১১. ক্লিপ হ্যাঙ্গার: যেখানে আটকে রেখে মহাকাশযান ঠিক বা রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়।
১২. পেরিজি: কোনো গ্রহের অথবা মহাকাশে ঘুরতে থাকা অন্য বস্তুর (ডিসকভারি) কক্ষপথ বা বিচরণ পথের যে বিন্দুটা পৃথিবীর সবচে কাছে। পেরিজোভ বুঝালে পৃথিবীর জায়গায় বৃহস্পতি বসবে।
১৩. দাচা: রাশিয়ার গ্রাম্য এলাকার বাড়ি। এখানে প্রত্যন্ত অঞ্চলে নির্বাসনের জায়গা। যেমন সাইবেরিয়া। কম্যুনিস্ট রাশিয়ায় রাষ্ট্রীয় কাজের কথা ফাঁস করলে নির্বাসন দেয়া হত। অভ্যন্তরীন উন্নয়নে কম্যুনিজম প্রবক্তা স্ট্যালিন ব্যাপক প্রচলন করে।
১৪. ম্যাগনেটোস্ফিয়ার: চৌম্বক স্তর। যেখানে চৌম্বকত্বের একটা প্রভাব বিদ্যমান।
১৫. বুফে: ইচ্ছামতো নিয়ে খাওয়ার ব্যবস্থা। এক সারে সব খাবার থাকার পর যে যারটা তুলে নিয়ে খেতে পারে। মূলত ব্যবস্থাটা দাঁড়িয়ে খাবার জন্য, এখন পরিবর্তিত।
১৬. কিলাওয়া: হাওয়াইয়ের এক আগ্নেয়গিরি। চার কি.মি. লম্বা আর সাড়ে তিন কি.মি. চওড়া এর জ্বালামুখ। সবচে বড় উদগীরণ প্রায় দেড় কি.মি. উঁচু।
১৭. জন ভন নিউম্যান: প্রাথমিক যুগের কম্পিউটারের মহারথী। প্রথম দিকের মেকানিক্যাল কম্পিউটার তৈরিতে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য।
১৮. তুরিং: ব্রিটিশ গণিতবিদ অ্যালান ম্যাথিসন তুরিং ১৯৩৭ সালে তুরিং মেশিন আবিষ্কার করেন। তিনি পৃথিবীর প্রথমদিকের একজন হ্যাকার, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মান কোড ভেঙেছেন। সবচে বড় অবদান তুরিং টেস্ট। বুদ্ধিমান কম্পিউটারের অথবা অন্য যন্ত্রের বুদ্ধিমত্তা পরিমাপ পদ্ধতি।
১৯. ইউ এস এস আর : ইউনিয়ন অব সোভিয়েত সোশালিস্ট রিপাবলিক। বিশ্বের প্রথম এবং সবচে শক্তিমান সমাজবাদী রাষ্ট্র, ১৯২২ থেকে ১৯৯১ পর্যন্ত ছিল। মূল রাশিয়া ছাড়াও দশ বারোটা প্রদেশ ভাগ হয় কমুনিস্ট পার্টি ক্ষমতা থেকে সরে গেলে।
২০. রুপিয়ার্ড কিপলিং: প্রথম দশ নোবেল বিজয়ী লেখক-কবির একজন। ব্রিটিশ। দি জাঙ্গল বুকের স্রষ্টা। আরো অনেক উপন্যাস, তিনশতরও বেশি ছোটগল্প লেখেন।
২১. হাইবারনেশন: শীতস্তম্ভ/শীতন্দ্রিা। মূলত সাপ জাতীয় প্রাণীর শীতে ঘুমিয়ে থাকা। মানুষের ক্ষেত্রে কল্পিত প্রক্রিয়া যাতে ঘুমন্ত শরীরে কম তরল খাবার দিলেই চলবে। তাপমাত্রা সাধারণত–২৭২ ডিগ্রী সে. বা ১ কেলভিন। বয়স একশ ভাগের এক ভাগও বাড়ে না। ভার্ন ধারণা দেন। পরে সব লেখক ও বিজ্ঞানী তত্ত্ব হিসেবে নেন।
২২. ক্ল্যাভিয়াস বেস: চাঁদে আমেরিকানদের মানব বসতি। [২০০১: আ স্পেস ওডিসি]
২৩. ব্রীফকেস কম্পিউটার: লেখকের কল্পনা। বর্তমানে সত্যি। ল্যাপটপ কম্পিউটার।
২৪. অর্বিট: কক্ষপথ। যে পথে গ্রহ, উপগ্রহ ঘোরে/পরমাণুতে যে পথে ইলেক্ট্রন ঘোরে।
২৫. পুটোনিয়াম: অতি তেজস্ক্রিয় মৌল। বাহক মানুষ হলে মারা যেতে পারে। সব সময় এর নিউক্লিয়াস ভেঙে যাচ্ছে এবং ভিতর থেকে রেডিও অ্যাকটিভ রে রূপে আণবিক কণিকা বেরুচ্ছে। ফলে দুটো ভিন্ন নতুন মৌল গঠিত হচ্ছে।
২৬. লেজার: লাইট ইমিশন বাই স্টিমুলেটেড ইমিশন অফ রেডিয়েশন। উদ্দীপিত তেজ নিঃসরণের মাধ্যমে আলো বাড়ানো। সহজে ছড়ায় না, বরাবর যায়। এর কিছু ধরন আছে যা দিয়ে ধাতব পদার্থ গলে। সিডি, প্রিন্ট সহ অনেক কিছুই এর উপর চলছে।
২৭. নিউটনের প্রথম সূত্র: মহাবিশ্বের প্রতিটা বস্তুকণা প্রতিটাকে তাদের যুক্তকারী সরলরেখায় আকর্ষণ করে। বলের মান বস্তু দুটোর ভরের গুণফলের সমানুপাতিক, দূরত্বের বর্গের ব্যাস্তানুপাতিক।
২৮. ভিউফোন: ভার্নের মতে টেলিফোট। দেখা ও শোনার যন্ত্র। জাপানে আছে।
২৯. শাখারভ ড্রাইভ: রাশিয়ান মহাকাশযানের ইঞ্জিন। কাল্পনিক। শাখারভকে সম্মাননা।
৩০. প্রিন্সিপিয়া: ফিলোসসাফি ন্যাচারালিস প্রিন্সিপিয়া ম্যাথমেটিকা-প্রাকৃতিক দর্শনের গাণিতিক নিয়ম। গতিসূত্র, মহাজাগতিক নিয়ম ও মাধ্যাকর্ষণ তত্ত্ব সহ নিউটনের আরো অনেক যুগস্রষ্টা কাজ এ বইতেই মোলশো সাতাশি সালে প্রকাশ পায়।
৩১. থার্মো নিউক্লিয়ার: তাপ পারমাণবিক। দেড় কোটি ডিগ্রী সে. তাপ হয় এ ফিউশনে।
৩২. প্রোপ্যাল্যান্ট: বিশেষত রকেট বা স্পেসশিপের জ্বালানি-সমন্বয়। এতে ফুয়েল বা জ্বালানি এবং এর সাথে অক্সিডাইজার থাকে।
৩৩. ম্যাগনেটো হাইড্রো ডাইনামিক: পানি ব্যবহার করে যে যন্ত্র আগুনের শিখা উৎপন্ন করতে পারে। আগুনটা জলশক্তিকে কাজে লাগায়।
৩৪. ব্যালে: বিখ্যাত ইউরোপিয়ান ক্লাসিক নাচ। থিয়েটারে জন্ম। আনুষ্ঠানিক ও দ্র।
৩৫. অটোসে: যে ঘড়ি সময় বলবে অ্যালার্মের বদলে। সহজেই তৈরি করা সম্ভব।
৩৬. বার্বিকিউ: খোলা আকাশের নিচে গ্রিলে করে ঘুরিয়ে আগুনে ঝলসে মাংস বা মাছ খাবার ব্যবস্থা। গ্রিল্ড চিকেনের আসল রূপ। পিকনিকে নিজেরা করা হয়।
৩৭. ফোকাস: যে দূরত্ব থেকে সবচেয়ে স্পষ্ট ছবি পাওয়া যায়। অন্য কথায়, কোনো লেন্সের সাপেক্ষে সব আলো যে বিন্দুতে মিলিত হয় (উত্তল লেন্সে); অথবা মিলিত হচ্ছে বলে মনে হয় (অবতল লেন্সে)।
৩৮. বি বি সি: ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন। পৃথিবীখ্যাত সরকারি সংবাদ সংস্থা।
৩৯. বিশাল লাল দাগ/গ্রেট রেড স্পট: বৃহস্পতির বিখ্যাত হ্যারিকেন। সারা বছর পুরো গ্রহের বিষুব এলাকা দাপড়ে বেড়ায় ঘণ্টায় ৩৬০ কি.মি. বেগে। গড়পড়তা আকৃতির ভিতর তিনটা পৃথিবীকে রেখে দেয়া যাবে। রঙ ইটের লাল থেকে ধূসরও হয়।