১৫১. অকেন্দ্রিক: যে জীবকে কোনো কেন্দ্রে ভাগ করা যায় না। যেমন অ্যামিবা।
১৫২. প্লাঙ্কটন: অতি সূক্ষ্ম ভাসা-শ্যাওলা।
১৫৩. বিড়াল গোষ্ঠী: পাঁচ কোটি বছর আগের মোয়াসিক প্রাণীর বংশধর। বাঘ, সিংহ, বিড়াল, বাঘডাস এবং এ জাতীয় প্রাণী।
১৫৪. এটমোস্ফিয়ার: চাপের একক। আবার বায়ুম-লও বোঝায় পুরো বানান লিখলে।
১৫৫. ইউফোরিয়া: অকল্পনীয় ও ব্যাখ্যাহীন আনন্দ বা শিহরণ। কিছু কিছু নেশায় সাময়িকভাবে এ শারীরিক আনন্দ পাওয়া যায়।
১৫৬. স্যামন: খাওয়ার মাছের মধ্যে সবচে দামী। আট প্রজাতির। উত্তর প্রশান্ত মহাসাগরের মাছ।
১৫৭. চামড়ায় চাপ: বাতাস আমাদের প্রচ- চাপ দেয় এবং একই সাথে পৃথিবী প্রচ-ভাবে টানে বলে দেহের বিভিন্ন গ্যাস তরল বা সঙ্কুচিত-বায়বীয় থাকে, বেরিয়ে যায় না। মহাশূন্যে তা নেই, তাই চামড়া ফেটে ভিতরের সব গ্যাস বেরুতে চায়।
১৫৮. স্ট্রেস পিল: যে ট্যাবলেট খেলে শরীর শান্ত হয় ও আঘাত সহ্য করে-কাল্পনিক। আসলে বাস্তব বা অবাস্তব ঝুঁকির মুখে শরীর দ্রুত যে সাড়া দেয় তাই স্ট্রেস। আরেক ভাবে, বিপদ বা মানসিক অশান্তির মুখে শরীর-মন যে প্রস্তুতি নেয় তাই স্ট্রেস রিয়্যাকশন।
১৫৯, মেমোরি ব্লক: ঠিক বর্তমান কম্পিউটার-হার্ড ডিস্কের মতো। কাজ একই, স্মৃতি সংরক্ষণ।
১৬০. রেডিও অ্যাকটিভ: যেসব পরমাণুর নিউক্লিয়াস নিজে নিজে পরিবর্তিত হয়ে হয়ে অন পরমাণুতে পরিণত হতে থাকে সেগুলোই তেজস্ক্রিয়। আলফা বা বিটা কণিকার বিচ্ছুরণ এমনকি গামা রশ্মির বিকীরণও হতে পারে। তাতে পদার্থের নিউক্লিয়াসের ইলেক্ট্রন-প্রোটন-নিউট্রন ভারসাম্য বদলে যায়, তাই হয়ে যায় অন্য পরমাণু। বেরুনো রশ্মিগুলোর ভর ও ভেদ করার ক্ষমতা থাকায় তা ক্ষতিকর।
১৬১. ব্রাউনীয় গতি: রবার্ট ব্রাউন বিখ্যাত উদ্ভিদবিদ, জীবকোষের নিউক্লিয়াসের আবিষ্কারক ও নামকারক, বৃহত্তম ফুল সুমাত্রার তিন ফুট ছড়ানো জায়ান্ট র্যফ্লেসিয়ার নামকারক, ব্রিটিশ মিউজিয়ামের কিউরেটর, উদ্ভিদ ফসিলের গবেষক হলেও তিনি পদার্থবিদ্যার এক বিরাট আবিষ্কার করেছেন। গ্যাসীয় আর তরল পদার্থের মধ্যে সব সময় থাকা গতির আবিষ্কারক ও ব্যাখ্যাকারী। প্রতি গ্যাস কণা স্থিতিস্থাপক, যত তপ্ত থাকে-তত নড়াচড়া করে যেদিক খুশি, একে অন্যকে ধাক্কা দেয় এবং এভাবে গ্যাস পাত্রের উপর ৯০ ডিগ্রী কোণে সব সময় চাপ দেয়-এটাই ব্রাউনীয় গতি।
১৬২. মেইনফ্রেম: বর্তমানে বোঝানো হয় এমন কম্পিউটারকে যা একটা ঘর দখল করে এবং যার সি পি ইউ মোটামুটি ফ্রিজ বা আলমিরার সমান, ব্যবহার করতে পারে ২০-৫০ জন। আকৃতিতে মেশিনের বিভক্তি: সুপার-মেইনফ্রেম-মিনিফ্রেম-মাইক্রো কম্পিউটার। কিন্তু ক্লার্কের সময় সি পি ইউ-কেই মেইন ফ্রেম বলা হত। এ দিয়ে বিরাট ধাতব দেহ বোঝাতো।
১৬৩.. ভ্যাটিক্যান: খ্রিস্টানদের সবচে বড় সম্প্রদায় রোমান ক্যাথলিকদের ধর্মীয় ও প্রশাসনিক সদর, ধর্মগুরু পোপের শহর, ইতালির রোম শহরের ভিতর দেয়াল ঘেরা মাত্র ১০৯ একরের ক্ষুদ্রতম স্বাধীন রাষ্ট্র, দেশের একপ্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে চিৎকার করলে শোনা যায়। কোনো স্ত্রী প্রজাতির প্রাণী নেই এবং প্রবেশ করেনি শতাব্দী ধরে।
১৬৪. নিউট্রিনো: তিনটা চার্জহীন কণিকার একটা নাম। ভর অত্যন্ত কম, আলোর গতি। ফিউশন বা একাধিক পরমাণু এক হয়ে যাওয়া এবং মৌল কণা ভাঙা-এ দু পথে তৈরি হয়, তাই সূর্য থেকে প্রচুর আসে। তিন ধরনের নিউট্রিনো চার্জ পেলে তিন ধরনের অন্য কণিকায় পরিণত হয়।
১৬৫. স্পেকট্রোস্কোপ: আলোর বর্ণালী দেখার যন্ত্র, যাতে টেলিস্কোপ লাগানো। বর্ণালিবীক্ষণ যন্ত্র।
১৬৬. ইকো সাউন্ডার: এটা শব্দ পাঠায় এবং তা ফিরে এলে সময় এবং শব্দের গতি হিসেব করে সাগরের গভীরতা জানাতে পারে। সাগরের জাহাজগুলোর সব সময় পানির গভীরতা জানতে হয়। ১৬৭. সিসমিক: ভূমিকম্প শুরুর আগে ও তখন ভূগর্ভে শিলাস্তরে ভাঙন হলে এ কম্পন উঠে আসে।
১৬৮, বিম ট্রান্সপোর্টার: কোয়ান্টাম টেলিপোর্টেশন। প্রত্যেক বস্তু মৌল কণিকায় গঠিত, তাই যদি হুবহু সে বস্তুর পরমাণুতে মৌল কণিকার অর্বিটসহ সব ঠিকমতো জেনে নেয়া যায়, তাহলে হুবহু আরেকটা বস্তু তৈরি করা সম্ভব হবে অন্য কোনো দূরত্বে এ বস্তুকে বিলীন করে দিয়ে-এ তত্ত্বের ভিত্তিতে সায়েন্স ফিকশনে মানুষকেও এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পাঠানো যায়। ডিবাগিং: প্রোগ্রাম তৈরির পর তা চূড়ান্ত করার আগে ভুলগুলো দেখা, বের করা ও শুদ্ধ করা বা সারানোর প্রক্রিয়া। সাধারণত প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজের সাথেই ডিবাগিং প্রোগ্রাম দেয়া থাকে।
১৬৯. ডিবাগিং: প্রোগ্রাম তৈরির পর তা চূড়ান্ত করার আগে ভুলগুলো দেখা, বের করা ও শুদ্ধ করা বা সারানোর প্রক্রিয়া। সাধারণত প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজের সাথেই ডিবাগিং প্রোগ্রাম দেয়া থাকে।
১৭০। টলস্টয় অন্যতম শ্রেষ্ঠ ঔপন্যাসিক। রাশিয়ান। নীতি ও ধর্মচিন্তাবিদ; সমাজসেবী। যুগ কাঁপানো সার্থকতম ঐতিহাসিক উপন্যাস ওয়্যার এন্ড পিস এবং আনা কারেনিনার লেখক। ক্যানো: জংলীদের লম্বা নৌকা। দেশে আগে এমন তালের খোলের নৌকা ছিল।
১৭২. রেডিয়ান: তেজকণা বিকীরণের একক।