১০. K. M. Mohsin, Murshidabad, p. 6.
১১. S. Chaudhury, From Prosperity to Decline, pp. 208-209.
১২. রিয়াজ, পৃ. ২৮; Abdul Karim, Murshid Quli, p. 4.
১৩. রিয়াজ, পৃ. ২৮; Abdul Karim, Murshid Quli, p. 23, যদিও আব্দুল করিম মনে করেন যে ১৭০৪ সালে দেওয়ানি স্থানান্তরিত করার পরই মুর্শিদাবাদে টাকশালটি স্থাপিত হয়, অন্য মতে মুর্শিদকুলি সুবাদার হওয়ার পরে ১৭১৬/১৭ সালে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৪. রিয়াজ, পৃ. ২৮৪; তারিখ-ই-বংগালা, পৃ. ৭০; A. H. Dani, Muslim Architecture, pp. 275-76,
১৫. রিয়াজ, পৃ. ২৭৯-৮০; তারিখ-ই-বংগলা, পৃ. ৬৭; নিখিলনাথ রায়, মুর্শিদাবাদের ইতিহাস, পৃ. ৪৭১।
১৬. রিয়াজ, পৃ. ২৮০, তারিখ-ই-বংগালা, পৃ. ৬৪; নিখিলনাথ রায়, মুর্শিদাবাদের ইতিহাস, পৃ. ৪৭১। রিয়াজের লেখক বলছেন আড়াই হাজার আর সলিমুল্লা ও নিখিলনাথ রায়ের লেখায় দু’হাজার।
১৭. S. Chaudhury, Trade and Commercial Organization in Bengal, pp. 4-5, 242- 43; S. Chaudhury and M. Morineau, ed., Merchants, Companies and Trade, p. 5.
১৮. রিয়াজ, পৃ. ২৮০-৮১; তারিখ-ই-বংগালা, পৃ. ৬৫; নিখিলনাথ রায়, মুর্শিদাবাদের ইতিহাস, পৃ. ৪৭২।
১৯. সলিমুল্লা, তারিখ-ই-বংগালা, পৃ. ৩৬-৩৭।
২০. রিয়াজ, পৃ. ২৭।
২১. J. N. Sarkar, ed., Histrory of Bengal, vol. 2, pp. 422-23; B. N. Banerjee, Begams of Bengal, pp. 2-3; স্যার যদুনাথ সরকার অবশ্য বলছেন যে অন্যান্যদের মধ্যে সরফরাজ তাঁর মাতামহী, মুর্শিদপত্নীর, কথাতেই প্রধানত নিজের পিতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা থেকে নিবৃত্ত হন। রিয়াজের লেখকও অবশ্য বলছেন যে মুর্শিদকুলির পত্নী, নাসিরা বানু বেগম, যিনি ছিলেন অত্যন্ত বুদ্ধিমতী ও বিচক্ষণ এবং যিনি সরফরাজকে প্রাণাধিক ভালবাসতেন, তিনিই বুঝিয়ে সুঝিয়ে সরফরাজকে তাঁর পিতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা থেকে নিবৃত্ত করলেন (রিয়াজ, পৃ. ২৮৮)। অন্যদিকে সলিমুল্লার ভাষ্য অনুযায়ী সরফরাজের দিদিমা ও মা দু’জনেই এটা করেছিলেন (সলিমুল্লা, তারিখ-ই-বংগালা, পৃ. ৭২)।
২২. রিয়াজ, পৃ. ২৯০-৯১; তারিখ-ই-বংগালা, পৃ. ৭৫।
২৩. K.K.Datta, Alivardi, pp. 16-18; রিয়াজ, পৃ. ২৮৮;সলিমুল্লা, তারিখ-ই-বংগালা, পৃ. ৭৩।
২৪. ইউসুফ আলি, তারিখ-ই-বংগালা-ই-মহবৎজঙ্গী, পৃ. ৯-১০।
২৫. Factroy Records, Kasimbazar, Vol. 6, 7 June 1742; BPC, vol. 6, 14 June 1742.
২৬. ঐ, vol. 15, f, 194vo, 21 June 1742; Factory Records, Kasimbazar, vol. 6, 14 June 1742.
২৭. BPC, vol. 16, f. 181vo, 10 June 1743; Factory Records, Kasimbazar, vol. 6,6 June 1743.
২৮. BPC, vol. 6, 2 July 1743.
২৯. J. H. Little, Jagatseth, p. 120; করম আলি, মুজাফ্ফরনামা, পৃ. ২৯।
৩০. K. K. Datta, Alivardi; P. J. Marshall, East Indian Fortunes; Bengal—the British Bridgehead; K. N. Chaudhuri, Trading World of Asia.
৩১. Richard Becher’s letter to Governor Verelst, 24 May 1769, quoted in W. K. Firminger, Fifth Report, pp. 183-84.
৩২. S. Chaudhury, From Prosperity to Decline, pp. 300-302, “Was there an eco- nomic crisis in mid-eighteenth century Bengal?” in Richard B. Barnett, ed, Rethinking Early Modern India, pp. 219-52.
৩৩. ইউসুফ আলি, তারিখ-ই-বংগালা-ই-মহবৎজঙ্গী পৃ. ১১৬; J. N. Sarkar, ed., Bengal Nawabs, pp. 154-55.
৩৪. মুজাফ্ফরনামা, J. N. Sarkar, ed., Bengal Nawabs, p. 58.
৩৫. Calendar of Persian Correspondence, vol. II, pp. 191, 197, quoted in K. K. Datta, Alivardi, p. 140.
৩৬. মুজাফ্ফরনামা, J. N. Sarkar, ed., Bengal Nawabs, p. 72.
৩৭. ঐ, পৃ .৬২।
৩৮. তারিখ-ই-মনসুরী, trans, H. Blochmann, JAS, no. 2, 1867, pp. 95-96.
৩৯. William Bolts, Considerations, p. 158.
৪০. N. K. Sinha, Economic History of Bengal, Vol. II, p. 134.
৪১. Luke Scrafton to Colonel Clive, 17 Dec. 1757, Orme Mss. India, XVIII, f. 5043; Eur. G 23, Box 37.এ প্রসঙ্গে আমার বই From Prosperity to Decline, পৃ.১১৪-১৫ দ্রষ্টব্য।
৪২. J. H. Little, The House of Jagatseth, p. 2-তে উদ্ধৃত।
৪৩. K. M. Mohsin, Murshidabad, p. 227 and p. 227, fn. 1 দ্রষ্টব্য।
৪৪. Brijen K. Gupta, Sirajuddaullah, p. 126 উদ্ধৃত।
০৪. বণিকরাজা
নবাবি আমলে মুর্শিদাবাদের যে সমৃদ্ধি তাতে ওখানকার বণিকরাজাদের (mer-chant princes) অবদান অনস্বীকার্য। এই বণিকরাজারা একাধারে সওদাগর, ব্যবসায়ী, ব্যাঙ্কার, মহাজন-—সব কাজই এঁরা করতেন। এঁরা শুধু প্রভূত ধনসম্পদের অধিকারী ছিলেন না, বাংলার রাজনীতি, অর্থনীতি ও মুর্শিদাবাদ দরবারে এঁদের প্রভাব ছিল প্রবল। এঁদের রাজকীয় আচার আচরণ ও জীবনযাত্রা দেখে অনেক ইউরোপীয় পর্যটক এঁদের ‘বণিকরাজা’ হিসেবেই গণ্য করতেন। অষ্টাদশ শতকের প্রথমার্ধের শেষ তিন দশকে বাংলার বাণিজ্যিক অর্থনীতি এবং সে জন্যই কিছুটা বাংলার সামগ্রিক অর্থনীতিতেও এঁরা বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। সেদিক থেকে দেখতে গেলে মুর্শিদাবাদের ইতিহাসেও এঁদের গুরুত্ব অনেকখানি। আবার অন্যদিকে পলাশির ষড়যন্ত্র ও বিপ্লবে এঁদের ভূমিকাও নিতান্ত নগণ্য নয়। এই বণিকরাজাদের মধ্যে জগৎশেঠদের মূল আস্তানা ছিল মুর্শিদাবাদে; অন্য দু’জনের মধ্যে উমিচাঁদের কলকাতা আর আর্মানি বণিক খোজা ওয়াজিদের হুগলি। তবে যেহেতু এই বণিকরাজাদের মুর্শিদাবাদের দরবারে নিত্য আনাগোনা ছিল, সেজন্য এই তিনজন বণিকরাজাকেই মুর্শিদাবাদের লোক বলে গণ্য করা যেতে পারে।