১৭৩, ফাজ: অর্থ খাদক। কিন্তু শুধু টি-২ ব্যাকটেরিওফাজকে বোঝায়। সরল ভাইরাস। শরীরের বাইরে মৃতের মতো, কিন্তু পায়ের দিকের আকশি দিয়ে নির্দিষ্ট ব্যাক্টেরিয়ার গা ধরতে পারলে নিজের ডি এন এ-টাকে চালান করে দেয় ভিতরে। দ্রুত প্রচুর পরিমাণে আলাদাভাবে নানা অঙ্গ গড়ে ওঠে। পুরো ব্যাক্টেরিয়াকে গ্রাস করে মাথা-লেজ-আঁকশি ডি এন এ মিলে মিলে পরিণত হয় নতুন কাজে। তিন-চারশ নতুন ভাইরাসের চাপ সহ্য করতে না পেরে মৃত শরীরটাও ফেটে যায়, ফাজ যায় বেরিয়ে।
১৭৪.. ব্যাকটেরিয়াম: এককোষী জীবন্ত (ভাইরাস জীবন্ত) ক্ষুদ্রতম জীবাণু যা প্রকৃতিতে সাড়া দেয়। অনেক ধরনের। চারপাশ ভরা। একমাত্র এরাই পচনের জন্য দায়ী। উপকারী, অপকারীও।
১৭৫. ডি এন এ: ডি অক্সিরাইবো নিউক্লিক এসিড। কোষ নিউক্লিয়াসের ক্রোমোজোমে ও শক্তি উৎপাদক মাইটোকন্ড্রিয়াতে থাকা প্যাচানো সিঁড়ির মতো একটা বিশাল অণু। এতে জীবটির সব বৈশিষ্ট্যের জিন থাকে।
১৭৬. কুইন্টিলিয়ন: আমেরিকা ও ফ্রান্সের হিসেবে একের পিছনে আঠারো শূন্য থাকলে যে সংখ্যা হয়। অর্থাৎ দশ হাজার কোটি কোটি। জার্মানি ও ব্রিটেনের হিসেবে একের পেছনে ত্রিশটা শূন্য।
১৭৭. সুপারনোভা: এ নক্ষত্র সূর্যের চেয়ে শত কোটি গুণ উজ্জ্বল হয়ে বিস্ফোরিত হয়ে পরে নিভু নিভু হয়। পুরো গ্যালাক্সিকে আলোয় ভাসাতে পারে। কিছু নক্ষত্র বিবর্তনের পথ ধরে সুপারনোভা হয়।
১৭৮. গামা: সবচে ভারী তেজস্ক্রিয় রশি। আলফা আর বিটা এরচে হাল্কা।
১৭৯. নিউট্রন: চার্জহীন কেন্দ্র-কণিকা। ধরা হয় এতে একটা ইলেক্ট্রন ও এক প্রোটন আছে। হাইড্রোজেন ছাড়া এটি সহজলভ্য।
১৮০. আলফা: নিউক্লিয়াস ভেঙে নতুন পরমাণু তৈরির সময় বেরোয় এ তেজস্ক্রিয় কণা। দুই প্রোটন আর দুই নিউট্রন থাকে, তাই একে হিলিয়াম নিউক্লিয়াসও বলে। বিটা কণার চেয়ে ৭৩০০ গুণ ভারী।
১৮১. সব দেবতার পিতা: গ্রিক দেবতা জিউস বা রোমান দেবতা জোভ। অন্য নাম জুপিটার। হারকিউলিসের পিতা, দেবরাজ। মিথোলজির প্রাণপুরুষ। জুপিটারের আরেক অর্থ বৃহস্পতি। দেবতা আর বৃহস্পতি দুজনেই বজ্র দেয়, সবচে বড়-তাই গ্রহরাজকে দেবপিতা বলেছেন লেখক।
১৮২. ফিউশন: একাধিক পরমাণুর নিউক্লিয়াস মিলে গিয়ে নতুন অন্য মৌলিক পরমাণু সৃষ্টির প্রক্রিয়া। সাধারণ পারমাণবিক বিক্রিয়া নয়, নিউক্লিয়ার। হাইড্রোজেন বোমাতে এভাবে নতুন পরমাণু সৃষ্টির সময় ইউরেনিয়ামের নিউক্লিয়ার বা এটম বোমার চেয়েও অত্যন্ত বেশি শক্তি নির্গত হয়।