আমি নেমে গেছিলাম এই ট্রেডিংয়ে। হিরে আনা, হিরে বেচা। খনির হিরে এ-বর্ডার, সে-বর্ডার পেরিয়ে পেশোয়ারে ঢুকে, অনিক্স পাথরের ডিমের মধ্যে থেকে, চলে আসত আমার কাছে। আমি বিরাট লাভ রেখে সেই হিরে…অকাট্য। হিরে… চালান দিতাম ঠিক ঠিক জায়গায়… প্রফিট? কল্পনায় আনতে পারবি না…
হিরের গুদোম ছিল ব্যাঙ্গালোরেই… একটা হাই-টেক ইস্পাত সিন্দুকে… সে সিন্দুকের পাল্লা খুলে যেত শুধু আমার ডানহাতের বুড়ো আঙুলের ছাপ সিন্দুক খোলার সঙ্কেতের সঙ্গে মিলে গেলে… খুঁটিয়ে বলতে চাই না… শুধু বুড়ো আঙুলটা বিশেষ একটা জায়গায় চেপে ধরলেই কাজ শুরু হয়ে যেত… সিন্দুকের প্রথম পাল্লা খুললে সামনের চেম্বারে থাকত ছ’টা ডিম… জহুরি দণ্ডপথের দেওয়া ডিম, ভেতরে আছে আর একটা চেম্বার… সেখানে আমার ডানহাতের পুরো পাঞ্জা চেপে ধরতে হতো… এই সেকেণ্ড চেম্বারে বাকি তিনটে ডিম ছাড়াও থাকত বিস্তর অনিক্স পাথরের ডিম। প্রত্যেকটার ভেতরে চালানি হিরে… খনি থেকে চোরাই হিরে… হিরের খনি নিয়ে অনেক কথা তোকে আগে ভ্যাড়ভ্যাড় করে বলেছি। এ ব্যাপারটা মাথায় ঢোকানোের জন্যে…।
একটানা এতগুলো কথা বলে দম নেওয়ার জন্যে একটু যতি দিয়েছিল রবি রে! সুরুৎ করে সেই ফাঁকে ঢুকিয়ে দিয়েছিলাম আমার জেরা—ময়দানের শিল্পমেলা থেকে হাওয়া হওয়া পেশোয়ারি ডিম তুই নিয়েছিলি?