৫৩. করম আলি, মুজাফ্ফরনামা, পৃ. ৯৮.
৫৪. রিয়াজ, পৃ. ৩৭৪; তারিখ-ই-বাংগালা-ই-মহবৎজঞ্জী, পৃ.১৩২; মুজাফ্ফরনামা, পৃ. ৭৪-৭৫; ওয়াটসকে ক্লাইভ, ৬ জুন ১৭৫৭, Hill, II, p. 400; ক্লাইভকে ওয়াটস, ৮ জুন ১৭৫৭, Hill, II, p. 401; ৯ জুন ১৭৫৭, Hill, II, p. 403; ১১ জুন ১৭৫৭, Hill, II, p. 403; Scrafton, Reflections, p p. 89,91-92.
৫৫. মুজাফ্ফরনামা, পৃ. ৭৪.
৫৬. ঐ, পৃ. ৭৪-৭৫.
৫৭. Scrafton, Reflections, pp. 91-92.
৫৮. Law’s Memoir, Hill, III, pp. 211-12.
৫৯. ঐ, পৃ. ১৯৪।
৬০. তারিখ-ই বাংগালা-ই-মহবৎজঙ্গী, পৃ. ১৩২।
৬১. Law’s Memoir, Hill, III p. 190. করম আলি এবং ইউসুফ আলি দু’জনই জানিয়েছেন যে, মোহনলাল মারাত্মক এক দুরারোগ্য রোগে সাংঘাতিক অসুস্থ, মুজাফ্ফরনামা, পৃ. ৭০; তারিখ-ই-বাংগালা-ই-মহবৎজঙ্গী, পৃ. ১২৯।
৬২. ক্লাইভকে সিরাজদৌল্লা, ১৫ জুন ১৭৫৭, Hill, II, p. 411.
৬৩. ওমর বেগকে মীরজাফরের চিঠি, ১৯ জুন ১৭৫৭, Hill, II, p. 416; মুজাফ্ফরনামা, পৃ. ৭৫।
৬৪. হুগলিতে ডাচ ডাইরেক্টর ও কাউন্সিলকে লেখা ভেরনেটের চিঠি, ২৪ জুন ১৭৫৭, Hill, II, p. 426; Scrafton, Reflections, p. 92; সিলেক্ট কমিটিকে ক্লাইভ, ২৪ জুন ১৭৫৭, Hill, II, p. 427, 436. ক্লাইভ ফোর্ট সেন্ট জর্জের সিলেক্ট কমিটিকে, ২ জুলাই ১৭৫৭, Hill, II, p, 440; সিক্রেট কমিটিকে ক্লাইভ, ২৬ জুলাই ১৭৫৭, Hill, II, p. 457; তাঁর পিতাকে ক্লাইভ, ১৯ আগস্ট ১৭৫৭, Hill, III, p. 360; আয়ার কুটের জার্নাল, Hill, III, p. 56; Watts’ Memoirs, p. 109, ইউসুফ আলি (পৃ. ১৩২) বলছেন পদাতিক ও অশ্বারোহী মিলে নবাবের সৈন্যসংখ্যা ছিল ১০,০০০।
৬৫. সিয়র, ২য় খণ্ড, পৃ. ২৩০; ফোর্ট সেন্ট জর্জের সিলেক্ট কমিটিকে ক্লাইভ, ২ জুলাই ১৭৫৭, Hill, II, p. 440; ক্লাইভ তাঁর পিতাকে, ১৯ আগস্ট ১৭৫৭, Hill, III, p. 360; Scrafton, Reflections, p. 92; Watts’ Memoirs, p. 109.
৬৬. সিয়র, ২য় খণ্ড, পৃ. ২৩১।
৬৭. রিয়াজ, পৃ. ৩৭৫; মুজাফ্ফরনামা, পৃ. ৭৫।
৬৮. Scrafton, Reflections, pp. 93-94.
৬৯. ফোর্ট সেন্ট জর্জের সিলেক্ট কমিটিকে ক্লাইভ, ২ জুলাই ১৭৫৭, Hill, II, p. 440; লন্ডনের সিক্রেট কমিটিকে ক্লাইভ, ২৬ জুলাই ১৭৫৭, Hill, II, p. 457; Watts’ Memoirs, p. 110.
৭০. সিয়র, ২য় খণ্ড, পৃ. ২৩১; Mark Bence-Jones, Clive, p. 140; Michael Edwardes, Battle of Plassey, pp. 144-45.
৭১. Holden Furber and Kristof Glarnann, ‘Plassey’, p. 178.
৭২. Watts’, Memoirs, p. 110.
৭৩. রিয়াজ, পৃ. ৩৭৫।
৭৪. সিয়র, পৃ. ২৩১; রিয়াজ, পৃ. ৩৭৫।
৭৫. Scrafton, Reflections, p. 110.
৭৬. তারিখ-ই-বাংগালা-ই-মহবৎজঙ্গী, পৃ. ১৩৩; সিয়র, পৃ. ২৩২-৩৪; রিয়াজ, পৃ. ৩৭৫; মুজাফ্ফরনামা, পৃ. ৭৫-৭৬।
৭৭. তারিখ-ই-বাংগালা-ই-মহবৎজঙ্গী, পৃ. ১৩৩।
৭৮. Holden Furber and Kristof Glamann, ‘Plassey’, p. 181.
৭৯. ক্লাইভকে মীরজাফরের চিঠি, ২৩ জুন ১৭৫৭, (ক্লাইভ পেলেন সন্ধে ছ’টায়), Orme Mss., India, XI, f. 2814.
৮০. দাউদপুর থেকে স্ক্র্যাফ্টনের মারফত মীরজাফরকে ক্লাইভের চিঠি, ২৪ জুন ১৭৫৭, Orme Mss., India, XI, f. 2815.
৯. পলাশির পরিণাম: সুদূরপ্রসারী প্রভাব
প্রায়-সমসাময়িক ঐতিহাসিক করম আলি পলাশির পরিণতি খুব সংক্ষেপে ব্যক্ত করেছেন: ‘পলাশির পরে ইংরেজরা বাংলায় তাদের নিরঙ্কুশ প্রভুত্ব প্রতিষ্ঠা করেছিল।’১ মঁসিয়ে জাঁ ল’-ও বলেছেন যে পলাশি সমগ্র বাংলাকে ইংরেজদের হাতে তুলে দেয়।২ এমনকী ইংরেজ কোম্পানির কর্মচারী লিউক স্ক্র্যাফ্টন ঠিক পলাশি যুদ্ধ শেষ হওয়ার পরেই, যখন মীরজাফর মসনদেও বসেননি, মন্তব্য করেছেন যে এখন ‘সারা বাংলা আমাদের হাতের মুঠোয়।’৩ বস্তুতপক্ষে সম্প্রতি দেখানো হয়েছে যে অষ্টাদশ শতকের প্রথমার্ধে নবাবি আমলে বাংলায় যে আর্থিক ও শিল্পবাণিজ্যে শ্রীবৃদ্ধি দেখা গেছে, পলাশির পর তা ধীরে ধীরে একেবারে নষ্ট হয়ে যায়। এই শতকের দ্বিতীয়ার্ধে ইংরেজ কোম্পানি ও তার কর্মচারীদের দৌলতে বাংলার অর্থনৈতিক অবক্ষয় চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছয়।৪ এ বক্তব্যের সমর্থন পাওয়া যায় প্রায়-সমসাময়িক ঐতিহাসিক ও পর্যটক আলেকজ্যান্ডার ডো-র (Alexander Dow) লেখায়। তিনি লিখেছেন: ‘যে দিন থেকে বাংলা বিদেশিদের অধীনে চলে যায় সেদিন থেকেই বাংলার অর্থনৈতিক অধোগতির সূত্রপাত।’.৫ এ-বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই যে পলাশির পর বাংলায় এক ‘অর্থনৈতিক সাম্রাজ্যবাদ’ শুরু হয়ে যায়, যার চরিত্র ছিল অত্যন্ত নির্মম। রাজনৈতিক দিক থেকে বলা যায় যে, পলাশির পর ইংরেজরা বাংলায় পুরোপুরি আধিপত্য বিস্তার করে এবং এখান থেকেই ভারতে ব্রিটিশ সাম্রাজ্য স্থাপনের পথ সুগম হয়।৬
পলাশির পর ইংরেজ কোম্পানির কর্মচারীদের কাছে অবাধ লুঠপাটের সব দরজা খুলে যায় এবং তারাও দু’হাতে লুঠতরাজ শুরু করে দিল বলে একজন বিশিষ্ট ঐতিহাসিকের যে বক্তব্য তাতে কোনও অতিরঞ্জন নেই।৭ পলাশির পরেই যে লুঠ শুরু হয় তার অনুরূপ কিছু পৃথিবীর ইতিহাসে খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। জোর করে অগাধ টাকাপয়সা ও ধনরত্ন আদায় করে নেওয়ার এমন দৃষ্টান্ত খুব কমই দেখা গেছে। কোম্পানি ও তার কর্মচারীরা বাংলা থেকে এভাবে সংগৃহীত অপরিমেয় ধনসম্পদ সব বাংলার বাইরে পাঠিয়ে দেয় এবং এভাবে শুরু হয় বাংলা থেকে ধন নিষ্ক্রমণের এক অবাধ প্রক্রিয়া। এই ধন নিষ্ক্রমণের ফলে বাংলার অর্থনীতি প্রায় ভেঙে পড়ে এবং তার ফলে দেশের ও মানুষের অবস্থা অত্যন্ত কাহিল হয়ে পড়ে। অষ্টাদশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে অর্থাৎ পলাশি-উত্তর ৪২-৪৩ বছরে বাংলা থেকে কী বিপুল পরিমাণ ধনসম্পদ বাংলার বাইরে চলে যায় তার সঠিক হিসেব দেওয়া সম্ভব নয়, যদিও এ-সম্বন্ধে কিছুটা আন্দাজ মাত্র করা যেতে পারে। কোম্পানি ও তার কর্মচারীরা নানা উপায়ে বাংলা থেকে প্রচুর ধনসম্পদ আহরণ করেছিল। ধন নিষ্ক্রমণের সঠিক হিসেব করতে গেলে এ-সবগুলি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।৮