৪৮। কত জনপদকে আমি অবকাশ দিয়েছি ২৮২৭, যারা পাপে লিপ্ত ছিলো, শেষ পর্যন্ত আমি তাদের শাস্তি দান করেছিলাম। [ সকলেরই ] শেষ গন্তব্যস্থল আমারই নিকট।
২৮২৭। এই আয়াতটির সূচনা করা হয়েছে আয়াতে [ ২২ : ৪৫ ] । এই আয়াতে তা শেষ করা হয়েছে।
আয়াতঃ 022.048
এবং আমি কত জনপদকে অবকাশ দিয়েছি এমতাবস্থায় যে, তারা গোনাহগার ছিল। এরপর তাদেরকে পাকড়াও করেছি এবং আমার কাছেই প্রত্যাবর্তন করতে হবে।
And many a township did I give respite while it was given to wrong-doing. Then (in the end) I seized it (with punishment). And to Me is the (final) return (of all).
وَكَأَيِّن مِّن قَرْيَةٍ أَمْلَيْتُ لَهَا وَهِيَ ظَالِمَةٌ ثُمَّ أَخَذْتُهَا وَإِلَيَّ الْمَصِيرُ
Wakaayyin min qaryatin amlaytu laha wahiya thalimatun thumma akhathtuha wa-ilayya almaseeru
YUSUFALI: And to how many populations did I give respite, which were given to wrong-doing? in the end I punished them. To me is the destination (of all).
PICKTHAL: And how many a township did I suffer long though it was sinful! Then I grasped it. Unto Me is the return.
SHAKIR: And how many a town to which I gave respite while it was unjust, then I overtook it, and to Me is the return.
KHALIFA: Many a community in the past committed evil, and I led them on for awhile, then I punished them. To Me is the ultimate destiny.
রুকু – ৭
৪৯। বল, ” হে মানুষ! আমাকে তো প্রেরণ করা হয়েছে একজন স্পষ্ট সতর্ককারী রূপে ২৮২৮।
২৮২৮। আল্লাহ্র নবীর একমাত্র দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে তাঁর প্রতি আল্লাহ্র দেয়া কর্তব্য সঠিক ভাবে এবং সুস্পষ্টভাবে পৌঁছে দেয়া। কেউ যদি তাঁর প্রচারিত সর্তকবাণী গ্রহণ না করে , তবে তাকে তা গ্রহণ করতে বাধ্য করা , বা তার বিচার করা বা তার জন্য শাস্তি নির্ধারণ করার দায়িত্ব নবীর জন্য নয়। অবাধ্য ও অবিশ্বাসীদের শেষ পরিণতির ভার একমাত্র আল্লাহ্র উপরে। অবাধ্য ও পাপীদের জন্য যে সর্তকবাণী তা কিন্তু শাস্তিদানের ভীতি দ্বারাই শেষ করা হয় নাই , তা আল্লাহ্র করুণার সংবাদও বহন করে ,তাদের জন্য , যারা পাপ করার পরেও অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহ্র রাস্তায় ফিরে আসে।
আয়াতঃ 022.049
বলুনঃ হে লোক সকল! আমি তো তোমাদের জন্যে স্পষ্ট ভাষায় সতর্ককারী।
Say (O Muhammad SAW): ”O mankind! I am (sent) to you only as a plain warner.”
قُلْ يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّمَا أَنَا لَكُمْ نَذِيرٌ مُّبِينٌ
Qul ya ayyuha alnnasu innama ana lakum natheerun mubeenun
YUSUFALI: Say: “O men! I am (sent) to you only to give a Clear Warning:
PICKTHAL: Say: O mankind! I am only a plain warner unto you.
SHAKIR: Say: O people! I am only a plain warner to you.
KHALIFA: Say, “O people, I have been sent to you as a profound warner.”
রুকু – ৭
৪৯। বল, ” হে মানুষ! আমাকে তো প্রেরণ করা হয়েছে একজন স্পষ্ট সতর্ককারী রূপে ২৮২৮।
২৮২৮। আল্লাহ্র নবীর একমাত্র দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে তাঁর প্রতি আল্লাহ্র দেয়া কর্তব্য সঠিক ভাবে এবং সুস্পষ্টভাবে পৌঁছে দেয়া। কেউ যদি তাঁর প্রচারিত সর্তকবাণী গ্রহণ না করে , তবে তাকে তা গ্রহণ করতে বাধ্য করা , বা তার বিচার করা বা তার জন্য শাস্তি নির্ধারণ করার দায়িত্ব নবীর জন্য নয়। অবাধ্য ও অবিশ্বাসীদের শেষ পরিণতির ভার একমাত্র আল্লাহ্র উপরে। অবাধ্য ও পাপীদের জন্য যে সর্তকবাণী তা কিন্তু শাস্তিদানের ভীতি দ্বারাই শেষ করা হয় নাই , তা আল্লাহ্র করুণার সংবাদও বহন করে ,তাদের জন্য , যারা পাপ করার পরেও অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহ্র রাস্তায় ফিরে আসে।
আয়াতঃ 022.050
সুতরাং যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছে এবং সৎকর্ম করেছে, তাদের জন্যে আছে পাপ মার্জনা এবং সম্মানজনক রুযী।
So those who believe (in the Oneness of Allâh Islâmic Monotheism) and do righteous good deeds, for them is forgiveness and Rizqûn Karîm (generous provision, i.e. Paradise).
فَالَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ لَهُم مَّغْفِرَةٌ وَرِزْقٌ كَرِيمٌ
Faallatheena amanoo waAAamiloo alssalihati lahum maghfiratun warizqun kareemun
YUSUFALI: “Those who believe and work righteousness, for them is forgiveness and a sustenance most generous.
PICKTHAL: Those who believe and do good works, for them is pardon and a rich provision;
SHAKIR: Then (as for) those who believe and do good, they shall have forgiveness and an honorable sustenance.
KHALIFA: Those who believe and lead a righteous life have deserved forgiveness and a generous recompense.
৫০। যারা ঈমান আনে ও সৎকাজ করে, তাদের জন্য আছে ক্ষমা ও সম্মানজনক জীবিকা ২৮২৯।
২৮২৯। এই আয়াতে ‘জীবিকা’ কথাটি সঙ্কীণার্থে ব্যবহৃত হয় নাই। এর প্রয়োগ এখানে ব্যপকার্থে। জাগতিক ও আধ্যাত্মিক উভয় ধরণের জীবনোপকরণকে এখানে বোঝানো হয়েছে। পার্থিব জীবনোপকরণ প্রয়োজন এই নশ্বর দেহ ধারণের জন্য। কিন্তু মানুষই একমাত্র প্রাণী যার দেহের বাইরেও আর এক অস্তিত্ব বর্তমান। একমাত্র মানুষই অমর আত্মার অধিকারী। দেহের সুস্থতা ও পরিবর্দ্ধনের জন্য প্রয়োজন জাগতিক জীবনোপকরণ। আত্মার সুস্থতার ও সমৃদ্ধির জন্য প্রয়োজন ঐশ্বরিক জীবনোপকরণ। “সম্মানজনক জীবিকা ” দ্বারা এই দুধরণের জীবনোপকরণ বোঝানো হয়েছে। যারা ঈমান আনে ও সৎ কর্ম করে , অর্থাৎ যারা মুত্তাকী তাদের জন্য আল্লাহ্র সুসংবাদের অঙ্গীকার – যা হবে তাদের সৎ কর্মের বহুগুণ বেশী।