১০২. সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট: কেন্দ্রীয় প্রক্রিয়াকরণ অংশ। কম্পিউটারের মূল ইউনিট। গাণিতিক/যুক্তি অংশ, কন্ট্রোল ইউনিট ও স্মৃতি ইউনিটে বিভক্ত।
১০৩. নন কন্ডাক্টর: এখানে বিদ্যুৎ অপরিবাহী। কম্পিউটারের পাওয়ার সাপ্লাই কাটতে যদি বিদ্যুৎ পরিবাহী ব্লেড রাখা হয় তাহলে তার ভিতর দিয়েই কাজ চলতে থাকবে।
১০৪. ডায়াগনস্টিক প্রোগ্রাম: এ দিয়ে কম্পিউটারের সমস্যা, সমাধানের পথ ও সমাধান তিনই সম্ভব।
১০৫.. ভয়েস রিকগনিশন: কম্পিউটার নিয়ে সবচে বড় আশার একটা। এখনো কণ্ঠ শুনে সব বুঝতে পারে না। তবে এখন অফিস এক্সপি দিয়ে আমাদের দেশের মানুষ ৭০% কথা বোঝাতে সক্ষম। মাইক্রোসফটের অফিস ২০০৩ আসছে। দু-এক বছরেই হয়তো আমরা মুখে আদেশ দিয়েই পিসিকে সব কাজ করাতে ও সব কথা কম্পোজ করতে পারব।
১০৬. স্পিচ সিন্থেসিস: সহজ অর্থে, কথায় প্রাণ আনা। মানুষ পরিবেশ, পরিস্থিতি, গুরুত্ব ও নিজের মানসিকতা অনুসারে কথা বলে। এক সুরে বলে না। এ বিশাল প্রক্রিয়া গড়াই স্পিস সিন্থেসিস।
১০৭. ফোনিমি: কোনো ভাষার মূল প্রয়োজনীয় উচ্চারণ। আওয়াজগুলো বুঝলে ঠিকভাবে পুরো ভাষা বলা যাবে।
১০৮. ইন্টারপ্রিটেশন: এখানে, কম্পিউটারের নিজের মতো অনুবাদ করা। যেমন: সুরকার সুর খাতায় লিখতে পারেন, যিনি না জেনে শুধু লেখা দেখে সুরটা তুলবেন তাকে কিছুটা নিজের মতো সাজাতে হয়।
১০৯. সাইবারনেটিক্স: এমন এক বিজ্ঞান যার কাজ সিস্টেম (যন্ত্র-সমম্বয়, একটা যন্ত্র নয়, একটা কাজে লিপ্ত নয়-যেমন কম্পিউটার) নিয়ে। সিস্টেমের গঠন, আদর্শ ও
১১০. প্রয়োজনীয় অবস্থা, নিজে পুনরায় উৎপাদন, কাজের ধারা এবং শিক্ষার পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করে। দান্তে: ইতালিয়ান লেখক দান্তে অ্যালিঘরি মধ্যযুগের শ্রেষ্ঠ কবি। দ্য ডিভাইন কমেডি পৃথিবীসেরা এক মহাকাব্য। সর্বকালের এক জ্ঞানী লেখক।
১১১. ল্যাগ্রেন্স: ইতালীয় অ্যাস্ট্রোনোমারের নামে। দু গ্রহ/উপগ্রহের মাঝের মুক্তবিন্দু।
১১২. কৃষ্ণ বস্তু: যা শতভাগ আলো (এবং সব তেজস্ক্রিয় এনার্জি) শোষণ করে। বাস্তবে নেই। সব কালো জিনিসই কিছুটা শোষণ করে, বড়জোর ৯৬%।
১১৩. প্রেশার ডোম: কল্পিত। বিস্তৃত এলাকা জুড়ে বায়ুচাপ ও গ্যাস রাখতে কাঁচের বিশাল গোল ঢাকনা তৈরি করে তার ভিতরে মানুষের বসবাস উপযোগী পরিবেশ গড়ার এলাকা।
১১৪. নিউমেরোলজিস্ট: সংখ্যাতত্ত্ববিদ। এটা ঠিক জ্যোতিষ তত্ত্ব নয়। এরা মনে করে মহাবিশ্ব সংখ্যার রাজত্ব এবং ভাগ্য সংখ্যার উপর নির্ভর করে। জ্যোতিষের মতো এও অবৈজ্ঞানিক সংস্কার।
১১৫. গ্রেট পিরামিড: গির্জার বড় পিরামিড। ৪৫০ ফিট উঁচু। ১৩ একর জায়গায় ২.৫ টন করে ওজনের বিশ লাখের উপর পাথরে তৈরি। মূল বিস্ময় সেখানে না। এর গঠন নির্দিষ্ট একটা তারা নির্দেশ করে। একটা বিশেষ রেখা পৃথিবীকে সমান দু ভাগ করে এবং এতে এমনিতেও পচনের বদলে খাদ্য শুকিয়ে যায় প্রায়ই। এর সংখ্যাতাত্ত্বিক অনেক গুরুত্ব ও রহস্য আছে।
১১৬. স্টোনহেঞ্জ: ঝুলন্ত প্রস্তর। ইংল্যান্ডের এক বিস্ময়। বিরাট বিরাট লম্বা পাথরকে বৃত্তাকারে দাঁড় করিয়ে তারও উপরে বিশাল পাথর বসিয়ে বানানো হয়েছিল ঘরের মতো। ৫০০০ বছর আগে। হয়ত উপজাতীয় উপাসনালয়। এখনো সে গঠনটার চল্লিশ ভাগ দাঁড়িয়ে ও দশভাগ পড়ে আছে সেখানে।
১১৭. ইস্টার দ্বীপ: চিলি থেকে ৩৭০০কি.মি, পশ্চিমে ১৬৬ বর্গ কি.মি. র পাথুরে দ্বীপ। প্রথমদিকের অধিবাসীরা মোয়ি নামে প্রচুর অদ্ভুত মূর্তি তৈরি করে। বেশিরভাগ ১১-২০ ফুট, কোনো কোনোটা ৪০ ফুট এবং ওজন ৯০ টন। পুরো মূর্তি আস্ত আগ্নেয় শিলা কেটে তৈরি। কোনোটার মাথায় আলাদা শিলার বিশাল হ্যাট। অত উপরে ওঠানো আজো কঠিন। দ্বীপের অবস্থান-গঠনেও প্রচুর রহস্য।
১১৮. নাজকা লাইনের দিগংশ: খ্রিষ্ট্রের আগে-পরে দক্ষিণ পেরুর এক সভ্যতা নাজকা। মরুভূমিতে বুক কাঁপানো কিছু কাজ আছে। মাইলের পর মাইল লম্বা বিভিন্ন পথ তারা বানায় কঠিন পাথরের বুক চিরে। কিন্তু এর পুরো গঠনে অনেক আকার দেখা দেয়। সবচে বেশি আলোড়ন ফেলে তারার অবস্থান সূচক লাইন ও এদের দিগংশের রহস্যগুলো। আছে প্রচুর জ্যামিতিক হিসাব।
১১৯. ভর: বস্তুর পরিমাণ। ভরের উপর অভিকর্ষ কাজ করলে যা হয় তা ওজন। সহজ ভাবে, প্রায় পঁচানব্বই গ্রাম ভরের বস্তুর ওজন একশ গ্রাম, মাধ্যাকর্ষণ পাঁচ গ্রাম।
১২০. ফিতাকৃমি: আধুনিক কম্পিউটারে যাকে বলে ভাইরাস। জীব নয়। এমন কিছু প্রোগ্রাম যা নির্দিষ্ট কাজ করে অবৈধভাবে।
১২১. চৌম্বকীয় ফিতা: ক্যাসেট ও ফ্লপি ডিস্কে থাকে, এর চৌম্বক অণুকে বদলেই রেকর্ড হয়। এরপর কম্পিউটারে আসে লেজার নিয়ন্ত্রিত কণাভিত্তিক ডিস্ক, যেমন হার্ডডিস্ক, সিডি। এরপর আসবে হালের মতো হলো-মেমোরি-বাস্তব পরিবেশকে সবাসরি অডিও ও ভিডিও হিসেবে বাস্তবে ধরে রাখা ত্রিমাত্রিক স্মৃতি।
১২২. ইউ এস এস সি: ইউনাইটেড স্টেটস স্পেস ক্র্যাফট।
১২৩. সাইকোসিস: মানসিক রোগের সাথে শারীরিক অসুখ। ভয়াল হতে পারে।
১২৪. সিজোফ্রেনিয়া: অযৌক্তিক, বিভ্রান্তিকর পথে চিন্তা করার মানসিক রোগ।
১২৫. প্যারানোয়া: বেশি আত্মগ্লানিতে ভোগা, অতি সতর্কতা, অতি গোপনীয়তার মনোরোগ।