এখনও আছে অনেক চোর-ডাকাত, গম্ভীর সুরে বলল মক। নাহ্, আমি এবার যাই; দেরি করলে বেলাবেলি ফিরতে পারব না।
আমাকে আমার রিপোর্ট পাঠাতে হবে, মার্শাল। কার্লের নাম থাকবে না। তোমার অফিসটা ব্যবহার করলে আপত্তি আছে?
স্বচ্ছন্দে করতে পার। ডান দিকের ড্রয়ারে দোয়াত, কলম, কাগজ সবই পাবে। একটা ব্যাজ এঁটে দেব বুকে?
মার্শালের রসিকতায় মৃদু হাসল গ্রীন, মাথা নাড়াল।
মুচকি হেসে বেরিয়ে গেল মক, গ্রীন কাজে বসল। রিপোর্ট লেখা শেষ করে তলায় নিজের নাম সই করছে ও, এমন সময় ঘরে ঢুকল মারিয়া, ক্ষুব্ধ চেহারা।
আর কতক্ষণ লাগবে তোমার? দেরি সহ্য হচ্ছিল না, তাই চলে এলাম।
এইমাত্র শেষ করলাম, চেয়ার ছাড়তে ছাড়তে একগাল হেসে বলল গ্রীন। লাথি মেরে দরজাটা বন্ধ করে দিল সে, কাছে টেনে নিল মারিয়াকে। আচ্ছা, অস্থির হয়ে পড়েছ তা হলে? বিয়ে অবধি তর সইছে না?
চোখ কুঁচকে ওর দিকে তাকাল মারিয়া। কবে? জিজ্ঞেস করল।
রোববার?
হাহ্। তারপর ক্যালিফোর্নিয়া?
হ্যাঁ, তবে এক্ষুণি না। ক্যান্টিনাটা বিক্রি করতে হবে তোমাকে, তারপর আমরা ডেনভার হয়ে ক্যালিফোর্নিয়া যাব। ডেনভারে আমার একটা সম্পর্ক আছে, চুকিয়ে ফেলব সেটা।
দুম করে গ্রীনের বুকে কিল মারল মারিয়া। চোখ মটকে জিজ্ঞেস করল, কে? কোন মেয়ে বুঝি?
জবাব দিল না গ্রীন, ব্যস্ত হয়ে পড়েছে অন্য কাজে।