হনলুলুতে শার্লি তার স্বামীকে হারানোর পর আবারও জীবন শুরু করতে নিজের উপর চাপ দিচ্ছেন। গত ৪ বৎসরে তিনি অনেক বেশি বার পাঁচ সেকেন্ডের জানালাটিকে অপচয় হতে দিয়েছেন। এখন তিনি প্রাত্যহিক মনোবল অনুশীলন করছেন। তিনি ছোট করে শুরু করেছেন– নতুন করে আবারও হাঁটা শুরু করতে। ঐ একটি পরিবর্তন বছরব্যাপী বন্ধ হয়ে থাকা অনেকগুলো দরজা তার জন্য খুলে দিয়েছে।
ক্যালিফোর্নিয়ার সান্তামনিকাতে জুলি তার নিজেকে ধাক্কা দিয়ে কিছু ফোন কল করেছিলেন যা তাকে স্নায়বিক করে তুলেছিল, তবে তিনি দুটি জিনিস অর্জন করেছিলেন : প্রচুর আত্মবিশ্বাস আর ক্ষতিকারক ক্যান্সার নিরাময়ের সাহায্যস্বরূপ ৫,০০০ ডলার।
ভারতে, নতুন দিল্লির পুলকিত ফাইভ সেকেন্ড রুলটি ব্যবহার করে অনেকগুলো ঝুঁকি নিয়েছেন যা আশ্চর্যজনক উপায়ে তার উন্নতিতে সাহায্য করছে। সে এখন তার সব কাজে তার সেরাটি দিচ্ছেন। ধন্যবাদ দ্য ফাইভ সেকেন্ড রুল। আমাদের ৪৪ বছর বয়সী ব্যক্তি ড্যান এর জন্য একটি উপদেশ হলো– ধাক্কা দিতে থাকুন। পুলকিত জানে তার সদ্য স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করার কারণ হলো প্রাত্যহিক মনোবল শক্তি।
কর্মক্ষেত্রে ব্যস্ত একটি সপ্তাহ পার করার পর ক্যাথলিন চেয়েছিলেন ঘরে ফিরে গিয়ে একটি কাঙ্ক্ষিত পানীয় নিয়ে বসতে কিন্তু তা না করে তিনি পরিচিত গাড়িগুলোকে পেছনে ফেলে শুড়িখানায় পৌঁছেছিলেন। এটি ছিল তার বাড়ি না ফেরার রাগের কারণে দেখানো উত্তেজনা, কিন্তু ঐ মুহূর্তে তিনি জিতে গিয়েছিলেন। ক্যাথলিন যেমনটি বলেছেন– ড্রাইভটি যতই ছোট হোক না কেন, এটি ছিল একটি বিজয় অনুভূতির মতো। এবং এটা সত্যি তাই ছিল।
মিন্নেসোটাতে কেলী অনেক বছর ধরে স্বপ্ন দেখার পর হৃদয় থেকে একটি পাঁচ সেকেন্ড সময়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। তিনি ফ্রান্স চলে যাচ্ছেন। এখন তার সিদ্ধান্ত হলো, রোসা পার্কস যেমনটি বলেছিলেন– তার ভয় চলে গিয়েছে এবং নিজেকে পেছনে টেনে ধরে রাখার অনুমতি দেওয়ার পরিবর্তে বিস্তারিত খুঁটিয়ে দেখার কাজে তিনি তার মস্তিষ্ক ব্যবহার করবেন।
মেল,
ফাইভ সেকেন্ড রুলটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। আমি এখন ফ্রান্স চলে যাচ্ছি।
– কেলী।
ইংল্যান্ড-এর লন্ডন শহরে স্টিভ দুর্ঘটনা পরবর্তী বৈকল্য রোগে ভুগছিলেন এবং একটি ফেরি পারাপারের সময় নিজের জীবন নিয়ে নেওয়ার কথা ভাবছিলেন। তার প্রবৃত্তি তাকে বলছিল কারো সাহায্য নেওয়া উচিত আর এসময় ফাইভ সেকেন্ড রুল-টি দৃশ্যপটে আবির্ভূত হয়। তিনি রেলিং থেকে দূরে সরে আসেন এবং ফেরির একজন যাত্রীসেবা কর্মচারীর দিকে হাঁটতে শুরু করেন। তিনি কতটা হতাশায় নিমজ্জিত হয়ে পড়েছিলেন তা বোঝার জন্য এটা ছিল তার জীবনের সর্বনিম্ন মুহূর্ত, কিন্তু পাঁচ সেকেন্ডেরও কম সময়ে তিনি জীবন বাঁচানোর মনোবল খুঁজে পেয়েছিলেন।
এবং সবশেষে, জেমস্…
স্টিভ-এর গল্পটি জেমস্কে ছুঁয়ে গেছে। তার ভাষায়– এটা ছিল আমার হৃদয়ের কাছাকাছি। মাত্র এক বৎসর আগে জেমস্ আত্মহত্যা করে মারা যাওয়া তার ছোট ভাইকে হারিয়েছেন। জেমস্ আমাকে যেমনটি লিখেছিলেন– আমার ভাইটি যদি ৫ সেকেন্ড সময় নিত! আমি কখনোই সেটা বদলাতে পারব না, কিন্তু আমি নিজেকে বদলাতে পারি। ফাইভ সেকেন্ড রুল-টি ব্যবহার করে তিনি জেগে ওঠা এবং আবারো জীবন শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় মনোবল খুঁজে পেয়েছেন। এটা আমার তীব্র আবেগের কাছে ফিরে যাবার সময়, আমার দৌড়ানোর কাছে ফেরা। জেমস্ একটি ৫ সেকেন্ড সময়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি তার ছোট ভাই প্যাট্রিক-এর স্মৃতির উদ্দেশ্যে ১০০ মাইলের একটি দৌড় শুরু করেছেন। ৫-৪-৩-২-১।
হ্যাঁ, আপনি পাহাড়ও নাড়াতে সক্ষম। এই মুহূর্তে যা কিছু ঘটছে, তাই সব। এটাই আপনার জীবন। আর এটা নতুন করে আবার শুরু হবে না। আপনি অতীত বদলাতে পারবেন না, কিন্তু পাঁচ সেকেন্ড সময়ের মধ্যে আপনি আপনার ভবিষ্যৎ বদলে দিতে পারেন।
এটাই হলো প্রাত্যহিক মনোবল শক্তি। আপনার হৃদয় যখন কথা বলে, তাকে সম্মান করুন, ৫-৪-৩-২-১ গণনা করুন এবং এগিয়ে যান। এক মুহূর্তের মনোবল আপনার দিনটি বদলে দিতে পারে। আর আপনার জীবন বদলে দিতে পারে গোটা পৃথিবী।
আপনার ভেতরে আছে মহত্ত্ব। এটা প্রকাশ করার এখনই মোক্ষম সময়।
৫-৪-৩২-১, এগিয়ে চলুন।
*
=========দ্য ফাইভ সেকেন্ড রুল=========
যে মুহূর্তে একটি লক্ষ্যের উপর কাজ করার প্রবৃত্তি তৈরি হবে, আপনাকে অবশ্যই ক্ষণ গণনা করতে হবে–
৫– ৪– ৩– ২– ১
এবং শারীরিকভাবে সক্রিয় হতে হবে, তা না হলে আপনার মস্তিষ্ক আপনাকে থামিয়ে দেবে।