৪০. তাপ ফলক: কোনো আস্তরণ যা তাপ শোষণ করে। ভবিষ্যতের স্পেসশিপ কোনো বায়ুমণ্ডলে ঘষা খেয়ে তাপ উৎপন্ন হওয়ায় পুড়ে শেষ হতে পারে, এটা ঠেকাবে।
৪১. ভাস্বর গ্যাস: খুব গরম হলে আলো ছড়ায় এমন গ্যাস।
৪২. সরণ: সরে যাওয়া। পদার্থবিদ্যায়, বস্তু এক স্থান থেকে আরেক স্থানে গেলে তাদের মধ্যবর্তী সংযোজক সরল রেখার পরিমাণ বা ন্যূনতম দূরত্ব।
৪৩. অর্বিটাল মেকানিক্স: যে কোনো নক্ষত্র, গ্রহ বা উপগ্রহের একটা নির্দিষ্ট দূরত্ব থাকে যেখান থেকে অন্য কোনো বস্তু আকৃষ্ট হয়ে সরাসরি নেমে আসে না, বরং চারপাশে পাক খায়। পথকে বলে অর্বিট এবং অর্বিট বিষয়ক বল, গতিবিদ্যা ও গাণিতিকতাই অর্বিটাল মেকানিক্স।
৪৪. বাংক: জাহাজ বা বিমানে মালামাল রাখার জায়গা।
৪৫. আনলগ: লগ অফ। কোনো একজনের বা একটা বিষয়ের সক্রিয়তা বন্ধ করা। কম্পিউটারে একাধিক ব্যবহারকারী থাকলে মেশিন বন্ধ না করে ঐ ব্যবহারকারীর পুরো সক্রিয়তা বন্ধ করে দেয়া।
৪৬. সাইফার: মেসেজের গোপন ভাষা। কোড। গোয়েন্দা কার্যক্রমে ব্যবহৃত।
৪৭. হলোমেমরী মডিউল: লেখকের নিজ হাতের লেখাকে বলে হলোগ্রাফ। সায়েন্স ফিকশনে কোনো কিছুকে মূল আকারে কিন্তু কৃত্রিমভাবে ধরতে পারলে এটা বলা হয়। যেমন, মানুষের ত্রিমাত্রিক ছবি। এর মডিউল মানে হলোগ্রাফিক মেমরির ধারক আলাদা যন্ত্র। কাল্পনিক।
৪৮. গ্যাস ফ্লো মাইক্রোকন্ট্রোলার: গ্যাসীয় প্রবাহের ন্যূনতম নিয়ন্তা।
৪৯. ইনফ্রারেড সেন্সর: যে যন্ত্র অদৃশ্য আলোকরশ্মি বা অবলোহিত রশ্মি ধরতে পারে।
৫০. হিট সিকিং মিসাইল: তাপীয় বস্তুর পেছনে দৌড়ানো ক্ষেপণাস্ত্র। বিমানের পেছন থেকে তাপ বেরোয়। সামনে লেসার সেন্সর থাকায় মিসাইল এঁকে বেঁকে যাওয়া বিমানকেও ধ্বংস করতে পারে। আছে স্মোক ও সাউন্ড সিকিং মিসাইল।
৫১. জিওফিজিক্স: ভূমি বিষয়ক পদার্থবিদ্যা।
৫২. প্রোপ্যাল্যান্ট ট্যাঙ্ক: এখানে স্পেসশিপের জ্বালানির ট্যাঙ্ক।
৫৩. গ্যালিলিও : চার শতক আগের বিখ্যাত ইতালীয় অ্যাস্ট্রোনোমার, পদার্থ বিজ্ঞানী, পরীক্ষামূলক বিজ্ঞানের প্রবর্তক, রিফ্রাকটিং টেলিস্কোপের আবিষ্কর্তা, পড়ন্ত বস্তু ও পেণ্ডুলামের সূত্রের প্রবর্তক।
৫৪. যোহান্স কেপলার: প্রখ্যাত জার্মান জ্যোতির্বিজ্ঞানী এবং কল্পবিজ্ঞানের জন্মের আগের সায়েন্স ফ্যান্টাসি লেখক। গ্রহের গতি নিয়ে ব্রিসূত্র দেন এবং নিউটন তা কাজে লাগান। সংক্ষেপে: ১. প্রতি গ্রহ অর্বিট ধরে ডিম্বাকার পথে চলে। ২. গ্রহকেন্দ্র-সূর্যকেন্দ্রের লাইন তথা পেরিজি বা দূরত্ব কম হলে গ্রহগতি বাড়ে। ৩. একবার সূর্যকে ঘুরতে যে সময় লাগে তা পিরিয়ড। দু গ্রহের পিরিয়ডের বর্গ সূর্য থেকে তাদের দূরত্বের ঘন এর সমানুপাতিক।
৫৫. কসমোনট: রাশিয়ান মহাকাশ বিজ্ঞানী। এঁদের অ্যাস্ট্রোনট বলা হয় না।
৫৬. পারসিভাল লোয়েল: প্রখ্যাত ভবিষ্যৎ বক্তা। অনেক কথাই সত্যি হয় বলে প্রচারণা থাকলেও বিজ্ঞানীরা মনে করেন তা ভাঁওতাবাজি। পরে ভাঁওতাবাজি প্রমাণিত।
৫৭. মঙ্গল গ্রহ বিষয়ক প্রচারণা: আগে বিজ্ঞানীরা বলতেন মঙ্গল গ্রহে খাল আছে। তাঁরা দেখেছেন। কম ক্ষমতার দূরবীনের কারণে এমন মনে হতো। এটা খুবই বিখ্যাত। আবার অনেকে খ্যাতির জন্য বলে বেড়াতেন ও বই লিখতেন যে মঙ্গলের সভ্যতা দেখেছেন বা প্রাণী দেখেছেন। দুটোই ভুল।
৫৮. টেলিস্পেকট্রোমিটার: স্পেকট্রোমিটার (আলোর বর্ণালী সৃষ্টি করে বর্ণালী পরিমাপ করার যন্ত্র) বসানো টেলিস্কোপ।
৫৯. সিম্পরিও: ভবিষ্যতের কল্পিত ঘটনার ধারাবাহিকতা। বড় মিশন শুরুর আগে অনেকগুলো সম্ভাব্যতা নিয়ে কাজ হয়; প্রতিটার প্রবাহ দেখা হয়-এটাই সিম্পরিও।
৬০. স্লিপিং কোকুন: যে ঘেরাটোপে মহাকাশচারীরা ঘুমায়। কাল্পনিক।
৬১. মে ডে ফ্রিকোয়েন্সি: জাহাজের পাঠানো উদ্ধার বা বিপদ সংকেতের ফ্রিকোয়েন্সি।
৬২. লার্ভা: ডিম থেকে বেরিয়ে পিউপা হওয়ার আগ পর্যন্ত একটা পোকা যে স্তরে থাকে।
৬৩. ট্যাক্সোনমিস্ট: শ্রেণীবিন্যাসবিদ। জীবকে সঠিকভাবে তালিকাভুক্ত করে জীববিজ্ঞান সহজ ও সমৃদ্ধ করেন।
৬৪. অ্যাস্টেরয়েড গ্রহাণুপুঞ্জ: মঙ্গল আর বৃহস্পতির মাঝের গ্রহাণু বলয়। ধারণা করা হয় একটা বিশাল গ্রহ কোনো দুর্ঘটনায় টুকরো টুকরো হয়ে তারই কক্ষপথে সূর্যকে কেন্দ্র করে এখনো ঘুরছে।
৬৫. গ্লোবাল ট্র্যাকিং নেটওয়ার্ক: কল্পিত নেটওয়ার্ক। যে কোনো মানুষ কোথায় আছে তা বের করা যাবে। অনেকটা গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম অথবা ল্যাপটপে ইন্টারনেট বা মোবাইল ফোনের প্রক্রিয়া।
৬৬. হ্যাং গ্লাইডার: এই পাখাওয়ালা অযান্ত্রিক যানে চড়ে উঁচু থেকে পড়ে চিলের মতো উড়তে উড়তে নামা যায়।
৬৭. জি এম টি: মানবকেন্দ্রিক বিশ্বের প্রমাণ সময়। গ্রীনিচ মিন টাইম। ইংল্যান্ডের বিখ্যাত গ্রীনিচ মানমন্দিরের সময়।
৬৮. গ্যালি: জাহাজের রান্নাঘর। সাইনাস ইরিডিয়াম: এখানে, চান্দ্র এলাকা।
৭০. বে অফ রেইনবো: রঙধনু সাগর। চান্দ্র এলাকা।
৭১. করোনা: সূর্যের চারধারের লালচে আলোর ছটা। মেরুপ্রভাও বলা হয়।
৭২. অ্যাস্টেরয়েড বেন্ট: গ্রহাণুপুঞ্জ যে বিস্তৃতি নিয়ে ছড়ানো। দেখতে বেল্টের মতো। যেন সৌর জগতের ভিতরের দিকের অংশকে দেয়াল তুলে আলাদা করা হয়েছে।