১৪. Scrafton, Reflections, p. 130.
১৫. বেলচিয়ারকে ক্লাইভের চিঠি, Hill, III, p. 361; স্ক্র্যাফ্টন কিন্তু ওই ভূখণ্ডের রাজস্বের পরিমাণ বছরে ৮ লক্ষ টাকা বলে অনুমান করেছিলেন, Scrafton, Reflections, p. 130.
১৬. Brijen K. Gupta, Sirajuddaullah, p. 127.
১৭. ঐ,পৃ. ১২৭-২৮।
১৮. N. K. Sinha, Economic History of Bengal, vol. 1, p. 236-এ উদ্ধৃত।
১৯. Holden Furber, John Company, p. 310, OF 471C Fiep (drain in goods) বলেছেন।
২০. Irfan Habib, ‘The Eighteenth Century in Indian Economic History’, p. 111.
২১. N. K. Sinha, Economic History of Bengal, vol. 1, p. 221-22.
২২. S. Chaudhury, From Prosperity to Decline, Chaps. 5,7,8
২৩. বারওয়েল, তাঁর পিতাকে, N. K. Sinha, Economic History of Bengal, vol. 1, P, 223-26 0961.
২৪. Brijen K. Gupta, Sirajuddaullah, pp. 129-30.
২৫. লন্ডনে কোম্পানির পরিচালকদের লেখা ফোর্ট উইলিয়াম কাউন্সিলের চিঠি, Fort William-India House Correspondence, vol. 5, quoted in N. K. Sinha, Economic History of Bengal, vol. 1, p. 230.
২৬. ঐ।
২৭. S. Chaudhury, From Prosperity to Decline, pp. 42-43.
২৮. H. Vereist, English Government in Bengal, pp. 85-86.
২৯. Brijen K. Gupta, Sirajuddaullah, pp. 130-31.
৩০. P. J. Marshall, Bengal, p. 165.
৩১. A. K. Bagchi, Political Economy, p. 81; K. N. Chaudhuri, ‘India’s International Economy in the Nineteenth Century’, MAS, II (1968), p. 47, both quoted in Marshall, Bengal, p. 165.
৩২. P. J. Marshall, Bengal, pp. 165-66.
৩৩. ঐ, পৃ. ১৬৬-৬৭।
৩৪. Irfan Habib, ‘Studying a Colonial Economy’, MAS, 19, 3 (1985), pp. 357-58.
৩৫. James Grant in Fifth Report, ed., Firminger, vol. II., p. 276 and John Shore in Ibid, pp. 27-28.
৩৬. Steuart cited is S. Bhattacharyya in Cambridge Economic History of India, vol. II, p. 289.
৩৭. S. Chaudhury, From Prosperity to Decline, pp. 202-11, 249-58.
৩৮. ঐ, অধ্যায় ৫,৭ ও ৮।
৩৯. Mss. Eur. D. 283, ff. 37-38.
৪০. W. K. Firminger, Historical Introduction to the Fifth Report, p. 183.
৪১. উদাহরণস্বরুপ, H. Verelst to Court of Directors, 2 April 1769, BPC., vol. 44, f. 434. para 6.
৪২. William Bolts, Considerations, p. 200.
৪৩. Alexander Dow, Hindostan, vol. III, lxxxii.
৪৪. Holden Furber, John Company, pp. 310-12.
৪৫. P. J. Marshall, Bengal, p. 79; Rajat Kanta Ray, ‘Colonial Penetration’, p. 15. মার্শাল অবশ্য তাঁর বক্তব্যে একটা নতুন পরিস্থিতি সৃষ্টির কথা বলেছেন। সেটা হচ্ছে পরিবর্তিত অবস্থায় নতুন সংযোজন শুধু বাংলায় ক্লাইভের ফৌজের উপস্থিতি। এ-কথা অবশ্য পরে কুমকুম চট্টোপাধ্যায়ও বলেছেন, যদিও সবাই জোর দিয়েছেন যে-বক্তব্যে তা হল পলাশির পর চুক্তিতে গুরুত্বপূর্ণ কোনও নতুন শর্ত যোগ করা হয়নি।
৪৬. মীরজাফরের সঙ্গে ইংরেজদের চুক্তির শর্তাবলীর জন্য, Hill, II, pp. 56-57, 373-74, 442
৪৭. লন্ডনের সিক্রেট কমিটিকে ক্লাইভের চিঠি, ২৬ জুলাই ১৭৫৭, Hill, II. p. 461.
৪৮. P. J. Marshall, Bengal, p. 81.
.
উপসংহার
পূর্ববর্তী অধ্যায়গুলিতে যে-সব গুরুত্বপূর্ণ তথ্যপ্রমাণ ও বিচারবিশ্লেষণের সমাবেশ করা হয়েছে তা থেকে যুক্তিসঙ্গতভাবে সিদ্ধান্ত করা যায় যে, ইংরেজদের বাংলা বিজয় কোনওক্রমেই ‘আকস্মিক’ বা ‘অনিচ্ছাকৃত’ ঘটনা নয়। পলাশির বিপ্লব বাংলার অভ্যন্তরীণ কোনও রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিক সংকটের ফলও নয়। এটাকে ক্ষমতাসীন শাসকগোষ্ঠীর সঙ্গে নবাবের বিরোধের ফলে উদ্ভূত ঘটনাও বলা যায় না। অনুরূপভাবে, পলাশি সম্বন্ধে ‘কোলাবোরেশন’ থিসিসও অচল—যাতে বলা হয়, ইউরোপীয় কোম্পানিগুলির সঙ্গে (বিশেষ করে ইংরেজদের সঙ্গে) বাংলার ব্যবসায়ী-ব্যাঙ্কার শ্রেণীর স্বার্থ এমনই ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে পড়েছিল যে তারা, নবাব বাংলা থেকে ইংরেজদের বিতাড়িত করবেন, এটা কোনওমতেই সহ্য করতে পারেনি এবং সেজন্যই নবাবকে তাড়াতে তারা ইংরেজদের সঙ্গে হাত মেলায়। আসলে কোম্পানির কর্মচারীদের ব্যক্তিগত ব্যবসা-বাণিজ্যের স্বার্থেই ইংরেজদের বাংলা বিজয় অপরিহার্য হয়ে পড়েছিল। এইসব কর্মচারীদের প্রধান লক্ষ্য ছিল তাদের ব্যক্তিগত ব্যবসা-বাণিজ্যের মাধ্যমে স্বল্প সময়ে প্রভূত ধনোপার্জন করা এবং তা নিয়ে দেশে ফিরে গিয়ে তোফা আরামে ও স্বাচ্ছন্দ্যে বাকি জীবন অতিবাহিত করা। কিন্ত মধ্য-অষ্টাদশ শতকে এই ব্যক্তিগত বাণিজ্য চরম সংকটের সম্মুখীন হয় এবং ফলে এই বাণিজ্যের পরিমাণ অনেক কমে যায়। আর এই ব্যক্তিগত বাণিজ্য পুনরুদ্ধার করার জন্যই কোম্পানির কর্মচারীরা সাব-ইম্পিরিয়ালিজম (sub-imperialism) বা স্বায়ত্ত-সাম্রাজ্যবাদের আশ্রয় নেয়। অর্থাৎ তারা নিজেদের কার্য ও স্বার্থসিদ্ধির জন্য বাংলায় কোম্পানির আর্থিক ও সামরিক শক্তিকে কাজে লাগায় এবং তার ফলেই ইংরেজদের বাংলা বিজয় সম্ভব হয়।