১২৬. গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ: ভূমির কাছাকাছি পানিতে লাখো প্রবাল কীট মরে জমে যদি পানির নিচে বা একটু উপরে উঁচু অঞ্চল গড়ে তবে তা কোরাল রিফ বা প্রবাল প্রাচীর। অস্ট্রেলিয়ার ২০০০ কি. মি.র এ প্রাচীর পৃথিবীতে বৃহত্তম, নয়নাভিরাম।
১২৭. টোভারিশ: কমরেড। কিন্তু শব্দটা আসলে সোভিয়েত বিপ্লবের নেতা ভাদিমির উলিয়ানোফ (ইলেচ) লেনিনের এক বিখ্যাত বক্তব্যের শুরু।
১২৮. কমরেড: এক ঘরের লোক, এক জাহাজের নাবিক। কমুনিস্টরা নিজেদের মধ্যে একে অন্যকে কমরেড বলে সম্বোধন করে।
১২৯. অ্যারিস্টোক্র্যাট: প্রাচীন অভিজাত শ্ৰেণী। তথাকথিত শ্রেষ্ঠ ও শাসক দল। কিছু গ্রিক দার্শনিক মনে করতেন তিন শ্রেণী প্রয়োজন-প্রথমরা এমন, দ্বিতীয় সৃষ্টিশীল শ্রেণী ও তৃতীয় হবে দাস। কিন্তু বর্তমানের সমাজবিজ্ঞান এমন মনে করে না।
১৩০. লাল দনো নক্ষত্র: রেড জায়ান্ট স্টার। তারার বিভিন্ন বয়স ও স্তর আছে। মধ্যম ভরের কোনো তারকার কোরের সব হাইড্রোজেন হিলিয়াম হয়ে গেলে আর ফিউশন না হওয়ায় বাইরের চাপে নক্ষত্র ভেঙে পড়ে ভেতরে। এবারে অতি তাপ হয়। তাই সামান্য হাইড্রোজেন যে ফিউশন দেয় তাতে নক্ষত্র অতি বিস্তৃত হয়ে পড়ে। ঠিকমতো বিস্তার হলে বাইরের অংশ ঠা-া হয়ে লালচে হয়।
১৩১. সাদা বামন: হোয়াইট ডোয়া। আর জ্বালানি না থাকলে আমাদের সূর্যের আধাআধি ভর ও পৃথিবীর সমান আকার হয়ে যায় তারকার। বেশিরভাগ তারার শেষ জীবন এমন। সূর্যও একদিন শ্বেত বামন হবে।
১৩২. গ্যালাক্টিক কোর: নীহারিকা হল তারকা, ধুলা আর গ্যাসের একেক অঞ্চল যা মহাকর্ষের কারণে একত্র থাকে। শতকোটি থেকে লক্ষকোটি তারা থাকতে পারে। কোনো কোনো গ্যালাক্সি সর্পিল চাকতির মতো। তাই সুনির্দিষ্ট মধ্যাঞ্চল বের করা যায় যেখানে ঘনত্ব বেশি, এরও ভেতরে কিছু নেই, সেখানে সময় তৈরি হবে, বস্তু গঠিত হবে, নক্ষত্র জন্ম নিবে অকল্প সময় পরে। এ রহস্যময় অঞ্চলই কোর বা কেন্দ্র।
১৩৩. ক্যাওস: জটিল অনিয়মিত বহুমাত্রিক বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়া। এখানে সৃষ্টিপূর্ব এলাকা।
১৩৪. নেবুলা: মহাজাগতিক ধুলা/গ্যাস/মেঘ। আগে গ্যালাক্সিকে এ নাম দেয়া হত ধুলা মনে করে, পরে শব্দটাকে সম্মান করে রেখে দেয়া হয়।
১৩৫. মিল্কি ওয়ে: আমাদের দুধ সাগর নীহারিকা। কমপক্ষে দশ হাজার কোটি নক্ষত্র এতে আছে। এরা পরস্পর আকৃষ্ট হয়ে কাছাকাছি আসতে নিয়ে কেন্দ্রের দিকে পেঁচিয়ে যায় সাপ-কু-লীর মতো, উল্টোমতে, কোর থেকে সৃষ্টি শুরু হয়ে প্যাচাতে প্যাচাতে বাইরের দিকে বেরোয়। তাই বাইরের দিকে সৃষ্টি সুষম, তাই আমরা বাইরের দিকে এবং সভ্য প্রাণী। একলাখ আলোকবর্ষ এর ব্যাস!
১৩৬. শক্তিমান হওয়া আয়োনোস্ফিয়ার: আণবিক বিস্ফোরণে আয়োনোস্ফিয়ারের আয়ন হাজার গুণ বেড়ে গেলে প্রতিফলন ক্ষমতাও হাজার গুণ বাড়ে।
১৩৭. ডিজনিঃ ওয়াল্ট ডিজনি। বিশ্বখ্যাত আঁকিয়ে, প্রযোজক, কার্টুন নির্মাতা, শিশু বিনোদন বিশেষজ্ঞ, ডিজনিল্যান্ডের প্রতিষ্ঠাতা।
১৩৮. লিজ: পাথুরে একটু উঁচু যে অংশ থাকে পানির নিচে, বিশেষত ঝর্না থেকে পাথর পড়ে লিজ সৃষ্টি হয়।
১৩৯. কেনেথ আর্নন্ড: সাতচল্লিশে এ অসামরিক পাইলট ইউ এফ ও দেখে (বলা হয়) প্রথম নাম দেন ফ্লাইং সসার বা উড়ন্ত চাকি। সব ইউ এফ ওরই এখন এ নাম।
১৪০. ডাউনিং স্ট্রিট: সবচে অভিজাত ইংলিশ এলাকা। ১০ নম্বরটি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন। ১১ নং বাসা এক্সচেকার চ্যান্সেলরের।
১৪১. আর্কিওলজিস্ট: নৃতত্ত্ববিদ। মানুষ, তার পরিবেশ-সমাজ-গঠন-সভ্যতার বিশেষজ্ঞ।
১৪২. গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন: যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫০ কি.মি. লম্বা ও ১.৫ কি. মি. চওড়া নয়নাভিরাম গিরিখাত।
১৪৩. ওভাল রুম: ১৮২০ সালের আসবাবে সাজানো মার্কিন প্রেসিডেন্টের নীল ডিম্বাকার রিসিপশন।
১৪৪. ক্রেমলিন: রাশিয়ার মূল প্রশাসনিক ভবন। আগে জারের মহল ছিল।
১৪৫. দ্যিজে ভুঃ কোনো কিছু আগে একবার হয়েছে এমন মনে হওয়া।
১৪৬. ফ্রয়েড: অস্ট্রেলীয় এ চিকিৎসক মানব মনের গতি প্রকৃতি নিয়ে যুগান্তকারী মতবাদ দেন। দেখান, মানুষের মনোরোগের বেশিরভাগ কারণ তার অবচেতন মন। আর অবচেতনতায় ছেলেবেলার কোনো ব্যথা লুকিয়ে থাকে। এছাড়াও মনের তিন ভাগ করেন এবং স্বপ্নের ব্যখ্যা দেন।
১৪৭. আই বি এম: ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস মেশিনস কর্পোরেশন। ল্যাপটপ থেকে মেইনফ্রেম পর্যন্ত নির্মাতা। কম্পিউটার বিবর্তনের নিয়ামক। মেকিনটোশ এর সাথে মিশে আইম্যাক কম্পিউটার করছে।
১৪৮. পোলিওজোয়িক: তিনটা এনসাইক্লোপিডিয়া, তিনটা ডিকশনারি ও একটা ডিকশনারি অব সায়েন্স ঘেঁটে অর্থ বা ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি।
১৪৯. ক্রিটোকিয়াস: তিনটা এনসাইক্লোপিডিয়া, তিনটা ডিকশনারি ও একটা ডিকশনারি অব সায়েন্স ঘেঁটে অর্থ বা ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি।
১৫০.. প্রাণী বা উদ্ভিদের জ্যামিতিক সম্ভাবনাঃ প্রকৃতিতে প্রতিটি জীবের নির্দিষ্ট অনুপাত সব সময় বজায় থাকে, নাহলে পুরো পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়। খাদ্য-খাদক নির্ভরতা ঠিক থাকে না। কিন্তু এ সব ঠিক থাকা না থাকা সবই একটা জ্যামিতিক অনুপাত মেনে চলে, যে কোনো প্রাণী নাক গলালে নষ্ট হয়। বর্তমানে মানুষ।