বলেছিলো, ” এরূপেই [ হবে] “। তোমার প্রভু বলেছেন, ” ইহা আমার জন্য সহজ , [ আমার ইচ্ছা ] সে যেনো হয় মানুষের জন্য এক নিদর্শন এবং আমার পক্ষ থেকে অনুগ্রহ স্বরূপ ২৪৭৩। ব্যাপারটি এ ভাবেই স্থির করা হয়েছে। ” ২৪৭৪
২৪৭৩। যীশুকে এই আয়াতের মাধ্যমে আল্লাহ্ বলেছেন তাঁর নিদর্শন ও অনুগ্রহ। আল্লাহ্ কর্তৃক যীশু খৃষ্টের প্রতি নির্দ্দিষ্ট কাজকে এখানে দুইভাবে ব্যক্ত করা হয়েছে। ১) সাধারণ মানুষের কাছে তিনি হবেন এক অলৌকিক নিদর্শন তাঁর আশ্চর্যজনক জন্ম , জীবন ও আল্লাহ্র নিকট তাঁর প্রত্যাবর্তন। ২) যীশু খৃষ্টের প্রতি আল্লাহ্ প্রদত্ত নির্দ্দিষ্ট কাজ ছিলো অন্যান্য রাসুলদের মত। তিনি ইসরাঈলীদের নিকট প্রেরিত হন। কিন্তু ইসরাঈলীরা ছিল কঠিন হৃদয় বিশিষ্ট। তাই এদের জন্য যীশুর খৃষ্টের বাণী ছিলো অপরের প্রতি দয়া ও করুণার উপদেশ।
২৪৭৪। আল্লাহ্ কোনও কিছু সৃষ্টি করতে চাইলে শুধু বলেন ‘হও’ আর তা হয়ে যায়। অনুরূপ আয়াত দেখুন [ ৩: ৪৭]। তার হুকুম সাথে সাথেই পালিত হয়। তিনি যদি ইচ্ছা করেন শুধু মাত্র তখনই তা দেরী হয়। সময় সম্বন্ধে আমাদের যে ধারণা সে তো শুধুমাত্র আপেক্ষিক ধারণা সময়ের প্রকৃত ধারণা আল্লাহ্ই জানেন।
আয়াতঃ 019.021
সে বললঃ এমনিতেই হবে। তোমার পালনকর্তা বলেছেন, এটা আমার জন্যে সহজ সাধ্য এবং আমি তাকে মানুষের জন্যে একটি নিদর্শন ও আমার পক্ষ থেকে অনুগ্রহ স্বরূপ করতে চাই। এটা তো এক স্থিরীকৃত ব্যাপার।
He said: ”So (it will be), your Lord said: ’That is easy for Me (Allâh): And (We wish) to appoint him as a sign to mankind and a mercy from Us (Allâh), and it is a matter (already) decreed, (by Allâh).’ ”
قَالَ كَذَلِكِ قَالَ رَبُّكِ هُوَ عَلَيَّ هَيِّنٌ وَلِنَجْعَلَهُ آيَةً لِلنَّاسِ وَرَحْمَةً مِّنَّا وَكَانَ أَمْرًا مَّقْضِيًّا
Qala kathaliki qala rabbuki huwa AAalayya hayyinun walinajAAalahu ayatan lilnnasi warahmatan minna wakana amran maqdiyyan
YUSUFALI: He said: “So (it will be): Thy Lord saith, ‘that is easy for Me: and (We wish) to appoint him as a Sign unto men and a Mercy from Us’:It is a matter (so) decreed.”
PICKTHAL: He said: So (it will be). Thy Lord saith: It is easy for Me. And (it will be) that We may make of him a revelation for mankind and a mercy from Us, and it is a thing ordained.
SHAKIR: He said: Even so; your Lord says: It is easy to Me: and that We may make him a sign to men and a mercy from Us, and it is a matter which has been decreed.
KHALIFA: He said, “Thus said your Lord, `It is easy for Me. We will render him a sign for the people, and mercy from us. This is a predestined matter.’ ”
২০। মারইয়াম বলেছিলো, “যেখানে আমাকে কোন পুরুষ স্পর্শ করে নাই , সেখানে কিভাবে আমার পুত্র সন্তান হবে? আমি তো ব্যভিচারিণী নই।”
২১। সে বলেছিলো, ” এরূপেই [ হবে] “। তোমার প্রভু বলেছেন, ” ইহা আমার জন্য সহজ , [ আমার ইচ্ছা ] সে যেনো হয় মানুষের জন্য এক নিদর্শন এবং আমার পক্ষ থেকে অনুগ্রহ স্বরূপ ২৪৭৩। ব্যাপারটি এ ভাবেই স্থির করা হয়েছে। ” ২৪৭৪
২৪৭৩। যীশুকে এই আয়াতের মাধ্যমে আল্লাহ্ বলেছেন তাঁর নিদর্শন ও অনুগ্রহ। আল্লাহ্ কর্তৃক যীশু খৃষ্টের প্রতি নির্দ্দিষ্ট কাজকে এখানে দুইভাবে ব্যক্ত করা হয়েছে। ১) সাধারণ মানুষের কাছে তিনি হবেন এক অলৌকিক নিদর্শন তাঁর আশ্চর্যজনক জন্ম , জীবন ও আল্লাহ্র নিকট তাঁর প্রত্যাবর্তন। ২) যীশু খৃষ্টের প্রতি আল্লাহ্ প্রদত্ত নির্দ্দিষ্ট কাজ ছিলো অন্যান্য রাসুলদের মত। তিনি ইসরাঈলীদের নিকট প্রেরিত হন। কিন্তু ইসরাঈলীরা ছিল কঠিন হৃদয় বিশিষ্ট। তাই এদের জন্য যীশুর খৃষ্টের বাণী ছিলো অপরের প্রতি দয়া ও করুণার উপদেশ।
২৪৭৪। আল্লাহ্ কোনও কিছু সৃষ্টি করতে চাইলে শুধু বলেন ‘হও’ আর তা হয়ে যায়। অনুরূপ আয়াত দেখুন [ ৩: ৪৭]। তার হুকুম সাথে সাথেই পালিত হয়। তিনি যদি ইচ্ছা করেন শুধু মাত্র তখনই তা দেরী হয়। সময় সম্বন্ধে আমাদের যে ধারণা সে তো শুধুমাত্র আপেক্ষিক ধারণা সময়ের প্রকৃত ধারণা আল্লাহ্ই জানেন।
আয়াতঃ 019.022
অতঃপর তিনি গর্ভে সন্তান ধারণ করলেন এবং তৎসহ এক দূরবর্তী স্থানে চলে গেলেন।
So she conceived him, and she withdrew with him to a far place (i.e. Bethlehem valley about 4-6 miles from Jerusalem).
فَحَمَلَتْهُ فَانتَبَذَتْ بِهِ مَكَانًا قَصِيًّا
Fahamalat-hu faintabathat bihi makanan qasiyyan
YUSUFALI: So she conceived him, and she retired with him to a remote place.
PICKTHAL: And she conceived him, and she withdrew with him to a far place.
SHAKIR: So she conceived him; then withdrew herself with him to a remote place.
KHALIFA: When she bore him, she isolated herself to a faraway place.
২২। সুতারাং সে তাঁকে গর্ভে ধারণ করলো; এবং সেই অবস্থায় সে এক দূরবর্তী স্থানে চলে গেল ২৪৭৫।
২৪৭৫। যে দিন জিব্রাইল কুমারী মেরীকে যীশুর আগমন বার্তা ঘোষণা করেন এবং মেরী যীশুকে গর্ভে ধারণ করেন, ধারণা করা হয় যে , স্থানটি ছিলো জেরুজালেম থেকে ৬৫ মাইল উত্তরে নাজেরা [Nazareth] নামক স্থান। মেরী সন্তান প্রসব করেন জেরুজালেম থেকে ৬ মাইল দক্ষিণে বেথেলহামে। স্থানটি শুধু যে নাজেরা থেকে ৭১ মাইল দূরে ছিলো তাই নয়, যেখানে যীশু জন্মগ্রহণ করেন তা ছিলো বেথেলহামের এক নির্জন অজ্ঞাত স্থান। যীশু জন্ম গ্রহণ করেন খেজুর গাছের নীচে, পরে তাঁকে আস্তাবলের জাবনা পাত্রে স্থানান্তরিত করা হয়।
আয়াতঃ 019.023
প্রসব বেদনা তাঁকে এক খেজুর বৃক্ষ-মূলে আশ্রয় নিতে বাধ্য করল। তিনি বললেনঃ হায়, আমি যদি কোনরূপে এর পূর্বে মরে যেতাম এবং মানুষের স্মৃতি থেকে বিলুপ্ত হয়ে, যেতাম!
And the pains of childbirth drove her to the trunk of a date-palm. She said: ”Would that I had died before this, and had been forgotten and out of sight!”
فَأَجَاءهَا الْمَخَاضُ إِلَى جِذْعِ النَّخْلَةِ قَالَتْ يَا لَيْتَنِي مِتُّ قَبْلَ هَذَا وَكُنتُ نَسْيًا مَّنسِيًّا
Faajaaha almakhadu ila jithAAi alnnakhlati qalat ya laytanee mittu qabla hatha wakuntu nasyan mansiyyan
YUSUFALI: And the pains of childbirth drove her to the trunk of a palm-tree: She cried (in her anguish): “Ah! would that I had died before this! would that I had been a thing forgotten and out of sight!”
PICKTHAL: And the pangs of childbirth drove her unto the trunk of the palm-tree. She said: Oh, would that I had died ere this and had become a thing of naught, forgotten!
SHAKIR: And the throes (of childbirth) compelled her to betake herself to the trunk of a palm tree. She said: Oh, would that I had died before this, and had been a thing quite forgotten!
KHALIFA: The birth process came to her by the trunk of a palm tree. She said, “(I am so ashamed;) I wish I were dead before this happened, and completely forgotten.”
২৩। প্রসব বেদনা তাকে এক খেজুর গাছের তলায় আশ্রয় নিতে বাধ্য করলো। [ তীব্র দৈহিক যাতনায় ] সে কেঁদে বলেছিলো, ” হায়! এর আগে যদি আমি মরে যেতাম ! তবে লোকের স্মৃতি থেকে সম্পূর্ণ বিলুপ্ত হতাম ” ২৪৭৬।
২৪৭৬। প্রসব বেদনার তীব্রতায় মেরী উপরের উক্তি করেন। সব কিছুর উর্দ্ধে মেরীও ছিলেন মানুষ। মানুষের শারীরিক যন্ত্রনাও তাঁকে ভোগ করতে হয়। পরিবেশটি ছিলো বৈশিষ্ট্যপূর্ণ। আত্মীয়-স্বজন থেকে সূদূর বেথেলহামে প্রসব বেদনায় তীব্র যন্ত্রণাতে কুমারী মাতা ছ্টফট করছেন সম্পূর্ণ একা।
আয়াতঃ 019.024
অতঃপর ফেরেশতা তাকে নিম্নদিক থেকে আওয়ায দিলেন যে, তুমি দুঃখ করো না। তোমার পালনকর্তা তোমার পায়ের তলায় একটি নহর জারি করেছেন।
Then [the babe ’Iesa (Jesus) or Jibrael (Gabriel)] cried unto her from below her, saying: ”Grieve not! Your Lord has provided a water stream under you;
فَنَادَاهَا مِن تَحْتِهَا أَلَّا تَحْزَنِي قَدْ جَعَلَ رَبُّكِ تَحْتَكِ سَرِيًّا
Fanadaha min tahtiha alla tahzanee qad jaAAala rabbuki tahtaki sariyyan
YUSUFALI: But (a voice) cried to her from beneath the (palm-tree): “Grieve not! for thy Lord hath provided a rivulet beneath thee;
PICKTHAL: Then (one) cried unto her from below her, saying: Grieve not! Thy Lord hath placed a rivulet beneath thee,
SHAKIR: Then (the child) called out to her from beneath her: Grieve not, surely your Lord has made a stream to flow beneath you;
KHALIFA: (The infant) called her from beneath her, saying, “Do not grieve. Your Lord has provided you with a stream.
২৪। কিন্তু [ একটি স্বর ] তাকে [ খেজুর গাছের ] নীচ থেকে আহ্বান করে বললো, ” দুঃখ করো না! তোমার প্রভু তোমার [ পিপাসা নিবারণের ] জন্য নীচে একটি ছোট্ট নদী সৃষ্টি করেছেন ; –
২৫। ” এবং খেজুর গাছের কান্ডকে তোমার দিকে নাড়া দাও ; উহা তোমার জন্য তাজা পাকা খেজুর পতিত করবে। ২৪৭৭
২৪৭৭। দয়াময় আল্লাহ্র অদৃশ্য করুণার ধারা মেরীর জন্য খাদ্য ও পানীয়ের সুবন্দোবস্ত করেন। পানীয়ের জন্য আল্লাহ্ মেরীর জন্য ক্ষুদ্র নদীর সৃষ্টি করেন যাতে তিনি নিজেকে ধৌত করতে পারবেন।
আয়াতঃ 019.025
আর তুমি নিজের দিকে খেজুর গাছের কান্ডে নাড়া দাও, তা থেকে তোমার উপর সুপক্ক খেজুর পতিত হবে।
”And shake the trunk of date-palm towards you, it will let fall fresh ripe-dates upon you.”
وَهُزِّي إِلَيْكِ بِجِذْعِ النَّخْلَةِ تُسَاقِطْ عَلَيْكِ رُطَبًا جَنِيًّا
Wahuzzee ilayki bijithAAi alnnakhlati tusaqit AAalayki rutaban janiyyan
YUSUFALI: “And shake towards thyself the trunk of the palm-tree: It will let fall fresh ripe dates upon thee.
PICKTHAL: And shake the trunk of the palm-tree toward thee, thou wilt cause ripe dates to fall upon thee.
SHAKIR: And shake towards you the trunk of the palmtree, it will drop on you fresh ripe dates:
KHALIFA: “If you shake the trunk of this palm tree, it will drop ripe dates for you.
২৪। কিন্তু [ একটি স্বর ] তাকে [ খেজুর গাছের ] নীচ থেকে আহ্বান করে বললো, ” দুঃখ করো না! তোমার প্রভু তোমার [ পিপাসা নিবারণের ] জন্য নীচে একটি ছোট্ট নদী সৃষ্টি করেছেন ; –
২৫। ” এবং খেজুর গাছের কান্ডকে তোমার দিকে নাড়া দাও ; উহা তোমার জন্য তাজা পাকা খেজুর পতিত করবে। ২৪৭৭
২৪৭৭। দয়াময় আল্লাহ্র অদৃশ্য করুণার ধারা মেরীর জন্য খাদ্য ও পানীয়ের সুবন্দোবস্ত করেন। পানীয়ের জন্য আল্লাহ্ মেরীর জন্য ক্ষুদ্র নদীর সৃষ্টি করেন যাতে তিনি নিজেকে ধৌত করতে পারবেন।
আয়াতঃ 019.026
যখন আহার কর, পান কর এবং চক্ষু শীতল কর। যদি মানুষের মধ্যে কাউকে তুমি দেখ, তবে বলে দিওঃ আমি আল্লাহর উদ্দেশে রোযা মানত করছি। সুতরাং আজ আমি কিছুতেই কোন মানুষের সাথে কথা বলব না।
”So eat and drink and be glad, and if you see any human being, say: ’Verily! I have vowed a fast unto the Most Beneficent (Allâh) so I shall not speak to any human being this day.’”
فَكُلِي وَاشْرَبِي وَقَرِّي عَيْنًا فَإِمَّا تَرَيِنَّ مِنَ الْبَشَرِ أَحَدًا فَقُولِي إِنِّي نَذَرْتُ لِلرَّحْمَنِ صَوْمًا فَلَنْ أُكَلِّمَ الْيَوْمَ إِنسِيًّا
Fakulee waishrabee waqarree AAaynan fa-imma tarayinna mina albashari ahadan faqoolee innee nathartu lilrrahmani sawman falan okallima alyawma insiyyan
YUSUFALI: “So eat and drink and cool (thine) eye. And if thou dost see any man, say, ‘I have vowed a fast to (Allah) Most Gracious, and this day will I enter into not talk with any human being’”
PICKTHAL: So eat and drink and be consoled. And if thou meetest any mortal, say: Lo! I have vowed a fast unto the Beneficent, and may not speak this day to any mortal.
SHAKIR: So eat and drink and refresh the eye. Then if you see any mortal, say: Surely I have vowed a fast to the Beneficent Allah, so I shall not speak to any man today.
KHALIFA: “Eat and drink, and be happy. When you see anyone, say, `I have made a vow of silence; I am not talking today to anyone.’ ”
২৬। ” সুতারাং আহার কর এবং পান কর এবং [ তোমার সন্তানকে দেখে ] চক্ষু জুড়াও ২৪৭৮। এবং তুমি যদি কোন লোককে দেখ,তাহলে বলো, ‘ আমি পরম করুণাময় [আল্লাহ্র ] জন্য রোজার মানত করেছি, [ সুতারাং ] এই দিনে আমি কোন মানুষের সাথে বাক্যলাপ করবো না ২৪৭৯।”
২৪৭৮। “চক্ষু জুড়াও ” এটা একটা প্রবাদ বাক্য যার অর্থ শান্তি পাওয়া। আক্ষরিকভাবে এর অর্থ দাঁড়ায় ছোট নদীর ঠাণ্ডা পানিতে মুখ ধুয়ে তাঁর চক্ষুকে ঠাণ্ডা করা ও যে অত্যাশ্চার্য শিশু সে লাভ করেছে তা দেখে তাঁর নয়ন জুড়ানো। তাঁকে চারিদিকে লক্ষ্য করতে বলা হলো, এবং নির্দ্দেশ দান করা হলো, যদি কেউ কাছে আসে মেরী যেনো মৌনতা অবলম্বন করে। এবং মেরী সেই অনুযায়ী প্রতিজ্ঞা করেন।
২৪৭৯। মেরী সকল পুরুষ ও মেয়েকে আল্লাহ্র নামে শপথ করে বললেন যে তিনি মৌনতা অবলম্বন করেছেন।
আয়াতঃ 019.027
অতঃপর তিনি সন্তানকে নিয়ে তার সম্প্রদায়ের কাছে উপস্থিত হলেন। তারা বললঃ হে মারইয়াম, তুমি একটি অঘটন ঘটিয়ে বসেছ।
Then she brought him (the baby) to her people, carrying him. They said: ”O Mary! Indeed you have brought a thing Fariya (an unheard mighty thing).
فَأَتَتْ بِهِ قَوْمَهَا تَحْمِلُهُ قَالُوا يَا مَرْيَمُ لَقَدْ جِئْتِ شَيْئًا فَرِيًّا
Faatat bihi qawmaha tahmiluhu qaloo ya maryamu laqad ji/ti shay-an fariyyan
YUSUFALI: At length she brought the (babe) to her people, carrying him (in her arms). They said: “O Mary! truly an amazing thing hast thou brought!
PICKTHAL: Then she brought him to her own folk, carrying him. They said: O Mary! Thou hast come with an amazing thing.
SHAKIR: And she came to her people with him, carrying him (with her). They said: O Marium! surely you have done a strange thing.
KHALIFA: She came to her family, carrying him. They said, “O Mary, you have committed something that is totally unexpected.
২৭। শেষ পর্যন্ত সে সন্তানকে [ বাহুতে ] বহন করে তার সম্প্রদায়ের নিকট উপস্থিত হলো। তারা বলেছিলো, “হে মারইয়াম ! তুমি তো এক আশ্চর্য জিনিষ এনেছ! ২৪৮০
২৪৮০। মেরী শিশুকে নিয়ে তাঁর নিজ সম্প্রদায়ের নিকট গমন করলো। মেরীকে দেখে তাঁর সম্প্রদায়ের লোকেরা আশ্চর্যে হতবুদ্ধি হয়ে গেলো। মেরীর অর্ন্তধানে তারা মেরীর সম্বন্ধে সম্পূর্ণ খারাপ ধারণা পোষণ করেছিলো। কিন্তু এখন সেই মেরী নির্লজ্জ্বের মত শিশুকে বক্ষে ধারণ করে তাদের সামনে হাজির। হারুনের পরিবারের জন্য তা কত বড় লজ্জ্বা। যে পরিবার ইহুদীদের মধ্যে প্রধান যাজক পরিবার বলে গণ্য সেখানে এরূপ ঘটনার কল্পনাও করা যায় না। আমরা পুরো দৃশ্যটি কল্পনা করতে পারি , যা ঘটেছিলো জেরুজালেমের অথবা নাজেরার উপসানালয়ে।
আয়াতঃ 019.028
হে হারূণ-ভাগিনী, তোমার পিতা অসৎ ব্যক্তি ছিলেন না এবং তোমার মাতাও ছিল না ব্যভিচারিনী।
”O sister (i.e. the like) of Hârûn (Aaron) [not the brother of Mûsa (Moses), but he was another pious man at the time of Maryam (Mary)]! Your father was not a man who used to commit adultery, nor your mother was an unchaste woman.”
يَا أُخْتَ هَارُونَ مَا كَانَ أَبُوكِ امْرَأَ سَوْءٍ وَمَا كَانَتْ أُمُّكِ بَغِيًّا
Ya okhta haroona ma kana abooki imraa saw-in wama kanat ommuki baghiyyan
YUSUFALI: “O sister of Aaron! Thy father was not a man of evil, nor thy mother a woman unchaste!”
PICKTHAL: O sister of Aaron! Thy father was not a wicked man nor was thy mother a harlot.
SHAKIR: O sister of Haroun! your father was not a bad man, nor, was your mother an unchaste woman.
KHALIFA: “O descendant of Aaron, your father was not a bad man, nor was your mother unchaste.”
২৮। ” হে হারূনের ভগ্নী! ২৪৮১। তোমার পিতা তো অসৎ ব্যক্তি ছিলো না এবং তোমার মাতাও ব্যভিচারিণী ছিলো না ! ”
২৪৮১। মুসার ভাই হারুন ইসরাঈল সম্প্রদায়ের যাজকদের মধ্যে প্রথম ছিলেন। হারুনের বংশকে যাজক বংশরূপে অভিহিত করা হতো। মেরী এবং এলিজাবেথ [ ইয়াহিয়ার মা ] ছিলেন জ্ঞাতি বোন। তারাও যাজক বংশ থেকে আগত। এই যাজক বংশকে হারুনের বংশ বলা হতো। সে কারণে মেরীকে সম্ভোধন করা হয়েছে হারুনের বোন বলে। মেরীর পিতা ইমরান ও মাতা ছিলেন অত্যন্ত পরহেজগার এবং মোমেন বান্দা। শুধু যে তারা মোমেন বান্দা ছিলেন তাই নয় তারা এমন এক সম্মানজনক ও আল্লাহ্র নেয়ামত প্রাপ্ত বংশ থেকে আগত সেখানে মেরীর এরকম তথাকথিত অধঃপতন তাঁর পূর্বপুরুষদের জন্যও সম্মান হানিকর।
আয়াতঃ 019.029
অতঃপর তিনি হাতে সন্তানের দিকে ইঙ্গিত করলেন। তারা বললঃ যে কোলের শিশু তার সাথে আমরা কেমন করে কথা বলব?
Then she pointed to him. They said: ”How can we talk to one who is a child in the cradle?”
فَأَشَارَتْ إِلَيْهِ قَالُوا كَيْفَ نُكَلِّمُ مَن كَانَ فِي الْمَهْدِ صَبِيًّا
Faasharat ilayhi qaloo kayfa nukallimu man kana fee almahdi sabiyyan
YUSUFALI: But she pointed to the babe. They said: “How can we talk to one who is a child in the cradle?”
PICKTHAL: Then she pointed to him. They said: How can we talk to one who is in the cradle, a young boy?
SHAKIR: But she pointed to him. They said: How should we speak to one who was a child in the cradle?
KHALIFA: She pointed to him. They said, “How can we talk with an infant in the crib?”
২৯। কিন্তু মারইয়াম শিশুর প্রতি ইঙ্গিত করলো ২৪৮২। তারা বললো, ” কিভাবে আমরা দোলনাতে শায়িত শিশুর সাথে কথা বলবো ? ”
২৪৮২। তাদের এই অভিযোগের উত্তরে মেরী কি বলতে পারতেন ? সমস্ত ঘটনার কি ব্যাখ্যা তিনি দান করতে পারতেন যা ইসরাঈলীদের মনঃপুত হতো ? মেরীর ব্যাখ্যা কি ইহুদীদের আক্রমণাত্মক মনোভাবকে শান্ত করতে পারতো , যুগ ও সমাজের প্রেক্ষিতে বিবেচনা করলে এ কথাই বলা যায় যে, মেরী তাদের যে ব্যাখ্যাই দান করুন না কেন তা তাদের কাছে গ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হতো না। মেরী যা করতে পারতেন , তিনি তাইই করলেন। তিনি জানতেন কোলের শিশুটি সাধারণ শিশু নয়। তাই তিনি নিজে নিঃশ্চুপ থেকে শিশুটির প্রতি অঙ্গুলি প্রদর্শন করেন। কোলের শিশুই তার মাতার উদ্ধারের জন্য এগিয়ে আসে। শিশুটি অলৌকিক ভাবে মাতার পক্ষে কথা বলে ও যুক্তির অবতারণা করে এবং অবিশ্বাসী শ্রোতাদের মাঝে আল্লাহ্র মহিমা ঘোষণা করে।
আয়াতঃ 019.030
সন্তান বললঃ আমি তো আল্লাহর দাস। তিনি আমাকে কিতাব দিয়েছেন এবং আমাকে নবী করেছেন।
”He [’Iesa (Jesus)] said: Verily! I am a slave of Allâh, He has given me the Scripture and made me a Prophet;”
قَالَ إِنِّي عَبْدُ اللَّهِ آتَانِيَ الْكِتَابَ وَجَعَلَنِي نَبِيًّا
Qala innee AAabdu Allahi ataniya alkitaba wajaAAalanee nabiyyan
YUSUFALI: He said: “I am indeed a servant of Allah: He hath given me revelation and made me a prophet;
PICKTHAL: He spake: Lo! I am the slave of Allah. He hath given me the Scripture and hath appointed me a Prophet,
SHAKIR: He said: Surely I am a servant of Allah; He has given me the Book and made me a prophet;
KHALIFA: (The infant spoke and) said, “I am a servant of GOD. He has given me the scripture, and has appointed me a prophet.
৩০। সে [ শিশুটি ] বলেছিলো, ” প্রকৃতই আমি একজন আল্লাহ্র [ অনুগত ] দাস। তিনি আমাকে প্রত্যাদেশ দিয়েছেন এবং আমাকে নবী করেছেন।
৩১। ” এবং আমি যেখানেই থাকি না কেন তিনি আমাকে তাঁর আর্শীবাদ ধন্য করেছেন। এবং আমাকে আদেশ দিয়েছেন যতদিন জীবিত থাকি ততদিন সালাত আদায় করতে এবং দান করতে ২৪৮৩।
২৪৮৩। যীশু খৃষ্ট ও ইয়াহিয়াকে কোরাণ শরীফে দু – একটি ব্যতিক্রম বাদে সমান্তরাল ভাবে তুলনা করা হয়েছে। এসব তুলনা ও ব্যতিক্রম উভয়ই আর্কষণীয়। যেমন যীশু খৃষ্টের জীবনের আরম্ভ সূচিত হয়, এই ঘোষণার মাধ্যমে যে যীশু আল্লাহ্র দাস, আল্লাহ্র ছেলে নন। আল্লাহ্র একান্ত অনুগত দাস হিসেবেই তিনি নিজেকে পরিচিত করেছেন, এখানেই তার মহানুভবতা। ইয়াহিয়ার বৈশিষ্ট্য বা মহৎহৃদয় যা বর্ণনা করা হয়েছে আয়াত [ ১৯:১২ – ১৩ ] , যা যীশুর জন্য প্রযোজ্য নয়। এটা ছিলো যীশু ও ইয়াহিয়ার মধ্যে ব্যতিক্রমধর্মী তুলনা। কিন্তু আয়াত [ ১৯ : ১৩ – ১৫ ] ছিলো ইয়াহিয়ার বর্ণনা যার সমান্তরাল বর্ণনা আছে যীশুর জন্য এই আয়াতে [ ১৯ : ৩১ – ৩৩ ] প্রার্থনায়, আল্লাহ্র একান্ত অনুগত থাকা, সালাত ও যাকাতের [ দান ] প্রযোজ্য হয়েছে যীশুর ক্ষেত্রে ; এবং ইয়াহিয়ার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয়েছে দয়া, পবিত্রতা এবং আনুগত্যের। লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে, চরিত্রের বিশেষ গুণাবলী যথা দয়া, পবিত্রতা ও আনুগত্য [ যা ইয়াহিয়ার বৈশিষ্ট্য ] থাকলেই বিশ্বস্ত ও অনুগতভাবে সালাত বা প্রার্থনা ও যাকাত বা দান করা সম্ভব [ যা যীশু খৃষ্টের বৈশিষ্ট্য ] অর্থাৎ দয়া , আত্মার পবিত্রতা ও আনুগত্য হৃদয়ে থাকলেই প্রার্থনা ও জীবে দয়া সম্পূর্ণতা লাভ করে। ঠিক যে ভাবে ইয়াহিয়ার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য যীশু খৃষ্টের আগমনের অগ্রগামী পথিক।
আয়াতঃ 019.031
আমি যেখানেই থাকি, তিনি আমাকে বরকতময় করেছেন। তিনি আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন, যতদিন জীবিত থাকি, ততদিন নামায ও যাকাত আদায় করতে।
”And He has made me blessed wheresoever I be, and has enjoined on me Salât (prayer), and Zakât, as long as I live.”
وَجَعَلَنِي مُبَارَكًا أَيْنَ مَا كُنتُ وَأَوْصَانِي بِالصَّلَاةِ وَالزَّكَاةِ مَا دُمْتُ حَيًّا
WajaAAalanee mubarakan aynama kuntu waawsanee bialssalati waalzzakati ma dumtu hayyan
YUSUFALI: “And He hath made me blessed wheresoever I be, and hath enjoined on me Prayer and Charity as long as I live;
PICKTHAL: And hath made me blessed wheresoever I may be, and hath enjoined upon me prayer and almsgiving so long as I remain alive,
SHAKIR: And He has made me blessed wherever I may be, and He has enjoined on me prayer and poor-rate so long as I live;
KHALIFA: “He made me blessed wherever I go, and enjoined me to observe the Contact Prayers (Salat) and the obligatory charity (Zakat) for as long as I live.
৩০। সে [ শিশুটি ] বলেছিলো, ” প্রকৃতই আমি একজন আল্লাহ্র [ অনুগত ] দাস। তিনি আমাকে প্রত্যাদেশ দিয়েছেন এবং আমাকে নবী করেছেন।
৩১। ” এবং আমি যেখানেই থাকি না কেন তিনি আমাকে তাঁর আর্শীবাদ ধন্য করেছেন। এবং আমাকে আদেশ দিয়েছেন যতদিন জীবিত থাকি ততদিন সালাত আদায় করতে এবং দান করতে ২৪৮৩।
২৪৮৩। যীশু খৃষ্ট ও ইয়াহিয়াকে কোরাণ শরীফে দু – একটি ব্যতিক্রম বাদে সমান্তরাল ভাবে তুলনা করা হয়েছে। এসব তুলনা ও ব্যতিক্রম উভয়ই আর্কষণীয়। যেমন যীশু খৃষ্টের জীবনের আরম্ভ সূচিত হয়, এই ঘোষণার মাধ্যমে যে যীশু আল্লাহ্র দাস, আল্লাহ্র ছেলে নন। আল্লাহ্র একান্ত অনুগত দাস হিসেবেই তিনি নিজেকে পরিচিত করেছেন, এখানেই তার মহানুভবতা। ইয়াহিয়ার বৈশিষ্ট্য বা মহৎহৃদয় যা বর্ণনা করা হয়েছে আয়াত [ ১৯:১২ – ১৩ ] , যা যীশুর জন্য প্রযোজ্য নয়। এটা ছিলো যীশু ও ইয়াহিয়ার মধ্যে ব্যতিক্রমধর্মী তুলনা। কিন্তু আয়াত [ ১৯ : ১৩ – ১৫ ] ছিলো ইয়াহিয়ার বর্ণনা যার সমান্তরাল বর্ণনা আছে যীশুর জন্য এই আয়াতে [ ১৯ : ৩১ – ৩৩ ] প্রার্থনায়, আল্লাহ্র একান্ত অনুগত থাকা, সালাত ও যাকাতের [ দান ] প্রযোজ্য হয়েছে যীশুর ক্ষেত্রে ; এবং ইয়াহিয়ার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয়েছে দয়া, পবিত্রতা এবং আনুগত্যের। লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে, চরিত্রের বিশেষ গুণাবলী যথা দয়া, পবিত্রতা ও আনুগত্য [ যা ইয়াহিয়ার বৈশিষ্ট্য ] থাকলেই বিশ্বস্ত ও অনুগতভাবে সালাত বা প্রার্থনা ও যাকাত বা দান করা সম্ভব [ যা যীশু খৃষ্টের বৈশিষ্ট্য ] অর্থাৎ দয়া , আত্মার পবিত্রতা ও আনুগত্য হৃদয়ে থাকলেই প্রার্থনা ও জীবে দয়া সম্পূর্ণতা লাভ করে। ঠিক যে ভাবে ইয়াহিয়ার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য যীশু খৃষ্টের আগমনের অগ্রগামী পথিক।
আয়াতঃ 019.032
এবং জননীর অনুগত থাকতে এবং আমাকে তিনি উদ্ধত ও হতভাগ্য করেননি।
”And dutiful to my mother, and made me not arrogant, unblest.
وَبَرًّا بِوَالِدَتِي وَلَمْ يَجْعَلْنِي جَبَّارًا شَقِيًّا
Wabarran biwalidatee walam yajAAalnee jabbaran shaqiyyan
YUSUFALI: “(He) hath made me kind to my mother, and not overbearing or miserable;
PICKTHAL: And (hath made me) dutiful toward her who bore me, and hath not made me arrogant, unblest.
SHAKIR: And dutiful to my mother, and He has not made me insolent, unblessed;
KHALIFA: “I am to honor my mother; He did not make me a disobedient rebel.
৩২। ” [আল্লাহ্ ] আমাকে আমার মাতার প্রতি দয়ালু করেছেন। তিনি আমাকে উদ্ধত ও হতভাগ্য করেন নাই। ২৪৮৪
২৪৮৪। উদ্ধত,বিদ্রোহী ও স্বেচ্ছাচারী আচরণ অন্যায় ও ক্ষতিকর। যাদের প্রতি উদ্ধত ও স্বেচ্ছাচারী আচরণ করা হয়, তাদের প্রতি অন্যায় করা হয়, আর যে উদ্ধত ও স্বেচ্ছাচারী তার জন্যও এই আচরণ ক্ষতিকর। সম্ভবতঃ যে এরূপ আচরণ করে সে অধিক ক্ষতিগ্রস্থ। কারণ তাঁর এই আচরণের দ্বারা সে তার আত্মার পবিত্রতা হারায়। তাঁর আত্মার অবস্থা হয়ে পড়ে অপবিত্র, বিশৃঙ্খল, অস্থির এবং এসবের শেষ পরিণতিতে সে হয় অসুখী, চরম দুর্দ্দশাগ্রস্থ ও হতভাগ্য ব্যক্তি। আত্মার এই অবস্থাকেই বলা যায় দোযখের পূর্ব অবস্থা। উদ্ধত, বিদ্রোহী ও স্বেচ্ছাচারী আত্মার বিপরীত অবস্থা হচ্ছে শান্তি। ইয়াহিয়ার শেষ দিনগুলির মাধ্যমে আত্মার এই অবস্থাকে বর্ণনা করা সম্ভব। ইয়াহিয়া তাঁর প্রতি অন্যায় শাস্তিকে ধীর স্থির প্রশান্তভাবে গ্রহণ করেন। কোন অস্থিরতা বা শঙ্কা তাঁর ছিলো না।
আয়াতঃ 019.033
আমার প্রতি সালাম যেদিন আমি জন্মগ্রহণ করেছি, যেদিন মৃত্যুবরণ করব এবং যেদিন পুনরুজ্জীবিত হয়ে উত্থিত হব।
”And Salâm (peace) be upon me the day I was born, and the day I die, and the day I shall be raised alive!”
وَالسَّلَامُ عَلَيَّ يَوْمَ وُلِدتُّ وَيَوْمَ أَمُوتُ وَيَوْمَ أُبْعَثُ حَيًّا
Waalssalamu AAalayya yawma wulidtu wayawma amootu wayawma obAAathu hayyan
YUSUFALI: “So peace is on me the day I was born, the day that I die, and the day that I shall be raised up to life (again)”!
PICKTHAL: Peace on me the day I was born, and the day I die, and the day I shall be raised alive!
SHAKIR: And peace on me on the day I was born, and on the day I die, and on the day I am raised to life.
KHALIFA: And peace be upon me the day I was born, the day I die, and the day I get resurrected.”
৩৩। ” সুতারাং আমার প্রতি শান্তি যেদিন আমি জন্ম লাভ করেছি, যেদিন আমি মারা যাব, এবং যেদিন আমি পুনরুত্থিত হব।” ২৪৮৫
২৪৮৫। দেখুন [ ১৯ : ১৫ ] এবং টিকা ২৪৬৯। যীশুকে ক্রুশবিদ্ধ করা হয় নাই। দেখুন [ ৪:১৫৭ ] আয়াত।
আয়াতঃ 019.034
এই মারইয়ামের পুত্র ঈসা। সত্যকথা, যে সম্পর্কে লোকেরা বিতর্ক করে।
Such is ’Iesa (Jesus), son of Maryam (Mary). (it is) a statement of truth, about which they doubt (or dispute).
ذَلِكَ عِيسَى ابْنُ مَرْيَمَ قَوْلَ الْحَقِّ الَّذِي فِيهِ يَمْتَرُونَ
Thalika AAeesa ibnu maryama qawla alhaqqi allathee feehi yamtaroona
YUSUFALI: Such (was) Jesus the son of Mary: (it is) a statement of truth, about which they (vainly) dispute.
PICKTHAL: Such was Jesus, son of Mary: (this is) a statement of the truth concerning which they doubt.
SHAKIR: Such is Isa, son of Marium; (this is) the saying of truth about which they dispute.
KHALIFA: That was Jesus, the son of Mary, and this is the truth of this matter, about which they continue to doubt.
৩৪। এই -ই হচ্ছে মারইয়াম পুত্র ঈসা। [ এটা হচ্ছে ] সত্যের বিবরণ যার সম্বন্ধে তারা [ বৃথা ] তর্ক করছে ২৪৮৬।
২৪৮৬। যীশু খৃষ্ট সম্বন্ধে বিভিন্ন মতবাদের রক্তাক্ত সংগ্রাম ও বির্তক বৃথা। যদিও বর্তমানে বিভিন্ন গীর্জা এসব নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামায় না , তবে তাদের অযৌক্তিক মতবাদও সম্পূর্ণ ত্যাগ করা উচিত।
আয়াতঃ 019.035
আল্লাহ এমন নন যে, সন্তান গ্রহণ করবেন, তিনি পবিত্র ও মহিমাময় সত্তা, তিনি যখন কোন কাজ করা সিদ্ধান্ত করেন, তখন একথাই বলেনঃ হও এবং তা হয়ে যায়।
It befits not (the Majesty of) Allâh that He should beget a son [this refers to the slander of Christians against Allâh, by saying that ’Iesa (Jesus) is the son of Allâh]. Glorified (and Exalted be He above all that they associate with Him). When He decrees a thing, He only says to it, ”Be!” and it is.
مَا كَانَ لِلَّهِ أَن يَتَّخِذَ مِن وَلَدٍ سُبْحَانَهُ إِذَا قَضَى أَمْرًا فَإِنَّمَا يَقُولُ لَهُ كُن فَيَكُونُ
Ma kana lillahi an yattakhitha min waladin subhanahu itha qada amran fa-innama yaqoolu lahu kun fayakoonu
YUSUFALI: It is not befitting to (the majesty of) Allah that He should beget a son. Glory be to Him! when He determines a matter, He only says to it, “Be”, and it is.
PICKTHAL: It befitteth not (the Majesty of) Allah that He should take unto Himself a son. Glory be to Him! When He decreeth a thing, He saith unto it only: Be! and it is.
SHAKIR: It beseems not Allah that He should take to Himself a ! son, glory to be Him; when He has decreed a matter He only says to it “Be,” and it is.
KHALIFA: It does not befit GOD that He begets a son, be He glorified. To have anything done, He simply says to it, “Be,” and it is.
৩৫। আল্লাহ্র [ মর্যাদার ] সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয় যে, তিনি সন্তান গ্রহণ করবেন। তিনি পবিত্র মহিমাময় ! তিনি যখন কিছু স্থির করেন তখন শুধু বলেন, ” হও ” এবং তা হয়ে যায় ২৪৮৭।
২৪৮৭। সন্তানের জন্মদান করা জৈবিক ব্যাপার যা সমস্ত প্রাণীকূলের মধ্যে বর্তমান। আল্লাহ্ পবিত্র ও মহিমাময়। তাঁকে এই সাধারণ প্রাণীকূলের সমগোত্রীয় কল্পনা করার মাধ্যমে আল্লাহ্র মহিমাকেই খর্ব করা হয়। তিনি অভাবমুক্ত। তাঁর মাঝে যৌনক্ষুধা বর্তমান এ ধারণা দ্বারা তাঁর মর্যদাকে হানি করা হয়। আল্লাহ্ সন্তান ধারণ করেন এ অপবাদ তারাই দেয় , যারা এই পার্থিব জীবনের বাইরে চিন্তা করতে অক্ষম। মোশরেকদের কুসংস্কার ও মানুষকে দেবত্ব আরোপের অভ্যাস থেকে উপরোক্ত ধারণার উদ্ভব।
আয়াতঃ 019.036
তিনি আরও বললেনঃ নিশ্চয় আল্লাহ আমার পালনকর্তা ও তোমাদের পালনকর্তা। অতএব, তোমরা তার এবাদত কর। এটা সরল পথ।
[’Iesa (Jesus) said]: ”And verily Allâh is my Lord and your Lord. So worship Him (Alone). That is the Straight Path. (Allâh’s Religion of Islâmic Monotheism which He did ordain for all of His Prophets).” [Tafsir At-Tabarî]
وَإِنَّ اللَّهَ رَبِّي وَرَبُّكُمْ فَاعْبُدُوهُ هَذَا صِرَاطٌ مُّسْتَقِيمٌ
Wa-inna Allaha rabbee warabbukum faoAAbudoohu hatha siratun mustaqeemun
YUSUFALI: Verily Allah is my Lord and your Lord: Him therefore serve ye: this is a Way that is straight.
PICKTHAL: And lo! Allah is my Lord and your Lord. So serve Him. That is the right path.
SHAKIR: And surely Allah is my Lord and your Lord, therefore serve Him; this is the right path.
KHALIFA: He also proclaimed, “GOD is my Lord and your Lord; you shall worship Him alone. This is the right path.”
৩৬। অবশ্যই আল্লাহ্ আমার প্রভু এবং তোমার প্রভু! সুতারাং তার সেবা কর। ইহাই সরল পথ ২৪৮৮।
২৪৮৮। যারা নিজেদের কুটতর্কের ধূম্রজালে কুসংস্কার ও অধিবিদ্যার আশ্রয় গ্রহণ করে তারাই একের ভিতরে তিন অথবা তিনের ভিতরে এক, এসব অবান্তর যুক্তির অবতারণা করে। কোরাণে সরল পথের নির্দ্দেশ দান করা হয়েছে প্রাঞ্জল ভাষাতে। কোন ঘোর প্যাঁচ বা বক্রতার অবকাশ নাই [ ১৮:১]। খৃষ্টের ধর্মোপদেশ সহজ সরল তার জীবনাদর্শের মত। কিন্তু খৃষ্টানেরা তাঁকে বক্র করেছে বিভিন্ন মতবাদের অবতারণার মাধ্যমে। হযরত ঈসা (আঃ) বা খৃষ্টের সম্পর্কে বিভিন্ন মতবাদের সৃষ্টি করে খৃষ্টানগণ নিজেরাই বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে পড়ে।
আয়াতঃ 019.037
অতঃপর তাদের মধ্যে দলগুলো পৃথক পৃথক পথ অবলম্বন করল। সুতরাং মহাদিবস আগমনকালে কাফেরদের জন্যে ধবংস।
Then the sects differed [i.e. the Christians about ’Iesa (Jesus) ], so woe unto the disbelievers [those who gave false witness by saying that ’Iesa (Jesus) is the son of Allâh] from the meeting of a great Day (i.e. the Day of Resurrection, when they will be thrown in the blazing Fire).
فَاخْتَلَفَ الْأَحْزَابُ مِن بَيْنِهِمْ فَوَيْلٌ لِّلَّذِينَ كَفَرُوا مِن مَّشْهَدِ يَوْمٍ عَظِيمٍ
Faikhtalafa al-ahzabu min baynihim fawaylun lillatheena kafaroo min mashhadi yawmin AAatheemin
YUSUFALI: But the sects differ among themselves: and woe to the unbelievers because of the (coming) Judgment of a Momentous Day!
PICKTHAL: The sects among them differ: but woe unto the disbelievers from the meeting of an awful Day.
SHAKIR: But parties from among them disagreed with each other, so woe to those who disbelieve, because of presence on a great
KHALIFA: The various parties disputed among themselves (regarding the identity of Jesus). Therefore, woe to those who disbelieve from the sight of a terrible day.
৩৭। কিন্তু দলগুলি নিজেদের মধ্যে মতানৈক্য সৃষ্টি করলো। সুতারাং অনাগত গুরুত্বপূর্ণ শেষ বিচার দিবসে অবিশ্বাসীদের জন্য দুর্ভোগ ২৪৮৯।
২৪৮৯। Mash – ad শব্দটিকে অনুবাদ করা হয়েছে শেষ বিচার দিবস। এই শব্দটি যে ভাবকে বহন করে তা নিম্নরূপ : ১) যেখানে ও যে সময়ে সাক্ষ্য প্রমাণ গ্রহণ করা হয়, যেমন বিচারালয়। ২) সেই সময় যখন কাহাকেও বিচারের জন্য উপস্থিত করা হয়। ৩) সাক্ষ্য প্রমাণের জন্য কোন ঘটনাকে উপস্থিত করা হয়। শেষ বিচারের দিনকে ভাষায় প্রকাশের জন্য উপযুক্ত শব্দ চয়ন বৈকি।
আয়াতঃ 019.038
সেদিন তারা কি চমৎকার শুনবে এবং দেখবে, যেদিন তারা আমার কাছে আগমন করবে। কিন্তু আজ জালেমরা প্রকাশ্য বিভ্রান্তিতে রয়েছে।
How clearly will they (polytheists and disbelievers in the Oneness of Allâh) see and hear, the Day when they will appear before Us! But the Zalimûn (polytheists and wrong-doers) today are in plain error.
أَسْمِعْ بِهِمْ وَأَبْصِرْ يَوْمَ يَأْتُونَنَا لَكِنِ الظَّالِمُونَ الْيَوْمَ فِي ضَلَالٍ مُّبِينٍ
AsmiAA bihim waabsir yawma ya/toonana lakini alththalimoona alyawma fee dalalin mubeenin
YUSUFALI: How plainly will they see and hear, the Day that they will appear before Us! but the unjust today are in error manifest!
PICKTHAL: See and hear them on the Day they come unto Us! yet the evil-doers are to-day in error manifest.
SHAKIR: How clearly shall they hear and how clearly shall they see on the day when they come to Us; but the unjust this day are in manifest error.
KHALIFA: Wait till you hear them and see them when they come to face us. The transgressors on that day will be totally lost.
৩৮। যেদিন তারা আমার নিকট উপস্থিত হবে, সেদিন তারা কত সহজভাবে দেখতে ও শুনতে পারবে। কিন্তু অন্যায়কারীরা আজকে সুস্পষ্ট ভুলের মাঝে রয়েছে ২৪৯০।
২৪৯০। পুনরুত্থানের দিনে মানুষের অনুভব ও চেতনার বর্ণনা এই আয়াতে আছে। দেখুন [ ৫০ : ২২] আয়াত যেখানে পুনরুত্থানের বর্ণনা আছে।
আয়াতঃ 019.039
আপনি তাদেরকে পরিতাপের দিবস সম্পর্কে হুশিয়ার করে দিন যখন সব ব্যাপারের মীমাংসা হয়ে যাবে। এখন তারা অনবধানতায় আছে এবং তারা বিশ্বাস স্থাপন করছে না।
And warn them (O Muhammad SAW) of the Day of grief and regrets, when the case has been decided, while (now) they are in a state of carelessness, and they believe not.
وَأَنذِرْهُمْ يَوْمَ الْحَسْرَةِ إِذْ قُضِيَ الْأَمْرُ وَهُمْ فِي غَفْلَةٍ وَهُمْ لَا يُؤْمِنُونَ
Waanthirhum yawma alhasrati ith qudiya al-amru wahum fee ghaflatin wahum la yu/minoona
YUSUFALI: But warn them of the Day of Distress, when the matter will be determined: for (behold,) they are negligent and they do not believe!
PICKTHAL: And warn them of the Day of anguish when the case hath been decided. Now they are in a state of carelessness, and they believe not.
SHAKIR: And warn them of the day of intense regret, when the matter shall have been decided; and they are (now) in negligence and they do not believe.
KHALIFA: Warn them about the day of remorse, when judgment will be issued. They are totally oblivious; they do not believe.
৩৯। অত্যন্ত ক্লেশকর দিবস সম্বন্ধে তাদের সর্তক কর ২৪৯১ , যেদিন সকল বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। [ সাবধান ] এখন তারা অমনোযোগী এবং বিশ্বাসও করে না।
২৪৯১। “Hasrat” অনুবাদ করা হয়েছে ক্লেশকর দিবস। এর অন্যান্য অর্থ হচ্ছে দীর্ঘশ্বাস ,দীর্ঘশ্বাস ফেলা, ভুলত্রুটির জন্য দুঃখ, নিদারুণ মর্মপীড়া।
আয়াতঃ 019.040
আমিই চুড়ান্ত মালিকানার অধিকারী হব পৃথিবীর এবং তার উপর যারা আছে তাদের এবং আমারই কাছে তারা প্রত্যাবর্তিত হবে।
Verily! We will inherit the earth and whatsoever is thereon. And to Us they all shall be returned,
إِنَّا نَحْنُ نَرِثُ الْأَرْضَ وَمَنْ عَلَيْهَا وَإِلَيْنَا يُرْجَعُونَ
Inna nahnu narithu al-arda waman AAalayha wa-ilayna yurjaAAoona
YUSUFALI: It is We Who will inherit the earth, and all beings thereon: to Us will they all be returned.
PICKTHAL: Lo! We, only We, inherit the earth and all who are thereon, and unto Us they are returned.
SHAKIR: Surely We inherit the earth and all those who are on it, and to Us they shall be returned.
KHALIFA: We are the ones who inherit the earth and everyone on it; to us everyone will be returned.
৪০। নিশ্চয়ই পৃথিবী এবং এর উপরে সকল কিছুর মালিক আমি ২৪৯২। তারা সকলেই আমারই নিকট ফিরে আসবে।
২৪৯২। দেখুন আয়াত [ ৩ : ১৮০ ] ও টিকা ৪৮৫; আয়াত [ ১৫ : ২৩ ] ও টিকা ১৯৬৪। পৃথিবীতে যে ধন- সম্পদ ব্যক্তি অর্জন করে মৃত্যুর পরে তার বংশধরেরা তা উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত হয়। এই-ই পৃথিবীর নিয়ম। সমস্ত পৃথিবীর মালিক আল্লাহ্। তিনিই জীবন ও মৃত্যুর মালিক। দৈহিক মৃত্যুর পরে যে চিরঞ্জীব আত্মার অবস্থান , তারও মালিক সেই সর্বশক্তিমান। মুত্যুর পরে আত্মা আল্লাহ্র নিকট ফিরে যায় যিনি সব কিছুর মালিক ও উৎস।
আয়াতঃ 019.041
আপনি এই কিতাবে ইব্রাহীমের কথা বর্ণনা করুন। নিশ্চয় তিনি ছিলেন সত্যবাদী, নবী।
And mention in the Book (the Qur’ân) Ibrâhim (Abraham). Verily! He was a man of truth, a Prophet.
وَاذْكُرْ فِي الْكِتَابِ إِبْرَاهِيمَ إِنَّهُ كَانَ صِدِّيقًا نَّبِيًّا (41
Waothkur fee alkitabi ibraheema innahu kana siddeeqan nabiyyan
YUSUFALI: (Also mention in the Book (the story of) Abraham: He was a man of Truth, a prophet.
PICKTHAL: And make mention (O Muhammad) in the Scripture of Abraham. Lo! he was a saint, a prophet.
SHAKIR: And mention Ibrahim in the Book; surely he was a truthful man, a prophet.
KHALIFA: Mention in the scripture Abraham; he was a saint, a prophet.
রুকু – ৩
৪১। কিতাবে [আরও ] উল্লেখ করা হয়েছে ইব্রাহিমের [ কাহিনী ]। সে ছিলো একজন সত্যনিষ্ঠ মানুষ, একজন নবী।
৪২। স্মরণ কর, সে তাঁর পিতাকে বলেছিলো ২৪৯৩: ” হে আমার পিতা ! কেন তুমি তার এবাদত কর, যে শুনতে পারে না , দেখতে পারে না এবং তোমার কোন কাজে আসে না ?
২৪৯৩। এই আয়াতে হযরত ইব্রাহীমের তাঁর পিতার প্রতি সহৃদয় , সনির্বন্ধ মিনতিকে তুলে ধরা হয়েছে। ইব্রাহীমের পিতা ছিলেন পৌত্তলিক। তিনি একত্ববাদের আলো গ্রহণ করেন নাই, ইব্রাহীম তাকে সঠিক পথ প্রদর্শন ও পরিচালিত করতে চেয়েছিলেন।
আয়াতঃ 019.042
যখন তিনি তার পিতাকে বললেনঃ হে আমার পিতা, যে শোনে না, দেখে না এবং তোমার কোন উপকারে আসে না, তার এবাদত কেন কর?
When he said to his father: ”O my father! Why do you worship that which hears not, sees not and cannot avail you in anything?
إِذْ قَالَ لِأَبِيهِ يَا أَبَتِ لِمَ تَعْبُدُ مَا لَا يَسْمَعُ وَلَا يُبْصِرُ وَلَا يُغْنِي عَنكَ شَيْئًا (42
Ith qala li-abeehi ya abati lima taAAbudu ma la yasmaAAu wala yubsiru wala yughnee AAanka shay-an
YUSUFALI: Behold, he said to his father: “O my father! why worship that which heareth not and seeth not, and can profit thee nothing?
PICKTHAL: When he said unto his father: O my father! Why worshippest thou that which heareth not nor seeth, nor can in aught avail thee?
SHAKIR: When he said to his father; O my father! why do you worship what neither hears nor sees, nor does it avail you in the least:
KHALIFA: He said to his father, “O my father, why do you worship what can neither hear, nor see, nor help you in any way?
রুকু – ৩
৪১। কিতাবে [আরও ] উল্লেখ করা হয়েছে ইব্রাহিমের [ কাহিনী ]। সে ছিলো একজন সত্যনিষ্ঠ মানুষ, একজন নবী।
৪২। স্মরণ কর, সে তাঁর পিতাকে বলেছিলো ২৪৯৩: ” হে আমার পিতা ! কেন তুমি তার এবাদত কর, যে শুনতে পারে না , দেখতে পারে না এবং তোমার কোন কাজে আসে না ?
২৪৯৩। এই আয়াতে হযরত ইব্রাহীমের তাঁর পিতার প্রতি সহৃদয় , সনির্বন্ধ মিনতিকে তুলে ধরা হয়েছে। ইব্রাহীমের পিতা ছিলেন পৌত্তলিক। তিনি একত্ববাদের আলো গ্রহণ করেন নাই, ইব্রাহীম তাকে সঠিক পথ প্রদর্শন ও পরিচালিত করতে চেয়েছিলেন।
আয়াতঃ 019.043
হে আমার পিতা, আমার কাছে এমন জ্ঞান এসেছে; যা তোমার কাছে আসেনি, সুতরাং আমার অনুসরণ কর, আমি তোমাকে সরল পথ দেখাব।
”O my father! Verily! There has come to me of knowledge that which came not unto you. So follow me. I will guide you to a Straight Path.
يَا أَبَتِ إِنِّي قَدْ جَاءنِي مِنَ الْعِلْمِ مَا لَمْ يَأْتِكَ فَاتَّبِعْنِي أَهْدِكَ صِرَاطًا سَوِيًّا (43
Ya abati innee qad jaanee mina alAAilmi ma lam ya/tika faittabiAAnee ahdika siratan sawiyyan
YUSUFALI: “O my father! to me hath come knowledge which hath not reached thee: so follow me: I will guide thee to a way that is even and straight.
PICKTHAL: O my father! Lo! there hath come unto me of knowledge that which came not unto thee. So follow me, and I will lead thee on a right path.
SHAKIR: O my father! truly the knowledge has come to me which has not come to you, therefore follow me, I will guide you on a right path:
KHALIFA: “O my father, I have received certain knowledge that you did not receive. Follow me, and I will guide you in a straight path.
৪৩। ” হে আমার পিতা ! আমার নিকট [ সত্যের ] জ্ঞান এসেছে, যা তোমার কাছে পৌঁছায় নাই ২৪৯৪। সুতারাং আমাকে অনুসরণ কর। আমি তোমাকে সহজ সরল পথে পরিচালিত করবো।২৪৯৫
” আমার নিকট [সত্যের] জ্ঞান এসেছে, যা তোমার কাছে পৌঁছায় নাই।”
২৪৯৪। “আমার নিকট সত্যের জ্ঞান যা তোমার নিকট আসে নাই।” ইব্রাহীমের এই উক্তির মাধ্যমে আল্লাহ্ এই সত্যের দিকে ইঙ্গিত করেছেন যে, সত্যের আলো সবার অন্তরে সমভাবে প্রবেশ লাভ করে না। অনেকের সত্যের আলোকে ধারণ করার ক্ষমতা অন্যদের অপেক্ষা বেশী। এটা তাদের জন্য এক বিশেষ সুবিধা বা অধিকার যা আল্লাহ্ তাদের দান করেছেন। সুতারাং অন্যকে সেই পথের সন্ধান দান করা তাদের নৈতিক দায়িত্ব। আয়াতটির অর্থ সার্বজনীন।
২৪৯৫। “Sawiyan” সঠিক মসৃণ,সমতল , পরিপূর্ণ, সম্পূর্ণ। সুতারাং এই শব্দটির বিভিন্ন অর্থ বিভিন্ন আয়াতে প্রযোজ্য হয়েছে। যেমন [ ১৯ : ১০ ] সম্পূর্ণ ক্ষমতা থাকা সত্বেও কাহারও সাথে “বাক্যালাপ করবে না” অর্থে। আয়াত [ ১৯ : ১৭ ] এ বর্ণনা আছে ফেরেশতা যাকে ” পূর্ণ মানব আকৃতিতে” প্রেরণ করা হয়। এখানে উপরের শব্দটির দ্বারা “পূর্ণ” ভাবকে প্রকাশ করা হয়েছে।
আয়াতঃ 019.044
হে আমার পিতা, শয়তানের এবাদত করো না। নিশ্চয় শয়তান দয়াময়ের অবাধ্য।
”O my father! Worship not Shaitân (Satan). Verily! Shaitân (Satan) has been a rebel against the Most Beneficent (Allâh).
يَا أَبَتِ لَا تَعْبُدِ الشَّيْطَانَ إِنَّ الشَّيْطَانَ كَانَ لِلرَّحْمَنِ عَصِيًّا (44
Ya abati la taAAbudi alshshaytana inna alshshaytana kana lilrrahmani AAasiyyan
YUSUFALI: “O my father! serve not Satan: for Satan is a rebel against (Allah) Most Gracious.
PICKTHAL: O my father! Serve not the devil. Lo! the devil is a rebel unto the Beneficent.
SHAKIR: O my father! serve not the Shaitan, surely the Shaitan is disobedient to the Beneficent Allah:
KHALIFA: “O my father, do not worship the devil. The devil has rebelled against the Most Gracious.
৪৪। ” হে আমার পিতা ! শয়তানের দাসত্ব করো না। শয়তান তো পরম করুণাময় [আল্লাহ্র ] অবাধ্য ২৪৯৬।
২৪৯৬। যেখানে আল্লাহ্ পরম করুণাময়, ন্যায়বান ও মহান তাঁর বান্দার প্রতি, সেখানে আল্লাহ্র বিরুদ্ধাচারণ করা জঘন্য পাপ যা ক্ষমার অযোগ্য যা শয়তানের কাজ।
আয়াতঃ 019.045
হে আমার পিতা, আমি আশঙ্কা করি, দয়াময়ের একটি আযাব তোমাকে স্পর্শ করবে, অতঃপর তুমি শয়তানের সঙ্গী হয়ে যাবে।
”O my father! Verily! I fear lest a torment from the Most Beneficent (Allâh) overtake you, so that you become a companion of Shaitân (Satan) (in the Hell-fire).” [Tafsir Al-Qurtubî]
يَا أَبَتِ إِنِّي أَخَافُ أَن يَمَسَّكَ عَذَابٌ مِّنَ الرَّحْمَن فَتَكُونَ لِلشَّيْطَانِ وَلِيًّا (45
Ya abati innee akhafu an yamassaka AAathabun mina alrrahmani fatakoona lilshshyatani waliyyan
YUSUFALI: “O my father! I fear lest a Penalty afflict thee from (Allah) Most Gracious, so that thou become to Satan a friend.”
PICKTHAL: O my father! Lo! I fear lest a punishment from the Beneficent overtake thee so that thou become a comrade of the devil.
SHAKIR: O my father! surely I fear that a punishment from the Beneficent Allah should afflict you so that you should be a friend of the Shaitan.
KHALIFA: “O my father, I fear lest you incur retribution from the Most Gracious, then become an ally of the devil.”
৪৫। ” হে আমার পিতা! আমি তো আশংকা করি যে পরম করুণাময় [আল্লাহ্র ] শাস্তি তোমাকে স্পর্শ করবে। ফলে, তুমি শয়তানের বন্ধুতে রূপান্তরিত হবে ২৪৯৭। ”
২৪৯৭। যা অন্যায় , পাপ, বেআইনী তাই-ই শয়তানের প্রতীক। এই আয়াতের সার্বজনীন উপদেশ হচ্চে যদি অন্তরের মাঝে পাপের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে না তুলে , যদি পাপের প্রতি আসক্তি জন্মে, তবে ইচ্ছাকৃত ভাবে আল্লাহ্র সত্যকে প্রত্যাখানের ফলে দয়াময়ের শাস্তি আমাদের জন্য অবধারিত হয়ে দাঁড়ায়। হযরত ইব্রাহীমের তাঁর পিতার জন্য এই আশঙ্কা সার্বজনীন যা সকল যুগের সকল ব্যক্তির জন্য প্রযোজ্য। পাপের প্রতি আসক্তিকে শয়তানকে বন্ধুরূপে বর্ণনা করা হয়েছে। কারণ শয়তান আল্লাহ্র বিরুদ্ধাচারণ করার ফলে অপরাধী বলে সনাক্ত। আর যে কোনও পাপই হচ্ছে আল্লাহ্র বিরুদ্ধাচারণ করা।
আয়াতঃ 019.046
পিতা বললঃ যে ইব্রাহীম, তুমি কি আমার উপাস্যদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছ? যদি তুমি বিরত না হও, আমি অবশ্যই প্রস্তরাঘাতে তোমার প্রাণনাশ করব। তুমি চিরতরে আমার কাছ থেকে দূর হয়ে যাও।
He (the father) said: ”Do you reject my gods, O Ibrâhim (Abraham)? If you stop not (this), I will indeed stone you. So get away from me safely before I punish you.”
قَالَ أَرَاغِبٌ أَنتَ عَنْ آلِهَتِي يَا إِبْراهِيمُ لَئِن لَّمْ تَنتَهِ لَأَرْجُمَنَّكَ وَاهْجُرْنِي مَلِيًّا
Qala araghibun anta AAan alihatee ya ibraheemu la-in lam tantahi laarjumannaka waohjurnee maliyyan
YUSUFALI: (The father) replied: “Dost thou hate my gods, O Abraham? If thou forbear not, I will indeed stone thee: Now get away from me for a good long while!”
PICKTHAL: He said: Rejectest thou my gods, O Abraham? If thou cease not, I shall surely stone thee. Depart from me a long while!
SHAKIR: He said: Do you dislike my gods, O Ibrahim? If you do not desist I will certainly revile you, and leave me for a time.
KHALIFA: He said, “Have you forsaken my gods, O Abraham? Unless you stop, I will stone you. Leave me alone.”
৪৬। [পিতা] উত্তর দিয়েছিলো, ” হে ইব্রাহীম ! তুমি কি আমার দেব-দেবীকে ঘৃণা কর ? যদি তুমি নিবৃত্ত না হও, তবে আমি প্রস্তরঘাতে তোমার প্রাণনাশ করবই। এখন চিরদিনের জন্য আমার নিকট থেকে দূর হয়ে যাও।” ২৪৯৮
২৪৯৮। নিম্নের আয়াতগুলিতে [ ১৯ : ৪২ – ৪৫ ] এবং [ ১৯ : ৪৭ – ৪৮ ] ইব্রাহীম ও তাঁর পিতার বাক্ বিতন্ডা তুলে ধরা হয়েছে। মনে করতে পারি যে, তুমুল বাকবিতন্ডাকে এই কয়েকটি আয়াতের মাধ্যমে সংক্ষেপে প্রকাশ করা হয়েছে। আয়াত [১৯ : ৪২ – ৪৫] হচ্ছে হযরত ইব্রাহীমের আন্তরিক প্রচেষ্টা তাঁর পিতাকে প্ররোচিত করার জন্য সত্য ধর্মের প্রতি এবং আয়াত [ ১৯ : ৪৭ – ৪৮ ] হচ্ছে পিতার রূঢ় ও বিরক্তিকর প্রত্যাখানের উত্তরে হযরত ইব্রাহীমের ভদ্র, নম্র, কোমল উত্তর দান। এই আয়াতগুলি এই সত্যের দিকে ইঙ্গিত করে যে, হযরত ইব্রাহীমের চরিত্রের মাধুর্য্য ছিলো সত্য ধর্মের অনুশীলন ও এক আল্লাহ্র এবাদতের পরিণতি ও তাঁর পিতার গর্বিত ও উদ্ধত ব্যবহার ছিলো তাঁর অশুভ শক্তির পূজার ফল। এই আয়াতগুলির মাধ্যমে যে আধ্যাত্মিক শিক্ষা দান করা হয়েছে সেগুলিকে ব্যাখ্যা চারভাগে ভাগ করা যায়। ১ ) পূণ্যবান সন্তানেরা সব সময়ে পিতার প্রতি কর্তব্যপরায়ণ হয় এবং পিতার পার্থিব ও আধ্যাত্মিক জীবনের প্রতি যত্নশীল। ২) যদি পিতা সত্যের আলোকে প্রত্যাখান করে, সন্তান তার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে পিতাকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনার জন্য। ৩) যে একবার সত্যের আলোকে হৃদয়ে অনুভব করেছে, তাঁর পক্ষে কোনও অবস্থায় সম্ভব হবে না তা প্রত্যাখান করা এমন কি এর জন্য যদি তাঁকে তার স্নেহময় পিতার স্নেহচ্যুত হতে হয় এবং স্নেহমতয় পিতা যদি স্নেহহীন হয়ে পড়ে , নিষ্ঠুর ভাবে তাকে বাড়ী থেকে বিতাড়ণ করেন, সন্তান তবুও পিতার প্রতি কঠোর হবে না , সন্তানের আবেদন হবে নম্র, কোমল ভালোবাসাতে পূর্ণ। পিতার সমস্ত অসম্পূর্ণতাকে সন্তান ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবে কিন্তু সেই সাথে সে তাঁর বিশ্বাসের প্রতি থাকবে অটল , সত্যের প্রতি থাকবে অবিচলিত।
এই হচ্ছে এই আয়াতগুলির সার্বজনীন আবেদন।
উপদেশ : যেভাবে বড়দের নসিহত করতে হবে।
আয়াতঃ 019.047
ইব্রাহীম বললেনঃ তোমার উপর শান্তি হোক, আমি আমার পালনকর্তার কাছে তোমার জন্যে ক্ষমা প্রার্থনা করব। নিশ্চয় তিনি আমার প্রতি মেহেরবান।
Ibrâhim (Abraham) said: ”Peace be on you! I will ask Forgiveness of my Lord for you. Verily! He is unto me, Ever Most Gracious.
قَالَ سَلَامٌ عَلَيْكَ سَأَسْتَغْفِرُ لَكَ رَبِّي إِنَّهُ كَانَ بِي حَفِيًّا (47
Qala salamun AAalayka saastaghfiru laka rabbee innahu kana bee hafiyyan
YUSUFALI: Abraham said: “Peace be on thee: I will pray to my Lord for thy forgiveness: for He is to me Most Gracious.
PICKTHAL: He said: Peace be unto thee! I shall ask forgiveness of my Lord for thee. Lo! He was ever gracious unto me.
SHAKIR: He said: Peace be on you, I will pray to my Lord to forgive you; surely He is ever Affectionate to me:
KHALIFA: He said, “Peace be upon you. I will implore my Lord to forgive you; He has been Most Kind to me.
৪৭। ইব্রাহীম বলেছিলো, ” তোমার প্রতি শান্তি। আমি আমার প্রভুর নিকট তোমার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করবো ২৪৯৯। অবশ্যই তিনি আমার প্রতি পরম করুণাময়।
২৪৯৯। দেখুন আয়াত [ ৯ : ১১৪ ] যেখানে ইব্রাহীমকে তাঁর পিতার জন্য আল্লাহ্র কাছে ক্ষমা চাওয়া থেকে বিরত হওয়ার কারণ বর্ণনা করা হয়েছে।
আয়াতঃ 019.048
আমি পরিত্যাগ করছি তোমাদেরকে এবং তোমরা আল্লাহ ব্যতীত যাদের এবাদত কর তাদেরকে; আমি আমার পালনকর্তার এবাদত করব। আশা করি, আমার পালনকর্তার এবাদত করে আমি বঞ্চিত হব না।
”And I shall turn away from you and from those whom you invoke besides Allâh. And I shall call on my Lord; and I hope that I shall not be unblest in my invocation to my Lord.”
وَأَعْتَزِلُكُمْ وَمَا تَدْعُونَ مِن دُونِ اللَّهِ وَأَدْعُو رَبِّي عَسَى أَلَّا أَكُونَ بِدُعَاء رَبِّي شَقِيًّا
WaaAAtazilukum wama tadAAoona min dooni Allahi waadAAoo rabbee AAasa alla akoona biduAAa-i rabbee shaqiyyan
YUSUFALI: “And I will turn away from you (all) and from those whom ye invoke besides Allah: I will call on my Lord: perhaps, by my prayer to my Lord, I shall be not unblest.”
PICKTHAL: I shall withdraw from you and that unto which ye pray beside Allah, and I shall pray unto my Lord. It may be that, in prayer unto my Lord, I shall not be unblest.
SHAKIR: And I will withdraw from you and what you call on besides Allah, and I will call upon my Lord; may be I shall not remain unblessed in calling upon my Lord.
KHALIFA: “I will abandon you and the gods you worship beside GOD. I will worship only my Lord. By imploring my Lord alone, I cannot go wrong.”
৪৮। আমি তোমাদের থেকে এবং আল্লাহ্ ব্যতীত যাদের এবাদত কর, তাদের [ সকলের ] থেকে দূরে সরে যাচ্ছি। আমি আমার প্রভুকে আহ্বান করি। সম্ভবতঃ আমার প্রার্থনা দ্বারা আমি আমার প্রভুর নিকট অভিশপ্ত হব না ২৫০০।
২৫০০। ইব্রাহীম তাঁর পিতা এবং পিতৃগৃহ ত্যাগ করেন এবং আর কোনও দিনই সেখানে ফিরে আসেন নাই। তিনি আজন্ম পরিচিত গৃহ ত্যাগ করে অজানার উদ্দেশ্যে পা বাড়ান , কারণ মিথ্যা ধর্ম ও অনাচারের সাথে আপোষ-মিমাংসা করা তাঁর পক্ষে সম্ভব ছিলো না। তবে এখানে লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে অন্যায় অত্যাচারের পরিবর্তে হযরত ইব্রাহীমের ব্যবহার ছিলো কোমলতায়, ভালোবাসায় পরিপূর্ণ। তিনি মধুর ভাবে তাঁর পিতার রূঢ় ব্যবহারের উত্তর দান করেন। হযরত ইব্রাহীমের একমাত্র আশা ছিলো পরম করুণাময়ের আর্শীবাদ।
এই আয়াতের মাধ্যমে হযরত ইব্রাহীমের বহু শতাব্দী পরে আল্লাহ্র হুকুম, সত্যের আলোকে সমুন্নত রাখার জন্য যে হিজরত হযরত মুহম্মদের (সা) দ্বারা সংঘটিত হবে তারই ইঙ্গিত করা হয়েছে।
আয়াতঃ 019.049
অতঃপর তিনি যখন তাদেরকে এবং তার আল্লাহ ব্যতীত যাদের এবাদত করত, তাদের সবাইকে পরিত্যাগ করলেন, তখন আমি তাকে দান করলাম ইসহাক ও ইয়াকুব এবং প্রত্যেককে নবী করলাম।
So when he had turned away from them and from those whom they worshipped besides Allâh, We gave him Ishâque (Isaac) and Ya’qûb (Jacob), and each one of them We made a Prophet.
فَلَمَّا اعْتَزَلَهُمْ وَمَا يَعْبُدُونَ مِن دُونِ اللَّهِ وَهَبْنَا لَهُ إِسْحَقَ وَيَعْقُوبَ وَكُلًّا جَعَلْنَا نَبِيًّا
Falamma iAAtazalahum wama yaAAbudoona min dooni Allahi wahabna lahu ishaqa wayaAAqooba wakullan jaAAalna nabiyyan
YUSUFALI: When he had turned away from them and from those whom they worshipped besides Allah, We bestowed on him Isaac and Jacob, and each one of them We made a prophet.
PICKTHAL: So, when he had withdrawn from them and that which they were worshipping beside Allah, We gave him Isaac and Jacob. Each of them We made a prophet.
SHAKIR: So when he withdrew from them and what they worshipped besides Allah, We gave to him Ishaq and Yaqoub, and each one of them We made a prophet.
KHALIFA: Because he abandoned them and the gods they worshiped beside GOD, we granted him Isaac and Jacob, and we made each of them a prophet.
৪৯। অতঃপর সে যখন তাদের থেকে এবং আল্লাহ্ ব্যতীত যাদের তারা এবাদত করতো, তাদের [ সকলের ] থেকে দুরে সরে গেলো, আমি তাকে দান করলাম, ইসাহাক ও ইয়াকুব। এবং তাদের প্রত্যেককে নবী করলাম ২৫০১।
২৫০১। ইসাহাক ও ইসাহাকের পুত্র ইয়াকুবের কথা এখানে শুধু উল্লেখ করা হয়েছে , কারণ ইব্রাহীমের বংশের দুই শাখার এটা হচ্ছে এক শাখা। হযরত ইব্রাহীমের বংশের দুই শাখাই পয়গম্বরদের আগমনে ধন্য। ইসাহাকের শাখার উল্লেখ এখানে করা হয়েছে, এই শাখাতে আগমন করেন হযরত মুসা, হযরত ঈসা বা যীশু খ্রীষ্ট। অপর শাখা হচ্ছে হযরত ইসমাঈলের বংশধর যার কথা পরবর্তী পাঁচটি আয়াতে আলাদাভাবে উল্লেখ করা হয়েছে বিশেষ সম্মানের সাথে। এই শাখাতে জন্ম গ্রহণ করেন শেষ নবী হযরত মুহম্মদ (সা)। সে কারণেই তাঁর উল্লেখ হযরত মুসার পরে করা হয়েছে। দেখুন [ ২১ : ৭২ ]।
আয়াতঃ 019.050
আমি তাদেরকে দান করলাম আমার অনুগ্রহ এবং তাদেরকে দিলাম সমুচ্চ সুখ্যাতি।
And We gave them of Our Mercy (a good provision in plenty), and We granted them honour on the tongues (of all the nations, i.e everybody remembers them with a good praise).
وَوَهَبْنَا لَهُم مِّن رَّحْمَتِنَا وَجَعَلْنَا لَهُمْ لِسَانَ صِدْقٍ عَلِيًّا
Wawahabna lahum min rahmatina wajaAAalna lahum lisana sidqin AAaliyyan
YUSUFALI: And We bestowed of Our Mercy on them, and We granted them lofty honour on the tongue of truth.
PICKTHAL: And we gave them of Our mercy, and assigned to them a high and true renown.
SHAKIR: And We granted to them of Our mercy, and We left (behind them) a truthful mention of eminence for them.
KHALIFA: We showered them with our mercy, and we granted them an honorable position in history.
৫০। এবং তাদেরকে আমার অনুগ্রহ দান করলাম। সত্যের বাণীতে তাদের জন্য সুউচ্চ সম্মান মঞ্জুর করলাম ২৫০২।
২৫০২। ইব্রাহীম এবং তাঁর ছেলে ইসাহাক ও নাতি ইয়াকুব এবং তাঁদের বংশধরেরা পয়গম্বরদের আগমনের ধারা অব্যাহত রাখেন। তাঁর সকলেই সত্য প্রচারের পতাকা সমুন্নত রাখেন। এ সব নবী ও রাসুলেরা যুগ যুগ ধরে মানুষের সম্মান ও শ্রদ্ধার পাত্র, সত্যের উপাসক রূপে সাধারণ মানুষের কাছে পরিচিত। হযরত ইব্রাহীম আল্লাহ্র কাছে প্রার্থনা করেছিলেন যে, পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে যারা সত্য ধর্মে বিশ্বাসী তাদের দ্বারা তিনি যেনো প্রশংসিত হতে পারেন। দেখুন আয়াত [ ২৬ : ৮৪ ] যেখানেও হযরত ইব্রাহীম অনুরূপ প্রার্থনা করেন। আল্লাহ্ তাঁকে অনুগ্রহ ও যশ দানে ধন্য করেন।
আয়াতঃ 019.051
এই কিতাবে মূসার কথা বর্ণনা করুন, তিনি ছিলেন মনোনীত এবং তিনি ছিলেন রাসূল, নবী।
And mention in the Book (this Qur’ân) Mûsa (Moses). Verily! He was chosen and he was a Messenger (and) a Prophet.
وَاذْكُرْ فِي الْكِتَابِ مُوسَى إِنَّهُ كَانَ مُخْلَصًا وَكَانَ رَسُولًا نَّبِيًّا
Waothkur fee alkitabi moosa innahu kana mukhlasan wakana rasoolan nabiyyan
YUSUFALI: Also mention in the Book (the story of) Moses: for he was specially chosen, and he was a messenger (and) a prophet.
PICKTHAL: And make mention in the Scripture of Moses. Lo! he was chosen, and he was a messenger (of Allah), a prophet.
SHAKIR: And mention Musa in the Book; surely he was one purified, and he was a messenger, a prophet.
KHALIFA: Mention in the scripture Moses. He was devoted, and he was a messenger prophet.
রুকু – ৪
৫১। এই কিতাবের উল্লেখ করা হয়েছে মুসার [ কাহিনী ]। তাঁকে বিশেষভাবে মনোনীত করা হয়েছিলো , এবং সে ছিলো রাসুল [ এবং ] একজন নবী ২৫০৩।
২৫০৩। এখানে হযরত মুসা সম্বন্ধে তিনটি বিশেষণ প্রয়োগ করা হয়েছে। ১) তিনি ছিলেন বিশুদ্ধ চিত্ত অর্থাৎ আল্লাহ্ তাঁকে বিশেষ ভাবে নির্বাচিত করেন সে কারণে তাঁর অন্তকরণকে পরিশুদ্ধ ও বিশুদ্ধ করা হয় যেনো তিনি ইহুদীদের মিশরের দাসত্ব থেকে মুক্ত করতে পারেন। হযরত মুসার আর একটি উপাধি ছিলো ” কলিমউল্লাহ্ ” অর্থাৎ যে [ ফেরেশতা ব্যতীত ] সরাসরি আল্লাহ্ যার সাথে কথা বলেছেন। দেখুন [ ৪ : ১৬৪ ] ও টিকা ৬৭০। ২) তিনি ছিলেন রাসুল , অর্থাৎ আল্লাহ্ তাঁকে কিতাব দান করেন এবং তাঁর ছিলো উম্মত বা সংগঠিত সম্প্রদায় , যেখানে তিনি আল্লাহ্র হুকুম বা আইন সমূহ প্রবর্তন করেন। ৩) তিনি ছিলেন নবী অর্থাৎ যিনি আল্লাহ্র প্রত্যাদেশ লাভ করে থাকেন।
আয়াতঃ 019.052
আমি তাকে আহবান করলাম তূর পাহাড়ের ডান দিক থেকে এবং গুঢ়তত্ত্ব আলোচনার উদ্দেশে তাকে নিকটবর্তী করলাম।
And We called him from the right side of the Mount, and made him draw near to Us for a talk with him [Mûsa (Moses)].
وَنَادَيْنَاهُ مِن جَانِبِ الطُّورِ الْأَيْمَنِ وَقَرَّبْنَاهُ نَجِيًّا
Wanadaynahu min janibi alttoori al-aymani waqarrabnahu najiyyan
YUSUFALI: And we called him from the right side of Mount (Sinai), and made him draw near to Us, for mystic (converse).
PICKTHAL: We called him from the right slope of the Mount, and brought him nigh in communion.
SHAKIR: And We called to him from the blessed side of the mountain, and We made him draw nigh, holding communion (with Us).
KHALIFA: We called him from the right side of Mount Sinai. We brought him close, to confer with him.
৫২। এবং আমি তাকে [ সিনাই ] পর্বতের দক্ষিণ দিক থেকে ডেকেছিলাম ২৫০৪, এবং তাঁকে আমার দিকে আকর্ষণ করেছিলাম অতীন্দ্রিয়[ কথোপকথনের ] জন্য।
২৫০৪। এই আয়াতে যে ঘটনার ইঙ্গিত করা হয়েছে , তাঁর পূর্ণ বিবরণ আছে আয়াতে [ ২০ : ৯ – ৩৬ ]। এখানে [Exod iii , 1 – 18 এবং iv : 1- 17] এর অনুরূপ বিবরণের উল্লেখ করা যায়। সময়টা ছিলো মুসার নবুয়ত প্রাপ্তি বা আল্লাহ্র নিকট থেকে তাঁর দায়িত্ব প্রাপ্তির পূর্বে। সে সময়ে মুসা তাঁর শ্বশুরের মেষ পালকে চারণভূমিতে পরিচালনা করছিলেন এবং এক স্থান থেকে অন্য স্থানে পরিভ্রমন করছিলেন। ঘটনাটি সেই সময়কার, স্থানটি ছিলো সিনাই পর্বতের [Jabal Musa] পাদদেশে। মুসা দূরে আলো দেখতে পেলেন। কিন্তু যখন আলোর নিকটবর্তী হলেন, তিনি একটি কণ্ঠস্বর শুনতে পেলেন। তিনি যখন স্বরটির আরও নিকটবর্তী হলেন , তাঁর জন্য অপার রহস্যের দূয়ার উম্মুক্ত হলো। আল্লাহ্ তাঁকে তাঁর যুতা খুলে আরও নিকটবর্তী হওয়ার জন্য আদেশ দান করেন, হযরত মুসাকে তাঁর দায়িত্ব অপর্ণ করা হয় , এবং তাঁর ভাই হারুনকে তাঁর সাহায্যে নিযুক্ত করা হয় ও নবীর পদে উন্নীত করা হয়। এর পরেই মুসা এবং হারুন ফেরাউনের সাথে সাক্ষাত করেন যার বিবরণ আছে [ ৭ : ১০৩ – ১০৪ ] আয়াতে। “দক্ষিণ দিক থেকে” বাক্যটির অর্থ মুসা তুর পর্বতের দিকে মুখ করে দাঁড়ানোর পরে পর্বতের ডান দিক থেকে স্বর শুনতে পেলেন। আবার আক্ষরিক অর্থে না নিয়ে আরবী অনুবাদকে যদি আলঙ্করিক অর্থে নেওয়া হয় , তবে “ডান দিকে ” বাক্যটির অর্থ দাঁড়াবে সেই দিক যে দিক আল্লাহ্র অনুগ্রহে ধন্য।
আয়াতঃ 019.053
আমি নিজ অনুগ্রহে তাঁকে দান করলাম তাঁর ভাই হারুনকে নবীরূপে।
And We bestowed on him his brother Hârûn (Aaron), (also) a Prophet, out of Our Mercy.
وَوَهَبْنَا لَهُ مِن رَّحْمَتِنَا أَخَاهُ هَارُونَ نَبِيًّا
Wawahabna lahu min rahmatina akhahu haroona nabiyyan
YUSUFALI: And, out of Our Mercy, We gave him his brother Aaron, (also) a prophet.
PICKTHAL: And We bestowed upon him of Our mercy his brother Aaron, a prophet (likewise).
SHAKIR: And We gave to him out of Our mercy his brother Haroun a prophet.
KHALIFA: And we granted him, out of our mercy, his brother Aaron as a prophet.
৫৩। আমি আমার অনুগ্রহ স্বরূপ তার ভাই হারূনকে [-ও ] নবী রূপে তাকে দিলাম ২৫০৫।
২৫০৫। মুসার জিহ্বার জড়তার জন্য তার তোতলামি ছিলো। সেই কারণে কর্তব্য সম্বন্ধে তাঁর আত্মবিশ্বাস ছিলো না। তিনি আল্লাহ্র কাছে তাঁর ভাই হারুনকে সহকারী হিসেবে প্রার্থনা করেন। পরম করুণাময় তাঁর সেই আবেদন মঞ্জুর করেন [ ২০ : ২৫ – ৩৬ ]।
আয়াতঃ 019.054
এই কিতাবে ইসমাঈলের কথা বর্ণনা করুন, তিনি প্রতিশ্রুতি পালনে সত্যাশ্রয়ী এবং তিনি ছিলেন রসূল, নবী।
And mention in the Book (the Qur’ân) Ismâ’il (Ishmael). Verily! He was true to what he promised, and he was a Messenger, (and) a Prophet.
وَاذْكُرْ فِي الْكِتَابِ إِسْمَاعِيلَ إِنَّهُ كَانَ صَادِقَ الْوَعْدِ وَكَانَ رَسُولًا نَّبِيًّا
Waothkur fee alkitabi ismaAAeela innahu kana sadiqa alwaAAdi wakana rasoolan nabiyyan
YUSUFALI: Also mention in the Book (the story of) Isma’il: He was (strictly) true to what he promised, and he was a messenger (and) a prophet.
PICKTHAL: And make mention in the Scripture of Ishmael. Lo! he was a keeper of his promise, and he was a messenger (of Allah), a prophet.
SHAKIR: And mention Ismail in the Book; surely he was truthful in (his) promise, and he was a messenger, a prophet.
KHALIFA: And mention in the scripture Ismail. He was truthful when he made a promise, and he was a messenger prophet.
৫৪। কিতাবে ইস্মাঈলের [ কাহিনীও ] উল্লেখ আছে। সে তাঁর প্রতিশ্রুতি পালনে ছিলো [ কঠোর ] সত্যাশ্রয়ী ২৫০৬। এবং সে ছিলো রাসুল ও নবী।
২৫০৬। হযরত ইসমাঈল ছিলেন ‘Az-zabih’ বা আল্লাহ্র জন্য উৎসর্গ করা বলি। যখন হযরত ইব্রাহীমকে বলা হলো তাঁকে উৎসর্গ বা কোরবাণী দেবার জন্য, ইসমাঈল স্বতঃস্ফুর্তভাবে আত্মোৎসর্গ করেন, এবং শেষ পর্যন্ত তিনি তাঁর প্রতিজ্ঞায় অটল ছিলেন। ভয় পেয়ে পিছিয়ে আসেন নাই। অবশ্য শেষ পর্যন্ত আল্লাহ্র হুকুমে ইসমাঈলের পরিবর্তে ভেড়া কোরবাণী হয়ে যায়। তিনি ছিলেন আরব সম্প্রদায়ের আদি উৎস পুরুষ। তারই পরবর্তী বংশধরের মধ্যে জন্ম গ্রহণ করেন আল্লাহ্র রাসুল নবী করিম হযরত মুহম্মদ (সা)। ইসলামিক উম্মত এবং কিতাব হযরত ইসমাঈলের নবুয়ত্বের ধারাবাহিকতার ফসল। তিনি ছিলেন ” রাসুল, নবী “।
আয়াতঃ 019.055
তিনি তাঁর পরিবারবর্গকে নামায ও যাকাত আদায়ের নির্দেশ দিতেন এবং তিনি তাঁর পালনকর্তার কাছে পছন্দনীয় ছিলেন।
And he used to enjoin on his family and his people As-Salât (the prayers) and the Zakât, and his Lord was pleased with him.
وَكَانَ يَأْمُرُ أَهْلَهُ بِالصَّلَاةِ وَالزَّكَاةِ وَكَانَ عِندَ رَبِّهِ مَرْضِيًّا
Wakana ya/muru ahlahu bialssalati waalzzakati wakana AAinda rabbihi mardiyyan
YUSUFALI: He used to enjoin on his people Prayer and Charity, and he was most acceptable in the sight of his Lord.
PICKTHAL: He enjoined upon his people worship and almsgiving, and was acceptable in the sight of his Lord.
SHAKIR: And he enjoined on his family prayer and almsgiving, and was one in whom his Lord was well pleased.
KHALIFA: He used to enjoin his family to observe the Contact Prayers (Salat) and the obligatory charity (Zakat); he was acceptable to his Lord.
৫৫। সে তার লোকদের সালাত ও দানের নির্দ্দেশ দিত। এবং সে ছিলো তার প্রভুর সন্তোষভাজন ২৫০৭।
২৫০৭। “প্রতিপালকের সন্তোষভাজন” অর্থাৎ আল্লাহ্র জন্য মনোনীত উৎসর্গ করা জীবন। দেখুন উপরের টিকা।
আয়াতঃ 019.056
এই কিতাবে ইদ্রীসের কথা আলোচনা করুন, তিনি ছিলেন সত্যবাদী নবী।
And mention in the Book (the Qur’ân) Idris (Enoch).Verily! He was a man of truth, (and) a Prophet.
وَاذْكُرْ فِي الْكِتَابِ إِدْرِيسَ إِنَّهُ كَانَ صِدِّيقًا نَّبِيًّا
Waothkur fee alkitabi idreesa innahu kana siddeeqan nabiyyan
YUSUFALI: Also mention in the Book the case of Idris: He was a man of truth (and sincerity), (and) a prophet:
PICKTHAL: And make mention in the Scripture of Idris. Lo! he was a saint, a prophet;
SHAKIR: And mention Idris in the Book; surely he was a truthful man, a prophet,
KHALIFA: And mention in the scripture Idris. He was a saint, a prophet.
৫৬। কিতাবে আরও উল্লেখ আছে ইদরীসের কাহিনী ২৫০৮। সে ছিলো সত্যবাদী [ বিশ্বস্ত এবং ] একজন নবী।
৫৭। এবং আমি তাঁকে উন্নীত করেছিলাম উচ্চ মর্যাদায়।
২৫০৮। কোরাণ শরীফে দুইবার হযরত ইদরীসের উল্লেখ আছে। এই সূরাতে ও সূরা [ ২১ : ৮৫ ] আয়াতে। যেখানে তাঁকে ধৈর্য্যশীল রূপে বর্ণনা করা হয়েছে। বাইবেলে [Gen . V. 21 – 24] তাঁর পরিচিতি হচ্ছে যিনি “Walked with God.” এ কথা সত্য হতেও পারে নাও হতে পারে। বাইবেলের [Gen. V. 24] বর্ণিত ভাষ্য [God took him] অনুযায়ী এই আয়াতকে [ ১৯ : ৫৭ ] ব্যাখ্যা করা যায় না। ” উচ্চ মর্যদায় উন্নীত করার ” অর্থ এই নয় যে, তিনি মৃত্যুর তোরণ অতিক্রম না করেই আল্লাহ্র নিকট উন্নীত হন। কোরাণ শরীফের বর্ণনা থেকে আমরা যেটুকু বুঝতে পারি তা হচ্ছে তিনি ছিলেন সত্যাশ্রয়ী, বিশ্বস্ত এবং তাঁর সম্প্রদায়ের নিকট তাঁর ছিলো উচ্চ মর্যদা। এই সব গুণাবলীতে তিনি যাদের সমকক্ষ ছিলেন , তাদের উল্লেখ করা হয়েছে তার উল্লেখের সম্বন্ধে। তিনি সর্বদা জনসাধারণের সংস্পর্শে থাকতেন এবং তিনি ছিলেন তাদের সম্মানের পাত্র। হযরত ইদ্রিসের উল্লেখের মাধ্যমে এই উপদেশ দেয়া হয়েছে যে, আধ্যাত্মিক উন্নতির জন্য আমাদের জনসংযোগ বিচ্যুত হওয়ার আবশ্যক নাই। আল্লাহ্কে পাওয়ার জন্য লোকালয় ত্যাগ করে বনে যাওয়ার প্রয়োজন নাই। কারণ যিনি আল্লাহ্র অনুগ্রহভাজন হবেন তাঁর দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে অপরজনকে পথ দেখানো।
আয়াতঃ 019.057
আমি তাকে উচ্চে উন্নীত করেছিলাম।
And We raised him to a high station.
وَرَفَعْنَاهُ مَكَانًا عَلِيًّا
WarafaAAnahu makanan AAaliyyan
YUSUFALI: And We raised him to a lofty station.
PICKTHAL: And We raised him to high station.
SHAKIR: And We raised him high in Heaven.
KHALIFA: We raised him to an honorable rank.
৫৬। কিতাবে আরও উল্লেখ আছে ইদরীসের কাহিনী ২৫০৮। সে ছিলো সত্যবাদী [ বিশ্বস্ত এবং ] একজন নবী।
৫৭। এবং আমি তাঁকে উন্নীত করেছিলাম উচ্চ মর্যাদায়।
২৫০৮। কোরাণ শরীফে দুইবার হযরত ইদরীসের উল্লেখ আছে। এই সূরাতে ও সূরা [ ২১ : ৮৫ ] আয়াতে। যেখানে তাঁকে ধৈর্য্যশীল রূপে বর্ণনা করা হয়েছে। বাইবেলে [Gen . V. 21 – 24] তাঁর পরিচিতি হচ্ছে যিনি “Walked with God.” এ কথা সত্য হতেও পারে নাও হতে পারে। বাইবেলের [Gen. V. 24] বর্ণিত ভাষ্য [God took him] অনুযায়ী এই আয়াতকে [ ১৯ : ৫৭ ] ব্যাখ্যা করা যায় না। ” উচ্চ মর্যদায় উন্নীত করার ” অর্থ এই নয় যে, তিনি মৃত্যুর তোরণ অতিক্রম না করেই আল্লাহ্র নিকট উন্নীত হন। কোরাণ শরীফের বর্ণনা থেকে আমরা যেটুকু বুঝতে পারি তা হচ্ছে তিনি ছিলেন সত্যাশ্রয়ী, বিশ্বস্ত এবং তাঁর সম্প্রদায়ের নিকট তাঁর ছিলো উচ্চ মর্যদা। এই সব গুণাবলীতে তিনি যাদের সমকক্ষ ছিলেন , তাদের উল্লেখ করা হয়েছে তার উল্লেখের সম্বন্ধে। তিনি সর্বদা জনসাধারণের সংস্পর্শে থাকতেন এবং তিনি ছিলেন তাদের সম্মানের পাত্র। হযরত ইদ্রিসের উল্লেখের মাধ্যমে এই উপদেশ দেয়া হয়েছে যে, আধ্যাত্মিক উন্নতির জন্য আমাদের জনসংযোগ বিচ্যুত হওয়ার আবশ্যক নাই। আল্লাহ্কে পাওয়ার জন্য লোকালয় ত্যাগ করে বনে যাওয়ার প্রয়োজন নাই। কারণ যিনি আল্লাহ্র অনুগ্রহভাজন হবেন তাঁর দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে অপরজনকে পথ দেখানো।
আয়াতঃ 019.058
এরাই তারা-নবীগণের মধ্য থেকে যাদেরকে আল্লাহ তা’আলা নেয়ামত দান করেছেন। এরা আদমের বংশধর এবং যাদেরকে আমি নূহের সাথে নৌকায় আরোহন করিয়েছিলাম, তাদের বংশধর, এবং ইব্রাহীম ও ইসরাঈলের বংশধর এবং যাদেরকে আমি পথ প্রদর্শন করেছি ও মনোনীত করেছি, তাদের বংশোদ্ভূত। তাদের কাছে যখন দয়াময় আল্লাহর আয়াতসমূহ পাঠ করা হত, তখন তারা সেজদায় লুটিয়ে পড়ত এবং ক্রন্দন করত।
Those were they unto whom Allâh bestowed His Grace from among the Prophets, of the offspring of Adam, and of those whom We carried (in the ship) with Nûh (Noah), and of the offspring of Ibrâhim (Abraham) and Israel and from among those whom We guided and chose. When the Verses of the Most Beneficent (Allâh) were recited unto them, they fell down prostrating and weeping.
أُوْلَئِكَ الَّذِينَ أَنْعَمَ اللَّهُ عَلَيْهِم مِّنَ النَّبِيِّينَ مِن ذُرِّيَّةِ آدَمَ وَمِمَّنْ حَمَلْنَا مَعَ نُوحٍ وَمِن ذُرِّيَّةِ إِبْرَاهِيمَ وَإِسْرَائِيلَ وَمِمَّنْ هَدَيْنَا وَاجْتَبَيْنَا إِذَا تُتْلَى عَلَيْهِمْ آيَاتُ الرَّحْمَن خَرُّوا سُجَّدًا وَبُكِيًّا
Ola-ika allatheena anAAama Allahu AAalayhim mina alnnabiyyeena min thurriyyati adama wamimman hamalna maAAa noohin wamin thurriyyati ibraheema wa-isra-eela wamimman hadayna waijtabayna itha tutla AAalayhim ayatu alrrahmani kharroo sujjadan wabukiyyan
YUSUFALI: Those were some of the prophets on whom Allah did bestow His Grace,- of the posterity of Adam, and of those who We carried (in the Ark) with Noah, and of the posterity of Abraham and Israel of those whom We guided and chose. Whenever the Signs of (Allah) Most Gracious were rehearsed to them, they would fall down in prostrate adoration and in tears.
PICKTHAL: These are they unto whom Allah showed favour from among the prophets, of the seed of Adam and of those whom We carried (in the ship) with Noah, and of the seed of Abraham and Israel, and from among those whom We guided and chose. When the revelations of the Beneficent were recited unto them, they fell down, adoring and weeping.
SHAKIR: These are they on whom Allah bestowed favors, from among the prophets of the seed of Adam, and of those whom We carried with Nuh, and of the seed of Ibrahim and Israel, and of those whom We guided and chose; when the communications of the Beneficent Allah were recited to them, they fell down making obeisance and weeping.
KHALIFA: These are some of the prophets whom GOD blessed. They were chosen from among the descendants of Adam, and the descendants of those whom we carried with Noah, and the descendants of Abraham and Israel, and from among those whom we guided and selected. When the revelations of the Most Gracious are recited to them, they fall prostrate, weeping.
৫৮। নবীদের মধ্য এরাই তারা যাদের উপর আল্লাহ্ অনুগ্রহ বর্ষণ করেছেন – আদমের বংশধরদের মধ্য ,এবং যাদের আমি নূহের সাথে [ নৌকায় ] আরোহন করিয়েছিলাম তাদের মধ্য , এবং ইব্রাহীম ও ইস্মাঈলের বংশধরদের ২৫০৯ মধ্য যাদের আমি পথ নির্দ্দেশ দিয়েছিলাম ও মনোনীত করেছিলাম। যখন তাদের নিকট করুণাময়ের আয়াত আবৃত্তি করা হয়, তারা চোখের পানিতে আপ্লুত হয়ে সেজ্দায় লুটিয়ে পড়ে ২৫১০।
২৫০৯। এই আয়াতে পূর্ববর্তী নবীদের ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে বিভক্ত করা হয়েছে : ১ ) আদম থেকে নূহ্ ; ২ ) নূহ্ থেকে ইব্রাহীম; এবং ৩) ইব্রাহীম থেকে পরবর্তী সীমাহীন সময় পর্যন্ত অন্তর্ভূক্ত হচ্ছে ” যাদের আমি [আল্লাহ্ ] পথ নির্দ্দেশ দিয়েছিলাম ও মনোনীত করেছিলাম।” হয়তো এই সময় সীমা ছিলো আল্লাহ্র বাণী যতদিন বিকৃত হয়ে না যায় ও রসুলদের আগমন অত্যাবশ্যক হয়ে দাঁড়ায়। হযরত ইয়াকুবের অন্য নাম ছিলো ইসরাঈল।
২৫১০। ” তাহারা ” অর্থাৎ তারাই যারা আল্লাহ্র বাণীকে সমুন্নত রাখে, আল্লাহ্র পথ নির্দ্দেশের অনুসারী তাহারা শুধুমাত্র আল্লাহ্র নবী ও রাসুল নয়।
আয়াতঃ 019.059
অতঃপর তাদের পরে এল অপদার্থ পরবর্তীরা। তারা নামায নষ্ট করল এবং কুপ্রবৃত্তির অনুবর্তী হল। সুতরাং তারা অচিরেই পথভ্রষ্টতা প্রত্যক্ষ করবে।
Then, there has succeeded them a posterity who have given up As-Salât (the prayers) [i.e. made their Salât (prayers) to be lost, either by not offering them or by not offering them perfectly or by not offering them in their proper fixed times, etc.] and have followed lusts. So they will be thrown in Hell.
فَخَلَفَ مِن بَعْدِهِمْ خَلْفٌ أَضَاعُوا الصَّلَاةَ وَاتَّبَعُوا الشَّهَوَاتِ فَسَوْفَ يَلْقَوْنَ غَيًّا
Fakhalafa min baAAdihim khalfun adaAAoo alssalata waittabaAAoo alshshahawati fasawfa yalqawna ghayyan
YUSUFALI: But after them there followed a posterity who missed prayers and followed after lusts soon, then, will they face Destruction,-
PICKTHAL: Now there hath succeeded them a later generation whom have ruined worship and have followed lusts. But they will meet deception.
SHAKIR: But there came after them an evil generation, who neglected prayers and followed and sensual desires, so they win meet perdition,
KHALIFA: After them, He substituted generations who lost the Contact Prayers (Salat), and pursued their lusts. They will suffer the consequences.
৫৯। কিন্তু তাদের পরের বংশধরেরা সালাত বাদ দিত, এবং কাম-প্রবৃত্তির অনুসরণ করতো। শীঘ্রই তারা [তাদের ] ধ্বংস প্রত্যক্ষ করবে; ২৫১১
২৫১১। পৃথিবীতে উত্থান ও পতন সময়ের ধর্ম। কখনও কখনও অন্যায়, অসত্য ,অধর্ম , পৃথিবীকে সাময়িকভাবে গ্রাস করে। কিন্তু তখনও একদল লোক থাকে যারা অন্যায়, অসত্য, অধর্মের কাছে আত্মসমর্পন করে না। যদিও তাঁরা সংখ্যায় হয় স্বল্প। তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পারে; অনুতাপ করে, ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে। এদের আল্লাহ্ পরলোকে শাস্তি দান করবেন না, কারণ পৃথিবীতে তাঁরা সৎজীবন যাপন করেছেন, তারা অসৎ জীবনের প্রভাবে আল্লাহ্র মনোনীত জীবন ব্যবস্থা ভুলে যায় নাই। পরের আয়াতে আল্লাহ্ এদের ঈমান ও সৎকর্মের পূর্ণ পুরষ্কারের প্রতিশ্রুতি দান করেছেন।
আয়াতঃ 019.060
কিন্তু তারা ব্যতীত, যারা তওবা করেছে, বিশ্বাস স্থাপন করেছে। সুতরাং তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে এবং তাদের উপর কোন জুলুম করা হবে না।
Except those who repent and believe (in the Oneness of Allâh and His Messenger Muhammad SAW), and work righteousness. Such will enter Paradise and they will not be wronged in aught.
إِلَّا مَن تَابَ وَآمَنَ وَعَمِلَ صَالِحًا فَأُوْلَئِكَ يَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ وَلَا يُظْلَمُونَ شَيْئًا
Illa man taba waamana waAAamila salihan faola-ika yadkhuloona aljannata wala yuthlamoona shay-an
YUSUFALI: Except those who repent and believe, and work righteousness: for these will enter the Garden and will not be wronged in the least,-
PICKTHAL: Save him who shall repent and believe and do right. Such will enter the Garden, and they will not be wronged in aught –
SHAKIR: Except such as repent and believe and do good, these shall enter the garden, and they shall not be dealt with unjustly in any way:
KHALIFA: Only those who repent, believe, and lead a righteous life will enter Paradise, without the least injustice.
৬০। [অবশ্য ] যারা অনুতাপ করে , ঈমান আনে, সৎকাজ করে তারা ব্যতীত। তারা তো জান্নাতে প্রবেশ করবে। তাদের প্রতি এতটুকু যুলুম করা হবে না।
৬১। অনন্ত [ সুখের ] বাগান, যে অদৃশ্য বিষয়ের প্রতিশ্রুতি পরম করুণাময় [আল্লাহ্ ] তাঁর বান্দাদের দিয়েছেন। তাঁর প্রতিশ্রুতি অবশ্যই সফল হবে।
৬২। তারা সেখানে শন্তির সম্ভাষণ ব্যতীত অন্য কোন অসার বাক্য শুনবে না ২৫১২। সেখানে সকাল – সন্ধ্যায় তাদের জন্য থাকবে জীবনোপকরণ ২৫১৩।
২৫১২। “Salam” যার বাংলা অনুবাদ করা হয়েছে শান্তি। সালাম শব্দটির সঙ্কীনার্থে ব্যবহার হয় না। এর অর্থ ব্যপক; নিম্নলিখিত ভাবগুলি “সালাম” শব্দটি দ্বারা প্রকাশ করা হয় : ১) স্থায়ী নিরাপত্তার অনুভূতি; যে অনুভূতি এই পৃথিবীতে অনুভব করা সম্ভব নয়। ২) নির্ভরযোগ্য ,মুক্ত, ত্রুটিহীন, সম্পূর্ণ ইত্যাদি যা “Salam” শব্দটি থেকে উদ্ভুত। ৩) নিরাপদ রাখা, পাপ থেকে মুক্ত করা উদ্ধার করা, ইত্যাদি যা “Salam” শব্দটি থেকে উদ্ভুত, ৪) সামঞ্জস্য রক্ষা করে অভিবাদন করা ৫) সন্তুষ্টভাবে পরিত্যাগ করা; ৬) শান্তির সকল সাধারণ অর্থে যেমনঃ কোনও রকম পীড়াদায়ক অবস্থা থেকে মুক্ত থাকা। উপরের অর্থগুলি সব কিছুই “সালাম” শব্দটি দ্বারা প্রকাশ করা যায়।
২৫১৩। “Rizq” জীবনোপকরণ অর্থ অস্তিত্বেও জন্য যা প্রয়োজন সবই। এই শব্দটি ব্যপক অর্থে ব্যবহৃত যেমন : শরীর, মন, আত্মার সম্পূর্ণ প্রশান্তির জন্য যা প্রয়োজন। ” সকাল – সন্ধ্যা” শব্দটি দ্বারা প্রারম্ভ ও শেষ কে বোঝানো হয়েছে অর্থাৎ ব্যাপক সময় বোঝানো হয়েছে।
আয়াতঃ 019.061
তাদের স্থায়ী বসবাস হবে যার ওয়াদা দয়াময় আল্লাহ তাঁর বান্দাদেরকে অদৃশ্যভাবে দিয়েছেন। অবশ্যই তাঁর ওয়াদার তারা পৌঁছাবে।
(They will enter) ’Adn (Eden) Paradise (everlasting Gardens), which the Most Beneficent (Allâh) has promised to His slaves in the unseen: Verily! His Promise must come to pass.
جَنَّاتِ عَدْنٍ الَّتِي وَعَدَ الرَّحْمَنُ عِبَادَهُ بِالْغَيْبِ إِنَّهُ كَانَ وَعْدُهُ مَأْتِيًّا
Jannati AAadnin allatee waAAada alrrahmanu AAibadahu bialghaybi innahu kana waAAduhu ma/tiyyan
YUSUFALI: Gardens of Eternity, those which (Allah) Most Gracious has promised to His servants in the Unseen: for His promise must (necessarily) come to pass.
PICKTHAL: Gardens of Eden, which the Beneficent hath promised to His slaves in the unseen. Lo! His promise is ever sure of fulfilment –
SHAKIR: The gardens of perpetuity which the Beneficent Allah has promised to His servants while unseen; surely His promise shall come to pass.
KHALIFA: The gardens of Eden await them, as promised by the Most Gracious for those who worship Him, even in privacy. Certainly, His promise must come to pass.
৬০। [অবশ্য ] যারা অনুতাপ করে , ঈমান আনে, সৎকাজ করে তারা ব্যতীত। তারা তো জান্নাতে প্রবেশ করবে। তাদের প্রতি এতটুকু যুলুম করা হবে না।
৬১। অনন্ত [ সুখের ] বাগান, যে অদৃশ্য বিষয়ের প্রতিশ্রুতি পরম করুণাময় [আল্লাহ্ ] তাঁর বান্দাদের দিয়েছেন। তাঁর প্রতিশ্রুতি অবশ্যই সফল হবে।
৬২। তারা সেখানে শন্তির সম্ভাষণ ব্যতীত অন্য কোন অসার বাক্য শুনবে না ২৫১২। সেখানে সকাল – সন্ধ্যায় তাদের জন্য থাকবে জীবনোপকরণ ২৫১৩।
২৫১২। “Salam” যার বাংলা অনুবাদ করা হয়েছে শান্তি। সালাম শব্দটির সঙ্কীনার্থে ব্যবহার হয় না। এর অর্থ ব্যপক; নিম্নলিখিত ভাবগুলি “সালাম” শব্দটি দ্বারা প্রকাশ করা হয় : ১) স্থায়ী নিরাপত্তার অনুভূতি; যে অনুভূতি এই পৃথিবীতে অনুভব করা সম্ভব নয়। ২) নির্ভরযোগ্য ,মুক্ত, ত্রুটিহীন, সম্পূর্ণ ইত্যাদি যা “Salam” শব্দটি থেকে উদ্ভুত। ৩) নিরাপদ রাখা, পাপ থেকে মুক্ত করা উদ্ধার করা, ইত্যাদি যা “Salam” শব্দটি থেকে উদ্ভুত, ৪) সামঞ্জস্য রক্ষা করে অভিবাদন করা ৫) সন্তুষ্টভাবে পরিত্যাগ করা; ৬) শান্তির সকল সাধারণ অর্থে যেমনঃ কোনও রকম পীড়াদায়ক অবস্থা থেকে মুক্ত থাকা। উপরের অর্থগুলি সব কিছুই “সালাম” শব্দটি দ্বারা প্রকাশ করা যায়।
২৫১৩। “Rizq” জীবনোপকরণ অর্থ অস্তিত্বেও জন্য যা প্রয়োজন সবই। এই শব্দটি ব্যপক অর্থে ব্যবহৃত যেমন : শরীর, মন, আত্মার সম্পূর্ণ প্রশান্তির জন্য যা প্রয়োজন। ” সকাল – সন্ধ্যা” শব্দটি দ্বারা প্রারম্ভ ও শেষ কে বোঝানো হয়েছে অর্থাৎ ব্যাপক সময় বোঝানো হয়েছে।
আয়াতঃ 019.062
তারা সেখানে সালাম ব্যতীত কোন অসার কথাবার্তা শুনবে না এবং সেখানে সকাল-সন্ধ্যা তাদের জন্যে রুযী থাকবে।
They shall not hear therein (in Paradise) any Laghw (dirty, false, evil vain talk), but only Salâm (salutations of peace). And they will have therein their sustenance, morning and afternoon. [See (V.40:55)].
لَا يَسْمَعُونَ فِيهَا لَغْوًا إِلَّا سَلَامًا وَلَهُمْ رِزْقُهُمْ فِيهَا بُكْرَةً وَعَشِيًّا
La yasmaAAoona feeha laghwan illa salaman walahum rizquhum feeha bukratan waAAashiyyan
YUSUFALI: They will not there hear any vain discourse, but only salutations of Peace: And they will have therein their sustenance, morning and evening.
PICKTHAL: They hear therein no idle talk, but only Peace; and therein they have food for morn and evening.
SHAKIR: They shall not hear therein any vain discourse, but only: Peace, and they shall have their sustenance therein morning and evening.
KHALIFA: They will not hear any nonsense therein; only peace. They receive their provisions therein, day and night.
৬০। [অবশ্য ] যারা অনুতাপ করে , ঈমান আনে, সৎকাজ করে তারা ব্যতীত। তারা তো জান্নাতে প্রবেশ করবে। তাদের প্রতি এতটুকু যুলুম করা হবে না।
৬১। অনন্ত [ সুখের ] বাগান, যে অদৃশ্য বিষয়ের প্রতিশ্রুতি পরম করুণাময় [আল্লাহ্ ] তাঁর বান্দাদের দিয়েছেন। তাঁর প্রতিশ্রুতি অবশ্যই সফল হবে।
৬২। তারা সেখানে শন্তির সম্ভাষণ ব্যতীত অন্য কোন অসার বাক্য শুনবে না ২৫১২। সেখানে সকাল – সন্ধ্যায় তাদের জন্য থাকবে জীবনোপকরণ ২৫১৩।
২৫১২। “Salam” যার বাংলা অনুবাদ করা হয়েছে শান্তি। সালাম শব্দটির সঙ্কীনার্থে ব্যবহার হয় না। এর অর্থ ব্যপক; নিম্নলিখিত ভাবগুলি “সালাম” শব্দটি দ্বারা প্রকাশ করা হয় : ১) স্থায়ী নিরাপত্তার অনুভূতি; যে অনুভূতি এই পৃথিবীতে অনুভব করা সম্ভব নয়। ২) নির্ভরযোগ্য ,মুক্ত, ত্রুটিহীন, সম্পূর্ণ ইত্যাদি যা “Salam” শব্দটি থেকে উদ্ভুত। ৩) নিরাপদ রাখা, পাপ থেকে মুক্ত করা উদ্ধার করা, ইত্যাদি যা “Salam” শব্দটি থেকে উদ্ভুত, ৪) সামঞ্জস্য রক্ষা করে অভিবাদন করা ৫) সন্তুষ্টভাবে পরিত্যাগ করা; ৬) শান্তির সকল সাধারণ অর্থে যেমনঃ কোনও রকম পীড়াদায়ক অবস্থা থেকে মুক্ত থাকা। উপরের অর্থগুলি সব কিছুই “সালাম” শব্দটি দ্বারা প্রকাশ করা যায়।
২৫১৩। “Rizq” জীবনোপকরণ অর্থ অস্তিত্বেও জন্য যা প্রয়োজন সবই। এই শব্দটি ব্যপক অর্থে ব্যবহৃত যেমন : শরীর, মন, আত্মার সম্পূর্ণ প্রশান্তির জন্য যা প্রয়োজন। ” সকাল – সন্ধ্যা” শব্দটি দ্বারা প্রারম্ভ ও শেষ কে বোঝানো হয়েছে অর্থাৎ ব্যাপক সময় বোঝানো হয়েছে।
আয়াতঃ 019.063
এটা ঐ জান্নাত যার অধিকারী করব আমার বান্দাদের মধ্যে পরহেযগারদেরকে।
Such is the Paradise which We shall give as an inheritance to those of Our slaves who have been Al-Muttaqûn (pious and righteous persons – See V.2:2).
تِلْكَ الْجَنَّةُ الَّتِي نُورِثُ مِنْ عِبَادِنَا مَن كَانَ تَقِيًّا
Tilka aljannatu allatee noorithu min AAibadina man kana taqiyyan
YUSUFALI: Such is the Garden which We give as an inheritance to those of Our servants who guard against Evil.
PICKTHAL: Such is the Garden which We cause the devout among Our bondmen to inherit.
SHAKIR: This is the garden which We cause those of Our servants to inherit who guard (against evil).
KHALIFA: Such is Paradise; we grant it to those among our servants who are righteous.
৬৩। এই সেই বেহেশত্, আমার বান্দাদের মধ্যে আমি তাদের এর উত্তরাধিকার করবো যারা মন্দ থেকে নিজেকে বিরত রাখে।
৬৪। [ ফেরেশতারা বলবে ] ২৫১৪, ” আপনার প্রভুর আদেশ ব্যতীত আমরা অবতরণ করি না। আমাদের সম্মুখে যা আছে, পশ্চাতে যা আছে এবং দুই এর মধ্যবর্তী যা আছে সবই আল্লাহ্র অধিকারে এবং আপনার প্রভু কখনও ভুলে যান না ; –
২৫১৪। এই বাক্যটি জিব্রাঈলের (আঃ) কথা। কিছুকালের জন্য ওহী প্রেরণ বন্ধ ছিলো। ইহাতে রাসুর (সা) অত্যন্ত উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। পরে জিব্রাঈল উপস্থিত হলে রাসুল (সা) তাঁকে বিলম্বের কারণ জিজ্ঞাসা করেন। তদুত্তরে জিব্রাঈল যা বলেন তাই এখানে বিবৃত করা হয়েছে। বিনয় প্রকাশের জন্য জিব্রাঈল ” আমরা ” শব্দটি ব্যবহার করেছেন। সার্বজনীন উপদেশ হচ্ছে : আমরা অনেক সময়েই আমাদের চারিপার্শ্বে অসৎ ও পাপীদের প্রভাব প্রতিপত্তি দেখে অধৈর্য্য হয়ে পড়ি। আমাদের সাধ্য অনুযায়ী আল্লাহ্র রাস্তায় কাজ করার পরেও অনেক সময়ে তার কোনও প্রতিদান না পেলে আমরা অস্থির হয়ে পড়ি। সাধারণ মানুষের জ্ঞান ও দূরদৃষ্টি সীমাবদ্ধ সে কারণেই আমরা অনেক সময়ে প্রকৃত মঙ্গল বুঝতে না পেরে অভিযোগ করে থাকি। আল্লাহ্র অনুগ্রহ বহনকারী ফেরেশতার আগমন কোনও আকস্মিক ঘটনা নয়। তাঁর আগমন ঘটে শুধুমাত্র আল্লাহ্র হুকুমে নির্দ্দিষ্ট পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য। সুতারাং কোনও কারণেই আমাদের অধৈর্য্য হওয়া উচিত নয়। কারণ আল্লাহ্ কিছুই ভোলেন না। আমাদের কল্যাণের জন্য যখন যেমন প্রয়োজন সেই অনুযায়ী আল্লাহ্র অনুগ্রহ বর্ষিত হয়। তাঁর দূরদর্শিতা , বিচক্ষণতা, সূদূর প্রসারী ও সকলের জন্য। আমাদের সে জন্য অধৈর্য্য হওয়ার প্রয়োজন নাই। আমাদের যা কর্তব্য তা হচ্ছে ধৈর্য্য ধারণ করে আল্লাহ্র রাস্তায় নিরলসভাবে কাজ করে যাওয়া।
আয়াতঃ 019.064
(জিব্রাইল বললঃ) আমি আপনার পালনকর্তার আদেশ ব্যতীত অবতরণ করি না, যা আমাদের সামনে আছে, যা আমাদের পশ্চাতে আছে এবং যা এ দুই-এর মধ্যস্থলে আছে, সবই তাঁর এবং আপনার পালনকর্তা বিস্মৃত হওয়ার নন।
And we (angels) descend not except by the Command of your Lord (O Muhammad SAW). To Him belongs what is before us and what is behind us, and what is between those two, and your Lord is never forgetful,
وَمَا نَتَنَزَّلُ إِلَّا بِأَمْرِ رَبِّكَ لَهُ مَا بَيْنَ أَيْدِينَا وَمَا خَلْفَنَا وَمَا بَيْنَ ذَلِكَ وَمَا كَانَ رَبُّكَ نَسِيًّا
Wama natanazzalu illa bi-amri rabbika lahu ma bayna aydeena wama khalfana wama bayna thalika wama kana rabbuka nasiyyan
YUSUFALI: (The angels say:) “We descend not but by command of thy Lord: to Him belongeth what is before us and what is behind us, and what is between: and thy Lord never doth forget,-
PICKTHAL: We (angels) come not down save by commandment of thy Lord. Unto Him belongeth all that is before us and all that is behind us and all that is between those two, and thy Lord was never forgetful –
SHAKIR: And we do not descend but by the command of your Lord; to Him belongs whatever is before us and whatever is behind us and whatever is between these, and your Lord is not forgetful.
KHALIFA: We do not come down except by the command of your Lord. To Him belongs our past, our future, and everything between them. Your Lord is never forgetful.
৬৩। এই সেই বেহেশত্, আমার বান্দাদের মধ্যে আমি তাদের এর উত্তরাধিকার করবো যারা মন্দ থেকে নিজেকে বিরত রাখে।
৬৪। [ ফেরেশতারা বলবে ] ২৫১৪, ” আপনার প্রভুর আদেশ ব্যতীত আমরা অবতরণ করি না। আমাদের সম্মুখে যা আছে, পশ্চাতে যা আছে এবং দুই এর মধ্যবর্তী যা আছে সবই আল্লাহ্র অধিকারে এবং আপনার প্রভু কখনও ভুলে যান না ; –
২৫১৪। এই বাক্যটি জিব্রাঈলের (আঃ) কথা। কিছুকালের জন্য ওহী প্রেরণ বন্ধ ছিলো। ইহাতে রাসুর (সা) অত্যন্ত উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। পরে জিব্রাঈল উপস্থিত হলে রাসুল (সা) তাঁকে বিলম্বের কারণ জিজ্ঞাসা করেন। তদুত্তরে জিব্রাঈল যা বলেন তাই এখানে বিবৃত করা হয়েছে। বিনয় প্রকাশের জন্য জিব্রাঈল ” আমরা ” শব্দটি ব্যবহার করেছেন। সার্বজনীন উপদেশ হচ্ছে : আমরা অনেক সময়েই আমাদের চারিপার্শ্বে অসৎ ও পাপীদের প্রভাব প্রতিপত্তি দেখে অধৈর্য্য হয়ে পড়ি। আমাদের সাধ্য অনুযায়ী আল্লাহ্র রাস্তায় কাজ করার পরেও অনেক সময়ে তার কোনও প্রতিদান না পেলে আমরা অস্থির হয়ে পড়ি। সাধারণ মানুষের জ্ঞান ও দূরদৃষ্টি সীমাবদ্ধ সে কারণেই আমরা অনেক সময়ে প্রকৃত মঙ্গল বুঝতে না পেরে অভিযোগ করে থাকি। আল্লাহ্র অনুগ্রহ বহনকারী ফেরেশতার আগমন কোনও আকস্মিক ঘটনা নয়। তাঁর আগমন ঘটে শুধুমাত্র আল্লাহ্র হুকুমে নির্দ্দিষ্ট পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য। সুতারাং কোনও কারণেই আমাদের অধৈর্য্য হওয়া উচিত নয়। কারণ আল্লাহ্ কিছুই ভোলেন না। আমাদের কল্যাণের জন্য যখন যেমন প্রয়োজন সেই অনুযায়ী আল্লাহ্র অনুগ্রহ বর্ষিত হয়। তাঁর দূরদর্শিতা , বিচক্ষণতা, সূদূর প্রসারী ও সকলের জন্য। আমাদের সে জন্য অধৈর্য্য হওয়ার প্রয়োজন নাই। আমাদের যা কর্তব্য তা হচ্ছে ধৈর্য্য ধারণ করে আল্লাহ্র রাস্তায় নিরলসভাবে কাজ করে যাওয়া।
আয়াতঃ 019.065
তিনি নভোমন্ডল, ভূমন্ডলে এতদুভয়ের মধ্যবর্তী সবার পালনকর্তা। সুতরাং তাঁরই বন্দেগী করুন এবং তাতে দৃঢ় থাকুন আপনি কি তাঁর সমনাম কাউকে জানেন?
Lord of the heavens and the earth, and all that is between them, so worship Him (Alone) and be constant and patient in His worship. Do you know of any who is similar to Him? (of course none is similar or coequal or comparable to Him, and He has none as partner with Him). [There is nothing like unto Him and He is the All-Hearer, the All-Seer].
رَبُّ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَمَا بَيْنَهُمَا فَاعْبُدْهُ وَاصْطَبِرْ لِعِبَادَتِهِ هَلْ تَعْلَمُ لَهُ سَمِيًّا
Rabbu alssamawati waal-ardi wama baynahuma faoAAbudhu waistabir liAAibadatihi hal taAAlamu lahu samiyyan
YUSUFALI: “Lord of the heavens and of the earth, and of all that is between them; so worship Him, and be constant and patient in His worship: knowest thou of any who is worthy of the same Name as He?”
PICKTHAL: Lord of the heavens and the earth and all that is between them! Therefor, worship thou Him and be thou steadfast in His service. Knowest thou one that can be named along with Him?
SHAKIR: The Lord of the heavens and the earth and what is between them, so serve Him and be patient in His service. Do you know any one equal to Him?
KHALIFA: The Lord of the heavens and the earth, and everything between them; you shall worship Him and steadfastly persevere in worshiping Him. Do you know of anyone who equals Him?
৬৫। “আকাশমন্ডলী , পৃথিবী এবং এই দুই এর মধ্যবর্তী সকল কিছুর প্রভু তিনি। সুতারাং তাঁর এবাদত কর এবং এবাদতে দৃঢ় ও ধৈর্যশীল থাক। তুমি কি আল্লাহ্র নামের সমগুণ সম্পন্ন কাউকে জান ? ২৫১৫ ”
২৫১৫। সত্যকে অনুধাবনের মাধ্যমে , জীবনের রহস্যকে উপলব্ধির মাধ্যমে, মানুষের জ্ঞানচক্ষু উম্মীলিত হয়। যত আমাদের এই অনুধাবন ও উপলব্ধির অনুভূতি প্রগাঢ় হবে তত আমাদের এই বোধোদয় ঘটবে যে আল্লাহ্র সমকক্ষ বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডে আর কিছু নাই। তিনিই সর্বশ্রেষ্ঠ। সমস্ত সৌন্দর্য, সমস্ত গুণের আঁধার এক আল্লাহ্। মানুষের মাঝে যে সব গূণাবলী দেখে আমরা মুগ্ধ হই, প্রকৃতির মাঝে যে সৌন্দর্য আমাদের অভিভূত করে সবই আল্লাহ্র গুণাবলীর ক্ষুদ্র প্রকাশ মাত্র। বিশ্ব-প্রকৃতির রূপ, রস, বর্ণ, গন্ধ, সৃষ্টি জগতের নানা বৈচিত্র সবই সেই এক স্রষ্টার নিজস্ব গুণাবলীর প্রকাশ মাত্র। তিনি সর্বশ্রেষ্ঠ স্রষ্টা, সর্বশ্রেষ্ঠ শিল্পী, সর্বশ্রেষ্ঠ করুণাময়। তাঁর গুণাবলী সারা বিশ্ব-ব্রহ্মান্ডময় অণু পরমাণুতে ছড়িয়ে আছে। তাঁর করুণা তাঁর সর্ব সৃষ্টিতে বিদ্যমান। পৃথিবীব্যপী তাঁর সৃষ্টি বৈচিত্রের সাথে তুলনা করার ক্ষমতা আর কেউ রাখে না। তিনিই একমাত্র প্রশংসনীয়।
আয়াতঃ 019.066
মানুষ বলেঃ আমার মৃত্যু হলে পর আমি কি জীবিত অবস্থায় পুনরুত্থিত হব?
And man (the disbeliever) says: ”When I am dead, shall I then be raised up alive?”
وَيَقُولُ الْإِنسَانُ أَئِذَا مَا مِتُّ لَسَوْفَ أُخْرَجُ حَيًّا
Wayaqoolu al-insanu a-itha ma mittu lasawfa okhraju hayyan
YUSUFALI: Man says: “What! When I am dead, shall I then be raised up alive?”
PICKTHAL: And man saith: When I am dead, shall I forsooth be brought forth alive?
SHAKIR: And says man: What! when I am dead shall I truly be brought forth alive?
KHALIFA: The human being asks, “After I die, do I come back to life?”
রুকু – ৫
৬৬। লোকে বলে, ” যখন আমি মরে যাব, তখন আমি আবার জীবিত অবস্থায় উত্থিত হব ?”
৬৭। কিন্তু মানুষ কি স্মরণ করে না যে, প্রথমে আমি তাকে শুণ্য থেকে সৃষ্টি করি ?
৬৮। সুতারাং তোমার প্রভুর শপথ ! নিঃসন্দেহে আমি ওদের এবং [তাদের সাথে ] শয়তানাদেরও একসঙ্গে সমবেত করবো ২৫১৬। অতঃপর আমি তাদের নতজানু করে জাহান্নামের চারিদিকে উপস্থিত করবো ২৫১৭।
২৫১৬। পরলোকে অবিশ্বাস করা, এটা যে শুধুমাত্র কোন দার্শনিক তত্বে সন্দেহ পোষণ করা তা নয়। এর সাথে জড়িত থাকে অবাধ্যতা, কুটিলতা, আত্মার ক্ষতিকর অভিজ্ঞতা ও সহজাত প্রেরণা যা মানুষের অন্তরের অন্তঃস্থলের অবস্থানকে নির্ণয় করে। ঈমান বা বিশ্বাস আত্মার চেতনাকে সুসংহত করে, কেন্দ্রীভূত করে এক সুনির্দ্দিষ্ট লক্ষ্যের প্রতি। যার ফলে স্রষ্টাকে অনুভব করার ক্ষমতা, স্রষ্টার সান্নিধ্য লাভের আকাঙ্খা, শান্তির পরশ উপলব্ধির ক্ষমতা সহজাত প্রেরণা হিসেবে নিজের আত্মার মাঝে জন্ম লাভ করে। আত্মার এ অবস্থায় আল্লাহ্র ক্ষমতা সম্বন্ধে আমাদের কোনও সন্দেহই থাকবে না। যে স্রষ্টা কোনও কিছু ব্যতীতই আমাদের সৃষ্টি করতে পারেন, তিনি অবশ্যই আমাদের সত্ত্বা বা অনুভব বা ব্যক্তিত্বকে এক ভুবন থেকে অন্য ভূবনে স্থানান্তরিত করতে সক্ষম। অর্থাৎ দৈহিক মৃত্যুর পরেও আমাদের সত্ত্বাকে অপরিবর্তিত রাখতে সক্ষম। কিন্তু যদি আমরা ইচ্ছাকৃত ভাবে আল্লাহ্র পথ নির্দ্দেশকে অস্বীকার করি তবে আমাদের আত্মার একাগ্রতা নষ্ট হয়ে যাবে, ফলে আত্মার মাঝে বিশৃঙ্খল অবস্থার সৃষ্টি হবে। সৃষ্টি হবে সন্দেহ, বিভেদের। যার ফলে আল্লাহ্র রহমতের আলো এ সব আত্মায় প্রবেশে বাঁধা পায়। ফলে, তারা হয় আল্লাহ্র অনুগ্রহ বঞ্চিত। এদের কথাই বলা হয়েছে যাদের পরলোকে শয়তানের সাথে একত্র সমবেত করা হবে। শয়তান, মন্দ ও পাপের প্রতীক। অর্থাৎ এসব লোকের পাপ কার্যই হবে তাদের জন্য শয়তানের প্রতীক, যা পরলোকেও তাদের সাথে থাকবে। সেখানে কিন্তু তাদের উদ্ধত, একগুয়ে ও অবাধ্যতা দূর হয়ে যাবে। সত্যকে অস্বীকার করার প্রতিফল তারা সর্বোচ্চ বিনয়ের সাথে গ্রহণ করবে। ” নতজানু ” শব্দটি দ্বারা সর্বোচ্চ বিনয়কে বোঝানো হয়েছে।
২৫১৭। ” জাহান্নামের চতুর্দিক” পাপের পথ বহুবিধ। পাপের শাস্তি জাহান্নাম। বিভিন্নভাবে, বিভিন্ন পথে মানুষ পাপ করে থাকে। কিন্তু সকল পাপের পথই একখানে এসে মিলিত হয়, আর তা হচ্ছে “জাহান্নাম “। সে জন্যই বলা হয়েছে দোযখের সাতটি দরজা। দেখুন আয়াত [ ১৫ : ৪৪ ] এবং টিকা ১৯৭৭।
আয়াতঃ 019.067
মানুষ কি স্মরণ করে না যে, আমি তাকে ইতি পূর্বে সৃষ্টি করেছি এবং সে তখন কিছুই ছিল না।
Does not man remember that We created him before, while he was nothing?
أَوَلَا يَذْكُرُ الْإِنسَانُ أَنَّا خَلَقْنَاهُ مِن قَبْلُ وَلَمْ يَكُ شَيْئًا
Awa la yathkuru al-insanu anna khalaqnahu min qablu walam yaku shay-an
YUSUFALI: But does not man call to mind that We created him before out of nothing?
PICKTHAL: Doth not man remember that We created him before, when he was naught?
SHAKIR: Does not man remember that We created him before, when he was nothing?
KHALIFA: Did the human being forget that we created him already, and he was nothing?
রুকু – ৫
৬৬। লোকে বলে, ” যখন আমি মরে যাব, তখন আমি আবার জীবিত অবস্থায় উত্থিত হব ?”
৬৭। কিন্তু মানুষ কি স্মরণ করে না যে, প্রথমে আমি তাকে শুণ্য থেকে সৃষ্টি করি ?
৬৮। সুতারাং তোমার প্রভুর শপথ ! নিঃসন্দেহে আমি ওদের এবং [তাদের সাথে ] শয়তানাদেরও একসঙ্গে সমবেত করবো ২৫১৬। অতঃপর আমি তাদের নতজানু করে জাহান্নামের চারিদিকে উপস্থিত করবো ২৫১৭।
২৫১৬। পরলোকে অবিশ্বাস করা, এটা যে শুধুমাত্র কোন দার্শনিক তত্বে সন্দেহ পোষণ করা তা নয়। এর সাথে জড়িত থাকে অবাধ্যতা, কুটিলতা, আত্মার ক্ষতিকর অভিজ্ঞতা ও সহজাত প্রেরণা যা মানুষের অন্তরের অন্তঃস্থলের অবস্থানকে নির্ণয় করে। ঈমান বা বিশ্বাস আত্মার চেতনাকে সুসংহত করে, কেন্দ্রীভূত করে এক সুনির্দ্দিষ্ট লক্ষ্যের প্রতি। যার ফলে স্রষ্টাকে অনুভব করার ক্ষমতা, স্রষ্টার সান্নিধ্য লাভের আকাঙ্খা, শান্তির পরশ উপলব্ধির ক্ষমতা সহজাত প্রেরণা হিসেবে নিজের আত্মার মাঝে জন্ম লাভ করে। আত্মার এ অবস্থায় আল্লাহ্র ক্ষমতা সম্বন্ধে আমাদের কোনও সন্দেহই থাকবে না। যে স্রষ্টা কোনও কিছু ব্যতীতই আমাদের সৃষ্টি করতে পারেন, তিনি অবশ্যই আমাদের সত্ত্বা বা অনুভব বা ব্যক্তিত্বকে এক ভুবন থেকে অন্য ভূবনে স্থানান্তরিত করতে সক্ষম। অর্থাৎ দৈহিক মৃত্যুর পরেও আমাদের সত্ত্বাকে অপরিবর্তিত রাখতে সক্ষম। কিন্তু যদি আমরা ইচ্ছাকৃত ভাবে আল্লাহ্র পথ নির্দ্দেশকে অস্বীকার করি তবে আমাদের আত্মার একাগ্রতা নষ্ট হয়ে যাবে, ফলে আত্মার মাঝে বিশৃঙ্খল অবস্থার সৃষ্টি হবে। সৃষ্টি হবে সন্দেহ, বিভেদের। যার ফলে আল্লাহ্র রহমতের আলো এ সব আত্মায় প্রবেশে বাঁধা পায়। ফলে, তারা হয় আল্লাহ্র অনুগ্রহ বঞ্চিত। এদের কথাই বলা হয়েছে যাদের পরলোকে শয়তানের সাথে একত্র সমবেত করা হবে। শয়তান, মন্দ ও পাপের প্রতীক। অর্থাৎ এসব লোকের পাপ কার্যই হবে তাদের জন্য শয়তানের প্রতীক, যা পরলোকেও তাদের সাথে থাকবে। সেখানে কিন্তু তাদের উদ্ধত, একগুয়ে ও অবাধ্যতা দূর হয়ে যাবে। সত্যকে অস্বীকার করার প্রতিফল তারা সর্বোচ্চ বিনয়ের সাথে গ্রহণ করবে। ” নতজানু ” শব্দটি দ্বারা সর্বোচ্চ বিনয়কে বোঝানো হয়েছে।
২৫১৭। ” জাহান্নামের চতুর্দিক” পাপের পথ বহুবিধ। পাপের শাস্তি জাহান্নাম। বিভিন্নভাবে, বিভিন্ন পথে মানুষ পাপ করে থাকে। কিন্তু সকল পাপের পথই একখানে এসে মিলিত হয়, আর তা হচ্ছে “জাহান্নাম “। সে জন্যই বলা হয়েছে দোযখের সাতটি দরজা। দেখুন আয়াত [ ১৫ : ৪৪ ] এবং টিকা ১৯৭৭।
আয়াতঃ 019.068
সুতরাং আপনার পালনকর্তার কসম, আমি অবশ্যই তাদেরকে এবং শয়তানদেরকে একত্রে সমবেত করব, অতঃপর অবশ্যই তাদেরকে নতজানু অবস্থায় জাহান্নামের চারপাশে উপস্থিত করব।
So by your Lord, surely, We shall gather them together, and (also) the Shayâtin (devils) (with them), then We shall bring them round Hell on their knees.
فَوَرَبِّكَ لَنَحْشُرَنَّهُمْ وَالشَّيَاطِينَ ثُمَّ لَنُحْضِرَنَّهُمْ حَوْلَ جَهَنَّمَ جِثِيًّا
Fawarabbika lanahshurannahum waalshshayateena thumma lanuhdirannahum hawla jahannama jithiyyan
YUSUFALI: So, by thy Lord, without doubt, We shall gather them together, and (also) the Evil Ones (with them); then shall We bring them forth on their knees round about Hell;
PICKTHAL: And, by thy Lord, verily We shall assemble them and the devils, then We shall bring them, crouching, around hell.
SHAKIR: So by your Lord! We will most certainly gather them together and the Shaitans, then shall We certainly cause them to be present round hell on their knees.
KHALIFA: By your Lord, we will certainly summon them, together with the devils, and will gather them around Hell, humiliated.
রুকু – ৫
৬৬। লোকে বলে, ” যখন আমি মরে যাব, তখন আমি আবার জীবিত অবস্থায় উত্থিত হব ?”
৬৭। কিন্তু মানুষ কি স্মরণ করে না যে, প্রথমে আমি তাকে শুণ্য থেকে সৃষ্টি করি ?
৬৮। সুতারাং তোমার প্রভুর শপথ ! নিঃসন্দেহে আমি ওদের এবং [তাদের সাথে ] শয়তানাদেরও একসঙ্গে সমবেত করবো ২৫১৬। অতঃপর আমি তাদের নতজানু করে জাহান্নামের চারিদিকে উপস্থিত করবো ২৫১৭।
২৫১৬। পরলোকে অবিশ্বাস করা, এটা যে শুধুমাত্র কোন দার্শনিক তত্বে সন্দেহ পোষণ করা তা নয়। এর সাথে জড়িত থাকে অবাধ্যতা, কুটিলতা, আত্মার ক্ষতিকর অভিজ্ঞতা ও সহজাত প্রেরণা যা মানুষের অন্তরের অন্তঃস্থলের অবস্থানকে নির্ণয় করে। ঈমান বা বিশ্বাস আত্মার চেতনাকে সুসংহত করে, কেন্দ্রীভূত করে এক সুনির্দ্দিষ্ট লক্ষ্যের প্রতি। যার ফলে স্রষ্টাকে অনুভব করার ক্ষমতা, স্রষ্টার সান্নিধ্য লাভের আকাঙ্খা, শান্তির পরশ উপলব্ধির ক্ষমতা সহজাত প্রেরণা হিসেবে নিজের আত্মার মাঝে জন্ম লাভ করে। আত্মার এ অবস্থায় আল্লাহ্র ক্ষমতা সম্বন্ধে আমাদের কোনও সন্দেহই থাকবে না। যে স্রষ্টা কোনও কিছু ব্যতীতই আমাদের সৃষ্টি করতে পারেন, তিনি অবশ্যই আমাদের সত্ত্বা বা অনুভব বা ব্যক্তিত্বকে এক ভুবন থেকে অন্য ভূবনে স্থানান্তরিত করতে সক্ষম। অর্থাৎ দৈহিক মৃত্যুর পরেও আমাদের সত্ত্বাকে অপরিবর্তিত রাখতে সক্ষম। কিন্তু যদি আমরা ইচ্ছাকৃত ভাবে আল্লাহ্র পথ নির্দ্দেশকে অস্বীকার করি তবে আমাদের আত্মার একাগ্রতা নষ্ট হয়ে যাবে, ফলে আত্মার মাঝে বিশৃঙ্খল অবস্থার সৃষ্টি হবে। সৃষ্টি হবে সন্দেহ, বিভেদের। যার ফলে আল্লাহ্র রহমতের আলো এ সব আত্মায় প্রবেশে বাঁধা পায়। ফলে, তারা হয় আল্লাহ্র অনুগ্রহ বঞ্চিত। এদের কথাই বলা হয়েছে যাদের পরলোকে শয়তানের সাথে একত্র সমবেত করা হবে। শয়তান, মন্দ ও পাপের প্রতীক। অর্থাৎ এসব লোকের পাপ কার্যই হবে তাদের জন্য শয়তানের প্রতীক, যা পরলোকেও তাদের সাথে থাকবে। সেখানে কিন্তু তাদের উদ্ধত, একগুয়ে ও অবাধ্যতা দূর হয়ে যাবে। সত্যকে অস্বীকার করার প্রতিফল তারা সর্বোচ্চ বিনয়ের সাথে গ্রহণ করবে। ” নতজানু ” শব্দটি দ্বারা সর্বোচ্চ বিনয়কে বোঝানো হয়েছে।
২৫১৭। ” জাহান্নামের চতুর্দিক” পাপের পথ বহুবিধ। পাপের শাস্তি জাহান্নাম। বিভিন্নভাবে, বিভিন্ন পথে মানুষ পাপ করে থাকে। কিন্তু সকল পাপের পথই একখানে এসে মিলিত হয়, আর তা হচ্ছে “জাহান্নাম “। সে জন্যই বলা হয়েছে দোযখের সাতটি দরজা। দেখুন আয়াত [ ১৫ : ৪৪ ] এবং টিকা ১৯৭৭।
আয়াতঃ 019.069
অতঃপর প্রত্যেক সম্প্রদায়ের মধ্যে যে দয়াময় আল্লাহর সর্বাধিক অবাধ্য আমি অবশ্যই তাকে পৃথক করে নেব।
Then indeed We shall drag out from every sect all those who were worst in obstinate rebellion against the Most Beneficent (Allâh).
ثُمَّ لَنَنزِعَنَّ مِن كُلِّ شِيعَةٍ أَيُّهُمْ أَشَدُّ عَلَى الرَّحْمَنِ عِتِيًّا
Thumma lananziAAanna min kulli sheeAAatin ayyuhum ashaddu AAala alrrahmani AAitiyyan
YUSUFALI: Then shall We certainly drag out from every sect all those who were worst in obstinate rebellion against (Allah) Most Gracious.
PICKTHAL: Then We shall pluck out from every sect whichever of them was most stubborn in rebellion to the Beneficent.
SHAKIR: Then We will most certainly draw forth from every sect of them him who is most exorbitantly rebellious against the Beneficent Allah.
KHALIFA: Then we will pick out from each group the most ardent opponent of the Most Gracious.
৬৯। অতঃপর প্রত্যেক দলের মধ্যে যারা , পরম করুণাময় [আল্লাহ্র ] বিরুদ্ধে সর্বাপেক্ষা অনমনীয় বিদ্রোহী , আমি নিশ্চয়ই তাদের টেনে বের করবো।
৭০। অবশ্যই আমি সর্বাপেক্ষা ভালো জানি , তাদের মধ্যে সেখানে দগ্ধ হওয়ার জন্য যোগ্যতম কে ?
৭১। তোমরা প্রত্যেকেই উহা অতিক্রম করবে ২৫১৮। ইহা তোমার প্রভুর সিদ্ধান্ত যা অবশ্যই সম্পাদন করা হবে।
২৫১৮। এই লাইনটির তিন রকম ব্যাখ্যা সম্ভব : ১) প্রত্যেক ব্যক্তিকে উহা অর্থাৎ আগুনের মধ্যে দিয়ে বা উপর দিয়ে অতিক্রম করতে হবে। যারা পৃথিবীতে ‘তাকওয়া’ [ দেখুন ২:২ ও টিকা ২৬ ] অবলম্বন করেছিলো, আল্লাহ্ তাদের অনুগ্রহ করে রক্ষা করবেন। অপর পক্ষে যারা পাপী তারা দোযখে নিক্ষিপ্ত হবে। ২) দ্বিতীয় ব্যাখ্যা হচ্ছে : এই আয়াতে “তোমরা” সর্বনামটি ব্যবহার করা হয়েছে ৬৯ নং আয়াতে যে সব “সর্বাধিক অবাধ্য ” জনের উল্লেখ আছে তাদের জন্য। এদের উল্লেখ ৭০ নং আয়াতেও আছে। সে হিসেবে এই আয়াতটি শুধুমাত্র পাপীদের জন্য প্রযোজ্য। ৩) তৃতীয় ব্যাখ্যা হচ্ছে : “উহা” শব্দটি পুল সিরাত, যা জাহান্নামের উপরে অবস্থিত। উহা অতিক্রম করে জান্নাতে প্রবেশ করতে হবে। এই পুলের উল্লেখ কোরাণে নাই।
আয়াতঃ 019.070
অতঃপর তাদের মধ্যে যারা জাহান্নামে প্রবেশের অধিক যোগ্য, আমি তাদের বিষয়ে ভালোভাবে জ্ঞাত আছি।
Then, verily, We know best those who are most worthy of being burnt therein.
ثُمَّ لَنَحْنُ أَعْلَمُ بِالَّذِينَ هُمْ أَوْلَى بِهَا صِلِيًّا
Thumma lanahnu aAAlamu biallatheena hum awla biha siliyyan
YUSUFALI: And certainly We know best those who are most worthy of being burned therein.
PICKTHAL: And surely We are Best Aware of those most worthy to be burned therein.
SHAKIR: Again We do certainly know best those who deserve most to be burned therein.
KHALIFA: We know full well those who are most deserving of burning therein.
৬৯। অতঃপর প্রত্যেক দলের মধ্যে যারা , পরম করুণাময় [আল্লাহ্র ] বিরুদ্ধে সর্বাপেক্ষা অনমনীয় বিদ্রোহী , আমি নিশ্চয়ই তাদের টেনে বের করবো।
৭০। অবশ্যই আমি সর্বাপেক্ষা ভালো জানি , তাদের মধ্যে সেখানে দগ্ধ হওয়ার জন্য যোগ্যতম কে ?
৭১। তোমরা প্রত্যেকেই উহা অতিক্রম করবে ২৫১৮। ইহা তোমার প্রভুর সিদ্ধান্ত যা অবশ্যই সম্পাদন করা হবে।
২৫১৮। এই লাইনটির তিন রকম ব্যাখ্যা সম্ভব : ১) প্রত্যেক ব্যক্তিকে উহা অর্থাৎ আগুনের মধ্যে দিয়ে বা উপর দিয়ে অতিক্রম করতে হবে। যারা পৃথিবীতে ‘তাকওয়া’ [ দেখুন ২:২ ও টিকা ২৬ ] অবলম্বন করেছিলো, আল্লাহ্ তাদের অনুগ্রহ করে রক্ষা করবেন। অপর পক্ষে যারা পাপী তারা দোযখে নিক্ষিপ্ত হবে। ২) দ্বিতীয় ব্যাখ্যা হচ্ছে : এই আয়াতে “তোমরা” সর্বনামটি ব্যবহার করা হয়েছে ৬৯ নং আয়াতে যে সব “সর্বাধিক অবাধ্য ” জনের উল্লেখ আছে তাদের জন্য। এদের উল্লেখ ৭০ নং আয়াতেও আছে। সে হিসেবে এই আয়াতটি শুধুমাত্র পাপীদের জন্য প্রযোজ্য। ৩) তৃতীয় ব্যাখ্যা হচ্ছে : “উহা” শব্দটি পুল সিরাত, যা জাহান্নামের উপরে অবস্থিত। উহা অতিক্রম করে জান্নাতে প্রবেশ করতে হবে। এই পুলের উল্লেখ কোরাণে নাই।
আয়াতঃ 019.071
তোমাদের মধ্যে এমন কেউ নেই যে তথায় পৌছবে না। এটা আপনার পালনকর্তার অনিবার্য ফায়সালা।
There is not one of you but will pass over it (Hell); this is with your Lord; a Decree which must be accomplished.
وَإِن مِّنكُمْ إِلَّا وَارِدُهَا كَانَ عَلَى رَبِّكَ حَتْمًا مَّقْضِيًّا
Wa-in minkum illa wariduha kana AAala rabbika hatman maqdiyyan
YUSUFALI: Not one of you but will pass over it: this is, with thy Lord, a Decree which must be accomplished.
PICKTHAL: There is not one of you but shall approach it. That is a fixed ordinance of thy Lord.
SHAKIR: And there is not one of you but shall come to it; this is an unavoidable decree of your Lord.
KHALIFA: Every single one of you must see it; this is an irrevocable decision of your Lord.
৬৯। অতঃপর প্রত্যেক দলের মধ্যে যারা , পরম করুণাময় [আল্লাহ্র ] বিরুদ্ধে সর্বাপেক্ষা অনমনীয় বিদ্রোহী , আমি নিশ্চয়ই তাদের টেনে বের করবো।
৭০। অবশ্যই আমি সর্বাপেক্ষা ভালো জানি , তাদের মধ্যে সেখানে দগ্ধ হওয়ার জন্য যোগ্যতম কে ?
৭১। তোমরা প্রত্যেকেই উহা অতিক্রম করবে ২৫১৮। ইহা তোমার প্রভুর সিদ্ধান্ত যা অবশ্যই সম্পাদন করা হবে।
২৫১৮। এই লাইনটির তিন রকম ব্যাখ্যা সম্ভব : ১) প্রত্যেক ব্যক্তিকে উহা অর্থাৎ আগুনের মধ্যে দিয়ে বা উপর দিয়ে অতিক্রম করতে হবে। যারা পৃথিবীতে ‘তাকওয়া’ [ দেখুন ২:২ ও টিকা ২৬ ] অবলম্বন করেছিলো, আল্লাহ্ তাদের অনুগ্রহ করে রক্ষা করবেন। অপর পক্ষে যারা পাপী তারা দোযখে নিক্ষিপ্ত হবে। ২) দ্বিতীয় ব্যাখ্যা হচ্ছে : এই আয়াতে “তোমরা” সর্বনামটি ব্যবহার করা হয়েছে ৬৯ নং আয়াতে যে সব “সর্বাধিক অবাধ্য ” জনের উল্লেখ আছে তাদের জন্য। এদের উল্লেখ ৭০ নং আয়াতেও আছে। সে হিসেবে এই আয়াতটি শুধুমাত্র পাপীদের জন্য প্রযোজ্য। ৩) তৃতীয় ব্যাখ্যা হচ্ছে : “উহা” শব্দটি পুল সিরাত, যা জাহান্নামের উপরে অবস্থিত। উহা অতিক্রম করে জান্নাতে প্রবেশ করতে হবে। এই পুলের উল্লেখ কোরাণে নাই।
আয়াতঃ 019.072
অতঃপর আমি পরহেযগারদেরকে উদ্ধার করব এবং জালেমদেরকে সেখানে নতজানু অবস্থায় ছেড়ে দেব।
Then We shall save those who use to fear Allâh and were dutiful to Him. And We shall leave the Zâlimûn (polytheists and wrongdoers, etc.) therein (humbled) to their knees (in Hell).
ثُمَّ نُنَجِّي الَّذِينَ اتَّقَوا وَّنَذَرُ الظَّالِمِينَ فِيهَا جِثِيًّا
Thumma nunajjee allatheena ittaqaw wanatharu alththalimeena feeha jithiyyan
YUSUFALI: But We shall save those who guarded against evil, and We shall leave the wrong-doers therein, (humbled) to their knees.
PICKTHAL: Then We shall rescue those who kept from evil, and leave the evil-doers crouching there.
SHAKIR: And We will deliver those who guarded (against evil), and We will leave the unjust therein on their knees.
KHALIFA: Then we rescue the righteous, and leave the transgressors in it, humiliated.
৭২। কিন্তু আমি তাদের রক্ষা করবো যারা নিজেদেরকে মন্দ থেকে রক্ষা করে। এবং পাপীদের [ বিনয়ে ] নতজানু অবস্থায় সেখানে ত্যাগ করবো।
৭৩। যখন আমার সুস্পষ্ট আয়াত সমূহ তাদের নিকট আবৃত্তি করা হয়; তখন অবিশ্বাসীরা , যারা ঈমান এনেছে তাদের বলে, ” [ বলতো আমাদের ] দু দলের মধ্যে মর্যাদায় কোন দল শ্রেষ্ঠ ? কাদের সভার আড়ম্বর অধিক বেশী ? ” ২৫১৯
২৫১৯। এই পৃথিবীতে অবিশ্বাসীরা সব সময়েই অর্থ-সম্পদ, ক্ষমতা প্রতিপত্তিতে বা জনবলে শ্রেষ্ঠ প্রতিপন্ন হয়। কারণ জনবল সর্বদা যে দিকে সম্পদ ও ক্ষমতা সেদিকে ধাবিত হয়। জনবল বিশেষতঃ জনসমর্থনকে বোঝায়। কিন্তু পৃথিবীতে শেষ পর্যন্ত সত্য টিকে থাকবে এবং বিরাজ করবে এই আল্লাহ্র আইন।
আয়াতঃ 019.073
যখন তাদের কাছে আমার সুস্পষ্ট আয়াতসমূহ তেলাওয়াত করা হয়, তখন কাফেররা মুমিনদেরকে বলেঃ দুই দলের মধ্যে কোনটি মর্তবায় শ্রেষ্ঠ এবং কার মজলিস উত্তম?
And when Our Clear Verses are recited to them, those who disbelieve (the rich and strong among the pagans of Quraish who live a life of luxury) say to those who believe (the weak, poor companions of Prophet Muhammad SAW who have a hard life): ”Which of the two groups (i.e. believers and disbelievers) is best in (point of) position and as regards station (place of council for consultation).”
وَإِذَا تُتْلَى عَلَيْهِمْ آيَاتُنَا بَيِّنَاتٍ قَالَ الَّذِينَ كَفَرُوا لِلَّذِينَ آمَنُوا أَيُّ الْفَرِيقَيْنِ خَيْرٌ مَّقَامًا وَأَحْسَنُ نَدِيًّا
Wa-itha tutla AAalayhim ayatuna bayyinatin qala allatheena kafaroo lillatheena amanoo ayyu alfareeqayni khayrun maqaman waahsanu nadiyyan
YUSUFALI: When Our Clear Signs are rehearsed to them, the Unbelievers say to those who believe, “Which of the two sides is best in point of position? Which makes the best show in council?”
PICKTHAL: And when Our clear revelations are recited unto them, those who disbelieve say unto those who believe: Which of the two parties (yours or ours) is better in position, and more imposing as an army?
SHAKIR: And when Our clear communications are recited to them, those who disbelieve say to those who believe: Which of the two parties is best in abiding and best in assembly?
KHALIFA: When our revelations are recited to them, clearly, those who disbelieve say to those who believe, “Which of us is more prosperous? Which of us is in the majority?”
৭২। কিন্তু আমি তাদের রক্ষা করবো যারা নিজেদেরকে মন্দ থেকে রক্ষা করে। এবং পাপীদের [ বিনয়ে ] নতজানু অবস্থায় সেখানে ত্যাগ করবো।
৭৩। যখন আমার সুস্পষ্ট আয়াত সমূহ তাদের নিকট আবৃত্তি করা হয়; তখন অবিশ্বাসীরা , যারা ঈমান এনেছে তাদের বলে, ” [ বলতো আমাদের ] দু দলের মধ্যে মর্যাদায় কোন দল শ্রেষ্ঠ ? কাদের সভার আড়ম্বর অধিক বেশী ? ” ২৫১৯
২৫১৯। এই পৃথিবীতে অবিশ্বাসীরা সব সময়েই অর্থ-সম্পদ, ক্ষমতা প্রতিপত্তিতে বা জনবলে শ্রেষ্ঠ প্রতিপন্ন হয়। কারণ জনবল সর্বদা যে দিকে সম্পদ ও ক্ষমতা সেদিকে ধাবিত হয়। জনবল বিশেষতঃ জনসমর্থনকে বোঝায়। কিন্তু পৃথিবীতে শেষ পর্যন্ত সত্য টিকে থাকবে এবং বিরাজ করবে এই আল্লাহ্র আইন।
আয়াতঃ 019.074
তাদের পূর্বে কত মানব গোষ্ঠীকে আমি বিনাশ করেছি, তারা তাদের চাইতে সম্পদে ও জাঁক-জমকে শ্রেষ্ঠ ছিল।
And how many a generation (past nations) have We destroyed before them, who were better in wealth, goods and outward appearance?
وَكَمْ أَهْلَكْنَا قَبْلَهُم مِّن قَرْنٍ هُمْ أَحْسَنُ أَثَاثًا وَرِئْيًا
Wakam ahlakna qablahum min qarnin hum ahsanu athathan wari/yan
YUSUFALI: But how many (countless) generations before them have we destroyed, who were even better in equipment and in glitter to the eye?
PICKTHAL: How many a generation have We destroyed before them, who were more imposing in respect of gear and outward seeming!
SHAKIR: And how many of the generations have We destroyed before them who were better in respect of goods and outward appearance!
KHALIFA: Many a generation have we annihilated before them; they were more powerful, and more prosperous.
৭৪। ওদের পূর্বে আমি কত [ অসংখ্য ] মানব গোষ্ঠিকে বিনাশ করেছি, যারা অস্ত্র – শস্ত্র ও চাকচিক্যে বাহ্যদৃষ্টিতে শ্রেষ্ঠতর ছিলো।
৭৫। বল ! যদি কেউ ভ্রান্ত পথে যায়, পরম করুণাময় [আল্লাহ্ ] তাদের [ ভ্রান্ত পথের রজ্জু ] বৃদ্ধি করে দেন , যতক্ষণ না তারা আল্লাহ্র দেয়া সতর্কবাণী প্রত্যক্ষ করবে – তা শাস্তি হিসেবেই হোক ২৫২০; অথবা কেয়ামতের [ আগমন ] হিসেবেই হোক। শেষ পর্যন্ত তারা বুঝতে পারবে , কে মর্যদায় নিকৃষ্ট এবং [ কে ] শক্তিতে সর্বাপেক্ষা দুর্বল।
২৫২০। আল্লাহ্ সর্তক করে দেন যে, প্রত্যেক মন্দ কাজের পরিণাম শাস্তি। এবং মৃত্যুই জীবনের শেষ নয়। মৃত্যুর সিংহদুয়ার পেরিয়ে , পরলোকে ইহকালের সকল কার্যের জবাবদিহিতার সম্মুখীন হতে হবে। একেই বলা হয়েছে শেষ বিচারের দিন। মন্দ কাজ বা পাপের পরিণতি সব সময়ে যে পরকালেই ভোগ করতে হবে তা নয়, অনেক সময়ে দেখা যায় ইহকালেই শাস্তি বা পরিণতি শুরু হয়ে যায়। যেমন, অতিরিক্ত অসংযম ও বাড়াবাড়ির প্রতিফল এই জীবনেই অনেক সময়ে শুরু হয়ে যায়। কিন্তু অনেক সময়ে মানুষের স্বার্থপরতা ও পাপ এত সুক্ষ ও ভালো মানুষের আবরণে ঢাকা থাকে যে, তা সাধারণ মানুষের ধরা ছোঁয়ার বাইরে থাকে। কিন্তু মানুষের বিচারে এরা রেহাই পেলেও আল্লাহ্র ন্যায় বিচার অবশ্যাম্ভবী। যে কোন ক্ষেত্রেই হোক না কেন , অহংকারী , গর্বিত পাপীরা জানতে পারবে “কে মর্যাদায় নিকৃষ্ট ও কে শক্তিতে দুর্বল ” অর্থাৎ সম্মান ও ক্ষমতায় কে নিকৃষ্ট ও কে দুর্বল যে ব্যাপারেও তারা সর্বদা বিদ্রূপ করতো ; যার উল্লেখ আছে আয়াত [ ১৯ : ৭৩]
আয়াতঃ 019.075
বলুন, যারা পথভ্রষ্টতায় আছে, দয়াময় আল্লাহ তাদেরকে যথেষ্ট অবকাশ দেবেন; এমনকি অবশেষে তারা প্রত্যক্ষ করবে যে বিষয়ে তাদেরকে ওয়াদা দেয়া হচ্ছে, তা আযাব হোক অথবা কেয়ামতই হোক। সুতরাং তখন তারা জানতে পারবে কে মর্তবায় নিকৃষ্ট ও দলবলে দূর্বল।
Say (O Muhammad SAW) whoever is in error, the Most Beneficent (Allâh) will extend (the rope) to him, until, when they see that which they were promised, either the torment or the Hour, they will come to know who is worst in position, and who is weaker in forces. [This is the answer for the Verse No.19:73]
قُلْ مَن كَانَ فِي الضَّلَالَةِ فَلْيَمْدُدْ لَهُ الرَّحْمَنُ مَدًّا حَتَّى إِذَا رَأَوْا مَا يُوعَدُونَ إِمَّا الْعَذَابَ وَإِمَّا السَّاعَةَ فَسَيَعْلَمُونَ مَنْ هُوَ شَرٌّ مَّكَانًا وَأَضْعَفُ جُندًا
Qul man kana fee alddalalati falyamdud lahu alrrahmanu maddan hatta itha raaw ma yooAAadoona imma alAAathaba wa-imma alssaAAata fasayaAAlamoona man huwa sharrun makanan waadAAafu jundan
YUSUFALI: Say: “If any men go astray, (Allah) Most Gracious extends (the rope) to them, until, when they see the warning of Allah (being fulfilled) – either in punishment or in (the approach of) the Hour,- they will at length realise who is worst in position, and (who) weakest in forces!
PICKTHAL: Say: As for him who is in error, the Beneficent will verily prolong his span of life until, when they behold that which they were promised, whether it be punishment (in the world), or the Hour (of doom), they will know who is worse in position and who is weaker as an army.
SHAKIR: Say: As for him who remains in error, the Beneficent Allah will surely prolong his length of days, until they see what they were threatened with, either the punishment or the hour; then they shall know who is in more evil plight and weaker in forces
KHALIFA: Say, “Those who choose to go astray, the Most Gracious will lead them on, until they see what is promised for them – either the retribution or the Hour. That is when they find out who really is worse off, and weaker in power.”
৭৪। ওদের পূর্বে আমি কত [ অসংখ্য ] মানব গোষ্ঠিকে বিনাশ করেছি, যারা অস্ত্র – শস্ত্র ও চাকচিক্যে বাহ্যদৃষ্টিতে শ্রেষ্ঠতর ছিলো।
৭৫। বল ! যদি কেউ ভ্রান্ত পথে যায়, পরম করুণাময় [আল্লাহ্ ] তাদের [ ভ্রান্ত পথের রজ্জু ] বৃদ্ধি করে দেন , যতক্ষণ না তারা আল্লাহ্র দেয়া সতর্কবাণী প্রত্যক্ষ করবে – তা শাস্তি হিসেবেই হোক ২৫২০; অথবা কেয়ামতের [ আগমন ] হিসেবেই হোক। শেষ পর্যন্ত তারা বুঝতে পারবে , কে মর্যদায় নিকৃষ্ট এবং [ কে ] শক্তিতে সর্বাপেক্ষা দুর্বল।
২৫২০। আল্লাহ্ সর্তক করে দেন যে, প্রত্যেক মন্দ কাজের পরিণাম শাস্তি। এবং মৃত্যুই জীবনের শেষ নয়। মৃত্যুর সিংহদুয়ার পেরিয়ে , পরলোকে ইহকালের সকল কার্যের জবাবদিহিতার সম্মুখীন হতে হবে। একেই বলা হয়েছে শেষ বিচারের দিন। মন্দ কাজ বা পাপের পরিণতি সব সময়ে যে পরকালেই ভোগ করতে হবে তা নয়, অনেক সময়ে দেখা যায় ইহকালেই শাস্তি বা পরিণতি শুরু হয়ে যায়। যেমন, অতিরিক্ত অসংযম ও বাড়াবাড়ির প্রতিফল এই জীবনেই অনেক সময়ে শুরু হয়ে যায়। কিন্তু অনেক সময়ে মানুষের স্বার্থপরতা ও পাপ এত সুক্ষ ও ভালো মানুষের আবরণে ঢাকা থাকে যে, তা সাধারণ মানুষের ধরা ছোঁয়ার বাইরে থাকে। কিন্তু মানুষের বিচারে এরা রেহাই পেলেও আল্লাহ্র ন্যায় বিচার অবশ্যাম্ভবী। যে কোন ক্ষেত্রেই হোক না কেন , অহংকারী , গর্বিত পাপীরা জানতে পারবে “কে মর্যাদায় নিকৃষ্ট ও কে শক্তিতে দুর্বল ” অর্থাৎ সম্মান ও ক্ষমতায় কে নিকৃষ্ট ও কে দুর্বল যে ব্যাপারেও তারা সর্বদা বিদ্রূপ করতো ; যার উল্লেখ আছে আয়াত [ ১৯ : ৭৩]
আয়াতঃ 019.076
যারা সৎপথে চলে আল্লাহ তাদের পথপ্রাপ্তি বৃদ্ধি করেন এবং স্থায়ী সৎকর্মসমূহ তোমার পালনকর্তার কাছে সওয়াবের দিক দিয়ে শ্রেষ্ঠ এবং প্রতিদান হিসেবেও শ্রেষ্ট।
And Allâh increases in guidance those who walk aright [true believers in the Oneness of Allâh who fear Allâh much (abstain from all kinds of sins and evil deeds which He has forbidden), and love Allâh much (perform all kinds of good deeds which He has ordained)]. And the righteous good deeds that last, are better with your Lord, for reward and better for resort.
وَيَزِيدُ اللَّهُ الَّذِينَ اهْتَدَوْا هُدًى وَالْبَاقِيَاتُ الصَّالِحَاتُ خَيْرٌ عِندَ رَبِّكَ ثَوَابًا وَخَيْرٌ مَّرَدًّا
Wayazeedu Allahu allatheena ihtadaw hudan waalbaqiyatu alssalihatu khayrun AAinda rabbika thawaban wakhayrun maraddan
YUSUFALI: “And Allah doth advance in guidance those who seek guidance: and the things that endure, Good Deeds, are best in the sight of thy Lord, as rewards, and best in respect of (their) eventual return.”
PICKTHAL: Allah increaseth in right guidance those who walk aright, and the good deeds which endure are better in thy Lord’s sight for reward, and better for resort.
SHAKIR: And Allah increases in guidance those who go aright; and ever-abiding good works are with your Lord best in recompense and best in yielding fruit.
KHALIFA: GOD augments the guidance of those who choose to be guided. For the good deeds are eternally rewarded by your Lord, and bring far better returns.
৭৬। যারা পথের ঠিকানা অনুসন্ধান করে, আল্লাহ্ তাদের হেদায়েতের পথে অগ্রসর করান। যা [ শেষ পর্যন্ত ] টিকে থাকে তা হচ্ছে সৎ কাজ। যা পুরষ্কার লাভের জন্য এবং প্রতিদান হিসেবে আল্লাহ্র দৃষ্টিতে সর্বোৎকৃষ্ট ২৫২১।
২৫২১। ” যা শেষ পর্যন্ত টিকে থাকে তা হচ্ছে সৎ কাজ ” – এই লাইনটি সূরা [ ১৮ : ৪৬ ] আয়াতের শেষার্ধে উল্লেখ আছে, শুধুমাত্র “প্রতিদান (maradd)চ্ শব্দটির স্থানে [ ১৮ : ৪৬ ] আয়াতে ” আশা আকাঙ্খা (amal)” শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে। দুটি ক্ষেত্রেই এর জন্য অর্থের খুব একটা তারতম্য ঘটে নাই। যেখানে পার্থিব সম্পদের আকাঙ্খার সাথে চাওয়া পাওয়াকে সমন্বিত করা হয়েছে সেখানে ” আশা-আকাঙ্খা” শব্দটি অধিক প্রযোজ্য। আবার যেখানে মর্যদা ও পাপীদের পার্থিব বিনিয়োগ যা সম্পদ ও ক্ষমতা লাভের কুটিল ষড়যন্ত্র, সেখানে ” প্রতিদান” শব্দটি অধিক প্রযোজ্য।
আয়াতঃ 019.077
আপনি কি তাকে লক্ষ্য করেছেন যে, আমার নিদর্শনাবলীতে বিশ্বাস করে না এবং বলেঃ আমাকে অর্থ-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি অবশ্যই দেয়া হবে।
Have you seen him who disbelieved in Our Ayât (this Qur’ân and Muhammad SAW) and (yet) says: ”I shall certainly be given wealth and children [if I will be alive (again)],”
أَفَرَأَيْتَ الَّذِي كَفَرَ بِآيَاتِنَا وَقَالَ لَأُوتَيَنَّ مَالًا وَوَلَدًا
Afaraayta allathee kafara bi-ayatina waqala laootayanna malan wawaladan
YUSUFALI: Hast thou then seen the (sort of) man who rejects Our Signs, yet says: “I shall certainly be given wealth and children?”
PICKTHAL: Hast thou seen him who disbelieveth in Our revelations and saith: Assuredly I shall be given wealth and children?
SHAKIR: Have you, then, seen him who disbelieves in Our communications and says: I shall certainly be given wealth and children?
KHALIFA: Have you noted the one who rejected our revelations then said, “I will be given wealth and children”?!
৭৭। তুমি কি সে সব লোককে লক্ষ্য করেছ, যারা আমার আয়াতসমূহ প্রত্যাখান করেছে , তথাপি বলে, আমাকে অবশ্যই ধন-সম্পদ ও সন্তান -সন্ততি দেয়া হবে ২৫২২।
২৫২২। অর্থ সম্পদ , প্রভাব-প্রতিপত্তি ও ক্ষমতায় যারা শ্রেষ্ঠ তাদের মানসিকতাকে এই আয়াতে তুলে ধরা হয়েছে। এ সব ক্ষমতাশালী ব্যক্তিরা তাদের শ্রেষ্ঠত্বের জন্য গর্ব প্রকাশ করে থাকে। কিন্তু এদের মধ্যে আর এক দল থাকে যারা শুধু বর্তমান নয়, তারা ঘোষণা করে যে, ভবিষ্যতেও তাদের ধন-সম্পদ, ও ক্ষমতার পরিমাণ অব্যাহত থাকবে। এখানে সন্তান সন্ততিকে জনবল বা ক্ষমতার প্রতীক হিসেবে ধরা হয়েছে। কিন্তু ভবিষ্যত সম্বন্ধে তারা নিশ্চিত হয় কি ভাবে ? সমস্ত কল্যাণ আল্লাহ্র হাতে। তাদের ঘোষণা দ্বারা প্রতীয়মান হবে যেনো আল্লাহ্ তাদের অনুগ্রহ করতে বাধ্য। যেখানে তারা আল্লাহ্র সত্যকে অস্বীকার করে, আল্লাহ্র প্রতি ঈমান আনে না , সেখানে তারা এরূপ আশা কিভাবে করে ? অথবা তারা কি এমন ভান করে যে, তারা ভবিষ্যতকে প্রত্যক্ষ করতে পারে ? তারা কি ভবিষ্যতের প্রতিশ্রুতি আল্লাহ্র নিকট থেকে লাভ করেছে ? কিন্তু কোনও মানুষই ভবিষ্যতের রহস্য উদ্ঘাটন করতে পারবে না।
আয়াতঃ 019.078
সে কি অদৃশ্য বিষয় জেনে ফেলেছে, অথবা দয়াময় আল্লাহর নিকট থেকে কোন প্রতিশ্রুতি প্রাপ্ত হয়েছে?
Has he known the unseen or has he taken a covenant from the Most Beneficent (Allâh)?
أَاطَّلَعَ الْغَيْبَ أَمِ اتَّخَذَ عِندَ الرَّحْمَنِ عَهْدًا
AttalaAAa alghayba ami ittakhatha AAinda alrrahmani AAahdan
YUSUFALI: Has he penetrated to the Unseen, or has he taken a contract with (Allah) Most Gracious?
PICKTHAL: Hath he perused the Unseen, or hath he made a pact with the Beneficent?
SHAKIR: Has he gained knowledge of the unseen, or made a covenant with the Beneficent Allah?
KHALIFA: Has he seen the future? Has he taken such a pledge from the Most Gracious?
৭৮। সে কি অদৃশ্যকে ভেদ করতে পেরেছে অথবা সে কি পরম করুণাময় আল্লাহ্র সাথে চুক্তি করেছে ?
৭৯। কখনই না! তারা যা বলে তা আমি সংরক্ষিত করবো। এবং আমি তাকে শাস্তির উপরে শাস্তি বৃদ্ধি করবো ২৫২৩।
২৫২৩। এসব লোকের শাস্তি বৃদ্ধি করা হবে বা দ্বিগুণ করা হবে। কারণ প্রথমতঃ তারা আল্লাহ্র প্রতি ঈমান আনে নাই, দ্বিতীয়তঃ তারা আল্লাহ্র নামে মিথ্যা আরোপ করেছে।
আয়াতঃ 019.079
না, এটা ঠিক নয়। সে যা বলে আমি তা লিখে রাখব এবং তার শাস্তি দীর্ঘায়িত করতে থাকব।
Nay! We shall record what he says, and We shall increase his torment (in the Hell);
كَلَّا سَنَكْتُبُ مَا يَقُولُ وَنَمُدُّ لَهُ مِنَ الْعَذَابِ مَدًّا
Kalla sanaktubu ma yaqoolu wanamuddu lahu mina alAAathabi maddan
YUSUFALI: Nay! We shall record what he says, and We shall add and add to his punishment.
PICKTHAL: Nay, but We shall record that which he saith and prolong for him a span of torment.
SHAKIR: By no means! We write down what he says, and We will lengthen to him the length of the chastisement
KHALIFA: Indeed, we will record what he utters, then commit him to ever-increasing retribution.
৭৮। সে কি অদৃশ্যকে ভেদ করতে পেরেছে অথবা সে কি পরম করুণাময় আল্লাহ্র সাথে চুক্তি করেছে ?
৭৯। কখনই না! তারা যা বলে তা আমি সংরক্ষিত করবো। এবং আমি তাকে শাস্তির উপরে শাস্তি বৃদ্ধি করবো ২৫২৩।
২৫২৩। এসব লোকের শাস্তি বৃদ্ধি করা হবে বা দ্বিগুণ করা হবে। কারণ প্রথমতঃ তারা আল্লাহ্র প্রতি ঈমান আনে নাই, দ্বিতীয়তঃ তারা আল্লাহ্র নামে মিথ্যা আরোপ করেছে।
আয়াতঃ 019.080
সে যা বলে, মৃত্যুর পর আমি তা নিয়ে নেব এবং সে আমার কাছে আসবে একাকী।
And We shall inherit from him (at his death) all that he talks of (i.e. wealth and children which We have bestowed upon him in this world), and he shall come to Us alone.
وَنَرِثُهُ مَا يَقُولُ وَيَأْتِينَا فَرْدًا
Wanarithuhu ma yaqoolu waya/teena fardan
YUSUFALI: To Us shall return all that he talks of and he shall appear before Us bare and alone.
PICKTHAL: And We shall inherit from him that whereof he spake, and he will come unto Us, alone (without his wealth and children).
SHAKIR: And We will inherit of him what he says, and he shall come to Us alone.
KHALIFA: Then we inherit everything he possessed, and he comes back to us all alone.
৮০। সে যা বলে তার সব আমার কাছে ফিরে আসবে। এবং সে আমার কাছে উপস্থিত হবে রিক্ত এবং নিঃসঙ্গ অবস্থায় ২৫২৪।
২৫২৪। পৃথিবীতে যে সম্পদ ও ক্ষমতাকে ব্যক্তি কুক্ষিগত করে রাখে , তাঁর প্রকৃত মালিক সে নয়, সব কিছুর মালিক সর্বশক্তিমান আল্লাহ্। সব কিছুই আল্লাহ্র কাছে নীত হবে, যিনি সব কিছুর উৎস। মানুষও সেখানে নিঃসঙ্গ, পার্থিব সম্পদ ও ক্ষমতাচ্যুত হয়ে রিক্ত অবস্থায় আল্লাহ্র বিচারের সম্মুখীন হবে। যে পার্থিব সম্পদ ও ক্ষমতার মোহে অন্ধ হয়ে সে পরকালকে অস্বীকার করেছিলো, তা তার কোনও কাজেই আসবে না। সেদিন তার সম্পদ, ক্ষমতা সবই থাকবে আল্লাহ্র অধিকারে।
আয়াতঃ 019.081
তারা আল্লাহ ব্যতীত অন্যান্য ইলাহ গ্রহণ করেছে, যাতে তারা তাদের জন্যে সাহায্যকারী হয়।
And they have taken (for worship) âliha (gods) besides Allâh, that they might give them honour, power and glory (and also protect them from Allâh’s Punishment etc.).
وَاتَّخَذُوا مِن دُونِ اللَّهِ آلِهَةً لِّيَكُونُوا لَهُمْ عِزًّا
Waittakhathoo min dooni Allahi alihatan liyakoonoo lahum AAizzan
YUSUFALI: And they have taken (for worship) gods other than Allah, to give them power and glory!
PICKTHAL: And they have chosen (other) gods beside Allah that they may be a power for them.
SHAKIR: And they have taken gods besides Allah, that they should be to them a source of strength;
KHALIFA: They worship beside GOD other gods that (they think) may be of help to them.
৮১। [ এবাদতের জন্য ] তারা আল্লাহ্ ব্যতীত অন্য উপাস্য গ্রহণ করে থাকে, যেনো তারা তাকে ক্ষমতা ও খ্যাতি দান করতে পারে ২৫২৫।
২৫২৫। “Izz” শব্দটির অর্থ উচ্চ শ্রেণী, ক্ষমতা, শক্তি, অন্যের উপরে আধিপত্য বিস্তারের ক্ষমতা , ইচ্ছাকে কার্যে পরিণত করার ক্ষমতা বা বিজয় গৌরব ইত্যাদি।
আয়াতঃ 019.082
কখনই নয়, তারা তাদের এবাদত অস্বীকার করবে এবং তাদের বিপক্ষে চলে যাবে।
Nay, but they (the so-called gods) will deny their worship of them, and become opponents to them (on the Day of Resurrection).
كَلَّا سَيَكْفُرُونَ بِعِبَادَتِهِمْ وَيَكُونُونَ عَلَيْهِمْ ضِدًّا
Kalla sayakfuroona biAAibadatihim wayakoonoona AAalayhim diddan
YUSUFALI: Instead, they shall reject their worship, and become adversaries against them.
PICKTHAL: Nay, but they will deny their worship of them, and become opponents unto them.
SHAKIR: By no means! They shall soon deny their worshipping them, and they shall be adversaries to them.
KHALIFA: On the contrary, they will reject their idolatry, and will be their enemies.
৮২। পক্ষান্তরে , তারা [ উপাস্যরা ] তাদের এবাদত প্রত্যাখান করবে এবং তাদের বিরুদ্ধে যাবে ২৫২৬।
২৫২৬। দেখুন [ ১০ : ২৮ – ৩০ ] যেখানে বলা হয়েছে মিথ্যা উপাস্যরা তাদের উপাসনার কথা অস্বীকার করবে, তারা পূজারীদের শেষ বিচারের দিনে ত্যাগ করবে, ফলে তারা হতাশার মাঝে নিমজ্জিত হবে। আয়াতে [ ৫ : ১১৬ ] যীশু খৃষ্ট শেষ বিচারের দিনে অস্বীকার করবেন যে তিনি তাঁকে আল্লাহ্র অংশীদার হিসেবে পূজা করার কথা বলেছেন। এ সব অংশীবাদীদের আল্লাহ্র শাস্তির জন্য অর্পণ করা হবে।
আয়াতঃ 019.083
আপনি কি লক্ষ্য করেননি যে, আমি কাফেরদের উপর শয়তানদেরকে ছেড়ে দিয়েছি। তারা তাদেরকে বিশেষভাবে (মন্দকর্মে) উৎসাহিত করে।
See you not that We have sent the Shayâtin (devils) against the disbelievers to push them to do evil.
أَلَمْ تَرَ أَنَّا أَرْسَلْنَا الشَّيَاطِينَ عَلَى الْكَافِرِينَ تَؤُزُّهُمْ أَزًّا
Alam tara anna arsalna alshshayateena AAala alkafireena taozzuhum azzan
YUSUFALI: Seest thou not that We have set the Evil Ones on against the unbelievers, to incite them with fury?
PICKTHAL: Seest thou not that We have set the devils on the disbelievers to confound them with confusion?
SHAKIR: Do you not see that We have sent the Shaitans against the unbelievers, inciting them by incitement?
KHALIFA: Do you not see how we unleash the devils upon the disbelievers to stir them up?
রুকু – ৬
৮৩। তুমি কি দেখো নাই যে, আমি অবিশ্বাসীদের বিরুদ্ধে শয়তানকে ছেড়ে দিয়েছি তাদের [ মন্দ কর্মে ] উগ্র আবেগে উৎসাহিত করতে ? ২৫২৭
২৫২৭। প্রকৃতি যেমন প্রাকৃতিক আইনের আজ্ঞাবহ। মানুষের নৈতিক নীতিমালাও সেরূপ আল্লাহ্ প্রদত্ত আইনের আয়ত্তাধীন। প্রকৃতির আইন অমান্য করলে যেমন প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হয়। ঠিক সেরূপ অন্যায় , পাপ, দ্বারা মানুষের নৈতিক নীতিমালা লঙ্ঘিত হয় ফলে আত্মার ভারসাম্য নষ্ট হয়। তাদের চোখে তখন তাদের পাপ কাজকে নয়নাভিরাম মনে হয়। আল্লাহ্র আইন হচ্ছে , যখন পাপ, অন্যায়, এবং ঈমানহীনতা একটি নির্দ্দিষ্ট সীমারেখা অতিক্রম করে , তখন ব্যক্তির মাঝে পাপ পূণ্যের সীমারেখা অবলুপ্ত হয়ে যায়। তখন পাপ করার প্রবণতার গতি হয় ত্বরান্বিত। আল্লাহ্ পাপীদের সৎপথে ফিরে আসার জন্য সময় দিয়ে থাকেন। কিন্তু সেই সময়ের মধ্যে সে যদি অনুতপ্ত না হয়,তবে তার জন্য আল্লাহ্র শাস্তি থেকে অব্যহতি পাওয়ার দিন হয়ে যায় সীমিত। সুতারাং পূণ্যাত্মারা পাপী ও অবিশ্বাসীদের পার্থিব সাফল্যে বিভ্রান্ত হবে না। তারা আল্লাহ্র উপরে দৃঢ় বিশ্বাস রেখে ধীর ও অবিচলিত ভাবে তাদের কর্তব্য কর্ম করে যাবে।
আয়াতঃ 019.084
সুতরাং তাদের ব্যাপারে আপনি তাড়াহুড়া করবেন না। আমি তো তাদের গণনা পূর্ণ করছি মাত্র।
So make no haste against them; We only count out to them a (limited) number (of the days of the life of this world and delay their term so that they may increase in evil and sins).
فَلَا تَعْجَلْ عَلَيْهِمْ إِنَّمَا نَعُدُّ لَهُمْ عَدًّا
Fala taAAjal AAalayhim innama naAAuddu lahum AAaddan
YUSUFALI: So make no haste against them, for We but count out to them a (limited) number (of days).
PICKTHAL: So make no haste against them (O Muhammad). We do but number unto them a sum (of days).
SHAKIR: Therefore be not in haste against them, We only number out to them a number (of days).
KHALIFA: Do not be impatient; we are preparing for them some preparation.
৮৪। সুতারাং তাদের বিষয়ে তাড়াহুড়ো করো না। কারণ আমি তো তাদের জন্য গণনা করে রেখেছি [ সীমিত ] সংখ্যক [ দিন ]।
৮৫। সেদিন পূণ্যাত্মাদের পরম করুণাময় [আল্লাহ্র ] সমীপে সমবেত করা হবে যেনো, রাজার সম্মুখে সম্মানীয় মেহমান দল।
৮৬। এবং পাপীদের আমি দোযখের দিকে তাড়িয়ে নিয়ে যাব ঠিক যেনো, তৃষ্ণার্ত পশুপাল পানির দিকে তাড়িত হচ্ছে ২৫২৮।
২৫২৮। এই আয়াতগুলির মাধ্যমে পূণ্যাত্মা ও পাপীর অবস্থার মধ্যে তুলনা করা হয়েছে। পূণ্যাত্মারা সেদিন উদ্ধার পাবে, আল্লাহ্র নিকট সমবেত হবে সম্মানিত মেহমানরূপে ,আর পাপীরা সেদিন ধ্বংসের মুখোমুখি হবে। এদের তুলনা করা হয়েছে পশুপালের সাথে, যে তৃষ্ণার্ত পশুপালকে পানি পানের স্থানে সমবেত ভাবে নিয়ে যাওয়া হয়। ঠিক সেই ভাবে পাপীদের চিন্তাক্লিষ্টভাবে জাহান্নামের দিকে তাড়িত করা হবে। লক্ষ্য করুণ এখানে তৃষ্ণার্ত শব্দটি উপমা হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। তৃষ্ণার্ত ব্যক্তি যেরূপ পানির দর্শনে ছুটে যায়। পাপীরাও যেরূপ শান্তি রূপ পানির সন্ধানে ছুটে যাবে কিন্তু পরিণামে আগুনে নিক্ষিপ্ত হবে।
আয়াতঃ 019.085
সেদিন দয়াময়ের কাছে পরহেযগারদেরকে অতিথিরূপে সমবেত করব,
The Day We shall gather the Muttaqûn (pious – see V.2:2) unto the Most Beneficent (Allâh), like a delegate (presented before a king for honour).
يَوْمَ نَحْشُرُ الْمُتَّقِينَ إِلَى الرَّحْمَنِ وَفْدًا
Yawma nahshuru almuttaqeena ila alrrahmani wafdan
YUSUFALI: The day We shall gather the righteous to (Allah) Most Gracious, like a band presented before a king for honours,
PICKTHAL: On the day when We shall gather the righteous unto the Beneficent, a goodly company.
SHAKIR: The day on which We will gather those who guard (against evil) to the Beneficent Allah to receive honors
KHALIFA: The day will come when we summon the righteous before the Most Gracious in a group.
৮৪। সুতারাং তাদের বিষয়ে তাড়াহুড়ো করো না। কারণ আমি তো তাদের জন্য গণনা করে রেখেছি [ সীমিত ] সংখ্যক [ দিন ]।
৮৫। সেদিন পূণ্যাত্মাদের পরম করুণাময় [আল্লাহ্র ] সমীপে সমবেত করা হবে যেনো, রাজার সম্মুখে সম্মানীয় মেহমান দল।
৮৬। এবং পাপীদের আমি দোযখের দিকে তাড়িয়ে নিয়ে যাব ঠিক যেনো, তৃষ্ণার্ত পশুপাল পানির দিকে তাড়িত হচ্ছে ২৫২৮।
২৫২৮। এই আয়াতগুলির মাধ্যমে পূণ্যাত্মা ও পাপীর অবস্থার মধ্যে তুলনা করা হয়েছে। পূণ্যাত্মারা সেদিন উদ্ধার পাবে, আল্লাহ্র নিকট সমবেত হবে সম্মানিত মেহমানরূপে ,আর পাপীরা সেদিন ধ্বংসের মুখোমুখি হবে। এদের তুলনা করা হয়েছে পশুপালের সাথে, যে তৃষ্ণার্ত পশুপালকে পানি পানের স্থানে সমবেত ভাবে নিয়ে যাওয়া হয়। ঠিক সেই ভাবে পাপীদের চিন্তাক্লিষ্টভাবে জাহান্নামের দিকে তাড়িত করা হবে। লক্ষ্য করুণ এখানে তৃষ্ণার্ত শব্দটি উপমা হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। তৃষ্ণার্ত ব্যক্তি যেরূপ পানির দর্শনে ছুটে যায়। পাপীরাও যেরূপ শান্তি রূপ পানির সন্ধানে ছুটে যাবে কিন্তু পরিণামে আগুনে নিক্ষিপ্ত হবে।
আয়াতঃ 019.086
এবং অপরাধীদেরকে পিপাসার্ত অবস্থায় জাহান্নামের দিকে হাঁকিয়ে নিয়ে যাব।
And We shall drive the Mujrimûn (polytheists, sinners, criminals, disbelievers in the Oneness of Allâh, etc.) to Hell, in a thirsty state (like a thirsty herd driven down to water),
وَنَسُوقُ الْمُجْرِمِينَ إِلَى جَهَنَّمَ وِرْدًا
Wanasooqu almujrimeena ila jahannama wirdan
YUSUFALI: And We shall drive the sinners to Hell, like thirsty cattle driven down to water,-
PICKTHAL: And drive the guilty unto hell, a weary herd,
SHAKIR: And We will drive the guilty to hell thirsty
KHALIFA: And we will herd the guilty to Hell, to be their eternal abode.
৮৪। সুতারাং তাদের বিষয়ে তাড়াহুড়ো করো না। কারণ আমি তো তাদের জন্য গণনা করে রেখেছি [ সীমিত ] সংখ্যক [ দিন ]।
৮৫। সেদিন পূণ্যাত্মাদের পরম করুণাময় [আল্লাহ্র ] সমীপে সমবেত করা হবে যেনো, রাজার সম্মুখে সম্মানীয় মেহমান দল।
৮৬। এবং পাপীদের আমি দোযখের দিকে তাড়িয়ে নিয়ে যাব ঠিক যেনো, তৃষ্ণার্ত পশুপাল পানির দিকে তাড়িত হচ্ছে ২৫২৮।
২৫২৮। এই আয়াতগুলির মাধ্যমে পূণ্যাত্মা ও পাপীর অবস্থার মধ্যে তুলনা করা হয়েছে। পূণ্যাত্মারা সেদিন উদ্ধার পাবে, আল্লাহ্র নিকট সমবেত হবে সম্মানিত মেহমানরূপে ,আর পাপীরা সেদিন ধ্বংসের মুখোমুখি হবে। এদের তুলনা করা হয়েছে পশুপালের সাথে, যে তৃষ্ণার্ত পশুপালকে পানি পানের স্থানে সমবেত ভাবে নিয়ে যাওয়া হয়। ঠিক সেই ভাবে পাপীদের চিন্তাক্লিষ্টভাবে জাহান্নামের দিকে তাড়িত করা হবে। লক্ষ্য করুণ এখানে তৃষ্ণার্ত শব্দটি উপমা হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। তৃষ্ণার্ত ব্যক্তি যেরূপ পানির দর্শনে ছুটে যায়। পাপীরাও যেরূপ শান্তি রূপ পানির সন্ধানে ছুটে যাবে কিন্তু পরিণামে আগুনে নিক্ষিপ্ত হবে।
আয়াতঃ 019.087
যে দয়াময় আল্লাহর কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি গ্রহণ করেছে, সে ব্যতীত আর কেউ সুপারিশ করার অধিকারী হবে না।
None shall have the power of intercession, but such a one as has received permission (or promise) from the Most Beneficent (Allâh).
لَا يَمْلِكُونَ الشَّفَاعَةَ إِلَّا مَنِ اتَّخَذَ عِندَ الرَّحْمَنِ عَهْدًا
La yamlikoona alshshafaAAata illa mani ittakhatha AAinda alrrahmani AAahdan
YUSUFALI: None shall have the power of intercession, but such a one as has received permission (or promise) from (Allah) Most Gracious.
PICKTHAL: They will have no power of intercession, save him who hath made a covenant with his Lord.
SHAKIR: They shall not control intercession, save he who has made a covenant with the Beneficent Allah.
KHALIFA: No one will possess the power to intercede, except those who conform to the laws of the Most Gracious.
৮৭। পরম করুণাময় [আল্লাহ্র ] অনুমতি [ বা প্রতিশ্রুতি ] ব্যতীত, কারও সুপারিশ করার ক্ষমতা থাকবে না।
৮৮। তারা বলে, ” পরম করুণাময় [আল্লাহ্ ] পুত্র সন্তান গ্রহণ করেছেন !”
৮৯। অবশ্যই তোমরা এক বীভৎস বিষয়ের অবতারণা করেছ ২৫২৯;-
২৫২৯। খৃষ্টানেরা বলে যীশু খৃষ্ট আল্লাহ্র সন্তান। আল্লাহ্ সন্তান গ্রহণ করেন, একথা তারা প্রচার করে অনুমানের উপরে। এ কথা বিশ্বাস করা এক প্রচন্ড বীভৎস কথাকে বিশ্বাস করা। কারণ এ কথা এক প্রচন্ড ঈশ্বর নিন্দা। সন্তানের জন্মদান এক জৈবিক প্রক্রিয়া যা পশু প্রবৃত্তিরূপে পরিগণিত। আল্লাহ্র সন্তান গ্রহণের মাধ্যমে তাঁকে সেই পশু প্রবৃত্তির সমকক্ষ রূপে পরিগণিত করা হয়। আল্লাহ্র পবিত্রতা, মহত্ব , শ্রেষ্ঠত্ব এতে খর্ব করা হয়। এর সাথে খৃষ্টানেরা যাজক শ্রেণীর অবতারণা করেছে যারা আল্লাহ্ ও সাধারণ মানুষের মধ্যবর্তী হিসেবে কাজ করে। যারা বলে মানুষের পাপকে যীশুর রক্তের মাধ্যমে শোধ করা হয়। সেইরূপ যাজকেরা মানুষের পাপের জন্য আল্লাহ্র কাছে ক্ষমা প্রার্থী হবে। প্রত্যেকে প্রত্যেকের কর্মফলের জন্য দায়ী। এই বোধ আমাদের আল্লাহ্র ন্যায় বিচার সম্বন্ধে ধারণা দান করে। সুতারাং মানুষের পাপের ঋণ যীশু রক্তের মাধ্যমে শোধ করেন বা মধ্যবর্তী শ্রেণীর ধারণা করা যারা অন্যের পাপের প্রায়শ্চিত্ত করতে পারবে , [ এই ধারণা থেকেই যাজক শ্রেণীর উদ্ভব ] মানুষকে ব্যক্তিগত দায় দায়িত্ব থেকে মুক্ত করে। ফলে আল্লাহ্ যে ন্যায় বিচারের প্রতীক সে ধারণা এখানে অনুপস্থিত। সুতারাং এও এক ধরণের আল্লাহ্র নিন্দা বৈকি। এই মতবাদ মানুষের নৈতিক ও আধ্যাত্মিক শৃঙ্খলার মধ্যে বিপর্যয় সংগঠিত করে। কারণ শুধুমাত্র এক আল্লাহ্র নিকট আত্মসমর্পনের মাধ্যমেই আত্মার নৈতিক উন্নতি ঘটে। যেখানেই আল্লাহ্র সাথে অংশীদারিত্ব করা হয়, সেখানে আত্মার বিকাশের এই ধারাবাহিকতায় বিঘ্ন ঘটে। সুতারাং যীশু খৃষ্ট আল্লাহ্র পুত্র এই মতবাদকে কঠোর ভাষাতে নিন্দা জ্ঞাপন করা হয়েছে।
আয়াতঃ 019.088
তারা বলেঃ দয়াময় আল্লাহ সন্তান গ্রহণ করেছেন।
And they say: ”The Most Beneficent (Allâh) has begotten a son (or offspring or children) [as the Jews say: ’Uzair (Ezra) is the son of Allâh, and the Christians say that He has begotten a son [’Iesa (Christ) ], and the pagan Arabs say that He has begotten daughters (angels, etc.)].”
وَقَالُوا اتَّخَذَ الرَّحْمَنُ وَلَدًا
Waqaloo ittakhatha alrrahmanu waladan
YUSUFALI: They say: “(Allah) Most Gracious has begotten a son!”
PICKTHAL: And they say: The Beneficent hath taken unto Himself a son.
SHAKIR: And they say: The Beneficent Allah has taken (to Himself) a son.
KHALIFA: They said, “The Most Gracious has begotten a son”!
৮৭। পরম করুণাময় [আল্লাহ্র ] অনুমতি [ বা প্রতিশ্রুতি ] ব্যতীত, কারও সুপারিশ করার ক্ষমতা থাকবে না।
৮৮। তারা বলে, ” পরম করুণাময় [আল্লাহ্ ] পুত্র সন্তান গ্রহণ করেছেন !”
৮৯। অবশ্যই তোমরা এক বীভৎস বিষয়ের অবতারণা করেছ ২৫২৯;-
২৫২৯। খৃষ্টানেরা বলে যীশু খৃষ্ট আল্লাহ্র সন্তান। আল্লাহ্ সন্তান গ্রহণ করেন, একথা তারা প্রচার করে অনুমানের উপরে। এ কথা বিশ্বাস করা এক প্রচন্ড বীভৎস কথাকে বিশ্বাস করা। কারণ এ কথা এক প্রচন্ড ঈশ্বর নিন্দা। সন্তানের জন্মদান এক জৈবিক প্রক্রিয়া যা পশু প্রবৃত্তিরূপে পরিগণিত। আল্লাহ্র সন্তান গ্রহণের মাধ্যমে তাঁকে সেই পশু প্রবৃত্তির সমকক্ষ রূপে পরিগণিত করা হয়। আল্লাহ্র পবিত্রতা, মহত্ব , শ্রেষ্ঠত্ব এতে খর্ব করা হয়। এর সাথে খৃষ্টানেরা যাজক শ্রেণীর অবতারণা করেছে যারা আল্লাহ্ ও সাধারণ মানুষের মধ্যবর্তী হিসেবে কাজ করে। যারা বলে মানুষের পাপকে যীশুর রক্তের মাধ্যমে শোধ করা হয়। সেইরূপ যাজকেরা মানুষের পাপের জন্য আল্লাহ্র কাছে ক্ষমা প্রার্থী হবে। প্রত্যেকে প্রত্যেকের কর্মফলের জন্য দায়ী। এই বোধ আমাদের আল্লাহ্র ন্যায় বিচার সম্বন্ধে ধারণা দান করে। সুতারাং মানুষের পাপের ঋণ যীশু রক্তের মাধ্যমে শোধ করেন বা মধ্যবর্তী শ্রেণীর ধারণা করা যারা অন্যের পাপের প্রায়শ্চিত্ত করতে পারবে , [ এই ধারণা থেকেই যাজক শ্রেণীর উদ্ভব ] মানুষকে ব্যক্তিগত দায় দায়িত্ব থেকে মুক্ত করে। ফলে আল্লাহ্ যে ন্যায় বিচারের প্রতীক সে ধারণা এখানে অনুপস্থিত। সুতারাং এও এক ধরণের আল্লাহ্র নিন্দা বৈকি। এই মতবাদ মানুষের নৈতিক ও আধ্যাত্মিক শৃঙ্খলার মধ্যে বিপর্যয় সংগঠিত করে। কারণ শুধুমাত্র এক আল্লাহ্র নিকট আত্মসমর্পনের মাধ্যমেই আত্মার নৈতিক উন্নতি ঘটে। যেখানেই আল্লাহ্র সাথে অংশীদারিত্ব করা হয়, সেখানে আত্মার বিকাশের এই ধারাবাহিকতায় বিঘ্ন ঘটে। সুতারাং যীশু খৃষ্ট আল্লাহ্র পুত্র এই মতবাদকে কঠোর ভাষাতে নিন্দা জ্ঞাপন করা হয়েছে।
আয়াতঃ 019.089
নিশ্চয় তোমরা তো এক অদ্ভুত কান্ড করেছ।
Indeed you have brought forth (said) a terrible evil thing.
لَقَدْ جِئْتُمْ شَيْئًا إِدًّا
Laqad ji/tum shay-an iddan
YUSUFALI: Indeed ye have put forth a thing most monstrous!
PICKTHAL: Assuredly ye utter a disastrous thing
SHAKIR: Certainly you have made an abominable assertion
KHALIFA: You have uttered a gross blasphemy.
৮৭। পরম করুণাময় [আল্লাহ্র ] অনুমতি [ বা প্রতিশ্রুতি ] ব্যতীত, কারও সুপারিশ করার ক্ষমতা থাকবে না।
৮৮। তারা বলে, ” পরম করুণাময় [আল্লাহ্ ] পুত্র সন্তান গ্রহণ করেছেন !”
৮৯। অবশ্যই তোমরা এক বীভৎস বিষয়ের অবতারণা করেছ ২৫২৯;-
২৫২৯। খৃষ্টানেরা বলে যীশু খৃষ্ট আল্লাহ্র সন্তান। আল্লাহ্ সন্তান গ্রহণ করেন, একথা তারা প্রচার করে অনুমানের উপরে। এ কথা বিশ্বাস করা এক প্রচন্ড বীভৎস কথাকে বিশ্বাস করা। কারণ এ কথা এক প্রচন্ড ঈশ্বর নিন্দা। সন্তানের জন্মদান এক জৈবিক প্রক্রিয়া যা পশু প্রবৃত্তিরূপে পরিগণিত। আল্লাহ্র সন্তান গ্রহণের মাধ্যমে তাঁকে সেই পশু প্রবৃত্তির সমকক্ষ রূপে পরিগণিত করা হয়। আল্লাহ্র পবিত্রতা, মহত্ব , শ্রেষ্ঠত্ব এতে খর্ব করা হয়। এর সাথে খৃষ্টানেরা যাজক শ্রেণীর অবতারণা করেছে যারা আল্লাহ্ ও সাধারণ মানুষের মধ্যবর্তী হিসেবে কাজ করে। যারা বলে মানুষের পাপকে যীশুর রক্তের মাধ্যমে শোধ করা হয়। সেইরূপ যাজকেরা মানুষের পাপের জন্য আল্লাহ্র কাছে ক্ষমা প্রার্থী হবে। প্রত্যেকে প্রত্যেকের কর্মফলের জন্য দায়ী। এই বোধ আমাদের আল্লাহ্র ন্যায় বিচার সম্বন্ধে ধারণা দান করে। সুতারাং মানুষের পাপের ঋণ যীশু রক্তের মাধ্যমে শোধ করেন বা মধ্যবর্তী শ্রেণীর ধারণা করা যারা অন্যের পাপের প্রায়শ্চিত্ত করতে পারবে , [ এই ধারণা থেকেই যাজক শ্রেণীর উদ্ভব ] মানুষকে ব্যক্তিগত দায় দায়িত্ব থেকে মুক্ত করে। ফলে আল্লাহ্ যে ন্যায় বিচারের প্রতীক সে ধারণা এখানে অনুপস্থিত। সুতারাং এও এক ধরণের আল্লাহ্র নিন্দা বৈকি। এই মতবাদ মানুষের নৈতিক ও আধ্যাত্মিক শৃঙ্খলার মধ্যে বিপর্যয় সংগঠিত করে। কারণ শুধুমাত্র এক আল্লাহ্র নিকট আত্মসমর্পনের মাধ্যমেই আত্মার নৈতিক উন্নতি ঘটে। যেখানেই আল্লাহ্র সাথে অংশীদারিত্ব করা হয়, সেখানে আত্মার বিকাশের এই ধারাবাহিকতায় বিঘ্ন ঘটে। সুতারাং যীশু খৃষ্ট আল্লাহ্র পুত্র এই মতবাদকে কঠোর ভাষাতে নিন্দা জ্ঞাপন করা হয়েছে।
আয়াতঃ 019.090
হয় তো এর কারণেই এখনই নভোমন্ডল ফেটে পড়বে, পৃথিবী খন্ড-বিখন্ড হবে এবং পর্বতমালা চূর্ণ-বিচুর্ণ হবে।
Whereby the heavens are almost torn, and the earth is split asunder, and the mountains fall in ruins,
تَكَادُ السَّمَاوَاتُ يَتَفَطَّرْنَ مِنْهُ وَتَنشَقُّ الْأَرْضُ وَتَخِرُّ الْجِبَالُ هَدًّا
Takadu alssamawatu yatafattarna minhu watanshaqqu al-ardu watakhirru aljibalu haddan
YUSUFALI: At it the skies are ready to burst, the earth to split asunder, and the mountains to fall down in utter ruin,
PICKTHAL: Whereby almost the heavens are torn, and the earth is split asunder and the mountains fall in ruins,
SHAKIR: The heavens may almost be rent thereat, and the earth cleave asunder, and the mountains fall down in pieces,
KHALIFA: The heavens are about to shatter, the earth is about to tear asunder, and the mountains are about to crumble.
৯০। যার ফলে আকাশ বিদীর্ণ হতে পৃথিবী খন্ড বিখন্ড হতে এবং পবর্তমালা চূর্ণ-বিচূর্ণ হতে প্রস্তুত।
৯১। কারণ তারা পরম করুণাময় [আল্লাহ্র ] নামে পুত্র-সন্তানের [ অপবাদ ] দেয়।
৯২। অথচ ইহা পরম করুণাময় [আল্লাহ্র ] মর্যদার সাথে সামঞ্জস্য পূর্ণ নয়, যে তিনি পুত্র গ্রহণ করবেন ২৫৩০।
২৫৩০। “সন্তান গ্রহণ করা দয়াময়ের মর্যাদার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়” এই মূল নীতি পূর্বেও বর্ণনা করা হয়েছে আয়াতে [ ১৯ : ৩৫ ] বিভিন্ন নবীর ব্যক্তিগত জীবনীর মাধ্যমে এই সত্যকে তুলে ধরা হয়েছে , এবং আরও গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে যে, যীশু ছিলেন একজন মর্তের মানব যে একান্ত অনুগতভাবে আল্লাহ্র সেবা করতেন। এ ভাবেই যুগে যুগে বহু জাতি নিজেদের কুসংস্কার দ্বারা আল্লাহ্র অবমাননা করে থাকে যার ফলে তাদের ধ্বংস অবধারিত হয়ে দাঁড়ায়।
আয়াতঃ 019.091
এ কারণে যে, তারা দয়াময় আল্লাহর জন্যে সন্তান আহবান করে।
That they ascribe a son (or offspring or children) to the Most Beneficent (Allâh).
أَن دَعَوْا لِلرَّحْمَنِ وَلَدًا
An daAAaw lilrrahmani waladan
YUSUFALI: That they should invoke a son for (Allah) Most Gracious.
PICKTHAL: That ye ascribe unto the Beneficent a son,
SHAKIR: That they ascribe a son to the Beneficent Allah.
KHALIFA: Because they claim that the Most Gracious has begotten a son.
৯০। যার ফলে আকাশ বিদীর্ণ হতে পৃথিবী খন্ড বিখন্ড হতে এবং পবর্তমালা চূর্ণ-বিচূর্ণ হতে প্রস্তুত।
৯১। কারণ তারা পরম করুণাময় [আল্লাহ্র ] নামে পুত্র-সন্তানের [ অপবাদ ] দেয়।
৯২। অথচ ইহা পরম করুণাময় [আল্লাহ্র ] মর্যদার সাথে সামঞ্জস্য পূর্ণ নয়, যে তিনি পুত্র গ্রহণ করবেন ২৫৩০।
২৫৩০। “সন্তান গ্রহণ করা দয়াময়ের মর্যাদার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়” এই মূল নীতি পূর্বেও বর্ণনা করা হয়েছে আয়াতে [ ১৯ : ৩৫ ] বিভিন্ন নবীর ব্যক্তিগত জীবনীর মাধ্যমে এই সত্যকে তুলে ধরা হয়েছে , এবং আরও গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে যে, যীশু ছিলেন একজন মর্তের মানব যে একান্ত অনুগতভাবে আল্লাহ্র সেবা করতেন। এ ভাবেই যুগে যুগে বহু জাতি নিজেদের কুসংস্কার দ্বারা আল্লাহ্র অবমাননা করে থাকে যার ফলে তাদের ধ্বংস অবধারিত হয়ে দাঁড়ায়।
আয়াতঃ 019.092
অথচ সন্তান গ্রহণ করা দয়াময়ের জন্য শোভনীয় নয়।
But it is not suitable for (the Majesty of) the Most Beneficent (Allâh) that He should beget a son (or offspring or children).
وَمَا يَنبَغِي لِلرَّحْمَنِ أَن يَتَّخِذَ وَلَدًا
Wama yanbaghee lilrrahmani an yattakhitha waladan
YUSUFALI: For it is not consonant with the majesty of (Allah) Most Gracious that He should beget a son.
PICKTHAL: When it is not meet for (the Majesty of) the Beneficent that He should choose a son.
SHAKIR: And it is not worthy of the Beneficent Allah that He should take (to Himself) a son.
KHALIFA: It is not befitting the Most Gracious that He should beget a son.
৯০। যার ফলে আকাশ বিদীর্ণ হতে পৃথিবী খন্ড বিখন্ড হতে এবং পবর্তমালা চূর্ণ-বিচূর্ণ হতে প্রস্তুত।
৯১। কারণ তারা পরম করুণাময় [আল্লাহ্র ] নামে পুত্র-সন্তানের [ অপবাদ ] দেয়।
৯২। অথচ ইহা পরম করুণাময় [আল্লাহ্র ] মর্যদার সাথে সামঞ্জস্য পূর্ণ নয়, যে তিনি পুত্র গ্রহণ করবেন ২৫৩০।
২৫৩০। “সন্তান গ্রহণ করা দয়াময়ের মর্যাদার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়” এই মূল নীতি পূর্বেও বর্ণনা করা হয়েছে আয়াতে [ ১৯ : ৩৫ ] বিভিন্ন নবীর ব্যক্তিগত জীবনীর মাধ্যমে এই সত্যকে তুলে ধরা হয়েছে , এবং আরও গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে যে, যীশু ছিলেন একজন মর্তের মানব যে একান্ত অনুগতভাবে আল্লাহ্র সেবা করতেন। এ ভাবেই যুগে যুগে বহু জাতি নিজেদের কুসংস্কার দ্বারা আল্লাহ্র অবমাননা করে থাকে যার ফলে তাদের ধ্বংস অবধারিত হয়ে দাঁড়ায়।
আয়াতঃ 019.093
নভোমন্ডল ও ভূ-মন্ডলে কেউ নেই যে, দয়াময় আল্লাহর কাছে দাস হয়ে উপস্থিত হবে না।
There is none in the heavens and the earth but comes unto the Most Beneficent (Allâh) as a slave.
إِن كُلُّ مَن فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ إِلَّا آتِي الرَّحْمَنِ عَبْدًا (93
In kullu man fee alssamawati waal-ardi illa atee alrrahmani AAabdan
YUSUFALI: Not one of the beings in the heavens and the earth but must come to (Allah) Most Gracious as a servant.
PICKTHAL: There is none in the heavens and the earth but cometh unto the Beneficent as a slave.
SHAKIR: There is no one in the heavens and the earth but will come to the Beneficent Allah as a servant.
KHALIFA: Every single one in the heavens and the earth is a servant of the Most Gracious.
৯৩। আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীতে এমন কেহ নাই যে, পরম করুণাময়ের নিকট [ তাঁর ] বান্দারূপে উপস্থিত হবে না।
৯৪। তিনি তাদের [ সকলের ] হিসাব নেন এবং [ সকলের ] সঠিক সংখ্যা গণনা করেন ২৫৩১।
২৫৩১। আল্লাহ্র কোনও সন্তান নাই, কোনও প্রিয়পাত্র নাই অথবা কোনও পরাশ্রয়ীও নাই। আল্লাহ্র নিকট তার সৃষ্ট জীব সকলেই সমান। তাঁর সৃষ্টির সকলকেই তিনি ভালোবাসেন ও সস্নেহে লালন পালন করেন। তিনি পরম করুণাময় ও দয়াময়। শেষ বিচারের দিনে প্রত্যেককে নিজস্ব দায় দায়িত্বের ভিত্তিতে তাঁর সিংহাসনের সামনে ন্যায় বিচারের জন্য দাঁড়াতে হবে। তিনি প্রত্যেককে বিশেষভাবে গণনা করেন।
আয়াতঃ 019.094
তাঁর কাছে তাদের পরিসংখ্যান রয়েছে এবং তিনি তাদেরকে গণনা করে রেখেছেন।
Verily, He knows each one of them, and has counted them a full counting.
لَقَدْ أَحْصَاهُمْ وَعَدَّهُمْ عَدًّا (94
Laqad ahsahum waAAaddahum AAaddan
YUSUFALI: He does take an account of them (all), and hath numbered them (all) exactly.
PICKTHAL: Verily He knoweth them and numbereth them with (right) numbering.
SHAKIR: Certainly He has a comprehensive knowledge of them and He has numbered them a (comprehensive) numbering.
KHALIFA: He has encompassed them, and has counted them one by one.
৯৩। আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীতে এমন কেহ নাই যে, পরম করুণাময়ের নিকট [ তাঁর ] বান্দারূপে উপস্থিত হবে না।
৯৪। তিনি তাদের [ সকলের ] হিসাব নেন এবং [ সকলের ] সঠিক সংখ্যা গণনা করেন ২৫৩১।
২৫৩১। আল্লাহ্র কোনও সন্তান নাই, কোনও প্রিয়পাত্র নাই অথবা কোনও পরাশ্রয়ীও নাই। আল্লাহ্র নিকট তার সৃষ্ট জীব সকলেই সমান। তাঁর সৃষ্টির সকলকেই তিনি ভালোবাসেন ও সস্নেহে লালন পালন করেন। তিনি পরম করুণাময় ও দয়াময়। শেষ বিচারের দিনে প্রত্যেককে নিজস্ব দায় দায়িত্বের ভিত্তিতে তাঁর সিংহাসনের সামনে ন্যায় বিচারের জন্য দাঁড়াতে হবে। তিনি প্রত্যেককে বিশেষভাবে গণনা করেন।
আয়াতঃ 019.095
কেয়ামতের দিন তাদের সবাই তাঁর কাছে একাকী অবস্থায় আসবে।
And everyone of them will come to Him alone on the Day of Resurrection (without any helper, or protector or defender).
وَكُلُّهُمْ آتِيهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فَرْدًا
Wakulluhum ateehi yawma alqiyamati fardan
YUSUFALI: And everyone of them will come to Him singly on the Day of Judgment.
PICKTHAL: And each one of them will come unto Him on the Day of Resurrection, alone.
SHAKIR: And every one of them will come to Him on the day of resurrection alone.
KHALIFA: All of them will come before Him on the Day of Resurrection as individuals.
৯৫। শেষ বিচারের দিনে তাদের প্রত্যেককে আল্লাহ্র নিকট একা একা উপস্থিত করা হবে।
৯৬। যারা ঈমান এনেছে এবং সৎ কাজ করে, পরম করুণাময় [আল্লাহ্ ] তাদের জন্য ভালোবাসা দান করবেন ২৫৩২।
২৫৩২। ” যাহারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে ” তাঁদের অন্তরে আল্লাহ্র জন্য ভালোবাসার সৃষ্টি হয় এবং আল্লাহ্ও তাঁদের ভালোবাসেন। সে ক্ষেত্রে সৃষ্টির সকলেই তাঁকে ভালোবাসে। পৃথিবীতে এবং পরকালে , সে আল্লাহ্ এবং তাঁর সঙ্গী সাথীদের ভালোবাসা লাভ করবে। তাঁর জীবন হবে শান্তিময়। ভালোবাসা মানুষকে সৎকাজে উদ্বুদ্ধ করে এবং সৎকাজ আত্মাকে শান্তিতে ভরিয়ে দেয়। পূণ্য বা ব্যক্তিগত গুণাবলী আত্মার মাঝে শান্তি আনায়ন করে অপর পক্ষে পাপ আত্মার মাঝে ঘৃণার সৃষ্টি করে পরিণামে বিবাদ বিসংবাদের সৃষ্টি হয়।
আয়াতঃ 019.096
যারা বিশ্বাস স্থাপন করে এবং সৎকর্ম সম্পাদন করে, তাদেরকে দয়াময় আল্লাহ ভালবাসা দেবেন।
Verily, those who believe [in the Oneness of Allâh and in His Messenger (Muhammad SAW)] and work deeds of righteousness, the Most Beneficent (Allâh) will bestow love for them (in the hearts of the believers).
إِنَّ الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ سَيَجْعَلُ لَهُمُ الرَّحْمَنُ وُدًّا
Inna allatheena amanoo waAAamiloo alssalihati sayajAAalu lahumu alrrahmanu wuddan
YUSUFALI: On those who believe and work deeds of righteousness, will (Allah) Most Gracious bestow love.
PICKTHAL: Lo! those who believe and do good works, the Beneficent will appoint for them love.
SHAKIR: Surely (as for) those who believe and do good deeds for t them will Allah bring about love.
KHALIFA: Surely, those who believe and lead a righteous life, the Most Gracious will shower them with love.
৯৫। শেষ বিচারের দিনে তাদের প্রত্যেককে আল্লাহ্র নিকট একা একা উপস্থিত করা হবে।
৯৬। যারা ঈমান এনেছে এবং সৎ কাজ করে, পরম করুণাময় [আল্লাহ্ ] তাদের জন্য ভালোবাসা দান করবেন ২৫৩২।
২৫৩২। ” যাহারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে ” তাঁদের অন্তরে আল্লাহ্র জন্য ভালোবাসার সৃষ্টি হয় এবং আল্লাহ্ও তাঁদের ভালোবাসেন। সে ক্ষেত্রে সৃষ্টির সকলেই তাঁকে ভালোবাসে। পৃথিবীতে এবং পরকালে , সে আল্লাহ্ এবং তাঁর সঙ্গী সাথীদের ভালোবাসা লাভ করবে। তাঁর জীবন হবে শান্তিময়। ভালোবাসা মানুষকে সৎকাজে উদ্বুদ্ধ করে এবং সৎকাজ আত্মাকে শান্তিতে ভরিয়ে দেয়। পূণ্য বা ব্যক্তিগত গুণাবলী আত্মার মাঝে শান্তি আনায়ন করে অপর পক্ষে পাপ আত্মার মাঝে ঘৃণার সৃষ্টি করে পরিণামে বিবাদ বিসংবাদের সৃষ্টি হয়।
আয়াতঃ 019.097
আমি কোরআনকে আপনার ভাষায় সহজ করে দিয়েছি, যাতে আপনি এর দ্বারা পরহেযগারদেরকে সুসংবাদ দেন এবং কলহকারী সম্প্রদায়কে সতর্ক করেন।
So We have made this (the Qur’ân) easy in your own tongue (O Muhammad SAW), only that you may give glad tidings to the Muttaqûn (pious and righteous persons – See V.2:2), and warn with it the Ludda (most quarrelsome) people.
فَإِنَّمَا يَسَّرْنَاهُ بِلِسَانِكَ لِتُبَشِّرَ بِهِ الْمُتَّقِينَ وَتُنذِرَ بِهِ قَوْمًا لُّدًّا
Fa-innama yassarnahu bilisanika litubashshira bihi almuttaqeena watunthira bihi qawman luddan
YUSUFALI: So have We made the (Qur’an) easy in thine own tongue, that with it thou mayest give Glad Tidings to the righteous, and warnings to people given to contention.
PICKTHAL: And We make (this Scripture) easy in thy tongue, (O Muhammad) only that thou mayst bear good tidings therewith unto those who ward off (evil), and warn therewith the froward folk.
SHAKIR: So We have only made it easy in your tongue that you may give good news thereby to those who guard (against evil) and warn thereby a vehemently contentious people.
KHALIFA: We thus made this (Quran) elucidated in your tongue, in order to deliver good news to the righteous, and to warn with it the opponents.
৯৭। আমি তো তোমার ভাষায় [ কুর-আনকে ] সহজ করেছি যেনো এর সাহায্যে তুমি পূণ্যাত্মাদের সুসংবাদ দিতে পার এবং যারা বির্তক প্রিয় তাদের সর্তক করতে পার।
৯৮। তাদের পূর্বে কত [ অসংখ্য ] মানব গোষ্ঠিকে আমি বিনাশ করেছি ২৫৩৩। [ বর্তমানে ] তুমি তাদের একজনকেও দেখতে পাবে না অথবা [ এমনকি ] তাদের ফিসফিসানি কথাও শুনবে না।
২৫৩৩। আয়াত [ ১৯ : ৭৪ ] থেকে ধারাবাহিকভাবে যা বর্ণনা করা হয়েছে, এই আয়াতে তারই স্মৃতিচারণ করা হয়েছে। পাপের পথে অগ্রযাত্রা , ভালোদের জন্য আল্লাহ্র পথ নির্দ্দেশ , আল্লাহ্র নিন্দার ভয়াবহ পরিণাম , পাপীদের জন্য অব্যহতি দান এবং শেষ পরিণতি হিসেবে যখন ব্যক্তিগত কাজের দায় দায়িত্ব নিয়ে স্রষ্টার সামনে ন্যায় বিচারের জন্য উপণীত হতে হবে। এ সকল ভাবকেই এই আয়াতের মাধ্যমে প্রকাশ করে সূরাটিকে শেষ করা হয়েছে।
আয়াতঃ 019.098
তাদের পূর্বে আমি কত মানবগোষ্ঠীকে ধ্বংস করেছি। আপনি কি তাদের কাহারও সাড়া পান, অথবা তাদের ক্ষীনতম আওয়ায ও শুনতে পান?
And how many a generation before them have We destroyed! Can you (O Muhammad SAW) find a single one of them or hear even a whisper of them?
وَكَمْ أَهْلَكْنَا قَبْلَهُم مِّن قَرْنٍ هَلْ تُحِسُّ مِنْهُم مِّنْ أَحَدٍ أَوْ تَسْمَعُ لَهُمْ رِكْزًا
Wakam ahlakna qablahum min qarnin hal tuhissu minhum min ahadin aw tasmaAAu lahum rikzan
YUSUFALI: But how many (countless) generations before them have We destroyed? Canst thou find a single one of them (now) or hear (so much as) a whisper of them?
PICKTHAL: And how many a generation before them have We destroyed! Canst thou (Muhammad) see a single man of them, or hear from them the slightest sound?
SHAKIR: And how many a generation have We destroyed before them! Do you see any one of them or hear a sound of them?
KHALIFA: Many a generation before them we annihilated; can you perceive any of them, or hear from them any sound?
৯৭। আমি তো তোমার ভাষায় [ কুর-আনকে ] সহজ করেছি যেনো এর সাহায্যে তুমি পূণ্যাত্মাদের সুসংবাদ দিতে পার এবং যারা বির্তক প্রিয় তাদের সর্তক করতে পার।
৯৮। তাদের পূর্বে কত [ অসংখ্য ] মানব গোষ্ঠিকে আমি বিনাশ করেছি ২৫৩৩। [ বর্তমানে ] তুমি তাদের একজনকেও দেখতে পাবে না অথবা [ এমনকি ] তাদের ফিসফিসানি কথাও শুনবে না।
২৫৩৩। আয়াত [ ১৯ : ৭৪ ] থেকে ধারাবাহিকভাবে যা বর্ণনা করা হয়েছে, এই আয়াতে তারই স্মৃতিচারণ করা হয়েছে। পাপের পথে অগ্রযাত্রা , ভালোদের জন্য আল্লাহ্র পথ নির্দ্দেশ , আল্লাহ্র নিন্দার ভয়াবহ পরিণাম , পাপীদের জন্য অব্যহতি দান এবং শেষ পরিণতি হিসেবে যখন ব্যক্তিগত কাজের দায় দায়িত্ব নিয়ে স্রষ্টার সামনে ন্যায় বিচারের জন্য উপণীত হতে হবে। এ সকল ভাবকেই এই আয়াতের মাধ্যমে প্রকাশ করে সূরাটিকে শেষ করা হয়েছে।