একটা সময় আমি বাবরের জীবনের সব উল্লেখযোগ্য স্থান ভ্রমণ করেছি। বাবরের আদি জন্মভূমি ফারগানা, যা বর্তমান উজবেকিস্তান আর কাজিকিস্তানে অবস্থিত। আজও এলাকাটা আপেল, নাশপাতি আর এ্যাপ্রিকটের বাগান শোভিত। এখনও সেখানে ফুটবল আকৃতির তরমুজ হয়। এখনও এই অঞ্চলের নারী পুরুষ গ্রীষ্মকাল শেষ হলে হাতে ধরা কাস্তে দিয়ে ফসল কাটে। এখনও ভোলা আকাশের নীচে ভেড়া, ইয়াক চড়ে বেড়ায়।
বাবরের কবর কাবুলে অবস্থিত। যা বর্তমানে ইউনেসকোর আর্থিক সহায়তায় নতুন করে সংস্কার করা হয়েছে। আমি খাইবার গিরিপথ দিয়ে উত্তর ভারতের মালভূমির উপর দিয়ে দিল্লি, আগ্রা গিয়েছি।
আমার এই দীর্ঘ যাত্রায় আমি যা দেখেছি, উপলব্ধি করেছি তাই লিপিবদ্ধ করেছি বাবরের প্রতি শ্রদ্ধা আর ভালোবাসার নিদর্শন হিসাবে। বাবরের প্রতি আমার এই ভালোবাসা যোদ্ধা হিসাবে মোঘল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার কারণেই না বরং তার লেখনী, তার উদ্যানপ্রীতি, শিল্পসংস্কৃতির প্রতি উৎসাহ সবকিছুকে অনুপ্রাণিত করেছে।
বাবর মুসলমান চান্দ্র মাসের দিনপঞ্জি ব্যবহার করলেও আমি সেগুলো খ্রিস্টান দিনপঞ্জিতে রূপান্তরিত করেছি কেবলই বোঝার সুবিধার্থে।